Monday, November 16, 2020

48. সুরাহ আল ফাতেহ (01-29)

 

48. সুরাহ আল ফাতেহ (01-29)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺇِﻧّﺎ ﻓَﺘَﺤﻨﺎ ﻟَﻚَ ﻓَﺘﺤًﺎ ﻣُﺒﻴﻨًﺎ
[1] নিশ্চয় আমি আপনার জন্যে এমন
একটা ফয়সালা করে দিয়েছি, যা
সুস্পষ্ট।
[1] Verily, We have given you (O
Muhammad SAW) a manifest victory.
[2] ﻟِﻴَﻐﻔِﺮَ ﻟَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣﺎ ﺗَﻘَﺪَّﻡَ
ﻣِﻦ ﺫَﻧﺒِﻚَ ﻭَﻣﺎ ﺗَﺄَﺧَّﺮَ ﻭَﻳُﺘِﻢَّ
ﻧِﻌﻤَﺘَﻪُ ﻋَﻠَﻴﻚَ ﻭَﻳَﻬﺪِﻳَﻚَ
ﺻِﺮٰﻃًﺎ ﻣُﺴﺘَﻘﻴﻤًﺎ
[2] যাতে আল্লাহ আপনার অতীত ও
ভবিষ্যত ত্রুটিসমূহ মার্জনা করে দেন
এবং আপনার প্রতি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ
করেন ও আপনাকে সরল পথে
পরিচালিত করেন।
[2] That Allâh may forgive you your sins
of the past and the future, and complete
His Favour on you, and guide you on the
Straight Path;
[3] ﻭَﻳَﻨﺼُﺮَﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻧَﺼﺮًﺍ ﻋَﺰﻳﺰًﺍ
[3] এবং আপনাকে দান করেন বলিষ্ঠ
সাহায্য।
[3] And that Allâh may help you with
strong help.
[4] ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﺴَّﻜﻴﻨَﺔَ
ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺏِ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
ﻟِﻴَﺰﺩﺍﺩﻭﺍ ﺇﻳﻤٰﻨًﺎ ﻣَﻊَ ﺇﻳﻤٰﻨِﻬِﻢ ۗ
ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﺟُﻨﻮﺩُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ
ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[4] তিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি
নাযিল করেন, যাতে তাদের ঈমানের
সাথে আরও ঈমান বেড়ে যায়।
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের বাহিনীসমূহ
আল্লাহরই এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ,
প্রজ্ঞাময়।
[4] He it is Who sent down As-Sakinah
(calmness and tranquillity) into the
hearts of the believers, that they may
grow more in Faith along with their
(present) Faith. And to Allâh belong the
hosts of the heavens and the earth, and
Allâh is Ever All-Knower, All-Wise.
[5] ﻟِﻴُﺪﺧِﻞَ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨٰﺖِ ﺟَﻨّٰﺖٍ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ
ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ
ﻭَﻳُﻜَﻔِّﺮَ ﻋَﻨﻬُﻢ ﺳَﻴِّـٔﺎﺗِﻬِﻢ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻮﺯًﺍ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[5] ঈমান এজন্যে বেড়ে যায়, যাতে
তিনি ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার
নারীদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করান,
যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেথায়
তারা চিরকাল বসবাস করবে এবং
যাতে তিনি তাদের পাপ মোচন করেন।
এটাই আল্লাহর কাছে মহাসাফল্য।
[5] That He may admit the believing men
and the believing women to Gardens
under which rivers flow (i.e. Paradise),
to abide therein forever, and He may
expiate from them their sins, and that is
with Allâh, a supreme success,
[6] ﻭَﻳُﻌَﺬِّﺏَ ﺍﻟﻤُﻨٰﻔِﻘﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﻤُﻨٰﻔِﻘٰﺖِ ﻭَﺍﻟﻤُﺸﺮِﻛﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﻤُﺸﺮِﻛٰﺖِ ﺍﻟﻈّﺎﻧّﻴﻦَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻇَﻦَّ ﺍﻟﺴَّﻮﺀِ ۚ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺩﺍﺋِﺮَﺓُ
ﺍﻟﺴَّﻮﺀِ ۖ ﻭَﻏَﻀِﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ
ﻭَﻟَﻌَﻨَﻬُﻢ ﻭَﺃَﻋَﺪَّ ﻟَﻬُﻢ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ۖ
ﻭَﺳﺎﺀَﺕ ﻣَﺼﻴﺮًﺍ
[6] এবং যাতে তিনি কপট বিশ্বাসী
পুরুষ ও কপট বিশ্বাসিনী নারী এবং
অংশীবাদী পুরুষ ও অংশীবাদিনী
নারীদেরকে শাস্তি দেন, যারা
আল্লাহ সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষন
করে। তাদের জন্য মন্দ পরিনাম।
আল্লাহ তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন,
তাদেরকে অভিশপ্ত করেছেন। এবং
তাহাদের জন্যে জাহান্নাম প্রস্তুত
রেখেছেন। তাদের প্রত্যাবর্তন স্থল
অত্যন্ত মন্দ।
[6] And that He may punish the
Munâfiqûn (hypocrites), men and
women, and also the Mushrikûn men
and women, who think evil thoughts
about Allâh, for them is a disgraceful
torment, And the Anger of Allâh is upon
them, and He has cursed them and
prepared Hell for them — and worst
indeed is that destination.
