Wednesday, March 27, 2024

সীরাত ২৮ – বনু কুরাইশ আরবে এত সম্মানিত ছিল কেন?

 

বনু কুরাইশ আরবের সবচেয়ে সম্মানিত গোত্র ছিল। এর কারণ, এই বংশের বিভিন্ন পূর্বপুরুষ এমন কিছু কাজ করেছিল যা পুরো মক্কাবাসীর জন্য গৌরব আর সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছিল। রাসূলুল্লাহ(সা) এর ৫ম পূর্বপুরুষের নাম ছিল কুসাই। এই কুসাই, তার ছেলে আব্দুল মানাফ ও নাতি হাশিম (রাসূলুল্লাহ(সা) এর দাদা আব্দুল মুত্তালিবের বাবা) কুরাইশ বংশের জন্য বিভিন্নভাবে সম্মান বয়ে এনেছিল। এর ফলে, রাসূলুল্লাহ(সা) যখন কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন তাঁর পূর্বপুরুষদের কারণে তিনি(সা) বিশেষ সম্মান পেতেন। এই লেখায় আমরা জানব – কুসাই, আব্দুল মানাফ ও হাশিম কিভাবে কুরাইশ গোত্রের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিল।

কুসাই যেভাবে বনু কুরাইশের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছিল:

কুসাই ছিল প্রিয়নবী মুহাম্মাদ(সা) এর দাদার দাদার বাবা। রাসূলুল্লাহ(সা) এর জন্মের প্রায় ১৭০ বছর আগে ছিল কুসাইয়ের জমানা (আনুমানিক ৪০০ খ্রিষ্টাব্দ)।

মক্কাবাসীর জীবনে কুসাইয়ের অনেকগুলো বিশাল অবদান ছিল। তার সবচেয়ে বড় অবদান ছিল ক্ষমতাগ্রহণ ও রাজনীতিতে। মক্কার ক্ষমতার আসনে কুরাইশদেরকে বসায় কুসাই। কিভাবে সেটা হয়েছিল? এটা বুঝতে হলে একটু পেছন দিকে যেতে হবে।

জমজম কূপের ইতিহাস:

মক্কায় এক সময় কোন জনবসতি ছিল না। ইব্রাহিম(আ) তাঁর শিশুপুত্র ইসমাইল(আ) ও তার মা হাজেরাকে মহান আল্লাহর হুকুমে রেখে চলে গিয়েছিলেন বিরানভূমি মক্কায়। পুত্র ইসমাইল(আ) যখন পানির কষ্টে ছটফট করছিল, তখন মা হাজেরা সাফা আর মারওয়া পাহাড়ের উপরে দৌড়ে দৌড়ে উঠে খোজার চেষ্টা করছিল কোন কাফেলার সন্ধান পাওয়া যায় কিনা, যাদের কাছে হয়ত পানি মিলবে। সে সময় আল্লাহর হুকুমে জিব্রিল(আ) এর পায়ের গোড়ালীর আঘাতে শিশু ইসমাইল(আ) যেখানে বসে ছিলেন তার কাছেই তৈরী হয় এক কূপ (বুখারী)। কূপের পানি যখন গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছিল, তখন হাজেরা বালু দিয়ে ঘিরে সেই পানিটাকে ধরে রাখতে চেষ্টা করছিল আর তার ভাষায় বলছিল – “যাম! যাম!” অর্থাৎ “থামো! থামো!” এর থেকেই এই কূপের নাম হয়ে যায় জমজম।  

জমজম কূপের প্রাচীণ ছবি (সূত্র: thesufi.com)

এরপর হাজেরা ও ইসমাইল(সা) মক্কাতেই থাকতে থাকে। একদিন জুরহুম নামক এক প্রাচীন আরব গোত্র মক্কার উপর দিয়ে যাচ্ছিল। এক জায়গায় অনেক পাখি উড়তে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। তারা যেয়ে দেখে জমজম কুপের পানির আকর্ষণে ঐ জায়গায় এত পাখি ঘুরাঘুরি করছে। মরুভূমিতে পানি হল প্রান! যাযাবর গোত্র জুরহুম বলল এখানেই আমাদের বসতি গড়তে হবে! তারা হাজেরার কাছে অনুমতি চাইল। হাজেরা বলল – তোমরা এখানে থাকত পার কিন্তু এই কূপ আমার অধীনে থাকবে। জুরহুম গোত্র তা মেনে নিল। পরে জুরহুম গোত্রের এক নারীকেই বিয়ে করেন ইসমাইল(আ)। এরপর ইব্রাহিম(আ) মক্কায় এসে তার ছেলে ইসমাইল(আ) এর সাথে কা’বাঘর নির্মাণ করেন। মক্কার ধর্মীয় নেতৃত্ব যুগ যুগ ধরে ইসমাইল(আ) এর বংশধরদের হাতে ছিল। কিন্তু, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছিল জুরহুম গোত্রের কাছে।

