Sunday, November 15, 2020

4. সুরা আন- নিসা (01-176)

 

4. সুরা আন- নিসা (01-176)

 ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﺍﺗَّﻘﻮﺍ ﺭَﺑَّﻜُﻢُ
ﺍﻟَّﺬﻯ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِﻦ ﻧَﻔﺲٍ
ﻭٰﺣِﺪَﺓٍ ﻭَﺧَﻠَﻖَ ﻣِﻨﻬﺎ ﺯَﻭﺟَﻬﺎ
ﻭَﺑَﺚَّ ﻣِﻨﻬُﻤﺎ ﺭِﺟﺎﻟًﺎ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ
ﻭَﻧِﺴﺎﺀً ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﻟَّﺬﻯ
ﺗَﺴﺎﺀَﻟﻮﻥَ ﺑِﻪِ ﻭَﺍﻷَﺭﺣﺎﻡَ ۚ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺭَﻗﻴﺒًﺎ
[1] হে মানব সমাজ! তোমরা
তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর,
যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে
সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে
তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর
বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে
অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয়
কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের
নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয়
জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা
অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ
তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।
[1] O mankind! Be dutiful to your Lord,
Who created you from a single person
(Adam), and from him (Adam) He
created his wife [Hawwa (Eve)], and
from them both He created many men
and women; and fear Allâh through
Whom you demand (your mutual rights),
and (do not cut the relations of) the
wombs (kinship). Surely, Allâh is Ever an
All¬Watcher over you.
[2] ﻭَﺀﺍﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﺃَﻣﻮٰﻟَﻬُﻢ ۖ
ﻭَﻻ ﺗَﺘَﺒَﺪَّﻟُﻮﺍ ﺍﻟﺨَﺒﻴﺚَ
ﺑِﺎﻟﻄَّﻴِّﺐِ ۖ ﻭَﻻ ﺗَﺄﻛُﻠﻮﺍ ﺃَﻣﻮٰﻟَﻬُﻢ
ﺇِﻟﻰٰ ﺃَﻣﻮٰﻟِﻜُﻢ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻛﺎﻥَ ﺣﻮﺑًﺎ
ﻛَﺒﻴﺮًﺍ
[2] এতীমদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে
দাও। খারাপ মালামালের সাথে
ভালো মালামালের অদল-বদল করো
না। আর তাদের ধন-সম্পদ নিজেদের ধন-
সম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করে তা
গ্রাস করো না। নিশ্চয় এটা বড়ই মন্দ
কাজ।
[2] And give unto orphans their property
and do not exchange (your) bad things
for (their) good ones; and devour not
their substance (by adding it) to your
substance. Surely, this is a great sin.
[3] ﻭَﺇِﻥ ﺧِﻔﺘُﻢ ﺃَﻟّﺎ ﺗُﻘﺴِﻄﻮﺍ
ﻓِﻰ ﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﻓَﺎﻧﻜِﺤﻮﺍ ﻣﺎ
ﻃﺎﺏَ ﻟَﻜُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ ﻣَﺜﻨﻰٰ
ﻭَﺛُﻠٰﺚَ ﻭَﺭُﺑٰﻊَ ۖ ﻓَﺈِﻥ ﺧِﻔﺘُﻢ ﺃَﻟّﺎ
ﺗَﻌﺪِﻟﻮﺍ ﻓَﻮٰﺣِﺪَﺓً ﺃَﻭ ﻣﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖ
ﺃَﻳﻤٰﻨُﻜُﻢ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ ﺃَﺩﻧﻰٰ ﺃَﻟّﺎ
ﺗَﻌﻮﻟﻮﺍ
[3] আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম
মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে
পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে
থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে
করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি
পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে,
তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায়
রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা
তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে;
এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার
অধিকতর সম্ভাবনা।
[3] And if you fear that you shall not be
able to deal justly with the orphan¬girls,
then marry (other) women of your
choice, two or three, or four but if you
fear that you shall not be able to deal
justly (with them), then only one or
(slaves) that your right hands possess.
That is nearer to prevent you from doing
injustice.
[4] ﻭَﺀﺍﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀَ ﺻَﺪُﻗٰﺘِﻬِﻦَّ
ﻧِﺤﻠَﺔً ۚ ﻓَﺈِﻥ ﻃِﺒﻦَ ﻟَﻜُﻢ ﻋَﻦ
ﺷَﻲﺀٍ ﻣِﻨﻪُ ﻧَﻔﺴًﺎ ﻓَﻜُﻠﻮﻩُ ﻫَﻨﻴـًٔﺎ
ﻣَﺮﻳـًٔﺎ
[4] আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের
মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি
খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়,
তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ
কর।
[4] And give to the women (whom you
marry) their Mahr (obligatory bridal-
money given by the husband to his wife
at the time of marriage) with a good
heart, but if they, of their own good
pleasure, remit any part of it to you, take
it, and enjoy it without fear of any harm
(as Allâh has made it lawful).
[5] ﻭَﻻ ﺗُﺆﺗُﻮﺍ ﺍﻟﺴُّﻔَﻬﺎﺀَ
ﺃَﻣﻮٰﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺘﻰ ﺟَﻌَﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢ
ﻗِﻴٰﻤًﺎ ﻭَﺍﺭﺯُﻗﻮﻫُﻢ ﻓﻴﻬﺎ
ﻭَﺍﻛﺴﻮﻫُﻢ ﻭَﻗﻮﻟﻮﺍ ﻟَﻬُﻢ ﻗَﻮﻟًﺎ
ﻣَﻌﺮﻭﻓًﺎ
[5] আর যে সম্পদকে আল্লাহ
তোমাদের জীবন-যাত্রার অবলম্বন
করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে
দিও না। বরং তা থেকে তাদেরকে
খাওয়াও, পরাও এবং তাদেরকে
সান্তনার বানী শোনাও।
[5] And give not unto the foolish your
property which Allâh has made a means
of support for you, but feed and clothe
them therewith, and speak to them
words of kindness and justice.
[6] ﻭَﺍﺑﺘَﻠُﻮﺍ ﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﺣَﺘّﻰٰ ﺇِﺫﺍ
ﺑَﻠَﻐُﻮﺍ ﺍﻟﻨِّﻜﺎﺡَ ﻓَﺈِﻥ ﺀﺍﻧَﺴﺘُﻢ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﺭُﺷﺪًﺍ ﻓَﺎﺩﻓَﻌﻮﺍ ﺇِﻟَﻴﻬِﻢ
ﺃَﻣﻮٰﻟَﻬُﻢ ۖ ﻭَﻻ ﺗَﺄﻛُﻠﻮﻫﺎ ﺇِﺳﺮﺍﻓًﺎ
ﻭَﺑِﺪﺍﺭًﺍ ﺃَﻥ ﻳَﻜﺒَﺮﻭﺍ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ
ﻏَﻨِﻴًّﺎ ﻓَﻠﻴَﺴﺘَﻌﻔِﻒ ۖ ﻭَﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ
ﻓَﻘﻴﺮًﺍ ﻓَﻠﻴَﺄﻛُﻞ ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ۚ
ﻓَﺈِﺫﺍ ﺩَﻓَﻌﺘُﻢ ﺇِﻟَﻴﻬِﻢ ﺃَﻣﻮٰﻟَﻬُﻢ
ﻓَﺄَﺷﻬِﺪﻭﺍ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ۚ ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﺣَﺴﻴﺒًﺎ
[6] আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে
নজর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা
বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে
বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে
পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে
অর্পন করতে পার। এতীমের মাল
প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা
তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে
তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা
স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ
করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে
অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে
পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ
প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে।
অবশ্য আল্লাহই হিসাব নেয়ার
ব্যাপারে যথেষ্ট।
[6] And try orphans (as regards their
intelligence) until they reach the age of
marriage; if then you find sound
judgement in them, release their
property to them, but consume it not
wastefully, and hastily fearing that they
should grow up, and whoever (amongst
guardians) is rich, he should take no
wages, but if he is poor, let him have for
himself what is just and reasonable
(according to his labour). And when you
release their property to them, take
witness in their presence; and Allâh is
All¬Sufficient in taking account.
[7] ﻟِﻠﺮِّﺟﺎﻝِ ﻧَﺼﻴﺐٌ ﻣِﻤّﺎ ﺗَﺮَﻙَ
ﺍﻟﻮٰﻟِﺪﺍﻥِ ﻭَﺍﻷَﻗﺮَﺑﻮﻥَ ﻭَﻟِﻠﻨِّﺴﺎﺀِ
ﻧَﺼﻴﺐٌ ﻣِﻤّﺎ ﺗَﺮَﻙَ ﺍﻟﻮٰﻟِﺪﺍﻥِ
ﻭَﺍﻷَﻗﺮَﺑﻮﻥَ ﻣِﻤّﺎ ﻗَﻞَّ ﻣِﻨﻪُ ﺃَﻭ
ﻛَﺜُﺮَ ۚ ﻧَﺼﻴﺒًﺎ ﻣَﻔﺮﻭﺿًﺎ
[7] পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের
পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষদেরও অংশ
আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্নীয়-
স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে
নারীদেরও অংশ আছে; অল্প হোক
কিংবা বেশী। এ অংশ নির্ধারিত।
[7] There is a share for men and a share
for women from what is left by parents
and those nearest related, whether, the
property be small or large – a legal share.
[8] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺣَﻀَﺮَ ﺍﻟﻘِﺴﻤَﺔَ ﺃُﻭﻟُﻮﺍ
ﺍﻟﻘُﺮﺑﻰٰ ﻭَﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﻭَﺍﻟﻤَﺴٰﻜﻴﻦُ
ﻓَﺎﺭﺯُﻗﻮﻫُﻢ ﻣِﻨﻪُ ﻭَﻗﻮﻟﻮﺍ ﻟَﻬُﻢ
ﻗَﻮﻟًﺎ ﻣَﻌﺮﻭﻓًﺎ
[8] সম্পতি বন্টনের সময় যখন আত্নীয়-
স্বজন, এতীম ও মিসকীন উপস্থিত হয়,
তখন তা থেকে তাদের কিছু খাইয়ে দাও
এবং তাদের সাথে কিছু সদালাপ
করো।
[8] And when the relatives and the
orphans and Al¬Masâkin (the poor) are
present at the time of division, give them
out of the property, and speak to them
words of kindness and justice.
[9] ﻭَﻟﻴَﺨﺶَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻟَﻮ ﺗَﺮَﻛﻮﺍ
ﻣِﻦ ﺧَﻠﻔِﻬِﻢ ﺫُﺭِّﻳَّﺔً ﺿِﻌٰﻔًﺎ
ﺧﺎﻓﻮﺍ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻓَﻠﻴَﺘَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻭَﻟﻴَﻘﻮﻟﻮﺍ ﻗَﻮﻟًﺎ ﺳَﺪﻳﺪًﺍ
[9] তাদের ভয় করা উচিত, যারা
নিজেদের পশ্চাতে দুর্বল অক্ষম সন্তান-
সন্ততি ছেড়ে গেলে তাদের জন্যে
তারাও আশঙ্কা করে; সুতরাং তারা
যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং সংগত
কথা বলে।
[9] And let those (executors and
guardians) have the same fear in their
minds as they would have for their own,
if they had left weak offspring behind.
So let them fear Allâh and speak right
words.
[10] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺄﻛُﻠﻮﻥَ ﺃَﻣﻮٰﻝَ
ﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﻇُﻠﻤًﺎ ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻳَﺄﻛُﻠﻮﻥَ
ﻓﻰ ﺑُﻄﻮﻧِﻬِﻢ ﻧﺎﺭًﺍ ۖ
ﻭَﺳَﻴَﺼﻠَﻮﻥَ ﺳَﻌﻴﺮًﺍ
[10] যারা এতীমদের অর্থ-সম্পদ
অন্যায়ভাবে খায়, তারা নিজেদের
পেটে আগুনই ভর্তি করেছে এবং
সত্ত্বরই তারা অগ্নিতে প্রবেশ করবে।
[10] Verily, those who unjustly eat up the
property of orphans, they eat up only a
fire into their bellies, and they will be
burnt in the blazing Fire!
[11] ﻳﻮﺻﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻰ
ﺃَﻭﻟٰﺪِﻛُﻢ ۖ ﻟِﻠﺬَّﻛَﺮِ ﻣِﺜﻞُ ﺣَﻆِّ
ﺍﻷُﻧﺜَﻴَﻴﻦِ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﻛُﻦَّ ﻧِﺴﺎﺀً
ﻓَﻮﻕَ ﺍﺛﻨَﺘَﻴﻦِ ﻓَﻠَﻬُﻦَّ ﺛُﻠُﺜﺎ ﻣﺎ
ﺗَﺮَﻙَ ۖ ﻭَﺇِﻥ ﻛﺎﻧَﺖ ﻭٰﺣِﺪَﺓً ﻓَﻠَﻬَﺎ
ﺍﻟﻨِّﺼﻒُ ۚ ﻭَﻟِﺄَﺑَﻮَﻳﻪِ ﻟِﻜُﻞِّ ﻭٰﺣِﺪٍ
ﻣِﻨﻬُﻤَﺎ ﺍﻟﺴُّﺪُﺱُ ﻣِﻤّﺎ ﺗَﺮَﻙَ ﺇِﻥ
ﻛﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﻭَﻟَﺪٌ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﻟَﻢ ﻳَﻜُﻦ ﻟَﻪُ
ﻭَﻟَﺪٌ ﻭَﻭَﺭِﺛَﻪُ ﺃَﺑَﻮﺍﻩُ ﻓَﻠِﺄُﻣِّﻪِ
ﺍﻟﺜُّﻠُﺚُ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﻛﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﺇِﺧﻮَﺓٌ
ﻓَﻠِﺄُﻣِّﻪِ ﺍﻟﺴُّﺪُﺱُ ۚ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ
ﻭَﺻِﻴَّﺔٍ ﻳﻮﺻﻰ ﺑِﻬﺎ ﺃَﻭ ﺩَﻳﻦٍ ۗ
ﺀﺍﺑﺎﺅُﻛُﻢ ﻭَﺃَﺑﻨﺎﺅُﻛُﻢ ﻻ ﺗَﺪﺭﻭﻥَ
ﺃَﻳُّﻬُﻢ ﺃَﻗﺮَﺏُ ﻟَﻜُﻢ ﻧَﻔﻌًﺎ ۚ
ﻓَﺮﻳﻀَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ
ﻋَﻠﻴﻤًﺎ ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[11] আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের
সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ
একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর
অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই
হয় দু` এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ
মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ
করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে
তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-
মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে
ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ,
যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না
থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়,
তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ।
অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই
থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয়
ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে
মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর।
তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে
তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী
তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক
নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ
সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।
[11] Allâh commands you as regards your
children’s (inheritance); to the male, a
portion equal to that of two females; if
(there are) only daughters, two or more,
their share is two thirds of the
inheritance; if only one, her share is
half. For parents, a sixth share of
inheritance to each if the deceased left
children; if no children, and the parents
are the (only) heirs, the mother has a
third; if the deceased left brothers or
(sisters), the mother has a sixth. (The
distribution in all cases is) after the
payment of legacies he may have
bequeathed or debts. You know not
which of them, whether your parents or
your children, are nearest to you in
benefit, (these fixed shares) are ordained
by Allâh. And Allâh is Ever All¬Knower,
All¬Wise.
[12] ۞ ﻭَﻟَﻜُﻢ ﻧِﺼﻒُ ﻣﺎ ﺗَﺮَﻙَ
ﺃَﺯﻭٰﺟُﻜُﻢ ﺇِﻥ ﻟَﻢ ﻳَﻜُﻦ ﻟَﻬُﻦَّ
ﻭَﻟَﺪٌ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﻛﺎﻥَ ﻟَﻬُﻦَّ ﻭَﻟَﺪٌ ﻓَﻠَﻜُﻢُ
ﺍﻟﺮُّﺑُﻊُ ﻣِﻤّﺎ ﺗَﺮَﻛﻦَ ۚ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ
ﻭَﺻِﻴَّﺔٍ ﻳﻮﺻﻴﻦَ ﺑِﻬﺎ ﺃَﻭ ﺩَﻳﻦٍ ۚ
ﻭَﻟَﻬُﻦَّ ﺍﻟﺮُّﺑُﻊُ ﻣِﻤّﺎ ﺗَﺮَﻛﺘُﻢ ﺇِﻥ ﻟَﻢ
ﻳَﻜُﻦ ﻟَﻜُﻢ ﻭَﻟَﺪٌ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﻛﺎﻥَ ﻟَﻜُﻢ
ﻭَﻟَﺪٌ ﻓَﻠَﻬُﻦَّ ﺍﻟﺜُّﻤُﻦُ ﻣِﻤّﺎ ﺗَﺮَﻛﺘُﻢ ۚ
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻭَﺻِﻴَّﺔٍ ﺗﻮﺻﻮﻥَ ﺑِﻬﺎ
ﺃَﻭ ﺩَﻳﻦٍ ۗ ﻭَﺇِﻥ ﻛﺎﻥَ ﺭَﺟُﻞٌ
ﻳﻮﺭَﺙُ ﻛَﻠٰﻠَﺔً ﺃَﻭِ ﺍﻣﺮَﺃَﺓٌ ﻭَﻟَﻪُ ﺃَﺥٌ
ﺃَﻭ ﺃُﺧﺖٌ ﻓَﻠِﻜُﻞِّ ﻭٰﺣِﺪٍ ﻣِﻨﻬُﻤَﺎ
ﺍﻟﺴُّﺪُﺱُ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﺃَﻛﺜَﺮَ ﻣِﻦ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻓَﻬُﻢ ﺷُﺮَﻛﺎﺀُ ﻓِﻰ ﺍﻟﺜُّﻠُﺚِ ۚ
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻭَﺻِﻴَّﺔٍ ﻳﻮﺻﻰٰ ﺑِﻬﺎ
ﺃَﻭ ﺩَﻳﻦٍ ﻏَﻴﺮَ ﻣُﻀﺎﺭٍّ ۚ ﻭَﺻِﻴَّﺔً
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻢٌ ﺣَﻠﻴﻢٌ
[12] আর, তোমাদের হবে অর্ধেক
সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের
স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না
থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে
তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ
সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়;
ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ
পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-
চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা
তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের
কোন সন্তান না থাকে। আর যদি
তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের
জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক
ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও
ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ
পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য
সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা
স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই
কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের
প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর
যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক
তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের
পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর
এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না
করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ
সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
[12] In that which your wives leave, your
share is a half if they have no child; but
if they leave a child, you get a fourth of
that which they leave after payment of
legacies that they may have bequeathed
or debts. In that which you leave, their
(your wives) share is a fourth if you
leave no child; but if you leave a child,
they get an eighth of that which you
leave after payment of legacies that you
may have bequeathed or debts. If the
man or woman whose inheritance is in
question has left neither ascendants nor
descendants, but has left a brother or a
sister, each one of the two gets a sixth;
but if more than two, they share in a
third; after payment of lagacies he (or
she) may have bequeathed or debts, so
that no loss is caused (to anyone). This is
a Commandment from Allâh; and Allâh
is Ever All¬Knowing, Most¬Forbearing.
[13] ﺗِﻠﻚَ ﺣُﺪﻭﺩُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻭَﻣَﻦ
ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ ﻳُﺪﺧِﻠﻪُ
ﺟَﻨّٰﺖٍ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ
ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ ۚ ﻭَﺫٰﻟِﻚَ
ﺍﻟﻔَﻮﺯُ ﺍﻟﻌَﻈﻴﻢُ
[13] এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত
সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের
আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত
সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর
তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত
হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।
এ হল বিরাট সাফল্য।
[13] These are the limits (set by) Allâh (or
ordainments as regards laws of
inheritance), and whosoever obeys Allâh
and His Messenger (Muhammad SAW)
will be admitted to Gardens under which
rivers flow (in Paradise), to abide
therein, and that will be the great
success.
[14] ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻌﺺِ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ
ﻭَﻳَﺘَﻌَﺪَّ ﺣُﺪﻭﺩَﻩُ ﻳُﺪﺧِﻠﻪُ ﻧﺎﺭًﺍ
ﺧٰﻠِﺪًﺍ ﻓﻴﻬﺎ ﻭَﻟَﻪُ ﻋَﺬﺍﺏٌ ﻣُﻬﻴﻦٌ
[14] যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের
অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা
অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে
প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল
থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক
শাস্তি।
[14] And whosoever disobeys Allâh and
His Messenger (Muhammad SAW), and
transgresses His limits, He will cast him
into the Fire, to abide therein; and he
shall have a disgraceful torment.
[15] ﻭَﺍﻟّٰﺘﻰ ﻳَﺄﺗﻴﻦَ ﺍﻟﻔٰﺤِﺸَﺔَ
ﻣِﻦ ﻧِﺴﺎﺋِﻜُﻢ ﻓَﺎﺳﺘَﺸﻬِﺪﻭﺍ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻦَّ ﺃَﺭﺑَﻌَﺔً ﻣِﻨﻜُﻢ ۖ ﻓَﺈِﻥ
ﺷَﻬِﺪﻭﺍ ﻓَﺄَﻣﺴِﻜﻮﻫُﻦَّ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺒُﻴﻮﺕِ ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﺘَﻮَﻓّﻯٰﻬُﻦَّ
ﺍﻟﻤَﻮﺕُ ﺃَﻭ ﻳَﺠﻌَﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻬُﻦَّ
ﺳَﺒﻴﻠًﺎ
[15] আর তোমাদের নারীদের মধ্যে
যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে
তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে
সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি
তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে
সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে
পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয়
অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন
পথ নির্দেশ না করেন।
[15] And those of your women who
commit illegal sexual intercourse, take
the evidence of four witnesses from
amongst you against them; and if they
testify, confine them (i.e. women) to
houses until death comes to them or
Allâh ordains for them some (other) way.
[16] ﻭَﺍﻟَّﺬﺍﻥِ ﻳَﺄﺗِﻴٰﻨِﻬﺎ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﻓَـٔﺎﺫﻭﻫُﻤﺎ ۖ ﻓَﺈِﻥ ﺗﺎﺑﺎ ﻭَﺃَﺻﻠَﺤﺎ
ﻓَﺄَﻋﺮِﺿﻮﺍ ﻋَﻨﻬُﻤﺎ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻛﺎﻥَ ﺗَﻮّﺍﺑًﺎ ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[16] তোমাদের মধ্য থেকে যে দু’জন
সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে
শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে
তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন
করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে
নাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী,
দয়ালু।
[16] And the two persons (man and
woman) among you who commit illegal
sexual intercourse, hurt them both. And
if they repent (promise Allâh that they
will never repeat, i.e. commit illegal
sexual intercourse and other similar
sins) and do righteous good deeds, leave
them alone. Surely, Allâh is Ever All-
Forgiving (the One Who forgives and
accepts repentance), (and He is) Most
Merciful.
[17] ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺘَّﻮﺑَﺔُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺍﻟﺴّﻮﺀَ ﺑِﺠَﻬٰﻠَﺔٍ
ﺛُﻢَّ ﻳَﺘﻮﺑﻮﻥَ ﻣِﻦ ﻗَﺮﻳﺐٍ
ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻳَﺘﻮﺏُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ۗ
ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[17] অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল
করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,
অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে;
এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে
আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ
মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।
[17] Allâh accepts only the repentance of
those who do evil in ignorance and
foolishness and repent soon afterwards;
it is they whom Allâh will forgive and
Allâh is Ever All¬Knower, All¬Wise.
[18] ﻭَﻟَﻴﺴَﺖِ ﺍﻟﺘَّﻮﺑَﺔُ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ
ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺍﻟﺴَّﻴِّـٔﺎﺕِ ﺣَﺘّﻰٰ ﺇِﺫﺍ
ﺣَﻀَﺮَ ﺃَﺣَﺪَﻫُﻢُ ﺍﻟﻤَﻮﺕُ ﻗﺎﻝَ
ﺇِﻧّﻰ ﺗُﺒﺖُ ﺍﻟـٰٔﻦَ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳَﻤﻮﺗﻮﻥَ ﻭَﻫُﻢ ﻛُﻔّﺎﺭٌ ۚ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﺃَﻋﺘَﺪﻧﺎ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ ﺃَﻟﻴﻤًﺎ
[18] আর এমন লোকদের জন্য কোন
ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই
থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো
মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে
থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর
তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী
অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের
জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে
রেখেছি।
[18] And of no effect is the repentance of
those who continue to do evil deeds until
death faces one of them and he says:
“Now I repent;” nor of those who die
while they are disbelievers. For them We
have prepared a painful torment.
[19] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﻳَﺤِﻞُّ ﻟَﻜُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﺮِﺛُﻮﺍ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀَ
ﻛَﺮﻫًﺎ ۖ ﻭَﻻ ﺗَﻌﻀُﻠﻮﻫُﻦَّ
ﻟِﺘَﺬﻫَﺒﻮﺍ ﺑِﺒَﻌﺾِ ﻣﺎ
ﺀﺍﺗَﻴﺘُﻤﻮﻫُﻦَّ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ ﻳَﺄﺗﻴﻦَ
ﺑِﻔٰﺤِﺸَﺔٍ ﻣُﺒَﻴِّﻨَﺔٍ ۚ ﻭَﻋﺎﺷِﺮﻭﻫُﻦَّ
ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﻛَﺮِﻫﺘُﻤﻮﻫُﻦَّ
ﻓَﻌَﺴﻰٰ ﺃَﻥ ﺗَﻜﺮَﻫﻮﺍ ﺷَﻴـًٔﺎ
ﻭَﻳَﺠﻌَﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓﻴﻪِ ﺧَﻴﺮًﺍ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ
[19] হে ঈমাণদারগণ! বলপূর্বক
নারীদেরকে উত্তরাধিকারে গ্রহন
করা তোমাদের জন্যে হালাল নয় এবং
তাদেরকে আটক রেখো না যাতে
তোমরা তাদেরকে যা প্রদান করেছ
তার কিয়দংশ নিয়ে নাও; কিন্তু তারা
যদি কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতা করে!
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন
কর। অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর,
তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে
অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক
কল্যাণ রেখেছেন।
[19] O you who believe! You are
forbidden to inherit women against their
will, and you should not treat them with
harshness, that you may take away part
of the Mahr you have given them, unless
they commit open illegal sexual
intercourse. And live with them
honourably. If you dislike them, it may
be that you dislike a thing and Allâh
brings through it a great deal of good.
[20] ﻭَﺇِﻥ ﺃَﺭَﺩﺗُﻢُ ﺍﺳﺘِﺒﺪﺍﻝَ
ﺯَﻭﺝٍ ﻣَﻜﺎﻥَ ﺯَﻭﺝٍ ﻭَﺀﺍﺗَﻴﺘُﻢ
ﺇِﺣﺪﻯٰﻬُﻦَّ ﻗِﻨﻄﺎﺭًﺍ ﻓَﻼ ﺗَﺄﺧُﺬﻭﺍ
ﻣِﻨﻪُ ﺷَﻴـًٔﺎ ۚ ﺃَﺗَﺄﺧُﺬﻭﻧَﻪُ ﺑُﻬﺘٰﻨًﺎ
ﻭَﺇِﺛﻤًﺎ ﻣُﺒﻴﻨًﺎ
[20] যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য
স্ত্রী পরিবর্তন করতে ইচ্ছা কর এবং
তাদের একজনকে প্রচুর ধন-সম্পদ প্রদান
করে থাক, তবে তা থেকে কিছুই ফেরত
গ্রহণ করো না। তোমরা কি তা
অন্যায়ভাবে ও প্রকাশ্য গোনাহর
মাধ্যমে গ্রহণ করবে?
[20] But if you intend to replace a wife
by another and you have given one of
them a Qintar (of gold i.e. a great
amount as Mahr), take not the least bit of
it back; would you take it wrongfully
without a right and (with) a manifest
sin?
[21] ﻭَﻛَﻴﻒَ ﺗَﺄﺧُﺬﻭﻧَﻪُ ﻭَﻗَﺪ
ﺃَﻓﻀﻰٰ ﺑَﻌﻀُﻜُﻢ ﺇِﻟﻰٰ ﺑَﻌﺾٍ
ﻭَﺃَﺧَﺬﻥَ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣﻴﺜٰﻘًﺎ ﻏَﻠﻴﻈًﺎ
[21] তোমরা কিরূপে তা গ্রহণ করতে
পার, অথচ তোমাদের একজন অন্য জনের
কাছে গমন এবং নারীরা তোমাদের
কাছে থেকে সুদৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ
করেছে।
[21] And how could you take it (back)
while you have gone in unto each other,
and they have taken from you a firm
and strong covenant?
[22] ﻭَﻻ ﺗَﻨﻜِﺤﻮﺍ ﻣﺎ ﻧَﻜَﺢَ
ﺀﺍﺑﺎﺅُﻛُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ
ﻗَﺪ ﺳَﻠَﻒَ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ ﻛﺎﻥَ ﻓٰﺤِﺸَﺔً
ﻭَﻣَﻘﺘًﺎ ﻭَﺳﺎﺀَ ﺳَﺒﻴﻠًﺎ
[22] যে নারীকে তোমাদের পিতা-
পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা
তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা
বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের
কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।
[22] And marry not women whom your
fathers married, except what has already
passed; indeed it was shameful and most
hateful, and an evil way.
[23] ﺣُﺮِّﻣَﺖ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺃُﻣَّﻬٰﺘُﻜُﻢ
ﻭَﺑَﻨﺎﺗُﻜُﻢ ﻭَﺃَﺧَﻮٰﺗُﻜُﻢ ﻭَﻋَﻤّٰﺘُﻜُﻢ
ﻭَﺧٰﻠٰﺘُﻜُﻢ ﻭَﺑَﻨﺎﺕُ ﺍﻷَﺥِ ﻭَﺑَﻨﺎﺕُ
ﺍﻷُﺧﺖِ ﻭَﺃُﻣَّﻬٰﺘُﻜُﻢُ ﺍﻟّٰﺘﻰ
ﺃَﺭﺿَﻌﻨَﻜُﻢ ﻭَﺃَﺧَﻮٰﺗُﻜُﻢ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺮَّﺿٰﻌَﺔِ ﻭَﺃُﻣَّﻬٰﺖُ ﻧِﺴﺎﺋِﻜُﻢ
ﻭَﺭَﺑٰﺌِﺒُﻜُﻢُ ﺍﻟّٰﺘﻰ ﻓﻰ ﺣُﺠﻮﺭِﻛُﻢ
ﻣِﻦ ﻧِﺴﺎﺋِﻜُﻢُ ﺍﻟّٰﺘﻰ ﺩَﺧَﻠﺘُﻢ
ﺑِﻬِﻦَّ ﻓَﺈِﻥ ﻟَﻢ ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﺩَﺧَﻠﺘُﻢ
ﺑِﻬِﻦَّ ﻓَﻼ ﺟُﻨﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻭَﺣَﻠٰﺌِﻞُ ﺃَﺑﻨﺎﺋِﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ
ﺃَﺻﻠٰﺒِﻜُﻢ ﻭَﺃَﻥ ﺗَﺠﻤَﻌﻮﺍ ﺑَﻴﻦَ
ﺍﻷُﺧﺘَﻴﻦِ ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ ﻗَﺪ ﺳَﻠَﻒَ ۗ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻏَﻔﻮﺭًﺍ ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[23] তোমাদের জন্যে হারাম করা
হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের
কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের
ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা;
ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা,
যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান
করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন,
তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা
যাদের সাথে সহবাস করেছ সে
স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের
লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে
সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে
তোমাদের কোন গোনাহ নেই।
তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী
এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা;
কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয়
আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।
[23] Forbidden to you (for marriage) are:
your mothers, your daughters, your
sisters, your father’s sisters, your
mother’s sisters, your brother’s
daughters, your sister’s daughters, your
foster mother who gave you suck, your
foster milk suckling sisters, your wives’
mothers, your step daughters under your
guardianship, born of your wives to
whom you have gone in – but there is no
sin on you if you have not gone in them
(to marry their daughters), – the wives of
your sons who (spring) from your own
loins, and two sisters in wedlock at the
same time, except for what has already
passed; verily, Allâh is Oft¬Forgiving,
Most Merciful.
