Sunday, November 15, 2020

10. সুরা ইউনূস (01- 109)

 

10. সুরা ইউনূস (01- 109)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﺍﻟﺮ ۚ ﺗِﻠﻚَ ﺀﺍﻳٰﺖُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﺍﻟﺤَﻜﻴﻢِ
[1] আলিফ-লাম-র, এগুলো হেকমতপূর্ণ
কিতাবের আয়াত।
[1] Alif-Lâm-Râ. [These letters are one of
the miracles of the Qur’ân, and none but
Allâh (Alone) knows their meanings].
These are the Verses of the Book (the
Qur’ân) Al-Hakîm.
[2] ﺃَﻛﺎﻥَ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻋَﺠَﺒًﺎ ﺃَﻥ
ﺃَﻭﺣَﻴﻨﺎ ﺇِﻟﻰٰ ﺭَﺟُﻞٍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﺃَﻥ
ﺃَﻧﺬِﺭِ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﻭَﺑَﺸِّﺮِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﻟَﻬُﻢ ﻗَﺪَﻡَ ﺻِﺪﻕٍ
ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ۗ ﻗﺎﻝَ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻭﻥَ ﺇِﻥَّ
ﻫٰﺬﺍ ﻟَﺴٰﺤِﺮٌ ﻣُﺒﻴﻦٌ
[2] মানুষের কাছে কি আশ্চর্য লাগছে যে,
আমি ওহী পাঠিয়েছি তাদেরই মধ্য থেকে
একজনের কাছে যেন তিনি মানুষকে সতর্ক
করেন এবং সুসংবাদ শুনিয়ে দেন
ঈমনাদারগণকে যে, তাঁদের জন্য সত্য মর্যাদা
রয়েছে তাঁদের পালনকর্তার কাছে।
কাফেররা বলতে লাগল, নিঃসন্দেহে এ
লোক প্রকাশ্য যাদুকর।
[2] Is it wonder for mankind that We
have sent Our Revelation to a man from
among themselves (i.e. Prophet
Muhammad SAW) (saying): “Warn
mankind (of the coming torment in Hell),
and give good news to those who believe
(in the Oneness of Allâh and in His
Prophet Muhammad SAW) that they shall
have with their Lord the rewards of
their good deeds?” (But) the disbelievers
say: “This is indeed an evident sorcerer
(i.e. Prophet Muhammad SAW and the
Qur’ân)!
[3] ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺧَﻠَﻖَ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽَ ﻓﻰ ﺳِﺘَّﺔِ
ﺃَﻳّﺎﻡٍ ﺛُﻢَّ ﺍﺳﺘَﻮﻯٰ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻌَﺮﺵِ ۖ
ﻳُﺪَﺑِّﺮُ ﺍﻷَﻣﺮَ ۖ ﻣﺎ ﻣِﻦ ﺷَﻔﻴﻊٍ ﺇِﻟّﺎ
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﺇِﺫﻧِﻪِ ۚ ﺫٰﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺭَﺑُّﻜُﻢ ﻓَﺎﻋﺒُﺪﻭﻩُ ۚ ﺃَﻓَﻼ
ﺗَﺬَﻛَّﺮﻭﻥَ
[3] নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি
তৈরী করেছেন আসমান ও যমীনকে ছয়
দিনে, অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত
হয়েছেন। তিনি কার্য পরিচালনা করেন। কেউ
সুপারিশ করতে পাবে না তবে তাঁর অনুমতি ছাড়া
ইনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। অতএব,
তোমরা তাঁরই এবাদত কর। তোমরা কি কিছুই চিন্তা
কর না ?
[3] Surely, your Lord is Allâh Who
created the heavens and the earth in six
Days and then rose over (Istawâ) the
Throne (really in a manner that suits His
Majesty), disposing the affair of all
things. No intercessor (can plead with
Him) except after His Leave. That is
Allâh, your Lord; so worship Him
(Alone). Then, will you not remember?
[4] ﺇِﻟَﻴﻪِ ﻣَﺮﺟِﻌُﻜُﻢ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ۖ
ﻭَﻋﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺣَﻘًّﺎ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻳَﺒﺪَﺅُﺍ۟
ﺍﻟﺨَﻠﻖَ ﺛُﻢَّ ﻳُﻌﻴﺪُﻩُ ﻟِﻴَﺠﺰِﻯَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﺑِﺎﻟﻘِﺴﻂِ ۚ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻟَﻬُﻢ ﺷَﺮﺍﺏٌ ﻣِﻦ ﺣَﻤﻴﻢٍ
ﻭَﻋَﺬﺍﺏٌ ﺃَﻟﻴﻢٌ ﺑِﻤﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻳَﻜﻔُﺮﻭﻥَ
[4] তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে
তোমাদের সবাইকে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য,
তিনিই সৃষ্টি করেন প্রথমবার আবার পুনর্বার
তৈরী করবেন তাদেরকে বদলা দেয়ার
জন্য যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ
করেছে ইনসাফের সাথে। আর যারা কাফের
হয়েছে, তাদের পান করতে হবে ফুটন্ত
পানি এবং ভোগ করতে হবে যন্ত্রনাদায়ক
আযাব এ জন্যে যে, তারা কুফরী করছিল।
[4] To Him is the return of all of you. The
Promise of Allâh is true. It is He Who
begins the creation and then will repeat
it, that He may reward with justice those
who believed (in the Oneness of Allâh –
Islâmic Monotheism) and did deeds of
righteousness. But those who disbelieved
will have a drink of boiling fluids and
painful torment because they used to
disbelieve.
[5] ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺟَﻌَﻞَ ﺍﻟﺸَّﻤﺲَ
ﺿِﻴﺎﺀً ﻭَﺍﻟﻘَﻤَﺮَ ﻧﻮﺭًﺍ ﻭَﻗَﺪَّﺭَﻩُ
ﻣَﻨﺎﺯِﻝَ ﻟِﺘَﻌﻠَﻤﻮﺍ ﻋَﺪَﺩَ ﺍﻟﺴِّﻨﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﺤِﺴﺎﺏَ ۚ ﻣﺎ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺫٰﻟِﻚَ
ﺇِﻟّﺎ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ۚ ﻳُﻔَﺼِّﻞُ ﺍﻝﺀﺍﻳٰﺖِ
ﻟِﻘَﻮﻡٍ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[5] তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন
সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে
স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর
নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ,
যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর
সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু
এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার
সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে
সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে।
[5] It is He Who made the sun a shining
thing and the moon as a light and
measured out for it stages, that you might
know the number of years and the
reckoning. Allâh did not create this but
in truth. He explains the Ayât (proofs,
evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.) in detail for people who
have knowledge.
[6] ﺇِﻥَّ ﻓِﻰ ﺍﺧﺘِﻠٰﻒِ ﺍﻟَّﻴﻞِ
ﻭَﺍﻟﻨَّﻬﺎﺭِ ﻭَﻣﺎ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﻝَﺀﺍﻳٰﺖٍ
ﻟِﻘَﻮﻡٍ ﻳَﺘَّﻘﻮﻥَ
[6] নিশ্চয়ই রাত-দিনের পরিবর্তনের মাঝে
এবং যা কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও
যমীনে, সবই হল নিদর্শন সেসব
লোকের জন্য যারা ভয় করে।
[6] Verily, in the alternation of the night
and the day and in all that Allâh has
created in the heavens and the earth are
Ayât (proofs, evidences, verses, lessons,
signs, revelations, etc.) for those people
who keep their duty to Allâh, and fear
Him much.
[7] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻻ ﻳَﺮﺟﻮﻥَ
ﻟِﻘﺎﺀَﻧﺎ ﻭَﺭَﺿﻮﺍ ﺑِﺎﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ
ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻭَﺍﻃﻤَﺄَﻧّﻮﺍ ﺑِﻬﺎ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻫُﻢ ﻋَﻦ ﺀﺍﻳٰﺘِﻨﺎ ﻏٰﻔِﻠﻮﻥَ
[7] অবশ্যই যেসব লোক আমার সাক্ষাৎ
লাভের আশা রাখে না এবং পার্থিব জীবন
নিয়েই উৎফুল্ল রয়েছে, তাতেই প্রশান্তি
অনুভব করেছে এবং যারা আমার নির্দশনসমূহ
সম্পর্কে বেখবর।
[7] Verily, those who hope not for their
meeting with Us, but are pleased and
satisfied with the life of the present
world, and those who are heedless of Our
Ayât (proofs, evidences, verses, lessons,
signs, revelations, etc.),
[8] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻣَﺄﻭﻯٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻨّﺎﺭُ ﺑِﻤﺎ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻜﺴِﺒﻮﻥَ
[8] এমন লোকদের ঠিকানা হল আগুন
সেসবের বদলা হিসাবে যা তারা অর্জন
করছিল।
[8] Those, their abode will be the Fire,
because of what they used to earn.
[9] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﻳَﻬﺪﻳﻬِﻢ ﺭَﺑُّﻬُﻢ
ﺑِﺈﻳﻤٰﻨِﻬِﻢ ۖ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬِﻢُ
ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ﻓﻰ ﺟَﻨّٰﺖِ ﺍﻟﻨَّﻌﻴﻢِ
[9] অবশ্য যেসব লোক ঈমান এনেছে এবং
সৎকাজ করেছে, তাদেরকে হেদায়েত
দান করবেন তাদের পালনকর্তা, তাদের
ঈমানের মাধ্যমে। এমন সুসময় কানন-
কুঞ্জের প্রতি যার তলদেশে প্রবাহিত হয়
প্রস্রবণসমূহ।
[9] Verily, those who believe and do
deeds of righteousness, their Lord will
guide them through their Faith; under
them will flow rivers in the Gardens of
Delight (Paradise).
[10] ﺩَﻋﻮﻯٰﻬُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺳُﺒﺤٰﻨَﻚَ
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺗَﺤِﻴَّﺘُﻬُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺳَﻠٰﻢٌ ۚ
ﻭَﺀﺍﺧِﺮُ ﺩَﻋﻮﻯٰﻬُﻢ ﺃَﻥِ ﺍﻟﺤَﻤﺪُ
ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[10] সেখানে তাদের প্রার্থনা হল ‘পবিত্র
তোমার সত্তা হে আল্লাহ’। আর শুভেচ্ছা হল
সালাম আর তাদের প্রার্থনার সমাপ্তি হয়, ‘সমস্ত
প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর জন্য’ বলে।
[10] Their way of request therein will be
Subhânaka Allâhumma (Glory to You, O
Allâh!) and Salâm (peace, safety from
evil) will be their greetings therein
(Paradise)! and the close of their request
will be: Al-Hamdu Lillâhi Rabbil-‘Alamîn
[All the praises and thanks are to Allâh,
the Lord of ‘Alamîn (mankind, jinn and
all that exists)].
[11] ۞ ﻭَﻟَﻮ ﻳُﻌَﺠِّﻞُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﺍﻟﺸَّﺮَّ ﺍﺳﺘِﻌﺠﺎﻟَﻬُﻢ
ﺑِﺎﻟﺨَﻴﺮِ ﻟَﻘُﻀِﻰَ ﺇِﻟَﻴﻬِﻢ ﺃَﺟَﻠُﻬُﻢ ۖ
ﻓَﻨَﺬَﺭُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻻ ﻳَﺮﺟﻮﻥَ
ﻟِﻘﺎﺀَﻧﺎ ﻓﻰ ﻃُﻐﻴٰﻨِﻬِﻢ ﻳَﻌﻤَﻬﻮﻥَ
[11] আর যদি আল্লাহ তা’আলা মানুষকে
যথাশীঘ্র অকল্যাণ পৌঁছে দেন যতশীঘ্র
তার কামনা করে, তাহলে তাদের আশাই শেষ
করে দিতে হত। সুতরাং যাদের মনে আমার
সাক্ষাতের আশা নেই, আমি তাদেরকে
তাদের দুষ্টুমিতে ব্যতিব্যস্ত ছেড়ে দিয়ে
রাখি।
[11] And were Allâh to hasten for
mankind the evil (they invoke for
themselves and for their children, while
in a state of anger) as He hastens for
them the good (they invoke) then they
would have been ruined. So We leave
those who expect not their meeting with
Us, in their trespasses, wandering
blindly in distraction. (Tafsir At-Tabarî).
[12] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻣَﺲَّ ﺍﻹِﻧﺴٰﻦَ ﺍﻟﻀُّﺮُّ
ﺩَﻋﺎﻧﺎ ﻟِﺠَﻨﺒِﻪِ ﺃَﻭ ﻗﺎﻋِﺪًﺍ ﺃَﻭ
ﻗﺎﺋِﻤًﺎ ﻓَﻠَﻤّﺎ ﻛَﺸَﻔﻨﺎ ﻋَﻨﻪُ ﺿُﺮَّﻩُ
ﻣَﺮَّ ﻛَﺄَﻥ ﻟَﻢ ﻳَﺪﻋُﻨﺎ ﺇِﻟﻰٰ ﺿُﺮٍّ
ﻣَﺴَّﻪُ ۚ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﺯُﻳِّﻦَ ﻟِﻠﻤُﺴﺮِﻓﻴﻦَ
ﻣﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[12] আর যখন মানুষ কষ্টের সম্মুখীন হয়,
শুয়ে বসে, দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে
থাকে। তারপর আমি যখন তা থেকে মুক্ত
করে দেই, সে কষ্ট যখন চলে যায় তখন
মনে হয় কখনো কোন কষ্টেরই সম্মুখীন
হয়ে যেন আমাকে ডাকেইনি। এমনিভাবে
মনঃপুত হয়েছে নির্ভয় লোকদের যা তারা
করেছে।
[12] And when harm touches man, he
invokes Us, lying down on his side, or
sitting or standing. But when We have
removed his harm from him, he passes
on as if he had never invoked Us for a
harm that touched him! Thus it is made
fair-seeming to the Musrifûn that which
they used to do.
[13] ﻭَﻟَﻘَﺪ ﺃَﻫﻠَﻜﻨَﺎ ﺍﻟﻘُﺮﻭﻥَ ﻣِﻦ
ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ ﻟَﻤّﺎ ﻇَﻠَﻤﻮﺍ ۙ ﻭَﺟﺎﺀَﺗﻬُﻢ
ﺭُﺳُﻠُﻬُﻢ ﺑِﺎﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖِ ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻟِﻴُﺆﻣِﻨﻮﺍ ۚ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻧَﺠﺰِﻯ ﺍﻟﻘَﻮﻡَ
ﺍﻟﻤُﺠﺮِﻣﻴﻦَ
[13] অবশ্য তোমাদের পূর্বে বহু দলকে
ধ্বংস করে দিয়েছি, তখন তারা জালেম হয়ে
গেছে। অথচ রসূল তাদের কাছেও এসব
বিষয়ের প্রকৃষ্ট নির্দেশ নিয়ে
এসেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তারা ঈমান আনল
না। এমনিভাবে আমি শাস্তি দিয়ে থাকি পাপি
সম্প্রদায়কে।
[13] And indeed, We destroyed
generations before you, when they did
wrong while their Messengers came to
them with clear proofs, but they were
not such as to believe! Thus do We
requite the people who are Mujrimûn
(disbelievers, polytheists, sinners,
criminals).
[14] ﺛُﻢَّ ﺟَﻌَﻠﻨٰﻜُﻢ ﺧَﻠٰﺌِﻒَ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِﻫِﻢ ﻟِﻨَﻨﻈُﺮَ
ﻛَﻴﻒَ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[14] অতঃপর আমি তোমাদেরকে যমীনে
তাদের পর প্রতিনিধি বানিয়েছি যাতে দেখতে
পারি তোমরা কি কর।
[14] Then We made you successors after
them, generations after generations in
the land, that We might see how you
would work.
[15] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺗُﺘﻠﻰٰ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺀﺍﻳﺎﺗُﻨﺎ
ﺑَﻴِّﻨٰﺖٍ ۙ ﻗﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻻ ﻳَﺮﺟﻮﻥَ
ﻟِﻘﺎﺀَﻧَﺎ ﺍﺋﺖِ ﺑِﻘُﺮﺀﺍﻥٍ ﻏَﻴﺮِ ﻫٰﺬﺍ
ﺃَﻭ ﺑَﺪِّﻟﻪُ ۚ ﻗُﻞ ﻣﺎ ﻳَﻜﻮﻥُ ﻟﻰ ﺃَﻥ
ﺃُﺑَﺪِّﻟَﻪُ ﻣِﻦ ﺗِﻠﻘﺎﺉِ ﻧَﻔﺴﻰ ۖ ﺇِﻥ
ﺃَﺗَّﺒِﻊُ ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ ﻳﻮﺣﻰٰ ﺇِﻟَﻰَّ ۖ ﺇِﻧّﻰ
ﺃَﺧﺎﻑُ ﺇِﻥ ﻋَﺼَﻴﺖُ ﺭَﺑّﻰ
ﻋَﺬﺍﺏَ ﻳَﻮﻡٍ ﻋَﻈﻴﻢٍ
[15] আর যখন তাদের কাছে আমার প্রকৃষ্ট
আয়াত সমূহ পাঠ করা হয়, তখন সে সমস্ত
লোক বলে, যাদের আশা নেই আমার
সাক্ষাতের, নিয়ে এসো কোন কোরআন এটি
ছাড়া, অথবা একে পরিবর্তিত করে দাও। তাহলে
বলে দাও, একে নিজের পক্ষ থেকে
পরিবর্তিত করা আমার কাজ নয়। আমি সে
নির্দেশেরই আনুগত্য করি, যা আমার কাছে
আসে। আমি যদি স্বীয় পরওয়ারদেগারের
নাফরমানী করি, তবে কঠিন দিবসের
আযাবের ভয় করি।
[15] And when Our Clear Verses are
recited unto them, those who hope not
for their meeting with Us, say: Bring us a
Qur’ân other than this, or change it.”Say
(O Muhammad SAW): “It is not for me to
change it on my own accord; I only
follow that which is revealed unto me.
Verily, I fear the torment of the Great
Day (i.e. the Day of Resurrection). if I
were to disobey my Lord.”
