Sunday, November 15, 2020

8. সুরা আল- আনফাল(01-75)

 

8. সুরা আল- আনফাল(01-75)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﻳَﺴـَٔﻠﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻷَﻧﻔﺎﻝِ ۖ ﻗُﻞِ
ﺍﻷَﻧﻔﺎﻝُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝِ ۖ ﻓَﺎﺗَّﻘُﻮﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺃَﺻﻠِﺤﻮﺍ ﺫﺍﺕَ ﺑَﻴﻨِﻜُﻢ ۖ
ﻭَﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ ﺇِﻥ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[1] আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে,
গনীমতের হুকুম। বলে দিন, গণীমতের
মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। অতএব,
তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের
অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং
তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে
থাক।
[1] They ask you (O Muhammad SAW)
about the spoils of war. Say: “The spoils
are for Allâh and the Messenger.” So fear
Allâh and adjust all matters of difference
among you, and obey Allâh and His
Messenger (Muhammad SAW), if you are
believers.
[2] ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺇِﺫﺍ
ﺫُﻛِﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺟِﻠَﺖ ﻗُﻠﻮﺑُﻬُﻢ ﻭَﺇِﺫﺍ
ﺗُﻠِﻴَﺖ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺀﺍﻳٰﺘُﻪُ ﺯﺍﺩَﺗﻬُﻢ
ﺇﻳﻤٰﻨًﺎ ﻭَﻋَﻠﻰٰ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻳَﺘَﻮَﻛَّﻠﻮﻥَ
[2] যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর
নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের
অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয়
কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা
স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা
পোষণ করে।
[2] The believers are only those who,
when Allâh is mentioned, feel a fear in
their hearts and when His Verses (this
Qur’ân) are recited unto them, they (i.e.
the Verses) increase their Faith; and they
put their trust in their Lord (Alone);
[3] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﻘﻴﻤﻮﻥَ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ
ﻭَﻣِﻤّﺎ ﺭَﺯَﻗﻨٰﻬُﻢ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ
[3] সে সমস্ত লোক যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে
এবং আমি তাদেরকে যে রুযী দিয়েছি তা
থেকে ব্যয় করে।
[3] Who perform As-Salât (Iqâmat-as-
Salât) and spend out of that We have
provided them.
[4] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺣَﻘًّﺎ ۚ
ﻟَﻬُﻢ ﺩَﺭَﺟٰﺖٌ ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢ
ﻭَﻣَﻐﻔِﺮَﺓٌ ﻭَﺭِﺯﻕٌ ﻛَﺮﻳﻢٌ
[4] তারাই হল সত্যিকার ঈমানদার! তাদের জন্য
রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট
মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক রুযী।
[4] It is they who are the believers in
truth. For them are grades of dignity
with their Lord, and Forgiveness and a
generous provision (Paradise).
[5] ﻛَﻤﺎ ﺃَﺧﺮَﺟَﻚَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻣِﻦ
ﺑَﻴﺘِﻚَ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ﻭَﺇِﻥَّ ﻓَﺮﻳﻘًﺎ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﻟَﻜٰﺮِﻫﻮﻥَ
[5] যেমন করে তোমাকে তোমার
পরওয়ারদেগার ঘর থেকে বের
করেছেন ন্যায় ও সৎকাজের জন্য, অথচ
ঈমানদারদের একটি দল (তাতে) সম্মত ছিল না।
[5] As your Lord caused you (O
Muhammad SAW) to go out from your
home with the truth, and verily, a party
among the believers disliked it;
[6] ﻳُﺠٰﺪِﻟﻮﻧَﻚَ ﻓِﻰ ﺍﻟﺤَﻖِّ
ﺑَﻌﺪَﻣﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻛَﺄَﻧَّﻤﺎ ﻳُﺴﺎﻗﻮﻥَ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻤَﻮﺕِ ﻭَﻫُﻢ ﻳَﻨﻈُﺮﻭﻥَ
[6] তারা তোমার সাথে বিবাদ করছিল সত্য ও
ন্যায় বিষয়ে, তা প্রকাশিত হবার পর; তারা যেন
মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে দেখতে
দেখতে।
[6] Disputing with you concerning the
truth after it was made manifest, as if
they were being driven to death, while
they were looking (at it).
[7] ﻭَﺇِﺫ ﻳَﻌِﺪُﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺇِﺣﺪَﻯ
ﺍﻟﻄّﺎﺋِﻔَﺘَﻴﻦِ ﺃَﻧَّﻬﺎ ﻟَﻜُﻢ ﻭَﺗَﻮَﺩّﻭﻥَ
ﺃَﻥَّ ﻏَﻴﺮَ ﺫﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻮﻛَﺔِ ﺗَﻜﻮﻥُ
ﻟَﻜُﻢ ﻭَﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻥ ﻳُﺤِﻖَّ
ﺍﻟﺤَﻖَّ ﺑِﻜَﻠِﻤٰﺘِﻪِ ﻭَﻳَﻘﻄَﻊَ ﺩﺍﺑِﺮَ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[7] আর যখন আল্লাহ দু’টি দলের একটির
ব্যাপারে তোমাদের সাথে ওয়াদা
করেছিলেন যে, সেটি তোমাদের হস্তগত
হবে, আর তোমরা কামনা করছিলে যাতে
কোন রকম কন্টক নেই, তাই তোমাদের
ভাগে আসুক; অথচ আল্লাহ চাইতেন সত্যকে
স্বীয় কালামের মাধ্যমে সত্যে পরিণত
করতে এবং কাফেরদের মূল কর্তন করে
দিতে,
[7] And (remember) when Allâh
promised you (Muslims) one of the two
parties (of the enemy i.e. either the army
or the caravan) that it should be yours,
you wished that the one not armed (the
caravan) should be yours, but Allâh
willed to justify the truth by His Words
and to cut off the roots of the
disbelievers (i.e. in the battle of Badr).
[8] ﻟِﻴُﺤِﻖَّ ﺍﻟﺤَﻖَّ ﻭَﻳُﺒﻄِﻞَ
ﺍﻟﺒٰﻄِﻞَ ﻭَﻟَﻮ ﻛَﺮِﻩَ ﺍﻟﻤُﺠﺮِﻣﻮﻥَ
[8] যাতে করে সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে
মিথ্যা প্রতিপন্ন করে দেন, যদিও পাপীরা
অসন্তুষ্ট হয়।
[8] That He might cause the truth to
triumph and bring falsehood to nothing,
even though the Mujrimûn (disbelievers,
polytheists, sinners, criminals,) hate it.
[9] ﺇِﺫ ﺗَﺴﺘَﻐﻴﺜﻮﻥَ ﺭَﺑَّﻜُﻢ
ﻓَﺎﺳﺘَﺠﺎﺏَ ﻟَﻜُﻢ ﺃَﻧّﻰ ﻣُﻤِﺪُّﻛُﻢ
ﺑِﺄَﻟﻒٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔِ ﻣُﺮﺩِﻓﻴﻦَ
[9] তোমরা যখন ফরিয়াদ করতে আরম্ভ
করেছিলে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট,
তখন তিনি তোমাদের ফরিয়াদের মঞ্জুরী দান
করলেন যে, আমি তোমাদিগকে সাহায্য করব
ধারাবহিকভাবে আগত হাজার ফেরেশতার
মাধ্যমে।
[9] (Remember) when you sought help of
your Lord and He answered you
(saying): “I will help you with a thousand
of the angels each behind the other
(following one another) in succession.”
[10] ﻭَﻣﺎ ﺟَﻌَﻠَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺇِﻟّﺎ ﺑُﺸﺮﻯٰ
ﻭَﻟِﺘَﻄﻤَﺌِﻦَّ ﺑِﻪِ ﻗُﻠﻮﺑُﻜُﻢ ۚ ﻭَﻣَﺎ
ﺍﻟﻨَّﺼﺮُ ﺇِﻟّﺎ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺣَﻜﻴﻢٌ
[10] আর আল্লাহ তো শুধু সুসংবাদ দান করলেন
যাতে তোমাদের মন আশ্বস্ত হতে পারে।
আর সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ছাড়া অন্য
কারো পক্ষ থেকে হতে পারে না।
নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তির অধিকারী
হেকমত ওয়ালা।
[10] Allâh made it only as glad tidings,
and that your hearts be at rest therewith.
And there is no victory except from
Allâh. Verily, Allâh is All-Mighty, All-
Wise.
[11] ﺇِﺫ ﻳُﻐَﺸّﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﻨُّﻌﺎﺱَ ﺃَﻣَﻨَﺔً
ﻣِﻨﻪُ ﻭَﻳُﻨَﺰِّﻝُ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ﻣﺎﺀً ﻟِﻴُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢ ﺑِﻪِ
ﻭَﻳُﺬﻫِﺐَ ﻋَﻨﻜُﻢ ﺭِﺟﺰَ
ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦِ ﻭَﻟِﻴَﺮﺑِﻂَ ﻋَﻠﻰٰ
ﻗُﻠﻮﺑِﻜُﻢ ﻭَﻳُﺜَﺒِّﺖَ ﺑِﻪِ ﺍﻷَﻗﺪﺍﻡَ
[11] যখন তিনি আরোপ করেন তোমাদের
উপর তন্দ্রাচ্ছন্ন তা নিজের পক্ষ থেকে
তোমাদের প্রশান্তির জন্য এবং তোমাদের
উপর আকাশ থেকে পানি অবতরণ করেন,
যাতে তোমাদিগকে পবিত্র করে দেন এবং
যাতে তোমাদের থেকে অপসারিত করে
দেন শয়তানের অপবিত্রতা। আর যাতে করে
সুরক্ষিত করে দিতে পারেন তোমাদের
অন্তরসমূহকে এবং তাতে যেন সুদৃঢ় করে
দিতে পারেন তোমাদের পা গুলো।
[11] (Remember) when He covered you
with a slumber as a security from Him,
and He caused water (rain) to descend
on you from the sky, to clean you
thereby and to remove from you the Rijz
(whispering, evil-suggestions) of Shaitân
(Satan), and to strengthen your hearts,
and make your feet firm thereby
[12] ﺇِﺫ ﻳﻮﺣﻰ ﺭَﺑُّﻚَ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔِ ﺃَﻧّﻰ ﻣَﻌَﻜُﻢ ﻓَﺜَﺒِّﺘُﻮﺍ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ۚ ﺳَﺄُﻟﻘﻰ ﻓﻰ
ﻗُﻠﻮﺏِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﺮُّﻋﺐَ
ﻓَﺎﺿﺮِﺑﻮﺍ ﻓَﻮﻕَ ﺍﻷَﻋﻨﺎﻕِ
ﻭَﺍﺿﺮِﺑﻮﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻛُﻞَّ ﺑَﻨﺎﻥٍ
[12] যখন নির্দেশ দান করেন
ফেরেশতাদিগকে তোমাদের
পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি
তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের
চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি
কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে
দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং
তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।
[12] (Remember) when your Lord
revealed to the angels, “Verily, I am with
you, so keep firm those who have
believed. I will cast terror into the hearts
of those who have disbelieved, so strike
them over the necks, and smite over all
their fingers and toes.”