খুজা’আ গোত্রের মক্কা দখল:

এভাবেই চলছিল কিন্তু দিনে দিনে জুরহুম গোত্রের লোকজন দুর্নিতীগ্রস্ত হয়ে গেল। এই দুর্নিতী তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করে দিল। অন্যদিকে ইয়েমেনে অনেক আগেই এক ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সেই বন্যার কারণে ইয়েমেনের বিভিন্ন গোত্র আরবের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল। তার মধ্যে এক গোত্র ছিল বনু খুজা’আ। এরা মক্কার আশে-পাশেই থাকত। জুরহুম গোত্রের দুর্বলতার খবর পেয়ে এরা মক্কা আক্রমণ করে। ক্ষমতার মসনদ থেকে সরিয়ে দেয় জুরহুম গোত্রকে। জুরহুমরা মক্কা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু যাওয়ার আগে তারা দুইটা কাজ করে। এক – আল্লাহর ইচ্ছায় জমজম কূপের মুখ পুরোপুরি ঢেকে দিয়ে যায়। দুই – কা’বাঘরের ভিতর মূল্যবান যা কিছু সোনা-গয়না ছিল তা কোথাও লুকিয়ে রেখে চলে যায়। 

এভাবে মক্কার ক্ষমতা চলে যায় খুজা’আ গোত্রের কাছে। এই খুজা’আ গোত্রের নেতা আমর ইবনে লুহাই মক্কায় মূর্তিপূজার বিধান চালু করে (এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম ২৩তম পর্বে)। ক্ষমতার এই পট পরিবর্তনের পর ইসমাইল(আ) এর বংশধরেরাও মক্কা ছেড়ে বেরিয়ে যায়। বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত হয়ে আরবের বিভিন্ন জায়গায় তারা ছড়িয়ে পড়ে। তবে, রাসূলুল্লাহ(সা) এর ১২তম পূর্বপুরুষ ফিহির ও তার সন্তানরা বিভিন্ন উপগোত্র তৈরী করে মক্কার বাইরে কিন্তু আশে-পাশের এলাকাতেই থেকে যায়।  

কুসাই এর মক্কার নেতৃত্ব লাভ:

এইভাবে মক্কার রাজনৈতিক নেতৃত্ব ইয়েমেন থেকে জুড়ে আসা খুজা’আ গোত্রের কাছে চলে যায় – আর তাদের নেতৃত্বেই কেটে যায় প্রায় ৩০০ বছর। ইবনে ইসহাক বর্ণনা করেন – এই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রথম বলিষ্ঠভাবে যে ব্যক্তি চ্যালেঞ্জ করে সে রাসূলুল্লাহ(সা) এর দাদার দাদার বাবা – কুসাই।

খুবই বুদ্ধিমত্তার সাথে ক্ষমতার দিকে অগ্রসর হয় কুসাই। কল্পনা করতে বাধা নেই যে কুসাই ছিল সুদর্শন, সাহসী ও নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন। ফলে খুজা’আ গোত্রের সর্দারের কন্যাকে যখন বিয়ের প্রস্তাব দেয় কুসাই, তা গৃহীত হয়। গোত্রপ্রধানের মেয়ের জামাই হিসাবে ক্ষমতার দাবীদার হয়ে যায় কুসাই। কুসাই এর বিভিন্ন বুদ্ধি-দীপ্ত ও জনমুখী কাজ শুধু তার শ্বশুরই নয়, সাধারণ খুজা’আ গোত্রের মানুষদেরও মন জয় করে নেয়। তাই, যখন গোত্রপ্রধান মারা গেল, তখন সাধারণ জনগণের বিশাল এক অংশ কুসাইকে নতুন গোত্রপ্রধান হিসাবে দেখতে চাইল। কিন্তু গোত্রপ্রধানের সন্তানেরা এটা মেনে নিত পারল না। শুরু হল গৃহযুদ্ধ। এই সময় কুসাই তার পূর্বপুরুষ ফিহির (কুরাইশ) এর বংশধরদরদের একত্রিত করে সমমনা জনগণকে সাথে নিয়ে গোত্রপ্রধানের সন্তানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং বিজয়ী হয়। এভাবে করেই কুরাইশদেরকে দীর্ঘ ৩০০ বছর পর আবার মক্কার রাজনৈতিক ক্ষমতায় বসায় কুসাই। 