[16] ﻗُﻞ ﻟَﻮ ﺷﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣﺎ ﺗَﻠَﻮﺗُﻪُ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻭَﻻ ﺃَﺩﺭﻯٰﻜُﻢ ﺑِﻪِ ۖ ﻓَﻘَﺪ
ﻟَﺒِﺜﺖُ ﻓﻴﻜُﻢ ﻋُﻤُﺮًﺍ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻪِ ۚ
ﺃَﻓَﻼ ﺗَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[16] বলে দাও, যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে
আমি এটি তোমাদের সামনে পড়তাম না, আর
নাইবা তিনি তোমাদেরেকে অবহিত করতেন এ
সম্পর্কে। কারণ আমি তোমাদের মাঝে
ইতিপূর্বেও একটা বয়স অতিবাহিত করেছি।
তারপরেও কি তোমরা চিন্তা করবে না?
[16] Say (O Muhammad SAW): “If Allâh
had so willed, I should not have recited it
to you nor would He have made it known
to you. Verily, I have stayed amongst you
a life time before this. Have you then no
sense?”
[17] ﻓَﻤَﻦ ﺃَﻇﻠَﻢُ ﻣِﻤَّﻦِ ﺍﻓﺘَﺮﻯٰ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛَﺬِﺑًﺎ ﺃَﻭ ﻛَﺬَّﺏَ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺘِﻪِ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻻ ﻳُﻔﻠِﺢُ
ﺍﻟﻤُﺠﺮِﻣﻮﻥَ
[17] অতঃপর তার চেয়ে বড় জালেম, কে
হবে, যে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ
করেছে কিংবা তাঁর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে
অভিহিত করছে? কস্মিনকালেও পাপীদের
কোন কল্যাণ হয় না।
[17] So who does more wrong than he
who forges a lie against Allâh or denies
His Ayât (proofs, evidences, verses,
lessons, signs, revelations, etc.)? Surely,
the Mujrimûn (criminals, sinners,
disbelievers and polytheists) will never
be successful!
[18] ﻭَﻳَﻌﺒُﺪﻭﻥَ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻣﺎ ﻻ ﻳَﻀُﺮُّﻫُﻢ ﻭَﻻ ﻳَﻨﻔَﻌُﻬُﻢ
ﻭَﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻫٰﺆُﻻﺀِ ﺷُﻔَﻌٰﺆُﻧﺎ
ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻗُﻞ ﺃَﺗُﻨَﺒِّـٔﻮﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺑِﻤﺎ ﻻ ﻳَﻌﻠَﻢُ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻻ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﺳُﺒﺤٰﻨَﻪُ ﻭَﺗَﻌٰﻠﻰٰ
ﻋَﻤّﺎ ﻳُﺸﺮِﻛﻮﻥَ
[18] আর উপাসনা করে আল্লাহকে বাদ দিয়ে
এমন বস্তুর, যা না তাদের কোন ক্ষতিসাধন
করতে পারে, না লাভ এবং বলে, এরা তো
আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী। তুমি
বল, তোমরা কি আল্লাহকে এমন বিষয়ে
অবহিত করছ, যে সম্পর্কে তিনি অবহিত নন
আসমান ও যমীনের মাঝে ? তিনি পুতঃপবিত্র ও
মহান সে সমস্ত থেকে যাকে তোমরা
শরীক করছ।
[18] And they worship besides Allâh
things that hurt them not, nor profit
them, and they say: “These are our
intercessors with Allâh.” Say: “Do you
inform Allâh of that which He knows not
in the heavens and on the earth?”
Glorified and Exalted is He above all that
which they associate as partners (with
Him)!
[19] ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﺇِﻟّﺎ ﺃُﻣَّﺔً
ﻭٰﺣِﺪَﺓً ﻓَﺎﺧﺘَﻠَﻔﻮﺍ ۚ ﻭَﻟَﻮﻻ ﻛَﻠِﻤَﺔٌ
ﺳَﺒَﻘَﺖ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻚَ ﻟَﻘُﻀِﻰَ
ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﻓﻴﻤﺎ ﻓﻴﻪِ ﻳَﺨﺘَﻠِﻔﻮﻥَ
[19] আর সমস্ত মানুষ একই উম্মতভুক্ত ছিল,
পরে পৃথক হয়ে গেছে। আর একটি কথা যদি
তোমার পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে
পূর্ব নির্ধারিত না হয়ে যেত; তবে তারা যে
বিষয়ে বিরোধ করছে তার মীমাংসা হয়ে
যেত।
[19] Mankind were but one community
(i.e. on one religion – Islâmic
Monotheism), then they differed (later),
and had not it been for a Word that
went forth before from your Lord, it
would have been settled between them
regarding what they differed
[20] ﻭَﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻟَﻮﻻ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻴﻪِ
ﺀﺍﻳَﺔٌ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻪِ ۖ ﻓَﻘُﻞ ﺇِﻧَّﻤَﺎ
ﺍﻟﻐَﻴﺐُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻓَﺎﻧﺘَﻈِﺮﻭﺍ ﺇِﻧّﻰ
ﻣَﻌَﻜُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﻨﺘَﻈِﺮﻳﻦَ
[20] বস্তুতঃ তারা বলে, তাঁর কাছে তাঁর
পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে কোন
নির্দেশ এল না কেন? বলে দাও গায়েবের
কথা আল্লাহই জানেন। আমি ও তোমাদের
সাথে অপেক্ষায় রইলাম।
[20] And they say: “How is it that not a
sign is sent down on him from his
Lord?” Say: “The unseen belongs to Allâh
Alone, so wait you, verily I am with you
among those who wait (for Allâh’s
Judgement).”
[21] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺃَﺫَﻗﻨَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﺭَﺣﻤَﺔً
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﺿَﺮّﺍﺀَ ﻣَﺴَّﺘﻬُﻢ ﺇِﺫﺍ
ﻟَﻬُﻢ ﻣَﻜﺮٌ ﻓﻰ ﺀﺍﻳﺎﺗِﻨﺎ ۚ ﻗُﻞِ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺳﺮَﻉُ ﻣَﻜﺮًﺍ ۚ ﺇِﻥَّ ﺭُﺳُﻠَﻨﺎ
ﻳَﻜﺘُﺒﻮﻥَ ﻣﺎ ﺗَﻤﻜُﺮﻭﻥَ
[21] আর যখন আমি আস্বাদন করাই স্বীয়
রহমত সে কষ্টের পর, যা তাদের ভোগ
করতে হয়েছিল, তখনই তারা আমার শক্তিমত্তার
মাঝে নানা রকম ছলনা তৈরী করতে আরম্ভ
করবে। আপনি বলে দিন, আল্লাহ সবচেয়ে
দ্রুত কলা-কৌশল তৈরী করতে পারেন।
নিশ্চয়ই আমাদের ফেরেশতারা লিখে রাখে
তোমাদের ছল-চাতুরী।
[21] And when We let mankind taste
mercy after some adversity has afflicted
them, behold! they take to plotting
against Our Ayât (proofs, evidences,
verses, lessons, signs, revelations, etc.)!
Say: “Allâh is more Swift in planning!”
Certainly, Our Messengers (angels)
record all of that which you plot.
[22] ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻳُﺴَﻴِّﺮُﻛُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺒَﺮِّ ﻭَﺍﻟﺒَﺤﺮِ ۖ ﺣَﺘّﻰٰ ﺇِﺫﺍ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﻓِﻰ ﺍﻟﻔُﻠﻚِ ﻭَﺟَﺮَﻳﻦَ ﺑِﻬِﻢ ﺑِﺮﻳﺢٍ
ﻃَﻴِّﺒَﺔٍ ﻭَﻓَﺮِﺣﻮﺍ ﺑِﻬﺎ ﺟﺎﺀَﺗﻬﺎ
ﺭﻳﺢٌ ﻋﺎﺻِﻒٌ ﻭَﺟﺎﺀَﻫُﻢُ
ﺍﻟﻤَﻮﺝُ ﻣِﻦ ﻛُﻞِّ ﻣَﻜﺎﻥٍ ﻭَﻇَﻨّﻮﺍ
ﺃَﻧَّﻬُﻢ ﺃُﺣﻴﻂَ ﺑِﻬِﻢ ۙ ﺩَﻋَﻮُﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻣُﺨﻠِﺼﻴﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪّﻳﻦَ ﻟَﺌِﻦ
ﺃَﻧﺠَﻴﺘَﻨﺎ ﻣِﻦ ﻫٰﺬِﻩِ ﻟَﻨَﻜﻮﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺸّٰﻜِﺮﻳﻦَ
[22] তিনিই তোমাদের ভ্রমন করান স্থলে ও
সাগরে। এমনকি যখন তোমরা নৌকাসমূহে
আরোহণ করলে আর তা লোকজনকে
অনুকূল হাওয়ায় বয়ে নিয়ে চলল এবং তাতে তারা
আনন্দিত হল, নৌকাগুলোর উপর এল
তীব্র বাতাস, আর সর্বদিক থেকে
সেগুলোর উপর ঢেউ আসতে লাগল এবং তারা
জানতে পারল যে, তারা অবরুদ্ধ হয়ে
পড়েছে, তখন ডাকতে লাগল আল্লাহকে
তাঁর এবাদতে নিঃস্বার্থ হয়ে যদি তুমি
আমাদেরকে এ বিপদ থেকে উদ্ধার করে
তোল, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা কৃতজ্ঞ
থাকব।
[22] He it is Who enables you to travel
through land and sea, till when you are
in the ships and they sail with them with
a favourable wind, and they are glad
therein, then comes a stormy wind and
the waves come to them from all sides,
and they think that they are encircled
therein, Then they invoke Allâh, making
their Faith pure for Him Alone, (saying):
“If You (Allâh) deliver us from this, we
shall truly be of the grateful.”
[23] ﻓَﻠَﻤّﺎ ﺃَﻧﺠﻯٰﻬُﻢ ﺇِﺫﺍ ﻫُﻢ
ﻳَﺒﻐﻮﻥَ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﺑِﻐَﻴﺮِ
ﺍﻟﺤَﻖِّ ۗ ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﺇِﻧَّﻤﺎ
ﺑَﻐﻴُﻜُﻢ ﻋَﻠﻰٰ ﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻢ ۖ ﻣَﺘٰﻊَ
ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ۖ ﺛُﻢَّ ﺇِﻟَﻴﻨﺎ
ﻣَﺮﺟِﻌُﻜُﻢ ﻓَﻨُﻨَﺒِّﺌُﻜُﻢ ﺑِﻤﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[23] তারপর যখন তাদেরকে আল্লাহ বাঁচিয়ে
দিলেন, তখনই তারা পৃথিবীতে অনাচার করতে
লাগল অন্যায় ভাবে। হে মানুষ! শোন,
তোমাদের অনাচার তোমাদেরই উপর পড়বে।
পার্থিব জীবনের সুফল ভোগ করে নাও-
অতঃপর আমার নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
তখন আমি বাতলে দেব, যা কিছু তোমরা
করতে।
[23] But when He deliveres them, behold!
they rebel (disobey Allâh) in the earth
wrongfully. O mankind! Your rebellion
(disobedience to Allâh) is only against
your ownselves, – a brief enjoyment of
this worldly life, then (in the end) unto
Us is your return, and We shall inform
you that which you used to do.
[24] ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻣَﺜَﻞُ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ
ﻛَﻤﺎﺀٍ ﺃَﻧﺰَﻟﻨٰﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ
ﻓَﺎﺧﺘَﻠَﻂَ ﺑِﻪِ ﻧَﺒﺎﺕُ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﻣِﻤّﺎ ﻳَﺄﻛُﻞُ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻭَﺍﻷَﻧﻌٰﻢُ
ﺣَﺘّﻰٰ ﺇِﺫﺍ ﺃَﺧَﺬَﺕِ ﺍﻷَﺭﺽُ
ﺯُﺧﺮُﻓَﻬﺎ ﻭَﺍﺯَّﻳَّﻨَﺖ ﻭَﻇَﻦَّ ﺃَﻫﻠُﻬﺎ
ﺃَﻧَّﻬُﻢ ﻗٰﺪِﺭﻭﻥَ ﻋَﻠَﻴﻬﺎ ﺃَﺗﻯٰﻬﺎ
ﺃَﻣﺮُﻧﺎ ﻟَﻴﻠًﺎ ﺃَﻭ ﻧَﻬﺎﺭًﺍ ﻓَﺠَﻌَﻠﻨٰﻬﺎ
ﺣَﺼﻴﺪًﺍ ﻛَﺄَﻥ ﻟَﻢ ﺗَﻐﻦَ
ﺑِﺎﻷَﻣﺲِ ۚ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻧُﻔَﺼِّﻞُ
ﺍﻝﺀﺍﻳٰﺖِ ﻟِﻘَﻮﻡٍ ﻳَﺘَﻔَﻜَّﺮﻭﻥَ
[24] পার্থিব জীবনের উদাহরণ তেমনি,
যেমনি আমি আসমান থেকে পানি বর্ষন
করলাম, পরে তা মিলিত সংমিশ্রিত হয়ে তা
থেকে যমীনের শ্যামল উদ্ভিদ বেরিয়ে
এল যা মানুষ ও জীব-জন্তুরা খেয়ে থাকে।
এমনকি যমীন যখন সৌন্দর্য সুষমায় ভরে
উঠলো আর যমীনের অধিকর্তারা ভাবতে
লাগল, এগুলো আমাদের হাতে আসবে, হঠাৎ
করে তার উপর আমার নির্দেশ এল রাত্রে
কিংবা দিনে, তখন সেগুলোকে কেটে
স্তুপাকার করে দিল যেন কাল ও এখানে
কোন আবাদ ছিল না। এমনিভাবে আমি খোলাখুলি
বর্ণনা করে থাকি নিদর্শণসমূহ সে সমস্ত
লোকদের জন্য যারা লক্ষ্য করে।
[24] Verily, the likeness of (this) worldly
life is as the water (rain) which We send
down from the sky, so by it arises the
intermingled produce of the earth of
which men and cattle eat until when the
earth is clad in its adornments and is
beautified, and its people think that they
have all the powers of disposal over it,
Our Command reaches it by night or by
day and We make it like a clean-mown
harvest, as if it had not flourished
yesterday! Thus do We explain the Ayât
(proofs, evidences, verses, lessons, signs,
revelations, laws, etc.) in detail for the
people who reflect.
[25] ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺪﻋﻮﺍ ﺇِﻟﻰٰ ﺩﺍﺭِ
ﺍﻟﺴَّﻠٰﻢِ ﻭَﻳَﻬﺪﻯ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ﺇِﻟﻰٰ
ﺻِﺮٰﻁٍ ﻣُﺴﺘَﻘﻴﻢٍ
[25] আর আল্লাহ শান্তি-নিরাপত্তার আলয়ের
প্রতি আহবান জানান এবং যাকে ইচ্ছা সরলপথ
প্রদর্শন করেন।
[25] Allâh calls to the Home of peace (i.e.
Paradise, by accepting Allâh’s religion of
Islâmic Monotheism and by doing
righteous good deeds and abstaining
from polytheism and evil deeds) and
guides whom He wills to a Straight Path.
[26] ۞ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﺃَﺣﺴَﻨُﻮﺍ
ﺍﻟﺤُﺴﻨﻰٰ ﻭَﺯِﻳﺎﺩَﺓٌ ۖ ﻭَﻻ ﻳَﺮﻫَﻖُ
ﻭُﺟﻮﻫَﻬُﻢ ﻗَﺘَﺮٌ ﻭَﻻ ﺫِﻟَّﺔٌ ۚ
ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺃَﺻﺤٰﺐُ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔِ ۖ ﻫُﻢ
ﻓﻴﻬﺎ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[26] যারা সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য
রয়েছে কল্যাণ এবং তারও চেয়ে বেশী।
আর তাদের মুখমন্ডলকে আবৃত করবে না
মলিনতা কিংবা অপমান। তারাই হল জান্নাতবাসী,
এতেই তারা বসবাস করতে থাকবে অনন্তকাল।
[26] For those who have done good is the
best (reward, i.e. Paradise) and even
more (i.e. having the honour of glancing
at the Countenance of Allâh swt) Neither
darkness nor dust nor any humiliating
disgrace shall cover their faces. They are
the dwellers of Paradise, they will abide
therein forever.
[27] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﺴَﺒُﻮﺍ ﺍﻟﺴَّﻴِّـٔﺎﺕِ
ﺟَﺰﺍﺀُ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺑِﻤِﺜﻠِﻬﺎ ﻭَﺗَﺮﻫَﻘُﻬُﻢ
ﺫِﻟَّﺔٌ ۖ ﻣﺎ ﻟَﻬُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦ
ﻋﺎﺻِﻢٍ ۖ ﻛَﺄَﻧَّﻤﺎ ﺃُﻏﺸِﻴَﺖ
ﻭُﺟﻮﻫُﻬُﻢ ﻗِﻄَﻌًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﻴﻞِ
ﻣُﻈﻠِﻤًﺎ ۚ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺃَﺻﺤٰﺐُ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ۖ
ﻫُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[27] আর যারা সঞ্চয় করেছে অকল্যাণ অসৎ
কর্মের বদলায় সে পরিমাণ অপমান তাদের
চেহারাকে আবৃত করে ফেলবে। কেউ
নেই তাদেরকে বাঁচাতে পারে আল্লাহর হাত
থেকে। তাদের মুখমন্ডল যেন ঢেকে
দেয়া হয়েছে আধাঁর রাতের টুকরো দিয়ে।
এরা হল দোযখবাসী। এরা এতেই থাকবে
অনন্তকাল।
[27] And those who have earned evil
deeds, the recompense of an evil deed is
the like thereof, and humiliating disgrace
will cover them (their faces). No
defender will they have from Allâh.
Their faces will be covered, as it were
with pieces from the darkness of night.
They are dwellers of the Fire, they will
abide therein forever.
[28] ﻭَﻳَﻮﻡَ ﻧَﺤﺸُﺮُﻫُﻢ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ
ﺛُﻢَّ ﻧَﻘﻮﻝُ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﺃَﺷﺮَﻛﻮﺍ
ﻣَﻜﺎﻧَﻜُﻢ ﺃَﻧﺘُﻢ ﻭَﺷُﺮَﻛﺎﺅُﻛُﻢ ۚ
ﻓَﺰَﻳَّﻠﻨﺎ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ۖ ﻭَﻗﺎﻝَ
ﺷُﺮَﻛﺎﺅُﻫُﻢ ﻣﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺇِﻳّﺎﻧﺎ
ﺗَﻌﺒُﺪﻭﻥَ
[28] আর যেদিন আমি তাদের সবাইকে
সমবেত করব; আর যারা শেরক করত
তাদেরকে বলবঃ তোমরা এবং তোমাদের
শরীকরা নিজ নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে যাও-অতঃপর
তাদেরকে পারস্পরিক বিচ্ছিন্ন করে দেব,
তখন তাদের শরীকরা বলবে, তোমরা তো
আমাদের উপাসনা-বন্দেগী করনি।
[28] And the Day whereon We shall
gather them all together, then We shall
say to those who did set partners in
worship with Us: “Stop at your place!