[24] ۞ ﻭَﺍﻟﻤُﺤﺼَﻨٰﺖُ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖ ﺃَﻳﻤٰﻨُﻜُﻢ ۖ
ﻛِﺘٰﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ۚ ﻭَﺃُﺣِﻞَّ ﻟَﻜُﻢ
ﻣﺎ ﻭَﺭﺍﺀَ ﺫٰﻟِﻜُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﺒﺘَﻐﻮﺍ
ﺑِﺄَﻣﻮٰﻟِﻜُﻢ ﻣُﺤﺼِﻨﻴﻦَ ﻏَﻴﺮَ
ﻣُﺴٰﻔِﺤﻴﻦَ ۚ ﻓَﻤَﺎ ﺍﺳﺘَﻤﺘَﻌﺘُﻢ ﺑِﻪِ
ﻣِﻨﻬُﻦَّ ﻓَـٔﺎﺗﻮﻫُﻦَّ ﺃُﺟﻮﺭَﻫُﻦَّ
ﻓَﺮﻳﻀَﺔً ۚ ﻭَﻻ ﺟُﻨﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻓﻴﻤﺎ ﺗَﺮٰﺿَﻴﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ
ﺍﻟﻔَﺮﻳﻀَﺔِ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ
ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[24] এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া
সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের
জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত
যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা
তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম।
এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব
নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে,
তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের
বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে
আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়।
অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা
ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক
দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ
হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা
পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ
সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।
[24] Also (forbidden are) women already
married, except those (slaves) whom
your right hands possess. Thus has Allâh
ordained for you. All others are lawful,
provided you seek (them in marriage)
with Mahr (bridal – money given by the
husband to his wife at the time of
marriage) from your property, desiring
chastity, not committing illegal sexual
intercourse, so with those of whom you
have enjoyed sexual relations, give them
their Mahr as prescribed; but if after a
Mahr is prescribed, you agree mutually
(to give more), there is no sin on you.
Surely, Allâh is Ever All¬Knowing,
All¬Wise
[25] ﻭَﻣَﻦ ﻟَﻢ ﻳَﺴﺘَﻄِﻊ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﻃَﻮﻟًﺎ ﺃَﻥ ﻳَﻨﻜِﺢَ ﺍﻟﻤُﺤﺼَﻨٰﺖِ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨٰﺖِ ﻓَﻤِﻦ ﻣﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖ
ﺃَﻳﻤٰﻨُﻜُﻢ ﻣِﻦ ﻓَﺘَﻴٰﺘِﻜُﻢُ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨٰﺖِ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻋﻠَﻢُ
ﺑِﺈﻳﻤٰﻨِﻜُﻢ ۚ ﺑَﻌﻀُﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺾٍ ۚ
ﻓَﺎﻧﻜِﺤﻮﻫُﻦَّ ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺃَﻫﻠِﻬِﻦَّ
ﻭَﺀﺍﺗﻮﻫُﻦَّ ﺃُﺟﻮﺭَﻫُﻦَّ
ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ﻣُﺤﺼَﻨٰﺖٍ ﻏَﻴﺮَ
ﻣُﺴٰﻔِﺤٰﺖٍ ﻭَﻻ ﻣُﺘَّﺨِﺬٰﺕِ
ﺃَﺧﺪﺍﻥٍ ۚ ﻓَﺈِﺫﺍ ﺃُﺣﺼِﻦَّ ﻓَﺈِﻥ
ﺃَﺗَﻴﻦَ ﺑِﻔٰﺤِﺸَﺔٍ ﻓَﻌَﻠَﻴﻬِﻦَّ ﻧِﺼﻒُ
ﻣﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻤُﺤﺼَﻨٰﺖِ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏِ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ ﻟِﻤَﻦ ﺧَﺸِﻰَ
ﺍﻟﻌَﻨَﺖَ ﻣِﻨﻜُﻢ ۚ ﻭَﺃَﻥ ﺗَﺼﺒِﺮﻭﺍ
ﺧَﻴﺮٌ ﻟَﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[25] আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি
স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার
সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের
অধিকারভুক্ত মুসলিম
ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে।
আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে
ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন।
তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে
তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে
কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে
মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে,
তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-
ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি
গ্রহণকারিণী হবে না। অতঃপর যখন
তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি
কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে
তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক
শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা
তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা
ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে ভয়
করে। আর যদি সবর কর, তবে তা
তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ
ক্ষমাশীল, করুণাময়।
[25] And whoever of you have not the
means wherewith to wed free, believing
women, they may wed believing girls
from among those (slaves) whom your
right hands possess, and Allâh has full
knowledge about your Faith, you are one
from another. Wed them with the
permission of their own folk (guardians,
Auliyâ’ or masters) and give them their
Mahr according to what is reasonable;
they (the above said captive and slave-
girls) should be chaste, not adulterous,
nor taking boy-friends. And after they
have been taken in wedlock, if they
commit illegal sexual intercourse, their
punishment is half that for free
(unmarried) women. This is for him
among you who is afraid of being
harmed in his religion or in his body;
but it is better for you that you practise
self¬restraint, and Allâh is
Oft¬Forgiving, Most Merciful
[26] ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﺒَﻴِّﻦَ ﻟَﻜُﻢ
ﻭَﻳَﻬﺪِﻳَﻜُﻢ ﺳُﻨَﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ
ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ ﻭَﻳَﺘﻮﺏَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠﻴﻢٌ ﺣَﻜﻴﻢٌ
[26] আল্লাহ তোমাদের জন্যে সব কিছু
পরিষ্কার বর্ণনা করে দিতে চান,
তোমাদের পূর্ববর্তীদের পথ প্রদর্শন
করতে চান। এবং তোমাদেরকে ক্ষমা
করতে চান, আল্লাহ মহাজ্ঞানী
রহস্যবিদ।
[26] Allâh wishes to make clear (what is
lawful and what is unlawful) to you, and
to show you the ways of those before
you, and accept your repentance, and
Allâh is All¬Knower, All¬Wise.
[27] ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺃَﻥ ﻳَﺘﻮﺏَ
ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻭَﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺘَّﺒِﻌﻮﻥَ
ﺍﻟﺸَّﻬَﻮٰﺕِ ﺃَﻥ ﺗَﻤﻴﻠﻮﺍ ﻣَﻴﻠًﺎ
ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[27] আল্লাহ তোমাদের প্রতি
ক্ষমাশীল হতে চান, এবং যারা
কামনা-বাসনার অনুসারী, তারা চায়
যে, তোমরা পথ থেকে অনেক দূরে
বিচ্যুত হয়ে পড়।
[27] Allâh wishes to accept your
repentance, but those who follow their
lusts, wish that you (believers) should
deviate tremendously away (from the
Right Path).
[28] ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻥ ﻳُﺨَﻔِّﻒَ
ﻋَﻨﻜُﻢ ۚ ﻭَﺧُﻠِﻖَ ﺍﻹِﻧﺴٰﻦُ ﺿَﻌﻴﻔًﺎ
[28] আল্লাহ তোমাদের বোঝা
হালকা করতে চান। মানুষ দুর্বল সৃজিত
হয়েছে।
[28] Allâh wishes to lighten (the burden)
for you; and man was created weak
(cannot be patient to leave sexual
intercourse with woman).
[29] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﺄﻛُﻠﻮﺍ ﺃَﻣﻮٰﻟَﻜُﻢ ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﺑِﺎﻟﺒٰﻄِﻞِ
ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ ﺗَﻜﻮﻥَ ﺗِﺠٰﺮَﺓً ﻋَﻦ
ﺗَﺮﺍﺽٍ ﻣِﻨﻜُﻢ ۚ ﻭَﻻ ﺗَﻘﺘُﻠﻮﺍ
ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢ
ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[29] হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে
অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো
না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের
সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা
বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে
হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ
তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।
[29] O you who believe! Eat not up your
property among yourselves unjustly
except it be a trade amongst you, by
mutual consent. And do not kill
yourselves (nor kill one another). Surely,
Allâh is Most Merciful to you.
[30] ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻔﻌَﻞ ﺫٰﻟِﻚَ ﻋُﺪﻭٰﻧًﺎ
ﻭَﻇُﻠﻤًﺎ ﻓَﺴَﻮﻑَ ﻧُﺼﻠﻴﻪِ ﻧﺎﺭًﺍ ۚ
ﻭَﻛﺎﻥَ ﺫٰﻟِﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳَﺴﻴﺮًﺍ
[30] আর যে কেউ সীমালঙ্ঘন কিংবা
জুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে
খুব শীঘ্রই আগুনে নিক্ষেপ করা হবে।
এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজসাধ্য।
[30] And whoever commits that through
aggression and injustice, We shall cast
him into the Fire, and that is easy for
Allâh.
[31] ﺇِﻥ ﺗَﺠﺘَﻨِﺒﻮﺍ ﻛَﺒﺎﺋِﺮَ ﻣﺎ
ﺗُﻨﻬَﻮﻥَ ﻋَﻨﻪُ ﻧُﻜَﻔِّﺮ ﻋَﻨﻜُﻢ
ﺳَﻴِّـٔﺎﺗِﻜُﻢ ﻭَﻧُﺪﺧِﻠﻜُﻢ ﻣُﺪﺧَﻠًﺎ
ﻛَﺮﻳﻤًﺎ
[31] যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের
নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব
বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে
পার। তবে আমি তোমাদের ক্রটি-
বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দেব এবং
সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ
করার।
[31] If you avoid the great sins which
you are forbidden to do, We shall expiate
from you your (small) sins, and admit
you to a Noble Entrance (i.e. Paradise).
[32] ﻭَﻻ ﺗَﺘَﻤَﻨَّﻮﺍ ﻣﺎ ﻓَﻀَّﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑِﻪِ ﺑَﻌﻀَﻜُﻢ ﻋَﻠﻰٰ ﺑَﻌﺾٍ ۚ
ﻟِﻠﺮِّﺟﺎﻝِ ﻧَﺼﻴﺐٌ ﻣِﻤَّﺎ ﺍﻛﺘَﺴَﺒﻮﺍ ۖ
ﻭَﻟِﻠﻨِّﺴﺎﺀِ ﻧَﺼﻴﺐٌ ﻣِﻤَّﺎ
ﺍﻛﺘَﺴَﺒﻦَ ۚ ﻭَﺳـَٔﻠُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣِﻦ
ﻓَﻀﻠِﻪِ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﺑِﻜُﻞِّ
ﺷَﻲﺀٍ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ
[32] আর তোমরা আকাঙ্ক্ষা করো না
এমন সব বিষয়ে যাতে আল্লাহ তা’আলা
তোমাদের একের উপর অপরের
শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষ যা অর্জন
করে সেটা তার অংশ এবং নারী যা
অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর
আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা
কর। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা সর্ব
বিষয়ে জ্ঞাত।
[32] And wish not for the things in which
Allâh has made some of you to excel
others. For men there is reward for what
they have earned, (and likewise) for
women there is reward for what they
have earned, and ask Allâh of His
Bounty. Surely, Allâh is Ever All¬Knower
of everything.
[33] ﻭَﻟِﻜُﻞٍّ ﺟَﻌَﻠﻨﺎ ﻣَﻮٰﻟِﻰَ ﻣِﻤّﺎ
ﺗَﺮَﻙَ ﺍﻟﻮٰﻟِﺪﺍﻥِ ﻭَﺍﻷَﻗﺮَﺑﻮﻥَ ۚ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻋَﻘَﺪَﺕ ﺃَﻳﻤٰﻨُﻜُﻢ
ﻓَـٔﺎﺗﻮﻫُﻢ ﻧَﺼﻴﺒَﻬُﻢ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻛﺎﻥَ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﺷَﻬﻴﺪًﺍ
[33] পিতা-মাতা এবং নিকটাত্নীয়গণ
যা ত্যাগ করে যান সেসবের জন্যই আমি
উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করে
দিয়েছি। আর যাদের সাথে তোমরা
অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছ তাদের প্রাপ্য
দিয়ে দাও। আল্লাহ তা’আলা
নিঃসন্দেহে সব কিছুই প্রত্যক্ষ করেন।
[33] And to everyone, We have
appointed heirs of that (property) left by
parents and relatives. To those also with
whom you have made a pledge
(brotherhood), give them their due
portion (by Wasiyyah will). Truly, Allâh
is Ever a Witness over all things.
[34] ﺍﻟﺮِّﺟﺎﻝُ ﻗَﻮّٰﻣﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ ﺑِﻤﺎ ﻓَﻀَّﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑَﻌﻀَﻬُﻢ ﻋَﻠﻰٰ ﺑَﻌﺾٍ ﻭَﺑِﻤﺎ
ﺃَﻧﻔَﻘﻮﺍ ﻣِﻦ ﺃَﻣﻮٰﻟِﻬِﻢ ۚ
ﻓَﺎﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖُ ﻗٰﻨِﺘٰﺖٌ ﺣٰﻔِﻈٰﺖٌ
ﻟِﻠﻐَﻴﺐِ ﺑِﻤﺎ ﺣَﻔِﻆَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ ﻭَﺍﻟّٰﺘﻰ
ﺗَﺨﺎﻓﻮﻥَ ﻧُﺸﻮﺯَﻫُﻦَّ ﻓَﻌِﻈﻮﻫُﻦَّ
ﻭَﺍﻫﺠُﺮﻭﻫُﻦَّ ﻓِﻰ ﺍﻟﻤَﻀﺎﺟِﻊِ
ﻭَﺍﺿﺮِﺑﻮﻫُﻦَّ ۖ ﻓَﺈِﻥ ﺃَﻃَﻌﻨَﻜُﻢ
ﻓَﻼ ﺗَﺒﻐﻮﺍ ﻋَﻠَﻴﻬِﻦَّ ﺳَﺒﻴﻠًﺎ ۗ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻋَﻠِﻴًّﺎ ﻛَﺒﻴﺮًﺍ
[34] পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল
এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের
বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে,
তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে
নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা
এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে
দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার
হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে
অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ
দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং
প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে
যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন
পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ
সবার উপর শ্রেষ্ঠ।
[34] Men are the protectors and
maintainers of women, because Allâh
has made one of them to excel the other,
and because they spend (to support
them) from their means. Therefore the
righteous women are devoutly obedient
(to Allâh and to their husbands), and
guard in the husband’s absence what
Allâh orders them to guard (e.g. their
chastity, their husband’s property). As to
those women on whose part you see
ill¬conduct, admonish them (first),
(next), refuse to share their beds, (and
last) beat them (lightly, if it is useful),
but if they return to obedience, seek not
against them means (of annoyance).
Surely, Allâh is Ever Most High, Most
Great
[35] ﻭَﺇِﻥ ﺧِﻔﺘُﻢ ﺷِﻘﺎﻕَ ﺑَﻴﻨِﻬِﻤﺎ
ﻓَﺎﺑﻌَﺜﻮﺍ ﺣَﻜَﻤًﺎ ﻣِﻦ ﺃَﻫﻠِﻪِ
ﻭَﺣَﻜَﻤًﺎ ﻣِﻦ ﺃَﻫﻠِﻬﺎ ﺇِﻥ ﻳُﺮﻳﺪﺍ
ﺇِﺻﻠٰﺤًﺎ ﻳُﻮَﻓِّﻖِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﻴﻨَﻬُﻤﺎ ۗ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ ﺧَﺒﻴﺮًﺍ
[35] যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ
হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা কর,
তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন
এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন
সালিস নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ের
মীমাংসা চাইলে আল্লাহ সর্বজ্ঞ,
সবকিছু অবহিত।
[35] If you fear a breach between them
twain (the man and his wife), appoint
(two) arbitrators, one from his family
and the other from her’s; if they both
wish for peace, Allâh will cause their
reconciliation. Indeed Allâh is Ever
All¬Knower, Well¬Acquainted with all
things.
[36] ۞ ﻭَﺍﻋﺒُﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻻ
ﺗُﺸﺮِﻛﻮﺍ ﺑِﻪِ ﺷَﻴـًٔﺎ ۖ ﻭَﺑِﺎﻟﻮٰﻟِﺪَﻳﻦِ
ﺇِﺣﺴٰﻨًﺎ ﻭَﺑِﺬِﻯ ﺍﻟﻘُﺮﺑﻰٰ
ﻭَﺍﻟﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﻭَﺍﻟﻤَﺴٰﻜﻴﻦِ ﻭَﺍﻟﺠﺎﺭِ
ﺫِﻯ ﺍﻟﻘُﺮﺑﻰٰ ﻭَﺍﻟﺠﺎﺭِ ﺍﻟﺠُﻨُﺐِ
ﻭَﺍﻟﺼّﺎﺣِﺐِ ﺑِﺎﻟﺠَﻨﺐِ ﻭَﺍﺑﻦِ
ﺍﻟﺴَّﺒﻴﻞِ ﻭَﻣﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖ ﺃَﻳﻤٰﻨُﻜُﻢ ۗ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳُﺤِﺐُّ ﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ
ﻣُﺨﺘﺎﻟًﺎ ﻓَﺨﻮﺭًﺍ
[36] আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক
করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে।
পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার
কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন,
প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং
নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই
আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-
গর্বিতজনকে।
[36] Worship Allâh and join none with
Him (in worship), and do good to
parents, kinsfolk, orphans, Al-Masâkin
(the poor), the neighbour who is near of
kin, the neighbour who is a stranger, the
companion by your side, the wayfarer
(you meet), and those (slaves) whom your
right hands possess. Verily, Allâh does
not like such as are proud and boastful;
[37] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺒﺨَﻠﻮﻥَ ﻭَﻳَﺄﻣُﺮﻭﻥَ
ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﺑِﺎﻟﺒُﺨﻞِ ﻭَﻳَﻜﺘُﻤﻮﻥَ ﻣﺎ
ﺀﺍﺗﻯٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦ ﻓَﻀﻠِﻪِ ۗ
ﻭَﺃَﻋﺘَﺪﻧﺎ ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ
ﻣُﻬﻴﻨًﺎ
[37] যারা নিজেরাও কার্পন্য করে
এবং অন্যকেও কৃপণতা শিক্ষা দেয় আর
গোপন করে সে সব বিষয় যা আল্লাহ
তা’আলা তাদেরকে দান করেছেন
স্বীয় অনুগ্রহে-বস্তুতঃ তৈরী করে
রেখেছি কাফেরদের জন্য অপমান জনক
আযাব।
[37] Those who are miserly and enjoin
miserliness on other men and hide what
Allâh has bestowed upon them of His
Bounties. And We have prepared for the
disbelievers a disgraceful torment.
[38] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ ﺃَﻣﻮٰﻟَﻬُﻢ
ﺭِﺋﺎﺀَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻭَﻻ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻻ ﺑِﺎﻟﻴَﻮﻡِ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ۗ
ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻜُﻦِ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ ﻟَﻪُ ﻗَﺮﻳﻨًﺎ
ﻓَﺴﺎﺀَ ﻗَﺮﻳﻨًﺎ
[38] আর সে সমস্ত লোক যারা ব্যয় করে
স্বীয় ধন-সম্পদ লোক-দেখানোর
উদ্দেশে এবং যারা আল্লাহর উপর
ঈমান আনে না, ঈমান আনে না কেয়ামত
দিবসের প্রতি এবং শয়তান যার সাথী
হয় সে হল নিকৃষ্টতর সাথী।
[38] And (also) those who spend of their
substance to be seen of men, and believe
not in Allâh and the Last Day [they are
the friends of Shaitân (Satan)], and
whoever takes Shaitân (Satan) as an
intimate; then what a dreadful intimate
he has!
[39] ﻭَﻣﺎﺫﺍ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻟَﻮ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ
ﻭَﺃَﻧﻔَﻘﻮﺍ ﻣِﻤّﺎ ﺭَﺯَﻗَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ
ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻬِﻢ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ
[39] আর কিই বা ক্ষতি হত তাদের যদি
তারা ঈমান আনত আল্লাহর উপর
কেয়ামত দিবসের উপর এবং যদি ব্যয়
করত আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক থেকে!
অথচ আল্লাহ, তাদের ব্যাপারে
যথার্থভাবেই অবগত।
[39] And what loss have they if they had
believed in Allâh and in the Last Day,
and they spend out of what Allâh has
given them for sustenance? And Allâh is
Ever All¬Knower of them
[40] ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳَﻈﻠِﻢُ ﻣِﺜﻘﺎﻝَ
ﺫَﺭَّﺓٍ ۖ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﻚُ ﺣَﺴَﻨَﺔً
ﻳُﻀٰﻌِﻔﻬﺎ ﻭَﻳُﺆﺕِ ﻣِﻦ ﻟَﺪُﻧﻪُ
ﺃَﺟﺮًﺍ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[40] নিশ্চয়ই আল্লাহ কারো প্রাপ্য হক
বিন্দু-বিসর্গও রাখেন না; আর যদি তা
সৎকর্ম হয়, তবে তাকে দ্বিগুণ করে দেন
এবং নিজের পক্ষ থেকে বিপুল সওয়াব
দান করেন।
[40] Surely! Allâh wrongs not even of the
weight of an atom (or a small ant), but if
there is any good (done), He doubles it,
and gives from Him a great reward
[41] ﻓَﻜَﻴﻒَ ﺇِﺫﺍ ﺟِﺌﻨﺎ ﻣِﻦ ﻛُﻞِّ
ﺃُﻣَّﺔٍ ﺑِﺸَﻬﻴﺪٍ ﻭَﺟِﺌﻨﺎ ﺑِﻚَ ﻋَﻠﻰٰ
ﻫٰﺆُﻻﺀِ ﺷَﻬﻴﺪًﺍ
[41] আর তখন কি অবস্থা দাঁড়াবে, যখন
আমি ডেকে আনব প্রতিটি উম্মতের মধ্য
থেকে অবস্থা বর্ণনাকারী এবং
আপনাকে ডাকব তাদের উপর অবস্থা
বর্ণনাকারীরূপে।
[41] How (will it be) then, when We
bring from each nation a witness and
We bring you (O Muhammad SAW) as a
witness against these people?
[42] ﻳَﻮﻣَﺌِﺬٍ ﻳَﻮَﺩُّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻭَﻋَﺼَﻮُﺍ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ ﻟَﻮ ﺗُﺴَﻮّﻯٰ
ﺑِﻬِﻢُ ﺍﻷَﺭﺽُ ﻭَﻻ ﻳَﻜﺘُﻤﻮﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺣَﺪﻳﺜًﺎ
[42] সেদিন কামনা করবে সে সমস্ত
লোক, যারা কাফের হয়েছিল এবং
রসূলের নাফরমানী করেছিল, যেন
যমীনের সাথে মিশে যায়। কিন্তু
গোপন করতে পারবে না আল্লাহর
নিকট কোন বিষয়।
[42] On that day those who disbelieved
and disobeyed the Messenger
(Muhammad SAW) will wish that they
were buried in the earth, but they will
never be able to hide a single fact from
Allâh.
[43] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﻘﺮَﺑُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﺳُﻜٰﺮﻯٰ
ﺣَﺘّﻰٰ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﺍ ﻣﺎ ﺗَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻭَﻻ
ﺟُﻨُﺒًﺎ ﺇِﻟّﺎ ﻋﺎﺑِﺮﻯ ﺳَﺒﻴﻞٍ ﺣَﺘّﻰٰ
ﺗَﻐﺘَﺴِﻠﻮﺍ ۚ ﻭَﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣَﺮﺿﻰٰ
ﺃَﻭ ﻋَﻠﻰٰ ﺳَﻔَﺮٍ ﺃَﻭ ﺟﺎﺀَ ﺃَﺣَﺪٌ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻐﺎﺋِﻂِ ﺃَﻭ ﻟٰﻤَﺴﺘُﻢُ
ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀَ ﻓَﻠَﻢ ﺗَﺠِﺪﻭﺍ ﻣﺎﺀً
ﻓَﺘَﻴَﻤَّﻤﻮﺍ ﺻَﻌﻴﺪًﺍ ﻃَﻴِّﺒًﺎ
ﻓَﺎﻣﺴَﺤﻮﺍ ﺑِﻮُﺟﻮﻫِﻜُﻢ
ﻭَﺃَﻳﺪﻳﻜُﻢ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻋَﻔُﻮًّﺍ
ﻏَﻔﻮﺭًﺍ
[43] হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন
নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-
কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম
হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর
(নামাযের কাছে যেও না) ফরয
গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না
গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির
অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি
তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে
থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ
যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে
থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে,
কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না
হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা
তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও
হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ
তা’আলা ক্ষমাশীল।
[43] O you who believe! Approach not
As¬Salât (the prayer) when you are in a
drunken state until you know (the
meaning) of what you utter, nor when
you are in a state of Janâba, (i.e. in a
state of sexual impurity and have not yet
taken a bath) except when travelling on
the road (without enough water, or just
passing through a mosque), till you wash
your whole body. And if you are ill, or
on a journey, or one of you comes after
answering the call of nature, or you have
been in contact with women (by sexual
relations) and you find no water,
perform Tayammum with clean earth
and rub therewith your faces and hands
(Tayammum). Truly, Allâh is Ever
Oft¬Pardoning, Oft¬Forgiving.
[44] ﺃَﻟَﻢ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗﻮﺍ
ﻧَﺼﻴﺒًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻳَﺸﺘَﺮﻭﻥَ
ﺍﻟﻀَّﻠٰﻠَﺔَ ﻭَﻳُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﺃَﻥ ﺗَﻀِﻠُّﻮﺍ
ﺍﻟﺴَّﺒﻴﻞَ
[44] তুমি কি ওদের দেখনি, যারা
কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে,
(অথচ) তারা পথভ্রষ্টতা খরিদ করে এবং
কামনা করে, যাতে তোমরাও আল্লাহর
পথ থেকে বিভ্রান্ত হয়ে যাও।
[44] Have you not seen those who were
given a portion of the book (the Jews),
purchasing the wrong path, and wish
that you should go astray from the Right
Path.
[45] ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻋﻠَﻢُ ﺑِﺄَﻋﺪﺍﺋِﻜُﻢ ۚ
ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻧَﺼﻴﺮًﺍ
[45] অথচ আল্লাহ তোমাদের
শত্রুদেরকে যথার্থই জানেন। আর
অভিভাবক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট
এবং সাহায্যকারী হিসাবেও আল্লাহই
যথেষ্ট।
[45] Allâh has full knowledge of your
enemies, and Allâh is Sufficient as a
Walî (Protector), and Allâh is Sufficient
as a Helper.
[46] ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻫﺎﺩﻭﺍ
ﻳُﺤَﺮِّﻓﻮﻥَ ﺍﻟﻜَﻠِﻢَ ﻋَﻦ ﻣَﻮﺍﺿِﻌِﻪِ
ﻭَﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺳَﻤِﻌﻨﺎ ﻭَﻋَﺼَﻴﻨﺎ
ﻭَﺍﺳﻤَﻊ ﻏَﻴﺮَ ﻣُﺴﻤَﻊٍ ﻭَﺭٰﻋِﻨﺎ ﻟَﻴًّﺎ
ﺑِﺄَﻟﺴِﻨَﺘِﻬِﻢ ﻭَﻃَﻌﻨًﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪّﻳﻦِ ۚ
ﻭَﻟَﻮ ﺃَﻧَّﻬُﻢ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺳَﻤِﻌﻨﺎ
ﻭَﺃَﻃَﻌﻨﺎ ﻭَﺍﺳﻤَﻊ ﻭَﺍﻧﻈُﺮﻧﺎ
ﻟَﻜﺎﻥَ ﺧَﻴﺮًﺍ ﻟَﻬُﻢ ﻭَﺃَﻗﻮَﻡَ ﻭَﻟٰﻜِﻦ
ﻟَﻌَﻨَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻜُﻔﺮِﻫِﻢ ﻓَﻼ
ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺇِﻟّﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
[46] কোন কোন ইহুদী তার লক্ষ্য
থেকে কথার মোড় ঘুড়িয়ে নেয় এবং
বলে, আমরা শুনেছি কিন্তু অমান্য
করছি। তারা আরো বলে, শোন, না
শোনার মত। মুখ বাঁকিয়ে দ্বীনের
প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শনের উদ্দেশে
বলে, রায়েনা’ (আমাদের রাখাল)। অথচ
যদি তারা বলত যে, আমরা শুনেছি ও
মান্য করেছি এবং (যদি বলত, ) শোন
এবং আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখ, তবে
তাই ছিল তাদের জন্য উত্তম আর সেটাই
ছিল যথার্থ ও সঠিক। কিন্তু আল্লাহ
তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন
তাদের কুফরীর দরুন। অতএব, তারা ঈমান
আনছে না, কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক।
[46] Among those who are Jews, there
are some who displace words from
(their) right places and say: “We hear
your word (O Muhammad SAW ) and
disobey,” and “Hear and let you (O
Muhammad SAW) hear nothing.” And
Râ’ina with a twist of their tongues and
as a mockery of the religion (Islâm). And
if only they had said: “We hear and
obey”, and “Do make us understand,” it
would have been better for them, and
more proper, but Allâh has cursed them
for their disbelief, so they believe not
except a few.
[47] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ
ﺀﺍﻣِﻨﻮﺍ ﺑِﻤﺎ ﻧَﺰَّﻟﻨﺎ ﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ ﻟِﻤﺎ
ﻣَﻌَﻜُﻢ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞِ ﺃَﻥ ﻧَﻄﻤِﺲَ
ﻭُﺟﻮﻫًﺎ ﻓَﻨَﺮُﺩَّﻫﺎ ﻋَﻠﻰٰ ﺃَﺩﺑﺎﺭِﻫﺎ
ﺃَﻭ ﻧَﻠﻌَﻨَﻬُﻢ ﻛَﻤﺎ ﻟَﻌَﻨّﺎ ﺃَﺻﺤٰﺐَ
ﺍﻟﺴَّﺒﺖِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺃَﻣﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻣَﻔﻌﻮﻟًﺎ
[47] হে আসমানী গ্রন্থের
অধিকারীবৃন্দ! যা কিছু আমি অবতীর্ণ
করেছি তার উপর বিশ্বাস স্থাপন কর,
যা সে গ্রন্থের সত্যায়ন করে এবং যা
তোমাদের নিকট রয়েছে পূর্ব থেকে।
(বিশ্বাস স্থাপন কর) এমন হওয়ার আগেই
যে, আমি মুছে দেব অনেক চেহারাকে
এবং অতঃপর সেগুলোকে ঘুরিয়ে দেব
পশ্চাৎ দিকে কিংবা অভিসম্পাত করব
তাদের প্রতি যেমন করে অভিসম্পাত
করেছি আছহাবে-সাবতের উপর। আর
আল্লাহর নির্দেশ অবশ্যই কার্যকর হবে।
[47] O you who have been given the
Scripture (Jews and Christians)! Believe
in what We have revealed (to
Muhammad SAW) confirming what is
(already) with you, before We efface
faces (by making them like the back of
necks; without nose, mouth, eyes) and
turn them hindwards, or curse them as
We cursed the Sabbath¬breakers. And
the Commandment of Allâh is always
executed.
