Sunday, November 15, 2020

5. সুরা আল – মায়িদা( 01-120)

 

5. সুরা আল – মায়িদা( 01-120)


মুমিনগণﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺃَﻭﻓﻮﺍ
ﺑِﺎﻟﻌُﻘﻮﺩِ ۚ ﺃُﺣِﻠَّﺖ ﻟَﻜُﻢ ﺑَﻬﻴﻤَﺔُ
ﺍﻷَﻧﻌٰﻢِ ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ ﻳُﺘﻠﻰٰ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻏَﻴﺮَ ﻣُﺤِﻠِّﻰ ﺍﻟﺼَّﻴﺪِ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﺣُﺮُﻡٌ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺤﻜُﻢُ ﻣﺎ ﻳُﺮﻳﺪُ
[1] মুমিনগণ, তোমরা অঙ্গীকারসমূহ
পূর্ন কর। তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু
হালাল করা হয়েছে, যা তোমাদের
কাছে বিবৃত হবে তা ব্যতীত। কিন্তু
এহরাম বাধাঁ অবস্থায় শিকারকে
হালাল মনে করো না! নিশ্চয় আল্লাহ
তা’আলা যা ইচ্ছা করেন, নির্দেশ দেন।
[1] O you who believe! Fulfill (your)
obligations. Lawful to you (for food) are
all the beasts of cattle except that which
will be announced to you (herein), game
(also) being unlawful when you assume
Ihrâm for Hajj or ‘Umrah (pilgrimage).
Verily, Allâh commands that which He
wills.
[2] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗُﺤِﻠّﻮﺍ ﺷَﻌٰﺌِﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﺸَّﻬﺮَ
ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡَ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻬَﺪﻯَ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻘَﻠٰﺌِﺪَ
ﻭَﻻ ﺀﺍﻣّﻴﻦَ ﺍﻟﺒَﻴﺖَ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡَ
ﻳَﺒﺘَﻐﻮﻥَ ﻓَﻀﻠًﺎ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻬِﻢ
ﻭَﺭِﺿﻮٰﻧًﺎ ۚ ﻭَﺇِﺫﺍ ﺣَﻠَﻠﺘُﻢ
ﻓَﺎﺻﻄﺎﺩﻭﺍ ۚ ﻭَﻻ ﻳَﺠﺮِﻣَﻨَّﻜُﻢ
ﺷَﻨَـٔﺎﻥُ ﻗَﻮﻡٍ ﺃَﻥ ﺻَﺪّﻭﻛُﻢ ﻋَﻦِ
ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ﺃَﻥ ﺗَﻌﺘَﺪﻭﺍ ۘ
ﻭَﺗَﻌﺎﻭَﻧﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺒِﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘﻮﻯٰ ۖ
ﻭَﻻ ﺗَﻌﺎﻭَﻧﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛﻢِ
ﻭَﺍﻟﻌُﺪﻭٰﻥِ ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۖ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﺪﻳﺪُ ﺍﻟﻌِﻘﺎﺏِ
[2] হে মুমিনগণ! হালাল মনে করো না
আল্লাহর নিদর্শনসমূহ এবং সম্মানিত
মাসসমূহকে এবং হরমে কুরবানীর জন্যে
নির্দিষ্ট জন্তুকে এবং ঐসব জন্তুকে,
যাদের গলায় কন্ঠাভরণ রয়েছে এবং
ঐসব লোককে যারা সম্মানিত গৃহ
অভিমুখে যাচ্ছে, যারা স্বীয়
পালনকর্তার অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা
করে। যখন তোমরা এহরাম থেকে বের
হয়ে আস, তখন শিকার কর। যারা পবিত্র
মসজিদ থেকে তোমাদেরকে বাধা
প্রদান করেছিল, সেই সম্প্রদায়ের
শুত্রুতা যেন তোমাদেরকে
সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে।
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের
সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের
ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো
না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ
তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।
[2] O you who believe! Violate not the
sanctity of the Symbols of Allâh, nor of
the Sacred Month, nor of the animals
brought for sacrifice, nor the garlanded
people or animals, and others nor the
people coming to the Sacred House
(Makkah), seeking the bounty and good
pleasure of their Lord. But when you
finish the Ihrâm (of Hajj or ‘Umrah), you
may hunt, and let not the hatred of some
people in (once) stopping you from Al-
Masjid-Al-Harâm (at Makkah) lead you
to transgression (and hostility on your
part). Help you one another in Al-Birr
and At-Taqwa (virtue, righteousness and
piety); but do not help one another in sin
and transgression. And fear Allâh.
Verily, Allâh is Severe in punishment.
[3] ﺣُﺮِّﻣَﺖ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﻤَﻴﺘَﺔُ
ﻭَﺍﻟﺪَّﻡُ ﻭَﻟَﺤﻢُ ﺍﻟﺨِﻨﺰﻳﺮِ ﻭَﻣﺎ
ﺃُﻫِﻞَّ ﻟِﻐَﻴﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑِﻪِ ﻭَﺍﻟﻤُﻨﺨَﻨِﻘَﺔُ
ﻭَﺍﻟﻤَﻮﻗﻮﺫَﺓُ ﻭَﺍﻟﻤُﺘَﺮَﺩِّﻳَﺔُ
ﻭَﺍﻟﻨَّﻄﻴﺤَﺔُ ﻭَﻣﺎ ﺃَﻛَﻞَ ﺍﻟﺴَّﺒُﻊُ
ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ ﺫَﻛَّﻴﺘُﻢ ﻭَﻣﺎ ﺫُﺑِﺢَ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻨُّﺼُﺐِ ﻭَﺃَﻥ ﺗَﺴﺘَﻘﺴِﻤﻮﺍ
ﺑِﺎﻷَﺯﻟٰﻢِ ۚ ﺫٰﻟِﻜُﻢ ﻓِﺴﻖٌ ۗ ﺍﻟﻴَﻮﻡَ
ﻳَﺌِﺲَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻣِﻦ
ﺩﻳﻨِﻜُﻢ ﻓَﻼ ﺗَﺨﺸَﻮﻫُﻢ
ﻭَﺍﺧﺸَﻮﻥِ ۚ ﺍﻟﻴَﻮﻡَ ﺃَﻛﻤَﻠﺖُ ﻟَﻜُﻢ
ﺩﻳﻨَﻜُﻢ ﻭَﺃَﺗﻤَﻤﺖُ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻧِﻌﻤَﺘﻰ ﻭَﺭَﺿﻴﺖُ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻹِﺳﻠٰﻢَ
ﺩﻳﻨًﺎ ۚ ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺿﻄُﺮَّ ﻓﻰ
ﻣَﺨﻤَﺼَﺔٍ ﻏَﻴﺮَ ﻣُﺘَﺠﺎﻧِﻒٍ ﻟِﺈِﺛﻢٍ ۙ
ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[3] তোমাদের জন্যে হারাম করা
হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস,
যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে
উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়,
যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ
স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা
শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে
হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু
যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু
যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা
ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা
হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ
কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে
নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয়
করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ
আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের
দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম,
তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ
করে দিলাম এবং ইসলামকে
তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ
করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র
ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন
গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে,
তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা
ক্ষমাশীল।
[3] Forbidden to you (for food) are: Al-
Maitah (the dead animals – cattle – beast
not slaughtered), blood, the flesh of
swine, and that on which Allâh’s Name
has not been mentioned while
slaughtering, (that which has been
slaughtered as a sacrifice for others than
Allâh, or has been slaughtered for idols)
and that which has been killed by
strangling, or by a violent blow, or by a
headlong fall, or by the goring of horns –
and that which has been (partly) eaten
by a wild animal – unless you are able to
slaughter it (before its death) – and that
which is sacrificed (slaughtered) on An-
Nusub (stone-altars). (Forbidden) also is
to use arrows seeking luck or decision;
(all) that is Fisqun (disobedience of Allâh
and sin). This day, those who disbelieved
have given up all hope of your religion;
so fear them not, but fear Me. This day, I
have perfected your religion for you,
completed My Favour upon you, and
have chosen for you Islâm as your
religion. But as for him who is forced by
severe hunger, with no inclination to sin
(such can eat these above mentioned
meats), then surely, Allâh is Oft-
Forgiving, Most Merciful.
[4] ﻳَﺴـَٔﻠﻮﻧَﻚَ ﻣﺎﺫﺍ ﺃُﺣِﻞَّ ﻟَﻬُﻢ ۖ
ﻗُﻞ ﺃُﺣِﻞَّ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟﻄَّﻴِّﺒٰﺖُ ۙ ﻭَﻣﺎ
ﻋَﻠَّﻤﺘُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺠَﻮﺍﺭِﺡِ ﻣُﻜَﻠِّﺒﻴﻦَ
ﺗُﻌَﻠِّﻤﻮﻧَﻬُﻦَّ ﻣِﻤّﺎ ﻋَﻠَّﻤَﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۖ
ﻓَﻜُﻠﻮﺍ ﻣِﻤّﺎ ﺃَﻣﺴَﻜﻦَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻭَﺍﺫﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﺳﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻪِ ۖ
ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﺮﻳﻊُ
ﺍﻟﺤِﺴﺎﺏِ
[4] তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে,
কি বস্তু তাদের জন্যে হালাল? বলে
দিন, তোমাদের জন্যে পবিত্র বস্তুসমূহ
হালাল করা হয়েছে। যেসব শিকারী
জন্তুকে তোমরা প্রশিক্ষণ দান কর
শিকারের প্রতি প্রেরণের জন্যে এবং
ওদেরকে ঐ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দাও,
যা আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা
দিয়েছেন। এমন শিকারী জন্তু যে
শিকারকে তোমাদের জন্যে ধরে
রাখে, তা খাও এবং তার উপর আল্লাহর
নাম উচ্চারণ কর। আল্লাহকে ভয় করতে
থাক। নিশ্চয় আল্লাহ সত্ত্বর হিসাব
গ্রহণকারী।
[4] They ask you (O Muhammad SAW)
what is lawful for them (as food). Say:
“Lawful unto you are At-Tayyibât [all
kind of Halâl (lawful-good) foods which
Allâh has made lawful (meat of
slaughtered eatable animals, milk
products, fats, vegetables and fruits)].
And those beasts and birds of prey
which you have trained as hounds,
training and teaching them (to catch) in
the manner as directed to you by Allâh;
so eat of what they catch for you, but
pronounce the Name of Allâh over it,
and fear Allâh. Verily, Allâh is Swift in
reckoning.”
[5] ﺍﻟﻴَﻮﻡَ ﺃُﺣِﻞَّ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟﻄَّﻴِّﺒٰﺖُ ۖ
ﻭَﻃَﻌﺎﻡُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ
ﺣِﻞٌّ ﻟَﻜُﻢ ﻭَﻃَﻌﺎﻣُﻜُﻢ ﺣِﻞٌّ ﻟَﻬُﻢ ۖ
ﻭَﺍﻟﻤُﺤﺼَﻨٰﺖُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨٰﺖِ
ﻭَﺍﻟﻤُﺤﺼَﻨٰﺖُ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺃﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ ﺇِﺫﺍ
ﺀﺍﺗَﻴﺘُﻤﻮﻫُﻦَّ ﺃُﺟﻮﺭَﻫُﻦَّ
ﻣُﺤﺼِﻨﻴﻦَ ﻏَﻴﺮَ ﻣُﺴٰﻔِﺤﻴﻦَ ﻭَﻻ
ﻣُﺘَّﺨِﺬﻯ ﺃَﺧﺪﺍﻥٍ ۗ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻜﻔُﺮ
ﺑِﺎﻹﻳﻤٰﻦِ ﻓَﻘَﺪ ﺣَﺒِﻂَ ﻋَﻤَﻠُﻪُ
ﻭَﻫُﻮَ ﻓِﻰ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺨٰﺴِﺮﻳﻦَ
[5] আজ তোমাদের জন্য পবিত্র
বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে
কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে
হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের
জন্য হালাল। তোমাদের জন্যে হালাল
সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং
তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে
কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের
পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে
মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী
করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ
করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত
হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের
বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে
যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত
হবে।
[5] Made lawful to you this day are
At¬Tayyibât [all kinds of Halâl (lawful)
foods, which Allâh has made lawful
(meat of slaughtered eatable animals,
milk products, fats, vegetables and
fruits). The food (slaughtered cattle,
eatable animals,) of the people of the
Scripture (Jews and Christians) is lawful
to you and yours is lawful to them.
(Lawful to you in marriage) are chaste
women from the believers and chaste
women from those who were given the
Scripture (Jews and Christians) before
your time, when you have given their
due Mahr (bridal – money given by the
husband to his wife at the time of
marriage), desiring chastity (i.e. taking
them in legal wedlock) not committing
illegal sexual intercourse, nor taking
them as girl-friends. And whosoever
disbelieves in faith [i.e. in the Oneness of
Allâh and in all the other Articles of
Faith, i.e. His (Allâh’s), Angels, His Holy
Books, His Messengers, the Day of
Resurrection and Al-Qadar (Divine
Preordainments)], then fruitless is his
work, and in the Hereafter he will be
among the losers.
[6] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺇِﺫﺍ
ﻗُﻤﺘُﻢ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓِ ﻓَﺎﻏﺴِﻠﻮﺍ
ﻭُﺟﻮﻫَﻜُﻢ ﻭَﺃَﻳﺪِﻳَﻜُﻢ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻤَﺮﺍﻓِﻖِ ﻭَﺍﻣﺴَﺤﻮﺍ
ﺑِﺮُﺀﻭﺳِﻜُﻢ ﻭَﺃَﺭﺟُﻠَﻜُﻢ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻜَﻌﺒَﻴﻦِ ۚ ﻭَﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺟُﻨُﺒًﺎ
ﻓَﺎﻃَّﻬَّﺮﻭﺍ ۚ ﻭَﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣَﺮﺿﻰٰ
ﺃَﻭ ﻋَﻠﻰٰ ﺳَﻔَﺮٍ ﺃَﻭ ﺟﺎﺀَ ﺃَﺣَﺪٌ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻐﺎﺋِﻂِ ﺃَﻭ ﻟٰﻤَﺴﺘُﻢُ
ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀَ ﻓَﻠَﻢ ﺗَﺠِﺪﻭﺍ ﻣﺎﺀً
ﻓَﺘَﻴَﻤَّﻤﻮﺍ ﺻَﻌﻴﺪًﺍ ﻃَﻴِّﺒًﺎ
ﻓَﺎﻣﺴَﺤﻮﺍ ﺑِﻮُﺟﻮﻫِﻜُﻢ
ﻭَﺃَﻳﺪﻳﻜُﻢ ﻣِﻨﻪُ ۚ ﻣﺎ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟِﻴَﺠﻌَﻞَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺣَﺮَﺝٍ
ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻳُﺮﻳﺪُ ﻟِﻴُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢ ﻭَﻟِﻴُﺘِﻢَّ
ﻧِﻌﻤَﺘَﻪُ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ
ﺗَﺸﻜُﺮﻭﻥَ
[6] হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের
জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ
কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল
গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে
সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি
তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক
অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-
পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা
স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর
পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র
মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-
অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি
দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ
তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান
না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র
রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি
স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে
তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর।
[6] O you who believe! When you intend
to offer As-Salât (the prayer), wash your
faces and your hands (forearms) up to
the elbows, rub (by passing wet hands
over) your heads, and (wash) your feet
up to ankles. If you are in a state of
Janâba (i.e. after a sexual discharge),
purify yourself (bathe your whole body).
But if you are ill or on a journey or any
of you comes after answering the call of
nature, or you have been in contact with
women (i.e. sexual intercourse) and you
find no water, then perform Tayammum
with clean earth and rub therewith your
faces and hands. Allâh does not want to
place you in difficulty, but He wants to
purify you, and to complete His Favour
to you that you may be thankful
[7] ﻭَﺍﺫﻛُﺮﻭﺍ ﻧِﻌﻤَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻭَﻣﻴﺜٰﻘَﻪُ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻭﺍﺛَﻘَﻜُﻢ ﺑِﻪِ ﺇِﺫ
ﻗُﻠﺘُﻢ ﺳَﻤِﻌﻨﺎ ﻭَﺃَﻃَﻌﻨﺎ ۖ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻴﻢٌ ﺑِﺬﺍﺕِ
ﺍﻟﺼُّﺪﻭﺭِ
[7] তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের কথা
স্মরণ কর, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ
হয়েছে এবং ঐ অঙ্গীকারকেও যা
তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, যখন
তোমরা বলেছিলেঃ আমরা শুনলাম
এবং মেনে নিলাম। আল্লাহকে ভয় কর।
নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের বিষয়
সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন।
[7] And remember Allâh’s Favour to you
and His Covenant with which He bound
you when you said: “We hear and we
obey.” And fear Allâh. Verily, Allâh is
All-Knower of that which is in (secrets of
your) breasts.
[8] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻛﻮﻧﻮﺍ
ﻗَﻮّٰﻣﻴﻦَ ﻟِﻠَّﻪِ ﺷُﻬَﺪﺍﺀَ ﺑِﺎﻟﻘِﺴﻂِ ۖ
ﻭَﻻ ﻳَﺠﺮِﻣَﻨَّﻜُﻢ ﺷَﻨَـٔﺎﻥُ ﻗَﻮﻡٍ
ﻋَﻠﻰٰ ﺃَﻟّﺎ ﺗَﻌﺪِﻟُﻮﺍ ۚ ﺍﻋﺪِﻟﻮﺍ ﻫُﻮَ
ﺃَﻗﺮَﺏُ ﻟِﻠﺘَّﻘﻮﻯٰ ۖ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۚ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺧَﺒﻴﺮٌ ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[8] হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর
উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে
অবিচল থাকবে এবং কোন
সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও
ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না।
সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক
নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর।
তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে
বিষয়ে খুব জ্ঞাত।
[8] O you who believe! Stand out firmly
for Allâh as just witnesses and let not the
enmity and hatred of others make you
avoid justice. Be just: that is nearer to
piety, and fear Allâh. Verily, Allâh is
Well-Acquainted with what you do.
[9] ﻭَﻋَﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ۙ ﻟَﻬُﻢ
ﻣَﻐﻔِﺮَﺓٌ ﻭَﺃَﺟﺮٌ ﻋَﻈﻴﻢٌ
[9] যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, এবং
সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ
তাËেদরকে ক্ষমা ও মহান প্রতিদানের
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
[9] Allâh has promised those who believe
(in the Oneness of Allâh – Islâmic
Monotheism) and do deeds of
righteousness, that for them there is
forgiveness and a great reward (i.e.
Paradise)
[10] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﻛَﺬَّﺑﻮﺍ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺘِﻨﺎ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺃَﺻﺤٰﺐُ
ﺍﻟﺠَﺤﻴﻢِ
[10] যারা অবিশ্বাস করে এবং আমার
নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে, তার
দোযখী।
[10] And those who disbelieve and deny
our Ayât (proofs, evidences, verses,
lessons, signs, revelations, etc.) are those
who will be the dwellers of the Hell-fire.
[11] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ
ﺍﺫﻛُﺮﻭﺍ ﻧِﻌﻤَﺖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺇِﺫ
ﻫَﻢَّ ﻗَﻮﻡٌ ﺃَﻥ ﻳَﺒﺴُﻄﻮﺍ ﺇِﻟَﻴﻜُﻢ
ﺃَﻳﺪِﻳَﻬُﻢ ﻓَﻜَﻒَّ ﺃَﻳﺪِﻳَﻬُﻢ ﻋَﻨﻜُﻢ ۖ
ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۚ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻓَﻠﻴَﺘَﻮَﻛَّﻞِ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[11] হে মুমিনগণ, তোমাদের প্রতি
আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন এক
সম্প্রদায় তোমাদের দিকে স্বীয় হস্ত
প্রসারিত করতে সচেষ্ট হয়েছিল, তখন
তিনি তাদের হস্ত তোমাদের থেকে
প্রতিহত করে দিলেন। আল্লাহকে ভয়
কর এবং মুমিনদের আল্লাহর উপরই ভরসা
করা উচিত।
[11] O you who believe! Remember the
Favour of Allâh unto you when some
people desired (made a plan) to stretch
out their hands against you, but (Allâh)
held back their hands from you. So fear
Allâh. And in Allâh let the believers put
their trust.
[12] ۞ ﻭَﻟَﻘَﺪ ﺃَﺧَﺬَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣﻴﺜٰﻖَ
ﺑَﻨﻰ ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﻭَﺑَﻌَﺜﻨﺎ ﻣِﻨﻬُﻢُ
ﺍﺛﻨَﻰ ﻋَﺸَﺮَ ﻧَﻘﻴﺒًﺎ ۖ ﻭَﻗﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺇِﻧّﻰ ﻣَﻌَﻜُﻢ ۖ ﻟَﺌِﻦ ﺃَﻗَﻤﺘُﻢُ
ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻭَﺀﺍﺗَﻴﺘُﻢُ ﺍﻟﺰَّﻛﻮٰﺓَ
ﻭَﺀﺍﻣَﻨﺘُﻢ ﺑِﺮُﺳُﻠﻰ
ﻭَﻋَﺰَّﺭﺗُﻤﻮﻫُﻢ ﻭَﺃَﻗﺮَﺿﺘُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻗَﺮﺿًﺎ ﺣَﺴَﻨًﺎ ﻟَﺄُﻛَﻔِّﺮَﻥَّ ﻋَﻨﻜُﻢ
ﺳَﻴِّـٔﺎﺗِﻜُﻢ ﻭَﻟَﺄُﺩﺧِﻠَﻨَّﻜُﻢ ﺟَﻨّٰﺖٍ
ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ۚ
ﻓَﻤَﻦ ﻛَﻔَﺮَ ﺑَﻌﺪَ ﺫٰﻟِﻚَ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﻓَﻘَﺪ ﺿَﻞَّ ﺳَﻮﺍﺀَ ﺍﻟﺴَّﺒﻴﻞِ
[12] আল্লাহ বনী-ইসরাঈলের কাছ
থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন এবং
আমি তাদের মধ্য থেকে বার জন সর্দার
নিযুক্ত করেছিলাম। আল্লাহ বলে
দিলেনঃ আমি তোমাদের সঙ্গে
আছি। যদি তোমরা নামায প্রতিষ্ঠিত
কর, যাকাত দিতে থাক, আমার
পয়গম্বরদের প্রতি বিশ্বাস রাখ, তাঁদের
সাহায্য কর এবং আল্লাহকে উত্তম
পন্থায় ঋন দিতে থাক, তবে আমি
অবশ্যই তোমাদের গোনাহ দুর করে
দিব এবং অবশ্যই তোমাদেরকে উদ্যান
সমূহে প্রবিষ্ট করব, যেগুলোর তলদেশ
দিয়ে নিঝরিনীসমূহ প্রবাহিত হয়।
অতঃপর তোমাদের মধ্য থেকে যে
ব্যক্তি এরপরও কাফের হয়, সে নিশ্চিতই
সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে।
[12] Indeed Allâh took the covenant from
the Children of Israel (Jews), and We
appointed twelve leaders among them.
And Allâh said: “I am with you if you
perform As-Salât (Iqâmat-as-Salât) and
give Zakât and believe in My
Messengers; honour and assist them, and
lend a good loan to Allâh. Verily, I will
expiate your sins and admit you to
Gardens under which rivers flow (in
Paradise). But if any of you after this,
disbelieved, he has indeed gone astray
from the Straight Path.”