You and your partners (whom you had
worshipped in the worldly life).” then
We shall separate them, and their
(Allâh’s so-called) partners shall say: “It
was not us that you used to worship.”
[29] ﻓَﻜَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺷَﻬﻴﺪًﺍ ﺑَﻴﻨَﻨﺎ
ﻭَﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﺇِﻥ ﻛُﻨّﺎ ﻋَﻦ ﻋِﺒﺎﺩَﺗِﻜُﻢ
ﻟَﻐٰﻔِﻠﻴﻦَ
[29] বস্তুতঃ আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের
মাঝে সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট। আমরা
তোমাদের বন্দেগী সম্পর্কে জানতাম না।
[29] “So sufficient is Allâh for a witness
between us and you, that We indeed
knew nothing of your worship of us.”
[30] ﻫُﻨﺎﻟِﻚَ ﺗَﺒﻠﻮﺍ ﻛُﻞُّ ﻧَﻔﺲٍ ﻣﺎ
ﺃَﺳﻠَﻔَﺖ ۚ ﻭَﺭُﺩّﻭﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻣَﻮﻟﻯٰﻬُﻢُ ﺍﻟﺤَﻖِّ ۖ ﻭَﺿَﻞَّ ﻋَﻨﻬُﻢ
ﻣﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻔﺘَﺮﻭﻥَ
[30] সেখানে প্রত্যেকে যাচাই করে
নিতে পারবে যা কিছু সে ইতিপূর্বে করেছিল
এবং আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে যিনি
তাদের প্রকৃত মালিক, আর তাদের কাছ
থেকে দূরে যেতে থাকবে যারা মিথ্যা
বলত।
[30] There! Every person will know
(exactly) what he had earned before, and
they will be brought back to Allâh, their
rightful Maula (Lord), and their invented
false deities will vanish from them.
[31] ﻗُﻞ ﻣَﻦ ﻳَﺮﺯُﻗُﻜُﻢ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﺃَﻣَّﻦ ﻳَﻤﻠِﻚُ
ﺍﻟﺴَّﻤﻊَ ﻭَﺍﻷَﺑﺼٰﺮَ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺨﺮِﺝُ
ﺍﻟﺤَﻰَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤَﻴِّﺖِ ﻭَﻳُﺨﺮِﺝُ
ﺍﻟﻤَﻴِّﺖَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺤَﻰِّ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺪَﺑِّﺮُ
ﺍﻷَﻣﺮَ ۚ ﻓَﺴَﻴَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ ﻓَﻘُﻞ
ﺃَﻓَﻼ ﺗَﺘَّﻘﻮﻥَ
[31] তুমি জিজ্ঞেস কর, কে রুযী দান
করে তোমাদেরকে আসমান থেকে ও
যমীন থেকে, কিংবা কে তোমাদের কান ও
চোখের মালিক? তাছাড়া কে জীবিতকে
মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং
কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে
বের করেন? কে করেন কর্ম সম্পাদনের
ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ!
তখন তুমি বলো তারপরেও ভয় করছ না?
[31] Say (O Muhammad SAW): “Who
provides for you from the sky and the
earth? Or who owns hearing and sight?
And who brings out the living from the
dead and brings out the dead from the
living? And who disposes the affairs?”
They will say: “Allâh.” Say: “Will you not
then be afraid of Allâh’s Punishment (for
setting up rivals in worship with Allâh)?”
[32] ﻓَﺬٰﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺑُّﻜُﻢُ ﺍﻟﺤَﻖُّ ۖ
ﻓَﻤﺎﺫﺍ ﺑَﻌﺪَ ﺍﻟﺤَﻖِّ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻀَّﻠٰﻞُ ۖ
ﻓَﺄَﻧّﻰٰ ﺗُﺼﺮَﻓﻮﻥَ
[32] অতএব, এ আল্লাহই তোমাদের প্রকৃত
পালনকর্তা। আর সত্য প্রকাশের পরে
(উদভ্রান্ত ঘুরার মাঝে) কি রয়েছে
গোমরাহী ছাড়া? সুতরাং কোথায় ঘুরছ?
[32] Such is Allâh, your Lord in truth. So
after the truth, what else can there be,
save error? How then are you turned
away?
[33] ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﺣَﻘَّﺖ ﻛَﻠِﻤَﺖُ ﺭَﺑِّﻚَ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻓَﺴَﻘﻮﺍ ﺃَﻧَّﻬُﻢ ﻻ
ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[33] এমনিভাবে সপ্রমাণিত হয়ে গেছে
তোমার পরওয়ারদেগারের বাণী সেসব
নাফরমানের ব্যাপারে যে, এরা ঈমান আনবে
না।
[33] Thus is the Word of your Lord
justified against those who rebel (disobey
Allâh) that they will not believe (in the
Oneness of Allâh and in Muhammad
SAW as the Messenger of Allâh)
[34] ﻗُﻞ ﻫَﻞ ﻣِﻦ ﺷُﺮَﻛﺎﺋِﻜُﻢ ﻣَﻦ
ﻳَﺒﺪَﺅُﺍ۟ ﺍﻟﺨَﻠﻖَ ﺛُﻢَّ ﻳُﻌﻴﺪُﻩُ ۚ ﻗُﻞِ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺒﺪَﺅُﺍ۟ ﺍﻟﺨَﻠﻖَ ﺛُﻢَّ ﻳُﻌﻴﺪُﻩُ ۖ
ﻓَﺄَﻧّﻰٰ ﺗُﺆﻓَﻜﻮﻥَ
[34] বল, আছে কি কেউ তোমাদের
শরীকদের মাঝে যে সৃষ্টি কে পয়দা
করতে পারে এবং আবার জীবিত করতে
পারে? বল, আল্লাহই প্রথমবার সৃষ্টি করেন
এবং অতঃপর তার পুনরুদ্ভব করবেন। অতএব,
কোথায় ঘুরপাক খাচ্ছে?
[34] Say: “Is there of your (Allâh’s so-
called) partners one that originates the
creation and then repeats it?” Say: “Allâh
originates the creation and then He
repeats it. Then how are you deluded
away (from the truth)?”
[35] ﻗُﻞ ﻫَﻞ ﻣِﻦ ﺷُﺮَﻛﺎﺋِﻜُﻢ ﻣَﻦ
ﻳَﻬﺪﻯ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺤَﻖِّ ۚ ﻗُﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻳَﻬﺪﻯ ﻟِﻠﺤَﻖِّ ۗ ﺃَﻓَﻤَﻦ ﻳَﻬﺪﻯ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺤَﻖِّ ﺃَﺣَﻖُّ ﺃَﻥ ﻳُﺘَّﺒَﻊَ ﺃَﻣَّﻦ
ﻻ ﻳَﻬِﺪّﻯ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ ﻳُﻬﺪﻯٰ ۖ ﻓَﻤﺎ
ﻟَﻜُﻢ ﻛَﻴﻒَ ﺗَﺤﻜُﻤﻮﻥَ
[35] জিজ্ঞেস কর, আছে কি কেউ
তোমাদের শরীকদের মধ্যে যে সত্য-
সঠিক পথ প্রদর্শন করবে? বল, আল্লাহই
সত্য-সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, সুতরাং এমন
যে লোক সঠিক পথ দেখাবে তার কথা মান্য
করা কিংবা যে লোক নিজে নিজে পথ খুঁজে
পায় না, তাকে পথ দেখানো কর্তব্য। অতএব,
তোমাদের কি হল, কেমন তোমাদের বিচার?
[35] Say: “Is there of your (Allâh’s so-
called) partners one that guides to the
truth?” Say: “It is Allâh Who guides to
the truth. Is then He, Who guides to the
truth, more worthy to be followed, or he
who finds not guidance (himself) unless
he is guided? Then, what is the matter
with you? How judge you?”
[36] ﻭَﻣﺎ ﻳَﺘَّﺒِﻊُ ﺃَﻛﺜَﺮُﻫُﻢ ﺇِﻟّﺎ ﻇَﻨًّﺎ ۚ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻈَّﻦَّ ﻻ ﻳُﻐﻨﻰ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺤَﻖِّ
ﺷَﻴـًٔﺎ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻴﻢٌ ﺑِﻤﺎ
ﻳَﻔﻌَﻠﻮﻥَ
[36] বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-
অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান
সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না।
আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
[36] And most of them follow nothing
but conjecture. Certainly, conjecture can
be of no avail against the truth. Surely,
Allâh is All-Aware of what they do.
[37] ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟﻘُﺮﺀﺍﻥُ ﺃَﻥ
ﻳُﻔﺘَﺮﻯٰ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟٰﻜِﻦ
ﺗَﺼﺪﻳﻖَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺑَﻴﻦَ ﻳَﺪَﻳﻪِ
ﻭَﺗَﻔﺼﻴﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻻ ﺭَﻳﺐَ
ﻓﻴﻪِ ﻣِﻦ ﺭَﺏِّ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[37] আর কোরআন সে জিনিস নয় যে,
আল্লাহ ব্যতীত কেউ তা বানিয়ে নেবে।
অবশ্য এটি পূর্ববর্তী কালামের সত্যায়ন
করে এবং সে সমস্ত বিষয়ের বিশ্লেষণ দান
করে যা তোমার প্রতি দেয়া হয়েছে, যাতে
কোন সন্দেহ নেই-তোমার বিশ্বপালনকর্তার
পক্ষ থেকে।
[37] And this Qur’ân is not such as could
ever be produced by other than Allâh
(Lord of the heavens and the earth), but
it is a confirmation of (the revelation)
which was before it [i.e. the Taurât
(Torah), and the Injeel (Gospel)], and a
full explanation of the Book (i.e. laws
decreed for mankind) – wherein there is
no doubt from the the Lord of the
‘Alamîn (mankind, jinn,and all that
exists).
[38] ﺃَﻡ ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺍﻓﺘَﺮﻯٰﻪُ ۖ ﻗُﻞ
ﻓَﺄﺗﻮﺍ ﺑِﺴﻮﺭَﺓٍ ﻣِﺜﻠِﻪِ ﻭَﺍﺩﻋﻮﺍ
ﻣَﻦِ ﺍﺳﺘَﻄَﻌﺘُﻢ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺻٰﺪِﻗﻴﻦَ
[38] মানুষ কি বলে যে, এটি বানিয়ে এনেছ?
বলে দাও, তোমরা নিয়ে এসো একটিই সূরা,
আর ডেকে নাও, যাদেরকে নিতে সক্ষম
হও আল্লাহ ব্যতীত, যদি তোমরা সত্যবাদী
হয়ে থাক।
[38] Or do they say: “He (Muhammad
SAW) has forged it?” Say: “Bring then a
Sûrah (chapter) like unto it, and call
upon whomsoever you can, besides
Allâh, if you are truthful!”
[39] ﺑَﻞ ﻛَﺬَّﺑﻮﺍ ﺑِﻤﺎ ﻟَﻢ ﻳُﺤﻴﻄﻮﺍ
ﺑِﻌِﻠﻤِﻪِ ﻭَﻟَﻤّﺎ ﻳَﺄﺗِﻬِﻢ ﺗَﺄﻭﻳﻠُﻪُ ۚ
ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻛَﺬَّﺏَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻬِﻢ ۖ
ﻓَﺎﻧﻈُﺮ ﻛَﻴﻒَ ﻛﺎﻥَ ﻋٰﻘِﺒَﺔُ
ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[39] কিন্তু কথা হল এই যে, তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন
করতে আরম্ভ করেছে যাকে বুঝতে, তারা
অক্ষম। অথচ এখনো এর বিশ্লেষণ
আসেনি। এমনিভাবে মিথ্যা প্রতিপন্ন
করেছে তাদের পূর্ববর্তীরা। অতএব,
লক্ষ্য করে দেখ, কেমন হয়েছে
পরিণতি।
[39] Nay, they have belied; the
knowledge whereof they could not
comprehend and what has not yet been
fulfilled (i.e. their punishment). Thus
those before them did belie. Then see
what was the end of the Zâlimûn
(polytheists and wrong-doers)!
[40] ﻭَﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ ﻳُﺆﻣِﻦُ ﺑِﻪِ
ﻭَﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ ﻻ ﻳُﺆﻣِﻦُ ﺑِﻪِ ۚ
ﻭَﺭَﺑُّﻚَ ﺃَﻋﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟﻤُﻔﺴِﺪﻳﻦَ
[40] আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ
কোরআনকে বিশ্বাস করবে এবং কেউ
কেউ বিশ্বাস করবে না। বস্তুতঃ তোমার
পরওয়ারদেগার যথার্থই জানেন দুরাচারদিগকে।
[40] And of them there are some who
believe therein, and of them there are
some who believe not therein, and your
Lord is All-Aware of the Mufsidûn (evil-
doers, liars).
[41] ﻭَﺇِﻥ ﻛَﺬَّﺑﻮﻙَ ﻓَﻘُﻞ ﻟﻰ
ﻋَﻤَﻠﻰ ﻭَﻟَﻜُﻢ ﻋَﻤَﻠُﻜُﻢ ۖ ﺃَﻧﺘُﻢ
ﺑَﺮﻳـٔﻮﻥَ ﻣِﻤّﺎ ﺃَﻋﻤَﻞُ ﻭَﺃَﻧﺎ۠ ﺑَﺮﻱﺀٌ
ﻣِﻤّﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[41] আর যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে,
তবে বল, আমার জন্য আমার কর্ম, আর
তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম।
তোমাদের দায়-দায়িত্ব নেই আমার কর্মের
উপর এবং আমারও দায়-দায়িত্ব নেই তোমরা যা
কর সেজন্য।
[41] And if they belie you, say: “For me
are my deeds and for you are your
deeds! You are innocent of what I do,
and I am innocent of what you do!”
[42] ﻭَﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ ﻳَﺴﺘَﻤِﻌﻮﻥَ
ﺇِﻟَﻴﻚَ ۚ ﺃَﻓَﺄَﻧﺖَ ﺗُﺴﻤِﻊُ ﺍﻟﺼُّﻢَّ
ﻭَﻟَﻮ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻻ ﻳَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[42] তাদের কেউ কেউ কান রাখে
তোমাদের প্রতি; তুমি বধিরদেরকে কি
শোনাবে যদি তাদের বিবেক-বুদ্ধি না থাকে!
[42] And among them are some who
listen to you, but can you make the deaf
to hear,— even though they apprehend
not?
[43] ﻭَﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ ﻳَﻨﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴﻚَ ۚ
ﺃَﻓَﺄَﻧﺖَ ﺗَﻬﺪِﻯ ﺍﻟﻌُﻤﻰَ ﻭَﻟَﻮ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻻ ﻳُﺒﺼِﺮﻭﻥَ
[43] আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ
তোমাদের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ রাখে; তুমি
অন্ধদেরকে কি পথ দেখাবে যদি তারা
মোটেও দেখতে না পারে।
[43] And among them are some who look
at you, but can you guide the blind,—
even though they see not?
[44] ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳَﻈﻠِﻢُ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ
ﺷَﻴـًٔﺎ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ
ﻳَﻈﻠِﻤﻮﻥَ
[44] আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর,
বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে।
[44] Truly! Allâh wrongs not mankind in
aught; but mankind wrong themselves.
[45] ﻭَﻳَﻮﻡَ ﻳَﺤﺸُﺮُﻫُﻢ ﻛَﺄَﻥ ﻟَﻢ
ﻳَﻠﺒَﺜﻮﺍ ﺇِﻟّﺎ ﺳﺎﻋَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﻬﺎﺭِ
ﻳَﺘَﻌﺎﺭَﻓﻮﻥَ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ۚ ﻗَﺪ ﺧَﺴِﺮَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﺬَّﺑﻮﺍ ﺑِﻠِﻘﺎﺀِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣﺎ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻣُﻬﺘَﺪﻳﻦَ
[45] আর যেদিন তাদেরকে সমবেত করা
হবে, যেন তারা অবস্থান করেনি, তবে
দিনের একদন্ড একজন অপরজনকে চিনবে।
নিঃসন্দেহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যারা মিথ্যা
প্রতিপন্ন করেছে আল্লাহর সাথে
সাক্ষাতকে এবং সরলপথে আসেনি।
[45] And on the Day when He shall
gather (resurrect) them together, (it will
be) as if they had not stayed (in the life
of this world and graves) but an hour of
a day. They will recognise each other.
Ruined indeed will be those who denied
the meeting with Allâh, and were not
guided.
[46] ﻭَﺇِﻣّﺎ ﻧُﺮِﻳَﻨَّﻚَ ﺑَﻌﺾَ ﺍﻟَّﺬﻯ
ﻧَﻌِﺪُﻫُﻢ ﺃَﻭ ﻧَﺘَﻮَﻓَّﻴَﻨَّﻚَ ﻓَﺈِﻟَﻴﻨﺎ
ﻣَﺮﺟِﻌُﻬُﻢ ﺛُﻢَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺷَﻬﻴﺪٌ ﻋَﻠﻰٰ
ﻣﺎ ﻳَﻔﻌَﻠﻮﻥَ
[46] আর যদি আমি দেখাই তোমাকে সে
ওয়াদাসমূহের মধ্য থেকে কোন কিছু যা আমি
তাদের সাথে করেছি, অথবা তোমাকে
মৃত্যুদান করি, যাহোক, আমার কাছেই
তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
বস্তুতঃ আল্লাহ সে সমস্ত কর্মের সাক্ষী
যা তারা করে।
[46] Whether We show you (in your
lifetime, O Muhammad SAW) some of
what We promise them (the torment), –
or We cause you to die, – still unto Us is
their return, and moreover Allâh is
Witness over what they used to do.
[47] ﻭَﻟِﻜُﻞِّ ﺃُﻣَّﺔٍ ﺭَﺳﻮﻝٌ ۖ ﻓَﺈِﺫﺍ
ﺟﺎﺀَ ﺭَﺳﻮﻟُﻬُﻢ ﻗُﻀِﻰَ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ
ﺑِﺎﻟﻘِﺴﻂِ ﻭَﻫُﻢ ﻻ ﻳُﻈﻠَﻤﻮﻥَ
[47] আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের
একেকজন রসূল রয়েছে। যখন তাদের
কাছে তাদের রসূল ন্যায়দন্ডসহ উপস্থিত হল,
তখন আর তাদের উপর জুলুম হয় না।
[47] And for every Ummah (a
community or a nation), there is a
Messenger; when their Messenger comes,
the matter will be judged between them
with justice, and they will not be
wronged.
