Monday, November 16, 2020

47. সুরাহ মুহাম্মাদ(01-38)

 

47. সুরাহ মুহাম্মাদ(01-38)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﺻَﺪّﻭﺍ ﻋَﻦ
ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﺿَﻞَّ ﺃَﻋﻤٰﻠَﻬُﻢ
[1] যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর
পথে বাধা সৃষ্টি করে, আল্লাহ তাদের
সকল কর্ম ব্যর্থ করে দেন।
[1] Those who disbelieve [in the Oneness
of Allâh, and in the Message of Prophet
Muhammad SAW ], and hinder (men)
from the Path of Allâh (Islâmic
Monotheism), He will render their deeds
vain .
[2] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﻭَﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺑِﻤﺎ ﻧُﺰِّﻝَ
ﻋَﻠﻰٰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟﺤَﻖُّ ﻣِﻦ
ﺭَﺑِّﻬِﻢ ۙ ﻛَﻔَّﺮَ ﻋَﻨﻬُﻢ ﺳَﻴِّـٔﺎﺗِﻬِﻢ
ﻭَﺃَﺻﻠَﺢَ ﺑﺎﻟَﻬُﻢ
[2] আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে,
সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের
পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের
প্রতি অবতীর্ণ সত্যে বিশ্বাস করে,
আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা
করেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করে
দেন।
[2] But those who believe and do
righteous good deeds, and believe in that
which is sent down to Muhammad (SAW)
— for it is the truth from their Lord, He
will expiate from them their sins, and
will make good their state.
[3] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ
ﺍﺗَّﺒَﻌُﻮﺍ ﺍﻟﺒٰﻄِﻞَ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﺒَﻌُﻮﺍ ﺍﻟﺤَﻖَّ ﻣِﻦ
ﺭَﺑِّﻬِﻢ ۚ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻳَﻀﺮِﺏُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﺃَﻣﺜٰﻠَﻬُﻢ
[3] এটা এ কারণে যে, যারা কাফের,
তারা বাতিলের অনুসরণ করে এবং
যারা বিশ্বাসী, তারা তাদের
পালনকর্তার নিকট থেকে আগত সত্যের
অনুসরণ করে। এমনিভাবে আল্লাহ
মানুষের জন্যে তাদের দৃষ্টান্তসমূহ
বর্ণনা করেন।
[3] That is because those who disbelieve
follow falsehood, while those who believe
follow the truth from their Lord. Thus
does Allâh set forth for mankind their
parables.
[4] ﻓَﺈِﺫﺍ ﻟَﻘﻴﺘُﻢُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻓَﻀَﺮﺏَ ﺍﻟﺮِّﻗﺎﺏِ ﺣَﺘّﻰٰ ﺇِﺫﺍ
ﺃَﺛﺨَﻨﺘُﻤﻮﻫُﻢ ﻓَﺸُﺪُّﻭﺍ ﺍﻟﻮَﺛﺎﻕَ
ﻓَﺈِﻣّﺎ ﻣَﻨًّﺎ ﺑَﻌﺪُ ﻭَﺇِﻣّﺎ ﻓِﺪﺍﺀً
ﺣَﺘّﻰٰ ﺗَﻀَﻊَ ﺍﻟﺤَﺮﺏُ ﺃَﻭﺯﺍﺭَﻫﺎ ۚ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻭَﻟَﻮ ﻳَﺸﺎﺀُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎﻧﺘَﺼَﺮَ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻟِﻴَﺒﻠُﻮَﺍ۟ ﺑَﻌﻀَﻜُﻢ
ﺑِﺒَﻌﺾٍ ۗ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗُﺘِﻠﻮﺍ ﻓﻰ
ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻠَﻦ ﻳُﻀِﻞَّ
ﺃَﻋﻤٰﻠَﻬُﻢ
[4] অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের
সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের
গর্দার মার, অবশেষে যখন তাËেদরকে
পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত
করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের
প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট
হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ
চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ
অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে।
আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ
থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন।
কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে
কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান।
যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ
কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।
[4] So, when you meet (in fight — Jihâd
in Allâh’s Cause), those who disbelieve
smite (their) necks till when you have
killed and wounded many of them, then
bind a bond firmly (on them, i.e. take
them as captives). Thereafter (is the
time) either for generosity (i.e. free them
without ransom), or ransom (according
to what benefits Islâm), until the war
lays down its burden. Thus [you are
ordered by Allâh to continue in carrying
out Jihâd against the disbelievers till they
embrace Islâm and are saved from the
punishment in the Hell-fire or at least
come under your protection], but if it
had been Allâh’s Will, He Himself could
certainly have punished them (without
you). But (He lets you fight), in order to
test some of you with others. But those
who are killed in the Way of Allâh, He
will never let their deeds be lost.
[5] ﺳَﻴَﻬﺪﻳﻬِﻢ ﻭَﻳُﺼﻠِﺢُ ﺑﺎﻟَﻬُﻢ
[5] তিনি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করবেন
এবং তাদের অবস্থা ভাল করবেন।
[5] He will guide them and set right their
state.