[7] ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﺟُﻨﻮﺩُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺰﻳﺰًﺍ
ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[7] নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের বাহিনীসমূহ
আল্লাহরই। আল্লাহ পরাক্রমশালী,
প্রজ্ঞাময়।
[7] And to Allâh belong the hosts of the
heavens and the earth. And Allâh is Ever
All-powerful, All-Wise.
[8] ﺇِﻧّﺎ ﺃَﺭﺳَﻠﻨٰﻚَ ﺷٰﻬِﺪًﺍ ﻭَﻣُﺒَﺸِّﺮًﺍ
ﻭَﻧَﺬﻳﺮًﺍ
[8] আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি
অবস্থা ব্যক্তকারীরূপে, সুসংবাদদাতা
ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে।
[8] Verily, We have sent you (O
Muhammad SAW) as a witness, as a
bearer of glad tidings, and as a warner
[9] ﻟِﺘُﺆﻣِﻨﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭَﺳﻮﻟِﻪِ
ﻭَﺗُﻌَﺰِّﺭﻭﻩُ ﻭَﺗُﻮَﻗِّﺮﻭﻩُ
ﻭَﺗُﺴَﺒِّﺤﻮﻩُ ﺑُﻜﺮَﺓً ﻭَﺃَﺻﻴﻠًﺎ
[9] যাতে তোমরা আল্লাহ ও রসূলের
প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তাঁকে
সাহায্য ও সম্মান কর এবং সকাল-
সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা
কর।
[9] In order that you (O mankind) may
believe in Allâh and His Messenger
(SAW), and that you assist and honour
him (SAW), and (that you) glorify
(Allâh’s) praises morning and afternoon.
[10] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﺒﺎﻳِﻌﻮﻧَﻚَ ﺇِﻧَّﻤﺎ
ﻳُﺒﺎﻳِﻌﻮﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻮﻕَ
ﺃَﻳﺪﻳﻬِﻢ ۚ ﻓَﻤَﻦ ﻧَﻜَﺚَ ﻓَﺈِﻧَّﻤﺎ
ﻳَﻨﻜُﺚُ ﻋَﻠﻰٰ ﻧَﻔﺴِﻪِ ۖ ﻭَﻣَﻦ
ﺃَﻭﻓﻰٰ ﺑِﻤﺎ ﻋٰﻬَﺪَ ﻋَﻠَﻴﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻓَﺴَﻴُﺆﺗﻴﻪِ ﺃَﺟﺮًﺍ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[10] যারা আপনার কাছে আনুগত্যের
শপথ করে, তারা তো আল্লাহর কাছে
আনুগত্যের শপথ করে। আল্লাহর হাত
তাদের হাতের উপর রয়েছে। অতএব, যে
শপথ ভঙ্গ করে; অতি অবশ্যই সে তা
নিজের ক্ষতির জন্যেই করে এবং যে
আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ
করে; আল্লাহ সত্ত্বরই তাকে
মহাপুরস্কার দান করবেন।
[10] Verily, those who give Bai’âh
(pledge) to you (O Muhammad SAW) they
are giving Bai’âh (pledge) to Allâh. The
Hand of Allâh is over their hands. Then
whosoever breaks his pledge, breaks it
only to his own harm, and whosoever
fulfils what he has covenanted with
Allâh, He will bestow on him a great
reward.
[11] ﺳَﻴَﻘﻮﻝُ ﻟَﻚَ ﺍﻟﻤُﺨَﻠَّﻔﻮﻥَ
ﻣِﻦَ ﺍﻷَﻋﺮﺍﺏِ ﺷَﻐَﻠَﺘﻨﺎ ﺃَﻣﻮٰﻟُﻨﺎ
ﻭَﺃَﻫﻠﻮﻧﺎ ﻓَﺎﺳﺘَﻐﻔِﺮ ﻟَﻨﺎ ۚ
ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺑِﺄَﻟﺴِﻨَﺘِﻬِﻢ ﻣﺎ ﻟَﻴﺲَ
ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ۚ ﻗُﻞ ﻓَﻤَﻦ ﻳَﻤﻠِﻚُ
ﻟَﻜُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺷَﻴـًٔﺎ ﺇِﻥ ﺃَﺭﺍﺩَ
ﺑِﻜُﻢ ﺿَﺮًّﺍ ﺃَﻭ ﺃَﺭﺍﺩَ ﺑِﻜُﻢ ﻧَﻔﻌًﺎ ۚ
ﺑَﻞ ﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
ﺧَﺒﻴﺮًﺍ
[11] মরুবাসীদের মধ্যে যারা গৃহে বসে
রয়েছে, তারা আপনাকে বলবেঃ আমরা
আমাদের ধন-সম্পদ ও পরিবার-
পরিজনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। অতএব,
আমাদের পাপ মার্জনা করান। তারা
মুখে এমন কথা বলবে, যা তাদের অন্তরে
নেই। বলুনঃ আল্লাহ তোমাদের ক্ষতি
অথবা উপকার সাধনের ইচ্ছা করলে কে
তাকে বিরত রাখতে পারে? বরং
তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়
পরিপূর্ণ জ্ঞাত।
[11] Those of the bedouins who lagged
behind will say to you: “Our possessions
and our families occupied us, so ask
forgiveness for us.” They say with their
tongues what is not in their hearts. Say:
“Who then has any power at all (to
intervene) on your behalf with Allâh, if
He intends you hurt or intends you
benefit? Nay, but Allâh is Ever All-Aware
of what you do.
