প্রশ্ন: যারা অনবরত পেশাব ঝরার সমস্যায় ভুগেন এবং যেসব নারীর ইস্তেহাযার রক্তপাত চলতে থাকে তাদের অযুর পদ্ধতি কী?
▬▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র প্রতি। অতঃপর যে ব্যক্তি (নারী বা পুরুষ) এমন অপবিত্রতা বা শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকেন যা ক্রমাগত চলতে থাকে যেমন: প্রস্রাব ঝরা রোগ তাকে অনেক ফকীহ (ইসলামী আলেমগণ) ইস্তেহাযাগ্রস্ত নারীর হুকুমে গণ্য করেন। এ ধরনের ব্যক্তি যতটুকু সম্ভব অপবিত্রতা ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন, অসুস্থ ব্যক্তি যদি অনবরত পেশাবের রোগী হয় এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এর থেকে সুস্থ না হয় তাহলে তার উপর ওয়াজিব প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করার পর শৌচ করা এবং প্রত্যেক নামাযের জন্য অযু করা। তার শরীর ও কাপড়ে যা লেগেছে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। অথবা কষ্ট না হলে নামাযের জন্য একটা পবিত্র কাপড় রেখে দিবে। আর কষ্ট হয়ে গেলে সেটা ক্ষমার্হ। নিজের জন্য সে সতর্কতা অবলম্বন করবে যাতে কাপড়ে, শরীরে অথবা নামাযের স্থানে পেশাব ছড়িয়ে না যায়। সে জন্য সে গোপনাঙ্গের অগ্রভাগে কোন নিরোধক ব্যবহার করবে। সুতরাং এমন ব্যক্তি (নারী পুরুষ) যখন প্রতিটি নামাযের ওয়াক্তে নতুন ভাবে অযু করবেন। সেই অযু দিয়ে তিনি ইচ্ছামতো ফরজ ও নফল নামায আদায় করতে পারবেন। তবে যদি দেখা যায় যে, একটি নামায আদায়ের পর পরবর্তী ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেছে, অথচ এ সময়ের মধ্যে তার প্রস্রাবের জায়গা থেকে কিছু বের হয়নি, (অর্থাৎ অযু ভঙ্গ হয়নি) তাহলে পুনরায় অযু করার প্রয়োজন নেই পূর্ববর্তী অযুই যথেষ্ট হবে।
.
মূলনীতি হচ্ছে যেহেতু ইসলামি শরীআত আমাদেরকে পেশাব ও যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে পুরোপুরি বেঁচে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। তাই এই নির্দেশ ব্যাক্তির ‘সাধ্য অনুযায়ী পালন’-এর নীতির অন্তর্ভুক্ত হয়।এই মূলনীতির দলিল হচ্ছে আল্লাহ তাআলা বলেন:﴿فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ﴾“তোমরা আল্লাহকে ভয় করো যতটুকু সম্ভব।”(সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ১৬) আর আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بشيء فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ আমি যখন তোমাদেরকে কোনো কিছু করতে নিষেধ করি, তখন তা পরিহার করো; আর যখন কোনো কিছু করতে আদেশ করি, তখন তা যতটুকু সাধ্য হয়, করো।” (সহিহ বুখারি হা/৭২৮৮,সহিহ মুসলিম হা/১৩৩৭) অতএব উক্ত মূলনীতির আলোকে যে ব্যক্তির অপবিত্রতা স্থায়ী ও চলমান, যেমন: পেশাব-ঝরা রোগী কিংবা অনবরত বায়ু ত্যাগের রোগী, তিনি প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাযের জন্য অযু করবেন। এই অযু দিয়ে তিনি যত রাকাত ইচ্ছা ফরয ও নফল নামায পড়বেন; যতক্ষণ না আরেক নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয়। দলিল হলো: সহিহ বুখারী ও মুসলিমে আছে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন: ফাতেমা বিনতে আবু হুবাইশ রাদিয়াল্লাহু আনহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেন: “হে আল্লাহর রাসূল! আমি ইস্তেহাযাগ্রস্ত হই। তারপর আর পবিত্র হই না। আমি কি নামায ছেড়ে দিব?” তিনি বললেন: সেটি শিরা (থেকে রক্তক্ষরণ); হায়েযের স্রাব নয়। যখন তোমার হায়েযের স্রাব শুরু হবে তখন নামায পড়বে না। যখন হায়েযের স্রাব থেমে যাবে তখন তুমি রক্ত ধৌত করবে এবং নামায পড়বে। এরপর প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্ত এলে সেটির জন্য অযু করবে।”(সহীহ বুখারী হা/২২৬; সহীহ মুসলিম হা/৩৩৩) কিন্তু যদি জানা যায় যে তার পেশাব একটা সময়ে থেমে থাকে যে সময়টুকু পবিত্রতা অর্জন করা ও নামায আদায় করার জন্য যথেষ্ট তাহলে ঐ সময় পর্যন্ত দেরী করা তার উপর আবশ্যক।
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন:
“المصاب بسلس البول له حالان:
الأولى: إذا كان مستمرّاً عنده بحيث لا يتوقف، فكلما تجمَّع شيء بالمثانة نزل: فهذا يتوضأ إذا دخل الوقت ويتحفظ بشيء على فرجه، ويصلِّي ولا يضرُّه ما خرج.