[6] ﻭَﻳُﺪﺧِﻠُﻬُﻢُ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ ﻋَﺮَّﻓَﻬﺎ
ﻟَﻬُﻢ
[6] অতঃপর তিনি তাদেরকে জান্নাতে
দাখিল করবেন, যা তাদেরকে জানিয়ে
দিয়েছেন।
[6] And admit them to Paradise which
He has made known to them (i.e. they
will know their places in Paradise better
than they used to know their homes in
the world). (Tafsir Ibn Kathir)
[7] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺇِﻥ
ﺗَﻨﺼُﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﻨﺼُﺮﻛُﻢ
ﻭَﻳُﺜَﺒِّﺖ ﺃَﻗﺪﺍﻣَﻜُﻢ
[7] হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা
আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ
তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং
তোমাদের পা দৃঢ়প্রতিষ্ঠ করবেন।
[7] O you who believe! If you help (in the
cause of) Allâh, He will help you, and
make your foothold firm.
[8] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻓَﺘَﻌﺴًﺎ ﻟَﻬُﻢ
ﻭَﺃَﺿَﻞَّ ﺃَﻋﻤٰﻠَﻬُﻢ
[8] আর যারা কাফের, তাদের জন্যে
আছে দুর্গতি এবং তিনি তাদের কর্ম
বিনষ্ট করে দিবেন।
[8] But those who disbelieve (in the
Oneness of Allâh Islâmic Monotheism),
for them is destruction, and (Allâh) will
make their deeds vain.
[9] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢ ﻛَﺮِﻫﻮﺍ ﻣﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓَﺄَﺣﺒَﻂَ ﺃَﻋﻤٰﻠَﻬُﻢ
[9] এটা এজন্যে যে, আল্লাহ যা নাযিল
করেছেন, তারা তা পছন্দ করে না।
অতএব, আল্লাহ তাদের কর্ম ব্যর্থ করে
দিবেন।
[9] That is because they hate that which
Allâh has sent down (this Qur’ân and
Islâmic laws etc.), so He has made their
deeds fruitless.
[10] ۞ ﺃَﻓَﻠَﻢ ﻳَﺴﻴﺮﻭﺍ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ﻓَﻴَﻨﻈُﺮﻭﺍ ﻛَﻴﻒَ ﻛﺎﻥَ
ﻋٰﻘِﺒَﺔُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻬِﻢ ۚ ﺩَﻣَّﺮَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ۖ ﻭَﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﺃَﻣﺜٰﻠُﻬﺎ
[10] তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি
অতঃপর দেখেনি যে, তাদের
পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছে?
আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করে
দিয়েছেন এবং কাফেরদের অবস্থা
এরূপই হবে।
[10] Have they not travelled through the
earth, and seen what was the end of
those before them? Allâh destroyed them
completely and a similar (fate awaits)
the disbelievers.
[11] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣَﻮﻟَﻰ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
ﻻ ﻣَﻮﻟﻰٰ ﻟَﻬُﻢ
[11] এটা এজন্যে যে, আল্লাহ মুমিনদের
হিতৈষী বন্ধু এবং কাফেরদের কোন
হিতৈষী বন্ধু নাই।
[11] That is because Allâh is the Maula
(Lord, Master, Helper, Protector, etc.) of
those who believe, and the disbelievers
have no Maula (lord, master, helper,
protector).
[12] ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺪﺧِﻞُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ
ﺟَﻨّٰﺖٍ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ
ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ۖ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻳَﺘَﻤَﺘَّﻌﻮﻥَ ﻭَﻳَﺄﻛُﻠﻮﻥَ ﻛَﻤﺎ ﺗَﺄﻛُﻞُ
ﺍﻷَﻧﻌٰﻢُ ﻭَﺍﻟﻨّﺎﺭُ ﻣَﺜﻮًﻯ ﻟَﻬُﻢ
[12] যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে,
আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দাখিল
করবেন, যার নিম্নদেশে নির্ঝরিণীসমূহ
প্রবাহিত হয়। আর যারা কাফের, তারা
ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে এবং চতুস্পদ
জন্তুর মত আহার করে। তাদের বাসস্থান
জাহান্নাম।
[12] Certainly! Allâh will admit those
who believe (in the Oneness of Allâh
Islâmic Monotheism) and do righteous
good deeds, to Gardens under which
rivers flow (Paradise), while those who
disbelieve enjoy themselves and eat as
cattle eat, and the Fire will be their
abode.
[13] ﻭَﻛَﺄَﻳِّﻦ ﻣِﻦ ﻗَﺮﻳَﺔٍ ﻫِﻰَ
ﺃَﺷَﺪُّ ﻗُﻮَّﺓً ﻣِﻦ ﻗَﺮﻳَﺘِﻚَ ﺍﻟَّﺘﻰ
ﺃَﺧﺮَﺟَﺘﻚَ ﺃَﻫﻠَﻜﻨٰﻬُﻢ ﻓَﻼ ﻧﺎﺻِﺮَ
ﻟَﻬُﻢ
[13] যে জনপদ আপনাকে বহিস্কার
করেছে, তদপেক্ষা কত শক্তিশালী
জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, অতঃপর
তাদেরকে সাহায্য করার কেউ ছিল না।
[13] And many a town, stronger than
your town (Makkah) (O Muhammad
SAW) which has driven you out We have
destroyed. And there was none to help
them.