[12] ﺑَﻞ ﻇَﻨَﻨﺘُﻢ ﺃَﻥ ﻟَﻦ ﻳَﻨﻘَﻠِﺐَ
ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝُ ﻭَﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺇِﻟﻰٰ
ﺃَﻫﻠﻴﻬِﻢ ﺃَﺑَﺪًﺍ ﻭَﺯُﻳِّﻦَ ﺫٰﻟِﻚَ ﻓﻰ
ﻗُﻠﻮﺑِﻜُﻢ ﻭَﻇَﻨَﻨﺘُﻢ ﻇَﻦَّ ﺍﻟﺴَّﻮﺀِ
ﻭَﻛُﻨﺘُﻢ ﻗَﻮﻣًﺎ ﺑﻮﺭًﺍ
[12] বরং তোমরা ধারণ করেছিলে যে,
রসূল ও মুমিনগণ তাদের বাড়ী-ঘরে
কিছুতেই ফিরে আসতে পারবে না এবং
এই ধারণা তোমাদের জন্যে খুবই সুখকর
ছিল। তোমরা মন্দ ধারণার বশবর্তী
হয়েছিলে। তোমরা ছিলে ধ্বংসমুখী
এক সম্প্রদায়।
[12] “Nay, but you thought that the
Messenger (SAW) and the believers
would never return to their families;
and that was made fair-seeming in your
hearts, and you did think an evil thought
and you became a useless people going
for destruction.”
[13] ﻭَﻣَﻦ ﻟَﻢ ﻳُﺆﻣِﻦ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺭَﺳﻮﻟِﻪِ ﻓَﺈِﻧّﺎ ﺃَﻋﺘَﺪﻧﺎ
ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﺳَﻌﻴﺮًﺍ
[13] যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলে
বিশ্বাস করে না, আমি সেসব
কাফেরের জন্যে জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত
রেখেছি।
[13] And whosoever does not believe in
Allâh and His Messenger (Muhammad
SAW), then verily, We have prepared for
the disbelievers a blazing Fire.
[14] ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻣُﻠﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻳَﻐﻔِﺮُ ﻟِﻤَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ
ﻭَﻳُﻌَﺬِّﺏُ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔﻮﺭًﺍ ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[14] নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব
আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা
করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন।
তিনি ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।
[14] And to Allâh belongs the sovereignty
of the heavens and the earth, He forgives
whom He wills, and punishes whom He
wills. And Allâh is Ever Oft-Forgiving,
Most Merciful.
[15] ﺳَﻴَﻘﻮﻝُ ﺍﻟﻤُﺨَﻠَّﻔﻮﻥَ ﺇِﺫَﺍ
ﺍﻧﻄَﻠَﻘﺘُﻢ ﺇِﻟﻰٰ ﻣَﻐﺎﻧِﻢَ
ﻟِﺘَﺄﺧُﺬﻭﻫﺎ ﺫَﺭﻭﻧﺎ ﻧَﺘَّﺒِﻌﻜُﻢ ۖ
ﻳُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﺃَﻥ ﻳُﺒَﺪِّﻟﻮﺍ ﻛَﻠٰﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ
ﻗُﻞ ﻟَﻦ ﺗَﺘَّﺒِﻌﻮﻧﺎ ﻛَﺬٰﻟِﻜُﻢ ﻗﺎﻝَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ۖ ﻓَﺴَﻴَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺑَﻞ
ﺗَﺤﺴُﺪﻭﻧَﻨﺎ ۚ ﺑَﻞ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻻ
ﻳَﻔﻘَﻬﻮﻥَ ﺇِﻟّﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
[15] তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ ধন-সম্পদ
সংগ্রহের জন্য যাবে, তখন যারা
পশ্চাতে থেকে গিয়েছিল, তারা
বলবেঃ আমাদেরকেও তোমাদের
সঙ্গে যেতে দাও। তারা আল্লাহর
কালাম পরিবর্তন করতে চায়। বলুনঃ
তোমরা কখনও আমাদের সঙ্গে যেতে
পারবে না। আল্লাহ পূর্ব থেকেই এরূপ
বলে দিয়েছেন। তারা বলবেঃ বরং
তোমরা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ
পোষণ করছ। পরন্তু তারা সামান্যই
বোঝে।
[15] Those who lagged behind will say,
when you set forth to take the spoils,
“Allow us to follow you,” They want to
change Allâh’s Words. Say: “You shall not
follow us; thus Allâh has said
beforehand.” Then they will say: “Nay,
you envy us.” Nay, but they understand
not except a little.
