Sunday, November 15, 2020

2.সুরাতুল বাকারাহ(01-286)

 

2.সুরাতুল বাকারাহ(01-286)


ﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟﻢ
[1] আলিফ লাম মীম।
[1] Alif-Lâm-Mîm. [These letters are one
of the miracles of the Qur’ân and none
but Allâh (Alone) knows their meanings]
[2] ﺫٰﻟِﻚَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐُ ﻻ ﺭَﻳﺐَ ۛ ﻓﻴﻪِ ۛ
ﻫُﺪًﻯ ﻟِﻠﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[2] এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ
নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের
জন্য,
[2] This is the Book (the Qur’ân),
whereof there is no doubt, a guidance to
those who are Al-Muttaqûn [the pious
and righteous persons who fear Allâh
much (abstain from all kinds of sins and
evil deeds which He has forbidden) and
love Allâh much (perform all kinds of
good deeds which He has ordained)].
[3] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺑِﺎﻟﻐَﻴﺐِ
ﻭَﻳُﻘﻴﻤﻮﻥَ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻭَﻣِﻤّﺎ
ﺭَﺯَﻗﻨٰﻬُﻢ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ
[3] যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস
স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা
করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান
করেছি তা থেকে ব্যয় করে
[3] Who believe in the Ghaib and
perform As-Salât (Iqâmat-as-Salât), and
spend out of what we have provided for
them [i.e. give Zakât, spend on
themselves, their parents, their children,
their wives, etc., and also give charity to
the poor and also in Allâh’s Cause –
Jihâd,].
[4] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺑِﻤﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ
ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻚَ
ﻭَﺑِﺎﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻫُﻢ ﻳﻮﻗِﻨﻮﻥَ
[4] এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে
সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার
প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব
বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের
প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর
আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে
বিশ্বাস করে।
[4] And who believe in (the Qur’ân and
the Sunnah) which has been sent down
(revealed) to you (Muhammad Peace be
upon him ) and in that whivh we sent
down before [the Taurât (Torah) and the
Injeel (Gospel), etc.] and they believe
with certainty in the Hereafter.
(Resurrection, recompense of their good
and bad deeds, Paradise and Hell,)
[5] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻋَﻠﻰٰ ﻫُﺪًﻯ ﻣِﻦ
ﺭَﺑِّﻬِﻢ ۖ ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻤُﻔﻠِﺤﻮﻥَ
[5] তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ
থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ
সফলকাম।
[5] They are on (true) guidance from
their Lord, and they are the successful.
[6] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺳَﻮﺍﺀٌ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺀَﺃَﻧﺬَﺭﺗَﻬُﻢ ﺃَﻡ ﻟَﻢ
ﺗُﻨﺬِﺭﻫُﻢ ﻻ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[6] নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে
তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর
নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না,
তারা ঈমান আনবে না।
[6] Verily, those who disbelieve, it is the
same to them whether you (O
Muhammad Peace be upon him ) warn
them or do not warn them, they will not
believe.
[7] ﺧَﺘَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ
ﻭَﻋَﻠﻰٰ ﺳَﻤﻌِﻬِﻢ ۖ ﻭَﻋَﻠﻰٰ
ﺃَﺑﺼٰﺮِﻫِﻢ ﻏِﺸٰﻮَﺓٌ ۖ ﻭَﻟَﻬُﻢ
ﻋَﺬﺍﺏٌ ﻋَﻈﻴﻢٌ
[7] আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং
তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন,
আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে
দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে
কঠোর শাস্তি।
[7] Allâh has set a seal on their hearts
and on their hearings, (i.e. they are
closed from accepting Allâh’s Guidance),
and on their eyes there is a covering.
Theirs will be a great torment.
[8] ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻣَﻦ ﻳَﻘﻮﻝُ
ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺎﻟﻴَﻮﻡِ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ
ﻭَﻣﺎ ﻫُﻢ ﺑِﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[8] আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন
রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও
পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ
আদৌ তারা ঈমানদার নয়।
[8] And of mankind, there are some
(hypocrites) who say: “We believe in
Allâh and the Last Day” while in fact
they believe not.
[9] ﻳُﺨٰﺪِﻋﻮﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻣﺎ ﻳَﺨﺪَﻋﻮﻥَ ﺇِﻟّﺎ
ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ ﻭَﻣﺎ ﻳَﺸﻌُﺮﻭﻥَ
[9] তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে
ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা
নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে
ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব
করতে পারে না।
[9] They (think to) deceive Allâh and
those who believe, while they only
deceive themselves, and perceive (it) not!
[10] ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ﻣَﺮَﺽٌ
ﻓَﺰﺍﺩَﻫُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﺮَﺿًﺎ ۖ ﻭَﻟَﻬُﻢ
ﻋَﺬﺍﺏٌ ﺃَﻟﻴﻢٌ ﺑِﻤﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻳَﻜﺬِﺑﻮﻥَ
[10] তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর
আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে
দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য
নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব,
তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
[10] In their hearts is a disease (of doubt
and hypocrisy) and Allâh has increased
their disease. A painful torment is theirs
because they used to tell lies.
[11] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻗﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢ ﻻ ﺗُﻔﺴِﺪﻭﺍ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻧَﺤﻦُ
ﻣُﺼﻠِﺤﻮﻥَ
[11] আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে,
দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি
করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো
মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।
[11] And when it is said to them: “Make
not mischief on the earth,” they say: “We
are only peacemakers.”
[12] ﺃَﻻ ﺇِﻧَّﻬُﻢ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻤُﻔﺴِﺪﻭﻥَ
ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻻ ﻳَﺸﻌُﺮﻭﻥَ
[12] মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা
সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি
করে না।
[12] Verily! They are the ones who make
mischief, but they perceive not.
[13] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻗﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢ ﺀﺍﻣِﻨﻮﺍ ﻛَﻤﺎ
ﺀﺍﻣَﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺃَﻧُﺆﻣِﻦُ
ﻛَﻤﺎ ﺀﺍﻣَﻦَ ﺍﻟﺴُّﻔَﻬﺎﺀُ ۗ ﺃَﻻ ﺇِﻧَّﻬُﻢ
ﻫُﻢُ ﺍﻟﺴُّﻔَﻬﺎﺀُ ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻻ
ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[13] আর যখন তাদেরকে বলা হয়,
অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে
তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন
তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব
বোকাদেরই মত! মনে রেখো,
প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু
তারা তা বোঝে না।
[13] And when it is said to them
(hypocrites): “Believe as the people
(followers of Muhammad Peace be upon
him , Al-Ansâr and Al-Muhajirûn) have
believed,” they say: “Shall we believe as
the fools have believed?” Verily, they are
the fools, but they know not
[14] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻟَﻘُﻮﺍ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﻭَﺇِﺫﺍ ﺧَﻠَﻮﺍ ﺇِﻟﻰٰ
ﺷَﻴٰﻄﻴﻨِﻬِﻢ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻧّﺎ ﻣَﻌَﻜُﻢ
ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻧَﺤﻦُ ﻣُﺴﺘَﻬﺰِﺀﻭﻥَ
[14] আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে
মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি।
আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে
একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে,
আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি।
আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস
করি মাত্রা।
[14] And when they meet those who
believe, they say: “We believe,” but when
they are alone with their Shayâtin (devils
– polytheists, hypocrites), they say:
“Truly, we are with you; verily, we were
but mocking.”
[15] ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺴﺘَﻬﺰِﺉُ ﺑِﻬِﻢ
ﻭَﻳَﻤُﺪُّﻫُﻢ ﻓﻰ ﻃُﻐﻴٰﻨِﻬِﻢ
ﻳَﻌﻤَﻬﻮﻥَ
[15] বরং আল্লাহই তাদের সাথে
উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি
ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের
অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও
পেরেশান থাকে।
[15] Allâh mocks at them and gives them
increase in their wrong-doings to
wander blindly.
[16] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺷﺘَﺮَﻭُﺍ
ﺍﻟﻀَّﻠٰﻠَﺔَ ﺑِﺎﻟﻬُﺪﻯٰ ﻓَﻤﺎ ﺭَﺑِﺤَﺖ
ﺗِﺠٰﺮَﺗُﻬُﻢ ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻣُﻬﺘَﺪﻳﻦَ
[16] তারা সে সমস্ত লোক, যারা
হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী
খরিদ করে। বস্তুতঃ তারা তাদের এ
ব্যবসায় লাভবান হতে পারেনি এবং
তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি।
[16] These are they who have purchased
error for guidance, so their commerce
was profitless. And they were not
guided.
[17] ﻣَﺜَﻠُﻬُﻢ ﻛَﻤَﺜَﻞِ ﺍﻟَّﺬِﻯ
ﺍﺳﺘَﻮﻗَﺪَ ﻧﺎﺭًﺍ ﻓَﻠَﻤّﺎ ﺃَﺿﺎﺀَﺕ
ﻣﺎ ﺣَﻮﻟَﻪُ ﺫَﻫَﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻨﻮﺭِﻫِﻢ
ﻭَﺗَﺮَﻛَﻬُﻢ ﻓﻰ ﻇُﻠُﻤٰﺖٍ ﻻ
ﻳُﺒﺼِﺮﻭﻥَ
[17] তাদের অবস্থা সে ব্যক্তির মত, যে
লোক কোথাও আগুন জ্বালালো এবং
তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুন
স্পষ্ট করে তুললো, ঠিক এমনি সময়
আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে
উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে
অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা
কিছুই দেখতে পায় না।
[17] Their likeness is as the likeness of
one who kindled a fire; then, when it
lighted all around him, Allâh took away
their light and left them in darkness. (So)
they could not see.
[18] ﺻُﻢٌّ ﺑُﻜﻢٌ ﻋُﻤﻰٌ ﻓَﻬُﻢ ﻻ
ﻳَﺮﺟِﻌﻮﻥَ
[18] তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং
তারা ফিরে আসবে না।
[18] They are deaf, dumb, and blind, so
they return not (to the Right Path).
[19] ﺃَﻭ ﻛَﺼَﻴِّﺐٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ
ﻓﻴﻪِ ﻇُﻠُﻤٰﺖٌ ﻭَﺭَﻋﺪٌ ﻭَﺑَﺮﻕٌ
ﻳَﺠﻌَﻠﻮﻥَ ﺃَﺻٰﺒِﻌَﻬُﻢ ﻓﻰ
ﺀﺍﺫﺍﻧِﻬِﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺼَّﻮٰﻋِﻖِ ﺣَﺬَﺭَ
ﺍﻟﻤَﻮﺕِ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣُﺤﻴﻂٌ
ﺑِﺎﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[19] আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের
মত যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ
চলে, যাতে থাকে আঁধার, গর্জন ও
বিদ্যুৎচমক। মৃত্যুর ভয়ে গর্জনের সময়
কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়।
অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক
পরিবেষ্ঠিত।
[19] Or like a rainstorm from the sky,
wherein is darkness, thunder, and
lightning. They thrust their fingers in
their ears to keep out the stunning
thunderclap for fear of death. But Allâh
ever encompasses the disbelievers (i.e.
Allâh will gather them all together).
[20] ﻳَﻜﺎﺩُ ﺍﻟﺒَﺮﻕُ ﻳَﺨﻄَﻒُ
ﺃَﺑﺼٰﺮَﻫُﻢ ۖ ﻛُﻠَّﻤﺎ ﺃَﺿﺎﺀَ ﻟَﻬُﻢ
ﻣَﺸَﻮﺍ ﻓﻴﻪِ ﻭَﺇِﺫﺍ ﺃَﻇﻠَﻢَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ
ﻗﺎﻣﻮﺍ ۚ ﻭَﻟَﻮ ﺷﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺬَﻫَﺐَ
ﺑِﺴَﻤﻌِﻬِﻢ ﻭَﺃَﺑﺼٰﺮِﻫِﻢ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[20] বিদ্যুতালোকে যখন সামান্য
আলোকিত হয়, তখন কিছুটা পথ চলে।
আবার যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন ঠাঁয়
দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহ ইচ্ছা
করেন, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি ও
দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিতে পারেন।
আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময়
ক্ষমতাশীল।
[20] The lightning almost snatches away
their sight, whenever it flashes for them,
they walk therein, and when darkness
covers them, they stand still. And if Allâh
willed, He could have taken away their
hearing and their sight. Certainly, Allâh
has power over all things.
[21] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﺍﻋﺒُﺪﻭﺍ
ﺭَﺑَّﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﺘَّﻘﻮﻥَ
[21] হে মানব সমাজ! তোমরা
তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর,
যিনি তোমাদিগকে এবং তোমাদের
পূর্ববর্তীদিগকে সৃষ্টি করেছেন। তাতে
আশা করা যায়, তোমরা পরহেযগারী
অর্জন করতে পারবে।
[21] O mankind! Worship your Lord
(Allâh), Who created you and those who
were before you so that you may become
Al-Muttaqûn (the pious – see V.2:2).
[22] ﺍﻟَّﺬﻯ ﺟَﻌَﻞَ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻷَﺭﺽَ
ﻓِﺮٰﺷًﺎ ﻭَﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀَ ﺑِﻨﺎﺀً ﻭَﺃَﻧﺰَﻝَ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ﻣﺎﺀً ﻓَﺄَﺧﺮَﺝَ ﺑِﻪِ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﺜَّﻤَﺮٰﺕِ ﺭِﺯﻗًﺎ ﻟَﻜُﻢ ۖ ﻓَﻼ
ﺗَﺠﻌَﻠﻮﺍ ﻟِﻠَّﻪِ ﺃَﻧﺪﺍﺩًﺍ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[22] যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য
ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ
স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর
আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে
তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন
করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে।
অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য
কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব
তোমরা জান।
[22] Who has made the earth a resting
place for you, and the sky as a canopy,
and sent down water (rain) from the sky
and brought forth therewith fruits as a
provision for you. Then do not set up
rivals unto Allâh (in worship) while you
know (that He Alone has the right to be
worshipped).
[23] ﻭَﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻓﻰ ﺭَﻳﺐٍ ﻣِﻤّﺎ
ﻧَﺰَّﻟﻨﺎ ﻋَﻠﻰٰ ﻋَﺒﺪِﻧﺎ ﻓَﺄﺗﻮﺍ
ﺑِﺴﻮﺭَﺓٍ ﻣِﻦ ﻣِﺜﻠِﻪِ ﻭَﺍﺩﻋﻮﺍ
ﺷُﻬَﺪﺍﺀَﻛُﻢ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻥ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﺻٰﺪِﻗﻴﻦَ
[23] এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের
কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার
বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তাহলে
এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস।
তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে
সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া, যদি
তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।
[23] And if you (Arab pagans, Jews, and
Christians) are in doubt concerning that
which We have sent down (i.e. the
Qur’ân) to Our slave (Muhammad Peace
be upon him ), then produce a Sûrah
(chapter) of the like thereof and call your
witnesses (supporters and helpers)
besides Allâh, if you are truthful.
[24] ﻓَﺈِﻥ ﻟَﻢ ﺗَﻔﻌَﻠﻮﺍ ﻭَﻟَﻦ
ﺗَﻔﻌَﻠﻮﺍ ﻓَﺎﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻨّﺎﺭَ ﺍﻟَّﺘﻰ
ﻭَﻗﻮﺩُﻫَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻭَﺍﻟﺤِﺠﺎﺭَﺓُ ۖ
ﺃُﻋِﺪَّﺕ ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[24] আর যদি তা না পার-অবশ্য তা
তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে
দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার
চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও
পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে
কাফেরদের জন্য।
[24] But if you do it not, and you can
never do it, then fear the Fire (Hell)
whose fuel is men and stones, prepared
for the disbelievers.
[25] ﻭَﺑَﺸِّﺮِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﺃَﻥَّ ﻟَﻬُﻢ
ﺟَﻨّٰﺖٍ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ
ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ۖ ﻛُﻠَّﻤﺎ ﺭُﺯِﻗﻮﺍ ﻣِﻨﻬﺎ ﻣِﻦ
ﺛَﻤَﺮَﺓٍ ﺭِﺯﻗًﺎ ۙ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟَّﺬﻯ
ﺭُﺯِﻗﻨﺎ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ۖ ﻭَﺃُﺗﻮﺍ ﺑِﻪِ
ﻣُﺘَﺸٰﺒِﻬًﺎ ۖ ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺃَﺯﻭٰﺝٌ
ﻣُﻄَﻬَّﺮَﺓٌ ۖ ﻭَﻫُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[25] আর হে নবী (সাঃ), যারা ঈমান
এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে,
আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের
সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ
প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার
হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই
তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা
আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম।
বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল
প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের
জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর
সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান
করবে।
[25] And give glad tidings to those who
believe and do righteous good deeds, that
for them will be Gardens under which
rivers flow (Paradise). Every time they
will be provided with a fruit therefrom,
they will say: “This is what we were
provided with before,” and they will be
given things in resemblance (i.e. in the
same form but different in taste) and
they shall have therein Azwâjun
Mutahharatun (purified mates or wives),
and they will abide therein forever.
[26] ۞ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳَﺴﺘَﺤﻲۦ
ﺃَﻥ ﻳَﻀﺮِﺏَ ﻣَﺜَﻠًﺎ ﻣﺎ ﺑَﻌﻮﺿَﺔً
ﻓَﻤﺎ ﻓَﻮﻗَﻬﺎ ۚ ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻓَﻴَﻌﻠَﻤﻮﻥَ ﺃَﻧَّﻪُ ﺍﻟﺤَﻖُّ
ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ۖ ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻓَﻴَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻣﺎﺫﺍ ﺃَﺭﺍﺩَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻬٰﺬﺍ
ﻣَﺜَﻠًﺎ ۘ ﻳُﻀِﻞُّ ﺑِﻪِ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻭَﻳَﻬﺪﻯ
ﺑِﻪِ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ۚ ﻭَﻣﺎ ﻳُﻀِﻞُّ ﺑِﻪِ ﺇِﻟَّﺎ
ﺍﻟﻔٰﺴِﻘﻴﻦَ
[26] আল্লাহ পাক নিঃসন্দেহে মশা বা
তদুর্ধ্ব বস্তু দ্বারা উপমা পেশ করতে
লজ্জাবোধ করেন না। বস্তুতঃ যারা
মুমিন তারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস
করে যে, তাদের পালনকর্তা কর্তৃক
উপস্থাপিত এ উপমা সম্পূর্ণ নির্ভূল ও
সঠিক। আর যারা কাফের তারা বলে,
এরূপ উপমা উপস্থাপনে আল্লাহর মতলবই
বা কি ছিল। এ দ্বারা আল্লাহ
তা’আলা অনেককে বিপথগামী করেন,
আবার অনেককে সঠিক পথও প্রদর্শন
করেন। তিনি অনুরূপ উপমা দ্বারা অসৎ
ব্যক্তিবর্গ ভিন্ন কাকেও বিপথগামী
করেন না।
[26] Verily, Allâh is not ashamed to set
forth a parable even of a mosquito or so
much more when it is bigger (or less
when it is smaller) than it. And as for
those who believe, they know that it is
the Truth from their Lord, but as for
those who disbelieve, they say: “What
did Allâh intend by this parable?” By it
He misleads many, and many He guides
thereby. And He misleads thereby only
those who are Al-Fâsiqûn (the rebellious,
disobedient to Allâh).
[27] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻨﻘُﻀﻮﻥَ ﻋَﻬﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﻴﺜٰﻘِﻪِ ﻭَﻳَﻘﻄَﻌﻮﻥَ ﻣﺎ
ﺃَﻣَﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻪِ ﺃَﻥ ﻳﻮﺻَﻞَ
ﻭَﻳُﻔﺴِﺪﻭﻥَ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ
ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﺨٰﺴِﺮﻭﻥَ
[27] (বিপথগামী ওরাই) যারা আল্লাহর
সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার পর তা
ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ পাক যা
অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন,
তা ছিন্ন করে, আর পৃথিবীর বুকে
অশান্তি সৃষ্টি করে। ওরা যথার্থই
ক্ষতিগ্রস্ত।
[27] Those who break Allâh’s Covenant
after ratifying it, and sever what Allâh
has ordered to be joined (as regards
Allâh’s religion of Islâmic Monotheism,
and to practise its legal laws on the earth
and also as regards keeping good
relations with kith and kin ), and do
mischief on earth, it is they who are the
losers.
[28] ﻛَﻴﻒَ ﺗَﻜﻔُﺮﻭﻥَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻛُﻨﺘُﻢ ﺃَﻣﻮٰﺗًﺎ ﻓَﺄَﺣﻴٰﻜُﻢ ۖ ﺛُﻢَّ
ﻳُﻤﻴﺘُﻜُﻢ ﺛُﻢَّ ﻳُﺤﻴﻴﻜُﻢ ﺛُﻢَّ ﺇِﻟَﻴﻪِ
ﺗُﺮﺟَﻌﻮﻥَ
[28] কেমন করে তোমরা আল্লাহর
ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ
তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর
তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান
করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন।
পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান
করবেন। অতঃপর তারই প্রতি
প্রত্যাবর্তন করবে।
[28] How can you disbelieve in Allâh?
Seeing that you were dead and He gave
you life. Then He will give you death,
then again will bring you to life (on the
Day of Resurrection) and then unto Him
you will return. (See V.40:1)
[29] ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺧَﻠَﻖَ ﻟَﻜُﻢ ﻣﺎ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ﺛُﻢَّ
ﺍﺳﺘَﻮﻯٰ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ
ﻓَﺴَﻮّﻯٰﻬُﻦَّ ﺳَﺒﻊَ ﺳَﻤٰﻮٰﺕٍ ۚ
ﻭَﻫُﻮَ ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[29] তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি
করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু
জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি
মনোসংযোগ করেছেন আকাশের
প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন
সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে
অবহিত।
[29] He it is Who created for you all that
is on earth. Then He rose ove (Istawâ)
towards the heaven and made them
seven heavens and He is the All-Knower
of everything.
[30] ﻭَﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻟِﻠﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔِ
ﺇِﻧّﻰ ﺟﺎﻋِﻞٌ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﺧَﻠﻴﻔَﺔً ۖ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺃَﺗَﺠﻌَﻞُ ﻓﻴﻬﺎ
ﻣَﻦ ﻳُﻔﺴِﺪُ ﻓﻴﻬﺎ ﻭَﻳَﺴﻔِﻚُ
ﺍﻟﺪِّﻣﺎﺀَ ﻭَﻧَﺤﻦُ ﻧُﺴَﺒِّﺢُ ﺑِﺤَﻤﺪِﻙَ
ﻭَﻧُﻘَﺪِّﺱُ ﻟَﻚَ ۖ ﻗﺎﻝَ ﺇِﻧّﻰ ﺃَﻋﻠَﻢُ
ﻣﺎ ﻻ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[30] আর তোমার পালনকর্তা যখন
ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি
পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে
যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি
পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে
দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং
রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত
তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার
পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি
বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা
তোমরা জান না।
[30] And (remember) when your Lord
said to the angels: “Verily, I am going to
place (mankind) generations after
generations on earth.” They said: “Will
You place therein those who will make
mischief therein and shed blood, – while
we glorify You with praises and thanks
and sanctify You.” He (Allâh) said: “I
know that which you do not know.”
[31] ﻭَﻋَﻠَّﻢَ ﺀﺍﺩَﻡَ ﺍﻷَﺳﻤﺎﺀَ ﻛُﻠَّﻬﺎ
ﺛُﻢَّ ﻋَﺮَﺿَﻬُﻢ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔِ
ﻓَﻘﺎﻝَ ﺃَﻧﺒِـٔﻮﻧﻰ ﺑِﺄَﺳﻤﺎﺀِ ﻫٰﺆُﻻﺀِ
ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺻٰﺪِﻗﻴﻦَ
[31] আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন
আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম।
তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে
ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন
করলেন। অতঃপর বললেন, আমাকে
তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি
তোমরা সত্য হয়ে থাক।
[31] And He taught Adam all the names
(of everything) , then He showed them to
the angels and said, “Tell Me the names
of these if you are truthful.”
[32] ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺳُﺒﺤٰﻨَﻚَ ﻻ ﻋِﻠﻢَ ﻟَﻨﺎ
ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ ﻋَﻠَّﻤﺘَﻨﺎ ۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ
ﺍﻟﻌَﻠﻴﻢُ ﺍﻟﺤَﻜﻴﻢُ
[32] তারা বলল, তুমি পবিত্র! আমরা
কোন কিছুই জানি না, তবে তুমি যা
আমাদিগকে শিখিয়েছ (সেগুলো
ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত
জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।
[32] They (angels) said: “Glory be to You,
we have no knowledge except what you
have taught us. Verily, it is You, the All-
Knower, the All-Wise.”
[33] ﻗﺎﻝَ ﻳٰـٔﺎﺩَﻡُ ﺃَﻧﺒِﺌﻬُﻢ
ﺑِﺄَﺳﻤﺎﺋِﻬِﻢ ۖ ﻓَﻠَﻤّﺎ ﺃَﻧﺒَﺄَﻫُﻢ
ﺑِﺄَﺳﻤﺎﺋِﻬِﻢ ﻗﺎﻝَ ﺃَﻟَﻢ ﺃَﻗُﻞ ﻟَﻜُﻢ
ﺇِﻧّﻰ ﺃَﻋﻠَﻢُ ﻏَﻴﺐَ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﻭَﺃَﻋﻠَﻢُ ﻣﺎ ﺗُﺒﺪﻭﻥَ
ﻭَﻣﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺗَﻜﺘُﻤﻮﻥَ
[33] তিনি বললেন, হে আদম,
ফেরেশতাদেরকে বলে দাও এসবের
নাম। তারপর যখন তিনি বলে দিলেন সে
সবের নাম, তখন তিনি বললেন, আমি কি
তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি
আসমান ও যমীনের যাবতীয় গোপন
বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল করেই অবগত
রয়েছি? এবং সেসব বিষয়ও জানি যা
তোমরা প্রকাশ কর, আর যা তোমরা
গোপন কর!
[33] He said: “O Adam! Inform them of
their names,” and when he had
informed them of their names, He said:
“Did I not tell you that I know the Ghaib
(unseen) in the heavens and the earth,
and I know what you reveal and what
you have been concealing?”
[34] ﻭَﺇِﺫ ﻗُﻠﻨﺎ ﻟِﻠﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔِ
ﺍﺳﺠُﺪﻭﺍ ﻝِﺀﺍﺩَﻡَ ﻓَﺴَﺠَﺪﻭﺍ
ﺇِﻟّﺎ ﺇِﺑﻠﻴﺲَ ﺃَﺑﻰٰ ﻭَﺍﺳﺘَﻜﺒَﺮَ
ﻭَﻛﺎﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[34] এবং যখন আমি হযরত আদম (আঃ)-
কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে
নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলীস ব্যতীত
সবাই সিজদা করলো। সে (নির্দেশ)
পালন করতে অস্বীকার করল এবং
অহংকার প্রদর্শন করল। ফলে সে
কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল।
[34] And (remember) when We said to
the angels: “Prostrate yourselves before
Adam.”. And they prostrated except Iblîs
(Satan), he refused and was proud and
was one of the disbelievers (disobedient
to Allâh)
[35] ﻭَﻗُﻠﻨﺎ ﻳٰـٔﺎﺩَﻡُ ﺍﺳﻜُﻦ ﺃَﻧﺖَ
ﻭَﺯَﻭﺟُﻚَ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﻛُﻼ ﻣِﻨﻬﺎ
ﺭَﻏَﺪًﺍ ﺣَﻴﺚُ ﺷِﺌﺘُﻤﺎ ﻭَﻻ ﺗَﻘﺮَﺑﺎ
ﻫٰﺬِﻩِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَﺓَ ﻓَﺘَﻜﻮﻧﺎ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[35] এবং আমি আদমকে হুকুম করলাম যে,
তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে
বসবাস করতে থাক এবং ওখানে যা
চাও, যেখান থেকে চাও, পরিতৃপ্তিসহ
খেতে থাক, কিন্তু এ গাছের নিকটবর্তী
হয়ো না। অন্যথায় তোমরা যালিমদের
অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়বে।
[35] And We said: “O Adam! Dwell you
and your wife in the Paradise and eat
both of you freely with pleasure and
delight, of things therein as wherever
you will, but come not near this tree or
you both will be of the Zâlimûn (wrong-
doers).”
[36] ﻓَﺄَﺯَﻟَّﻬُﻤَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ ﻋَﻨﻬﺎ
ﻓَﺄَﺧﺮَﺟَﻬُﻤﺎ ﻣِﻤّﺎ ﻛﺎﻧﺎ ﻓﻴﻪِ ۖ
ﻭَﻗُﻠﻨَﺎ ﺍﻫﺒِﻄﻮﺍ ﺑَﻌﻀُﻜُﻢ
ﻟِﺒَﻌﺾٍ ﻋَﺪُﻭٌّ ۖ ﻭَﻟَﻜُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ﻣُﺴﺘَﻘَﺮٌّ ﻭَﻣَﺘٰﻊٌ ﺇِﻟﻰٰ
ﺣﻴﻦٍ
[36] অনন্তর শয়তান তাদের উভয়কে
ওখান থেকে পদস্খলিত করেছিল। পরে
তারা যে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল তা
থেকে তাদেরকে বের করে দিল এবং
আমি বললাম, তোমরা নেমে যাও।
তোমরা পরস্পর একে অপরের শক্র হবে
এবং তোমাদেরকে সেখানে কিছুকাল
অবস্থান করতে হবে ও লাভ সংগ্রহ
করতে হবে।
[36] Then the Shaitân (Satan) made them
slip therefrom (the Paradise), and got
them out from that in which they were.
We said: “Get you down, all, with enmity
between yourselves. On earth will be a
dwelling place for you and an enjoyment
for a time.”
[37] ﻓَﺘَﻠَﻘّﻰٰ ﺀﺍﺩَﻡُ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻪِ
ﻛَﻠِﻤٰﺖٍ ﻓَﺘﺎﺏَ ﻋَﻠَﻴﻪِ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻫُﻮَ
ﺍﻟﺘَّﻮّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢُ
[37] অতঃপর হযরত আদম (আঃ) স্বীয়
পালনকর্তার কাছ থেকে কয়েকটি কথা
শিখে নিলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক
তাঁর প্রতি (করুণাভরে) লক্ষ্য করলেন।
নিশ্চয়ই তিনি মহা-ক্ষমাশীল ও অসীম
দয়ালু।
[37] Then Adam received from his Lord
Words . And his Lord pardoned him
(accepted his repentance). Verily, He is
the One Who forgives (accepts
repentance), the Most Merciful
[38] ﻗُﻠﻨَﺎ ﺍﻫﺒِﻄﻮﺍ ﻣِﻨﻬﺎ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ۖ
ﻓَﺈِﻣّﺎ ﻳَﺄﺗِﻴَﻨَّﻜُﻢ ﻣِﻨّﻰ ﻫُﺪًﻯ
ﻓَﻤَﻦ ﺗَﺒِﻊَ ﻫُﺪﺍﻯَ ﻓَﻼ ﺧَﻮﻑٌ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﻻ ﻫُﻢ ﻳَﺤﺰَﻧﻮﻥَ
[38] আমি হুকুম করলাম, তোমরা সবাই
নীচে নেমে যাও। অতঃপর যদি
তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে
কোন হেদায়েত পৌঁছে, তবে যে
ব্যক্তি আমার সে হেদায়েত অনুসারে
চলবে, তার উপর না কোন ভয় আসবে, না
(কোন কারণে) তারা চিন্তাগ্রস্ত ও
সন্তপ্ত হবে।
[38] We said: “Get down all of you from
this place (the Paradise), then whenever
there comes to you Guidance from Me,
and whoever follows My Guidance, there
shall be no fear on them, nor shall they
grieve
[39] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﻛَﺬَّﺑﻮﺍ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺘِﻨﺎ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺃَﺻﺤٰﺐُ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ۖ
ﻫُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[39] আর যে লোক তা অস্বীকার করবে
এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই
হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল
সেখানে থাকবে।
[39] But those who disbelieve and belie
Our Ayât (proofs, evidences, verses,
lessons, signs, revelations, etc.)- such are
the dwellers of the Fire, They shall abide
therein forever.
[40] ﻳٰﺒَﻨﻰ ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﺍﺫﻛُﺮﻭﺍ
ﻧِﻌﻤَﺘِﻰَ ﺍﻟَّﺘﻰ ﺃَﻧﻌَﻤﺖُ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻭَﺃَﻭﻓﻮﺍ ﺑِﻌَﻬﺪﻯ ﺃﻭﻑِ ﺑِﻌَﻬﺪِﻛُﻢ
ﻭَﺇِﻳّٰﻰَ ﻓَﺎﺭﻫَﺒﻮﻥِ
[40] হে বনী-ইসরাঈলগণ, তোমরা স্মরণ
কর আমার সে অনুগ্রহ যা আমি
তোমাদের প্রতি করেছি এবং
তোমরা পূরণ কর আমার সাথে কৃত
প্রতিজ্ঞা, তাহলে আমি
তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ
করব। আর ভয় কর আমাকেই।
[40] O Children of Israel! Remember My
Favour which I bestowed upon you, and
fulfill (your obligations to) My Covenant
(with you) so that I fulfill (My
Obligations to) your covenant (with Me),
and fear none but Me.
[41] ﻭَﺀﺍﻣِﻨﻮﺍ ﺑِﻤﺎ ﺃَﻧﺰَﻟﺖُ
ﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ ﻟِﻤﺎ ﻣَﻌَﻜُﻢ ﻭَﻻ
ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﺃَﻭَّﻝَ ﻛﺎﻓِﺮٍ ﺑِﻪِ ۖ ﻭَﻻ
ﺗَﺸﺘَﺮﻭﺍ ﺑِـٔﺎﻳٰﺘﻰ ﺛَﻤَﻨًﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
ﻭَﺇِﻳّٰﻰَ ﻓَﺎﺗَّﻘﻮﻥِ
[41] আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি
বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ
করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের
কাছে। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক
অস্বীকারকারী হয়ো না আর আমার
আয়াতের অল্প মূল্য দিও না। এবং
আমার (আযাব) থেকে বাঁচ।
[41] And believe in what I have sent
down (this Qur’ân), confirming that
which is with you, [the Taurât (Torah)
and the Injeel (Gospel)], and be not the
first to disbelieve therein, and buy not
with My Verses [the Taurât (Torah) and
the Injeel (Gospel)] a small price (i.e.
getting a small gain by selling My
Verses), and fear Me and Me Alone.
(Tafsir At-Tabarî, Vol. I, Page 253).
[42] ﻭَﻻ ﺗَﻠﺒِﺴُﻮﺍ ﺍﻟﺤَﻖَّ ﺑِﺎﻟﺒٰﻄِﻞِ
ﻭَﺗَﻜﺘُﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺤَﻖَّ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[42] তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে
মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে
সত্যকে তোমরা গোপন করো না।
[42] And mix not truth with falsehood,
nor conceal the truth [i.e. Muhammad
Peace be upon him is Allâh’s Messenger
and his qualities are written in your
Scriptures, the Taurât (Torah) and the
Injeel (Gospel)] while you know (the
truth)
[43] ﻭَﺃَﻗﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻭَﺀﺍﺗُﻮﺍ
ﺍﻟﺰَّﻛﻮٰﺓَ ﻭَﺍﺭﻛَﻌﻮﺍ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺮّٰﻛِﻌﻴﻦَ
[43] আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান
কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের
সাথে, যারা অবনত হয়।
[43] And perform As-Salât (Iqâmat-as-
Salât), and give Zakât, and bow down (or
submit yourselves with obedience to
Allâh) along with Ar¬Raki’ûn.
[44] ۞ ﺃَﺗَﺄﻣُﺮﻭﻥَ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﺑِﺎﻟﺒِﺮِّ
ﻭَﺗَﻨﺴَﻮﻥَ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﺗَﺘﻠﻮﻥَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ۚ ﺃَﻓَﻼ ﺗَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[44] তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের
নির্দেশ দাও এবং নিজেরা
নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা
কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা
চিন্তা কর না?
[44] Enjoin you Al-Birr (piety and
righteousness and each and every act of
obedience to Allâh) on the people and
you forget (to practise it) yourselves,
while you recite the Scripture [the Taurât
(Torah)]! Have you then no sense?
[45] ﻭَﺍﺳﺘَﻌﻴﻨﻮﺍ ﺑِﺎﻟﺼَّﺒﺮِ
ﻭَﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓِ ۚ ﻭَﺇِﻧَّﻬﺎ ﻟَﻜَﺒﻴﺮَﺓٌ ﺇِﻟّﺎ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺨٰﺸِﻌﻴﻦَ
[45] ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা
কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট
কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী
লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।
[45] And seek help in patience and As-
Salât (the prayer) and truly it is
extremely heavy and hard except for Al-
Khâshi’ûn [i.e. the true believers in Allâh
– those who obey Allâh with full
submission, fear much from His
Punishment, and believe in His Promise
(Paradise,) and in His Warnings (Hell, )].
[46] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻈُﻨّﻮﻥَ ﺃَﻧَّﻬُﻢ ﻣُﻠٰﻘﻮﺍ
ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻭَﺃَﻧَّﻬُﻢ ﺇِﻟَﻴﻪِ ﺭٰﺟِﻌﻮﻥَ
[46] যারা একথা খেয়াল করে যে,
তাদেরকে সম্মুখীন হতে হবে স্বীয়
পরওয়ারদেগারের এবং তাঁরই দিকে
ফিরে যেতে হবে।
[46] (They are those) who are certain
that they are going to meet their Lord,
and that unto Him they are going to
return.
[47] ﻳٰﺒَﻨﻰ ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﺍﺫﻛُﺮﻭﺍ
ﻧِﻌﻤَﺘِﻰَ ﺍﻟَّﺘﻰ ﺃَﻧﻌَﻤﺖُ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻭَﺃَﻧّﻰ ﻓَﻀَّﻠﺘُﻜُﻢ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[47] হে বনী-ইসরাঈলগণ! তোমরা স্মরণ
কর আমার অনুগ্রহের কথা, যা আমি
তোমাদের উপর করেছি এবং (স্মরণ
কর) সে বিষয়টি যে, আমি
তোমাদেরকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি
সমগ্র বিশ্বের উপর।
[47] O Children of Israel! Remember My
Favour which I bestowed upon you and
that I preferred you to the ‘Alamîn
[mankind and jinn (of your time period,
in the past)].
[48] ﻭَﺍﺗَّﻘﻮﺍ ﻳَﻮﻣًﺎ ﻻ ﺗَﺠﺰﻯ
ﻧَﻔﺲٌ ﻋَﻦ ﻧَﻔﺲٍ ﺷَﻴـًٔﺎ ﻭَﻻ
ﻳُﻘﺒَﻞُ ﻣِﻨﻬﺎ ﺷَﻔٰﻌَﺔٌ ﻭَﻻ ﻳُﺆﺧَﺬُ
ﻣِﻨﻬﺎ ﻋَﺪﻝٌ ﻭَﻻ ﻫُﻢ ﻳُﻨﺼَﺮﻭﻥَ
[48] আর সে দিনের ভয় কর, যখন কেউ
কারও সামান্য উপকারে আসবে না
এবং তার পক্ষে কোন সুপারিশও কবুল
হবে না; কারও কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও
নেয়া হবে না এবং তারা কোন রকম
সাহায্যও পাবে না।
[48] And fear a Day (of Judgement) when
a person shall not avail another, nor will
intercession be accepted from him nor
will compensation be taken from him
nor will they be helped.
[49] ﻭَﺇِﺫ ﻧَﺠَّﻴﻨٰﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺀﺍﻝِ
ﻓِﺮﻋَﻮﻥَ ﻳَﺴﻮﻣﻮﻧَﻜُﻢ ﺳﻮﺀَ
ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏِ ﻳُﺬَﺑِّﺤﻮﻥَ ﺃَﺑﻨﺎﺀَﻛُﻢ
ﻭَﻳَﺴﺘَﺤﻴﻮﻥَ ﻧِﺴﺎﺀَﻛُﻢ ۚ ﻭَﻓﻰ
ﺫٰﻟِﻜُﻢ ﺑَﻼﺀٌ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ ﻋَﻈﻴﻢٌ
[49] আর (স্মরণ কর) সে সময়ের কথা, যখন
আমি তোমাদিগকে মুক্তিদান করেছি
ফেরআউনের লোকদের কবল থেকে
যারা তোমাদিগকে কঠিন শাস্তি দান
করত; তোমাদের পুত্রসন্তানদেরকে
জবাই করত এবং তোমাদের
স্ত্রীদিগকে অব্যাহতি দিত। বস্তুতঃ
তাতে পরীক্ষা ছিল তোমাদের
পালনকর্তার পক্ষ থেকে, মহা পরীক্ষা।
[49] And (remember) when We delivered
you from Fir’aun’s (Pharaoh) people,
who were afflicting you with a horrible
torment, killing your sons and sparing
your women, and therein was a mighty
trial from your Lord.
[50] ﻭَﺇِﺫ ﻓَﺮَﻗﻨﺎ ﺑِﻜُﻢُ ﺍﻟﺒَﺤﺮَ
ﻓَﺄَﻧﺠَﻴﻨٰﻜُﻢ ﻭَﺃَﻏﺮَﻗﻨﺎ ﺀﺍﻝَ
ﻓِﺮﻋَﻮﻥَ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﺗَﻨﻈُﺮﻭﻥَ
[50] আর যখন আমি তোমাদের জন্য
সাগরকে দ্বিখন্ডিত করেছি, অতঃপর
তোমাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছি এবং
ডুবিয়ে দিয়েছি ফেরআউনের
লোকদিগকে অথচ তোমরা দেখছিলে।
[50] And (remember) when We
separated the sea for you and saved you
and drowned Fir’aun’s (Pharaoh) people
while you were looking (at them, when
the sea-water covered them).
[51] ﻭَﺇِﺫ ﻭٰﻋَﺪﻧﺎ ﻣﻮﺳﻰٰ
ﺃَﺭﺑَﻌﻴﻦَ ﻟَﻴﻠَﺔً ﺛُﻢَّ ﺍﺗَّﺨَﺬﺗُﻢُ
ﺍﻟﻌِﺠﻞَ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِﻩِ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﻇٰﻠِﻤﻮﻥَ
[51] আর যখন আমি মূসার সাথে ওয়াদা
করেছি চল্লিশ রাত্রির অতঃপর
তোমরা গোবৎস বানিয়ে নিয়েছ
মূসার অনুপস্থিতিতে। বস্তুতঃ তোমরা
ছিলে যালেম।
[51] And (remember) when We
appointed for Mûsa (Moses) forty nights,
and (in his absence) you took the calf
(for worship), and you were Zâlimûn
(polytheists and wrong-doers,)
[52] ﺛُﻢَّ ﻋَﻔَﻮﻧﺎ ﻋَﻨﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﺸﻜُﺮﻭﻥَ
[52] তারপর আমি তাতেও
তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি,
যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে
নাও।
[52] Then after that We forgave you so
that you might be grateful.
[53] ﻭَﺇِﺫ ﺀﺍﺗَﻴﻨﺎ ﻣﻮﺳَﻰ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﺍﻟﻔُﺮﻗﺎﻥَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ
ﺗَﻬﺘَﺪﻭﻥَ
[53] আর (স্মরণ কর) যখন আমি মূসাকে
কিতাব এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য
বিধানকারী নির্দেশ দান করেছি,
যাতে তোমরা সরল পথ প্রাপ্ত হতে
পার।
[53] And (remember) when We gave
Mûsa (Moses) the Scripture [the Taurât
(Torah)] and the criterion (of right and
wrong) so that you may be guided aright.
[54] ﻭَﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﻣﻮﺳﻰٰ ﻟِﻘَﻮﻣِﻪِ
ﻳٰﻘَﻮﻡِ ﺇِﻧَّﻜُﻢ ﻇَﻠَﻤﺘُﻢ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ
ﺑِﺎﺗِّﺨﺎﺫِﻛُﻢُ ﺍﻟﻌِﺠﻞَ ﻓَﺘﻮﺑﻮﺍ
ﺇِﻟﻰٰ ﺑﺎﺭِﺋِﻜُﻢ ﻓَﺎﻗﺘُﻠﻮﺍ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ
ﺫٰﻟِﻜُﻢ ﺧَﻴﺮٌ ﻟَﻜُﻢ ﻋِﻨﺪَ ﺑﺎﺭِﺋِﻜُﻢ
ﻓَﺘﺎﺏَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻫُﻮَ
ﺍﻟﺘَّﻮّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢُ
[54] আর যখন মূসা তার সম্প্রদায়কে
বলল, হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা
তোমাদেরই ক্ষতিসাধন করেছ এই
গোবৎস নির্মাণ করে। কাজেই এখন
তওবা কর স্বীয় স্রষ্টার প্রতি এবং
নিজ নিজ প্রাণ বিসর্জন দাও। এটাই
তোমাদের জন্য কল্যাণকর তোমাদের
স্রষ্টার নিকট। তারপর তোমাদের
প্রতি লক্ষ্য করা হল। নিঃসন্দেহে
তিনিই ক্ষমাকারী, অত্যন্ত মেহেরবান।
[54] And (remember) when Mûsa (Moses)
said to his people: “O my people! Verily,
you have wronged yourselves by
worshipping the calf. So turn in
repentance to your Creator and kill
yourselves (the innocent kill the
wrongdoers among you), that will be
better for you with your Creator.” Then
He accepted your repentance. Truly, He
is the One Who accepts repentance, the
Most Merciful.
[55] ﻭَﺇِﺫ ﻗُﻠﺘُﻢ ﻳٰﻤﻮﺳﻰٰ ﻟَﻦ
ﻧُﺆﻣِﻦَ ﻟَﻚَ ﺣَﺘّﻰٰ ﻧَﺮَﻯ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺟَﻬﺮَﺓً ﻓَﺄَﺧَﺬَﺗﻜُﻢُ ﺍﻟﺼّٰﻌِﻘَﺔُ
ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﺗَﻨﻈُﺮﻭﻥَ
[55] আর যখন তোমরা বললে, হে মূসা,
কস্মিনকালেও আমরা তোমাকে
বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না আমরা
আল্লাহকে (প্রকাশ্যে) দেখতে পাব।
বস্তুতঃ তোমাদিগকে পাকড়াও করল
বিদ্যুৎ। অথচ তোমরা তা প্রত্যক্ষ
করছিলে।
[55] And (remember) when you said: “O
Mûsa (Moses)! We shall never believe in
you till we see Allâh plainly.” But you
were seized with a thunderbolt
(lightning) while you were looking.
[56] ﺛُﻢَّ ﺑَﻌَﺜﻨٰﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ
ﻣَﻮﺗِﻜُﻢ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﺸﻜُﺮﻭﻥَ
[56] তারপর, মরে যাবার পর
তোমাদিগকে আমি তুলে দাঁড়
করিয়েছি, যাতে করে তোমরা
কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাও।
[56] Then We raised you up after your
death, so that you might be grateful.
[57] ﻭَﻇَﻠَّﻠﻨﺎ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﻐَﻤﺎﻡَ
ﻭَﺃَﻧﺰَﻟﻨﺎ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﻤَﻦَّ
ﻭَﺍﻟﺴَّﻠﻮﻯٰ ۖ ﻛُﻠﻮﺍ ﻣِﻦ ﻃَﻴِّﺒٰﺖِ
ﻣﺎ ﺭَﺯَﻗﻨٰﻜُﻢ ۖ ﻭَﻣﺎ ﻇَﻠَﻤﻮﻧﺎ
ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ
ﻳَﻈﻠِﻤﻮﻥَ
[57] আর আমি তোমাদের উপর ছায়া
দান করেছি মেঘমালার দ্বারা এবং
তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছি
’মান্না’ ও সালওয়া’। সেসব পবিত্র বস্তু
তোমরা ভক্ষন কর, যা আমি
তোমাদেরকে দান করেছি। বস্তুতঃ
তারা আমার কোন ক্ষতি করতে
পারেনি, বরং নিজেদেরই ক্ষতি সাধন
করেছে।
[57] And We shaded you with clouds and
sent down on you Al-Manna and the
quails, (saying): “Eat of the good lawful
things We have provided for you,” (but
they rebelled). And they did not wrong
Us but they wronged themselves.
[58] ﻭَﺇِﺫ ﻗُﻠﻨَﺎ ﺍﺩﺧُﻠﻮﺍ ﻫٰﺬِﻩِ
ﺍﻟﻘَﺮﻳَﺔَ ﻓَﻜُﻠﻮﺍ ﻣِﻨﻬﺎ ﺣَﻴﺚُ
ﺷِﺌﺘُﻢ ﺭَﻏَﺪًﺍ ﻭَﺍﺩﺧُﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺒﺎﺏَ
ﺳُﺠَّﺪًﺍ ﻭَﻗﻮﻟﻮﺍ ﺣِﻄَّﺔٌ ﻧَﻐﻔِﺮ
ﻟَﻜُﻢ ﺧَﻄٰﻴٰﻜُﻢ ۚ ﻭَﺳَﻨَﺰﻳﺪُ
ﺍﻟﻤُﺤﺴِﻨﻴﻦَ
[58] আর যখন আমি বললাম, তোমরা
প্রবেশ কর এ নগরীতে এবং এতে
যেখানে খুশী খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে
বিচরণ করতে থাক এবং দরজার ভিতর
দিয়ে প্রবেশ করার সময় সেজদা করে
ঢুক, আর বলতে থাক-‘আমাদিগকে ক্ষমা
করে দাও’-তাহলে আমি তোমাদের
অপরাধ ক্ষমা করব এবং সৎ
কর্মশীলদেরকে অতিরিক্ত দানও করব।
[58] And (remember) when We said:
“Enter this town (Jerusalem) and eat
bountifully therein with pleasure and
delight wherever you wish, and enter the
gate in prostration (or bowing with
humility) and say: ‘Forgive us,’ and We
shall forgive you your sins and shall
increase (reward) for the good-doers.”
[59] ﻓَﺒَﺪَّﻝَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤﻮﺍ ﻗَﻮﻟًﺎ
ﻏَﻴﺮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻗﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢ ﻓَﺄَﻧﺰَﻟﻨﺎ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤﻮﺍ ﺭِﺟﺰًﺍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ﺑِﻤﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻔﺴُﻘﻮﻥَ
[59] অতঃপর যালেমরা কথা পাল্টে
দিয়েছে, যা কিছু তাদেরকে বলে
দেয়া হয়েছিল তা থেকে। তারপর আমি
অবতীর্ণ করেছি যালেমদের উপর
আযাব, আসমান থেকে, নির্দেশ লংঘন
করার কারণে।
[59] But those who did wrong changed
the word from that which had been told
to them for another, so We sent upon the
wrong-doers Rijzan (a punishment) from
the heaven because of their rebelling
against Allâh’s Obedience. (Tafsir At-
Tabarî, Vol. I, Page 305).
[60] ۞ ﻭَﺇِﺫِ ﺍﺳﺘَﺴﻘﻰٰ ﻣﻮﺳﻰٰ
ﻟِﻘَﻮﻣِﻪِ ﻓَﻘُﻠﻨَﺎ ﺍﺿﺮِﺏ ﺑِﻌَﺼﺎﻙَ
ﺍﻟﺤَﺠَﺮَ ۖ ﻓَﺎﻧﻔَﺠَﺮَﺕ ﻣِﻨﻪُ ﺍﺛﻨَﺘﺎ
ﻋَﺸﺮَﺓَ ﻋَﻴﻨًﺎ ۖ ﻗَﺪ ﻋَﻠِﻢَ ﻛُﻞُّ
ﺃُﻧﺎﺱٍ ﻣَﺸﺮَﺑَﻬُﻢ ۖ ﻛُﻠﻮﺍ
ﻭَﺍﺷﺮَﺑﻮﺍ ﻣِﻦ ﺭِﺯﻕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻻ
ﺗَﻌﺜَﻮﺍ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻣُﻔﺴِﺪﻳﻦَ
[60] আর মূসা যখন নিজ জাতির জন্য
পানি চাইল, তখন আমি বললাম, স্বীয়
যষ্ঠির দ্বারা আঘাত কর পাথরের
উপরে। অতঃপর তা থেকে প্রবাহিত
হয়ে এল বারটি প্রস্রবণ। তাদের সব
গোত্রই চিনে নিল নিজ নিজ ঘাট।
আল্লাহর দেয়া রিযিক খাও, পান কর
আর দুনিয়ার বুকে দাংগা-হাংগামা
করে বেড়িও না।
[60] And (remember) when Mûsa (Moses)
asked for water for his people, We said:
“Strike the stone with your stick.” Then
gushed forth therefrom twelve springs.