[13] ﻓَﺒِﻤﺎ ﻧَﻘﻀِﻬِﻢ ﻣﻴﺜٰﻘَﻬُﻢ
ﻟَﻌَﻨّٰﻬُﻢ ﻭَﺟَﻌَﻠﻨﺎ ﻗُﻠﻮﺑَﻬُﻢ ﻗٰﺴِﻴَﺔً ۖ
ﻳُﺤَﺮِّﻓﻮﻥَ ﺍﻟﻜَﻠِﻢَ ﻋَﻦ ﻣَﻮﺍﺿِﻌِﻪِ ۙ
ﻭَﻧَﺴﻮﺍ ﺣَﻈًّﺎ ﻣِﻤّﺎ ﺫُﻛِّﺮﻭﺍ ﺑِﻪِ ۚ
ﻭَﻻ ﺗَﺰﺍﻝُ ﺗَﻄَّﻠِﻊُ ﻋَﻠﻰٰ ﺧﺎﺋِﻨَﺔٍ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﺇِﻟّﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ ﻣِﻨﻬُﻢ ۖ ﻓَﺎﻋﻒُ
ﻋَﻨﻬُﻢ ﻭَﺍﺻﻔَﺢ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻤُﺤﺴِﻨﻴﻦَ
[13] অতএব, তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের
দরুন আমি তাদের উপর অভিসম্পাত
করেছি এবং তাদের অন্তরকে কঠোর
করে দিয়েছি। তারা কালামকে তার
স্থান থেকে বিচ্যুত করে দেয় এবং
তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল,
তারা তা থেকে উপকার লাভ করার
বিষয়টি বিস্মৃত হয়েছে। আপনি সর্বদা
তাদের কোন না কোন প্রতারণা
সম্পর্কে অবগত হতে থাকেন, তাদের
অল্প কয়েকজন ছাড়া। অতএব, আপনি
তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং মার্জনা
করুন। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে
ভালবাসেন।
[13] So because of their breach of their
covenant, We cursed them, and made
their hearts grow hard. They change the
words from their (right) places and have
abandoned a good part of the Message
that was sent to them. And you will not
cease to discover deceit in them, except a
few of them. But forgive them, and
overlook (their misdeeds). Verily, Allâh
loves Al¬Muhsinûn (good¬doers – see
V.2:112).
[14] ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻧّﺎ
ﻧَﺼٰﺮﻯٰ ﺃَﺧَﺬﻧﺎ ﻣﻴﺜٰﻘَﻬُﻢ
ﻓَﻨَﺴﻮﺍ ﺣَﻈًّﺎ ﻣِﻤّﺎ ﺫُﻛِّﺮﻭﺍ ﺑِﻪِ
ﻓَﺄَﻏﺮَﻳﻨﺎ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢُ ﺍﻟﻌَﺪﺍﻭَﺓَ
ﻭَﺍﻟﺒَﻐﻀﺎﺀَ ﺇِﻟﻰٰ ﻳَﻮﻡِ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۚ
ﻭَﺳَﻮﻑَ ﻳُﻨَﺒِّﺌُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤﺎ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﺼﻨَﻌﻮﻥَ
[14] যারা বলেঃ আমরা নাছারা, আমি
তাদের কাছ থেকেও তাদের অঙ্গীকার
নিয়েছিলাম। অতঃপর তারাও যে
উপদেশ প্রাপ্ত হয়েছিল, তা থেকে
উপকার লাভ করা ভুলে গেল। অতঃপর
আমি কেয়ামত পর্যন্ত তাদের মধ্যে
পারস্পরিক শত্রুতা ও বিদ্বেষ
সঞ্চারিত করে দিয়েছি। অবশেষে
আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম
সম্পর্কে অবহিত করবেন।
[14] And from those who call themselves
Christians, We took their covenant, but
they have abandoned a good part of the
Message that was sent to them. So We
planted amongst them enmity and
hatred till the Day of Resurrection (when
they discarded Allâh’s Book, disobeyed
Allâh’s Messengers and His Orders and
transgressed beyond bounds in Allâh’s
disobedience), and Allâh will inform
them of what they used to do.
[15] ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻗَﺪ ﺟﺎﺀَﻛُﻢ
ﺭَﺳﻮﻟُﻨﺎ ﻳُﺒَﻴِّﻦُ ﻟَﻜُﻢ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻣِﻤّﺎ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﺗُﺨﻔﻮﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﻭَﻳَﻌﻔﻮﺍ ﻋَﻦ ﻛَﺜﻴﺮٍ ۚ ﻗَﺪ
ﺟﺎﺀَﻛُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻧﻮﺭٌ ﻭَﻛِﺘٰﺐٌ
ﻣُﺒﻴﻦٌ
[15] হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের
কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন!
কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন
করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক
বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয়
মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে
একটি উজ্জল জ্যোতি এসেছে এবং
একটি সমুজ্জল গ্রন্থ।
[15] O people of the Scripture (Jews and
Christians)! Now has come to you Our
Messenger (Muhammad SAW) explaining
to you much of that which you used to
hide from the Scripture and pass over
(i.e. leaving out without explaining)
much. Indeed, there has come to you
from Allâh a light (Prophet Muhammad
SAW ) and a plain Book (this Qur’ân).
[16] ﻳَﻬﺪﻯ ﺑِﻪِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻦِ ﺍﺗَّﺒَﻊَ
ﺭِﺿﻮٰﻧَﻪُ ﺳُﺒُﻞَ ﺍﻟﺴَّﻠٰﻢِ
ﻭَﻳُﺨﺮِﺟُﻬُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻈُّﻠُﻤٰﺖِ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻨّﻮﺭِ ﺑِﺈِﺫﻧِﻪِ ﻭَﻳَﻬﺪﻳﻬِﻢ ﺇِﻟﻰٰ
ﺻِﺮٰﻁٍ ﻣُﺴﺘَﻘﻴﻢٍ
[16] এর দ্বারা আল্লাহ যারা তাঁর
সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে
নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন এবং
তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা
অন্ধকার থেকে বের করে আলোর
দিকে আনয়ন করেন এবং সরল পথে
পরিচালনা করেন।
[16] Wherewith Allâh guides all those
who seek His Good Pleasure to ways of
peace, and He brings them out of
darkness by His Will unto light and
guides them to a Straight Way (Islâmic
Monotheism)
[17] ﻟَﻘَﺪ ﻛَﻔَﺮَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻤَﺴﻴﺢُ ﺍﺑﻦُ ﻣَﺮﻳَﻢَ ۚ
ﻗُﻞ ﻓَﻤَﻦ ﻳَﻤﻠِﻚُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺷَﻴـًٔﺎ
ﺇِﻥ ﺃَﺭﺍﺩَ ﺃَﻥ ﻳُﻬﻠِﻚَ ﺍﻟﻤَﺴﻴﺢَ
ﺍﺑﻦَ ﻣَﺮﻳَﻢَ ﻭَﺃُﻣَّﻪُ ﻭَﻣَﻦ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ۗ ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻣُﻠﻚُ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﻭَﻣﺎ
ﺑَﻴﻨَﻬُﻤﺎ ۚ ﻳَﺨﻠُﻖُ ﻣﺎ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[17] নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলে,
মসীহ ইবনে মরিয়মই আল্লাহ। আপনি
জিজ্ঞেস করুন, যদি তাই হয়, তবে বল
যদি আল্লাহ মসীহ ইবনে মরিয়ম, তাঁর
জননী এবং ভূমন্ডলে যারা আছে,
তাদের সবাইকে ধ্বংস করতে চান, তবে
এমন কারও সাধ্য আছে কি যে আল্লাহর
কাছ থেকে তাদেরকে বিন্দুমাত্রও
বাঁচাতে পারে? নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও
এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, সবকিছুর উপর
আল্লাহ তা’আলার আধিপত্য। তিনি যা
ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সবকিছুর
উপর শক্তিমান।
[17] Surely, in disbelief are they who say
that Allâh is the Messiah, son of Maryam
(Mary). Say (O Muhammad SAW): “Who
then has the least power against Allâh, if
He were to destroy the Messiah, son of
Maryam (Mary), his mother, and all
those who are on the earth together?”
And to Allâh belongs the dominion of the
heavens and the earth, and all that is
between them. He creates what He wills.
And Allâh is Able to do all things.
[18] ﻭَﻗﺎﻟَﺖِ ﺍﻟﻴَﻬﻮﺩُ ﻭَﺍﻟﻨَّﺼٰﺮﻯٰ
ﻧَﺤﻦُ ﺃَﺑﻨٰﺆُﺍ۟ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺃَﺣِﺒّٰﺆُﻩُ ۚ ﻗُﻞ
ﻓَﻠِﻢَ ﻳُﻌَﺬِّﺑُﻜُﻢ ﺑِﺬُﻧﻮﺑِﻜُﻢ ۖ ﺑَﻞ
ﺃَﻧﺘُﻢ ﺑَﺸَﺮٌ ﻣِﻤَّﻦ ﺧَﻠَﻖَ ۚ ﻳَﻐﻔِﺮُ
ﻟِﻤَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ﻭَﻳُﻌَﺬِّﺏُ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ
ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻣُﻠﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ
ﻭَﻣﺎ ﺑَﻴﻨَﻬُﻤﺎ ۖ ﻭَﺇِﻟَﻴﻪِ ﺍﻟﻤَﺼﻴﺮُ
[18] ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা বলে, আমরা
আল্লাহর সন্তান ও তাঁর প্রিয়জন।
আপনি বলুন, তবে তিনি তোমাদেরকে
পাপের বিনিময়ে কেন শাস্তি দান
করবেন? বরং তোমারও অন্যান্য সৃষ্ট
মানবের অন্তর্ভুক্ত সাধারণ মানুষ।
তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং
যাকে ইচ্ছা শাস্তি প্রদান করেন।
নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যে
যা কিছু আছে, তাতে আল্লাহরই
আধিপত্য রয়েছে এবং তাঁর দিকেই
প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
[18] And (both) the Jews and the
Christians say: “We are the children of
Allâh and His loved ones.” Say: “Why
then does He punish you for your sins?”
Nay, you are but human beings, of those
He has created, He forgives whom He
wills and He punishes whom He wills.
And to Allâh belongs the dominion of the
heavens and the earth and all that is
between them, and to Him is the return
(of all).
[19] ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻗَﺪ ﺟﺎﺀَﻛُﻢ
ﺭَﺳﻮﻟُﻨﺎ ﻳُﺒَﻴِّﻦُ ﻟَﻜُﻢ ﻋَﻠﻰٰ ﻓَﺘﺮَﺓٍ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮُّﺳُﻞِ ﺃَﻥ ﺗَﻘﻮﻟﻮﺍ ﻣﺎ
ﺟﺎﺀَﻧﺎ ﻣِﻦ ﺑَﺸﻴﺮٍ ﻭَﻻ ﻧَﺬﻳﺮٍ ۖ
ﻓَﻘَﺪ ﺟﺎﺀَﻛُﻢ ﺑَﺸﻴﺮٌ ﻭَﻧَﺬﻳﺮٌ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[19] হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের
কাছে আমার রসূল আগমণ করেছেন,
যিনি পয়গম্বরদের বিরতির পর
তোমাদের কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা
করেন-যাতে তোমরা একথা বলতে না
পার যে, আমাদের কাছে কোন
সুসংবাদদাতা ও ভীতিপ্রদর্শক আগমন
করে নি। অতএব, তোমাদের কাছে
সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শক আগমন
করেননি। অতএব, তোমাদের কাছে
সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শক এসে
গেছেন। আল্লাহ সবকিছুর উপর
শক্তিমান।
[19] O people of the Scripture (Jews and
Christians)! Now has come to you Our
Messenger (Muhammad SAW) making
(things) clear unto you, after a break in
(the series of) Messengers, lest you say:
“There came unto us no bringer of glad
tidings and no warner.” But now has
come unto you a bringer of glad tidings
and a warner. And Allâh is Able to do all
things.
[20] ﻭَﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﻣﻮﺳﻰٰ ﻟِﻘَﻮﻣِﻪِ
ﻳٰﻘَﻮﻡِ ﺍﺫﻛُﺮﻭﺍ ﻧِﻌﻤَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺇِﺫ ﺟَﻌَﻞَ ﻓﻴﻜُﻢ ﺃَﻧﺒِﻴﺎﺀَ
ﻭَﺟَﻌَﻠَﻜُﻢ ﻣُﻠﻮﻛًﺎ ﻭَﺀﺍﺗﻯٰﻜُﻢ ﻣﺎ
ﻟَﻢ ﻳُﺆﺕِ ﺃَﺣَﺪًﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[20] যখন মূসা স্বীয় সম্প্রদায়কে
বললেনঃ হে আমার সম্প্রদায়,
তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত
স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে
পয়গম্বর সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে
রাজ্যাধিপতি করেছেন এবং
তোমাদেরকে এমন জিনিস দিয়েছেন,
যা বিশ্বজগতের কাউকে দেননি।
[20] And (remember) when Mûsa (Moses)
said to his people: “O my people!
Remember the Favour of Allâh to you,
when He made Prophets among you,
made you kings, and gave you what He
had not given to any other among the
‘Alamîn (mankind and jinn, in the
past).”
[21] ﻳٰﻘَﻮﻡِ ﺍﺩﺧُﻠُﻮﺍ ﺍﻷَﺭﺽَ
ﺍﻟﻤُﻘَﺪَّﺳَﺔَ ﺍﻟَّﺘﻰ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟَﻜُﻢ ﻭَﻻ ﺗَﺮﺗَﺪّﻭﺍ ﻋَﻠﻰٰ ﺃَﺩﺑﺎﺭِﻛُﻢ
ﻓَﺘَﻨﻘَﻠِﺒﻮﺍ ﺧٰﺴِﺮﻳﻦَ
[21] হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভুমিতে
প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের
জন্যে নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং
পেছন দিকে প্রত্যাবর্তন করো না।
অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে
পড়বে।
[21] “O my people! Enter the holy land
(Palestine) which Allâh has assigned to
you, and turn not back (in flight) for
then you will be returned as losers.”
[22] ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳٰﻤﻮﺳﻰٰ ﺇِﻥَّ ﻓﻴﻬﺎ
ﻗَﻮﻣًﺎ ﺟَﺒّﺎﺭﻳﻦَ ﻭَﺇِﻧّﺎ ﻟَﻦ
ﻧَﺪﺧُﻠَﻬﺎ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﺨﺮُﺟﻮﺍ ﻣِﻨﻬﺎ
ﻓَﺈِﻥ ﻳَﺨﺮُﺟﻮﺍ ﻣِﻨﻬﺎ ﻓَﺈِﻧّﺎ
ﺩٰﺧِﻠﻮﻥَ
[22] তারা বললঃ হে মূসা, সেখানে
একটি প্রবল পরাক্রান্ত জাতি রয়েছে।
আমরা কখনও সেখানে যাব না, যে
পর্যন্ত না তারা সেখান থেকে বের
হয়ে যায়। তারা যদি সেখান থেকে
বের হয়ে যায় তবে নিশ্চিতই আমরা
প্রবেশ করব।’
[22] They said: “O Mûsa (Moses)! In it
(this holy land) are a people of great
strength, and we shall never enter it, till
they leave it; when they leave, then we
will enter.”
[23] ﻗﺎﻝَ ﺭَﺟُﻼﻥِ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳَﺨﺎﻓﻮﻥَ ﺃَﻧﻌَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻤَﺎ
ﺍﺩﺧُﻠﻮﺍ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢُ ﺍﻟﺒﺎﺏَ ﻓَﺈِﺫﺍ
ﺩَﺧَﻠﺘُﻤﻮﻩُ ﻓَﺈِﻧَّﻜُﻢ ﻏٰﻠِﺒﻮﻥَ ۚ
ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺘَﻮَﻛَّﻠﻮﺍ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[23] খোদাভীরুদের মধ্য থেকে
দু’ব্যক্তি বলল, যাদের প্রতি আল্লাহ
অনুগ্রহ করেছিলেনঃ তোমরা তাদের
উপর আক্রমণ করে দরজায় প্রবেশ কর।
অতঃপর তোমরা যখন তাতে পবেশ
করবে, তখন তোমরাই জয়ী হবে। আর
আল্লাহর উপর ভরসা কর যদি তোমরা
বিশ্বাসী হও।
[23] Two men of those who feared (Allâh
and) on whom Allâh had bestowed His
Grace (they were ﯾﻮﺷﻊ ﻭﮐﺎﻟﺐ yusha and
Kâlab) said: “Assault them through the
gate, for when you are in, victory will be
yours, and put your trust in Allâh if you
are believers indeed.”
[24] ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳٰﻤﻮﺳﻰٰ ﺇِﻧّﺎ ﻟَﻦ
ﻧَﺪﺧُﻠَﻬﺎ ﺃَﺑَﺪًﺍ ﻣﺎ ﺩﺍﻣﻮﺍ ﻓﻴﻬﺎ ۖ
ﻓَﺎﺫﻫَﺐ ﺃَﻧﺖَ ﻭَﺭَﺑُّﻚَ ﻓَﻘٰﺘِﻼ ﺇِﻧّﺎ
ﻫٰﻬُﻨﺎ ﻗٰﻌِﺪﻭﻥَ
[24] তারা বললঃ হে মূসা, আমরা
জীবনেও কখনো সেখানে যাব না,
যতক্ষণ তারা সেখানে থাকবে। অতএব,
আপনি ও আপনার পালনকর্তাই যান
এবং উভয়ে যুদ্ধ করে নিন। আমরা তো
এখানেই বসলাম।
[24] They said: “O Mûsa (Moses)! We
shall never enter it as long as they are
there. So go you and your Lord and fight
you two, we are sitting right here.”
[25] ﻗﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﺇِﻧّﻰ ﻻ ﺃَﻣﻠِﻚُ ﺇِﻟّﺎ
ﻧَﻔﺴﻰ ﻭَﺃَﺧﻰ ۖ ﻓَﺎﻓﺮُﻕ ﺑَﻴﻨَﻨﺎ
ﻭَﺑَﻴﻦَ ﺍﻟﻘَﻮﻡِ ﺍﻟﻔٰﺴِﻘﻴﻦَ
[25] মূসা বললঃ হে আমার পালনকর্তা,
আমি শুধু নিজের উপর ও নিজের
ভাইয়ের উপর ক্ষমতা রাখি। অতএব,
আপনি আমাদের মধ্যে ও এ অবাধ্য
সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করুন।
[25] He [Mûsa (Moses)] said: “O my Lord!
I have power only over myself and my
brother, so separate us from the people
who are the Fâsiqûn (rebellious and
disobedient to Allâh)!”
[26] ﻗﺎﻝَ ﻓَﺈِﻧَّﻬﺎ ﻣُﺤَﺮَّﻣَﺔٌ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ۛ
ﺃَﺭﺑَﻌﻴﻦَ ﺳَﻨَﺔً ۛ ﻳَﺘﻴﻬﻮﻥَ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻓَﻼ ﺗَﺄﺱَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻘَﻮﻡِ
ﺍﻟﻔٰﺴِﻘﻴﻦَ
[26] বললেনঃ এ দেশ চল্লিশ বছর পর্যন্ত
তাদের জন্যে হারাম করা হল। তারা
ভুপৃষ্ঠে উদভ্রান্ত হয়ে ফিরবে। অতএব,
আপনি অবাধ্য সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ
করবেন না।
[26] (Allâh) said: “Therefore it (this holy
land) is forbidden to them for forty
years; in distraction they will wander
through the land. So be not sorrowful
over the people who are the Fâsiqûn
(rebellious and disobedient to Allâh).”
[27] ۞ ﻭَﺍﺗﻞُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻧَﺒَﺄَ ﺍﺑﻨَﻰ
ﺀﺍﺩَﻡَ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ﺇِﺫ ﻗَﺮَّﺑﺎ ﻗُﺮﺑﺎﻧًﺎ
ﻓَﺘُﻘُﺒِّﻞَ ﻣِﻦ ﺃَﺣَﺪِﻫِﻤﺎ ﻭَﻟَﻢ
ﻳُﺘَﻘَﺒَّﻞ ﻣِﻦَ ﺍﻝﺀﺍﺧَﺮِ ﻗﺎﻝَ
ﻟَﺄَﻗﺘُﻠَﻨَّﻚَ ۖ ﻗﺎﻝَ ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻳَﺘَﻘَﺒَّﻞُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[27] আপনি তাদেরকে আদমের দুই
পুত্রের বাস্তব অবস্থা পাঠ করে শুনান।
যখন তারা ভয়েই কিছু উৎসর্গ নিবেদন
করেছিল, তখন তাদের একজনের উৎসর্গ
গৃহীত হয়েছিল এবং অপরজনের গৃহীত
হয়নি। সে বললঃ আমি অবশ্যই
তোমাকে হত্যা করব। সে বললঃ
আল্লাহ ধর্মভীরুদের পক্ষ থেকেই তো
গ্রহণ করেন।
[27] And (O Muhammad SAW) recite to
them (the Jews) the story of the two sons
of Adam (Hâbil and Qâbil — Abel and
Cain)] in truth; when each offered a
sacrifice (to Allâh), it was accepted from
the one but not from the other. The latter
said to the former: “I will surely kill
you.” The former said: “Verily, Allâh
accepts only from those who are Al-
Muttaqûn (the pious – see V.2:2).”
[28] ﻟَﺌِﻦ ﺑَﺴَﻄﺖَ ﺇِﻟَﻰَّ ﻳَﺪَﻙَ
ﻟِﺘَﻘﺘُﻠَﻨﻰ ﻣﺎ ﺃَﻧﺎ۠ ﺑِﺒﺎﺳِﻂٍ ﻳَﺪِﻯَ
ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻟِﺄَﻗﺘُﻠَﻚَ ۖ ﺇِﻧّﻰ ﺃَﺧﺎﻑُ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺭَﺏَّ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[28] যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে
আমার দিকে হস্ত প্রসারিত কর, তবে
আমি তোমাকে হত্যা করতে তোমার
দিকে হস্ত প্রসারিত করব না। কেননা,
আমি বিশ্বজগতের পালনকর্তা
আল্লাহকে ভয় করি।
[28] “If you do stretch your hand against
me to kill me, I shall never stretch my
hand against you to kill you, for I fear
Allâh; the Lord of the ‘Alamîn (mankind,
jinn, and all that exists).”
[29] ﺇِﻧّﻰ ﺃُﺭﻳﺪُ ﺃَﻥ ﺗَﺒﻮﺃَ ﺑِﺈِﺛﻤﻰ
ﻭَﺇِﺛﻤِﻚَ ﻓَﺘَﻜﻮﻥَ ﻣِﻦ ﺃَﺻﺤٰﺐِ
ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ۚ ﻭَﺫٰﻟِﻚَ ﺟَﺰٰﺅُﺍ۟ ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[29] আমি চাই যে, আমার পাপ ও
তোমার পাপ তুমি নিজের মাথায়
চাপিয়ে নাও। অতঃপর তুমি
দোযখীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাও। এটাই
অত্যাচারীদের শাস্তি।
[29] “Verily, I intend to let you draw my
sin on yourself as well as yours, then you
will be one of the dwellers of the Fire,
and that is the recompense of the
Zâlimûn (polytheists and wrong¬doers).”
[30] ﻓَﻄَﻮَّﻋَﺖ ﻟَﻪُ ﻧَﻔﺴُﻪُ ﻗَﺘﻞَ
ﺃَﺧﻴﻪِ ﻓَﻘَﺘَﻠَﻪُ ﻓَﺄَﺻﺒَﺢَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺨٰﺴِﺮﻳﻦَ
[30] অতঃপর তার অন্তর তাকে
ভ্রাতৃহত্যায় উদুদ্ধ করল। অনন্তর সে
তাকে হত্যা করল। ফলে সে
ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
[30] So the Nafs (self) of the other (latter
one) encouraged him and made
fair¬seeming to him the murder of his
brother; he murdered him and became
one of the losers.
[31] ﻓَﺒَﻌَﺚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏُﺮﺍﺑًﺎ ﻳَﺒﺤَﺚُ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻟِﻴُﺮِﻳَﻪُ ﻛَﻴﻒَ
ﻳُﻮٰﺭﻯ ﺳَﻮﺀَﺓَ ﺃَﺧﻴﻪِ ۚ ﻗﺎﻝَ
ﻳٰﻮَﻳﻠَﺘﻰٰ ﺃَﻋَﺠَﺰﺕُ ﺃَﻥ ﺃَﻛﻮﻥَ
ﻣِﺜﻞَ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟﻐُﺮﺍﺏِ ﻓَﺄُﻭٰﺭِﻯَ
ﺳَﻮﺀَﺓَ ﺃَﺧﻰ ۖ ﻓَﺄَﺻﺒَﺢَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻨّٰﺪِﻣﻴﻦَ
[31] আল্লাহ এক কাক প্রেরণ করলেন।
সে মাটি খনন করছিল যাতে তাকে
শিক্ষা দেয় যে, আপন ভ্রাতার মৃতদেহ
কিভাবে আবৃত করবে। সে বললঃ
আফসোস, আমি কি এ কাকের সমতুল্যও
হতে পারলাম না যে, আপন ভ্রাতার
মৃতদেহ আবৃত করি। অতঃপর সে অনুতাপ
করতে লাগল।
[31] Then Allâh sent a crow who
scratched the ground to show him to hide
the dead body of his brother. He (the
murderer) said: “Woe to me! Am I not
even able to be as this crow and to hide
the dead body of my brother?” Then he
became one of those who regretted.
[32] ﻣِﻦ ﺃَﺟﻞِ ﺫٰﻟِﻚَ ﻛَﺘَﺒﻨﺎ ﻋَﻠﻰٰ
ﺑَﻨﻰ ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﺃَﻧَّﻪُ ﻣَﻦ ﻗَﺘَﻞَ
ﻧَﻔﺴًﺎ ﺑِﻐَﻴﺮِ ﻧَﻔﺲٍ ﺃَﻭ ﻓَﺴﺎﺩٍ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻓَﻜَﺄَﻧَّﻤﺎ ﻗَﺘَﻞَ
ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ﻭَﻣَﻦ ﺃَﺣﻴﺎﻫﺎ
ﻓَﻜَﺄَﻧَّﻤﺎ ﺃَﺣﻴَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ۚ
ﻭَﻟَﻘَﺪ ﺟﺎﺀَﺗﻬُﻢ ﺭُﺳُﻠُﻨﺎ
ﺑِﺎﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖِ ﺛُﻢَّ ﺇِﻥَّ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ
ﺑَﻌﺪَ ﺫٰﻟِﻚَ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﻟَﻤُﺴﺮِﻓﻮﻥَ
[32] এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের
প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ
প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ
অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া
কাউকে হত্যা করে সে যেন সব
মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও
জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন
রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার
পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে
এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক
লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।
[32] Because of that We ordained for the
Children of Israel that if anyone killed a
person not in retaliation of murder, or
(and) to spread mischief in the land – it
would be as if he killed all mankind, and
if anyone saved a life, it would be as if
he saved the life of all mankind. And
indeed, there came to them Our
Messengers with clear proofs, evidences,
and signs, even then after that many of
them continued to exceed the limits (e.g.
by doing oppression unjustly and
exceeding beyond the limits set by Allâh
by committing the major sins) in the
land!.
[33] ﺇِﻧَّﻤﺎ ﺟَﺰٰﺅُﺍ۟ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳُﺤﺎﺭِﺑﻮﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ
ﻭَﻳَﺴﻌَﻮﻥَ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻓَﺴﺎﺩًﺍ
ﺃَﻥ ﻳُﻘَﺘَّﻠﻮﺍ ﺃَﻭ ﻳُﺼَﻠَّﺒﻮﺍ ﺃَﻭ
ﺗُﻘَﻄَّﻊَ ﺃَﻳﺪﻳﻬِﻢ ﻭَﺃَﺭﺟُﻠُﻬُﻢ ﻣِﻦ
ﺧِﻠٰﻒٍ ﺃَﻭ ﻳُﻨﻔَﻮﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﺧِﺰﻯٌ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ۖ
ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻋَﺬﺍﺏٌ
ﻋَﻈﻴﻢٌ
[33] যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে
সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা
সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি
হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে
অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা
তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে
কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে
বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের
জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে
তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।
[33] The recompense of those who wage
war against Allâh and His Messenger
and do mischief in the land is only that
they shall be killed or crucified or their
hands and their feet be cut off from the
opposite sides, or be exiled from the
land. That is their disgrace in this world,
and a great torment is theirs in the
Hereafter.
[34] ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺗﺎﺑﻮﺍ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞِ
ﺃَﻥ ﺗَﻘﺪِﺭﻭﺍ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ۖ ﻓَﺎﻋﻠَﻤﻮﺍ
ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[34] কিন্তু যারা তোমাদের
গ্রেফতারের পূর্বে তওবা করে; জেনে
রাখ, আল্লাহ ক্ষমাকারী, দয়ালু।
[34] Except for those who (having fled
away and then) came back (as Muslims)
with repentance before they fall into
your power; in that case, know that Allâh
is Oft-Forgiving, Most Merciful.
[35] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﺑﺘَﻐﻮﺍ ﺇِﻟَﻴﻪِ ﺍﻟﻮَﺳﻴﻠَﺔَ
ﻭَﺟٰﻬِﺪﻭﺍ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻠِﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ
ﺗُﻔﻠِﺤﻮﻥَ
[35] হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর
নৈকট্য অন্বেষন কর এবং তাঁর পথে
জেহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও।
[35] O you who believe! Do your duty to
Allâh and fear Him. Seek the means of
approach to Him, and strive hard in His
Cause (as much as you can). So that you
may be successful.
[36] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻟَﻮ ﺃَﻥَّ
ﻟَﻬُﻢ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ
ﻭَﻣِﺜﻠَﻪُ ﻣَﻌَﻪُ ﻟِﻴَﻔﺘَﺪﻭﺍ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ
ﻋَﺬﺍﺏِ ﻳَﻮﻡِ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ﻣﺎ ﺗُﻘُﺒِّﻞَ
ﻣِﻨﻬُﻢ ۖ ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ ﺃَﻟﻴﻢٌ
[36] যারা কাফের, যদি তাদের কাছে
পৃথিবীর সমুদয় সম্পদ এবং তৎসহ আরও
তদনুরূপ সম্পদ থাকে আর এগুলো
বিনিময়ে দিয়ে কিয়ামতের শাস্তি
থেকে পরিত্রান পেতে চায়, তবুও
তাদের কাছ থেকে তা কবুল করা হবে
না। তাদের জন্যে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি
রয়েছে।
[36] Verily, those who disbelieve, if they
had all that is in the earth, and as much
again therewith to ransom themselves
thereby from the torment on the Day of
Resurrection, it would never be accepted
of them, and theirs would be a painful
torment.
[37] ﻳُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﺃَﻥ ﻳَﺨﺮُﺟﻮﺍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ﻭَﻣﺎ ﻫُﻢ ﺑِﺨٰﺮِﺟﻴﻦَ ﻣِﻨﻬﺎ ۖ
ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ ﻣُﻘﻴﻢٌ
[37] তারা দোযখের আগুন থেকে বের
হয়ে আসতে চাইবে কিন্তু তা থেকে
বের হতে পারবে না। তারা চিরস্থায়ী
শাস্তি ভোগ করবে।
[37] They will long to get out of the Fire,
but never will they get out therefrom,
and theirs will be a lasting torment.
[38] ﻭَﺍﻟﺴّﺎﺭِﻕُ ﻭَﺍﻟﺴّﺎﺭِﻗَﺔُ
ﻓَﺎﻗﻄَﻌﻮﺍ ﺃَﻳﺪِﻳَﻬُﻤﺎ ﺟَﺰﺍﺀً ﺑِﻤﺎ
ﻛَﺴَﺒﺎ ﻧَﻜٰﻠًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺣَﻜﻴﻢٌ
[38] যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী
চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও
তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে।
আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী।
আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।
[38] And (as for) the make theif and the
female thief, cut off (from the wrist joint)
their (right) hands as a recompense for
that which they committed, a
punishment by way of example from
Allâh. And Allâh is All-Powerful, All-
Wise.
[39] ﻓَﻤَﻦ ﺗﺎﺏَ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻇُﻠﻤِﻪِ
ﻭَﺃَﺻﻠَﺢَ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺘﻮﺏُ
ﻋَﻠَﻴﻪِ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[39] অতঃপর যে তওবা করে স্বীয়
অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়,
নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন।
নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
[39] But whosoever repents after his
crime and does righteous good deeds (by
obeying Allâh), then verily, Allâh will
pardon him (accept his repentance).
Verily, Allâh is Oft¬Forgiving, Most
Merciful.
[40] ﺃَﻟَﻢ ﺗَﻌﻠَﻢ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻪُ ﻣُﻠﻚُ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﻳُﻌَﺬِّﺏُ ﻣَﻦ
ﻳَﺸﺎﺀُ ﻭَﻳَﻐﻔِﺮُ ﻟِﻤَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[40] তুমি কি জান না যে আল্লাহর
নিমিত্তেই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের
আধিপত্য। তিনি যাকে ইচ্ছা শাস্তি
দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।
আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
[40] Know you not that to Allâh (Alone)
belongs the dominion of the heavens and
the earth! He punishes whom He wills
and He forgives whom He wills. And
Allâh is Able to do all things.
[41] ۞ ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝُ ﻻ
ﻳَﺤﺰُﻧﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﺴٰﺮِﻋﻮﻥَ ﻓِﻰ
ﺍﻟﻜُﻔﺮِ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ
ﺑِﺄَﻓﻮٰﻫِﻬِﻢ ﻭَﻟَﻢ ﺗُﺆﻣِﻦ ﻗُﻠﻮﺑُﻬُﻢ ۛ
ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻫﺎﺩﻭﺍ ۛ ﺳَﻤّٰﻌﻮﻥَ
ﻟِﻠﻜَﺬِﺏِ ﺳَﻤّٰﻌﻮﻥَ ﻟِﻘَﻮﻡٍ
ﺀﺍﺧَﺮﻳﻦَ ﻟَﻢ ﻳَﺄﺗﻮﻙَ ۖ ﻳُﺤَﺮِّﻓﻮﻥَ
ﺍﻟﻜَﻠِﻢَ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣَﻮﺍﺿِﻌِﻪِ ۖ
ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺇِﻥ ﺃﻭﺗﻴﺘُﻢ ﻫٰﺬﺍ
ﻓَﺨُﺬﻭﻩُ ﻭَﺇِﻥ ﻟَﻢ ﺗُﺆﺗَﻮﻩُ
ﻓَﺎﺣﺬَﺭﻭﺍ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺮِﺩِ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻓِﺘﻨَﺘَﻪُ ﻓَﻠَﻦ ﺗَﻤﻠِﻚَ ﻟَﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺷَﻴـًٔﺎ ۚ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻟَﻢ ﻳُﺮِﺩِ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻥ ﻳُﻄَﻬِّﺮَ ﻗُﻠﻮﺑَﻬُﻢ ۚ ﻟَﻬُﻢ
ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﺧِﺰﻯٌ ۖ ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻋَﺬﺍﺏٌ ﻋَﻈﻴﻢٌ
[41] হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন
না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত
হয়; যারা মুখে বলেঃ আমরা মুসলমান,
অথচ তাদের অন্তর মুসলমান নয় এবং
যারা ইহুদী; মিথ্যাবলার জন্যে তারা
গুপ্তচর বৃত্তি করে। তারা অন্যদলের
গুপ্তচর, যারা আপনার কাছে আসেনি।
তারা বাক্যকে স্বস্থান থেকে
পরিবর্তন করে। তারা বলেঃ যদি
তোমরা এ নির্দেশ পাও, তবে কবুল
করে নিও এবং যদি এ নির্দেশ না পাও,
তবে বিরত থেকো। আল্লাহ যাকে
পথভ্রষ্ট করতে চান, তার জন্যে
আল্লাহর কাছে আপনি কিছু করতে
পারবেন না। এরা এমনিই যে, আল্লাহ
এদের অন্তরকে পবিত্র করতে চান না।
তাদের জন্যে রয়েছে দুনিয়াতে
লাঞ্ছনা এবং পরকালে বিরাট
শাস্তি।
[41] O Messenger (Muhammad SAW)! Let
not those who hurry to fall into disbelief
grieve you, of such who say: “We
believe” with their mouths but their
hearts have no faith. And of the Jews are
men who listen much and eagerly to lies
– listen to others who have not come to
you. They change the words from their
places; they say, “If you are given this,
take it, but if you are not given this, then
beware!” And whomsoever Allâh wants
to put in Al¬Fitnah [error, because of his
rejecting the Faith], you can do nothing
for him against Allâh. Those are the ones
whose hearts Allâh does not want to
purify (from disbelief and hypocrisy);
for them there is a disgrace in this
world, and in the Hereafter a great
torment.
[42] ﺳَﻤّٰﻌﻮﻥَ ﻟِﻠﻜَﺬِﺏِ ﺃَﻛّٰﻠﻮﻥَ
ﻟِﻠﺴُّﺤﺖِ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﺟﺎﺀﻭﻙَ
ﻓَﺎﺣﻜُﻢ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﺃَﻭ ﺃَﻋﺮِﺽ
ﻋَﻨﻬُﻢ ۖ ﻭَﺇِﻥ ﺗُﻌﺮِﺽ ﻋَﻨﻬُﻢ
ﻓَﻠَﻦ ﻳَﻀُﺮّﻭﻙَ ﺷَﻴـًٔﺎ ۖ ﻭَﺇِﻥ
ﺣَﻜَﻤﺖَ ﻓَﺎﺣﻜُﻢ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ
ﺑِﺎﻟﻘِﺴﻂِ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ
ﺍﻟﻤُﻘﺴِﻄﻴﻦَ
[42] এরা মিথ্যা বলার জন্যে
গুপ্তচরবৃত্তি করে, হারাম ভক্ষণ করে।
অতএব, তারা যদি আপনার কাছে আসে,
তবে হয় তাদের মধ্যে ফয়সালা করে
দিন, না হয় তাদের ব্যাপারে নির্লিপ্ত
থাকুন। যদি তাদের থেকে নির্লিপ্ত
থাকেন, তবে তাদের সাধ্য নেই যে,
আপনার বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারে।
যদি ফয়সালা করেন, তবেন্যায় ভাবে
ফয়সালা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ
সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন।
[42] (They like to) listen to falsehood, to
devour anything forbidden. So if they
come to you (O Muhammad SAW), either
judge between them, or turn away from
them. If you turn away from them, they
cannot hurt you in the least. And if you
judge, judge with justice between them.
Verily, Allâh loves those who act justly.
[43] ﻭَﻛَﻴﻒَ ﻳُﺤَﻜِّﻤﻮﻧَﻚَ
ﻭَﻋِﻨﺪَﻫُﻢُ ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔُ ﻓﻴﻬﺎ
ﺣُﻜﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺛُﻢَّ ﻳَﺘَﻮَﻟَّﻮﻥَ ﻣِﻦ
ﺑَﻌﺪِ ﺫٰﻟِﻚَ ۚ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﺑِﺎﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[43] তারা আপনাকে কেমন করে
বিচারক নিয়োগ করবে অথচ তাদের
কাছে তওরাত রয়েছে। তাতে আল্লাহর
নির্দেশ আছে। অতঃপর এরা পেছন
দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তারা কখনও
বিশ্বাসী নয়।
[43] But how do they come to you for
decision while they have the Taurât
(Torah), in which is the (plain) Decision
of Allâh; yet even after that, they turn
away. For they are not (really) believers.
[44] ﺇِﻧّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟﻨَﺎ ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔَ ﻓﻴﻬﺎ
ﻫُﺪًﻯ ﻭَﻧﻮﺭٌ ۚ ﻳَﺤﻜُﻢُ ﺑِﻬَﺎ
ﺍﻟﻨَّﺒِﻴّﻮﻥَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃَﺳﻠَﻤﻮﺍ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ
ﻫﺎﺩﻭﺍ ﻭَﺍﻟﺮَّﺑّٰﻨِﻴّﻮﻥَ ﻭَﺍﻷَﺣﺒﺎﺭُ
ﺑِﻤَﺎ ﺍﺳﺘُﺤﻔِﻈﻮﺍ ﻣِﻦ ﻛِﺘٰﺐِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻛﺎﻧﻮﺍ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺷُﻬَﺪﺍﺀَ ۚ
ﻓَﻼ ﺗَﺨﺸَﻮُﺍ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﻭَﺍﺧﺸَﻮﻥِ
ﻭَﻻ ﺗَﺸﺘَﺮﻭﺍ ﺑِـٔﺎﻳٰﺘﻰ ﺛَﻤَﻨًﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ ۚ
ﻭَﻣَﻦ ﻟَﻢ ﻳَﺤﻜُﻢ ﺑِﻤﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻭﻥَ
[44] আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি।
এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে।
আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও
আলেমরা এর মাধ্যমে ইহুদীদেরকে
ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ
খোদায়ী গ্রন্থের দেখাশোনা করার
নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর
রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব,
তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং
আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত
সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ
করো না, যেসব লোক আল্লাহ যা
অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা
করে না, তারাই কাফের।
[44] Verily, We did send down the
Taurât (Torah) [to Mûsa (Moses)], therein
was guidance and light, by which the
Prophets, who submitted themselves to
Allâh’s Will, judged for the Jews. And the
rabbis and the priests [too judged for the
Jews by the Taurât (Torah) after those
Prophets] for to them was entrusted the
protection of Allâh’s Book, and they were
witnesses thereto. Therefore fear not
men but fear Me (O Jews) and sell not
My Verses for a miserable price. And
whosoever does not judge by what Allâh
has revealed, such are the Kâfirûn (i.e.
disbelievers – of a lesser degree as they
do not act on Allâh’s Laws).
[45] ﻭَﻛَﺘَﺒﻨﺎ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺃَﻥَّ
ﺍﻟﻨَّﻔﺲَ ﺑِﺎﻟﻨَّﻔﺲِ ﻭَﺍﻟﻌَﻴﻦَ
ﺑِﺎﻟﻌَﻴﻦِ ﻭَﺍﻷَﻧﻒَ ﺑِﺎﻷَﻧﻒِ
ﻭَﺍﻷُﺫُﻥَ ﺑِﺎﻷُﺫُﻥِ ﻭَﺍﻟﺴِّﻦَّ ﺑِﺎﻟﺴِّﻦِّ
ﻭَﺍﻟﺠُﺮﻭﺡَ ﻗِﺼﺎﺹٌ ۚ ﻓَﻤَﻦ
ﺗَﺼَﺪَّﻕَ ﺑِﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﻛَﻔّﺎﺭَﺓٌ ﻟَﻪُ ۚ
ﻭَﻣَﻦ ﻟَﻢ ﻳَﺤﻜُﻢ ﺑِﻤﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻮﻥَ
[45] আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে
দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ,
চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে
নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের
বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের
বিনিময়ে সমান যখম। অতঃপর যে ক্ষমা
করে, সে গোনাহ থেকে পাক হয়ে যায়।
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ
করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না
তারাই জালেম।
[45] And We ordained therein for them:
“Life for life, eye for eye, nose for nose,
ear for ear, tooth for tooth, and wounds
equal for equal.” But if anyone remits
the retaliation by way of charity, it shall
be for him an expiation. And whosoever
does not judge by that which Allâh has
revealed, such are the Zâlimûn
(polytheists and wrong¬doers – of a
lesser degree).
[46] ﻭَﻗَﻔَّﻴﻨﺎ ﻋَﻠﻰٰ ﺀﺍﺛٰﺮِﻫِﻢ
ﺑِﻌﻴﺴَﻰ ﺍﺑﻦِ ﻣَﺮﻳَﻢَ ﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ
ﻟِﻤﺎ ﺑَﻴﻦَ ﻳَﺪَﻳﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔِ ۖ
ﻭَﺀﺍﺗَﻴﻨٰﻪُ ﺍﻹِﻧﺠﻴﻞَ ﻓﻴﻪِ ﻫُﺪًﻯ
ﻭَﻧﻮﺭٌ ﻭَﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ ﻟِﻤﺎ ﺑَﻴﻦَ ﻳَﺪَﻳﻪِ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔِ ﻭَﻫُﺪًﻯ
ﻭَﻣَﻮﻋِﻈَﺔً ﻟِﻠﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[46] আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয়
ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি
পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের
সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি তাঁকে
ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়াত
ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববতী গ্রন্থ
তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন
করে এবং এটি খোদাভীরুদের জন্যে
হেদায়েত উপদেশ বানী।
[46] And in their footsteps, We sent ‘Īsā
(Jesus), son of Maryam (Mary),
confirming the Taurât (Torah) that had
come before him, and We gave him the
Injeel (Gospel), in which was guidance
and light and confirmation of the Taurât
(Torah) that had come before it, a
guidance and an admonition for Al-
Muttaqûn (the pious – see V.2:2).
[47] ﻭَﻟﻴَﺤﻜُﻢ ﺃَﻫﻞُ ﺍﻹِﻧﺠﻴﻞِ
ﺑِﻤﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻴﻪِ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻟَﻢ
ﻳَﺤﻜُﻢ ﺑِﻤﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﻫُﻢُ ﺍﻟﻔٰﺴِﻘﻮﻥَ
[47] ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত,
আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন।
তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা
আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন,
তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই
পাপাচারী।
[47] Let the people of the Injeel (Gospel)
judge by what Allâh has revealed therein.
And whosoever does not judge by what
Allâh has revealed (then) such (people)
are the Fâsiqûn (the rebellious i.e.
disobedient (of a lesser degree) to Allâh.
[48] ﻭَﺃَﻧﺰَﻟﻨﺎ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ
ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ ﻟِﻤﺎ ﺑَﻴﻦَ ﻳَﺪَﻳﻪِ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻭَﻣُﻬَﻴﻤِﻨًﺎ ﻋَﻠَﻴﻪِ ۖ
ﻓَﺎﺣﻜُﻢ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﺑِﻤﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۖ
ﻭَﻻ ﺗَﺘَّﺒِﻊ ﺃَﻫﻮﺍﺀَﻫُﻢ ﻋَﻤّﺎ
ﺟﺎﺀَﻙَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺤَﻖِّ ۚ ﻟِﻜُﻞٍّ ﺟَﻌَﻠﻨﺎ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﺷِﺮﻋَﺔً ﻭَﻣِﻨﻬﺎﺟًﺎ ۚ ﻭَﻟَﻮ
ﺷﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺠَﻌَﻠَﻜُﻢ ﺃُﻣَّﺔً ﻭٰﺣِﺪَﺓً
ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻟِﻴَﺒﻠُﻮَﻛُﻢ ﻓﻰ ﻣﺎ
ﺀﺍﺗﻯٰﻜُﻢ ۖ ﻓَﺎﺳﺘَﺒِﻘُﻮﺍ ﺍﻟﺨَﻴﺮٰﺕِ ۚ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣَﺮﺟِﻌُﻜُﻢ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ
ﻓَﻴُﻨَﺒِّﺌُﻜُﻢ ﺑِﻤﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻓﻴﻪِ
ﺗَﺨﺘَﻠِﻔﻮﻥَ
[48] আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ
করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ
সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর
বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব,
আপনি তাদের পারস্পারিক
ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ
করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং
আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা
ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন
না। আমি তোমাদের প্রত্যেককে
একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ
চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক
উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-
যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম
দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা
নেন। অতএব, দৌড়ে কল্যাণকর
বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের
সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন
করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত
করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা
মতবিরোধ করতে।
[48] And We have sent down to you (O
Muhammad SAW) the Book (this Qur’ân)
in truth, confirming the Scripture that
came before it and Muhaymin
(trustworthy in highness and a witness)
over it (old Scriptures). So judge among
them by what Allâh has revealed, and
follow not their vain desires, diverging
away from the truth that has come to
you. To each among you, We have
prescribed a law and a clear way. If
Allâh had willed, He would have made
you one nation, but that (He) may test
you in what He has given you; so
compete in good deeds. The return of you
(all) is to Allâh; then He will inform you
about that in which you used to differ
[49] ﻭَﺃَﻥِ ﺍﺣﻜُﻢ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﺑِﻤﺎ
ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻻ ﺗَﺘَّﺒِﻊ ﺃَﻫﻮﺍﺀَﻫُﻢ
ﻭَﺍﺣﺬَﺭﻫُﻢ ﺃَﻥ ﻳَﻔﺘِﻨﻮﻙَ ﻋَﻦ
ﺑَﻌﺾِ ﻣﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺇِﻟَﻴﻚَ ۖ
ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻓَﺎﻋﻠَﻢ ﺃَﻧَّﻤﺎ ﻳُﺮﻳﺪُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻥ ﻳُﺼﻴﺒَﻬُﻢ ﺑِﺒَﻌﺾِ
ﺫُﻧﻮﺑِﻬِﻢ ۗ ﻭَﺇِﻥَّ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻟَﻔٰﺴِﻘﻮﻥَ
[49] আর আমি আদেশ করছি যে, আপনি
তাদের পারস্পরিক ব্যাপারাদিতে
আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী
ফয়সালা করুন; তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ
করবেন না এবং তাদের থেকে সতর্ক
থাকুন-যেন তারা আপনাকে এমন কোন
নির্দেশ থেকে বিচ্যুত না করে, যা
আল্লাহ আপনার প্রতি নাযিল
করেছেন। অনন্তর যদি তার মুখ ফিরিয়ে
নেয়, তবে জেনে নিন, আল্লাহ
তাদেরকে তাদের গোনাহের কিছু
শাস্তি দিতেই চেয়েছেন। মানুষের
মধ্যে অনেকেই নাফরমান।
[49] And so judge (you O Muhammad
SAW) among them by what Allâh has
revealed and follow not their vain
desires, but beware of them lest they
turn you (O Muhammad SAW) far away
from some of that which Allâh has sent
down to you. And if they turn away,
then know that Allâh’s Will is to punish
them for some sins of theirs. And truly,
most of men are Fâsiqûn (rebellious and
disobedient to Allâh).