[16] ﻗُﻞ ﻟِﻠﻤُﺨَﻠَّﻔﻴﻦَ ﻣِﻦَ
ﺍﻷَﻋﺮﺍﺏِ ﺳَﺘُﺪﻋَﻮﻥَ ﺇِﻟﻰٰ ﻗَﻮﻡٍ
ﺃُﻭﻟﻰ ﺑَﺄﺱٍ ﺷَﺪﻳﺪٍ ﺗُﻘٰﺘِﻠﻮﻧَﻬُﻢ
ﺃَﻭ ﻳُﺴﻠِﻤﻮﻥَ ۖ ﻓَﺈِﻥ ﺗُﻄﻴﻌﻮﺍ
ﻳُﺆﺗِﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺟﺮًﺍ ﺣَﺴَﻨًﺎ ۖ ﻭَﺇِﻥ
ﺗَﺘَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻛَﻤﺎ ﺗَﻮَﻟَّﻴﺘُﻢ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ
ﻳُﻌَﺬِّﺑﻜُﻢ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ ﺃَﻟﻴﻤًﺎ
[16] গৃহে অবস্থানকারী মরুবাসীদেরকে
বলে দিনঃ আগামীতে তোমরা এক
প্রবল পরাক্রান্ত জাতির সাথে যুদ্ধ
করতে আহুত হবে। তোমরা তাদের
সাথে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা
মুসলমান হয়ে যায়। তখন যদি তোমরা
নির্দেশ পালন কর, তবে আল্লাহ
তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন।
আর যদি পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর যেমন ইতিপূর্বে
পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছ, তবে তিনি
তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি
দিবেন।
[16] Say (O Muhammad SAW) to the
bedouins who lagged behind: “You shall
be called to fight against a people given
to great warfare, then you shall fight
them, or they shall surrender. Then if
you obey, Allâh will give you a fair
reward, but if you turn away as you did
turn away before, He will punish you
with a painful torment.”
[17] ﻟَﻴﺲَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻷَﻋﻤﻰٰ ﺣَﺮَﺝٌ
ﻭَﻻ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻷَﻋﺮَﺝِ ﺣَﺮَﺝٌ ﻭَﻻ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻤَﺮﻳﺾِ ﺣَﺮَﺝٌ ۗ ﻭَﻣَﻦ
ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ ﻳُﺪﺧِﻠﻪُ
ﺟَﻨّٰﺖٍ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ
ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ۖ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَﻮَﻝَّ ﻳُﻌَﺬِّﺑﻪُ
ﻋَﺬﺍﺑًﺎ ﺃَﻟﻴﻤًﺎ
[17] অন্ধের জন্যে, খঞ্জের জন্যে ও
রুগ্নের জন্যে কোন অপরাধ নাই এবং
যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত্য
করবে তাকে তিনি জান্নাতে দাখিল
করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত হয়।
পক্ষান্তরে যে, ব্যক্তি পৃষ্ঠপ্রদর্শন
করবে, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি
দিবেন।
[17] No blame or sin is there upon the
blind, nor is there blame or sin upon the
lame, nor is there blame or sin upon the
sick (that they go not for fighting). And
whosoever obeys Allâh and His
Messenger (Muhammad SAW), He will
admit him to Gardens beneath which
rivers flow (Paradise); and whosoever
turns back, He will punish him with a
painful torment.
[18] ۞ ﻟَﻘَﺪ ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻦِ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﺇِﺫ ﻳُﺒﺎﻳِﻌﻮﻧَﻚَ
ﺗَﺤﺖَ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَﺓِ ﻓَﻌَﻠِﻢَ ﻣﺎ ﻓﻰ
ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ﻓَﺄَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﺴَّﻜﻴﻨَﺔَ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﺃَﺛٰﺒَﻬُﻢ ﻓَﺘﺤًﺎ ﻗَﺮﻳﺒًﺎ
[18] আল্লাহ মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট
হলেন, যখন তারা বৃক্ষের নীচে আপনার
কাছে শপথ করল। আল্লাহ অবগত ছিলেন
যা তাদের অন্তরে ছিল। অতঃপর তিনি
তাদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল করলেন
এবং তাদেরকে আসন্ন বিজয় পুরস্কার
দিলেন।
[18] Indeed, Allâh was pleased with the
believers when they gave the Bai’âh
(pledge) to you (O Muhammad SAW)
under the tree, He knew what was in
their hearts, and He sent down As-
Sakinah (calmness and tranquillity) upon
them, and He rewarded them with a
near victory,
[19] ﻭَﻣَﻐﺎﻧِﻢَ ﻛَﺜﻴﺮَﺓً ﻳَﺄﺧُﺬﻭﻧَﻬﺎ ۗ
ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺰﻳﺰًﺍ ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[19] এবং বিপুল পরিমাণে যুদ্ধলব্ধ
সম্পদ, যা তারা লাভ করবে। আল্লাহ
পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
[19] And abundant spoils that they will
capture. And Allâh is Ever All-Mighty,
All-Wise.
[20] ﻭَﻋَﺪَﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻐﺎﻧِﻢَ ﻛَﺜﻴﺮَﺓً
ﺗَﺄﺧُﺬﻭﻧَﻬﺎ ﻓَﻌَﺠَّﻞَ ﻟَﻜُﻢ ﻫٰﺬِﻩِ
ﻭَﻛَﻒَّ ﺃَﻳﺪِﻯَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻋَﻨﻜُﻢ
ﻭَﻟِﺘَﻜﻮﻥَ ﺀﺍﻳَﺔً ﻟِﻠﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
ﻭَﻳَﻬﺪِﻳَﻜُﻢ ﺻِﺮٰﻃًﺎ ﻣُﺴﺘَﻘﻴﻤًﺎ
[20] আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল
পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা
দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে।
তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত
করবেন। তিনি তোমাদের থেকে
শত্রুদের স্তব্দ করে দিয়েছেন-যাতে
এটা মুমিনদের জন্যে এক নিদর্শন হয়
এবং তোমাদেরকে সরল পথে
পরিচালিত করেন।
[20] Allâh has promised you abundant
spoils that you will capture, and He has
hastened for you this, and He has
restrained the hands of men from you,
that it may be a sign for the believers,
and that He may guide you to a Straight
Path.