[13] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢ ﺷﺎﻗُّﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺸﺎﻗِﻖِ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﺪﻳﺪُ
ﺍﻟﻌِﻘﺎﺏِ
[13] যেহেতু তারা অবাধ্য হয়েছে আল্লাহ
এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য এই নির্দেশ।
বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্য
হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত
কঠোর।
[13] This is because they defied and
disobeyed Allâh and His Messenger. And
whoever defies and disobeys Allâh and
His Messenger, then verily, Allâh is
Severe in punishment
[14] ﺫٰﻟِﻜُﻢ ﻓَﺬﻭﻗﻮﻩُ ﻭَﺃَﻥَّ
ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻋَﺬﺍﺏَ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ
[14] আপাততঃ বর্তমান এ শাস্তি তোমরা আস্বাদন
করে নাও এবং জেনে রাখ যে,
কাফেরদের জন্য রয়েছে দোযখের
আযাব।
[14] This is (the torment), so taste it, and
surely for the disbelievers is the torment
of the Fire.
[15] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺇِﺫﺍ
ﻟَﻘﻴﺘُﻢُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺯَﺣﻔًﺎ
ﻓَﻼ ﺗُﻮَﻟّﻮﻫُﻢُ ﺍﻷَﺩﺑﺎﺭَ
[15] হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন
কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন
পশ্চাদপসরণ করবে না।
[15] O you who believe! When you meet
those who disbelieve, in a battle-field,
never turn your backs to them.
[16] ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻮَﻟِّﻬِﻢ ﻳَﻮﻣَﺌِﺬٍ ﺩُﺑُﺮَﻩُ
ﺇِﻟّﺎ ﻣُﺘَﺤَﺮِّﻓًﺎ ﻟِﻘِﺘﺎﻝٍ ﺃَﻭ
ﻣُﺘَﺤَﻴِّﺰًﺍ ﺇِﻟﻰٰ ﻓِﺌَﺔٍ ﻓَﻘَﺪ ﺑﺎﺀَ
ﺑِﻐَﻀَﺐٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣَﺄﻭﻯٰﻪُ
ﺟَﻬَﻨَّﻢُ ۖ ﻭَﺑِﺌﺲَ ﺍﻟﻤَﺼﻴﺮُ
[16] আর যে লোক সেদিন তাদের
থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য যে
লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তনকল্পে কিংবা
যে নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে
আসে সে ব্যতীত অন্যরা আল্লাহর গযব
সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার
ঠিকানা হল জাহান্নাম। বস্তুতঃ সেটা হল নিকৃষ্ট
অবস্থান।
[16] And whoever turns his back to them
on such a day – unless it be a stratagem
of war, or to retreat to a troop (of his
own), – he indeed has drawn upon
himself wrath from Allâh. And his abode
is Hell, and worst indeed is that
destination!
[17] ﻓَﻠَﻢ ﺗَﻘﺘُﻠﻮﻫُﻢ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻗَﺘَﻠَﻬُﻢ ۚ ﻭَﻣﺎ ﺭَﻣَﻴﺖَ ﺇِﺫ ﺭَﻣَﻴﺖَ
ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺭَﻣﻰٰ ۚ ﻭَﻟِﻴُﺒﻠِﻰَ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﻣِﻨﻪُ ﺑَﻼﺀً ﺣَﺴَﻨًﺎ ۚ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﻤﻴﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[17] সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং
আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর
তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ
করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন
আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান
করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে
আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত।
[17] You killed them not, but Allâh killed
them. And you (Muhammad SAW) threw
not when you did throw, but Allâh threw,
that He might test the believers by a fair
trial from Him. Verily, Allâh is All-
Hearer, All-Knower.
[18] ﺫٰﻟِﻜُﻢ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣﻮﻫِﻦُ
ﻛَﻴﺪِ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[18] এটাতো গেল, আর জেনে রেখো,
আল্লাহ নস্যাৎ করে দেবেন কাফেরদের
সমস্ত কলা-কৌশল।
[18] This (is the fact) and surely, Allâh
weakens the deceitful plots of the
disbelievers.
[19] ﺇِﻥ ﺗَﺴﺘَﻔﺘِﺤﻮﺍ ﻓَﻘَﺪ
ﺟﺎﺀَﻛُﻢُ ﺍﻟﻔَﺘﺢُ ۖ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﻨﺘَﻬﻮﺍ
ﻓَﻬُﻮَ ﺧَﻴﺮٌ ﻟَﻜُﻢ ۖ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﻌﻮﺩﻭﺍ
ﻧَﻌُﺪ ﻭَﻟَﻦ ﺗُﻐﻨِﻰَ ﻋَﻨﻜُﻢ ﻓِﺌَﺘُﻜُﻢ
ﺷَﻴـًٔﺎ ﻭَﻟَﻮ ﻛَﺜُﺮَﺕ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣَﻊَ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[19] তোমরা যদি মীমাংসা কামনা কর, তাহলে
তোমাদের নিকট মীমাংসা পৌছে গেছে।
আর যদি তোমরা প্রত্যাবর্তন কর, তবে তা
তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা যদি তাই
কর, তবে আমি ও তেমনি করব। বস্তুতঃ
তোমাদের কোনই কাজে আসবে না
তোমাদের দল-বল, তা যত বেশীই হোক।
জেনে রেখ আল্লাহ রয়েছেন
ঈমানদারদের সাথে।
[19] (O disbelievers) if you ask for a
judgement, now has the judgement come
unto you; and if you cease (to do wrong),
it will be better for you, and if you
return (to the attack), so shall We return,
and your forces will be of no avail to
you, however numerous they be, and
verily, Allâh is with the believers.
[20] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ ﻭَﻻ
ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻋَﻨﻪُ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﺗَﺴﻤَﻌﻮﻥَ
[20] হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের
নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে
বিমুখ হয়ো না।
[20] O you who believe! Obey Allâh and
His Messenger, and turn not away from
him (i.e. Messenger Muhammad SAW)
while you are hearing.
[21] ﻭَﻻ ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﻛَﺎﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻟﻮﺍ
ﺳَﻤِﻌﻨﺎ ﻭَﻫُﻢ ﻻ ﻳَﺴﻤَﻌﻮﻥَ
[21] আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা
বলে যে, আমরা শুনেছি, অথচ তারা
শোনেনা।
[21] And be not like those who say: “We
have heard,” but they hear not.
[22] ۞ ﺇِﻥَّ ﺷَﺮَّ ﺍﻟﺪَّﻭﺍﺏِّ ﻋِﻨﺪَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺼُّﻢُّ ﺍﻟﺒُﻜﻢُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻻ
ﻳَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[22] নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট
সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা
উপলদ্ধি করে না।
[22] Verily! The worst of (moving) living
creatures with Allâh are the deaf and the
dumb, who understand not (i.e. the
disbelievers)
[23] ﻭَﻟَﻮ ﻋَﻠِﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻴﻬِﻢ ﺧَﻴﺮًﺍ
ﻟَﺄَﺳﻤَﻌَﻬُﻢ ۖ ﻭَﻟَﻮ ﺃَﺳﻤَﻌَﻬُﻢ
ﻟَﺘَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻭَﻫُﻢ ﻣُﻌﺮِﺿﻮﻥَ
[23] বস্তুতঃ আল্লাহ যদি তাদের মধ্যে
কিছুমাত্র শুভ চিন্তা জানতেন, তবে
তাদেরকে শুনিয়ে দিতেন। আর এখনই যদি
তাদের শুনিয়ে দেন, তবে তারা মুখ ঘুরিয়ে
পালিয়ে যাবে।
[23] Had Allâh known of any good in
them, He would indeed have made them
listen; and even if He had made them
listen, they would but have turned away
with aversion (to the truth).
[24] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ
ﺍﺳﺘَﺠﻴﺒﻮﺍ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻟِﻠﺮَّﺳﻮﻝِ ﺇِﺫﺍ
ﺩَﻋﺎﻛُﻢ ﻟِﻤﺎ ﻳُﺤﻴﻴﻜُﻢ ۖ
ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺤﻮﻝُ ﺑَﻴﻦَ
ﺍﻟﻤَﺮﺀِ ﻭَﻗَﻠﺒِﻪِ ﻭَﺃَﻧَّﻪُ ﺇِﻟَﻴﻪِ
ﺗُﺤﺸَﺮﻭﻥَ
[24] হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের
নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে
কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে
তোমাদের জীবন। জেনে রেখো,
আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে
অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই
নিকট সমবেত হবে।
[24] O you who believe! Answer Allâh (by
obeying Him) and (His) Messenger when
he (SAW) calls you to that which will give
you life, and know that Allâh comes in
between a person and his heart (i.e. He
prevents an evil person to decide
anything). And verily to Him you shall
(all) be gathered.
[25] ﻭَﺍﺗَّﻘﻮﺍ ﻓِﺘﻨَﺔً ﻻ ﺗُﺼﻴﺒَﻦَّ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤﻮﺍ ﻣِﻨﻜُﻢ ﺧﺎﺻَّﺔً ۖ
ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﺪﻳﺪُ
ﺍﻟﻌِﻘﺎﺏِ
[25] আর তোমরা এমন ফাসাদ থেকে
বেঁচে থাক যা বিশেষতঃ শুধু তাদের উপর
পতিত হবে না যারা তোমাদের মধ্যে জালেম
এবং জেনে রেখ যে, আল্লাহর আযাব
অত্যন্ত কঠোর।
[25] And fear the Fitnah (affliction and
trial) which affects not in particular
(only) those of you who do wrong (but it
may afflict all the good and the bad
people), and know that Allâh is Severe in
punishment.
[26] ﻭَﺍﺫﻛُﺮﻭﺍ ﺇِﺫ ﺃَﻧﺘُﻢ ﻗَﻠﻴﻞٌ
ﻣُﺴﺘَﻀﻌَﻔﻮﻥَ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﺗَﺨﺎﻓﻮﻥَ ﺃَﻥ ﻳَﺘَﺨَﻄَّﻔَﻜُﻢُ
ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻓَـٔﺎﻭﻯٰﻜُﻢ ﻭَﺃَﻳَّﺪَﻛُﻢ
ﺑِﻨَﺼﺮِﻩِ ﻭَﺭَﺯَﻗَﻜُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻄَّﻴِّﺒٰﺖِ
ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﺸﻜُﺮﻭﻥَ
[26] আর স্মরণ কর, যখন তোমরা ছিলে
অল্প, পরাজিত অবস্থায় পড়েছিলে দেশে;
ভীত-সস্ত্রস্ত্র ছিলে যে, তোমাদের না
অন্যেরা ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। অতঃপর তিনি
তোমাদিগকে আশ্রয়ের ঠিকানা দিয়েছেন,
স্বীয় সাহায্যের দ্বারা তোমাদিগকে শক্তি দান
করেছেন এবং পরিচ্ছন্ন জীবিকা
দিয়েছেন যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় কর।
[26] And remember when you were few
and were reckoned weak in the land,
and were afraid that men might kidnap
you, but He provided a safe place for
you, strengthened you with His Help, and
provided you with good things so that
you might be grateful.
[27] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﺨﻮﻧُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ
ﻭَﺗَﺨﻮﻧﻮﺍ ﺃَﻣٰﻨٰﺘِﻜُﻢ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[27] হে ঈমানদারগণ, খেয়ানত করোনা
আল্লাহর সাথে ও রসূলের সাথে এবং
খেয়ানত করো না নিজেদের পারস্পরিক
আমানতে জেনে-শুনে।
[27] O you who believe! Betray not Allâh
and His Messenger, nor betray
knowingly your Amânât (things
entrusted to you, and all the duties
which Allâh has ordained for you).