الثانية: إذا كان يتوقف بعد بوله ولو بعد عشر دقائق أو ربع ساعة: فهذا ينتظر حتى يتوقف ثم يتوضأ ويصلِّي، ولو فاتته صلاة الجماعة”
“পেশাব-ঝরা রোগীর দুই অবস্থা:
ক. যদি তার পেশাব এমনভাবে চলমান থাকে যে থামে না, মূত্রাশয়ে কিছু জমলেই নেমে যায়: এমন ব্যক্তি ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর অযু করবে, কিছু একটা দিয়ে (যেমন ডায়াপার, ন্যাকড়া) তার লজ্জাস্থানকে আবদ্ধ করে রাখবে, তারপর সে নামায পড়বে। এর মধ্যে যা বের হবে এতে তার নামাযের কোনো ক্ষতি হবে না।
খ. যদি পেশাব করার পর পেশাব-ঝরা থেকে যায়; এমন কি সেটা দশ মিনিট অথবা পনের মিনিট পরে হলেও: এমন ব্যক্তি পেশাব থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। তারপর অযু করে নামায পড়বে, এমনকি এতে করে তার জামাতের সাথে নামায আদায় ছুটে গেলেও।”(ইবনু উসামীন লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, প্রশ্ন-১৭, পর্ব: ৬৭)
.
শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন:
فمن لم يمكنه حفظ الطهارة مقدار الصلاة ، فإنه يتوضأ ويصلي ، ولا يضره ما خرج منه في الصلاة، ولا ينتقض وضوؤه بذلك باتفاق الأئمة، وأكثر ما عليه أن يتوضأ لكل صلاة ” ا
“যে ব্যক্তি নামাযের সময়কাল পর্যন্ত পবিত্রতা ধরে রাখতে সক্ষম নয়, সে (প্রত্যেক নামাযের সময়) ওজু করবে এবং নামায আদায় করবে। নামাযের মাঝে তার শরীর থেকে কিছু নিঃসরণ হলেও তাতে তার কোনো ক্ষতি নেই এবং এর মাধ্যমে তার ওজু ভঙ্গ হবে না এ বিষয়ে ইমামগণের ঐক্যমত রয়েছে। তার জন্য সর্বোচ্চ করণীয় হলো প্রত্যেক নামাযের সময় নতুন করে ওজু করা।”(ইবনু তাইমিয়্যাহ মাজমুউ ফাতাওয়া, খণ্ড: ২১; পৃষ্ঠা: ২২১)
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন:
(المريض المصاب بسلس البول ولم يبرأ بمعالجته عليه أن يتوضأ لكل صلاة بعد دخول وقتها، ويغسل ما يصيب بدنه، ويجعل للصلاة ثوبا طاهرا إن لم يشق عليه ذلك، وإلا عفي عنه لقول الله تعالى: (وما جعل عليكم في الدين من حرج) وقوله: (يريد الله بكم اليسر ولا يريد بكم العسر)، وقوله صلى الله عليه وسلم: (إذا أمرتكم بأمر فأتوا منه ما استطعتم) ويحتاط لنفسه احتياطا يمنع انتشار البول في ثوبه أو جسمه أو مكان صلاته)
‘পেশাব-ঝরা রোগে আক্রান্ত যে রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেননি, তিনি প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশের পর অযু করবেন। তার শরীরে যা লেগেছে তা ধুয়ে ফেলবেন। যদি তার জন্য কষ্টকর না হয় তাহলে নামাযের জন্য পবিত্র কাপড় রাখবেন। আর যদি কষ্টকর হয় তাহলে তাকে ক্ষমা করা হবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন: “আল্লাহ তোমাদের জন্য দ্বীনে কোনো রূপ সংকীর্ণতা রাখেননি।” তিনি আরো বলেন: “আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান, তোমাদের জন্য কঠিন চান না।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি যখন তোমাদেরকে কোনো নির্দেশ প্রদান করবো তখন তোমরা সাধ্যমত তা করার চেষ্টা করবে।” তারপর সে নিজের জন্য এমন কোন সতর্ক উপায় অবলম্বন করবেন যা তার কাপড়ে, পোশাকে অথবা নামায পড়ার স্থানে পেশাব ছড়াতে বাধা দিবে।’(ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ১৯২)
.

.
আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, ফিকহবিদদের দৃষ্টিতে পেশাব-ঝরা রোগী ইস্তিহাযাগ্রস্ত নারীর হুকুমে গণ্য হন। তবে ইস্তিহাযা কিংবা অনুরূপ ধরণের স্থায়ী অপবিত্রতা-সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির পবিত্রতা সংক্রান্ত বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন যে, এমন রোগীর পবিত্রতা কি ওয়াক্ত শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বাতিল হয়ে যায়,নাকি পরবর্তী নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করার পর তা বাতিল হয়? এই মতভেদের বাস্তব প্রভাব দেখা যায়, যেমন: কেউ যদি ফজরের নামাযের জন্য অযু করে, তবে সে কি ঐ একই অযু দিয়ে চাশত বা দুই ঈদের নামায আদায় করতে পারবে, নাকি চাশত বা দুই ঈদের সালাত আদায়ের জন্য নতুন করে অযু করতে হবে? যারা বলেন: ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে ইস্তেহাযাগ্রস্ত নারীর পবিত্রতা বাতিল হয়ে যায়, তারা এভাবে করা থেকে বারণ করবেন। যেহেতু সূর্যোদয়ের মাধ্যমে তার পবিত্রতা শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার যারা বলেন: আরেক নামাযের ওয়াক্ত শুরু হলে তার পবিত্রতা বাতিল হয়, তারা তার জন্য ফজরের অযু দিয়ে চাশত ও দুই ঈদের নামায পড়াকে জায়েয বলেন। কারণ যোহরের ওয়াক্ত প্রবেশ করা পর্যন্ত তার পবিত্রতা বলবৎ থাকে। উভয় মত ইমাম আহমদের মাযহাবে রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য মাযহাবেও রয়েছে।(আল ইনসাফ; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৩৭৮; আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা; খণ্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ২১২) তবে নিরাপদ হলো চাশত ও দুই ঈদের নামাযের জন্য নতুন করে অযু করা। শাইখ ইবনে উছাইমীন রাহিমাহুল্লাহ এই ফাতওয়া দিয়েছেন।
.
ইমাম বুহূতী (রাহিমাহুল্লাহ) আর-রাওদুর মুরবি গ্রন্থে বলেন: (والمستحاضة ونحوها) ممن به سلس بول أو مذي أو ريح … (تتوضأ لـ) دخول (وقت كل صلاة) إن خرج شيء (وتصلي) ما دام الوقت (فروضا ونوافل)، فإن لم يخرج شيء لم يجب الوضوء“ইস্তেহাযাগ্রস্ত নারী এবং তার অনুরূপ যাদের অনবরত পেশাব ঝরে, অনবরত কামরস বের হয় কিংবা বায়ু নির্গত হয় … তারা প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ করলে অযু করবে, যদি কোনো কিছু বের হয়। আর যতক্ষণ ওয়াক্ত আছে ততক্ষণ ফরয ও নফল নামায পড়বে। আর যদি কোনো কিছু বের না হয় তাহলে অযু করা ওয়াজিব হবে না।”(আর-রাওদুর মুরবি; পৃষ্ঠা: ৫৭)
.
বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন:يجب على المستحاضة أن تتوضأ لوقت كل صلاة إن خرج شيء، فإن لم يخرج منها شيء بقيت على وضوئها الأول”ইস্তেহাযাগ্রস্ত নারীকে প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে অযু করতে হবে, যদি কোনো কিছু বের হয়। যদি কোনো কিছু বের না হয়, তাহলে প্রথম অযুর উপরই সে বলবৎ আছে।(ইবনু উসাইমীন; আশ-শারহুল মুমতি; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৪৩৮)
.
অতএব, ইস্তেহাযাগ্রস্ত নারী প্রত্যেক সালাতের সময় যোনিপথ পরিষ্কার করবে, অর্থাৎ যোনিপথ থেকে নিঃসৃত অপবিত্রতা দূর করবে। এরপর বাহিরে যেন রক্ত প্রবাহিত না হয় বা গড়িয়ে না পড়ে এ জন্য যোনিপথের মুখে তুলা বা অনুরূপ কোনো উপযোগী বস্তু স্থাপন করবে এবং সেটিকে ভালোভাবে বেঁধে রাখবে যাতে তা সরে না যায়। এরপর সালাতের সময় উপস্থিত হলে সে ওযু করবে এবং নামাজ আদায় করবে। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুস্তাহাযা নারীর ক্ষেত্রে বলেন:تدع الصلاة أيام أقرائها، ثم تغتسل وتتوضأ عند كل صلاة“মুস্তাহাযাহ নারী তার হায়েযের দিনগুলোয় সালাত ত্যাগ করবে, অতঃপর গোসল করবে ও প্রত্যেক সালাতের জন্য ওযু করবে”।(তিরমিযি হা/১২৬; আবু দাউদ হা/২৯৭) অপর বর্ননায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:أنعت لك الكرسف تحشين به المكان“তুমি নিজের জন্য কুরসুফ (সুতি কাপড়) বানিয়ে নাও এবং তার দ্বারা স্থানটি ঢেকে নাও”(তিরমিযি হা/১২৮; আবু দাউদ হা/২৮৭) ডাক্তারি গবেষণায় তৈরি ন্যাপকিন ব্যবহার করাও বৈধ। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
No comments:
Post a Comment