[21] ﻭَﺃُﺧﺮﻯٰ ﻟَﻢ ﺗَﻘﺪِﺭﻭﺍ ﻋَﻠَﻴﻬﺎ
ﻗَﺪ ﺃَﺣﺎﻁَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻬﺎ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮًﺍ
[21] আর ও একটি বিজয় রয়েছে যা
এখনও তোমাদের অধিকারে আসেনি,
আল্লাহ তা বেষ্টন করে আছেন।
আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।
[21] And other (victories and much
booty, He promises you) which are not
yet within your power, indeed Allâh
compasses them, And Allâh is Ever Able
to do all things.
[22] ﻭَﻟَﻮ ﻗٰﺘَﻠَﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻟَﻮَﻟَّﻮُﺍ ﺍﻷَﺩﺑٰﺮَ ﺛُﻢَّ ﻻ ﻳَﺠِﺪﻭﻥَ
ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻭَﻻ ﻧَﺼﻴﺮًﺍ
[22] যদি কাফেররা তোমাদের
মোকাবেলা করত, তবে অবশ্যই তারা
পৃষ্ঠপ্রদর্শন করত। তখন তারা কোন
অভিভাবক ও সাহায্যকারী পেত না।
[22] And if those who disbelieve fight
against you, they certainly would have
turned their backs, then they would have
found neither a Walî (protector,
guardian) nor a helper.
[23] ﺳُﻨَّﺔَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺘﻰ ﻗَﺪ ﺧَﻠَﺖ
ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ۖ ﻭَﻟَﻦ ﺗَﺠِﺪَ ﻟِﺴُﻨَّﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺗَﺒﺪﻳﻠًﺎ
[23] এটাই আল্লাহর রীতি, যা পূর্ব
থেকে চালু আছে। তুমি আল্লাহর
রীতিতে কোন পরিবর্তন পাবে না।
[23] That has been the Way of Allâh
already with those who passed away
before. And you will not find any change
in the Way of Allâh.
[24] ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻛَﻒَّ ﺃَﻳﺪِﻳَﻬُﻢ
ﻋَﻨﻜُﻢ ﻭَﺃَﻳﺪِﻳَﻜُﻢ ﻋَﻨﻬُﻢ ﺑِﺒَﻄﻦِ
ﻣَﻜَّﺔَ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﺃَﻥ ﺃَﻇﻔَﺮَﻛُﻢ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤﺎ
ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺑَﺼﻴﺮًﺍ
[24] তিনি মক্কা শহরে তাদের হাত
তোমাদের থেকে এবং তোমাদের
হাত তাদের থেকে নিবারিত করেছেন
তাদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী
করার পর। তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ
তা দেখেন।
[24] And He it is Who has withheld their
hands from you and your hands from
them in the midst of Makkah, after He
had made you victors over them. And
Allâh is Ever the All-Seer of what you do.
[25] ﻫُﻢُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻭَﺻَﺪّﻭﻛُﻢ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ
ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ﻭَﺍﻟﻬَﺪﻯَ ﻣَﻌﻜﻮﻓًﺎ ﺃَﻥ
ﻳَﺒﻠُﻎَ ﻣَﺤِﻠَّﻪُ ۚ ﻭَﻟَﻮﻻ ﺭِﺟﺎﻝٌ
ﻣُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﻭَﻧِﺴﺎﺀٌ ﻣُﺆﻣِﻨٰﺖٌ ﻟَﻢ
ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻫُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﻄَـٔﻮﻫُﻢ
ﻓَﺘُﺼﻴﺒَﻜُﻢ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻌَﺮَّﺓٌ ﺑِﻐَﻴﺮِ
ﻋِﻠﻢٍ ۖ ﻟِﻴُﺪﺧِﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻰ ﺭَﺣﻤَﺘِﻪِ
ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ ﻟَﻮ ﺗَﺰَﻳَّﻠﻮﺍ ﻟَﻌَﺬَّﺑﻨَﺎ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ
ﺃَﻟﻴﻤًﺎ
[25] তারাই তো কুফরী করেছে এবং
বাধা দিয়েছে তোমাদেরকে মসজিদে
হারাম থেকে এবং অবস্থানরত
কোরবানীর জন্তুদেরকে যথাস্থানে
পৌছতে। যদি মক্কায় কিছুসংখ্যক
ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী না
থাকত, যাদেরকে তোমরা জানতে না।
অর্থাৎ তাদের পিষ্ট হয়ে যাওয়ার
আশংকা না থাকত, অতঃপর তাদের
কারণে তোমরা অজ্ঞাতসারে
ক্ষতিগ্রস্ত হতে, তবে সব কিছু চুকিয়ে
দেয়া হত; কিন্তু এ কারণে চুকানো
হয়নি, যাতে আল্লাহ তা’আলা যাকে
ইচ্ছা স্বীয় রহমতে দাখিল করে নেন।
যদি তারা সরে যেত, তবে আমি অবশ্যই
তাদের মধ্যে যারা কাফের তাদেরকে
যন্ত্রনাদায়ক শস্তি দিতাম।
[25] They are the ones who disbelieved
(in the Oneness of Allâh — Islâmic
Monotheism), and hindered you from
Al¬Masjid¬al¬Harâm (at Makkah) and
detained the sacrificial animals, from
reaching their place of sacrifice. Had
there not been believing men and
believing women whom you did not
know, that you may kill them, and on
whose account a sin would have been
committed by you without (your)
knowledge, that Allâh might bring into
His Mercy whom He wills, if they (the
believers and the disbelievers) had been
apart, We verily would have punished
those of them who disbelieved, with
painful torment.