[28] ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻧَّﻤﺎ ﺃَﻣﻮٰﻟُﻜُﻢ
ﻭَﺃَﻭﻟٰﺪُﻛُﻢ ﻓِﺘﻨَﺔٌ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻋِﻨﺪَﻩُ ﺃَﺟﺮٌ ﻋَﻈﻴﻢٌ
[28] আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ
ও সন্তান-সন্ততি অকল্যাণের
সম্মুখীনকারী। বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট
রয়েছে মহা সওয়াব।
[28] And know that your possessions and
your children are but a trial and that
surely with Allâh is a mighty reward.
[29] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺇِﻥ
ﺗَﺘَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺠﻌَﻞ ﻟَﻜُﻢ ﻓُﺮﻗﺎﻧًﺎ
ﻭَﻳُﻜَﻔِّﺮ ﻋَﻨﻜُﻢ ﺳَﻴِّـٔﺎﺗِﻜُﻢ ﻭَﻳَﻐﻔِﺮ
ﻟَﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺫُﻭ ﺍﻟﻔَﻀﻞِ
ﺍﻟﻌَﻈﻴﻢِ
[29] হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে
ভয় করতে থাক, তবে তোমাদের মধ্যে
ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের
থেকে তোমাদের পাপকে সরিয়ে
দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন।
বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান।
[29] O you who believe! If you obey and
fear Allâh, He will grant you Furqân [(a
criterion to judge between right and
wrong), or (Makhraj, i.e. a way for you
to get out from every difficulty)], and
will expiate for you your sins, and
forgive you; and Allâh is the Owner of
the Great Bounty.
[30] ﻭَﺇِﺫ ﻳَﻤﻜُﺮُ ﺑِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻟِﻴُﺜﺒِﺘﻮﻙَ ﺃَﻭ ﻳَﻘﺘُﻠﻮﻙَ
ﺃَﻭ ﻳُﺨﺮِﺟﻮﻙَ ۚ ﻭَﻳَﻤﻜُﺮﻭﻥَ
ﻭَﻳَﻤﻜُﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۖ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴﺮُ
ﺍﻟﻤٰﻜِﺮﻳﻦَ
[30] আর কাফেরেরা যখন প্রতারণা করত
আপনাকে বন্দী অথবা হত্যা করার
উদ্দেশ্যে কিংবা আপনাকে বের করে
দেয়ার জন্য তখন তারা যেমন ছলনা করত
তেমনি, আল্লাহও ছলনা করতেন। বস্তুতঃ
আল্লাহর ছলনা সবচেয়ে উত্তম।
[30] And (remember) when the
disbelievers plotted against you (O
Muhammad SAW) to imprison you, or to
kill you, or to get you out (from your
home, i.e. Makkah); they were plotting
and Allâh too was plotting, and Allâh is
the Best of those who plot.
[31] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺗُﺘﻠﻰٰ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺀﺍﻳٰﺘُﻨﺎ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻗَﺪ ﺳَﻤِﻌﻨﺎ ﻟَﻮ ﻧَﺸﺎﺀُ
ﻟَﻘُﻠﻨﺎ ﻣِﺜﻞَ ﻫٰﺬﺍ ۙ ﺇِﻥ ﻫٰﺬﺍ ﺇِﻟّﺎ
ﺃَﺳٰﻄﻴﺮُ ﺍﻷَﻭَّﻟﻴﻦَ
[31] আর কেউ যখন তাদের নিকট আমার
আয়াতসমূহ পাঠ করে তবে বলে, আমরা
শুনেছি, ইচ্ছা করলে আমরাও এমন বলতে
পারি; এ তো পূর্ববর্তী ইতিকথা ছাড়া আর কিছুই
নয়।
[31] And when Our Verses (of the
Qur’ân) are recited to them, they say:
“We have heard this (the Qur’ân); if we
wish we can say the like of this. This is
nothing but the tales of the ancients.”
[32] ﻭَﺇِﺫ ﻗﺎﻟُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻥ ﻛﺎﻥَ
ﻫٰﺬﺍ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺤَﻖَّ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِﻙَ
ﻓَﺄَﻣﻄِﺮ ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ﺣِﺠﺎﺭَﺓً ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ﺃَﻭِ ﺍﺋﺘِﻨﺎ ﺑِﻌَﺬﺍﺏٍ ﺃَﻟﻴﻢٍ
[32] তাছাড়া তারা যখন বলতে আরম্ভ করে
যে, ইয়া আল্লাহ, এই যদি তোমার পক্ষ
থেকে (আগত) সত্য দ্বীন হয়ে থাকে,
তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে প্রস্তর
বর্ষণ কর কিংবা আমাদের উপর বেদনাদায়ক
আযাব নাযিল কর।
[32] And (remember) when they said: “O
Allâh! If this (the Qur’ân) is indeed the
truth (revealed) from You, then rain
down stones on us from the sky or bring
on us a painful torment.”
[33] ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﻌَﺬِّﺑَﻬُﻢ
ﻭَﺃَﻧﺖَ ﻓﻴﻬِﻢ ۚ ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻣُﻌَﺬِّﺑَﻬُﻢ ﻭَﻫُﻢ ﻳَﺴﺘَﻐﻔِﺮﻭﻥَ
[33] অথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব
নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে
অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা
প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও
তাদের উপর আযাব দেবেন না।
[33] And Allâh would not punish them
while you (Muhammad SAW) are
amongst them, nor will He punish them
while they seek (Allâh’s) Forgiveness
[34] ﻭَﻣﺎ ﻟَﻬُﻢ ﺃَﻟّﺎ ﻳُﻌَﺬِّﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭَﻫُﻢ ﻳَﺼُﺪّﻭﻥَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ
ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَﻩُ ۚ
ﺇِﻥ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺅُﻩُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻤُﺘَّﻘﻮﻥَ
ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺃَﻛﺜَﺮَﻫُﻢ ﻻ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[34] আর তাদের মধ্যে এমন কি বিষয়
রয়েছে, যার ফলে আল্লাহ তাদের উপর
আযাব দান করবেন না। অথচ তারা মসজিদে-
হারামে যেতে বাধাদান করে, অথচ তাদের
সে অধিকার নেই। এর অধিকার তো তাদেরই
রয়েছে যারা পরহেযগার। কিন্তু তাদের
অধিকাংশই সে বিষয়ে অবহিত নয়।
[34] And why should not Allâh punish
them while they hinder (men) from Al-
Masjid-Al-Harâm, and they are not its
guardians? None can be its guardian
except Al-Muttaqûn (the pious – see
V.2:2), but most of them know not
[35] ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﺻَﻼﺗُﻬُﻢ ﻋِﻨﺪَ
ﺍﻟﺒَﻴﺖِ ﺇِﻟّﺎ ﻣُﻜﺎﺀً ﻭَﺗَﺼﺪِﻳَﺔً ۚ
ﻓَﺬﻭﻗُﻮﺍ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏَ ﺑِﻤﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﺗَﻜﻔُﺮﻭﻥَ
[35] আর কা’বার নিকট তাদের নামায বলতে শিস
দেয়া আর তালি বাজানো ছাড়া অন্য কোন কিছুই
ছিল না। অতএব, এবার নিজেদের কৃত
কুফরীর আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর।
[35] Their Salât (prayer) at the House (of
Allâh, i.e. the Ka’bah at Makkah) was
nothing but whistling and clapping of
hands. Therefore taste the punishment
because you used to disbelieve
[36] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ
ﺃَﻣﻮٰﻟَﻬُﻢ ﻟِﻴَﺼُﺪّﻭﺍ ﻋَﻦ ﺳَﺒﻴﻞِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻓَﺴَﻴُﻨﻔِﻘﻮﻧَﻬﺎ ﺛُﻢَّ ﺗَﻜﻮﻥُ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺣَﺴﺮَﺓً ﺛُﻢَّ ﻳُﻐﻠَﺒﻮﻥَ ۗ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺇِﻟﻰٰ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ
ﻳُﺤﺸَﺮﻭﻥَ
[36] নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা
ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে
করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে।
বস্তুতঃ এখন তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর
তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে
এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা
কাফের তাদেরকে দোযখের দিকে
তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
[36] Verily, those who disbelieve spend
their wealth to hinder (men) from the
Path of Allâh, and so will they continue
to spend it; but in the end it will become
an anguish for them. Then they will be
overcomed. And those who disbelieve
will be gathered unto Hell
[37] ﻟِﻴَﻤﻴﺰَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺨَﺒﻴﺚَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻄَّﻴِّﺐِ ﻭَﻳَﺠﻌَﻞَ ﺍﻟﺨَﺒﻴﺚَ
ﺑَﻌﻀَﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﺑَﻌﺾٍ ﻓَﻴَﺮﻛُﻤَﻪُ
ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ﻓَﻴَﺠﻌَﻠَﻪُ ﻓﻰ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ۚ
ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﺨٰﺴِﺮﻭﻥَ
[37] যাতে পৃথক করে দেন আল্লাহ অপবিত্র
ও না-পাককে পবিত্র ও পাক থেকে। আর
যাতে একটির পর একটিকে স্থাপন করে
সমবেত স্তুপে পরিণত করেন এবং পরে
দোযখে নিক্ষেপ করেন। এরাই হল
ক্ষতিগ্রস্ত।
[37] In order that Allâh may distinguish
the wicked (disbelievers, polytheists and
doers of evil deeds) from the good
(believers of Islâmic Monotheism and
doers of righteous deeds), and put the
wicked (disbelievers, polytheists and
doers of evil deeds) one over another,
heap them together and cast them into
Hell. Those! it is they who are the losers.
[38] ﻗُﻞ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺇِﻥ
ﻳَﻨﺘَﻬﻮﺍ ﻳُﻐﻔَﺮ ﻟَﻬُﻢ ﻣﺎ ﻗَﺪ ﺳَﻠَﻒَ
ﻭَﺇِﻥ ﻳَﻌﻮﺩﻭﺍ ﻓَﻘَﺪ ﻣَﻀَﺖ
ﺳُﻨَّﺖُ ﺍﻷَﻭَّﻟﻴﻦَ
[38] তুমি বলে দাও, কাফেরদেরকে যে,
তারা যদি বিরত হয়ে যায়, তবে যা কিছু ঘটে
গেছে ক্ষমা হবে যাবে। পক্ষান্তরে
আবারও যদি তাই করে, তবে
পুর্ববর্তীদের পথ নির্ধারিত হয়ে গেছে।
[38] Say to those who have disbelieved, if
they cease (from disbelief) their past will
be forgiven. But if they return (thereto),
then the examples of those (punished)
before them have already preceded (as a
warning).
[39] ﻭَﻗٰﺘِﻠﻮﻫُﻢ ﺣَﺘّﻰٰ ﻻ ﺗَﻜﻮﻥَ
ﻓِﺘﻨَﺔٌ ﻭَﻳَﻜﻮﻥَ ﺍﻟﺪّﻳﻦُ ﻛُﻠُّﻪُ ﻟِﻠَّﻪِ ۚ
ﻓَﺈِﻥِ ﺍﻧﺘَﻬَﻮﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺑِﻤﺎ
ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺑَﺼﻴﺮٌ
[39] আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক
যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং
আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।
তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ
তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।
[39] And fight them until there is no
more Fitnah (disbelief and polytheism:
i.e. worshipping others besides Allâh)
and the religion (worship) will all be for
Allâh Alone [in the whole of the world].