[14] ﺃَﻓَﻤَﻦ ﻛﺎﻥَ ﻋَﻠﻰٰ ﺑَﻴِّﻨَﺔٍ ﻣِﻦ
ﺭَﺑِّﻪِ ﻛَﻤَﻦ ﺯُﻳِّﻦَ ﻟَﻪُ ﺳﻮﺀُ ﻋَﻤَﻠِﻪِ
ﻭَﺍﺗَّﺒَﻌﻮﺍ ﺃَﻫﻮﺍﺀَﻫُﻢ
[14] যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার পক্ষ
থেকে আগত নিদর্শন অনুসরণ করে, সে
কি তার সমান, যার কাছে তার মন্দ কর্ম
শোভনীয় করা হয়েছে এবং যে তার
খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে।
[14] Is he who is on a clear proof from
his Lord, like those for whom their evil
deeds that they do are beautified for
them, while they follow their own lusts
(evil desires)?
[15] ﻣَﺜَﻞُ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔِ ﺍﻟَّﺘﻰ ﻭُﻋِﺪَ
ﺍﻟﻤُﺘَّﻘﻮﻥَ ۖ ﻓﻴﻬﺎ ﺃَﻧﻬٰﺮٌ ﻣِﻦ ﻣﺎﺀٍ
ﻏَﻴﺮِ ﺀﺍﺳِﻦٍ ﻭَﺃَﻧﻬٰﺮٌ ﻣِﻦ ﻟَﺒَﻦٍ ﻟَﻢ
ﻳَﺘَﻐَﻴَّﺮ ﻃَﻌﻤُﻪُ ﻭَﺃَﻧﻬٰﺮٌ ﻣِﻦ ﺧَﻤﺮٍ
ﻟَﺬَّﺓٍ ﻟِﻠﺸّٰﺮِﺑﻴﻦَ ﻭَﺃَﻧﻬٰﺮٌ ﻣِﻦ
ﻋَﺴَﻞٍ ﻣُﺼَﻔًّﻰ ۖ ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻓﻴﻬﺎ
ﻣِﻦ ﻛُﻞِّ ﺍﻟﺜَّﻤَﺮٰﺕِ ﻭَﻣَﻐﻔِﺮَﺓٌ ﻣِﻦ
ﺭَﺑِّﻬِﻢ ۖ ﻛَﻤَﻦ ﻫُﻮَ ﺧٰﻠِﺪٌ ﻓِﻰ
ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ﻭَﺳُﻘﻮﺍ ﻣﺎﺀً ﺣَﻤﻴﻤًﺎ
ﻓَﻘَﻄَّﻊَ ﺃَﻣﻌﺎﺀَﻫُﻢ
[15] পরহেযগারদেরকে যে জান্নাতের
ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তার অবস্থা
নিম্নরূপঃ তাতে আছে পানির নহর,
নির্মল দুধের নহর যারা স্বাদ
অপরিবর্তনীয়, পানকারীদের জন্যে
সুস্বাদু শরাবের নহর এবং পরিশোধিত
মধুর নহর। তথায় তাদের জন্যে আছে
রকমারি ফল-মূল ও তাদের পালনকর্তার
ক্ষমা। পরহেযগাররা কি তাদের সমান,
যারা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে
এবং যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে
ফুটন্ত পানি অতঃপর তা তাদের
নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেবে?
[15] The description of Paradise which
the Muttaqûn (pious – see V.2:2) have
been promised (is that) in it are rivers of
water the taste and smell of which are
not changed, rivers of milk of which the
taste never changes, rivers of wine
delicious to those who drink; and rivers
of clarified honey (clear and pure)
therein for them is every kind of fruit;
and forgiveness from their Lord. (Are
these) like those who shall dwell for ever
in the Fire, and be given, to drink,
boiling water, so that it cuts up their
bowels?
[16] ﻭَﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ ﻳَﺴﺘَﻤِﻊُ ﺇِﻟَﻴﻚَ
ﺣَﺘّﻰٰ ﺇِﺫﺍ ﺧَﺮَﺟﻮﺍ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِﻙَ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻌِﻠﻢَ ﻣﺎﺫﺍ
ﻗﺎﻝَ ﺀﺍﻧِﻔًﺎ ۚ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻃَﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ
ﻭَﺍﺗَّﺒَﻌﻮﺍ ﺃَﻫﻮﺍﺀَﻫُﻢ
[16] তাদের মধ্যে কতক আপনার দিকে
কান পাতে, অতঃপর যখন আপনার কাছ
থেকে বাইরে যায়, তখন যারা শিক্ষিত,
তাদেরকে বলেঃ এইমাত্র তিনি কি
বললেন ? এদের অন্তরে আল্লাহ মোহর
মেরে দিয়েছেন এবং তারা নিজেদের
খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে।
[16] And among them are some who
listen to you (O Muhammad SAW) till,
when they go out from you, they say to
those who have received knowledge:
“What has he said just now? Such are
men whose hearts Allâh has sealed, and
they follow their lusts (evil desires).
[17] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﻫﺘَﺪَﻭﺍ ﺯﺍﺩَﻫُﻢ
ﻫُﺪًﻯ ﻭَﺀﺍﺗﻯٰﻬُﻢ ﺗَﻘﻮﻯٰﻬُﻢ
[17] যারা সৎপথপ্রাপ্ত হয়েছে, তাদের
সৎপথপ্রাপ্তি আরও বেড়ে যায় এবং
আল্লাহ তাদেরকে তাকওয়া দান
করেন।
[17] While as for those who accept
guidance, He increases their guidance,
and bestows on them their piety.