[48] ﻭَﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻣَﺘﻰٰ ﻫٰﺬَﺍ
ﺍﻟﻮَﻋﺪُ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺻٰﺪِﻗﻴﻦَ
[48] তারা আরো বলে, এ ওয়াদা কবে
আসবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক?
[48] And they say: “When will be this
promise (the torment or the Day of
Resurrection), – if you speak the truth?”
[49] ﻗُﻞ ﻻ ﺃَﻣﻠِﻚُ ﻟِﻨَﻔﺴﻰ ﺿَﺮًّﺍ
ﻭَﻻ ﻧَﻔﻌًﺎ ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ ﺷﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۗ
ﻟِﻜُﻞِّ ﺃُﻣَّﺔٍ ﺃَﺟَﻞٌ ۚ ﺇِﺫﺍ ﺟﺎﺀَ
ﺃَﺟَﻠُﻬُﻢ ﻓَﻼ ﻳَﺴﺘَـٔﺨِﺮﻭﻥَ ﺳﺎﻋَﺔً ۖ
ﻭَﻻ ﻳَﺴﺘَﻘﺪِﻣﻮﻥَ
[49] তুমি বল, আমি আমার নিজের ক্ষতি কিংবা
লাভেরও মালিক নই, কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা
করেন। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যই
একেকটি ওয়াদা রয়েছে, যখন তাদের সে
ওয়াদা এসে পৌঁছে যাবে, তখন না একদন্ড
পেছনে সরতে পারবে, না সামনে
ফসকাতে পারবে,।
[49] Say (O Muhammad SAW): “I have no
power over any harm or profit to myself
except what Allâh may will. For every
Ummah (a community or a nation), there
is a term appointed; when their term
comes, neither can they delay it nor can
they advance it an hour (or a
moment).” (Tafsir Al-Qurtubî).
[50] ﻗُﻞ ﺃَﺭَﺀَﻳﺘُﻢ ﺇِﻥ ﺃَﺗﻯٰﻜُﻢ
ﻋَﺬﺍﺑُﻪُ ﺑَﻴٰﺘًﺎ ﺃَﻭ ﻧَﻬﺎﺭًﺍ ﻣﺎﺫﺍ
ﻳَﺴﺘَﻌﺠِﻞُ ﻣِﻨﻪُ ﺍﻟﻤُﺠﺮِﻣﻮﻥَ
[50] তুমি বল, আচ্ছা দেখ তো দেখি, যদি
তোমাদের উপর তার আযাব রাতারাতি অথবা
দিনের বেলায় এসে পৌঁছে যায়, তবে এর
আগে পাপীরা কি করবে?
[50] Say: “Tell me, – if His torment should
come to you by night or by day, – which
portion thereof would the Mujrimûn
(disbelievers, polytheists, sinners,
criminals) hasten on ?”
[51] ﺃَﺛُﻢَّ ﺇِﺫﺍ ﻣﺎ ﻭَﻗَﻊَ ﺀﺍﻣَﻨﺘُﻢ
ﺑِﻪِ ۚ ﺀﺍﻟـٰٔﻦَ ﻭَﻗَﺪ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺑِﻪِ
ﺗَﺴﺘَﻌﺠِﻠﻮﻥَ
[51] তাহলে কি আযাব সংঘটিত হয়ে যাবার পর
এর প্রতি বিশ্বাস করবে? এখন স্বীকার
করলে? অথচ তোমরা এরই তাকাদা করতে?
[51] Is it then, that when it has actually
befallen, you will believe in it? What!
Now (you believe)? And you used
(aforetime) to hasten it on!”
[52] ﺛُﻢَّ ﻗﻴﻞَ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤﻮﺍ
ﺫﻭﻗﻮﺍ ﻋَﺬﺍﺏَ ﺍﻟﺨُﻠﺪِ ﻫَﻞ
ﺗُﺠﺰَﻭﻥَ ﺇِﻟّﺎ ﺑِﻤﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﺗَﻜﺴِﺒﻮﻥَ
[52] অতঃপর বলা হবে, গোনাহগারদিগকে,
ভোগ করতে থাক অনন্ত আযাব-তোমরা যা কিছু
করতে তার তাই প্রতিফল।
[52] Then it will be said to them who
wronged themselves: “Taste you the
everlasting torment! Are you
recompensed (aught) save what you used
to earn?”
[53] ۞ ﻭَﻳَﺴﺘَﻨﺒِـٔﻮﻧَﻚَ ﺃَﺣَﻖٌّ ﻫُﻮَ ۖ
ﻗُﻞ ﺇﻯ ﻭَﺭَﺑّﻰ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺤَﻖٌّ ۖ ﻭَﻣﺎ
ﺃَﻧﺘُﻢ ﺑِﻤُﻌﺠِﺰﻳﻦَ
[53] আর তোমার কাছে সংবাদ জিজ্ঞেস
করে, এটা কি সত্য ? বলে দাও, অবশ্যই আমার
পরওয়ারদেগারের কসম এটা সত্য। আর
তোমরা পরিশ্রান্ত করে দিতে পারবে না।
[53] And they ask you (O Muhammad
SAW) to inform them (saying): “Is it true
(i.e. the torment and the establishment of
the Hour; – the Day of Resurrection)?”
Say: “Yes! By my Lord! It is the very
truth! and you cannot escape it!”
[54] ﻭَﻟَﻮ ﺃَﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻧَﻔﺲٍ ﻇَﻠَﻤَﺖ
ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻟَﺎﻓﺘَﺪَﺕ ﺑِﻪِ ۗ
ﻭَﺃَﺳَﺮُّﻭﺍ ﺍﻟﻨَّﺪﺍﻣَﺔَ ﻟَﻤّﺎ ﺭَﺃَﻭُﺍ
ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏَ ۖ ﻭَﻗُﻀِﻰَ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ
ﺑِﺎﻟﻘِﺴﻂِ ۚ ﻭَﻫُﻢ ﻻ ﻳُﻈﻠَﻤﻮﻥَ
[54] বস্তুতঃ যদি প্রত্যেক গোনাহগারের
কাছে এত পরিমাণ থাকে যা আছে সমগ্র
যমীনের মাঝে, আর অবশ্যই যদি সেগুলো
নিজের মুক্তির বিনিময়ে দিতে চাইবে আর
গোপনে গোপনে অনুতাপ করবে, যখন
আযাব দেখবে। বস্তুতঃ তাদের জন্য সিদ্ধান্ত
হবে ন্যায়সঙ্গত এবং তাদের উপর জুলম হবে
না।
[54] And if every person who had
wronged (by disbelieving in Allâh and by
worshipping others besides Allâh),
possessed all that is on earth, and sought
to ransom himself therewith (it will not
be accepted), and they would feel in
their hearts regret when they see the
torment, and they will be judged with
justice, and no wrong will be done unto
them.
[55] ﺃَﻻ ﺇِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۗ ﺃَﻻ ﺇِﻥَّ
ﻭَﻋﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺣَﻖٌّ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺃَﻛﺜَﺮَﻫُﻢ
ﻻ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[55] শুনে রাখ, যা কিছু রয়েছে
আসমানসমূহে ও যমীনে সবই আল্লাহর।
শুনে রাখ, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। তবে
অনেকেই জানে না।
[55] No doubt, surely, all that is in the
heavens and the earth belongs to Allâh.
No doubt, surely, Allâh’s Promise is true.
But most of them know not.
[56] ﻫُﻮَ ﻳُﺤﻲۦ ﻭَﻳُﻤﻴﺖُ ﻭَﺇِﻟَﻴﻪِ
ﺗُﺮﺟَﻌﻮﻥَ
[56] তিনিই জীবন ও মরণ দান করেন এবং তাঁরই
কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
[56] It is He Who gives life, and causes
death, and to Him you (all) shall return.
[57] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻗَﺪ ﺟﺎﺀَﺗﻜُﻢ
ﻣَﻮﻋِﻈَﺔٌ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ ﻭَﺷِﻔﺎﺀٌ
ﻟِﻤﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺼُّﺪﻭﺭِ ﻭَﻫُﺪًﻯ
ﻭَﺭَﺣﻤَﺔٌ ﻟِﻠﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[57] হে মানবকুল, তোমাদের কাছে
উপদেশবানী এসেছে তোমাদের
পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং
অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও
রহমত মুসলমানদের জন্য।
[57] O mankind! There has come to you a
good advice from your Lord (i.e. the
Qur’an, enjoining all that is good and
forbidding all that is evil), and a healing
for that (disease of ignorance, doubt,
hypocrisy and differences,) Which is in
your breasts, – a guidance and a mercy
(explaining lawful and unlawful things)
for the believers.
[58] ﻗُﻞ ﺑِﻔَﻀﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺮَﺣﻤَﺘِﻪِ
ﻓَﺒِﺬٰﻟِﻚَ ﻓَﻠﻴَﻔﺮَﺣﻮﺍ ﻫُﻮَ ﺧَﻴﺮٌ
ﻣِﻤّﺎ ﻳَﺠﻤَﻌﻮﻥَ
[58] বল, আল্লাহর দয়া ও মেহেরবাণীতে।
সুতরাং এরই প্রতি তাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। এটিই
উত্তম সে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছ।
[58] Say: “In the Bounty of Allâh, and in
His Mercy (i.e. Islâm and the Qur’ân); –
therein let them rejoice.” That is better
than what (the wealth) they amass
[59] ﻗُﻞ ﺃَﺭَﺀَﻳﺘُﻢ ﻣﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟَﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺭِﺯﻕٍ ﻓَﺠَﻌَﻠﺘُﻢ ﻣِﻨﻪُ
ﺣَﺮﺍﻣًﺎ ﻭَﺣَﻠٰﻠًﺎ ﻗُﻞ ﺀﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺫِﻥَ
ﻟَﻜُﻢ ۖ ﺃَﻡ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻔﺘَﺮﻭﻥَ
[59] বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ,
যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে
অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর
মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর
কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল,
তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন,
নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?
[59] Say (O Muhammad SAW to these
polytheists): “Tell me, what provision
Allâh has sent down to you! And you
have made of it lawful and unlawful.”
Say (O Muhammad SAW): “Has Allâh
permitted you (to do so), or do you
invent a lie against Allâh?”
[60] ﻭَﻣﺎ ﻇَﻦُّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻔﺘَﺮﻭﻥَ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﻜَﺬِﺏَ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۗ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﺬﻭ ﻓَﻀﻞٍ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺃَﻛﺜَﺮَﻫُﻢ ﻻ
ﻳَﺸﻜُﺮﻭﻥَ
[60] আর আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদ
আরোপকারীদের কি ধারণা কেয়ামত
সম্পর্কে? আল্লাহ তো মানুষের প্রতি
অনুগ্রহই করেন, কিন্তু অনেকেই কৃতজ্ঞতা
স্বীকার করে না।
[60] And what think those who invent lie
against Allâh, on the Day of
Resurrection? [i.e. Do they think that
they will be forgiven and excused! Nay,
they will have an eternal punishment in
the Fire of Hell]. Truly, Allâh is full of
Bounty to mankind, but most of them are
ungrateful
[61] ﻭَﻣﺎ ﺗَﻜﻮﻥُ ﻓﻰ ﺷَﺄﻥٍ ﻭَﻣﺎ
ﺗَﺘﻠﻮﺍ ﻣِﻨﻪُ ﻣِﻦ ﻗُﺮﺀﺍﻥٍ ﻭَﻻ
ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﻣِﻦ ﻋَﻤَﻞٍ ﺇِﻟّﺎ ﻛُﻨّﺎ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺷُﻬﻮﺩًﺍ ﺇِﺫ ﺗُﻔﻴﻀﻮﻥَ
ﻓﻴﻪِ ۚ ﻭَﻣﺎ ﻳَﻌﺰُﺏُ ﻋَﻦ ﺭَﺑِّﻚَ
ﻣِﻦ ﻣِﺜﻘﺎﻝِ ﺫَﺭَّﺓٍ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﻭَﻻ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ﻭَﻻ ﺃَﺻﻐَﺮَ
ﻣِﻦ ﺫٰﻟِﻚَ ﻭَﻻ ﺃَﻛﺒَﺮَ ﺇِﻟّﺎ ﻓﻰ
ﻛِﺘٰﺐٍ ﻣُﺒﻴﻦٍ
[61] বস্তুতঃ যে কোন অবস্থাতেই তুমি থাক
এবং কোরআনের যে কোন অংশ থেকেই
পাঠ করা কিংবা যে কোন কাজই তোমরা কর অথচ
আমি তোমাদের নিকটে উপস্থিত থাকি যখন
তোমরা তাতে আত্ননিয়োগ কর। আর তোমার
পরওয়ারদেগার থেকে গোপন থাকে না
একটি কনাও, না যমীনের এবং না আসমানের। না
এর চেয়ে ক্ষুদ্র কোন কিছু আছে, না বড় যা
এই প্রকৃষ্ট কিতাবে নেই।
[61] Nither you (O Muhammad SAW) do
any deed nor recite any portion of the
Qur’ân, – nor you (mankind) do any deed
(good or evil), but We are Witness
thereof, when you are doing it. And
nothing is hidden from your Lord (so
much as) the weight of an atom (or small
ant) on the earth or in the heaven. Not
what is less than that or what is greater
than that but is (written) in a Clear
Record. (Tafsir At-Tabarî).
[62] ﺃَﻻ ﺇِﻥَّ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻻ
ﺧَﻮﻑٌ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﻻ ﻫُﻢ
ﻳَﺤﺰَﻧﻮﻥَ
[62] মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু,
তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা
চিন্তান্বিত হবে।
[62] No doubt! Verily, the Auliyâ’ of
Allâh [i.e. those who believe in the
Oneness of Allâh and fear Allâh much
(abstain from all kinds of sins and evil
deeds which he has forbidden), and love
Allâh much (perform all kinds of good
deeds which He has ordained)], no fear
shall come upon them nor shall they
grieve, –
[63] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻳَﺘَّﻘﻮﻥَ
[63] যারা ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে
রয়েছে।
[63] Those who believed (in the Oneness
of Allâh – Islâmic Monotheism), and used
to fear Allâh much (by abstaining from
evil deeds and sins and by doing
righteous deeds)
[64] ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﺒُﺸﺮﻯٰ ﻓِﻰ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ
ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻭَﻓِﻰ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ۚ ﻻ
ﺗَﺒﺪﻳﻞَ ﻟِﻜَﻠِﻤٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ ﻫُﻮَ
ﺍﻟﻔَﻮﺯُ ﺍﻟﻌَﻈﻴﻢُ
[64] তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও
পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার
কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা
সফলতা।
[64] For them are glad tidings, in the life
of the present world (i.e. through a
righteous dream seen by the person
himself or shown to others), and in the
Hereafter. No change can there be in the
Words of Allâh, this is indeed the
supreme success.
[65] ﻭَﻻ ﻳَﺤﺰُﻧﻚَ ﻗَﻮﻟُﻬُﻢ ۘ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻌِﺰَّﺓَ ﻟِﻠَّﻪِ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ۚ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤﻴﻊُ
ﺍﻟﻌَﻠﻴﻢُ
[65] আর তাদের কথায় দুঃখ নিয়ো না। আসলে
সমস্ত ক্ষমতা আল্লাহর। তিনিই শ্রবণকারী,
সর্বজ্ঞ।
[65] And let not their speech grieve you
(O Muhammad SAW), for all power and
honour belong to Allâh. He is the All-
Hearer, the All-Knower.
[66] ﺃَﻻ ﺇِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﻣَﻦ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣَﻦ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۗ
ﻭَﻣﺎ ﻳَﺘَّﺒِﻊُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺪﻋﻮﻥَ ﻣِﻦ
ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺷُﺮَﻛﺎﺀَ ۚ ﺇِﻥ
ﻳَﺘَّﺒِﻌﻮﻥَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻈَّﻦَّ ﻭَﺇِﻥ ﻫُﻢ ﺇِﻟّﺎ
ﻳَﺨﺮُﺻﻮﻥَ
[66] শুনছ, আসমানসমূহে ও যমীনে যা কিছু
রয়েছে সবই আল্লাহর। আর এরা যারা
আল্লাহকে বাদ দিয়ে শরীকদের উপাসনার
পেছনে পড়ে আছে-তা আসলে কিছুই
নয়। এরা নিজেরই কল্পনার পেছনে পড়ে
রয়েছে এবং এছাড়া আর কিছু নয় যে, এরা
বুদ্ধি খাটাচ্ছে।
[66] No doubt! Verily, to Allâh belongs
whosoever is in the heavens and
whosoever is in the earth. And those
who worship and invoke others besides
Allâh, in fact they follow not the (Allâh’s
so-called) partners, they follow only a
conjecture and they only invent lies.
[67] ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺟَﻌَﻞَ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟَّﻴﻞَ
ﻟِﺘَﺴﻜُﻨﻮﺍ ﻓﻴﻪِ ﻭَﺍﻟﻨَّﻬﺎﺭَ ﻣُﺒﺼِﺮًﺍ ۚ
ﺇِﻥَّ ﻓﻰ ﺫٰﻟِﻚَ ﻝَﺀﺍﻳٰﺖٍ ﻟِﻘَﻮﻡٍ
ﻳَﺴﻤَﻌﻮﻥَ
[67] তিনি তোমাদের জন্য তৈরী করেছেন
রাত, যাতে করে তোমরা তাতে প্রশান্তি লাভ
করতে পার, আর দিন দিয়েছেন দর্শন করার
জন্য। নিঃসন্দেহে এতে নিদর্শন রয়েছে
সে সব লোকের জন্য যারা শ্রবণ করে।
[67] He it is Who has appointed for you
the night that you may rest therein, and
the day to make things visible (to you).
Verily, in this are Ayât (proofs,
evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.) for a people who listen
(i.e. those who think deeply).
[68] ﻗﺎﻟُﻮﺍ ﺍﺗَّﺨَﺬَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟَﺪًﺍ ۗ
ﺳُﺒﺤٰﻨَﻪُ ۖ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻐَﻨِﻰُّ ۖ ﻟَﻪُ ﻣﺎ
ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣﺎ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﺇِﻥ ﻋِﻨﺪَﻛُﻢ ﻣِﻦ
ﺳُﻠﻄٰﻦٍ ﺑِﻬٰﺬﺍ ۚ ﺃَﺗَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻻ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[68] তারা বলে, আল্লাহ পুত্র সাব্যস্ত করে
নিয়েছেন-তিনি পবিত্র, তিনি অমুখাপেক্ষী।
যাকিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে
সবই তাঁর। তোমাদের কাছে তার কোন সনদ
নেই। কেন তোমরা আল্লাহর প্রতি
মিথ্যারোপ কর-যার কোন সনদই তোমাদের
কাছে নেই?