Each (group of) people knew its own
place for water. “Eat and drink of that
which Allâh has provided and do not act
corruptly, making mischief on the
earth.”
[61] ﻭَﺇِﺫ ﻗُﻠﺘُﻢ ﻳٰﻤﻮﺳﻰٰ ﻟَﻦ
ﻧَﺼﺒِﺮَ ﻋَﻠﻰٰ ﻃَﻌﺎﻡٍ ﻭٰﺣِﺪٍ ﻓَﺎﺩﻉُ
ﻟَﻨﺎ ﺭَﺑَّﻚَ ﻳُﺨﺮِﺝ ﻟَﻨﺎ ﻣِﻤّﺎ ﺗُﻨﺒِﺖُ
ﺍﻷَﺭﺽُ ﻣِﻦ ﺑَﻘﻠِﻬﺎ ﻭَﻗِﺜّﺎﺋِﻬﺎ
ﻭَﻓﻮﻣِﻬﺎ ﻭَﻋَﺪَﺳِﻬﺎ ﻭَﺑَﺼَﻠِﻬﺎ ۖ
ﻗﺎﻝَ ﺃَﺗَﺴﺘَﺒﺪِﻟﻮﻥَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻫُﻮَ
ﺃَﺩﻧﻰٰ ﺑِﺎﻟَّﺬﻯ ﻫُﻮَ ﺧَﻴﺮٌ ۚ
ﺍﻫﺒِﻄﻮﺍ ﻣِﺼﺮًﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﻟَﻜُﻢ ﻣﺎ
ﺳَﺄَﻟﺘُﻢ ۗ ﻭَﺿُﺮِﺑَﺖ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢُ
ﺍﻟﺬِّﻟَّﺔُ ﻭَﺍﻟﻤَﺴﻜَﻨَﺔُ ﻭَﺑﺎﺀﻭ
ﺑِﻐَﻀَﺐٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻜﻔُﺮﻭﻥَ ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻳَﻘﺘُﻠﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲّۦﻥَ ﺑِﻐَﻴﺮِ
ﺍﻟﺤَﻖِّ ۗ ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﻤﺎ ﻋَﺼَﻮﺍ
ﻭَﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻌﺘَﺪﻭﻥَ
[61] আর তোমরা যখন বললে, হে মূসা,
আমরা একই ধরনের খাদ্য-দ্রব্যে কখনও
ধৈর্য্যধারণ করব না। কাজেই তুমি
তোমার পালনকর্তার নিকট আমাদের
পক্ষে প্রার্থনা কর, তিনি যেন
আমাদের জন্যে এমন বস্তুসামগ্রী দান
করেন যা জমিতে উৎপন্ন হয়, তরকারী,
কাকড়ী, গম, মসুরি, পেঁয়াজ প্রভৃতি।
মূসা (আঃ) বললেন, তোমরা কি এমন
বস্তু নিতে চাও যা নিকৃষ্ট সে বস্তুর
পরিবর্তে যা উত্তম? তোমরা কোন
নগরীতে উপনীত হও, তাহলেই পাবে যা
তোমরা কামনা করছ। আর তাদের উপর
আরোপ করা হল লাঞ্ছনা ও
পরমুখাপেক্ষিতা। তারা আল্লাহর
রোষানলে পতিত হয়ে ঘুরতে থাকল।
এমন হলো এ জন্য যে, তারা আল্লাহর
বিধি বিধান মানতো না এবং
নবীগনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। তার
কারণ, তারা ছিল নাফরমান
সীমালংঘকারী।
[61] And (remember) when you said, “O
Mûsa (Moses)! We cannot endure one
kind of food. So invoke your Lord for us
to bring forth for us of what the earth
grows, its herbs, its cucumbers, its Fûm
(wheat or garlic), its lentils and its
onions.” He said, “Would you exchange
that which is better for that which is
lower? Go you down to any town and
you shall find what you want!” And they
were covered with humiliation and
misery, and they drew on themselves the
Wrath of Allâh. That was because they
used to disbelieve the Ayât (proofs,
evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.) of Allâh and killed the
Prophets wrongfully. That was because
they disobeyed and used to transgress
the bounds (in their disobedience to
Allâh, i.e. commit crimes and sins).
[62] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻫﺎﺩﻭﺍ ﻭَﺍﻟﻨَّﺼٰﺮﻯٰ ﻭَﺍﻟﺼّٰﺒِـٔﻴﻦَ
ﻣَﻦ ﺀﺍﻣَﻦَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ﻭَﻋَﻤِﻞَ ﺻٰﻠِﺤًﺎ ﻓَﻠَﻬُﻢ
ﺃَﺟﺮُﻫُﻢ ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻭَﻻ ﺧَﻮﻑٌ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﻻ ﻫُﻢ ﻳَﺤﺰَﻧﻮﻥَ
[62] নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে
এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন,
(তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান
এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত
দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে,
তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের
পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই
ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।
[62] Verily! Those who believe and those
who are Jews and Christians, and
Sabians, whoever believes in Allâh and
the Last Day and do righteous good
deeds shall have their reward with their
Lord, on them shall be no fear, nor shall
they grieve
[63] ﻭَﺇِﺫ ﺃَﺧَﺬﻧﺎ ﻣﻴﺜٰﻘَﻜُﻢ
ﻭَﺭَﻓَﻌﻨﺎ ﻓَﻮﻗَﻜُﻢُ ﺍﻟﻄّﻮﺭَ ﺧُﺬﻭﺍ
ﻣﺎ ﺀﺍﺗَﻴﻨٰﻜُﻢ ﺑِﻘُﻮَّﺓٍ ﻭَﺍﺫﻛُﺮﻭﺍ ﻣﺎ
ﻓﻴﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﺘَّﻘﻮﻥَ
[63] আর আমি যখন তোমাদের কাছ
থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তুর
পর্বতকে তোমাদের মাথার উপর তুলে
ধরেছিলাম এই বলে যে, তোমাদিগকে
যে কিতাব দেয়া হয়েছে তাকে ধর
সুদৃঢ়ভাবে এবং এতে যা কিছু রয়েছে
তা মনে রেখো যাতে তোমরা ভয় কর।
[63] And (O Children of Israel,
remember) when We took your covenant
and We raised above you the Mount
(saying): “Hold fast to that which We
have given you, and remember that
which is therein so that you may become
Al-Muttaqûn (the pious – see V.2:2).
[64] ﺛُﻢَّ ﺗَﻮَﻟَّﻴﺘُﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﺫٰﻟِﻚَ ۖ
ﻓَﻠَﻮﻻ ﻓَﻀﻞُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻭَﺭَﺣﻤَﺘُﻪُ ﻟَﻜُﻨﺘُﻢ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺨٰﺴِﺮﻳﻦَ
[64] তারপরেও তোমরা তা থেকে
ফিরে গেছ। কাজেই আল্লাহর অনুগ্রহ ও
মেহেরবানী যদি তোমাদের উপর না
থাকত, তবে অবশ্যই তোমরা ধবংস হয়ে
যেতে।
[64] Then after that you turned away.
Had it not been for the Grace and Mercy
of Allâh upon you, indeed you would
have been among the losers.
[65] ﻭَﻟَﻘَﺪ ﻋَﻠِﻤﺘُﻢُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺍﻋﺘَﺪَﻭﺍ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﺒﺖِ
ﻓَﻘُﻠﻨﺎ ﻟَﻬُﻢ ﻛﻮﻧﻮﺍ ﻗِﺮَﺩَﺓً
ﺧٰﺴِـٔﻴﻦَ
[65] তোমরা তাদেরকে ভালরূপে
জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে
সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি
বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর
হয়ে যাও।
[65] And indeed you knew those amongst
you who transgressed in the matter of
the Sabbath (i.e. Saturday). We said to
them: “Be you monkeys, despised and
rejected.”
[66] ﻓَﺠَﻌَﻠﻨٰﻬﺎ ﻧَﻜٰﻠًﺎ ﻟِﻤﺎ ﺑَﻴﻦَ
ﻳَﺪَﻳﻬﺎ ﻭَﻣﺎ ﺧَﻠﻔَﻬﺎ ﻭَﻣَﻮﻋِﻈَﺔً
ﻟِﻠﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[66] অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের
সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত
এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ
গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।
[66] So We made this punishment an
example to their own and to succeeding
generations and a lesson to those who
are Al-Muttaqûn (the pious – see V.2:2).
[67] ﻭَﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﻣﻮﺳﻰٰ ﻟِﻘَﻮﻣِﻪِ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺄﻣُﺮُﻛُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﺬﺑَﺤﻮﺍ
ﺑَﻘَﺮَﺓً ۖ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺃَﺗَﺘَّﺨِﺬُﻧﺎ ﻫُﺰُﻭًﺍ ۖ
ﻗﺎﻝَ ﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻥ ﺃَﻛﻮﻥَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺠٰﻬِﻠﻴﻦَ
[67] যখন মূসা (আঃ) স্বীয় সম্প্রদায়কে
বললেনঃ আল্লাহ তোমাদের একটি গরু
জবাই করতে বলেছেন। তারা বলল, তুমি
কি আমাদের সাথে উপহাস করছ? মূসা
(আঃ) বললেন, মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া
থেকে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা
করছি।
[67] And (remember) when Mûsa (Moses)
said to his people: “Verily, Allâh
commands you that you slaughter a cow.”
They said, “Do you make fun of us?” He
said, “I take Allâh’s Refuge from being
among Al-Jâhilûn (the ignorants or the
foolish).”
[68] ﻗﺎﻟُﻮﺍ ﺍﺩﻉُ ﻟَﻨﺎ ﺭَﺑَّﻚَ ﻳُﺒَﻴِّﻦ
ﻟَﻨﺎ ﻣﺎ ﻫِﻰَ ۚ ﻗﺎﻝَ ﺇِﻧَّﻪُ ﻳَﻘﻮﻝُ
ﺇِﻧَّﻬﺎ ﺑَﻘَﺮَﺓٌ ﻻ ﻓﺎﺭِﺽٌ ﻭَﻻ ﺑِﻜﺮٌ
ﻋَﻮﺍﻥٌ ﺑَﻴﻦَ ﺫٰﻟِﻚَ ۖ ﻓَﺎﻓﻌَﻠﻮﺍ ﻣﺎ
ﺗُﺆﻣَﺮﻭﻥَ
[68] তারা বলল, তুমি তোমার
পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য
প্রার্থনা কর, যেন সেটির রূপ বিশ্লেষণ
করা হয়। মূসা (আঃ) বললেন, তিনি
বলছেন, সেটা হবে একটা গাভী, যা বৃদ্ধ
নয় এবং কুমারীও নয়-বার্ধক্য ও
যৌবনের মাঝামাঝি বয়সের। এখন
আদিষ্ট কাজ করে ফেল।
[68] They said, “Call upon your Lord for
us that He may make plain to us what it
is!” He said, “He says, ‘Verily, it is a cow
neither too old nor too young, but (it is)
between the two conditions’, so do what
you are commanded.”
[69] ﻗﺎﻟُﻮﺍ ﺍﺩﻉُ ﻟَﻨﺎ ﺭَﺑَّﻚَ ﻳُﺒَﻴِّﻦ
ﻟَﻨﺎ ﻣﺎ ﻟَﻮﻧُﻬﺎ ۚ ﻗﺎﻝَ ﺇِﻧَّﻪُ ﻳَﻘﻮﻝُ
ﺇِﻧَّﻬﺎ ﺑَﻘَﺮَﺓٌ ﺻَﻔﺮﺍﺀُ ﻓﺎﻗِﻊٌ ﻟَﻮﻧُﻬﺎ
ﺗَﺴُﺮُّ ﺍﻟﻨّٰﻈِﺮﻳﻦَ
[69] তারা বলল, তোমার পালনকর্তার
কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা কর যে,
তার রঙ কিরূপ হবে? মূসা (আঃ) বললেন,
তিনি বলেছেন যে, গাঢ় পীতবর্ণের
গাভী-যা দর্শকদের চমৎকৃত করবে।
[69] They said, “Call upon your Lord for
us to make plain to us its colour.” He
said, “He says, ‘It is a yellow cow, bright
in its colour, pleasing to the beholders.’ ”
[70] ﻗﺎﻟُﻮﺍ ﺍﺩﻉُ ﻟَﻨﺎ ﺭَﺑَّﻚَ ﻳُﺒَﻴِّﻦ
ﻟَﻨﺎ ﻣﺎ ﻫِﻰَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺒَﻘَﺮَ ﺗَﺸٰﺒَﻪَ
ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ﻭَﺇِﻧّﺎ ﺇِﻥ ﺷﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟَﻤُﻬﺘَﺪﻭﻥَ
[70] তারা বলল, আপনি প্রভুর কাছে
প্রার্থনা করুন-তিনি বলে দিন যে,
সেটা কিরূপ? কেননা, গরু আমাদের
কাছে সাদৃশ্যশীল মনে হয়।
ইনশাআল্লাহ এবার আমরা অবশ্যই
পথপ্রাপ্ত হব। মূসা (আঃ) বললেন, তিনি
বলেন যে, এ গাভী ভূকর্ষণ ও জল
সেচনের শ্রমে অভ্যস্ত নয়-হবে
নিষ্কলঙ্ক, নিখুঁত।
[70] They said, “Call upon your Lord for
us to make plain to us what it is. Verily
to us all cows are alike, And surely, if
Allâh wills, we will be guided.”
[71] ﻗﺎﻝَ ﺇِﻧَّﻪُ ﻳَﻘﻮﻝُ ﺇِﻧَّﻬﺎ ﺑَﻘَﺮَﺓٌ
ﻻ ﺫَﻟﻮﻝٌ ﺗُﺜﻴﺮُ ﺍﻷَﺭﺽَ ﻭَﻻ
ﺗَﺴﻘِﻰ ﺍﻟﺤَﺮﺙَ ﻣُﺴَﻠَّﻤَﺔٌ ﻻ
ﺷِﻴَﺔَ ﻓﻴﻬﺎ ۚ ﻗﺎﻟُﻮﺍ ﺍﻟـٰٔﻦَ ﺟِﺌﺖَ
ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ۚ ﻓَﺬَﺑَﺤﻮﻫﺎ ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﺩﻭﺍ
ﻳَﻔﻌَﻠﻮﻥَ
[71] তারা বলল, এবার সঠিক তথ্য এনেছ।
অতঃপর তারা সেটা জবাই করল, অথচ
জবাই করবে বলে মনে হচ্ছিল না।
[71] He [Mûsa (Moses)] said, “He says, ‘It
is a cow neither trained to till the soil
nor water the fields, sound, having no
other colour except bright yellow.’ ” They
said, “Now you have brought the truth.”
So they slaughtered it though they were
near to not doing it.
[72] ﻭَﺇِﺫ ﻗَﺘَﻠﺘُﻢ ﻧَﻔﺴًﺎ
ﻓَﺎﺩّٰﺭَﺀﺗُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ۖ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣُﺨﺮِﺝٌ
ﻣﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺗَﻜﺘُﻤﻮﻥَ
[72] যখন তোমরা একজনকে হত্যা করে
পরে সে সম্পর্কে একে অপরকে
অভিযুক্ত করেছিলে। যা তোমরা
গোপন করছিলে, তা প্রকাশ করে
দেয়া ছিল আল্লাহর অভিপ্রায়।
[72] And (remember) when you killed a
man and fell into dispute among
yourselves as to the crime. But Allâh
brought forth that which you were
hiding.
[73] ﻓَﻘُﻠﻨَﺎ ﺍﺿﺮِﺑﻮﻩُ ﺑِﺒَﻌﻀِﻬﺎ ۚ
ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻳُﺤﻰِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻤَﻮﺗﻰٰ
ﻭَﻳُﺮﻳﻜُﻢ ﺀﺍﻳٰﺘِﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ
ﺗَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[73] অতঃপর আমি বললামঃ গরুর একটি
খন্ড দ্বারা মৃতকে আঘাত কর। এভাবে
আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং
তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শণ সমূহ
প্রদর্শন করেন-যাতে তোমরা চিন্তা
কর।
[73] So We said: “Strike him (the dead
man) with a piece of it (the cow).” Thus
Allâh brings the dead to life and shows
you His Ayât (proofs, evidences, verses,
lessons, signs, revelations, etc.) so that
you may understand.
[74] ﺛُﻢَّ ﻗَﺴَﺖ ﻗُﻠﻮﺑُﻜُﻢ ﻣِﻦ
ﺑَﻌﺪِ ﺫٰﻟِﻚَ ﻓَﻬِﻰَ ﻛَﺎﻟﺤِﺠﺎﺭَﺓِ ﺃَﻭ
ﺃَﺷَﺪُّ ﻗَﺴﻮَﺓً ۚ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺤِﺠﺎﺭَﺓِ ﻟَﻤﺎ ﻳَﺘَﻔَﺠَّﺮُ ﻣِﻨﻪُ
ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ۚ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻨﻬﺎ ﻟَﻤﺎ ﻳَﺸَّﻘَّﻖُ
ﻓَﻴَﺨﺮُﺝُ ﻣِﻨﻪُ ﺍﻟﻤﺎﺀُ ۚ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻨﻬﺎ
ﻟَﻤﺎ ﻳَﻬﺒِﻂُ ﻣِﻦ ﺧَﺸﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ
ﻭَﻣَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻐٰﻔِﻞٍ ﻋَﻤّﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[74] অতঃপর এ ঘটনার পরে তোমাদের
অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। তা পাথরের মত
অথবা তদপেক্ষাও কঠিন। পাথরের মধ্যে
এমন ও আছে; যা থেকে ঝরণা প্রবাহিত
হয়, এমনও আছে, যা বিদীর্ণ হয়, অতঃপর
তা থেকে পানি নির্গত হয় এবং এমনও
আছে, যা আল্লাহর ভয়ে খসেপড়তে
থাকে! আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম
সম্পর্কে বে-খবর নন।
[74] Then, after that, your hearts were
hardened and became as stones or even
worse in hardness. And indeed, there are
stones out of which rivers gush forth,
and indeed, there are of them (stones)
which split asunder so that water flows
from them, and indeed, there are of
them (stones) which fall down for fear of
Allâh. And Allâh is not unaware of what
you do.
[75] ۞ ﺃَﻓَﺘَﻄﻤَﻌﻮﻥَ ﺃَﻥ
ﻳُﺆﻣِﻨﻮﺍ ﻟَﻜُﻢ ﻭَﻗَﺪ ﻛﺎﻥَ ﻓَﺮﻳﻖٌ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﻳَﺴﻤَﻌﻮﻥَ ﻛَﻠٰﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺛُﻢَّ
ﻳُﺤَﺮِّﻓﻮﻧَﻪُ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ ﻋَﻘَﻠﻮﻩُ
ﻭَﻫُﻢ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[75] হে মুসলমানগণ, তোমরা কি আশা
কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান
আনবে? তাদের মধ্যে একদল ছিল, যারা
আল্লাহর বাণী শ্রবণ করত; অতঃপর
বুঝে-শুনে তা পরিবর্তন করে দিত এবং
তারা তা অবগত ছিল।
[75] Do you (faithful believers) covet that
they will believe in your religion inspite
of the fact that a party of them (Jewish
rabbis) used to hear the Word of Allâh
[the Taurât (Torah)], then they used to
change it knowingly after they
understood it?
[76] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻟَﻘُﻮﺍ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﻭَﺇِﺫﺍ ﺧَﻼ
ﺑَﻌﻀُﻬُﻢ ﺇِﻟﻰٰ ﺑَﻌﺾٍ ﻗﺎﻟﻮﺍ
ﺃَﺗُﺤَﺪِّﺛﻮﻧَﻬُﻢ ﺑِﻤﺎ ﻓَﺘَﺢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻟِﻴُﺤﺎﺟّﻮﻛُﻢ ﺑِﻪِ ﻋِﻨﺪَ
ﺭَﺑِّﻜُﻢ ۚ ﺃَﻓَﻼ ﺗَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[76] যখন তারা মুসলমানদের সাথে
মিলিত হয়, তখন বলেঃ আমরা মুসলমান
হয়েছি। আর যখন পরস্পরের সাথে
নিভৃতে অবস্থান করে, তখন বলে,
পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যা
প্রকাশ করেছেন, তা কি তাদের কাছে
বলে দিচ্ছ? তাহলে যে তারা এ নিয়ে
পালকর্তার সামনে তোমাদেরকে
মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে। তোমরা কি
তা উপলব্ধি কর না?
[76] And when they (Jews) meet those
who believe (Muslims), they say, “We
believe”, but when they meet one
another in private, they say, “Shall you
(Jews) tell them (Muslims) what Allâh has
revealed to you [Jews, about the
description and the qualities of Prophet
Muhammad Peace be upon him , that
which are written in the Taurât
(Torah)] , that they (Muslims) may argue
with you (Jews) about it before your
Lord?” Have you (Jews) then no
understanding?
[77] ﺃَﻭَﻻ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﻌﻠَﻢُ
ﻣﺎ ﻳُﺴِﺮّﻭﻥَ ﻭَﻣﺎ ﻳُﻌﻠِﻨﻮﻥَ
[77] তারা কি এতটুকুও জানে না যে,
আল্লাহ সেসব বিষয়ও পরিজ্ঞাত যা
তারা গোপন করে এবং যা প্রকাশ
করে?
[77] Know they (Jews) not that Allâh
knows what they conceal and what they
reveal?
[78] ﻭَﻣِﻨﻬُﻢ ﺃُﻣِّﻴّﻮﻥَ ﻻ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻣﺎﻧِﻰَّ ﻭَﺇِﻥ ﻫُﻢ ﺇِﻟّﺎ
ﻳَﻈُﻨّﻮﻥَ
[78] তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর।
তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া
আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না।
তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।
[78] And there are among them (Jews)
unlettered people, who know not the
Book, but they trust upon false desires
and they but guess.
[79] ﻓَﻮَﻳﻞٌ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻜﺘُﺒﻮﻥَ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﺑِﺄَﻳﺪﻳﻬِﻢ ﺛُﻢَّ ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ
ﻫٰﺬﺍ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟِﻴَﺸﺘَﺮﻭﺍ
ﺑِﻪِ ﺛَﻤَﻨًﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ ۖ ﻓَﻮَﻳﻞٌ ﻟَﻬُﻢ ﻣِﻤّﺎ
ﻛَﺘَﺒَﺖ ﺃَﻳﺪﻳﻬِﻢ ﻭَﻭَﻳﻞٌ ﻟَﻬُﻢ
ﻣِﻤّﺎ ﻳَﻜﺴِﺒﻮﻥَ
[79] অতএব তাদের জন্যে আফসোস!
যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং
বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে
অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য
অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের
প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার
জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ,
তাদের উপার্জনের জন্যে।
[79] Then woe to those who write the
Book with their own hands and then say,
“This is from Allâh,” to purchase with it a
little price! Woe to them for what their
hands have written and woe to them for
that they earn thereby.
[80] ﻭَﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟَﻦ ﺗَﻤَﺴَّﻨَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺭُ ﺇِﻟّﺎ
ﺃَﻳّﺎﻣًﺎ ﻣَﻌﺪﻭﺩَﺓً ۚ ﻗُﻞ ﺃَﺗَّﺨَﺬﺗُﻢ
ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻬﺪًﺍ ﻓَﻠَﻦ ﻳُﺨﻠِﻒَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻬﺪَﻩُ ۖ ﺃَﻡ ﺗَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻻ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[80] তারা বলেঃ আগুন আমাদিগকে
কখনও স্পর্শ করবে না; কিন্তু গণাগনতি
কয়েকদিন। বলে দিনঃ তোমরা কি
আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার
পেয়েছ যে, আল্লাহ কখনও তার খেলাফ
করবেন না-না তোমরা যা জান না, তা
আল্লাহর সাথে জুড়ে দিচ্ছ।
[80] And they (Jews) say, “The Fire (i.e.
Hell-fire on the Day of Resurrection)
shall not touch us but for a few
numbered days.” Say (O Muhammad
Peace be upon him to them): “Have you
taken a covenant from Allâh, so that
Allâh will not break His Covenant? Or is
it that you say of Allâh what you know
not?”
[81] ﺑَﻠﻰٰ ﻣَﻦ ﻛَﺴَﺐَ ﺳَﻴِّﺌَﺔً
ﻭَﺃَﺣٰﻄَﺖ ﺑِﻪِ ﺧَﻄﻴـَٔﺘُﻪُ ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﺃَﺻﺤٰﺐُ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ۖ ﻫُﻢ ﻓﻴﻬﺎ
ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[81] হাঁ, যে ব্যক্তি পাপ অর্জন করেছে
এবং সে পাপ তাকে পরিবেষ্টিত করে
নিয়েছে, তারাই দোযখের অধিবাসী।
তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে।
[81] Yes! Whosoever earns evil and his
sin has surrounded him, they are
dwellers of the Fire (i.e. Hell); they will
dwell therein forever.
[82] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺃَﺻﺤٰﺐُ
ﺍﻟﺠَﻨَّﺔِ ۖ ﻫُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[82] পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে
এবং সৎকাজ করেছে, তারাই
জান্নাতের অধিবাসী। তারা
সেখানেই চিরকাল থাকবে।
[82] And those who believe (in the
Oneness of Allâh swt- Islâmic
Monotheism) and do righteous good
deeds, they are dwellers of Paradise,
they will dwell therein forever. (See
V.2:275)
[83] ﻭَﺇِﺫ ﺃَﺧَﺬﻧﺎ ﻣﻴﺜٰﻖَ ﺑَﻨﻰ
ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﻻ ﺗَﻌﺒُﺪﻭﻥَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻭَﺑِﺎﻟﻮٰﻟِﺪَﻳﻦِ ﺇِﺣﺴﺎﻧًﺎ ﻭَﺫِﻯ
ﺍﻟﻘُﺮﺑﻰٰ ﻭَﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﻭَﺍﻟﻤَﺴٰﻜﻴﻦِ
ﻭَﻗﻮﻟﻮﺍ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﺣُﺴﻨًﺎ
ﻭَﺃَﻗﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻭَﺀﺍﺗُﻮﺍ
ﺍﻟﺰَّﻛﻮٰﺓَ ﺛُﻢَّ ﺗَﻮَﻟَّﻴﺘُﻢ ﺇِﻟّﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﻣُﻌﺮِﺿﻮﻥَ
[83] যখন আমি বনী-ইসরাঈলের কাছ
থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা
আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা করবে
না, পিতা-মাতা, আত্নীয়-স্বজন, এতীম
ও দীন-দরিদ্রদের সাথে সদ্ব্যবহার
করবে, মানুষকে সৎ কথাবার্তা বলবে,
নামায প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত
দেবে, তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া
তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে, তোমরাই
অগ্রাহ্যকারী।
[83] And (remember) when We took a
covenant from the Children of Israel,
(saying): Worship none but Allâh (Alone)
and be dutiful and good to parents, and
to kindred, and to orphans and Al-
Masâkîn (the poor), and speak good to
people [i.e. enjoin righteousness and
forbid evil, and say the truth about
Muhammad Peace be upon him ], and
perform As-Salât (Iqâmat-as-Salât), and
give Zakât. Then you slid back, except a
few of you, while you are backsliders.
(Tafsir Al-Qurtubî).
[84] ﻭَﺇِﺫ ﺃَﺧَﺬﻧﺎ ﻣﻴﺜٰﻘَﻜُﻢ ﻻ
ﺗَﺴﻔِﻜﻮﻥَ ﺩِﻣﺎﺀَﻛُﻢ ﻭَﻻ
ﺗُﺨﺮِﺟﻮﻥَ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ ﻣِﻦ
ﺩِﻳٰﺮِﻛُﻢ ﺛُﻢَّ ﺃَﻗﺮَﺭﺗُﻢ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﺗَﺸﻬَﺪﻭﻥَ
[84] যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে
অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা পরস্পর
খুনাখুনি করবে না এবং নিজেদেরকে
দেশ থেকে বহিস্কার করবে না, তখন
তোমরা তা স্বীকার করেছিলে এবং
তোমরা তার সাক্ষ্য দিচ্ছিলে।
[84] And (remember) when We took your
covenant (saying): Shed not the blood of
your (people), nor turn out your own
people from their dwellings. Then, (this)
you ratified and (to this) you bear
witness.
[85] ﺛُﻢَّ ﺃَﻧﺘُﻢ ﻫٰﺆُﻻﺀِ ﺗَﻘﺘُﻠﻮﻥَ
ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ ﻭَﺗُﺨﺮِﺟﻮﻥَ ﻓَﺮﻳﻘًﺎ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺩِﻳٰﺮِﻫِﻢ ﺗَﻈٰﻬَﺮﻭﻥَ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺑِﺎﻹِﺛﻢِ ﻭَﺍﻟﻌُﺪﻭٰﻥِ ﻭَﺇِﻥ
ﻳَﺄﺗﻮﻛُﻢ ﺃُﺳٰﺮﻯٰ ﺗُﻔٰﺪﻭﻫُﻢ ﻭَﻫُﻮَ
ﻣُﺤَﺮَّﻡٌ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺇِﺧﺮﺍﺟُﻬُﻢ ۚ
ﺃَﻓَﺘُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺑِﺒَﻌﺾِ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﻭَﺗَﻜﻔُﺮﻭﻥَ ﺑِﺒَﻌﺾٍ ۚ ﻓَﻤﺎ ﺟَﺰﺍﺀُ
ﻣَﻦ ﻳَﻔﻌَﻞُ ﺫٰﻟِﻚَ ﻣِﻨﻜُﻢ ﺇِﻟّﺎ
ﺧِﺰﻯٌ ﻓِﻰ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ۖ
ﻭَﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ﻳُﺮَﺩّﻭﻥَ ﺇِﻟﻰٰ
ﺃَﺷَﺪِّ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏِ ۗ ﻭَﻣَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻐٰﻔِﻞٍ
ﻋَﻤّﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[85] অতঃপর তোমরাই পরস্পর খুনাখুনি
করছ এবং তোমাদেরই একদলকে
তাদের দেশ থেকে বহিস্কার করছ।
তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের
মাধ্যমে আক্রমণ করছ। আর যদি তারাই
কারও বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে
আসে, তবে বিনিময় নিয়ে তাদের মুক্ত
করছ। অথচ তাদের বহিস্কার করাও
তোমাদের জন্য অবৈধ। তবে কি
তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর
এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা
এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি
ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই।
কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম
শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে।
আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে
বে-খবর নন।
[85] After this, it is you who kill one
another and drive out a party of you
from their homes, assist (their enemies)
against them, in sin and transgression.
And if they come to you as captives, you
ransom them, although their expulsion
was forbidden to you. Then do you
believe in a part of the Scripture and
reject the rest? Then what is the
recompense of those who do so among
you, except disgrace in the life of this
world, and on the Day of Resurrection
they shall be consigned to the most
grievous torment. And Allâh is not
unaware of what you do.
[86] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺷﺘَﺮَﻭُﺍ
ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓَ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﺑِﺎﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ۖ
ﻓَﻼ ﻳُﺨَﻔَّﻒُ ﻋَﻨﻬُﻢُ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏُ
ﻭَﻻ ﻫُﻢ ﻳُﻨﺼَﺮﻭﻥَ
[86] এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব
জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি
লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে
না।
[86] Those are they who have bought the
life of this world at the price of the
Hereafter. Their torment shall not be
lightened nor shall they be helped.
[87] ﻭَﻟَﻘَﺪ ﺀﺍﺗَﻴﻨﺎ ﻣﻮﺳَﻰ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﻗَﻔَّﻴﻨﺎ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِﻩِ
ﺑِﺎﻟﺮُّﺳُﻞِ ۖ ﻭَﺀﺍﺗَﻴﻨﺎ ﻋﻴﺴَﻰ ﺍﺑﻦَ
ﻣَﺮﻳَﻢَ ﺍﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖِ ﻭَﺃَﻳَّﺪﻧٰﻪُ ﺑِﺮﻭﺡِ
ﺍﻟﻘُﺪُﺱِ ۗ ﺃَﻓَﻜُﻠَّﻤﺎ ﺟﺎﺀَﻛُﻢ
ﺭَﺳﻮﻝٌ ﺑِﻤﺎ ﻻ ﺗَﻬﻮﻯٰ ﺃَﻧﻔُﺴُﻜُﻢُ
ﺍﺳﺘَﻜﺒَﺮﺗُﻢ ﻓَﻔَﺮﻳﻘًﺎ ﻛَﺬَّﺑﺘُﻢ
ﻭَﻓَﺮﻳﻘًﺎ ﺗَﻘﺘُﻠﻮﻥَ
[87] অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব
দিয়েছি। এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে
রসূল পাঠিয়েছি। আমি মরিয়ম তনয়
ঈসাকে সুস্পষ্ট মোজেযা দান করেছি
এবং পবিত্র রূহের মাধ্যমে তাকে
শক্তিদান করেছি। অতঃপর যখনই কোন
রসূল এমন নির্দেশ নিয়ে তোমাদের
কাছে এসেছে, যা তোমাদের মনে
ভাল লাগেনি, তখনই তোমরা অহংকার
করেছ। শেষ পর্যন্ত তোমরা একদলকে
মিথ্যাবাদী বলেছ এবং একদলকে হত্যা
করেছ।
[87] And indeed, We gave Mûsa (Moses)
the Book and followed him up with a
succession of Messengers. And We gave
‘Īsā (Jesus), the son of Maryam (Mary),
clear signs and supported him with Rûh-
ul-Qudus [Jibrael (Gabriel) A.S.]. Is it that
whenever there came to you a Messenger
with what you yourselves desired not,
you grew arrogant? Some you
disbelieved and some you killed.
[88] ﻭَﻗﺎﻟﻮﺍ ﻗُﻠﻮﺑُﻨﺎ ﻏُﻠﻒٌ ۚ ﺑَﻞ
ﻟَﻌَﻨَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻜُﻔﺮِﻫِﻢ ﻓَﻘَﻠﻴﻠًﺎ ﻣﺎ
ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[88] তারা বলে, আমাদের হৃদয় অর্ধাবৃত।
এবং তাদের কুফরের কারণে আল্লাহ
অভিসম্পাত করেছেন। ফলে তারা
অল্পই ঈমান আনে।
[88] And they say, “Our hearts are
wrapped (i.e. do not hear or understand
Allâh’s Word).” Nay, Allâh has cursed
them for their disbelief, so little is that
which they believe.
[89] ﻭَﻟَﻤّﺎ ﺟﺎﺀَﻫُﻢ ﻛِﺘٰﺐٌ ﻣِﻦ
ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣُﺼَﺪِّﻕٌ ﻟِﻤﺎ ﻣَﻌَﻬُﻢ
ﻭَﻛﺎﻧﻮﺍ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ﻳَﺴﺘَﻔﺘِﺤﻮﻥَ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻓَﻠَﻤّﺎ
ﺟﺎﺀَﻫُﻢ ﻣﺎ ﻋَﺮَﻓﻮﺍ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺑِﻪِ ۚ
ﻓَﻠَﻌﻨَﺔُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[89] যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ
থেকে কিতাব এসে পৌঁছাল, যা সে
বিষয়ের সত্যায়ন করে, যা তাদের
কাছে রয়েছে এবং তারা পূর্বে করত।
অবশেষে যখন তাদের কাছে পৌঁছল
যাকে তারা চিনে রেখেছিল, তখন
তারা তা অস্বীকার করে বসল। অতএব,
অস্বীকারকারীদের উপর আল্লাহর
অভিসম্পাত।
[89] And when there came to them (the
Jews), a Book (this Qur’ân) from Allâh
confirming what is with them [the
Taurât (Torah) and the Injeel (Gospel)],
although aforetime they had invoked
Allâh (for coming of Muhammad Peace
be upon him ) in order to gain victory
over those who disbelieved, then when
there came to them that which they had
recognised, they disbelieved in it. So let
the Curse of Allâh be on the disbelievers.
[90] ﺑِﺌﺴَﻤَﺎ ﺍﺷﺘَﺮَﻭﺍ ﺑِﻪِ
ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ ﺃَﻥ ﻳَﻜﻔُﺮﻭﺍ ﺑِﻤﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﻐﻴًﺎ ﺃَﻥ ﻳُﻨَﺰِّﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦ
ﻓَﻀﻠِﻪِ ﻋَﻠﻰٰ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ﻣِﻦ
ﻋِﺒﺎﺩِﻩِ ۖ ﻓَﺒﺎﺀﻭ ﺑِﻐَﻀَﺐٍ ﻋَﻠﻰٰ
ﻏَﻀَﺐٍ ۚ ﻭَﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻋَﺬﺍﺏٌ
ﻣُﻬﻴﻦٌ
[90] যার বিনিময়ে তারা নিজেদের
বিক্রি করেছে, তা খুবই মন্দ; যেহেতু
তারা আল্লাহ যা নযিল করেছেন, তা
অস্বীকার করেছে এই হঠকারিতার দরুন
যে, আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের মধ্যে
যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ নাযিল করেন।
অতএব, তারা ক্রোধের উপর ক্রোধ
অর্জন করেছে। আর কাফেরদের জন্য
রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।
[90] How bad is that for which they have
sold their ownselves, that they should
disbelieve in that which Allâh has
revealed (the Qur’ân), grudging that
Allâh should reveal of His Grace unto
whom He wills of His slaves. So they
have drawn on themselves wrath upon
wrath. And for the disbelievers, there is
disgracing torment.
[91] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻗﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢ ﺀﺍﻣِﻨﻮﺍ ﺑِﻤﺎ
ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻧُﺆﻣِﻦُ ﺑِﻤﺎ
ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ﻭَﻳَﻜﻔُﺮﻭﻥَ ﺑِﻤﺎ
ﻭَﺭﺍﺀَﻩُ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟﺤَﻖُّ ﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ
ﻟِﻤﺎ ﻣَﻌَﻬُﻢ ۗ ﻗُﻞ ﻓَﻠِﻢَ ﺗَﻘﺘُﻠﻮﻥَ
ﺃَﻧﺒِﻴﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[91] যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা
পাঠিয়েছেন তা মেনে নাও, তখন তারা
বলে, আমরা মানি যা আমাদের প্রতি
অবর্তীণ হয়েছে। সেটি ছাড়া
সবগুলোকে তারা অস্বীকার করে। অথচ
এ গ্রন্থটি সত্য এবং সত্যায়ন করে ঐ
গ্রন্থের যা তাদের কাছে রয়েছে। বলে
দিন, তবে তোমরা ইতিপূর্বে
পয়গম্বরদের হত্যা করতে কেন যদি
তোমরা বিশ্বাসী ছিলে?
[91] And when it is said to them (the
Jews), “Believe in what Allâh has sent
down,” they say, “We believe in what
was sent down to us.” And they
disbelieve in that which came after it,
while it is the truth confirming what is
with them. Say (O Muhammad Peace be
upon him to them): “Why then have you
killed the Prophets of Allâh aforetime, if
you indeed have been believers?”
[92] ۞ ﻭَﻟَﻘَﺪ ﺟﺎﺀَﻛُﻢ ﻣﻮﺳﻰٰ
ﺑِﺎﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖِ ﺛُﻢَّ ﺍﺗَّﺨَﺬﺗُﻢُ ﺍﻟﻌِﺠﻞَ
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِﻩِ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﻇٰﻠِﻤﻮﻥَ
[92] সুস্পষ্ট মু’জেযাসহ মূসা তোমাদের
কাছে এসেছেন। এরপর তার
অনুপস্থিতিতে তোমরা গোবৎস
বানিয়েছ। বাস্তবিকই তোমরা
অত্যাচারী।
[92] And indeed Mûsa (Moses) came to
you with clear proofs, yet you
worshipped the calf after he left, and
you were Zâlimûn (polytheists and
wrong-doers).
[93] ﻭَﺇِﺫ ﺃَﺧَﺬﻧﺎ ﻣﻴﺜٰﻘَﻜُﻢ
ﻭَﺭَﻓَﻌﻨﺎ ﻓَﻮﻗَﻜُﻢُ ﺍﻟﻄّﻮﺭَ ﺧُﺬﻭﺍ
ﻣﺎ ﺀﺍﺗَﻴﻨٰﻜُﻢ ﺑِﻘُﻮَّﺓٍ ﻭَﺍﺳﻤَﻌﻮﺍ ۖ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺳَﻤِﻌﻨﺎ ﻭَﻋَﺼَﻴﻨﺎ
ﻭَﺃُﺷﺮِﺑﻮﺍ ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢُ ﺍﻟﻌِﺠﻞَ
ﺑِﻜُﻔﺮِﻫِﻢ ۚ ﻗُﻞ ﺑِﺌﺴَﻤﺎ ﻳَﺄﻣُﺮُﻛُﻢ
ﺑِﻪِ ﺇﻳﻤٰﻨُﻜُﻢ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[93] আর যখন আমি তোমাদের কাছ
থেকে প্রতিশ্রুতি নিলাম এবং তুর
পর্বতকে তোমাদের উপর তুলে ধরলাম
যে, শক্ত করে ধর, আমি যা তোমাদের
দিয়েছি আর শোন। তারা বলল, আমরা
শুনেছি আর অমান্য করেছি। কুফরের
কারণে তাদের অন্তরে গোবৎসপ্রীতি
পান করানো হয়েছিল। বলে দিন,
তোমরা বিশ্বাসী হলে, তোমাদের
সে বিশ্বাস মন্দ বিষয়াদি শিক্ষা দেয়।
[93] And (remember) when We took your
covenant and We raised above you the
Mount (saying), “Hold firmly to what We
have given you and hear (Our Word).
They said, “We have heard and
disobeyed.” And their hearts absorbed
(the worship of) the calf because of their
disbelief. Say: “Worst indeed is that
which your faith enjoins on you if you
are believers.”
[94] ﻗُﻞ ﺇِﻥ ﻛﺎﻧَﺖ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟﺪّﺍﺭُ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓُ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧﺎﻟِﺼَﺔً
ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻓَﺘَﻤَﻨَّﻮُﺍ
ﺍﻟﻤَﻮﺕَ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺻٰﺪِﻗﻴﻦَ
[94] বলে দিন, যদি আখেরাতের
বাসস্থান আল্লাহর কাছে একমাত্র
তোমাদের জন্যই বরাদ্দ হয়ে থাকে-
অন্য লোকদের বাদ দিয়ে, তবে মৃত্যু
কামনা কর, যদি সত্যবাদী হয়ে থাক।
[94] Say to (them): “If the home of the
Hereafter with Allâh is indeed for you
specially and not for others, of mankind,
then long for death if you are truthful.”
[95] ﻭَﻟَﻦ ﻳَﺘَﻤَﻨَّﻮﻩُ ﺃَﺑَﺪًﺍ ﺑِﻤﺎ
ﻗَﺪَّﻣَﺖ ﺃَﻳﺪﻳﻬِﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻢٌ
ﺑِﺎﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[95] কস্মিনকালেও তারা মৃত্যু কামনা
করবে না ঐসব গোনাহর কারণে, যা
তাদের হাত পাঠিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ
গোনাহগারদের সম্পর্কে সম্যক অবগত
রয়েছেন।
[95] But they will never long for it
because of what their hands have sent
before them (i.e. what they have done).
And Allâh is All-Aware of the Zâlimûn
(polytheists and wrong-doers)
[96] ﻭَﻟَﺘَﺠِﺪَﻧَّﻬُﻢ ﺃَﺣﺮَﺹَ
ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻋَﻠﻰٰ ﺣَﻴﻮٰﺓٍ ﻭَﻣِﻦَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃَﺷﺮَﻛﻮﺍ ۚ ﻳَﻮَﺩُّ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻢ
ﻟَﻮ ﻳُﻌَﻤَّﺮُ ﺃَﻟﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ ﻭَﻣﺎ ﻫُﻮَ
ﺑِﻤُﺰَﺣﺰِﺣِﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏِ ﺃَﻥ
ﻳُﻌَﻤَّﺮَ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﺼﻴﺮٌ ﺑِﻤﺎ
ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[96] আপনি তাদেরকে জীবনের প্রতি
সবার চাইতে, এমনকি মুশরিকদের
চাইতেও অধিক লোভী দেখবেন।
তাদের প্রত্যেকে কামনা করে, যেন
হাজার বছর আয়ু পায়। অথচ এরূপ আয়ু
প্রাপ্তি তাদেরকে শাস্তি থেকে
রক্ষা করতে পারবে না। আল্লাহ
দেখেন যা কিছু তারা করে।
[96] And verily, you will find them (the
Jews) the greediest of mankind for life
and (even greedier) than those who
ascribe partners to Allâh (and do not
believe in Resurrection – Majus, pagans,
and idolaters). Everyone of them wishes
that he could be given a life of a
thousand years. But the grant of such life
will not save him even a little from (due)
punishment. And Allâh is All-Seer of
what they do.
[97] ﻗُﻞ ﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ ﻋَﺪُﻭًّﺍ
ﻟِﺠِﺒﺮﻳﻞَ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻧَﺰَّﻟَﻪُ ﻋَﻠﻰٰ
ﻗَﻠﺒِﻚَ ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ ﻟِﻤﺎ
ﺑَﻴﻦَ ﻳَﺪَﻳﻪِ ﻭَﻫُﺪًﻯ ﻭَﺑُﺸﺮﻯٰ
ﻟِﻠﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[97] আপনি বলে দিন, যে কেউ
জিবরাঈলের শত্রু হয়-যেহেতু তিনি
আল্লাহর আদেশে এ কালাম আপনার
অন্তরে নাযিল করেছেন, যা
সত্যায়নকারী তাদের সম্মুখস্থ
কালামের এবং মুমিনদের জন্য
পথপ্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা।
[97] Say (O Muhammad Peace be upon
him ): “Whoever is an enemy to Jibrael
(Gabriel) (let him die in his fury), for
indeed he has brought it (this Qur’ân)
down to your heart by Allâh’s
Permission, confirming what came
before it [i.e. the Taurât (Torah) and the
Injeel (Gospel)] and guidance and glad
tidings for the believers.
[98] ﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ ﻋَﺪُﻭًّﺍ ﻟِﻠَّﻪِ
ﻭَﻣَﻠٰﺌِﻜَﺘِﻪِ ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪِ ﻭَﺟِﺒﺮﻳﻞَ
ﻭَﻣﻴﻜﻯٰﻞَ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﺪُﻭٌّ
ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[98] যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা
ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের
শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ সেসব
কাফেরের শত্রু।
[98] “Whoever is an enemy to Allâh, His
Angels, His Messengers, Jibrael (Gabriel)
and Mikael (Michael), then verily, Allâh
is an enemy to the disbelievers.”
[99] ﻭَﻟَﻘَﺪ ﺃَﻧﺰَﻟﻨﺎ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﺀﺍﻳٰﺖٍ
ﺑَﻴِّﻨٰﺖٍ ۖ ﻭَﻣﺎ ﻳَﻜﻔُﺮُ ﺑِﻬﺎ ﺇِﻟَّﺎ
ﺍﻟﻔٰﺴِﻘﻮﻥَ
[99] আমি আপনার প্রতি উজ্জ্বল
নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করেছি। অবাধ্যরা
ব্যতীত কেউ এগুলো অস্বীকার করে
না।
[99] And indeed We have sent down to
you manifest Ayât (these Verses of the
Qur’ân which inform in detail about the
news of the Jews and their secret
intentions, etc.), and none disbelieve in
them but Fâsiqûn (those who rebel
against Allâh’s Command).
[100] ﺃَﻭَﻛُﻠَّﻤﺎ ﻋٰﻬَﺪﻭﺍ ﻋَﻬﺪًﺍ ﻧَﺒَﺬَﻩُ
ﻓَﺮﻳﻖٌ ﻣِﻨﻬُﻢ ۚ ﺑَﻞ ﺃَﻛﺜَﺮُﻫُﻢ ﻻ
ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[100] কি আশ্চর্য, যখন তারা কোন
অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়, তখন তাদের
একদল তা ছুঁড়ে ফেলে, বরং অধিকাংশই
বিশ্বাস করে না।
[100] Is it not (the case) that every time
they make a covenant, some party
among them throw it aside? Nay! (the
truth) is most of them believe not.
[101] ﻭَﻟَﻤّﺎ ﺟﺎﺀَﻫُﻢ ﺭَﺳﻮﻝٌ ﻣِﻦ
ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣُﺼَﺪِّﻕٌ ﻟِﻤﺎ ﻣَﻌَﻬُﻢ
ﻧَﺒَﺬَ ﻓَﺮﻳﻖٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗُﻮﺍ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻛِﺘٰﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭﺍﺀَ
ﻇُﻬﻮﺭِﻫِﻢ ﻛَﺄَﻧَّﻬُﻢ ﻻ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[101] যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ
থেকে একজন রসূল আগমন করলেন-যিনি
ঐ কিতাবের সত্যায়ন করেন, যা তাদের
কাছে রয়েছে, তখন আহলে কেতাবদের
একদল আল্লাহর গ্রন্থকে পশ্চাতে
নিক্ষেপ করল-যেন তারা জানেই না।
[101] And when there came to them a
Messenger from Allâh (i.e. Muhammad
Peace be upon him ) confirming what
was with them, a party of those who
were given the Scripture threw away the
Book of Allâh behind their backs as if
they did not know!
[102] ﻭَﺍﺗَّﺒَﻌﻮﺍ ﻣﺎ ﺗَﺘﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺸَّﻴٰﻄﻴﻦُ ﻋَﻠﻰٰ ﻣُﻠﻚِ ﺳُﻠَﻴﻤٰﻦَ ۖ
ﻭَﻣﺎ ﻛَﻔَﺮَ ﺳُﻠَﻴﻤٰﻦُ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ
ﺍﻟﺸَّﻴٰﻄﻴﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻳُﻌَﻠِّﻤﻮﻥَ
ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﺍﻟﺴِّﺤﺮَ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻤَﻠَﻜَﻴﻦِ ﺑِﺒﺎﺑِﻞَ ﻫٰﺮﻭﺕَ
ﻭَﻣٰﺮﻭﺕَ ۚ ﻭَﻣﺎ ﻳُﻌَﻠِّﻤﺎﻥِ ﻣِﻦ
ﺃَﺣَﺪٍ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﻘﻮﻻ ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻧَﺤﻦُ
ﻓِﺘﻨَﺔٌ ﻓَﻼ ﺗَﻜﻔُﺮ ۖ ﻓَﻴَﺘَﻌَﻠَّﻤﻮﻥَ
ﻣِﻨﻬُﻤﺎ ﻣﺎ ﻳُﻔَﺮِّﻗﻮﻥَ ﺑِﻪِ ﺑَﻴﻦَ
ﺍﻟﻤَﺮﺀِ ﻭَﺯَﻭﺟِﻪِ ۚ ﻭَﻣﺎ ﻫُﻢ
ﺑِﻀﺎﺭّﻳﻦَ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ ﺃَﺣَﺪٍ ﺇِﻟّﺎ ﺑِﺈِﺫﻥِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻭَﻳَﺘَﻌَﻠَّﻤﻮﻥَ ﻣﺎ ﻳَﻀُﺮُّﻫُﻢ
ﻭَﻻ ﻳَﻨﻔَﻌُﻬُﻢ ۚ ﻭَﻟَﻘَﺪ ﻋَﻠِﻤﻮﺍ ﻟَﻤَﻦِ
ﺍﺷﺘَﺮﻯٰﻪُ ﻣﺎ ﻟَﻪُ ﻓِﻰ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ
ﻣِﻦ ﺧَﻠٰﻖٍ ۚ ﻭَﻟَﺒِﺌﺲَ ﻣﺎ ﺷَﺮَﻭﺍ
ﺑِﻪِ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ ۚ ﻟَﻮ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[102] তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল,
যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে
শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর
করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল।
তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং
বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই
ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল,
তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না
বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা
পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের
হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ
থেকে এমন জাদু শিখত, যদ্দ্বারা
স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।
তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা
কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা
তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না
করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে
জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে,
তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই।
যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয়
করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত।
[102] They followed what the Shayâtin
(devils) gave out (falsely of the magic) in
the lifetime of Sulaimân (Solomon).
Sulaimân did not disbelieve, but the
Shayâtin (devils) disbelieved, teaching
men magic and such things that came
down at Babylon to the two (angels,)
Hârût and Mârût, but neither of these
two angels taught anyone (such things)
till they had said, “We are only for trial,
so disbelieve not (by learning this magic
from us).” And from these (angels) people
learn that by which they cause
separation between man and his wife,
but they could not thus harm anyone
except by Allâh’s Leave. And they learn
that which harms them and profits them
not. And indeed they knew that the
buyers of it (magic) would have no share
in the Hereafter. And how bad indeed
was that for which they sold their
ownselves, if they but knew.