[18] ﻓَﻬَﻞ ﻳَﻨﻈُﺮﻭﻥَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﺴّﺎﻋَﺔَ
ﺃَﻥ ﺗَﺄﺗِﻴَﻬُﻢ ﺑَﻐﺘَﺔً ۖ ﻓَﻘَﺪ ﺟﺎﺀَ
ﺃَﺷﺮﺍﻃُﻬﺎ ۚ ﻓَﺄَﻧّﻰٰ ﻟَﻬُﻢ ﺇِﺫﺍ
ﺟﺎﺀَﺗﻬُﻢ ﺫِﻛﺮﻯٰﻬُﻢ
[18] তারা শুধু এই অপেক্ষাই করছে যে,
কেয়ামত অকস্মাৎ তাদের কাছে এসে
পড়ুক। বস্তুতঃ কেয়ামতের লক্ষণসমূহ
তো এসেই পড়েছে। সুতরাং কেয়ামত
এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে
কেমন করে ?
[18] Do they then await (anything) other
than the Hour, that it should come upon
them suddenly? But some of its portents
(indications and signs) have already
come, and when it (actually) is on them,
how can they benefit then by their
reminder?
[19] ﻓَﺎﻋﻠَﻢ ﺃَﻧَّﻪُ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭَﺍﺳﺘَﻐﻔِﺮ ﻟِﺬَﻧﺒِﻚَ ﻭَﻟِﻠﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨٰﺖِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻌﻠَﻢُ
ﻣُﺘَﻘَﻠَّﺒَﻜُﻢ ﻭَﻣَﺜﻮﻯٰﻜُﻢ
[19] জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত
কোন উপাস্য নেই। ক্ষমাপ্রার্থনা
করুন, আপনার ক্রটির জন্যে এবং মুমিন
পুরুষ ও নারীদের জন্যে। আল্লাহ,
তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান
সম্পর্কে জ্ঞাত।
[19] So know (O Muhammad SAW) that
Lâ ilâha ill-allâh (none has the right to
be worshipped but Allâh), and ask
forgiveness for your sin, and also for
(the sin of) believing men and believing
women. And Allâh knows well your
moving about, and your place of rest (in
your homes).
[20] ﻭَﻳَﻘﻮﻝُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻟَﻮﻻ ﻧُﺰِّﻟَﺖ ﺳﻮﺭَﺓٌ ۖ ﻓَﺈِﺫﺍ
ﺃُﻧﺰِﻟَﺖ ﺳﻮﺭَﺓٌ ﻣُﺤﻜَﻤَﺔٌ ﻭَﺫُﻛِﺮَ
ﻓﻴﻬَﺎ ﺍﻟﻘِﺘﺎﻝُ ۙ ﺭَﺃَﻳﺖَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ﻣَﺮَﺽٌ ﻳَﻨﻈُﺮﻭﻥَ
ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻧَﻈَﺮَ ﺍﻟﻤَﻐﺸِﻰِّ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻤَﻮﺕِ ۖ ﻓَﺄَﻭﻟﻰٰ ﻟَﻬُﻢ
[20] যারা মুমিন, তারা বলেঃ একটি
সূরা নাযিল হয় না কেন? অতঃপর যখন
কোন দ্ব্যর্থহীন সূরা নাযিল হয় এবং
তাতে জেহাদের উল্লেখ করা হয়, তখন
যাদের অন্তরে রোগ আছে, আপনি
তাদেরকে মৃত্যুভয়ে মূর্ছাপ্রাপ্ত
মানুষের মত আপনার দিকে তাকিয়ে
থাকতে দেখবেন। সুতরাং ধ্বংস তাদের
জন্যে।
[20] Those who believe say: “Why is not
a Sûrah (chapter of the Qur’ân) sent
down (for us)? But when a decisive
Sûrah (explaining and ordering things) is
sent down, and fighting (Jihâd — holy
fighting in Allâh’s Cause) is mentioned
(i.e. ordained) therein, you will see those
in whose hearts is a disease (of
hypocrisy) looking at you with a look of
one fainting to death. But it was better
for them (hypocrites, to listen to Allâh
and to obey Him).
[21] ﻃﺎﻋَﺔٌ ﻭَﻗَﻮﻝٌ ﻣَﻌﺮﻭﻑٌ ۚ
ﻓَﺈِﺫﺍ ﻋَﺰَﻡَ ﺍﻷَﻣﺮُ ﻓَﻠَﻮ ﺻَﺪَﻗُﻮﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻜﺎﻥَ ﺧَﻴﺮًﺍ ﻟَﻬُﻢ
[21] তাদের আনুগত্য ও মিষ্ট বাক্য
জানা আছে। অতএব, জেহাদের
সিন্ধান্ত হলে যদি তারা আল্লাহর
প্রতি পদত্ত অংগীকার পূর্ণ করে, তবে
তাদের জন্যে তা মঙ্গলজনক হবে।
[21] Obedience (to Allâh) and good words
(were better for them). And when the
matter (preparation for Jihâd) is
resolved on, then if they had been true
to Allâh, it would have been better for
them.