[48] ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳَﻐﻔِﺮُ ﺃَﻥ ﻳُﺸﺮَﻙَ
ﺑِﻪِ ﻭَﻳَﻐﻔِﺮُ ﻣﺎ ﺩﻭﻥَ ﺫٰﻟِﻚَ ﻟِﻤَﻦ
ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺸﺮِﻙ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻘَﺪِ
ﺍﻓﺘَﺮﻯٰ ﺇِﺛﻤًﺎ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[48] নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা
করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক
করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন
পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা
করেন। আর যে লোক অংশীদার
সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন
অপবাদ আরোপ করল।
[48] Verily, Allâh forgives not that
partners should be set up with Him (in
worship), but He forgives except that
(anything else) to whom He wills; and
whoever sets up partners with Allâh in
worship, he has indeed invented a
tremendous sin.
[49] ﺃَﻟَﻢ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﺰَﻛّﻮﻥَ
ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ ۚ ﺑَﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺰَﻛّﻰ ﻣَﻦ
ﻳَﺸﺎﺀُ ﻭَﻻ ﻳُﻈﻠَﻤﻮﻥَ ﻓَﺘﻴﻠًﺎ
[49] তুমি কি তাদেকে দেখনি, যারা
নিজেদেরকে পূত-পবিত্র বলে থাকে
অথচ পবিত্র করেন আল্লাহ যাকে ইচ্ছা
তাকেই? বস্তুতঃ তাদের উপর সুতা
পরিমাণ অন্যায়ও হবে না।
[49] Have you not seen those (Jews and
Christians) who claim sanctity for
themselves. Nay, but Allâh sanctifies
whom He wills, and they will not be
dealt with injustice even equal to the
extent of a scalish thread in the long slit
of a date-stone.
[50] ﺍﻧﻈُﺮ ﻛَﻴﻒَ ﻳَﻔﺘَﺮﻭﻥَ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﻜَﺬِﺏَ ۖ ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﻪِ ﺇِﺛﻤًﺎ
ﻣُﺒﻴﻨًﺎ
[50] লক্ষ্য কর, কেমন করে তারা
আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ
করে, অথচ এই প্রকাশ্য পাপই যথেষ্ট।
[50] Look, how they invent a lie against
Allâh, and enough is that as a manifest
sin.
[51] ﺃَﻟَﻢ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗﻮﺍ
ﻧَﺼﻴﺒًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
ﺑِﺎﻟﺠِﺒﺖِ ﻭَﺍﻟﻄّٰﻐﻮﺕِ ﻭَﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ
ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻫٰﺆُﻻﺀِ ﺃَﻫﺪﻯٰ
ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺳَﺒﻴﻠًﺎ
[51] তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা
কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে,
যারা মান্য করে প্রতিমা ও শয়তানকে
এবং কাফেরদেরকে বলে যে, এরা
মুসলমানদের তুলনায় অধিকতর সরল
সঠিক পথে রয়েছে।
[51] Have you not seen those who were
given a portion of the Scripture? They
believe in Jibt and Tâghût and say to the
disbelievers that they are better guided
as regards the way than the believers
(Muslims).
[52] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻟَﻌَﻨَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۖ
ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻠﻌَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓَﻠَﻦ ﺗَﺠِﺪَ ﻟَﻪُ
ﻧَﺼﻴﺮًﺍ
[52] এরা হলো সে সমস্ত লোক, যাদের
উপর লা’নত করেছেন আল্লাহ তা’আলা
স্বয়ং। বস্তুতঃ আল্লাহ যার উপর লা’নত
করেন তুমি তার কোন সাহায্যকারী
খুঁজে পাবে না।
[52] They are those whom Allâh has
cursed, and he whom Allâh curses, you
will not find for him (any) helper,
[53] ﺃَﻡ ﻟَﻬُﻢ ﻧَﺼﻴﺐٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﻠﻚِ
ﻓَﺈِﺫًﺍ ﻻ ﻳُﺆﺗﻮﻥَ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﻧَﻘﻴﺮًﺍ
[53] তাদের কাছে কি রাজ্যের কোন
অংশ আছে? তাহলে যে এরা কাউকেও
একটি তিল পরিমাণও দেবে না।
[53] Or have they a share in the
dominion? Then in that case they would
not give mankind even a speck on the
back of a date-stone.
[54] ﺃَﻡ ﻳَﺤﺴُﺪﻭﻥَ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﻋَﻠﻰٰ
ﻣﺎ ﺀﺍﺗﻯٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦ ﻓَﻀﻠِﻪِ ۖ
ﻓَﻘَﺪ ﺀﺍﺗَﻴﻨﺎ ﺀﺍﻝَ ﺇِﺑﺮٰﻫﻴﻢَ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔَ ﻭَﺀﺍﺗَﻴﻨٰﻬُﻢ
ﻣُﻠﻜًﺎ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[54] নাকি যাকিছু আল্লাহ তাদেরকে
স্বীয় অনুগ্রহে দান করেছেন সে
বিষয়ের জন্য মানুষকে হিংসা করে।
অবশ্যই আমি ইব্রাহীমের বংশধরদেরকে
কিতাব ও হেকমত দান করেছিলাম আর
তাদেরকে দান করেছিলাম বিশাল
রাজ্য।
[54] Or do they envy men (Muhammad
SAW and his followers) for what Allâh
has given them of His Bounty? Then We
had already given the family of Ibrâhim
(Abraham) the Book and Al¬Hikmah
(As¬Sunnah – Divine Revelation to those
Prophets not written in the form of a
book), and conferred upon them a great
kingdom
[55] ﻓَﻤِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ ﺀﺍﻣَﻦَ ﺑِﻪِ
ﻭَﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ ﺻَﺪَّ ﻋَﻨﻪُ ۚ ﻭَﻛَﻔﻰٰ
ﺑِﺠَﻬَﻨَّﻢَ ﺳَﻌﻴﺮًﺍ
[55] অতঃপর তাদের কেউ তাকে মান্য
করেছে আবার কেউ তার কাছ থেকে
দূরে সরে রয়েছে। বস্তুতঃ (তাদের জন্য)
দোযখের শিখায়িত আগুনই যথেষ্ট।
[55] Of them were (some) who believed
in him (Muhammad SAW), and of them
were (some) who averted their faces
from him (Muhammad SAW); and
enough is Hell for burning (them).
[56] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺑِـٔﺎﻳٰﺘِﻨﺎ
ﺳَﻮﻑَ ﻧُﺼﻠﻴﻬِﻢ ﻧﺎﺭًﺍ ﻛُﻠَّﻤﺎ
ﻧَﻀِﺠَﺖ ﺟُﻠﻮﺩُﻫُﻢ ﺑَﺪَّﻟﻨٰﻬُﻢ
ﺟُﻠﻮﺩًﺍ ﻏَﻴﺮَﻫﺎ ﻟِﻴَﺬﻭﻗُﻮﺍ
ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏَ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻋَﺰﻳﺰًﺍ
ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[56] এতে সন্দেহ নেই যে, আমার
নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক
অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি
তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের
চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে,
তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য
চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব
আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ
মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের
অধিকারী।
[56] Surely! Those who disbelieved in
Our Ayât (proofs, evidences, verses,
lessons, signs, revelations, etc.) We shall
burn them in Fire. As often as their skins
are roasted through, We shall change
them for other skins that they may taste
the punishment. Truly, Allâh is Ever
Most Powerful, All¬Wise.
[57] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﺳَﻨُﺪﺧِﻠُﻬُﻢ ﺟَﻨّٰﺖٍ
ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ
ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ ﺃَﺑَﺪًﺍ ۖ ﻟَﻬُﻢ ﻓﻴﻬﺎ
ﺃَﺯﻭٰﺝٌ ﻣُﻄَﻬَّﺮَﺓٌ ۖ ﻭَﻧُﺪﺧِﻠُﻬُﻢ ﻇِﻠًّﺎ
ﻇَﻠﻴﻠًﺎ
[57] আর যারা ঈমান এনেছে এবং
সৎকর্ম করেছে, অবশ্য আমি প্রবিষ্ট
করাব তাদেরকে জান্নাতে, যার
তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ।
সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল।
সেখানে তাদের জন্য থাকবে
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্ত্রীগণ।
তাদেরকে আমি প্রবিষ্ট করব ঘন ছায়া
নীড়ে।
[57] But those who believe (in the
Oneness of Allâh – Islâmic Monotheism)
and do deeds of righteousness, We shall
admit them to Gardens under which
rivers flow (Paradise), abiding therein
forever. Therein they shall have Azwâjun
Mutahharatun [purified mates or wives]
and We shall admit them to shades wide
and ever deepening (Paradise).
[58] ۞ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺄﻣُﺮُﻛُﻢ ﺃَﻥ
ﺗُﺆَﺩُّﻭﺍ ﺍﻷَﻣٰﻨٰﺖِ ﺇِﻟﻰٰ ﺃَﻫﻠِﻬﺎ
ﻭَﺇِﺫﺍ ﺣَﻜَﻤﺘُﻢ ﺑَﻴﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﺃَﻥ
ﺗَﺤﻜُﻤﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻌَﺪﻝِ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻧِﻌِﻤّﺎ ﻳَﻌِﻈُﻜُﻢ ﺑِﻪِ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ
ﺳَﻤﻴﻌًﺎ ﺑَﺼﻴﺮًﺍ
[58] নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদিগকে
নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য
আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে
দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন
বিচার-মীমাংসা করতে আরম্ভ কর, তখন
মীমাংসা কর ন্যায় ভিত্তিক। আল্লাহ
তোমাদিগকে সদুপদেশ দান করেন।
নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী,
দর্শনকারী।
[58] Verily! Allâh commands that you
should render back the trusts to those, to
whom they are due; and that when you
judge between men, you judge with
justice. Verily, how excellent is the
teaching which He (Allâh) gives you!
Truly, Allâh is Ever All¬Hearer, All¬Seer.
[59] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ
ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ ﻭَﺃُﻭﻟِﻰ ﺍﻷَﻣﺮِ ﻣِﻨﻜُﻢ ۖ
ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻨٰﺰَﻋﺘُﻢ ﻓﻰ ﺷَﻲﺀٍ
ﻓَﺮُﺩّﻭﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝِ ﺇِﻥ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﺗُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ ﺧَﻴﺮٌ ﻭَﺃَﺣﺴَﻦُ
ﺗَﺄﻭﻳﻠًﺎ
[59] হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ
মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের
এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক
তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন
বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে
তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি
প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও
কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে
থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং
পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।
[59] O you who believe! Obey Allâh and
obey the Messenger (Muhammad SAW),
and those of you (Muslims) who are in
authority. (And) if you differ in anything
amongst yourselves, refer it to Allâh and
His Messenger (SAW), if you believe in
Allâh and in the Last Day. That is better
and more suitable for final
determination.
[60] ﺃَﻟَﻢ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳَﺰﻋُﻤﻮﻥَ ﺃَﻧَّﻬُﻢ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺑِﻤﺎ
ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻣِﻦ
ﻗَﺒﻠِﻚَ ﻳُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﺃَﻥ ﻳَﺘَﺤﺎﻛَﻤﻮﺍ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻄّٰﻐﻮﺕِ ﻭَﻗَﺪ ﺃُﻣِﺮﻭﺍ ﺃَﻥ
ﻳَﻜﻔُﺮﻭﺍ ﺑِﻪِ ﻭَﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ
ﺃَﻥ ﻳُﻀِﻠَّﻬُﻢ ﺿَﻠٰﻠًﺎ ﺑَﻌﻴﺪًﺍ
[60] আপনি কি তাদেরকে দেখেননি,
যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি
অবর্তীর্ণ হয়েছে আমরা সে বিষয়ের
উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে
যা অবর্তীণ হয়েছে। তারা বিরোধীয়
বিষয়কে শয়তানের দিকে নিয়ে যেতে
চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ
হয়েছে, যাতে তারা ওকে মান্য না
করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে
প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে
চায়।
[60] Have you seen those (hyprocrites)
who claim that they believe in that which
has been sent down to you, and that
which was sent down before you, and
they wish to go for judgement (in their
disputes) to the Tâghût (false judges)
while they have been ordered to reject
them. But Shaitân (Satan) wishes to lead
them far astray.
[61] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻗﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢ ﺗَﻌﺎﻟَﻮﺍ ﺇِﻟﻰٰ
ﻣﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝِ
ﺭَﺃَﻳﺖَ ﺍﻟﻤُﻨٰﻔِﻘﻴﻦَ ﻳَﺼُﺪّﻭﻥَ
ﻋَﻨﻚَ ﺻُﺪﻭﺩًﺍ
[61] আর যখন আপনি তাদেরকে বলবেন,
আল্লাহর নির্দেশের দিকে এসো-যা
তিনি রসূলের প্রতি নাযিল করেছেন,
তখন আপনি মুনাফেকদিগকে দেখবেন,
ওরা আপনার কাছ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে
সরে যাচ্ছে।
[61] And when it is said to them: “Come
to what Allâh has sent down and to the
Messenger (Muhammad SAW),” you
(Muhammad SAW) see the hypocrites
turn away from you (Muhammad SAW)
with aversion
[62] ﻓَﻜَﻴﻒَ ﺇِﺫﺍ ﺃَﺻٰﺒَﺘﻬُﻢ
ﻣُﺼﻴﺒَﺔٌ ﺑِﻤﺎ ﻗَﺪَّﻣَﺖ ﺃَﻳﺪﻳﻬِﻢ
ﺛُﻢَّ ﺟﺎﺀﻭﻙَ ﻳَﺤﻠِﻔﻮﻥَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻥ
ﺃَﺭَﺩﻧﺎ ﺇِﻟّﺎ ﺇِﺣﺴٰﻨًﺎ ﻭَﺗَﻮﻓﻴﻘًﺎ
[62] এমতাবস্থায় যদি তাদের কৃতকর্মের
দরুন বিপদ আরোপিত হয়, তবে তাতে
কি হল! অতঃপর তারা আপনার কাছে
আল্লাহর নামে কসম খেয়ে খেয়ে
ফিরে আসবে যে, মঙ্গল ও সম্প্রীতি
ছাড়া আমাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য
ছিল না।
[62] How then, when a catastrophe
befalls them because of what their hands
have sent forth, they come to you
swearing by Allâh, “We meant no more
than goodwill and conciliation!”
[63] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻌﻠَﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻣﺎ ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ﻓَﺄَﻋﺮِﺽ
ﻋَﻨﻬُﻢ ﻭَﻋِﻈﻬُﻢ ﻭَﻗُﻞ ﻟَﻬُﻢ ﻓﻰ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ﻗَﻮﻟًﺎ ﺑَﻠﻴﻐًﺎ
[63] এরা হলো সে সমস্ত লোক, যাদের
মনের গোপন বিষয় সম্পর্কেও আল্লাহ
তা’আলা অবগত। অতএব, আপনি ওদেরকে
উপেক্ষা করুন এবং ওদেরকে সদুপদেশ
দিয়ে এমন কোন কথা বলুন যা তাদের
জন্য কল্যাণকর।
[63] They (hypocrites) are those of whom
Allâh knows what is in their hearts; so
turn aside from them (do not punish
them) but admonish them, and speak to
them an effective word (i.e. to believe in
Allâh, worship Him, obey Him, and be
afraid of Him) to reach their innerselves
[64] ﻭَﻣﺎ ﺃَﺭﺳَﻠﻨﺎ ﻣِﻦ ﺭَﺳﻮﻝٍ ﺇِﻟّﺎ
ﻟِﻴُﻄﺎﻉَ ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻭَﻟَﻮ ﺃَﻧَّﻬُﻢ
ﺇِﺫ ﻇَﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ ﺟﺎﺀﻭﻙَ
ﻓَﺎﺳﺘَﻐﻔَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﺳﺘَﻐﻔَﺮَ
ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝُ ﻟَﻮَﺟَﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺗَﻮّﺍﺑًﺎ ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[64] বস্তুতঃ আমি একমাত্র এই
উদ্দেশ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি, যাতে
আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তাঁদের
আদেশ-নিষেধ মান্য করা হয়। আর সেসব
লোক যখন নিজেদের অনিষ্ট সাধন
করেছিল, তখন যদি আপনার কাছে আসত
অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
করত এবং রসূলও যদি তাদেরকে ক্ষমা
করিয়ে দিতেন। অবশ্যই তারা
আল্লাহকে ক্ষমাকারী, মেহেরবানরূপে
পেত।
[64] We sent no Messenger, but to be
obeyed by Allâh’s Leave. If they
(hypocrites), when they had been unjust
to themselves, had come to you
(Muhammad SAW) and begged Allâh’s
Forgiveness, and the Messenger had
begged forgiveness for them: indeed,
they would have found Allâh All-
Forgiving (One Who forgives and accepts
repentance), Most Merciful.
[65] ﻓَﻼ ﻭَﺭَﺑِّﻚَ ﻻ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
ﺣَﺘّﻰٰ ﻳُﺤَﻜِّﻤﻮﻙَ ﻓﻴﻤﺎ ﺷَﺠَﺮَ
ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﺛُﻢَّ ﻻ ﻳَﺠِﺪﻭﺍ ﻓﻰ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ﺣَﺮَﺟًﺎ ﻣِﻤّﺎ ﻗَﻀَﻴﺖَ
ﻭَﻳُﺴَﻠِّﻤﻮﺍ ﺗَﺴﻠﻴﻤًﺎ
[65] অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম,
সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না
তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে
তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না
করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার
ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম
সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা
হূষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।
[65] But no, by your Lord, they can have
no Faith, until they make you (O
Muhammad SAW) judge in all disputes
between them, and find in themselves no
resistance against your decisions, and
accept (them) with full submission.
[66] ﻭَﻟَﻮ ﺃَﻧّﺎ ﻛَﺘَﺒﻨﺎ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺃَﻥِ
ﺍﻗﺘُﻠﻮﺍ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ ﺃَﻭِ ﺍﺧﺮُﺟﻮﺍ
ﻣِﻦ ﺩِﻳٰﺮِﻛُﻢ ﻣﺎ ﻓَﻌَﻠﻮﻩُ ﺇِﻟّﺎ
ﻗَﻠﻴﻞٌ ﻣِﻨﻬُﻢ ۖ ﻭَﻟَﻮ ﺃَﻧَّﻬُﻢ ﻓَﻌَﻠﻮﺍ
ﻣﺎ ﻳﻮﻋَﻈﻮﻥَ ﺑِﻪِ ﻟَﻜﺎﻥَ ﺧَﻴﺮًﺍ
ﻟَﻬُﻢ ﻭَﺃَﺷَﺪَّ ﺗَﺜﺒﻴﺘًﺎ
[66] আর যদি আমি তাদের নির্দেশ
দিতাম যে, নিজেদের প্রাণ ধ্বংস করে
দাও কিংবা নিজেদের নগরী ছেড়ে
বেরিয়ে যাও, তবে তারা তা করত না;
অবশ্য তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন। যদি
তারা তাই করে যা তাদের উপদেশ
দেয়া হয়, তবে তা অবশ্যই তাদের জন্য
উত্তম এং তাদেরকে নিজের ধর্মের
উপর সুদৃঢ় রাখার জন্য তা উত্তম হবে।
[66] And if We had ordered them
(saying), “Kill yourselves (i.e. the
innnocent ones kill the guilty ones) or
leave your homes,” very few of them
would have done it; but if they had done
what they were told, it would have been
better for them, and would have
strengthened their (Faith);
[67] ﻭَﺇِﺫًﺍ ﻝَﺀﺍﺗَﻴﻨٰﻬُﻢ ﻣِﻦ ﻟَﺪُﻧّﺎ
ﺃَﺟﺮًﺍ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[67] আর তখন অবশ্যই আমি তাদেরকে
নিজের পক্ষ থেকে মহান সওয়াব দেব।
[67] And indeed We should then have
bestowed upon them a great reward
from Ourselves
[68] ﻭَﻟَﻬَﺪَﻳﻨٰﻬُﻢ ﺻِﺮٰﻃًﺎ
ﻣُﺴﺘَﻘﻴﻤًﺎ
[68] আর তাদেরকে সরল পথে
পরিচালিত করব।
[68] And indeed We should have guided
them to a Straight Way
[69] ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ
ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻣَﻊَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃَﻧﻌَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲّۦﻥَ
ﻭَﺍﻟﺼِّﺪّﻳﻘﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪﺍﺀِ
ﻭَﺍﻟﺼّٰﻠِﺤﻴﻦَ ۚ ﻭَﺣَﺴُﻦَ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﺭَﻓﻴﻘًﺎ
[69] আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং
তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে
যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান
করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা
হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল
ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল
উত্তম।
[69] And whoso obeys Allâh and the
Messenger (Muhammad SAW), then they
will be in the company of those on whom
Allâh has bestowed His Grace, of the
Prophets, the Siddiqûn (those followers
of the Prophets who were first and
foremost to believe in them, like Abu
Bakr As¬Siddiq radhiallahu’anhu), the
martyrs, and the righteous. And how
excellent these companions are!
[70] ﺫٰﻟِﻚَ ﺍﻟﻔَﻀﻞُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ
ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ
[70] এটা হল আল্লাহ-প্রদত্ত মহত্ত্ব। আর
আল্লাহ যথেষ্ট পরিজ্ঞাত।
[70] Such is the Bounty from Allâh, and
Allâh is Sufficient as All¬Knower.
[71] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﺧُﺬﻭﺍ ﺣِﺬﺭَﻛُﻢ ﻓَﺎﻧﻔِﺮﻭﺍ ﺛُﺒﺎﺕٍ
ﺃَﻭِ ﺍﻧﻔِﺮﻭﺍ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ
[71] হে ঈমানদারগণ! নিজেদের অস্ত্র
তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে
কিংবা সমবেতভাবে বেরিয়ে পড়।
[71] O you who believe! Take your
precautions, and either go forth (on an
expedition) in parties, or go forth all
together.
[72] ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻟَﻤَﻦ ﻟَﻴُﺒَﻄِّﺌَﻦَّ
ﻓَﺈِﻥ ﺃَﺻٰﺒَﺘﻜُﻢ ﻣُﺼﻴﺒَﺔٌ ﻗﺎﻝَ
ﻗَﺪ ﺃَﻧﻌَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻰَّ ﺇِﺫ ﻟَﻢ ﺃَﻛُﻦ
ﻣَﻌَﻬُﻢ ﺷَﻬﻴﺪًﺍ
[72] আর তোমাদের মধ্যে এমনও কেউ
কেউ রয়েছে, যারা অবশ্য বিলম্ব করবে
এবং তোমাদের উপর কোন বিপদ
উপস্থিত হলে বলবে, আল্লাহ আমার
প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, আমি তাদের
সাথে যাইনি।
[72] There is certainly among you he
who would linger behind (from fighting
in Allâh’s Cause). If a misfortune befalls
you, he says, “Indeed Allâh has favoured
me in that I was not present among
them.”
[73] ﻭَﻟَﺌِﻦ ﺃَﺻٰﺒَﻜُﻢ ﻓَﻀﻞٌ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﻴَﻘﻮﻟَﻦَّ ﻛَﺄَﻥ ﻟَﻢ ﺗَﻜُﻦ
ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﻭَﺑَﻴﻨَﻪُ ﻣَﻮَﺩَّﺓٌ ﻳٰﻠَﻴﺘَﻨﻰ
ﻛُﻨﺖُ ﻣَﻌَﻬُﻢ ﻓَﺄَﻓﻮﺯَ ﻓَﻮﺯًﺍ
ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[73] পক্ষান্তরে তোমাদের প্রতি
আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন অনুগ্রহ
আসলে তারা এমন ভাবে বলতে শুরু
করবে যেন তোমাদের মধ্যে এবং
তাদের মধ্যে কোন মিত্রতাই ছিল না।
(বলবে) হায়, আমি যদি তাদের সাথে
থাকতাম, তাহলে আমি ও যে সফলতা
লাভ করতাম।
[73] But if a bounty (victory and booty)
comes to you from Allâh, he would surely
say – as if there had never been ties of
affection between you and him – “Oh! I
wish I had been with them; then I would
have achieved a great success ( a good
share of booty).”
[74] ۞ ﻓَﻠﻴُﻘٰﺘِﻞ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺸﺮﻭﻥَ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓَ
ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﺑِﺎﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ۚ ﻭَﻣَﻦ
ﻳُﻘٰﺘِﻞ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻴُﻘﺘَﻞ
ﺃَﻭ ﻳَﻐﻠِﺐ ﻓَﺴَﻮﻑَ ﻧُﺆﺗﻴﻪِ ﺃَﺟﺮًﺍ
ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[74] কাজেই আল্লাহর কাছে যারা
পার্থিব জীবনকে আখেরাতের
পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের
জেহাদ করাই কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা
আল্লাহর রাহে লড়াই করে এবং
অতঃপর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয়
অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুণ্য
দান করব।
[74] Let those (believers) who sell the life
of this world for the Hereafter fight in
the Cause of Allâh, and whoso fights in
the Cause of Allâh, and is killed or gets
victory, We shall bestow on him a great
reward.
[75] ﻭَﻣﺎ ﻟَﻜُﻢ ﻻ ﺗُﻘٰﺘِﻠﻮﻥَ ﻓﻰ
ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻤُﺴﺘَﻀﻌَﻔﻴﻦَ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮِّﺟﺎﻝِ ﻭَﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ
ﻭَﺍﻟﻮِﻟﺪٰﻥِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺭَﺑَّﻨﺎ
ﺃَﺧﺮِﺟﻨﺎ ﻣِﻦ ﻫٰﺬِﻩِ ﺍﻟﻘَﺮﻳَﺔِ
ﺍﻟﻈّﺎﻟِﻢِ ﺃَﻫﻠُﻬﺎ ﻭَﺍﺟﻌَﻞ ﻟَﻨﺎ ﻣِﻦ
ﻟَﺪُﻧﻚَ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻭَﺍﺟﻌَﻞ ﻟَﻨﺎ ﻣِﻦ
ﻟَﺪُﻧﻚَ ﻧَﺼﻴﺮًﺍ
[75] আর তোমাদের কি হল যে,
তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না
দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে,
যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা!
আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি
দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে,
অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে
আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী
নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ
থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী
নির্ধারণ করে দাও।
[75] And what is wrong with you that
you fight not in the Cause of Allâh, and
for those weak, ill¬treated and oppressed
among men, women, and children,
whose cry is: “Our Lord! Rescue us from
this town whose people are oppressors;
and raise for us from You one who will
protect, and raise for us from You one
who will help.”
[76] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻳُﻘٰﺘِﻠﻮﻥَ
ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻳُﻘٰﺘِﻠﻮﻥَ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ
ﺍﻟﻄّٰﻐﻮﺕِ ﻓَﻘٰﺘِﻠﻮﺍ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَ
ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦِ ۖ ﺇِﻥَّ ﻛَﻴﺪَ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦِ
ﻛﺎﻥَ ﺿَﻌﻴﻔًﺎ
[76] যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ
করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে
যারা কাফের তারা লড়াই করে
শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা
জেহাদ করতে থাক শয়তানের
পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে)
শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল।
[76] Those who believe, fight in the
Cause of Allâh, and those who disbelieve,
fight in the cause of Tâghût (Satan,). So
fight you against the friends of Shaitân
(Satan); Ever feeble indeed is the plot of
Shaitân (Satan).
[77] ﺃَﻟَﻢ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﻴﻞَ
ﻟَﻬُﻢ ﻛُﻔّﻮﺍ ﺃَﻳﺪِﻳَﻜُﻢ ﻭَﺃَﻗﻴﻤُﻮﺍ
ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻭَﺀﺍﺗُﻮﺍ ﺍﻟﺰَّﻛﻮٰﺓَ ﻓَﻠَﻤّﺎ
ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢُ ﺍﻟﻘِﺘﺎﻝُ ﺇِﺫﺍ
ﻓَﺮﻳﻖٌ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻳَﺨﺸَﻮﻥَ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ
ﻛَﺨَﺸﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻭ ﺃَﺷَﺪَّ ﺧَﺸﻴَﺔً ۚ
ﻭَﻗﺎﻟﻮﺍ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻟِﻢَ ﻛَﺘَﺒﺖَ ﻋَﻠَﻴﻨَﺎ
ﺍﻟﻘِﺘﺎﻝَ ﻟَﻮﻻ ﺃَﺧَّﺮﺗَﻨﺎ ﺇِﻟﻰٰ ﺃَﺟَﻞٍ
ﻗَﺮﻳﺐٍ ۗ ﻗُﻞ ﻣَﺘٰﻊُ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻗَﻠﻴﻞٌ
ﻭَﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓُ ﺧَﻴﺮٌ ﻟِﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘﻰٰ
ﻭَﻻ ﺗُﻈﻠَﻤﻮﻥَ ﻓَﺘﻴﻠًﺎ
[77] তুমি কি সেসব লোককে দেখনি,
যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে,
তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ,
নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে
থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি
জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ
তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয়
করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা
হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও
অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায়
পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ
ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও
কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। ( হে
রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব
ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত
পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর
তোমাদের অধিকার একটি সূতা
পরিমান ও খর্ব করা হবে না।
[77] Have you not seen those who were
told to hold back their hands (from
fighting) and perform As-Salât (Iqâmat-
as-Salât), and give Zakât but when the
fighting was ordained for them, behold!
a section of them fear men as they fear
Allâh or even more. They say: “Our Lord!
Why have you ordained for us fighting?
Would that You had granted us respite
for a short period?” Say: “Short is the
enjoyment of this world. The Hereafter is
(far) better for him who fears Allâh, and
you shall not be dealt with unjustly even
equal to a scalish thread in the long slit
of a date-stone.
[78] ﺃَﻳﻨَﻤﺎ ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﻳُﺪﺭِﻛﻜُﻢُ
ﺍﻟﻤَﻮﺕُ ﻭَﻟَﻮ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻓﻰ ﺑُﺮﻭﺝٍ
ﻣُﺸَﻴَّﺪَﺓٍ ۗ ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺼِﺒﻬُﻢ ﺣَﺴَﻨَﺔٌ
ﻳَﻘﻮﻟﻮﺍ ﻫٰﺬِﻩِ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ
ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺼِﺒﻬُﻢ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻳَﻘﻮﻟﻮﺍ
ﻫٰﺬِﻩِ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِﻙَ ۚ ﻗُﻞ ﻛُﻞٌّ ﻣِﻦ
ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻓَﻤﺎﻝِ ﻫٰﺆُﻻﺀِ ﺍﻟﻘَﻮﻡِ
ﻻ ﻳَﻜﺎﺩﻭﻥَ ﻳَﻔﻘَﻬﻮﻥَ ﺣَﺪﻳﺜًﺎ
[78] তোমরা যেখানেই থাক না কেন;
মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও
করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের
ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও। বস্তুতঃ
তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে
তারা বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে
আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের
কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে, এটা
হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে, বলে দাও,
এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। পক্ষান্তরে
তাদের পরিণতি কি হবে, যারা কখনও
কোন কথা বুঝতে চেষ্টা করে না।
[78] “Wheresoever you may be, death
will overtake you even if you are in
fortresses built up strong and high!” And
if some good reaches them, they say,
“This is from Allâh,” but if some evil
befalls them, they say, “This is from you
(O Muhammad SAW).” Say: “All things
are from Allâh,” so what is wrong with
these people that they fail to understand
any word?