[103] ﻭَﻟَﻮ ﺃَﻧَّﻬُﻢ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﺍﺗَّﻘَﻮﺍ
ﻟَﻤَﺜﻮﺑَﺔٌ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﻴﺮٌ ۖ ﻟَﻮ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[103] যদি তারা ঈমান আনত এবং
খোদাভীরু হত, তবে আল্লাহর কাছ
থেকে উত্তম প্রতিদান পেত। যদি তারা
জানত।
[103] And if they had believed and
guarded themselves from evil and kept
their duty to Allâh, far better would have
been the reward from their Lord, if they
but knew!
[104] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﻘﻮﻟﻮﺍ ﺭٰﻋِﻨﺎ ﻭَﻗﻮﻟُﻮﺍ ﺍﻧﻈُﺮﻧﺎ
ﻭَﺍﺳﻤَﻌﻮﺍ ۗ ﻭَﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻋَﺬﺍﺏٌ
ﺃَﻟﻴﻢٌ
[104] হে মুমিন গণ, তোমরা ‘রায়িনা’
বলো না-‘উনযুরনা’ বল এবং শুনতে থাক।
আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে
বেদনাদায়ক শাস্তি।
[104] O you who believe! Say not (to the
Messenger Peace be upon him ) Râ’ina
but say Unzurna (make us understand)
and hear. And for the disbelievers there
is a painful torment. (See Verse 4:46)
[105] ﻣﺎ ﻳَﻮَﺩُّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻣِﻦ
ﺃَﻫﻞِ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻤُﺸﺮِﻛﻴﻦَ
ﺃَﻥ ﻳُﻨَﺰَّﻝَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺧَﻴﺮٍ ﻣِﻦ
ﺭَﺑِّﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺨﺘَﺺُّ ﺑِﺮَﺣﻤَﺘِﻪِ
ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺫُﻭ ﺍﻟﻔَﻀﻞِ
ﺍﻟﻌَﻈﻴﻢِ
[105] আহলে-কিতাব ও মুশরিকদের মধ্যে
যারা কাফের, তাদের মনঃপুত নয় যে,
তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে
তোমাদের প্রতি কোন কল্যাণ
অবতীর্ণ হোক। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা
বিশেষ ভাবে স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন।
আল্লাহ মহান অনুগ্রহদাতা।
[105] Neither those who disbelieve
among the people of the Scripture (Jews
and Christians) nor Al-Mushrikûn (the
idolaters, polytheists, disbelievers in the
Oneness of Allâh, pagans, etc.) like that
there should be sent down unto you any
good from your Lord. But Allâh chooses
for His Mercy whom He wills. And Allâh
is the Owner of Great Bounty.
[106] ۞ ﻣﺎ ﻧَﻨﺴَﺦ ﻣِﻦ ﺀﺍﻳَﺔٍ
ﺃَﻭ ﻧُﻨﺴِﻬﺎ ﻧَﺄﺕِ ﺑِﺨَﻴﺮٍ ﻣِﻨﻬﺎ ﺃَﻭ
ﻣِﺜﻠِﻬﺎ ۗ ﺃَﻟَﻢ ﺗَﻌﻠَﻢ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻰٰ
ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[106] আমি কোন আয়াত রহিত করলে
অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা
উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত
আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে,
আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?
[106] Whatever a Verse (revelation) do
We abrogate or cause to be forgotten,
We bring a better one or similar to it.
Know you not that Allâh is able to do all
things?
[107] ﺃَﻟَﻢ ﺗَﻌﻠَﻢ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻪُ ﻣُﻠﻚُ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۗ ﻭَﻣﺎ ﻟَﻜُﻢ
ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦ ﻭَﻟِﻰٍّ ﻭَﻻ
ﻧَﺼﻴﺮٍ
[107] তুমি কি জান না যে, আল্লাহর
জন্যই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের
আধিপত্য? আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের
কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই।
[107] Know you not that it is Allâh to
Whom belongs the dominion of the
heavens and the earth? And besides
Allâh you have neither any Walî
(protector or guardian) nor any helper.
[108] ﺃَﻡ ﺗُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﺃَﻥ ﺗَﺴـَٔﻠﻮﺍ
ﺭَﺳﻮﻟَﻜُﻢ ﻛَﻤﺎ ﺳُﺌِﻞَ ﻣﻮﺳﻰٰ
ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ۗ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَﺒَﺪَّﻝِ ﺍﻟﻜُﻔﺮَ
ﺑِﺎﻹﻳﻤٰﻦِ ﻓَﻘَﺪ ﺿَﻞَّ ﺳَﻮﺍﺀَ
ﺍﻟﺴَّﺒﻴﻞِ
[108] ইতিপূর্বে মূসা (আঃ) যেমন
জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন, (মুসলমানগন, )
তোমরাও কি তোমাদের রসূলকে
তেমনি প্রশ্ন করতে চাও? যে কেউ
ঈমানের পরিবর্তে কুফর গ্রহন করে, সে
সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
[108] Or do you want to ask your
Messenger (Muhammad Peace be upon
him ) as Mûsa (Moses) was asked before
(i.e. show us openly our Lord?) And he
who changes Faith for disbelief, verily,
he has gone astray from the Right Way.
[109] ﻭَﺩَّ ﻛَﺜﻴﺮٌ ﻣِﻦ ﺃَﻫﻞِ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﻟَﻮ ﻳَﺮُﺩّﻭﻧَﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﺇﻳﻤٰﻨِﻜُﻢ
ﻛُﻔّﺎﺭًﺍ ﺣَﺴَﺪًﺍ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻬُﻢُ
ﺍﻟﺤَﻖُّ ۖ ﻓَﺎﻋﻔﻮﺍ ﻭَﺍﺻﻔَﺤﻮﺍ
ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﺄﺗِﻰَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﺄَﻣﺮِﻩِ ۗ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[109] আহলে কিতাবদের অনেকেই
প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান
হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে
কাফের বানিয়ে দেয়। তাদের কাছে
সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর (তারা এটা
চায়)। যাক তোমরা আল্লাহর নির্দেশ
আসা পর্যন্ত তাদের ক্ষমা কর এবং
উপেক্ষা কর। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর
উপর ক্ষমতাবান।
[109] Many of the people of the Scripture
(Jews and Christians) wish that if they
could turn you away as disbelievers after
you have believed, out of envy from
their ownselves, even after the truth
(that Muhammad Peace be upon him is
Allâh’s Messenger) has become manifest
unto them. But forgive and overlook, till
Allâh brings His Command. Verily, Allâh
is Able to do all things.
[110] ﻭَﺃَﻗﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻭَﺀﺍﺗُﻮﺍ
ﺍﻟﺰَّﻛﻮٰﺓَ ۚ ﻭَﻣﺎ ﺗُﻘَﺪِّﻣﻮﺍ
ﻟِﺄَﻧﻔُﺴِﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺧَﻴﺮٍ ﺗَﺠِﺪﻭﻩُ
ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
ﺑَﺼﻴﺮٌ
[110] তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর
এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের
জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে,
তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা
কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ
করেন।
[110] And perform As-Salât (Iqâmat-as-
Salât), and give Zakât, and whatever of
good (deeds that Allâh loves) you send
forth for yourselves before you, you shall
find it with Allâh. Certainly, Allâh is All-
Seer of what you do.
[111] ﻭَﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟَﻦ ﻳَﺪﺧُﻞَ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ
ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ ﻫﻮﺩًﺍ ﺃَﻭ ﻧَﺼٰﺮﻯٰ ۗ
ﺗِﻠﻚَ ﺃَﻣﺎﻧِﻴُّﻬُﻢ ۗ ﻗُﻞ ﻫﺎﺗﻮﺍ
ﺑُﺮﻫٰﻨَﻜُﻢ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺻٰﺪِﻗﻴﻦَ
[111] ওরা বলে, ইহুদী অথবা খ্রীস্টান
ব্যতীত কেউ জান্নাতে যাবে না। এটা
ওদের মনের বাসনা। বলে দিন, তোমরা
সত্যবাদী হলে, প্রমাণ উপস্থিত কর।
[111] And they say, “None shall enter
Paradise unless he be a Jew or a
Christian.” These are their own desires.
Say (O Muhammad Peace be upon him ),
“Produce your proof if you are truthful.”
[112] ﺑَﻠﻰٰ ﻣَﻦ ﺃَﺳﻠَﻢَ ﻭَﺟﻬَﻪُ ﻟِﻠَّﻪِ
ﻭَﻫُﻮَ ﻣُﺤﺴِﻦٌ ﻓَﻠَﻪُ ﺃَﺟﺮُﻩُ ﻋِﻨﺪَ
ﺭَﺑِّﻪِ ﻭَﻻ ﺧَﻮﻑٌ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﻻ ﻫُﻢ
ﻳَﺤﺰَﻧﻮﻥَ
[112] হাঁ, যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর
উদ্দেশ্যে সমর্পন করেছে এবং সে
সৎকর্মশীলও বটে তার জন্য তার
পালনকর্তার কাছে পুরস্কার বয়েছে।
তাদের ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও
হবে না।
[112] Yes, but whoever submits his face
(himself) to Allâh (i.e. follows Allâh’s
Religion of Islâmic Monotheism) and he
is a Muhsin then his reward is with his
Lord (Allâh), on such shall be no fear,
nor shall they grieve. [See Tafsir Ibn
Kathîr].
[113] ﻭَﻗﺎﻟَﺖِ ﺍﻟﻴَﻬﻮﺩُ ﻟَﻴﺴَﺖِ
ﺍﻟﻨَّﺼٰﺮﻯٰ ﻋَﻠﻰٰ ﺷَﻲﺀٍ ﻭَﻗﺎﻟَﺖِ
ﺍﻟﻨَّﺼٰﺮﻯٰ ﻟَﻴﺴَﺖِ ﺍﻟﻴَﻬﻮﺩُ ﻋَﻠﻰٰ
ﺷَﻲﺀٍ ﻭَﻫُﻢ ﻳَﺘﻠﻮﻥَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ۗ
ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻗﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻻ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
ﻣِﺜﻞَ ﻗَﻮﻟِﻬِﻢ ۚ ﻓَﺎﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺤﻜُﻢُ
ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ﻓﻴﻤﺎ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻓﻴﻪِ ﻳَﺨﺘَﻠِﻔﻮﻥَ
[113] ইহুদীরা বলে, খ্রীস্টানরা কোন
ভিত্তির উপরেই নয় এবং খ্রীস্টানরা
বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপরেই
নয়। অথচ ওরা সবাই কিতাব পাঠ করে!
এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের
মতই উক্তি করে। অতএব, আল্লাহ
কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা
দেবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ
করছিল।
[113] The Jews said that the Christians
follow nothing (i.e. are not on the right
religion); and the Christians said that the
Jews follow nothing (i.e. are not on the
right religion); though they both recite
the Scripture. Like unto their word, said
(the pagans) who know not. Allâh will
judge between them on the Day of
Resurrection about that wherein they
have been differing.
[114] ﻭَﻣَﻦ ﺃَﻇﻠَﻢُ ﻣِﻤَّﻦ ﻣَﻨَﻊَ
ﻣَﺴٰﺠِﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻥ ﻳُﺬﻛَﺮَ ﻓﻴﻬَﺎ
ﺍﺳﻤُﻪُ ﻭَﺳَﻌﻰٰ ﻓﻰ ﺧَﺮﺍﺑِﻬﺎ ۚ
ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻟَﻬُﻢ ﺃَﻥ
ﻳَﺪﺧُﻠﻮﻫﺎ ﺇِﻟّﺎ ﺧﺎﺋِﻔﻴﻦَ ۚ ﻟَﻬُﻢ
ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﺧِﺰﻯٌ ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻋَﺬﺍﺏٌ ﻋَﻈﻴﻢٌ
[114] যে ব্যাক্তি আল্লাহর
মসজিদসমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে
বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড়
করতে চেষ্টা করে, তার চাইতে বড়
যালেম আর কে? এদের পক্ষে
মসজিদসমূহে প্রবেশ করা বিধেয় নয়,
অবশ্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। ওদের
জন্য ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে
কঠিন শাস্তি রয়েছে।
[114] And who are more unjust than
those who forbid that Allâh’s Name be
glorified and mentioned much (i.e.
prayers and invocations, etc.) in Allâh’s
mosques and strive for their ruin? It was
not fitting that such should themselves
enter them (Allâh’s Mosques) except in
fear. For them there is disgrace in this
world, and they will have a great
torment in the Hereafter.
[115] ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟﻤَﺸﺮِﻕُ ﻭَﺍﻟﻤَﻐﺮِﺏُ ۚ
ﻓَﺄَﻳﻨَﻤﺎ ﺗُﻮَﻟّﻮﺍ ﻓَﺜَﻢَّ ﻭَﺟﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭٰﺳِﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[115] পূর্ব ও পশ্চিম আল্লারই। অতএব,
তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও,
সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয়
আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ।
[115] And to Allâh belong the east and
the west, so wherever you turn
(yourselves or your faces) there is the
Face of Allâh (and He is High above, over
His Throne). Surely! Allâh is All-
Sufficient for His creatures’ needs, All-
Knowing.
[116] ﻭَﻗﺎﻟُﻮﺍ ﺍﺗَّﺨَﺬَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟَﺪًﺍ ۗ
ﺳُﺒﺤٰﻨَﻪُ ۖ ﺑَﻞ ﻟَﻪُ ﻣﺎ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۖ ﻛُﻞٌّ ﻟَﻪُ
ﻗٰﻨِﺘﻮﻥَ
[116] তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ
করেছেন। তিনি তো এসব কিছু থেকে
পবিত্র, বরং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা
কিছু রয়েছে সবই তার আজ্ঞাধীন।
[116] And they (Jews, Christians and
pagans) say: Allâh has begotten a son
(children or offspring). Glory be to Him
(Exalted be He above all that they
associate with Him). Nay, to Him belongs
all that is in the heavens and on earth,
and all surrender with obedience (in
worship) to Him.
[117] ﺑَﺪﻳﻊُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۖ
ﻭَﺇِﺫﺍ ﻗَﻀﻰٰ ﺃَﻣﺮًﺍ ﻓَﺈِﻧَّﻤﺎ ﻳَﻘﻮﻝُ
ﻟَﻪُ ﻛُﻦ ﻓَﻴَﻜﻮﻥُ
[117] তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের
উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য
সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন
সেটিকে একথাই বলেন, ‘হয়ে যাও’
তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।
[117] The Originator of the heavens and
the earth. When He decrees a matter, He
only says to it : “Be!” – and it is.
[118] ﻭَﻗﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻻ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
ﻟَﻮﻻ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻨَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻭ ﺗَﺄﺗﻴﻨﺎ
ﺀﺍﻳَﺔٌ ۗ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻗﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ
ﻗَﺒﻠِﻬِﻢ ﻣِﺜﻞَ ﻗَﻮﻟِﻬِﻢ ۘ ﺗَﺸٰﺒَﻬَﺖ
ﻗُﻠﻮﺑُﻬُﻢ ۗ ﻗَﺪ ﺑَﻴَّﻨَّﺎ ﺍﻝﺀﺍﻳٰﺖِ
ﻟِﻘَﻮﻡٍ ﻳﻮﻗِﻨﻮﻥَ
[118] যারা কিছু জানে না, তারা বলে,
আল্লাহ আমাদের সঙ্গে কেন কথা
বলেন না? অথবা আমাদের কাছে কোন
নিদর্শন কেন আসে না? এমনি ভাবে
তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও
তাদেরই অনুরূপ কথা বলেছে। তাদের
অন্তর একই রকম। নিশ্চয় আমি উজ্জ্বল
নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি তাদের
জন্যে যারা প্রত্যয়শীল।
[118] And those who have no knowledge
say: “Why does not Allâh speak to us
(face to face) or why does not a sign
come to us?” So said the people before
them words of similar import. Their
hearts are alike, We have indeed made
plain the signs for people who believe
with certainty.
[119] ﺇِﻧّﺎ ﺃَﺭﺳَﻠﻨٰﻚَ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ
ﺑَﺸﻴﺮًﺍ ﻭَﻧَﺬﻳﺮًﺍ ۖ ﻭَﻻ ﺗُﺴـَٔﻞُ ﻋَﻦ
ﺃَﺻﺤٰﺐِ ﺍﻟﺠَﺤﻴﻢِ
[119] নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ
সুসংবাদদাতা ও ভীতি
প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছি। আপনি
দোযখবাসীদের সম্পর্কে
জিজ্ঞাসিত হবেন না।
[119] Verily, We have sent you (O
Muhammad Peace be upon him ) with
the truth (Islâm), a bringer of glad
tidings (for those who believe in what
you brought, that they will enter
Paradise) and a warner (for those who
disbelieve in what you brought, they will
enter the Hell-fire). And you will not be
asked about the dwellers of the blazing
Fire.
[120] ﻭَﻟَﻦ ﺗَﺮﺿﻰٰ ﻋَﻨﻚَ ﺍﻟﻴَﻬﻮﺩُ
ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻨَّﺼٰﺮﻯٰ ﺣَﺘّﻰٰ ﺗَﺘَّﺒِﻊَ
ﻣِﻠَّﺘَﻬُﻢ ۗ ﻗُﻞ ﺇِﻥَّ ﻫُﺪَﻯ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻫُﻮَ
ﺍﻟﻬُﺪﻯٰ ۗ ﻭَﻟَﺌِﻦِ ﺍﺗَّﺒَﻌﺖَ
ﺃَﻫﻮﺍﺀَﻫُﻢ ﺑَﻌﺪَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺟﺎﺀَﻙَ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻌِﻠﻢِ ۙ ﻣﺎ ﻟَﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦ
ﻭَﻟِﻰٍّ ﻭَﻻ ﻧَﺼﻴﺮٍ
[120] ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার
প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না
আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন।
বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন
করেন, তাই হল সরল পথ। যদি আপনি
তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন,
ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে
পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল
থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও
সাহায্যকারী নেই।
[120] Never will the Jews nor the
Christians be pleased with you (O
Muhammad Peace be upon him ) till you
follow their religion. Say: “Verily, the
Guidance of Allâh (i.e. Islâmic
Monotheism) that is the (only) Guidance.
And if you (O Muhammad Peace be upon
him ) were to follow their (Jews and
Christians) desires after what you have
received of Knowledge (i.e. the Qur’ân),
then you would have against Allâh
neither any Walî (protector or guardian)
nor any helper.
[121] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﺗَﻴﻨٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ
ﻳَﺘﻠﻮﻧَﻪُ ﺣَﻖَّ ﺗِﻼﻭَﺗِﻪِ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺑِﻪِ ۗ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻜﻔُﺮ ﺑِﻪِ
ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﺨٰﺴِﺮﻭﻥَ
[121] আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান
করেছি, তারা তা যথাযথভাবে পাঠ
করে। তারাই তৎপ্রতি বিশ্বাস করে।
আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই
হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
[121] Those (who embraced Islâm from
Banî Israel) to whom We gave the Book
[the Taurât (Torah)] [or those
(Muhammad’s Peace be upon him
companions) to whom We have given the
Book (the Qur’ân)] recite it (i.e. obey its
orders and follow its teachings) as it
should be recited (i.e. followed), they are
the ones that believe therein. And whoso
disbelieves in it (the Qur’ân), those are
they who are the losers. (Tafsir Al-
Qurtubî.)
[122] ﻳٰﺒَﻨﻰ ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﺍﺫﻛُﺮﻭﺍ
ﻧِﻌﻤَﺘِﻰَ ﺍﻟَّﺘﻰ ﺃَﻧﻌَﻤﺖُ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻭَﺃَﻧّﻰ ﻓَﻀَّﻠﺘُﻜُﻢ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[122] হে বনী-ইসরাঈল! আমার অনুগ্রহের
কথা স্মরণ কর, যা আমি তোমাদের
দিয়েছি। আমি তোমাদেরকে
বিশ্বাবাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান
করেছি।
[122] O Children of Israel! Remember My
Favour which I bestowed upon you and
that I preferred you to the ‘Alamîn
(mankind and jinn) (of your time-period,
in the past).
[123] ﻭَﺍﺗَّﻘﻮﺍ ﻳَﻮﻣًﺎ ﻻ ﺗَﺠﺰﻯ
ﻧَﻔﺲٌ ﻋَﻦ ﻧَﻔﺲٍ ﺷَﻴـًٔﺎ ﻭَﻻ
ﻳُﻘﺒَﻞُ ﻣِﻨﻬﺎ ﻋَﺪﻝٌ ﻭَﻻ ﺗَﻨﻔَﻌُﻬﺎ
ﺷَﻔٰﻌَﺔٌ ﻭَﻻ ﻫُﻢ ﻳُﻨﺼَﺮﻭﻥَ
[123] তোমরা ভয় কর সেদিনকে, যে
দিন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি
বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না, কারও কাছ
থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না, কার ও
সুপারিশ ফলপ্রদ হবে না এবং তারা
সাহায্য প্রাপ্ত ও হবে না।
[123] And fear the Day (of Judgement)
when no person shall avail another, nor
shall compensation be accepted from
him, nor shall intercession be of use to
him, nor shall they be helped.
[124] ۞ ﻭَﺇِﺫِ ﺍﺑﺘَﻠﻰٰ ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡَ
ﺭَﺑُّﻪُ ﺑِﻜَﻠِﻤٰﺖٍ ﻓَﺄَﺗَﻤَّﻬُﻦَّ ۖ ﻗﺎﻝَ
ﺇِﻧّﻰ ﺟﺎﻋِﻠُﻚَ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﺇِﻣﺎﻣًﺎ ۖ
ﻗﺎﻝَ ﻭَﻣِﻦ ﺫُﺭِّﻳَّﺘﻰ ۖ ﻗﺎﻝَ ﻻ
ﻳَﻨﺎﻝُ ﻋَﻬﺪِﻯ ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[124] যখন ইব্রাহীমকে তাঁর পালনকর্তা
কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন,
অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করে দিলেন,
তখন পালনকর্তা বললেন, আমি
তোমাকে মানবজাতির নেতা করব।
তিনি বললেন, আমার বংশধর থেকেও!
তিনি বললেন আমার অঙ্গীকার
অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌঁছাবে না।
[124] And (remember) when the Lord of
Ibrâhim (Abraham) [i.e., Allâh] tried him
with (certain) Commands, which he
fulfilled. He (Allâh) said (to him), “Verily,
I am going to make you Imam (a leader)
for mankind (to follow you).” [Ibrâhim
(Abraham)] said, “And of my offspring
(to make leaders).” (Allâh) said, “My
Covenant (Prophethood) includes not
Zâlimûn (polytheists and wrong-doers).”
[125] ﻭَﺇِﺫ ﺟَﻌَﻠﻨَﺎ ﺍﻟﺒَﻴﺖَ ﻣَﺜﺎﺑَﺔً
ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻭَﺃَﻣﻨًﺎ ﻭَﺍﺗَّﺨِﺬﻭﺍ ﻣِﻦ
ﻣَﻘﺎﻡِ ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡَ ﻣُﺼَﻠًّﻰ ۖ ﻭَﻋَﻬِﺪﻧﺎ
ﺇِﻟﻰٰ ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡَ ﻭَﺇِﺳﻤٰﻌﻴﻞَ ﺃَﻥ
ﻃَﻬِّﺮﺍ ﺑَﻴﺘِﻰَ ﻟِﻠﻄّﺎﺋِﻔﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﻌٰﻜِﻔﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺮُّﻛَّﻊِ ﺍﻟﺴُّﺠﻮﺩِ
[125] যখন আমি কা’বা গৃহকে মানুষের
জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয়
করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের
দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাযের
জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও
ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা
আমার গৃহকে তওয়াফকারী,
অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের
জন্য পবিত্র রাখ।
[125] And (remember) when We made
the House (the Ka’bah at Makkah) a
place of resort for mankind and a place
of safety. And take you (people) the
Maqâm (place) of Ibrâhim (Abraham) [or
the stone on which Ibrâhim (Abraham)
A.S. stood while he was building the
Ka’bah] as a place of prayer (for some of
your prayers, e.g. two Rak’at after the
Tawâf of the Ka’bah at Makkah), and We
commanded Ibrâhim (Abraham) and
Ismâ’il (Ishmael) that they should purify
My House (the Ka’bah at Makkah) for
those who are circumambulating it, or
staying (I’tikâf), or bowing or prostrating
themselves (there, in prayer).
[126] ﻭَﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡُ ﺭَﺏِّ
ﺍﺟﻌَﻞ ﻫٰﺬﺍ ﺑَﻠَﺪًﺍ ﺀﺍﻣِﻨًﺎ ﻭَﺍﺭﺯُﻕ
ﺃَﻫﻠَﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺜَّﻤَﺮٰﺕِ ﻣَﻦ ﺀﺍﻣَﻦَ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ۖ
ﻗﺎﻝَ ﻭَﻣَﻦ ﻛَﻔَﺮَ ﻓَﺄُﻣَﺘِّﻌُﻪُ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
ﺛُﻢَّ ﺃَﺿﻄَﺮُّﻩُ ﺇِﻟﻰٰ ﻋَﺬﺍﺏِ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ۖ
ﻭَﺑِﺌﺲَ ﺍﻟﻤَﺼﻴﺮُ
[126] যখন ইব্রাহীম বললেন,
পরওয়ারদেগার! এ স্থানকে তুমি
শান্তিধান কর এবং এর অধিবাসীদের
মধ্যে যারা অল্লাহ ও কিয়ামতে
বিশ্বাস করে, তাদেরকে ফলের দ্বারা
রিযিক দান কর। বললেনঃ যারা
অবিশ্বাস করে, আমি তাদেরও কিছুদিন
ফায়দা ভোগ করার সুযোগ দেব,
অতঃপর তাদেরকে বলপ্রয়োগে
দোযখের আযাবে ঠেলে দেবো;
সেটা নিকৃষ্ট বাসস্থান।
[126] And (remember) when Ibrâhim
(Abraham) said, “My Lord, make this city
(Makkah) a place of security and provide
its people with fruits, such of them as
believe in Allâh and the Last Day.” He
(Allâh) answered: “As for him who
disbelieves, I shall leave him in
contentment for a while, then I shall
compel him to the torment of the Fire,
and worst indeed is that destination!”
[127] ﻭَﺇِﺫ ﻳَﺮﻓَﻊُ ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡُ
ﺍﻟﻘَﻮﺍﻋِﺪَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺒَﻴﺖِ
ﻭَﺇِﺳﻤٰﻌﻴﻞُ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺗَﻘَﺒَّﻞ ﻣِﻨّﺎ ۖ
ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟﺴَّﻤﻴﻊُ ﺍﻟﻌَﻠﻴﻢُ
[127] স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল
কা’বাগৃহের ভিত্তি স্থাপন করছিল।
তারা দোয়া করেছিলঃ
পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল
কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।
[127] And (remember) when Ibrâhim
(Abraham) and (his son) Ismâ’il
(Ishmael) were raising the foundations
of the House (the Ka’bah at Makkah),
(saying), “Our Lord! Accept (this service)
from us. Verily! You are the All-Hearer,
the All-Knower.”
[128] ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻭَﺍﺟﻌَﻠﻨﺎ ﻣُﺴﻠِﻤَﻴﻦِ
ﻟَﻚَ ﻭَﻣِﻦ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻨﺎ ﺃُﻣَّﺔً ﻣُﺴﻠِﻤَﺔً
ﻟَﻚَ ﻭَﺃَﺭِﻧﺎ ﻣَﻨﺎﺳِﻜَﻨﺎ ﻭَﺗُﺐ
ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮّﺍﺏُ
ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢُ
[128] পরওয়ারদেগার! আমাদের উভয়কে
তোমার আজ্ঞাবহ কর এবং আমাদের
বংশধর থেকেও একটি অনুগত দল সৃষ্টি
কর, আমাদের হজ্বের রীতিনীতি বলে
দাও এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয়
তুমি তওবা কবুলকারী। দয়ালু।
[128] “Our Lord! And make us
submissive unto You and of our
offspring a nation submissive unto You,
and show us our Manâsik (all the
ceremonies of pilgrimage – Hajj and
‘Umrah), and accept our repentance.
Truly, You are the One Who accepts
repentance, the Most Merciful.
[129] ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻭَﺍﺑﻌَﺚ ﻓﻴﻬِﻢ ﺭَﺳﻮﻟًﺎ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﻳَﺘﻠﻮﺍ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺀﺍﻳٰﺘِﻚَ
ﻭَﻳُﻌَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔَ
ﻭَﻳُﺰَﻛّﻴﻬِﻢ ۚ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟﻌَﺰﻳﺰُ
ﺍﻟﺤَﻜﻴﻢُ
[129] হে পরওয়ারদেগার! তাদের মধ্যে
থেকেই তাদের নিকট একজন পয়গম্বর
প্রেরণ করুণ যিনি তাদের কাছে
তোমার আয়াতসমূহ তেলাওয়াত
করবেন, তাদেরকে কিতাব ও হেকমত
শিক্ষা দিবেন। এবং তাদের পবিত্র
করবেন। নিশ্চয় তুমিই পরাক্রমশালী
হেকমতওয়ালা।
[129] “Our Lord! Send amongst them a
Messenger of their own (and indeed
Allâh answered their invocation by
sending Muhammad Peace be upon
him ), who shall recite unto them Your
Verses and instruct them in the Book
(this Qur’ân) and Al-Hikmah (full
knowledge of the Islâmic laws and
jurisprudence or wisdom or
Prophethood), and purify them. Verily!
You are the All-Mighty, the All-Wise.”
[130] ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺮﻏَﺐُ ﻋَﻦ ﻣِﻠَّﺔِ
ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡَ ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦ ﺳَﻔِﻪَ ﻧَﻔﺴَﻪُ ۚ
ﻭَﻟَﻘَﺪِ ﺍﺻﻄَﻔَﻴﻨٰﻪُ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ۖ
ﻭَﺇِﻧَّﻪُ ﻓِﻰ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻟَﻤِﻦَ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤﻴﻦَ
[130] ইব্রাহীমের ধর্ম থেকে কে মুখ
ফেরায়? কিন্তু সে ব্যক্তি, যে
নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করে।
নিশ্চয়ই আমি তাকে পৃথিবীতে
মনোনীত করেছি এবং সে পরকালে
সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
[130] And who turns away from the
religion of Ibrâhim (Abraham) (i.e.
Islâmic Monotheism) except him who
befools himself? Truly, We chose him in
this world and verily, in the Hereafter he
will be among the righteous.
[131] ﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﺭَﺑُّﻪُ ﺃَﺳﻠِﻢ ۖ
ﻗﺎﻝَ ﺃَﺳﻠَﻤﺖُ ﻟِﺮَﺏِّ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[131] স্মরণ কর, যখন তাকে তার
পালনকর্তা বললেনঃ অনুগত হও। সে
বললঃ আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম।
[131] When his Lord said to him,
“Submit (i.e. be a Muslim)!” He said, “I
have submitted myself (as a Muslim) to
the Lord of the ‘Alamîn (mankind, jinn
and all that exists).”
[132] ﻭَﻭَﺻّﻰٰ ﺑِﻬﺎ ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡُ ﺑَﻨﻴﻪِ
ﻭَﻳَﻌﻘﻮﺏُ ﻳٰﺒَﻨِﻰَّ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺍﺻﻄَﻔﻰٰ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟﺪّﻳﻦَ ﻓَﻼ
ﺗَﻤﻮﺗُﻦَّ ﺇِﻟّﺎ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﻣُﺴﻠِﻤﻮﻥَ
[132] এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার
সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার
সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের
জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন।
কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে
কখনও মৃত্যুবরণ করো না।
[132] And this (submission to Allâh,
Islâm) was enjoined by Ibrâhim
(Abraham) upon his sons and by Ya’qûb
(Jacob), (saying), “O my sons! Allâh has
chosen for you the (true) religion, then
die not except in the Faith of Islâm (as
Muslims – Islâmic Monotheism).”
[133] ﺃَﻡ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺷُﻬَﺪﺍﺀَ ﺇِﺫ
ﺣَﻀَﺮَ ﻳَﻌﻘﻮﺏَ ﺍﻟﻤَﻮﺕُ ﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ
ﻟِﺒَﻨﻴﻪِ ﻣﺎ ﺗَﻌﺒُﺪﻭﻥَ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪﻯ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻧَﻌﺒُﺪُ ﺇِﻟٰﻬَﻚَ ﻭَﺇِﻟٰﻪَ
ﺀﺍﺑﺎﺋِﻚَ ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡَ ﻭَﺇِﺳﻤٰﻌﻴﻞَ
ﻭَﺇِﺳﺤٰﻖَ ﺇِﻟٰﻬًﺎ ﻭٰﺣِﺪًﺍ ﻭَﻧَﺤﻦُ ﻟَﻪُ
ﻣُﺴﻠِﻤﻮﻥَ
[133] তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন
ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবর্তী হয়? যখন সে
সন্তানদের বললঃ আমার পর তোমরা
কার এবাদত করবে? তারা বললো,
আমরা তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম,
ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের এবাদত
করব। তিনি একক উপাস্য।
[133] Or were you witnesses when death
approached Ya’qûb (Jacob)? When he
said unto his sons, “What will you
worship after me?” They said, “We shall
worship your Ilâh (God – Allâh), the Ilâh
(God) of your fathers, Ibrâhim
(Abraham), Ismâ’il (Ishmael), Ishâq
(Isaac), One Ilâh (God), and to Him we
submit (in Islâm).”
[134] ﺗِﻠﻚَ ﺃُﻣَّﺔٌ ﻗَﺪ ﺧَﻠَﺖ ۖ ﻟَﻬﺎ
ﻣﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖ ﻭَﻟَﻜُﻢ ﻣﺎ ﻛَﺴَﺒﺘُﻢ ۖ
ﻭَﻻ ﺗُﺴـَٔﻠﻮﻥَ ﻋَﻤّﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[134] আমরা সবাই তাঁর আজ্ঞাবহ।
তারা ছিল এক সম্প্রদায়-যারা গত হয়ে
গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদেরই
জন্যে। তারা কি করত, সে সম্পর্কে
তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না।
[134] That was a nation who has passed
away. They shall receive the reward of
what they earned and you of what you
earn. And you will not be asked of what
they used to do
[135] ﻭَﻗﺎﻟﻮﺍ ﻛﻮﻧﻮﺍ ﻫﻮﺩًﺍ ﺃَﻭ
ﻧَﺼٰﺮﻯٰ ﺗَﻬﺘَﺪﻭﺍ ۗ ﻗُﻞ ﺑَﻞ ﻣِﻠَّﺔَ
ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡَ ﺣَﻨﻴﻔًﺎ ۖ ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻤُﺸﺮِﻛﻴﻦَ
[135] তারা বলে, তোমরা ইহুদী অথবা
খ্রীষ্টান হয়ে যাও, তবেই সুপথ পাবে।
আপনি বলুন, কখনই নয়; বরং আমরা
ইব্রাহীমের ধর্মে আছি যাতে বক্রতা
নেই। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
[135] And they say, “Be Jews or
Christians, then you will be guided.” Say
(to them, O Muhammad Peace be upon
him ), “Nay, (We follow) only the religion
of Ibrâhim (Abraham), Hanifa [Islâmic
Monotheism, i.e. to worship none but
Allâh (Alone)], and he was not of Al-
Mushrikûn (those who worshipped others
along with Allâh – see V.2:105).”
[136] ﻗﻮﻟﻮﺍ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣﺎ
ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻨﺎ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟﻰٰ
ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡَ ﻭَﺇِﺳﻤٰﻌﻴﻞَ ﻭَﺇِﺳﺤٰﻖَ
ﻭَﻳَﻌﻘﻮﺏَ ﻭَﺍﻷَﺳﺒﺎﻁِ ﻭَﻣﺎ
ﺃﻭﺗِﻰَ ﻣﻮﺳﻰٰ ﻭَﻋﻴﺴﻰٰ ﻭَﻣﺎ
ﺃﻭﺗِﻰَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴّﻮﻥَ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻻ
ﻧُﻔَﺮِّﻕُ ﺑَﻴﻦَ ﺃَﺣَﺪٍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻭَﻧَﺤﻦُ
ﻟَﻪُ ﻣُﺴﻠِﻤﻮﻥَ
[136] তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি
আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে
আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ
হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক,
ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং
মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে
পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা
হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের
মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই
আনুগত্যকারী।
[136] Say (O Muslims), “We believe in
Allâh and that which has been sent
down to us and that which has been sent
down to Ibrâhim (Abraham), Ismâ’il
(Ishmael), Ishâq (Isaac), Ya’qûb (Jacob),
and to Al-Asbât [the offspring twelve
sons of Ya’qûb (Jacob)], and that which
has been given to Mûsa (Moses) and Isâ
(Jesus), and that which has been given to
the Prophets from their Lord. We make
no distinction between any of them, and
to Him we have submitted (in Islâm).”
[137] ﻓَﺈِﻥ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺑِﻤِﺜﻞِ ﻣﺎ
ﺀﺍﻣَﻨﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﻓَﻘَﺪِ ﺍﻫﺘَﺪَﻭﺍ ۖ ﻭَﺇِﻥ
ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻓَﺈِﻧَّﻤﺎ ﻫُﻢ ﻓﻰ ﺷِﻘﺎﻕٍ ۖ
ﻓَﺴَﻴَﻜﻔﻴﻜَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ ﻭَﻫُﻮَ
ﺍﻟﺴَّﻤﻴﻊُ ﺍﻟﻌَﻠﻴﻢُ
[137] অতএব তারা যদি ঈমান আনে,
তোমাদের ঈমান আনার মত, তবে তারা
সুপথ পাবে। আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়,
তবে তারাই হঠকারিতায় রয়েছে।
সুতরাং এখন তাদের জন্যে আপনার পক্ষ
থেকে আল্লাহই যথেষ্ট। তিনিই
শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।
[137] So if they believe in the like of that
which you believe, then they are rightly
guided, but if they turn away, then they
are only in opposition. So Allâh will
suffice for you against them. And He is
the All-Hearer, the All-Knower.
[138] ﺻِﺒﻐَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻭَﻣَﻦ ﺃَﺣﺴَﻦُ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻِﺒﻐَﺔً ۖ ﻭَﻧَﺤﻦُ ﻟَﻪُ
ﻋٰﺒِﺪﻭﻥَ
[138] আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি।
আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর
কার হতে পারে?আমরা তাঁরই এবাদত
করি।
[138] [Our Sibghah (religion) is] the
Sibghah (Religion) of Allâh (Islâm) and
which Sibghah (religion) can be better
than Allâh’s? And we are His
worshippers. [Tafsir Ibn Kathîr.]
[139] ﻗُﻞ ﺃَﺗُﺤﺎﺟّﻮﻧَﻨﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻫُﻮَ ﺭَﺑُّﻨﺎ ﻭَﺭَﺑُّﻜُﻢ ﻭَﻟَﻨﺎ ﺃَﻋﻤٰﻠُﻨﺎ
ﻭَﻟَﻜُﻢ ﺃَﻋﻤٰﻠُﻜُﻢ ﻭَﻧَﺤﻦُ ﻟَﻪُ
ﻣُﺨﻠِﺼﻮﻥَ
[139] আপনি বলে দিন, তোমরা কি
আমাদের সাথে আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক
করছ? অথচ তিনিই আমাদের পালনকর্তা
এবং তোমাদের ও পালনকর্তা।
আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম
তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম।
এবং আমরা তাঁরই প্রতি একনিষ্ঠ।
[139] Say (O Muhammad Peace be upon
him to the Jews and Christians), “Dispute
you with us about Allâh while He is our
Lord and your Lord? And we are to be
rewarded for our deeds and you for your
deeds. And we are sincere to Him [in
worship and obedience (i.e. we worship
Him Alone and none else, and we obey
His Orders).]”
[140] ﺃَﻡ ﺗَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺇِﻥَّ ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡَ
ﻭَﺇِﺳﻤٰﻌﻴﻞَ ﻭَﺇِﺳﺤٰﻖَ ﻭَﻳَﻌﻘﻮﺏَ
ﻭَﺍﻷَﺳﺒﺎﻁَ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻫﻮﺩًﺍ ﺃَﻭ
ﻧَﺼٰﺮﻯٰ ۗ ﻗُﻞ ﺀَﺃَﻧﺘُﻢ ﺃَﻋﻠَﻢُ ﺃَﻡِ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ۗ ﻭَﻣَﻦ ﺃَﻇﻠَﻢُ ﻣِﻤَّﻦ ﻛَﺘَﻢَ
ﺷَﻬٰﺪَﺓً ﻋِﻨﺪَﻩُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﻣَﺎ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻐٰﻔِﻞٍ ﻋَﻤّﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[140] অথবা তোমরা কি বলছ যে,
নিশ্চয়ই ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক,
ইয়াকুব (আঃ) ও তাদের সন্তানগন ইহুদী
অথবা খ্রীষ্টান ছিলেন? আপনি বলে
দিন, তোমরা বেশী জান, না আল্লাহ
বেশী জানেন?
[140] Or say you that Ibrâhim
(Abraham), Ismâ’il (Ishmael), Ishâque
(Isaac), Ya’qûb (Jacob) and Al-Asbât [the
offspring twelve sons of Ya’qûb (Jacob)]
were Jews or Christians? Say, “Do you
know better or does Allâh (knows
better… that they all were Muslims)? And
who is more unjust than he who conceals
the testimony [i.e. to believe in Prophet
Muhammad Peace be upon him when he
comes, as is written in their Books. (See
Verse 7:157)] he has from Allâh? And
Allâh is not unaware of what you do.”
[141] ﺗِﻠﻚَ ﺃُﻣَّﺔٌ ﻗَﺪ ﺧَﻠَﺖ ۖ ﻟَﻬﺎ
ﻣﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖ ﻭَﻟَﻜُﻢ ﻣﺎ ﻛَﺴَﺒﺘُﻢ ۖ
ﻭَﻻ ﺗُﺴـَٔﻠﻮﻥَ ﻋَﻤّﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[141] তার চাইতে অত্যাচারী কে, যে
আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে
প্রমাণিত সাক্ষ্যকে গোপন করে?
আল্লাহ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে
বেখবর নন। সে সম্প্রদায় অতীত হয়ে
গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদের
জন্যে এবং তোমরা যা করছ, তা
তোমাদের জন্যে। তাদের কর্ম
সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞেস করা
হবে না।
[141] That was a nation who has passed
away. They shall receive the reward of
what they earned, and you of what you
earn. And you will not be asked of what
they used to do.
[142] ۞ ﺳَﻴَﻘﻮﻝُ ﺍﻟﺴُّﻔَﻬﺎﺀُ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻣﺎ ﻭَﻟّﻯٰﻬُﻢ ﻋَﻦ
ﻗِﺒﻠَﺘِﻬِﻢُ ﺍﻟَّﺘﻰ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻋَﻠَﻴﻬﺎ ۚ
ﻗُﻞ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟﻤَﺸﺮِﻕُ ﻭَﺍﻟﻤَﻐﺮِﺏُ ۚ
ﻳَﻬﺪﻯ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ﺇِﻟﻰٰ ﺻِﺮٰﻁٍ
ﻣُﺴﺘَﻘﻴﻢٍ
[142] এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে
মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ
কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল?
আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই।
তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান।
[142] The fools among the people
(pagans, hypocrites, and Jews) will say,
“What has turned them (Muslims) from
their Qiblah [prayer direction (towards
Jerusalem)] to which they were used to
face in prayer.” Say, (O Muhammad
SAW) “To Allâh belong both, east and the
west. He guides whom He wills to a
Straight Way.”
[143] ﻭَﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﺟَﻌَﻠﻨٰﻜُﻢ ﺃُﻣَّﺔً
ﻭَﺳَﻄًﺎ ﻟِﺘَﻜﻮﻧﻮﺍ ﺷُﻬَﺪﺍﺀَ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻭَﻳَﻜﻮﻥَ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝُ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺷَﻬﻴﺪًﺍ ۗ ﻭَﻣﺎ ﺟَﻌَﻠﻨَﺎ
ﺍﻟﻘِﺒﻠَﺔَ ﺍﻟَّﺘﻰ ﻛُﻨﺖَ ﻋَﻠَﻴﻬﺎ ﺇِﻟّﺎ
ﻟِﻨَﻌﻠَﻢَ ﻣَﻦ ﻳَﺘَّﺒِﻊُ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ ﻣِﻤَّﻦ
ﻳَﻨﻘَﻠِﺐُ ﻋَﻠﻰٰ ﻋَﻘِﺒَﻴﻪِ ۚ ﻭَﺇِﻥ
ﻛﺎﻧَﺖ ﻟَﻜَﺒﻴﺮَﺓً ﺇِﻟّﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻫَﺪَﻯ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۗ ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟِﻴُﻀﻴﻊَ ﺇﻳﻤٰﻨَﻜُﻢ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺑِﺎﻟﻨّﺎﺱِ ﻟَﺮَﺀﻭﻑٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[143] এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে
মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে
তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলীর
জন্যে এবং যাতে রসূল সাক্ষ্যদাতা হন
তোমাদের জন্য। আপনি যে কেবলার
উপর ছিলেন, তাকে আমি এজন্যই
কেবলা করেছিলাম, যাতে একথা
প্রতীয়মান হয় যে, কে রসূলের অনুসারী
থাকে আর কে পিঠটান দেয়। নিশ্চিতই
এটা কঠোরতর বিষয়, কিন্তু তাদের
জন্যে নয়, যাদেরকে আল্লাহ পথপ্রদর্শন
করেছেন। আল্লাহ এমন নন যে,
তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন।
নিশ্চয়ই আল্লাহ, মানুষের প্রতি অত্যন্ত
স্নেহশীল, করুনাময়।
[143] Thus We have made you [true
Muslims – real believers of Islâmic
Monotheism, true followers of Prophet
Muhammad SAW and his Sunnah (legal
ways)], a (just) (and the best) nation, that
you be witnesses over mankind and the
Messenger (Muhammad SAW) be a
witness over you. And We made the
Qiblah (prayer direction towards
Jerusalem) which you used to face, only
to test those who followed the Messenger
(Muhammad SAW) from those who
would turn on their heels (i.e. disobey
the Messenger). Indeed it was great
(heavy) except for those whom Allâh
guided. And Allâh would never make
your faith (prayers) to be lost (i.e. your
prayers offered towards Jerusalem).
Truly, Allâh is full of kindness, the Most
Merciful towards mankind.
[144] ﻗَﺪ ﻧَﺮﻯٰ ﺗَﻘَﻠُّﺐَ ﻭَﺟﻬِﻚَ
ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ۖ ﻓَﻠَﻨُﻮَﻟِّﻴَﻨَّﻚَ ﻗِﺒﻠَﺔً
ﺗَﺮﺿﻯٰﻬﺎ ۚ ﻓَﻮَﻝِّ ﻭَﺟﻬَﻚَ ﺷَﻄﺮَ
ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ۚ ﻭَﺣَﻴﺚُ ﻣﺎ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﻓَﻮَﻟّﻮﺍ ﻭُﺟﻮﻫَﻜُﻢ
ﺷَﻄﺮَﻩُ ۗ ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗُﻮﺍ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻟَﻴَﻌﻠَﻤﻮﻥَ ﺃَﻧَّﻪُ ﺍﻟﺤَﻖُّ
ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ۗ ﻭَﻣَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻐٰﻔِﻞٍ ﻋَﻤّﺎ
ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[144] নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার
আকাশের দিকে তাকাতে দেখি।
অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে
কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে
আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি
মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং
তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ
কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই
জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ
থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত
কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে।
[144] Verily! We have seen the turning of
your (Muhammad’s SAW) face towards
the heaven. Surely, We shall turn you to
a Qiblah (prayer direction) that shall
please you, so turn your face in the
direction of Al-Masjid- Al-Harâm (at
Makkah). And wheresoever you people
are, turn your faces (in prayer) in that
direction. Certainly, the people who were
given the Scriptures (i.e. Jews and the
Christians) know well that, that (your
turning towards the direction of the
Ka’bah at Makkah in prayers) is the
truth from their Lord. And Allâh is not
unaware of what they do.
[145] ﻭَﻟَﺌِﻦ ﺃَﺗَﻴﺖَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗُﻮﺍ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﺑِﻜُﻞِّ ﺀﺍﻳَﺔٍ ﻣﺎ ﺗَﺒِﻌﻮﺍ
ﻗِﺒﻠَﺘَﻚَ ۚ ﻭَﻣﺎ ﺃَﻧﺖَ ﺑِﺘﺎﺑِﻊٍ
ﻗِﺒﻠَﺘَﻬُﻢ ۚ ﻭَﻣﺎ ﺑَﻌﻀُﻬُﻢ ﺑِﺘﺎﺑِﻊٍ
ﻗِﺒﻠَﺔَ ﺑَﻌﺾٍ ۚ ﻭَﻟَﺌِﻦِ ﺍﺗَّﺒَﻌﺖَ
ﺃَﻫﻮﺍﺀَﻫُﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ ﺟﺎﺀَﻙَ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻌِﻠﻢِ ۙ ﺇِﻧَّﻚَ ﺇِﺫًﺍ ﻟَﻤِﻦَ
ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[145] যদি আপনি আহলে কিতাবদের
কাছে সমুদয় নিদর্শন উপস্থাপন করেন,
তবুও তারা আপনার কেবলা মেনে নেবে
না এবং আপনিও তাদের কেবলা
মানেন না। তারাও একে অন্যের
কেবলা মানে না। যদি আপনি তাদের
বাসনার অনুসরণ করেন, সে
জ্ঞানলাভের পর, যা আপনার কাছে
পৌঁছেছে, তবে নিশ্চয় আপনি
অবিচারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
[145] And even if you were to bring to
the people of the Scripture (Jews and
Christians) all the Ayât (proofs,
evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.), they would not follow
your Qiblah (prayer direction), nor are
you going to follow their Qiblah (prayer
direction). And they will not follow each
other’s Qiblah (prayer direction). Verily,
if you follow their desires after that
which you have received of knowledge
(from Allâh), then indeed you will be one
of the Zâlimûn (polytheists, wrong-
doers.)
[146] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﺗَﻴﻨٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ
ﻳَﻌﺮِﻓﻮﻧَﻪُ ﻛَﻤﺎ ﻳَﻌﺮِﻓﻮﻥَ
ﺃَﺑﻨﺎﺀَﻫُﻢ ۖ ﻭَﺇِﻥَّ ﻓَﺮﻳﻘًﺎ ﻣِﻨﻬُﻢ
ﻟَﻴَﻜﺘُﻤﻮﻥَ ﺍﻟﺤَﻖَّ ﻭَﻫُﻢ
ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[146] আমি যাদেরকে কিতাব দান
করেছি, তারা তাকে চেনে, যেমন করে
চেনে নিজেদের পুত্রদেরকে। আর
নিশ্চয়ই তাদের একটি সম্প্রদায় জেনে
শুনে সত্যকে গোপন করে।
[146] Those to whom We gave the
Scripture (Jews and Christians) recognise
him (Muhammad SAW or the Ka’bah at
Makkah) as they recongise their sons.
But verily, a party of them conceal the
truth while they know it – [i.e. the
qualities of Muhammad SAW which are
written in the Taurât (Torah) and the
Injeel (Gospel)].
[147] ﺍﻟﺤَﻖُّ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻚَ ۖ ﻓَﻼ
ﺗَﻜﻮﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﻤﺘَﺮﻳﻦَ
[147] বাস্তব সত্য সেটাই যা তোমার
পালনকর্তা বলেন। কাজেই তুমি
সন্দিহান হয়ো না।
[147] (This is) the truth from your Lord.
So be you not one of those who doubt.
[148] ﻭَﻟِﻜُﻞٍّ ﻭِﺟﻬَﺔٌ ﻫُﻮَ ﻣُﻮَﻟّﻴﻬﺎ ۖ
ﻓَﺎﺳﺘَﺒِﻘُﻮﺍ ﺍﻟﺨَﻴﺮٰﺕِ ۚ ﺃَﻳﻦَ ﻣﺎ
ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﻳَﺄﺕِ ﺑِﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ۚ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[148] আর সবার জন্যই রয়েছে কেবলা
একেক দিকে, যে দিকে সে মুখ করে
(এবাদত করবে)। কাজেই সৎকাজে
প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগিয়ে যাও।
যেখানেই তোমরা থাকবে, আল্লাহ
অবশ্যই তোমাদেরকে সমবেত করবেন।
নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে
ক্ষমতাশীল।
[148] For every nation there is a
direction to which they face (in their
prayers). So hasten towards all that is
good. Wheresoever you may be, Allâh
will bring you together (on the Day of
Resurrection). Truly, Allâh is Able to do
all things.