[22] ﻓَﻬَﻞ ﻋَﺴَﻴﺘُﻢ ﺇِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻴﺘُﻢ
ﺃَﻥ ﺗُﻔﺴِﺪﻭﺍ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﻭَﺗُﻘَﻄِّﻌﻮﺍ ﺃَﺭﺣﺎﻣَﻜُﻢ
[22] ক্ষমতা লাভ করলে, সম্ভবতঃ
তোমরা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করবে
এবং আত্নীয়তা বন্ধন ছিন্ন করবে।
[22] Would you then, if you were given
the authority, do mischief in the land,
and sever your ties of kinship?
[23] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻟَﻌَﻨَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻓَﺄَﺻَﻤَّﻬُﻢ ﻭَﺃَﻋﻤﻰٰ ﺃَﺑﺼٰﺮَﻫُﻢ
[23] এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত
করেন, অতঃপর তাদেরকে বধির ও
দৃষ্টিশক্তিহীন করেন।
[23] Such are they whom Allâh has
cursed, so that He has made them deaf
and blinded their sight.
[24] ﺃَﻓَﻼ ﻳَﺘَﺪَﺑَّﺮﻭﻥَ ﺍﻟﻘُﺮﺀﺍﻥَ
ﺃَﻡ ﻋَﻠﻰٰ ﻗُﻠﻮﺏٍ ﺃَﻗﻔﺎﻟُﻬﺎ
[24] তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর
চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর
তালাবদ্ধ?
[24] Do they not then think deeply in the
Qur’ân, or are their hearts locked up
(from understanding it)?
[25] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺭﺗَﺪّﻭﺍ ﻋَﻠﻰٰ
ﺃَﺩﺑٰﺮِﻫِﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻬُﻢُ
ﺍﻟﻬُﺪَﻯ ۙ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ ﺳَﻮَّﻝَ ﻟَﻬُﻢ
ﻭَﺃَﻣﻠﻰٰ ﻟَﻬُﻢ
[25] নিশ্চয় যারা সোজা পথ ব্যক্ত
হওয়ার পর তৎপ্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে,
শয়তান তাদের জন্যে তাদের কাজকে
সুন্দর করে দেখায় এবং তাদেরকে
মিথ্যা আশা দেয়।
[25] Verily, those who have turned back
(have apostatise) as disbelievers after the
guidance has been manifested to them —
Shaitân (Satan) has beautified for them
(their false hopes), and (Allâh) prolonged
their term (age).
[26] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﺮِﻫﻮﺍ ﻣﺎ ﻧَﺰَّﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺳَﻨُﻄﻴﻌُﻜُﻢ ﻓﻰ ﺑَﻌﺾِ ﺍﻷَﻣﺮِ ۖ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻌﻠَﻢُ ﺇِﺳﺮﺍﺭَﻫُﻢ
[26] এটা এজন্য যে, তারা তাদেরকে
বলে, যারা আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব
অপছন্দ করেঃ আমরা কোন কোন
ব্যাপারে তোমাদের কথা মান্য করব।
আল্লাহ তাদের গোপন পরামর্শ অবগত
আছেন।
[26] This is because they said to those
who hate what Allâh has sent down: “We
will obey you in part of the matter,” but
Allâh knows their secrets.
[27] ﻓَﻜَﻴﻒَ ﺇِﺫﺍ ﺗَﻮَﻓَّﺘﻬُﻢُ
ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ ﻳَﻀﺮِﺑﻮﻥَ ﻭُﺟﻮﻫَﻬُﻢ
ﻭَﺃَﺩﺑٰﺮَﻫُﻢ
[27] ফেরেশতা যখন তাদের মুখমন্ডল ও
পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ
করবে, তখন তাদের অবস্থা কেমন হবে?
[27] Then how (will it be) when the
angels will take their souls at death,
smiting their faces and their backs?
[28] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢُ ﺍﺗَّﺒَﻌﻮﺍ ﻣﺎ
ﺃَﺳﺨَﻂَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻛَﺮِﻫﻮﺍ ﺭِﺿﻮٰﻧَﻪُ
ﻓَﺄَﺣﺒَﻂَ ﺃَﻋﻤٰﻠَﻬُﻢ
[28] এটা এজন্যে যে, তারা সেই
বিষয়ের অনুসরণ করে, যা আল্লাহর
অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর
সন্তুষ্টিকে অপছন্দ করে। ফলে তিনি
তাদের কর্মসমূহ ব্যর্থ করে দেন।
[28] That is because they followed that
which angered Allâh, and hated that
which pleased Him. So He made their
deeds fruitless.
[29] ﺃَﻡ ﺣَﺴِﺐَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻓﻰ
ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ﻣَﺮَﺽٌ ﺃَﻥ ﻟَﻦ ﻳُﺨﺮِﺝَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺿﻐٰﻨَﻬُﻢ
[29] যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা
কি মনে করে যে, আল্লাহ তাদের
অন্তরের বিদ্বেষ প্রকাশ করে দেবেন
না?
[29] Or do those in whose hearts is a
disease (of hypocrisy), think that Allâh
will not bring to light all their hidden ill-
wills?