[79] ﻣﺎ ﺃَﺻﺎﺑَﻚَ ﻣِﻦ ﺣَﺴَﻨَﺔٍ
ﻓَﻤِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻭَﻣﺎ ﺃَﺻﺎﺑَﻚَ ﻣِﻦ
ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﻓَﻤِﻦ ﻧَﻔﺴِﻚَ ۚ ﻭَﺃَﺭﺳَﻠﻨٰﻚَ
ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﺭَﺳﻮﻟًﺎ ۚ ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﺷَﻬﻴﺪًﺍ
[79] আপনার যে কল্যাণ হয়, তা হয়
আল্লাহর পক্ষ থেকে আর আপনার যে
অকল্যাণ হয়, সেটা হয় আপনার নিজের
কারণে। আর আমি আপনাকে
পাঠিয়েছি মানুষের প্রতি আমার
পয়গামের বাহক হিসাবে। আর আল্লাহ
সব বিষয়েই যথেষ্ট-সববিষয়ই তাঁর
সম্মুখে উপস্থিত।
[79] Whatever of good reaches you, is
from Allâh, but whatever of evil befalls
you, is from yourself. And We have sent
you (O Muhammad SAW) as a Messenger
to mankind, and Allâh is Sufficient as a
Witness.
[80] ﻣَﻦ ﻳُﻄِﻊِ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ ﻓَﻘَﺪ
ﺃَﻃﺎﻉَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۖ ﻭَﻣَﻦ ﺗَﻮَﻟّﻰٰ ﻓَﻤﺎ
ﺃَﺭﺳَﻠﻨٰﻚَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺣَﻔﻴﻈًﺎ
[80] যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে
সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে
লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি
আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য
রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে
পাঠাইনি।
[80] He who obeys the Messenger
(Muhammad SAW), has indeed obeyed
Allâh, but he who turns away, then we
have not sent you (O Muhammad SAW)
as a watcher over them.
[81] ﻭَﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻃﺎﻋَﺔٌ ﻓَﺈِﺫﺍ
ﺑَﺮَﺯﻭﺍ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِﻙَ ﺑَﻴَّﺖَ ﻃﺎﺋِﻔَﺔٌ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﻏَﻴﺮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺗَﻘﻮﻝُ ۖ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻳَﻜﺘُﺐُ ﻣﺎ ﻳُﺒَﻴِّﺘﻮﻥَ ۖ ﻓَﺄَﻋﺮِﺽ
ﻋَﻨﻬُﻢ ﻭَﺗَﻮَﻛَّﻞ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ
ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻛﻴﻠًﺎ
[81] আর তারা বলে, আপনার আনুগত্য
করি। অতঃপর আপনার নিকট থেকে
বেরিয়ে গেলেই তাদের মধ্য থেকে
কেউ কেউ পরামর্শ করে রাতের বেলায়
সে কথার পরিপন্থী যা তারা আপনার
সাথে বলেছিল। আর আল্লাহ লিখে
নেন, সে সব পরামর্শ যা তারা করে
থাকে। সুতরাং আপনি তাদের
ব্যাপারে নিস্পৃহতা অবলম্বন করুন এবং
ভরসা করুন আল্লাহর উপর, আল্লাহ হলেন
যথেষ্ট ও কার্যসম্পাদনকারী।
[81] They say: “We are obedient,” but
when they leave you (Muhammad SAW),
a section of them spend all night in
planning other than what you say. But
Allâh records their nightly (plots). So
turn aside from them (do not punish
them), and put your trust in Allâh. And
Allâh is Ever All¬Sufficient as a Disposer
of affairs.
[82] ﺃَﻓَﻼ ﻳَﺘَﺪَﺑَّﺮﻭﻥَ ﺍﻟﻘُﺮﺀﺍﻥَ ۚ
ﻭَﻟَﻮ ﻛﺎﻥَ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ ﻏَﻴﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻟَﻮَﺟَﺪﻭﺍ ﻓﻴﻪِ ﺍﺧﺘِﻠٰﻔًﺎ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ
[82] এরা কি লক্ষ্য করে না
কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা
যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ
থেকে হত, তবে এতো অবশ্যই বহু
বৈপরিত্য দেখতে পেত।
[82] Do they not then consider the
Qur’ân carefully? Had it been from other
than Allâh, they would surely have found
therein many contradictions.
[83] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺟﺎﺀَﻫُﻢ ﺃَﻣﺮٌ ﻣِﻦَ
ﺍﻷَﻣﻦِ ﺃَﻭِ ﺍﻟﺨَﻮﻑِ ﺃَﺫﺍﻋﻮﺍ ﺑِﻪِ ۖ
ﻭَﻟَﻮ ﺭَﺩّﻭﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝِ ﻭَﺇِﻟﻰٰ
ﺃُﻭﻟِﻰ ﺍﻷَﻣﺮِ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻟَﻌَﻠِﻤَﻪُ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺴﺘَﻨﺒِﻄﻮﻧَﻪُ ﻣِﻨﻬُﻢ ۗ
ﻭَﻟَﻮﻻ ﻓَﻀﻞُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻭَﺭَﺣﻤَﺘُﻪُ ﻟَﺎﺗَّﺒَﻌﺘُﻢُ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦَ ﺇِﻟّﺎ
ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
[83] আর যখন তাদের কছে পৌঁছে কোন
সংবাদ শান্তি-সংক্রান্ত কিংবা
ভয়ের, তখন তারা সেগুলোকে রটিয়ে
দেয়। আর যদি সেগুলো পৌঁছে দিত
রসূল পর্যন্ত কিংবা তাদের শাসকদের
পর্যন্ত, তখন অনুসন্ধান করে দেখা যেত
সেসব বিষয়, যা তাতে রয়েছে
অনুসন্ধান করার মত। বস্তুতঃ আল্লাহর
অনুগ্রহ ও করুণা যদি তোমাদের উপর
বিদ্যমান না থাকত তবে তোমাদের
অল্প কতিপয় লোক ব্যতীত সবাই
শয়তানের অনুসরণ করতে শুরু করত!
[83] When there comes to them some
matter touching (public) safety or fear,
they make it known (among the people),
if only they had referred it to the
Messenger or to those charged with
authority among them, the proper
investigators would have understood it
from them (directly). Had it not been for
the Grace and Mercy of Allâh upon you,
you would have followed Shaitân (Satan),
save a few of you.
[84] ﻓَﻘٰﺘِﻞ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻻ
ﺗُﻜَﻠَّﻒُ ﺇِﻟّﺎ ﻧَﻔﺴَﻚَ ۚ ﻭَﺣَﺮِّﺽِ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ۖ ﻋَﺴَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻥ
ﻳَﻜُﻒَّ ﺑَﺄﺱَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ۚ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺷَﺪُّ ﺑَﺄﺳًﺎ ﻭَﺃَﺷَﺪُّ ﺗَﻨﻜﻴﻠًﺎ
[84] আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন,
আপনি নিজের সত্তা ব্যতীত অন্য
কোন বিষয়ের যিম্মাদার নন! আর
আপনি মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করতে
থাকুন। শীঘ্রই আল্লাহ কাফেরদের
শক্তি-সামর্থ খর্ব করে দেবেন। আর
আল্লাহ শক্তি-সামর্থের দিক দিয়ে
অত্যন্ত কঠোর এবং কঠিন
শাস্তিদাতা।
[84] Then fight (O Muhammad SAW) in
the Cause of Allâh, you are not tasked
(held responsible) except for yourself,
and incite the believers (to fight along
with you), it may be that Allâh will
restrain the evil might of the
disbelievers. And Allâh is Stronger in
Might and Stronger in punishing.
[85] ﻣَﻦ ﻳَﺸﻔَﻊ ﺷَﻔٰﻌَﺔً ﺣَﺴَﻨَﺔً
ﻳَﻜُﻦ ﻟَﻪُ ﻧَﺼﻴﺐٌ ﻣِﻨﻬﺎ ۖ ﻭَﻣَﻦ
ﻳَﺸﻔَﻊ ﺷَﻔٰﻌَﺔً ﺳَﻴِّﺌَﺔً ﻳَﻜُﻦ ﻟَﻪُ
ﻛِﻔﻞٌ ﻣِﻨﻬﺎ ۗ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ
ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻣُﻘﻴﺘًﺎ
[85] যে লোক সৎকাজের জন্য কোন
সুপারিশ করবে, তা থেকে সেও একটি
অংশ পাবে। আর যে লোক সুপারিশ
করবে মন্দ কাজের জন্যে সে তার
বোঝারও একটি অংশ পাবে। বস্তুতঃ
আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।
[85] Whosoever intercedes for a good
cause will have the reward thereof, and
whosoever intercedes for an evil cause
will have a share in its burden. And
Allâh is Ever All-Able to do (and also an
All-Witness to) everything.
[86] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺣُﻴّﻴﺘُﻢ ﺑِﺘَﺤِﻴَّﺔٍ
ﻓَﺤَﻴّﻮﺍ ﺑِﺄَﺣﺴَﻦَ ﻣِﻨﻬﺎ ﺃَﻭ
ﺭُﺩّﻭﻫﺎ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ
ﺷَﻲﺀٍ ﺣَﺴﻴﺒًﺎ
[86] আর তোমাদেরকে যদি কেউ
দোয়া করে, তাহলে তোমরাও তার
জন্য দোয়া কর; তারচেয়ে উত্তম
দোয়া অথবা তারই মত ফিরিয়ে বল।
নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব-
নিকাশ গ্রহণকারী।
[86] When you are greeted with a
greeting, greet in return with what is
better than it, or (at least) return it
equally. Certainly, Allâh is Ever a Careful
Account Taker of all things.
[87] ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟّﺎ ﻫُﻮَ ۚ
ﻟَﻴَﺠﻤَﻌَﻨَّﻜُﻢ ﺇِﻟﻰٰ ﻳَﻮﻡِ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ
ﻻ ﺭَﻳﺐَ ﻓﻴﻪِ ۗ ﻭَﻣَﻦ ﺃَﺻﺪَﻕُ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺣَﺪﻳﺜًﺎ
[87] আল্লাহ ব্যতীত আর কোনোই
উপাস্য নেই। অবশ্যই তিনি
তোমাদেরকে সমবেত করবেন
কেয়ামতের দিন, এতে বিন্দুমাত্র
সন্দেহ নেই। তাছাড়া আল্লাহর চাইতে
বেশী সত্য কথা আর কার হবে!
[87] Allâh! Lâ ilâha illa Huwa (none has
the right to be worshipped but He).
Surely, He will gather you together on
the Day of Resurrection about which
there is no doubt. And who is truer in
statement than Allâh?
[88] ۞ ﻓَﻤﺎ ﻟَﻜُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻟﻤُﻨٰﻔِﻘﻴﻦَ ﻓِﺌَﺘَﻴﻦِ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺃَﺭﻛَﺴَﻬُﻢ ﺑِﻤﺎ ﻛَﺴَﺒﻮﺍ ۚ
ﺃَﺗُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﺃَﻥ ﺗَﻬﺪﻭﺍ ﻣَﻦ ﺃَﺿَﻞَّ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ۖ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻀﻠِﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓَﻠَﻦ
ﺗَﺠِﺪَ ﻟَﻪُ ﺳَﺒﻴﻠًﺎ
[88] অতঃপর তোমাদের কি হল যে,
মুনাফিকদের সম্পর্কে তোমরা দু’দল
হয়ে গেলে? অথচ আল্লাহ তা’আলা
তাদেরকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন তাদের
মন্দ কাজের কারনে! তোমরা কি
তাদেরকে পথ প্রদর্শন করতে চাও,
যাদেরকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেছেন?
আল্লাহ যাকে পথভ্রান্ত করেন, তুমি
তার জন্য কোন পথ পাবে না।
[88] Then what is the matter with you
that you are divided into two parties
about the hypocrites? Allâh has cast
them back (to disbelief) because of what
they have earned. Do you want to guide
him whom Allâh has made to go astray?
And he whom Allâh has made to go
astray, you will never find for him any
way (of guidance).
[89] ﻭَﺩّﻭﺍ ﻟَﻮ ﺗَﻜﻔُﺮﻭﻥَ ﻛَﻤﺎ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻓَﺘَﻜﻮﻧﻮﻥَ ﺳَﻮﺍﺀً ۖ ﻓَﻼ
ﺗَﺘَّﺨِﺬﻭﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَ ﺣَﺘّﻰٰ
ﻳُﻬﺎﺟِﺮﻭﺍ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ
ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻓَﺨُﺬﻭﻫُﻢ
ﻭَﺍﻗﺘُﻠﻮﻫُﻢ ﺣَﻴﺚُ
ﻭَﺟَﺪﺗُﻤﻮﻫُﻢ ۖ ﻭَﻻ ﺗَﺘَّﺨِﺬﻭﺍ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻭَﻻ ﻧَﺼﻴﺮًﺍ
[89] তারা চায় যে, তারা যেমন
কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে
যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব
সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে
কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে
পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত
করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা
বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর
এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের
মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না
এবং সাহায্যকারী বানিও না।
[89] They wish that you reject Faith, as
they have rejected (Faith), and thus that
you all become equal (like one another).
So take not Auliyâ’ (protectors or
friends) from them, till they emigrate in
the Way of Allâh (to Muhammad SAW).
But if they turn back (from Islâm), take
(hold of) them and kill them wherever
you find them, and take neither
Auliyâ’ (protectors or friends) nor
helpers from them.
[90] ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺼِﻠﻮﻥَ ﺇِﻟﻰٰ
ﻗَﻮﻡٍ ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﻭَﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﻣﻴﺜٰﻖٌ ﺃَﻭ
ﺟﺎﺀﻭﻛُﻢ ﺣَﺼِﺮَﺕ ﺻُﺪﻭﺭُﻫُﻢ
ﺃَﻥ ﻳُﻘٰﺘِﻠﻮﻛُﻢ ﺃَﻭ ﻳُﻘٰﺘِﻠﻮﺍ
ﻗَﻮﻣَﻬُﻢ ۚ ﻭَﻟَﻮ ﺷﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟَﺴَﻠَّﻄَﻬُﻢ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻓَﻠَﻘٰﺘَﻠﻮﻛُﻢ ۚ
ﻓَﺈِﻥِ ﺍﻋﺘَﺰَﻟﻮﻛُﻢ ﻓَﻠَﻢ ﻳُﻘٰﺘِﻠﻮﻛُﻢ
ﻭَﺃَﻟﻘَﻮﺍ ﺇِﻟَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﺴَّﻠَﻢَ ﻓَﻤﺎ
ﺟَﻌَﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺳَﺒﻴﻠًﺎ
[90] কিন্তু যারা এমন সম্প্রদায়ের
সাথে মিলিত হয় যে, তোমাদের মধ্যে
ও তাদের মধ্যে চুক্তি আছে অথবা
তোমাদের কাছে এভাবে আসে যে,
তাদের অন্তর তোমাদের সাথে এবং
স্বজাতির সাথেও যুদ্ধ করতে অনিচ্ছুক।
যদি আল্লাহ ইচ্ছে করতেন, তবে
তোমাদের উপর তাদেরকে প্রবল করে
দিতেন। ফলে তারা অবশ্যই তোমাদের
সাথে যুদ্ধ করত। অতঃপর যদি তারা
তোমাদের থেকে পৃথক থাকে
তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে এবং
তোমাদের সাথে সন্ধি করে, তবে
আল্লাহ তোমাদের কে তাদের
বিরুদ্ধে কোন পথ দেননি।
[90] Except those who join a group,
between you and whom there is a treaty
(of peace), or those who approach you
with their breasts restraining from
fighting you as well as fighting their own
people. Had Allâh willed, indeed He
would have given them power over you,
and they would have fought you. So if
they withdraw from you, and fight not
against you, and offer you peace, then
Allâh has opened no way for you against
them.
[91] ﺳَﺘَﺠِﺪﻭﻥَ ﺀﺍﺧَﺮﻳﻦَ
ﻳُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﺃَﻥ ﻳَﺄﻣَﻨﻮﻛُﻢ
ﻭَﻳَﺄﻣَﻨﻮﺍ ﻗَﻮﻣَﻬُﻢ ﻛُﻞَّ ﻣﺎ ﺭُﺩّﻭﺍ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻔِﺘﻨَﺔِ ﺃُﺭﻛِﺴﻮﺍ ﻓﻴﻬﺎ ۚ
ﻓَﺈِﻥ ﻟَﻢ ﻳَﻌﺘَﺰِﻟﻮﻛُﻢ ﻭَﻳُﻠﻘﻮﺍ
ﺇِﻟَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﺴَّﻠَﻢَ ﻭَﻳَﻜُﻔّﻮﺍ ﺃَﻳﺪِﻳَﻬُﻢ
ﻓَﺨُﺬﻭﻫُﻢ ﻭَﺍﻗﺘُﻠﻮﻫُﻢ ﺣَﻴﺚُ
ﺛَﻘِﻔﺘُﻤﻮﻫُﻢ ۚ ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻜُﻢ ﺟَﻌَﻠﻨﺎ
ﻟَﻜُﻢ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺳُﻠﻄٰﻨًﺎ ﻣُﺒﻴﻨًﺎ
[91] এখন তুমি আরও এক সম্প্রদায়কে
পাবে। তারা তোমাদের কাছেও
স্বজাতির কাছেও এবং নির্বিঘ্ন হয়ে
থাকতে চায়। যখন তাদেরকে
ফ্যাসাদের প্রতি মনোনিবেশ
করানো হয়, তখন তারা তাতে নিপতিত
হয়, অতএব তারা যদি তোমাদের থেকে
নিবৃত্ত না হয়, তোমাদের সাথে সন্ধি
না রাখে এবং স্বীয় হস্তসমূহকে বিরত
না রাখে, তবে তোমরা তাদেরকে
পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা
কর। আমি তাদের বিরুদ্ধে
তোমাদেরকে প্রকাশ্য যুক্তি-প্রমাণ
দান করেছি।
[91] You will find others that wish to
have security from you and security
from their people. Every time they are
sent back to temptation, they yield
thereto. If they withdraw not from you,
nor offer you peace, nor restrain their
hands, take (hold of) them and kill them
wherever you find them. In their case,
We have provided you with a clear
warrant against them.
[92] ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻟِﻤُﺆﻣِﻦٍ ﺃَﻥ ﻳَﻘﺘُﻞَ
ﻣُﺆﻣِﻨًﺎ ﺇِﻟّﺎ ﺧَﻄَـًٔﺎ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻗَﺘَﻞَ
ﻣُﺆﻣِﻨًﺎ ﺧَﻄَـًٔﺎ ﻓَﺘَﺤﺮﻳﺮُ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ
ﻣُﺆﻣِﻨَﺔٍ ﻭَﺩِﻳَﺔٌ ﻣُﺴَﻠَّﻤَﺔٌ ﺇِﻟﻰٰ
ﺃَﻫﻠِﻪِ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ ﻳَﺼَّﺪَّﻗﻮﺍ ۚ ﻓَﺈِﻥ
ﻛﺎﻥَ ﻣِﻦ ﻗَﻮﻡٍ ﻋَﺪُﻭٍّ ﻟَﻜُﻢ ﻭَﻫُﻮَ
ﻣُﺆﻣِﻦٌ ﻓَﺘَﺤﺮﻳﺮُ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ ﻣُﺆﻣِﻨَﺔٍ ۖ
ﻭَﺇِﻥ ﻛﺎﻥَ ﻣِﻦ ﻗَﻮﻡٍ ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ
ﻭَﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ﻣﻴﺜٰﻖٌ ﻓَﺪِﻳَﺔٌ ﻣُﺴَﻠَّﻤَﺔٌ
ﺇِﻟﻰٰ ﺃَﻫﻠِﻪِ ﻭَﺗَﺤﺮﻳﺮُ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ
ﻣُﺆﻣِﻨَﺔٍ ۖ ﻓَﻤَﻦ ﻟَﻢ ﻳَﺠِﺪ
ﻓَﺼِﻴﺎﻡُ ﺷَﻬﺮَﻳﻦِ ﻣُﺘَﺘﺎﺑِﻌَﻴﻦِ
ﺗَﻮﺑَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠﻴﻤًﺎ ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[92] মুসলমানের কাজ নয় যে,
মুসলমানকে হত্যা করে; কিন্তু ভুলক্রমে।
যে ব্যক্তি মুসলমানকে ভূলক্রমে হত্যা
করে, সে একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত
করবে এবং রক্ত বিনিময় সমর্পন করবে
তার স্বজনদেরকে; কিন্তু যদি তারা
ক্ষমা করে দেয়। অতঃপর যদি নিহত
ব্যক্তি তোমাদের শত্রু সম্প্রদায়ের
অন্তর্গত হয়, তবে মুসলমান ক্রীতদাস
মুক্ত করবে এবং যদি সে তোমাদের
সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন সম্প্রদায়ের
অন্তর্গত হয়, তবে রক্ত বিনিময় সমর্পণ
করবে তার স্বজনদেরকে এবং একজন
মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে। অতঃপর
যে ব্যক্তি না পায়, সে আল্লাহর কাছ
থেকে গোনাহ মাফ করানোর জন্যে
উপর্যুপুরি দুই মাস রোযা রাখবে।
আল্লাহ, মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
[92] It is not for a believer to kill a
believer except (that it be) by mistake,
and whosoever kills a believer by
mistake, (it is ordained that) he must set
free a believing slave and a
compensation (blood money, i.e Diya) be
given to the deceased’s family, unless
they remit it. If the deceased belonged to
a people at war with you and he was a
believer; the freeing of a believing slave
(is prescribed), and if he belonged to a
people with whom you have a treaty of
mutual alliance, compensation (blood
money – Diya) must be paid to his
family, and a believing slave must be
freed. And whoso finds this (the penance
of freeing a slave) beyond his means, he
must fast for two consecutive months in
order to seek repentance from Allâh.
And Allâh is Ever All¬Knowing,
All¬Wise.
[93] ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻘﺘُﻞ ﻣُﺆﻣِﻨًﺎ
ﻣُﺘَﻌَﻤِّﺪًﺍ ﻓَﺠَﺰﺍﺅُﻩُ ﺟَﻬَﻨَّﻢُ ﺧٰﻠِﺪًﺍ
ﻓﻴﻬﺎ ﻭَﻏَﻀِﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴﻪِ
ﻭَﻟَﻌَﻨَﻪُ ﻭَﺃَﻋَﺪَّ ﻟَﻪُ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[93] যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে
মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি
জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল
থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ
হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন
এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত
রেখেছেন।
[93] And whoever kills a believer
intentionally, his recompense is Hell to
abide therein, and the Wrath and the
Curse of Allâh are upon him, and a great
punishment is prepared for him.
[94] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺇِﺫﺍ
ﺿَﺮَﺑﺘُﻢ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻓَﺘَﺒَﻴَّﻨﻮﺍ ﻭَﻻ ﺗَﻘﻮﻟﻮﺍ ﻟِﻤَﻦ ﺃَﻟﻘﻰٰ
ﺇِﻟَﻴﻜُﻢُ ﺍﻟﺴَّﻠٰﻢَ ﻟَﺴﺖَ ﻣُﺆﻣِﻨًﺎ
ﺗَﺒﺘَﻐﻮﻥَ ﻋَﺮَﺽَ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ
ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻓَﻌِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣَﻐﺎﻧِﻢُ
ﻛَﺜﻴﺮَﺓٌ ۚ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ
ﻓَﻤَﻦَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻓَﺘَﺒَﻴَّﻨﻮﺍ ۚ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺧَﺒﻴﺮًﺍ
[94] হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন
আল্লাহর পথে সফর কর, তখন যাচাই করে
নিও এবং যে, তোমাদেরকে সালাম
করে তাকে বলো না যে, তুমি মুসলমান
নও। তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদ
অন্বেষণ কর, বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে
অনেক সম্পদ রয়েছে। তোমরা ও তো
এমনি ছিলে ইতিপূর্বে; অতঃপর
আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ
করেছেন। অতএব, এখন অনুসন্ধান করে
নিও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কাজ
কর্মের খবর রাখেন।
[94] O you who believe! When you go (to
fight) in the Cause of Allâh, verify (the
truth), and say not to anyone who greets
you (by embracing Islâm): “You are not a
believer”; seeking the perishable goods of
the worldly life. There are much more
profits and booties with Allâh. Even as
he is now, so were you yourselves before
till Allâh conferred on you His Favours
(i.e. guided you to Islâm), therefore, be
cautious in discrimination. Allâh is Ever
Well¬Aware of what you do.
[95] ﻻ ﻳَﺴﺘَﻮِﻯ ﺍﻟﻘٰﻌِﺪﻭﻥَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﻏَﻴﺮُ ﺃُﻭﻟِﻰ ﺍﻟﻀَّﺮَﺭِ
ﻭَﺍﻟﻤُﺠٰﻬِﺪﻭﻥَ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺑِﺄَﻣﻮٰﻟِﻬِﻢ ﻭَﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ۚ ﻓَﻀَّﻞَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻤُﺠٰﻬِﺪﻳﻦَ ﺑِﺄَﻣﻮٰﻟِﻬِﻢ
ﻭَﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻘٰﻌِﺪﻳﻦَ
ﺩَﺭَﺟَﺔً ۚ ﻭَﻛُﻠًّﺎ ﻭَﻋَﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺍﻟﺤُﺴﻨﻰٰ ۚ ﻭَﻓَﻀَّﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺍﻟﻤُﺠٰﻬِﺪﻳﻦَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻘٰﻌِﺪﻳﻦَ
ﺃَﺟﺮًﺍ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[95] গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান-যাদের
কোন সঙ্গত ওযর নেই এবং ঐ মুসলমান
যারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর
পথে জেহাদ করে,-সমান নয়। যারা জান
ও মাল দ্বারা জেহাদ করে, আল্লাহ
তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন
গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং
প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ কল্যাণের
ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ
মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপর মহান
প্রতিদানে শ্রেষ্ঠ করেছেন।
[95] Not equal are those of the believers
who sit (at home), except those who are
disabled (by injury or are blind or lame),
and those who strive hard and fight in
the Cause of Allâh with their wealth and
their lives. Allâh has preferred in grades
those who strive hard and fight with
their wealth and their lives above those
who sit (at home). Unto each, Allâh has
promised good (Paradise), but Allâh has
preferred those who strive hard and
fight, above those who sit (at home) by a
huge reward;
[96] ﺩَﺭَﺟٰﺖٍ ﻣِﻨﻪُ ﻭَﻣَﻐﻔِﺮَﺓً
ﻭَﺭَﺣﻤَﺔً ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔﻮﺭًﺍ
ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[96] এগুলো তাঁর পক্ষ থেকে
পদমর্যাদা, ক্ষমা ও করুণা; আল্লাহ
ক্ষমাশীল ও করুণাময়।
[96] Degrees of (higher) grades from
Him, and Forgiveness and Mercy. And
Allâh is Ever Oft¬Forgiving, Most
Merciful.
[97] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺗَﻮَﻓّﻯٰﻬُﻢُ
ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ ﻇﺎﻟِﻤﻰ ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻓﻴﻢَ ﻛُﻨﺘُﻢ ۖ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻛُﻨّﺎ
ﻣُﺴﺘَﻀﻌَﻔﻴﻦَ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺃَﻟَﻢ ﺗَﻜُﻦ ﺃَﺭﺽُ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭٰﺳِﻌَﺔً ﻓَﺘُﻬﺎﺟِﺮﻭﺍ ﻓﻴﻬﺎ ۚ
ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻣَﺄﻭﻯٰﻬُﻢ ﺟَﻬَﻨَّﻢُ ۖ
ﻭَﺳﺎﺀَﺕ ﻣَﺼﻴﺮًﺍ
[97] যারা নিজের অনিষ্ট করে,
ফেরেশতারা তাদের প্রাণ হরণ করে
বলে, তোমরা কি অবস্থায় ছিলে?
তারা বলেঃ এ ভূখন্ডে আমরা অসহায়
ছিলাম। ফেরেশতারা বলেঃ আল্লাহর
পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিল না যে,
তোমরা দেশত্যাগ করে সেখানে চলে
যেতে? অতএব, এদের বাসস্থান হল
জাহান্নাম এবং তা অত্যন্ত মন্দ স্থান।
[97] Verily! As for those whom the angels
take (in death) while they are wronging
themselves (as they stayed among the
disbelievers even though emigration was
obligatory for them), they (angels) say (to
them): “In what (condition) were you?”
They reply: “We were weak and
oppressed on earth.” They (angels) say:
“Was not the earth of Allâh spacious
enough for you to emigrate therein?”
Such men will find their abode in Hell –
What an evil destination!
[98] ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻤُﺴﺘَﻀﻌَﻔﻴﻦَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺮِّﺟﺎﻝِ ﻭَﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ ﻭَﺍﻟﻮِﻟﺪٰﻥِ ﻻ
ﻳَﺴﺘَﻄﻴﻌﻮﻥَ ﺣﻴﻠَﺔً ﻭَﻻ
ﻳَﻬﺘَﺪﻭﻥَ ﺳَﺒﻴﻠًﺎ
[98] কিন্তু পুরুষ, নারী ও শিশুদের মধ্যে
যারা অসহায়, তারা কোন উপায় করতে
পারে না এবং পথও জানে না।
[98] Except the weak ones among men,
women and children who cannot devise
a plan, nor are they able to direct their
way.
[99] ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻋَﺴَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻥ
ﻳَﻌﻔُﻮَ ﻋَﻨﻬُﻢ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻔُﻮًّﺍ
ﻏَﻔﻮﺭًﺍ
[99] অতএব, আশা করা যায়, আল্লাহ
তাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ
মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল।
[99] These are they whom Allâh is likely
to forgive them, and Allâh is Ever Oft-
Pardoning, Oft-Forgiving.
[100] ۞ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻬﺎﺟِﺮ ﻓﻰ
ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳَﺠِﺪ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﻣُﺮٰﻏَﻤًﺎ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻭَﺳَﻌَﺔً ۚ ﻭَﻣَﻦ
ﻳَﺨﺮُﺝ ﻣِﻦ ﺑَﻴﺘِﻪِ ﻣُﻬﺎﺟِﺮًﺍ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭَﺳﻮﻟِﻪِ ﺛُﻢَّ ﻳُﺪﺭِﻛﻪُ
ﺍﻟﻤَﻮﺕُ ﻓَﻘَﺪ ﻭَﻗَﻊَ ﺃَﺟﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔﻮﺭًﺍ ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[100] যে কেউ আল্লাহর পথে দেশত্যাগ
করে, সে এর বিনিময়ে অনেক স্থান ও
সচ্ছলতা প্রাপ্ত হবে। যে কেউ নিজ গৃহ
থেকে বের হয় আল্লাহ ও রসূলের প্রতি
হিজরত করার উদ্দেশে, অতঃপর
মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তবে তার সওয়াব
আল্লাহর কাছে অবধারিত হয়ে যায়।
আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।
[100] He who emigrates (from his home)
in the Cause of Allâh, will find on earth
many dwelling places and plenty to live
by. And whosoever leaves his home as an
emigrant unto Allâh and His Messenger,
and death overtakes him, his reward is
then surely incumbent upon Allâh. And
Allâh is Ever Oft¬Forgiving, Most
Merciful.
[101] ﻭَﺇِﺫﺍ ﺿَﺮَﺑﺘُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﻓَﻠَﻴﺲَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺟُﻨﺎﺡٌ ﺃَﻥ
ﺗَﻘﺼُﺮﻭﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓِ ﺇِﻥ
ﺧِﻔﺘُﻢ ﺃَﻥ ﻳَﻔﺘِﻨَﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻟَﻜُﻢ ﻋَﺪُﻭًّﺍ ﻣُﺒﻴﻨًﺎ
[101] যখন তোমরা কোন দেশ সফর কর,
তখন নামাযে কিছুটা হ্রাস করলে
তোমাদের কোন গোনাহ নেই, যদি
তোমরা আশঙ্কা কর যে, কাফেররা
তোমাদেরকে উত্ত্যক্ত করবে। নিশ্চয়
কাফেররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
[101] And when you (Muslims) travel in
the land, there is no sin on you if you
shorten As-Salât (the prayer) if you fear
that the disbelievers may put you in trial
(attack you etc.), verily, the disbelievers
are ever unto you open enemies.