[149] ﻭَﻣِﻦ ﺣَﻴﺚُ ﺧَﺮَﺟﺖَ
ﻓَﻮَﻝِّ ﻭَﺟﻬَﻚَ ﺷَﻄﺮَ ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ
ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ۖ ﻭَﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻠﺤَﻖُّ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻚَ ۗ
ﻭَﻣَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻐٰﻔِﻞٍ ﻋَﻤّﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[149] আর যে স্থান থেকে তুমি বের হও,
নিজের মুখ মসজিদে হারামের দিকে
ফেরাও-নিঃসন্দেহে এটাই হলো
তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে
নির্ধারিত বাস্তব সত্য। বস্তুতঃ
তোমার পালনকর্তা তোমাদের
কার্যকলাপ সম্পর্কে অনবহিত নন।
[149] And from wheresoever you start
forth (for prayers), turn your face in the
direction of Al-Masjid-Al-Harâm (at
Makkah), that is indeed the truth from
your Lord. And Allâh is not unaware of
what you do.
[150] ﻭَﻣِﻦ ﺣَﻴﺚُ ﺧَﺮَﺟﺖَ
ﻓَﻮَﻝِّ ﻭَﺟﻬَﻚَ ﺷَﻄﺮَ ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ
ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ۚ ﻭَﺣَﻴﺚُ ﻣﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﻓَﻮَﻟّﻮﺍ ﻭُﺟﻮﻫَﻜُﻢ ﺷَﻄﺮَﻩُ ﻟِﺌَﻠّﺎ
ﻳَﻜﻮﻥَ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺣُﺠَّﺔٌ
ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤﻮﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻓَﻼ
ﺗَﺨﺸَﻮﻫُﻢ ﻭَﺍﺧﺸَﻮﻧﻰ ﻭَﻟِﺄُﺗِﻢَّ
ﻧِﻌﻤَﺘﻰ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻭَﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ
ﺗَﻬﺘَﺪﻭﻥَ
[150] আর তোমরা যেখান থেকেই
বেরিয়ে আস এবং যেখানেই অবস্থান
কর, সেদিকেই মুখ ফেরাও, যাতে করে
মানুষের জন্য তোমাদের সাথে ঝগড়া
করার অবকাশ না থাকে। অবশ্য যারা
অবিবেচক, তাদের কথা আলাদা।
কাজেই তাদের আপত্তিতে ভীত হয়ো
না। আমাকেই ভয় কর। যাতে আমি
তোমাদের জন্যে আমার অনুগ্রহ সমূহ
পূর্ণ করে দেই এবং তাতে যেন তোমরা
সরলপথ প্রাপ্ত হও।
[150] And from wheresoever you start
forth (for prayers), turn your face in the
direction of Al-Masjid-Al-Harâm (at
Makkah), and wheresoever you are, turn
your faces towards, it (when you pray) so
that men may have no argument against
you except those of them that are wrong-
doers, so fear them not, but fear Me! –
And so that I may complete My Blessings
on you and that you may be guided.
[151] ﻛَﻤﺎ ﺃَﺭﺳَﻠﻨﺎ ﻓﻴﻜُﻢ ﺭَﺳﻮﻟًﺎ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﻳَﺘﻠﻮﺍ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺀﺍﻳٰﺘِﻨﺎ
ﻭَﻳُﺰَﻛّﻴﻜُﻢ ﻭَﻳُﻌَﻠِّﻤُﻜُﻢُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ
ﻭَﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔَ ﻭَﻳُﻌَﻠِّﻤُﻜُﻢ ﻣﺎ ﻟَﻢ
ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[151] যেমন, আমি পাঠিয়েছি
তোমাদেরই মধ্য থেকে তোমাদের
জন্যে একজন রসূল, যিনি তোমাদের
নিকট আমার বাণীসমুহ পাঠ করবেন
এবং তোমাদের পবিত্র করবেন; আর
তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও
তাঁর তত্ত্বজ্ঞান এবং শিক্ষা দেবেন
এমন বিষয় যা কখনো তোমরা জানতে
না।
[151] Similarly (to complete My Blessings
on you) We have sent among you a
Messenger (Muhammad SAW) of your
own, reciting to you Our Verses (the
Qur’ân) and purifying you, and teaching
you the Book (the Qur’ân) and the
Hikmah (i.e. Sunnah, Islâmic laws and
Fiqh – jurisprudence), and teaching you
that which you used not to know.
[152] ﻓَﺎﺫﻛُﺮﻭﻧﻰ ﺃَﺫﻛُﺮﻛُﻢ
ﻭَﺍﺷﻜُﺮﻭﺍ ﻟﻰ ﻭَﻻ ﺗَﻜﻔُﺮﻭﻥِ
[152] সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ
কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো
এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর;
অকৃতজ্ঞ হয়ো না।
[152] Therefore remember Me (by
praying, glorifying,). I will remember
you, and be grateful to Me (for My
countless Favours on you) and never be
ungrateful to Me.
[153] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ
ﺍﺳﺘَﻌﻴﻨﻮﺍ ﺑِﺎﻟﺼَّﺒﺮِ ﻭَﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓِ ۚ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼّٰﺒِﺮﻳﻦَ
[153] হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও
নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা
কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের
সাথে রয়েছেন।
[153] O you who believe! Seek help in
patience and As-Salât (the prayer).
Truly! Allâh is with As-Sâbirun (the
patient.)
[154] ﻭَﻻ ﺗَﻘﻮﻟﻮﺍ ﻟِﻤَﻦ ﻳُﻘﺘَﻞُ
ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣﻮٰﺕٌ ۚ ﺑَﻞ
ﺃَﺣﻴﺎﺀٌ ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻻ ﺗَﺸﻌُﺮﻭﻥَ
[154] আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত
হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা
জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।
[154] And say not of those who are killed
in the Way of Allâh, “They are dead.”
Nay, they are living, but you perceive (it)
not.
[155] ﻭَﻟَﻨَﺒﻠُﻮَﻧَّﻜُﻢ ﺑِﺸَﻲﺀٍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺨَﻮﻑِ ﻭَﺍﻟﺠﻮﻉِ ﻭَﻧَﻘﺺٍ ﻣِﻦَ
ﺍﻷَﻣﻮٰﻝِ ﻭَﺍﻷَﻧﻔُﺲِ ﻭَﺍﻟﺜَّﻤَﺮٰﺕِ ۗ
ﻭَﺑَﺸِّﺮِ ﺍﻟﺼّٰﺒِﺮﻳﻦَ
[155] এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে
পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও
জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের
মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও
সবরকারীদের।
[155] And certainly, We shall test you
with something of fear, hunger, loss of
wealth, lives and fruits, but give glad
tidings to As-Sâbirun (the patient)
[156] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺇِﺫﺍ ﺃَﺻٰﺒَﺘﻬُﻢ
ﻣُﺼﻴﺒَﺔٌ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻧّﺎ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﺇِﻧّﺎ
ﺇِﻟَﻴﻪِ ﺭٰﺟِﻌﻮﻥَ
[156] যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন
বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য
এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে
ফিরে যাবো।
[156] Who, when afflicted with calamity,
say: “Truly! To Allâh we belong and
truly, to Him we shall return.”
[157] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺻَﻠَﻮٰﺕٌ
ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻭَﺭَﺣﻤَﺔٌ ۖ ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﻫُﻢُ ﺍﻟﻤُﻬﺘَﺪﻭﻥَ
[157] তারা সে সমস্ত লোক, যাদের
প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত
রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত
প্রাপ্ত।
[157] They are those on whom are the
Salawât (i.e. who are blessed and will be
forgiven) from their Lord, and (they are
those who) receive His Mercy, and it is
they who are the guided-ones.
[158] ۞ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻔﺎ ﻭَﺍﻟﻤَﺮﻭَﺓَ
ﻣِﻦ ﺷَﻌﺎﺋِﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻓَﻤَﻦ ﺣَﺞَّ
ﺍﻟﺒَﻴﺖَ ﺃَﻭِ ﺍﻋﺘَﻤَﺮَ ﻓَﻼ ﺟُﻨﺎﺡَ
ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺃَﻥ ﻳَﻄَّﻮَّﻑَ ﺑِﻬِﻤﺎ ۚ ﻭَﻣَﻦ
ﺗَﻄَﻮَّﻉَ ﺧَﻴﺮًﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷﺎﻛِﺮٌ
ﻋَﻠﻴﻢٌ
[158] নিঃসন্দেহে সাফা ও মারওয়া
আল্লাহ তা’আলার নিদর্শন গুলোর
অন্যতম। সুতরাং যারা কা’বা ঘরে হজ্ব
বা ওমরাহ পালন করে, তাদের পক্ষে এ
দুটিতে প্রদক্ষিণ করাতে কোন দোষ
নেই। বরং কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিছু
নেকীর কাজ করে, তবে আল্লাহ
তা’আলার অবশ্যই তা অবগত হবেন এবং
তার সে আমলের সঠিক মুল্য দেবেন।
[158] Verily! As-Safâ and Al-Marwah
(two mountains in Makkah) are of the
Symbols of Allâh. So it is not a sin on
him who performs Hajj or ‘Umrah
(pilgrimage) of the House (the Ka’bah at
Makkah) to perform the going (Tawâf)
between them (As-Safâ and Al-Marwah).
And whoever does good voluntarily, then
verily, Allâh is All-Recogniser, All-
Knower.
[159] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻜﺘُﻤﻮﻥَ ﻣﺎ
ﺃَﻧﺰَﻟﻨﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖِ ﻭَﺍﻟﻬُﺪﻯٰ
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ ﺑَﻴَّﻨّٰﻪُ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻓِﻰ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ۙ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻳَﻠﻌَﻨُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭَﻳَﻠﻌَﻨُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠّٰﻌِﻨﻮﻥَ
[159] নিশ্চয় যারা গোপন করে, আমি
যেসব বিস্তারিত তথ্য এবং
হেদায়েতের কথা নাযিল করেছি
মানুষের জন্য কিতাবের মধ্যে
বিস্তারিত বর্ণনা করার পরও; সে সমস্ত
লোকের প্রতিই আল্লাহর অভিসম্পাত
এবং অন্যান্য অভিসম্পাতকারীগণের
ও।
[159] Verily, those who conceal the clear
proofs, evidences and the guidance,
which We have sent down, after We
have made it clear for the people in the
Book, they are the ones cursed by Allâh
and cursed by the cursers.
[160] ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺗﺎﺑﻮﺍ
ﻭَﺃَﺻﻠَﺤﻮﺍ ﻭَﺑَﻴَّﻨﻮﺍ ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﺃَﺗﻮﺏُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ۚ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﺍﻟﺘَّﻮّﺍﺏُ
ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢُ
[160] তবে যারা তওবা করে এবং বর্ণিত
তথ্যাদির সংশোধন করে মানুষের
কাছে তা বর্ণনা করে দেয়, সে সমস্ত
লোকের তওবা আমি কবুল করি এবং
আমি তওবা কবুলকারী পরম দয়ালু।
[160] Except those who repent and do
righteous deeds, and openly declare (the
truth which they concealed). These, I will
accept their repentance. And I am the
One Who accepts repentance, the Most
Merciful.
[161] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﻣﺎﺗﻮﺍ
ﻭَﻫُﻢ ﻛُﻔّﺎﺭٌ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ
ﻟَﻌﻨَﺔُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔِ ﻭَﺍﻟﻨّﺎﺱِ
ﺃَﺟﻤَﻌﻴﻦَ
[161] নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং
কাফের অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে, সে
সমস্ত লোকের প্রতি আল্লাহর
ফেরেশতাগনের এবং সমগ্র মানুষের
লা’নত।
[161] Verily, those who disbelieve, and
die while they are disbelievers, it is they
on whom is the Curse of Allâh and of the
angels and of mankind, combined.
[162] ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ ۖ ﻻ ﻳُﺨَﻔَّﻒُ
ﻋَﻨﻬُﻢُ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏُ ﻭَﻻ ﻫُﻢ
ﻳُﻨﻈَﺮﻭﻥَ
[162] এরা চিরকাল এ লা’নতের মাঝেই
থাকবে। তাদের উপর থেকে আযাব
কখনও হালকা করা হবে না বরং এরা
বিরাম ও পাবে না।
[162] They will abide therein (under the
curse in Hell), their punishment will
neither be lightened, nor will they be
reprieved.
[163] ﻭَﺇِﻟٰﻬُﻜُﻢ ﺇِﻟٰﻪٌ ﻭٰﺣِﺪٌ ۖ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ
ﺇِﻟّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦُ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢُ
[163] আর তোমাদের উপাস্য একইমাত্র
উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময়
দয়ালু কেউ নেই।
[163] And your Ilâh (God) is One Ilâh
(God – Allâh), Lâ ilâha illa Huwa (there is
none who has the right to be worshipped
but He), the Most Gracious, the Most
Merciful.
[164] ﺇِﻥَّ ﻓﻰ ﺧَﻠﻖِ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﻭَﺍﺧﺘِﻠٰﻒِ ﺍﻟَّﻴﻞِ
ﻭَﺍﻟﻨَّﻬﺎﺭِ ﻭَﺍﻟﻔُﻠﻚِ ﺍﻟَّﺘﻰ ﺗَﺠﺮﻯ
ﻓِﻰ ﺍﻟﺒَﺤﺮِ ﺑِﻤﺎ ﻳَﻨﻔَﻊُ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ
ﻭَﻣﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ
ﻣِﻦ ﻣﺎﺀٍ ﻓَﺄَﺣﻴﺎ ﺑِﻪِ ﺍﻷَﺭﺽَ
ﺑَﻌﺪَ ﻣَﻮﺗِﻬﺎ ﻭَﺑَﺚَّ ﻓﻴﻬﺎ ﻣِﻦ
ﻛُﻞِّ ﺩﺍﺑَّﺔٍ ﻭَﺗَﺼﺮﻳﻒِ ﺍﻟﺮِّﻳٰﺢِ
ﻭَﺍﻟﺴَّﺤﺎﺏِ ﺍﻟﻤُﺴَﺨَّﺮِ ﺑَﻴﻦَ
ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﻝَﺀﺍﻳٰﺖٍ
ﻟِﻘَﻮﻡٍ ﻳَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[164] নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের
সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের বিবর্তনে এবং
নদীতে নৌকাসমূহের চলাচলে মানুষের
জন্য কল্যাণ রয়েছে। আর আল্লাহ তা’
আলা আকাশ থেকে যে পানি নাযিল
করেছেন, তদ্দ্বারা মৃত যমীনকে সজীব
করে তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে
দিয়েছেন সবরকম জীব-জন্তু। আর
আবহাওয়া পরিবর্তনে এবং মেঘমালার
যা তাঁরই হুকুমের অধীনে আসমান ও
যমীনের মাঝে বিচরণ করে, নিশ্চয়ই সে
সমস্ত বিষয়ের মাঝে নিদর্শন রয়েছে
বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্যে।
[164] Verily! In the creation of the
heavens and the earth, and in the
alternation of night and day, and the
ships which sail through the sea with that
which is of use to mankind, and the
water (rain) which Allâh sends down
from the sky and makes the earth alive
therewith after its death, and the
moving (living) creatures of all kinds
that He has scattered therein, and in the
veering of winds and clouds which are
held between the sky and the earth, are
indeed Ayât (proofs, evidences, signs,
etc.) for people of understanding.
[165] ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻣَﻦ ﻳَﺘَّﺨِﺬُ
ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻧﺪﺍﺩًﺍ
ﻳُﺤِﺒّﻮﻧَﻬُﻢ ﻛَﺤُﺐِّ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺃَﺷَﺪُّ ﺣُﺒًّﺎ ﻟِﻠَّﻪِ ۗ
ﻭَﻟَﻮ ﻳَﺮَﻯ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤﻮﺍ ﺇِﺫ
ﻳَﺮَﻭﻥَ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻘُﻮَّﺓَ ﻟِﻠَّﻪِ
ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﺪﻳﺪُ
ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏِ
[165] আর কোন লোক এমনও রয়েছে
যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ
সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি
তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন
আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে।
কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার
তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ
বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ
জালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব
প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে,
যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই
জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে
কঠিনতর।
[165] And of mankind are some who take
(for worship) others besides Allâh as
rivals (to Allâh). They love them as they
love Allâh. But those who believe, love
Allâh more (than anything else). If only,
those who do wrong could see, when they
will see the torment, that all power
belongs to Allâh and that Allâh is Severe
in punishment.
[166] ﺇِﺫ ﺗَﺒَﺮَّﺃَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺗُّﺒِﻌﻮﺍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺗَّﺒَﻌﻮﺍ ﻭَﺭَﺃَﻭُﺍ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏَ
ﻭَﺗَﻘَﻄَّﻌَﺖ ﺑِﻬِﻢُ ﺍﻷَﺳﺒﺎﺏُ
[166] অনুসৃতরা যখন অনুসরণকারীদের
প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যাবে এবং যখন
আযাব প্রত্যক্ষ করবে আর বিচ্ছিন্ন হয়ে
যাবে তাদের পারস্পরিক সমস্ত সম্পর্ক।
[166] When those who were followed,
disown (declare themselves innocent of)
those who followed (them), and they see
the torment, then all their relations will
be cut off from them.
[167] ﻭَﻗﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺗَّﺒَﻌﻮﺍ ﻟَﻮ
ﺃَﻥَّ ﻟَﻨﺎ ﻛَﺮَّﺓً ﻓَﻨَﺘَﺒَﺮَّﺃَ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻛَﻤﺎ
ﺗَﺒَﺮَّﺀﻭﺍ ﻣِﻨّﺎ ۗ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻳُﺮﻳﻬِﻢُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻋﻤٰﻠَﻬُﻢ ﺣَﺴَﺮٰﺕٍ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ۖ
ﻭَﻣﺎ ﻫُﻢ ﺑِﺨٰﺮِﺟﻴﻦَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ
[167] এবং অনুসারীরা বলবে, কতইনা
ভাল হত, যদি আমাদিগকে পৃথিবীতে
ফিরে যাবার সুযোগ দেয়া হত। তাহলে
আমরাও তাদের প্রতি তেমনি অসন্তুষ্ট
হয়ে যেতাম, যেমন তারা অসন্তুষ্ট
হয়েছে আমাদের প্রতি। এভাবেই
আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে দেখাবেন
তাদের কৃতকর্ম তাদেরকে অনুতপ্ত করার
জন্যে। অথচ, তারা কস্মিনকালেও আগুন
থেকে বের হতে পারবে না।
[167] And those who followed will say:
“If only we had one more chance to
return (to the worldly life), we would
disown (declare ourselves as innocent
from) them as they have disowned
(declared themselves as innocent from)
us.” Thus Allâh will show them their
deeds as regrets for them. And they will
never get out of the Fire.
[168] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻛُﻠﻮﺍ ﻣِﻤّﺎ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﺣَﻠٰﻠًﺎ ﻃَﻴِّﺒًﺎ ﻭَﻻ
ﺗَﺘَّﺒِﻌﻮﺍ ﺧُﻄُﻮٰﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦِ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ
ﻟَﻜُﻢ ﻋَﺪُﻭٌّ ﻣُﺒﻴﻦٌ
[168] হে মানব মন্ডলী, পৃথিবীর হালাল
ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষন কর। আর
শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে
নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
[168] O mankind! Eat of that which is
lawful and good on the earth, and follow
not the footsteps of Shaitân (Satan).
Verily, he is to you an open enemy:
[169] ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻳَﺄﻣُﺮُﻛُﻢ ﺑِﺎﻟﺴّﻮﺀِ
ﻭَﺍﻟﻔَﺤﺸﺎﺀِ ﻭَﺃَﻥ ﺗَﻘﻮﻟﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻻ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[169] সে তো এ নির্দেশই
তোমাদিগকে দেবে যে, তোমরা
অন্যায় ও অশ্লীল কাজ করতে থাক এবং
আল্লাহর প্রতি এমন সব বিষয়ে
মিথ্যারোপ কর যা তোমরা জান না।
[169] He [Shaitân (Satan)] commands you
only what is evil and Fahshâ (sinful),
and that you should say against Allâh
what you know not.
[170] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻗﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﺗَّﺒِﻌﻮﺍ ﻣﺎ
ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺑَﻞ ﻧَﺘَّﺒِﻊُ ﻣﺎ
ﺃَﻟﻔَﻴﻨﺎ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺀﺍﺑﺎﺀَﻧﺎ ۗ ﺃَﻭَﻟَﻮ
ﻛﺎﻥَ ﺀﺍﺑﺎﺅُﻫُﻢ ﻻ ﻳَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
ﺷَﻴـًٔﺎ ﻭَﻻ ﻳَﻬﺘَﺪﻭﻥَ
[170] আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে,
সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ
তা’আলা নাযিল করেছেন, তখন তারা
বলে কখনো না, আমরা তো সে
বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা
আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি।
যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই
জানতো না, জানতো না সরল পথও।
[170] When it is said to them: “Follow
what Allâh has sent down.” They say:
“Nay! We shall follow what we found our
fathers following.” (Would they do that!)
even though their fathers did not
understand anything nor were they
guided?
[171] ﻭَﻣَﺜَﻞُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻛَﻤَﺜَﻞِ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻳَﻨﻌِﻖُ ﺑِﻤﺎ ﻻ
ﻳَﺴﻤَﻊُ ﺇِﻟّﺎ ﺩُﻋﺎﺀً ﻭَﻧِﺪﺍﺀً ۚ ﺻُﻢٌّ
ﺑُﻜﻢٌ ﻋُﻤﻰٌ ﻓَﻬُﻢ ﻻ ﻳَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[171] বস্তুতঃ এহেন কাফেরদের উদাহরণ
এমন, যেন কেউ এমন কোন জীবকে
আহবান করছে যা কোন কিছুই শোনে
না, হাঁক-ডাক আর চিৎকার ছাড়া বধির
মুক, এবং অন্ধ। সুতরাং তারা কিছুই
বোঝে না।
[171] And the example of those who
disbelieve, is as that of him who shouts
to those (flock of sheep) that hears
nothing but calls and cries. (They are)
deaf, dumb and blind. So they do not
understand. (Tafseer Al Qurtubi).
[172] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻛُﻠﻮﺍ
ﻣِﻦ ﻃَﻴِّﺒٰﺖِ ﻣﺎ ﺭَﺯَﻗﻨٰﻜُﻢ
ﻭَﺍﺷﻜُﺮﻭﺍ ﻟِﻠَّﻪِ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺇِﻳّﺎﻩُ
ﺗَﻌﺒُﺪﻭﻥَ
[172] হে ঈমানদারগণ, তোমরা পবিত্র
বস্তু সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি
তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান
করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর
আল্লাহর, যদি তোমরা তাঁরই বন্দেগী
কর।
[172] O you who believe (in the Oneness
of Allâh – Islâmic Monotheism)! Eat of
the lawful things that We have provided
you with, and be grateful to Allâh, if it is
indeed He Whom you worship.
[173] ﺇِﻧَّﻤﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﻤَﻴﺘَﺔَ
ﻭَﺍﻟﺪَّﻡَ ﻭَﻟَﺤﻢَ ﺍﻟﺨِﻨﺰﻳﺮِ ﻭَﻣﺎ
ﺃُﻫِﻞَّ ﺑِﻪِ ﻟِﻐَﻴﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻓَﻤَﻦِ
ﺍﺿﻄُﺮَّ ﻏَﻴﺮَ ﺑﺎﻍٍ ﻭَﻻ ﻋﺎﺩٍ ﻓَﻼ
ﺇِﺛﻢَ ﻋَﻠَﻴﻪِ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻔﻮﺭٌ
ﺭَﺣﻴﻢٌ
[173] তিনি তোমাদের উপর হারাম
করেছেন, মৃত জীব, রক্ত, শুকর মাংস
এবং সেসব জীব-জন্তু যা আল্লাহ
ব্যাতীত অপর কারো নামে উৎসর্গ
করা হয়। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায়
হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও
সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য
কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ
মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু।
[173] He has forbidden you only the
Maitah (dead animals), and blood, and
the flesh of swine, and that which is
slaughtered as a scrifice for others than
Allâh (or has been slaughtered for idols,
on which Allâh’s Name has not been
mentioned while slaughtering). But if
one is forced by necessity without wilful
disobedience nor transgressing due
limits, then there is no sin on him. Truly,
Allâh is Oft-Forgiving, Most Merciful.
[174] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻜﺘُﻤﻮﻥَ ﻣﺎ
ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﻭَﻳَﺸﺘَﺮﻭﻥَ ﺑِﻪِ ﺛَﻤَﻨًﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ ۙ
ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻣﺎ ﻳَﺄﻛُﻠﻮﻥَ ﻓﻰ
ﺑُﻄﻮﻧِﻬِﻢ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺭَ ﻭَﻻ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ﻭَﻻ ﻳُﺰَﻛّﻴﻬِﻢ
ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ ﺃَﻟﻴﻢٌ
[174] নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন
করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল
করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ
করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে
আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ
কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা
বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে,
বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে
বেদনাদায়ক আযাব।
[174] Verily, those who conceal what
Allâh has sent down of the Book, and
purchase a small gain therewith (of
worldly things), they eat into their bellies
nothing but fire. Allâh will not speak to
them on the Day of Resurrection, nor
purify them, and theirs will be a painful
torment.
[175] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺷﺘَﺮَﻭُﺍ
ﺍﻟﻀَّﻠٰﻠَﺔَ ﺑِﺎﻟﻬُﺪﻯٰ ﻭَﺍﻟﻌَﺬﺍﺏَ
ﺑِﺎﻟﻤَﻐﻔِﺮَﺓِ ۚ ﻓَﻤﺎ ﺃَﺻﺒَﺮَﻫُﻢ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻨّﺎﺭِ
[175] এরাই হল সে সমস্ত লোক, যারা
হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী
খরিদ করেছে এবং (খরিদ করেছে)
ক্ষমা ও অনুগ্রহের বিনিময়ে আযাব।
অতএব, তারা দোযখের উপর কেমন
ধৈর্য্য ধারণকারী।
[175] Those are they who have purchased
error at the price of Guidance, and
torment at the price of Forgiveness. So
how bold they are (for evil deeds which
will push them) to the Fire.
[176] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻧَﺰَّﻝَ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ۗ ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺍﺧﺘَﻠَﻔﻮﺍ ﻓِﻰ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻟَﻔﻰ
ﺷِﻘﺎﻕٍ ﺑَﻌﻴﺪٍ
[176] আর এটা এজন্যে যে, আল্লাহ
নাযিল করেছেন সত্যপূর্ণ কিতাব। আর
যারা কেতাবের মাঝে মতবিরোধ
সৃষ্টি করেছে নিশ্চয়ই তারা জেদের
বশবর্তী হয়ে অনেক দূরে চলে গেছে।
[176] That is because Allâh has sent
down the Book (the Qur’ân) in truth.
And verily, those who disputed as
regards the Book are far away in
opposition.
[177] ۞ ﻟَﻴﺲَ ﺍﻟﺒِﺮَّ ﺃَﻥ ﺗُﻮَﻟّﻮﺍ
ﻭُﺟﻮﻫَﻜُﻢ ﻗِﺒَﻞَ ﺍﻟﻤَﺸﺮِﻕِ
ﻭَﺍﻟﻤَﻐﺮِﺏِ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺍﻟﺒِﺮَّ ﻣَﻦ
ﺀﺍﻣَﻦَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ
ﻭَﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔِ ﻭَﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺒِﻲّۦﻥَ
ﻭَﺀﺍﺗَﻰ ﺍﻟﻤﺎﻝَ ﻋَﻠﻰٰ ﺣُﺒِّﻪِ ﺫَﻭِﻯ
ﺍﻟﻘُﺮﺑﻰٰ ﻭَﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﻭَﺍﻟﻤَﺴٰﻜﻴﻦَ
ﻭَﺍﺑﻦَ ﺍﻟﺴَّﺒﻴﻞِ ﻭَﺍﻟﺴّﺎﺋِﻠﻴﻦَ
ﻭَﻓِﻰ ﺍﻟﺮِّﻗﺎﺏِ ﻭَﺃَﻗﺎﻡَ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ
ﻭَﺀﺍﺗَﻰ ﺍﻟﺰَّﻛﻮٰﺓَ ﻭَﺍﻟﻤﻮﻓﻮﻥَ
ﺑِﻌَﻬﺪِﻫِﻢ ﺇِﺫﺍ ﻋٰﻬَﺪﻭﺍ ۖ
ﻭَﺍﻟﺼّٰﺒِﺮﻳﻦَ ﻓِﻰ ﺍﻟﺒَﺄﺳﺎﺀِ
ﻭَﺍﻟﻀَّﺮّﺍﺀِ ﻭَﺣﻴﻦَ ﺍﻟﺒَﺄﺱِ ۗ
ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺻَﺪَﻗﻮﺍ ۖ
ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻤُﺘَّﻘﻮﻥَ
[177] সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা
পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ
হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর
কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের
উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর
সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-
স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক
ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে।
আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে,
যাকাত দান করে এবং যারা কৃত
প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে,
রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য
ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর
তারাই পরহেযগার।
[177] It is not Al-Birr (piety,
righteousness, and each and every act of
obedience to Allâh, etc.) that you turn
your faces towards east and (or) west (in
prayers); but Al-Birr is (the quality of)
the one who believes in Allâh, the Last
Day, the Angels, the Book, the Prophets
and gives his wealth, in spite of love for
it, to the kinsfolk, to the orphans, and to
Al-Masâkin (the poor), and to the
wayfarer, and to those who ask, and to
set slaves free, performs As-Salât
(Iqâmat-as-Salât), and gives the Zakât,
and who fulfill their covenant when they
make it, and who are patient in extreme
poverty and ailment (disease) and at the
time of fighting (during the battles). Such
are the people of the truth and they are
Al¬Muttaqûn (pious – see V.2:2)
[178] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﻘِﺼﺎﺹُ ﻓِﻰ
ﺍﻟﻘَﺘﻠَﻰ ۖ ﺍﻟﺤُﺮُّ ﺑِﺎﻟﺤُﺮِّ ﻭَﺍﻟﻌَﺒﺪُ
ﺑِﺎﻟﻌَﺒﺪِ ﻭَﺍﻷُﻧﺜﻰٰ ﺑِﺎﻷُﻧﺜﻰٰ ۚ ﻓَﻤَﻦ
ﻋُﻔِﻰَ ﻟَﻪُ ﻣِﻦ ﺃَﺧﻴﻪِ ﺷَﻲﺀٌ
ﻓَﺎﺗِّﺒﺎﻉٌ ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ﻭَﺃَﺩﺍﺀٌ
ﺇِﻟَﻴﻪِ ﺑِﺈِﺣﺴٰﻦٍ ۗ ﺫٰﻟِﻚَ ﺗَﺨﻔﻴﻒٌ
ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ ﻭَﺭَﺣﻤَﺔٌ ۗ ﻓَﻤَﻦِ
ﺍﻋﺘَﺪﻯٰ ﺑَﻌﺪَ ﺫٰﻟِﻚَ ﻓَﻠَﻪُ ﻋَﺬﺍﺏٌ
ﺃَﻟﻴﻢٌ
[178] হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি
নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা
বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি
স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের
বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়।
অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি
কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়,
তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে
এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে
হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ
থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও
যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য
রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
[178] O you who believe! Al-Qisâs (the
Law of Equality in punishment) is
prescribed for you in case of murder: the
free for the free, the slave for the slave,
and the female for the female. But if the
killer is forgiven by the brother (or the
relatives, etc.) of the killed against blood
money then adhering to it with fairness
and payment of the blood money, to the
heir should be made in fairness. This is
an alleviation and a mercy from your
Lord. So after this whoever transgresses
the limits (i.e. kills the killer after taking
the blood money), he shall have a
painful torment.
[179] ﻭَﻟَﻜُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻟﻘِﺼﺎﺹِ
ﺣَﻴﻮٰﺓٌ ﻳٰﺄُﻭﻟِﻰ ﺍﻷَﻟﺒٰﺐِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ
ﺗَﺘَّﻘﻮﻥَ
[179] হে বুদ্ধিমানগণ! কেসাসের মধ্যে
তোমাদের জন্যে জীবন রয়েছে, যাতে
তোমরা সাবধান হতে পার।
[179] And there is (a saving of) life for
you in Al-Qisâs (the Law of Equality in
punishment), O men of understanding,
that you may become Al-Muttaqûn (the
pious – see V.2:2).
[180] ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺇِﺫﺍ ﺣَﻀَﺮَ
ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢُ ﺍﻟﻤَﻮﺕُ ﺇِﻥ ﺗَﺮَﻙَ ﺧَﻴﺮًﺍ
ﺍﻟﻮَﺻِﻴَّﺔُ ﻟِﻠﻮٰﻟِﺪَﻳﻦِ ﻭَﺍﻷَﻗﺮَﺑﻴﻦَ
ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ۖ ﺣَﻘًّﺎ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[180] তোমাদের কারো যখন মৃত্যুর
সময় উপস্থিত হয়, সে যদি কিছু ধন-সম্পদ
ত্যাগ করে যায়, তবে তার জন্য ওসীয়ত
করা বিধিবদ্ধ করা হলো, পিতা-মাতা
ও নিকটাত্নীয়দের জন্য ইনসাফের
সাথে পরহেযগারদের জন্য এ নির্দেশ
জরুরী। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা সবকিছু
শোনেন ও জানেন।
[180] It is prescribed for you, when
death approaches any of you, if he leaves
wealth, that he make a bequest to
parents and next of kin, according to
reasonable manners. (This is) a duty
upon Al-Muttaqûn (the pious – see V.2:2).
[181] ﻓَﻤَﻦ ﺑَﺪَّﻟَﻪُ ﺑَﻌﺪَﻣﺎ ﺳَﻤِﻌَﻪُ
ﻓَﺈِﻧَّﻤﺎ ﺇِﺛﻤُﻪُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳُﺒَﺪِّﻟﻮﻧَﻪُ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﻤﻴﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[181] যদি কেউ ওসীয়ত শোনার পর
তাতে কোন রকম পরিবর্তন সাধন করে,
তবে যারা পরিবর্তন করে তাদের উপর
এর পাপ পতিত হবে।
[181] Then whoever changes the bequest
after hearing it, the sin shall be on those
who make the change. Truly, Allâh is All-
Hearer, All-Knower.
[182] ﻓَﻤَﻦ ﺧﺎﻑَ ﻣِﻦ ﻣﻮﺹٍ
ﺟَﻨَﻔًﺎ ﺃَﻭ ﺇِﺛﻤًﺎ ﻓَﺄَﺻﻠَﺢَ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ
ﻓَﻼ ﺇِﺛﻢَ ﻋَﻠَﻴﻪِ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻔﻮﺭٌ
ﺭَﺣﻴﻢٌ
[182] যদি কেউ ওসীয়তকারীর পক্ষ
থেকে আশংকা করে পক্ষপাতিত্বের
অথবা কোন অপরাধমূলক সিদ্ধান্তের
এবং তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়,
তবে তার কোন গোনাহ হবে না।
নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল,
অতি দয়ালু।
[182] But he who fears from a testator
some unjust act or wrong-doing, and
thereupon he makes peace between the
parties concerned, there shall be no sin
on him. Certainly, Allâh is Oft-Forgiving,
Most Merciful.
[183] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﺼِّﻴﺎﻡُ ﻛَﻤﺎ
ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ
ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﺘَّﻘﻮﻥَ
[183] হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর
রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ
করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী
লোকদের উপর, যেন তোমরা
পরহেযগারী অর্জন করতে পার।
[183] O you who believe! Observing As-
Saum (the fasting) is prescribed for you
as it was prescribed for those before you,
that you may become Al-Muttaqûn (the
pious – see V.2:2).
[184] ﺃَﻳّﺎﻣًﺎ ﻣَﻌﺪﻭﺩٰﺕٍ ۚ ﻓَﻤَﻦ
ﻛﺎﻥَ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣَﺮﻳﻀًﺎ ﺃَﻭ ﻋَﻠﻰٰ
ﺳَﻔَﺮٍ ﻓَﻌِﺪَّﺓٌ ﻣِﻦ ﺃَﻳّﺎﻡٍ ﺃُﺧَﺮَ ۚ
ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﻄﻴﻘﻮﻧَﻪُ ﻓِﺪﻳَﺔٌ
ﻃَﻌﺎﻡُ ﻣِﺴﻜﻴﻦٍ ۖ ﻓَﻤَﻦ ﺗَﻄَﻮَّﻉَ
ﺧَﻴﺮًﺍ ﻓَﻬُﻮَ ﺧَﻴﺮٌ ﻟَﻪُ ۚ ﻭَﺃَﻥ
ﺗَﺼﻮﻣﻮﺍ ﺧَﻴﺮٌ ﻟَﻜُﻢ ۖ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[184] গণনার কয়েকটি দিনের জন্য
অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ
থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার
পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে
নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য
অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর
পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান
করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম
করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর
যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের
জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা
তা বুঝতে পার।
[184] [Observing Saum (fasts)] for a fixed
number of days, but if any of you is ill or
on a journey, the same number (should
be made up) from other days. And as for
those who can fast with difficulty, (e.g.
an old man), they have (a choice either
to fast or) to feed a Miskîn (poor person)
(for every day). But whoever does good
of his own accord, it is better for him.
And that you fast, is better for you if
only you know.
[185] ﺷَﻬﺮُ ﺭَﻣَﻀﺎﻥَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺃُﻧﺰِﻝَ
ﻓﻴﻪِ ﺍﻟﻘُﺮﺀﺍﻥُ ﻫُﺪًﻯ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ
ﻭَﺑَﻴِّﻨٰﺖٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻬُﺪﻯٰ ﻭَﺍﻟﻔُﺮﻗﺎﻥِ ۚ
ﻓَﻤَﻦ ﺷَﻬِﺪَ ﻣِﻨﻜُﻢُ ﺍﻟﺸَّﻬﺮَ
ﻓَﻠﻴَﺼُﻤﻪُ ۖ ﻭَﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ ﻣَﺮﻳﻀًﺎ
ﺃَﻭ ﻋَﻠﻰٰ ﺳَﻔَﺮٍ ﻓَﻌِﺪَّﺓٌ ﻣِﻦ ﺃَﻳّﺎﻡٍ
ﺃُﺧَﺮَ ۗ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻜُﻢُ ﺍﻟﻴُﺴﺮَ
ﻭَﻻ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺑِﻜُﻢُ ﺍﻟﻌُﺴﺮَ
ﻭَﻟِﺘُﻜﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﻌِﺪَّﺓَ ﻭَﻟِﺘُﻜَﺒِّﺮُﻭﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻰٰ ﻣﺎ ﻫَﺪﻯٰﻜُﻢ ﻭَﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ
ﺗَﺸﻜُﺮﻭﻥَ
[185] রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে
নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা
মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ
যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর
ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য
বিধানকারী। কাজেই তোমাদের
মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ
মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক
অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায়
থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে।
আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে
চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা
করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর
এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার
দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা
কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার
কর।
[185] The month of Ramadân in which
was revealed the Qur’ân, a guidance for
mankind and clear proofs for the
guidance and the criterion (between
right and wrong). So whoever of you
sights (the crescent on the first night of)
the month (of Ramadân i.e. is present at
his home), he must observe Saum (fasts)
that month, and whoever is ill or on a
journey, the same number [of days
which one did not observe Saum (fasts)
must be made up] from other days. Allâh
intends for you ease, and He does not
want to make things difficult for you. (He
wants that you) must complete the same
number (of days), and that you must
magnify Allâh [i.e. to say Takbîr (Allâhu-
Akbar; Allâh is the Most Great) for
having guided you so that you may be
grateful to Him.
[186] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺳَﺄَﻟَﻚَ ﻋِﺒﺎﺩﻯ ﻋَﻨّﻰ
ﻓَﺈِﻧّﻰ ﻗَﺮﻳﺐٌ ۖ ﺃُﺟﻴﺐُ ﺩَﻋﻮَﺓَ
ﺍﻟﺪّﺍﻉِ ﺇِﺫﺍ ﺩَﻋﺎﻥِ ۖ
ﻓَﻠﻴَﺴﺘَﺠﻴﺒﻮﺍ ﻟﻰ ﻭَﻟﻴُﺆﻣِﻨﻮﺍ
ﺑﻰ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢ ﻳَﺮﺷُﺪﻭﻥَ
[186] আর আমার বান্দারা যখন তোমার
কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে
বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা
প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল
করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা
করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা
এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস
করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে
তারা সৎপথে আসতে পারে।
[186] And when My slaves ask you (O
Muhammad SAW) concerning Me, then
(answer them), I am indeed near (to
them by My Knowledge). I respond to the
invocations of the supplicant when he
calls on Me (without any mediator or
intercessor). So let them obey Me and
believe in Me, so that they may be led
aright.
[187] ﺃُﺣِﻞَّ ﻟَﻜُﻢ ﻟَﻴﻠَﺔَ ﺍﻟﺼِّﻴﺎﻡِ
ﺍﻟﺮَّﻓَﺚُ ﺇِﻟﻰٰ ﻧِﺴﺎﺋِﻜُﻢ ۚ ﻫُﻦَّ
ﻟِﺒﺎﺱٌ ﻟَﻜُﻢ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﻟِﺒﺎﺱٌ ﻟَﻬُﻦَّ ۗ
ﻋَﻠِﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻧَّﻜُﻢ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﺗَﺨﺘﺎﻧﻮﻥَ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ ﻓَﺘﺎﺏَ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻭَﻋَﻔﺎ ﻋَﻨﻜُﻢ ۖ ﻓَﺎﻟـٰٔﻦَ
ﺑٰﺸِﺮﻭﻫُﻦَّ ﻭَﺍﺑﺘَﻐﻮﺍ ﻣﺎ ﻛَﺘَﺐَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢ ۚ ﻭَﻛُﻠﻮﺍ ﻭَﺍﺷﺮَﺑﻮﺍ
ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﺘَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟﺨَﻴﻂُ
ﺍﻷَﺑﻴَﺾُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺨَﻴﻂِ ﺍﻷَﺳﻮَﺩِ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻔَﺠﺮِ ۖ ﺛُﻢَّ ﺃَﺗِﻤُّﻮﺍ ﺍﻟﺼِّﻴﺎﻡَ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﻴﻞِ ۚ ﻭَﻻ ﺗُﺒٰﺸِﺮﻭﻫُﻦَّ
ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﻋٰﻜِﻔﻮﻥَ ﻓِﻰ ﺍﻟﻤَﺴٰﺠِﺪِ ۗ
ﺗِﻠﻚَ ﺣُﺪﻭﺩُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻼ ﺗَﻘﺮَﺑﻮﻫﺎ ۗ
ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻳُﺒَﻴِّﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺀﺍﻳٰﺘِﻪِ
ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢ ﻳَﺘَّﻘﻮﻥَ
[187] রোযার রাতে তোমাদের
স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা
তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে।
তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং
তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ
অবগত রয়েছেন যে, তোমরা
আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি
তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং
তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন।
অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের
সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু
তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন,
তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ
না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র
রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর
রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ
তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে
অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের
সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ
কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর
কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা
করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ
মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে
পারে।
[187] It is made lawful for you to have
sexual relations with your wives on the
night of As-Saum (the fasts). They are
Lîbas [i.e. body cover, or screen, or
Sakan, (i.e. you enjoy the pleasure of
living with them – as in Verse 7:189)
Tafsir At-Tabarî], for you and you are
the same for them. Allâh knows that you
used to deceive yourselves, so He turned
to you (accepted your repentance) and
forgave you. So now have sexual
relations with them and seek that which
Allâh has ordained for you (offspring),
and eat and drink until the white thread
(light) of dawn appears to you distinct
from the black thread (darkness of
night), then complete your Saum (fast)
till the nightfall. And do not have sexual
relations with them (your wives) while
you are in I’tikâf (i.e. confining oneself
in a mosque for prayers and invocations
leaving the worldly activities) in the
mosques. These are the limits (set) by
Allâh, so approach them not. Thus does
Allâh make clear His Ayât (proofs,
evidences, lessons, signs, revelations,
verses, laws, legal and illegal things
Allahs set limits orders.) to mankind that
they may become Al- Muttaqun.
[188] ﻭَﻻ ﺗَﺄﻛُﻠﻮﺍ ﺃَﻣﻮٰﻟَﻜُﻢ
ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﺑِﺎﻟﺒٰﻄِﻞِ ﻭَﺗُﺪﻟﻮﺍ ﺑِﻬﺎ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺤُﻜّﺎﻡِ ﻟِﺘَﺄﻛُﻠﻮﺍ ﻓَﺮﻳﻘًﺎ
ﻣِﻦ ﺃَﻣﻮٰﻝِ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﺑِﺎﻹِﺛﻢِ
ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[188] তোমরা অন্যায়ভাবে একে
অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং
জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে
পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে
শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।
[188] And eat up not one another’s
property unjustly (in any illegal way e.g.
stealing, robbing, deceiving, etc.), nor
give bribery to the rulers (judges before
presenting your cases) that you may
knowingly eat up a part of the property
of others sinfully
[189] ۞ ﻳَﺴـَٔﻠﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻷَﻫِﻠَّﺔِ ۖ
ﻗُﻞ ﻫِﻰَ ﻣَﻮٰﻗﻴﺖُ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ
ﻭَﺍﻟﺤَﺞِّ ۗ ﻭَﻟَﻴﺲَ ﺍﻟﺒِﺮُّ ﺑِﺄَﻥ
ﺗَﺄﺗُﻮﺍ ﺍﻟﺒُﻴﻮﺕَ ﻣِﻦ ﻇُﻬﻮﺭِﻫﺎ
ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺍﻟﺒِﺮَّ ﻣَﻦِ ﺍﺗَّﻘﻰٰ ۗ ﻭَﺃﺗُﻮﺍ
ﺍﻟﺒُﻴﻮﺕَ ﻣِﻦ ﺃَﺑﻮٰﺑِﻬﺎ ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗُﻔﻠِﺤﻮﻥَ
[189] তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস
করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে
এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং
হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম। আর
পেছনের দিক দিয়ে ঘরে প্রবেশ করার
মধ্যে কোন নেকী বা কল্যাণ নেই।
অবশ্য নেকী হল আল্লাহকে ভয় করার
মধ্যে। আর তোমরা ঘরে প্রবেশ কর
দরজা দিয়ে এবং আল্লাহকে ভয় করতে
থাক যাতে তোমরা নিজেদের
বাসনায় কৃতকার্য হতে পার।
[189] They ask you (O Muhammad SAW)
about the new moons. Say: These are
signs to mark fixed periods of time for
mankind and for the pilgrimage. It is not
Al-Birr (piety, righteousness) that you
enter the houses from the back but Al-
Birr (is the quality of the one) who fears
Allâh. So enter houses through their
proper doors, and fear Allâh that you
may be successful.
[190] ﻭَﻗٰﺘِﻠﻮﺍ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﻘٰﺘِﻠﻮﻧَﻜُﻢ ﻭَﻻ ﺗَﻌﺘَﺪﻭﺍ ۚ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻤُﻌﺘَﺪﻳﻦَ
[190] আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে
তাদের সাথে, যারা লড়াই করে
তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি
বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ
সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন
না।
[190] And fight in the Way of Allâh those
who fight you, but transgress not the
limits. Truly, Allâh likes not the
transgressors. [This Verse is the first one
that was revealed in connection with
Jihâd, but it was supplemented by
another (V.9:36)].
[191] ﻭَﺍﻗﺘُﻠﻮﻫُﻢ ﺣَﻴﺚُ
ﺛَﻘِﻔﺘُﻤﻮﻫُﻢ ﻭَﺃَﺧﺮِﺟﻮﻫُﻢ ﻣِﻦ
ﺣَﻴﺚُ ﺃَﺧﺮَﺟﻮﻛُﻢ ۚ ﻭَﺍﻟﻔِﺘﻨَﺔُ
ﺃَﺷَﺪُّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻘَﺘﻞِ ۚ ﻭَﻻ ﺗُﻘٰﺘِﻠﻮﻫُﻢ
ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ﺣَﺘّﻰٰ
ﻳُﻘٰﺘِﻠﻮﻛُﻢ ﻓﻴﻪِ ۖ ﻓَﺈِﻥ ﻗٰﺘَﻠﻮﻛُﻢ
ﻓَﺎﻗﺘُﻠﻮﻫُﻢ ۗ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﺟَﺰﺍﺀُ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[191] আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে
পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের
করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে
তারা বের করেছে তোমাদেরকে।
বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-
হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও
কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই
করো না মসজিদুল হারামের নিকটে
যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে
সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা
নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই
করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই
হল কাফেরদের শাস্তি।
[191] And kill them wherever you find
them, and turn them out from where
they have turned you out. And Al-Fitnah
is worse than killing. And fight not with
them at Al-Masjid-Al-Harâm (the
sanctuary at Makkah), unless they (first)
fight you there. But if they attack you,
then kill them. Such is the recompense of
the disbelievers.
[192] ﻓَﺈِﻥِ ﺍﻧﺘَﻬَﻮﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[192] আর তারা যদি বিরত থাকে,
তাহলে আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু।
[192] But if they cease, then Allâh is Oft-
Forgiving, Most Merciful.
[193] ﻭَﻗٰﺘِﻠﻮﻫُﻢ ﺣَﺘّﻰٰ ﻻ ﺗَﻜﻮﻥَ
ﻓِﺘﻨَﺔٌ ﻭَﻳَﻜﻮﻥَ ﺍﻟﺪّﻳﻦُ ﻟِﻠَّﻪِ ۖ ﻓَﺈِﻥِ
ﺍﻧﺘَﻬَﻮﺍ ﻓَﻼ ﻋُﺪﻭٰﻥَ ﺇِﻟّﺎ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[193] আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই
কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয়
এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়।
অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায়
তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি
নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের
ব্যাপারে আলাদা)।
[193] And fight them until there is no
more Fitnah (disbelief and worshipping
of others along with Allâh) and (all and
every kind of) worship is for Allâh
(Alone). But if they cease, let there be no
transgression except against Az-Zâlimûn
(the polytheists, and wrong-doers.)
[194] ﺍﻟﺸَّﻬﺮُ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻬﺮِ
ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ﻭَﺍﻟﺤُﺮُﻣٰﺖُ ﻗِﺼﺎﺹٌ ۚ
ﻓَﻤَﻦِ ﺍﻋﺘَﺪﻯٰ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻓَﺎﻋﺘَﺪﻭﺍ
ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺑِﻤِﺜﻞِ ﻣَﺎ ﺍﻋﺘَﺪﻯٰ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ۚ
ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻣَﻊَ ﺍﻟﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[194] সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের
বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা
রয়েছে। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর
জবর দস্তি করেছে, তোমরা তাদের
উপর জবরদস্তি কর, যেমন জবরদস্তি
তারা করেছে তোমাদের উপর। আর
তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে
রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ তাদের
সাথে রয়েছেন।
[194] The sacred month is for the sacred
month, and for the prohibited things,
there is the Law of Equality (Qisâs). Then
whoever transgresses the prohibition
against you, you transgress likewise
against him. And fear Allâh, and know
that Allâh is with Al-Muttaqûn (the pious
– see V.2:2).
[195] ﻭَﺃَﻧﻔِﻘﻮﺍ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻻ ﺗُﻠﻘﻮﺍ ﺑِﺄَﻳﺪﻳﻜُﻢ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﺘَّﻬﻠُﻜَﺔِ ۛ ﻭَﺃَﺣﺴِﻨﻮﺍ ۛ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻤُﺤﺴِﻨﻴﻦَ
[195] আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে
নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন
করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ
কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে
ভালবাসেন।
[195] And spend in the Cause of Allâh
(i.e. Jihâd of all kinds,) and do not throw
yourselves into destruction (by not
spending your wealth in the Cause of
Allâh), and do good. Truly, Allâh loves
Al-Muhsinûn (the good-doers).