But if they cease (worshipping others
besides Allâh), then certainly, Allâh is
All-Seer of what they do.
[40] ﻭَﺇِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻓَﺎﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣَﻮﻟﻯٰﻜُﻢ ۚ ﻧِﻌﻢَ ﺍﻟﻤَﻮﻟﻰٰ
ﻭَﻧِﻌﻢَ ﺍﻟﻨَّﺼﻴﺮُ
[40] আর তারা যদি না মানে, তবে জেনে রাখ,
আল্লাহ তোমাদের সমর্থক; এবং কতই না
চমৎকার সাহায্যকারী।
[40] And if they turn away, then know
that Allâh is your Maulâ (Patron, Lord,
Protector and Supporter), (what) an
Excellent Maulâ, and (what) an Excellent
Helper!
[41] ۞ ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻧَّﻤﺎ ﻏَﻨِﻤﺘُﻢ
ﻣِﻦ ﺷَﻲﺀٍ ﻓَﺄَﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﺧُﻤُﺴَﻪُ
ﻭَﻟِﻠﺮَّﺳﻮﻝِ ﻭَﻟِﺬِﻯ ﺍﻟﻘُﺮﺑﻰٰ
ﻭَﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﻭَﺍﻟﻤَﺴٰﻜﻴﻦِ ﻭَﺍﺑﻦِ
ﺍﻟﺴَّﺒﻴﻞِ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺀﺍﻣَﻨﺘُﻢ
ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣﺎ ﺃَﻧﺰَﻟﻨﺎ ﻋَﻠﻰٰ ﻋَﺒﺪِﻧﺎ
ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﻔُﺮﻗﺎﻥِ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﺘَﻘَﻰ
ﺍﻟﺠَﻤﻌﺎﻥِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ
ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[41] আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন
বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা
গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল
আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর
নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-
অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের
বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের
উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ
করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন
হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব
কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল।
[41] And know that whatever of war-
booty that you may gain, verily one-fifth
(1/5th) of it is assigned to Allâh, and to
the Messenger, and to the near relatives
[of the Messenger (Muhammad SAW)],
(and also) the orphans, Al-Masâkin (the
poor) and the wayfarer, if you have
believed in Allâh and in that which We
sent down to Our slave (Muhammad
SAW) on the Day of criterion (between
right and wrong), the Day when the two
forces met (the battle of Badr) – and
Allâh is Able to do all things.
[42] ﺇِﺫ ﺃَﻧﺘُﻢ ﺑِﺎﻟﻌُﺪﻭَﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ
ﻭَﻫُﻢ ﺑِﺎﻟﻌُﺪﻭَﺓِ ﺍﻟﻘُﺼﻮﻯٰ
ﻭَﺍﻟﺮَّﻛﺐُ ﺃَﺳﻔَﻞَ ﻣِﻨﻜُﻢ ۚ ﻭَﻟَﻮ
ﺗَﻮﺍﻋَﺪﺗُﻢ ﻟَﺎﺧﺘَﻠَﻔﺘُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻟﻤﻴﻌٰﺪِ ۙ ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻟِﻴَﻘﻀِﻰَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺃَﻣﺮًﺍ ﻛﺎﻥَ ﻣَﻔﻌﻮﻟًﺎ ﻟِﻴَﻬﻠِﻚَ ﻣَﻦ
ﻫَﻠَﻚَ ﻋَﻦ ﺑَﻴِّﻨَﺔٍ ﻭَﻳَﺤﻴﻰٰ ﻣَﻦ
ﺣَﻰَّ ﻋَﻦ ﺑَﻴِّﻨَﺔٍ ۗ ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻟَﺴَﻤﻴﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[42] আর যখন তোমরা ছিলে সমরাঙ্গনের এ
প্রান্তে আর তারা ছিল সে প্রান্তে অথচ
কাফেলা তোমাদের থেকে নীচে
নেমে গিয়েছিল। এমতাবস্থায় যদি তোমরা
পারস্পরিক অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে, তবে
তোমরা এক সঙ্গে সে ওয়াদা পালন করতে
পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা এমন এক কাজ
করতে চেয়েছিলেন, যা নির্ধারিত হয়ে
গিয়েছিল যাতে সে সব লোক নিহত হওয়ার
ছিল, প্রমাণ প্রতিষ্ঠার পর এবং যাদের বাঁচার ছিল,
তারা বেঁচে থাকে প্রমাণ প্রতিষ্ঠার পর। আর
নিশ্চিতই আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ।
[42] (And remember) when you (the
Muslim army) were on the near side of
the valley, and they on the farther side,
and the caravan on the ground lower
than you. Even if you had made a mutual
appointment to meet, you would
certainly have failed in the appointment,
but (you met) that Allâh might
accomplish a matter already ordained
(in His Knowledge); so that those who
were to be destroyed (for their rejecting
the Faith) might be destroyed after a
clear evidence, and those who were to
live (i.e. believers) might live after a
clear evidence. And surely, Allâh is All-
Hearer, All-Knower.
[43] ﺇِﺫ ﻳُﺮﻳﻜَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻰ
ﻣَﻨﺎﻣِﻚَ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ ۖ ﻭَﻟَﻮ ﺃَﺭﻯٰﻜَﻬُﻢ
ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻟَﻔَﺸِﻠﺘُﻢ ﻭَﻟَﺘَﻨٰﺰَﻋﺘُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﻣﺮِ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﻠَّﻢَ ۗ ﺇِﻧَّﻪُ
ﻋَﻠﻴﻢٌ ﺑِﺬﺍﺕِ ﺍﻟﺼُّﺪﻭﺭِ
[43] আল্লাহ যখন তোমাকে স্বপ্নে সেসব
কাফেরের পরিমাণ অল্প করে দেখালেন;
বেশী করে দেখালে তোমরা কাপুরুষতা
অবলম্বন করতে এবং কাজের বেলায় বিপদ
সৃষ্টি করতে। কিন্তু আল্লাহ বাঁচিয়ে
দিয়েছেন। তিনি অতি উত্তমভাবেই জানেন; যা
কিছু অন্তরে রয়েছে।
[43] (And remember) when Allâh showed
them to you as few in your (i.e.
Muhammad’s SAW) dream, if He had
shown them to you as many, you would
surely have been discouraged, and you
would surely have disputed in making a
decision. But Allâh saved (you).
Certainly, He is the All-Knower of what
is in the breasts.
[44] ﻭَﺇِﺫ ﻳُﺮﻳﻜُﻤﻮﻫُﻢ ﺇِﺫِ
ﺍﻟﺘَﻘَﻴﺘُﻢ ﻓﻰ ﺃَﻋﻴُﻨِﻜُﻢ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
ﻭَﻳُﻘَﻠِّﻠُﻜُﻢ ﻓﻰ ﺃَﻋﻴُﻨِﻬِﻢ
ﻟِﻴَﻘﻀِﻰَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻣﺮًﺍ ﻛﺎﻥَ
ﻣَﻔﻌﻮﻟًﺎ ۗ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗُﺮﺟَﻊُ
ﺍﻷُﻣﻮﺭُ
[44] আর যখন তোমাদেরকে দেখালেন
সে সৈন্যদল মোকাবেলার সময় তোমাদের
চোখে অল্প এবং তোমাদেরকে
দেখালেন তাদের চোখে বেশী, যাতে
আল্লাহ সে কাজ করে নিতে পারেন যা ছিল
নির্ধারিত। আর সব কাজই আল্লাহর নিকট গিয়ে
পৌছায়।
[44] And (remember) when you met (the
army of the disbelievers on the Day of
the battle of Badr), He showed them to
you as few in your eyes and He made
you appear as few in their eyes, so that
Allâh might accomplish a matter already
ordained (in His Knowledge), and to
Allâh return all matters (for decision).
[45] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺇِﺫﺍ
ﻟَﻘﻴﺘُﻢ ﻓِﺌَﺔً ﻓَﺎﺛﺒُﺘﻮﺍ ﻭَﺍﺫﻛُﺮُﻭﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗُﻔﻠِﺤﻮﻥَ
[45] হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন
বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ়
থাক এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর
যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে
পার।
[45] O you who believe! When you meet
(an enemy) force, take a firm stand
against them and remember the Name of
Allâh much (both with tongue and mind),
so that you may be successful.
[46] ﻭَﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ
ﻭَﻻ ﺗَﻨٰﺰَﻋﻮﺍ ﻓَﺘَﻔﺸَﻠﻮﺍ ﻭَﺗَﺬﻫَﺐَ
ﺭﻳﺤُﻜُﻢ ۖ ﻭَﺍﺻﺒِﺮﻭﺍ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼّٰﺒِﺮﻳﻦَ
[46] আর আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ মান্য কর
এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে
বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি তা কর, তবে তোমরা
কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব
চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তা`আলা রয়েছেন
ধৈর্য্যশীলদের সাথে।
[46] And obey Allâh and His Messenger,
and do not dispute (with one another)
lest you lose courage and your strength
departs, and be patient. Surely, Allâh is
with those who are As-Sâbirûn (the
patient).
[47] ﻭَﻻ ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﻛَﺎﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺧَﺮَﺟﻮﺍ ﻣِﻦ ﺩِﻳٰﺮِﻫِﻢ ﺑَﻄَﺮًﺍ
ﻭَﺭِﺋﺎﺀَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻭَﻳَﺼُﺪّﻭﻥَ ﻋَﻦ
ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤﺎ
ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﻣُﺤﻴﻂٌ
[47] আর তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা
বেরিয়েছে নিজেদের অবস্থান থেকে
গর্বিতভাবে এবং লোকদেরকে দেখাবার
উদ্দেশে। আর আল্লাহর পথে তারা বাধা দান
করত। বস্তুতঃ আল্লাহর আয়ত্বে রয়েছে
সে সমস্ত বিষয় যা তারা করে।
[47] And be not like those who come out
of their homes boastfully and to be seen
of men, and hinder (men) from the Path
of Allâh. and Allâh is Muhîtun
(encircling and thoroughly
comprehending) all that they do.
[48] ﻭَﺇِﺫ ﺯَﻳَّﻦَ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ
ﺃَﻋﻤٰﻠَﻬُﻢ ﻭَﻗﺎﻝَ ﻻ ﻏﺎﻟِﺐَ ﻟَﻜُﻢُ
ﺍﻟﻴَﻮﻡَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻭَﺇِﻧّﻰ ﺟﺎﺭٌ
ﻟَﻜُﻢ ۖ ﻓَﻠَﻤّﺎ ﺗَﺮﺍﺀَﺕِ ﺍﻟﻔِﺌَﺘﺎﻥِ
ﻧَﻜَﺺَ ﻋَﻠﻰٰ ﻋَﻘِﺒَﻴﻪِ ﻭَﻗﺎﻝَ ﺇِﻧّﻰ
ﺑَﺮﻱﺀٌ ﻣِﻨﻜُﻢ ﺇِﻧّﻰ ﺃَﺭﻯٰ ﻣﺎ ﻻ
ﺗَﺮَﻭﻥَ ﺇِﻧّﻰ ﺃَﺧﺎﻑُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺷَﺪﻳﺪُ ﺍﻟﻌِﻘﺎﺏِ
[48] আর যখন সুদৃশ্য করে দিল শয়তান তাদের
দৃষ্টিতে তাদের কার্যকলাপকে এবং বলল
যে, আজকের দিনে কোন মানুষই
তোমাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না
আর আমি হলাম তোমাদের সমর্থক, অতঃপর
যখন সামনাসামনী হল উভয় বাহিনী তখন সে
অতি দ্রুত পায়ে পেছনে দিকে পালিয়ে
গেল এবং বলল, আমি তোমাদের সাথে না-
আমি দেখছি, যা তোমরা দেখছ না; আমি ভয় করি
আল্লাহকে। আর আল্লাহর আযাব অত্যন্ত
কঠিন।
[48] And (remember) when Shaitân
(Satan) made their (evil) deeds seem fair
to them and said, “No one of mankind
can overcome you this Day (of the battle
of Badr) and verily, I am your neighbour
(for each and every help).” But when the
two forces came in sight of each other,
he ran away and said “Verily, I have
nothing to do with you. Verily! I see
what you see not. Verily! I fear Allâh for
Allâh is Severe in punishment.”