[30] ﻭَﻟَﻮ ﻧَﺸﺎﺀُ ﻟَﺄَﺭَﻳﻨٰﻜَﻬُﻢ
ﻓَﻠَﻌَﺮَﻓﺘَﻬُﻢ ﺑِﺴﻴﻤٰﻬُﻢ ۚ
ﻭَﻟَﺘَﻌﺮِﻓَﻨَّﻬُﻢ ﻓﻰ ﻟَﺤﻦِ ﺍﻟﻘَﻮﻝِ ۚ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻌﻠَﻢُ ﺃَﻋﻤٰﻠَﻜُﻢ
[30] আমি ইচ্ছা করলে আপনাকে তাদের
সাথে পরিচিত করে দিতাম। তখন
আপনি তাদের চেহারা দেখে
তাদেরকে চিনতে পারতেন এবং আপনি
অবশ্যই কথার ভঙ্গিতে তাদেরকে
চিনতে পারবেন। আল্লাহ তোমাদের
কর্মসমূহের খবর রাখেন।
[30] Had We willed, We could have
shown them to you, and you should have
known them by their marks; but surely,
you will know them by the tone of their
speech! And Allâh knows (all) your
deeds.
[31] ﻭَﻟَﻨَﺒﻠُﻮَﻧَّﻜُﻢ ﺣَﺘّﻰٰ ﻧَﻌﻠَﻢَ
ﺍﻟﻤُﺠٰﻬِﺪﻳﻦَ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻭَﺍﻟﺼّٰﺒِﺮﻳﻦَ
ﻭَﻧَﺒﻠُﻮَﺍ۟ ﺃَﺧﺒﺎﺭَﻛُﻢ
[31] আমি অবশ্যই তোমাদেরকে
পরীক্ষা করব যে পর্যন্ত না ফুটিয়ে
তুলি তোমাদের জেহাদকারীদেরকে
এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না
আমি তোমাদের অবস্থান সমূহ যাচাই
করি।
[31] And surely, We shall try you till We
test those who strive hard (for the Cause
of Allâh) and As-Sabirun (the patient
ones), and We shall test your facts (i.e.
the one who is a liar, and the one who is
truthful).
[32] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﺻَﺪّﻭﺍ
ﻋَﻦ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺷﺎﻗُّﻮﺍ
ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ
ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﻬُﺪﻯٰ ﻟَﻦ ﻳَﻀُﺮُّﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺷَﻴـًٔﺎ ﻭَﺳَﻴُﺤﺒِﻂُ ﺃَﻋﻤٰﻠَﻬُﻢ
[32] নিশ্চয় যারা কাফের এবং
আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে
রাখে এবং নিজেদের জন্যে সৎপথ
ব্যক্ত হওয়ার পর রসূলের (সঃ)
বিরোধিতা করে, তারা আল্লাহর
কোনই ক্ষতি করতে পারবে না এবং
তিনি ব্যর্থ করে দিবেন তাদের
কর্মসমূহকে।
[32] Verily, those who disbelieve, and
hinder (men) from the Path of Allâh (i.e.
Islâm), and oppose the Messenger ( SAW)
(by standing against him and hurting
him), after the guidance has been clearly
shown to them, they will not hurt Allâh
in the least, but He will make their deeds
fruitless,
[33] ۞ ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ
ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ ﻭَﻻ ﺗُﺒﻄِﻠﻮﺍ ﺃَﻋﻤٰﻠَﻜُﻢ
[33] হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর
আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর
এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।
[33] O you who believe! Obey Allâh, and
obey the Messenger (Muhammad SAW)
and render not vain your deeds.
[34] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﺻَﺪّﻭﺍ
ﻋَﻦ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺛُﻢَّ ﻣﺎﺗﻮﺍ
ﻭَﻫُﻢ ﻛُﻔّﺎﺭٌ ﻓَﻠَﻦ ﻳَﻐﻔِﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻬُﻢ
[34] নিশ্চয় যারা কাফের এবং
আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে
রাখে, অতঃপর কাফের অবস্থায় মারা
যায়, আল্লাহ কখনই তাদেরকে ক্ষমা
করবেন না।
[34] Verily, those who disbelieve, and
hinder (men) from the Path of Allâh (i.e.
Islâm); then die while they are
disbelievers, – Allâh will not forgive
them.
[35] ﻓَﻼ ﺗَﻬِﻨﻮﺍ ﻭَﺗَﺪﻋﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﺴَّﻠﻢِ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢُ ﺍﻷَﻋﻠَﻮﻥَ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻣَﻌَﻜُﻢ ﻭَﻟَﻦ ﻳَﺘِﺮَﻛُﻢ ﺃَﻋﻤٰﻠَﻜُﻢ
[35] অতএব, তোমরা হীনবল হয়ো না
এবং সন্ধির আহবান জানিও না,
তোমরাই হবে প্রবল। আল্লাহই
তোমাদের সাথে আছেন। তিনি কখনও
তোমাদের কর্ম হ্রাস করবেন না।
[35] So be not weak and ask not for
peace (from the enemies of Islâm), while
you are having the upper hand. Allâh is
with you, and He will never decrease the
reward of your good deeds.
[36] ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓُ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻟَﻌِﺐٌ
ﻭَﻟَﻬﻮٌ ۚ ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺆﻣِﻨﻮﺍ ﻭَﺗَﺘَّﻘﻮﺍ
ﻳُﺆﺗِﻜُﻢ ﺃُﺟﻮﺭَﻛُﻢ ﻭَﻻ ﻳَﺴـَٔﻠﻜُﻢ
ﺃَﻣﻮٰﻟَﻜُﻢ
[36] পার্থিব জীবন তো কেবল
খেলাধুলা, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও
এবং সংযম অবলম্বন কর, আল্লাহ
তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিদান
দেবেন এবং তিনি তোমাদের ধন-
সম্পদ চাইবেন না।
[36] The life of this world is but play and
pastime, but if you believe (in the
Oneness of Allâh — Islâmic Monotheism),
and fear Allâh, and avoid evil, He will
grant you your wages, and will not ask
you your wealth.