[196] ﻭَﺃَﺗِﻤُّﻮﺍ ﺍﻟﺤَﺞَّ ﻭَﺍﻟﻌُﻤﺮَﺓَ
ﻟِﻠَّﻪِ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﺃُﺣﺼِﺮﺗُﻢ ﻓَﻤَﺎ
ﺍﺳﺘَﻴﺴَﺮَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻬَﺪﻯِ ۖ ﻭَﻻ
ﺗَﺤﻠِﻘﻮﺍ ﺭُﺀﻭﺳَﻜُﻢ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﺒﻠُﻎَ
ﺍﻟﻬَﺪﻯُ ﻣَﺤِﻠَّﻪُ ۚ ﻓَﻤَﻦ ﻛﺎﻥَ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣَﺮﻳﻀًﺎ ﺃَﻭ ﺑِﻪِ ﺃَﺫًﻯ ﻣِﻦ
ﺭَﺃﺳِﻪِ ﻓَﻔِﺪﻳَﺔٌ ﻣِﻦ ﺻِﻴﺎﻡٍ ﺃَﻭ
ﺻَﺪَﻗَﺔٍ ﺃَﻭ ﻧُﺴُﻚٍ ۚ ﻓَﺈِﺫﺍ ﺃَﻣِﻨﺘُﻢ
ﻓَﻤَﻦ ﺗَﻤَﺘَّﻊَ ﺑِﺎﻟﻌُﻤﺮَﺓِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺤَﺞِّ
ﻓَﻤَﺎ ﺍﺳﺘَﻴﺴَﺮَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻬَﺪﻯِ ۚ
ﻓَﻤَﻦ ﻟَﻢ ﻳَﺠِﺪ ﻓَﺼِﻴﺎﻡُ ﺛَﻠٰﺜَﺔِ
ﺃَﻳّﺎﻡٍ ﻓِﻰ ﺍﻟﺤَﺞِّ ﻭَﺳَﺒﻌَﺔٍ ﺇِﺫﺍ
ﺭَﺟَﻌﺘُﻢ ۗ ﺗِﻠﻚَ ﻋَﺸَﺮَﺓٌ ﻛﺎﻣِﻠَﺔٌ ۗ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻟِﻤَﻦ ﻟَﻢ ﻳَﻜُﻦ ﺃَﻫﻠُﻪُ
ﺣﺎﺿِﺮِﻯ ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ۚ
ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺷَﺪﻳﺪُ ﺍﻟﻌِﻘﺎﺏِ
[196] আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে
হজ্জ্ব ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর।
যদি তোমরা বাধা প্রাপ্ত হও, তাহলে
কোরবানীর জন্য যাকিছু সহজলভ্য, তাই
তোমাদের উপর ধার্য। আর তোমরা
ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুন্ডন করবে না,
যতক্ষণ না কোরবাণী যথাস্থানে
পৌছে যাবে। যারা তোমাদের মধ্যে
অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মাথায় যদি
কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার
পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা
খয়রাত দেবে অথবা কুরবানী করবে। আর
তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ্ব ওমরাহ
একত্রে একই সাথে পালন করতে চাও,
তবে যাকিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে
কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ
যারা কোরবানীর পশু পাবে না, তারা
হজ্জ্বের দিনগুলোর মধ্যে রোজা
রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা
রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি
রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি
তাদের জন্য, যাদের পরিবার পরিজন
মসজিদুল হারামের আশে-পাশে বসবাস
করে না। আর আল্লাহকে ভয় করতে
থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনো যে,
আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন।
[196] And perform properly (i.e. all the
ceremonies according to the ways of
Prophet Muhammad SAW), the Hajj and
‘Umrah (i.e. the pilgrimage to Makkah)
for Allâh. But if you are prevented (from
completing them), sacrifice a Hady
(animal, i.e. a sheep, a cow, or a camel,)
such as you can afford, and do not shave
your heads until the Hady reaches the
place of sacrifice. And whosoever of you
is ill or has an ailment in his scalp
(necessitating shaving), he must pay a
Fidyah (ransom) of either observing
Saum (fasts) (three days) or giving
Sadaqah (charity – feeding six poor
persons) or offering sacrifice (one
sheep). Then if you are in safety and
whosoever performs the ‘Umrah in the
months of Hajj, before (performing) the
Hajj, (i.e. Hajj-at-Tamattu’ and Al-Qirân),
he must slaughter a Hady such as he can
afford, but if he cannot afford it, he
should observe Saum (fasts) three days
during the Hajj and seven days after his
return (to his home), making ten days in
all. This is for him whose family is not
present at Al Massid-Al-Haram (i.e non-
resident of Makkah) And fear Allah
much and know that Allah is severe in
punishment.
[197] ﺍﻟﺤَﺞُّ ﺃَﺷﻬُﺮٌ ﻣَﻌﻠﻮﻣٰﺖٌ ۚ
ﻓَﻤَﻦ ﻓَﺮَﺽَ ﻓﻴﻬِﻦَّ ﺍﻟﺤَﺞَّ ﻓَﻼ
ﺭَﻓَﺚَ ﻭَﻻ ﻓُﺴﻮﻕَ ﻭَﻻ ﺟِﺪﺍﻝَ
ﻓِﻰ ﺍﻟﺤَﺞِّ ۗ ﻭَﻣﺎ ﺗَﻔﻌَﻠﻮﺍ ﻣِﻦ
ﺧَﻴﺮٍ ﻳَﻌﻠَﻤﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۗ ﻭَﺗَﺰَﻭَّﺩﻭﺍ
ﻓَﺈِﻥَّ ﺧَﻴﺮَ ﺍﻟﺰّﺍﺩِ ﺍﻟﺘَّﻘﻮﻯٰ ۚ
ﻭَﺍﺗَّﻘﻮﻥِ ﻳٰﺄُﻭﻟِﻰ ﺍﻷَﻟﺒٰﺐِ
[197] হজ্জ্বে কয়েকটি মাস আছে
সুবিদিত। এসব মাসে যে লোক
হজ্জ্বের পরিপূর্ণ নিয়ত করবে, তার
পক্ষে স্ত্রীও সাথে নিরাভরণ হওয়া
জায়েজ নয়। না অশোভন কোন কাজ
করা, না ঝাগড়া-বিবাদ করা হজ্জ্বের
সেই সময় জায়েজ নয়। আর তোমরা
যাকিছু সৎকাজ কর, আল্লাহ তো
জানেন। আর তোমরা পাথেয় সাথে
নিয়ে নাও। নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম
পাথেয় হচ্ছে আল্লাহর ভয়। আর আমাকে
ভয় করতে থাক, হে বুদ্ধিমানগন!
তোমাদের উপর তোমাদের
পালনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করায়
কোন পাপ নেই।
[197] The Hajj (pilgrimage) is (in) the
well-known (lunar year) months (i.e. the
10th month, the 11th month and the first
ten days of the 12th month of the Islâmic
calendar, i.e. two months and ten days).
So whosoever intends to perform Hajj
therein (by assuming Ihrâm), then he
should not have sexual relations (with
his wife), nor commit sin, nor dispute
unjustly during the Hajj. And whatever
good you do, (be sure) Allâh knows it.
And take a provision (with you) for the
journey, but the best provision is At-
Taqwa (piety, righteousness). So fear Me,
O men of understanding!
[198] ﻟَﻴﺲَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺟُﻨﺎﺡٌ ﺃَﻥ
ﺗَﺒﺘَﻐﻮﺍ ﻓَﻀﻠًﺎ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ ۚ ﻓَﺈِﺫﺍ
ﺃَﻓَﻀﺘُﻢ ﻣِﻦ ﻋَﺮَﻓٰﺖٍ ﻓَﺎﺫﻛُﺮُﻭﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻤَﺸﻌَﺮِ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ۖ
ﻭَﺍﺫﻛُﺮﻭﻩُ ﻛَﻤﺎ ﻫَﺪﻯٰﻜُﻢ ﻭَﺇِﻥ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻪِ ﻟَﻤِﻦَ ﺍﻟﻀّﺎﻟّﻴﻦَ
[198] তোমাদের উপর তোমাদের
পালনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষন করায়
কোন পাপ নেই। অতঃপর যখন
তওয়াফের জন্য ফিরে আসবে আরাফাত
থেকে, তখন মাশ‘ আরে-হারামের
নিকটে আল্লাহকে স্মরণ কর। আর তাঁকে
স্মরণ কর তেমনি করে, যেমন
তোমাদিগকে হেদায়েত করা হয়েছে।
আর নিশ্চয়ই ইতিপূর্বে তোমরা ছিলে
অজ্ঞ।
[198] There is no sin on you if you seek
the Bounty of your Lord (during
pilgrimage by trading). Then when you
leave ‘Arafât, remember Allâh (by
glorifying His Praises, i.e. prayers and
invocations,) at the Mash’ar-il-Harâm.
And remember Him (by invoking Allâh
for all good) as He has guided you, and
verily, you were, before, of those who
were astray.
[199] ﺛُﻢَّ ﺃَﻓﻴﻀﻮﺍ ﻣِﻦ ﺣَﻴﺚُ
ﺃَﻓﺎﺽَ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻭَﺍﺳﺘَﻐﻔِﺮُﻭﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[199] অতঃপর তওয়াফের জন্যে
দ্রুতগতিতে সেখান থেকে ফিরে আস,
যেখান থেকে সবাই ফিরে। আর
আল্লাহর কাছেই মাগফেরাত কামনা
কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাকারী,
করুনাময়।
[199] Then depart from the place whence
all the people depart and ask Allâh for
His Forgiveness. Truly, Allâh is Oft-
Forgiving, Most-Merciful.
[200] ﻓَﺈِﺫﺍ ﻗَﻀَﻴﺘُﻢ ﻣَﻨٰﺴِﻜَﻜُﻢ
ﻓَﺎﺫﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛَﺬِﻛﺮِﻛُﻢ
ﺀﺍﺑﺎﺀَﻛُﻢ ﺃَﻭ ﺃَﺷَﺪَّ ﺫِﻛﺮًﺍ ۗ ﻓَﻤِﻦَ
ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻣَﻦ ﻳَﻘﻮﻝُ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺀﺍﺗِﻨﺎ
ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻭَﻣﺎ ﻟَﻪُ ﻓِﻰ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻣِﻦ ﺧَﻠٰﻖٍ
[200] আর অতঃপর যখন হজ্জ্বের
যাবতীয় অনুষ্ঠানক্রিয়াদি সমাপ্ত করে
সারবে, তখন স্মরণ করবে আল্লাহকে,
যেমন করে তোমরা স্মরণ করতে
নিজেদের বাপ-দাদাদেরকে; বরং তার
চেয়েও বেশী স্মরণ করবে। তারপর
অনেকে তো বলে যে পরওয়াদেগার!
আমাদিগকে দুনিয়াতে দান কর। অথচ
তার জন্যে পরকালে কোন অংশ নেই।
[200] So when you have accomplished
your Manasik remember Allâh as you
remember your forefathers or with a far
more remembrance. But of mankind
there are some who say: “Our Lord! Give
us (Your Bounties) in this world!” and for
such there will be no portion in the
Hereafter.
[201] ﻭَﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ ﻳَﻘﻮﻝُ ﺭَﺑَّﻨﺎ
ﺀﺍﺗِﻨﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻭَﻓِﻰ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻭَﻗِﻨﺎ ﻋَﺬﺍﺏَ
ﺍﻟﻨّﺎﺭِ
[201] আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে-
হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে
দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং
আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং
আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে
রক্ষা কর।
[201] And of them there are some who
say: “Our Lord! Give us in this world that
which is good and in the Hereafter that
which is good, and save us from the
torment of the Fire!”
[202] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻧَﺼﻴﺐٌ ﻣِﻤّﺎ
ﻛَﺴَﺒﻮﺍ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﺮﻳﻊُ
ﺍﻟﺤِﺴﺎﺏِ
[202] এদেরই জন্য অংশ রয়েছে
নিজেদের উপার্জিত সম্পদের। আর
আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
[202] For them there will be alloted a
share for what they have earned. And
Allâh is Swift at reckoning.
[203] ۞ ﻭَﺍﺫﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓﻰ
ﺃَﻳّﺎﻡٍ ﻣَﻌﺪﻭﺩٰﺕٍ ۚ ﻓَﻤَﻦ ﺗَﻌَﺠَّﻞَ
ﻓﻰ ﻳَﻮﻣَﻴﻦِ ﻓَﻼ ﺇِﺛﻢَ ﻋَﻠَﻴﻪِ
ﻭَﻣَﻦ ﺗَﺄَﺧَّﺮَ ﻓَﻼ ﺇِﺛﻢَ ﻋَﻠَﻴﻪِ ۚ
ﻟِﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘﻰٰ ۗ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻧَّﻜُﻢ ﺇِﻟَﻴﻪِ ﺗُﺤﺸَﺮﻭﻥَ
[203] আর স্মরণ কর আল্লাহকে নির্দিষ্ট
সংখ্যক কয়েকটি দিনে। অতঃপর যে
লোক তাড়াহুড়া করে চলে যাবে শুধু দু,
দিনের মধ্যে, তার জন্যে কোন পাপ
নেই। আর যে লোক থেকে যাবে তাঁর
উপর কোন পাপ নেই, অবশ্য যারা ভয়
করে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয়
করতে থাক এবং নিশ্চিত জেনে রাখ,
তোমরা সবাই তার সামনে সমবেত হবে।
[203] And remember Allâh during the
appointed Days. But whosoever hastens
to leave in two days, there is no sin on
him and whosoever stays on, there is no
sin on him, if his aim is to do good and
obey Allâh (fear Him), and know that
you will surely be gathered unto Him.
[204] ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻣَﻦ ﻳُﻌﺠِﺒُﻚَ
ﻗَﻮﻟُﻪُ ﻓِﻰ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ
ﻭَﻳُﺸﻬِﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻰٰ ﻣﺎ ﻓﻰ
ﻗَﻠﺒِﻪِ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﻟَﺪُّ ﺍﻟﺨِﺼﺎﻡِ
[204] আর এমন কিছু লোক রযেছে
যাদের পার্থিব জীবনের কথাবার্তা
তোমাকে চমৎকৃত করবে। আর তারা
সাক্ষ্য স্থাপন করে আল্লাহকে নিজের
মনের কথার ব্যাপারে। প্রকৃতপক্ষে
তারা কঠিন ঝগড়াটে লোক।
[204] And of mankind there is he whose
speech may please you (O Muhammad
SAW), in this worldly life, and he calls
Allâh to witness as to that which is in his
heart, yet he is the most quarrelsome of
the opponents.
[205] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺗَﻮَﻟّﻰٰ ﺳَﻌﻰٰ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ﻟِﻴُﻔﺴِﺪَ ﻓﻴﻬﺎ ﻭَﻳُﻬﻠِﻚَ
ﺍﻟﺤَﺮﺙَ ﻭَﺍﻟﻨَّﺴﻞَ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ
ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻔَﺴﺎﺩَ
[205] যখন ফিরে যায় তখন চেষ্টা করে
যাতে সেখানে অকল্যাণ সৃষ্টি করতে
পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণনাশ
করতে পারে। আল্লাহ ফাসাদ ও
দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না।
[205] And when he turns away (from you
“O Muhammad SAW “), his effort in the
land is to make mischief therein and to
destroy the crops and the cattle, and
Allâh likes not mischief.
[206] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻗﻴﻞَ ﻟَﻪُ ﺍﺗَّﻖِ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺃَﺧَﺬَﺗﻪُ ﺍﻟﻌِﺰَّﺓُ ﺑِﺎﻹِﺛﻢِ ۚ ﻓَﺤَﺴﺒُﻪُ
ﺟَﻬَﻨَّﻢُ ۚ ﻭَﻟَﺒِﺌﺲَ ﺍﻟﻤِﻬﺎﺩُ
[206] আর যখন তাকে বলা হয় যে,
আল্লাহকে ভয় কর, তখন তার পাপ তাকে
অহঙ্কারে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং তার
জন্যে দোযখই যথেষ্ট। আর
নিঃসন্দেহে তা হলো নিকৃষ্টতর
ঠিকানা।
[206] And when it is said to him, “Fear
Allâh”, he is led by arrogance to (more)
crime. So enough for him is Hell, and
worst indeed is that place to rest!
[207] ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺮﻯ
ﻧَﻔﺴَﻪُ ﺍﺑﺘِﻐﺎﺀَ ﻣَﺮﺿﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺀﻭﻑٌ ﺑِﺎﻟﻌِﺒﺎﺩِ
[207] আর মানুষের মাঝে এক শ্রেণীর
লোক রয়েছে যারা আল্লাহর
সন্তুষ্টিকল্পে নিজেদের জানের
বাজি রাখে। আল্লাহ হলেন তাঁর
বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান।
[207] And of mankind is he who would
sell himself, seeking the Pleasure of
Allâh. And Allâh is full of Kindness to
(His) slaves.
[208] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ
ﺍﺩﺧُﻠﻮﺍ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴِّﻠﻢِ ﻛﺎﻓَّﺔً ﻭَﻻ
ﺗَﺘَّﺒِﻌﻮﺍ ﺧُﻄُﻮٰﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦِ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ
ﻟَﻜُﻢ ﻋَﺪُﻭٌّ ﻣُﺒﻴﻦٌ
[208] হে ঈমানদার গন! তোমরা
পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে
যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর
না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের
প্রকাশ্য শত্রু।
[208] O you who believe! Enter perfectly
in Islâm (by obeying all the rules and
regulations of the Islâmic religion) and
follow not the footsteps of Shaitân
(Satan). Verily! He is to you a plain
enemy.
[209] ﻓَﺈِﻥ ﺯَﻟَﻠﺘُﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ
ﺟﺎﺀَﺗﻜُﻢُ ﺍﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖُ ﻓَﺎﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺣَﻜﻴﻢٌ
[209] অতঃপর তোমাদের মাঝে
পরিস্কার নির্দেশ এসে গেছে বলে
জানার পরেও যদি তোমরা পদস্খলিত
হও, তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো,
আল্লাহ, পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।
[209] Then if you slide back after the
clear signs (Prophet Muhammad SAW
and this Qur’ân, and Islâm) have come
to you, then know that Allâh is All-
Mighty, All-Wise.
[210] ﻫَﻞ ﻳَﻨﻈُﺮﻭﻥَ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ
ﻳَﺄﺗِﻴَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻰ ﻇُﻠَﻞٍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻐَﻤﺎﻡِ ﻭَﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ ﻭَﻗُﻀِﻰَ
ﺍﻷَﻣﺮُ ۚ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗُﺮﺟَﻊُ
ﺍﻷُﻣﻮﺭُ
[210] তারা কি সে দিকেই তাকিয়ে
রয়েছে যে, মেঘের আড়ালে তাদের
সামনে আসবেন আল্লাহ ও
ফেরেশতাগণ ? আর তাতেই সব
মীমাংসা হয়ে যাবে। বস্তুতঃ
সবকার্যকলাপই আল্লাহর নিকট গিয়ে
পৌঁছবে।
[210] Do they then wait for anything
other than that Allâh should come to
them in the shadows of the clouds and
the angels? (Then) the case would be
already judged. And to Allâh return all
matters (for decision).
[211] ﺳَﻞ ﺑَﻨﻰ ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﻛَﻢ
ﺀﺍﺗَﻴﻨٰﻬُﻢ ﻣِﻦ ﺀﺍﻳَﺔٍ ﺑَﻴِّﻨَﺔٍ ۗ
ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺒَﺪِّﻝ ﻧِﻌﻤَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦ
ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ ﺟﺎﺀَﺗﻪُ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺷَﺪﻳﺪُ ﺍﻟﻌِﻘﺎﺏِ
[211] বনী ইসরাঈলদিগকে জিজ্ঞেস
কর, তাদেরকে আমি কত স্পষ্ট
নির্দশনাবলী দান করেছি। আর
আল্লাহর নেয়ামত পৌছে যাওয়ার পর
যদি কেউ সে নেয়ামতকে পরিবর্তিত
করে দেয়, তবে আল্লাহর আযাব অতি
কঠিন।
[211] Ask the Children of Israel how
many clear Ayât (proofs, evidences,
verses, lessons, signs, revelations, etc.)
We gave them. And whoever changes
Allâh’s Favour after it had come to him,
[e.g. renounces the Religion of Allâh
(Islâm) and accepts Kufr (disbelief),]
then surely, Allâh is Severe in
punishment.
[212] ﺯُﻳِّﻦَ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ
ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓُ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻭَﻳَﺴﺨَﺮﻭﻥَ
ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ۘ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺍﺗَّﻘَﻮﺍ ﻓَﻮﻗَﻬُﻢ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺮﺯُﻕُ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ﺑِﻐَﻴﺮِ
ﺣِﺴﺎﺏٍ
[212] পার্থিব জীবনের উপর
কাফেরদিগকে উম্মত্ত করে দেয়া
হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি
লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে।
পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা
সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের
দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান
করেন।
[212] Beautified is the life of this world
for those who disbelieve, and they mock
at those who believe. But those who obey
Allâh’s Orders and keep away from what
He has forbidden, will be above them on
the Day of Resurrection. And Allâh gives
(of His Bounty, Blessings, Favours,
Honours, on the Day of Resurrection) to
whom He wills without limit.
[213] ﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﺃُﻣَّﺔً ﻭٰﺣِﺪَﺓً
ﻓَﺒَﻌَﺚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲّۦﻥَ
ﻣُﺒَﺸِّﺮﻳﻦَ ﻭَﻣُﻨﺬِﺭﻳﻦَ ﻭَﺃَﻧﺰَﻝَ
ﻣَﻌَﻬُﻢُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ﻟِﻴَﺤﻜُﻢَ
ﺑَﻴﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻓﻴﻤَﺎ ﺍﺧﺘَﻠَﻔﻮﺍ
ﻓﻴﻪِ ۚ ﻭَﻣَﺎ ﺍﺧﺘَﻠَﻒَ ﻓﻴﻪِ ﺇِﻟَّﺎ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗﻮﻩُ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ
ﺟﺎﺀَﺗﻬُﻢُ ﺍﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖُ ﺑَﻐﻴًﺎ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ۖ
ﻓَﻬَﺪَﻯ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻟِﻤَﺎ
ﺍﺧﺘَﻠَﻔﻮﺍ ﻓﻴﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺤَﻖِّ
ﺑِﺈِﺫﻧِﻪِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻬﺪﻯ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ
ﺇِﻟﻰٰ ﺻِﺮٰﻁٍ ﻣُﺴﺘَﻘﻴﻢٍ
[213] সকল মানুষ একই জাতি সত্তার
অন্তর্ভুক্ত ছিল। অতঃপর আল্লাহ
তা’আলা পয়গম্বর পাঠালেন
সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকরী
হিসাবে। আর তাঁদের সাথে অবর্তীণ
করলেন সত্য কিতাব, যাতে মানুষের
মাঝে বিতর্কমূলক বিষয়ে মীমাংসা
করতে পারেন। বস্তুতঃ কিতাবের
ব্যাপারে অন্য কেউ মতভেদ করেনি;
কিন্তু পরিষ্কার নির্দেশ এসে যাবার
পর নিজেদের পারস্পরিক জেদবশতঃ
তারাই করেছে, যারা কিতাব প্রাপ্ত
হয়েছিল। অতঃপর আল্লাহ
ঈমানদারদেরকে হেদায়েত করেছেন
সেই সত্য বিষয়ে, যে ব্যাপারে তারা
মতভেদ লিপ্ত হয়েছিল। আল্লাহ যাকে
ইচ্ছা, সরল পথ বাতলে দেন।
[213] Mankind were one community and
Allâh sent Prophets with glad tidings and
warnings, and with them He sent the
Scripture in truth to judge between
people in matters wherein they differed.
And only those to whom (the Scripture)
was given differed concerning it after
clear proofs had come unto them through
hatred, one to another. Then Allâh by His
Leave guided those who believed to the
truth of that wherein they differed. And
Allâh guides whom He wills to a Straight
Path.
[214] ﺃَﻡ ﺣَﺴِﺒﺘُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﺪﺧُﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﻟَﻤّﺎ ﻳَﺄﺗِﻜُﻢ ﻣَﺜَﻞُ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺧَﻠَﻮﺍ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ ۖ
ﻣَﺴَّﺘﻬُﻢُ ﺍﻟﺒَﺄﺳﺎﺀُ ﻭَﺍﻟﻀَّﺮّﺍﺀُ
ﻭَﺯُﻟﺰِﻟﻮﺍ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﻘﻮﻝَ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝُ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻣَﻌَﻪُ ﻣَﺘﻰٰ
ﻧَﺼﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﺃَﻻ ﺇِﻥَّ ﻧَﺼﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻗَﺮﻳﺐٌ
[214] তোমাদের কি এই ধারণা যে,
তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে
লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি
যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে।
তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর
এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে
নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল
তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে
যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্যে!
তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর
সাহায্যে একান্তই নিকটবর্তী।
[214] Or think you that you will enter
Paradise without such (trials) as came to
those who passed away before you? They
were afflicted with severe poverty and
ailments and were so shaken that even
the Messenger and those who believed
along with him said, “When (will come)
the Help of Allâh?” Yes! Certainly, the
Help of Allâh is near!
[215] ﻳَﺴـَٔﻠﻮﻧَﻚَ ﻣﺎﺫﺍ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ ۖ
ﻗُﻞ ﻣﺎ ﺃَﻧﻔَﻘﺘُﻢ ﻣِﻦ ﺧَﻴﺮٍ
ﻓَﻠِﻠﻮٰﻟِﺪَﻳﻦِ ﻭَﺍﻷَﻗﺮَﺑﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﻭَﺍﻟﻤَﺴٰﻜﻴﻦِ ﻭَﺍﺑﻦِ
ﺍﻟﺴَّﺒﻴﻞِ ۗ ﻭَﻣﺎ ﺗَﻔﻌَﻠﻮﺍ ﻣِﻦ ﺧَﻴﺮٍ
ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺑِﻪِ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[215] তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে,
কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও-যে
বস্তুই তোমরা ব্যয় কর, তা হবে পিতা-
মাতার জন্যে, আত্নীয়-আপনজনের
জন্যে, এতীম-অনাথদের জন্যে,
অসহায়দের জন্যে এবং মুসাফিরদের
জন্যে। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ
করবে, নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত
ভালভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে।
[215] They ask you (O Muhammad SAW)
what they should spend. Say: Whatever
you spend of good must be for parents
and kindred and orphans and
Al¬Masâkin (the poor) and the
wayfarers, and whatever you do of good
deeds, truly, Allâh knows it well.
[216] ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﻘِﺘﺎﻝُ
ﻭَﻫُﻮَ ﻛُﺮﻩٌ ﻟَﻜُﻢ ۖ ﻭَﻋَﺴﻰٰ ﺃَﻥ
ﺗَﻜﺮَﻫﻮﺍ ﺷَﻴـًٔﺎ ﻭَﻫُﻮَ ﺧَﻴﺮٌ ﻟَﻜُﻢ ۖ
ﻭَﻋَﺴﻰٰ ﺃَﻥ ﺗُﺤِﺒّﻮﺍ ﺷَﻴـًٔﺎ ﻭَﻫُﻮَ
ﺷَﺮٌّ ﻟَﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻌﻠَﻢُ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﻻ
ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[216] তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা
হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে
অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের
কাছে হয়তো কোন একটা বিষয়
পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য
কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি
বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ
তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ
আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।
[216] Jihâd (holy fighting in Allâh’s
Cause) is ordained for you (Muslims)
though you dislike it, and it may be that
you dislike a thing which is good for you
and that you like a thing which is bad
for you. Allâh knows but you do not
know.
[217] ﻳَﺴـَٔﻠﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﺸَّﻬﺮِ
ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ﻗِﺘﺎﻝٍ ﻓﻴﻪِ ۖ ﻗُﻞ ﻗِﺘﺎﻝٌ
ﻓﻴﻪِ ﻛَﺒﻴﺮٌ ۖ ﻭَﺻَﺪٌّ ﻋَﻦ ﺳَﺒﻴﻞِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻛُﻔﺮٌ ﺑِﻪِ ﻭَﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ
ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ﻭَﺇِﺧﺮﺍﺝُ ﺃَﻫﻠِﻪِ ﻣِﻨﻪُ
ﺃَﻛﺒَﺮُ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻭَﺍﻟﻔِﺘﻨَﺔُ ﺃَﻛﺒَﺮُ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻘَﺘﻞِ ۗ ﻭَﻻ ﻳَﺰﺍﻟﻮﻥَ
ﻳُﻘٰﺘِﻠﻮﻧَﻜُﻢ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﺮُﺩّﻭﻛُﻢ ﻋَﻦ
ﺩﻳﻨِﻜُﻢ ﺇِﻥِ ﺍﺳﺘَﻄٰﻌﻮﺍ ۚ ﻭَﻣَﻦ
ﻳَﺮﺗَﺪِﺩ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻋَﻦ ﺩﻳﻨِﻪِ
ﻓَﻴَﻤُﺖ ﻭَﻫُﻮَ ﻛﺎﻓِﺮٌ ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﺣَﺒِﻄَﺖ ﺃَﻋﻤٰﻠُﻬُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ
ﻭَﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ۖ ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺃَﺻﺤٰﺐُ
ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ۖ ﻫُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[217] সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার
কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ
করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা
ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে
প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী
করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা
দেয়া এবং সেখানকার
অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা,
আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ।
আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি
করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ।
বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের
সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে
তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে
দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের
মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে
দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ
করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের
যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর
তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে
তারা চিরকাল বাস করবে।
[217] They ask you concerning fighting
in the Sacred Months (i.e. 1st, 7th, 11th
and 12th months of the Islâmic
calendar). Say, “Fighting therein is a
great (transgression) but a greater
(transgression) with Allâh is to prevent
mankind from following the Way of
Allâh, to disbelieve in Him, to prevent
access to Al-Masjid-Al-Harâm (at
Makkah), and to drive out its
inhabitants, and Al-Fitnah is worse than
killing. And they will never cease
fighting you until they turn you back
from your religion (Islâmic Monotheism)
if they can. And whosoever of you turns
back from his religion and dies as a
disbeliever, then his deeds will be lost in
this life and in the Hereafter, and they
will be the dwellers of the Fire. They will
abide therein forever.”
[218] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻫﺎﺟَﺮﻭﺍ ﻭَﺟٰﻬَﺪﻭﺍ
ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﻳَﺮﺟﻮﻥَ ﺭَﺣﻤَﺖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[218] আর এতে কোন সন্দেহের অবকাশ
নেই যে, যারা ঈমান এনেছে এবং যারা
হিজরত করেছে আর আল্লাহর পথে
লড়াই (জেহাদ) করেছে, তারা আল্লাহর
রহমতের প্রত্যাশী। আর আল্লাহ হচ্ছেন
ক্ষমাকারী করুনাময়।
[218] Verily, those who have believed,
and those who have emigrated (for
Allâh’s Religion) and have striven hard
in the Way of Allâh, all these hope for
Allâh’s Mercy. And Allâh is Oft-
Forgiving, Most-Merciful.
[219] ۞ ﻳَﺴـَٔﻠﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﺨَﻤﺮِ
ﻭَﺍﻟﻤَﻴﺴِﺮِ ۖ ﻗُﻞ ﻓﻴﻬِﻤﺎ ﺇِﺛﻢٌ
ﻛَﺒﻴﺮٌ ﻭَﻣَﻨٰﻔِﻊُ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻭَﺇِﺛﻤُﻬُﻤﺎ
ﺃَﻛﺒَﺮُ ﻣِﻦ ﻧَﻔﻌِﻬِﻤﺎ ۗ ﻭَﻳَﺴـَٔﻠﻮﻧَﻚَ
ﻣﺎﺫﺍ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ ﻗُﻞِ ﺍﻟﻌَﻔﻮَ ۗ
ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻳُﺒَﻴِّﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢُ
ﺍﻝﺀﺍﻳٰﺖِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﺘَﻔَﻜَّﺮﻭﻥَ
[219] তারা তোমাকে মদ ও জুয়া
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও,
এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর
মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে,
তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা
অপেক্ষা অনেক বড়। আর তোমার
কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয়
করবে? বলে দাও, নিজেদের
প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই
খরচ করবে। এভাবেই আল্লাহ
তোমাদের জন্যে নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে
বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা
করতে পার।
[219] They ask you (O Muhammad SAW)
concerning alcoholic drink and
gambling. Say: “In them is a great sin,
and (some) benefit, for men, but the sin
of them is greater than their benefit.”
And they ask you what they ought to
spend. Say: “That which is beyond your
needs.” Thus Allâh makes clear to you
His Laws in order that you may give
thought.”
[220] ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻭَﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ۗ
ﻭَﻳَﺴـَٔﻠﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ۖ ﻗُﻞ
ﺇِﺻﻼﺡٌ ﻟَﻬُﻢ ﺧَﻴﺮٌ ۖ ﻭَﺇِﻥ
ﺗُﺨﺎﻟِﻄﻮﻫُﻢ ﻓَﺈِﺧﻮٰﻧُﻜُﻢ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻳَﻌﻠَﻢُ ﺍﻟﻤُﻔﺴِﺪَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﺼﻠِﺢِ ۚ
ﻭَﻟَﻮ ﺷﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺄَﻋﻨَﺘَﻜُﻢ ۚ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺣَﻜﻴﻢٌ
[220] দুনিয়া ও আখেরাতের বিষয়ে। আর
তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, এতীম
সংক্রান্ত হুকুম। বলে দাও, তাদের
কাজ-কর্ম সঠিকভাবে গুছিয়ে দেয়া
উত্তম আর যদি তাদের ব্যয়ভার নিজের
সাথে মিশিয়ে নাও, তাহলে মনে করবে
তারা তোমাদের ভাই । বস্তুতঃ
অমঙ্গলকামী ও মঙ্গলকামীদেরকে
আল্লাহ জানেন। আল্লাহ যদি ইচ্ছা
করতেন, তাহলে তোমাদের উপর
জটিলতা আরোপ করতে পারতেন।
নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী,
মহাপ্রজ্ঞ।
[220] In (to) this worldly life and in the
Hereafter. And they ask you concerning
orphans. Say: “The best thing is to work
honestly in their property, and if you
mix your affairs with theirs, then they
are your brothers. And Allâh knows him
who means mischief (e.g. to swallow
their property) from him who means
good (e.g. to save their property). And if
Allâh had wished, He could have put you
into difficulties. Truly, Allâh is All-
Mighty, All-Wise.”
[221] ﻭَﻻ ﺗَﻨﻜِﺤُﻮﺍ ﺍﻟﻤُﺸﺮِﻛٰﺖِ
ﺣَﺘّﻰٰ ﻳُﺆﻣِﻦَّ ۚ ﻭَﻟَﺄَﻣَﺔٌ ﻣُﺆﻣِﻨَﺔٌ
ﺧَﻴﺮٌ ﻣِﻦ ﻣُﺸﺮِﻛَﺔٍ ﻭَﻟَﻮ
ﺃَﻋﺠَﺒَﺘﻜُﻢ ۗ ﻭَﻻ ﺗُﻨﻜِﺤُﻮﺍ
ﺍﻟﻤُﺸﺮِﻛﻴﻦَ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﺍ ۚ
ﻭَﻟَﻌَﺒﺪٌ ﻣُﺆﻣِﻦٌ ﺧَﻴﺮٌ ﻣِﻦ ﻣُﺸﺮِﻙٍ
ﻭَﻟَﻮ ﺃَﻋﺠَﺒَﻜُﻢ ۗ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻳَﺪﻋﻮﻥَ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ۖ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺪﻋﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﺠَﻨَّﺔِ ﻭَﺍﻟﻤَﻐﻔِﺮَﺓِ ﺑِﺈِﺫﻧِﻪِ ۖ
ﻭَﻳُﺒَﻴِّﻦُ ﺀﺍﻳٰﺘِﻪِ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢ
ﻳَﺘَﺬَﻛَّﺮﻭﻥَ
[221] আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে
বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান
গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী
মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও
তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো
লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন
মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ
হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে।
একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন
মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও
তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও।
তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে,
আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে
আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার
দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের
নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা
উপদেশ গ্রহণ করে।
[221] And do not marry Al-Mushrikât
(idolatresses, etc.) till they believe
(worship Allâh Alone). And indeed a
slave woman who believes is better than
a (free) Mushrikah (idolatress), even
though she pleases you. And give not
(your daughters) in marriage to Al-
Mushrikûn till they believe (in Allâh
Alone) and verily, a believing slave is
better than a (free) Mushrik (idolater),
even though he pleases you. Those (Al-
Mushrikûn) invite you to the Fire, but
Allâh invites (you) to Paradise and
Forgiveness by His Leave, and makes His
Ayât (proofs, evidences, verses, lessons,
signs, revelations, etc.) clear to mankind
that they may remember.
[222] ﻭَﻳَﺴـَٔﻠﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻤَﺤﻴﺾِ ۖ
ﻗُﻞ ﻫُﻮَ ﺃَﺫًﻯ ﻓَﺎﻋﺘَﺰِﻟُﻮﺍ
ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀَ ﻓِﻰ ﺍﻟﻤَﺤﻴﺾِ ۖ ﻭَﻻ
ﺗَﻘﺮَﺑﻮﻫُﻦَّ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﻄﻬُﺮﻥَ ۖ ﻓَﺈِﺫﺍ
ﺗَﻄَﻬَّﺮﻥَ ﻓَﺄﺗﻮﻫُﻦَّ ﻣِﻦ ﺣَﻴﺚُ
ﺃَﻣَﺮَﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ
ﺍﻟﺘَّﻮّٰﺑﻴﻦَ ﻭَﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻤُﺘَﻄَﻬِّﺮﻳﻦَ
[222] আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস
করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও,
এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয
অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক।
তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,
যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন
উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন
কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ
তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই
আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা
থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে
পছন্দ করেন।
[222] They ask you concerning
menstruation. Say: that is an Adha (a
harmful thing for a husband to have a
sexual intercourse with his wife while
she is having her menses), therefore keep
away from women during menses and go
not unto them till they are purified
(from menses and have taken a bath).
And when they have purified
themselves, then go in unto them as
Allâh has ordained for you (go in unto
them in any manner as long as it is in
their vagina). Truly, Allâh loves those
who turn unto Him in repentance and
loves those who purify themselves (by
taking a bath and cleaning and washing
thoroughly their private parts, bodies,
for their prayers).
[223] ﻧِﺴﺎﺅُﻛُﻢ ﺣَﺮﺙٌ ﻟَﻜُﻢ
ﻓَﺄﺗﻮﺍ ﺣَﺮﺛَﻜُﻢ ﺃَﻧّﻰٰ ﺷِﺌﺘُﻢ ۖ
ﻭَﻗَﺪِّﻣﻮﺍ ﻟِﺄَﻧﻔُﺴِﻜُﻢ ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻧَّﻜُﻢ ﻣُﻠٰﻘﻮﻩُ ۗ
ﻭَﺑَﺸِّﺮِ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[223] তোমাদের স্ত্রীরা হলো
তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা
যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।
আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের
ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে
থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে,
আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে
সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান
এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে
দাও।
[223] Your wives are a tilth for you, so go
to your tilth, when or how you will, and
send (good deeds, or ask Allâh to bestow
upon you pious offspring) for your
ownselves beforehand. And fear Allâh,
and know that you are to meet Him (in
the Hereafter), and give good tidings to
the believers (O Muhammad SAW).
[224] ﻭَﻻ ﺗَﺠﻌَﻠُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋُﺮﺿَﺔً
ﻟِﺄَﻳﻤٰﻨِﻜُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﺒَﺮّﻭﺍ ﻭَﺗَﺘَّﻘﻮﺍ
ﻭَﺗُﺼﻠِﺤﻮﺍ ﺑَﻴﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺳَﻤﻴﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[224] আর নিজেদের শপথের জন্য
আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিও না
মানুষের সাথে কোন আচার আচরণ
থেকে পরহেযগারী থেকে এবং
মানুষের মাঝে মীমাংসা করে দেয়া
থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে।
আল্লাহ সবকিছুই শুনেন ও জানেন।
[224] And make not Allâh’s (Name) an
excuse in your oaths against your doing
good and acting piously, and making
peace among mankind. And Allâh is All-
Hearer, All-Knower (i.e. do not swear
much and if you have sworn against
doing something good then give an
expiation for the oath and do good).
[225] ﻻ ﻳُﺆﺍﺧِﺬُﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐﻮِ
ﻓﻰ ﺃَﻳﻤٰﻨِﻜُﻢ ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻳُﺆﺍﺧِﺬُﻛُﻢ
ﺑِﻤﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖ ﻗُﻠﻮﺑُﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺣَﻠﻴﻢٌ
[225] তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য
আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না,
কিন্তু সেসব কসমের ব্যাপারে ধরবেন,
তোমাদের মন যার প্রতিজ্ঞা করেছে।
আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী
ধৈর্য্যশীল।
[225] Allâh will not call you to account
for that which is unintentional in your
oaths, but He will call you to account for
that which your hearts have earned. And
Allâh is Oft-Forgiving, Most-Forbearing.
[226] ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﻳُﺆﻟﻮﻥَ ﻣِﻦ
ﻧِﺴﺎﺋِﻬِﻢ ﺗَﺮَﺑُّﺺُ ﺃَﺭﺑَﻌَﺔِ ﺃَﺷﻬُﺮٍ ۖ
ﻓَﺈِﻥ ﻓﺎﺀﻭ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻔﻮﺭٌ
ﺭَﺣﻴﻢٌ
[226] যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট
গমন করবেনা বলে কসম খেয়ে বসে
তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ
রয়েছে অতঃপর যদি পারস্পরিক মিল-
মিশ করে নেয়, তবে আল্লাহ
ক্ষামাকারী দয়ালু।
[226] Those who take an oath not to have
sexual relation with their wives must
wait for four months, then if they return
(change their idea in this period), verily,
Allâh is Oft-Forgiving, Most Merciful.
[227] ﻭَﺇِﻥ ﻋَﺰَﻣُﻮﺍ ﺍﻟﻄَّﻠٰﻖَ ﻓَﺈِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﻤﻴﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[227] আর যদি বর্জন করার সংকল্প করে
নেয়, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ
শ্রবণকারী ও জ্ঞানী।
[227] And if they decide upon divorce,
then Allâh is All-Hearer, All-Knower.
[228] ﻭَﺍﻟﻤُﻄَﻠَّﻘٰﺖُ ﻳَﺘَﺮَﺑَّﺼﻦَ
ﺑِﺄَﻧﻔُﺴِﻬِﻦَّ ﺛَﻠٰﺜَﺔَ ﻗُﺮﻭﺀٍ ۚ ﻭَﻻ
ﻳَﺤِﻞُّ ﻟَﻬُﻦَّ ﺃَﻥ ﻳَﻜﺘُﻤﻦَ ﻣﺎ ﺧَﻠَﻖَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻰ ﺃَﺭﺣﺎﻣِﻬِﻦَّ ﺇِﻥ ﻛُﻦَّ
ﻳُﺆﻣِﻦَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ۚ
ﻭَﺑُﻌﻮﻟَﺘُﻬُﻦَّ ﺃَﺣَﻖُّ ﺑِﺮَﺩِّﻫِﻦَّ ﻓﻰ
ﺫٰﻟِﻚَ ﺇِﻥ ﺃَﺭﺍﺩﻭﺍ ﺇِﺻﻠٰﺤًﺎ ۚ ﻭَﻟَﻬُﻦَّ
ﻣِﺜﻞُ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻋَﻠَﻴﻬِﻦَّ ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ۚ
ﻭَﻟِﻠﺮِّﺟﺎﻝِ ﻋَﻠَﻴﻬِﻦَّ ﺩَﺭَﺟَﺔٌ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺣَﻜﻴﻢٌ
[228] আর তালাকপ্রাপ্তা নারী
নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন
হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর
প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর
ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ
যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা
লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি
সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে
তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার
তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর
পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার
রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও
অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম
অনুযায়ী। আর নারীরদের ওপর পুরুষদের
শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ হচ্ছে
পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।
[228] And divorced women shall wait (as
regards their marriage) for three
menstrual periods, and it is not lawful
for them to conceal what Allâh has
created in their wombs, if they believe
in Allâh and the Last Day. And their
husbands have the better right to take
them back in that period, if they wish for
reconciliation. And they (women) have
rights (over their husbands as regards
living expenses) similar (to those of their
husbands) over them (as regards
obedience and respect) to what is
reasonable, but men have a degree (of
responsibility) over them. And Allâh is
All-Mighty, All-Wise.
[229] ﺍﻟﻄَّﻠٰﻖُ ﻣَﺮَّﺗﺎﻥِ ۖ ﻓَﺈِﻣﺴﺎﻙٌ
ﺑِﻤَﻌﺮﻭﻑٍ ﺃَﻭ ﺗَﺴﺮﻳﺢٌ ﺑِﺈِﺣﺴٰﻦٍ ۗ
ﻭَﻻ ﻳَﺤِﻞُّ ﻟَﻜُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﺄﺧُﺬﻭﺍ
ﻣِﻤّﺎ ﺀﺍﺗَﻴﺘُﻤﻮﻫُﻦَّ ﺷَﻴـًٔﺎ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ
ﻳَﺨﺎﻓﺎ ﺃَﻟّﺎ ﻳُﻘﻴﻤﺎ ﺣُﺪﻭﺩَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ
ﻓَﺈِﻥ ﺧِﻔﺘُﻢ ﺃَﻟّﺎ ﻳُﻘﻴﻤﺎ ﺣُﺪﻭﺩَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻼ ﺟُﻨﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻤﺎ ﻓﻴﻤَﺎ
ﺍﻓﺘَﺪَﺕ ﺑِﻪِ ۗ ﺗِﻠﻚَ ﺣُﺪﻭﺩُ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻓَﻼ ﺗَﻌﺘَﺪﻭﻫﺎ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَﻌَﺪَّ
ﺣُﺪﻭﺩَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ
ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻮﻥَ
[229] তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত
তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয়
সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর
নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু
ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য
জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু
যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ
ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা আল্লাহর
নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না,
অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে,
তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায়
রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে
স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি
নিয়ে নেয়, তবে উভয়ের মধ্যে
কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো
আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা।
কাজেই একে অতিক্রম করো না।
বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক
নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে, তারাই
জালেম।
[229] The divorce is twice, after that,
either you retain her on reasonable
terms or release her with kindness. And
it is not lawful for you (men) to take
back (from your wives) any of your Mahr
(bridal – money given by the husband to
his wife at the time of marriage) which
you have given them, except when both
parties fear that they would be unable to
keep the limits ordained by Allâh (e.g. to
deal with each other on a fair basis).
Then if you fear that they would not be
able to keep the limits ordained by Allâh,
then there is no sin on either of them if
she gives back (the Mahr or a part of it)
for her Al-Khul’ (divorce). These are the
limits ordained by Allâh, so do not
transgress them. And whoever
transgresses the limits ordained by Allâh,
then such are the Zâlimûn (wrong-
doers).
[230] ﻓَﺈِﻥ ﻃَﻠَّﻘَﻬﺎ ﻓَﻼ ﺗَﺤِﻞُّ ﻟَﻪُ
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪُ ﺣَﺘّﻰٰ ﺗَﻨﻜِﺢَ ﺯَﻭﺟًﺎ
ﻏَﻴﺮَﻩُ ۗ ﻓَﺈِﻥ ﻃَﻠَّﻘَﻬﺎ ﻓَﻼ ﺟُﻨﺎﺡَ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻤﺎ ﺃَﻥ ﻳَﺘَﺮﺍﺟَﻌﺎ ﺇِﻥ ﻇَﻨّﺎ
ﺃَﻥ ﻳُﻘﻴﻤﺎ ﺣُﺪﻭﺩَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﺗِﻠﻚَ
ﺣُﺪﻭﺩُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳُﺒَﻴِّﻨُﻬﺎ ﻟِﻘَﻮﻡٍ
ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[230] তারপর যদি সে স্ত্রীকে
(তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে
স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর
কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না
নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর
যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে
দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই
পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন
পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায়
রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো
আল্লাহ কতৃêক নির্ধারিত সীমা;
যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব
বর্ণনা করা হয়।
[230] And if he has divorced her (the
third time), then she is not lawful unto
him thereafter until she has married
another husband. Then, if the other
husband divorces her, it is no sin on
both of them that they reunite, provided
they feel that they can keep the limits
ordained by Allâh. These are the limits of
Allâh, which He makes plain for the
people who have knowledge.
[231] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻃَﻠَّﻘﺘُﻢُ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀَ
ﻓَﺒَﻠَﻐﻦَ ﺃَﺟَﻠَﻬُﻦَّ ﻓَﺄَﻣﺴِﻜﻮﻫُﻦَّ
ﺑِﻤَﻌﺮﻭﻑٍ ﺃَﻭ ﺳَﺮِّﺣﻮﻫُﻦَّ
ﺑِﻤَﻌﺮﻭﻑٍ ۚ ﻭَﻻ ﺗُﻤﺴِﻜﻮﻫُﻦَّ
ﺿِﺮﺍﺭًﺍ ﻟِﺘَﻌﺘَﺪﻭﺍ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻔﻌَﻞ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻓَﻘَﺪ ﻇَﻠَﻢَ ﻧَﻔﺴَﻪُ ۚ ﻭَﻻ
ﺗَﺘَّﺨِﺬﻭﺍ ﺀﺍﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻫُﺰُﻭًﺍ ۚ
ﻭَﺍﺫﻛُﺮﻭﺍ ﻧِﻌﻤَﺖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻭَﻣﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﻭَﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔِ ﻳَﻌِﻈُﻜُﻢ ﺑِﻪِ ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺑِﻜُﻞِّ
ﺷَﻲﺀٍ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[231] আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে
তালাক দিয়ে দাও, অতঃপর তারা
নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্ত করে নেয়, তখন
তোমরা নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে
রেখে দাও অথবা সহানুভুতির সাথে
তাদেরকে মুক্ত করে দাও। আর তোমরা
তাদেরকে জ্বালাতন ও বাড়াবাড়ি
করার উদ্দেশ্যে আটকে রেখো না। আর
যারা এমন করবে, নিশ্চয়ই তারা
নিজেদেরই ক্ষতি করবে। আর আল্লাহর
নির্দেশকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত
করো না। আল্লাহর সে অনুগ্রহের কথা
স্মরণ কর, যা তোমাদের উপর রয়েছে
এবং তাও স্মরণ কর, যে কিতাব ও
জ্ঞানের কথা তোমাদের উপর নাযিল
করা হয়েছে যার দ্বারা তোমাদেরকে
উপদেশ দান করা হয়। আল্লাহকে ভয় কর
এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ
সর্ববিষয়েই জ্ঞানময়।
[231] And when you have divorced
women and they have fulfilled the term
of their prescribed period, either take
them back on reasonable basis or set
them free on reasonable basis. But do
not take them back to hurt them, and
whoever does that, then he has wronged
himself. And treat not the Verses (Laws)
of Allâh as a jest, but remember Allâh’s
Favours on you (i.e. Islâm), and that
which He has sent down to you of the
Book (i.e. the Qur’ân) and Al-Hikmah
(the Prophet’s Sunnah – legal ways –
Islâmic jurisprudence). whereby He
instructs you. And fear Allâh, and know
that Allâh is All-Aware of everything.
[232] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻃَﻠَّﻘﺘُﻢُ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀَ
ﻓَﺒَﻠَﻐﻦَ ﺃَﺟَﻠَﻬُﻦَّ ﻓَﻼ ﺗَﻌﻀُﻠﻮﻫُﻦَّ
ﺃَﻥ ﻳَﻨﻜِﺤﻦَ ﺃَﺯﻭٰﺟَﻬُﻦَّ ﺇِﺫﺍ
ﺗَﺮٰﺿَﻮﺍ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ۗ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻳﻮﻋَﻆُ ﺑِﻪِ ﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﻳُﺆﻣِﻦُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ۗ ﺫٰﻟِﻜُﻢ ﺃَﺯﻛﻰٰ ﻟَﻜُﻢ
ﻭَﺃَﻃﻬَﺮُ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻌﻠَﻢُ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﻻ
ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[232] আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে
তালাক দিয়ে দাও এবং তারপর তারাও
নির্ধারিত ইদ্দত পূর্ন করতে থাকে, তখন
তাদেরকে পূর্ব স্বামীদের সাথে
পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে
নিয়মানুযায়ী বিয়ে করতে বাধাদান
করো না। এ উপদেশ তাকেই দেয়া
হচ্ছে, যে আল্লাহ ও কেয়ামত দিনের
উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে। এর মধ্যে
তোমাদের জন্য রয়েছে একান্ত
পরিশুদ্ধতা ও অনেক পবিত্রতা। আর
আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।
[232] And when you have divorced
women and they have fulfilled the term
of their prescribed period, do not
prevent them from marrying their
(former) husbands, if they mutually
agree on reasonable basis. This
(instruction) is an admonition for him
among you who believes in Allâh and the
Last Day. That is more virtuous and
purer for you. Allâh knows and you
know not.