[49] ﺇِﺫ ﻳَﻘﻮﻝُ ﺍﻟﻤُﻨٰﻔِﻘﻮﻥَ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ﻣَﺮَﺽٌ
ﻏَﺮَّ ﻫٰﺆُﻻﺀِ ﺩﻳﻨُﻬُﻢ ۗ ﻭَﻣَﻦ
ﻳَﺘَﻮَﻛَّﻞ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺣَﻜﻴﻢٌ
[49] যখন মোনাফেকরা বলতে লাগল এবং
যাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত, এরা নিজেদের
ধর্মের উপর গর্বিত। বস্তুতঃ যারা ভরসা করে
আল্লাহর উপর, সে নিশ্চিন্ত, কেননা আল্লাহ
অতি পরাক্রমশীল, সুবিজ্ঞ।
[49] When the hypocrites and those in
whose hearts was a disease (of disbelief)
said: “These people (Muslims) are
deceived by their religion.” But whoever
puts his trust in Allâh, then surely, Allâh
is All-Mighty, All-Wise
[50] ﻭَﻟَﻮ ﺗَﺮﻯٰ ﺇِﺫ ﻳَﺘَﻮَﻓَّﻰ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ۙ ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ
ﻳَﻀﺮِﺑﻮﻥَ ﻭُﺟﻮﻫَﻬُﻢ ﻭَﺃَﺩﺑٰﺮَﻫُﻢ
ﻭَﺫﻭﻗﻮﺍ ﻋَﺬﺍﺏَ ﺍﻟﺤَﺮﻳﻖِ
[50] আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা
কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে,
তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর
বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর।
[50] And if you could see when the
angels take away the souls of those who
disbelieve (at death), they smite their
faces and their backs, (saying): “Taste
the punishment of the blazing Fire.”
[51] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﻤﺎ ﻗَﺪَّﻣَﺖ ﺃَﻳﺪﻳﻜُﻢ
ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻴﺲَ ﺑِﻈَﻠّٰﻢٍ ﻟِﻠﻌَﺒﻴﺪِ
[51] এই হলো সে সবের বিনিময় যা তোমরা
তোমাদের পূর্বে পাঠিয়েছ নিজের হাতে।
বস্তুতঃ এটি এ জন্য যে, আল্লাহ বান্দার উপর
যুলুম করেন না।
[51] “This is because of that which your
hands had forwarded. And verily, Allâh
is not unjust to His slaves.”
[52] ﻛَﺪَﺃﺏِ ﺀﺍﻝِ ﻓِﺮﻋَﻮﻥَ ۙ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻬِﻢ ۚ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺄَﺧَﺬَﻫُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑِﺬُﻧﻮﺑِﻬِﻢ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻗَﻮِﻯٌّ
ﺷَﺪﻳﺪُ ﺍﻟﻌِﻘﺎﺏِ
[52] যেমন, রীতি রয়েছে ফেরাউনের
অনুসারীদের এবং তাদের পূর্বে যারা ছিল
তাদের ব্যাপারে যে, এরা আল্লাহর
নির্দেশের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন
করেছে এবং সেজন্য আল্লাহ তা’আলা
তাদের পাকড়াও করেছেন তাদেরই পাপের
দরুন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তিশালী,
কঠিন শাস্তিদাতা।
[52] Similar to the behaviour of the
people of Fir’aun (Pharaoh), and of those
before them; they rejected the Ayât
(proofs, verses, etc.) of Allâh, so Allâh
punished them for their sins. Verily,
Allâh is All-Strong, Severe in
punishment.
[53] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻢ ﻳَﻚُ
ﻣُﻐَﻴِّﺮًﺍ ﻧِﻌﻤَﺔً ﺃَﻧﻌَﻤَﻬﺎ ﻋَﻠﻰٰ ﻗَﻮﻡٍ
ﺣَﺘّﻰٰ ﻳُﻐَﻴِّﺮﻭﺍ ﻣﺎ ﺑِﺄَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ۙ
ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﻤﻴﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[53] তার কারণ এই যে, আল্লাহ কখনও
পরিবর্তন করেন না, সে সব নেয়ামত, যা তিনি
কোন জাতিকে দান করেছিলেন, যতক্ষণ না
সে জাতি নিজেই পরিবর্তিত করে দেয়
নিজের জন্য নির্ধারিত বিষয়। বস্তুতঃ আল্লাহ
শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।
[53] That is so because Allâh will never
change a grace which He has bestowed
on a people until they change what is in
their ownselves. And verily, Allâh is All-
Hearer, All-Knower.
[54] ﻛَﺪَﺃﺏِ ﺀﺍﻝِ ﻓِﺮﻋَﻮﻥَ ۙ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻬِﻢ ۚ ﻛَﺬَّﺑﻮﺍ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻓَﺄَﻫﻠَﻜﻨٰﻬُﻢ
ﺑِﺬُﻧﻮﺑِﻬِﻢ ﻭَﺃَﻏﺮَﻗﻨﺎ ﺀﺍﻝَ
ﻓِﺮﻋَﻮﻥَ ۚ ﻭَﻛُﻞٌّ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻇٰﻠِﻤﻴﻦَ
[54] যেমন ছিল রীতি ফেরাউনের বংশধর
এবং যারা তাদের পূর্বে ছিল, তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন
করেছিল স্বীয় পালনকর্তার
নিদর্শনসমূহকে। অতঃপর আমি তাদেরকে
ধ্বংস করে দিয়েছি তাদের পাপের দরুন এবং
ডুবিয়ে মেরেছি ফেরাউনের
বংশধরদেরকে। বস্তুতঃ এরা সবাই ছিল যালেম।
[54] Similar to the behaviour of the
people of Fir’aun (Pharaoh), and those
before them. They belied the Ayât
(proofs, evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.), of their Lord, so We
destroyed them for their sins, and We
drowned the people of Fir’aun (Pharaoh)
for they were all Zâlimûn (polytheists
and wrong-doers).
[55] ﺇِﻥَّ ﺷَﺮَّ ﺍﻟﺪَّﻭﺍﺏِّ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻓَﻬُﻢ ﻻ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[55] সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট
তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী
হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।
[55] Verily, The worst of moving (living)
creatures before Allâh are those who
disbelieve, – so they shall not believe.
[56] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻋٰﻬَﺪﺕَ ﻣِﻨﻬُﻢ ﺛُﻢَّ
ﻳَﻨﻘُﻀﻮﻥَ ﻋَﻬﺪَﻫُﻢ ﻓﻰ ﻛُﻞِّ
ﻣَﺮَّﺓٍ ﻭَﻫُﻢ ﻻ ﻳَﺘَّﻘﻮﻥَ
[56] যাদের সাথে তুমি চুক্তি করেছ তাদের
মধ্য থেকে অতঃপর প্রতিবার তারা নিজেদের
কৃতচুক্তি লংঘন করে এবং ভয় করে না।
[56] They are those with whom you made
a covenant, but they break their
covenant every time and they do not
fear Allâh.
[57] ﻓَﺈِﻣّﺎ ﺗَﺜﻘَﻔَﻨَّﻬُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺤَﺮﺏِ ﻓَﺸَﺮِّﺩ ﺑِﻬِﻢ ﻣَﻦ
ﺧَﻠﻔَﻬُﻢ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢ ﻳَﺬَّﻛَّﺮﻭﻥَ
[57] সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে
পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও,
যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে
যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়।
[57] So if you gain the mastery over them
in war, punish them severely in order to
disperse those who are behind them, so
that they may learn a lesson.
[58] ﻭَﺇِﻣّﺎ ﺗَﺨﺎﻓَﻦَّ ﻣِﻦ ﻗَﻮﻡٍ
ﺧِﻴﺎﻧَﺔً ﻓَﺎﻧﺒِﺬ ﺇِﻟَﻴﻬِﻢ ﻋَﻠﻰٰ
ﺳَﻮﺍﺀٍ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳُﺤِﺐُّ
ﺍﻟﺨﺎﺋِﻨﻴﻦَ
[58] তবে কোন সম্প্রদায়ের ধোঁকা দেয়ার
ব্যাপারে যদি তোমাদের ভয় থাকে, তবে
তাদের চুক্তি তাদের দিকেই ছুঁড়ে ফেলে
দাও এমনভাবে যেন হয়ে যাও তোমরাও তারা
সমান। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে
পছন্দ করেন না।
[58] If you (O Muhammad SAW) fear
treachery from any people throw back
(their covenant) to them (so as to be) on
equal terms (that there will be no more
covenant between you and them).
Certainly Allâh likes not the treacherous.
[59] ﻭَﻻ ﻳَﺤﺴَﺒَﻦَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﺳَﺒَﻘﻮﺍ ۚ ﺇِﻧَّﻬُﻢ ﻻ ﻳُﻌﺠِﺰﻭﻥَ
[59] আর কাফেররা যেন একা যা মনে না
করে যে, তারা বেঁচে গেছে; কখনও এরা
আমাকে পরিশ্রান্ত করতে পারবে না।
[59] And let not those who disbelieve
think that they can outstrip (escape from
the punishment). Verily, they will never
be able to save themselves (from Allâh’s
Punishment).
[60] ﻭَﺃَﻋِﺪّﻭﺍ ﻟَﻬُﻢ ﻣَﺎ ﺍﺳﺘَﻄَﻌﺘُﻢ
ﻣِﻦ ﻗُﻮَّﺓٍ ﻭَﻣِﻦ ﺭِﺑﺎﻁِ ﺍﻟﺨَﻴﻞِ
ﺗُﺮﻫِﺒﻮﻥَ ﺑِﻪِ ﻋَﺪُﻭَّ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻋَﺪُﻭَّﻛُﻢ ﻭَﺀﺍﺧَﺮﻳﻦَ ﻣِﻦ
ﺩﻭﻧِﻬِﻢ ﻻ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻧَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻳَﻌﻠَﻤُﻬُﻢ ۚ ﻭَﻣﺎ ﺗُﻨﻔِﻘﻮﺍ ﻣِﻦ
ﺷَﻲﺀٍ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳُﻮَﻑَّ
ﺇِﻟَﻴﻜُﻢ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﻻ ﺗُﻈﻠَﻤﻮﻥَ
[60] আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের
জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি
সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া
থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর
শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের
উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর
ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ
তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা
ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা
পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের
কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।
[60] And make ready against them all
you can of power, including steeds of
war (tanks, planes, missiles, artillery) to
threaten the enemy of Allâh and your
enemy, and others besides whom, you
may not know but whom Allâh does
know. And whatever you shall spend in
the Cause of Allâh shall be repaid unto
you, and you shall not be treated
unjustly.