[68] They (Jews, Christians and pagans)
say: “Allâh has begotten a son
(children).” Glory is to Him! He is Rich
(Free of all needs). His is all that is in the
heavens and all that is in the earth. No
warrant you have for this. Do you say
against Allâh what you know not.
[69] ﻗُﻞ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻔﺘَﺮﻭﻥَ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﻜَﺬِﺏَ ﻻ ﻳُﻔﻠِﺤﻮﻥَ
[69] বলে দাও, যারা এরূপ করে তারা অব্যাহতি
পায় না।
[69] Say: “Verily, those who invent a lie
against Allâh will never be successful” –
[70] ﻣَﺘٰﻊٌ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﺛُﻢَّ ﺇِﻟَﻴﻨﺎ
ﻣَﺮﺟِﻌُﻬُﻢ ﺛُﻢَّ ﻧُﺬﻳﻘُﻬُﻢُ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏَ
ﺍﻟﺸَّﺪﻳﺪَ ﺑِﻤﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻜﻔُﺮﻭﻥَ
[70] পার্থিবজীবনে সামান্যই লাভ, অতঃপর
আমার নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন
আমি তাদেরকে আস্বাদন করাব কঠিন আযাব-
তাদেরই কৃত কুফরীর বদলাতে।
[70] (A brief) enjoyment in this world! –
and then unto Us will be their return,
then We shall make them taste the
severest torment because they used to
disbelieve [in Allâh, belie His
Messengers, deny and challenge His Ayât
(proofs, signs, verses, etc.)].
[71] ۞ ﻭَﺍﺗﻞُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻧَﺒَﺄَ ﻧﻮﺡٍ
ﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﻟِﻘَﻮﻣِﻪِ ﻳٰﻘَﻮﻡِ ﺇِﻥ ﻛﺎﻥَ
ﻛَﺒُﺮَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻣَﻘﺎﻣﻰ ﻭَﺗَﺬﻛﻴﺮﻯ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻌَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠﺖُ
ﻓَﺄَﺟﻤِﻌﻮﺍ ﺃَﻣﺮَﻛُﻢ ﻭَﺷُﺮَﻛﺎﺀَﻛُﻢ
ﺛُﻢَّ ﻻ ﻳَﻜُﻦ ﺃَﻣﺮُﻛُﻢ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻏُﻤَّﺔً ﺛُﻢَّ ﺍﻗﻀﻮﺍ ﺇِﻟَﻰَّ ﻭَﻻ
ﺗُﻨﻈِﺮﻭﻥِ
[71] আর তাদেরকে শুনিয়ে দাও নূহের
অবস্থা যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল,
হে আমার সম্প্রদায়, যদি তোমাদের মাঝে
আমার অবস্থিতি এবং আল্লাহর আয়াতসমূহের
মাধ্যমে নসীহত করা ভারী বলে মনে
হয়ে থাকে, তবে আমি আল্লাহর উপর ভরসা
করছি। এখন তোমরা সবাই মিলে নিজেরদের
কর্ম সাব্যস্ত কর এবং এতে তোমাদের
শরীকদেরকে সমবেত করে নাও, যাতে
তোমাদের মাঝে নিজেদের কাজের
ব্যাপারে কোন সন্দেহ-সংশয় না থাকে।
অতঃপর আমার সম্পর্কে যা কিছু করার করে
ফেল এবং আমাকে অব্যাহতি দিও না।
[71] And recite to them the news of Nûh
(Noah). When he said to his people: “O
my people, if my stay (with you), and my
reminding (you) of the Ayât (proofs,
evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.) of Allâh is hard on you,
then I put my trust in Allâh. So devise
your plot, you and your partners, and let
not your plot be in doubt for you. Then
pass your sentence on me and give me
no respite.
[72] ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻴﺘُﻢ ﻓَﻤﺎ ﺳَﺄَﻟﺘُﻜُﻢ
ﻣِﻦ ﺃَﺟﺮٍ ۖ ﺇِﻥ ﺃَﺟﺮِﻯَ ﺇِﻟّﺎ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻭَﺃُﻣِﺮﺕُ ﺃَﻥ ﺃَﻛﻮﻥَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻤُﺴﻠِﻤﻴﻦَ
[72] তারপরও যদি বিমুখতা অবলম্বন কর, তবে
আমি তোমাদের কাছে কোন রকম বিনিময়
কামনা করি না। আমার বিনিময় হল আল্লাহর
দায়িত্বে। আর আমার প্রতি নির্দেশ রয়েছে
যেন আমি আনুগত্য অবলম্বন করি।
[72] “But if you turn away [from
accepting my doctrine of Islâmic
Monotheism, i.e. to worship none but
Allâh], then no reward have I asked of
you, my reward is only from Allâh, and I
have been commanded to be of the
Muslims (those who submit to Allâh’s
Will).”
[73] ﻓَﻜَﺬَّﺑﻮﻩُ ﻓَﻨَﺠَّﻴﻨٰﻪُ ﻭَﻣَﻦ
ﻣَﻌَﻪُ ﻓِﻰ ﺍﻟﻔُﻠﻚِ ﻭَﺟَﻌَﻠﻨٰﻬُﻢ
ﺧَﻠٰﺌِﻒَ ﻭَﺃَﻏﺮَﻗﻨَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﺬَّﺑﻮﺍ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺘِﻨﺎ ۖ ﻓَﺎﻧﻈُﺮ ﻛَﻴﻒَ ﻛﺎﻥَ
ﻋٰﻘِﺒَﺔُ ﺍﻟﻤُﻨﺬَﺭﻳﻦَ
[73] তারপরও এরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। সুতরাং
তাকে এবং তার সাথে নৌকায় যারা ছিল তাদের
কে বাঁচিয়ে নিয়েছি এবং যথাস্থানে আবাদ
করেছি। আর তাদেরকে ডুবিয়ে দিয়েছি যারা
আমার কথাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে।
সুতরাং লক্ষ্য কর, কেমন পরিণতি ঘটেছে
তাদের যাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করা
হয়েছিল।
[73] They denied him, but We delivered
him, and those with him in the ship, and
We made them generations replacing
one after another, while We drowned
those who belied Our Ayât (proofs,
evidences, lessons, signs, revelations,
etc.). Then see what was the end of those
who were warned.
[74] ﺛُﻢَّ ﺑَﻌَﺜﻨﺎ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِﻩِ ﺭُﺳُﻠًﺎ
ﺇِﻟﻰٰ ﻗَﻮﻣِﻬِﻢ ﻓَﺠﺎﺀﻭﻫُﻢ
ﺑِﺎﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖِ ﻓَﻤﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻟِﻴُﺆﻣِﻨﻮﺍ
ﺑِﻤﺎ ﻛَﺬَّﺑﻮﺍ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ۚ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ
ﻧَﻄﺒَﻊُ ﻋَﻠﻰٰ ﻗُﻠﻮﺏِ ﺍﻟﻤُﻌﺘَﺪﻳﻦَ
[74] অনন্তর আমি নূহের পরে বহু নবী-
রসূল পাঠিয়েছি তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি।
তারপর তাদের কাছে তারা প্রকাশ্য দলীল-
প্রমাণ উপস্থাপন করেছে, কিন্তু তাদের
দ্বারা এমনটি হয়নি যে, ঈমান আনবে সে
ব্যাপারে, যাকে তারা ইতিপূর্বে মিথ্যা প্রতিপন্ন
করেছিল। এভাবেই আমি মোহর এঁটে দেই
সীমালংঘনকারীদের অন্তরসমূহের উপর।
[74] Then after him We sent Messengers
to their people, They brought them clear
proofs, but they would not believe what
they had already rejected beforehand.
Thus We seal the hearts of the
transgressors (those who disbelieve in
the Oneness of Allâh and disobey Him).
[75] ﺛُﻢَّ ﺑَﻌَﺜﻨﺎ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِﻫِﻢ
ﻣﻮﺳﻰٰ ﻭَﻫٰﺮﻭﻥَ ﺇِﻟﻰٰ ﻓِﺮﻋَﻮﻥَ
ﻭَﻣَﻠَﺈِﻳ۟ﻪِ ﺑِـٔﺎﻳٰﺘِﻨﺎ ﻓَﺎﺳﺘَﻜﺒَﺮﻭﺍ
ﻭَﻛﺎﻧﻮﺍ ﻗَﻮﻣًﺎ ﻣُﺠﺮِﻣﻴﻦَ
[75] অতঃপর তাদের পেছনে পাঠিয়েছি আমি
মূসা ও হারুনকে, ফেরাউন ও তার সর্দারের
প্রতি স্বীয় নির্দেশাবলী সহকারে। অথচ
তারা অহংকার করতে আরম্ভ করেছে।
[75] Then after them We sent Mûsa
(Moses) and Hârûn (Aaron) to Fir’aun
(Pharaoh) and his chiefs with Our Ayât
(proofs, evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.). But they behaved
arrogantly and were Mujrimûn
(disbelievers, sinners, polytheists,
criminals, etc.) folk.
[76] ﻓَﻠَﻤّﺎ ﺟﺎﺀَﻫُﻢُ ﺍﻟﺤَﻖُّ ﻣِﻦ
ﻋِﻨﺪِﻧﺎ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻥَّ ﻫٰﺬﺍ ﻟَﺴِﺤﺮٌ
ﻣُﺒﻴﻦٌ
[76] বস্তুতঃ তারা ছিল গোনাহগার। তারপর আমার
পক্ষ থেকে যখন তাদের কাছে সত্য বিষয়
উপস্থিত হল, তখন বলতে লাগলো, এগুলো
তো প্রকাশ্য যাদু।
[76] So when came to them the truth
from Us, they said: “This is indeed clear
magic.”
[77] ﻗﺎﻝَ ﻣﻮﺳﻰٰ ﺃَﺗَﻘﻮﻟﻮﻥَ
ﻟِﻠﺤَﻖِّ ﻟَﻤّﺎ ﺟﺎﺀَﻛُﻢ ۖ ﺃَﺳِﺤﺮٌ
ﻫٰﺬﺍ ﻭَﻻ ﻳُﻔﻠِﺢُ ﺍﻟﺴّٰﺤِﺮﻭﻥَ
[77] মূসা বলল, সত্যের ব্যাপারে একথা বলছ,
তা তোমাদের কাছে পৌঁছার পর? একি যাদু? অথচ
যারা যাদুকর, তারা সফল হতে পারে না।
[77] Mûsa (Moses) said: “Say you (this)
about the truth when it has come to you?
Is this magic? But the magicians will
never be successful.”
[78] ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺃَﺟِﺌﺘَﻨﺎ ﻟِﺘَﻠﻔِﺘَﻨﺎ ﻋَﻤّﺎ
ﻭَﺟَﺪﻧﺎ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺀﺍﺑﺎﺀَﻧﺎ ﻭَﺗَﻜﻮﻥَ
ﻟَﻜُﻤَﺎ ﺍﻟﻜِﺒﺮِﻳﺎﺀُ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﻭَﻣﺎ ﻧَﺤﻦُ ﻟَﻜُﻤﺎ ﺑِﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[78] তারা বলল, তুমি কি আমাদেরকে সে পথ
থেকে ফিরিয়ে দিতে এসেছ যাতে আমরা
পেয়েছি আমাদের বাপ-দাদাদেরকে? আর
যাতে তোমরা দুইজন এদেশের সর্দারী
পেয়ে যেতে পার? আমরা তোমাদেরকে
কিছুতেই মানব না।
[78] They said: “Have you come to us to
turn us away from that (Faith) we found
our fathers following, – and that you two
may have greatness in the land? We are
not going to believe you two!”
[79] ﻭَﻗﺎﻝَ ﻓِﺮﻋَﻮﻥُ ﺍﺋﺘﻮﻧﻰ
ﺑِﻜُﻞِّ ﺳٰﺤِﺮٍ ﻋَﻠﻴﻢٍ
[79] আর ফেরাউন বলল, আমার কাছে নিয়ে
এস সুদক্ষ যাদুকরদিগকে।
[79] And Fir’aun (Pharaoh) said: “Bring
me every well-versed sorcerer.”
[80] ﻓَﻠَﻤّﺎ ﺟﺎﺀَ ﺍﻟﺴَّﺤَﺮَﺓُ ﻗﺎﻝَ
ﻟَﻬُﻢ ﻣﻮﺳﻰٰ ﺃَﻟﻘﻮﺍ ﻣﺎ ﺃَﻧﺘُﻢ
ﻣُﻠﻘﻮﻥَ
[80] তারপর যখন যাদুকররা এল, মূসা তাদেরকে
বলল, নিক্ষেপ কর, তোমরা যা কিছু নিক্ষেপ
করে থাক।
[80] And when the sorcerers came, Mûsa
(Moses) said to them: “Cast down what
you want to cast!”
[81] ﻓَﻠَﻤّﺎ ﺃَﻟﻘَﻮﺍ ﻗﺎﻝَ ﻣﻮﺳﻰٰ ﻣﺎ
ﺟِﺌﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﺍﻟﺴِّﺤﺮُ ۖ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺳَﻴُﺒﻄِﻠُﻪُ ۖ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳُﺼﻠِﺢُ
ﻋَﻤَﻞَ ﺍﻟﻤُﻔﺴِﺪﻳﻦَ
[81] অতঃপর যখন তারা নিক্ষেপ করল, মূসা
বলল, যা কিছু তোমরা এনেছ তা সবই যাদু-এবার
আল্লাহ এসব ভন্ডুল করে দিচ্ছেন।
নিঃসন্দেহে আল্লাহ দুস্কর্মীদের
কর্মকে সুষ্ঠুতা দান করেন না।
[81] Then when they had cast down,
Mûsa (Moses) said: “What you have
brought is sorcery, Allâh will surely
make it of no effect. Verily, Allâh does
not set right the work of Al-Mufsidûn
(the evil-doers, corrupters).
[82] ﻭَﻳُﺤِﻖُّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺤَﻖَّ ﺑِﻜَﻠِﻤٰﺘِﻪِ
ﻭَﻟَﻮ ﻛَﺮِﻩَ ﺍﻟﻤُﺠﺮِﻣﻮﻥَ
[82] আল্লাহ সত্যকে সত্যে পরিণত করেন
স্বীয় নির্দেশে যদিও পাপীদের তা
মনঃপুত নয়।
[82] “And Allâh will establish and make
apparent the truth by His Words,
however much the Mujrimûn (criminals,
disbelievers, polytheists, sinners) may
hate it.”
[83] ﻓَﻤﺎ ﺀﺍﻣَﻦَ ﻟِﻤﻮﺳﻰٰ ﺇِﻟّﺎ
ﺫُﺭِّﻳَّﺔٌ ﻣِﻦ ﻗَﻮﻣِﻪِ ﻋَﻠﻰٰ ﺧَﻮﻑٍ
ﻣِﻦ ﻓِﺮﻋَﻮﻥَ ﻭَﻣَﻠَﺈِﻳ۟ﻬِﻢ ﺃَﻥ
ﻳَﻔﺘِﻨَﻬُﻢ ۚ ﻭَﺇِﻥَّ ﻓِﺮﻋَﻮﻥَ ﻟَﻌﺎﻝٍ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻭَﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻤِﻦَ
ﺍﻟﻤُﺴﺮِﻓﻴﻦَ
[83] আর কেউ ঈমান আনল না মূসার প্রতি তাঁর
কওমের কতিপয় বালক ছাড়া-ফেরাউন ও তার
সর্দারদের ভয়ে যে, এরা না আবার কোন
বিপদে ফেলে দেয়। ফেরাউন দেশময়
কর্তêৃত্বের শিখরে আরোহণ করেছিল।
আর সে তার হাত ছেড়ে রেখেছিল।
[83] But none believed in Mûsa (Moses)
except the offspring of his people,
because of the fear of Fir’aun (Pharaoh)
and his chiefs, lest they should persecute
them; and verily, Fir’aun (Pharaoh) was
an arrogant tyrant on the earth, he was
indeed one of the Musrifûn (polytheists,
sinners and transgressors, those who
give up the truth and follow the evil, and
commit all kinds of great sins).
[84] ﻭَﻗﺎﻝَ ﻣﻮﺳﻰٰ ﻳٰﻘَﻮﻡِ ﺇِﻥ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﺀﺍﻣَﻨﺘُﻢ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻌَﻠَﻴﻪِ
ﺗَﻮَﻛَّﻠﻮﺍ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣُﺴﻠِﻤﻴﻦَ
[84] আর মূসা বলল, হে আমার সম্প্রদায়,
তোমরা যদি আল্লাহর উপর ঈমান এনে থাক,
তবে তারই উপর ভরসা কর যদি তোমরা
ফরমাবরদার হয়ে থাক।
[84] And Mûsa (Moses) said: “O my
people! If you have believed in Allâh,
then put your trust in Him if you are
Muslims (those who submit to Allâh’s
Will).”
[85] ﻓَﻘﺎﻟﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠﻨﺎ
ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻻ ﺗَﺠﻌَﻠﻨﺎ ﻓِﺘﻨَﺔً ﻟِﻠﻘَﻮﻡِ
ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[85] তখন তারা বলল, আমরা আল্লাহর উপর ভরসা
করেছি। হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের
উপর এ জালেম কওমের শক্তি পরীক্ষা
করিও না।
[85] They said: “In Allâh we put our
trust. Our Lord! Make us not a trial for
the folk who are Zâlimûn (polytheists
and wrong-doing) (i.e. do not make them
overpower us)
[86] ﻭَﻧَﺠِّﻨﺎ ﺑِﺮَﺣﻤَﺘِﻚَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻘَﻮﻡِ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[86] আর আমাদেরকে অনুগ্রহ করে
ছাড়িয়ে দাও এই কাফেরদের কবল থেকে।
[86] “And save us by Your Mercy from
the disbelieving folk.”