[102] ﻭَﺇِﺫﺍ ﻛُﻨﺖَ ﻓﻴﻬِﻢ ﻓَﺄَﻗَﻤﺖَ
ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻓَﻠﺘَﻘُﻢ ﻃﺎﺋِﻔَﺔٌ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻌَﻚَ ﻭَﻟﻴَﺄﺧُﺬﻭﺍ
ﺃَﺳﻠِﺤَﺘَﻬُﻢ ﻓَﺈِﺫﺍ ﺳَﺠَﺪﻭﺍ
ﻓَﻠﻴَﻜﻮﻧﻮﺍ ﻣِﻦ ﻭَﺭﺍﺋِﻜُﻢ ﻭَﻟﺘَﺄﺕِ
ﻃﺎﺋِﻔَﺔٌ ﺃُﺧﺮﻯٰ ﻟَﻢ ﻳُﺼَﻠّﻮﺍ
ﻓَﻠﻴُﺼَﻠّﻮﺍ ﻣَﻌَﻚَ ﻭَﻟﻴَﺄﺧُﺬﻭﺍ
ﺣِﺬﺭَﻫُﻢ ﻭَﺃَﺳﻠِﺤَﺘَﻬُﻢ ۗ ﻭَﺩَّ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻟَﻮ ﺗَﻐﻔُﻠﻮﻥَ ﻋَﻦ
ﺃَﺳﻠِﺤَﺘِﻜُﻢ ﻭَﺃَﻣﺘِﻌَﺘِﻜُﻢ
ﻓَﻴَﻤﻴﻠﻮﻥَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻣَﻴﻠَﺔً ﻭٰﺣِﺪَﺓً ۚ
ﻭَﻻ ﺟُﻨﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺇِﻥ ﻛﺎﻥَ
ﺑِﻜُﻢ ﺃَﺫًﻯ ﻣِﻦ ﻣَﻄَﺮٍ ﺃَﻭ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﻣَﺮﺿﻰٰ ﺃَﻥ ﺗَﻀَﻌﻮﺍ ﺃَﺳﻠِﺤَﺘَﻜُﻢ ۖ
ﻭَﺧُﺬﻭﺍ ﺣِﺬﺭَﻛُﻢ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺃَﻋَﺪَّ
ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ ﻣُﻬﻴﻨًﺎ
[102] যখন আপনি তাদের মধ্যে থাকেন,
অতঃপর নামাযে দাঁড়ান, তখন যেন
একদল দাঁড়ায় আপনার সাথে এবং
তারা যেন স্বীয় অস্ত্র সাথে নেয়।
অতঃপর যখন তারা সেজদা সম্পন্ন করে,
তখন আপনার কাছ থেকে যেন সরে যায়
এবং অন্য দল যেন আসে, যারা নামায
পড়েনি। অতঃপর তারা যেন আপনার
সাথে নামায পড়ে এবং আত্মরক্ষার
হাতিয়ার সাথে নেয়। কাফেররা চায়
যে, তোমরা কোন রূপে অসতর্ক থাক,
যাতে তারা একযোগে তোমাদেরকে
আক্রমণ করে বসে। যদি বৃষ্টির কারণে
তোমাদের কষ্ট হয় অথবা তোমরা
অসুস্থ হও তবে স্বীয় অস্ত্র পরিত্যাগ
করায় তোমাদের কোন গোনাহ নেই
এবং সাথে নিয়ে নাও তোমাদের
আত্নরক্ষার অস্ত্র। নিশ্চয় আল্লাহ
কাফেরদের জন্যে অপমানকর শাস্তি
প্রস্তুত করে রেখেছেন।
[102] When you (O Messenger
Muhammad SAW) are among them, and
lead them in As-Salât (the prayer), let
one party of them stand up [in Salât
(prayer)] with you taking their arms
with them; when they finish their
prostrations, let them take their positions
in the rear and let the other party come
up which have not yet prayed, and let
them pray with you taking all the
precautions and bearing arms. Those
who disbelieve wish, if you were
negligent of your arms and your
baggage, to attack you in a single rush,
but there is no sin on you if you put
away your arms because of the
inconvenience of rain or because you are
ill, but take every precaution for
yourselves. Verily, Allâh has prepared a
humiliating torment for the disbelievers.
[103] ﻓَﺈِﺫﺍ ﻗَﻀَﻴﺘُﻢُ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ
ﻓَﺎﺫﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻗِﻴٰﻤًﺎ ﻭَﻗُﻌﻮﺩًﺍ
ﻭَﻋَﻠﻰٰ ﺟُﻨﻮﺑِﻜُﻢ ۚ ﻓَﺈِﺫَﺍ
ﺍﻃﻤَﺄﻧَﻨﺘُﻢ ﻓَﺄَﻗﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ۚ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ﻛﺎﻧَﺖ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﻛِﺘٰﺒًﺎ ﻣَﻮﻗﻮﺗًﺎ
[103] অতঃপর যখন তোমরা নামায
সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও
শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর।
অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন
নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায
মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে।
[103] When you have finished As-Salât
(the prayer – congregational), remember
Allâh standing, sitting down, and (lying
down) on your sides, but when you are
free from danger, perform As-Salât
(Iqâmat¬as¬ Salât). Verily, As-Salât (the
prayer) is enjoined on the believers at
fixed hours.
[104] ﻭَﻻ ﺗَﻬِﻨﻮﺍ ﻓِﻰ ﺍﺑﺘِﻐﺎﺀِ
ﺍﻟﻘَﻮﻡِ ۖ ﺇِﻥ ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﺗَﺄﻟَﻤﻮﻥَ
ﻓَﺈِﻧَّﻬُﻢ ﻳَﺄﻟَﻤﻮﻥَ ﻛَﻤﺎ ﺗَﺄﻟَﻤﻮﻥَ ۖ
ﻭَﺗَﺮﺟﻮﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻻ
ﻳَﺮﺟﻮﻥَ ۗ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ
ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[104] তাদের পশ্চাদ্ধাবনে শৈথিল্য
করো না। যদি তোমরা আঘাত প্রাপ্ত,
তবে তারাও তো তোমাদের মতই
হয়েছে আঘাতপ্রাপ্ত এবং তোমরা
আল্লাহর কাছে আশা কর, যা তারা
আশা করে না। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,
প্রজ্ঞাময়।
[104] And don’t be weak in the pursuit
of the enemy; if you are suffering
(hardships) then surely, they (too) are
suffering (hardships) as you are
suffering, but you have a hope from
Allâh (for the reward, i.e. Paradise) that
for which they hope not, and Allâh is
Ever All¬Knowing, All¬Wise.
[105] ﺇِﻧّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟﻨﺎ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ
ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ﻟِﺘَﺤﻜُﻢَ ﺑَﻴﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ
ﺑِﻤﺎ ﺃَﺭﻯٰﻚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ ﻭَﻻ ﺗَﻜُﻦ
ﻟِﻠﺨﺎﺋِﻨﻴﻦَ ﺧَﺼﻴﻤًﺎ
[105] নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সত্য
কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি
মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যা
আল্লাহ আপনাকে হৃদয়ঙ্গম করান।
আপনি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ থেকে
বিতর্ককারী হবেন না।
[105] Surely, We have sent down to you
(O Muhammad SAW) the Book (this
Qur’ân) in truth that you might judge
between men by that which Allâh has
shown you (i.e. has taught you through
Divine Revelation), so be not a pleader
for the treacherous.
[106] ﻭَﺍﺳﺘَﻐﻔِﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۖ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻛﺎﻥَ ﻏَﻔﻮﺭًﺍ ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[106] এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা
প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ
ক্ষমাশীল, দয়ালু।
[106] And seek the Forgiveness of Allâh,
certainly, Allâh is Ever Oft¬Forgiving,
Most Merciful
[107] ﻭَﻻ ﺗُﺠٰﺪِﻝ ﻋَﻦِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳَﺨﺘﺎﻧﻮﻥَ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ
ﻳُﺤِﺐُّ ﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ ﺧَﻮّﺍﻧًﺎ ﺃَﺛﻴﻤًﺎ
[107] যারা মনে বিশ্বাস ঘাতকতা
পোষণ করে তাদের পক্ষ থেকে বিতর্ক
করবেন না। আল্লাহ পছন্দ করেন না
তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়।
[107] And argue not on behalf of those
who deceive themselves. Verily, Allâh
does not like anyone who is a betrayer of
his trust, and sinner.
[108] ﻳَﺴﺘَﺨﻔﻮﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ
ﻭَﻻ ﻳَﺴﺘَﺨﻔﻮﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻫُﻮَ
ﻣَﻌَﻬُﻢ ﺇِﺫ ﻳُﺒَﻴِّﺘﻮﻥَ ﻣﺎ ﻻ
ﻳَﺮﺿﻰٰ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻘَﻮﻝِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑِﻤﺎ ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﻣُﺤﻴﻄًﺎ
[108] তারা মানুষের কাছে লজ্জিত হয়
এবং আল্লাহর কাছে লজ্জিত হয় না।
তিনি তাদের সাথে রয়েছেন, যখন
তারা রাত্রে এমন বিষয়ে পরামর্শ করে,
যাতে আল্লাহ সম্মত নন। তারা যাকিছু
করে, সবই আল্লাহর আয়ত্তাধীণ।
[108] They may hide (their crimes) from
men, but they cannot hide (them) from
Allâh, for He is with them (by His
Knowledge), when they plot by night in
words that He does not approve, And
Allâh ever encompasses what they do.
[109] ﻫٰﺄَﻧﺘُﻢ ﻫٰﺆُﻻﺀِ ﺟٰﺪَﻟﺘُﻢ
ﻋَﻨﻬُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ
ﻓَﻤَﻦ ﻳُﺠٰﺪِﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻨﻬُﻢ ﻳَﻮﻡَ
ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ﺃَﻡ ﻣَﻦ ﻳَﻜﻮﻥُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ
ﻭَﻛﻴﻠًﺎ
[109] শুনছ? তোমরা তাদের পক্ষ থেকে
পার্থিব জীবনে বিবাদ করছ, অতঃপর
কেয়ামতের দিনে তাদের পক্ষ হয়ে
আল্লাহর সাথে কে বিবাদ করবে অথবা
কে তাদের কার্যনির্বাহী হবে।
[109] Lo! You are those who have argued
for them in the life of this world, but
who will argue for them on the Day of
Resurrection against Allâh, or who will
then be their defender?
[110] ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻌﻤَﻞ ﺳﻮﺀًﺍ ﺃَﻭ
ﻳَﻈﻠِﻢ ﻧَﻔﺴَﻪُ ﺛُﻢَّ ﻳَﺴﺘَﻐﻔِﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻳَﺠِﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻔﻮﺭًﺍ ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[110] যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের
অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে
ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে
ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।
[110] And whoever does evil or wrongs
himself but afterwards seeks Allâh’s
Forgiveness, he will find Allâh
Oft¬Forgiving, Most Merciful.
[111] ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻜﺴِﺐ ﺇِﺛﻤًﺎ ﻓَﺈِﻧَّﻤﺎ
ﻳَﻜﺴِﺒُﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﻧَﻔﺴِﻪِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[111] যে কেউ পাপ করে, সে নিজের
পক্ষেই করে। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,
প্রজ্ঞাময়।
[111] And whoever earns sin, he earns it
only against himself. And Allâh is Ever
All-Knowing, All-Wise.
[112] ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻜﺴِﺐ ﺧَﻄﻴـَٔﺔً ﺃَﻭ
ﺇِﺛﻤًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳَﺮﻡِ ﺑِﻪِ ﺑَﺮﻳـًٔﺎ ﻓَﻘَﺪِ
ﺍﺣﺘَﻤَﻞَ ﺑُﻬﺘٰﻨًﺎ ﻭَﺇِﺛﻤًﺎ ﻣُﺒﻴﻨًﺎ
[112] যে ব্যক্তি ভূল কিংবা গোনাহ
করে, অতঃপর কোন নিরপরাধের উপর
অপবাদ আরোপ করে সে নিজের
মাথায় বহন করে জঘন্য মিথ্যা ও
প্রকাশ্য গোনাহ।
[112] And whoever earns a fault or a sin
and then throws it on to someone
innocent, he has indeed burdened
himself with falsehood and a manifest
sin.
[113] ﻭَﻟَﻮﻻ ﻓَﻀﻞُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻚَ
ﻭَﺭَﺣﻤَﺘُﻪُ ﻟَﻬَﻤَّﺖ ﻃﺎﺋِﻔَﺔٌ ﻣِﻨﻬُﻢ
ﺃَﻥ ﻳُﻀِﻠّﻮﻙَ ﻭَﻣﺎ ﻳُﻀِﻠّﻮﻥَ ﺇِﻟّﺎ
ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ ۖ ﻭَﻣﺎ ﻳَﻀُﺮّﻭﻧَﻚَ ﻣِﻦ
ﺷَﻲﺀٍ ۚ ﻭَﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴﻚَ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔَ ﻭَﻋَﻠَّﻤَﻚَ ﻣﺎ
ﻟَﻢ ﺗَﻜُﻦ ﺗَﻌﻠَﻢُ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﻓَﻀﻞُ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻚَ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[113] যদি আপনার প্রতি আল্লাহর
অনুগ্রহ ও করুণা না হত, তবে তাদের
একদল আপনাকে পথভ্রষ্ট করার সংকল্প
করেই ফেলেছিল। তারা পথভ্রান্ত
করতে পারে না কিন্তু নিজেদেরকেই
এবং আপনার কোন অনিষ্ট করতে
পারে না। আল্লাহ আপনার প্রতি ঐশী
গ্রন্থ ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং
আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন,
যা আপনি জানতেন না। আপনার প্রতি
আল্লাহর করুণা অসীম।
[113] Had not the Grace of Allâh and His
Mercy been upon you (O Muhammad
SAW), a party of them would certainly
have made a decision to mislead you, but
(in fact) they mislead none except their
own selves, and no harm can they do to
you in the least. Allâh has sent down to
you the Book (The Qur’ân), and
Al¬Hikmah (Islâmic laws, knowledge of
legal and illegal things i.e. the Prophet’s
Sunnah – legal ways), and taught you that
which you knew not. And Ever Great is
the Grace of Allâh unto you (O
Muhammad SAW)
[114] ۞ ﻻ ﺧَﻴﺮَ ﻓﻰ ﻛَﺜﻴﺮٍ ﻣِﻦ
ﻧَﺠﻮﻯٰﻬُﻢ ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦ ﺃَﻣَﺮَ ﺑِﺼَﺪَﻗَﺔٍ
ﺃَﻭ ﻣَﻌﺮﻭﻑٍ ﺃَﻭ ﺇِﺻﻠٰﺢٍ ﺑَﻴﻦَ
ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻔﻌَﻞ ﺫٰﻟِﻚَ
ﺍﺑﺘِﻐﺎﺀَ ﻣَﺮﺿﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺴَﻮﻑَ
ﻧُﺆﺗﻴﻪِ ﺃَﺟﺮًﺍ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[114] তাদের অধিকাংশ সলা-পরামর্শ
ভাল নয়; কিন্তু যে সলা-পরামর্শ দান
খয়রাত করতে কিংবা সৎকাজ করতে
কিংবা মানুষের মধ্যে সন্ধিস্থাপন
কল্পে করতো তা স্বতন্ত্র। যে একাজ
করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমি
তাকে বিরাট ছওয়াব দান করব।
[114] There is no good in most of their
secret talks save (in) him who orders
Sadaqah (charity in Allâh’s Cause), or
Ma’rûf (Islâmic Monotheism and all the
good and righteous deeds which Allâh
has ordained), or conciliation between
mankind, and he who does this, seeking
the good Pleasure of Allâh, We shall give
him a great reward
[115] ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺸﺎﻗِﻖِ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﻬُﺪﻯٰ
ﻭَﻳَﺘَّﺒِﻊ ﻏَﻴﺮَ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
ﻧُﻮَﻟِّﻪِ ﻣﺎ ﺗَﻮَﻟّﻰٰ ﻭَﻧُﺼﻠِﻪِ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ۖ
ﻭَﺳﺎﺀَﺕ ﻣَﺼﻴﺮًﺍ
[115] যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ
করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত
হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত
পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ
দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন
করেছে এবং তাকে জাহান্নামে
নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর
গন্তব্যস্থান।
[115] And whoever contradicts and
opposes the Messenger (Muhammad
SAW) after the right path has been
shown clearly to him, and follows other
than the believers’ way. We shall keep
him in the path he has chosen, and burn
him in Hell – what an evil destination.
[116] ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳَﻐﻔِﺮُ ﺃَﻥ
ﻳُﺸﺮَﻙَ ﺑِﻪِ ﻭَﻳَﻐﻔِﺮُ ﻣﺎ ﺩﻭﻥَ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻟِﻤَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺸﺮِﻙ
ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻘَﺪ ﺿَﻞَّ ﺿَﻠٰﻠًﺎ ﺑَﻌﻴﺪًﺍ
[116] নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন
না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে।
এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে
আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর
ভ্রান্তিতে পতিত হয়।
[116] Verily! Allâh forgives not (the sin
of) setting up partners (in worship) with
Him, but He forgives whom He wills sins
other than that, and whoever sets up
partners in worship with Allâh, has
indeed strayed far away.
[117] ﺇِﻥ ﻳَﺪﻋﻮﻥَ ﻣِﻦ ﺩﻭﻧِﻪِ ﺇِﻟّﺎ
ﺇِﻧٰﺜًﺎ ﻭَﺇِﻥ ﻳَﺪﻋﻮﻥَ ﺇِﻟّﺎ ﺷَﻴﻄٰﻨًﺎ
ﻣَﺮﻳﺪًﺍ
[117] তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে
শুধু নারীর আরাধনা করে এবং শুধু
অবাধ্য শয়তানের পূজা করে।
[117] They (all those who worship others
than Allâh) invoke nothing but female
deities besides Him (Allâh), and they
invoke nothing but Shaitân (Satan), a
persistent rebel!
[118] ﻟَﻌَﻨَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۘ ﻭَﻗﺎﻝَ ﻟَﺄَﺗَّﺨِﺬَﻥَّ
ﻣِﻦ ﻋِﺒﺎﺩِﻙَ ﻧَﺼﻴﺒًﺎ ﻣَﻔﺮﻭﺿًﺎ
[118] যার প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত
করেছেন। শয়তান বললঃ আমি অবশ্যই
তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে
নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব।
[118] Allâh cursed him. And he [Shaitân
(Satan)] said: “I will take an appointed
portion of your slaves;
[119] ﻭَﻟَﺄُﺿِﻠَّﻨَّﻬُﻢ ﻭَﻟَﺄُﻣَﻨِّﻴَﻨَّﻬُﻢ
ﻭَﻝَﺀﺍﻣُﺮَﻧَّﻬُﻢ ﻓَﻠَﻴُﺒَﺘِّﻜُﻦَّ ﺀﺍﺫﺍﻥَ
ﺍﻷَﻧﻌٰﻢِ ﻭَﻝَﺀﺍﻣُﺮَﻧَّﻬُﻢ ﻓَﻠَﻴُﻐَﻴِّﺮُﻥَّ
ﺧَﻠﻖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَّﺨِﺬِ
ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦَ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻓَﻘَﺪ ﺧَﺴِﺮَ ﺧُﺴﺮﺍﻧًﺎ ﻣُﺒﻴﻨًﺎ
[119] তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব,
তাদেরকে আশ্বাস দেব; তাদেরকে
পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং
তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি
পরিবর্তন করতে আদেশ দেব। যে কেউ
আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে
গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত
হয়।
[119] Verily, I will mislead them, and
surely, I will arouse in them false
desires; and certainly, I will order them
to slit the ears of cattle, and indeed I will
order them to change the nature created
by Allâh.” And whoever takes Shaitân
(Satan) as a Walî (protector or helper)
instead of Allâh, has surely suffered a
manifest loss.
[120] ﻳَﻌِﺪُﻫُﻢ ﻭَﻳُﻤَﻨّﻴﻬِﻢ ۖ ﻭَﻣﺎ
ﻳَﻌِﺪُﻫُﻢُ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ ﺇِﻟّﺎ ﻏُﺮﻭﺭًﺍ
[120] সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয়
এবং তাদেরকে আশ্বাস দেয়। শয়তান
তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সব
প্রতারণা বৈ নয়।
[120] He [Shaitan (Satan)] makes
promises to them, and arouses in them
false desires; and Shaitan’s (Satan)
promises are nothing but deceptions.
[121] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻣَﺄﻭﻯٰﻬُﻢ ﺟَﻬَﻨَّﻢُ
ﻭَﻻ ﻳَﺠِﺪﻭﻥَ ﻋَﻨﻬﺎ ﻣَﺤﻴﺼًﺎ
[121] তাদের বাসস্থান জাহান্নাম।
তারা সেখান থেকে কোথাও
পালাবার জায়গা পাবে না।
[121] The dwelling of such (people) is
Hell, and they will find no way of escape
from it.
[122] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﺳَﻨُﺪﺧِﻠُﻬُﻢ ﺟَﻨّٰﺖٍ
ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ
ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ ﺃَﺑَﺪًﺍ ۖ ﻭَﻋﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺣَﻘًّﺎ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﺃَﺻﺪَﻕُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻗﻴﻠًﺎ
[122] যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে
এবং সৎকর্ম করেছে, আমি তাদেরকে
উদ্যানসমূহে প্রবিষ্ট করাব, যেগুলোর
তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়। তারা
চিরকাল তথায় অবস্থান করবে। আল্লাহ
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সত্য সত্য।
আল্লাহর চাইতে অধিক সত্যবাদী কে?
[122] But those who believe (in the
Oneness of Allâh – Islâmic Monotheism)
and do deeds of righteousness, We shall
admit them to the Gardens under which
rivers flow (i.e. in Paradise) to dwell
therein forever. Allâh’s Promise is the
Truth, and whose words can be truer
than those of Allâh? (Of course, none).
[123] ﻟَﻴﺲَ ﺑِﺄَﻣﺎﻧِﻴِّﻜُﻢ ﻭَﻻ
ﺃَﻣﺎﻧِﻰِّ ﺃَﻫﻞِ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ۗ ﻣَﻦ
ﻳَﻌﻤَﻞ ﺳﻮﺀًﺍ ﻳُﺠﺰَ ﺑِﻪِ ﻭَﻻ
ﻳَﺠِﺪ ﻟَﻪُ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟِﻴًّﺎ
ﻭَﻻ ﻧَﺼﻴﺮًﺍ
[123] তোমাদের আশার উপর ও ভিত্তি
নয় এবং আহলে-কিতাবদের আশার
উপরও না। যে কেউ মন্দ কাজ করবে, সে
তার শাস্তি পাবে এবং সে আল্লাহ
ছাড়া নিজের কোন সমর্থক বা
সাহায্যকারী পাবে না।
[123] It will not be in accordance with
your desires (Muslims), nor those of the
people of the Scripture (Jews and
Christians), whosoever works evil, will
have the recompense thereof, and he will
not find any protector or helper besides
Allâh.
[124] ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻌﻤَﻞ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﻣِﻦ ﺫَﻛَﺮٍ ﺃَﻭ ﺃُﻧﺜﻰٰ
ﻭَﻫُﻮَ ﻣُﺆﻣِﻦٌ ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻳَﺪﺧُﻠﻮﻥَ
ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﻻ ﻳُﻈﻠَﻤﻮﻥَ ﻧَﻘﻴﺮًﺍ
[124] যে লোক পুরুষ হোক কিংবা
নারী, কোন সৎকর্ম করে এবং
বিশ্বাসী হয়, তবে তারা জান্নাতে
প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রাপ্য তিল
পরিমাণ ও নষ্ট হবে না।
[124] And whoever does righteous good
deeds, male or female, and is a (true)
believer [in the Oneness of Allâh
(Muslim)], such will enter Paradise and
not the least injustice, even to the size of
a speck on the back of a date-stone, will
be done to them.
[125] ﻭَﻣَﻦ ﺃَﺣﺴَﻦُ ﺩﻳﻨًﺎ ﻣِﻤَّﻦ
ﺃَﺳﻠَﻢَ ﻭَﺟﻬَﻪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻫُﻮَ
ﻣُﺤﺴِﻦٌ ﻭَﺍﺗَّﺒَﻊَ ﻣِﻠَّﺔَ ﺇِﺑﺮٰﻫﻴﻢَ
ﺣَﻨﻴﻔًﺎ ۗ ﻭَﺍﺗَّﺨَﺬَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺇِﺑﺮٰﻫﻴﻢَ
ﺧَﻠﻴﻠًﺎ
[125] যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে
মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত
থাকে এবং ইব্রাহীমের ধর্ম অনুসরণ
করে, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার
চাইতে উত্তম ধর্ম কার? আল্লাহ
ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন।
[125] And who can be better in religion
than one who submits his face (himself)
to Allâh (i.e. follows Allâh’s religion of
Islâmic Monotheism); and he is a
Muhsin (a good-doer – see V.2:112). And
follows the religion of Ibrâhim
(Abraham) Hanifa (Islâmic Monotheism –
to worship none but Allâh Alone). And
Allâh did take Ibrâhim (Abraham) as a
Khalil (an intimate friend)!
[126] ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻣُﺤﻴﻄًﺎ
[126] যা কিছু নভোন্ডলে আছে এবং
যা কিছু ভুমন্ডলে আছে, সব আল্লাহরই।
সব বস্তু আল্লাহর মুষ্ঠি বলয়ে।
[126] And to Allâh belongs all that is in
the heavens and all that is in the earth.
And Allâh is Ever Encompassing all
things:
[127] ﻭَﻳَﺴﺘَﻔﺘﻮﻧَﻚَ ﻓِﻰ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ ۖ
ﻗُﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﻔﺘﻴﻜُﻢ ﻓﻴﻬِﻦَّ ﻭَﻣﺎ
ﻳُﺘﻠﻰٰ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻓﻰ
ﻳَﺘٰﻤَﻰ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ ﺍﻟّٰﺘﻰ ﻻ
ﺗُﺆﺗﻮﻧَﻬُﻦَّ ﻣﺎ ﻛُﺘِﺐَ ﻟَﻬُﻦَّ
ﻭَﺗَﺮﻏَﺒﻮﻥَ ﺃَﻥ ﺗَﻨﻜِﺤﻮﻫُﻦَّ
ﻭَﺍﻟﻤُﺴﺘَﻀﻌَﻔﻴﻦَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻮِﻟﺪٰﻥِ
ﻭَﺃَﻥ ﺗَﻘﻮﻣﻮﺍ ﻟِﻠﻴَﺘٰﻤﻰٰ ﺑِﺎﻟﻘِﺴﻂِ ۚ
ﻭَﻣﺎ ﺗَﻔﻌَﻠﻮﺍ ﻣِﻦ ﺧَﻴﺮٍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻛﺎﻥَ ﺑِﻪِ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ
[127] তারা আপনার কাছে নারীদের
বিবাহের অনুমতি চায়। বলে দিনঃ
আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের
সম্পর্কে অনুমতি দেন এবং কোরআনে
তোমাদেরকে যা যা পাট করে
শুনানো হয়, তা ঐ সব পিতৃহীনা-
নারীদের বিধান, যাদের কে তোমরা
নির্ধারিত অধিকার প্রদান কর না অথচ
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার বাসনা রাখ।
আর অক্ষম শিশুদের বিধান এই যে,
এতীমদের জন্যে ইনসাফের উপর কায়েম
থাক। তোমরা যা ভাল কাজ করবে, তা
আল্লাহ জানেন।
[127] They ask your legal instruction
concerning women, say: Allâh instructs
you about them, and about what is
recited unto you in the Book concerning
the orphan girls whom you give not the
prescribed portions (as regards Mahr
and inheritance) and yet whom you
desire to marry, and (concerning) the
children who are weak and oppressed,
and that you stand firm for justice to
orphans. And whatever good you do,
Allâh is Ever All¬Aware of it.
[128] ﻭَﺇِﻥِ ﺍﻣﺮَﺃَﺓٌ ﺧﺎﻓَﺖ ﻣِﻦ
ﺑَﻌﻠِﻬﺎ ﻧُﺸﻮﺯًﺍ ﺃَﻭ ﺇِﻋﺮﺍﺿًﺎ ﻓَﻼ
ﺟُﻨﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻤﺎ ﺃَﻥ ﻳُﺼﻠِﺤﺎ
ﺑَﻴﻨَﻬُﻤﺎ ﺻُﻠﺤًﺎ ۚ ﻭَﺍﻟﺼُّﻠﺢُ ﺧَﻴﺮٌ ۗ
ﻭَﺃُﺣﻀِﺮَﺕِ ﺍﻷَﻧﻔُﺲُ ﺍﻟﺸُّﺢَّ ۚ
ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺤﺴِﻨﻮﺍ ﻭَﺗَﺘَّﻘﻮﺍ ﻓَﺈِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺧَﺒﻴﺮًﺍ
[128] যদি কোন নারী স্বীয় স্বামীর
পক্ষ থেকে অসদাচরণ কিংবা
উপেক্ষার আশংকা করে, তবে পরস্পর
কোন মীমাংসা করে নিলে তাদের
উভয়ের কোন গোনাহ নাই। মীমাংসা
উত্তম। মনের সামনে লোভ বিদ্যমান
আছে। যদি তোমরা উত্তম কাজ কর
এবং খোদাভীরু হও, তবে, আল্লাহ
তোমাদের সব কাজের খবর রাখেন।
[128] And if a woman fears cruelty or
desertion on her husband’s part, there is
no sin on them both if they make terms
of peace between themselves; and
making peace is better. And human
inner-selves are swayed by greed. But if
you do good and keep away from evil,
verily, Allâh is Ever Well¬Acquainted
with what you do.
[129] ﻭَﻟَﻦ ﺗَﺴﺘَﻄﻴﻌﻮﺍ ﺃَﻥ
ﺗَﻌﺪِﻟﻮﺍ ﺑَﻴﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ ﻭَﻟَﻮ
ﺣَﺮَﺻﺘُﻢ ۖ ﻓَﻼ ﺗَﻤﻴﻠﻮﺍ ﻛُﻞَّ
ﺍﻟﻤَﻴﻞِ ﻓَﺘَﺬَﺭﻭﻫﺎ ﻛَﺎﻟﻤُﻌَﻠَّﻘَﺔِ ۚ
ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺼﻠِﺤﻮﺍ ﻭَﺗَﺘَّﻘﻮﺍ ﻓَﺈِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻏَﻔﻮﺭًﺍ ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[129] তোমরা কখনও নারীদেরকে
সমান রাখতে পারবে না, যদিও এর
আকাঙ্ক্ষী হও। অতএব, সম্পূর্ণ ঝুঁকেও
পড়ো না যে, একজনকে ফেলে রাখ
দোদুল্যমান অবস্থায়। যদি সংশোধন
কর এবং খোদাভীরু হও, তবে আল্লাহ
ক্ষমাশীল, করুণাময়।
[129] You will never be able to do perfect
justice between wives even if it is your
ardent desire, so do not incline too much
to one of them (by giving her more of
your time and provision) so as to leave
the other hanging (i.e. neither divorced
nor married). And if you do justice, and
do all that is right and fear Allâh by
keeping away from all that is wrong,
then Allâh is Ever Oft¬Forgiving, Most
Merciful.
[130] ﻭَﺇِﻥ ﻳَﺘَﻔَﺮَّﻗﺎ ﻳُﻐﻦِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻛُﻠًّﺎ
ﻣِﻦ ﺳَﻌَﺘِﻪِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭٰﺳِﻌًﺎ
ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[130] যদি উভয়েই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়,
তবে আল্লাহ স্বীয় প্রশস্ততা দ্বারা
প্রত্যেককে অমুখাপেক্ষী করে দিবেন।
আল্লাহ সুপ্রশস্ত, প্রজ্ঞাময়।
[130] But if they separate (by divorce),
Allâh will provide abundance for
everyone of them from His Bounty. And
Allâh is Ever All¬Sufficient for His
creatures’ need, All¬Wise.