[61] ۞ ﻭَﺇِﻥ ﺟَﻨَﺤﻮﺍ ﻟِﻠﺴَّﻠﻢِ
ﻓَﺎﺟﻨَﺢ ﻟَﻬﺎ ﻭَﺗَﻮَﻛَّﻞ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ
ﺇِﻧَّﻪُ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤﻴﻊُ ﺍﻟﻌَﻠﻴﻢُ
[61] আর যদি তারা সন্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ
করে, তাহলে তুমিও সে দিকেই আগ্রহী
হও এবং আল্লাহর উপর ভরসা কর। নিঃসন্দেহে
তিনি শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত।
[61] But if they incline to peace, you also
incline to it, and (put your) trust in
Allâh. Verily, He is the All-Hearer, the
All-Knower.
[62] ﻭَﺇِﻥ ﻳُﺮﻳﺪﻭﺍ ﺃَﻥ ﻳَﺨﺪَﻋﻮﻙَ
ﻓَﺈِﻥَّ ﺣَﺴﺒَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬﻯ
ﺃَﻳَّﺪَﻙَ ﺑِﻨَﺼﺮِﻩِ ﻭَﺑِﺎﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[62] পক্ষান্তরে তারা যদি তোমাকে প্রতারণা
করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই
যথেষ্ট, তিনিই তোমাকে শক্তি যুগিয়েছেন
স্বীয় সাহায্যে ও মুসলমানদের মাধ্যমে।
[62] And if they intend to deceive you,
then verily, Allâh is All-Sufficient for
you. He it is Who has supported you with
His Help and with the believers.
[63] ﻭَﺃَﻟَّﻒَ ﺑَﻴﻦَ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ۚ ﻟَﻮ
ﺃَﻧﻔَﻘﺖَ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ
ﻣﺎ ﺃَﻟَّﻔﺖَ ﺑَﻴﻦَ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺃَﻟَّﻒَ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻋَﺰﻳﺰٌ
ﺣَﻜﻴﻢٌ
[63] আর প্রীতি সঞ্চার করেছেন তাদের
অন্তরে। যদি তুমি সেসব কিছু ব্যয় করে
ফেলতে, যা কিছু যমীনের বুকে
রয়েছে, তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার
করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তাদের
মনে প্রীতি সঞ্চার করেছেন।
নিঃসন্দেহে তিনি পরাক্রমশালী,
সুকৌশলী।
[63] And He has united their (i.e.
believers’) hearts. If you had spent all
that is in the earth, you could not have
united their hearts, but Allâh has united
them. Certainly He is All-Mighty, All-
Wise.
[64] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺣَﺴﺒُﻚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭَﻣَﻦِ ﺍﺗَّﺒَﻌَﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[64] হে নবী, আপনার জন্য এবং যেসব
মুসলমান আপনার সাথে রয়েছে তাদের সবার
জন্য আল্লাহ যথেষ্ট।
[64] O Prophet (Muhammad SAW)! Allâh
is Sufficient for you and for the believers
who follow you.
[65] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺣَﺮِّﺽِ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻘِﺘﺎﻝِ ۚ ﺇِﻥ
ﻳَﻜُﻦ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻋِﺸﺮﻭﻥَ ﺻٰﺒِﺮﻭﻥَ
ﻳَﻐﻠِﺒﻮﺍ ﻣِﺎ۟ﺋَﺘَﻴﻦِ ۚ ﻭَﺇِﻥ ﻳَﻜُﻦ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣِﺎ۟ﺋَﺔٌ ﻳَﻐﻠِﺒﻮﺍ ﺃَﻟﻔًﺎ ﻣِﻦَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢ ﻗَﻮﻡٌ ﻻ
ﻳَﻔﻘَﻬﻮﻥَ
[65] হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে
উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের
মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে
জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি
তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে
জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে
তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন।
[65] O Prophet (Muhammad SAW)! Urge
the believers to fight. If there are twenty
steadfast persons amongst you, they will
overcome two hundred, and if there be a
hundred steadfast persons they will
overcome a thousand of those who
disbelieve, because they (the
disbelievers) are people who do not
understand.
[66] ﺍﻟـٰٔﻦَ ﺧَﻔَّﻒَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨﻜُﻢ
ﻭَﻋَﻠِﻢَ ﺃَﻥَّ ﻓﻴﻜُﻢ ﺿَﻌﻔًﺎ ۚ ﻓَﺈِﻥ
ﻳَﻜُﻦ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣِﺎ۟ﺋَﺔٌ ﺻﺎﺑِﺮَﺓٌ
ﻳَﻐﻠِﺒﻮﺍ ﻣِﺎ۟ﺋَﺘَﻴﻦِ ۚ ﻭَﺇِﻥ ﻳَﻜُﻦ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﺃَﻟﻒٌ ﻳَﻐﻠِﺒﻮﺍ ﺃَﻟﻔَﻴﻦِ
ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼّٰﺒِﺮﻳﻦَ
[66] এখন বোঝা হালকা করে দিয়েছেন
আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর এবং তিনি
জেনে নিয়েছেন যে, তোমাদের মধ্য
দূর্বলতা রয়েছে। কাজেই তোমাদের
মধ্যে যদি দৃঢ়চিত্ত একশ লোক বিদ্যমান
থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর উপর। আর
যদি তোমরা এক হাজার হও তবে আল্লাহর হুকুম
অনুযায়ী জয়ী হবে দু’হাজারের উপর আর
আল্লাহ রয়েছেন দৃঢ়চিত্ত লোকদের
সাথে।
[66] Now Allâh has lightened your (task),
for He knows that there is weakness in
you. So if there are of you a hundred
steadfast persons, they shall overcome
two hundreds, and if there are a
thousand of you, they shall overcome two
thousand with the Leave of Allâh. And
Allâh is with As-Sâbirûn (the patient).
[67] ﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻟِﻨَﺒِﻰٍّ ﺃَﻥ ﻳَﻜﻮﻥَ ﻟَﻪُ
ﺃَﺳﺮﻯٰ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳُﺜﺨِﻦَ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﺗُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﻋَﺮَﺽَ
ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓَ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺣَﻜﻴﻢٌ
[67] নবীর পক্ষে উচিত নয় বন্দীদিগকে
নিজের কাছে রাখা, যতক্ষণ না দেশময় প্রচুর
রক্তপাত ঘটাবে। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা
কর, অথচ আল্লাহ চান আখেরাত। আর আল্লাহ
হচ্ছেন পরাক্রমশালী হেকমতওয়ালা।
[67] It is not for a Prophet that he should
have prisoners of war (and free them
with ransom) until he had made a great
slaughter (among his enemies) in the
land. You desire the good of this world
(i.e. the money of ransom for freeing the
captives), but Allâh desires (for you) the
Hereafter. And Allâh is All-Mighty, All-
Wise.
[68] ﻟَﻮﻻ ﻛِﺘٰﺐٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺳَﺒَﻖَ
ﻟَﻤَﺴَّﻜُﻢ ﻓﻴﻤﺎ ﺃَﺧَﺬﺗُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ
ﻋَﻈﻴﻢٌ
[68] যদি একটি বিষয় না হত যা পূর্ব থেকেই
আল্লাহ লিখে রেখেছেন, তাহলে তোমরা
যা গ্রহণ করছ সেজন্য বিরাট আযাব এসে
পৌছাত।
[68] Were it not a previous ordainment
from Allâh, a severe torment would have
touched you for what you took.
[69] ﻓَﻜُﻠﻮﺍ ﻣِﻤّﺎ ﻏَﻨِﻤﺘُﻢ ﺣَﻠٰﻠًﺎ
ﻃَﻴِّﺒًﺎ ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[69] সুতরাং তোমরা খাও গনীমত হিসাবে
তোমরা যে পরিচ্ছন্ন ও হালাল বস্তু অর্জন
করেছ তা থেকে। আর আল্লাহকে ভয়
করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল,
মেহেরবান।
[69] So enjoy what you have gotten of
booty in war, lawful and good, and be
afraid of Allâh. Certainly, Allâh is Oft-
Forgiving, Most Merciful.
[70] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﻗُﻞ ﻟِﻤَﻦ ﻓﻰ
ﺃَﻳﺪﻳﻜُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻷَﺳﺮﻯٰ ﺇِﻥ ﻳَﻌﻠَﻢِ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻜُﻢ ﺧَﻴﺮًﺍ
ﻳُﺆﺗِﻜُﻢ ﺧَﻴﺮًﺍ ﻣِﻤّﺎ ﺃُﺧِﺬَ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﻭَﻳَﻐﻔِﺮ ﻟَﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔﻮﺭٌ
ﺭَﺣﻴﻢٌ
[70] হে নবী, তাদেরকে বলে দাও, যারা
তোমার হাতে বন্দী হয়ে আছে যে,
আল্লাহ যদি তোমাদের অন্তরে কোন রকম
মঙ্গলচিন্তা রয়েছে বলে জানেন, তবে
তোমাদেরকে তার চেয়ে বহুগুণ বেশী
দান করবেন যা তোমাদের কাছ থেকে
বিনিময়ে নেয়া হয়েছে। তাছাড়া
তোমাদেরকে তিনি ক্ষমা করে দিবেন।
বস্তুতঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।
[70] O Prophet! (Muhammad SAW)Say to
the captives that are in your hands: “If
Allâh knows any good in your hearts, He
will give you something better than what
has been taken from you, and He will
forgive you, and Allâh is Oft-Forgiving,
Most Merciful.”
[71] ﻭَﺇِﻥ ﻳُﺮﻳﺪﻭﺍ ﺧِﻴﺎﻧَﺘَﻚَ
ﻓَﻘَﺪ ﺧﺎﻧُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ
ﻓَﺄَﻣﻜَﻦَ ﻣِﻨﻬُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻢٌ
ﺣَﻜﻴﻢٌ
[71] আর যদি তারা তোমার সাথে প্রতারণা
করতে চায়-বস্তুতঃ তারা আল্লাহর সাথেও
ইতিপূর্বে প্রতারণা করেছে, অতঃপর তিনি
তাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ
সর্ববিষয়ে পরিজ্ঞাত, সুকৌশলী।
[71] But if they intend to betray you (O
Muhammad SAW), they indeed betrayed
Allâh before. So He gave (you) power
over them. And Allâh is All-Knower, All-
Wise
[72] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻭَﻫﺎﺟَﺮﻭﺍ ﻭَﺟٰﻬَﺪﻭﺍ ﺑِﺄَﻣﻮٰﻟِﻬِﻢ
ﻭَﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻭَﻭﺍ ﻭَﻧَﺼَﺮﻭﺍ
ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺑَﻌﻀُﻬُﻢ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀُ ﺑَﻌﺾٍ ۚ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻟَﻢ ﻳُﻬﺎﺟِﺮﻭﺍ
ﻣﺎ ﻟَﻜُﻢ ﻣِﻦ ﻭَﻟٰﻴَﺘِﻬِﻢ ﻣِﻦ
ﺷَﻲﺀٍ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳُﻬﺎﺟِﺮﻭﺍ ۚ ﻭَﺇِﻥِ
ﺍﺳﺘَﻨﺼَﺮﻭﻛُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪّﻳﻦِ
ﻓَﻌَﻠَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﻨَّﺼﺮُ ﺇِﻟّﺎ ﻋَﻠﻰٰ ﻗَﻮﻡٍ
ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﻭَﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﻣﻴﺜٰﻖٌ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺑَﺼﻴﺮٌ
[72] এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যারা
ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে,
স্বীয় জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর রাহে
জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে
আশ্রয় ও সাহায্য সহায়তা দিয়েছে, তারা একে
অপরের সহায়ক। আর যারা ঈমান এনেছে
কিন্তু দেশ ত্যাগ করেনি তাদের বন্ধুত্বে
তোমাদের প্রয়োজন নেই যতক্ষণ না তারা
দেশত্যাগ করে। অবশ্য যদি তারা ধর্মীয়
ব্যাপারে তোমাদের সহায়তা কামনা করে,
তবে তাদের সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য।
কিন্তু তোমাদের সাথে যাদের সহযোগী
চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে, তাদের মোকাবেলায়
নয়। বস্তুতঃ তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ
সেসবই দেখেন।
[72] Verily, those who believed, and
emigrated and strove hard and fought
with their property and their lives in the
Cause of Allâh as well as those who gave
(them) asylum and help, – these are (all)
allies to one another. And as to those
who believed but did not emigrate (to
you O Muhammad SAW), you owe no
duty of protection to them until they
emigrate, but if they seek your help in
religion, it is your duty to help them
except against a people with whom you
have a treaty of mutual alliance, and
Allâh is the All-Seer of what you do.