[87] ﻭَﺃَﻭﺣَﻴﻨﺎ ﺇِﻟﻰٰ ﻣﻮﺳﻰٰ
ﻭَﺃَﺧﻴﻪِ ﺃَﻥ ﺗَﺒَﻮَّﺀﺍ ﻟِﻘَﻮﻣِﻜُﻤﺎ
ﺑِﻤِﺼﺮَ ﺑُﻴﻮﺗًﺎ ﻭَﺍﺟﻌَﻠﻮﺍ
ﺑُﻴﻮﺗَﻜُﻢ ﻗِﺒﻠَﺔً ﻭَﺃَﻗﻴﻤُﻮﺍ
ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ۗ ﻭَﺑَﺸِّﺮِ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[87] আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার
ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির
জন্য মিসরের মাটিতে বাস স্থান নির্ধারণ কর।
আর তোমাদের ঘরগুলো বানাবে
কেবলামুখী করে এবং নামায কায়েম কর আর
যারা ঈমানদার তাদেরকে সুসংবাদ দান কর।
[87] And We relealed to Mûsa (Moses)
and his brother (saying): “Provide
dwellings for your people in Egypt, and
make your dwellings as places for your
worship, and perform As-Salât (Iqâmat-
as-Salât), and give glad tidings to the
believers.”
[88] ﻭَﻗﺎﻝَ ﻣﻮﺳﻰٰ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺇِﻧَّﻚَ
ﺀﺍﺗَﻴﺖَ ﻓِﺮﻋَﻮﻥَ ﻭَﻣَﻠَﺄَﻩُ ﺯﻳﻨَﺔً
ﻭَﺃَﻣﻮٰﻟًﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ
ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻟِﻴُﻀِﻠّﻮﺍ ﻋَﻦ ﺳَﺒﻴﻠِﻚَ ۖ
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍﻃﻤِﺲ ﻋَﻠﻰٰ ﺃَﻣﻮٰﻟِﻬِﻢ
ﻭَﺍﺷﺪُﺩ ﻋَﻠﻰٰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ﻓَﻼ
ﻳُﺆﻣِﻨﻮﺍ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﺮَﻭُﺍ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏَ
ﺍﻷَﻟﻴﻢَ
[88] মূসা বলল, হে আমার পরওয়ারদেগার, তুমি
ফেরাউনকে এবং তার সর্দারদেরকে পার্থব
জীবনের আড়ম্বর দান করেছ, এবং সম্পদ
দান করেছ-হে আমার পরওয়ারদেগার, এ
জন্যই যে তারা তোমার পথ থেকে
বিপথগামী করব! হে আমার পরওয়ারদেগার,
তাদের ধন-সম্পদ ধ্বংস করে দাও এবং তাদের
অন্তরগুলোকে কাঠোর করে দাও যাতে
করে তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমান না আনে
যতক্ষণ না বেদনাদায়ক আযাব প্রত্যক্ষ করে
নেয়।
[88] And Mûsa (Moses) said: “Our Lord!
You have indeed bestowed on Fir’aun
(Pharaoh) and his chiefs splendour and
wealth in the life of this world, our Lord!
that they may lead men astray from Your
Path. Our Lord! Destroy their wealth,
and harden their hearts, so that they will
not believe until they see the painful
torment.”
[89] ﻗﺎﻝَ ﻗَﺪ ﺃُﺟﻴﺒَﺖ ﺩَﻋﻮَﺗُﻜُﻤﺎ
ﻓَﺎﺳﺘَﻘﻴﻤﺎ ﻭَﻻ ﺗَﺘَّﺒِﻌﺎﻥِّ ﺳَﺒﻴﻞَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻻ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[89] বললেন, তোমাদের দোয়া মঞ্জুর
হয়েছে। অতএব তোমরা দুজন অটল থাকো
এবং তাদের পথে চলো না যারা অজ্ঞ।
[89] Allâh said: “Verily, the invocation of
you both is accepted. So you both keep to
the Straight Way (i.e. keep on doing good
deeds and preaching Allâh’s Message
with patience), and follow not the path
of those who know not (the truth i.e. to
believe in the Oneness of Allâh, and also
to believe in the Reward of Allâh:
Paradise).”
[90] ۞ ﻭَﺟٰﻮَﺯﻧﺎ ﺑِﺒَﻨﻰ
ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﺍﻟﺒَﺤﺮَ ﻓَﺄَﺗﺒَﻌَﻬُﻢ
ﻓِﺮﻋَﻮﻥُ ﻭَﺟُﻨﻮﺩُﻩُ ﺑَﻐﻴًﺎ
ﻭَﻋَﺪﻭًﺍ ۖ ﺣَﺘّﻰٰ ﺇِﺫﺍ ﺃَﺩﺭَﻛَﻪُ
ﺍﻟﻐَﺮَﻕُ ﻗﺎﻝَ ﺀﺍﻣَﻨﺖُ ﺃَﻧَّﻪُ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ
ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺀﺍﻣَﻨَﺖ ﺑِﻪِ ﺑَﻨﻮﺍ
ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﻭَﺃَﻧﺎ۠ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﺴﻠِﻤﻴﻦَ
[90] আর বনী-ইসরাঈলকে আমি পার করে
দিয়েছি নদী। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন
করেছে ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনী,
দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশে। এমনকি যখন তারা
ডুবতে আরম্ভ করল, তখন বলল, এবার বিশ্বাস
করে নিচ্ছি যে, কোন মা’বুদ নেই তাঁকে ছাড়া
যাঁর উপর ঈমান এনেছে বনী-ইসরাঈলরা।
বস্তুতঃ আমিও তাঁরই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।
[90] And We took the Children of Israel
across the sea, and Fir’aun (Pharaoh)
with his hosts followed them in
oppression and enmity, till when
drowning overtook him, he said: “I
believe that none has the right to be
worshipped but He (Allah),” in Whom the
Children of Israel believe, and I am one
of the Muslims (those who submit to
Allâh’s Will).”
[91] ﺀﺍﻟـٰٔﻦَ ﻭَﻗَﺪ ﻋَﺼَﻴﺖَ ﻗَﺒﻞُ
ﻭَﻛُﻨﺖَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﻔﺴِﺪﻳﻦَ
[91] এখন একথা বলছ! অথচ তুমি ইতিপূর্বে না-
ফরমানী করছিলে। এবং পথভ্রষ্টদেরই
অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
[91] Now (you believe) while you refused
to believe before and you were one of
the Mufsidûn (evil-doers, corrupters).
[92] ﻓَﺎﻟﻴَﻮﻡَ ﻧُﻨَﺠّﻴﻚَ ﺑِﺒَﺪَﻧِﻚَ
ﻟِﺘَﻜﻮﻥَ ﻟِﻤَﻦ ﺧَﻠﻔَﻚَ ﺀﺍﻳَﺔً ۚ
ﻭَﺇِﻥَّ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻋَﻦ
ﺀﺍﻳٰﺘِﻨﺎ ﻟَﻐٰﻔِﻠﻮﻥَ
[92] অতএব আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি
আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার
পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে
পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার
মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।
[92] So this day We shall deliver your
(dead) body (out from the sea) that you
may be a sign to those who come after
you! And verily, many among mankind
are heedless of Our Ayât (proofs,
evidences, verses, lessons, signs ,
revelations, etc.).
[93] ﻭَﻟَﻘَﺪ ﺑَﻮَّﺃﻧﺎ ﺑَﻨﻰ ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ
ﻣُﺒَﻮَّﺃَ ﺻِﺪﻕٍ ﻭَﺭَﺯَﻗﻨٰﻬُﻢ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻄَّﻴِّﺒٰﺖِ ﻓَﻤَﺎ ﺍﺧﺘَﻠَﻔﻮﺍ ﺣَﺘّﻰٰ
ﺟﺎﺀَﻫُﻢُ ﺍﻟﻌِﻠﻢُ ۚ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ
ﻳَﻘﻀﻰ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ
ﻓﻴﻤﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻓﻴﻪِ ﻳَﺨﺘَﻠِﻔﻮﻥَ
[93] আর আমি বনী-ইসরাঈলদিগকে দান
করেছি উত্তম স্থান এবং তাদেরকে আহার্য
দিয়েছি পবিত্র-পরিচ্ছন্ন বস্তু-সামগ্রী।
বস্তুতঃ তাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়নি যতক্ষণ
না তাদের কাছে এসে পৌছেছে সংবাদ।
নিঃসন্দেহে তোমার পরওয়ারদেগার তাদের
মাঝে মীমাংসা করে দেবেন কেয়ামতের
দিন; যে ব্যাপারে তাদের মাঝে মতবিরোধ
হয়েছিল
[93] And indeed We settled the Children
of Israel in an honourable dwelling place
(Shâm and Misr), and provided them
with good things, and they differed not
until the knowledge came to them.
Verily, Allâh will judge between them on
the Day of Resurrection in that in which
they used to differ.
[94] ﻓَﺈِﻥ ﻛُﻨﺖَ ﻓﻰ ﺷَﻚٍّ ﻣِﻤّﺎ
ﺃَﻧﺰَﻟﻨﺎ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻓَﺴـَٔﻞِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳَﻘﺮَﺀﻭﻥَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻚَ ۚ
ﻟَﻘَﺪ ﺟﺎﺀَﻙَ ﺍﻟﺤَﻖُّ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻚَ
ﻓَﻼ ﺗَﻜﻮﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﻤﺘَﺮﻳﻦَ
[94] সুতরাং তুমি যদি সে বস্তু সম্পর্কে কোন
সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক যা তোমার
প্রতি আমি নাযিল করেছি, তবে তাদেরকে
জিজ্ঞেস করো যারা তোমার পূর্ব থেকে
কিতাব পাঠ করছে। এতে কোন সন্দেহ
নেই যে, তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট
থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে।
কাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী
হয়ো না।
[94] So if you (O Muhammad SAW) are in
doubt concerning that which We have
revealed unto you, [i.e. that your name is
written in the Taurât (Torah) and the
Injeel (Gospel)] then ask those who are
reading the Book [the Taurât (Torah) and
the Injeel (Gospel)] before you. Verily,
the truth has come to you from your
Lord. So be not of those who doubt (it)
[95] ﻭَﻻ ﺗَﻜﻮﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﺬَّﺑﻮﺍ ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺘَﻜﻮﻥَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺨٰﺴِﺮﻳﻦَ
[95] এবং তাদের অন্তর্ভুক্তও হয়ো না যারা
মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আল্লাহর
বাণীকে। তাহলে তুমিও অকল্যাণে পতিত
হয়ে যাবে।
[95] And be not one of those who belie
the Ayât (proofs, evidences, verses,
lessons, signs, revelations, etc.) of Allâh,
for then you shall be one of the losers.
[96] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺣَﻘَّﺖ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ
ﻛَﻠِﻤَﺖُ ﺭَﺑِّﻚَ ﻻ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[96] যাদের ব্যাপারে তোমার
পরওয়ারদেগারের সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হয়ে
গেছে তারা ঈমান আনবে না।
[96] Truly! Those, against whom the
Word (Wrath) of your Lord has been
justified, will not believe.
[97] ﻭَﻟَﻮ ﺟﺎﺀَﺗﻬُﻢ ﻛُﻞُّ ﺀﺍﻳَﺔٍ
ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﺮَﻭُﺍ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏَ ﺍﻷَﻟﻴﻢَ
[97] যদি তাদের সামনে সমস্ত নিদর্শনাবলী
এসে উপস্থিত হয় তবুও যতক্ষণ না তারা
দেখতে পায় বেদনাদায়ক আযাব।
[97] Even if every sign should come to
them, – until they see the painful
torment.
[98] ﻓَﻠَﻮﻻ ﻛﺎﻧَﺖ ﻗَﺮﻳَﺔٌ
ﺀﺍﻣَﻨَﺖ ﻓَﻨَﻔَﻌَﻬﺎ ﺇﻳﻤٰﻨُﻬﺎ ﺇِﻟّﺎ
ﻗَﻮﻡَ ﻳﻮﻧُﺲَ ﻟَﻤّﺎ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻛَﺸَﻔﻨﺎ ﻋَﻨﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏَ ﺍﻟﺨِﺰﻯِ
ﻓِﻰ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻭَﻣَﺘَّﻌﻨٰﻬُﻢ
ﺇِﻟﻰٰ ﺣﻴﻦٍ
[98] সুতরাং কোন জনপদ কেন এমন হল না যা
ঈমান এনেছে অতঃপর তার সে ঈমান গ্রহণ
হয়েছে কল্যাণকর? অবশ্য ইউনুসের
সম্প্রদায়ের কথা আলাদা। তারা যখন ঈমান আনে
তখন আমি তুলে নেই তাদের উপর থেকে
অপমানজনক আযাব-পার্থিব জীবনে এবং
তাদের কে কল্যাণ পৌছাই এক নিধারিত সময়
পর্যন্ত।
[98] Was there any town (community)
that believed (after seeing the
punishment), and its Faith (at that
moment) saved it (from the
punishment)? (The answer is none,) –
except the people of Yûnus (Jonah); when
they believed, We removed from them
the torment of disgrace in the life of the
(present) world, and permitted them to
enjoy for a while.
[99] ﻭَﻟَﻮ ﺷﺎﺀَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻝَﺀﺍﻣَﻦَ
ﻣَﻦ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻛُﻠُّﻬُﻢ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ۚ
ﺃَﻓَﺄَﻧﺖَ ﺗُﻜﺮِﻩُ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﺣَﺘّﻰٰ
ﻳَﻜﻮﻧﻮﺍ ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[99] আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন,
তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের
সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি
কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান
আনার জন্য?
[99] And had your Lord willed, those on
earth would have believed, all of them
together. So, will you (O Muhammad
SAW) then compel mankind, until they
become believers.
[100] ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻟِﻨَﻔﺲٍ ﺃَﻥ
ﺗُﺆﻣِﻦَ ﺇِﻟّﺎ ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻭَﻳَﺠﻌَﻞُ
ﺍﻟﺮِّﺟﺲَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻻ
ﻳَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[100] আর কারো ঈমান আনা হতে পারে না,
যতক্ষণ না আল্লাহর হুকুম হয়। পক্ষান্তরে তিনি
অপবিত্রতা আরোপ করেন যারা বুদ্ধি প্রয়োগ
করে না তাদের উপর।
[100] It is not for any person to believe,
except by the Leave of Allâh, and He will
put the wrath on those who are heedless.
[101] ﻗُﻞِ ﺍﻧﻈُﺮﻭﺍ ﻣﺎﺫﺍ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻭَﻣﺎ ﺗُﻐﻨِﻰ
ﺍﻝﺀﺍﻳٰﺖُ ﻭَﺍﻟﻨُّﺬُﺭُ ﻋَﻦ ﻗَﻮﻡٍ ﻻ
ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[101] তাহলে আপনি বলে দিন, চেয়ে দেখ
তো আসমানসমুহে ও যমীনে কি
রয়েছে। আর কোন নিদর্শন এবং কোন
ভীতিপ্রর্দশনই কোন কাজে আসে না
সেসব লোকের জন্য যারা মান্য করে না।
[101] Say: “Behold all that is in the
heavens and the earth,” but neither Ayât
(proofs, evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.) nor warners benefit
those who believe not.
[102] ﻓَﻬَﻞ ﻳَﻨﺘَﻈِﺮﻭﻥَ ﺇِﻟّﺎ ﻣِﺜﻞَ
ﺃَﻳّﺎﻡِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺧَﻠَﻮﺍ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻬِﻢ ۚ
ﻗُﻞ ﻓَﺎﻧﺘَﻈِﺮﻭﺍ ﺇِﻧّﻰ ﻣَﻌَﻜُﻢ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻤُﻨﺘَﻈِﺮﻳﻦَ
[102] সুতরাং এখন আর এমন কিছু নেই, যার
অপেক্ষা করবে, কিন্তু সেসব দিনের মতই
দিন, যা অতীত হয়ে গেছে এর পূর্বে।
আপনি বলুন; এখন পথ দেখ; আমিও
তোমাদের সাথে পথ চেয়ে রইলাম।
[102] Then do they wait for (anything)
save for (a destruction) like the days of
the men who passed away before them?
Say: “Wait then, I am (too) with you
among those who wait.”
[103] ﺛُﻢَّ ﻧُﻨَﺠّﻰ ﺭُﺳُﻠَﻨﺎ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ۚ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﺣَﻘًّﺎ ﻋَﻠَﻴﻨﺎ
ﻧُﻨﺞِ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[103] অতঃপর আমি বাঁচিয়ে নেই নিজের
রসূলগণকে এবং তাদেরকে যারা ঈমান
এনেছে এমনিভাবে। ঈমানদারদের বাঁচিয়ে
নেয়া আমার দায়িত্বও বটে।
[103] Then (in the end) We save Our
Messengers and those who believe! Thus
it is incumbent upon Us to save the
believers.
[104] ﻗُﻞ ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﺇِﻥ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﻓﻰ ﺷَﻚٍّ ﻣِﻦ ﺩﻳﻨﻰ ﻓَﻼ
ﺃَﻋﺒُﺪُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺗَﻌﺒُﺪﻭﻥَ ﻣِﻦ
ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﺃَﻋﺒُﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺍﻟَّﺬﻯ ﻳَﺘَﻮَﻓّﻯٰﻜُﻢ ۖ ﻭَﺃُﻣِﺮﺕُ ﺃَﻥ
ﺃَﻛﻮﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[104] বলে দাও-হে মানবকুল, তোমরা যদি
আমার দ্বীনের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে থাক,
তবে (জেনো) আমি তাদের এবাদত করি না
যাদের এবাদত তোমরা কর আল্লাহ ব্যতীত।
কিন্তু আমি এবাদত করি আল্লাহ ত’য়ালার, যিনি
তুলে নেন তোমাদেরকে। আর আমার প্রতি
নির্দেশ হয়েছে যাতে আমি ঈমানদারদের
অন্তর্ভুক্ত থাকি।
[104] Say (O Muhammad SAW): “O you
mankind! If you are in doubt as to my
religion (Islâm), then (know that) I will
never worship those whom you worship,
besides Allâh. But I worship Allâh Who
causes you to die, I am commanded to be
one of the believers.
[105] ﻭَﺃَﻥ ﺃَﻗِﻢ ﻭَﺟﻬَﻚَ ﻟِﻠﺪّﻳﻦِ
ﺣَﻨﻴﻔًﺎ ﻭَﻻ ﺗَﻜﻮﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻤُﺸﺮِﻛﻴﻦَ
[105] আর যেন সোজা দ্বীনের প্রতি মুখ
করি সরল হয়ে এবং যেন মুশরেকদের
অন্তর্ভুক্ত না হই।
[105] “And (it is revealed to me): Direct
your face (O Muhammad SAW) entirely
towards the religion Hanif (Islâmic
Monotheism, i.e. to worship none but
Allâh Alone), and never be one of the
Mushrikûn (those who ascribe partners
to Allâh, polytheists, idolaters,
disbelievers in the Oneness of Allâh, and
those who worship others along with
Allâh).