[233] ۞ ﻭَﺍﻟﻮٰﻟِﺪٰﺕُ ﻳُﺮﺿِﻌﻦَ
ﺃَﻭﻟٰﺪَﻫُﻦَّ ﺣَﻮﻟَﻴﻦِ ﻛﺎﻣِﻠَﻴﻦِ ۖ ﻟِﻤَﻦ
ﺃَﺭﺍﺩَ ﺃَﻥ ﻳُﺘِﻢَّ ﺍﻟﺮَّﺿﺎﻋَﺔَ ۚ
ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻤَﻮﻟﻮﺩِ ﻟَﻪُ ﺭِﺯﻗُﻬُﻦَّ
ﻭَﻛِﺴﻮَﺗُﻬُﻦَّ ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ۚ ﻻ
ﺗُﻜَﻠَّﻒُ ﻧَﻔﺲٌ ﺇِﻟّﺎ ﻭُﺳﻌَﻬﺎ ۚ ﻻ
ﺗُﻀﺎﺭَّ ﻭٰﻟِﺪَﺓٌ ﺑِﻮَﻟَﺪِﻫﺎ ﻭَﻻ
ﻣَﻮﻟﻮﺩٌ ﻟَﻪُ ﺑِﻮَﻟَﺪِﻩِ ۚ ﻭَﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻮﺍﺭِﺙِ ﻣِﺜﻞُ ﺫٰﻟِﻚَ ۗ ﻓَﺈِﻥ ﺃَﺭﺍﺩﺍ
ﻓِﺼﺎﻟًﺎ ﻋَﻦ ﺗَﺮﺍﺽٍ ﻣِﻨﻬُﻤﺎ
ﻭَﺗَﺸﺎﻭُﺭٍ ﻓَﻼ ﺟُﻨﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻤﺎ ۗ
ﻭَﺇِﻥ ﺃَﺭَﺩﺗُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﺴﺘَﺮﺿِﻌﻮﺍ
ﺃَﻭﻟٰﺪَﻛُﻢ ﻓَﻼ ﺟُﻨﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺇِﺫﺍ
ﺳَﻠَّﻤﺘُﻢ ﻣﺎ ﺀﺍﺗَﻴﺘُﻢ ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ۗ
ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺑَﺼﻴﺮٌ
[233] আর সন্তানবতী নারীরা তাদের
সন্তানদেরকে পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে,
যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত
করতে চায়। আর সন্তানের অধিকারী
অর্থাৎ, পিতার উপর হলো সে সমস্ত
নারীর খোর-পোষের দায়িত্ব
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী। কাউকে তার
সামর্থাতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন করা
হয় না। আর মাকে তার সন্তানের জন্য
ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এবং যার
সন্তান তাকেও তার সন্তানের কারণে
ক্ষতির সম্মুখীন করা যাবে না। আর
ওয়ারিসদের উপরও দায়িত্ব এই। তারপর
যদি পিতা-মাতা ইচ্ছা করে, তাহলে
দু’বছরের ভিতরেই নিজেদের
পারস্পরিক পরামর্শক্রমে দুধ ছাড়িয়ে
দিতে পারে, তাতে তাদের কোন পাপ
নেই, আর যদি তোমরা কোন ধাত্রীর
দ্বারা নিজের সন্তানদেরকে দুধ
খাওয়াতে চাও, তাহলে যদি তোমরা
সাব্যস্তকৃত প্রচলিত বিনিময় দিয়ে দাও
তাতেও কোন পাপ নেই। আর
আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখো
যে, আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ
অত্যন্ত ভাল করেই দেখেন।
[233] The mothers shall give suck to their
children for two whole years, (that is) for
those (parents) who desire to complete
the term of suckling, but the father of the
child shall bear the cost of the mother’s
food and clothing on a reasonable basis.
No person shall have a burden laid on
him greater than he can bear. No mother
shall be treated unfairly on account of
her child, nor father on account of his
child. And on the (father’s) heir is
incumbent the like of that (which was
incumbent on the father). If they both
decide on weaning, by mutual consent,
and after due consultation, there is no
sin on them. And if you decide on a
foster suckling-mother for your children,
there is no sin on you, provided you pay
(the mother) what you agreed (to give
her) on reasonable basis. And fear Allâh
and know that Allâh is All-Seer of what
you do.
[234] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﺘَﻮَﻓَّﻮﻥَ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﻭَﻳَﺬَﺭﻭﻥَ ﺃَﺯﻭٰﺟًﺎ ﻳَﺘَﺮَﺑَّﺼﻦَ
ﺑِﺄَﻧﻔُﺴِﻬِﻦَّ ﺃَﺭﺑَﻌَﺔَ ﺃَﺷﻬُﺮٍ ﻭَﻋَﺸﺮًﺍ ۖ
ﻓَﺈِﺫﺍ ﺑَﻠَﻐﻦَ ﺃَﺟَﻠَﻬُﻦَّ ﻓَﻼ ﺟُﻨﺎﺡَ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻓﻴﻤﺎ ﻓَﻌَﻠﻦَ ﻓﻰ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻦَّ ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺧَﺒﻴﺮٌ
[234] আর তোমাদের মধ্যে যারা
মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের
স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে
স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার
মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে
রাখা। তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে
নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি
সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই।
আর তোমাদের যাবতীয় কাজের
ব্যাপারেই আল্লাহর অবগতি রয়েছে।
[234] And those of you who die and leave
wives behind them, they (the wives) shall
wait (as regards their marriage) for four
months and ten days, then when they
have fulfilled their term, there is no sin
on you if they (the wives) dispose of
themselves in a just and honourable
manner (i.e. they can marry). And Allâh
is Well-Acquainted with what you do
[235] ﻭَﻻ ﺟُﻨﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻓﻴﻤﺎ
ﻋَﺮَّﺿﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ ﺧِﻄﺒَﺔِ
ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ ﺃَﻭ ﺃَﻛﻨَﻨﺘُﻢ ﻓﻰ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻢ ۚ ﻋَﻠِﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻧَّﻜُﻢ
ﺳَﺘَﺬﻛُﺮﻭﻧَﻬُﻦَّ ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻻ
ﺗُﻮﺍﻋِﺪﻭﻫُﻦَّ ﺳِﺮًّﺍ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ
ﺗَﻘﻮﻟﻮﺍ ﻗَﻮﻟًﺎ ﻣَﻌﺮﻭﻓًﺎ ۚ ﻭَﻻ
ﺗَﻌﺰِﻣﻮﺍ ﻋُﻘﺪَﺓَ ﺍﻟﻨِّﻜﺎﺡِ ﺣَﺘّﻰٰ
ﻳَﺒﻠُﻎَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐُ ﺃَﺟَﻠَﻪُ ۚ ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ
ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﻌﻠَﻢُ ﻣﺎ ﻓﻰ ﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻢ
ﻓَﺎﺣﺬَﺭﻭﻩُ ۚ ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺣَﻠﻴﻢٌ
[235] আর যদি তোমরা আকার ইঙ্গিতে
সে নারীর বিয়ের পয়গাম দাও, কিংবা
নিজেদের মনে গোপন রাখ, তবে
তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই,
আল্লাহ জানেন যে, তোমরা অবশ্যই
সে নারীদের কথা উল্লেখ করবে।
কিন্তু তাদের সাথে বিয়ে করার
গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখো না।
অবশ্য শরীয়তের নির্ধারিত প্রথা
অনুযায়ী কোন কথা সাব্যস্ত করে
নেবে। আর নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্তি
পর্যায়ে না যাওয়া অবধি বিয়ে করার
কোন ইচ্ছা করো না। আর একথা
জেনে রেখো যে, তোমাদের মনে যে
কথা রয়েছে, আল্লাহর তা জানা আছে।
কাজেই তাঁকে ভয় করতে থাক। আর
জেনে রেখো যে, আল্লাহ ক্ষমাকারী
ও ধৈর্য্যশীল।
[235] And there is no sin on you if you
make a hint of betrothal or conceal it in
yourself, Allâh knows that you will
remember them, but do not make a
promise of contract with them in secret
except that you speak an honourable
saying according to the Islâmic law. And
do not consummate the marriage until
the term prescribed is fulfilled. And
know that Allâh knows what is in your
minds, so fear Him. And know that Allâh
is Oft-Forgiving, Most Forbearing.
[236] ﻻ ﺟُﻨﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺇِﻥ
ﻃَﻠَّﻘﺘُﻢُ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀَ ﻣﺎ ﻟَﻢ
ﺗَﻤَﺴّﻮﻫُﻦَّ ﺃَﻭ ﺗَﻔﺮِﺿﻮﺍ ﻟَﻬُﻦَّ
ﻓَﺮﻳﻀَﺔً ۚ ﻭَﻣَﺘِّﻌﻮﻫُﻦَّ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻤﻮﺳِﻊِ ﻗَﺪَﺭُﻩُ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻤُﻘﺘِﺮِ
ﻗَﺪَﺭُﻩُ ﻣَﺘٰﻌًﺎ ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ۖ ﺣَﻘًّﺎ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻤُﺤﺴِﻨﻴﻦَ
[236] স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করার আগে
এবং কোন মোহর সাব্যস্ত করার
পূর্বেও যদি তালাক দিয়ে দাও, তবে
তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই।
তবে তাদেরকে কিছু খরচ দেবে। আর
সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সামর্থ্য
অনুযায়ী এবং কম সামর্থ্যবানদের জন্য
তাদের সাধ্য অনুযায়ী। যে খরচ প্রচলিত
রয়েছে তা সৎকর্মশীলদের উপর
দায়িত্ব।
[236] There is no sin on you, if you
divorce women while yet you have not
touched (had sexual relation with) them,
nor appointed unto them their Mahr
(bridal – money given by the husband to
his wife at the time of marriage). But
bestow on them ( a suitable gift), the rich
according to his means, and the poor
according to his means, a gift of
reasonable amount is a duty on the
doers of good.
[237] ﻭَﺇِﻥ ﻃَﻠَّﻘﺘُﻤﻮﻫُﻦَّ ﻣِﻦ
ﻗَﺒﻞِ ﺃَﻥ ﺗَﻤَﺴّﻮﻫُﻦَّ ﻭَﻗَﺪ
ﻓَﺮَﺿﺘُﻢ ﻟَﻬُﻦَّ ﻓَﺮﻳﻀَﺔً ﻓَﻨِﺼﻒُ
ﻣﺎ ﻓَﺮَﺿﺘُﻢ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ ﻳَﻌﻔﻮﻥَ ﺃَﻭ
ﻳَﻌﻔُﻮَﺍ۟ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ﻋُﻘﺪَﺓُ
ﺍﻟﻨِّﻜﺎﺡِ ۚ ﻭَﺃَﻥ ﺗَﻌﻔﻮﺍ ﺃَﻗﺮَﺏُ
ﻟِﻠﺘَّﻘﻮﻯٰ ۚ ﻭَﻻ ﺗَﻨﺴَﻮُﺍ ﺍﻟﻔَﻀﻞَ
ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
ﺑَﺼﻴﺮٌ
[237] আর যদি মোহর সাব্যস্ত করার পর
স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিয়ে দাও,
তাহলে যে, মোহর সাব্যস্ত করা
হয়েছে তার অর্ধেক দিয়ে দিতে হবে।
অবশ্য যদি নারীরা ক্ষমা করে দেয়
কিংবা বিয়ের বন্ধন যার অধিকারে
সে (অর্থাৎ, স্বামী) যদি ক্ষমা করে
দেয় তবে তা স্বতন্ত্র কথা। আর
তোমরা পুরুষরা যদি ক্ষমা কর, তবে তা
হবে পরহেযগারীর নিকটবর্তী। আর
পারস্পরিক সহানুভূতির কথা বিস্মৃত
হয়ো না। নিশ্চয় তোমরা যা কিছু কর
আল্লাহ সেসবই অত্যন্ত ভাল করে
দেখেন।
[237] And if you divorce them before you
have touched (had a sexual relation
with) them, and you have appointed
unto them the Mahr (bridal money given
by the husbands to his wife at the time of
marriage), then pay half of that (Mahr),
unless they (the women) agree to forego
it, or he (the husband), in whose hands is
the marriage tie, agrees to forego and
give her full appointed Mahr. And to
forego and give (her the full Mahr) is
nearer to At-Taqwa (piety,
righteousness). And do not forget
liberality between yourselves. Truly,
Allâh is All-Seer of what you do.
[238] ﺣٰﻔِﻈﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠَﻮٰﺕِ
ﻭَﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓِ ﺍﻟﻮُﺳﻄﻰٰ ﻭَﻗﻮﻣﻮﺍ
ﻟِﻠَّﻪِ ﻗٰﻨِﺘﻴﻦَ
[238] সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও,
বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের
ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে
একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।
[238] Guard strictly (five obligatory)
As¬Salawât (the prayers) especially the
middle Salât (i.e. the best prayer ¬ ‘Asr).
And stand before Allâh with obedience
[and do not speak to others during the
Salât (prayers)].
[239] ﻓَﺈِﻥ ﺧِﻔﺘُﻢ ﻓَﺮِﺟﺎﻟًﺎ ﺃَﻭ
ﺭُﻛﺒﺎﻧًﺎ ۖ ﻓَﺈِﺫﺍ ﺃَﻣِﻨﺘُﻢ ﻓَﺎﺫﻛُﺮُﻭﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛَﻤﺎ ﻋَﻠَّﻤَﻜُﻢ ﻣﺎ ﻟَﻢ
ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[239] অতঃপর যদি তোমাদের কারো
ব্যাপারে ভয় থাকে, তাহলে পদচারী
অবস্থাতেই পড়ে নাও অথবা সওয়ারীর
উপরে। তারপর যখন তোমরা নিরাপত্তা
পাবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর,
যেভাবে তোমাদের শেখানো
হয়েছে, যা তোমরা ইতিপূর্বে জানতে
না।
[239] And if you fear (an enemy),
perfrom Salât (pray) on foot or riding.
And when you are in safety, offer the
Salât (prayer) in the manner He has
taught you, which you knew not (before).
[240] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﺘَﻮَﻓَّﻮﻥَ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﻭَﻳَﺬَﺭﻭﻥَ ﺃَﺯﻭٰﺟًﺎ ﻭَﺻِﻴَّﺔً
ﻟِﺄَﺯﻭٰﺟِﻬِﻢ ﻣَﺘٰﻌًﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺤَﻮﻝِ
ﻏَﻴﺮَ ﺇِﺧﺮﺍﺝٍ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﺧَﺮَﺟﻦَ ﻓَﻼ
ﺟُﻨﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻓﻰ ﻣﺎ ﻓَﻌَﻠﻦَ
ﻓﻰ ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻦَّ ﻣِﻦ ﻣَﻌﺮﻭﻑٍ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺣَﻜﻴﻢٌ
[240] আর যখন তোমাদের মধ্যে যারা
মৃত্যুবরণ করবে তখন স্ত্রীদের ঘর থেকে
বের না করে এক বছর পর্যন্ত তাদের
খরচের ব্যাপারে ওসিয়ত করে যাবে।
অতঃপর যদি সে স্ত্রীরা নিজে থেকে
বেরিয়ে যায়, তাহলে সে নারী যদি
নিজের ব্যাপারে কোন উত্তম ব্যবস্থা
করে, তবে তাতে তোমাদের উপর
কোন পাপ নেই। আর আল্লাহ হচ্ছেন
পরাক্রমশালী বিজ্ঞতা সম্পন্ন।
[240] And those of you who die and leave
behind wives should bequeath for their
wives a year’s maintenance and
residence without turning them out, but
if they (wives) leave, there is no sin on
you for that which they do of themselves,
provided it is honourable (e.g. lawful
marriage). And Allâh is All-Mighty, All-
Wise.
[241] ﻭَﻟِﻠﻤُﻄَﻠَّﻘٰﺖِ ﻣَﺘٰﻊٌ
ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ۖ ﺣَﻘًّﺎ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[241] আর তালাকপ্রাপ্তা নারীদের
জন্য প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী খরচ দেয়া
পরহেযগারদের উপর কর্তব্য।
[241] And for divorced women,
maintenance (should be provided) on
reasonable (scale). This is a duty on Al-
Muttaqûn (the pious – see V.2:2).
[242] ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻳُﺒَﻴِّﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢ
ﺀﺍﻳٰﺘِﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[242] এভাবেই আল্লাহ তা’আলা
তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা
করেন যাতে তোমরা তা বুঝতে পার।
[242] Thus Allâh makes clear His Ayât
(Laws) to you, in order that you may
understand.
[243] ۞ ﺃَﻟَﻢ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺧَﺮَﺟﻮﺍ ﻣِﻦ ﺩِﻳٰﺮِﻫِﻢ ﻭَﻫُﻢ
ﺃُﻟﻮﻑٌ ﺣَﺬَﺭَ ﺍﻟﻤَﻮﺕِ ﻓَﻘﺎﻝَ ﻟَﻬُﻢُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣﻮﺗﻮﺍ ﺛُﻢَّ ﺃَﺣﻴٰﻬُﻢ ۚ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﺬﻭ ﻓَﻀﻞٍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ
ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺃَﻛﺜَﺮَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻻ
ﻳَﺸﻜُﺮﻭﻥَ
[243] তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা
মৃত্যুর ভয়ে নিজেদের ঘর ছেড়ে
বেরিয়ে গিয়েছিলেন? অথচ তারা ছিল
হাজার হাজার। তারপর আল্লাহ
তাদেরকে বললেন মরে যাও। তারপর
তাদেরকে জীবিত করে দিলেন।
নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের উপর
অনুগ্রহকারী। কিন্তু অধিকাংশ লোক
শুকরিয়া প্রকাশ করে না।
[243] Did you (O Muhammad SAW) not
think of those who went forth from their
homes in thousands, fearing death? Allâh
said to them, “Die”. And then He restored
them to life. Truly, Allâh is full of Bounty
to mankind, but most men thank not.
[244] ﻭَﻗٰﺘِﻠﻮﺍ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﻤﻴﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[244] আল্লাহর পথে লড়াই কর এবং
জেনে রাখ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ
সবকিছু জানেন, সবকিছু শুনেন।
[244] And fight in the Way of Allâh and
know that Allâh is All-Hearer, All-
Knower.
[245] ﻣَﻦ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻳُﻘﺮِﺽُ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻗَﺮﺿًﺎ ﺣَﺴَﻨًﺎ ﻓَﻴُﻀٰﻌِﻔَﻪُ ﻟَﻪُ
ﺃَﺿﻌﺎﻓًﺎ ﻛَﺜﻴﺮَﺓً ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻘﺒِﺾُ
ﻭَﻳَﺒﺼُۜﻂُ ﻭَﺇِﻟَﻴﻪِ ﺗُﺮﺟَﻌﻮﻥَ
[245] এমন কে আছে যে, আল্লাহকে
করজ দেবে, উত্তম করজ; অতঃপর
আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ-বহুগুণ বৃদ্ধি করে
দিবেন। আল্লাহই সংকোচিত করেন
এবং তিনিই প্রশস্ততা দান করেন এবং
তাঁরই নিকট তোমরা সবাই ফিরে
যাবে।
[245] Who is he that will lend to Allâh a
goodly loan so that He may multiply it to
him many times? And it is Allâh that
decreases or increases (your provisions),
and unto Him you shall return.
[246] ﺃَﻟَﻢ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻤَﻠَﺈِ ﻣِﻦ ﺑَﻨﻰ
ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﻮﺳﻰٰ ﺇِﺫ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟِﻨَﺒِﻰٍّ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﺑﻌَﺚ ﻟَﻨﺎ
ﻣَﻠِﻜًﺎ ﻧُﻘٰﺘِﻞ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ
ﻗﺎﻝَ ﻫَﻞ ﻋَﺴَﻴﺘُﻢ ﺇِﻥ ﻛُﺘِﺐَ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﻘِﺘﺎﻝُ ﺃَﻟّﺎ ﺗُﻘٰﺘِﻠﻮﺍ ۖ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻭَﻣﺎ ﻟَﻨﺎ ﺃَﻟّﺎ ﻧُﻘٰﺘِﻞَ ﻓﻰ
ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻗَﺪ ﺃُﺧﺮِﺟﻨﺎ ﻣِﻦ
ﺩِﻳٰﺮِﻧﺎ ﻭَﺃَﺑﻨﺎﺋِﻨﺎ ۖ ﻓَﻠَﻤّﺎ ﻛُﺘِﺐَ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢُ ﺍﻟﻘِﺘﺎﻝُ ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﺇِﻟّﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
ﻣِﻨﻬُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻢٌ ﺑِﺎﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[246] মূসার পরে তুমি কি বনী
ইসরাঈলের একটি দলকে দেখনি, যখন
তারা বলেছে নিজেদের নবীর কাছে
যে, আমাদের জন্য একজন বাদশাহ
নির্ধারিত করে দিন যাতে আমরা
আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি। নবী
বললেন, তোমাদের প্রতিও কি এমন
ধারণা করা যায় যে, লড়াইর হুকুম যদি
হয়, তাহলে তখন তোমরা লড়বে না?
তারা বলল, আমাদের কি হয়েছে যে,
আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করব না।
অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি
নিজেদের ঘর-বাড়ী ও সন্তান-সন্ততি
থেকে। অতঃপর যখন লড়াইয়ের নির্দেশ
হলো, তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া
তাদের সবাই ঘুরে দাঁড়ালো। আর
আল্লাহ তা’আলা জালেমদের ভাল
করেই জানেন।
[246] Have you not thought about the
group of the Children of Israel after (the
time of) Musâ (Moses)? When they said
to a Prophet of theirs, “Appoint for us a
king and we will fight in Allâh’s Way.”
He said, “Would you then refrain from
fighting, if fighting was prescribed for
you?” They said, “Why should we not
fight in Allâh’s Way while we have been
driven out of our homes and our
children (families have been taken as
captives)?” But when fighting was
ordered for them, they turned away, all
except a few of them. And Allâh is All-
Aware of the Zâlimûn (polytheists and
wrong-doers).
[247] ﻭَﻗﺎﻝَ ﻟَﻬُﻢ ﻧَﺒِﻴُّﻬُﻢ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻗَﺪ ﺑَﻌَﺚَ ﻟَﻜُﻢ ﻃﺎﻟﻮﺕَ ﻣَﻠِﻜًﺎ ۚ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺃَﻧّﻰٰ ﻳَﻜﻮﻥُ ﻟَﻪُ ﺍﻟﻤُﻠﻚُ
ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ﻭَﻧَﺤﻦُ ﺃَﺣَﻖُّ ﺑِﺎﻟﻤُﻠﻚِ
ﻣِﻨﻪُ ﻭَﻟَﻢ ﻳُﺆﺕَ ﺳَﻌَﺔً ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻤﺎﻝِ ۚ ﻗﺎﻝَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺍﺻﻄَﻔﻯٰﻪُ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻭَﺯﺍﺩَﻩُ
ﺑَﺴﻄَﺔً ﻓِﻰ ﺍﻟﻌِﻠﻢِ ﻭَﺍﻟﺠِﺴﻢِ ۖ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺆﺗﻰ ﻣُﻠﻜَﻪُ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭٰﺳِﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[247] আর তাদেরকে তাদের নবী
বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তালূতকে
তোমাদের জন্য বাদশাহ সাব্যস্ত
করেছেন। তারা বলতে লাগল তা কেমন
করে হয় যে, তার শাসন চলবে আমাদের
উপর। অথচ রাষ্ট্রক্ষমতা পাওয়ার
ক্ষেত্রে তার চেয়ে আমাদেরই
অধিকার বেশী। আর সে সম্পদের দিক
দিয়েও সচ্ছল নয়। নবী বললেন, নিশ্চয়
আল্লাহ তোমাদের উপর তাকে পছন্দ
করেছেন এবং স্বাস্থ্য ও জ্ঞানের
দিক দিয়ে প্রাচুর্য দান করেছেন।
বস্তুতঃ আল্লাহ তাকেই রাজ্য দান
করেন, যাকে ইচ্ছা। আর আল্লাহ হলেন
অনুগ্রহ দানকারী এবং সব বিষয়ে
অবগত।
[247] And their Prophet (Samuel A.S.)
said to them, “Indeed Allâh has
appointed Talût (Saul) as a king over
you.” They said, “How can he be a king
over us when we are fitter than him for
the kingdom, and he has not been given
enough wealth.” He said: “Verily, Allâh
has chosen him above you and has
increased him abundantly in knowledge
and stature. And Allâh grants His
Kingdom to whom He wills. And Allâh is
All-Sufficient for His creatures’ needs,
All-Knower.”
[248] ﻭَﻗﺎﻝَ ﻟَﻬُﻢ ﻧَﺒِﻴُّﻬُﻢ ﺇِﻥَّ
ﺀﺍﻳَﺔَ ﻣُﻠﻜِﻪِ ﺃَﻥ ﻳَﺄﺗِﻴَﻜُﻢُ
ﺍﻟﺘّﺎﺑﻮﺕُ ﻓﻴﻪِ ﺳَﻜﻴﻨَﺔٌ ﻣِﻦ
ﺭَﺑِّﻜُﻢ ﻭَﺑَﻘِﻴَّﺔٌ ﻣِﻤّﺎ ﺗَﺮَﻙَ ﺀﺍﻝُ
ﻣﻮﺳﻰٰ ﻭَﺀﺍﻝُ ﻫٰﺮﻭﻥَ ﺗَﺤﻤِﻠُﻪُ
ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ ۚ ﺇِﻥَّ ﻓﻰ ﺫٰﻟِﻚَ ﻝَﺀﺍﻳَﺔً
ﻟَﻜُﻢ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[248] বনী-ইসরাঈলদেরকে তাদের নবী
আরো বললেন, তালূতের নেতৃত্বের
চিহ্ন হলো এই যে, তোমাদের কাছে
একটা সিন্দুক আসবে তোমাদের
পালকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের
মনের সন্তুষ্টির নিমিত্তে। আর তাতে
থাকবে মূসা, হারুন এবং তাঁদের
সন্তানবর্গের পরিত্যক্ত কিছু সামগ্রী।
সিন্দুকটিকে বয়ে আনবে ফেরেশতারা।
তোমরা যদি ঈমানদার হয়ে থাক,
তাহলে এতে তোমাদের জন্য নিশ্চিতই
পরিপূর্ণ নিদর্শন রয়েছে।
[248] And their Prophet (Samuel A.S.)
said to them: Verily! The sign of His
Kingdom is that there shall come to you
At-Tâbût (a wooden box), wherein is
Sakinah (peace and reassurance) from
your Lord and a remnant of that which
Mûsâ (Moses) and Hârûn (Aaron) left
behind, carried by the angels. Verily, in
this is a sign for you if you are indeed
believers.
[249] ﻓَﻠَﻤّﺎ ﻓَﺼَﻞَ ﻃﺎﻟﻮﺕُ
ﺑِﺎﻟﺠُﻨﻮﺩِ ﻗﺎﻝَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻣُﺒﺘَﻠﻴﻜُﻢ ﺑِﻨَﻬَﺮٍ ﻓَﻤَﻦ ﺷَﺮِﺏَ
ﻣِﻨﻪُ ﻓَﻠَﻴﺲَ ﻣِﻨّﻰ ﻭَﻣَﻦ ﻟَﻢ
ﻳَﻄﻌَﻤﻪُ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻣِﻨّﻰ ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦِ
ﺍﻏﺘَﺮَﻑَ ﻏُﺮﻓَﺔً ﺑِﻴَﺪِﻩِ ۚ ﻓَﺸَﺮِﺑﻮﺍ
ﻣِﻨﻪُ ﺇِﻟّﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ ﻣِﻨﻬُﻢ ۚ ﻓَﻠَﻤّﺎ
ﺟﺎﻭَﺯَﻩُ ﻫُﻮَ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻣَﻌَﻪُ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻻ ﻃﺎﻗَﺔَ ﻟَﻨَﺎ ﺍﻟﻴَﻮﻡَ
ﺑِﺠﺎﻟﻮﺕَ ﻭَﺟُﻨﻮﺩِﻩِ ۚ ﻗﺎﻝَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻈُﻨّﻮﻥَ ﺃَﻧَّﻬُﻢ ﻣُﻠٰﻘُﻮﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛَﻢ ﻣِﻦ ﻓِﺌَﺔٍ ﻗَﻠﻴﻠَﺔٍ ﻏَﻠَﺒَﺖ
ﻓِﺌَﺔً ﻛَﺜﻴﺮَﺓً ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼّٰﺒِﺮﻳﻦَ
[249] অতঃপর তালূত যখন সৈন্য-সামন্ত
নিয়ে বেরুল, তখন বলল, নিশ্চয় আল্লাহ
তোমাদিগকে পরীক্ষা করবেন একটি
নদীর মাধ্যমে। সুতরাং যে লোক সেই
নদীর পানি পান করবে সে আমার নয়।
আর যে, লোক তার স্বাদ গ্রহণ করলো
না, নিশ্চয়ই সে আমার লোক। কিন্তু যে
লোক হাতের আঁজলা ভরে সামান্য
খেয়ে নেবে তার দোষঅবশ্য তেমন
গুরুতর হবে না। অতঃপর সবাই পান করল
সে পানি, সামান্য কয়েকজন ছাড়া।
পরে তালূত যখন তা পার হলো এবং
তার সাথে ছিল মাত্র কয়েকজন
ঈমানদার, তখন তারা বলতে লাগল,
আজকের দিনে জালূত এবং তার
সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার শক্তি
আমাদের নেই, যাদের ধারণা ছিল যে,
আল্লাহর সামনে তাদের একদিন
উপস্থিত হতে হবে, তারা বার বার
বলতে লাগল, সামান্য দলই বিরাট দলের
মোকাবেলায় জয়ী হয়েছে আল্লাহর
হুকুমে। আর যারা ধৈর্য্যশীল আল্লাহ
তাদের সাথে রয়েছেন।
[249] Then when Tâlût (Saul) set out with
the army, he said: “Verily! Allâh will try
you by a river. So whoever drinks
thereof, he is not of me, and whoever
tastes it not, he is of me, except him who
takes (thereof) in the hollow of his hand.”
Yet, they drank thereof, all, except a few
of them. So when he had crossed it (the
river), he and those who believed with
him, they said: “We have no power this
day against Jâlût (Goliath) and his hosts.”
But those who knew with certainty that
they were to meet their Lord, said: “How
often a small group overcame a mighty
host by Allâh’s Leave?” And Allâh is with
As-Sâbirûn (the patient).
[250] ﻭَﻟَﻤّﺎ ﺑَﺮَﺯﻭﺍ ﻟِﺠﺎﻟﻮﺕَ
ﻭَﺟُﻨﻮﺩِﻩِ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺃَﻓﺮِﻍ
ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ﺻَﺒﺮًﺍ ﻭَﺛَﺒِّﺖ ﺃَﻗﺪﺍﻣَﻨﺎ
ﻭَﺍﻧﺼُﺮﻧﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻘَﻮﻡِ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[250] আর যখন তালূত ও তার
সেনাবাহিনী শত্রুর সম্মুখীন হল, তখন
বলল, হে আমাদের পালনকর্তা,
আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও
এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ-আর
আমাদের সাহায্য কর সে কাফের
জাতির বিরুদ্ধে।
[250] And when they advanced to meet
Jâlût (Goliath) and his forces, they
invoked: “Our Lord! Pour forth on us
patience, and set firm our feet and make
us victorious over the disbelieving
people.”
[251] ﻓَﻬَﺰَﻣﻮﻫُﻢ ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻗَﺘَﻞَ ﺩﺍﻭۥﺩُ ﺟﺎﻟﻮﺕَ ﻭَﺀﺍﺗﻯٰﻪُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻤُﻠﻚَ ﻭَﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔَ ﻭَﻋَﻠَّﻤَﻪُ
ﻣِﻤّﺎ ﻳَﺸﺎﺀُ ۗ ﻭَﻟَﻮﻻ ﺩَﻓﻊُ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﺑَﻌﻀَﻬُﻢ ﺑِﺒَﻌﺾٍ
ﻟَﻔَﺴَﺪَﺕِ ﺍﻷَﺭﺽُ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺫﻭ ﻓَﻀﻞٍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[251] তারপর ঈমানদাররা আল্লাহর
হুকুমে জালূতের বাহিনীকে পরাজিত
করে দিল এবং দাউদ জালূতকে হত্যা
করল। আর আল্লাহ দাউদকে দান করলেন
রাজ্য ও অভিজ্ঞতা। আর তাকে যা
চাইলেন শিখালেন। আল্লাহ যদি
একজনকে অপরজনের দ্বারা প্রতিহত না
করতেন, তাহলে গোটা দুনিয়া বিধ্বস্ত
হয়ে যেতো। কিন্তু বিশ্ববাসীর প্রতি
আল্লাহ একান্তই দয়ালু, করুণাময়।
[251] So they routed them by Allâh’s
Leave and Dâwûd (David) killed Jâlût
(Goliath), and Allâh gave him [Dawûd
(David)] the kingdom [after the death of
Talût (Saul) and Samuel] and Al¬Hikmah
(Prophethood), and taught him of that
which He willed. And if Allâh did not
check one set of people by means of
another, the earth would indeed be full
of mischief. But Allâh is full of Bounty to
the ‘Alamîn (mankind, jinn and all that
exists).
[252] ﺗِﻠﻚَ ﺀﺍﻳٰﺖُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻧَﺘﻠﻮﻫﺎ
ﻋَﻠَﻴﻚَ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ۚ ﻭَﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﻤِﻦَ
ﺍﻟﻤُﺮﺳَﻠﻴﻦَ
[252] এগুলো হলো আল্লাহর নিদর্শন,
যা আমরা তোমাদেরকে যথাযথভাবে
শুনিয়ে থাকি। আর আপনি নিশ্চিতই
আমার রসূলগণের অন্তর্ভুক্ত।
[252] These are the Verses of Allâh, We
recite them to you (O Muhammad SAW)
in truth, and surely, you are one of the
Messengers (of Allâh).
[253] ۞ ﺗِﻠﻚَ ﺍﻟﺮُّﺳُﻞُ ﻓَﻀَّﻠﻨﺎ
ﺑَﻌﻀَﻬُﻢ ﻋَﻠﻰٰ ﺑَﻌﺾٍ ۘ ﻣِﻨﻬُﻢ
ﻣَﻦ ﻛَﻠَّﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۖ ﻭَﺭَﻓَﻊَ ﺑَﻌﻀَﻬُﻢ
ﺩَﺭَﺟٰﺖٍ ۚ ﻭَﺀﺍﺗَﻴﻨﺎ ﻋﻴﺴَﻰ ﺍﺑﻦَ
ﻣَﺮﻳَﻢَ ﺍﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖِ ﻭَﺃَﻳَّﺪﻧٰﻪُ ﺑِﺮﻭﺡِ
ﺍﻟﻘُﺪُﺱِ ۗ ﻭَﻟَﻮ ﺷﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﺎ
ﺍﻗﺘَﺘَﻞَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِﻫِﻢ ﻣِﻦ
ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ ﺟﺎﺀَﺗﻬُﻢُ ﺍﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖُ
ﻭَﻟٰﻜِﻦِ ﺍﺧﺘَﻠَﻔﻮﺍ ﻓَﻤِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ
ﺀﺍﻣَﻦَ ﻭَﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ ﻛَﻔَﺮَ ۚ ﻭَﻟَﻮ
ﺷﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﺎ ﺍﻗﺘَﺘَﻠﻮﺍ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﻔﻌَﻞُ ﻣﺎ ﻳُﺮﻳﺪُ
[253] এই রসূলগণ-আমি তাদের কাউকে
কারো উপর মর্যাদা দিয়েছি। তাদের
মধ্যে কেউ তো হলো তারা যার
সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন, আর কারও
মর্যাদা উচ্চতর করেছেন এবং আমি
মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রকৃষ্ট মু’জেযা দান
করেছি এবং তাকে শক্তি দান করেছি
‘রুহূল কুদ্দুস’ অর্থৎ জিবরাঈলের
মাধ্যমে। আর আল্লাহ যদি ইচ্ছা
করতেন, তাহলে পরিস্কার নির্দেশ
এসে যাবার পর পয়গম্বরদের পেছনে
যারা ছিল তারা লড়াই করতো না।
কিন্তু তাদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি
হয়ে গেছে। অতঃপর তাদের কেউ তো
ঈমান এনেছে, আর কেউ হয়েছে
কাফের। আর আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন,
তাহলে তারা পরস্পর লড়াই করতো,
কিন্তু আল্লাহ তাই করেন, যা তিনি
ইচ্ছা করেন।
[253] Those Messengers! We preferred
some often to others; to some of them
Allâh spoke (directly); others He raised
to degrees (of honour); and to ‘Īsā
(Jesus), the son of Maryam (Mary), We
gave clear proofs and evidences, and
supported him with Rûh-ul-Qudus
[Jibrael (Gabriel)]. If Allâh had willed,
succeeding generations would not have
fought against each other, after clear
Verses of Allâh had come to them, but
they differed – some of them believed
and others disbelieved. If Allâh had
willed, they would not have fought
against one another, but Allâh does what
He likes.
[254] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﺃَﻧﻔِﻘﻮﺍ ﻣِﻤّﺎ ﺭَﺯَﻗﻨٰﻜُﻢ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞِ
ﺃَﻥ ﻳَﺄﺗِﻰَ ﻳَﻮﻡٌ ﻻ ﺑَﻴﻊٌ ﻓﻴﻪِ ﻭَﻻ
ﺧُﻠَّﺔٌ ﻭَﻻ ﺷَﻔٰﻌَﺔٌ ۗ ﻭَﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻭﻥَ
ﻫُﻢُ ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻮﻥَ
[254] হে ঈমানদারগণ! আমি
তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি,
সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা
থেকে ব্যয় কর, যাতে না আছে বেচা-
কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা
বন্ধুত্ব। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত
যালেম।
[254] O you who believe! Spend of that
with which We have provided for you,
before a Day comes when there will be
no bargaining, nor friendship, nor
intercession. And it is the disbelievers
who are the Zâlimûn (wrong-doers).
[255] ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺤَﻰُّ
ﺍﻟﻘَﻴّﻮﻡُ ۚ ﻻ ﺗَﺄﺧُﺬُﻩُ ﺳِﻨَﺔٌ ﻭَﻻ
ﻧَﻮﻡٌ ۚ ﻟَﻪُ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣﺎ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۗ ﻣَﻦ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬﻯ
ﻳَﺸﻔَﻊُ ﻋِﻨﺪَﻩُ ﺇِﻟّﺎ ﺑِﺈِﺫﻧِﻪِ ۚ ﻳَﻌﻠَﻢُ
ﻣﺎ ﺑَﻴﻦَ ﺃَﻳﺪﻳﻬِﻢ ﻭَﻣﺎ ﺧَﻠﻔَﻬُﻢ ۖ
ﻭَﻻ ﻳُﺤﻴﻄﻮﻥَ ﺑِﺸَﻲﺀٍ ﻣِﻦ
ﻋِﻠﻤِﻪِ ﺇِﻟّﺎ ﺑِﻤﺎ ﺷﺎﺀَ ۚ ﻭَﺳِﻊَ
ﻛُﺮﺳِﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽَ ۖ
ﻭَﻻ ﻳَـٔﻮﺩُﻩُ ﺣِﻔﻈُﻬُﻤﺎ ۚ ﻭَﻫُﻮَ
ﺍﻟﻌَﻠِﻰُّ ﺍﻟﻌَﻈﻴﻢُ
[255] আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য
নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক।
তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না
এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা
কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে
সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি
ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে
যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।
তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন
কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না,
কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর
সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে
পরিবেষ্টিত করে আছে। আর
সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে
কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং
সর্বাপেক্ষা মহান।
[255] Allâh! Lâ ilâha illa Huwa (none has
the right to be worshipped but He), the
Ever Living, the One Who sustains and
protects all that exists. Neither slumber,
nor sleep overtake Him. To Him belongs
whatever is in the heavens and whatever
is on earth. Who is he that can intercede
with Him except with His Permission?
He knows what happens to them (His
creatures) in this world, and what will
happen to them in the Hereafter . And
they will never compass anything of His
Knowledge except that which He wills.
His Kursî extends over the heavens and
the earth, and He feels no fatigue in
guarding and preserving them. And He
is the Most High, the Most Great. [This
Verse 2:255 is called Ayat-ul-Kursî.]—
[256] ﻻ ﺇِﻛﺮﺍﻩَ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪّﻳﻦِ ۖ ﻗَﺪ
ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﺍﻟﺮُّﺷﺪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻐَﻰِّ ۚ ﻓَﻤَﻦ
ﻳَﻜﻔُﺮ ﺑِﺎﻟﻄّٰﻐﻮﺕِ ﻭَﻳُﺆﻣِﻦ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻓَﻘَﺪِ ﺍﺳﺘَﻤﺴَﻚَ ﺑِﺎﻟﻌُﺮﻭَﺓِ
ﺍﻟﻮُﺛﻘﻰٰ ﻟَﺎ ﺍﻧﻔِﺼﺎﻡَ ﻟَﻬﺎ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺳَﻤﻴﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[256] দ্বীনের ব্যাপারে কোন
জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই।
নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী
থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা
গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে মানবে
না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন
করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ়
হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই
শুনেন এবং জানেন।
[256] There is no compulsion in religion.
Verily, the Right Path has become
distinct from the wrong path. Whoever
disbelieves in Tâghût and believes in
Allâh, then he has grasped the most
trustworthy handhold that will never
break. And Allâh is All-Hearer, All-
Knower.
[257] ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟِﻰُّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻳُﺨﺮِﺟُﻬُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻈُّﻠُﻤٰﺖِ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻨّﻮﺭِ ۖ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺅُﻫُﻢُ ﺍﻟﻄّٰﻐﻮﺕُ
ﻳُﺨﺮِﺟﻮﻧَﻬُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﻮﺭِ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻈُّﻠُﻤٰﺖِ ۗ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺃَﺻﺤٰﺐُ
ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ۖ ﻫُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[257] যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ
তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি
বের করে আনেন অন্ধকার থেকে
আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে
তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা
তাদেরকে আলো থেকে বের করে
অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই
হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল
তারা সেখানেই থাকবে।
[257] Allâh is the Walî (Protector or
Guardian) of those who believe. He
brings them out from darkness into light.
But as for those who disbelieve, their
Auliyâ (supporters and helpers) are
Tâghût [false deities and false leaders],
they bring them out from light into
darkness. Those are the dwellers of the
Fire, and they will abide therein forever.
(see v.2:81,82)
[258] ﺃَﻟَﻢ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺣﺎﺝَّ
ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡَ ﻓﻰ ﺭَﺑِّﻪِ ﺃَﻥ ﺀﺍﺗﻯٰﻪُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻤُﻠﻚَ ﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡُ
ﺭَﺑِّﻰَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻳُﺤﻲۦ ﻭَﻳُﻤﻴﺖُ
ﻗﺎﻝَ ﺃَﻧﺎ۠ ﺃُﺣﻲۦ ﻭَﺃُﻣﻴﺖُ ۖ ﻗﺎﻝَ
ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡُ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺄﺗﻰ
ﺑِﺎﻟﺸَّﻤﺲِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤَﺸﺮِﻕِ ﻓَﺄﺕِ
ﺑِﻬﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤَﻐﺮِﺏِ ﻓَﺒُﻬِﺖَ ﺍﻟَّﺬﻯ
ﻛَﻔَﺮَ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﻳَﻬﺪِﻯ ﺍﻟﻘَﻮﻡَ
ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[258] তুমি কি সে লোককে দেখনি, যে
পালনকর্তার ব্যাপারে বাদানুবাদ
করেছিল ইব্রাহীমের সাথে এ কারণে
যে, আল্লাহ সে ব্যাক্তিকে রাজ্য দান
করেছিলেন? ইব্রাহীম যখন বললেন,
আমার পালনকর্তা হলেন তিনি, যিনি
জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে
বলল, আমি জীবন দান করি এবং মৃত্যু
ঘটিয়ে থাকি। ইব্রাহীম বললেন,
নিশ্চয়ই তিনি সুর্যকে উদিত করেন পূর্ব
দিক থেকে এবার তুমি তাকে পশ্চিম
দিক থেকে উদিত কর। তখন সে কাফের
হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ
সীমালংঘণকারী সম্প্রদায়কে সরল পথ
প্রদর্শন করেন না।
[258] Have you not looked at him who
disputed with Ibrâhim (Abraham) about
his Lord (Allâh), because Allâh had given
him the kingdom? When Ibrâhim
(Abraham) said (to him): “My Lord
(Allâh) is He Who gives life and causes
death.” He said, “I give life and cause
death.” Ibrâhim (Abraham) said, “Verily!
Allâh causes the sun to rise from the
east; then cause it you to rise from the
west.” So the disbeliever was utterly
defeated. And Allâh guides not the
people, who are Zâlimûn (wrong-doers).
[259] ﺃَﻭ ﻛَﺎﻟَّﺬﻯ ﻣَﺮَّ ﻋَﻠﻰٰ ﻗَﺮﻳَﺔٍ
ﻭَﻫِﻰَ ﺧﺎﻭِﻳَﺔٌ ﻋَﻠﻰٰ ﻋُﺮﻭﺷِﻬﺎ
ﻗﺎﻝَ ﺃَﻧّﻰٰ ﻳُﺤﻲۦ ﻫٰﺬِﻩِ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑَﻌﺪَ ﻣَﻮﺗِﻬﺎ ۖ ﻓَﺄَﻣﺎﺗَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﺎ۟ﺋَﺔَ
ﻋﺎﻡٍ ﺛُﻢَّ ﺑَﻌَﺜَﻪُ ۖ ﻗﺎﻝَ ﻛَﻢ ﻟَﺒِﺜﺖَ ۖ
ﻗﺎﻝَ ﻟَﺒِﺜﺖُ ﻳَﻮﻣًﺎ ﺃَﻭ ﺑَﻌﺾَ
ﻳَﻮﻡٍ ۖ ﻗﺎﻝَ ﺑَﻞ ﻟَﺒِﺜﺖَ ﻣِﺎ۟ﺋَﺔَ
ﻋﺎﻡٍ ﻓَﺎﻧﻈُﺮ ﺇِﻟﻰٰ ﻃَﻌﺎﻣِﻚَ
ﻭَﺷَﺮﺍﺑِﻚَ ﻟَﻢ ﻳَﺘَﺴَﻨَّﻪ ۖ ﻭَﺍﻧﻈُﺮ
ﺇِﻟﻰٰ ﺣِﻤﺎﺭِﻙَ ﻭَﻟِﻨَﺠﻌَﻠَﻚَ ﺀﺍﻳَﺔً
ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ۖ ﻭَﺍﻧﻈُﺮ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻌِﻈﺎﻡِ
ﻛَﻴﻒَ ﻧُﻨﺸِﺰُﻫﺎ ﺛُﻢَّ ﻧَﻜﺴﻮﻫﺎ
ﻟَﺤﻤًﺎ ۚ ﻓَﻠَﻤّﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻪُ ﻗﺎﻝَ
ﺃَﻋﻠَﻢُ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ
ﻗَﺪﻳﺮٌ
[259] তুমি কি সে লোককে দেখনি যে
এমন এক জনপদ দিয়ে যাচ্ছিল যার
বাড়ীঘরগুলো ভেঙ্গে ছাদের উপর পড়ে
ছিল? বলল, কেমন করে আল্লাহ মরনের
পর একে জীবিত করবেন? অতঃপর
আল্লাহ তাকে মৃত অবস্থায় রাখলেন
একশ বছর। তারপর তাকে উঠালেন।
বললেন, কত কাল এভাবে ছিলে? বলল
আমি ছিলাম, একদিন কংবা একদিনের
কিছু কম সময়। বললেন, তা নয়; বরং তুমি
তো একশ বছর ছিলে। এবার চেয়ে দেখ
নিজের খাবার ও পানীয়ের দিকে-
সেগুলো পচে যায় নি এবং দেখ
নিজের গাধাটির দিকে। আর আমি
তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত
বানাতে চেয়েছি। আর হাড়গুলোর
দিকে চেয়ে দেখ যে, আমি এগুলোকে
কেমন করে জুড়ে দেই এবং সেগুলোর
উপর মাংসের আবরণ পরিয়ে দেই।
অতঃপর যখন তার উপর এ অবস্থা
প্রকাশিত হল, তখন বলে উঠল-আমি
জানি, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্ব
বিষয়ে ক্ষমতাশীল।
[259] Or like the one who passed by a
town and it had tumbled over its roofs.
He said: “Oh! How will Allâh ever bring
it to life after its death?” So Allâh caused
him to die for a hundred years, then
raised him up (again). He said: “How
long did you remain (dead)?” He (the
man) said: “(Perhaps) I remained (dead)
a day or part of a day”. He said: “Nay,
you have remained (dead) for a hundred
years, look at your food and your drink,
they show no change; and look at your
donkey! And thus We have made of you
a sign for the people. Look at the bones,
how We bring them together and clothe
them with flesh”. When this was clearly
shown to him, he said, “I know (now)
that Allâh is Able to do all things.”
[260] ﻭَﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﺇِﺑﺮٰﻩۦﻡُ ﺭَﺏِّ
ﺃَﺭِﻧﻰ ﻛَﻴﻒَ ﺗُﺤﻰِ ﺍﻟﻤَﻮﺗﻰٰ ۖ
ﻗﺎﻝَ ﺃَﻭَﻟَﻢ ﺗُﺆﻣِﻦ ۖ ﻗﺎﻝَ ﺑَﻠﻰٰ
ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻟِﻴَﻄﻤَﺌِﻦَّ ﻗَﻠﺒﻰ ۖ ﻗﺎﻝَ
ﻓَﺨُﺬ ﺃَﺭﺑَﻌَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻄَّﻴﺮِ
ﻓَﺼُﺮﻫُﻦَّ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﺛُﻢَّ ﺍﺟﻌَﻞ
ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺟَﺒَﻞٍ ﻣِﻨﻬُﻦَّ ﺟُﺰﺀًﺍ
ﺛُﻢَّ ﺍﺩﻋُﻬُﻦَّ ﻳَﺄﺗﻴﻨَﻚَ ﺳَﻌﻴًﺎ ۚ
ﻭَﺍﻋﻠَﻢ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺣَﻜﻴﻢٌ
[260] আর স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম বলল,
হে আমার পালনকর্তা আমাকে দেখাও,
কেমন করে তুমি মৃতকে জীবিত করবে।
বললেন; তুমি কি বিশ্বাস কর না? বলল,
অবশ্যই বিশ্বাস করি, কিন্তু দেখতে
এজন্যে চাইছি যাতে অন্তরে প্রশান্তি
লাভ করতে পারি। বললেন, তাহলে
চারটি পাখী ধরে নাও। পরে
সেগুলোকে নিজের পোষ মানিয়ে
নাও, অতঃপর সেগুলোর দেহের
একেকটি অংশ বিভিন্ন পাহাড়ের উপর
রেখে দাও। তারপর সেগুলোকে ডাক;
তোমার নিকট দৌড়ে চলে আসবে। আর
জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ
পরাক্রমশালী, অতি জ্ঞান সম্পন্ন।
[260] And (remember) when Ibrâhim
(Abraham) said, “My Lord! Show me how
You give life to the dead.” He (Allâh)
said: “Do you not believe?” He [Ibrâhim
(Abraham)] said: “Yes (I believe), but to
be stronger in Faith.” He said: “Take four
birds, then cause them to incline towards
you (then slaughter them, cut them into
pieces), and then put a portion of them
on every hill, and call them, they will
come to you in haste. And know that
Allâh is All-Mighty, All-Wise.”
[261] ﻣَﺜَﻞُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ
ﺃَﻣﻮٰﻟَﻬُﻢ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛَﻤَﺜَﻞِ
ﺣَﺒَّﺔٍ ﺃَﻧﺒَﺘَﺖ ﺳَﺒﻊَ ﺳَﻨﺎﺑِﻞَ ﻓﻰ
ﻛُﻞِّ ﺳُﻨﺒُﻠَﺔٍ ﻣِﺎ۟ﺋَﺔُ ﺣَﺒَّﺔٍ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻳُﻀٰﻌِﻒُ ﻟِﻤَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭٰﺳِﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[261] যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন
সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি
বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ
জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে
দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল,
সর্বজ্ঞ।
[261] The likeness of those who spend
their wealth in the Way of Allâh, is as
the likeness of a grain (of corn); it grows
seven ears, and each ear has a hundred
grains. Allâh gives manifold increase to
whom He wills. And Allâh is All-
Sufficient for His creatures’ needs, All-
Knower
[262] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ ﺃَﻣﻮٰﻟَﻬُﻢ
ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺛُﻢَّ ﻻ ﻳُﺘﺒِﻌﻮﻥَ
ﻣﺎ ﺃَﻧﻔَﻘﻮﺍ ﻣَﻨًّﺎ ﻭَﻻ ﺃَﺫًﻯ ۙ ﻟَﻬُﻢ
ﺃَﺟﺮُﻫُﻢ ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻭَﻻ ﺧَﻮﻑٌ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﻻ ﻫُﻢ ﻳَﺤﺰَﻧﻮﻥَ
[262] যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর
রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর
সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং
কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের
পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার
এবং তাদের কোন আশংকা নেই,
তারা চিন্তিতও হবে না।
[262] Those who spend their wealth in
the Cause of Allâh, and do not follow up
their gifts with reminders of their
generosity or with injury, their reward is
with their Lord. On them shall be no
fear, nor shall they grieve
[263] ۞ ﻗَﻮﻝٌ ﻣَﻌﺮﻭﻑٌ
ﻭَﻣَﻐﻔِﺮَﺓٌ ﺧَﻴﺮٌ ﻣِﻦ ﺻَﺪَﻗَﺔٍ
ﻳَﺘﺒَﻌُﻬﺎ ﺃَﺫًﻯ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻨِﻰٌّ
ﺣَﻠﻴﻢٌ
[263] নম্র কথা বলে দেয়া এবং ক্ষমা
প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত অপেক্ষা
উত্তম, যার পরে কষ্ট দেয়া হয়। আল্লাহ
তা’আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু।
[263] Kind words and forgiving of faults
are better than Sadaqah (charity)
followed by injury. And Allâh is Rich
(Free of all Needs) and He is Most-
Forbearing.
[264] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗُﺒﻄِﻠﻮﺍ ﺻَﺪَﻗٰﺘِﻜُﻢ ﺑِﺎﻟﻤَﻦِّ
ﻭَﺍﻷَﺫﻯٰ ﻛَﺎﻟَّﺬﻯ ﻳُﻨﻔِﻖُ ﻣﺎﻟَﻪُ
ﺭِﺋﺎﺀَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻭَﻻ ﻳُﺆﻣِﻦُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ۖ ﻓَﻤَﺜَﻠُﻪُ
ﻛَﻤَﺜَﻞِ ﺻَﻔﻮﺍﻥٍ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺗُﺮﺍﺏٌ
ﻓَﺄَﺻﺎﺑَﻪُ ﻭﺍﺑِﻞٌ ﻓَﺘَﺮَﻛَﻪُ ﺻَﻠﺪًﺍ ۖ
ﻻ ﻳَﻘﺪِﺭﻭﻥَ ﻋَﻠﻰٰ ﺷَﻲﺀٍ ﻣِﻤّﺎ
ﻛَﺴَﺒﻮﺍ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﻳَﻬﺪِﻯ ﺍﻟﻘَﻮﻡَ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[264] হে ঈমানদারগণ!তোমরা
অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট
দিয়ে নিজেদের দান খয়রাত বরবাদ
করো না সে ব্যক্তির মত যে নিজের
ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে
ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালের
প্রতি বিশ্বাস রাখে না। অতএব, এ
ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত একটি মসৃণ পাথরের
মত যার উপর কিছু মাটি পড়েছিল।
অতঃপর এর উপর প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত
হলো, অনন্তর তাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার
করে দিল। তারা ঐ বস্তুর কোন সওয়াব
পায় না, যা তারা উপার্জন করেছে।
আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে পথ
প্রদর্শন করেন না।
[264] O you who believe! Do not render
in vain your Sadaqah (charity) by
reminders of your generosity or by
injury, like him who spends his wealth to
be seen of men, and he does not believe
in Allâh, nor in the Last Day. His
likeness is the likeness of a smooth rock
on which is a little dust; on it falls heavy
rain which leaves it bare. They are not
able to do anything with what they have
earned. And Allâh does not guide the
disbelieving people.
[265] ﻭَﻣَﺜَﻞُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ
ﺃَﻣﻮٰﻟَﻬُﻢُ ﺍﺑﺘِﻐﺎﺀَ ﻣَﺮﺿﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺗَﺜﺒﻴﺘًﺎ ﻣِﻦ ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ﻛَﻤَﺜَﻞِ
ﺟَﻨَّﺔٍ ﺑِﺮَﺑﻮَﺓٍ ﺃَﺻﺎﺑَﻬﺎ ﻭﺍﺑِﻞٌ
ﻓَـٔﺎﺗَﺖ ﺃُﻛُﻠَﻬﺎ ﺿِﻌﻔَﻴﻦِ ﻓَﺈِﻥ ﻟَﻢ
ﻳُﺼِﺒﻬﺎ ﻭﺍﺑِﻞٌ ﻓَﻄَﻞٌّ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤﺎ
ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺑَﺼﻴﺮٌ
[265] যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-
সম্পদ ব্যয় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি
অর্জনের লক্ষ্যে এবং নিজের মনকে
সুদৃঢ় করার জন্যে তাদের উদাহরণ
টিলায় অবস্থিত বাগানের মত, যাতে
প্রবল বৃষ্টিপাত হয়; অতঃপর দ্বিগুণ ফসল
দান করে। যদি এমন প্রবল বৃষ্টিপাত
নাও হয়, তবে হাল্কা বর্ষণই যথেষ্ট।
আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম যথার্থই
প্রত্যক্ষ করেন।
[265] And the likeness of those who
spend their wealth seeking Allâh’s
Pleasure while they in their ownselves
are sure and certain that Allâh will
reward them (for their spending in His
Cause), is the likeness of a garden on a
height; heavy rain falls on it and it
doubles its yield of harvest. And if it
does not receive heavy rain, light rain
suffices it. And Allâh is All-Seer of
(knows well) what you do.
[266] ﺃَﻳَﻮَﺩُّ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﻜﻮﻥَ
ﻟَﻪُ ﺟَﻨَّﺔٌ ﻣِﻦ ﻧَﺨﻴﻞٍ ﻭَﺃَﻋﻨﺎﺏٍ
ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ﻟَﻪُ
ﻓﻴﻬﺎ ﻣِﻦ ﻛُﻞِّ ﺍﻟﺜَّﻤَﺮٰﺕِ
ﻭَﺃَﺻﺎﺑَﻪُ ﺍﻟﻜِﺒَﺮُ ﻭَﻟَﻪُ ﺫُﺭِّﻳَّﺔٌ
ﺿُﻌَﻔﺎﺀُ ﻓَﺄَﺻﺎﺑَﻬﺎ ﺇِﻋﺼﺎﺭٌ ﻓﻴﻪِ
ﻧﺎﺭٌ ﻓَﺎﺣﺘَﺮَﻗَﺖ ۗ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻳُﺒَﻴِّﻦُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻝﺀﺍﻳٰﺖِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ
ﺗَﺘَﻔَﻜَّﺮﻭﻥَ
[266] তোমাদের কেউ পছন্দ করে যে,
তার একটি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান
হবে, এর তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত
হবে, আর এতে সর্বপ্রকার ফল-ফসল
থাকবে এবং সে বার্ধক্যে পৌছবে,
তার দুর্বল সন্তান সন্ততিও থাকবে,
এমতাবস্থায় এ বাগানের একটি
ঘূর্ণিবায়ু আসবে, যাতে আগুন রয়েছে,
অনন্তর বাগানটি ভষ্মীভূত হয়ে যাবে?
এমনিভাবে আল্লাহ তা’আলা
তোমাদের জন্যে নিদর্শনসমূহ বর্ননা
করেন-যাতে তোমরা চিন্তা-ভাবনা
কর।
[266] Would any of you wish to have a
garden with date-palms and vines, with
rivers flowing underneath, and all kinds
of fruits for him therein, while he is
striken with old age, and his children
are weak (not able to look after
themselves), then it is struck with a fiery
whirlwind, so that it is burnt? Thus does
Allâh make clear His Ayât (proofs,
evidences, verses) to you that you may
give thought.
[267] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﺃَﻧﻔِﻘﻮﺍ ﻣِﻦ ﻃَﻴِّﺒٰﺖِ ﻣﺎ ﻛَﺴَﺒﺘُﻢ
ﻭَﻣِﻤّﺎ ﺃَﺧﺮَﺟﻨﺎ ﻟَﻜُﻢ ﻣِﻦَ
ﺍﻷَﺭﺽِ ۖ ﻭَﻻ ﺗَﻴَﻤَّﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺨَﺒﻴﺚَ
ﻣِﻨﻪُ ﺗُﻨﻔِﻘﻮﻥَ ﻭَﻟَﺴﺘُﻢ ﺑِـٔﺎﺧِﺬﻳﻪِ
ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ ﺗُﻐﻤِﻀﻮﺍ ﻓﻴﻪِ ۚ ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ
ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻨِﻰٌّ ﺣَﻤﻴﺪٌ
[267] হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয়
উপার্জন থেকে এবং যা আমি
তোমাদের জন্যে ভূমি থেকে উৎপন্ন
করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় কর
এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয়
করতে মনস্থ করো না। কেননা, তা
তোমরা কখনও গ্রহণ করবে না; তবে
যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নিয়ে
নাও। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাব
মুক্ত, প্রশংসিত।
[267] O you who believe! Spend of the
good things which you have (legally)
earned, and of that which We have
produced from the earth for you, and do
not aim at that which is bad to spend
from it, (though) you would not accept it
save if you close your eyes and tolerate
therein. And know that Allâh is Rich
(Free of all wants), and Worthy of all
praise.
[268] ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ ﻳَﻌِﺪُﻛُﻢُ ﺍﻟﻔَﻘﺮَ
ﻭَﻳَﺄﻣُﺮُﻛُﻢ ﺑِﺎﻟﻔَﺤﺸﺎﺀِ ۖ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻳَﻌِﺪُﻛُﻢ ﻣَﻐﻔِﺮَﺓً ﻣِﻨﻪُ ﻭَﻓَﻀﻠًﺎ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭٰﺳِﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[268] শয়তান তোমাদেরকে অভাব
অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং
অশ্লীলতার আদেশ দেয়। পক্ষান্তরে
আল্লাহ তোমাদেরকে নিজের পক্ষ
থেকে ক্ষমা ও বেশী অনুগ্রহের ওয়াদা
করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সুবিজ্ঞ।
[268] Shaitân (Satan) threatens you with
poverty and orders you to commit
Fahshâ (evil deeds, illegal sexual
intercourse, sins); whereas Allâh
promises you Forgiveness from Himself
and Bounty, and Allâh is All-Sufficient
for His creatures’ needs, All-Knower.
[269] ﻳُﺆﺗِﻰ ﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔَ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ
ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺆﺕَ ﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔَ ﻓَﻘَﺪ
ﺃﻭﺗِﻰَ ﺧَﻴﺮًﺍ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ۗ ﻭَﻣﺎ ﻳَﺬَّﻛَّﺮُ
ﺇِﻟّﺎ ﺃُﻭﻟُﻮﺍ ﺍﻷَﻟﺒٰﺐِ
[269] তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান
দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান
দান করা হয়, সে প্রভুত কল্যাণকর বস্তু
প্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে,
যারা জ্ঞানবান।
[269] He grants Hikmah to whom He
pleases, and he, to whom Hikmah is
granted, is indeed granted abundant
good. But none remember (will receive
admonition) except men of
understanding.
[270] ﻭَﻣﺎ ﺃَﻧﻔَﻘﺘُﻢ ﻣِﻦ ﻧَﻔَﻘَﺔٍ ﺃَﻭ
ﻧَﺬَﺭﺗُﻢ ﻣِﻦ ﻧَﺬﺭٍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻳَﻌﻠَﻤُﻪُ ۗ ﻭَﻣﺎ ﻟِﻠﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ ﻣِﻦ
ﺃَﻧﺼﺎﺭٍ
[270] তোমরা যে খয়রাত বা সদ্ব্যয় কর
কিংবা কোন মানত কর, আল্লাহ
নিশ্চয়ই সেসব কিছুই জানেন।
অন্যায়কারীদের কোন সাহায্যকারী
নেই।
[270] And whatever you spend for
spendings (e.g., in Sadaqah – charity, for
Allâh’s Cause) or whatever vow you
make, be sure Allâh knows it all. And for
the Zâlimûn (wrong-doers) there are no
helpers.
[271] ﺇِﻥ ﺗُﺒﺪُﻭﺍ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗٰﺖِ
ﻓَﻨِﻌِﻤّﺎ ﻫِﻰَ ۖ ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺨﻔﻮﻫﺎ
ﻭَﺗُﺆﺗﻮﻫَﺎ ﺍﻟﻔُﻘَﺮﺍﺀَ ﻓَﻬُﻮَ ﺧَﻴﺮٌ
ﻟَﻜُﻢ ۚ ﻭَﻳُﻜَﻔِّﺮُ ﻋَﻨﻜُﻢ ﻣِﻦ
ﺳَﻴِّـٔﺎﺗِﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
ﺧَﺒﻴﺮٌ
[271] যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-
খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর
যদি খয়রাত গোপনে কর এবং
অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা
তোমাদের জন্যে আরও উত্তম। আল্লাহ
তা’আলা তোমাদের কিছু গোনাহ দূর
করে দিবেন। আল্লাহ তোমাদের কাজ
কর্মের খুব খবর রাখেন।
[271] If you disclose your Sadaqât (alms-
giving), it is well, but if you conceal
them, and give them to the poor, that is
better for you. (Allâh) will expaite you
some of your sins. And Allâh is Well-
Acquainted with what you do.
[272] ۞ ﻟَﻴﺲَ ﻋَﻠَﻴﻚَ ﻫُﺪﻯٰﻬُﻢ
ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﻬﺪﻯ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۗ
ﻭَﻣﺎ ﺗُﻨﻔِﻘﻮﺍ ﻣِﻦ ﺧَﻴﺮٍ
ﻓَﻠِﺄَﻧﻔُﺴِﻜُﻢ ۚ ﻭَﻣﺎ ﺗُﻨﻔِﻘﻮﻥَ ﺇِﻟَّﺎ
ﺍﺑﺘِﻐﺎﺀَ ﻭَﺟﻪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻭَﻣﺎ ﺗُﻨﻔِﻘﻮﺍ
ﻣِﻦ ﺧَﻴﺮٍ ﻳُﻮَﻑَّ ﺇِﻟَﻴﻜُﻢ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﻻ ﺗُﻈﻠَﻤﻮﻥَ
[272] তাদেরকে সৎপথে আনার দায়
তোমার নয়। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা
সৎপথে পরিচালিত করেন। যে মাল
তোমরা ব্যয় কর, তা নিজ
উপাকারার্থেই কর। আল্লাহর সন্তুষ্টি
ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় করো
না। তোমরা যে, অর্থ ব্যয় করবে, তার
পুরস্কার পুরোপুরি পেয়ে যাবে এবং
তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।
[272] Not upon you (Muhammad SAW) is
their guidance, but Allâh guides whom
He wills. And whatever you spend in
good, it is for yourselves, when you
spend not except seeking Allâh’s
Countenance. And whatever you spend
in good, it will be repaid to you in full,
and you shall not be wronged.
[273] ﻟِﻠﻔُﻘَﺮﺍﺀِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃُﺣﺼِﺮﻭﺍ
ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻻ
ﻳَﺴﺘَﻄﻴﻌﻮﻥَ ﺿَﺮﺑًﺎ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ﻳَﺤﺴَﺒُﻬُﻢُ ﺍﻟﺠﺎﻫِﻞُ
ﺃَﻏﻨِﻴﺎﺀَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺘَّﻌَﻔُّﻒِ ﺗَﻌﺮِﻓُﻬُﻢ
ﺑِﺴﻴﻤٰﻬُﻢ ﻻ ﻳَﺴـَٔﻠﻮﻥَ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ
ﺇِﻟﺤﺎﻓًﺎ ۗ ﻭَﻣﺎ ﺗُﻨﻔِﻘﻮﺍ ﻣِﻦ ﺧَﻴﺮٍ
ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺑِﻪِ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[273] খয়রাত ঐ সকল গরীব লোকের
জন্যে যারা আল্লাহর পথে আবদ্ধ হয়ে
গেছে-জীবিকার সন্ধানে অন্যত্র
ঘোরাফেরা করতে সক্ষম নয়। অজ্ঞ
লোকেরা যাঞ্চা না করার কারণে
তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে।
তোমরা তাদেরকে তাদের লক্ষণ
দ্বারা চিনবে। তারা মানুষের কাছে
কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না।
তোমরা যে অর্থ ব্যয় করবে, তা
আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই পরিজ্ঞাত।
[273] (Charity is) for Fuqarâ (the poor),
who in Allâh’s Cause are restricted (from
travel), and cannot move about in the
land (for trade or work). The one who
knows them not, thinks that they are rich
because of their modesty. You may know
them by their mark, they do not beg of
people at all. And whatever you spend in
good, surely Allâh knows it well.
[274] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ ﺃَﻣﻮٰﻟَﻬُﻢ
ﺑِﺎﻟَّﻴﻞِ ﻭَﺍﻟﻨَّﻬﺎﺭِ ﺳِﺮًّﺍ ﻭَﻋَﻼﻧِﻴَﺔً
ﻓَﻠَﻬُﻢ ﺃَﺟﺮُﻫُﻢ ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻭَﻻ
ﺧَﻮﻑٌ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﻻ ﻫُﻢ
ﻳَﺤﺰَﻧﻮﻥَ
[274] যারা স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে,
রাত্রে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে।
তাদের জন্যে তাদের সওয়াব রয়েছে
তাদের পালনকর্তার কাছে। তাদের
কোন আশংঙ্কা নেই এবং তারা
চিন্তিত ও হবে না।
[274] Those who spend their wealth (in
Allâh’s Cause) by night and day, in secret
and in public, they shall have their
reward with their Lord. On them shall be
no fear, nor shall they grieve.
[275] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺄﻛُﻠﻮﻥَ ﺍﻟﺮِّﺑﻮٰﺍ۟ ﻻ
ﻳَﻘﻮﻣﻮﻥَ ﺇِﻟّﺎ ﻛَﻤﺎ ﻳَﻘﻮﻡُ ﺍﻟَّﺬﻯ
ﻳَﺘَﺨَﺒَّﻄُﻪُ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤَﺲِّ ۚ
ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺒَﻴﻊُ
ﻣِﺜﻞُ ﺍﻟﺮِّﺑﻮٰﺍ۟ ۗ ﻭَﺃَﺣَﻞَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺒَﻴﻊَ
ﻭَﺣَﺮَّﻡَ ﺍﻟﺮِّﺑﻮٰﺍ۟ ۚ ﻓَﻤَﻦ ﺟﺎﺀَﻩُ
ﻣَﻮﻋِﻈَﺔٌ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻪِ ﻓَﺎﻧﺘَﻬﻰٰ ﻓَﻠَﻪُ
ﻣﺎ ﺳَﻠَﻒَ ﻭَﺃَﻣﺮُﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ
ﻭَﻣَﻦ ﻋﺎﺩَ ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺃَﺻﺤٰﺐُ
ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ۖ ﻫُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[275] যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে
দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয়
ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে
মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ
অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ
ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ
আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ
করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।
অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার
পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে
বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা
তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর
নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়,
তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে
চিরকাল অবস্থান করবে।
[275] Those who eat Ribâ (usury) will not
stand (on the Day of Resurrection) except
like the standing of a person beaten by
Shaitân (Satan) leading him to insanity.
That is because they say: “Trading is
only like Ribâ (usury),” whereas Allâh
has permitted trading and forbidden
Ribâ (usury). So whosoever receives an
admonition from his Lord and stops
eating Ribâ (usury) shall not be punished
for the past; his case is for Allâh (to
judge); but whoever returns [to Ribâ
(usury)], such are the dwellers of the Fire
– they will abide therein
[276] ﻳَﻤﺤَﻖُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺮِّﺑﻮٰﺍ۟
ﻭَﻳُﺮﺑِﻰ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗٰﺖِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ
ﻳُﺤِﺐُّ ﻛُﻞَّ ﻛَﻔّﺎﺭٍ ﺃَﺛﻴﻢٍ
[276] আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন
করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত
করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন
অবিশ্বাসী পাপীকে।
[276] Allâh will destroy Ribâ (usury) and
will give increase for Sadaqât (deeds of
charity, alms, etc.) And Allâh likes not
the disbelievers, sinners.
[277] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﻭَﺃَﻗﺎﻣُﻮﺍ
ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻭَﺀﺍﺗَﻮُﺍ ﺍﻟﺰَّﻛﻮٰﺓَ ﻟَﻬُﻢ
ﺃَﺟﺮُﻫُﻢ ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻭَﻻ ﺧَﻮﻑٌ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﻻ ﻫُﻢ ﻳَﺤﺰَﻧﻮﻥَ
[277] নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন
করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায
প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান
করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার
তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে।
তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা
দুঃখিত হবে না।
[277] Truly those who believe, and do
deeds of righteousness, and perform As-
Salât (Iqâmat-as-Salât), and give Zakât,
they will have their reward with their
Lord. On them shall be no fear, nor shall
they grieve.
[278] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ
ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺫَﺭﻭﺍ ﻣﺎ ﺑَﻘِﻰَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺮِّﺑﻮٰﺍ۟ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[278] হে ঈমানদারগণ, তোমরা
আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত
বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি
তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক।
[278] O you who believe! Be afraid of
Allâh and give up what remains (due to
you) from Ribâ (usury) (from now
onward), if you are (really) believers.
[279] ﻓَﺈِﻥ ﻟَﻢ ﺗَﻔﻌَﻠﻮﺍ ﻓَﺄﺫَﻧﻮﺍ
ﺑِﺤَﺮﺏٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭَﺳﻮﻟِﻪِ ۖ
ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺒﺘُﻢ ﻓَﻠَﻜُﻢ ﺭُﺀﻭﺱُ
ﺃَﻣﻮٰﻟِﻜُﻢ ﻻ ﺗَﻈﻠِﻤﻮﻥَ ﻭَﻻ
ﺗُﻈﻠَﻤﻮﻥَ
[279] অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ
না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের
সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও।
কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে
তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে।
তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো
না এবং কেউ তোমাদের প্রতি
অত্যাচার করবে না।
[279] And if you do not do it, then take a
notice of war from Allâh and His
Messenger but if you repent, you shall
have your capital sums. Deal not unjustly
(by asking more than your capital sums),
and you shall not be dealt with unjustly
(by receiving less than your capital
sums).
[280] ﻭَﺇِﻥ ﻛﺎﻥَ ﺫﻭ ﻋُﺴﺮَﺓٍ
ﻓَﻨَﻈِﺮَﺓٌ ﺇِﻟﻰٰ ﻣَﻴﺴَﺮَﺓٍ ۚ ﻭَﺃَﻥ
ﺗَﺼَﺪَّﻗﻮﺍ ﺧَﻴﺮٌ ﻟَﻜُﻢ ۖ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[280] যদি খাতক অভাবগ্রস্থ হয়, তবে
তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দেয়া
উচিত। আর যদি ক্ষমা করে দাও, তবে
তা খুবই উত্তম যদি তোমরা উপলব্ধি
কর।
[280] And if the debtor is in a hard time
(has no money), then grant him time till
it is easy for him to repay, but if you
remit it by way of charity, that is better
for you if you did but know.
[281] ﻭَﺍﺗَّﻘﻮﺍ ﻳَﻮﻣًﺎ ﺗُﺮﺟَﻌﻮﻥَ
ﻓﻴﻪِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﺛُﻢَّ ﺗُﻮَﻓّﻰٰ ﻛُﻞُّ
ﻧَﻔﺲٍ ﻣﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖ ﻭَﻫُﻢ ﻻ
ﻳُﻈﻠَﻤﻮﻥَ
[281] ঐ দিনকে ভয় কর, যে দিন তোমরা
আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।
অতঃপর প্রত্যেকেই তার কর্মের ফল
পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি
কোন রূপ অবিচার করা হবে না।
[281] And be afraid of the Day when you
shall be brought back to Allâh. Then
every person shall be paid what he
earned, and they shall not be dealt with
unjustly.
[282] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺇِﺫﺍ
ﺗَﺪﺍﻳَﻨﺘُﻢ ﺑِﺪَﻳﻦٍ ﺇِﻟﻰٰ ﺃَﺟَﻞٍ
ﻣُﺴَﻤًّﻰ ﻓَﺎﻛﺘُﺒﻮﻩُ ۚ ﻭَﻟﻴَﻜﺘُﺐ
ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﻛﺎﺗِﺐٌ ﺑِﺎﻟﻌَﺪﻝِ ۚ ﻭَﻻ
ﻳَﺄﺏَ ﻛﺎﺗِﺐٌ ﺃَﻥ ﻳَﻜﺘُﺐَ ﻛَﻤﺎ
ﻋَﻠَّﻤَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ ﻓَﻠﻴَﻜﺘُﺐ ﻭَﻟﻴُﻤﻠِﻞِ
ﺍﻟَّﺬﻯ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺍﻟﺤَﻖُّ ﻭَﻟﻴَﺘَّﻖِ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺭَﺑَّﻪُ ﻭَﻻ ﻳَﺒﺨَﺲ ﻣِﻨﻪُ ﺷَﻴـًٔﺎ ۚ
ﻓَﺈِﻥ ﻛﺎﻥَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺍﻟﺤَﻖُّ
ﺳَﻔﻴﻬًﺎ ﺃَﻭ ﺿَﻌﻴﻔًﺎ ﺃَﻭ ﻻ
ﻳَﺴﺘَﻄﻴﻊُ ﺃَﻥ ﻳُﻤِﻞَّ ﻫُﻮَ ﻓَﻠﻴُﻤﻠِﻞ
ﻭَﻟِﻴُّﻪُ ﺑِﺎﻟﻌَﺪﻝِ ۚ ﻭَﺍﺳﺘَﺸﻬِﺪﻭﺍ
ﺷَﻬﻴﺪَﻳﻦِ ﻣِﻦ ﺭِﺟﺎﻟِﻜُﻢ ۖ ﻓَﺈِﻥ
ﻟَﻢ ﻳَﻜﻮﻧﺎ ﺭَﺟُﻠَﻴﻦِ ﻓَﺮَﺟُﻞٌ
ﻭَﺍﻣﺮَﺃَﺗﺎﻥِ ﻣِﻤَّﻦ ﺗَﺮﺿَﻮﻥَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺸُّﻬَﺪﺍﺀِ ﺃَﻥ ﺗَﻀِﻞَّ ﺇِﺣﺪﻯٰﻬُﻤﺎ
ﻓَﺘُﺬَﻛِّﺮَ ﺇِﺣﺪﻯٰﻬُﻤَﺎ ﺍﻷُﺧﺮﻯٰ ۚ
ﻭَﻻ ﻳَﺄﺏَ ﺍﻟﺸُّﻬَﺪﺍﺀُ ﺇِﺫﺍ ﻣﺎ
ﺩُﻋﻮﺍ ۚ ﻭَﻻ ﺗَﺴـَٔﻤﻮﺍ ﺃَﻥ ﺗَﻜﺘُﺒﻮﻩُ
ﺻَﻐﻴﺮًﺍ ﺃَﻭ ﻛَﺒﻴﺮًﺍ ﺇِﻟﻰٰ ﺃَﺟَﻠِﻪِ ۚ
ﺫٰﻟِﻜُﻢ ﺃَﻗﺴَﻂُ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺃَﻗﻮَﻡُ
ﻟِﻠﺸَّﻬٰﺪَﺓِ ﻭَﺃَﺩﻧﻰٰ ﺃَﻟّﺎ ﺗَﺮﺗﺎﺑﻮﺍ ۖ
ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ ﺗَﻜﻮﻥَ ﺗِﺠٰﺮَﺓً ﺣﺎﺿِﺮَﺓً
ﺗُﺪﻳﺮﻭﻧَﻬﺎ ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﻓَﻠَﻴﺲَ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺟُﻨﺎﺡٌ ﺃَﻟّﺎ ﺗَﻜﺘُﺒﻮﻫﺎ ۗ
ﻭَﺃَﺷﻬِﺪﻭﺍ ﺇِﺫﺍ ﺗَﺒﺎﻳَﻌﺘُﻢ ۚ ﻭَﻻ
ﻳُﻀﺎﺭَّ ﻛﺎﺗِﺐٌ ﻭَﻻ ﺷَﻬﻴﺪٌ ۚ ﻭَﺇِﻥ
ﺗَﻔﻌَﻠﻮﺍ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻓُﺴﻮﻕٌ ﺑِﻜُﻢ ۗ
ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۖ ﻭَﻳُﻌَﻠِّﻤُﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[282] হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন
নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-
প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও
এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক
ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে;
লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না।
আল্লাহ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন,
তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋন
গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয়
এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা
আল্লাহকে ভয় করে এবং লেখার মধ্যে
বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে। অতঃপর
ঋণগ্রহীতা যদি নির্বোধ হয় কিংবা
দূর্বল হয় অথবা নিজে লেখার বিষয়বস্তু
বলে দিতে অক্ষম হয়, তবে তার
অভিভাবক ন্যায়সঙ্গতভাবে লিখাবে।
দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের
মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে
একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ
সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে
তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি
ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ
করিয়ে দেয়। যখন ডাকা হয়, তখন
সাক্ষীদের অস্বীকার করা উচিত নয়।
তোমরা এটা লিখতে অলসতা করোনা,
তা ছোট হোক কিংবা বড়, নির্দিষ্ট
সময় পর্যন্ত। এ লিপিবদ্ধ করণ আল্লাহর
কাছে সুবিচারকে অধিক কায়েম রাখে,
সাক্ষ্যকে অধিক সুসংহত রাখে এবং
তোমাদের সন্দেহে পতিত না হওয়ার
পক্ষে অধিক উপযুক্ত। কিন্তু যদি
কারবার নগদ হয়, পরস্পর হাতে হাতে
আদান-প্রদান কর, তবে তা না লিখলে
তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ
নেই। তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময়
সাক্ষী রাখ। কোন লেখক ও সাক্ষীকে
ক্ষতিগ্রস্ত করো না। যদি তোমরা
এরূপ কর, তবে তা তোমাদের পক্ষে
পাপের বিষয়। আল্লাহকে ভয় কর তিনি
তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আল্লাহ সব
কিছু জানেন।
[282] O you who believe! When you
contract a debt for a fixed period, write
it down. Let a scribe write it down in
justice between you. Let not the scribe
refuse to write as Allâh has taught him,
so let him write. Let him (the debtor)
who incurs the liability dictate, and he
must fear Allâh, his Lord, and diminish
not anything of what he owes. But if the
debtor is of poor understanding, or
weak, or is unable to dictate for himself,
then let his guardian dictate in justice.
And get two witnesses out of your own
men. And if there are not two men
(available), then a man and two women,
such as you agree for witnesses, so that if
one of them (two women) errs, the other
can remind her. And the witnesses
should not refuse when they are called
(for evidence). You should not become
weary to write it (your contract),
whether it be small or big, for its fixed
term, that is more just with Allâh; more
solid as evidence, and more convenient
to prevent doubts among yourselves,
save when it is a present trade which
you carry out on the spot among
yourselves, then there is no sin on you if
you do not write it down. But take
witnesses whenever you make a
commercial contract. Let nither scribe
nor witness suffer any harm, but if you
do (such harm), it would be wickedness
in you. So be afraid of Allah; and Allah
teaches you. And Allah is the All-Knower
of everything.
[283] ۞ ﻭَﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻋَﻠﻰٰ ﺳَﻔَﺮٍ
ﻭَﻟَﻢ ﺗَﺠِﺪﻭﺍ ﻛﺎﺗِﺒًﺎ ﻓَﺮِﻫٰﻦٌ
ﻣَﻘﺒﻮﺿَﺔٌ ۖ ﻓَﺈِﻥ ﺃَﻣِﻦَ ﺑَﻌﻀُﻜُﻢ
ﺑَﻌﻀًﺎ ﻓَﻠﻴُﺆَﺩِّ ﺍﻟَّﺬِﻯ ﺍﺅﺗُﻤِﻦَ
ﺃَﻣٰﻨَﺘَﻪُ ﻭَﻟﻴَﺘَّﻖِ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺭَﺑَّﻪُ ۗ ﻭَﻻ
ﺗَﻜﺘُﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺸَّﻬٰﺪَﺓَ ۚ ﻭَﻣَﻦ
ﻳَﻜﺘُﻤﻬﺎ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺀﺍﺛِﻢٌ ﻗَﻠﺒُﻪُ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[283] আর তোমরা যদি প্রবাসে থাক
এবং কোন লেখক না পাও তবে বন্ধকী
বন্তু হস্তগত রাখা উচিত। যদি একে
অন্যকে বিশ্বাস করে, তবে যাকে
বিশ্বাস করা হয়, তার উচিত অন্যের
প্রাপ্য পরিশোধ করা এবং স্বীয়
পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় কর! তোমরা
সাক্ষ্য গোপন করো না। যে কেউ তা
গোপন করবে, তার অন্তর পাপপূর্ণ হবে।
তোমরা যা করা, আল্লাহ সে সম্পর্কে
খুব জ্ঞাত।
[283] And if you are on a journey and
cannot find a scribe, then let there be a
pledge taken (mortgaging); then if one of
you entrust the other, let the one who is
entrusted discharge his trust (faithfully),
and let him be afraid of Allâh, his Lord.
And conceal not the evidence for he,
who hides it, surely his heart is sinful.
And Allâh is All-Knower of what you do.
[284] ﻟِﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣﺎ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۗ ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺒﺪﻭﺍ ﻣﺎ
ﻓﻰ ﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻢ ﺃَﻭ ﺗُﺨﻔﻮﻩُ
ﻳُﺤﺎﺳِﺒﻜُﻢ ﺑِﻪِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۖ ﻓَﻴَﻐﻔِﺮُ
ﻟِﻤَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ﻭَﻳُﻌَﺬِّﺏُ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[284] যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং
যা কিছু যমীনে আছে, সব আল্লাহরই।
যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর
কিংবা গোপন কর, আল্লাহ
তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব
নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি
ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি
শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে
শক্তিমান।
[284] To Allâh belongs all that is in the
heavens and all that is on the earth, and
whether you disclose what is in your
ownselves or conceal it, Allâh will call
you to account for it. Then He forgives
whom He wills and punishes whom He
wills. And Allâh is Able to do all things.
[285] ﺀﺍﻣَﻦَ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝُ ﺑِﻤﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ
ﺇِﻟَﻴﻪِ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻪِ ﻭَﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ۚ ﻛُﻞٌّ
ﺀﺍﻣَﻦَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣَﻠٰﺌِﻜَﺘِﻪِ ﻭَﻛُﺘُﺒِﻪِ
ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪِ ﻻ ﻧُﻔَﺮِّﻕُ ﺑَﻴﻦَ ﺃَﺣَﺪٍ ﻣِﻦ
ﺭُﺳُﻠِﻪِ ۚ ﻭَﻗﺎﻟﻮﺍ ﺳَﻤِﻌﻨﺎ ﻭَﺃَﻃَﻌﻨﺎ ۖ
ﻏُﻔﺮﺍﻧَﻚَ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻭَﺇِﻟَﻴﻚَ ﺍﻟﻤَﺼﻴﺮُ
[285] রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত
বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার
পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে
এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে
আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের
প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর
পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা
তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য
করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি
এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার
ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা।
তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে
হবে।
[285] The Messenger (Muhammad SAW)
believes in what has been sent down to
him from his Lord, and (so do) the
believers. Each one believes in Allâh, His
Angels, His Books, and His Messengers.
(They say), “We make no distinction
between one another of His Messengers”
and they say, “We hear, and we obey.
(We seek) Your Forgiveness, our Lord,
and to You is the return (of all).”
[286] ﻻ ﻳُﻜَﻠِّﻒُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻧَﻔﺴًﺎ ﺇِﻟّﺎ
ﻭُﺳﻌَﻬﺎ ۚ ﻟَﻬﺎ ﻣﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖ
ﻭَﻋَﻠَﻴﻬﺎ ﻣَﺎ ﺍﻛﺘَﺴَﺒَﺖ ۗ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻻ
ﺗُﺆﺍﺧِﺬﻧﺎ ﺇِﻥ ﻧَﺴﻴﻨﺎ ﺃَﻭ
ﺃَﺧﻄَﺄﻧﺎ ۚ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻭَﻻ ﺗَﺤﻤِﻞ
ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ﺇِﺻﺮًﺍ ﻛَﻤﺎ ﺣَﻤَﻠﺘَﻪُ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻨﺎ ۚ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻭَﻻ
ﺗُﺤَﻤِّﻠﻨﺎ ﻣﺎ ﻻ ﻃﺎﻗَﺔَ ﻟَﻨﺎ ﺑِﻪِ ۖ
ﻭَﺍﻋﻒُ ﻋَﻨّﺎ ﻭَﺍﻏﻔِﺮ ﻟَﻨﺎ
ﻭَﺍﺭﺣَﻤﻨﺎ ۚ ﺃَﻧﺖَ ﻣَﻮﻟﻯٰﻨﺎ
ﻓَﺎﻧﺼُﺮﻧﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻘَﻮﻡِ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[286] আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত
কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই
পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই
তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে
আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে
যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে
অপরাধী করো না। হে আমাদের
পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন
দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন
আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ
করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং
আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও
না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই।
আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে
ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর।
তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের
সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে
সাহায্যে কর।
[286] Allâh burdens not a person beyond
his scope. He gets reward for that (good)
which he has earned, and he is punished
for that (evil) which he has earned. “Our
Lord! Punish us not if we forget or fall
into error, our Lord! Lay not on us a
burden like that which You did lay on
those before us (Jews and Christians);
our Lord! Put not on us a burden greater
than we have strength to bear. Pardon us
and grant us Forgiveness. Have mercy on
us. You are our Maulâ (Patron, Supporter
and Protector, etc.) and give us victory
over the disbelieving people.”