[131] ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۗ ﻭَﻟَﻘَﺪ
ﻭَﺻَّﻴﻨَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ
ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ ﻭَﺇِﻳّﺎﻛُﻢ ﺃَﻥِ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ۚ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﻜﻔُﺮﻭﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﻣﺎ
ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣﺎ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻨِﻴًّﺎ
ﺣَﻤﻴﺪًﺍ
[131] আর যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহে
ও যমীনে সবই আল্লাহর। বস্তুতঃ আমি
নির্দেশ দিয়েছি তোমাদের পূর্ববর্তী
গ্রন্থের অধিকারীদেরকে এবং
তোমাদেরকে যে, তোমরা সবাই ভয়
করতে থাক আল্লাহকে। যদি তোমরা
তা না মান, তবে জেনো, সে সব কিছুই
আল্লাহ তা’আলার যা কিছু রয়েছে
আসমান সমূহে ও যমীনে। আর আল্লাহ
হচ্ছেন অভাবহীন, প্রসংশিত।
[131] And to Allâh belongs all that is in
the heavens and all that is in the earth.
And verily, We have recommended to
the people of the Scripture before you,
and to you (O Muslims) that you (all) fear
Allâh, and keep your duty to Him, But if
you disbelieve, then unto Allâh belongs
all that is in the heavens and all that is
in the earth, and Allâh is Ever Rich (Free
of all wants), Worthy of all praise.
[132] ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻛﻴﻠًﺎ
[132] আর আল্লাহরই জন্যে সে সবকিছু
যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও
যমীনে। আল্লাহই যথেষ্ট কর্মবিধায়ক।
[132] And to Allâh belongs all that is in
the heavens and all that is in the earth.
And Allâh is Ever All¬Sufficient as a
Disposer of affairs.
[133] ﺇِﻥ ﻳَﺸَﺄ ﻳُﺬﻫِﺒﻜُﻢ ﺃَﻳُّﻬَﺎ
ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻭَﻳَﺄﺕِ ﺑِـٔﺎﺧَﺮﻳﻦَ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﺫٰﻟِﻚَ ﻗَﺪﻳﺮًﺍ
[133] হে মানবকূল, যদি আল্লাহ
তোমাদেরকে সরিয়ে তোমাদের
জায়গায় অন্য কাউকে প্রতিষ্ঠিত
করেন? বস্তুতঃ আল্লাহর সে ক্ষমতা
রয়েছে।
[133] If He wills, He can take you away,
O people, and bring others. And Allâh is
Ever All¬Potent over that.
[134] ﻣَﻦ ﻛﺎﻥَ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺛَﻮﺍﺏَ
ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻓَﻌِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺛَﻮﺍﺏُ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ
ﻭَﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺳَﻤﻴﻌًﺎ ﺑَﺼﻴﺮًﺍ
[134] যে কেউ দুনিয়ার কল্যাণ কামনা
করবে, তার জেনে রাখা প্রয়োজন যে,
দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ
আল্লাহরই নিকট রয়েছে। আর আল্লাহ
সব কিছু শোনেন ও দেখেন।
[134] Whoever desires a reward in this
life of the world, then with Allâh (Alone
and none else) is the reward of this
worldly life and of the Hereafter. And
Allâh is Ever All¬Hearer, All¬Seer.
[135] ۞ ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻛﻮﻧﻮﺍ ﻗَﻮّٰﻣﻴﻦَ ﺑِﺎﻟﻘِﺴﻂِ
ﺷُﻬَﺪﺍﺀَ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﻮ ﻋَﻠﻰٰ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻢ ﺃَﻭِ ﺍﻟﻮٰﻟِﺪَﻳﻦِ
ﻭَﺍﻷَﻗﺮَﺑﻴﻦَ ۚ ﺇِﻥ ﻳَﻜُﻦ ﻏَﻨِﻴًّﺎ ﺃَﻭ
ﻓَﻘﻴﺮًﺍ ﻓَﺎﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻭﻟﻰٰ ﺑِﻬِﻤﺎ ۖ ﻓَﻼ
ﺗَﺘَّﺒِﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻬَﻮﻯٰ ﺃَﻥ ﺗَﻌﺪِﻟﻮﺍ ۚ
ﻭَﺇِﻥ ﺗَﻠﻮۥﺍ ﺃَﻭ ﺗُﻌﺮِﺿﻮﺍ ﻓَﺈِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺧَﺒﻴﺮًﺍ
[135] হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের
উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর
ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর,
তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-
মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-
স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি
ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ
তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে
বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে
গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ
করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-
পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে
যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয়
কাজ কর্ম সম্পর্কেই অবগত।
[135] O you who believe! Stand out
firmly for justice, as witnesses to Allâh,
even though it be against yourselves, or
your parents, or your kin, be he rich or
poor, Allâh is a Better Protector to both
(than you). So follow not the lusts (of
your hearts), lest you avoid justice, and
if you distort your witness or refuse to
give it, verily, Allâh is Ever
Well¬Acquainted with what you do.
[136] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﺀﺍﻣِﻨﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭَﺳﻮﻟِﻪِ
ﻭَﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻧَﺰَّﻝَ ﻋَﻠﻰٰ
ﺭَﺳﻮﻟِﻪِ ﻭَﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺃَﻧﺰَﻝَ
ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻜﻔُﺮ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻣَﻠٰﺌِﻜَﺘِﻪِ ﻭَﻛُﺘُﺒِﻪِ ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪِ
ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ﻓَﻘَﺪ ﺿَﻞَّ
ﺿَﻠٰﻠًﺎ ﺑَﻌﻴﺪًﺍ
[136] হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর
পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং
বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর
কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল
করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং
সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো
নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে
আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর,
তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের
উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস
করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে
গিয়ে পড়বে।
[136] O you who believe! Believe in
Allâh, and His Messenger (Muhammad
SAW), and the Book (the Qur’ân) which
He has sent down to His Messenger, and
the Scripture which He sent down to
those before (him), and whosoever
disbelieves in Allâh, His Angels, His
Books, His Messengers, and the Last Day,
then indeed he has strayed far away
[137] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺛُﻢَّ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺛُﻢَّ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺛُﻢَّ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﺛُﻢَّ ﺍﺯﺩﺍﺩﻭﺍ ﻛُﻔﺮًﺍ ﻟَﻢ ﻳَﻜُﻦِ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟِﻴَﻐﻔِﺮَ ﻟَﻬُﻢ ﻭَﻻ ﻟِﻴَﻬﺪِﻳَﻬُﻢ
ﺳَﺒﻴﻠًﺎ
[137] যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে
পুনরায় কাফের হয়ে গেছে, আবার
মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফের
হয়েছে এবং কুফরীতেই উন্নতি লাভ
করেছে, আল্লাহ তাদেরকে না কখনও
ক্ষমা করবেন, না পথ দেখাবেন।
[137] Verily, those who believe, then
disbelieve, then believe (again), and
(again) disbelieve, and go on increasing
in disbelief; Allâh will not forgive them,
nor guide them on the (Right) Way
[138] ﺑَﺸِّﺮِ ﺍﻟﻤُﻨٰﻔِﻘﻴﻦَ ﺑِﺄَﻥَّ ﻟَﻬُﻢ
ﻋَﺬﺍﺑًﺎ ﺃَﻟﻴﻤًﺎ
[138] সেসব মুনাফেককে সুসংবাদ
শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্য নির্ধারিত
রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
[138] Give to the hypocrites the tidings
that there is for them a painful torment.
[139] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺘَّﺨِﺬﻭﻥَ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ۚ ﺃَﻳَﺒﺘَﻐﻮﻥَ ﻋِﻨﺪَﻫُﻢُ
ﺍﻟﻌِﺰَّﺓَ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻌِﺰَّﺓَ ﻟِﻠَّﻪِ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ
[139] যারা মুসলমানদের বর্জন করে
কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে
নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান
প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান
শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।
[139] Those who take disbelievers for
Auliyâ’ (protectors or helpers or friends)
instead of believers, do they seek honour,
power and glory with them? Verily, then
to Allâh belongs all honour, power and
glory.
[140] ﻭَﻗَﺪ ﻧَﺰَّﻝَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﺃَﻥ ﺇِﺫﺍ ﺳَﻤِﻌﺘُﻢ ﺀﺍﻳٰﺖِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳُﻜﻔَﺮُ ﺑِﻬﺎ ﻭَﻳُﺴﺘَﻬﺰَﺃُ ﺑِﻬﺎ
ﻓَﻼ ﺗَﻘﻌُﺪﻭﺍ ﻣَﻌَﻬُﻢ ﺣَﺘّﻰٰ
ﻳَﺨﻮﺿﻮﺍ ﻓﻰ ﺣَﺪﻳﺚٍ ﻏَﻴﺮِﻩِ ۚ
ﺇِﻧَّﻜُﻢ ﺇِﺫًﺍ ﻣِﺜﻠُﻬُﻢ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺟﺎﻣِﻊُ ﺍﻟﻤُﻨٰﻔِﻘﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
ﻓﻰ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ
[140] আর কোরআনের মাধ্যমে
তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে
দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার
আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন
ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা
তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না
তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না
হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে।
আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও
কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত
করবেন।
[140] And it has already been revealed to
you in the Book (this Qur’ân) that when
you hear the Verses of Allâh being
denied and mocked at, then sit not with
them, until they engage in a talk other
than that; (but if you stayed with them)
certainly in that case you would be like
them. Surely, Allâh will collect the
hypocrites and disbelievers all together
in Hell,
[141] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺘَﺮَﺑَّﺼﻮﻥَ ﺑِﻜُﻢ
ﻓَﺈِﻥ ﻛﺎﻥَ ﻟَﻜُﻢ ﻓَﺘﺢٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺃَﻟَﻢ ﻧَﻜُﻦ ﻣَﻌَﻜُﻢ ﻭَﺇِﻥ
ﻛﺎﻥَ ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻧَﺼﻴﺐٌ ﻗﺎﻟﻮﺍ
ﺃَﻟَﻢ ﻧَﺴﺘَﺤﻮِﺫ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻭَﻧَﻤﻨَﻌﻜُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ۚ
ﻓَﺎﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺤﻜُﻢُ ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﻳَﻮﻡَ
ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۗ ﻭَﻟَﻦ ﻳَﺠﻌَﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
ﺳَﺒﻴﻠًﺎ
[141] এরা এমনি মুনাফেক যারা
তোমাদের কল্যাণ-অকল্যাণের
প্রতীক্ষায় ওঁৎপেতে থাকে। অতঃপর
আল্লাহর ইচ্ছায় তোমাদের যদি কোন
বিজয় অর্জিত হয়, তবে তারা বলে,
আমরাও কি তোমাদের সাথে ছিলাম
না? পক্ষান্তরে কাফেরদের যদি
আংশিক বিজয় হয়, তবে বলে, আমরা কি
তোমাদেরকে ঘিরে রাখিনি এবং
মুসলমানদের কবল থেকে রক্ষা করিনি?
সুতরাং আল্লাহ তোমাদের মধ্যে
কেয়ামতের দিন মীমাংসা করবেন
এবং কিছুতেই আল্লাহ কাফেরদেরকে
মুসলমানদের উপর বিজয় দান করবেন না।
[141] Those (hyprocrites) who wait and
watch about you; if you gain a victory
from Allâh, they say: “Were we not with
you?” But if the disbelievers gain a
success, they say (to them): “Did we not
gain mastery over you and did we not
protect you from the believers?” Allâh
will judge between you (all) on the Day
of Resurrection. And never will Allâh
grant to the disbelievers a way (to
triumph) over the believers.
[142] ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻤُﻨٰﻔِﻘﻴﻦَ ﻳُﺨٰﺪِﻋﻮﻥَ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻫُﻮَ ﺧٰﺪِﻋُﻬُﻢ ﻭَﺇِﺫﺍ
ﻗﺎﻣﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓِ ﻗﺎﻣﻮﺍ
ﻛُﺴﺎﻟﻰٰ ﻳُﺮﺍﺀﻭﻥَ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﻭَﻻ
ﻳَﺬﻛُﺮﻭﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺇِﻟّﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
[142] অবশ্যই মুনাফেকরা প্রতারণা
করছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা
নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে।
বস্তুতঃ তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন
দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে লোক
দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে
অল্পই স্মরণ করে।
[142] Verily, the hypocrites seek to
deceive Allâh, but it is He Who deceives
them. And when they stand up for As-
Salât (the prayer), they stand with
laziness and to be seen of men, and they
do not remember Allâh but little.
[143] ﻣُﺬَﺑﺬَﺑﻴﻦَ ﺑَﻴﻦَ ﺫٰﻟِﻚَ ﻻ
ﺇِﻟﻰٰ ﻫٰﺆُﻻﺀِ ﻭَﻻ ﺇِﻟﻰٰ ﻫٰﺆُﻻﺀِ ۚ
ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻀﻠِﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓَﻠَﻦ ﺗَﺠِﺪَ ﻟَﻪُ
ﺳَﺒﻴﻠًﺎ
[143] এরা দোদুল্যমান অবস্থায় ঝুলন্ত;
এদিকেও নয় ওদিকেও নয়। বস্তুতঃ
যাকে আল্লাহ গোমরাহ করে দেন,
তুমি তাদের জন্য কোন পথই পাবে না
কোথাও।
[143] (They are) swaying between this
and that, belonging neither to these nor
to those, and he whom Allâh sends
astray, you will not find for him a way
(to the truth – Islâm).
[144] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﺘَّﺨِﺬُﻭﺍ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَ ﻣِﻦ
ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ۚ ﺃَﺗُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﺃَﻥ
ﺗَﺠﻌَﻠﻮﺍ ﻟِﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺳُﻠﻄٰﻨًﺎ
ﻣُﺒﻴﻨًﺎ
[144] হে ঈমানদারগণ! তোমরা
কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না
মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি
এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর
প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে?
[144] O you who believe! Take not for
Auliyâ’ (protectors or helpers or friends)
disbelievers instead of believers. Do you
wish to offer Allâh a manifest proof
against yourselves?
[145] ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻤُﻨٰﻔِﻘﻴﻦَ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪَّﺭﻙِ
ﺍﻷَﺳﻔَﻞِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ﻭَﻟَﻦ ﺗَﺠِﺪَ
ﻟَﻬُﻢ ﻧَﺼﻴﺮًﺍ
[145] নিঃসন্দেহে মুনাফেকরা রয়েছে
দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে। আর
তোমরা তাদের জন্য কোন
সাহায্যকারী কখনও পাবে না।
[145] Verily, the hyprocrites will be in
the lowest depths (grade) of the Fire; no
helper will you find for them.
[146] ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺗﺎﺑﻮﺍ
ﻭَﺃَﺻﻠَﺤﻮﺍ ﻭَﺍﻋﺘَﺼَﻤﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺃَﺧﻠَﺼﻮﺍ ﺩﻳﻨَﻬُﻢ ﻟِﻠَّﻪِ ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﻣَﻊَ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ۖ ﻭَﺳَﻮﻑَ ﻳُﺆﺕِ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﺃَﺟﺮًﺍ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[146] অবশ্য যারা তওবা করে নিয়েছে,
নিজেদের অবস্থার সংস্কার করেছে
এবং আল্লাহর পথকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে
ধরে আল্লাহর ফরমাবরদার হয়েছে,
তারা থাকবে মুসলমানদেরই সাথে।
বস্তুতঃ আল্লাহ শীঘ্রই ঈমানদারগণকে
মহাপূণ্য দান করবেন।
[146] Except those who repent (from
hypocrisy), do righteous good deeds, hold
fast to Allâh, and purify their religion
for Allâh (by worshipping none but
Allâh, and do good for Allâh’s sake only,
not to show off), then they will be with
the believers. And Allâh will grant the
believers a great reward.
[147] ﻣﺎ ﻳَﻔﻌَﻞُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻌَﺬﺍﺑِﻜُﻢ
ﺇِﻥ ﺷَﻜَﺮﺗُﻢ ﻭَﺀﺍﻣَﻨﺘُﻢ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺷﺎﻛِﺮًﺍ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ
[147] তোমাদের আযাব দিয়ে আল্লাহ
কি করবেন যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ কর এবং ঈমানের উপর
প্রতিষ্ঠিত থাক! আর আল্লাহ হচ্ছেন
সমুচিত মূল্যদানকারী সর্বজ্ঞ।
[147] Why should Allâh punish you if you
have thanked (Him) and have believed
in Him. And Allâh is Ever
All¬Appreciative (of good), All¬Knowing.
[148] ۞ ﻻ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺠَﻬﺮَ
ﺑِﺎﻟﺴّﻮﺀِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻘَﻮﻝِ ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦ
ﻇُﻠِﻢَ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤﻴﻌًﺎ
ﻋَﻠﻴﻤًﺎ
[148] আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ
করা পছন্দ করেন না। তবে কারো
প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা
আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ।
[148] Allâh does not like that the evil
should be uttered in public except by
him who has been wronged. And Allâh is
Ever All¬Hearer, All¬Knower.
[149] ﺇِﻥ ﺗُﺒﺪﻭﺍ ﺧَﻴﺮًﺍ ﺃَﻭ
ﺗُﺨﻔﻮﻩُ ﺃَﻭ ﺗَﻌﻔﻮﺍ ﻋَﻦ ﺳﻮﺀٍ
ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻋَﻔُﻮًّﺍ ﻗَﺪﻳﺮًﺍ
[149] তোমরা যদি কল্যাণ কর
প্রকাশ্যভাবে কিংবা গোপনে অথবা
যদি তোমরা আপরাধ ক্ষমা করে দাও,
তবে জেনো, আল্লাহ নিজেও
ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী।
[149] Whether you (mankind) disclose
(by good words of thanks) a good deed
(done to you in the form of a favour by
someone), or conceal it, or pardon an
evil, … verily, Allâh is Ever Oft-
Pardoning, All-Powerful.
[150] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻜﻔُﺮﻭﻥَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪِ ﻭَﻳُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﺃَﻥ ﻳُﻔَﺮِّﻗﻮﺍ
ﺑَﻴﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪِ ﻭَﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ
ﻧُﺆﻣِﻦُ ﺑِﺒَﻌﺾٍ ﻭَﻧَﻜﻔُﺮُ ﺑِﺒَﻌﺾٍ
ﻭَﻳُﺮﻳﺪﻭﻥَ ﺃَﻥ ﻳَﺘَّﺨِﺬﻭﺍ ﺑَﻴﻦَ
ﺫٰﻟِﻚَ ﺳَﺒﻴﻠًﺎ
[150] যারা আল্লাহ ও তার রসূলের
প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী তদুপরি
আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাসে
তারতম্য করতে চায় আর বলে যে, আমরা
কতককে বিশ্বাস করি কিন্তু কতককে
প্রত্যাখ্যান করি এবং এরই মধ্যবর্তী
কোন পথ অবলম্বন করতে চায়।
[150] Verily, those who disbelieve in
Allâh and His Messengers and wish to
make distinction between Allâh and His
Messengers (by believing in Allâh and
disbelieving in His Messengers) saying,
“We believe in some but reject others,”
and wish to adopt a way in between.
[151] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻭﻥَ ﺣَﻘًّﺎ ۚ
ﻭَﺃَﻋﺘَﺪﻧﺎ ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ
ﻣُﻬﻴﻨًﺎ
[151] প্রকৃতপক্ষে এরাই সত্য
প্রত্যাখ্যাকারী। আর যারা সত্য
প্রত্যাখ্যানকারী তাদের জন্য তৈরী
করে রেখেছি অপমানজনক আযাব।
[151] They are in truth disbelievers. And
We have prepared for the disbelievers a
humiliating torment.
[152] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪِ ﻭَﻟَﻢ ﻳُﻔَﺮِّﻗﻮﺍ ﺑَﻴﻦَ ﺃَﺣَﺪٍ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺳَﻮﻑَ ﻳُﺆﺗﻴﻬِﻢ
ﺃُﺟﻮﺭَﻫُﻢ ۗ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔﻮﺭًﺍ
ﺭَﺣﻴﻤًﺎ
[152] আর যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর
উপর, তাঁর রসূলের উপর এবং তাঁদের
কারও প্রতি ঈমান আনতে গিয়ে
কাউকে বাদ দেয়নি, শীঘ্রই তাদেরকে
প্রাপ্য সওয়াব দান করা হবে। বস্তুতঃ
আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু।
[152] And those who believe in Allâh and
His Messengers and make no distinction
between any of them (Messengers), We
shall give them their rewards, and Allâh
is Ever Oft¬Forgiving, Most Merciful.
[153] ﻳَﺴـَٔﻠُﻚَ ﺃَﻫﻞُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﺃَﻥ
ﺗُﻨَﺰِّﻝَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻛِﺘٰﺒًﺎ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ ۚ ﻓَﻘَﺪ ﺳَﺄَﻟﻮﺍ ﻣﻮﺳﻰٰ
ﺃَﻛﺒَﺮَ ﻣِﻦ ﺫٰﻟِﻚَ ﻓَﻘﺎﻟﻮﺍ ﺃَﺭِﻧَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺟَﻬﺮَﺓً ﻓَﺄَﺧَﺬَﺗﻬُﻢُ ﺍﻟﺼّٰﻌِﻘَﺔُ
ﺑِﻈُﻠﻤِﻬِﻢ ۚ ﺛُﻢَّ ﺍﺗَّﺨَﺬُﻭﺍ ﺍﻟﻌِﺠﻞَ
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ ﺟﺎﺀَﺗﻬُﻢُ ﺍﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖُ
ﻓَﻌَﻔَﻮﻧﺎ ﻋَﻦ ﺫٰﻟِﻚَ ۚ ﻭَﺀﺍﺗَﻴﻨﺎ
ﻣﻮﺳﻰٰ ﺳُﻠﻄٰﻨًﺎ ﻣُﺒﻴﻨًﺎ
[153] আপনার নিকট আহলে-কিতাবরা
আবেদন জানায় যে, আপনি তাদের উপর
আসমান থেকে লিখিত কিতাব অবতীর্ণ
করিয়ে নিয়ে আসুন। বস্তুতঃ এরা মূসার
কাছে এর চেয়েও বড় জিনিস চেয়েছে।
বলেছে, একেবারে সামনাসামনিভাবে
আমাদের আল্লাহকে দেখিয়ে দাও।
অতএব, তাদের উপর বজ্রপাত হয়েছে
তাদের পাপের দরুন; অতঃপর তাদের
নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ-নিদর্শন প্রকাশিত
হবার পরেও তারা গো-বৎসকে
উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিল; তাও আমি
ক্ষমা করে দিয়েছিলাম এবং আমি
মূসাকে প্রকৃষ্ট প্রভাব দান করেছিলাম।
[153] The people of the Scripture (Jews)
ask you to cause a book to descend upon
them from heaven. Indeed they asked
Mûsa (Moses) for even greater than that,
when they said: “Show us Allâh in
public,” but they were struck with
thunderclap and lightning for their
wickedness. Then they worshipped the
calf even after clear proofs, evidences,
and signs had come to them. (Even) so
We forgave them. And We gave Mûsa
(Moses) a clear proof of authority.
[154] ﻭَﺭَﻓَﻌﻨﺎ ﻓَﻮﻗَﻬُﻢُ ﺍﻟﻄّﻮﺭَ
ﺑِﻤﻴﺜٰﻘِﻬِﻢ ﻭَﻗُﻠﻨﺎ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﺩﺧُﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺒﺎﺏَ ﺳُﺠَّﺪًﺍ ﻭَﻗُﻠﻨﺎ ﻟَﻬُﻢ ﻻ
ﺗَﻌﺪﻭﺍ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﺒﺖِ ﻭَﺃَﺧَﺬﻧﺎ
ﻣِﻨﻬُﻢ ﻣﻴﺜٰﻘًﺎ ﻏَﻠﻴﻈًﺎ
[154] আর তাদের কাছ থেকে
প্রতিশ্রুতি নেবার উদ্দেশ্যে আমি
তাদের উপর তূর পর্বতকে তুলে
ধরেছিলাম এবং তাদেরকে
বলেছিলাম, অবনত মস্তকে দরজায়
ঢোক। আর বলেছিলাম, শনিবার দিন
সীমালংঘন করো না। এভাবে তাদের
কাছ থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলাম।
[154] And for their covenant, We raised
over them the Mount and (on the other
occasion) We said: “Enter the gate
prostrating (or bowing) with humility;”
and We commanded them: “Transgress
not (by doing worldly works) on the
Sabbath (Saturday).” And We took from
them a firm covenant.
[155] ﻓَﺒِﻤﺎ ﻧَﻘﻀِﻬِﻢ ﻣﻴﺜٰﻘَﻬُﻢ
ﻭَﻛُﻔﺮِﻫِﻢ ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻗَﺘﻠِﻬِﻢُ
ﺍﻷَﻧﺒِﻴﺎﺀَ ﺑِﻐَﻴﺮِ ﺣَﻖٍّ ﻭَﻗَﻮﻟِﻬِﻢ
ﻗُﻠﻮﺑُﻨﺎ ﻏُﻠﻒٌ ۚ ﺑَﻞ ﻃَﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠَﻴﻬﺎ ﺑِﻜُﻔﺮِﻫِﻢ ﻓَﻼ ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
ﺇِﻟّﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
[155] অতএব, তারা যে শাস্তিপ্রাপ্ত
হয়েছিল, তা ছিল তাদেরই অঙ্গীকার
ভঙ্গর জন্য এবং অন্যায়ভাবে রসূলগণকে
হত্যা করার কারণে এবং তাদের এই
উক্তির দরুন যে, আমাদের হৃদয় আচ্ছন্ন।
অবশ্য তা নয়, বরং কুফরীর কারণে
স্বয়ং আল্লাহ তাদের অন্তরের উপর
মোহর এঁটে দিয়েছেন। ফলে এরা ঈমান
আনে না কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক।
[155] Because of their breaking the
covenant, and of their rejecting the Ayât
(proofs, evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.) of Allâh, and of their
killing the Prophets unjustly, and of their
saying: “Our hearts are wrapped (with
coverings, i.e. we do not understand
what the Messengers say)” – nay, Allâh
has set a seal upon their hearts because
of their disbelief, so they believe not but
a little.
[156] ﻭَﺑِﻜُﻔﺮِﻫِﻢ ﻭَﻗَﻮﻟِﻬِﻢ ﻋَﻠﻰٰ
ﻣَﺮﻳَﻢَ ﺑُﻬﺘٰﻨًﺎ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[156] আর তাদের কুফরী এবং মরিয়মের
প্রতি মহা অপবাদ আরোপ করার
কারণে।
[156] And because of their (Jews)
disbelief and uttering against Maryam
(Mary A.S. ) a grave false charge (that
she has committed illegal sexual
intercourse);
[157] ﻭَﻗَﻮﻟِﻬِﻢ ﺇِﻧّﺎ ﻗَﺘَﻠﻨَﺎ
ﺍﻟﻤَﺴﻴﺢَ ﻋﻴﺴَﻰ ﺍﺑﻦَ ﻣَﺮﻳَﻢَ
ﺭَﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣﺎ ﻗَﺘَﻠﻮﻩُ ﻭَﻣﺎ
ﺻَﻠَﺒﻮﻩُ ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﺷُﺒِّﻪَ ﻟَﻬُﻢ ۚ ﻭَﺇِﻥَّ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺧﺘَﻠَﻔﻮﺍ ﻓﻴﻪِ ﻟَﻔﻰ
ﺷَﻚٍّ ﻣِﻨﻪُ ۚ ﻣﺎ ﻟَﻬُﻢ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ ﻋِﻠﻢٍ
ﺇِﻟَّﺎ ﺍﺗِّﺒﺎﻉَ ﺍﻟﻈَّﻦِّ ۚ ﻭَﻣﺎ ﻗَﺘَﻠﻮﻩُ
ﻳَﻘﻴﻨًﺎ
[157] আর তাদের একথা বলার কারণে
যে, আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে
হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর
রসূল। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা
করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং
তারা এরূপ ধাঁধায় পতিত হয়েছিল।
বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম
কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে সন্দেহের
মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা
ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোন খবরই
রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা
হত্যা করেনি।
[157] And because of their saying (in
boast), “We killed Messiah ‘Īsā (Jesus),
son of Maryam (Mary), the Messenger of
Allâh,” – but they killed him not, nor
crucified him, but the resemblance of
‘Īsā (Jesus) was put over another man
(and they killed that man), and those
who differ therein are full of doubts.
They have no (certain) knowledge, they
follow nothing but conjecture. For
surely; they killed him not [i.e. ‘Īsā
(Jesus), son of Maryam (Mary) A.S.]:
[158] ﺑَﻞ ﺭَﻓَﻌَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺇِﻟَﻴﻪِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺰﻳﺰًﺍ ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[158] বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন
আল্লাহ তা’আলা নিজের কাছে। আর
আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী,
প্রজ্ঞাময়।
[158] But Allâh raised him [‘Īsā (Jesus)]
up (with his body and soul) unto Himself
(and he A.S. is in the heavens). And
Allâh is Ever All-Powerful, All-Wise.
[159] ﻭَﺇِﻥ ﻣِﻦ ﺃَﻫﻞِ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﺇِﻟّﺎ
ﻟَﻴُﺆﻣِﻨَﻦَّ ﺑِﻪِ ﻗَﺒﻞَ ﻣَﻮﺗِﻪِ ۖ ﻭَﻳَﻮﻡَ
ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ﻳَﻜﻮﻥُ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺷَﻬﻴﺪًﺍ
[159] আর আহলে-কিতাবদের মধ্যে যত
শ্রেণী রয়েছে তারা সবাই ঈমান
আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে।
আর কেয়ামতের দিন তাদের জন্য
সাক্ষীর উপর সাক্ষী উপস্থিত হবে।
[159] And there is none of the people of
the Scripture (Jews and Christians), but
must believe in him [‘Īsā (Jesus), son of
Maryam (Mary), as only a Messenger of
Allâh and a human being], before his
[‘Īsā (Jesus) A.S. or a Jew’s or a
Christian’s] death (at the time of the
appearance of the angel of death). And
on the Day of Resurrection, he [‘Īsā
(Jesus)] will be a witness against them
[160] ﻓَﺒِﻈُﻠﻢٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻫﺎﺩﻭﺍ
ﺣَﺮَّﻣﻨﺎ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻃَﻴِّﺒٰﺖٍ ﺃُﺣِﻠَّﺖ
ﻟَﻬُﻢ ﻭَﺑِﺼَﺪِّﻫِﻢ ﻋَﻦ ﺳَﺒﻴﻞِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ
[160] বস্তুতঃ ইহুদীদের জন্য আমি
হারাম করে দিয়েছি বহু পূত-পবিত্র বস্তু
যা তাদের জন্য হালাল ছিল-তাদের
পাপের কারণে এবং আল্লাহর পথে
অধিক পরিমাণে বাধা দানের দরুন।
[160] For the wrong-doing of the Jews,
We made unlawful for them certain good
foods which has been lawful for them,
and for their hindering many from
Allâh’s Way;
[161] ﻭَﺃَﺧﺬِﻫِﻢُ ﺍﻟﺮِّﺑﻮٰﺍ۟ ﻭَﻗَﺪ
ﻧُﻬﻮﺍ ﻋَﻨﻪُ ﻭَﺃَﻛﻠِﻬِﻢ ﺃَﻣﻮٰﻝَ
ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﺑِﺎﻟﺒٰﻄِﻞِ ۚ ﻭَﺃَﻋﺘَﺪﻧﺎ
ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ ﺃَﻟﻴﻤًﺎ
[161] আর এ কারণে যে, তারা সুদ গ্রহণ
করত, অথচ এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা
আরোপ করা হয়েছিল এবং এ কারণে
যে, তারা অপরের সম্পদ ভোগ করতো
অন্যায় ভাবে। বস্তুত; আমি কাফেরদের
জন্য তৈরী করে রেখেছি বেদনাদায়ক
আযাব।
[161] And their taking of Ribâ (usury)
though they were forbidden from taking
it and their devouring of men’s
substance wrongfully (bribery). And We
have prepared for the disbelievers
among them a painful torment.