[106] ﻭَﻻ ﺗَﺪﻉُ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣﺎ
ﻻ ﻳَﻨﻔَﻌُﻚَ ﻭَﻻ ﻳَﻀُﺮُّﻙَ ۖ ﻓَﺈِﻥ
ﻓَﻌَﻠﺖَ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﺇِﺫًﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[106] আর নির্দেশ হয়েছে আল্লাহ
ব্যতীত এমন কাউকে ডাকবে না, যে
তোমার ভাল করবে না মন্দও করবে না।
বস্তুতঃ তুমি যদি এমন কাজ কর, তাহলে তখন
তুমিও জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
[106] “And invoke not besides Allâh, any
that will neither profit you, nor hurt you,
but if (in case) you did so, you shall
certainly be one of the Zâlimûn
(polytheists and wrong-doers).”
[107] ﻭَﺇِﻥ ﻳَﻤﺴَﺴﻚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻀُﺮٍّ
ﻓَﻼ ﻛﺎﺷِﻒَ ﻟَﻪُ ﺇِﻟّﺎ ﻫُﻮَ ۖ ﻭَﺇِﻥ
ﻳُﺮِﺩﻙَ ﺑِﺨَﻴﺮٍ ﻓَﻼ ﺭﺍﺩَّ ﻟِﻔَﻀﻠِﻪِ ۚ
ﻳُﺼﻴﺐُ ﺑِﻪِ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ﻣِﻦ
ﻋِﺒﺎﺩِﻩِ ۚ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟﻐَﻔﻮﺭُ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢُ
[107] আর আল্লাহ যদি তোমার উপর কোন
কষ্ট আরোপ করেন তাহলে কেউ নেই তা
খন্ডাবার মত তাঁকে ছাড়া। পক্ষান্তরে যদি তিনি
কিছু কল্যাণ দান করেন, তবে তার
মেহেরবানীকে রহিত করার মতও কেউ
নেই। তিনি যার প্রতি অনুগ্রহ দান করতে চান
স্বীয় বান্দাদের মধ্যে তাকেই দান
করেন; বস্তুত; তিনিই ক্ষমাশীল দয়ালু।
[107] And if Allâh touches you with hurt,
there is none who can remove it but He;
and if He intends any good for you,
there is none who can repel His Favour
which He causes it to reach whomsoever
of His slaves He wills. And He is the Oft-
Forgiving, Most Merciful.
[108] ﻗُﻞ ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻗَﺪ
ﺟﺎﺀَﻛُﻢُ ﺍﻟﺤَﻖُّ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ ۖ
ﻓَﻤَﻦِ ﺍﻫﺘَﺪﻯٰ ﻓَﺈِﻧَّﻤﺎ ﻳَﻬﺘَﺪﻯ
ﻟِﻨَﻔﺴِﻪِ ۖ ﻭَﻣَﻦ ﺿَﻞَّ ﻓَﺈِﻧَّﻤﺎ
ﻳَﻀِﻞُّ ﻋَﻠَﻴﻬﺎ ۖ ﻭَﻣﺎ ﺃَﻧﺎ۠ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﺑِﻮَﻛﻴﻞٍ
[108] বলে দাও, হে মানবকুল, সত্য
তোমাদের কাছে পৌঁছে গেছে
তোমাদের পরওয়ারদেগারের তরফ
থেকে। এমন যে কেউ পথে আসে
সেপথ প্রাপ্ত হয় স্বীয় মঙ্গলের জন্য।
আর যে বিভ্রান্ত ঘুরতে থাকে, সে স্বীয়
অমঙ্গলের জন্য বিভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে
থাকবে। অনন্তর আমি তোমাদের উপর
অধিকারী নই।
[108] Say: “O you mankind! Now truth
(i.e. the Qur’ân and Prophet Muhammad
SAW), has come to you from your Lord.
So whosoever receives guidance, he does
so for the good of his own self, and
whosoever goes astray, he does so to his
own loss, and I am not (set) over you as
a Wakîl (disposer of affairs to oblige you
for guidance).”
[109] ﻭَﺍﺗَّﺒِﻊ ﻣﺎ ﻳﻮﺣﻰٰ ﺇِﻟَﻴﻚَ
ﻭَﺍﺻﺒِﺮ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﺤﻜُﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ
ﻭَﻫُﻮَ ﺧَﻴﺮُ ﺍﻟﺤٰﻜِﻤﻴﻦَ
[109] আর তুমি চল সে অনুযায়ী যেমন
নির্দেশ আসে তোমার প্রতি এবং সবর কর,
যতক্ষণ না ফয়সালা করেন আল্লাহ। বস্তুতঃ তিনি
হচ্ছেন সর্বোত্তম ফয়সালাকারী।
[109] And (O Muhammad SAW), follow
the revelation sent unto you, and be
patient till Allâh gives judgement. And
He is the Best of judges.
Bangla translation of Quran. Developed
by Syed Mohammad RaselSurah Yunus Recitation: Sa’ad Al Ghamdi 1. আলিফ-লাম-র, এগুলো হেকমতপূর্ণ কিতাবের আয়াত। 2. মানুষের কাছে কি আশ্চর্য লাগছে যে, আমি ওহী পাঠিয়েছি তাদেরই মধ্য থেকে একজনের কাছে যেন তিনি মানুষকে সতর্ক করেন এবং সুসংবাদ শুনিয়ে দেন ঈমনাদারগণকে যে, তাঁদের জন্য সত্য মর্যাদা রয়েছে তাঁদের পালনকর্তার কাছে। কাফেররা বলতে লাগল, নিঃসন্দেহে এ লোক প্রকাশ্য যাদুকর। 3. নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরী করেছেন আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে, অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি কার্য পরিচালনা করেন। কেউ সুপারিশ করতে পাবে না তবে তাঁর অনুমতি ছাড়া ইনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তাঁরই এবাদত কর। তোমরা কি কিছুই চিন্তা কর না ? 4. তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে তোমাদের সবাইকে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য, তিনিই সৃষ্টি করেন প্রথমবার আবার পুনর্বার তৈরী করবেন তাদেরকে বদলা দেয়ার জন্য যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে ইনসাফের সাথে। আর যারা কাফের হয়েছে, তাদের পান করতে হবে ফুটন্ত পানি এবং ভোগ করতে হবে যন্ত্রনাদায়ক আযাব এ জন্যে যে, তারা কুফরী করছিল। 5. তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে। 6. নিশ্চয়ই রাত-দিনের পরিবর্তনের মাঝে এবং যা কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও যমীনে, সবই হল নিদর্শন সেসব লোকের জন্য যারা ভয় করে। 7. অবশ্যই যেসব লোক আমার সাক্ষাৎ লাভের আশা রাখে না এবং পার্থিব জীবন নিয়েই উৎফুল্ল রয়েছে, তাতেই প্রশান্তি অনুভব করেছে এবং যারা আমার নির্দশনসমূহ সম্পর্কে বেখবর। 8. এমন লোকদের ঠিকানা হল আগুন সেসবের বদলা হিসাবে যা তারা অর্জন করছিল। 9. অবশ্য যেসব লোক ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তাদেরকে হেদায়েত দান করবেন তাদের পালনকর্তা, তাদের ঈমানের মাধ্যমে। এমন সুসময় কানন-কুঞ্জের প্রতি যার তলদেশে প্রবাহিত হয় প্রস্রবণসমূহ। 10. সেখানে তাদের প্রার্থনা হল ‘পবিত্র তোমার সত্তা হে আল্লাহ’। আর শুভেচ্ছা হল সালাম আর তাদের প্রার্থনার সমাপ্তি হয়, ‘সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর জন্য’ বলে। 11. আর যদি আল্লাহ তা’আলা মানুষকে যথাশীঘ্র অকল্যাণ পৌঁছে দেন যতশীঘ্র তার কামনা করে, তাহলে তাদের আশাই শেষ করে দিতে হত। সুতরাং যাদের মনে আমার সাক্ষাতের আশা নেই, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টুমিতে ব্যতিব্যস্ত ছেড়ে দিয়ে রাখি। 12. আর যখন মানুষ কষ্টের সম্মুখীন হয়, শুয়ে বসে, দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। তারপর আমি যখন তা থেকে মুক্ত করে দেই, সে কষ্ট যখন চলে যায় তখন মনে হয় কখনো কোন কষ্টেরই সম্মুখীন হয়ে যেন আমাকে ডাকেইনি। এমনিভাবে মনঃপুত হয়েছে নির্ভয় লোকদের যা তারা করেছে। 13. অবশ্য তোমাদের পূর্বে বহু দলকে ধ্বংস করে দিয়েছি, তখন তারা জালেম হয়ে গেছে। অথচ রসূল তাদের কাছেও এসব বিষয়ের প্রকৃষ্ট নির্দেশ নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তারা ঈমান আনল না। এমনিভাবে আমি শাস্তি দিয়ে থাকি পাপি সম্প্রদায়কে। 14. অতঃপর আমি তোমাদেরকে যমীনে তাদের পর প্রতিনিধি বানিয়েছি যাতে দেখতে পারি তোমরা কি কর। 15. আর যখন তাদের কাছে আমার প্রকৃষ্ট আয়াত সমূহ পাঠ করা হয়, তখন সে সমস্ত লোক বলে, যাদের আশা নেই আমার সাক্ষাতের, নিয়ে এসো কোন কোরআন এটি ছাড়া, অথবা একে পরিবর্তিত করে দাও। তাহলে বলে দাও, একে নিজের পক্ষ থেকে পরিবর্তিত করা আমার কাজ নয়। আমি সে নির্দেশেরই আনুগত্য করি, যা আমার কাছে আসে। আমি যদি স্বীয় পরওয়ারদেগারের নাফরমানী করি, তবে কঠিন দিবসের আযাবের ভয় করি। 16. বলে দাও, যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমি এটি তোমাদের সামনে পড়তাম না, আর নাইবা তিনি তোমাদেরেকে অবহিত করতেন এ সম্পর্কে। কারণ আমি তোমাদের মাঝে ইতিপূর্বেও একটা বয়স অতিবাহিত করেছি। তারপরেও কি তোমরা চিন্তা করবে না? 17. অতঃপর তার চেয়ে বড় জালেম, কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করেছে কিংবা তাঁর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে অভিহিত করছে? কস্মিনকালেও পাপীদের কোন কল্যাণ হয় না। 18. আর উপাসনা করে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন বস্তুর, যা না তাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে, না লাভ এবং বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী। তুমি বল, তোমরা কি আল্লাহকে এমন বিষয়ে অবহিত করছ, যে সম্পর্কে তিনি অবহিত নন আসমান ও যমীনের মাঝে ? তিনি পুতঃপবিত্র ও মহান সে সমস্ত থেকে যাকে তোমরা শরীক করছ। 19. আর সমস্ত মানুষ একই উম্মতভুক্ত ছিল, পরে পৃথক হয়ে গেছে। আর একটি কথা যদি তোমার পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত না হয়ে যেত; তবে তারা যে বিষয়ে বিরোধ করছে তার মীমাংসা হয়ে যেত। 20. বস্তুতঃ তারা বলে, তাঁর কাছে তাঁর পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ এল না কেন? বলে দাও গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন। আমি ও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম। 21. আর যখন আমি আস্বাদন করাই স্বীয় রহমত সে কষ্টের পর, যা তাদের ভোগ করতে হয়েছিল, তখনই তারা আমার শক্তিমত্তার মাঝে নানা রকম ছলনা তৈরী করতে আরম্ভ করবে। আপনি বলে দিন, আল্লাহ সবচেয়ে দ্রুত কলা-কৌশল তৈরী করতে পারেন। নিশ্চয়ই আমাদের ফেরেশতারা লিখে রাখে তোমাদের ছল-চাতুরী। 22. তিনিই তোমাদের ভ্রমন করান স্থলে ও সাগরে। এমনকি যখন তোমরা নৌকাসমূহে আরোহণ করলে আর তা লোকজনকে অনুকূল হাওয়ায় বয়ে নিয়ে চলল এবং তাতে তারা আনন্দিত হল, নৌকাগুলোর উপর এল তীব্র বাতাস, আর সর্বদিক থেকে সেগুলোর উপর ঢেউ আসতে লাগল এবং তারা জানতে পারল যে, তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে, তখন ডাকতে লাগল আল্লাহকে তাঁর এবাদতে নিঃস্বার্থ হয়ে যদি তুমি আমাদেরকে এ বিপদ থেকে উদ্ধার করে তোল, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। 23. তারপর যখন তাদেরকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিলেন, তখনই তারা পৃথিবীতে অনাচার করতে লাগল অন্যায় ভাবে। হে মানুষ! শোন, তোমাদের অনাচার তোমাদেরই উপর পড়বে। পার্থিব জীবনের সুফল ভোগ করে নাও- অতঃপর আমার নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন আমি বাতলে দেব, যা কিছু তোমরা করতে। 24. পার্থিব জীবনের উদাহরণ তেমনি, যেমনি আমি আসমান থেকে পানি বর্ষন করলাম, পরে তা মিলিত সংমিশ্রিত হয়ে তা থেকে যমীনের শ্যামল উদ্ভিদ বেরিয়ে এল যা মানুষ ও জীব-জন্তুরা খেয়ে থাকে। এমনকি যমীন যখন সৌন্দর্য সুষমায় ভরে উঠলো আর যমীনের অধিকর্তারা ভাবতে লাগল, এগুলো আমাদের হাতে আসবে, হঠাৎ করে তার উপর আমার নির্দেশ এল রাত্রে কিংবা দিনে, তখন সেগুলোকে কেটে স্তুপাকার করে দিল যেন কাল ও এখানে কোন আবাদ ছিল না। এমনিভাবে আমি খোলাখুলি বর্ণনা করে থাকি নিদর্শণসমূহ সে সমস্ত লোকদের জন্য যারা লক্ষ্য করে। 25. আর আল্লাহ শান্তি- নিরাপত্তার আলয়ের প্রতি আহবান জানান এবং যাকে ইচ্ছা সরলপথ প্রদর্শন করেন। 26. যারা সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং তারও চেয়ে বেশী। আর তাদের মুখমন্ডলকে আবৃত করবে না মলিনতা কিংবা অপমান। তারাই হল জান্নাতবাসী, এতেই তারা বসবাস করতে থাকবে অনন্তকাল। 27. আর যারা সঞ্চয় করেছে অকল্যাণ অসৎ কর্মের বদলায় সে পরিমাণ অপমান তাদের চেহারাকে আবৃত করে ফেলবে। কেউ নেই তাদেরকে বাঁচাতে পারে আল্লাহর হাত থেকে। তাদের মুখমন্ডল যেন ঢেকে দেয়া হয়েছে আধাঁর রাতের টুকরো দিয়ে। এরা হল দোযখবাসী। এরা এতেই থাকবে অনন্তকাল। 28. আর যেদিন আমি তাদের সবাইকে সমবেত করব; আর যারা শেরক করত তাদেরকে বলবঃ তোমরা এবং তোমাদের শরীকরা নিজ নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে যাও- অতঃপর তাদেরকে পারস্পরিক বিচ্ছিন্ন করে দেব, তখন তাদের শরীকরা বলবে, তোমরা তো আমাদের উপাসনা-বন্দেগী করনি। 29. বস্তুতঃ আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের মাঝে সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট। আমরা তোমাদের বন্দেগী সম্পর্কে জানতাম না। 30. সেখানে প্রত্যেকে যাচাই করে নিতে পারবে যা কিছু সে ইতিপূর্বে করেছিল এবং আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে যিনি তাদের প্রকৃত মালিক, আর তাদের কাছ থেকে দূরে যেতে থাকবে যারা মিথ্যা বলত। 31. তুমি জিজ্ঞেস কর, কে রুযী দান করে তোমাদেরকে আসমান থেকে ও যমীন থেকে, কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তাছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ! তখন তুমি বলো তারপরেও ভয় করছ না? 32. অতএব, এ আল্লাহই তোমাদের প্রকৃত পালনকর্তা। আর সত্য প্রকাশের পরে (উদভ্রান্ত ঘুরার মাঝে) কি রয়েছে গোমরাহী ছাড়া? সুতরাং কোথায় ঘুরছ? 33. এমনিভাবে সপ্রমাণিত হয়ে গেছে তোমার পরওয়ারদেগারের বাণী সেসব নাফরমানের ব্যাপারে যে, এরা ঈমান আনবে না। 34. বল, আছে কি কেউ তোমাদের শরীকদের মাঝে যে সৃষ্টি কে পয়দা করতে পারে এবং আবার জীবিত করতে পারে? বল, আল্লাহই প্রথমবার সৃষ্টি করেন এবং অতঃপর তার পুনরুদ্ভব করবেন। অতএব, কোথায় ঘুরপাক খাচ্ছে? 35. জিজ্ঞেস কর, আছে কি কেউ তোমাদের শরীকদের মধ্যে যে সত্য-সঠিক পথ প্রদর্শন করবে? বল, আল্লাহই সত্য-সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, সুতরাং এমন যে লোক সঠিক পথ দেখাবে তার কথা মান্য করা কিংবা যে লোক নিজে নিজে পথ খুঁজে পায় না, তাকে পথ দেখানো কর্তব্য। অতএব, তোমাদের কি হল, কেমন তোমাদের বিচার? 36. বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে। 37. আর কোরআন সে জিনিস নয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কেউ তা বানিয়ে নেবে। অবশ্য এটি পূর্ববর্তী কালামের সত্যায়ন করে এবং সে সমস্ত বিষয়ের বিশ্লেষণ দান করে যা তোমার প্রতি দেয়া হয়েছে, যাতে কোন সন্দেহ নেই- তোমার বিশ্বপালনকর্তার পক্ষ থেকে। 38. মানুষ কি বলে যে, এটি বানিয়ে এনেছ? বলে দাও, তোমরা নিয়ে এসো একটিই সূরা, আর ডেকে নাও, যাদেরকে নিতে সক্ষম হও আল্লাহ ব্যতীত, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক। 39. কিন্তু কথা হল এই যে, তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে আরম্ভ করেছে যাকে বুঝতে, তারা অক্ষম। অথচ এখনো এর বিশ্লেষণ আসেনি। এমনিভাবে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তাদের পূর্ববর্তীরা। অতএব, লক্ষ্য করে দেখ, কেমন হয়েছে পরিণতি। 40. আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোরআনকে বিশ্বাস করবে এবং কেউ কেউ বিশ্বাস করবে না। বস্তুতঃ তোমার পরওয়ারদেগার যথার্থই জানেন দুরাচারদিগকে। 