[26] ﺇِﺫ ﺟَﻌَﻞَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻓﻰ
ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢُ ﺍﻟﺤَﻤِﻴَّﺔَ ﺣَﻤِﻴَّﺔَ
ﺍﻟﺠٰﻬِﻠِﻴَّﺔِ ﻓَﺄَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻜﻴﻨَﺘَﻪُ
ﻋَﻠﻰٰ ﺭَﺳﻮﻟِﻪِ ﻭَﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﻭَﺃَﻟﺰَﻣَﻬُﻢ ﻛَﻠِﻤَﺔَ
ﺍﻟﺘَّﻘﻮﻯٰ ﻭَﻛﺎﻧﻮﺍ ﺃَﺣَﻖَّ ﺑِﻬﺎ
ﻭَﺃَﻫﻠَﻬﺎ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻜُﻞِّ
ﺷَﻲﺀٍ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ
[26] কেননা, কাফেররা তাদের অন্তরে
মূর্খতাযুগের জেদ পোষণ করত। অতঃপর
আল্লাহ তাঁর রসূল ও মুমিনদের উপর
স্বীয় প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং
তাদের জন্যে সংযমের দায়িত্ব
অপরিহার্য করে দিলেন। বস্তুতঃ
তারাই ছিল এর অধিকতর যোগ্য ও
উপযুক্ত। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক
জ্ঞাত।
[26] When those who disbelieve had put
in their hearts pride and haughtiness —
the pride and haughtiness of the time of
ignorance — then Allâh sent down His
Sakinah (calmness and tranquillity) upon
His Messenger ( SAW) and upon the
believers, and made them stick to the
word of piety (i.e. none has the right to
be worshipped but Allâh), and they were
well entitled to it and worthy of it. And
Allâh is the All-Knower of everything
[27] ﻟَﻘَﺪ ﺻَﺪَﻕَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺳﻮﻟَﻪُ
ﺍﻟﺮُّﺀﻳﺎ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ۖ ﻟَﺘَﺪﺧُﻠُﻦَّ
ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪَ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡَ ﺇِﻥ ﺷﺎﺀَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺀﺍﻣِﻨﻴﻦَ ﻣُﺤَﻠِّﻘﻴﻦَ
ﺭُﺀﻭﺳَﻜُﻢ ﻭَﻣُﻘَﺼِّﺮﻳﻦَ ﻻ
ﺗَﺨﺎﻓﻮﻥَ ۖ ﻓَﻌَﻠِﻢَ ﻣﺎ ﻟَﻢ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﺍ
ﻓَﺠَﻌَﻞَ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺫٰﻟِﻚَ ﻓَﺘﺤًﺎ
ﻗَﺮﻳﺒًﺎ
[27] আল্লাহ তাঁর রসূলকে সত্য স্বপ্ন
দেখিয়েছেন। আল্লাহ চাহেন তো
তোমরা অবশ্যই মসজিদে হারামে
প্রবেশ করবে নিরাপদে মস্তকমুন্ডিত
অবস্থায় এবং কেশ কর্তিত অবস্থায়।
তোমরা কাউকে ভয় করবে না। অতঃপর
তিনি জানেন যা তোমরা জান না।
এছাড়াও তিনি দিয়েছেন
তোমাদেরকে একটি আসন্ন বিজয়।
[27] Indeed Allâh shall fulfil the true
vision which He showed to His
Messenger (SAW) [i.e. the Prophet SAW
saw a dream that he has entered Makkah
along with his companions, having their
(head) hair shaved and cut short] in very
truth. Certainly, you shall enter
Al¬Masjid¬al¬Harâm; if Allâh wills,
secure, (some) having your heads shaved,
and (some) having your head hair cut
short, having no fear. He knew what you
knew not, and He granted besides that a
near victory.
[28] ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺃَﺭﺳَﻞَ ﺭَﺳﻮﻟَﻪُ
ﺑِﺎﻟﻬُﺪﻯٰ ﻭَﺩﻳﻦِ ﺍﻟﺤَﻖِّ ﻟِﻴُﻈﻬِﺮَﻩُ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺪّﻳﻦِ ﻛُﻠِّﻪِ ۚ ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﺷَﻬﻴﺪًﺍ
[28] তিনিই তাঁর রসূলকে হেদায়েত ও
সত্য ধর্মসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে একে
অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত করেন।
সত্য প্রতিষ্ঠাতারূপে আল্লাহ যথেষ্ট।
[28] He it is Who has sent His Messenger
(Muhammad SAW) with guidance and
the religion of truth (Islâm), that He may
make it (Islâm) superior over all
religions. And All-Sufficient is Allâh as a
Witness.