[162] ﻟٰﻜِﻦِ ﺍﻟﺮّٰﺳِﺨﻮﻥَ ﻓِﻰ
ﺍﻟﻌِﻠﻢِ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻭَﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺑِﻤﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻭَﻣﺎ
ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻚَ ۚ ﻭَﺍﻟﻤُﻘﻴﻤﻴﻦَ
ﺍﻟﺼَّﻠﻮٰﺓَ ۚ ﻭَﺍﻟﻤُﺆﺗﻮﻥَ ﺍﻟﺰَّﻛﻮٰﺓَ
ﻭَﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺳَﻨُﺆﺗﻴﻬِﻢ
ﺃَﺟﺮًﺍ ﻋَﻈﻴﻤًﺎ
[162] কিন্তু যারা তাদের মধ্যে
জ্ঞানপক্ক ও ঈমানদার, তারা তাও
মান্য করে যা আপনার উপর অবতীর্ণ
হয়েছে এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে
আপনার পূর্বে। আর যারা নামাযে
অনুবর্তিতা পালনকারী, যারা যাকাত
দানকারী এবং যারা আল্লাহ ও
কেয়ামতে আস্থাশীল। বস্তুতঃ এমন
লোকদেরকে আমি দান করবো
মহাপুণ্য।
[162] But those among them who are
well-grounded in knowledge, and the
believers, believe in what has been sent
down to you (Muhammad SAW) and
what was sent down before you, and
those who perform As-Salât (Iqâmat-as-
Salât), and give Zakât and believe in
Allâh and in the Last Day, it is they to
whom We shall give a great reward.
[163] ۞ ﺇِﻧّﺎ ﺃَﻭﺣَﻴﻨﺎ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻛَﻤﺎ
ﺃَﻭﺣَﻴﻨﺎ ﺇِﻟﻰٰ ﻧﻮﺡٍ ﻭَﺍﻟﻨَّﺒِﻲّۦﻥَ
ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِﻩِ ۚ ﻭَﺃَﻭﺣَﻴﻨﺎ ﺇِﻟﻰٰ
ﺇِﺑﺮٰﻫﻴﻢَ ﻭَﺇِﺳﻤٰﻌﻴﻞَ ﻭَﺇِﺳﺤٰﻖَ
ﻭَﻳَﻌﻘﻮﺏَ ﻭَﺍﻷَﺳﺒﺎﻁِ ﻭَﻋﻴﺴﻰٰ
ﻭَﺃَﻳّﻮﺏَ ﻭَﻳﻮﻧُﺲَ ﻭَﻫٰﺮﻭﻥَ
ﻭَﺳُﻠَﻴﻤٰﻦَ ۚ ﻭَﺀﺍﺗَﻴﻨﺎ ﺩﺍﻭۥﺩَ
ﺯَﺑﻮﺭًﺍ
[163] আমি আপনার প্রতি ওহী
পাঠিয়েছি, যেমন করে ওহী
পাঠিয়েছিলাম নূহের প্রতি এবং সে
সমস্ত নবী-রসূলের প্রতি যাঁরা তাঁর পরে
প্রেরিত হয়েছেন। আর ওহী পাঠিয়েছি,
ইসমাঈল, ইব্রাহীম, ইসহাক, ইয়াকুব, ও
তাঁর সন্তাবর্গের প্রতি এবং ঈসা,
আইয়ুব, ইউনূস, হারুন ও সুলায়মানের
প্রতি। আর আমি দাউদকে দান করেছি
যবুর গ্রন্থ।
[163] Verily, We have sent the revelation
to you (O Muhammad SAW) as We sent
the revelation to Nûh (Noah) and the
Prophets after him; We (also) sent the
revelation to Ibrâhîm (Abraham), Ismâ‘îl
(Ishmael), Ishâq (Isaac), Ya‘qûb (Jacob),
and Al-Asbât [the offspring of the twelve
sons of Ya‘qûb (Jacob)], ‘Îsâ (Jesus),
Ayyûb (Job), Yûnus (Jonah), Hârûn
(Aaron), and Sulaimân (Solomon); and to
Dâwûd (David) We gave the Zabûr
(Psalms).
[164] ﻭَﺭُﺳُﻠًﺎ ﻗَﺪ ﻗَﺼَﺼﻨٰﻬُﻢ
ﻋَﻠَﻴﻚَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ﻭَﺭُﺳُﻠًﺎ ﻟَﻢ
ﻧَﻘﺼُﺼﻬُﻢ ﻋَﻠَﻴﻚَ ۚ ﻭَﻛَﻠَّﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻣﻮﺳﻰٰ ﺗَﻜﻠﻴﻤًﺎ
[164] এছাড়া এমন রসূল পাঠিয়েছি
যাদের ইতিবৃত্ত আমি আপনাকে
শুনিয়েছি ইতিপূর্বে এবং এমন রসূল
পাঠিয়েছি যাদের বৃত্তান্ত আপনাকে
শোনাইনি। আর আল্লাহ মূসার সাথে
কথোপকথন করেছেন সরাসরি।
[164] And Messengers We have
mentioned to you before, and
Messengers We have not mentioned to
you, – and to Mûsa (Moses) Allâh spoke
directly.
[165] ﺭُﺳُﻠًﺎ ﻣُﺒَﺸِّﺮﻳﻦَ ﻭَﻣُﻨﺬِﺭﻳﻦَ
ﻟِﺌَﻠّﺎ ﻳَﻜﻮﻥَ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺣُﺠَّﺔٌ ﺑَﻌﺪَ ﺍﻟﺮُّﺳُﻞِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﺰﻳﺰًﺍ ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[165] সুসংবাদদাতা ও ভীতি-
প্রদর্শনকারী রসূলগণকে প্রেরণ
করেছি, যাতে রসূলগণের পরে আল্লাহর
প্রতি অপবাদ আরোপ করার মত কোন
অবকাশ মানুষের জন্য না থাকে।
আল্লাহ প্রবল পরাক্রমশীল, প্রাজ্ঞ।
[165] Messengers as bearers of good
news as well as of warning in order that
mankind should have no plea against
Allâh after the (coming of) Messengers.
And Allâh is Ever All-Powerful, All-Wise.
[166] ﻟٰﻜِﻦِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺸﻬَﺪُ ﺑِﻤﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ
ﺇِﻟَﻴﻚَ ۖ ﺃَﻧﺰَﻟَﻪُ ﺑِﻌِﻠﻤِﻪِ ۖ ﻭَﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ
ﻳَﺸﻬَﺪﻭﻥَ ۚ ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﺷَﻬﻴﺪًﺍ
[166] আল্লাহ আপনার প্রতি যা
অবতীর্ণ করেছেন তিনি যে তা
সজ্ঞানেই করেছেন, সে ব্যাপারে
আল্লাহ নিজেও সাক্ষী এবং
ফেরেশতাগণও সাক্ষী। আর সাক্ষী
হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।
[166] But Allâh bears witness to that
which He has sent down (the Qur’ân)
unto you (O Muhammad SAW), He has
sent it down with His Knowledge, and
the angels bear witness. And Allâh is All-
Sufficient as a Witness.
[167] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﺻَﺪّﻭﺍ
ﻋَﻦ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻗَﺪ ﺿَﻠّﻮﺍ
ﺿَﻠٰﻠًﺎ ﺑَﻌﻴﺪًﺍ
[167] যারা কুফরী অবলম্বন করেছে,
এবং আল্লাহর পথে বাধার সৃষ্টি
করেছে, তারা বিভ্রান্তিতে সুদূরে
পতিত হয়েছে।
[167] Verily, those who disbelieve [by
concealing the truth about Prophet
Muhammad SAW and his message of
true Islâmic Monotheism written in the
Taurât (Torah) and the Injeel (Gospel)
with them] and prevent (mankind) from
the Path of Allâh (Islâmic Monotheism),
they have certainly strayed far away.
(Tafsir Al-Qurtubî).
[168] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﻇَﻠَﻤﻮﺍ
ﻟَﻢ ﻳَﻜُﻦِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴَﻐﻔِﺮَ ﻟَﻬُﻢ ﻭَﻻ
ﻟِﻴَﻬﺪِﻳَﻬُﻢ ﻃَﺮﻳﻘًﺎ
[168] যারা কুফরী অবলম্বন করেছে
এবং সত্য চাপা দিয়ে রেখেছে,
আল্লাহ কখনও তাদের ক্ষমা করবেন না
এবং সরল পথ দেখাবেন না।
[168] Verily, those who disbelieve and
did wrong [by concealing the truth about
Prophet Muhammad SAW and his
message of true Islâmic Monotheism
written in the Taurât (Torah) and the
Injeel (Gospel) with them], Allâh will not
forgive them, nor will He guide them to
any way, – (Tafsir Al-Qurtubî).
[169] ﺇِﻟّﺎ ﻃَﺮﻳﻖَ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ
ﻓﻴﻬﺎ ﺃَﺑَﺪًﺍ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ ﺫٰﻟِﻚَ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳَﺴﻴﺮًﺍ
[169] তাদের জন্য রয়েছে
জাহান্নামের পথ। সেখানে তারা বাস
করবে অনন্তকাল। আর এমন করাটা
আল্লাহর পক্ষে সহজ।
[169] Except the way of Hell, to dwell
therein forever, and this is ever easy for
Allâh.
[170] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻗَﺪ ﺟﺎﺀَﻛُﻢُ
ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝُ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ
ﻓَـٔﺎﻣِﻨﻮﺍ ﺧَﻴﺮًﺍ ﻟَﻜُﻢ ۚ ﻭَﺇِﻥ
ﺗَﻜﻔُﺮﻭﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻭَﻛﺎﻥَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻤًﺎ ﺣَﻜﻴﻤًﺎ
[170] হে মানবজাতি! তোমাদের
পালনকর্তার যথার্থ বাণী নিয়ে
তোমাদের নিকট রসূল এসেছেন,
তোমরা তা মেনে নাও যাতে
তোমাদের কল্যাণ হতে পারে। আর
যদি তোমরা তা না মান, জেনে রাখ
আসমানসমূহে ও যমীনে যা কিছু রয়েছে
সে সবকিছুই আল্লাহর। আর আল্লাহ
হচ্ছেন সর্বজ্ঞ, প্রাজ্ঞ।
[170] O mankind! Verily, there has come
to you the Messenger (Muhammad SAW)
with the truth from your Lord, so believe
in him, it is better for you. But if you
disbelieve, then certainly to Allâh
belongs all that is in the heavens and the
earth. And Allâh is Ever All-Knowing,
All-Wise.
[171] ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻻ ﺗَﻐﻠﻮﺍ
ﻓﻰ ﺩﻳﻨِﻜُﻢ ﻭَﻻ ﺗَﻘﻮﻟﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﺤَﻖَّ ۚ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﻤَﺴﻴﺢُ
ﻋﻴﺴَﻰ ﺍﺑﻦُ ﻣَﺮﻳَﻢَ ﺭَﺳﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻛَﻠِﻤَﺘُﻪُ ﺃَﻟﻘﻯٰﻬﺎ ﺇِﻟﻰٰ ﻣَﺮﻳَﻢَ
ﻭَﺭﻭﺡٌ ﻣِﻨﻪُ ۖ ﻓَـٔﺎﻣِﻨﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪِ ۖ ﻭَﻻ ﺗَﻘﻮﻟﻮﺍ ﺛَﻠٰﺜَﺔٌ ۚ
ﺍﻧﺘَﻬﻮﺍ ﺧَﻴﺮًﺍ ﻟَﻜُﻢ ۚ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺇِﻟٰﻪٌ ﻭٰﺣِﺪٌ ۖ ﺳُﺒﺤٰﻨَﻪُ ﺃَﻥ ﻳَﻜﻮﻥَ
ﻟَﻪُ ﻭَﻟَﺪٌ ۘ ﻟَﻪُ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۗ ﻭَﻛَﻔﻰٰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻛﻴﻠًﺎ
[171] হে আহলে-কিতাবগণ! তোমরা
দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো
না এবং আল্লাহর শানে নিতান্ত সঙ্গত
বিষয় ছাড়া কোন কথা বলো না।
নিঃসন্দেহে মরিয়ম পুত্র মসীহ ঈসা
আল্লাহর রসূল এবং তাঁর বাণী যা তিনি
প্রেরণ করেছেন মরিয়মের নিকট এবং
রূহ-তাঁরই কাছ থেকে আগত। অতএব,
তোমরা আল্লাহকে এবং তার
রসূলগণকে মান্য কর। আর একথা বলো
না যে, আল্লাহ তিনের এক, একথা
পরিহার কর; তোমাদের মঙ্গল হবে।
নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য।
সন্তান-সন্ততি হওয়াটা তাঁর যোগ্য
বিষয় নয়। যা কিছু আসমান সমূহ ও
যমীনে রয়েছে সবই তার। আর
কর্মবিধানে আল্লাহই যথেষ্ট।
[171] O people of the Scripture! Do not
exceed the limits in your religion, nor
say of Allâh aught but the truth. The
Messiah Īsā(Jesus), son of Maryam
(Mary), was (no more than) a Messenger
of Allâh and His Word, (“Be!” – and he
was) which He bestowed on Maryam
(Mary) and a spirit (Rûh) created by
Him; so believe in Allâh and His
Messengers. Say not: “Three (trinity)!”
Cease! (it is) better for you. For Allâh is
(the only) One Ilâh (God), glory be to
Him (Far Exalted is He) above having a
son. To Him belongs all that is in the
heavens and all that is in the earth. And
Allâh is All¬Sufficient as a Disposer of
affairs.
[172] ﻟَﻦ ﻳَﺴﺘَﻨﻜِﻒَ ﺍﻟﻤَﺴﻴﺢُ ﺃَﻥ
ﻳَﻜﻮﻥَ ﻋَﺒﺪًﺍ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ
ﺍﻟﻤُﻘَﺮَّﺑﻮﻥَ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺴﺘَﻨﻜِﻒ
ﻋَﻦ ﻋِﺒﺎﺩَﺗِﻪِ ﻭَﻳَﺴﺘَﻜﺒِﺮ
ﻓَﺴَﻴَﺤﺸُﺮُﻫُﻢ ﺇِﻟَﻴﻪِ ﺟَﻤﻴﻌًﺎ
[172] মসীহ আল্লাহর বান্দা হবেন,
তাতে তার কোন লজ্জাবোধ নেই
এবং ঘনিষ্ঠ ফেরেশতাদেরও না।
বস্তুতঃ যারা আল্লাহর দাসত্বে
লজ্জাবোধ করবে এবং অহংকার
করবে, তিনি তাদের সবাইকে নিজের
কাছে সমবেত করবেন।
[172] The Messiah will never be proud to
reject to be a slave of Allâh, nor the
angels who are near (to Allâh). And
whosoever rejects His worship and is
proud, then He will gather them all
together unto Himself.
[173] ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﻓَﻴُﻮَﻓّﻴﻬِﻢ
ﺃُﺟﻮﺭَﻫُﻢ ﻭَﻳَﺰﻳﺪُﻫُﻢ ﻣِﻦ
ﻓَﻀﻠِﻪِ ۖ ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺍﺳﺘَﻨﻜَﻔﻮﺍ ﻭَﺍﺳﺘَﻜﺒَﺮﻭﺍ
ﻓَﻴُﻌَﺬِّﺑُﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ ﺃَﻟﻴﻤًﺎ ﻭَﻻ
ﻳَﺠِﺪﻭﻥَ ﻟَﻬُﻢ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻭَﻻ ﻧَﺼﻴﺮًﺍ
[173] অতঃপর যারা ঈমান এনেছে এবং
সৎকাজ করেছে, তিনি তাদেরকে
পরিপূর্ণ সওয়াব দান করবেন, বরং স্বীয়
অনুগ্রহে আরো বেশী দেবেন।
পক্ষান্তরে যারা লজ্জাবোধ করেছে
এবং অহঙ্কার করেছে তিনি তাদেরকে
দেবেন বেদনাদায়ক আযাব। আল্লাহকে
ছাড়া তারা কোন সাহায্যকারী ও
সমর্থক পাবে না।
[173] So, as for those who believed (in
the Oneness of Allâh – Islâmic
Monotheism) and did deeds of
righteousness, He will give their (due)
rewards, and more out of His Bounty.
But as for those who refused His worship
and were proud, He will punish them
with a painful torment . And they will
not find for themselves besides Allâh any
protector or helper.
[174] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﻗَﺪ ﺟﺎﺀَﻛُﻢ
ﺑُﺮﻫٰﻦٌ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ ﻭَﺃَﻧﺰَﻟﻨﺎ
ﺇِﻟَﻴﻜُﻢ ﻧﻮﺭًﺍ ﻣُﺒﻴﻨًﺎ
[174] হে মানবকুল! তোমাদের
পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে
তোমাদের নিকট সনদ পৌঁছে গেছে।
আর আমি তোমাদের প্রতি প্রকৃষ্ট
আলো অবতীর্ণ করেছি।
[174] O mankind! Verily, there has come
to you a convincing proof (Prophet
Muhammad SAW) from your Lord, and
We sent down to you a manifest light
(this Qur’ân).
[175] ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺍﻋﺘَﺼَﻤﻮﺍ ﺑِﻪِ ﻓَﺴَﻴُﺪﺧِﻠُﻬُﻢ
ﻓﻰ ﺭَﺣﻤَﺔٍ ﻣِﻨﻪُ ﻭَﻓَﻀﻞٍ
ﻭَﻳَﻬﺪﻳﻬِﻢ ﺇِﻟَﻴﻪِ ﺻِﺮٰﻃًﺎ
ﻣُﺴﺘَﻘﻴﻤًﺎ
[175] অতএব, যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান
এনেছে এবং তাতে দৃঢ়তা অবলম্বন
করেছে তিনি তাদেরকে স্বীয় রহমত ও
অনুগ্রহের আওতায় স্থান দেবেন এবং
নিজের দিকে আসার মত সরল পথে তুলে
দেবেন।
[175] So, as for those who believed in
Allâh and held fast to Him, He will admit
them to His Mercy and Grace (i.e.
Paradise), and guide them to Himself by
a Straight Path.
[176] ﻳَﺴﺘَﻔﺘﻮﻧَﻚَ ﻗُﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻳُﻔﺘﻴﻜُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻟﻜَﻠٰﻠَﺔِ ۚ ﺇِﻥِ ﺍﻣﺮُﺅٌﺍ۟
ﻫَﻠَﻚَ ﻟَﻴﺲَ ﻟَﻪُ ﻭَﻟَﺪٌ ﻭَﻟَﻪُ ﺃُﺧﺖٌ
ﻓَﻠَﻬﺎ ﻧِﺼﻒُ ﻣﺎ ﺗَﺮَﻙَ ۚ ﻭَﻫُﻮَ
ﻳَﺮِﺛُﻬﺎ ﺇِﻥ ﻟَﻢ ﻳَﻜُﻦ ﻟَﻬﺎ ﻭَﻟَﺪٌ ۚ
ﻓَﺈِﻥ ﻛﺎﻧَﺘَﺎ ﺍﺛﻨَﺘَﻴﻦِ ﻓَﻠَﻬُﻤَﺎ
ﺍﻟﺜُّﻠُﺜﺎﻥِ ﻣِﻤّﺎ ﺗَﺮَﻙَ ۚ ﻭَﺇِﻥ ﻛﺎﻧﻮﺍ
ﺇِﺧﻮَﺓً ﺭِﺟﺎﻟًﺎ ﻭَﻧِﺴﺎﺀً ﻓَﻠِﻠﺬَّﻛَﺮِ
ﻣِﺜﻞُ ﺣَﻆِّ ﺍﻷُﻧﺜَﻴَﻴﻦِ ۗ ﻳُﺒَﻴِّﻦُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﻀِﻠّﻮﺍ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[176] মানুষ আপনার নিকট ফতোয়া
জানতে চায় অতএব, আপনি বলে দিন,
আল্লাহ তোমাদিগকে কালালাহ এর
মীরাস সংক্রান্ত সুস্পষ্ট নির্দেশ
বাতলে দিচ্ছেন, যদি কোন পুরুষ মারা
যায় এবং তার কোন সন্তানাদি না
থাকে এবং এক বোন থাকে, তবে সে
পাবে তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তির
অর্ধেক অংশ এবং সে যদি নিঃসন্তান
হয়, তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী
হবে। তা দুই বোন থাকলে তাদের জন্য
পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ।
পক্ষান্তরে যদি ভাই ও বোন উভয়ই
থাকে, তবে একজন পুরুষের অংশ দুজন
নারীর সমান। তোমরা বিভ্রান্ত হবে
আল্লাহ তোমাদিগকে সুস্পষ্ট ভাবে
জানিয়ে দিচ্ছেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন
সর্ব বিষয়ে পরিজ্ঞাত।
[176] They ask you for a legal verdict.
Say: “Allâh directs (thus) about
Al¬Kalâlah (those who leave neither
descendants nor ascendants as heirs). If
it is a man that dies, leaving a sister, but
no child, she shall have half the
inheritance. If (such a deceased was) a
woman, who left no child, her brother
takes her inheritance. If there are two
sisters, they shall have two-thirds of the
inheritance; if there are brothers and
sisters, the male will have twice the
share of the female. (Thus) does Allâh
makes clear to you (His Law) lest you go
astray. And Allâh is the All-Knower of
everything.”
মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয় জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন। 2. এতীমদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করো না। আর তাদের ধন-সম্পদ নিজেদের ধন-সম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করে তা গ্রাস করো না। নিশ্চয় এটা বড়ই মন্দ কাজ। 3. আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা। 4. আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর। 5. আর যে সম্পদকে আল্লাহ তোমাদের জীবন-যাত্রার অবলম্বন করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে দিও না। বরং তা থেকে তাদেরকে খাওয়াও, পরাও এবং তাদেরকে সান্তনার বানী শোনাও। 6. আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার। এতীমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্য আল্লাহই হিসাব নেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট। 7. পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষদেরও অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীদেরও অংশ আছে; অল্প হোক কিংবা বেশী। এ অংশ নির্ধারিত। 8. সম্পতি বন্টনের সময় যখন আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও মিসকীন উপস্থিত হয়, তখন তা থেকে তাদের কিছু খাইয়ে দাও এবং তাদের সাথে কিছু সদালাপ করো। 9. তাদের ভয় করা উচিত, যারা নিজেদের পশ্চাতে দুর্বল অক্ষম সন্তান-সন্ততি ছেড়ে গেলে তাদের জন্যে তারাও আশঙ্কা করে; সুতরাং তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং সংগত কথা বলে। 10. যারা এতীমদের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করেছে এবং সত্ত্বরই তারা অগ্নিতে প্রবেশ করবে। 11. আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু’ এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। 12. আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। 13. এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য। 14. যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। 15. আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন। 16. তোমাদের মধ্য থেকে যে দু’জন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু। 17. অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ। 18. আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। 19. হে ঈমাণদারগণ! বলপূর্বক নারীদেরকে উত্তরাধিকারে গ্রহন করা তোমাদের জন্যে হালাল নয় এবং তাদেরকে আটক রেখো না যাতে তোমরা তাদেরকে যা প্রদান করেছ তার কিয়দংশ নিয়ে নাও; কিন্তু তারা যদি কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতা করে! নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন। 20. যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী পরিবর্তন করতে ইচ্ছা কর এবং তাদের একজনকে প্রচুর ধন-সম্পদ প্রদান করে থাক, তবে তা থেকে কিছুই ফেরত গ্রহণ করো না। তোমরা কি তা অন্যায়ভাবে ও প্রকাশ্য গোনাহর মাধ্যমে গ্রহণ করবে? 21. তোমরা কিরূপে তা গ্রহণ করতে পার, অথচ তোমাদের একজন অন্য জনের কাছে গমন এবং নারীরা তোমাদের কাছে থেকে সুদৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে। 22. যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ। 23. তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ- বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। 24. এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়- এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য- ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। 25. আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে ভয় করে। আর যদি সবর কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। 26. আল্লাহ তোমাদের জন্যে সব কিছু পরিষ্কার বর্ণনা করে দিতে চান, তোমাদের পূর্ববর্তীদের পথ প্রদর্শন করতে চান। এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চান, আল্লাহ মহাজ্ঞানী রহস্যবিদ। 27. আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হতে চান, এবং যারা কামনা-বাসনার অনুসারী, তারা চায় যে, তোমরা পথ থেকে অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়। 28. আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান। মানুষ দুর্বল সৃজিত হয়েছে। 29. হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। 30. আর যে কেউ সীমালঙ্ঘন কিংবা জুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে খুব শীঘ্রই আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজসাধ্য। 31. যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের ক্রটি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করার। 32. আর তোমরা আকাঙ্ক্ষা করো না এমন সব বিষয়ে যাতে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের একের উপর অপরের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত। 33. পিতা-মাতা এবং নিকটাত্নীয়গণ যা ত্যাগ করে যান সেসবের জন্যই আমি উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করে দিয়েছি। আর যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছ তাদের প্রাপ্য দিয়ে দাও। আল্লাহ তা’আলা নিঃসন্দেহে সব কিছুই প্রত্যক্ষ করেন। 34. পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ। 35. যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা কর, তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ের মীমাংসা চাইলে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছু অবহিত। 36. আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে। 37. যারা নিজেরাও কার্পন্য করে এবং অন্যকেও কৃপণতা শিক্ষা দেয় আর গোপন করে সে সব বিষয় যা আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে দান করেছেন স্বীয় অনুগ্রহে-বস্তুতঃ তৈরী করে রেখেছি কাফেরদের জন্য অপমান জনক আযাব। 38. আর সে সমস্ত লোক যারা ব্যয় করে স্বীয় ধন-সম্পদ লোক- দেখানোর উদ্দেশে এবং যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনে না, ঈমান আনে না কেয়ামত দিবসের প্রতি এবং শয়তান যার সাথী হয় সে হল নিকৃষ্টতর সাথী। 39. আর কিই বা ক্ষতি হত তাদের যদি তারা ঈমান আনত আল্লাহর উপর কেয়ামত দিবসের উপর এবং যদি ব্যয় করত আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক থেকে! অথচ আল্লাহ, তাদের ব্যাপারে যথার্থভাবেই অবগত। 40. নিশ্চয়ই আল্লাহ কারো প্রাপ্য হক বিন্দু-বিসর্গও রাখেন না; আর যদি তা সৎকর্ম হয়, তবে তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং নিজের পক্ষ থেকে বিপুল সওয়াব দান করেন। 41. আর তখন কি অবস্থা দাঁড়াবে, যখন আমি ডেকে আনব প্রতিটি উম্মতের মধ্য থেকে অবস্থা বর্ণনাকারী এবং আপনাকে ডাকব তাদের উপর অবস্থা বর্ণনাকারীরূপে। 42. সেদিন কামনা করবে সে সমস্ত লোক, যারা কাফের হয়েছিল এবং রসূলের নাফরমানী করেছিল, যেন যমীনের সাথে মিশে যায়। কিন্তু গোপন করতে পারবে না আল্লাহর নিকট কোন বিষয়। 43. হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল। 44. তুমি কি ওদের দেখনি, যারা কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে, (অথচ) তারা পথভ্রষ্টতা খরিদ করে এবং কামনা করে, যাতে তোমরাও আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত হয়ে যাও। 45. অথচ আল্লাহ তোমাদের শত্রুদেরকে যথার্থই জানেন। আর অভিভাবক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট এবং সাহায্যকারী হিসাবেও আল্লাহই যথেষ্ট। 46. কোন কোন ইহুদী তার লক্ষ্য থেকে কথার মোড় ঘুড়িয়ে নেয় এবং বলে, আমরা শুনেছি কিন্তু অমান্য করছি। তারা আরো বলে, শোন, না শোনার মত। মুখ বাঁকিয়ে দ্বীনের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শনের উদ্দেশে বলে, রায়েনা’ (আমাদের রাখাল) । অথচ যদি তারা বলত যে, আমরা শুনেছি ও মান্য করেছি এবং (যদি বলত,) শোন এবং আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখ, তবে তাই ছিল তাদের জন্য উত্তম আর সেটাই ছিল যথার্থ ও সঠিক। কিন্তু আল্লাহ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন তাদের কুফরীর দরুন। অতএব, তারা ঈমান আনছে না, কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক। 47. হে আসমানী গ্রন্থের অধিকারীবৃন্দ! যা কিছু আমি অবতীর্ণ করেছি তার উপর বিশ্বাস স্থাপন কর, যা সে গ্রন্থের সত্যায়ন করে এবং যা তোমাদের নিকট রয়েছে পূর্ব থেকে। (বিশ্বাস স্থাপন কর) এমন হওয়ার আগেই যে, আমি মুছে দেব অনেক চেহারাকে এবং অতঃপর সেগুলোকে ঘুরিয়ে দেব পশ্চাৎ দিকে কিংবা অভিসম্পাত করব তাদের প্রতি যেমন করে অভিসম্পাত করেছি আছহাবে-সাবতের উপর। আর আল্লাহর নির্দেশ অবশ্যই কার্যকর হবে। 48. নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। 49. তুমি কি তাদেকে দেখনি, যারা নিজেদেরকে পূত- পবিত্র বলে থাকে অথচ পবিত্র করেন আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকেই? বস্তুতঃ তাদের উপর সুতা পরিমাণ অন্যায়ও হবে না। 50. লক্ষ্য কর, কেমন করে তারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, অথচ এই প্রকাশ্য পাপই যথেষ্ট। 51. তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে, যারা মান্য করে প্রতিমা ও শয়তানকে এবং কাফেরদেরকে বলে যে, এরা মুসলমানদের তুলনায় অধিকতর সরল সঠিক পথে রয়েছে। 52. এরা হলো সে সমস্ত লোক, যাদের উপর লা’নত করেছেন আল্লাহ তা’আলা স্বয়ং। বস্তুতঃ আল্লাহ যার উপর লা’নত করেন তুমি তার কোন সাহায্যকারী খুঁজে পাবে না। 53. তাদের কাছে কি রাজ্যের কোন অংশ আছে? তাহলে যে এরা কাউকেও একটি তিল পরিমাণও দেবে না। 54. নাকি যাকিছু আল্লাহ তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে দান করেছেন সে বিষয়ের জন্য মানুষকে হিংসা করে। অবশ্যই আমি ইব্রাহীমের বংশধরদেরকে কিতাব ও হেকমত দান করেছিলাম আর তাদেরকে দান করেছিলাম বিশাল রাজ্য। 55. অতঃপর তাদের কেউ তাকে মান্য করেছে আবার কেউ তার কাছ থেকে দূরে সরে রয়েছে। বস্তুতঃ (তাদের জন্য) দোযখের শিখায়িত আগুনই যথেষ্ট। 56. এতে সন্দেহ নেই যে, আমার নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী। 57. আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, অবশ্য আমি প্রবিষ্ট করাব তাদেরকে জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ। সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। সেখানে তাদের জন্য থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্ত্রীগণ। তাদেরকে আমি প্রবিষ্ট করব ঘন ছায়া নীড়ে। 58. নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদিগকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাংসা করতে আরম্ভ কর, তখন মীমাংসা কর ন্যায় ভিত্তিক। আল্লাহ তোমাদিগকে সদুপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী, দর্শনকারী। 59. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। 60. আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে। তারা বিরোধীয় বিষয়কে শয়তানের দিকে নিয়ে যেতে চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা ওকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়। 61. আর যখন আপনি তাদেরকে বলবেন, আল্লাহর নির্দেশের দিকে এসো-যা তিনি রসূলের প্রতি নাযিল করেছেন, তখন আপনি মুনাফেকদিগকে দেখবেন, ওরা আপনার কাছ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সরে যাচ্ছে। 62. এমতাবস্থায় যদি তাদের কৃতকর্মের দরুন বিপদ আরোপিত হয়, তবে তাতে কি হল! অতঃপর তারা আপনার কাছে আল্লাহর নামে কসম খেয়ে খেয়ে ফিরে আসবে যে, মঙ্গল ও সম্প্রীতি ছাড়া আমাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না। 63. এরা হলো সে সমস্ত লোক, যাদের মনের গোপন বিষয় সম্পর্কেও আল্লাহ তা’আলা অবগত। অতএব, আপনি ওদেরকে উপেক্ষা করুন এবং ওদেরকে সদুপদেশ দিয়ে এমন কোন কথা বলুন যা তাদের জন্য কল্যাণকর। 64. বস্তুতঃ আমি একমাত্র এই উদ্দেশ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তাঁদের আদেশ-নিষেধ মান্য করা হয়। আর সেসব লোক যখন নিজেদের অনিষ্ট সাধন করেছিল, তখন যদি আপনার কাছে আসত অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং রসূলও যদি তাদেরকে ক্ষমা করিয়ে দিতেন। অবশ্যই তারা আল্লাহকে ক্ষমাকারী, মেহেরবানরূপে পেত। 65. অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হূষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে। 