41. আর যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে বল, আমার জন্য আমার কর্ম, আর তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম। তোমাদের দায়-দায়িত্ব নেই আমার কর্মের উপর এবং আমারও দায়-দায়িত্ব নেই তোমরা যা কর সেজন্য। 42. তাদের কেউ কেউ কান রাখে তোমাদের প্রতি; তুমি বধিরদেরকে কি শোনাবে যদি তাদের বিবেক-বুদ্ধি না থাকে! 43. আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ রাখে; তুমি অন্ধদেরকে কি পথ দেখাবে যদি তারা মোটেও দেখতে না পারে। 44. আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে। 45. আর যেদিন তাদেরকে সমবেত করা হবে, যেন তারা অবস্থান করেনি, তবে দিনের একদন্ড একজন অপরজনকে চিনবে। নিঃসন্দেহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতকে এবং সরলপথে আসেনি। 46. আর যদি আমি দেখাই তোমাকে সে ওয়াদাসমূহের মধ্য থেকে কোন কিছু যা আমি তাদের সাথে করেছি, অথবা তোমাকে মৃত্যুদান করি, যাহোক, আমার কাছেই তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। বস্তুতঃ আল্লাহ সে সমস্ত কর্মের সাক্ষী যা তারা করে। 47. আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একেকজন রসূল রয়েছে। যখন তাদের কাছে তাদের রসূল ন্যায়দন্ডসহ উপস্থিত হল, তখন আর তাদের উপর জুলুম হয় না। 48. তারা আরো বলে, এ ওয়াদা কবে আসবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক? 49. তুমি বল, আমি আমার নিজের ক্ষতি কিংবা লাভেরও মালিক নই, কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যই একেকটি ওয়াদা রয়েছে, যখন তাদের সে ওয়াদা এসে পৌঁছে যাবে, তখন না একদন্ড পেছনে সরতে পারবে, না সামনে ফসকাতে পারবে,। 50. তুমি বল, আচ্ছা দেখ তো দেখি, যদি তোমাদের উপর তার আযাব রাতারাতি অথবা দিনের বেলায় এসে পৌঁছে যায়, তবে এর আগে পাপীরা কি করবে? 51. তাহলে কি আযাব সংঘটিত হয়ে যাবার পর এর প্রতি বিশ্বাস করবে? এখন স্বীকার করলে? অথচ তোমরা এরই তাকাদা করতে? 52. অতঃপর বলা হবে, গোনাহগারদিগকে, ভোগ করতে থাক অনন্ত আযাব- তোমরা যা কিছু করতে তার তাই প্রতিফল। 53. আর তোমার কাছে সংবাদ জিজ্ঞেস করে, এটা কি সত্য? বলে দাও, অবশ্যই আমার পরওয়ারদেগারের কসম এটা সত্য। আর তোমরা পরিশ্রান্ত করে দিতে পারবে না। 54. বস্তুতঃ যদি প্রত্যেক গোনাহগারের কাছে এত পরিমাণ থাকে যা আছে সমগ্র যমীনের মাঝে, আর অবশ্যই যদি সেগুলো নিজের মুক্তির বিনিময়ে দিতে চাইবে আর গোপনে গোপনে অনুতাপ করবে, যখন আযাব দেখবে। বস্তুতঃ তাদের জন্য সিদ্ধান্ত হবে ন্যায়সঙ্গত এবং তাদের উপর জুলম হবে না। 55. শুনে রাখ, যা কিছু রয়েছে আসমানসমূহে ও যমীনে সবই আল্লাহর। শুনে রাখ, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। তবে অনেকেই জানে না। 56. তিনিই জীবন ও মরণ দান করেন এবং তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। 57. হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। 58. বল, আল্লাহর দয়া ও মেহেরবাণীতে। সুতরাং এরই প্রতি তাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। এটিই উত্তম সে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছ। 59. বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ, যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ? 60. আর আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপকারীদের কি ধারণা কেয়ামত সম্পর্কে? আল্লাহ তো মানুষের প্রতি অনুগ্রহই করেন, কিন্তু অনেকেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না। 61. বস্তুতঃ যে কোন অবস্থাতেই তুমি থাক এবং কোরআনের যে কোন অংশ থেকেই পাঠ করা কিংবা যে কোন কাজই তোমরা কর অথচ আমি তোমাদের নিকটে উপস্থিত থাকি যখন তোমরা তাতে আত্ননিয়োগ কর। আর তোমার পরওয়ারদেগার থেকে গোপন থাকে না একটি কনাও, না যমীনের এবং না আসমানের। না এর চেয়ে ক্ষুদ্র কোন কিছু আছে, না বড় যা এই প্রকৃষ্ট কিতাবে নেই। 62. মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে। 63. যারা ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে রয়েছে। 64. তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের- ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা। 65. আর তাদের কথায় দুঃখ নিয়ো না। আসলে সমস্ত ক্ষমতা আল্লাহর। তিনিই শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ। 66. শুনছ, আসমানসমূহে ও যমীনে যা কিছু রয়েছে সবই আল্লাহর। আর এরা যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে শরীকদের উপাসনার পেছনে পড়ে আছে-তা আসলে কিছুই নয়। এরা নিজেরই কল্পনার পেছনে পড়ে রয়েছে এবং এছাড়া আর কিছু নয় যে, এরা বুদ্ধি খাটাচ্ছে। 67. তিনি তোমাদের জন্য তৈরী করেছেন রাত, যাতে করে তোমরা তাতে প্রশান্তি লাভ করতে পার, আর দিন দিয়েছেন দর্শন করার জন্য। নিঃসন্দেহে এতে নিদর্শন রয়েছে সে সব লোকের জন্য যারা শ্রবণ করে। 68. তারা বলে, আল্লাহ পুত্র সাব্যস্ত করে নিয়েছেন- তিনি পবিত্র, তিনি অমুখাপেক্ষী। যাকিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে সবই তাঁর। তোমাদের কাছে তার কোন সনদ নেই। কেন তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ কর-যার কোন সনদই তোমাদের কাছে নেই? 69. বলে দাও, যারা এরূপ করে তারা অব্যাহতি পায় না। 70. পার্থিবজীবনে সামান্যই লাভ, অতঃপর আমার নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন আমি তাদেরকে আস্বাদন করাব কঠিন আযাব- তাদেরই কৃত কুফরীর বদলাতে। 71. আর তাদেরকে শুনিয়ে দাও নূহের অবস্থা যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল, হে আমার সম্প্রদায়, যদি তোমাদের মাঝে আমার অবস্থিতি এবং আল্লাহর আয়াতসমূহের মাধ্যমে নসীহত করা ভারী বলে মনে হয়ে থাকে, তবে আমি আল্লাহর উপর ভরসা করছি। এখন তোমরা সবাই মিলে নিজেরদের কর্ম সাব্যস্ত কর এবং এতে তোমাদের শরীকদেরকে সমবেত করে নাও, যাতে তোমাদের মাঝে নিজেদের কাজের ব্যাপারে কোন সন্দেহ- সংশয় না থাকে। অতঃপর আমার সম্পর্কে যা কিছু করার করে ফেল এবং আমাকে অব্যাহতি দিও না। 72. তারপরও যদি বিমুখতা অবলম্বন কর, তবে আমি তোমাদের কাছে কোন রকম বিনিময় কামনা করি না। আমার বিনিময় হল আল্লাহর দায়িত্বে। আর আমার প্রতি নির্দেশ রয়েছে যেন আমি আনুগত্য অবলম্বন করি। 73. তারপরও এরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। সুতরাং তাকে এবং তার সাথে নৌকায় যারা ছিল তাদের কে বাঁচিয়ে নিয়েছি এবং যথাস্থানে আবাদ করেছি। আর তাদেরকে ডুবিয়ে দিয়েছি যারা আমার কথাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং লক্ষ্য কর, কেমন পরিণতি ঘটেছে তাদের যাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। 74. অনন্তর আমি নূহের পরে বহু নবী-রসূল পাঠিয়েছি তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি। তারপর তাদের কাছে তারা প্রকাশ্য দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে, কিন্তু তাদের দ্বারা এমনটি হয়নি যে, ঈমান আনবে সে ব্যাপারে, যাকে তারা ইতিপূর্বে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল। এভাবেই আমি মোহর এঁটে দেই সীমালংঘনকারীদের অন্তরসমূহের উপর। 75. অতঃপর তাদের পেছনে পাঠিয়েছি আমি মূসা ও হারুনকে, ফেরাউন ও তার সর্দারের প্রতি স্বীয় নির্দেশাবলী সহকারে। অথচ তারা অহংকার করতে আরম্ভ করেছে। 76. বস্তুতঃ তারা ছিল গোনাহগার। তারপর আমার পক্ষ থেকে যখন তাদের কাছে সত্য বিষয় উপস্থিত হল, তখন বলতে লাগলো, এগুলো তো প্রকাশ্য যাদু। 77. মূসা বলল, সত্যের ব্যাপারে একথা বলছ, তা তোমাদের কাছে পৌঁছার পর? একি যাদু? অথচ যারা যাদুকর, তারা সফল হতে পারে না। 78. তারা বলল, তুমি কি আমাদেরকে সে পথ থেকে ফিরিয়ে দিতে এসেছ যাতে আমরা পেয়েছি আমাদের বাপ-দাদাদেরকে? আর যাতে তোমরা দুইজন এদেশের সর্দারী পেয়ে যেতে পার? আমরা তোমাদেরকে কিছুতেই মানব না। 79. আর ফেরাউন বলল, আমার কাছে নিয়ে এস সুদক্ষ যাদুকরদিগকে। 80. তারপর যখন যাদুকররা এল, মূসা তাদেরকে বলল, নিক্ষেপ কর, তোমরা যা কিছু নিক্ষেপ করে থাক। 81. অতঃপর যখন তারা নিক্ষেপ করল, মূসা বলল, যা কিছু তোমরা এনেছ তা সবই যাদু- এবার আল্লাহ এসব ভন্ডুল করে দিচ্ছেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ দুস্কর্মীদের কর্মকে সুষ্ঠুতা দান করেন না। 82. আল্লাহ সত্যকে সত্যে পরিণত করেন স্বীয় নির্দেশে যদিও পাপীদের তা মনঃপুত নয়। 83. আর কেউ ঈমান আনল না মূসার প্রতি তাঁর কওমের কতিপয় বালক ছাড়া- ফেরাউন ও তার সর্দারদের ভয়ে যে, এরা না আবার কোন বিপদে ফেলে দেয়। ফেরাউন দেশময় কর্তêৃত্বের শিখরে আরোহণ করেছিল। আর সে তার হাত ছেড়ে রেখেছিল। 84. আর মূসা বলল, হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা যদি আল্লাহর উপর ঈমান এনে থাক, তবে তারই উপর ভরসা কর যদি তোমরা ফরমাবরদার হয়ে থাক। 85. তখন তারা বলল, আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করেছি। হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের উপর এ জালেম কওমের শক্তি পরীক্ষা করিও না। 86. আর আমাদেরকে অনুগ্রহ করে ছাড়িয়ে দাও এই কাফেরদের কবল থেকে। 87. আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে বাস স্থান নির্ধারণ কর। আর তোমাদের ঘরগুলো বানাবে কেবলামুখী করে এবং নামায কায়েম কর আর যারা ঈমানদার তাদেরকে সুসংবাদ দান কর। 88. মূসা বলল, হে আমার পরওয়ারদেগার, তুমি ফেরাউনকে এবং তার সর্দারদেরকে পার্থব জীবনের আড়ম্বর দান করেছ, এবং সম্পদ দান করেছ- হে আমার পরওয়ারদেগার, এ জন্যই যে তারা তোমার পথ থেকে বিপথগামী করব! হে আমার পরওয়ারদেগার, তাদের ধন-সম্পদ ধ্বংস করে দাও এবং তাদের অন্তরগুলোকে কাঠোর করে দাও যাতে করে তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমান না আনে যতক্ষণ না বেদনাদায়ক আযাব প্রত্যক্ষ করে নেয়। 89. বললেন, তোমাদের দোয়া মঞ্জুর হয়েছে। অতএব তোমরা দুজন অটল থাকো এবং তাদের পথে চলো না যারা অজ্ঞ। 90. আর বনী-ইসরাঈলকে আমি পার করে দিয়েছি নদী। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনী, দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশে। এমনকি যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করল, তখন বলল, এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে, কোন মা’বুদ নেই তাঁকে ছাড়া যাঁর উপর ঈমান এনেছে বনী-ইসরাঈলরা। বস্তুতঃ আমিও তাঁরই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। 91. এখন একথা বলছ! অথচ তুমি ইতিপূর্বে না-ফরমানী করছিলে। এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে। 92. অতএব আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না। 93. আর আমি বনী-ইসরাঈলদিগকে দান করেছি উত্তম স্থান এবং তাদেরকে আহার্য দিয়েছি পবিত্র-পরিচ্ছন্ন বস্তু- সামগ্রী। বস্তুতঃ তাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়নি যতক্ষণ না তাদের কাছে এসে পৌছেছে সংবাদ। নিঃসন্দেহে তোমার পরওয়ারদেগার তাদের মাঝে মীমাংসা করে দেবেন কেয়ামতের দিন; যে ব্যাপারে তাদের মাঝে মতবিরোধ হয়েছিল 94. সুতরাং তুমি যদি সে বস্তু সম্পর্কে কোন সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক যা তোমার প্রতি আমি নাযিল করেছি, তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো যারা তোমার পূর্ব থেকে কিতাব পাঠ করছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে। কাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী হয়ো না। 95. এবং তাদের অন্তর্ভুক্তও হয়ো না যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আল্লাহর বাণীকে। তাহলে তুমিও অকল্যাণে পতিত হয়ে যাবে। 96. যাদের ব্যাপারে তোমার পরওয়ারদেগারের সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হয়ে গেছে তারা ঈমান আনবে না। 97. যদি তাদের সামনে সমস্ত নিদর্শনাবলী এসে উপস্থিত হয় তবুও যতক্ষণ না তারা দেখতে পায় বেদনাদায়ক আযাব। 98. সুতরাং কোন জনপদ কেন এমন হল না যা ঈমান এনেছে অতঃপর তার সে ঈমান গ্রহণ হয়েছে কল্যাণকর? অবশ্য ইউনুসের সম্প্রদায়ের কথা আলাদা। তারা যখন ঈমান আনে তখন আমি তুলে নেই তাদের উপর থেকে অপমানজনক আযাব-পার্থিব জীবনে এবং তাদের কে কল্যাণ পৌছাই এক নিধারিত সময় পর্যন্ত। 99. আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য? 100. আর কারো ঈমান আনা হতে পারে না, যতক্ষণ না আল্লাহর হুকুম হয়। পক্ষান্তরে তিনি অপবিত্রতা আরোপ করেন যারা বুদ্ধি প্রয়োগ করে না তাদের উপর। 101. তাহলে আপনি বলে দিন, চেয়ে দেখ তো আসমানসমুহে ও যমীনে কি রয়েছে। আর কোন নিদর্শন এবং কোন ভীতিপ্রর্দশনই কোন কাজে আসে না সেসব লোকের জন্য যারা মান্য করে না। 102. সুতরাং এখন আর এমন কিছু নেই, যার অপেক্ষা করবে, কিন্তু সেসব দিনের মতই দিন, যা অতীত হয়ে গেছে এর পূর্বে। আপনি বলুন; এখন পথ দেখ; আমিও তোমাদের সাথে পথ চেয়ে রইলাম। 103. অতঃপর আমি বাঁচিয়ে নেই নিজের রসূলগণকে এবং তাদেরকে যারা ঈমান এনেছে এমনিভাবে। ঈমানদারদের বাঁচিয়ে নেয়া আমার দায়িত্বও বটে। 104. বলে দাও-হে মানবকুল, তোমরা যদি আমার দ্বীনের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে থাক, তবে (জেনো) আমি তাদের এবাদত করি না যাদের এবাদত তোমরা কর আল্লাহ ব্যতীত। কিন্তু আমি এবাদত করি আল্লাহ ত’য়ালার, যিনি তুলে নেন তোমাদেরকে। আর আমার প্রতি নির্দেশ হয়েছে যাতে আমি ঈমানদারদের অন্তর্ভুক্ত থাকি। 105. আর যেন সোজা দ্বীনের প্রতি মুখ করি সরল হয়ে এবং যেন মুশরেকদের অন্তর্ভুক্ত না হই। 106. আর নির্দেশ হয়েছে আল্লাহ ব্যতীত এমন কাউকে ডাকবে না, যে তোমার ভাল করবে না মন্দও করবে না। বস্তুতঃ তুমি যদি এমন কাজ কর, তাহলে তখন তুমিও জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। 107. আর আল্লাহ যদি তোমার উপর কোন কষ্ট আরোপ করেন তাহলে কেউ নেই তা খন্ডাবার মত তাঁকে ছাড়া। পক্ষান্তরে যদি তিনি কিছু কল্যাণ দান করেন, তবে তার মেহেরবানীকে রহিত করার মতও কেউ নেই। তিনি যার প্রতি অনুগ্রহ দান করতে চান স্বীয় বান্দাদের মধ্যে তাকেই দান করেন; বস্তুত; তিনিই ক্ষমাশীল দয়ালু। 108. বলে দাও, হে মানবকুল, সত্য তোমাদের কাছে পৌঁছে গেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের তরফ থেকে। এমন যে কেউ পথে আসে সেপথ প্রাপ্ত হয় স্বীয় মঙ্গলের জন্য। আর যে বিভ্রান্ত ঘুরতে থাকে, সে স্বীয় অমঙ্গলের জন্য বিভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে থাকবে। অনন্তর আমি তোমাদের উপর অধিকারী নই। 109. আর তুমি চল সে অনুযায়ী যেমন নির্দেশ আসে তোমার প্রতি এবং সবর কর, যতক্ষণ না ফয়সালা করেন আল্লাহ। বস্তুতঃ তিনি হচ্ছেন সর্বোত্তম ফয়সালাকারী।

No comments:

Post a Comment

Translate