[50] ﺃَﻓَﺤُﻜﻢَ ﺍﻟﺠٰﻬِﻠِﻴَّﺔِ ﻳَﺒﻐﻮﻥَ ۚ
ﻭَﻣَﻦ ﺃَﺣﺴَﻦُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺣُﻜﻤًﺎ
ﻟِﻘَﻮﻡٍ ﻳﻮﻗِﻨﻮﻥَ
[50] তারা কি জাহেলিয়াত আমলের
ফয়সালা কামনা করে? আল্লাহ
অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম
ফয়সালাকারী কে?
[50] Do they then seek the judgement of
(the days of) Ignorance? And who is
better in judgement than Allâh for a
people who have firm Faith.
[51] ۞ ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﺘَّﺨِﺬُﻭﺍ ﺍﻟﻴَﻬﻮﺩَ ﻭَﺍﻟﻨَّﺼٰﺮﻯٰ
ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَ ۘ ﺑَﻌﻀُﻬُﻢ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀُ
ﺑَﻌﺾٍ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَﻮَﻟَّﻬُﻢ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻣِﻨﻬُﻢ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳَﻬﺪِﻯ
ﺍﻟﻘَﻮﻡَ ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[51] হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও
খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ
করো না। তারা একে অপরের বন্ধু।
তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে
বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন
করেন না।
[51] O you who believe! Take not the
Jews and the Christians as
Auliyâ’ (friends, protectors, helpers),
they are but Auliyâ’ of each other. And if
any amongst you takes them (as Auliyâ’),
then surely he is one of them. Verily,
Allâh guides not those people who are
the Zâlimûn (polytheists and wrong-
doers and unjust).
[52] ﻓَﺘَﺮَﻯ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ
ﻣَﺮَﺽٌ ﻳُﺴٰﺮِﻋﻮﻥَ ﻓﻴﻬِﻢ
ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻧَﺨﺸﻰٰ ﺃَﻥ ﺗُﺼﻴﺒَﻨﺎ
ﺩﺍﺋِﺮَﺓٌ ۚ ﻓَﻌَﺴَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻥ ﻳَﺄﺗِﻰَ
ﺑِﺎﻟﻔَﺘﺢِ ﺃَﻭ ﺃَﻣﺮٍ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِﻩِ
ﻓَﻴُﺼﺒِﺤﻮﺍ ﻋَﻠﻰٰ ﻣﺎ ﺃَﺳَﺮّﻭﺍ
ﻓﻰ ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ﻧٰﺪِﻣﻴﻦَ
[52] বস্তুতঃ যাদের অন্তরে রোগ
রয়েছে, তাদেরকে আপনি দেখবেন,
দৌড়ে গিয়ে তাদেরই মধ্যে প্রবেশ
করে। তারা বলেঃ আমরা আশঙ্কা করি,
পাছে না আমরা কোন দুর্ঘটনায় পতিত
হই। অতএব, সেদিন দুরে নয়, যেদিন
আল্লাহ তা’আলা বিজয় প্রকাশ করবেন
অথবা নিজের পক্ষ থেকে কোন
নির্দেশ দেবেন-ফলে তারা স্বীয়
গোপন মনোভাবের জন্যে অনুতপ্ত
হবে।
[52] And you see those in whose hearts
there is a disease (of hypocrisy), they
hurry to their friendship, saying: “We
fear lest some misfortune of a disaster
may befall us.” Perhaps Allâh may bring
a victory or a decision according to His
Will. Then they will become regretful for
what they have been keeping as a secret
in themselves.
[53] ﻭَﻳَﻘﻮﻝُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﺃَﻫٰﺆُﻻﺀِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃَﻗﺴَﻤﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﺟَﻬﺪَ ﺃَﻳﻤٰﻨِﻬِﻢ ۙ ﺇِﻧَّﻬُﻢ ﻟَﻤَﻌَﻜُﻢ ۚ
ﺣَﺒِﻄَﺖ ﺃَﻋﻤٰﻠُﻬُﻢ ﻓَﺄَﺻﺒَﺤﻮﺍ
ﺧٰﺴِﺮﻳﻦَ
[53] মুসলমানরা বলবেঃ এরাই কি সেসব
লোক, যারা আল্লাহর নামে
প্রতিজ্ঞা করত যে, আমরা তোমাদের
সাথে আছি? তাদের কৃতকর্মসমূহ বিফল
হয়ে গেছে, ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে
আছে।
[53] And those who believe will say: “Are
these the men (hypocrites) who swore
their strongest oaths by Allâh that they
were with you (Muslims)?” All that they
did has been in vain (because of their
hypocrisy), and they have become the
losers.
[54] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻣَﻦ
ﻳَﺮﺗَﺪَّ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻋَﻦ ﺩﻳﻨِﻪِ ﻓَﺴَﻮﻑَ
ﻳَﺄﺗِﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻘَﻮﻡٍ ﻳُﺤِﺒُّﻬُﻢ
ﻭَﻳُﺤِﺒّﻮﻧَﻪُ ﺃَﺫِﻟَّﺔٍ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﺃَﻋِﺰَّﺓٍ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻳُﺠٰﻬِﺪﻭﻥَ ﻓﻰ
ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻻ ﻳَﺨﺎﻓﻮﻥَ
ﻟَﻮﻣَﺔَ ﻻﺋِﻢٍ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ ﻓَﻀﻞُ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻳُﺆﺗﻴﻪِ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭٰﺳِﻊٌ
ﻋَﻠﻴﻢٌ
[54] হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে
স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে
আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন,
যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং
তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা
মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং
কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা
আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং
কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে
ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-
তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ
প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।
[54] O you who believe! Whoever from
among you turns back from his religion
(Islâm), Allâh will bring a people whom
He will love and they will love Him;
humble towards the believers, stern
towards the disbelievers, fighting in the
Way of Allâh, and never fear of the
blame of the blamers. That is the Grace
of Allâh which He bestows on whom He
wills. And Allâh is All-Sufficient for His
creatures’ needs, All-Knower.
[55] ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻭَﻟِﻴُّﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺭَﺳﻮﻟُﻪُ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳُﻘﻴﻤﻮﻥَ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻭَﻳُﺆﺗﻮﻥَ
ﺍﻟﺰَّﻛﻮٰﺓَ ﻭَﻫُﻢ ﺭٰﻛِﻌﻮﻥَ
[55] তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর
রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামায
কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র।
[55] Verily, your Walî (Protector or
Helper) is none other than Allâh, His
Messenger, and the believers, – those who
perform As-Salât (Iqâmat-as-Salât), and
give Zakât, and they are Rakiun (those
who bow down or submit themselves
with obedience to Allâh in prayer).
[56] ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَﻮَﻝَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺣِﺰﺏَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻐٰﻠِﺒﻮﻥَ
[56] আর যারা আল্লাহ তাঁর রসূল এবং
বিশ্বাসীদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে,
তারাই আল্লাহর দল এবং তারাই
বিজয়ী।
[56] And whosoever takes Allâh, His
Messenger, and those who have believed,
as Protectors, then the party of Allâh will
be the victorious.
[57] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﺘَّﺨِﺬُﻭﺍ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺗَّﺨَﺬﻭﺍ
ﺩﻳﻨَﻜُﻢ ﻫُﺰُﻭًﺍ ﻭَﻟَﻌِﺒًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺃﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ
ﻭَﺍﻟﻜُﻔّﺎﺭَ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَ ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[57] হে মুমিনগণ, আহলে কিতাবদের মধ্য
থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস
ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং
অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ
করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি
তোমরা ঈমানদার হও।
[57] O you who believe! Take not as
Auliyâ’ (protectors and helpers) those
who take your religion as a mockery and
fun from among those who received the
Scripture (Jews and Christians) before
you, nor from among the disbelievers;
and fear Allâh if you indeed are true
believers.
[58] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻧﺎﺩَﻳﺘُﻢ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓِ
ﺍﺗَّﺨَﺬﻭﻫﺎ ﻫُﺰُﻭًﺍ ﻭَﻟَﻌِﺒًﺎ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ
ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢ ﻗَﻮﻡٌ ﻻ ﻳَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[58] আর যখন তোমরা নামাযের জন্যে
আহবান কর, তখন তারা একে উপহাস ও
খেলা বলে মনে করে। কারণ, তারা
নিবোর্ধ।
[58] And when you proclaim the call for
As-Salât [call for the prayer (Adhân)],
they take it (but) as a mockery and fun;
that is because they are a people who
understand not.
[59] ﻗُﻞ ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻫَﻞ
ﺗَﻨﻘِﻤﻮﻥَ ﻣِﻨّﺎ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ
ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻨﺎ ﻭَﻣﺎ
ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ﻭَﺃَﻥَّ ﺃَﻛﺜَﺮَﻛُﻢ
ﻓٰﺴِﻘﻮﻥَ
[59] বলুনঃ হে আহলে কিতাবগণ,
আমাদের সাথে তোমাদের এছাড়া কি
শত্রুতা যে, আমরা বিশ্বাস স্থাপন
করেছি আল্লাহর প্রতি, আমাদের উপর
অবতীর্ণ গ্রন্থের প্রতি এবং পূর্বে
অবতীর্ণ গ্রন্থের প্রতি। আর
তোমাদের অধিকাংশই নাফরমান।
[59] Say: “O people of the Scripture (Jews
and Christians)! Do you criticize us for
no other reason than that we believe in
Allâh, and in (the revelation) which has
been sent down to us and in that which
has been sent down before (us), and that
most of you are Fâsiqûn [rebellious and
disobedient (to Allâh)]?”
[60] ﻗُﻞ ﻫَﻞ ﺃُﻧَﺒِّﺌُﻜُﻢ ﺑِﺸَﺮٍّ ﻣِﻦ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻣَﺜﻮﺑَﺔً ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻣَﻦ
ﻟَﻌَﻨَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻏَﻀِﺐَ ﻋَﻠَﻴﻪِ
ﻭَﺟَﻌَﻞَ ﻣِﻨﻬُﻢُ ﺍﻟﻘِﺮَﺩَﺓَ
ﻭَﺍﻟﺨَﻨﺎﺯﻳﺮَ ﻭَﻋَﺒَﺪَ ﺍﻟﻄّٰﻐﻮﺕَ ۚ
ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺷَﺮٌّ ﻣَﻜﺎﻧًﺎ ﻭَﺃَﺿَﻞُّ ﻋَﻦ
ﺳَﻮﺍﺀِ ﺍﻟﺴَّﺒﻴﻞِ
[60] বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি,
তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে
আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ
অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি
তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের
কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে
দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের
আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার
দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ
থেকেও অনেক দূরে।
[60] Say (O Muhammad SAW to the
people of the Scripture): “Shall I inform
you of something worse than that,
regarding the recompense from Allâh:
those (Jews) who incurred the Curse of
Allâh and His Wrath, those of whom
(some) He transformed into monkeys
and swines, those who worshipped
Tâghût (false deities); such are worse in
rank (on the Day of Resurrection in the
Hell¬fire), and far more astray from the
Right Path (in the life of this world).”
[61] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺟﺎﺀﻭﻛُﻢ ﻗﺎﻟﻮﺍ
ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﻭَﻗَﺪ ﺩَﺧَﻠﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻜُﻔﺮِ
ﻭَﻫُﻢ ﻗَﺪ ﺧَﺮَﺟﻮﺍ ﺑِﻪِ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺃَﻋﻠَﻢُ ﺑِﻤﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻜﺘُﻤﻮﻥَ
[61] যখন তারা তোমাদের কাছে আসে
তখন বলে দাওঃ আমরা বিশ্বাস স্থাপন
করেছি। অথচ তারা কুফর নিয়ে
এসেছিল এবং কুফর নিয়েই প্রস্থান
করেছে। তারা যা গোপন করত, আল্লাহ
তা খুব জানেন।
[61] When they come to you, they say:
“We believe.” But in fact they enter with
(an intention of) disbelief and they go
out with the same. And Allâh knows all
what they were hiding
[62] ﻭَﺗَﺮﻯٰ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ
ﻳُﺴٰﺮِﻋﻮﻥَ ﻓِﻰ ﺍﻹِﺛﻢِ ﻭَﺍﻟﻌُﺪﻭٰﻥِ
ﻭَﺃَﻛﻠِﻬِﻢُ ﺍﻟﺴُّﺤﺖَ ۚ ﻟَﺒِﺌﺲَ ﻣﺎ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[62] আর আপনি তাদের অনেককে
দেখবেন যে, দৌড়ে দৌড়ে পাপে,
সীমালঙ্ঘনে এবং হারাম ভক্ষনে পতিত
হয়। তারা অত্যন্ত মন্দ কাজ করছে।
[62] And you see many of them (Jews)
hurrying towards sin and transgression,
and eating illegal things [as bribes and
Ribâ (usury), etc.]. Evil indeed is that
which they have been doing
[63] ﻟَﻮﻻ ﻳَﻨﻬﻯٰﻬُﻢُ ﺍﻟﺮَّﺑّٰﻨِﻴّﻮﻥَ
ﻭَﺍﻷَﺣﺒﺎﺭُ ﻋَﻦ ﻗَﻮﻟِﻬِﻢُ ﺍﻹِﺛﻢَ
ﻭَﺃَﻛﻠِﻬِﻢُ ﺍﻟﺴُّﺤﺖَ ۚ ﻟَﺒِﺌﺲَ ﻣﺎ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﺼﻨَﻌﻮﻥَ
[63] দরবেশ ও আলেমরা কেন তাদেরকে
পাপ কথা বলতে এবং হারাম ভক্ষণ
করতে নিষেধ করে না? তারা খুবই মন্দ
কাজ করছে।
[63] Why do not the rabbis and the
religious learned men forbid them from
uttering sinful words and from eating
illegal things. Evil indeed is that which
they have been performing.
[64] ﻭَﻗﺎﻟَﺖِ ﺍﻟﻴَﻬﻮﺩُ ﻳَﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻣَﻐﻠﻮﻟَﺔٌ ۚ ﻏُﻠَّﺖ ﺃَﻳﺪﻳﻬِﻢ ﻭَﻟُﻌِﻨﻮﺍ
ﺑِﻤﺎ ﻗﺎﻟﻮﺍ ۘ ﺑَﻞ ﻳَﺪﺍﻩُ
ﻣَﺒﺴﻮﻃَﺘﺎﻥِ ﻳُﻨﻔِﻖُ ﻛَﻴﻒَ
ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ ﻭَﻟَﻴَﺰﻳﺪَﻥَّ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ
ﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻚَ
ﻃُﻐﻴٰﻨًﺎ ﻭَﻛُﻔﺮًﺍ ۚ ﻭَﺃَﻟﻘَﻴﻨﺎ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢُ
ﺍﻟﻌَﺪٰﻭَﺓَ ﻭَﺍﻟﺒَﻐﻀﺎﺀَ ﺇِﻟﻰٰ ﻳَﻮﻡِ
ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۚ ﻛُﻠَّﻤﺎ ﺃَﻭﻗَﺪﻭﺍ ﻧﺎﺭًﺍ
ﻟِﻠﺤَﺮﺏِ ﺃَﻃﻔَﺄَﻫَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ
ﻭَﻳَﺴﻌَﻮﻥَ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻓَﺴﺎﺩًﺍ ۚ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻤُﻔﺴِﺪﻳﻦَ
[64] আর ইহুদীরা বলেঃ আল্লাহর হাত
বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ
হোক। একথা বলার জন্যে তাদের প্রতি
অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হস্ত উম্মুক্ত।
তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন। আপনার
প্রতি পলনকর্তার পক্ষ থেকে যে
কালাম অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে
তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর
পরিবর্ধিত হবে। আমি তাদের পরস্পরের
মধ্যে কেয়ামত পর্যন্ত শত্রুতা ও
বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিয়েছি।
তারা যখনই যুদ্ধের আগুন প্রজ্জòলিত
করে, আল্লাহ তা নির্বাপিত করে দেন।
তারা দেশে অশান্তি উৎপাদন করে
বেড়ায়। আল্লাহ অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
[64] The Jews say: “Allâh’s Hand is tied
up (i.e. He does not give and spend of
His Bounty).” Be their hands tied up and
be they accursed for what they uttered.
Nay, both His Hands are widely
outstretched. He spends (of His Bounty)
as He wills. Verily, the Revelation that
has come to you from your Lord (Allâh)
increases in most of them (their)
obstinate rebellion and disbelief. We
have put enmity and hatred amongst
them till the Day of Resurrection. Every
time they kindled the fire of war, Allâh
extinguished it; and they (ever) strive to
make mischief on earth. And Allâh does
not like the Mufsidûn (mischief-makers).
[65] ﻭَﻟَﻮ ﺃَﻥَّ ﺃَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﺍﺗَّﻘَﻮﺍ ﻟَﻜَﻔَّﺮﻧﺎ ﻋَﻨﻬُﻢ
ﺳَﻴِّـٔﺎﺗِﻬِﻢ ﻭَﻟَﺄَﺩﺧَﻠﻨٰﻬُﻢ ﺟَﻨّٰﺖِ
ﺍﻟﻨَّﻌﻴﻢِ
[65] আর যদি আহলে-কিতাবরা বিশ্বাস
স্থাপন করত এবং খোদাভীতি অবলম্বন
করত, তবে আমি তাদের মন্দ বিষয়সমূহ
ক্ষমা করে দিতাম এবং তাদেরকে
নেয়ামতের উদ্যানসমূহে প্রবিষ্ট
করতাম।
[65] And if only the people of the
Scripture (Jews and Christians) had
believed (in Muhammad SAW) and
warded off evil (sin, ascribing partners
to Allâh) and had become Al¬Muttaqûn
(the pious – see V.2:2) We would indeed
have expiated from them their sins and
admitted them to Gardens of pleasure (in
Paradise).
[66] ﻭَﻟَﻮ ﺃَﻧَّﻬُﻢ ﺃَﻗﺎﻣُﻮﺍ ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔَ
ﻭَﺍﻹِﻧﺠﻴﻞَ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻬِﻢ
ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻟَﺄَﻛَﻠﻮﺍ ﻣِﻦ ﻓَﻮﻗِﻬِﻢ
ﻭَﻣِﻦ ﺗَﺤﺖِ ﺃَﺭﺟُﻠِﻬِﻢ ۚ ﻣِﻨﻬُﻢ
ﺃُﻣَّﺔٌ ﻣُﻘﺘَﺼِﺪَﺓٌ ۖ ﻭَﻛَﺜﻴﺮٌ ﻣِﻨﻬُﻢ
ﺳﺎﺀَ ﻣﺎ ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[66] যদি তারা তওরাত, ইঞ্জিল এবং
যা প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাদের
প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, পুরোপুরি পালন
করত, তবে তারা উপর থেকে এবং
পায়ের নীচ থেকে ভক্ষণ করত। তাদের
কিছুসংখ্যক লোক সৎপথের অনুগামী
এবং অনেকেই মন্দ কাজ করে যাচ্ছে।
[66] And if only they had acted
according to the Taurât (Torah), the
Injeel (Gospel), and what has (now) been
sent down to them from their Lord (the
Qur’ân), they would surely have gotten
provision from above them and from
underneath their feet. There are from
among them people who are on the right
course (i.e. they act on the revelation
and believe in Prophet Muhammad SAW
as ‘Abdullâh bin Salâm
radhiallahu’anhu), but many of them do
evil deeds.
[67] ۞ ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝُ ﺑَﻠِّﻎ ﻣﺎ
ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻚَ ۖ ﻭَﺇِﻥ ﻟَﻢ
ﺗَﻔﻌَﻞ ﻓَﻤﺎ ﺑَﻠَّﻐﺖَ ﺭِﺳﺎﻟَﺘَﻪُ ۚ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻌﺼِﻤُﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ۗ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳَﻬﺪِﻯ ﺍﻟﻘَﻮﻡَ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[67] হে রসূল, পৌছে দিন আপনার
প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার
প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি
আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তাঁর
পয়গাম কিছুই পৌছালেন না। আল্লাহ
আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা
করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে
পথ প্রদর্শন করেন না।
[67] O Messenger (Muhammad SAW)!
Proclaim (the Message) which has been
sent down to you from your Lord. And if
you do not, then you have not conveyed
His Message. Allâh will protect you from
mankind. Verily, Allâh guides not the
people who disbelieve.
[68] ﻗُﻞ ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻟَﺴﺘُﻢ
ﻋَﻠﻰٰ ﺷَﻲﺀٍ ﺣَﺘّﻰٰ ﺗُﻘﻴﻤُﻮﺍ
ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔَ ﻭَﺍﻹِﻧﺠﻴﻞَ ﻭَﻣﺎ
ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ ۗ
ﻭَﻟَﻴَﺰﻳﺪَﻥَّ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻣﺎ
ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻚَ ﻃُﻐﻴٰﻨًﺎ
ﻭَﻛُﻔﺮًﺍ ۖ ﻓَﻼ ﺗَﺄﺱَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻘَﻮﻡِ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[68] বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ,
তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না
তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে
গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ
থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ
হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর।
আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে
আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার
কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও
কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের
সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না।
[68] Say (O Muhammad SAW) “O people
of the Scripture (Jews and Christians)!
You have nothing (as regards guidance)
till you act according to the Taurât
(Torah), the Injeel (Gospel), and what has
(now) been sent down to you from your
Lord (the Qur’ân).” Verily, that which
has been sent down to you (Muhammad
SAW) from your Lord increases in most
of them (their) obstinate rebellion and
disbelief. So be not sorrowful over the
people who disbelieve.
[69] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻫﺎﺩﻭﺍ ﻭَﺍﻟﺼّٰﺒِـٔﻮﻥَ ﻭَﺍﻟﻨَّﺼٰﺮﻯٰ
ﻣَﻦ ﺀﺍﻣَﻦَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ﻭَﻋَﻤِﻞَ ﺻٰﻠِﺤًﺎ ﻓَﻼ
ﺧَﻮﻑٌ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﻻ ﻫُﻢ
ﻳَﺤﺰَﻧﻮﻥَ
[69] নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী,
ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর
প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম
সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই
এবং তারা দুঃখিত হবে না।
[69] Surely, those who believe (in the
Oneness of Allâh, in His Messenger
Muhammad SAW and all that was
revealed to him from Allâh), those who
are the Jews and the Sabians and the
Christians, – whosoever believed in Allâh
and the Last Day, and worked
righteousness, on them shall be no fear,
nor shall they grieve.