[37] ﺇِﻥ ﻳَﺴـَٔﻠﻜُﻤﻮﻫﺎ ﻓَﻴُﺤﻔِﻜُﻢ
ﺗَﺒﺨَﻠﻮﺍ ﻭَﻳُﺨﺮِﺝ ﺃَﺿﻐٰﻨَﻜُﻢ
[37] তিনি তোমাদের কাছে ধন-সম্পদ
চাইলে অতঃপর তোমাদেরকে অতিষ্ঠ
করলে তোমরা কার্পণ্য করবে এবং
তিনি তোমাদের মনের সংকীর্ণতা
প্রকাশ করে দেবেন।
[37] If He were to ask you of it, and press
you, you would covetously withhold, and
He will bring out all your (secret) ill-
wills.
[38] ﻫٰﺄَﻧﺘُﻢ ﻫٰﺆُﻻﺀِ ﺗُﺪﻋَﻮﻥَ
ﻟِﺘُﻨﻔِﻘﻮﺍ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻓَﻤِﻨﻜُﻢ ﻣَﻦ ﻳَﺒﺨَﻞُ ۖ ﻭَﻣَﻦ
ﻳَﺒﺨَﻞ ﻓَﺈِﻧَّﻤﺎ ﻳَﺒﺨَﻞُ ﻋَﻦ ﻧَﻔﺴِﻪِ ۚ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻐَﻨِﻰُّ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢُ ﺍﻟﻔُﻘَﺮﺍﺀُ ۚ
ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺘَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻳَﺴﺘَﺒﺪِﻝ ﻗَﻮﻣًﺎ
ﻏَﻴﺮَﻛُﻢ ﺛُﻢَّ ﻻ ﻳَﻜﻮﻧﻮﺍ ﺃَﻣﺜٰﻠَﻜُﻢ
[38] শুন, তোমরাই তো তারা,
যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার
আহবান জানানো হচ্ছে, অতঃপর
তোমাদের কেউ কেউ কৃপণতা করছে।
যারা কৃপণতা করছে, তারা নিজেদের
প্রতিই কৃপণতা করছে। আল্লাহ
অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্থ।
যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে
তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য
জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, এরপর
তারা তোমাদের মত হবে না।
[38] Behold! You are those who are called
to spend in the Cause of Allâh, yet
among you are some who are niggardly.
And whoever is niggardly, it is only at
the expense of his ownself. But Allâh is
Rich (Free of all needs), and you
(mankind) are poor. And if you turn
away (from Islâm and the obedience to
Allâh), He will exchange you for some
other people, and they will not b
Surah Muhammad Recitation: Sa’ad Al Ghamdi 1. যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে, আল্লাহ তাদের সকল কর্ম ব্যর্থ করে দেন। 2. আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের প্রতি অবতীর্ণ সত্যে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করে দেন। 3. এটা এ কারণে যে, যারা কাফের, তারা বাতিলের অনুসরণ করে এবং যারা বিশ্বাসী, তারা তাদের পালনকর্তার নিকট থেকে আগত সত্যের অনুসরণ করে। এমনিভাবে আল্লাহ মানুষের জন্যে তাদের দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন। 4. অতএব, যখন তোমরা কাফেরদের (মধ্যে যুদ্ধ) , তাদের নেক এ যন্ত্রণা মেটাতে; অবশেষে, যখন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তোমরা তাদের দমিত, দৃঢ়ভাবে একটি মুচলেকা বাইন্ড (তাদের) : অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না। 5. তিনি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করবেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করবেন। 6. অতঃপর তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যা তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। 7. হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ়প্রতিষ্ঠ করবেন। 8. আর যারা কাফের, তাদের জন্যে আছে দুর্গতি এবং তিনি তাদের কর্ম বিনষ্ট করে দিবেন। 9. এটা এজন্যে যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তারা তা পছন্দ করে না। অতএব, আল্লাহ তাদের কর্ম ব্যর্থ করে দিবেন। 10. তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি অতঃপর দেখেনি যে, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছে? আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন এবং কাফেরদের অবস্থা এরূপই হবে। 11. এটা এজন্যে যে, আল্লাহ মুমিনদের হিতৈষী বন্ধু এবং কাফেরদের কোন হিতৈষী বন্ধু নাই। 12. যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার নিম্নদেশে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হয়। আর যারা কাফের, তারা ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে এবং চতুস্পদ জন্তুর মত আহার করে। তাদের বাসস্থান জাহান্নাম। 13. যে জনপদ আপনাকে বহিস্কার করেছে, তদপেক্ষা কত শক্তিশালী জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, অতঃপর তাদেরকে সাহায্য করার কেউ ছিল না। 14. যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত নিদর্শন অনুসরণ করে, সে কি তার সমান, যার কাছে তার মন্দ কর্ম শোভনীয় করা হয়েছে এবং যে তার খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে। 15. পরহেযগারদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তার অবস্থা নিম্নরূপঃ তাতে আছে পানির নহর, নির্মল দুধের নহর যারা স্বাদ অপরিবর্তনীয়, পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু শরাবের নহর এবং পরিশোধিত মধুর নহর। তথায় তাদের জন্যে আছে রকমারি ফল-মূল ও তাদের পালনকর্তার ক্ষমা। পরহেযগাররা কি তাদের সমান, যারা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে এবং যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি অতঃপর তা তাদের নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেবে? 