66. আর যদি আমি তাদের নির্দেশ দিতাম যে, নিজেদের প্রাণ ধ্বংস করে দাও কিংবা নিজেদের নগরী ছেড়ে বেরিয়ে যাও, তবে তারা তা করত না; অবশ্য তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন। যদি তারা তাই করে যা তাদের উপদেশ দেয়া হয়, তবে তা অবশ্যই তাদের জন্য উত্তম এং তাদেরকে নিজের ধর্মের উপর সুদৃঢ় রাখার জন্য তা উত্তম হবে। 67. আর তখন অবশ্যই আমি তাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে মহান সওয়াব দেব। 68. আর তাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করব। 69. আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। 70. এটা হল আল্লাহ-প্রদত্ত মহত্ত্ব। আর আল্লাহ যথেষ্ট পরিজ্ঞাত। 71. হে ঈমানদারগণ! নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে কিংবা সমবেতভাবে বেরিয়ে পড়। 72. আর তোমাদের মধ্যে এমনও কেউ কেউ রয়েছে, যারা অবশ্য বিলম্ব করবে এবং তোমাদের উপর কোন বিপদ উপস্থিত হলে বলবে, আল্লাহ আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, আমি তাদের সাথে যাইনি। 73. পক্ষান্তরে তোমাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন অনুগ্রহ আসলে তারা এমন ভাবে বলতে শুরু করবে যেন তোমাদের মধ্যে এবং তাদের মধ্যে কোন মিত্রতাই ছিল না। (বলবে) হায়, আমি যদি তাদের সাথে থাকতাম, তাহলে আমি ও যে সফলতা লাভ করতাম। 74. কাজেই আল্লাহর কাছে যারা পার্থিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জেহাদ করাই কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর রাহে লড়াই করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুণ্য দান করব। 75. আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও। 76. যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল। 77. তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। (হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না। 78. তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও। বস্তুতঃ তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে তারা বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে, এটা হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে, বলে দাও, এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। পক্ষান্তরে তাদের পরিণতি কি হবে, যারা কখনও কোন কথা বুঝতে চেষ্টা করে না। 79. আপনার যে কল্যাণ হয়, তা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে আর আপনার যে অকল্যাণ হয়, সেটা হয় আপনার নিজের কারণে। আর আমি আপনাকে পাঠিয়েছি মানুষের প্রতি আমার পয়গামের বাহক হিসাবে। আর আল্লাহ সব বিষয়েই যথেষ্ট-সববিষয়ই তাঁর সম্মুখে উপস্থিত। 80. যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ) , তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি। 81. আর তারা বলে, আপনার আনুগত্য করি। অতঃপর আপনার নিকট থেকে বেরিয়ে গেলেই তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ পরামর্শ করে রাতের বেলায় সে কথার পরিপন্থী যা তারা আপনার সাথে বলেছিল। আর আল্লাহ লিখে নেন, সে সব পরামর্শ যা তারা করে থাকে। সুতরাং আপনি তাদের ব্যাপারে নিস্পৃহতা অবলম্বন করুন এবং ভরসা করুন আল্লাহর উপর, আল্লাহ হলেন যথেষ্ট ও কার্যসম্পাদনকারী। 82. এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতো অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেত। 83. আর যখন তাদের কছে পৌঁছে কোন সংবাদ শান্তি-সংক্রান্ত কিংবা ভয়ের, তখন তারা সেগুলোকে রটিয়ে দেয়। আর যদি সেগুলো পৌঁছে দিত রসূল পর্যন্ত কিংবা তাদের শাসকদের পর্যন্ত, তখন অনুসন্ধান করে দেখা যেত সেসব বিষয়, যা তাতে রয়েছে অনুসন্ধান করার মত। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা যদি তোমাদের উপর বিদ্যমান না থাকত তবে তোমাদের অল্প কতিপয় লোক ব্যতীত সবাই শয়তানের অনুসরণ করতে শুরু করত! 84. আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি নিজের সত্তা ব্যতীত অন্য কোন বিষয়ের যিম্মাদার নন! আর আপনি মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করতে থাকুন। শীঘ্রই আল্লাহ কাফেরদের শক্তি-সামর্থ খর্ব করে দেবেন। আর আল্লাহ শক্তি-সামর্থের দিক দিয়ে অত্যন্ত কঠোর এবং কঠিন শাস্তিদাতা। 85. যে লোক সৎকাজের জন্য কোন সুপারিশ করবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক সুপারিশ করবে মন্দ কাজের জন্যে সে তার বোঝারও একটি অংশ পাবে। বস্তুতঃ আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। 86. আর তোমাদেরকে যদি কেউ দোয়া করে, তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর; তারচেয়ে উত্তম দোয়া অথবা তারই মত ফিরিয়ে বল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব-নিকাশ গ্রহণকারী। 87. আল্লাহ ব্যতীত আর কোনোই উপাস্য নেই। অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন কেয়ামতের দিন, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তাছাড়া আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য কথা আর কার হবে! 88. অতঃপর তোমাদের কি হল যে, মুনাফিকদের সম্পর্কে তোমরা দু’দল হয়ে গেলে? অথচ আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন তাদের মন্দ কাজের কারনে! তোমরা কি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করতে চাও, যাদেরকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেছেন? আল্লাহ যাকে পথভ্রান্ত করেন, তুমি তার জন্য কোন পথ পাবে না। 89. তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না। 90. কিন্তু যারা এমন সম্প্রদায়ের সাথে মিলিত হয় যে, তোমাদের মধ্যে ও তাদের মধ্যে চুক্তি আছে অথবা তোমাদের কাছে এভাবে আসে যে,তাদের অন্তর তোমাদের সাথে এবং স্বজাতির সাথেও যুদ্ধ করতে অনিচ্ছুক। যদি আল্লাহ ইচ্ছে করতেন, তবে তোমাদের উপর তাদেরকে প্রবল করে দিতেন। ফলে তারা অবশ্যই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করত। অতঃপর যদি তারা তোমাদের থেকে পৃথক থাকে তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের সাথে সন্ধি করে, তবে আল্লাহ তোমাদের কে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ দেননি। 91. এখন তুমি আরও এক সম্প্রদায়কে পাবে। তারা তোমাদের কাছেও স্বজাতির কাছেও এবং নির্বিঘ্ন হয়ে থাকতে চায়। যখন তাদেরকে ফ্যাসাদের প্রতি মনোনিবেশ করানো হয়, তখন তারা তাতে নিপতিত হয়, অতএব তারা যদি তোমাদের থেকে নিবৃত্ত না হয়, তোমাদের সাথে সন্ধি না রাখে এবং স্বীয় হস্তসমূহকে বিরত না রাখে, তবে তোমরা তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে প্রকাশ্য যুক্তি-প্রমাণ দান করেছি। 92. মুসলমানের কাজ নয় যে, মুসলমানকে হত্যা করে; কিন্তু ভুলক্রমে। যে ব্যক্তি মুসলমানকে ভূলক্রমে হত্যা করে, সে একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং রক্ত বিনিময় সমর্পন করবে তার স্বজনদেরকে; কিন্তু যদি তারা ক্ষমা করে দেয়। অতঃপর যদি নিহত ব্যক্তি তোমাদের শত্রু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং যদি সে তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে রক্ত বিনিময় সমর্পণ করবে তার স্বজনদেরকে এবং একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে। অতঃপর যে ব্যক্তি না পায়, সে আল্লাহর কাছ থেকে গোনাহ মাফ করানোর জন্যে উপর্যুপুরি দুই মাস রোযা রাখবে। আল্লাহ, মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। 93. যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। 94. হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন আল্লাহর পথে সফর কর, তখন যাচাই করে নিও এবং যে, তোমাদেরকে সালাম করে তাকে বলো না যে, তুমি মুসলমান নও। তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদ অন্বেষণ কর, বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে অনেক সম্পদ রয়েছে। তোমরা ও তো এমনি ছিলে ইতিপূর্বে; অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। অতএব, এখন অনুসন্ধান করে নিও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খবর রাখেন। 95. গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান-যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই এবং ঐ মুসলমান যারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জেহাদ করে,- সমান নয়। যারা জান ও মাল দ্বারা জেহাদ করে, আল্লাহ তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপর মহান প্রতিদানে শ্রেষ্ঠ করেছেন। 96. এগুলো তাঁর পক্ষ থেকে পদমর্যাদা, ক্ষমা ও করুণা; আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়। 97. যারা নিজের অনিষ্ট করে, ফেরেশতারা তাদের প্রাণ হরণ করে বলে, তোমরা কি অবস্থায় ছিলে? তারা বলেঃ এ ভূখন্ডে আমরা অসহায় ছিলাম। ফেরেশতারা বলেঃ আল্লাহর পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিল না যে, তোমরা দেশত্যাগ করে সেখানে চলে যেতে? অতএব, এদের বাসস্থান হল জাহান্নাম এবং তা অত্যন্ত মন্দ স্থান। 98. কিন্তু পুরুষ, নারী ও শিশুদের মধ্যে যারা অসহায়, তারা কোন উপায় করতে পারে না এবং পথও জানে না। 99. অতএব, আশা করা যায়, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল। 100. যে কেউ আল্লাহর পথে দেশত্যাগ করে, সে এর বিনিময়ে অনেক স্থান ও সচ্ছলতা প্রাপ্ত হবে। যে কেউ নিজ গৃহ থেকে বের হয় আল্লাহ ও রসূলের প্রতি হিজরত করার উদ্দেশে, অতঃপর মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তবে তার সওয়াব আল্লাহর কাছে অবধারিত হয়ে যায়। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। 101. যখন তোমরা কোন দেশ সফর কর, তখন নামাযে কিছুটা হ্রাস করলে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, কাফেররা তোমাদেরকে উত্ত্যক্ত করবে। নিশ্চয় কাফেররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। 102. যখন আপনি তাদের মধ্যে থাকেন, অতঃপর নামাযে দাঁড়ান, তখন যেন একদল দাঁড়ায় আপনার সাথে এবং তারা যেন স্বীয় অস্ত্র সাথে নেয়। অতঃপর যখন তারা সেজদা সম্পন্ন করে, তখন আপনার কাছ থেকে যেন সরে যায় এবং অন্য দল যেন আসে, যারা নামায পড়েনি। অতঃপর তারা যেন আপনার সাথে নামায পড়ে এবং আত্মরক্ষার হাতিয়ার সাথে নেয়। কাফেররা চায় যে, তোমরা কোন রূপে অসতর্ক থাক, যাতে তারা একযোগে তোমাদেরকে আক্রমণ করে বসে। যদি বৃষ্টির কারণে তোমাদের কষ্ট হয় অথবা তোমরা অসুস্থ হও তবে স্বীয় অস্ত্র পরিত্যাগ করায় তোমাদের কোন গোনাহ নেই এবং সাথে নিয়ে নাও তোমাদের আত্নরক্ষার অস্ত্র। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদের জন্যে অপমানকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। 103. অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। 104. তাদের পশ্চাদ্ধাবনে শৈথিল্য করো না। যদি তোমরা আঘাত প্রাপ্ত, তবে তারাও তো তোমাদের মতই হয়েছে আঘাতপ্রাপ্ত এবং তোমরা আল্লাহর কাছে আশা কর, যা তারা আশা করে না। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। 105. নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যা আল্লাহ আপনাকে হৃদয়ঙ্গম করান। আপনি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ থেকে বিতর্ককারী হবেন না। 106. এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। 107. যারা মনে বিশ্বাস ঘাতকতা পোষণ করে তাদের পক্ষ থেকে বিতর্ক করবেন না। আল্লাহ পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাস ঘাতক পাপী হয়। 108. তারা মানুষের কাছে লজ্জিত হয় এবং আল্লাহর কাছে লজ্জিত হয় না। তিনি তাদের সাথে রয়েছেন, যখন তারা রাত্রে এমন বিষয়ে পরামর্শ করে, যাতে আল্লাহ সম্মত নন। তারা যাকিছু করে, সবই আল্লাহর আয়ত্তাধীণ। 109. শুনছ? তোমরা তাদের পক্ষ থেকে পার্থিব জীবনে বিবাদ করছ, অতঃপর কেয়ামতের দিনে তাদের পক্ষ হয়ে আল্লাহর সাথে কে বিবাদ করবে অথবা কে তাদের কার্যনির্বাহী হবে। 110. যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়। 111. যে কেউ পাপ করে, সে নিজের পক্ষেই করে। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। 112. যে ব্যক্তি ভূল কিংবা গোনাহ করে, অতঃপর কোন নিরপরাধের উপর অপবাদ আরোপ করে সে নিজের মাথায় বহন করে জঘন্য মিথ্যা ও প্রকাশ্য গোনাহ। 113. যদি আপনার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা না হত, তবে তাদের একদল আপনাকে পথভ্রষ্ট করার সংকল্প করেই ফেলেছিল। তারা পথভ্রান্ত করতে পারে না কিন্তু নিজেদেরকেই এবং আপনার কোন অনিষ্ট করতে পারে না। আল্লাহ আপনার প্রতি ঐশী গ্রন্থ ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না। আপনার প্রতি আল্লাহর করুণা অসীম। 114. তাদের অধিকাংশ সলা-পরামর্শ ভাল নয়; কিন্তু যে সলা-পরামর্শ দান খয়রাত করতে কিংবা সৎকাজ করতে কিংবা মানুষের মধ্যে সন্ধিস্থাপন কল্পে করতো তা স্বতন্ত্র। যে একাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমি তাকে বিরাট ছওয়াব দান করব। 115. যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান। 116. নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। 117. তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধু নারীর আরাধনা করে এবং শুধু অবাধ্য শয়তানের পূজা করে। 118. যার প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। শয়তান বললঃ আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব। 119. তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে আশ্বাস দেব; তাদেরকে পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়। 120. সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদেরকে আশ্বাস দেয়। শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সব প্রতারণা বৈ নয়। 121. তাদের বাসস্থান জাহান্নাম। তারা সেখান থেকে কোথাও পালাবার জায়গা পাবে না। 122. যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, আমি তাদেরকে উদ্যানসমূহে প্রবিষ্ট করাব, যেগুলোর তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়। তারা চিরকাল তথায় অবস্থান করবে। আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সত্য সত্য। আল্লাহর চাইতে অধিক সত্যবাদী কে? 123. তোমাদের আশার উপর ও ভিত্তি নয় এবং আহলে-কিতাবদের আশার উপরও না। যে কেউ মন্দ কাজ করবে, সে তার শাস্তি পাবে এবং সে আল্লাহ ছাড়া নিজের কোন সমর্থক বা সাহায্যকারী পাবে না। 124. যে লোক পুরুষ হোক কিংবা নারী, কোন সৎকর্ম করে এবং বিশ্বাসী হয়, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রাপ্য তিল পরিমাণ ও নষ্ট হবে না। 125. যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইব্রাহীমের ধর্ম অনুসরণ করে, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার চাইতে উত্তম ধর্ম কার? আল্লাহ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। 126. যা কিছু নভোন্ডলে আছে এবং যা কিছু ভুমন্ডলে আছে, সব আল্লাহরই। সব বস্তু আল্লাহর মুষ্ঠি বলয়ে। 127. তারা আপনার কাছে নারীদের বিবাহের অনুমতি চায়। বলে দিনঃ আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্পর্কে অনুমতি দেন এবং কোরআনে তোমাদেরকে যা যা পাট করে শুনানো হয়, তা ঐ সব পিতৃহীনা-নারীদের বিধান, যাদের কে তোমরা নির্ধারিত অধিকার প্রদান কর না অথচ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার বাসনা রাখ। আর অক্ষম শিশুদের বিধান এই যে, এতীমদের জন্যে ইনসাফের উপর কায়েম থাক। তোমরা যা ভাল কাজ করবে, তা আল্লাহ জানেন। 128. যদি কোন নারী স্বীয় স্বামীর পক্ষ থেকে অসদাচরণ কিংবা উপেক্ষার আশংকা করে, তবে পরস্পর কোন মীমাংসা করে নিলে তাদের উভয়ের কোন গোনাহ নাই। মীমাংসা উত্তম। মনের সামনে লোভ বিদ্যমান আছে। যদি তোমরা উত্তম কাজ কর এবং খোদাভীরু হও, তবে, আল্লাহ তোমাদের সব কাজের খবর রাখেন। 129. তোমরা কখনও নারীদেরকে সমান রাখতে পারবে না, যদিও এর আকাঙ্ক্ষী হও। অতএব, সম্পূর্ণ ঝুঁকেও পড়ো না যে, একজনকে ফেলে রাখ দোদুল্যমান অবস্থায়। যদি সংশোধন কর এবং খোদাভীরু হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। 130. যদি উভয়েই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে আল্লাহ স্বীয় প্রশস্ততা দ্বারা প্রত্যেককে অমুখাপেক্ষী করে দিবেন। আল্লাহ সুপ্রশস্ত, প্রজ্ঞাময়। 131. আর যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে সবই আল্লাহর। বস্তুতঃ আমি নির্দেশ দিয়েছি তোমাদের পূর্ববর্তী গ্রন্থের অধিকারীদেরকে এবং তোমাদেরকে যে, তোমরা সবাই ভয় করতে থাক আল্লাহকে। যদি তোমরা তা না মান, তবে জেনো, সে সব কিছুই আল্লাহ তা’আলার যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে। আর আল্লাহ হচ্ছেন অভাবহীন, প্রসংশিত। 132. আর আল্লাহরই জন্যে সে সবকিছু যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে। আল্লাহই যথেষ্ট কর্মবিধায়ক। 133. হে মানবকূল, যদি আল্লাহ তোমাদেরকে সরিয়ে তোমাদের জায়গায় অন্য কাউকে প্রতিষ্ঠিত করেন? বস্তুতঃ আল্লাহর সে ক্ষমতা রয়েছে। 134. যে কেউ দুনিয়ার কল্যাণ কামনা করবে, তার জেনে রাখা প্রয়োজন যে, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ আল্লাহরই নিকট রয়েছে। আর আল্লাহ সব কিছু শোনেন ও দেখেন। 135. হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ কর্ম সম্পর্কেই অবগত। 136. হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে। 137. যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে পুনরায় কাফের হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফের হয়েছে এবং কুফরীতেই উন্নতি লাভ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে না কখনও ক্ষমা করবেন, না পথ দেখাবেন। 138. সেসব মুনাফেককে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। 139. যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য। 140. আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন। 141. এরা এমনি মুনাফেক যারা তোমাদের কল্যাণ-অকল্যাণের প্রতীক্ষায় ওঁৎপেতে থাকে। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তোমাদের যদি কোন বিজয় অর্জিত হয়, তবে তারা বলে, আমরাও কি তোমাদের সাথে ছিলাম না? পক্ষান্তরে কাফেরদের যদি আংশিক বিজয় হয়, তবে বলে, আমরা কি তোমাদেরকে ঘিরে রাখিনি এবং মুসলমানদের কবল থেকে রক্ষা করিনি? সুতরাং আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কেয়ামতের দিন মীমাংসা করবেন এবং কিছুতেই আল্লাহ কাফেরদেরকে মুসলমানদের উপর বিজয় দান করবেন না। 142. অবশ্যই মুনাফেকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে। 143. এরা দোদুল্যমান অবস্থায় ঝুলন্ত; এদিকেও নয় ওদিকেও নয়। বস্তুতঃ যাকে আল্লাহ গোমরাহ করে দেন, তুমি তাদের জন্য কোন পথই পাবে না কোথাও। 144. হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে? 145. নিঃসন্দেহে মুনাফেকরা রয়েছে দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী কখনও পাবে না। 146. অবশ্য যারা তওবা করে নিয়েছে, নিজেদের অবস্থার সংস্কার করেছে এবং আল্লাহর পথকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আল্লাহর ফরমাবরদার হয়েছে, তারা থাকবে মুসলমানদেরই সাথে। বস্তুতঃ আল্লাহ শীঘ্রই ঈমানদারগণকে মহাপূণ্য দান করবেন। 147. তোমাদের আযাব দিয়ে আল্লাহ কি করবেন যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক! আর আল্লাহ হচ্ছেন সমুচিত মূল্যদানকারী সর্বজ্ঞ। 148. আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। 149. তোমরা যদি কল্যাণ কর প্রকাশ্যভাবে কিংবা গোপনে অথবা যদি তোমরা আপরাধ ক্ষমা করে দাও, তবে জেনো, আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী। 150. যারা আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী তদুপরি আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাসে তারতম্য করতে চায় আর বলে যে, আমরা কতককে বিশ্বাস করি কিন্তু কতককে প্রত্যাখ্যান করি এবং এরই মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়। 151. প্রকৃতপক্ষে এরাই সত্য প্রত্যাখ্যাকারী। আর যারা সত্য প্রত্যাখ্যানকারী তাদের জন্য তৈরী করে রেখেছি অপমানজনক আযাব। 152. আর যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তাঁর রসূলের উপর এবং তাঁদের কারও প্রতি ঈমান আনতে গিয়ে কাউকে বাদ দেয়নি, শীঘ্রই তাদেরকে প্রাপ্য সওয়াব দান করা হবে। বস্তুতঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু। 153. আপনার নিকট আহলে-কিতাবরা আবেদন জানায় যে, আপনি তাদের উপর আসমান থেকে লিখিত কিতাব অবতীর্ণ করিয়ে নিয়ে আসুন। বস্তুতঃ এরা মূসার কাছে এর চেয়েও বড় জিনিস চেয়েছে। বলেছে, একেবারে সামনাসামনিভাবে আমাদের আল্লাহকে দেখিয়ে দাও। অতএব, তাদের উপর বজ্রপাত হয়েছে তাদের পাপের দরুন; অতঃপর তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ-নিদর্শন প্রকাশিত হবার পরেও তারা গো- বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিল; তাও আমি ক্ষমা করে দিয়েছিলাম এবং আমি মূসাকে প্রকৃষ্ট প্রভাব দান করেছিলাম। 154. আর তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেবার উদ্দেশ্যে আমি তাদের উপর তূর পর্বতকে তুলে ধরেছিলাম এবং তাদেরকে বলেছিলাম, অবনত মস্তকে দরজায় ঢোক। আর বলেছিলাম, শনিবার দিন সীমালংঘন করো না। এভাবে তাদের কাছ থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলাম। 155. অতএব, তারা যে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছিল, তা ছিল তাদেরই অঙ্গীকার ভঙ্গর জন্য এবং অন্যায়ভাবে রসূলগণকে হত্যা করার কারণে এবং তাদের এই উক্তির দরুন যে, আমাদের হৃদয় আচ্ছন্ন। অবশ্য তা নয়, বরং কুফরীর কারণে স্বয়ং আল্লাহ তাদের অন্তরের উপর মোহর এঁটে দিয়েছেন। ফলে এরা ঈমান আনে না কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক। 156. আর তাদের কুফরী এবং মরিয়মের প্রতি মহা অপবাদ আরোপ করার কারণে। 157. আর তাদের একথা বলার কারণে যে, আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায় পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে সন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি। 158. বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা নিজের কাছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। 159. আর আহলে-কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণী রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে। আর কেয়ামতের দিন তাদের জন্য সাক্ষীর উপর সাক্ষী উপস্থিত হবে। 160. বস্তুতঃ ইহুদীদের জন্য আমি হারাম করে দিয়েছি বহু পূত-পবিত্র বস্তু যা তাদের জন্য হালাল ছিল-তাদের পাপের কারণে এবং আল্লাহর পথে অধিক পরিমাণে বাধা দানের দরুন। 161. আর এ কারণে যে, তারা সুদ গ্রহণ করত, অথচ এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল এবং এ কারণে যে, তারা অপরের সম্পদ ভোগ করতো অন্যায় ভাবে। বস্তুত; আমি কাফেরদের জন্য তৈরী করে রেখেছি বেদনাদায়ক আযাব। 162. কিন্তু যারা তাদের মধ্যে জ্ঞানপক্ক ও ঈমানদার, তারা তাও মান্য করে যা আপনার উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আপনার পূর্বে। আর যারা নামাযে অনুবর্তিতা পালনকারী, যারা যাকাত দানকারী এবং যারা আল্লাহ ও কেয়ামতে আস্থাশীল। বস্তুতঃ এমন লোকদেরকে আমি দান করবো মহাপুণ্য। 163. আমি আপনার প্রতি ওহী পাঠিয়েছি, যেমন করে ওহী পাঠিয়েছিলাম নূহের প্রতি এবং সে সমস্ত নবী-রসূলের প্রতি যাঁরা তাঁর পরে প্রেরিত হয়েছেন। আর ওহী পাঠিয়েছি, ইসমাঈল, ইব্রাহীম, ইসহাক, ইয়াকুব, ও তাঁর সন্তাবর্গের প্রতি এবং ঈসা, আইয়ুব, ইউনূস, হারুন ও সুলায়মানের প্রতি। আর আমি দাউদকে দান করেছি যবুর গ্রন্থ। 164. এছাড়া এমন রসূল পাঠিয়েছি যাদের ইতিবৃত্ত আমি আপনাকে শুনিয়েছি ইতিপূর্বে এবং এমন রসূল পাঠিয়েছি যাদের বৃত্তান্ত আপনাকে শোনাইনি। আর আল্লাহ মূসার সাথে কথোপকথন করেছেন সরাসরি। 165. সুসংবাদদাতা ও ভীতি-প্রদর্শনকারী রসূলগণকে প্রেরণ করেছি, যাতে রসূলগণের পরে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করার মত কোন অবকাশ মানুষের জন্য না থাকে। আল্লাহ প্রবল পরাক্রমশীল, প্রাজ্ঞ। 166. আল্লাহ আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন তিনি যে তা সজ্ঞানেই করেছেন, সে ব্যাপারে আল্লাহ নিজেও সাক্ষী এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষী। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। 167. যারা কুফরী অবলম্বন করেছে, এবং আল্লাহর পথে বাধার সৃষ্টি করেছে, তারা বিভ্রান্তিতে সুদূরে পতিত হয়েছে। 168. যারা কুফরী অবলম্বন করেছে এবং সত্য চাপা দিয়ে রেখেছে, আল্লাহ কখনও তাদের ক্ষমা করবেন না এবং সরল পথ দেখাবেন না। 169. তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের পথ। সেখানে তারা বাস করবে অনন্তকাল। আর এমন করাটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। 170. হে মানবজাতি! তোমাদের পালনকর্তার যথার্থ বাণী নিয়ে তোমাদের নিকট রসূল এসেছেন, তোমরা তা মেনে নাও যাতে তোমাদের কল্যাণ হতে পারে। আর যদি তোমরা তা না মান, জেনে রাখ আসমানসমূহে ও যমীনে যা কিছু রয়েছে সে সবকিছুই আল্লাহর। আর আল্লাহ হচ্ছেন সর্বজ্ঞ, প্রাজ্ঞ। 171. হে আহলে-কিতাবগণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর শানে নিতান্ত সঙ্গত বিষয় ছাড়া কোন কথা বলো না। নিঃসন্দেহে মরিয়ম পুত্র মসীহ ঈসা আল্লাহর রসূল এবং তাঁর বাণী যা তিনি প্রেরণ করেছেন মরিয়মের নিকট এবং রূহ-তাঁরই কাছ থেকে আগত। অতএব, তোমরা আল্লাহকে এবং তার রসূলগণকে মান্য কর। আর একথা বলো না যে, আল্লাহ তিনের এক, একথা পরিহার কর; তোমাদের মঙ্গল হবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য। সন্তান-সন্ততি হওয়াটা তাঁর যোগ্য বিষয় নয়। যা কিছু আসমান সমূহ ও যমীনে রয়েছে সবই তার। আর কর্মবিধানে আল্লাহই যথেষ্ট। 172. মসীহ আল্লাহর বান্দা হবেন, তাতে তার কোন লজ্জাবোধ নেই এবং ঘনিষ্ঠ ফেরেশতাদেরও না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর দাসত্বে লজ্জাবোধ করবে এবং অহংকার করবে, তিনি তাদের সবাইকে নিজের কাছে সমবেত করবেন। 173. অতঃপর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তিনি তাদেরকে পরিপূর্ণ সওয়াব দান করবেন, বরং স্বীয় অনুগ্রহে আরো বেশী দেবেন। পক্ষান্তরে যারা লজ্জাবোধ করেছে এবং অহঙ্কার করেছে তিনি তাদেরকে দেবেন বেদনাদায়ক আযাব। আল্লাহকে ছাড়া তারা কোন সাহায্যকারী ও সমর্থক পাবে না। 174. হে মানবকুল! তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সনদ পৌঁছে গেছে। আর আমি তোমাদের প্রতি প্রকৃষ্ট আলো অবতীর্ণ করেছি। 175. অতএব, যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং তাতে দৃঢ়তা অবলম্বন করেছে তিনি তাদেরকে স্বীয় রহমত ও অনুগ্রহের আওতায় স্থান দেবেন এবং নিজের দিকে আসার মত সরল পথে তুলে দেবেন। 176. মানুষ আপনার নিকট ফতোয়া জানতে চায় অতএব, আপনি বলে দিন, আল্লাহ তোমাদিগকে কালালাহ এর মীরাস সংক্রান্ত সুস্পষ্ট নির্দেশ বাতলে দিচ্ছেন, যদি কোন পুরুষ মারা যায় এবং তার কোন সন্তানাদি না থাকে এবং এক বোন থাকে, তবে সে পাবে তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অর্ধেক অংশ এবং সে যদি নিঃসন্তান হয়, তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে। তা দুই বোন থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ। পক্ষান্তরে যদি ভাই ও বোন উভয়ই থাকে, তবে একজন পুরুষের অংশ দুজন নারীর সমান। তোমরা বিভ্রান্ত হবে আল্লাহ তোমাদিগকে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিচ্ছেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন সর্ব বিষয়ে পরিজ্ঞাত।

No comments:

Post a Comment

Translate