[70] ﻟَﻘَﺪ ﺃَﺧَﺬﻧﺎ ﻣﻴﺜٰﻖَ ﺑَﻨﻰ
ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﻭَﺃَﺭﺳَﻠﻨﺎ ﺇِﻟَﻴﻬِﻢ
ﺭُﺳُﻠًﺎ ۖ ﻛُﻠَّﻤﺎ ﺟﺎﺀَﻫُﻢ ﺭَﺳﻮﻝٌ
ﺑِﻤﺎ ﻻ ﺗَﻬﻮﻯٰ ﺃَﻧﻔُﺴُﻬُﻢ ﻓَﺮﻳﻘًﺎ
ﻛَﺬَّﺑﻮﺍ ﻭَﻓَﺮﻳﻘًﺎ ﻳَﻘﺘُﻠﻮﻥَ
[70] আমি বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে
অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তাদের
কাছে অনেক পয়গম্বর প্রেরণ করে
ছিলাম। যখনই তাদের কাছে কোন
পয়গম্বর এমন নির্দেশ নিয়ে আসত যা
তাদের মনে চাইত না, তখন তাদের
অনেকের প্রতি তারা মিথ্যারোপ করত
এবংঅনেককে হত্যা করে ফেলত।
[70] Verily, We took the covenant of the
Children of Israel and sent Messengers
to them. Whenever there came to them a
Messenger with what they themselves
desired not – a group of them they called
liars, and others among them they killed.
[71] ﻭَﺣَﺴِﺒﻮﺍ ﺃَﻟّﺎ ﺗَﻜﻮﻥَ ﻓِﺘﻨَﺔٌ
ﻓَﻌَﻤﻮﺍ ﻭَﺻَﻤّﻮﺍ ﺛُﻢَّ ﺗﺎﺏَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺛُﻢَّ ﻋَﻤﻮﺍ ﻭَﺻَﻤّﻮﺍ
ﻛَﺜﻴﺮٌ ﻣِﻨﻬُﻢ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﺼﻴﺮٌ ﺑِﻤﺎ
ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[71] তারা ধারণা করেছে যে, কোন
অনিষ্ট হবে না। ফলে তারা আরও অন্ধ
ও বধির হয়ে গেল। অতঃপর আল্লাহ
তাদের তওবা কবুল করলেন। এরপরও
তাদের অধিকাংশই অন্ধ ও বধির হয়ে
রইল। আল্লাহ দেখেন তারা যা কিছু
করে।
[71] They thought there will be no Fitnah
(trial or punishment), so they became
blind and deaf; after that Allâh turned to
them (with Forgiveness); yet again many
of them became blind and deaf. And
Allâh is the All¬Seer of what they do.
[72] ﻟَﻘَﺪ ﻛَﻔَﺮَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻤَﺴﻴﺢُ ﺍﺑﻦُ ﻣَﺮﻳَﻢَ ۖ
ﻭَﻗﺎﻝَ ﺍﻟﻤَﺴﻴﺢُ ﻳٰﺒَﻨﻰ
ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﺍﻋﺒُﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺭَﺑّﻰ
ﻭَﺭَﺑَّﻜُﻢ ۖ ﺇِﻧَّﻪُ ﻣَﻦ ﻳُﺸﺮِﻙ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻓَﻘَﺪ ﺣَﺮَّﻡَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ
ﻭَﻣَﺄﻭﻯٰﻪُ ﺍﻟﻨّﺎﺭُ ۖ ﻭَﻣﺎ ﻟِﻠﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
ﻣِﻦ ﺃَﻧﺼﺎﺭٍ
[72] তারা কাফের, যারা বলে যে,
মরিময়-তনয় মসীহ-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ
বলেন, হে বণী-ইসরাঈল, তোমরা
আল্লাহর এবাদত কর, যিনি আমার পালন
কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা।
নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে
অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার
জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং
তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম।
অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী
নেই।
[72] Surely, they have disbelieved who
say: “Allâh is the Messiah Īsā (Jesus), son
of Maryam (Mary).” But the Messiah Īsā
(Jesus) said: “O Children of Israel!
Worship Allâh, my Lord and your Lord.”
Verily, whosoever sets up partners (in
worship) with Allâh, then Allâh has
forbidden Paradise to him, and the Fire
will be his abode. And for the Zâlimûn
(polytheists and wrong-doers) there are
no helpers
[73] ﻟَﻘَﺪ ﻛَﻔَﺮَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺛﺎﻟِﺚُ ﺛَﻠٰﺜَﺔٍ ۘ ﻭَﻣﺎ ﻣِﻦ ﺇِﻟٰﻪٍ
ﺇِﻟّﺎ ﺇِﻟٰﻪٌ ﻭٰﺣِﺪٌ ۚ ﻭَﺇِﻥ ﻟَﻢ ﻳَﻨﺘَﻬﻮﺍ
ﻋَﻤّﺎ ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻟَﻴَﻤَﺴَّﻦَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ ﺃَﻟﻴﻢٌ
[73] নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলেঃ
আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য
ছাড়া কোন উপাস্য নেই। যদি তারা
স্বীয় উক্তি থেকে নিবৃত্ত না হয়, তবে
তাদের মধ্যে যারা কুফরে অটল থাকবে,
তাদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি
পতিত হবে।
[73] Surely, disbelievers are those who
said: “Allâh is the third of the three (in a
Trinity).” But there is no llâh (god) (none
who has the right to be worshipped) but
One Ilâh (God -Allâh). And if they cease
not from what they say, verily, a painful
torment will befall on the disbelievers
among them
[74] ﺃَﻓَﻼ ﻳَﺘﻮﺑﻮﻥَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻳَﺴﺘَﻐﻔِﺮﻭﻧَﻪُ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔﻮﺭٌ
ﺭَﺣﻴﻢٌ
[74] তারা আল্লাহর কাছে তওবা করে
না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না
কেন? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু।
[74] Will they not turn with repentance
to Allâh and ask His Forgiveness? For
Allâh is Oft-Forgiving, Most Merciful.
[75] ﻣَﺎ ﺍﻟﻤَﺴﻴﺢُ ﺍﺑﻦُ ﻣَﺮﻳَﻢَ ﺇِﻟّﺎ
ﺭَﺳﻮﻝٌ ﻗَﺪ ﺧَﻠَﺖ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻪِ
ﺍﻟﺮُّﺳُﻞُ ﻭَﺃُﻣُّﻪُ ﺻِﺪّﻳﻘَﺔٌ ۖ ﻛﺎﻧﺎ
ﻳَﺄﻛُﻼﻥِ ﺍﻟﻄَّﻌﺎﻡَ ۗ ﺍﻧﻈُﺮ ﻛَﻴﻒَ
ﻧُﺒَﻴِّﻦُ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻝﺀﺍﻳٰﺖِ ﺛُﻢَّ ﺍﻧﻈُﺮ
ﺃَﻧّﻰٰ ﻳُﺆﻓَﻜﻮﻥَ
[75] মরিয়ম-তনয় মসীহ রসূল ছাড়া আর
কিছু নন। তাঁর পূর্বে অনেক রসূল
অতিক্রান্ত হয়েছেন আর তার জননী
একজন ওলী। তাঁরা উভয়েই খাদ্য ভক্ষণ
করতেন। দেখুন, আমি তাদের জন্যে
কিরূপ যুক্তি-প্রমাণ বর্ননা করি, আবার
দেখুন, তারা উল্টা কোন দিকে
যাচেছ।
[75] The Messiah [‘Īsā (Jesus)], son of
Maryam (Mary), was no more than a
Messenger; many were the Messengers
that passed away before him. His mother
[Maryam (Mary)] was a Siddiqah [i.e. she
believed in the words of Allâh and His
Books (see Verse 66:12)]. They both used
to eat food (as any other human being,
while Allâh does not eat). Look how We
make the Ayât (proofs, evidences, verses,
lessons, signs, revelations, etc.) clear to
them, yet look how they are deluded
away (from the truth)
[76] ﻗُﻞ ﺃَﺗَﻌﺒُﺪﻭﻥَ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻻ ﻳَﻤﻠِﻚُ ﻟَﻜُﻢ ﺿَﺮًّﺍ ﻭَﻻ
ﻧَﻔﻌًﺎ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤﻴﻊُ
ﺍﻟﻌَﻠﻴﻢُ
[76] বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহ
ব্যতীত এমন বস্তুর এবাদত কর যে,
তোমাদের অপকার বা উপকার করার
ক্ষমতা রাখে না? অথচ আল্লাহ সব
শুনেন ও জানেন।
[76] Say (O Muhammad SAW to
mankind): “How do you worship besides
Allâh something which has no power
either to harm or to benefit you? But it is
Allâh Who is the All¬Hearer,
All¬Knower.”
[77] ﻗُﻞ ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻻ ﺗَﻐﻠﻮﺍ
ﻓﻰ ﺩﻳﻨِﻜُﻢ ﻏَﻴﺮَ ﺍﻟﺤَﻖِّ ﻭَﻻ
ﺗَﺘَّﺒِﻌﻮﺍ ﺃَﻫﻮﺍﺀَ ﻗَﻮﻡٍ ﻗَﺪ ﺿَﻠّﻮﺍ
ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ﻭَﺃَﺿَﻠّﻮﺍ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ
ﻭَﺿَﻠّﻮﺍ ﻋَﻦ ﺳَﻮﺍﺀِ ﺍﻟﺴَّﺒﻴﻞِ
[77] বলুনঃ হে আহলে কিতাবগন,
তোমরা স্বীয় ধর্মে অন্যায়
বাড়াবাড়ি করো না এবং এতে ঐ
সম্প্রদায়ের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো
না, যারা পূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং
অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। তারা সরল
পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে।
[77] Say (O Muhammad SAW): “O people
of the Scripture (Jews and Christians)!
Exceed not the limits in your religion (by
believing in something) other than the
truth, and do not follow the vain desires
of people who went astray before, and
who misled many, and strayed
(themselves) from the Right Path.”
[78] ﻟُﻌِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻣِﻦ
ﺑَﻨﻰ ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﻋَﻠﻰٰ ﻟِﺴﺎﻥِ
ﺩﺍﻭۥﺩَ ﻭَﻋﻴﺴَﻰ ﺍﺑﻦِ ﻣَﺮﻳَﻢَ ۚ
ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﻤﺎ ﻋَﺼَﻮﺍ ﻭَﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻳَﻌﺘَﺪﻭﻥَ
[78] বনী-ইসলাঈলের মধ্যে যারা
কাফের, তাদেরকে দাউদ ও মরিয়মতনয়
ঈসার মুখে অভিসম্পাত করা হয়েছে।
এটা একারণে যে, তারা অবাধ্যতা করত
এবং সীমা লংঘন করত।
[78] Those among the Children of Israel
who disbelieved were cursed by the
tongue of Dawûd (David) and ‘Īsā (Jesus),
son of Maryam (Mary). That was because
they disobeyed (Allâh and the
Messengers) and were ever transgressing
beyond bounds.
[79] ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻻ ﻳَﺘَﻨﺎﻫَﻮﻥَ ﻋَﻦ
ﻣُﻨﻜَﺮٍ ﻓَﻌَﻠﻮﻩُ ۚ ﻟَﺒِﺌﺲَ ﻣﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻳَﻔﻌَﻠﻮﻥَ
[79] তারা পরস্পরকে মন্দ কাজে নিষেধ
করত না, যা তারা করত। তারা যা করত
তা অবশ্যই মন্দ ছিল
[79] They used not to forbid one another
from Al-Munkar (wrong, evil-doing, sins,
polytheism, disbelief) which they
committed. Vile indeed was what they
used to do.
[80] ﺗَﺮﻯٰ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻳَﺘَﻮَﻟَّﻮﻥَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ۚ ﻟَﺒِﺌﺲَ ﻣﺎ
ﻗَﺪَّﻣَﺖ ﻟَﻬُﻢ ﺃَﻧﻔُﺴُﻬُﻢ ﺃَﻥ
ﺳَﺨِﻂَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﻓِﻰ
ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏِ ﻫُﻢ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[80] আপনি তাদের অনেককে দেখবেন,
কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা
নিজেদের জন্য যা পাঠিয়েছে তা
অবশ্যই মন্দ। তা এই যে, তাদের প্রতি
আল্লাহ ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং
তারা চিরকাল আযাবে থাকবে।
[80] You see many of them taking the
disbelievers as their Auliyâ’ (protectors
and helpers). Evil indeed is that which
their ownselves have sent forward
before them, for that (reason) Allâh’s
Wrath fell upon them and in torment
they will abide.
[81] ﻭَﻟَﻮ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻪِ ﻣَﺎ
ﺍﺗَّﺨَﺬﻭﻫُﻢ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ
ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻓٰﺴِﻘﻮﻥَ
[81] যদি তারা আল্লাহর প্রতি ও
রসূলের প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ের প্রতি
বিশ্বাস স্থাপন করত, তবে
কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না।
কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই দুরাচার।
[81] And had they believed in Allâh, and
in the Prophet (Muhammad SAW) and in
what has been revealed to him, never
would they have taken them (the
disbelievers) as Auliyâ’ (protectors and
helpers), but many of them are the
Fâsiqûn (rebellious, disobedient to
Allâh).
[82] ۞ ﻟَﺘَﺠِﺪَﻥَّ ﺃَﺷَﺪَّ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ
ﻋَﺪٰﻭَﺓً ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﻟﻴَﻬﻮﺩَ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃَﺷﺮَﻛﻮﺍ ۖ ﻭَﻟَﺘَﺠِﺪَﻥَّ
ﺃَﻗﺮَﺑَﻬُﻢ ﻣَﻮَﺩَّﺓً ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻧّﺎ ﻧَﺼٰﺮﻯٰ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ
ﺑِﺄَﻥَّ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻗِﺴّﻴﺴﻴﻦَ ﻭَﺭُﻫﺒﺎﻧًﺎ
ﻭَﺃَﻧَّﻬُﻢ ﻻ ﻳَﺴﺘَﻜﺒِﺮﻭﻥَ
[82] আপনি সব মানুষের চাইতে
মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও
মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি
সবার চাইতে মুসলমানদের সাথে
বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে
পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান
বলে। এর কারণ এই যে, খ্রীষ্টানদের
মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে
এবং তারা অহঙ্কার করে না।
[82] Verily, you will find the strongest
among men in enmity to the believers
(Muslims) the Jews and those who are Al-
Mushrikûn (see V.2:105), and you will
find the nearest in love to the believers
(Muslims) those who say: “We are
Christians.” That is because amongst
them are priests and monks, and they
are not proud.
[83] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺳَﻤِﻌﻮﺍ ﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝِ ﺗَﺮﻯٰ ﺃَﻋﻴُﻨَﻬُﻢ ﺗَﻔﻴﺾُ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﺪَّﻣﻊِ ﻣِﻤّﺎ ﻋَﺮَﻓﻮﺍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺤَﻖِّ ۖ ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ
ﻓَﺎﻛﺘُﺒﻨﺎ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺸّٰﻬِﺪﻳﻦَ
[83] আর তারা রসূলের প্রতি যা
অবতীর্ণ হয়েছে, তা যখন শুনে, তখন
আপনি তাদের চোখ অশ্রু সজল দেখতে
পাবেন; এ কারণে যে, তারা সত্যকে
চিনে নিয়েছে। তারা বলেঃ হে
আমাদের প্রতি পালক, আমরা মুসলমান
হয়ে গেলাম। অতএব, আমাদেরকেও
মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে
নিন।
[83] And when they (who call themselves
Christians) listen to what has been sent
down to the Messenger (Muhammad
SAW), you see their eyes overflowing
with tears because of the truth they have
recognised. They say: “Our Lord! We
believe; so write us down among the
witnesses.
[84] ﻭَﻣﺎ ﻟَﻨﺎ ﻻ ﻧُﺆﻣِﻦُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣﺎ
ﺟﺎﺀَﻧﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺤَﻖِّ ﻭَﻧَﻄﻤَﻊُ ﺃَﻥ
ﻳُﺪﺧِﻠَﻨﺎ ﺭَﺑُّﻨﺎ ﻣَﻊَ ﺍﻟﻘَﻮﻡِ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤﻴﻦَ
[84] আমাদের কি ওযর থাকতে পারে
যে, আমরা আল্লাহর প্রতি এবং যে সত্য
আমাদের কাছে এসেছে, তৎপ্রতি
বিশ্বাস স্থাপন করব না এবং এ আশা
করবো না যে, আমদের প্রতিপালক
আমাদেরকে সৎ লোকদের সাথে
প্রবিষ্ট করবেন?
[84] “And why should we not believe in
Allâh and in that which has come to us
of the truth (Islâmic Monotheism)? And
we wish that our Lord will admit us (in
Paradise on the Day of Resurrection)
along with the righteous people (Prophet
Muhammad SAW and his Companions
radhiallahu’anhuã).”
[85] ﻓَﺄَﺛٰﺒَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤﺎ ﻗﺎﻟﻮﺍ
ﺟَﻨّٰﺖٍ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ
ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ ۚ ﻭَﺫٰﻟِﻚَ
ﺟَﺰﺍﺀُ ﺍﻟﻤُﺤﺴِﻨﻴﻦَ
[85] অতঃপর তাদেরকে আল্লাহ এ
উক্তির প্রতিদান স্বরূপ এমন উদ্যান
দিবেন যার তলদেশে নির্ঝরিণীসমূহ
প্রবাহিত হবে। তারা তন্মধ্যে চিরকাল
অবস্থান করবে। এটাই সৎকর্মশীলদের
প্রতিদান।
[85] So because of what they said, Allâh
rewarded them Gardens under which
rivers flow (in Paradise), they will abide
therein forever. Such is the reward of Al-
Muhsinûn (the good-doers).
[86] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﻛَﺬَّﺑﻮﺍ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺘِﻨﺎ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺃَﺻﺤٰﺐُ
ﺍﻟﺠَﺤﻴﻢِ
[86] যারা কাফের হয়েছে এবং আমার
নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলেছে,
তারাই দোযখী।
[86] But those who disbelieved and
belied Our Ayât (proofs, evidences,
verses, lessons, signs, revelations, etc.),
they shall be the dwellers of the (Hell)
Fire.
[87] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗُﺤَﺮِّﻣﻮﺍ ﻃَﻴِّﺒٰﺖِ ﻣﺎ ﺃَﺣَﻞَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟَﻜُﻢ ﻭَﻻ ﺗَﻌﺘَﺪﻭﺍ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ
ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻤُﻌﺘَﺪﻳﻦَ
[87] হে মুমিনগণ, তোমরা ঐসব সুস্বাদু
বস্তু হারাম করো না, যেগুলো
আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল
করেছেন এবং সীমা অতিক্রম করো
না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমা
অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
[87] O you who believe! Make not
unlawful the Tayyibât (all that is good as
regards foods, things, deeds, beliefs,
persons) which Allâh has made lawful to
you, and transgress not. Verily, Allâh
does not like the transgressors.
[88] ﻭَﻛُﻠﻮﺍ ﻣِﻤّﺎ ﺭَﺯَﻗَﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺣَﻠٰﻠًﺎ ﻃَﻴِّﺒًﺎ ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﻟَّﺬﻯ
ﺃَﻧﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﻣُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[88] আল্লাহ তা’য়ালা যেসব বস্তু
তোমাদেরকে দিয়েছেন, তন্মধ্য থেকে
হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও এবং
আল্লাহকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা
বিশ্বাসী।
[88] And eat of the things which Allâh
has provided for you, lawful and good,
and fear Allâh in Whom you believe.
[89] ﻻ ﻳُﺆﺍﺧِﺬُﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐﻮِ
ﻓﻰ ﺃَﻳﻤٰﻨِﻜُﻢ ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻳُﺆﺍﺧِﺬُﻛُﻢ
ﺑِﻤﺎ ﻋَﻘَّﺪﺗُﻢُ ﺍﻷَﻳﻤٰﻦَ ۖ ﻓَﻜَﻔّٰﺮَﺗُﻪُ
ﺇِﻃﻌﺎﻡُ ﻋَﺸَﺮَﺓِ ﻣَﺴٰﻜﻴﻦَ ﻣِﻦ
ﺃَﻭﺳَﻂِ ﻣﺎ ﺗُﻄﻌِﻤﻮﻥَ ﺃَﻫﻠﻴﻜُﻢ
ﺃَﻭ ﻛِﺴﻮَﺗُﻬُﻢ ﺃَﻭ ﺗَﺤﺮﻳﺮُ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ ۖ
ﻓَﻤَﻦ ﻟَﻢ ﻳَﺠِﺪ ﻓَﺼِﻴﺎﻡُ ﺛَﻠٰﺜَﺔِ
ﺃَﻳّﺎﻡٍ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ ﻛَﻔّٰﺮَﺓُ ﺃَﻳﻤٰﻨِﻜُﻢ ﺇِﺫﺍ
ﺣَﻠَﻔﺘُﻢ ۚ ﻭَﺍﺣﻔَﻈﻮﺍ ﺃَﻳﻤٰﻨَﻜُﻢ ۚ
ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻳُﺒَﻴِّﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢ ﺀﺍﻳٰﺘِﻪِ
ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﺸﻜُﺮﻭﻥَ
[89] আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও
করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের
জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের
জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ।
অতএব, এর কাফফরা এই যে, দশজন
দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম
শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয়
পরিবারকে দিয়ে থাক। অথবা,
তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা,
একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত
করে দিবে। যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে
না, সে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা
কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ
করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর
এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য
স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে
তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।
[89] Allâh will not punish you for what is
unintentional in your oaths, but He will
punish you for your deliberate oaths; for
its expiation feed ten Masâkîn (poor
persons), on a scale of the average of
that with which you feed your own
families, or clothe them or manumit a
slave. But whosoever cannot afford
(that), then he should fast for three days.
That is the expiation for the oaths when
you have sworn. And protect your oaths
(i.e. do not swear much). Thus Allâh
make clear to you His Ayât (proofs,
evidence, verses, lessons, signs,
revelations, etc.) that you may be
grateful.
[90] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺇِﻧَّﻤَﺎ
ﺍﻟﺨَﻤﺮُ ﻭَﺍﻟﻤَﻴﺴِﺮُ ﻭَﺍﻷَﻧﺼﺎﺏُ
ﻭَﺍﻷَﺯﻟٰﻢُ ﺭِﺟﺲٌ ﻣِﻦ ﻋَﻤَﻞِ
ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦِ ﻓَﺎﺟﺘَﻨِﺒﻮﻩُ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ
ﺗُﻔﻠِﺤﻮﻥَ
[90] হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া,
প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ
এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো
নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-
যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।
[90] O you who believe! Intoxicants (all
kinds of alcoholic drinks), gambling, and
Al-Ansâb, and Al¬Azlâm (arrows for
seeking luck or decision) are an
abomination of Shaitân’s (Satan)
handiwork. So avoid (strictly all) that
(abomination) in order that you may be
successful.
[91] ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ ﺃَﻥ
ﻳﻮﻗِﻊَ ﺑَﻴﻨَﻜُﻢُ ﺍﻟﻌَﺪٰﻭَﺓَ
ﻭَﺍﻟﺒَﻐﻀﺎﺀَ ﻓِﻰ ﺍﻟﺨَﻤﺮِ
ﻭَﺍﻟﻤَﻴﺴِﺮِ ﻭَﻳَﺼُﺪَّﻛُﻢ ﻋَﻦ ﺫِﻛﺮِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻋَﻦِ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓِ ۖ ﻓَﻬَﻞ ﺃَﻧﺘُﻢ
ﻣُﻨﺘَﻬﻮﻥَ
[91] শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার
মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে
শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে
দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায
থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে।
অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে?