16. তাদের মধ্যে কতক আপনার দিকে কান পাতে, অতঃপর যখন আপনার কাছ থেকে বাইরে যায়, তখন যারা শিক্ষিত, তাদেরকে বলেঃ এইমাত্র তিনি কি বললেন ? এদের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন এবং তারা নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে। 17. যারা সৎপথপ্রাপ্ত হয়েছে, তাদের সৎপথপ্রাপ্তি আরও বেড়ে যায় এবং আল্লাহ তাদেরকে তাকওয়া দান করেন। 18. তারা শুধু এই অপেক্ষাই করছে যে, কেয়ামত অকস্মাৎ তাদের কাছে এসে পড়ুক। বস্তুতঃ কেয়ামতের লক্ষণসমূহ তো এসেই পড়েছে। সুতরাং কেয়ামত এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে? 19. জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ক্ষমাপ্রার্থনা করুন, আপনার ক্রটির জন্যে এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্যে। আল্লাহ, তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত। 20. যারা মুমিন, তারা বলেঃ একটি সূরা নাযিল হয় না কেন? অতঃপর যখন কোন দ্ব্যর্থহীন সূরা নাযিল হয় এবং তাতে জেহাদের উল্লেখ করা হয়, তখন যাদের অন্তরে রোগ আছে, আপনি তাদেরকে মৃত্যুভয়ে মূর্ছাপ্রাপ্ত মানুষের মত আপনার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখবেন। সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্যে। 21. তাদের আনুগত্য ও মিষ্ট বাক্য জানা আছে। অতএব, জেহাদের সিন্ধান্ত হলে যদি তারা আল্লাহর প্রতি পদত্ত অংগীকার পূর্ণ করে, তবে তাদের জন্যে তা মঙ্গলজনক হবে। 22. ক্ষমতা লাভ করলে, সম্ভবতঃ তোমরা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং আত্নীয়তা বন্ধন ছিন্ন করবে। 23. এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন, অতঃপর তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন। 24. তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? 25. নিশ্চয় যারা সোজা পথ ব্যক্ত হওয়ার পর তৎপ্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে, শয়তান তাদের জন্যে তাদের কাজকে সুন্দর করে দেখায় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়। 26. এটা এজন্য যে, তারা তাদেরকে বলে, যারা আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব অপছন্দ করেঃ আমরা কোন কোন ব্যাপারে তোমাদের কথা মান্য করব। আল্লাহ তাদের গোপন পরামর্শ অবগত আছেন। 27. ফেরেশতা যখন তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন তাদের অবস্থা কেমন হবে? 28. এটা এজন্যে যে, তারা সেই বিষয়ের অনুসরণ করে, যা আল্লাহর অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিকে অপছন্দ করে। ফলে তিনি তাদের কর্মসমূহ ব্যর্থ করে দেন। 29. যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা কি মনে করে যে, আল্লাহ তাদের অন্তরের বিদ্বেষ প্রকাশ করে দেবেন না? 30. আমি ইচ্ছা করলে আপনাকে তাদের সাথে পরিচিত করে দিতাম। তখন আপনি তাদের চেহারা দেখে তাদেরকে চিনতে পারতেন এবং আপনি অবশ্যই কথার ভঙ্গিতে তাদেরকে চিনতে পারবেন। আল্লাহ তোমাদের কর্মসমূহের খবর রাখেন। 31. আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যে পর্যন্ত না ফুটিয়ে তুলি তোমাদের জেহাদকারীদেরকে এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না আমি তোমাদের অবস্থান সমূহ যাচাই করি। 32. নিশ্চয় যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে এবং নিজেদের জন্যে সৎপথ ব্যক্ত হওয়ার পর রসূলের (সঃ) বিরোধিতা করে, তারা আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না এবং তিনি ব্যর্থ করে দিবেন তাদের কর্মসমূহকে। 33. হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না। 34. নিশ্চয় যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে, অতঃপর কাফের অবস্থায় মারা যায়, আল্লাহ কখনই তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। 35. অতএব, তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির আহবান জানিও না, তোমরাই হবে প্রবল। আল্লাহই তোমাদের সাথে আছেন। তিনি কখনও তোমাদের কর্ম হ্রাস করবেন না। 36. পার্থিব জীবন তো কেবল খেলাধুলা, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও এবং সংযম অবলম্বন কর, আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিদান দেবেন এবং তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ চাইবেন না। 37. তিনি তোমাদের কাছে ধন- সম্পদ চাইলে অতঃপর তোমাদেরকে অতিষ্ঠ করলে তোমরা কার্পণ্য করবে এবং তিনি তোমাদের মনের সংকীর্ণতা প্রকাশ করে দেবেন। 38. শুন, তোমরাই তো তারা, যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার আহবান জানানো হচ্ছে, অতঃপর তোমাদের কেউ কেউ কৃপণতা করছে। যারা কৃপণতা করছে, তারা নিজেদের প্রতিই কৃপণতা করছে। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্থ। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, এরপর তারা তোমাদের মত হবে না। 

No comments:

Post a Comment

Translate