এ ছাড়া আর কি করেছিল কুসাই মক্কাবাসীর জন্য? কুসাই স্থাপন করেছিল মক্কার দারুল নাদওয়া (বর্তমান যুগে যেটাকে আমরা সংসদ বলি)। সে কা’বা ঘরের জিম্মাদারিত্ব গ্রহণ করে এবং মৃত্যুর আগে বিভিন্ন দায়িত্ব তার বিভিন্ন সন্তানের মধ্যে ভাগ করে দেয়। যেমন – হাজীদের আতিথেয়তার দায়িত্ব, হজের বিভিন্ন গন্তব্যে আগুন, খাবার/পানির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব, কা’বাঘরের চাবি রাখার দায়িত্ব  ইত্যাদি। হাজিদের খাবার ও পানি বিনামূল্যে দেয়ার ব্যবস্থা করে কুসাই। হাজিদের জন্য সে কূপও খনন করে (কারণ, মনে করুন জুরহুম গোত্র মক্কা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগে যম যম কূপ ঢেকে দিয়ে গিয়েছিল, ফলে মক্কায় পানির অভাব ছিল।)। কুসাই ইন্তেকাল করলে তাকে মক্কার বিখ্যাত কবরস্থান হুজুন এ দাফন করা হয়।

আব্দুল মানাফ যেভাবে বনু কুরাইশের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছিল:

কুসাই এর সন্তান হলো আব্দুল মানাফ। তার আসল নাম ছিল মুগীরা। কুরাইশরা আল্লাহকে বিভিন্ন সিফাতী নামে ডাকত, তার একটি হল মানাফ (উচু/সম্মানিত)। আব্দুল মানাফ তার সৌন্দর্য ও নেতৃত্বগুণের জন্য বিখ্যাত ছিল। তবে তার ছেলে হাশিম তার চেয়েও অনেক বেশী বিখ্যাত হয়েছিল।

হাশিম যেভাবে বনু কুরাইশের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছিল:

আব্দুল মানাফ এর সন্তান হলো হাশিম। হাশিম আসলে তার টাইটেল, তার আসল নাম হলো আমর। কুসাই এর নাতী হিসাবে আমর উপর দায়িত্ব পড়েছিল হাজীদেরকে আপ্যায়ন করার। আগে হাজীদেরকে সাধারণত শুধু স্যুপ দিয়ে আপ্যায়ন করা হত। আমর এ প্রথায় পরিবর্তন আনল। সে স্যুপের মধ্যে রুটি ভেঙ্গে টুকরা করা তা যোগ করার নিয়ম করল। এতে স্যুপের স্বাদ অনেক বেড়ে গেল। আরবীতে কোন কিছুকে ভেঙ্গে গুড়ো করাকে বলে “হাশামা”। এর তা থেকেই আমর এর নাম হয়ে গেল হাশিম।

বলা হয়ে থাকে হাশিম খুবই দয়ালু ছিল। সে কখনো একা খেত না, সবসময় কাউকে না কাউকে নিয়ে খেতে বসত।

তবে হাশিমের সবচাইতে বড় অবদান হলো মক্কায় আন্তর্যাতিক ব্যবসা শুরু করা। এর ফলে মক্কাবাসীর অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসে। এক বছর মক্কায় ভয়াবহ খরা হয়েছিল। মানুষ খাবার না পেয়ে মারা যাচ্ছিল। তখন হাশিমের মাথায় মানুষকে অর্থনৈতিক দৈনতা থেকে রক্ষা করার বুদ্ধি আসে। সে বলল – দেখ, মক্কা এমন এক জায়গা যেখানে সমস্ত আরব থেকে লোক আসে হজ্জ করতে। আর মানুষ তখন ভাল কিছু কেনা কাটা করতে চায়। কেননা আমরা গ্রীষ্মকালে উত্তরে দামেস্ক (তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্য) এর কাছের শহর বসরায় বাণিজ্য কাফেলা পাঠিয়ে রোমান ও পারস্যীয় জিনিস আমদানী করি, আর শীতকালে দক্ষিণে ইয়েমেনে বাণিজ্য কাফেলা পাঠিয়ে ভারতীয় ও আফ্রিকান জিনিস আমদানী করি। তারপর সেই আমদানীকৃত জিনিসগুলো মক্কার হাজীদের কাছে বিক্রি করি।

ছবি: হাশিম এর শুরু করা কুরাইশদের আন্তর্যাতিক বাণিজ্যের রুট

এই আমদানী বাণিজ্য করে হাশিম প্রচন্ড ধনী হয়ে যায়। মক্কাবাসীরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়। আরবদেশে বাণিজ্য কাফেলার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি ছিল যাত্রাপথে ডাকাতি হওয়ার ঝুঁকি। কিন্তু কুরাইশবাসী যেহেতু কা’বা ঘরের জিম্মাদার, এই সম্মানে তাদের কাফেলায় অন্য কোন গোত্র হামলা করত না। এটা আল্লাহর রহমত কুরাইশবাসীর প্রতি। আর এটা আল্লাহ কুরআন মজিদে সূরা কুরাইশে উল্লেখ করেছেন।