[91] Shaitân (Satan) wants only to excite
enmity and hatred between you with
intoxicants (alcoholic drinks) and
gambling, and hinder you from the
remembrance of Allâh and from As-Salât
(the prayer). So, will you not then
abstain?
[92] ﻭَﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ
ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ ﻭَﺍﺣﺬَﺭﻭﺍ ۚ ﻓَﺈِﻥ
ﺗَﻮَﻟَّﻴﺘُﻢ ﻓَﺎﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻧَّﻤﺎ ﻋَﻠﻰٰ
ﺭَﺳﻮﻟِﻨَﺎ ﺍﻟﺒَﻠٰﻎُ ﺍﻟﻤُﺒﻴﻦُ
[92] তোমরা আল্লাহর অনুগত হও,
রসূলের অনুগত হও এবং আত্মরক্ষা কর।
কিন্তু যদি তোমরা বিমুখ হও, তবে
জেনে রাখ, আমার রসূলের দায়িত্ব
প্রকাশ্য প্রচার বৈধ নয়।
[92] And obey Allâh and the Messenger
(Muhammad SAW), and beware (of even
coming near to drinking or gambling or
Al-Ansâb, or Al-Azlâm, etc.) and fear
Allâh. Then if you turn away, you should
know that it is Our Messenger’s duty to
convey (the Message) in the clearest way.
[93] ﻟَﻴﺲَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﺟُﻨﺎﺡٌ
ﻓﻴﻤﺎ ﻃَﻌِﻤﻮﺍ ﺇِﺫﺍ ﻣَﺎ ﺍﺗَّﻘَﻮﺍ
ﻭَﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ
ﺛُﻢَّ ﺍﺗَّﻘَﻮﺍ ﻭَﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺛُﻢَّ ﺍﺗَّﻘَﻮﺍ
ﻭَﺃَﺣﺴَﻨﻮﺍ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺤِﺐُّ
ﺍﻟﻤُﺤﺴِﻨﻴﻦَ
[93] যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং
সৎকর্ম করেছে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ
করেছে, সে জন্য তাদের কোন
গোনাহ নেই যখন ভবিষ্যতের জন্যে
সংযত হয়েছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে
এবং সৎকর্ম সম্পাদন করেছে। এরপর
সংযত থাকে এবং বিশ্বাস স্থাপন
করে। এরপর সংযত থাকে এবং সৎকর্ম
করে। আল্লাহ সৎকর্মীদেরকে
ভালবাসেন।
[93] Those who believe and do righteous
good deeds, there is no sin on them for
what they ate (in the past), if they fear
Allâh (by keeping away from His
forbidden things), and believe and do
righteous good deeds, and again fear
Allâh and believe, and once again fear
Allâh and do good deeds with Ihsân
(perfection). And Allâh loves the good-
doers.
[94] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻟَﻴَﺒﻠُﻮَﻧَّﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﺸَﻲﺀٍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺼَّﻴﺪِ ﺗَﻨﺎﻟُﻪُ ﺃَﻳﺪﻳﻜُﻢ
ﻭَﺭِﻣﺎﺣُﻜُﻢ ﻟِﻴَﻌﻠَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻦ
ﻳَﺨﺎﻓُﻪُ ﺑِﺎﻟﻐَﻴﺐِ ۚ ﻓَﻤَﻦِ ﺍﻋﺘَﺪﻯٰ
ﺑَﻌﺪَ ﺫٰﻟِﻚَ ﻓَﻠَﻪُ ﻋَﺬﺍﺏٌ ﺃَﻟﻴﻢٌ
[94] হে মুমিনগণ, আল্লাহ
তোমাদেরকে এমন কিছু শিকারের
মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন, যে শিকার
পর্যন্ত তোমাদের হাত ও বর্শা সহজেই
পৌছতে পারবে-যাতে আল্লাহ বুঝতে
পারেন যে, কে তাকে অদৃশ্যভাবে
ভয়করে। অতএব, যে ব্যক্তি এরপর সীমা
অতিক্রম করবে, তার জন্য যন্ত্রনাদায়ক
শাস্তি রয়েছে।
[94] O you who believe! Allâh will
certainly make a trial of you with
something in (the matter of) the game
that is well within reach of your hands
and your lances, that Allâh may test who
fears Him unseen. Then whoever
transgresses thereafter, for him there is
a painful torment
[95] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﻘﺘُﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻴﺪَ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﺣُﺮُﻡٌ ۚ
ﻭَﻣَﻦ ﻗَﺘَﻠَﻪُ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣُﺘَﻌَﻤِّﺪًﺍ
ﻓَﺠَﺰﺍﺀٌ ﻣِﺜﻞُ ﻣﺎ ﻗَﺘَﻞَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻨَّﻌَﻢِ ﻳَﺤﻜُﻢُ ﺑِﻪِ ﺫَﻭﺍ ﻋَﺪﻝٍ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﻫَﺪﻳًﺎ ﺑٰﻠِﻎَ ﺍﻟﻜَﻌﺒَﺔِ ﺃَﻭ
ﻛَﻔّٰﺮَﺓٌ ﻃَﻌﺎﻡُ ﻣَﺴٰﻜﻴﻦَ ﺃَﻭ ﻋَﺪﻝُ
ﺫٰﻟِﻚَ ﺻِﻴﺎﻣًﺎ ﻟِﻴَﺬﻭﻕَ ﻭَﺑﺎﻝَ
ﺃَﻣﺮِﻩِ ۗ ﻋَﻔَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻤّﺎ ﺳَﻠَﻒَ ۚ
ﻭَﻣَﻦ ﻋﺎﺩَ ﻓَﻴَﻨﺘَﻘِﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻨﻪُ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺫُﻭ ﺍﻧﺘِﻘﺎﻡٍ
[95] মুমিনগণ, তোমরা এহরাম অবস্থায়
শিকার বধ করো না। তোমাদের মধ্যে
যে জেনেশুনে শিকার বধ করবে, তার
উপর বিনিময় ওয়াজেব হবে, যা সমান
হবে ঐ জন্তুর, যাকে সে বধ করেছে।
দু’জন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এর ফয়সালা
করবে-বিনিময়ের জন্তুটি উৎসর্গ
হিসেবে কাবায় পৌছাতে হবে। অথবা
তার উপর কাফফারা ওয়াজেব-কয়েকজন
দরিদ্রকে খাওয়ানো অথবা তার
সমপরিমাণ রোযা রাখতে যাতে সে
স্বীয় কৃতকর্মের প্রতিফল আস্বাদন
করে। যা হয়ে গেছে, তা আল্লাহ মাফ
করেছেন। যে পুনরায় এ কান্ড করবে,
আল্লাহ তার কাছ থেকে প্রতিশোধ
নিবেন। আল্লাহ পরাক্রান্ত,
প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম।
[95] O you who believe! Kill not game
while you are in a state of Ihrâm for Hajj
or ‘Umrah (pilgrimage), and whosoever
of you kills it intentionally, the penalty is
an offering, brought to the Ka’bah, of an
eatable animal (i.e. sheep, goat, cow)
equivalent to the one he killed, as
adjudged by two just men among you; or,
for expiation, he should feed Masâkin
(poor persons), or its equivalent in Saum
(fasting), that he may taste the heaviness
(punishment) of his deed. Allâh has
forgiven what is past, but whosoever
commits it again, Allâh will take
retribution from him. And Allâh is
All¬Mighty, All-Able of Retribution
[96] ﺃُﺣِﻞَّ ﻟَﻜُﻢ ﺻَﻴﺪُ ﺍﻟﺒَﺤﺮِ
ﻭَﻃَﻌﺎﻣُﻪُ ﻣَﺘٰﻌًﺎ ﻟَﻜُﻢ ﻭَﻟِﻠﺴَّﻴّﺎﺭَﺓِ ۖ
ﻭَﺣُﺮِّﻡَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺻَﻴﺪُ ﺍﻟﺒَﺮِّ ﻣﺎ
ﺩُﻣﺘُﻢ ﺣُﺮُﻣًﺎ ۗ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺍﻟَّﺬﻯ ﺇِﻟَﻴﻪِ ﺗُﺤﺸَﺮﻭﻥَ
[96] তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও
সুমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে
তোমাদের উপকারার্থে এবং
তোমাদের এহরামকারীদের জন্যে
হারাম করা হয়েছে স্থল শিকার যতক্ষণ
এহরাম অবস্থায় থাক। আল্লাহকে ভয়
কর, যার কাছে তোমরা একত্রিত হবে।
[96] Lawful to you is (the pursuit of)
water¬game and its use for food – for the
benefit of yourselves and those who
travel, but forbidden is (the pursuit of)
land¬game as long as you are in a state
of Ihrâm (for Hajj or ‘Umrah). And fear
Allâh to Whom you shall be gathered
back.
[97] ۞ ﺟَﻌَﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻜَﻌﺒَﺔَ
ﺍﻟﺒَﻴﺖَ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡَ ﻗِﻴٰﻤًﺎ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ
ﻭَﺍﻟﺸَّﻬﺮَ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡَ ﻭَﺍﻟﻬَﺪﻯَ
ﻭَﺍﻟﻘَﻠٰﺌِﺪَ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ ﻟِﺘَﻌﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻳَﻌﻠَﻢُ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣﺎ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺑِﻜُﻞِّ
ﺷَﻲﺀٍ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[97] আল্লাহ সম্মানিত গৃহ কাবাকে
মানুষের স্থীতিশীলতার কারণ
করেছেন এবং সম্মানিত মাসসমূকে,
হারাম কোরবানীর জন্তুকে ও যাদের
গলায় আবরণ রয়েছে। এর কারণ এই যে,
যাতে তোমরা জেনে নাও যে, আল্লাহ
নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের সব কিছু
জানেন এবং আল্লাহ সর্ব বিষয়ে
মহাজ্ঞানী।
[97] Allâh has made the Ka’bah, the
Sacred House, an asylum of security and
benefits (e.g., Hajj and ‘Umrah) for
mankind, and also the Sacred Month and
the animals of offerings and the
garlanded (people or animals, marked
with the garlands on their necks made
from the outer part of the stem of the
Makkah trees for their security), that you
may know that Allâh has knowledge of
all that is in the heavens and all that is
in the earth, and that Allâh is the
All¬Knower of each and everything.
[98] ﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﺪﻳﺪُ
ﺍﻟﻌِﻘﺎﺏِ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻔﻮﺭٌ
ﺭَﺣﻴﻢٌ
[98] জেনে নাও, নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর
শাস্তি দাতা ও নিশ্চয় আল্লাহ
ক্ষমাশীল-দয়ালূ।
[98] Know that Allâh is Severe in
punishment and that Allâh is Oft-
Forgiving, Most Merciful.
[99] ﻣﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝِ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﺒَﻠٰﻎُ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻌﻠَﻢُ ﻣﺎ ﺗُﺒﺪﻭﻥَ ﻭَﻣﺎ
ﺗَﻜﺘُﻤﻮﻥَ
[99] রসূলের দায়িত্ব শুধু পৌছিয়ে
দেওয়া। আল্লাহ জানেন, যা কিছু
তোমরা প্রকাশ্যে কর এবং যা কিছু
গোপন কর।
[99] The duty of Messenger [i.e. Our
Messenger Muhammad SAW whom We
have sent to you, (O mankind)] is
nothing but to convey (the Message).
And Allâh knows all that you reveal and
all that you conceal
[100] ﻗُﻞ ﻻ ﻳَﺴﺘَﻮِﻯ ﺍﻟﺨَﺒﻴﺚُ
ﻭَﺍﻟﻄَّﻴِّﺐُ ﻭَﻟَﻮ ﺃَﻋﺠَﺒَﻚَ ﻛَﺜﺮَﺓُ
ﺍﻟﺨَﺒﻴﺚِ ۚ ﻓَﺎﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳٰﺄُﻭﻟِﻰ
ﺍﻷَﻟﺒٰﺐِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗُﻔﻠِﺤﻮﻥَ
[100] বলে দিনঃ অপবিত্র ও পবিত্র
সমান নয়, যদিও অপবিত্রের প্রাচুর্য
তোমাকে বিস্মিত করে। অতএব, হে
বুদ্ধিমানগণ, আল্লাহকে ভয় কর-যাতে
তোমরা মুক্তি পাও।
[100] Say (O Muhammad SAW): “Not
equal are Al¬Khabîth (all that is evil and
bad as regards things, deeds, beliefs,
persons, and foods) and At-Tayyib (all
that is good as regards things, deeds,
beliefs, persons, and foods), even though
the abundance of Al-Khabîth may please
you.” So fear Allâh, O men of
understanding in order that you may be
successful.
[101] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﺴـَٔﻠﻮﺍ ﻋَﻦ ﺃَﺷﻴﺎﺀَ ﺇِﻥ ﺗُﺒﺪَ
ﻟَﻜُﻢ ﺗَﺴُﺆﻛُﻢ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺴـَٔﻠﻮﺍ ﻋَﻨﻬﺎ
ﺣﻴﻦَ ﻳُﻨَﺰَّﻝُ ﺍﻟﻘُﺮﺀﺍﻥُ ﺗُﺒﺪَ ﻟَﻜُﻢ
ﻋَﻔَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨﻬﺎ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔﻮﺭٌ
ﺣَﻠﻴﻢٌ
[101] হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা
জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের
কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের
খারাপ লাগবে। যদি কোরআন
অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয়
জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের
জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয়
আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ
ক্ষমাশীল, সহনশীল।
[101] O you who believe! Ask not about
things which, if made plain to you, may
cause you trouble. But if you ask about
them while the Qur’ân is being revealed,
they will be made plain to you. Allâh has
forgiven that, and Allâh is
Oft¬Forgiving, Most Forbearing.
[102] ﻗَﺪ ﺳَﺄَﻟَﻬﺎ ﻗَﻮﻡٌ ﻣِﻦ
ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ ﺛُﻢَّ ﺃَﺻﺒَﺤﻮﺍ ﺑِﻬﺎ
ﻛٰﻔِﺮﻳﻦَ
[102] এরূপ কথা বার্তা তোমাদের
পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস
করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে
অবিশ্বাসী হয়ে গেল।
[102] Before you, a community asked
such questions, then on that account they
became disbelievers.
[103] ﻣﺎ ﺟَﻌَﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦ ﺑَﺤﻴﺮَﺓٍ
ﻭَﻻ ﺳﺎﺋِﺒَﺔٍ ﻭَﻻ ﻭَﺻﻴﻠَﺔٍ ﻭَﻻ
ﺣﺎﻡٍ ۙ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻳَﻔﺘَﺮﻭﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﻜَﺬِﺏَ ۖ
ﻭَﺃَﻛﺜَﺮُﻫُﻢ ﻻ ﻳَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[103] আল্লাহ ‘বহিরা’ ‘সায়েবা’
ওসীলা’ এবং ‘হামী’ কে শরীয়তসিদ্ধ
করেননি। কিন্তু যারা কাফের, তারা
আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ
করে। তাদের অধিকাংশেরই বিবেক
বুদ্ধি নেই।
[103] Allâh has not instituted things like
Bahîrah or a Sâ’ibah, or a Wasîlah or a
Hâm (all these animals were liberated in
honour of idols as practised by pagan
Arabs in the pre-Islâmic period). But
those who disbelieve invent lies against
Allâh, and most of them have no
understanding.
[104] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻗﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢ ﺗَﻌﺎﻟَﻮﺍ ﺇِﻟﻰٰ
ﻣﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝِ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺣَﺴﺒُﻨﺎ ﻣﺎ ﻭَﺟَﺪﻧﺎ ﻋَﻠَﻴﻪِ
ﺀﺍﺑﺎﺀَﻧﺎ ۚ ﺃَﻭَﻟَﻮ ﻛﺎﻥَ ﺀﺍﺑﺎﺅُﻫُﻢ
ﻻ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ ﺷَﻴـًٔﺎ ﻭَﻻ ﻳَﻬﺘَﺪﻭﻥَ
[104] যখন তাদেরকে বলা হয় যে,
আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান এবং
রসূলের দিকে এস, তখন তারা বলে,
আমাদের জন্যে তাই যথেষ্ট, যার উপর
আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে
পেয়েছি। যদি তাদের বাপ দাদারা
কোন জ্ঞান না রাখে এবং হেদায়েত
প্রাপ্ত না হয় তবুও কি তারা তাই
করবে?
[104] And when it is said to them: “Come
to what Allâh has revealed and unto the
Messenger (Muhammad SAW for the
verdict of that which you have made
unlawful).” They say: “Enough for us is
that which we found our fathers
following,” even though their fathers had
no knowledge whatsoever and nor
guidance.
[105] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ ۖ ﻻ ﻳَﻀُﺮُّﻛُﻢ
ﻣَﻦ ﺿَﻞَّ ﺇِﺫَﺍ ﺍﻫﺘَﺪَﻳﺘُﻢ ۚ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣَﺮﺟِﻌُﻜُﻢ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ
ﻓَﻴُﻨَﺒِّﺌُﻜُﻢ ﺑِﻤﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[105] হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের
চিন্তা কর। তোমরা যখন সৎপথে রয়েছ,
তখন কেউ পথভ্রান্ত হলে তাতে
তোমাদের কোন ক্ষতি নাই।
তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে
ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি
তোমাদেরকে বলে দেবেন, যা কিছু
তোমরা করতে।
[105] O you who believe! Take care of
your ownselves, If you follow the (right)
guidance (and enjoin what is right
Islâmic Monotheism and all that Islâm
orders one to do) and forbid what is
wrong (polytheism, disbelief and all that
Islâm has forbidden) no hurt can come
to you from those who are in error. The
return of you all is to Allâh, then He will
inform you about (all) that which you
used to do.
[106] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﺷَﻬٰﺪَﺓُ ﺑَﻴﻨِﻜُﻢ ﺇِﺫﺍ ﺣَﻀَﺮَ
ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢُ ﺍﻟﻤَﻮﺕُ ﺣﻴﻦَ ﺍﻟﻮَﺻِﻴَّﺔِ
ﺍﺛﻨﺎﻥِ ﺫَﻭﺍ ﻋَﺪﻝٍ ﻣِﻨﻜُﻢ ﺃَﻭ
ﺀﺍﺧَﺮﺍﻥِ ﻣِﻦ ﻏَﻴﺮِﻛُﻢ ﺇِﻥ ﺃَﻧﺘُﻢ
ﺿَﺮَﺑﺘُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﻓَﺄَﺻٰﺒَﺘﻜُﻢ ﻣُﺼﻴﺒَﺔُ ﺍﻟﻤَﻮﺕِ ۚ
ﺗَﺤﺒِﺴﻮﻧَﻬُﻤﺎ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓِ
ﻓَﻴُﻘﺴِﻤﺎﻥِ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻥِ ﺍﺭﺗَﺒﺘُﻢ ﻻ
ﻧَﺸﺘَﺮﻯ ﺑِﻪِ ﺛَﻤَﻨًﺎ ﻭَﻟَﻮ ﻛﺎﻥَ ﺫﺍ
ﻗُﺮﺑﻰٰ ۙ ﻭَﻻ ﻧَﻜﺘُﻢُ ﺷَﻬٰﺪَﺓَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺇِﻧّﺎ ﺇِﺫًﺍ ﻟَﻤِﻦَ ﺍﻝﺀﺍﺛِﻤﻴﻦَ
[106] হে, মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে
যখন কারও মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন ওছিয়ত
করার সময় তোমাদের মধ্য থেকে
ধর্মপরায়ন দুজনকে সাক্ষী রেখো।
তোমরা সফরে থাকলে এবং সে
অবস্থায় তোমাদের মৃত্যু উপস্থিত হলে
তোমরা তোমাদের ছাড়াও দু
ব্যক্তিকে সাক্ষী রেখো। যদি
তোমাদের সন্দেহ হয়, তবে উভয়কে
নামাযের পর থাকতে বলবে। অতঃপর
উভয়েই আল্লাহর নামে কসম খাবে যে,
আমরা এ কসমের বিনিময়ে কোন
উপকার গ্রহণ করতে চাই না, যদিও
কোন আত্নীয়ও হয় এবং আল্লাহর
সাক্ষ্য আমরা গোপন করব না।
এমতাবস্থায় কঠোর গোনাহগার হব।
[106] O you who believe! When death
approaches any of you, and you make a
bequest, (then take) the testimony of two
just men of your own folk or two others
from outside, While you are travelling
through the land and death befalls you.
Detain them both after As-Salât (the
prayer), (then) if you are in doubt (about
their truthfulness), let them both swear
by Allâh (saying): “We wish not for any
worldly gain in this, even though he (the
beneficiary) be our near relative. We
shall not hide Testimony of Allâh, for
then indeed we should be of the sinful.”
[107] ﻓَﺈِﻥ ﻋُﺜِﺮَ ﻋَﻠﻰٰ ﺃَﻧَّﻬُﻤَﺎ
ﺍﺳﺘَﺤَﻘّﺎ ﺇِﺛﻤًﺎ ﻓَـٔﺎﺧَﺮﺍﻥِ
ﻳَﻘﻮﻣﺎﻥِ ﻣَﻘﺎﻣَﻬُﻤﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺍﺳﺘَﺤَﻖَّ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢُ ﺍﻷَﻭﻟَﻴٰﻦِ
ﻓَﻴُﻘﺴِﻤﺎﻥِ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻟَﺸَﻬٰﺪَﺗُﻨﺎ
ﺃَﺣَﻖُّ ﻣِﻦ ﺷَﻬٰﺪَﺗِﻬِﻤﺎ ﻭَﻣَﺎ
ﺍﻋﺘَﺪَﻳﻨﺎ ﺇِﻧّﺎ ﺇِﺫًﺍ ﻟَﻤِﻦَ ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[107] অতঃপর যদি জানা যায় যে, উভয়
ওসি কোন গোনাহে জড়িত রয়েছে,
তবে যাদের বিরুদ্ধে গোনাহ হয়েছিল,
তাদের মধ্য থেকে মৃতু ব্যক্তির নিকটতম
দু’ব্যক্তি তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে।
অতঃপর আল্লাহর নামে কসম খাবে যে,
অবশ্যই আমাদের সাক্ষ্য তাদের
সাক্ষ্যর চাইতে অধিক সত্য এবং আমরা
সীমা অতিক্রম করিনি। এমতাবস্থায়
আমরা অবশ্যই অত্যাচারী হব।
[107] If then it gets known that these two
had been guilty of sin, let two others
stand forth in their places, nearest in kin
from among those who claim a lawful
right. Let them swear by Allâh (saying):
“We affirm that our testimony is truer
than that of both of them, and that we
have not trespassed (the truth), for then
indeed we should be of the
wrong¬doers.”
[108] ﺫٰﻟِﻚَ ﺃَﺩﻧﻰٰ ﺃَﻥ ﻳَﺄﺗﻮﺍ
ﺑِﺎﻟﺸَّﻬٰﺪَﺓِ ﻋَﻠﻰٰ ﻭَﺟﻬِﻬﺎ ﺃَﻭ
ﻳَﺨﺎﻓﻮﺍ ﺃَﻥ ﺗُﺮَﺩَّ ﺃَﻳﻤٰﻦٌ ﺑَﻌﺪَ
ﺃَﻳﻤٰﻨِﻬِﻢ ۗ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻭَﺍﺳﻤَﻌﻮﺍ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﻳَﻬﺪِﻯ
ﺍﻟﻘَﻮﻡَ ﺍﻟﻔٰﺴِﻘﻴﻦَ
[108] এটি এ বিষয়ের নিকটতম উপায় যে,
তারা ঘটনাকে সঠিকভাবে প্রকাশ
করবে অথবা আশঙ্কা করবে যে, তাদের
কাছ থেকে কসম নেয়ার পর আবার কসম
চাওয়া হবে। আল্লাহকে ভয় কর এবং শুন,
আল্লাহ দুরাচারীদেরকে পথ-প্রদর্শন
করবেন না।
[108] That should make it closer (to the
fact) that their testimony would be in its
true shape (and thus accepted), or else
they would fear that (other) oaths would
be admitted after their oaths. And fear
Allâh and listen ( with obedience to
Him). And Allâh guides not the people
who are Al-Fâsiqûn (the rebellious and
disobedient).
