হাম্বলি মাযহাবের আলেম আল্লামা রুহাইবানী (রাহিমাহুল্লাহ) তার ‘মাতালিবু উলিন নুহা ফি শারহি গায়াতিল মুনতাহা’ ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন যে, গ্রন্থকার তাঁর কিছু টীকায় ইমাম আল-মাওয়ার্দী ও আবু হামিদ মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ আল-গাজালীর বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন। তাঁরা বলেন:
يكره نكاح الحنانة والمنانة والأنانة والحداقة والبراقة والشداقة والممراضة . فالحنانة التي لها ولد تحن إليه, والمنانة التي تمن على الزوج بما تفعله، والأنانة كثيرة الأنين, والحداقة التي تسرق كل شيء بحدقتها وتكلف الزوج, والبراقة التي تشتغل غالب أوقاتها ببريق وجهها وتحسينه. وقيل: هي التي يصيبها الغضب عند الطعام فلا تأكل إلا وحدها, والشداقة كثيرة الكلام , والممراضة التي تتمارض غالب أوقاتها من غير مرض.
“সাত ধরনের নারীকে বিয়ে করা অপছন্দনীয় (মাকরূহ):
.
(১).হান্নানা (الحنانة) – হলো সেই নারী যে তার আগের স্বামী বা সন্তানদের স্মরণ করে কাঁদে বা তাদের জন্য বিরহ প্রকাশ করে।
.
(২).মান্নানা (المنانة)–হলো সেই নারী যে তার স্বামীর ওপর অনুগ্রহ করে তা বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়; যেন কৃতজ্ঞতা দাবি করে। (যেমন:আমি তোমার জন্যে এই করেছি, সেই করেছি।’ হেন করেছি, তেন করেছি,ইত্যাদি)
.
(৩).আন্নানা (الأنانة)– হলো সেই নারী যে সামান্য কারণেও বারবার অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে কাতর স্বরে অভিযোগ করে।
.
(৪).হাদ্দাকা (الحداقة) –হলো সেই নারী যে কোনো কিছুর উপর থেকেই লোভ সামলাতে পারে না। সব কিছুই পেতে চায়, এবং স্বামীকে তা ক্রয়ের জন্যে নিয়মিত চাপে রাখে।
.
(৫).বার্রাকা (البراقة)–হলো সেই নারী যে অধিকাংশ সময় সাজসজ্জা ও রূপচর্চায় ব্যস্ত থাকে;এই শব্দের অন্য একটি অর্থ হলো, যে নারী খেতে বসে রাগ করে চলে যায়। এবং পরে একা একা (খাবার) খায়।
.
(৬).শাদ্দাকা (الشداقة)– হলো সেই নারী যে অতিরিক্ত কথা বলে; ঝগড়াটে স্বভাবের।
.
(৭).মামার্রাদা (الممراضة) – হলো সেই নারী যে প্রকৃতপক্ষে অসুস্থ না হলেও সবসময় অসুস্থতার ভান করে।”(ইসলাম ওয়াবে ফাতওয়া নং-৭০৩৭৮)
.
অপর বর্ননায় আবু হামিদ মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ আল-গাজালি আত-তুসি,(রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: ইয়াহইয়াউ উলুমিদ্দিন গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, কিছু আরব বলতেন: لا تنكحوا من النساء ستة: لا أنانة، ولا منانة، ولا حنانة، ولا تنكحوا حداقة، ولا براقة، ولا شداقة. هذا ما وقفنا عليه في ذلك.“নারীদের মধ্যে ছয়জনকে বিবাহ করা থেকে বিরত থাকো – আন্নানা, মান্নানা, হান্নানা, হাদ্দাকা, বার্রাকা ও শাদ্দাকা।” (গাজালি; ইয়াহইয়াউ উলুমিদ্দিন খন্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৩৮)।(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_________________________

No comments:
Post a Comment