Bangla translation of Quran. Developed
by Syed Mohammad Rasel
[paglasoftatgmail.com]. Last updated on
August 15th, 2010
*1. আলিফ লাম মীম। 2. এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, 3. যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে 4. এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। 5. তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম। 6. নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। 7. আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। 8. আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়। 9. তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না। 10. তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন। 11. আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা- হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি। 12. মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না। 13. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না। 14. আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্রা। 15. বরং আল্লাহই তাদের সাথে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে। 16. তারা সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করে। বস্তুতঃ তারা তাদের এ ব্যবসায় লাভবান হতে পারেনি এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি। 17. তাদের অবস্থা সে ব্যক্তির মত, যে লোক কোথাও আগুন জ্বালালো এবং তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুন স্পষ্ট করে তুললো, ঠিক এমনি সময় আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না। 18. তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। 19. আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের মত যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ চলে, যাতে থাকে আঁধার, গর্জন ও বিদ্যুৎচমক। মৃত্যুর ভয়ে গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্ঠিত। 20. বিদ্যুতালোকে যখন সামান্য আলোকিত হয়, তখন কিছুটা পথ চলে। আবার যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল। 21. হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর, যিনি তোমাদিগকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে সৃষ্টি করেছেন। তাতে আশা করা যায়, তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারবে। 22. যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান। 23. এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস। তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে সঙ্গে নাও- এক আল্লাহকে ছাড়া, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো। 24. আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য। 25. আর হে নবী (সাঃ) , যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। 26. আল্লাহ পাক নিঃসন্দেহে মশা বা তদুর্ধ্ব বস্তু দ্বারা উপমা পেশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। বস্তুতঃ যারা মুমিন তারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে যে, তাদের পালনকর্তা কর্তৃক উপস্থাপিত এ উপমা সম্পূর্ণ নির্ভূল ও সঠিক। আর যারা কাফের তারা বলে, এরূপ উপমা উপস্থাপনে আল্লাহর মতলবই বা কি ছিল। এ দ্বারা আল্লাহ তা’আলা অনেককে বিপথগামী করেন, আবার অনেককে সঠিক পথও প্রদর্শন করেন। তিনি অনুরূপ উপমা দ্বারা অসৎ ব্যক্তিবর্গ ভিন্ন কাকেও বিপথগামী করেন না। 27. (বিপথগামী ওরাই) যারা আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ পাক যা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে, আর পৃথিবীর বুকে অশান্তি সৃষ্টি করে। ওরা যথার্থই ক্ষতিগ্রস্ত। 28. কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে। 29. তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত। 30. আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না। 31. আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু- সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক। 32. তারা বলল, তুমি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে তুমি যা আমাদিগকে শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা। 33. তিনি বললেন, হে আদম, ফেরেশতাদেরকে বলে দাও এসবের নাম। তারপর যখন তিনি বলে দিলেন সে সবের নাম, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আসমান ও যমীনের যাবতীয় গোপন বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল করেই অবগত রয়েছি? এবং সেসব বিষয়ও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর, আর যা তোমরা গোপন কর! 34. এবং যখন আমি হযরত আদম (আঃ)- কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলীস ব্যতীত সবাই সিজদা করলো। সে (নির্দেশ) পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করল। ফলে সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল। 35. এবং আমি আদমকে হুকুম করলাম যে, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং ওখানে যা চাও, যেখান থেকে চাও, পরিতৃপ্তিসহ খেতে থাক, কিন্তু এ গাছের নিকটবর্তী হয়ো না। অন্যথায় তোমরা যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়বে। 36. অনন্তর শয়তান তাদের উভয়কে ওখান থেকে পদস্খলিত করেছিল। পরে তারা যে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল তা থেকে তাদেরকে বের করে দিল এবং আমি বললাম, তোমরা নেমে যাও। তোমরা পরস্পর একে অপরের শক্র হবে এবং তোমাদেরকে সেখানে কিছুকাল অবস্থান করতে হবে ও লাভ সংগ্রহ করতে হবে। 37. অতঃপর হযরত আদম (আঃ) স্বীয় পালনকর্তার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শিখে নিলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি (করুণাভরে) লক্ষ্য করলেন। নিশ্চয়ই তিনি মহা-ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। 38. আমি হুকুম করলাম, তোমরা সবাই নীচে নেমে যাও। অতঃপর যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে কোন হেদায়েত পৌঁছে, তবে যে ব্যক্তি আমার সে হেদায়েত অনুসারে চলবে, তার উপর না কোন ভয় আসবে, না (কোন কারণে) তারা চিন্তাগ্রস্ত ও সন্তপ্ত হবে। 39. আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে। 40. হে বনী-ইসরাঈলগণ, তোমরা স্মরণ কর আমার সে অনুগ্রহ যা আমি তোমাদের প্রতি করেছি এবং তোমরা পূরণ কর আমার সাথে কৃত প্রতিজ্ঞা, তাহলে আমি তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করব। আর ভয় কর আমাকেই। 41. আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের কাছে। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক অস্বীকারকারী হয়ো না আর আমার আয়াতের অল্প মূল্য দিও না। এবং আমার (আযাব) থেকে বাঁচ। 42. তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না। 43. আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়। 44. তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না? 45. ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। 46. যারা একথা খেয়াল করে যে, তাদেরকে সম্মুখীন হতে হবে স্বীয় পরওয়ারদেগারের এবং তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে। 47. হে বনী-ইসরাঈলগণ! তোমরা স্মরণ কর আমার অনুগ্রহের কথা, যা আমি তোমাদের উপর করেছি এবং (স্মরণ কর) সে বিষয়টি যে, আমি তোমাদেরকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি সমগ্র বিশ্বের উপর। 48. আর সে দিনের ভয় কর, যখন কেউ কারও সামান্য উপকারে আসবে না এবং তার পক্ষে কোন সুপারিশও কবুল হবে না; কারও কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও নেয়া হবে না এবং তারা কোন রকম সাহায্যও পাবে না। 49. আর (স্মরণ কর) সে সময়ের কথা, যখন আমি তোমাদিগকে মুক্তিদান করেছি ফেরআউনের লোকদের কবল থেকে যারা তোমাদিগকে কঠিন শাস্তি দান করত; তোমাদের পুত্রসন্তানদেরকে জবাই করত এবং তোমাদের স্ত্রীদিগকে অব্যাহতি দিত। বস্তুতঃ তাতে পরীক্ষা ছিল তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে, মহা পরীক্ষা। 50. আর যখন আমি তোমাদের জন্য সাগরকে দ্বিখন্ডিত করেছি, অতঃপর তোমাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছি এবং ডুবিয়ে দিয়েছি ফেরআউনের লোকদিগকে অথচ তোমরা দেখছিলে। 51. আর যখন আমি মূসার সাথে ওয়াদা করেছি চল্লিশ রাত্রির অতঃপর তোমরা গোবৎস বানিয়ে নিয়েছ মূসার অনুপস্থিতিতে। বস্তুতঃ তোমরা ছিলে যালেম। 52. তারপর আমি তাতেও তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাও। 53. আর (স্মরণ কর) যখন আমি মূসাকে কিতাব এবং সত্য- মিথ্যার পার্থক্য বিধানকারী নির্দেশ দান করেছি, যাতে তোমরা সরল পথ প্রাপ্ত হতে পার। 54. আর যখন মূসা তার সম্প্রদায়কে বলল, হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা তোমাদেরই ক্ষতিসাধন করেছ এই গোবৎস নির্মাণ করে। কাজেই এখন তওবা কর স্বীয় স্রষ্টার প্রতি এবং নিজ নিজ প্রাণ বিসর্জন দাও। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর তোমাদের স্রষ্টার নিকট। তারপর তোমাদের প্রতি লক্ষ্য করা হল। নিঃসন্দেহে তিনিই ক্ষমাকারী, অত্যন্ত মেহেরবান। 55. আর যখন তোমরা বললে, হে মূসা, কস্মিনকালেও আমরা তোমাকে বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না আমরা আল্লাহকে (প্রকাশ্যে) দেখতে পাব। বস্তুতঃ তোমাদিগকে পাকড়াও করল বিদ্যুৎ। অথচ তোমরা তা প্রত্যক্ষ করছিলে। 56. তারপর, মরে যাবার পর তোমাদিগকে আমি তুলে দাঁড় করিয়েছি, যাতে করে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাও। 57. আর আমি তোমাদের উপর ছায়া দান করেছি মেঘমালার দ্বারা এবং তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছি ’মান্না’ ও সালওয়া’। সেসব পবিত্র বস্তু তোমরা ভক্ষন কর, যা আমি তোমাদেরকে দান করেছি। বস্তুতঃ তারা আমার কোন ক্ষতি করতে পারেনি, বরং নিজেদেরই ক্ষতি সাধন করেছে। 58. আর যখন আমি বললাম, তোমরা প্রবেশ কর এ নগরীতে এবং এতে যেখানে খুশী খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করতে থাক এবং দরজার ভিতর দিয়ে প্রবেশ করার সময় সেজদা করে ঢুক, আর বলতে থাক-‘আমাদিগকে ক্ষমা করে দাও’- তাহলে আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করব এবং সৎ কর্মশীলদেরকে অতিরিক্ত দানও করব। 59. অতঃপর যালেমরা কথা পাল্টে দিয়েছে, যা কিছু তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছিল তা থেকে। তারপর আমি অবতীর্ণ করেছি যালেমদের উপর আযাব, আসমান থেকে, নির্দেশ লংঘন করার কারণে। 60. আর মূসা যখন নিজ জাতির জন্য পানি চাইল, তখন আমি বললাম, স্বীয় যষ্ঠির দ্বারা আঘাত কর পাথরের উপরে। অতঃপর তা থেকে প্রবাহিত হয়ে এল বারটি প্রস্রবণ। তাদের সব গোত্রই চিনে নিল নিজ নিজ ঘাট। আল্লাহর দেয়া রিযিক খাও, পান কর আর দুনিয়ার বুকে দাংগা-হাংগামা করে বেড়িও না। 61. আর তোমরা যখন বললে, হে মূসা, আমরা একই ধরনের খাদ্য-দ্রব্যে কখনও ধৈর্য্যধারণ করব না। কাজেই তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট আমাদের পক্ষে প্রার্থনা কর, তিনি যেন আমাদের জন্যে এমন বস্তুসামগ্রী দান করেন যা জমিতে উৎপন্ন হয়, তরকারী, কাকড়ী, গম, মসুরি, পেঁয়াজ প্রভৃতি। মূসা (আঃ) বললেন, তোমরা কি এমন বস্তু নিতে চাও যা নিকৃষ্ট সে বস্তুর পরিবর্তে যা উত্তম? তোমরা কোন নগরীতে উপনীত হও, তাহলেই পাবে যা তোমরা কামনা করছ। আর তাদের উপর আরোপ করা হল লাঞ্ছনা ও পরমুখাপেক্ষিতা। তারা আল্লাহর রোষানলে পতিত হয়ে ঘুরতে থাকল। এমন হলো এ জন্য যে, তারা আল্লাহর বিধি বিধান মানতো না এবং নবীগনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। তার কারণ, তারা ছিল নাফরমান সীমালংঘকারী। 62. নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না। 63. আর আমি যখন তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তুর পর্বতকে তোমাদের মাথার উপর তুলে ধরেছিলাম এই বলে যে, তোমাদিগকে যে কিতাব দেয়া হয়েছে তাকে ধর সুদৃঢ়ভাবে এবং এতে যা কিছু রয়েছে তা মনে রেখো যাতে তোমরা ভয় কর। 64. তারপরেও তোমরা তা থেকে ফিরে গেছ। কাজেই আল্লাহর অনুগ্রহ ও মেহেরবানী যদি তোমাদের উপর না থাকত, তবে অবশ্যই তোমরা ধবংস হয়ে যেতে। 65. তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও। 66. অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি। 67. যখন মূসা (আঃ) স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ আল্লাহ তোমাদের একটি গরু জবাই করতে বলেছেন। তারা বলল, তুমি কি আমাদের সাথে উপহাস করছ? মূসা (আঃ) বললেন, মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। 68. তারা বলল, তুমি তোমার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা কর, যেন সেটির রূপ বিশ্লেষণ করা হয়। মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলছেন, সেটা হবে একটা গাভী, যা বৃদ্ধ নয় এবং কুমারীও নয়-বার্ধক্য ও যৌবনের মাঝামাঝি বয়সের। এখন আদিষ্ট কাজ করে ফেল। 69. তারা বলল, তোমার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা কর যে, তার রঙ কিরূপ হবে? মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলেছেন যে, গাঢ় পীতবর্ণের গাভী-যা দর্শকদের চমৎকৃত করবে। 70. তারা বলল, আপনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন-তিনি বলে দিন যে, সেটা কিরূপ? কেননা, গরু আমাদের কাছে সাদৃশ্যশীল মনে হয়। ইনশাআল্লাহ এবার আমরা অবশ্যই পথপ্রাপ্ত হব। 71. মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলেন যে, এ গাভী ভূকর্ষণ ও জল সেচনের শ্রমে অভ্যস্ত নয়-হবে নিষ্কলঙ্ক, নিখুঁত। তারা বলল, এবার সঠিক তথ্য এনেছ। অতঃপর তারা সেটা জবাই করল, অথচ জবাই করবে বলে মনে হচ্ছিল না। 72. যখন তোমরা একজনকে হত্যা করে পরে সে সম্পর্কে একে অপরকে অভিযুক্ত করেছিলে। যা তোমরা গোপন করছিলে, তা প্রকাশ করে দেয়া ছিল আল্লাহর অভিপ্রায়। 73. অতঃপর আমি বললামঃ গরুর একটি খন্ড দ্বারা মৃতকে আঘাত কর। এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শণ সমূহ প্রদর্শন করেন-যাতে তোমরা চিন্তা কর। 74. অতঃপর এ ঘটনার পরে তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। তা পাথরের মত অথবা তদপেক্ষাও কঠিন। পাথরের মধ্যে এমন ও আছে; যা থেকে ঝরণা প্রবাহিত হয়, এমনও আছে, যা বিদীর্ণ হয়, অতঃপর তা থেকে পানি নির্গত হয় এবং এমনও আছে, যা আল্লাহর ভয়ে খসেপড়তে থাকে! আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন। 75. হে মুসলমানগণ, তোমরা কি আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে? তাদের মধ্যে একদল ছিল, যারা আল্লাহর বাণী শ্রবণ করত; অতঃপর বুঝে-শুনে তা পরিবর্তন করে দিত এবং তারা তা অবগত ছিল। 76. যখন তারা মুসলমানদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলেঃ আমরা মুসলমান হয়েছি। আর যখন পরস্পরের সাথে নিভৃতে অবস্থান করে, তখন বলে, পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যা প্রকাশ করেছেন, তা কি তাদের কাছে বলে দিচ্ছ? তাহলে যে তারা এ নিয়ে পালকর্তার সামনে তোমাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে। তোমরা কি তা উপলব্ধি কর না? 77. তারা কি এতটুকুও জানে না যে, আল্লাহ সেসব বিষয়ও পরিজ্ঞাত যা তারা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে? 78. তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই। 79. অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ- যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে। 80. তারা বলেঃ আগুন আমাদিগকে কখনও স্পর্শ করবে না; কিন্তু গণাগনতি কয়েকদিন। বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার পেয়েছ যে, আল্লাহ কখনও তার খেলাফ করবেন না- না তোমরা যা জান না, তা আল্লাহর সাথে জুড়ে দিচ্ছ। 81. হাঁ, যে ব্যক্তি পাপ অর্জন করেছে এবং সে পাপ তাকে পরিবেষ্টিত করে নিয়েছে, তারাই দোযখের অধিবাসী। তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে। 82. পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে। 83. যখন আমি বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা করবে না, পিতা-মাতা, আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও দীন-দরিদ্রদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে, মানুষকে সৎ কথাবার্তা বলবে, নামায প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত দেবে, তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে, তোমরাই অগ্রাহ্যকারী। 84. যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা পরস্পর খুনাখুনি করবে না এবং নিজেদেরকে দেশ থেকে বহিস্কার করবে না, তখন তোমরা তা স্বীকার করেছিলে এবং তোমরা তার সাক্ষ্য দিচ্ছিলে। 85. অতঃপর তোমরাই পরস্পর খুনাখুনি করছ এবং তোমাদেরই একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিস্কার করছ। তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে আক্রমণ করছ। আর যদি তারাই কারও বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে বিনিময় নিয়ে তাদের মুক্ত করছ। অথচ তাদের বহিস্কার করাও তোমাদের জন্য অবৈধ। তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন। 86. এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না। 87. অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি। এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে রসূল পাঠিয়েছি। আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে সুস্পষ্ট মোজেযা দান করেছি এবং পবিত্র রূহের মাধ্যমে তাকে শক্তিদান করেছি। অতঃপর যখনই কোন রসূল এমন নির্দেশ নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছে, যা তোমাদের মনে ভাল লাগেনি, তখনই তোমরা অহংকার করেছ। শেষ পর্যন্ত তোমরা একদলকে মিথ্যাবাদী বলেছ এবং একদলকে হত্যা করেছ। 88. তারা বলে, আমাদের হৃদয় অর্ধাবৃত। এবং তাদের কুফরের কারণে আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। ফলে তারা অল্পই ঈমান আনে। 89. যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কিতাব এসে পৌঁছাল, যা সে বিষয়ের সত্যায়ন করে, যা তাদের কাছে রয়েছে এবং তারা পূর্বে করত। অবশেষে যখন তাদের কাছে পৌঁছল যাকে তারা চিনে রেখেছিল, তখন তারা তা অস্বীকার করে বসল। অতএব, অস্বীকারকারীদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। 90. যার বিনিময়ে তারা নিজেদের বিক্রি করেছে, তা খুবই মন্দ; যেহেতু তারা আল্লাহ যা নযিল করেছেন, তা অস্বীকার করেছে এই হঠকারিতার দরুন যে, আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ নাযিল করেন। অতএব, তারা ক্রোধের উপর ক্রোধ অর্জন করেছে। আর কাফেরদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। 91. যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা পাঠিয়েছেন তা মেনে নাও, তখন তারা বলে, আমরা মানি যা আমাদের প্রতি অবর্তীণ হয়েছে। সেটি ছাড়া সবগুলোকে তারা অস্বীকার করে। অথচ এ গ্রন্থটি সত্য এবং সত্যায়ন করে ঐ গ্রন্থের যা তাদের কাছে রয়েছে। বলে দিন, তবে তোমরা ইতিপূর্বে পয়গম্বরদের হত্যা করতে কেন যদি তোমরা বিশ্বাসী ছিলে? 92. সুস্পষ্ট মু’জেযাসহ মূসা তোমাদের কাছে এসেছেন। এরপর তার অনুপস্থিতিতে তোমরা গোবৎস বানিয়েছ। বাস্তবিকই তোমরা অত্যাচারী। 93. আর যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিলাম এবং তুর পর্বতকে তোমাদের উপর তুলে ধরলাম যে, শক্ত করে ধর, আমি যা তোমাদের দিয়েছি আর শোন। তারা বলল, আমরা শুনেছি আর অমান্য করেছি। কুফরের কারণে তাদের অন্তরে গোবৎসপ্রীতি পান করানো হয়েছিল। বলে দিন, তোমরা বিশ্বাসী হলে, তোমাদের সে বিশ্বাস মন্দ বিষয়াদি শিক্ষা দেয়। 94. বলে দিন, যদি আখেরাতের বাসস্থান আল্লাহর কাছে একমাত্র তোমাদের জন্যই বরাদ্দ হয়ে থাকে-অন্য লোকদের বাদ দিয়ে, তবে মৃত্যু কামনা কর, যদি সত্যবাদী হয়ে থাক। 95. কস্মিনকালেও তারা মৃত্যু কামনা করবে না ঐসব গোনাহর কারণে, যা তাদের হাত পাঠিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ গোনাহগারদের সম্পর্কে সম্যক অবগত রয়েছেন। 96. আপনি তাদেরকে জীবনের প্রতি সবার চাইতে, এমনকি মুশরিকদের চাইতেও অধিক লোভী দেখবেন। তাদের প্রত্যেকে কামনা করে, যেন হাজার বছর আয়ু পায়। অথচ এরূপ আয়ু প্রাপ্তি তাদেরকে শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারবে না। আল্লাহ দেখেন যা কিছু তারা করে। 97. আপনি বলে দিন, যে কেউ জিবরাঈলের শত্রু হয়- যেহেতু তিনি আল্লাহর আদেশে এ কালাম আপনার অন্তরে নাযিল করেছেন, যা সত্যায়নকারী তাদের সম্মুখস্থ কালামের এবং মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা। 98. যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ সেসব কাফেরের শত্রু। 99. আমি আপনার প্রতি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করেছি। অবাধ্যরা ব্যতীত কেউ এগুলো অস্বীকার করে না। 100. কি আশ্চর্য, যখন তারা কোন অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়, তখন তাদের একদল তা ছুঁড়ে ফেলে, বরং অধিকাংশই বিশ্বাস করে না। 101. যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রসূল আগমন করলেন-যিনি ঐ কিতাবের সত্যায়ন করেন, যা তাদের কাছে রয়েছে, তখন আহলে কেতাবদের একদল আল্লাহর গ্রন্থকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করল-যেন তারা জানেই না। 102. তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যদ্দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত। 103. যদি তারা ঈমান আনত এবং খোদাভীরু হত, তবে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পেত। যদি তারা জানত। 104. হে মুমিন গণ, তোমরা ‘রায়িনা’ বলো না-‘উনযুরনা’ বল এবং শুনতে থাক। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। 105. আহলে-কিতাব ও মুশরিকদের মধ্যে যারা কাফের, তাদের মনঃপুত নয় যে, তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিশেষ ভাবে স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন। আল্লাহ মহান অনুগ্রহদাতা। 106. আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান? 107. তুমি কি জান না যে, আল্লাহর জন্যই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আধিপত্য? আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই। 108. ইতিপূর্বে মূসা (আঃ) যেমন জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন, (মুসলমানগন) তোমরাও কি তোমাদের রসূলকে তেমনি প্রশ্ন করতে চাও? যে কেউ ঈমানের পরিবর্তে কুফর গ্রহন করে, সে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়। 109. আহলে কিতাবদের অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে কাফের বানিয়ে দেয়। তাদের কাছে সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর (তারা এটা চায়) । যাক তোমরা আল্লাহর নির্দেশ আসা পর্যন্ত তাদের ক্ষমা কর এবং উপেক্ষা কর। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। 110. তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন। 111. ওরা বলে, ইহুদী অথবা খ্রীস্টান ব্যতীত কেউ জান্নাতে যাবে না। এটা ওদের মনের বাসনা। বলে দিন, তোমরা সত্যবাদী হলে, প্রমাণ উপস্থিত কর। 112. হাঁ, যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সমর্পন করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও বটে তার জন্য তার পালনকর্তার কাছে পুরস্কার বয়েছে। তাদের ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। 113. ইহুদীরা বলে, খ্রীস্টানরা কোন ভিত্তির উপরেই নয় এবং খ্রীস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপরেই নয়। অথচ ওরা সবাই কিতাব পাঠ করে! এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতই উক্তি করে। অতএব, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল। 114. যে ব্যাক্তি আল্লাহর মসজিদসমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে, তার চাইতে বড় যালেম আর কে? এদের পক্ষে মসজিদসমূহে প্রবেশ করা বিধেয় নয়, অবশ্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। ওদের জন্য ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে। 115. পূর্ব ও পশ্চিম আল্লারই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ। 116. তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি তো এসব কিছু থেকে পবিত্র, বরং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তার আজ্ঞাধীন। 117. তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে একথাই বলেন, ‘হয়ে যাও’ তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়। 118. যারা কিছু জানে না, তারা বলে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে কেন কথা বলেন না? অথবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন কেন আসে না? এমনি ভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরূপ কথা বলেছে। তাদের অন্তর একই রকম। নিশ্চয় আমি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি তাদের জন্যে যারা প্রত্যয়শীল। 119. নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছি। আপনি দোযখবাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না। 120. ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই। 121. আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান করেছি, তারা তা যথাযথভাবে পাঠ করে। তারাই তৎপ্রতি বিশ্বাস করে। আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। 122. হে বনী-ইসরাঈল! আমার অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যা আমি তোমাদের দিয়েছি। আমি তোমাদেরকে বিশ্বাবাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। 123. তোমরা ভয় কর সেদিনকে, যে দিন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না, কারও কাছ থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না, কার ও সুপারিশ ফলপ্রদ হবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্ত ও হবে না। 124. যখন ইব্রাহীমকে তাঁর পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করে দিলেন, তখন পালনকর্তা বললেন, আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করব। তিনি বললেন, আমার বংশধর থেকেও! তিনি বললেন আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌঁছাবে না। 125. যখন আমি কা’বা গৃহকে মানুষের জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাযের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ। 126. যখন ইব্রাহীম বললেন, পরওয়ারদেগার! এ স্থানকে তুমি শান্তিধান কর এবং এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা অল্লাহ ও কিয়ামতে বিশ্বাস করে, তাদেরকে ফলের দ্বারা রিযিক দান কর। বললেনঃ যারা অবিশ্বাস করে, আমি তাদেরও কিছুদিন ফায়দা ভোগ করার সুযোগ দেব, অতঃপর তাদেরকে বলপ্রয়োগে দোযখের আযাবে ঠেলে দেবো; সেটা নিকৃষ্ট বাসস্থান। 127. স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল কা’বাগৃহের ভিত্তি স্থাপন করছিল। তারা দোয়া করেছিলঃ পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ। 128. পরওয়ারদেগার! আমাদের উভয়কে তোমার আজ্ঞাবহ কর এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত দল সৃষ্টি কর, আমাদের হজ্বের রীতিনীতি বলে দাও এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী। দয়ালু। 129. হে পরওয়ারদেগার! তাদের মধ্যে থেকেই তাদের নিকট একজন পয়গম্বর প্রেরণ করুণ যিনি তাদের কাছে তোমার আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করবেন, তাদেরকে কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দিবেন। এবং তাদের পবিত্র করবেন। নিশ্চয় তুমিই পরাক্রমশালী হেকমতওয়ালা। 130. ইব্রাহীমের ধর্ম থেকে কে মুখ ফেরায়? কিন্তু সে ব্যক্তি, যে নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করে। নিশ্চয়ই আমি তাকে পৃথিবীতে মনোনীত করেছি এবং সে পরকালে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। 131. স্মরণ কর, যখন তাকে তার পালনকর্তা বললেনঃ অনুগত হও। সে বললঃ আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম। 132. এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না। 133. তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবর্তী হয়? যখন সে সন্তানদের বললঃ আমার পর তোমরা কার এবাদত করবে? তারা বললো, আমরা তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের এবাদত করব। তিনি একক উপাস্য। আমরা সবাই তাঁর আজ্ঞাবহ। 134. তারা ছিল এক সম্প্রদায়-যারা গত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদেরই জন্যে। তারা কি করত, সে সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না। 135. তারা বলে, তোমরা ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান হয়ে যাও, তবেই সুপথ পাবে। আপনি বলুন, কখনই নয়; বরং আমরা ইব্রাহীমের ধর্মে আছি যাতে বক্রতা নেই। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। 136. তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী। 137. অতএব তারা যদি ঈমান আনে, তোমাদের ঈমান আনার মত, তবে তারা সুপথ পাবে। আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তারাই হঠকারিতায় রয়েছে। সুতরাং এখন তাদের জন্যে আপনার পক্ষ থেকে আল্লাহই যথেষ্ট। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। 138. আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে? আমরা তাঁরই এবাদত করি। 139. আপনি বলে দিন, তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করছ? অথচ তিনিই আমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের ও পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। এবং আমরা তাঁরই প্রতি একনিষ্ঠ। 140. অথবা তোমরা কি বলছ যে, নিশ্চয়ই ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব (আঃ) ও তাদের সন্তানগন ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান ছিলেন? আপনি বলে দিন, তোমরা বেশী জান, না আল্লাহ বেশী জানেন? তার চাইতে অত্যাচারী কে, যে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে প্রমাণিত সাক্ষ্যকে গোপন করে? আল্লাহ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন। 141. সে সম্প্রদায় অতীত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদের জন্যে এবং তোমরা যা করছ, তা তোমাদের জন্যে। তাদের কর্ম সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞেস করা হবে না। 142. এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান। 143. এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলীর জন্যে এবং যাতে রসূল সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের জন্য। আপনি যে কেবলার উপর ছিলেন, তাকে আমি এজন্যই কেবলা করেছিলাম, যাতে একথা প্রতীয়মান হয় যে, কে রসূলের অনুসারী থাকে আর কে পিঠটান দেয়। নিশ্চিতই এটা কঠোরতর বিষয়, কিন্তু তাদের জন্যে নয়, যাদেরকে আল্লাহ পথপ্রদর্শন করেছেন। আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ, মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, করুনাময়। 144. নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। 145. যদি আপনি আহলে কিতাবদের কাছে সমুদয় নিদর্শন উপস্থাপন করেন, তবুও তারা আপনার কেবলা মেনে নেবে না এবং আপনিও তাদের কেবলা মানেন না। তারাও একে অন্যের কেবলা মানে না। যদি আপনি তাদের বাসনার অনুসরণ করেন, সে জ্ঞানলাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে নিশ্চয় আপনি অবিচারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। 146. আমি যাদেরকে কিতাব দান করেছি, তারা তাকে চেনে, যেমন করে চেনে নিজেদের পুত্রদেরকে। আর নিশ্চয়ই তাদের একটি সম্প্রদায় জেনে শুনে সত্যকে গোপন করে। 147. বাস্তব সত্য সেটাই যা তোমার পালনকর্তা বলেন। কাজেই তুমি সন্দিহান হয়ো না। 148. আর সবার জন্যই রয়েছে কেবলা একেক দিকে, যে দিকে সে মুখ করে (এবাদত করবে) । কাজেই সৎকাজে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগিয়ে যাও। যেখানেই তোমরা থাকবে, আল্লাহ অবশ্যই তোমাদেরকে সমবেত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। 149. আর যে স্থান থেকে তুমি বের হও, নিজের মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফেরাও- নিঃসন্দেহে এটাই হলো তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে নির্ধারিত বাস্তব সত্য। বস্তুতঃ তোমার পালনকর্তা তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অনবহিত নন। 150. আর তোমরা যেখান থেকেই বেরিয়ে আস এবং যেখানেই অবস্থান কর, সেদিকেই মুখ ফেরাও, যাতে করে মানুষের জন্য তোমাদের সাথে ঝগড়া করার অবকাশ না থাকে। অবশ্য যারা অবিবেচক, তাদের কথা আলাদা। কাজেই তাদের আপত্তিতে ভীত হয়ো না। আমাকেই ভয় কর। যাতে আমি তোমাদের জন্যে আমার অনুগ্রহ সমূহ পূর্ণ করে দেই এবং তাতে যেন তোমরা সরলপথ প্রাপ্ত হও। 151. যেমন, আমি পাঠিয়েছি তোমাদেরই মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে একজন রসূল, যিনি তোমাদের নিকট আমার বাণীসমুহ পাঠ করবেন এবং তোমাদের পবিত্র করবেন; আর তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও তাঁর তত্ত্বজ্ঞান এবং শিক্ষা দেবেন এমন বিষয় যা কখনো তোমরা জানতে না। 152. সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না। 153. হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন। 154. আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। 155. এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। 156. যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। 157. তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত। 158. নিঃসন্দেহে সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তা’আলার নিদর্শন গুলোর অন্যতম। সুতরাং যারা কা’বা ঘরে হজ্ব বা ওমরাহ পালন করে, তাদের পক্ষে এ দুটিতে প্রদক্ষিণ করাতে কোন দোষ নেই। বরং কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিছু নেকীর কাজ করে, তবে আল্লাহ তা’আলার অবশ্যই তা অবগত হবেন এবং তার সে আমলের সঠিক মুল্য দেবেন। 159. নিশ্চয় যারা গোপন করে, আমি যেসব বিস্তারিত তথ্য এবং হেদায়েতের কথা নাযিল করেছি মানুষের জন্য কিতাবের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করার পরও; সে সমস্ত লোকের প্রতিই আল্লাহর অভিসম্পাত এবং অন্যান্য অভিসম্পাতকারীগণের ও। 160. তবে যারা তওবা করে এবং বর্ণিত তথ্যাদির সংশোধন করে মানুষের কাছে তা বর্ণনা করে দেয়, সে সমস্ত লোকের তওবা আমি কবুল করি এবং আমি তওবা কবুলকারী পরম দয়ালু। 161. নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং কাফের অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে, সে সমস্ত লোকের প্রতি আল্লাহর ফেরেশতাগনের এবং সমগ্র মানুষের লা’নত। 162. এরা চিরকাল এ লা’নতের মাঝেই থাকবে। তাদের উপর থেকে আযাব কখনও হালকা করা হবে না বরং এরা বিরাম ও পাবে না। 163. আর তোমাদের উপাস্য একইমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই। 164. নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের বিবর্তনে এবং নদীতে নৌকাসমূহের চলাচলে মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে। আর আল্লাহ তা’ আলা আকাশ থেকে যে পানি নাযিল করেছেন, তদ্দ্বারা মৃত যমীনকে সজীব করে তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সবরকম জীব-জন্তু। আর আবহাওয়া পরিবর্তনে এবং মেঘমালার যা তাঁরই হুকুমের অধীনে আসমান ও যমীনের মাঝে বিচরণ করে, নিশ্চয়ই সে সমস্ত বিষয়ের মাঝে নিদর্শন রয়েছে বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্যে। 165. আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর। 166. অনুসৃতরা যখন অনুসরণকারীদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যাবে এবং যখন আযাব প্রত্যক্ষ করবে আর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে তাদের পারস্পরিক সমস্ত সম্পর্ক। 167. এবং অনুসারীরা বলবে, কতইনা ভাল হত, যদি আমাদিগকে পৃথিবীতে ফিরে যাবার সুযোগ দেয়া হত। তাহলে আমরাও তাদের প্রতি তেমনি অসন্তুষ্ট হয়ে যেতাম, যেমন তারা অসন্তুষ্ট হয়েছে আমাদের প্রতি। এভাবেই আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে দেখাবেন তাদের কৃতকর্ম তাদেরকে অনুতপ্ত করার জন্যে। অথচ, তারা কস্মিনকালেও আগুন থেকে বের হতে পারবে না। 168. হে মানব মন্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু- সামগ্রী ভক্ষন কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। 169. সে তো এ নির্দেশই তোমাদিগকে দেবে যে, তোমরা অন্যায় ও অশ্লীল কাজ করতে থাক এবং আল্লাহর প্রতি এমন সব বিষয়ে মিথ্যারোপ কর যা তোমরা জান না। 170. আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও। 171. বস্তুতঃ এহেন কাফেরদের উদাহরণ এমন, যেন কেউ এমন কোন জীবকে আহবান করছে যা কোন কিছুই শোনে না, হাঁক-ডাক আর চিৎকার ছাড়া বধির মুক, এবং অন্ধ। সুতরাং তারা কিছুই বোঝে না। 172. হে ঈমানদারগণ, তোমরা পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহর, যদি তোমরা তাঁরই বন্দেগী কর। 173. তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত, শুকর মাংস এবং সেসব জীব-জন্তু যা আল্লাহ ব্যাতীত অপর কারো নামে উৎসর্গ করা হয়। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু। 174. নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। 175. এরাই হল সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করেছে এবং (খরিদ করেছে) ক্ষমা ও অনুগ্রহের বিনিময়ে আযাব। অতএব, তারা দোযখের উপর কেমন ধৈর্য্য ধারণকারী। 176. আর এটা এজন্যে যে, আল্লাহ নাযিল করেছেন সত্যপূর্ণ কিতাব। আর যারা কেতাবের মাঝে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছে নিশ্চয়ই তারা জেদের বশবর্তী হয়ে অনেক দূরে চলে গেছে। 177. সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম- মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার। 178. হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। 179. হে বুদ্ধিমানগণ! কেসাসের মধ্যে তোমাদের জন্যে জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার। 180. তোমাদের কারো যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, সে যদি কিছু ধন-সম্পদ ত্যাগ করে যায়, তবে তার জন্য ওসীয়ত করা বিধিবদ্ধ করা হলো, পিতা-মাতা ও নিকটাত্নীয়দের জন্য ইনসাফের সাথে পরহেযগারদের জন্য এ নির্দেশ জরুরী। ন্যায়নিষ্ঠ উপর একটি কর্তব্য. 181. যদি কেউ ওসীয়ত শোনার পর তাতে কোন রকম পরিবর্তন সাধন করে, তবে যারা পরিবর্তন করে তাদের উপর এর পাপ পতিত হবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা সবকিছু শোনেন ও জানেন। 182. যদি কেউ ওসীয়তকারীর পক্ষ থেকে আশংকা করে পক্ষপাতিত্বের অথবা কোন অপরাধমূলক সিদ্ধান্তের এবং তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, তবে তার কোন গোনাহ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। 183. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার। 184. গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। 185. রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। 186. আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে। 187. রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। তারপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত দ্রুত সম্পন্ন করা। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। 188. তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না। 189. তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম। আর পেছনের দিক দিয়ে ঘরে প্রবেশ করার মধ্যে কোন নেকী বা কল্যাণ নেই। অবশ্য নেকী হল আল্লাহকে ভয় করার মধ্যে। আর তোমরা ঘরে প্রবেশ কর দরজা দিয়ে এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা নিজেদের বাসনায় কৃতকার্য হতে পার। 190. আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। 191. আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি। 192. আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু। 193. আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা) । 194. সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর জবর দস্তি করেছে, তোমরা তাদের উপর জবরদস্তি কর, যেমন জবরদস্তি তারা করেছে তোমাদের উপর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন। 195. আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন। 196. আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ্ব ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর। যদি তোমরা বাধা প্রাপ্ত হও, তাহলে কোরবানীর জন্য যাকিছু সহজলভ্য, তাই তোমাদের উপর ধার্য। আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুন্ডন করবে না, যতক্ষণ না কোরবাণী যথাস্থানে পৌছে যাবে। যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা খয়রাত দেবে অথবা কুরবানী করবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ্ব ওমরাহ একত্রে একই সাথে পালন করতে চাও, তবে যাকিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা কোরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জ্বের দিনগুলোর মধ্যে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি তাদের জন্য, যাদের পরিবার পরিজন মসজিদুল হারামের আশে-পাশে বসবাস করে না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনো যে, আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন। 197. হজ্জ্বে কয়েকটি মাস আছে সুবিদিত। এসব মাসে যে লোক হজ্জ্বের পরিপূর্ণ নিয়ত করবে, তার পক্ষে স্ত্রীও সাথে নিরাভরণ হওয়া জায়েজ নয়। না অশোভন কোন কাজ করা, না ঝাগড়া-বিবাদ করা হজ্জ্বের সেই সময় জায়েজ নয়। আর তোমরা যাকিছু সৎকাজ কর, আল্লাহ তো জানেন। আর তোমরা পাথেয় সাথে নিয়ে নাও। নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম পাথেয় হচ্ছে আল্লাহর ভয়। আর আমাকে ভয় করতে থাক, হে বুদ্ধিমানগন! 198. তোমাদের উপর তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষন করায় কোন পাপ নেই। অতঃপর যখন তওয়াফের জন্য ফিরে আসবে আরাফাত থেকে, তখন মাশ‘ আরে-হারামের নিকটে আল্লাহকে স্মরণ কর। আর তাঁকে স্মরণ কর তেমনি করে, যেমন তোমাদিগকে হেদায়েত করা হয়েছে। আর নিশ্চয়ই ইতিপূর্বে তোমরা ছিলে অজ্ঞ। 199. অতঃপর তওয়াফের জন্যে দ্রুতগতিতে সেখান থেকে ফিরে আস, যেখান থেকে সবাই ফিরে। আর আল্লাহর কাছেই মাগফেরাত কামনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাকারী, করুনাময়। 200. আর অতঃপর যখন হজ্জ্বের যাবতীয় অনুষ্ঠানক্রিয়াদি সমাপ্ত করে সারবে, তখন স্মরণ করবে আল্লাহকে, যেমন করে তোমরা স্মরণ করতে নিজেদের বাপ- দাদাদেরকে; বরং তার চেয়েও বেশী স্মরণ করবে। তারপর অনেকে তো বলে যে পরওয়াদেগার! আমাদিগকে দুনিয়াতে দান কর। অথচ তার জন্যে পরকালে কোন অংশ নেই। 201. আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে-হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। 202. এদেরই জন্য অংশ রয়েছে নিজেদের উপার্জিত সম্পদের। আর আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। 203. আর স্মরণ কর আল্লাহকে নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েকটি দিনে। অতঃপর যে লোক তাড়াহুড়া করে চলে যাবে শুধু দু, দিনের মধ্যে, তার জন্যে কোন পাপ নেই। আর যে লোক থেকে যাবে তাঁর উপর কোন পাপ নেই, অবশ্য যারা ভয় করে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করতে থাক এবং নিশ্চিত জেনে রাখ, তোমরা সবাই তার সামনে সমবেত হবে। 204. আর এমন কিছু লোক রযেছে যাদের পার্থিব জীবনের কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে। আর তারা সাক্ষ্য স্থাপন করে আল্লাহকে নিজের মনের কথার ব্যাপারে। প্রকৃতপক্ষে তারা কঠিন ঝগড়াটে লোক। 205. যখন ফিরে যায় তখন চেষ্টা করে যাতে সেখানে অকল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণনাশ করতে পারে। আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা- হাঙ্গামা পছন্দ করেন না। 206. আর যখন তাকে বলা হয় যে, আল্লাহকে ভয় কর, তখন তার পাপ তাকে অহঙ্কারে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং তার জন্যে দোযখই যথেষ্ট। আর নিঃসন্দেহে তা হলো নিকৃষ্টতর ঠিকানা। 207. আর মানুষের মাঝে এক শ্রেণীর লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিকল্পে নিজেদের জানের বাজি রাখে। আল্লাহ হলেন তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান। 208. হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। 209. অতঃপর তোমাদের মাঝে পরিস্কার নির্দেশ এসে গেছে বলে জানার পরেও যদি তোমরা পদস্খলিত হও, তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ, পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। 210. তারা কি সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে যে, মেঘের আড়ালে তাদের সামনে আসবেন আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ? আর তাতেই সব মীমাংসা হয়ে যাবে। বস্তুতঃ সবকার্যকলাপই আল্লাহর নিকট গিয়ে পৌঁছবে। 211. বনী ইসরাঈলদিগকে জিজ্ঞেস কর, তাদেরকে আমি কত স্পষ্ট নির্দশনাবলী দান করেছি। আর আল্লাহর নেয়ামত পৌছে যাওয়ার পর যদি কেউ সে নেয়ামতকে পরিবর্তিত করে দেয়, তবে আল্লাহর আযাব অতি কঠিন। 212. পার্থিব জীবনের উপর কাফেরদিগকে উম্মত্ত করে দেয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান করেন। 213. সকল মানুষ একই জাতি সত্তার অন্তর্ভুক্ত ছিল। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা পয়গম্বর পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকরী হিসাবে। আর তাঁদের সাথে অবর্তীণ করলেন সত্য কিতাব, যাতে মানুষের মাঝে বিতর্কমূলক বিষয়ে মীমাংসা করতে পারেন। বস্তুতঃ কিতাবের ব্যাপারে অন্য কেউ মতভেদ করেনি; কিন্তু পরিষ্কার নির্দেশ এসে যাবার পর নিজেদের পারস্পরিক জেদবশতঃ তারাই করেছে, যারা কিতাব প্রাপ্ত হয়েছিল। অতঃপর আল্লাহ ঈমানদারদেরকে হেদায়েত করেছেন সেই সত্য বিষয়ে, যে ব্যাপারে তারা মতভেদ লিপ্ত হয়েছিল। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, সরল পথ বাতলে দেন। 214. তোমাদের কি এই ধারণা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্যে! তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর সাহায্যে একান্তই নিকটবর্তী। 215. তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও-যে বস্তুই তোমরা ব্যয় কর, তা হবে পিতা- মাতার জন্যে, আত্নীয়-আপনজনের জন্যে, এতীম- অনাথদের জন্যে, অসহায়দের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ করবে, নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত ভালভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে। 216. তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। 217. সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে। 218. আর এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে আর আল্লাহর পথে লড়াই (জেহাদ) করেছে, তারা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী করুনাময়। 219. তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই খরচ করবে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করতে পার। 220. দুনিয়া ও আখেরাতের বিষয়ে। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, এতীম সংক্রান্ত হুকুম। বলে দাও, তাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে গুছিয়ে দেয়া উত্তম আর যদি তাদের ব্যয়ভার নিজের সাথে মিশিয়ে নাও, তাহলে মনে করবে তারা তোমাদের ভাই। বস্তুতঃ অমঙ্গলকামী ও মঙ্গলকামীদেরকে আল্লাহ জানেন। আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে তোমাদের উপর জটিলতা আরোপ করতে পারতেন। নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞ। 221. আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। 222. আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। 223. তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও। 224. আর নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিও না মানুষের সাথে কোন আচার আচরণ থেকে পরহেযগারী থেকে এবং মানুষের মাঝে মীমাংসা করে দেয়া থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ সবকিছুই শুনেন ও জানেন। 225. তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না, কিন্তু সেসব কসমের ব্যাপারে ধরবেন, তোমাদের মন যার প্রতিজ্ঞা করেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী ধৈর্য্যশীল। 226. যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট গমন করবেনা বলে কসম খেয়ে বসে তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে অতঃপর যদি পারস্পরিক মিল-মিশ করে নেয়, তবে আল্লাহ ক্ষামাকারী দয়ালু। 227. আর যদি বর্জন করার সংকল্প করে নেয়, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী ও জ্ঞানী। 228. আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। 229. তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে, তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়, তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে, তারাই জালেম। 230. তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃêক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। 231. আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দিয়ে দাও, অতঃপর তারা নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্ত করে নেয়, তখন তোমরা নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে রেখে দাও অথবা সহানুভুতির সাথে তাদেরকে মুক্ত করে দাও। আর তোমরা তাদেরকে জ্বালাতন ও বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্যে আটকে রেখো না। আর যারা এমন করবে, নিশ্চয়ই তারা নিজেদেরই ক্ষতি করবে। আর আল্লাহর নির্দেশকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করো না। আল্লাহর সে অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের উপর রয়েছে এবং তাও স্মরণ কর, যে কিতাব ও জ্ঞানের কথা তোমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে যার দ্বারা তোমাদেরকে উপদেশ দান করা হয়। আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ সর্ববিষয়েই জ্ঞানময়। 232. আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দিয়ে দাও এবং তারপর তারাও নির্ধারিত ইদ্দত পূর্ন করতে থাকে, তখন তাদেরকে পূর্ব স্বামীদের সাথে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী বিয়ে করতে বাধাদান করো না। এ উপদেশ তাকেই দেয়া হচ্ছে, যে আল্লাহ ও কেয়ামত দিনের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে। এর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে একান্ত পরিশুদ্ধতা ও অনেক পবিত্রতা। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না। 233. আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। আর সন্তানের অধিকারী অর্থাৎ, পিতার উপর হলো সে সমস্ত নারীর খোর-পোষের দায়িত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী। কাউকে তার সামর্থাতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন করা হয় না। আর মাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এবং যার সন্তান তাকেও তার সন্তানের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন করা যাবে না। আর ওয়ারিসদের উপরও দায়িত্ব এই। তারপর যদি পিতা-মাতা ইচ্ছা করে, তাহলে দু’বছরের ভিতরেই নিজেদের পারস্পরিক পরামর্শক্রমে দুধ ছাড়িয়ে দিতে পারে, তাতে তাদের কোন পাপ নেই, আর যদি তোমরা কোন ধাত্রীর দ্বারা নিজের সন্তানদেরকে দুধ খাওয়াতে চাও, তাহলে যদি তোমরা সাব্যস্তকৃত প্রচলিত বিনিময় দিয়ে দাও তাতেও কোন পাপ নেই। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ অত্যন্ত ভাল করেই দেখেন। 234. আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই। আর তোমাদের যাবতীয় কাজের ব্যাপারেই আল্লাহর অবগতি রয়েছে। 235. আর যদি তোমরা আকার ইঙ্গিতে সে নারীর বিয়ের পয়গাম দাও, কিংবা নিজেদের মনে গোপন রাখ, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই, আল্লাহ জানেন যে, তোমরা অবশ্যই সে নারীদের কথা উল্লেখ করবে। কিন্তু তাদের সাথে বিয়ে করার গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখো না। অবশ্য শরীয়তের নির্ধারিত প্রথা অনুযায়ী কোন কথা সাব্যস্ত করে নেবে। আর নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্তি পর্যায়ে না যাওয়া অবধি বিয়ে করার কোন ইচ্ছা করো না। আর একথা জেনে রেখো যে, তোমাদের মনে যে কথা রয়েছে, আল্লাহর তা জানা আছে। কাজেই তাঁকে ভয় করতে থাক। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ ক্ষমাকারী ও ধৈর্য্যশীল। 236. স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করার আগে এবং কোন মোহর সাব্যস্ত করার পূর্বেও যদি তালাক দিয়ে দাও, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই। তবে তাদেরকে কিছু খরচ দেবে। আর সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এবং কম সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সাধ্য অনুযায়ী। যে খরচ প্রচলিত রয়েছে তা সৎকর্মশীলদের উপর দায়িত্ব। 237. আর যদি মোহর সাব্যস্ত করার পর স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিয়ে দাও, তাহলে যে, মোহর সাব্যস্ত করা হয়েছে তার অর্ধেক দিয়ে দিতে হবে। অবশ্য যদি নারীরা ক্ষমা করে দেয় কিংবা বিয়ের বন্ধন যার অধিকারে সে (অর্থাৎ, স্বামী) যদি ক্ষমা করে দেয় তবে তা স্বতন্ত্র কথা। আর তোমরা পুরুষরা যদি ক্ষমা কর, তবে তা হবে পরহেযগারীর নিকটবর্তী। আর পারস্পরিক সহানুভূতির কথা বিস্মৃত হয়ো না। নিশ্চয় তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ সেসবই অত্যন্ত ভাল করে দেখেন। 238. সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। 239. অতঃপর যদি তোমাদের কারো ব্যাপারে ভয় থাকে, তাহলে পদচারী অবস্থাতেই পড়ে নাও অথবা সওয়ারীর উপরে। তারপর যখন তোমরা নিরাপত্তা পাবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, যেভাবে তোমাদের শেখানো হয়েছে, যা তোমরা ইতিপূর্বে জানতে না। 240. আর যখন তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে তখন স্ত্রীদের ঘর থেকে বের না করে এক বছর পর্যন্ত তাদের খরচের ব্যাপারে ওসিয়ত করে যাবে। অতঃপর যদি সে স্ত্রীরা নিজে থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সে নারী যদি নিজের ব্যাপারে কোন উত্তম ব্যবস্থা করে, তবে তাতে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশালী বিজ্ঞতা সম্পন্ন। 241. আর তালাকপ্রাপ্তা নারীদের জন্য প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী খরচ দেয়া পরহেযগারদের উপর কর্তব্য। 242. এভাবেই আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা তা বুঝতে পার। 243. তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা মৃত্যুর ভয়ে নিজেদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন? অথচ তারা ছিল হাজার হাজার। তারপর আল্লাহ তাদেরকে বললেন মরে যাও। তারপর তাদেরকে জীবিত করে দিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের উপর অনুগ্রহকারী। কিন্তু অধিকাংশ লোক শুকরিয়া প্রকাশ করে না। 244. আল্লাহর পথে লড়াই কর এবং জেনে রাখ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সবকিছু জানেন, সবকিছু শুনেন। 245. এমন কে আছে যে, আল্লাহকে করজ দেবে, উত্তম করজ; অতঃপর আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ-বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিবেন। আল্লাহই সংকোচিত করেন এবং তিনিই প্রশস্ততা দান করেন এবং তাঁরই নিকট তোমরা সবাই ফিরে যাবে। 246. মূসার পরে তুমি কি বনী ইসরাঈলের একটি দলকে দেখনি, যখন তারা বলেছে নিজেদের নবীর কাছে যে, আমাদের জন্য একজন বাদশাহ নির্ধারিত করে দিন যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি। নবী বললেন, তোমাদের প্রতিও কি এমন ধারণা করা যায় যে, লড়াইর হুকুম যদি হয়, তাহলে তখন তোমরা লড়বে না? তারা বলল, আমাদের কি হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করব না। অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি নিজেদের ঘর-বাড়ী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। অতঃপর যখন লড়াইয়ের নির্দেশ হলো, তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তাদের সবাই ঘুরে দাঁড়ালো। আর আল্লাহ তা’আলা জালেমদের ভাল করেই জানেন। 247. আর তাদেরকে তাদের নবী বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তালূতকে তোমাদের জন্য বাদশাহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা বলতে লাগল তা কেমন করে হয় যে, তার শাসন চলবে আমাদের উপর। অথচ রাষ্ট্রক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে তার চেয়ে আমাদেরই অধিকার বেশী। আর সে সম্পদের দিক দিয়েও সচ্ছল নয়। নবী বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তাকে পছন্দ করেছেন এবং স্বাস্থ্য ও জ্ঞানের দিক দিয়ে প্রাচুর্য দান করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তাকেই রাজ্য দান করেন, যাকে ইচ্ছা। আর আল্লাহ হলেন অনুগ্রহ দানকারী এবং সব বিষয়ে অবগত। 248. বনী-ইসরাঈলদেরকে তাদের নবী আরো বললেন, তালূতের নেতৃত্বের চিহ্ন হলো এই যে, তোমাদের কাছে একটা সিন্দুক আসবে তোমাদের পালকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের মনের সন্তুষ্টির নিমিত্তে। আর তাতে থাকবে মূসা, হারুন এবং তাঁদের সন্তানবর্গের পরিত্যক্ত কিছু সামগ্রী। সিন্দুকটিকে বয়ে আনবে ফেরেশতারা। তোমরা যদি ঈমানদার হয়ে থাক, তাহলে এতে তোমাদের জন্য নিশ্চিতই পরিপূর্ণ নিদর্শন রয়েছে। 249. অতঃপর তালূত যখন সৈন্য-সামন্ত নিয়ে বেরুল, তখন বলল, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদিগকে পরীক্ষা করবেন একটি নদীর মাধ্যমে। সুতরাং যে লোক সেই নদীর পানি পান করবে সে আমার নয়। আর যে, লোক তার স্বাদ গ্রহণ করলো না, নিশ্চয়ই সে আমার লোক। কিন্তু যে লোক হাতের আঁজলা ভরে সামান্য খেয়ে নেবে তার দোষঅবশ্য তেমন গুরুতর হবে না। অতঃপর সবাই পান করল সে পানি, সামান্য কয়েকজন ছাড়া। পরে তালূত যখন তা পার হলো এবং তার সাথে ছিল মাত্র কয়েকজন ঈমানদার, তখন তারা বলতে লাগল, আজকের দিনে জালূত এবং তার সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই, যাদের ধারণা ছিল যে, আল্লাহর সামনে তাদের একদিন উপস্থিত হতে হবে, তারা বার বার বলতে লাগল, সামান্য দলই বিরাট দলের মোকাবেলায় জয়ী হয়েছে আল্লাহর হুকুমে। আর যারা ধৈর্য্যশীল আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন। 250. আর যখন তালূত ও তার সেনাবাহিনী শত্রুর সম্মুখীন হল, তখন বলল, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ- আর আমাদের সাহায্য কর সে কাফের জাতির বিরুদ্ধে। 251. তারপর ঈমানদাররা আল্লাহর হুকুমে জালূতের বাহিনীকে পরাজিত করে দিল এবং দাউদ জালূতকে হত্যা করল। আর আল্লাহ দাউদকে দান করলেন রাজ্য ও অভিজ্ঞতা। আর তাকে যা চাইলেন শিখালেন। আল্লাহ যদি একজনকে অপরজনের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে গোটা দুনিয়া বিধ্বস্ত হয়ে যেতো। কিন্তু বিশ্ববাসীর প্রতি আল্লাহ একান্তই দয়ালু, করুণাময়। 252. এগুলো হলো আল্লাহর নিদর্শন, যা আমরা তোমাদেরকে যথাযথভাবে শুনিয়ে থাকি। আর আপনি নিশ্চিতই আমার রসূলগণের অন্তর্ভুক্ত। 253. এই রসূলগণ-আমি তাদের কাউকে কারো উপর মর্যাদা দিয়েছি। তাদের মধ্যে কেউ তো হলো তারা যার সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন, আর কারও মর্যাদা উচ্চতর করেছেন এবং আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রকৃষ্ট মু’জেযা দান করেছি এবং তাকে শক্তি দান করেছি ‘রুহূল কুদ্দুস’ অর্থৎ জিবরাঈলের মাধ্যমে। আর আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে পরিস্কার নির্দেশ এসে যাবার পর পয়গম্বরদের পেছনে যারা ছিল তারা লড়াই করতো না। কিন্তু তাদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়ে গেছে। অতঃপর তাদের কেউ তো ঈমান এনেছে, আর কেউ হয়েছে কাফের। আর আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে তারা পরস্পর লড়াই করতো, কিন্তু আল্লাহ তাই করেন, যা তিনি ইচ্ছা করেন। 254. হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর, যাতে না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত যালেম। 255. আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান। 256. দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন। 257. যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে। 258. তুমি কি সে লোককে দেখনি, যে পালনকর্তার ব্যাপারে বাদানুবাদ করেছিল ইব্রাহীমের সাথে এ কারণে যে, আল্লাহ সে ব্যাক্তিকে রাজ্য দান করেছিলেন? ইব্রাহীম যখন বললেন, আমার পালনকর্তা হলেন তিনি, যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমি জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটিয়ে থাকি। ইব্রাহীম বললেন, নিশ্চয়ই তিনি সুর্যকে উদিত করেন পূর্ব দিক থেকে এবার তুমি তাকে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর। তখন সে কাফের হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ সীমালংঘণকারী সম্প্রদায়কে সরল পথ প্রদর্শন করেন না। 259. তুমি কি সে লোককে দেখনি যে এমন এক জনপদ দিয়ে যাচ্ছিল যার বাড়ীঘরগুলো ভেঙ্গে ছাদের উপর পড়ে ছিল? বলল, কেমন করে আল্লাহ মরনের পর একে জীবিত করবেন? অতঃপর আল্লাহ তাকে মৃত অবস্থায় রাখলেন একশ বছর। তারপর তাকে উঠালেন। বললেন, কত কাল এভাবে ছিলে? বলল আমি ছিলাম, একদিন কংবা একদিনের কিছু কম সময়। বললেন, তা নয়; বরং তুমি তো একশ বছর ছিলে। এবার চেয়ে দেখ নিজের খাবার ও পানীয়ের দিকে- সেগুলো পচে যায় নি এবং দেখ নিজের গাধাটির দিকে। আর আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে চেয়েছি। আর হাড়গুলোর দিকে চেয়ে দেখ যে, আমি এগুলোকে কেমন করে জুড়ে দেই এবং সেগুলোর উপর মাংসের আবরণ পরিয়ে দেই। অতঃপর যখন তার উপর এ অবস্থা প্রকাশিত হল, তখন বলে উঠল-আমি জানি, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। 260. আর স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম বলল, হে আমার পালনকর্তা আমাকে দেখাও, কেমন করে তুমি মৃতকে জীবিত করবে। বললেন; তুমি কি বিশ্বাস কর না? বলল, অবশ্যই বিশ্বাস করি, কিন্তু দেখতে এজন্যে চাইছি যাতে অন্তরে প্রশান্তি লাভ করতে পারি। বললেন, তাহলে চারটি পাখী ধরে নাও। পরে সেগুলোকে নিজের পোষ মানিয়ে নাও, অতঃপর সেগুলোর দেহের একেকটি অংশ বিভিন্ন পাহাড়ের উপর রেখে দাও। তারপর সেগুলোকে ডাক; তোমার নিকট দৌড়ে চলে আসবে। আর জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, অতি জ্ঞান সম্পন্ন। 261. যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। এবং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তিনি জন্য [তাঁর পুরস্কার] সংখ্যাবৃদ্ধি. আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ। 262. যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না। 263. নম্র কথা বলে দেয়া এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত অপেক্ষা উত্তম, যার পরে কষ্ট দেয়া হয়। আল্লাহ তা’আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু। 264. হে ঈমানদারগণ!তোমরা অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান খয়রাত বরবাদ করো না সে ব্যক্তির মত যে নিজের ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না। অতএব, এ ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত একটি মসৃণ পাথরের মত যার উপর কিছু মাটি পড়েছিল। অতঃপর এর উপর প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত হলো, অনন্তর তাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দিল। তারা ঐ বস্তুর কোন সওয়াব পায় না, যা তারা উপার্জন করেছে। আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না। 265. যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এবং নিজের মনকে সুদৃঢ় করার জন্যে তাদের উদাহরণ টিলায় অবস্থিত বাগানের মত, যাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়; অতঃপর দ্বিগুণ ফসল দান করে। যদি এমন প্রবল বৃষ্টিপাত নাও হয়, তবে হাল্কা বর্ষণই যথেষ্ট। আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম যথার্থই প্রত্যক্ষ করেন। 266. তোমাদের কেউ পছন্দ করে যে, তার একটি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান হবে, এর তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত হবে, আর এতে সর্বপ্রকার ফল- ফসল থাকবে এবং সে বার্ধক্যে পৌছবে, তার দুর্বল সন্তান সন্ততিও থাকবে, এমতাবস্থায় এ বাগানের একটি ঘূর্ণিবায়ু আসবে, যাতে আগুন রয়েছে, অনন্তর বাগানটি ভষ্মীভূত হয়ে যাবে? এমনিভাবে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে নিদর্শনসমূহ বর্ননা করেন-যাতে তোমরা চিন্তা- ভাবনা কর। 267. হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং যা আমি তোমাদের জন্যে ভূমি থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে মনস্থ করো না। কেননা, তা তোমরা কখনও গ্রহণ করবে না; তবে যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নিয়ে নাও। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাব মুক্ত, প্রশংসিত। 268. শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও বেশী অনুগ্রহের ওয়াদা করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সুবিজ্ঞ। 269. তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভুত কল্যাণকর বস্তু প্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে, যারা জ্ঞানবান। 270. তোমরা যে খয়রাত বা সদ্ব্যয় কর কিংবা কোন মানত কর, আল্লাহ নিশ্চয়ই সেসব কিছুই জানেন। অন্যায়কারীদের কোন সাহায্যকারী নেই। 271. যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি খয়রাত গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা তোমাদের জন্যে আরও উত্তম। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের কিছু গোনাহ দূর করে দিবেন। আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খুব খবর রাখেন। 272. তাদেরকে সৎপথে আনার দায় তোমার নয়। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। যে মাল তোমরা ব্যয় কর, তা নিজ উপাকারার্থেই কর। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় করো না। তোমরা যে, অর্থ ব্যয় করবে, তার পুরস্কার পুরোপুরি পেয়ে যাবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না। 273. খয়রাত ঐ সকল গরীব লোকের জন্যে যারা আল্লাহর পথে আবদ্ধ হয়ে গেছে- জীবিকার সন্ধানে অন্যত্র ঘোরাফেরা করতে সক্ষম নয়। অজ্ঞ লোকেরা যাঞ্চা না করার কারণে তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তোমরা তাদেরকে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনবে। তারা মানুষের কাছে কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না। তোমরা যে অর্থ ব্যয় করবে, তা আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই পরিজ্ঞাত। 274. যারা স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, রাত্রে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাদের জন্যে তাদের সওয়াব রয়েছে তাদের পালনকর্তার কাছে। তাদের কোন আশংঙ্কা নেই এবং তারা চিন্তিত ও হবে না। 275. যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়- বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। 276. আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে। 277. নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। 278. হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। 279. অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না। 280. যদি খাতক অভাবগ্রস্থ হয়, তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দেয়া উচিত। আর যদি ক্ষমা করে দাও, তবে তা খুবই উত্তম যদি তোমরা উপলব্ধি কর। 281. ঐ দিনকে ভয় কর, যে দিন তোমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। অতঃপর প্রত্যেকেই তার কর্মের ফল পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি কোন রূপ অবিচার করা হবে না। 282. হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋন গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে এবং লেখার মধ্যে বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে। অতঃপর ঋণগ্রহীতা যদি নির্বোধ হয় কিংবা দূর্বল হয় অথবা নিজে লেখার বিষয়বস্তু বলে দিতে অক্ষম হয়, তবে তার অভিভাবক ন্যায়সঙ্গতভাবে লিখাবে। দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যখন ডাকা হয়, তখন সাক্ষীদের অস্বীকার করা উচিত নয়। তোমরা এটা লিখতে অলসতা করোনা, তা ছোট হোক কিংবা বড়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এ লিপিবদ্ধ করণ আল্লাহর কাছে সুবিচারকে অধিক কায়েম রাখে, সাক্ষ্যকে অধিক সুসংহত রাখে এবং তোমাদের সন্দেহে পতিত না হওয়ার পক্ষে অধিক উপযুক্ত। কিন্তু যদি কারবার নগদ হয়, পরস্পর হাতে হাতে আদান- প্রদান কর, তবে তা না লিখলে তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই। তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাক্ষী রাখ। কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না। যদি তোমরা এরূপ কর, তবে তা তোমাদের পক্ষে পাপের বিষয়। আল্লাহকে ভয় কর তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আল্লাহ সব কিছু জানেন। 383. আর তোমরা যদি প্রবাসে থাক এবং কোন লেখক না পাও তবে বন্ধকী বন্তু হস্তগত রাখা উচিত। যদি একে অন্যকে বিশ্বাস করে, তবে যাকে বিশ্বাস করা হয়, তার উচিত অন্যের প্রাপ্য পরিশোধ করা এবং স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় কর! তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। যে কেউ তা গোপন করবে, তার অন্তর পাপপূর্ণ হবে। তোমরা যা করা, আল্লাহ সে সম্পর্কে খুব জ্ঞাত। 284. যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে আছে, সব আল্লাহরই। যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। 285. রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। 286. আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।

No comments:

Post a Comment

Translate