(আল্লাহ কুরাইশদের সাহায্য করেছেন) কুরাইশরা যাতে নিরাপদ বোধ করে, নিরাপদ বোধ করে তাদের শীত ও গ্রীষ্মের যাত্রায়। কাজেই (এর কৃতজ্ঞতা স্বরূপ) তারা ইবাদত করুক এই (কা’বা) ঘরের রবের। যিনি তাদের ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং ভয় থেকে দিয়েছেন নিরাপত্তা। (সূরা কুরাইশ ১০৬:১-৪)   

এই আন্তর্যাতিক বাণিজ্যের কারণে হাশিম প্রচন্ড রকম ধনী হয়ে ওঠে। তার এই ধন-সম্পদ তার ভাইদের গা-জ্বলার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে তার ভাই আব্দুশ শামস ও তার ভাতিজা উমাইয়া ইবনে আব্দুশ শামস প্রচন্ড ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। বনু হাশিম আর বনু আব্দুশ শামস ও বনু উমাইয়ার এই শত্রুভাব এখন থেকে যে শুরু হলো এটা শুধু বছরের পর বছর নয় – চলবে শতাব্দীর পর শতাব্দী। বহু বছর পরে মুসলিম খিলাফতের সময় এই বনু হাশিম (আব্বাসীয় খিলাফা) ও বনু উমাইয়া (উমাইয়া খিলাফা) একে অপরের শত্রুতা করতে থাকবে।

হাশিম যেহেতু খুব ধনী, সম্মানিত ও সুদর্শন ছিল অনেকেই তাদের কন্যাকে তার সাথে বিয়ে দিতে চাইত। হাশিম অনেকগুলো বিয়েও করেছিল।  হাশিম একবার মক্কা থেকে সিরিয়ায় যাচ্ছিল বাণিজ্য সফরে। পথে ইয়াত্রিবে (মদীনার আগের নাম ছিল ইয়াত্রিব) যখন থামে, সেখানকার সম্ভ্রান্ত বনু নাজ্জার গোত্রের সালমা নামের এক মহিলাকে সে বিয়ে করে। তারপর সিরিয়ার যাওয়ার পথে বর্তমান ফিলিস্তিনের গাজায় এক বাণিজ্য সফরে যেয়ে ওখানেই মৃত্যুবরণ করে। তার কবর আজও ওখানে আছে। কিন্তু, হাশিমের ইয়াত্রিবের স্ত্রী এর মধ্যেই গর্ভবতী হয়ে পড়ে। আর ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এই সন্তান হলো রাসূলুল্লাহ(সা) এর দাদা – যাকে আমরা আব্দুল মুত্তালিব নামে চিনি। কিন্তু, তার প্রকৃত নাম কিন্তু আব্দুল মুত্তালিব নয়। তার নাম ছিল শাইবা যার অর্থ সাদা চুল। বলা হয় জন্মের সময় তার মাথায় কিছু সাদা চুল ছিল আর  এ কারণেই তার এরকম নামকরণ।

কুসাই কুরাইশকে এনে দিয়েছিল রাজনৈতিক ক্ষমতা, হাশিম দিয়ে গেছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অন্যদিকে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছিল – মহানবীর(সা) দাদা, মদীনায় জন্ম নেয়া, মক্কায় জীবন কাটানো অবিসংবাদিত নেতা আব্দুল মুত্তালিব। পরের লেখায় আমরা জানব আব্দুল মুত্তালিব সম্পর্কে।   

রেফারেন্স:

১) শেইখ ইয়াসির কাদি’র সীরাহ লেকচার – পর্ব ৫

২) ড. সাল্লাবির সীরাত বই

৩) উস্তাদা সামিরা আল যাইদের সীরাত বই

[মহানবীর মহাজীবন ফেইসবুক পেইজে (https://www.facebook.com/mohanobir.mohajibon.pbuh) এই লেখাটি পর্ব ৩৩নামে প্রকাশিত হয়েছিল । এই ব্লগে সেই একই লেখা পর্ব ২৮ নামে প্রকাশিত হল। ফেইসবুক পেইজের কিছু ছোট লেখাকে ব্লগে একত্রিত করে প্রকাশ করায় নম্বরের এই ভিন্নতা তৈরী হয়েছে। এতে পাঠকের অসুবিধা হয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।]

No comments:

Post a Comment

Translate