[29] ﻣُﺤَﻤَّﺪٌ ﺭَﺳﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣَﻌَﻪُ ﺃَﺷِﺪّﺍﺀُ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻜُﻔّﺎﺭِ ﺭُﺣَﻤﺎﺀُ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ۖ ﺗَﺮﻯٰﻬُﻢ
ﺭُﻛَّﻌًﺎ ﺳُﺠَّﺪًﺍ ﻳَﺒﺘَﻐﻮﻥَ ﻓَﻀﻠًﺎ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭِﺿﻮٰﻧًﺎ ۖ ﺳﻴﻤﺎﻫُﻢ
ﻓﻰ ﻭُﺟﻮﻫِﻬِﻢ ﻣِﻦ ﺃَﺛَﺮِ
ﺍﻟﺴُّﺠﻮﺩِ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ ﻣَﺜَﻠُﻬُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔِ ۚ ﻭَﻣَﺜَﻠُﻬُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻹِﻧﺠﻴﻞِ ﻛَﺰَﺭﻉٍ ﺃَﺧﺮَﺝَ ﺷَﻄـَٔﻪُ
ﻓَـٔﺎﺯَﺭَﻩُ ﻓَﺎﺳﺘَﻐﻠَﻆَ ﻓَﺎﺳﺘَﻮﻯٰ
ﻋَﻠﻰٰ ﺳﻮﻗِﻪِ ﻳُﻌﺠِﺐُ ﺍﻟﺰُّﺭّﺍﻉَ
ﻟِﻴَﻐﻴﻆَ ﺑِﻬِﻢُ ﺍﻟﻜُﻔّﺎﺭَ ۗ ﻭَﻋَﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻐﻔِﺮَﺓً
ﻭَﺃَﺟﺮًﺍ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[29] মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর
সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর,
নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল।
আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায়
আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত
দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে
সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের
অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের
অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা
থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা
শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর
দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে
অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের
দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি
করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস
স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ
তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের
ওয়াদা দিয়েছেন।
[29] Muhammad (SAW) is the Messenger
of Allâh, And those who are with him are
severe against disbelievers, and merciful
among themselves. You see them bowing
and falling down prostrate (in prayer),
seeking Bounty from Allâh and (His)
Good Pleasure. The mark of them (i.e. of
their Faith) is on their faces (foreheads)
from the traces of prostration (during
prayers). This is their description in the
Taurât (Torah). But their description in
the Injeel (Gospel) is like a (sown) seed
which sends forth its shoot, then makes
it strong, and becomes thick, and it
stands straight on its stem, delighting the
sowers that He may enrage the
disbelievers with them. Allâh has
promised those among them who believe
(i.e. all those who follow Islâmic
Monotheism, the religion of Prophet
Muhammad SAW till the Day of
Resurrection) and do righteous good
deeds, forgiveness and a mighty reward
(i.e. Paradise).
Bangla translation of Quran. Developed
by Syed Mohammad Rasel
Surah Al Fateh Recitation: Sa’ad Al Ghamdi 1. নিশ্চয় আমি আপনার জন্যে এমন একটা ফয়সালা করে দিয়েছি, যা সুস্পষ্ট। 2. যাতে আল্লাহ আপনার অতীত ও ভবিষ্যত ত্রুটিসমূহ মার্জনা করে দেন এবং আপনার প্রতি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন ও আপনাকে সরল পথে পরিচালিত করেন। 3. এবং আপনাকে দান করেন বলিষ্ঠ সাহায্য। 4. তিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেন, যাতে তাদের ঈমানের সাথে আরও ঈমান বেড়ে যায়। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের বাহিনীসমূহ আল্লাহরই এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। 5. ঈমান এজন্যে বেড়ে যায়, যাতে তিনি ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করান, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেথায় তারা চিরকাল বসবাস করবে এবং যাতে তিনি তাদের পাপ মোচন করেন। এটাই আল্লাহর কাছে মহাসাফল্য। 6. এবং যাতে তিনি কপট বিশ্বাসী পুরুষ ও কপট বিশ্বাসিনী নারী এবং অংশীবাদী পুরুষ ও অংশীবাদিনী নারীদেরকে শাস্তি দেন, যারা আল্লাহ সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষন করে। তাদের জন্য মন্দ পরিনাম। আল্লাহ তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাদেরকে অভিশপ্ত করেছেন। এবং তাহাদের জন্যে জাহান্নাম প্রস্তুত রেখেছেন। তাদের প্রত্যাবর্তন স্থল অত্যন্ত মন্দ। 7. নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের বাহিনীসমূহ আল্লাহরই। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। 8. আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি অবস্থা ব্যক্তকারীরূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে। 9. যাতে তোমরা আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তাঁকে সাহায্য ও সম্মান কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর। 10. যারা আপনার কাছে আনুগত্যের শপথ করে, তারা তো আল্লাহর কাছে আনুগত্যের শপথ করে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে। অতএব, যে শপথ ভঙ্গ করে; অতি অবশ্যই সে তা নিজের ক্ষতির জন্যেই করে এবং যে আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করে; আল্লাহ সত্ত্বরই তাকে মহাপুরস্কার দান করবেন। 