[73] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺑَﻌﻀُﻬُﻢ
ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀُ ﺑَﻌﺾٍ ۚ ﺇِﻟّﺎ ﺗَﻔﻌَﻠﻮﻩُ
ﺗَﻜُﻦ ﻓِﺘﻨَﺔٌ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﻭَﻓَﺴﺎﺩٌ ﻛَﺒﻴﺮٌ
[73] আর যারা কাফের তারা পারস্পরিক
সহযোগী, বন্ধু। তোমরা যদি এমন ব্যবস্থা না
কর, তবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বিস্তার লাভ করবে এবং
দেশময় বড়ই অকল্যাণ হবে।
[73] And those who disbelieve are allies
of one another, (and) if you (Muslims of
the whole world collectively) do not do so
[i.e. become allies, as one united block
under one Khalifah (a chief Muslim ruler
for the whole Muslim world) to make
victorious Allâh’s religion of Islâmic
Monotheism], there will be Fitnah (wars,
battles, polytheism) and oppression on
the earth, and a great mischief and
corruption (appearance of polytheism).
[74] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻫﺎﺟَﺮﻭﺍ
ﻭَﺟٰﻬَﺪﻭﺍ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻭَﻭﺍ ﻭَﻧَﺼَﺮﻭﺍ
ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺣَﻘًّﺎ ۚ
ﻟَﻬُﻢ ﻣَﻐﻔِﺮَﺓٌ ﻭَﺭِﺯﻕٌ ﻛَﺮﻳﻢٌ
[74] আর যারা ঈমান এনেছে, নিজেদের
ঘর-বাড়ী ছেড়েছে এবং আল্লাহর রাহে
জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে
আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য-সহায়তা করেছে,
তাঁরা হলো সত্যিকার মুসলমান। তাঁদের জন্যে
রয়েছে, ক্ষমা ও সম্মানজনক রুযী।
[74] And those who believed, and
emigrated and strove hard in the Cause
of Allâh (Al-Jihâd), as well as those who
gave (them) asylum and aid; – these are
the believers in truth, for them is
forgiveness and Rizqun Karîm (a
generous provision i.e. Paradise).
[75] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪُ
ﻭَﻫﺎﺟَﺮﻭﺍ ﻭَﺟٰﻬَﺪﻭﺍ ﻣَﻌَﻜُﻢ
ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻣِﻨﻜُﻢ ۚ ﻭَﺃُﻭﻟُﻮﺍ
ﺍﻷَﺭﺣﺎﻡِ ﺑَﻌﻀُﻬُﻢ ﺃَﻭﻟﻰٰ
ﺑِﺒَﻌﺾٍ ﻓﻰ ﻛِﺘٰﺐِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[75] আর যারা ঈমান এনেছে পরবর্তী
পর্যায়ে এবং ঘর-বাড়ী ছেড়েছে এবং
তোমাদের সাথে সম্মিলিত হয়ে জেহাদ
করেছে, তারাও তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
বস্তুতঃ যারা আত্নীয়, আল্লাহর বিধান মতে তারা
পরস্পর বেশী হকদার। নিশ্চয়ই আল্লাহ
যাবতীয় বিষয়ে সক্ষম ও অবগত।
[75] And those who believed afterwards,
and emigrated and strove hard along
with you, (in the Cause of Allâh) they are
of you. But kindred by blood are nearer
to one another (regarding inheritance)
in the decree ordained by Allâh. Verily,
Allâh is the All-Knower of everything.
Bangla translation of Quran. Developed
by Syed Mohammad RaselSurah Al Anfal Recitation: Sa’ad Al Ghamdi 1. আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে, গনীমতের হুকুম। বলে দিন, গণীমতের মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক। 2. যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে। 3. সে সমস্ত লোক যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। 4. তারাই হল সত্যিকার ঈমানদার! তাদের জন্য রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক রুযী। 5. যেমন করে তোমাকে তোমার পরওয়ারদেগার ঘর থেকে বের করেছেন ন্যায় ও সৎকাজের জন্য, অথচ ঈমানদারদের একটি দল (তাতে) সম্মত ছিল না। 6. তারা তোমার সাথে বিবাদ করছিল সত্য ও ন্যায় বিষয়ে, তা প্রকাশিত হবার পর; তারা যেন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে দেখতে দেখতে। 7. আর যখন আল্লাহ দু’টি দলের একটির ব্যাপারে তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছিলেন যে, সেটি তোমাদের হস্তগত হবে, আর তোমরা কামনা করছিলে যাতে কোন রকম কন্টক নেই, তাই তোমাদের ভাগে আসুক; অথচ আল্লাহ চাইতেন সত্যকে স্বীয় কালামের মাধ্যমে সত্যে পরিণত করতে এবং কাফেরদের মূল কর্তন করে দিতে, 8. যাতে করে সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে দেন, যদিও পাপীরা অসন্তুষ্ট হয়। 9. তোমরা যখন ফরিয়াদ করতে আরম্ভ করেছিলে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট, তখন তিনি তোমাদের ফরিয়াদের মঞ্জুরী দান করলেন যে, আমি তোমাদিগকে সাহায্য করব ধারাবহিকভাবে আগত হাজার ফেরেশতার মাধ্যমে। 10. আর আল্লাহ তো শুধু সুসংবাদ দান করলেন যাতে তোমাদের মন আশ্বস্ত হতে পারে। আর সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হতে পারে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তির অধিকারী হেকমত ওয়ালা। 11. যখন তিনি আরোপ করেন তোমাদের উপর তন্দ্রাচ্ছন্ন তা নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের প্রশান্তির জন্য এবং তোমাদের উপর আকাশ থেকে পানি অবতরণ করেন, যাতে তোমাদিগকে পবিত্র করে দেন এবং যাতে তোমাদের থেকে অপসারিত করে দেন শয়তানের অপবিত্রতা। আর যাতে করে সুরক্ষিত করে দিতে পারেন তোমাদের অন্তরসমূহকে এবং তাতে যেন সুদৃঢ় করে দিতে পারেন তোমাদের পা গুলো। 12. যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। 13. যেহেতু তারা অবাধ্য হয়েছে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য এই নির্দেশ। বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। 14. আপাততঃ বর্তমান এ শাস্তি তোমরা আস্বাদন করে নাও এবং জেনে রাখ যে, কাফেরদের জন্য রয়েছে দোযখের আযাব। 15. হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না। 16. আর যে লোক সেদিন তাদের থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তনকল্পে কিংবা যে নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে আসে সে ব্যতীত অন্যরা আল্লাহর গযব সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার ঠিকানা হল জাহান্নাম। বস্তুতঃ সেটা হল নিকৃষ্ট অবস্থান। 17. সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত। 18. এটাতো গেল, আর জেনে রেখো, আল্লাহ নস্যাৎ করে দেবেন কাফেরদের সমস্ত কলা-কৌশল। 19. তোমরা যদি মীমাংসা কামনা কর, তাহলে তোমাদের নিকট মীমাংসা পৌছে গেছে। আর যদি তোমরা প্রত্যাবর্তন কর, তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা যদি তাই কর, তবে আমি ও তেমনি করব। বস্তুতঃ তোমাদের কোনই কাজে আসবে না তোমাদের দল-বল, তা যত বেশীই হোক। জেনে রেখ আল্লাহ রয়েছেন ঈমানদারদের সাথে। 20. হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না। 21. আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা বলে যে, আমরা শুনেছি, অথচ তারা শোনেনা। 22. নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না। 23. বস্তুতঃ আল্লাহ যদি তাদের মধ্যে কিছুমাত্র শুভ চিন্তা জানতেন, তবে তাদেরকে শুনিয়ে দিতেন। আর এখনই যদি তাদের শুনিয়ে দেন, তবে তারা মুখ ঘুরিয়ে পালিয়ে যাবে। 24. হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে। 25. আর তোমরা এমন ফাসাদ থেকে বেঁচে থাক যা বিশেষতঃ শুধু তাদের উপর পতিত হবে না যারা তোমাদের মধ্যে জালেম এবং জেনে রেখ যে, আল্লাহর আযাব অত্যন্ত কঠোর। 26. আর স্মরণ কর, যখন তোমরা ছিলে অল্প, পরাজিত অবস্থায় পড়েছিলে দেশে; ভীত-সস্ত্রস্ত্র ছিলে যে, তোমাদের না অন্যেরা ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। অতঃপর তিনি তোমাদিগকে আশ্রয়ের ঠিকানা দিয়েছেন, স্বীয় সাহায্যের দ্বারা তোমাদিগকে শক্তি দান করেছেন এবং পরিচ্ছন্ন জীবিকা দিয়েছেন যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় কর। 27. হে ঈমানদারগণ, খেয়ানত করোনা আল্লাহর সাথে ও রসূলের সাথে এবং খেয়ানত করো না নিজেদের পারস্পরিক আমানতে জেনে-শুনে। 28. আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অকল্যাণের সম্মুখীনকারী। বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট রয়েছে মহা সওয়াব। 29. হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করতে থাক, তবে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের থেকে তোমাদের পাপকে সরিয়ে দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান। 30. আর কাফেরেরা যখন প্রতারণা করত আপনাকে বন্দী অথবা হত্যা করার উদ্দেশ্যে কিংবা আপনাকে বের করে দেয়ার জন্য তখন তারা যেমন ছলনা করত তেমনি, আল্লাহও ছলনা করতেন। বস্তুতঃ আল্লাহর ছলনা সবচেয়ে উত্তম। 31. আর কেউ যখন তাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে তবে বলে, আমরা শুনেছি, ইচ্ছা করলে আমরাও এমন বলতে পারি; এ তো পূর্ববর্তী ইতিকথা ছাড়া আর কিছুই নয়। 32. তাছাড়া তারা যখন বলতে আরম্ভ করে যে, ইয়া আল্লাহ, এই যদি তোমার পক্ষ থেকে (আগত) সত্য দ্বীন হয়ে থাকে, তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণ কর কিংবা আমাদের উপর বেদনাদায়ক আযাব নাযিল কর। 33. অথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না। 34. আর তাদের মধ্যে এমন কি বিষয় রয়েছে, যার ফলে আল্লাহ তাদের উপর আযাব দান করবেন না। অথচ তারা মসজিদে-হারামে যেতে বাধাদান করে, অথচ তাদের সে অধিকার নেই। এর অধিকার তো তাদেরই রয়েছে যারা পরহেযগার। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সে বিষয়ে অবহিত নয়। 35. আর কা’বার নিকট তাদের নামায বলতে শিস দেয়া আর তালি বাজানো ছাড়া অন্য কোন কিছুই ছিল না। অতএব, এবার নিজেদের কৃত কুফরীর আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর। 36. নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুতঃ এখন তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের তাদেরকে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। 37. যাতে পৃথক করে দেন আল্লাহ অপবিত্র ও না- পাককে পবিত্র ও পাক থেকে। আর যাতে একটির পর একটিকে স্থাপন করে সমবেত স্তুপে পরিণত করেন এবং পরে দোযখে নিক্ষেপ করেন। এরাই হল ক্ষতিগ্রস্ত। 38. তুমি বলে দাও, কাফেরদেরকে যে, তারা যদি বিরত হয়ে যায়, তবে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা হবে যাবে। পক্ষান্তরে আবারও যদি তাই করে, তবে পুর্ববর্তীদের পথ নির্ধারিত হয়ে গেছে। 39. আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন। 40. আর তারা যদি না মানে, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ তোমাদের সমর্থক; এবং কতই না চমৎকার সাহায্যকারী। 41. আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। 42. আর যখন তোমরা ছিলে সমরাঙ্গনের এ প্রান্তে আর তারা ছিল সে প্রান্তে অথচ কাফেলা তোমাদের থেকে নীচে নেমে গিয়েছিল। এমতাবস্থায় যদি তোমরা পারস্পরিক অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে, তবে তোমরা এক সঙ্গে সে ওয়াদা পালন করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা এমন এক কাজ করতে চেয়েছিলেন, যা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল যাতে সে সব লোক নিহত হওয়ার ছিল, প্রমাণ প্রতিষ্ঠার পর এবং যাদের বাঁচার ছিল, তারা বেঁচে থাকে প্রমাণ প্রতিষ্ঠার পর। আর নিশ্চিতই আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। 43. আল্লাহ যখন তোমাকে স্বপ্নে সেসব কাফেরের পরিমাণ অল্প করে দেখালেন; বেশী করে দেখালে তোমরা কাপুরুষতা অবলম্বন করতে এবং কাজের বেলায় বিপদ সৃষ্টি করতে। কিন্তু আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তিনি অতি উত্তমভাবেই জানেন; যা কিছু অন্তরে রয়েছে। 44. আর যখন তোমাদেরকে দেখালেন সে সৈন্যদল মোকাবেলার সময় তোমাদের চোখে অল্প এবং তোমাদেরকে দেখালেন তাদের চোখে বেশী, যাতে আল্লাহ সে কাজ করে নিতে পারেন যা ছিল নির্ধারিত। আর সব কাজই আল্লাহর নিকট গিয়ে পৌছায়। 45. হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাক এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পার। 46. আর আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে। 47. আর তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বেরিয়েছে নিজেদের অবস্থান থেকে গর্বিতভাবে এবং লোকদেরকে দেখাবার উদ্দেশে। আর আল্লাহর পথে তারা বাধা দান করত। বস্তুতঃ আল্লাহর আয়ত্বে রয়েছে সে সমস্ত বিষয় যা তারা করে। 48. আর যখন সুদৃশ্য করে দিল শয়তান তাদের দৃষ্টিতে তাদের কার্যকলাপকে এবং বলল যে, আজকের দিনে কোন মানুষই তোমাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না আর আমি হলাম তোমাদের সমর্থক, অতঃপর যখন সামনাসামনী হল উভয় বাহিনী তখন সে অতি দ্রুত পায়ে পেছনে দিকে পালিয়ে গেল এবং বলল, আমি তোমাদের সাথে না- আমি দেখছি, যা তোমরা দেখছ না; আমি ভয় করি আল্লাহকে। আর আল্লাহর আযাব অত্যন্ত কঠিন। 49. যখন মোনাফেকরা বলতে লাগল এবং যাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত, এরা নিজেদের ধর্মের উপর গর্বিত। বস্তুতঃ যারা ভরসা করে আল্লাহর উপর, সে নিশ্চিন্ত, কেননা আল্লাহ অতি পরাক্রমশীল, সুবিজ্ঞ। 50. আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর। 51. এই হলো সে সবের বিনিময় যা তোমরা তোমাদের পূর্বে পাঠিয়েছ নিজের হাতে। বস্তুতঃ এটি এ জন্য যে, আল্লাহ বান্দার উপর যুলুম করেন না। 52. যেমন, রীতি রয়েছে ফেরাউনের অনুসারীদের এবং তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের ব্যাপারে যে, এরা আল্লাহর নির্দেশের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং সেজন্য আল্লাহ তা’আলা তাদের পাকড়াও করেছেন তাদেরই পাপের দরুন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তিশালী, কঠিন শাস্তিদাতা। 53. তার কারণ এই যে, আল্লাহ কখনও পরিবর্তন করেন না, সে সব নেয়ামত, যা তিনি কোন জাতিকে দান করেছিলেন, যতক্ষণ না সে জাতি নিজেই পরিবর্তিত করে দেয় নিজের জন্য নির্ধারিত বিষয়। বস্তুতঃ আল্লাহ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। 54. যেমন ছিল রীতি ফেরাউনের বংশধর এবং যারা তাদের পূর্বে ছিল, তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল স্বীয় পালনকর্তার নিদর্শনসমূহকে। অতঃপর আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি তাদের পাপের দরুন এবং ডুবিয়ে মেরেছি ফেরাউনের বংশধরদেরকে। বস্তুতঃ এরা সবাই ছিল যালেম। 55. সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি। 56. যাদের সাথে তুমি চুক্তি করেছ তাদের মধ্য থেকে অতঃপর প্রতিবার তারা নিজেদের কৃতচুক্তি লংঘন করে এবং ভয় করে না। 57. সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়। 58. তবে কোন সম্প্রদায়ের ধোঁকা দেয়ার ব্যাপারে যদি তোমাদের ভয় থাকে, তবে তাদের চুক্তি তাদের দিকেই ছুঁড়ে ফেলে দাও এমনভাবে যেন হয়ে যাও তোমরাও তারা সমান। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। 59. আর কাফেররা যেন একা যা মনে না করে যে, তারা বেঁচে গেছে; কখনও এরা আমাকে পরিশ্রান্ত করতে পারবে না। 60. আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না। 61. আর যদি তারা সন্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তুমিও সে দিকেই আগ্রহী হও এবং আল্লাহর উপর ভরসা কর। নিঃসন্দেহে তিনি শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত। 62. পক্ষান্তরে তারা যদি তোমাকে প্রতারণা করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই তোমাকে শক্তি যুগিয়েছেন স্বীয় সাহায্যে ও মুসলমানদের মাধ্যমে। 63. আর প্রীতি সঞ্চার করেছেন তাদের অন্তরে। যদি তুমি সেসব কিছু ব্যয় করে ফেলতে, যা কিছু যমীনের বুকে রয়েছে, তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তাদের মনে প্রীতি সঞ্চার করেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি পরাক্রমশালী, সুকৌশলী। 64. হে নবী, আপনার জন্য এবং যেসব মুসলমান আপনার সাথে রয়েছে তাদের সবার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট। 65. হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। 66. এখন বোঝা হালকা করে দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর এবং তিনি জেনে নিয়েছেন যে, তোমাদের মধ্য দূর্বলতা রয়েছে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যদি দৃঢ়চিত্ত একশ লোক বিদ্যমান থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর উপর। আর যদি তোমরা এক হাজার হও তবে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী জয়ী হবে দু’হাজারের উপর আর আল্লাহ রয়েছেন দৃঢ়চিত্ত লোকদের সাথে। 67. নবীর পক্ষে উচিত নয় বন্দীদিগকে নিজের কাছে রাখা, যতক্ষণ না দেশময় প্রচুর রক্তপাত ঘটাবে। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর, অথচ আল্লাহ চান আখেরাত। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশালী হেকমতওয়ালা। 68. যদি একটি বিষয় না হত যা পূর্ব থেকেই আল্লাহ লিখে রেখেছেন, তাহলে তোমরা যা গ্রহণ করছ সেজন্য বিরাট আযাব এসে পৌছাত। 69. সুতরাং তোমরা খাও গনীমত হিসাবে তোমরা যে পরিচ্ছন্ন ও হালাল বস্তু অর্জন করেছ তা থেকে। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, মেহেরবান। 70. হে নবী, তাদেরকে বলে দাও, যারা তোমার হাতে বন্দী হয়ে আছে যে, আল্লাহ যদি তোমাদের অন্তরে কোন রকম মঙ্গলচিন্তা রয়েছে বলে জানেন, তবে তোমাদেরকে তার চেয়ে বহুগুণ বেশী দান করবেন যা তোমাদের কাছ থেকে বিনিময়ে নেয়া হয়েছে। তাছাড়া তোমাদেরকে তিনি ক্ষমা করে দিবেন। বস্তুতঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। 71. আর যদি তারা তোমার সাথে প্রতারণা করতে চায়-বস্তুতঃ তারা আল্লাহর সাথেও ইতিপূর্বে প্রতারণা করেছে, অতঃপর তিনি তাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে পরিজ্ঞাত, সুকৌশলী। 72. এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে, স্বীয় জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর রাহে জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় ও সাহায্য সহায়তা দিয়েছে, তারা একে অপরের সহায়ক। আর যারা ঈমান এনেছে কিন্তু দেশ ত্যাগ করেনি তাদের বন্ধুত্বে তোমাদের প্রয়োজন নেই যতক্ষণ না তারা দেশত্যাগ করে। অবশ্য যদি তারা ধর্মীয় ব্যাপারে তোমাদের সহায়তা কামনা করে, তবে তাদের সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য। কিন্তু তোমাদের সাথে যাদের সহযোগী চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে, তাদের মোকাবেলায় নয়। বস্তুতঃ তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ সেসবই দেখেন। 73. আর যারা কাফের তারা পারস্পরিক সহযোগী, বন্ধু। তোমরা যদি এমন ব্যবস্থা না কর, তবে দাঙ্গা- হাঙ্গামা বিস্তার লাভ করবে এবং দেশময় বড়ই অকল্যাণ হবে। 74. আর যারা ঈমান এনেছে, নিজেদের ঘর-বাড়ী ছেড়েছে এবং আল্লাহর রাহে জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য- সহায়তা করেছে, তাঁরা হলো সত্যিকার মুসলমান। তাঁদের জন্যে রয়েছে, ক্ষমা ও সম্মানজনক রুযী। 75. আর যারা ঈমান এনেছে পরবর্তী পর্যায়ে এবং ঘর- বাড়ী ছেড়েছে এবং তোমাদের সাথে সম্মিলিত হয়ে জেহাদ করেছে, তারাও তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত। বস্তুতঃ যারা আত্নীয়, আল্লাহর বিধান মতে তারা পরস্পর বেশী হকদার। নিশ্চয়ই আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ে সক্ষম ও অবগত। 

No comments:

Post a Comment

Translate