[109] ۞ ﻳَﻮﻡَ ﻳَﺠﻤَﻊُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺍﻟﺮُّﺳُﻞَ ﻓَﻴَﻘﻮﻝُ ﻣﺎﺫﺍ ﺃُﺟِﺒﺘُﻢ ۖ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻻ ﻋِﻠﻢَ ﻟَﻨﺎ ۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ
ﻋَﻠّٰﻢُ ﺍﻟﻐُﻴﻮﺏِ
[109] যেদিন আল্লাহ সব পয়গম্বরকে
একত্রিত করবেন, অতঃপর বলবেন
তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে? তাঁরা
বলবেনঃ আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য
বিষয়ে মহাজ্ঞানী।
[109] On the Day when Allâh will gather
the Messengers together and say to
them: “What was the response you
received (from men to your teaching)?
They will say: “We have no knowledge,
verily, only You are the All¬Knower of
all that is hidden (or unseen).”
[110] ﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳٰﻌﻴﺴَﻰ ﺍﺑﻦَ
ﻣَﺮﻳَﻢَ ﺍﺫﻛُﺮ ﻧِﻌﻤَﺘﻰ ﻋَﻠَﻴﻚَ
ﻭَﻋَﻠﻰٰ ﻭٰﻟِﺪَﺗِﻚَ ﺇِﺫ ﺃَﻳَّﺪﺗُﻚَ
ﺑِﺮﻭﺡِ ﺍﻟﻘُﺪُﺱِ ﺗُﻜَﻠِّﻢُ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ
ﻓِﻰ ﺍﻟﻤَﻬﺪِ ﻭَﻛَﻬﻠًﺎ ۖ ﻭَﺇِﺫ ﻋَﻠَّﻤﺘُﻚَ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔَ ﻭَﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔَ
ﻭَﺍﻹِﻧﺠﻴﻞَ ۖ ﻭَﺇِﺫ ﺗَﺨﻠُﻖُ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻄّﻴﻦِ ﻛَﻬَﻴـَٔﺔِ ﺍﻟﻄَّﻴﺮِ ﺑِﺈِﺫﻧﻰ
ﻓَﺘَﻨﻔُﺦُ ﻓﻴﻬﺎ ﻓَﺘَﻜﻮﻥُ ﻃَﻴﺮًﺍ
ﺑِﺈِﺫﻧﻰ ۖ ﻭَﺗُﺒﺮِﺉُ ﺍﻷَﻛﻤَﻪَ
ﻭَﺍﻷَﺑﺮَﺹَ ﺑِﺈِﺫﻧﻰ ۖ ﻭَﺇِﺫ ﺗُﺨﺮِﺝُ
ﺍﻟﻤَﻮﺗﻰٰ ﺑِﺈِﺫﻧﻰ ۖ ﻭَﺇِﺫ ﻛَﻔَﻔﺖُ
ﺑَﻨﻰ ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﻋَﻨﻚَ ﺇِﺫ
ﺟِﺌﺘَﻬُﻢ ﺑِﺎﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖِ ﻓَﻘﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﺇِﻥ ﻫٰﺬﺍ ﺇِﻟّﺎ
ﺳِﺤﺮٌ ﻣُﺒﻴﻦٌ
[110] যখন আল্লাহ বলবেনঃ হে ঈসা
ইবনে মরিয়ম, তোমার প্রতি ও তোমার
মাতার প্রতি আমার অনুগ্রহ স্মরণ কর,
যখন আমি তোমাকে পবিত্র আত্মার
দ্বারা সাহায্য করেছি। তুমি মানুষের
সাথে কথা বলতে কোলে থাকতেও
এবং পরিণত বয়সেও এবং যখন আমি
তোমাকে গ্রন্থ, প্রগাঢ় জ্ঞান, তওরাত
ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছি এবং যখন
তুমি কাদামাটি দিয়ে পাখীর
প্রতিকৃতির মত প্রতিকৃতি নির্মাণ
করতে আমার আদেশে, অতঃপর তুমি
তাতে ফুঁ দিতে; ফলে তা আমার
আদেশে পাখী হয়ে যেত এবং তুমি
আমার আদেশে জন্মান্ধ ও
কুষ্টরোগীকে নিরাময় করে দিতে
এবং যখন আমি বনী-ইসরাঈলকে তোমা
থেকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম, যখন তুমি
তাদের কাছে প্রমাণাদি নিয়ে
এসেছিলে, অতঃপর তাদের মধ্যে যারা
কাফের ছিল, তারা বললঃ এটা
প্রকাশ্য জাদু ছাড়া কিছুই নয়।
[110] (Remember) when Allâh will say
(on the Day of Resurrection). “O ‘Īsā
(Jesus), son of Maryam (Mary)!
Remember My Favour to you and to your
mother when I supported you with Rûh-
ul-Qudus [Jibrail (Gabriel)] so that you
spoke to the people in the cradle and in
maturity; and when I taught you writing,
Al¬Hikmah (the power of
understanding), the Taurât (Torah) and
the Injeel (Gospel); and when you made
out of the clay, a figure like that of a
bird, by My Permission, and you
breathed into it, and it became a bird by
My Permission, and you healed those
born blind, and the lepers by My
Permission, and when you brought forth
the dead by My Permission; and when I
restrained the Children of Israel from
you (when they resolved to kill you) as
you came unto them with clear proofs,
and the disbelievers among them said:
‘This is nothing but evident magic.’ ”
[111] ﻭَﺇِﺫ ﺃَﻭﺣَﻴﺖُ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﺤَﻮﺍﺭِﻱّۦﻥَ ﺃَﻥ ﺀﺍﻣِﻨﻮﺍ ﺑﻰ
ﻭَﺑِﺮَﺳﻮﻟﻰ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ
ﻭَﺍﺷﻬَﺪ ﺑِﺄَﻧَّﻨﺎ ﻣُﺴﻠِﻤﻮﻥَ
[111] আর যখন আমি হাওয়ারীদের মনে
জাগ্রত করলাম যে, আমার প্রতি এবং
আমার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
কর, তখন তারা বলতে লাগল, আমরা
বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং আপনি
সাক্ষী থাকুন যে, আমরা অনুগত্যশীল।
[111] And when I (Allâh) revealed Al-
Hawârîyyun (the disciples) [of ‘Īsā
(Jesus)] to believe in Me and My
Messenger, they said: “We believe. And
bear witness that we are Muslims.”
[112] ﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﺍﻟﺤَﻮﺍﺭِﻳّﻮﻥَ
ﻳٰﻌﻴﺴَﻰ ﺍﺑﻦَ ﻣَﺮﻳَﻢَ ﻫَﻞ
ﻳَﺴﺘَﻄﻴﻊُ ﺭَﺑُّﻚَ ﺃَﻥ ﻳُﻨَﺰِّﻝَ
ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ﻣﺎﺋِﺪَﺓً ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ۖ
ﻗﺎﻝَ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[112] যখন হাওয়ারীরা বললঃ হে মরিয়ম
তনয় ঈসা, আপনার পালনকর্তা কি এরূপ
করতে পারেন যে, আমাদের জন্যে
আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা
অবতরণ করে দেবেন? তিনি বললেনঃ
যদি তোমরা ঈমানদার হও, তবে
আল্লাহকে ভয় কর।
[112] (Remember) when Al-Hawârîyyûn
(the disciples) said: “O ‘Īsā (Jesus), son of
Maryam (Mary)! Can your Lord send
down to us a table spread (with food)
from heaven?” ‘Īsā (Jesus) said: “Fear
Allâh, if you are indeed believers.”
[113] ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻧُﺮﻳﺪُ ﺃَﻥ ﻧَﺄﻛُﻞَ ﻣِﻨﻬﺎ
ﻭَﺗَﻄﻤَﺌِﻦَّ ﻗُﻠﻮﺑُﻨﺎ ﻭَﻧَﻌﻠَﻢَ ﺃَﻥ
ﻗَﺪ ﺻَﺪَﻗﺘَﻨﺎ ﻭَﻧَﻜﻮﻥَ ﻋَﻠَﻴﻬﺎ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸّٰﻬِﺪﻳﻦَ
[113] তারা বললঃ আমরা তা থেকে
খেতে চাই; আমাদের অন্তর পরিতৃপ্ত
হবে; আমরা জেনে নেব যে, আপনি সত্য
বলেছেন এবং আমরা সাক্ষ্যদাতা হয়ে
যাব।
[113] They said: “We wish to eat thereof
and to satisfy your heart (to be stronger
in Faith), and to know that you have
indeed told us the truth and that we
ourselves be its witnesses.”
[114] ﻗﺎﻝَ ﻋﻴﺴَﻰ ﺍﺑﻦُ ﻣَﺮﻳَﻢَ
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺃَﻧﺰِﻝ ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ﻣﺎﺋِﺪَﺓً
ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ﺗَﻜﻮﻥُ ﻟَﻨﺎ ﻋﻴﺪًﺍ
ﻟِﺄَﻭَّﻟِﻨﺎ ﻭَﺀﺍﺧِﺮِﻧﺎ ﻭَﺀﺍﻳَﺔً ﻣِﻨﻚَ ۖ
ﻭَﺍﺭﺯُﻗﻨﺎ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﺧَﻴﺮُ ﺍﻟﺮّٰﺯِﻗﻴﻦَ
[114] ঈসা ইবনে মরিয়ম বললেনঃ হে
আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা আমাদের
প্রতি আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা
অবতরণ করুন। তা আমাদের জন্যে
অর্থাৎ, আমাদের প্রথম ও পরবর্তী সবার
জন্যে আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার
পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি
আমাদের রুযী দিন। আপনিই শ্রেষ্ট
রুযীদাতা।
[114] ‘Īsā (Jesus), son of Maryam (Mary),
said: “O Allâh, our Lord! Send us from
heaven a table spread (with food) that
there may be for us – for the first and the
last of us – a festival and a sign from
You; and provide us sustenance, for You
are the Best of sustainers.”
[115] ﻗﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺇِﻧّﻰ ﻣُﻨَﺰِّﻟُﻬﺎ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ۖ ﻓَﻤَﻦ ﻳَﻜﻔُﺮ ﺑَﻌﺪُ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﻓَﺈِﻧّﻰ ﺃُﻋَﺬِّﺑُﻪُ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ ﻻ ﺃُﻋَﺬِّﺑُﻪُ
ﺃَﺣَﺪًﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[115] আল্লাহ বললেনঃ নিশ্চয় আমি সে
খাঞ্চা তোমাদের প্রতি অবতরণ করব।
অতঃপর যে ব্যাক্তি এর পরেও অকৃতজ্ঞ
হবে, আমি তাকে এমন শাস্তি দেব, যে
শাস্তি বিশ্বজগতের অপর কাউকে দেব
না।
[115] Allâh said: “I am going to send it
down unto you, but if any of you after
that disbelieves, then I will punish him
with a torment such as I have not
inflicted on anyone among (all) the
‘Alamîn (mankind and jinn).”
[116] ﻭَﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳٰﻌﻴﺴَﻰ
ﺍﺑﻦَ ﻣَﺮﻳَﻢَ ﺀَﺃَﻧﺖَ ﻗُﻠﺖَ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ
ﺍﺗَّﺨِﺬﻭﻧﻰ ﻭَﺃُﻣِّﻰَ ﺇِﻟٰﻬَﻴﻦِ ﻣِﻦ
ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻗﺎﻝَ ﺳُﺒﺤٰﻨَﻚَ ﻣﺎ
ﻳَﻜﻮﻥُ ﻟﻰ ﺃَﻥ ﺃَﻗﻮﻝَ ﻣﺎ ﻟَﻴﺲَ
ﻟﻰ ﺑِﺤَﻖٍّ ۚ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺖُ ﻗُﻠﺘُﻪُ ﻓَﻘَﺪ
ﻋَﻠِﻤﺘَﻪُ ۚ ﺗَﻌﻠَﻢُ ﻣﺎ ﻓﻰ ﻧَﻔﺴﻰ
ﻭَﻻ ﺃَﻋﻠَﻢُ ﻣﺎ ﻓﻰ ﻧَﻔﺴِﻚَ ۚ ﺇِﻧَّﻚَ
ﺃَﻧﺖَ ﻋَﻠّٰﻢُ ﺍﻟﻐُﻴﻮﺏِ
[116] যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা
ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে
বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে
আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য
সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি
পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না
যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার
কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি
বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই
পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের
কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা
আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই
অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত।
[116] And (remember) when Allâh will
say (on the Day of Resurrection): “O ‘Īsā
(Jesus), son of Maryam (Mary)! Did you
say unto men: ‘Worship me and my
mother as two gods besides Allâh?’ ” He
will say: “Glory be to You! It was not for
me to say what I had no right (to say).
Had I said such a thing, You would
surely have known it. You know what is
in my inner-self though I do not know
what is in Yours, truly, You, only You,
are the All-Knower of all that is hidden
(and unseen).
[117] ﻣﺎ ﻗُﻠﺖُ ﻟَﻬُﻢ ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ
ﺃَﻣَﺮﺗَﻨﻰ ﺑِﻪِ ﺃَﻥِ ﺍﻋﺒُﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺭَﺑّﻰ ﻭَﺭَﺑَّﻜُﻢ ۚ ﻭَﻛُﻨﺖُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ
ﺷَﻬﻴﺪًﺍ ﻣﺎ ﺩُﻣﺖُ ﻓﻴﻬِﻢ ۖ ﻓَﻠَﻤّﺎ
ﺗَﻮَﻓَّﻴﺘَﻨﻰ ﻛُﻨﺖَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟﺮَّﻗﻴﺐَ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ۚ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ
ﺷَﻲﺀٍ ﺷَﻬﻴﺪٌ
[117] আমি তো তাদেরকে কিছুই
বলিনি, শুধু সে কথাই বলেছি যা আপনি
বলতে আদেশ করেছিলেন যে, তোমরা
আল্লাহর দাসত্ব অবলম্বন কর যিনি
আমার ও তোমাদের পালনকর্তা আমি
তাদের সম্পর্কে অবগত ছিলাম যতদিন
তাদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর যখন
আপনি আমাকে লোকান্তরিত করলেন,
তখন থেকে আপনিই তাদের সম্পর্কে
অবগত রয়েছেন। আপনি সর্ববিষয়ে পূর্ণ
পরিজ্ঞাত।
[117] “Never did I say to them aught
except what You (Allâh) did command
me to say: ‘Worship Allâh, my Lord and
your Lord.’ And I was a witness over
them while I dwelt amongst them, but
when You took me up, You were the
Watcher over them, and You are a
Witness to all things. (This is a great
admonition and warning to the
Christians of the whole world).
[118] ﺇِﻥ ﺗُﻌَﺬِّﺑﻬُﻢ ﻓَﺈِﻧَّﻬُﻢ ﻋِﺒﺎﺩُﻙَ ۖ
ﻭَﺇِﻥ ﺗَﻐﻔِﺮ ﻟَﻬُﻢ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ
ﺍﻟﻌَﺰﻳﺰُ ﺍﻟﺤَﻜﻴﻢُ
[118] যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি
দেন, তবে তারা আপনার দাস এবং যদি
আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, তবে
আপনিই পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞ।
[118] “If You punish them, they are Your
slaves, and if You forgive them, verily
You, only You are the All¬Mighty, the
All¬Wise.”
[119] ﻗﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻫٰﺬﺍ ﻳَﻮﻡُ ﻳَﻨﻔَﻊُ
ﺍﻟﺼّٰﺪِﻗﻴﻦَ ﺻِﺪﻗُﻬُﻢ ۚ ﻟَﻬُﻢ
ﺟَﻨّٰﺖٌ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ
ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ ﺃَﺑَﺪًﺍ ۚ
ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨﻬُﻢ ﻭَﺭَﺿﻮﺍ
ﻋَﻨﻪُ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ ﺍﻟﻔَﻮﺯُ ﺍﻟﻌَﻈﻴﻢُ
[119] আল্লাহ বললেনঃ আজকের দিনে
সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা তাদের
উপকারে আসবে। তাদের জন্যে উদ্যান
রয়েছে, যার তলদেশে নির্ঝরিনী
প্রবাহিত হবে; তারা তাতেই চিরকাল
থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট।
এটিই মহান সফলতা।
[119] Allâh will say: “This is a Day on
which the truthful will profit from their
truth: theirs are Gardens under which
rivers flow (in Paradise) – they shall
abide therein forever. Allâh is pleased
with them and they with Him. That is the
great success (Paradise).
[120] ﻟِﻠَّﻪِ ﻣُﻠﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﻭَﻣﺎ ﻓﻴﻬِﻦَّ ۚ ﻭَﻫُﻮَ
ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[120] নভোমন্ডল, ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ে
অবস্থিত সবকিছুর আধিপত্য আল্লাহরই।
তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
[120] To Allâh belongs the dominion of
the heavens and the earth and all that is
therein, and He is Able to do all things.1.মুমিনগণ, তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ন কর। তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে, যা তোমাদের কাছে বিবৃত হবে তা ব্যতীত। কিন্তু এহরাম বাধাঁ অবস্থায় শিকারকে হালাল মনে করো না! নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা যা ইচ্ছা করেন, নির্দেশ দেন। 2. হে মুমিনগণ! হালাল মনে করো না আল্লাহর নিদর্শনসমূহ এবং সম্মানিত মাসসমূহকে এবং হরমে কুরবানীর জন্যে নির্দিষ্ট জন্তুকে এবং ঐসব জন্তুকে, যাদের গলায় কন্ঠাভরণ রয়েছে এবং ঐসব লোককে যারা সম্মানিত গৃহ অভিমুখে যাচ্ছে, যারা স্বীয় পালনকর্তার অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করে। যখন তোমরা এহরাম থেকে বের হয়ে আস, তখন শিকার কর। যারা পবিত্র মসজিদ থেকে তোমাদেরকে বাধা প্রদান করেছিল, সেই সম্প্রদায়ের শুত্রুতা যেন তোমাদেরকে সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে। সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। 3. তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল। 4. তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, কি বস্তু তাদের জন্যে হালাল? বলে দিন, তোমাদের জন্যে পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হয়েছে। যেসব শিকারী জন্তুকে তোমরা প্রশিক্ষণ দান কর শিকারের প্রতি প্রেরণের জন্যে এবং ওদেরকে ঐ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দাও, যা আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। এমন শিকারী জন্তু যে শিকারকে তোমাদের জন্যে ধরে রাখে, তা খাও এবং তার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয় আল্লাহ সত্ত্বর হিসাব গ্রহণকারী। 5. আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 6. হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর, মাথা মুছেহ কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব- পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও- অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান- যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর। 7. তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং ঐ অঙ্গীকারকেও যা তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, যখন তোমরা বলেছিলেঃ আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন। 8. হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত। 9. যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তাËেদরকে ক্ষমা ও মহান প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 10. যারা অবিশ্বাস করে এবং আমার নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে, তার দোযখী। 11. হে মুমিনগণ, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন এক সম্প্রদায় তোমাদের দিকে স্বীয় হস্ত প্রসারিত করতে সচেষ্ট হয়েছিল, তখন তিনি তাদের হস্ত তোমাদের থেকে প্রতিহত করে দিলেন। আল্লাহকে ভয় কর এবং মুমিনদের আল্লাহর উপরই ভরসা করা উচিত। 12. আল্লাহ বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন এবং আমি তাদের মধ্য থেকে বার জন সর্দার নিযুক্ত করেছিলাম। আল্লাহ বলে দিলেনঃ আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। যদি তোমরা নামায প্রতিষ্ঠিত কর, যাকাত দিতে থাক, আমার পয়গম্বরদের প্রতি বিশ্বাস রাখ, তাঁদের সাহায্য কর এবং আল্লাহকে উত্তম পন্থায় ঋন দিতে থাক, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের গোনাহ দুর করে দিব এবং অবশ্যই তোমাদেরকে উদ্যান সমূহে প্রবিষ্ট করব, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে নিঝরিনীসমূহ প্রবাহিত হয়। অতঃপর তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি এরপরও কাফের হয়, সে নিশ্চিতই সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। 13. অতএব, তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের দরুন আমি তাদের উপর অভিসম্পাত করেছি এবং তাদের অন্তরকে কঠোর করে দিয়েছি। তারা কালামকে তার স্থান থেকে বিচ্যুত করে দেয় এবং তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল, তারা তা থেকে উপকার লাভ করার বিষয়টি বিস্মৃত হয়েছে। আপনি সর্বদা তাদের কোন না কোন প্রতারণা সম্পর্কে অবগত হতে থাকেন, তাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া। অতএব, আপনি তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং মার্জনা করুন। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন। 14. যারা বলেঃ আমরা নাছারা, আমি তাদের কাছ থেকেও তাদের অঙ্গীকার নিয়েছিলাম। অতঃপর তারাও যে উপদেশ প্রাপ্ত হয়েছিল, তা থেকে উপকার লাভ করা ভুলে গেল। অতঃপর আমি কেয়ামত পর্যন্ত তাদের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিয়েছি। অবশেষে আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবেন। 15. হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন! কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে একটি উজ্জল জ্যোতি এসেছে এবং একটি সমুজ্জল গ্রন্থ। 16. এর দ্বারা আল্লাহ যারা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে আনয়ন করেন এবং সরল পথে পরিচালনা করেন। 17. নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলে, মসীহ ইবনে মরিয়মই আল্লাহ। আপনি জিজ্ঞেস করুন, যদি তাই হয়, তবে বল যদি আল্লাহ মসীহ ইবনে মরিয়ম, তাঁর জননী এবং ভূমন্ডলে যারা আছে, তাদের সবাইকে ধ্বংস করতে চান, তবে এমন কারও সাধ্য আছে কি যে আল্লাহর কাছ থেকে তাদেরকে বিন্দুমাত্রও বাঁচাতে পারে? নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, সবকিছুর উপর আল্লাহ তা’আলার আধিপত্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সবকিছুর উপর শক্তিমান। 18. ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা বলে, আমরা আল্লাহর সন্তান ও তাঁর প্রিয়জন। আপনি বলুন, তবে তিনি তোমাদেরকে পাপের বিনিময়ে কেন শাস্তি দান করবেন? বরং তোমারও অন্যান্য সৃষ্ট মানবের অন্তর্ভুক্ত সাধারণ মানুষ। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি প্রদান করেন। নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে, তাতে আল্লাহরই আধিপত্য রয়েছে এবং তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। 19. হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রসূল আগমণ করেছেন, যিনি পয়গম্বরদের বিরতির পর তোমাদের কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করেন-যাতে তোমরা একথা বলতে না পার যে, আমাদের কাছে কোন সুসংবাদদাতা ও ভীতিপ্রদর্শক আগমন করে নি। অতএব, তোমাদের কাছে সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শক আগমন করেননি। অতএব, তোমাদের কাছে সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শক এসে গেছেন। আল্লাহ সবকিছুর উপর শক্তিমান। 20. যখন মূসা স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে পয়গম্বর সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে রাজ্যাধিপতি করেছেন এবং তোমাদেরকে এমন জিনিস দিয়েছেন, যা বিশ্বজগতের কাউকে দেননি। 21. হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভুমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং পেছন দিকে প্রত্যাবর্তন করো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। 22. তারা বললঃ হে মূসা, সেখানে একটি প্রবল পরাক্রান্ত জাতি রয়েছে। আমরা কখনও সেখানে যাব না, যে পর্যন্ত না তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়। তারা যদি সেখান থেকে বের হয়ে যায় তবে নিশ্চিতই আমরা প্রবেশ করব।’ 23. খোদাভীরুদের মধ্য থেকে দু’ব্যক্তি বলল, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেনঃ তোমরা তাদের উপর আক্রমণ করে দরজায় প্রবেশ কর। অতঃপর তোমরা যখন তাতে পবেশ করবে, তখন তোমরাই জয়ী হবে। আর আল্লাহর উপর ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও। 24. তারা বললঃ হে মূসা, আমরা জীবনেও কখনো সেখানে যাব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকবে। অতএব, আপনি ও আপনার পালনকর্তাই যান এবং উভয়ে যুদ্ধ করে নিন। আমরা তো এখানেই বসলাম। 25. মূসা বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমি শুধু নিজের উপর ও নিজের ভাইয়ের উপর ক্ষমতা রাখি। অতএব, আপনি আমাদের মধ্যে ও এ অবাধ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করুন। 26. বললেনঃ এ দেশ চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্যে হারাম করা হল। তারা ভুপৃষ্ঠে উদভ্রান্ত হয়ে ফিরবে। অতএব, আপনি অবাধ্য সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না। 27. আপনি তাদেরকে আদমের দুই পুত্রের বাস্তব অবস্থা পাঠ করে শুনান। যখন তারা ভয়েই কিছু উৎসর্গ নিবেদন করেছিল, তখন তাদের একজনের উৎসর্গ গৃহীত হয়েছিল এবং অপরজনের গৃহীত হয়নি। সে বললঃ আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। সে বললঃ আল্লাহ ধর্মভীরুদের পক্ষ থেকেই তো গ্রহণ করেন। 28. যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে আমার দিকে হস্ত প্রসারিত কর, তবে আমি তোমাকে হত্যা করতে তোমার দিকে হস্ত প্রসারিত করব না। কেননা, আমি বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করি। 29. আমি চাই যে, আমার পাপ ও তোমার পাপ তুমি নিজের মাথায় চাপিয়ে নাও। অতঃপর তুমি দোযখীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাও। এটাই অত্যাচারীদের শাস্তি। 30. অতঃপর তার অন্তর তাকে ভ্রাতৃহত্যায় উদুদ্ধ করল। অনন্তর সে তাকে হত্যা করল। ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। 31. আল্লাহ এক কাক প্রেরণ করলেন। সে মাটি খনন করছিল যাতে তাকে শিক্ষা দেয় যে, আপন ভ্রাতার মৃতদেহ কিভাবে আবৃত করবে। সে বললঃ আফসোস, আমি কি এ কাকের সমতুল্যও হতে পারলাম না যে, আপন ভ্রাতার মৃতদেহ আবৃত করি। অতঃপর সে অনুতাপ করতে লাগল। 32. এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে। 33. যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। 34. কিন্তু যারা তোমাদের গ্রেফতারের পূর্বে তওবা করে; জেনে রাখ, আল্লাহ ক্ষমাকারী, দয়ালু। 35. হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য অন্বেষন কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও। 36. যারা কাফের, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমুদয় সম্পদ এবং তৎসহ আরও তদনুরূপ সম্পদ থাকে আর এগুলো বিনিময়ে দিয়ে কিয়ামতের শাস্তি থেকে পরিত্রান পেতে চায়, তবুও তাদের কাছ থেকে তা কবুল করা হবে না। তাদের জন্যে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে। 37. তারা দোযখের আগুন থেকে বের হয়ে আসতে চাইবে কিন্তু তা থেকে বের হতে পারবে না। তারা চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করবে। 38. যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়। 39. অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। 40. তুমি কি জান না যে আল্লাহর নিমিত্তেই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আধিপত্য। তিনি যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। 41. হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে বলেঃ আমরা মুসলমান, অথচ তাদের অন্তর মুসলমান নয় এবং যারা ইহুদী; মিথ্যাবলার জন্যে তারা গুপ্তচর বৃত্তি করে। তারা অন্যদলের গুপ্তচর, যারা আপনার কাছে আসেনি। তারা বাক্যকে স্বস্থান থেকে পরিবর্তন করে। তারা বলেঃ যদি তোমরা এ নির্দেশ পাও, তবে কবুল করে নিও এবং যদি এ নির্দেশ না পাও, তবে বিরত থেকো। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান, তার জন্যে আল্লাহর কাছে আপনি কিছু করতে পারবেন না। এরা এমনিই যে, আল্লাহ এদের অন্তরকে পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্যে রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং পরকালে বিরাট শাস্তি। 42. এরা মিথ্যা বলার জন্যে গুপ্তচরবৃত্তি করে, হারাম ভক্ষণ করে। অতএব, তারা যদি আপনার কাছে আসে, তবে হয় তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিন, না হয় তাদের ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকুন। যদি তাদের থেকে নির্লিপ্ত থাকেন, তবে তাদের সাধ্য নেই যে, আপনার বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারে। যদি ফয়সালা করেন, তবেন্যায় ভাবে ফয়সালা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। 43. তারা আপনাকে কেমন করে বিচারক নিয়োগ করবে অথচ তাদের কাছে তওরাত রয়েছে। তাতে আল্লাহর নির্দেশ আছে। অতঃপর এরা পেছন দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তারা কখনও বিশ্বাসী নয়। 44. আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা এর মাধ্যমে ইহুদীদেরকে ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ খোদায়ী গ্রন্থের দেখাশোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করো না, যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের। 45. আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম। অতঃপর যে ক্ষমা করে, সে গোনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম। 46. আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববতী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি খোদাভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী। 47. ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী। 48. আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আপনি তাদের পারস্পারিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব, দৌড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে। 49. আর আমি আদেশ করছি যে, আপনি তাদের পারস্পরিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী ফয়সালা করুন; তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না এবং তাদের থেকে সতর্ক থাকুন-যেন তারা আপনাকে এমন কোন নির্দেশ থেকে বিচ্যুত না করে, যা আল্লাহ আপনার প্রতি নাযিল করেছেন। অনন্তর যদি তার মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে নিন, আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কিছু শাস্তি দিতেই চেয়েছেন। মানুষের মধ্যে অনেকেই নাফরমান। 50. তারা কি জাহেলিয়াত আমলের ফয়সালা কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম ফয়সালাকারী কে? 51. হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। 52. বস্তুতঃ যাদের অন্তরে রোগ রয়েছে, তাদেরকে আপনি দেখবেন, দৌড়ে গিয়ে তাদেরই মধ্যে প্রবেশ করে। তারা বলেঃ আমরা আশঙ্কা করি, পাছে না আমরা কোন দুর্ঘটনায় পতিত হই। অতএব, সেদিন দুরে নয়, যেদিন আল্লাহ তা’আলা বিজয় প্রকাশ করবেন অথবা নিজের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ দেবেন-ফলে তারা স্বীয় গোপন মনোভাবের জন্যে অনুতপ্ত হবে। 53. মুসলমানরা বলবেঃ এরাই কি সেসব লোক, যারা আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করত যে, আমরা তোমাদের সাথে আছি? তাদের কৃতকর্মসমূহ বিফল হয়ে গেছে, ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে। 54. হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী। 55. তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ- যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র। 56. আর যারা আল্লাহ তাঁর রসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই আল্লাহর দল এবং তারাই বিজয়ী। 57. হে মুমিনগণ, আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও। 58. আর যখন তোমরা নামাযের জন্যে আহবান কর, তখন তারা একে উপহাস ও খেলা বলে মনে করে। কারণ, তারা নিবোর্ধ। 59. বলুনঃ হে আহলে কিতাবগণ, আমাদের সাথে তোমাদের এছাড়া কি শত্রুতা যে, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি আল্লাহর প্রতি, আমাদের উপর অবতীর্ণ গ্রন্থের প্রতি এবং পূর্বে অবতীর্ণ গ্রন্থের প্রতি। আর তোমাদের অধিকাংশই নাফরমান। 60. বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে। 61. যখন তারা তোমাদের কাছে আসে তখন বলে দাওঃ আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অথচ তারা কুফর নিয়ে এসেছিল এবং কুফর নিয়েই প্রস্থান করেছে। তারা যা গোপন করত, আল্লাহ তা খুব জানেন। 62. আর আপনি তাদের অনেককে দেখবেন যে, দৌড়ে দৌড়ে পাপে, সীমালঙ্ঘনে এবং হারাম ভক্ষনে পতিত হয়। তারা অত্যন্ত মন্দ কাজ করছে। 63. দরবেশ ও আলেমরা কেন তাদেরকে পাপ কথা বলতে এবং হারাম ভক্ষণ করতে নিষেধ করে না? তারা খুবই মন্দ কাজ করছে। 64. আর ইহুদীরা বলেঃ আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। একথা বলার জন্যে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হস্ত উম্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন। আপনার প্রতি পলনকর্তার পক্ষ থেকে যে কালাম অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর পরিবর্ধিত হবে। আমি তাদের পরস্পরের মধ্যে কেয়ামত পর্যন্ত শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিয়েছি। তারা যখনই যুদ্ধের আগুন প্রজ্জòলিত করে, আল্লাহ তা নির্বাপিত করে দেন। তারা দেশে অশান্তি উৎপাদন করে বেড়ায়। আল্লাহ অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। 65. আর যদি আহলে-কিতাবরা বিশ্বাস স্থাপন করত এবং খোদাভীতি অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের মন্দ বিষয়সমূহ ক্ষমা করে দিতাম এবং তাদেরকে নেয়ামতের উদ্যানসমূহে প্রবিষ্ট করতাম। 66. যদি তারা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যা প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, পুরোপুরি পালন করত, তবে তারা উপর থেকে এবং পায়ের নীচ থেকে ভক্ষণ করত। তাদের কিছুসংখ্যক লোক সৎপথের অনুগামী এবং অনেকেই মন্দ কাজ করে যাচ্ছে। 67. হে রসূল, পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তাঁর পয়গাম কিছুই পৌছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। 68. বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর। আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না। 69. নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। 70. আমি বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তাদের কাছে অনেক পয়গম্বর প্রেরণ করে ছিলাম। যখনই তাদের কাছে কোন পয়গম্বর এমন নির্দেশ নিয়ে আসত যা তাদের মনে চাইত না, তখন তাদের অনেকের প্রতি তারা মিথ্যারোপ করত এবংঅনেককে হত্যা করে ফেলত। 71. তারা ধারণা করেছে যে, কোন অনিষ্ট হবে না। ফলে তারা আরও অন্ধ ও বধির হয়ে গেল। অতঃপর আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করলেন। এরপরও তাদের অধিকাংশই অন্ধ ও বধির হয়ে রইল। আল্লাহ দেখেন তারা যা কিছু করে। 72. তারা কাফের, যারা বলে যে, মরিময়-তনয় মসীহ-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বণী-ইসরাঈল, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর, যিনি আমার পালন কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই। 73. নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলেঃ আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই। যদি তারা স্বীয় উক্তি থেকে নিবৃত্ত না হয়, তবে তাদের মধ্যে যারা কুফরে অটল থাকবে, তাদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পতিত হবে। 74. তারা আল্লাহর কাছে তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু। 75. মরিয়ম-তনয় মসীহ রসূল ছাড়া আর কিছু নন। তাঁর পূর্বে অনেক রসূল অতিক্রান্ত হয়েছেন আর তার জননী একজন ওলী। তাঁরা উভয়েই খাদ্য ভক্ষণ করতেন। দেখুন, আমি তাদের জন্যে কিরূপ যুক্তি-প্রমাণ বর্ননা করি, আবার দেখুন, তারা উল্টা কোন দিকে যাচেছ। 76. বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুর এবাদত কর যে, তোমাদের অপকার বা উপকার করার ক্ষমতা রাখে না? অথচ আল্লাহ সব শুনেন ও জানেন। 77. বলুনঃ হে আহলে কিতাবগন, তোমরা স্বীয় ধর্মে অন্যায় বাড়াবাড়ি করো না এবং এতে ঐ সম্প্রদায়ের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, যারা পূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। তারা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। 78. বনী-ইসলাঈলের মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে দাউদ ও মরিয়মতনয় ঈসার মুখে অভিসম্পাত করা হয়েছে। এটা একারণে যে, তারা অবাধ্যতা করত এবং সীমা লংঘন করত। 79. তারা পরস্পরকে মন্দ কাজে নিষেধ করত না, যা তারা করত। তারা যা করত তা অবশ্যই মন্দ ছিল 80. আপনি তাদের অনেককে দেখবেন, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা নিজেদের জন্য যা পাঠিয়েছে তা অবশ্যই মন্দ। তা এই যে, তাদের প্রতি আল্লাহ ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা চিরকাল আযাবে থাকবে। 81. যদি তারা আল্লাহর প্রতি ও রসূলের প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত, তবে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই দুরাচার। 82. আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান বলে। এর কারণ এই যে, খ্রীষ্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না। 83. আর তারা রসূলের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা যখন শুনে, তখন আপনি তাদের চোখ অশ্রু সজল দেখতে পাবেন; এ কারণে যে, তারা সত্যকে চিনে নিয়েছে। তারা বলেঃ হে আমাদের প্রতি পালক, আমরা মুসলমান হয়ে গেলাম। অতএব, আমাদেরকেও মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নিন। 84. আমাদের কি ওযর থাকতে পারে যে, আমরা আল্লাহর প্রতি এবং যে সত্য আমাদের কাছে এসেছে, তৎপ্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব না এবং এ আশা করবো না যে, আমদের প্রতিপালক আমাদেরকে সৎ লোকদের সাথে প্রবিষ্ট করবেন? 85. অতঃপর তাদেরকে আল্লাহ এ উক্তির প্রতিদান স্বরূপ এমন উদ্যান দিবেন যার তলদেশে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হবে। তারা তন্মধ্যে চিরকাল অবস্থান করবে। এটাই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান। 86. যারা কাফের হয়েছে এবং আমার নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলেছে, তারাই দোযখী। 87. হে মুমিনগণ, তোমরা ঐসব সুস্বাদু বস্তু হারাম করো না, যেগুলো আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করেছেন এবং সীমা অতিক্রম করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না। 88. আল্লাহ তা’য়ালা যেসব বস্তু তোমাদেরকে দিয়েছেন, তন্মধ্য থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও এবং আল্লাহকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী। 89. আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে, দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। 90. হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য- নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। 91. শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে? 92. তোমরা আল্লাহর অনুগত হও, রসূলের অনুগত হও এবং আত্মরক্ষা কর। কিন্তু যদি তোমরা বিমুখ হও, তবে জেনে রাখ, আমার রসূলের দায়িত্ব প্রকাশ্য প্রচার বৈধ নয়। 93. যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে, সে জন্য তাদের কোন গোনাহ নেই যখন ভবিষ্যতের জন্যে সংযত হয়েছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করেছে। এরপর সংযত থাকে এবং বিশ্বাস স্থাপন করে। এরপর সংযত থাকে এবং সৎকর্ম করে। আল্লাহ সৎকর্মীদেরকে ভালবাসেন। 94. হে মুমিনগণ, আল্লাহ তোমাদেরকে এমন কিছু শিকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন, যে শিকার পর্যন্ত তোমাদের হাত ও বর্শা সহজেই পৌছতে পারবে- যাতে আল্লাহ বুঝতে পারেন যে, কে তাকে অদৃশ্যভাবে ভয়করে। অতএব, যে ব্যক্তি এরপর সীমা অতিক্রম করবে, তার জন্য যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে। 95. মুমিনগণ, তোমরা এহরাম অবস্থায় শিকার বধ করো না। তোমাদের মধ্যে যে জেনেশুনে শিকার বধ করবে, তার উপর বিনিময় ওয়াজেব হবে, যা সমান হবে ঐ জন্তুর, যাকে সে বধ করেছে। দু’জন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এর ফয়সালা করবে-বিনিময়ের জন্তুটি উৎসর্গ হিসেবে কাবায় পৌছাতে হবে। অথবা তার উপর কাফফারা ওয়াজেব-কয়েকজন দরিদ্রকে খাওয়ানো অথবা তার সমপরিমাণ রোযা রাখতে যাতে সে স্বীয় কৃতকর্মের প্রতিফল আস্বাদন করে। যা হয়ে গেছে, তা আল্লাহ মাফ করেছেন। যে পুনরায় এ কান্ড করবে, আল্লাহ তার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিবেন। আল্লাহ পরাক্রান্ত, প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম। 96. তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও সুমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে তোমাদের উপকারার্থে এবং তোমাদের এহরামকারীদের জন্যে হারাম করা হয়েছে স্থল শিকার যতক্ষণ এহরাম অবস্থায় থাক। আল্লাহকে ভয় কর, যার কাছে তোমরা একত্রিত হবে। 97. আল্লাহ সম্মানিত গৃহ কাবাকে মানুষের স্থীতিশীলতার কারণ করেছেন এবং সম্মানিত মাসসমূকে, হারাম কোরবানীর জন্তুকে ও যাদের গলায় আবরণ রয়েছে। এর কারণ এই যে, যাতে তোমরা জেনে নাও যে, আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের সব কিছু জানেন এবং আল্লাহ সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী। 98. জেনে নাও, নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তি দাতা ও নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল-দয়ালূ। 99. রসূলের দায়িত্ব শুধু পৌছিয়ে দেওয়া। আল্লাহ জানেন, যা কিছু তোমরা প্রকাশ্যে কর এবং যা কিছু গোপন কর। 100. বলে দিনঃ অপবিত্র ও পবিত্র সমান নয়, যদিও অপবিত্রের প্রাচুর্য তোমাকে বিস্মিত করে। অতএব, হে বুদ্ধিমানগণ, আল্লাহকে ভয় কর-যাতে তোমরা মুক্তি পাও। 101. হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। 102. এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল। 103. আল্লাহ ‘বহিরা’ ‘সায়েবা’ ওসীলা’ এবং ‘হামী’ কে শরীয়তসিদ্ধ করেননি। কিন্তু যারা কাফের, তারা আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে। তাদের অধিকাংশেরই বিবেক বুদ্ধি নেই। 104. যখন তাদেরকে বলা হয় যে, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান এবং রসূলের দিকে এস, তখন তারা বলে, আমাদের জন্যে তাই যথেষ্ট, যার উপর আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে পেয়েছি। যদি তাদের বাপ দাদারা কোন জ্ঞান না রাখে এবং হেদায়েত প্রাপ্ত না হয় তবুও কি তারা তাই করবে? 105. হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের চিন্তা কর। তোমরা যখন সৎপথে রয়েছ, তখন কেউ পথভ্রান্ত হলে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নাই। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে বলে দেবেন, যা কিছু তোমরা করতে। 106. হে, মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যখন কারও মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন ওছিয়ত করার সময় তোমাদের মধ্য থেকে ধর্মপরায়ন দুজনকে সাক্ষী রেখো। তোমরা সফরে থাকলে এবং সে অবস্থায় তোমাদের মৃত্যু উপস্থিত হলে তোমরা তোমাদের ছাড়াও দু ব্যক্তিকে সাক্ষী রেখো। যদি তোমাদের সন্দেহ হয়, তবে উভয়কে নামাযের পর থাকতে বলবে। অতঃপর উভয়েই আল্লাহর নামে কসম খাবে যে, আমরা এ কসমের বিনিময়ে কোন উপকার গ্রহণ করতে চাই না, যদিও কোন আত্নীয়ও হয় এবং আল্লাহর সাক্ষ্য আমরা গোপন করব না। এমতাবস্থায় কঠোর গোনাহগার হব। 107. অতঃপর যদি জানা যায় যে, উভয় ওসি কোন গোনাহে জড়িত রয়েছে, তবে যাদের বিরুদ্ধে গোনাহ হয়েছিল, তাদের মধ্য থেকে মৃতু ব্যক্তির নিকটতম দু’ব্যক্তি তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে। অতঃপর আল্লাহর নামে কসম খাবে যে, অবশ্যই আমাদের সাক্ষ্য তাদের সাক্ষ্যর চাইতে অধিক সত্য এবং আমরা সীমা অতিক্রম করিনি।এমতাবস্থায় আমরা অবশ্যই অত্যাচারী হব। 108. এটি এ বিষয়ের নিকটতম উপায় যে, তারা ঘটনাকে সঠিকভাবে প্রকাশ করবে অথবা আশঙ্কা করবে যে, তাদের কাছ থেকে কসম নেয়ার পর আবার কসম চাওয়া হবে। আল্লাহকে ভয় কর এবং শুন, আল্লাহ দুরাচারীদেরকে পথ-প্রদর্শন করবেন না। 109. যেদিন আল্লাহ সব পয়গম্বরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর বলবেন তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে? তাঁরা বলবেনঃ আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী। 110. যখন আল্লাহ বলবেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম, তোমার প্রতি ও তোমার মাতার প্রতি আমার অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন আমি তোমাকে পবিত্র আত্মার দ্বারা সাহায্য করেছি। তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে কোলে থাকতেও এবং পরিণত বয়সেও এবং যখন আমি তোমাকে গ্রন্থ, প্রগাঢ় জ্ঞান, তওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছি এবং যখন তুমি কাদামাটি দিয়ে পাখীর প্রতিকৃতির মত প্রতিকৃতি নির্মাণ করতে আমার আদেশে, অতঃপর তুমি তাতে ফুঁ দিতে; ফলে তা আমার আদেশে পাখী হয়ে যেত এবং তুমি আমার আদেশে জন্মান্ধ ও কুষ্টরোগীকে নিরাময় করে দিতে এবং যখন আমি বনী-ইসরাঈলকে তোমা থেকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম, যখন তুমি তাদের কাছে প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলে, অতঃপর তাদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা বললঃ এটা প্রকাশ্য জাদু ছাড়া কিছুই নয়। 111. আর যখন আমি হাওয়ারীদের মনে জাগ্রত করলাম যে, আমার প্রতি এবং আমার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তখন তারা বলতে লাগল, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা অনুগত্যশীল। 112. যখন হাওয়ারীরা বললঃ হে মরিয়ম তনয় ঈসা, আপনার পালনকর্তা কি এরূপ করতে পারেন যে, আমাদের জন্যে আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করে দেবেন? তিনি বললেনঃ যদি তোমরা ঈমানদার হও, তবে আল্লাহকে ভয় কর। 113. তারা বললঃ আমরা তা থেকে খেতে চাই; আমাদের অন্তর পরিতৃপ্ত হবে; আমরা জেনে নেব যে, আপনি সত্য বলেছেন এবং আমরা সাক্ষ্যদাতা হয়ে যাব। 114. ঈসা ইবনে মরিয়ম বললেনঃ হে আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা আমাদের প্রতি আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করুন। তা আমাদের জন্যে অর্থাৎ, আমাদের প্রথম ও পরবর্তী সবার জন্যে আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদের রুযী দিন। আপনিই শ্রেষ্ট রুযীদাতা। 115. আল্লাহ বললেনঃ নিশ্চয় আমি সে খাঞ্চা তোমাদের প্রতি অবতরণ করব। অতঃপর যে ব্যাক্তি এর পরেও অকৃতজ্ঞ হবে, আমি তাকে এমন শাস্তি দেব, যে শাস্তি বিশ্বজগতের অপর কাউকে দেব না। 116. যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত। 117. আমি তো তাদেরকে কিছুই বলিনি, শুধু সে কথাই বলেছি যা আপনি বলতে আদেশ করেছিলেন যে, তোমরা আল্লাহর দাসত্ব অবলম্বন কর যিনি আমার ও তোমাদের পালনকর্তা আমি তাদের সম্পর্কে অবগত ছিলাম যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে লোকান্তরিত করলেন, তখন থেকে আপনিই তাদের সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আপনি সর্ববিষয়ে পূর্ণ পরিজ্ঞাত। 118. যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তারা আপনার দাস এবং যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, তবে আপনিই পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞ। 119. আল্লাহ বললেনঃ আজকের দিনে সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা তাদের উপকারে আসবে। তাদের জন্যে উদ্যান রয়েছে, যার তলদেশে নির্ঝরিনী প্রবাহিত হবে; তারা তাতেই চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। এটিই মহান সফলতা। 120. নভোমন্ডল, ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ে অবস্থিত সবকিছুর আধিপত্য আল্লাহরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

No comments:

Post a Comment

Translate