11. মরুবাসীদের মধ্যে যারা গৃহে বসে রয়েছে, তারা আপনাকে বলবেঃ আমরা আমাদের ধন-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। অতএব, আমাদের পাপ মার্জনা করান। তারা মুখে এমন কথা বলবে, যা তাদের অন্তরে নেই। বলুনঃ আল্লাহ তোমাদের ক্ষতি অথবা উপকার সাধনের ইচ্ছা করলে কে তাকে বিরত রাখতে পারে? বরং তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয় পরিপূর্ণ জ্ঞাত। 12. বরং তোমরা ধারণ করেছিলে যে, রসূল ও মুমিনগণ তাদের বাড়ী-ঘরে কিছুতেই ফিরে আসতে পারবে না এবং এই ধারণা তোমাদের জন্যে খুবই সুখকর ছিল। তোমরা মন্দ ধারণার বশবর্তী হয়েছিলে। তোমরা ছিলে ধ্বংসমুখী এক সম্প্রদায়। 13. যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলে বিশ্বাস করে না, আমি সেসব কাফেরের জন্যে জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছি। 14. নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান। 15. তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ ধন- সম্পদ সংগ্রহের জন্য যাবে, তখন যারা পশ্চাতে থেকে গিয়েছিল, তারা বলবেঃ আমাদেরকেও তোমাদের সঙ্গে যেতে দাও। তারা আল্লাহর কালাম পরিবর্তন করতে চায়। বলুনঃ তোমরা কখনও আমাদের সঙ্গে যেতে পারবে না। আল্লাহ পূর্ব থেকেই এরূপ বলে দিয়েছেন। তারা বলবেঃ বরং তোমরা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছ। পরন্তু তারা সামান্যই বোঝে। 16. গৃহে অবস্থানকারী মরুবাসীদেরকে বলে দিনঃ আগামীতে তোমরা এক প্রবল পরাক্রান্ত জাতির সাথে যুদ্ধ করতে আহুত হবে। তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়ে যায়। তখন যদি তোমরা নির্দেশ পালন কর, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন। আর যদি পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর যেমন ইতিপূর্বে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছ, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দিবেন। 17. অন্ধের জন্যে, খঞ্জের জন্যে ও রুগ্নের জন্যে কোন অপরাধ নাই এবং যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত্য করবে তাকে তিনি জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত হয়। পক্ষান্তরে যে, ব্যক্তি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন। 18. আল্লাহ মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা বৃক্ষের নীচে আপনার কাছে শপথ করল। আল্লাহ অবগত ছিলেন যা তাদের অন্তরে ছিল। অতঃপর তিনি তাদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে আসন্ন বিজয় পুরস্কার দিলেন। 19. এবং বিপুল পরিমাণে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ, যা তারা লাভ করবে। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। 20. আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে। তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করবেন। তিনি তোমাদের থেকে শত্রুদের স্তব্দ করে দিয়েছেন- যাতে এটা মুমিনদের জন্যে এক নিদর্শন হয় এবং তোমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। 21. আর ও একটি বিজয় রয়েছে যা এখনও তোমাদের অধিকারে আসেনি, আল্লাহ তা বেষ্টন করে আছেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। 22. যদি কাফেররা তোমাদের মোকাবেলা করত, তবে অবশ্যই তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করত। তখন তারা কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পেত না। 23. এটাই আল্লাহর রীতি, যা পূর্ব থেকে চালু আছে। তুমি আল্লাহর রীতিতে কোন পরিবর্তন পাবে না। 24. তিনি মক্কা শহরে তাদের হাত তোমাদের থেকে এবং তোমাদের হাত তাদের থেকে নিবারিত করেছেন তাদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর। তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা দেখেন। 25. তারাই তো কুফরী করেছে এবং বাধা দিয়েছে তোমাদেরকে মসজিদে হারাম থেকে এবং অবস্থানরত কোরবানীর জন্তুদেরকে যথাস্থানে পৌছতে। যদি মক্কায় কিছুসংখ্যক ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী না থাকত, যাদেরকে তোমরা জানতে না। অর্থাৎ তাদের পিষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকত, অতঃপর তাদের কারণে তোমরা অজ্ঞাতসারে ক্ষতিগ্রস্ত হতে, তবে সব কিছু চুকিয়ে দেয়া হত; কিন্তু এ কারণে চুকানো হয়নি, যাতে আল্লাহ তা’আলা যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমতে দাখিল করে নেন। যদি তারা সরে যেত, তবে আমি অবশ্যই তাদের মধ্যে যারা কাফের তাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শস্তি দিতাম। 26. কেননা, কাফেররা তাদের অন্তরে মূর্খতাযুগের জেদ পোষণ করত। অতঃপর আল্লাহ তাঁর রসূল ও মুমিনদের উপর স্বীয় প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদের জন্যে সংযমের দায়িত্ব অপরিহার্য করে দিলেন। বস্তুতঃ তারাই ছিল এর অধিকতর যোগ্য ও উপযুক্ত। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। 27. আল্লাহ তাঁর রসূলকে সত্য স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আল্লাহ চাহেন তো তোমরা অবশ্যই মসজিদে হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে মস্তকমুন্ডিত অবস্থায় এবং কেশ কর্তিত অবস্থায়। তোমরা কাউকে ভয় করবে না। অতঃপর তিনি জানেন যা তোমরা জান না। এছাড়াও তিনি দিয়েছেন তোমাদেরকে একটি আসন্ন বিজয়। 28. তিনিই তাঁর রসূলকে হেদায়েত ও সত্য ধর্মসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে একে অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত করেন। সত্য প্রতিষ্ঠাতারূপে আল্লাহ যথেষ্ট। 29. মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন। 

No comments:

Post a Comment

Translate