Sunday, November 15, 2020

3.সুরা আল – ইমরান(01-200)

 

3.সুরা আল – ইমরান(01-200)



আলিফﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟﻢ
[1] আলিফ লাম মীম।
[1] Alif-Lâm-Mîm. [These letters are one
of the miracles of the Qur’ân, and none
but Allâh (Alone) knows their meanings].
[2] ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺤَﻰُّ
ﺍﻟﻘَﻴّﻮﻡُ
[2] আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই,
তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক।
[2] Allâh! Lâ ilahâ illa Huwa (none has
the right to be worshipped but He), the
Ever Living, the One Who sustains and
protects all that exists.
[3] ﻧَﺰَّﻝَ ﻋَﻠَﻴﻚَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ
ﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ ﻟِﻤﺎ ﺑَﻴﻦَ ﻳَﺪَﻳﻪِ ﻭَﺃَﻧﺰَﻝَ
ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔَ ﻭَﺍﻹِﻧﺠﻴﻞَ
[3] তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল
করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন
করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের।
[3] It is He Who has sent down the Book
(the Qur’ân) to you (Muhammad SAW)
with truth, confirming what came before
it. And he sent down the Taurât (Torah)
and the Injeel (Gospel)
[4] ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ﻫُﺪًﻯ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ
ﻭَﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻔُﺮﻗﺎﻥَ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ
ﺷَﺪﻳﺪٌ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﺰﻳﺰٌ ﺫُﻭ ﺍﻧﺘِﻘﺎﻡٍ
[4] নাযিল করেছেন তাওরত ও ইঞ্জিল,
এ কিতাবের পূর্বে, মানুষের
হেদায়েতের জন্যে এবং অবতীর্ণ
করেছেন মীমাংসা। নিঃসন্দেহে
যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার
করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন
আযাব। আর আল্লাহ হচ্ছেন
পরাক্রমশীল, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
[4] Aforetime, as a guidance to mankind,
And He sent down the criterion [of
judgement between right and wrong (this
Qur’ân)]. Truly, those who disbelieve in
the Ayât (proofs, evidences, verses,
lessons, signs, revelations, etc.) of Allâh,
for them there is a severe torment; and
Allâh is All-Mighty, All-Able of
Retribution.
[5] ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳَﺨﻔﻰٰ ﻋَﻠَﻴﻪِ
ﺷَﻲﺀٌ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ﻭَﻻ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺴَّﻤﺎﺀِ
[5] আল্লাহর নিকট আসমান ও যমীনের
কোন বিষয়ই গোপন নেই।
[5] Truly, nothing is hidden from Allâh,
in the earth or in the heaven.
[6] ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻳُﺼَﻮِّﺭُﻛُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺣﺎﻡِ ﻛَﻴﻒَ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ
ﺇِﻟّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻌَﺰﻳﺰُ ﺍﻟﺤَﻜﻴﻢُ
[6] তিনিই সেই আল্লাহ, যিনি
তোমাদের আকৃতি গঠন করেন মায়ের
গর্ভে, যেমন তিনি চেয়েছেন। তিনি
ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তিনি
প্রবল পরাক্রমশীল, প্রজ্ঞাময়।
[6] He it is Who shapes you in the wombs
as He wills. Lâ ilâha illa Huwa (none has
the right to be worshipped but He), the
All-Mighty, the All-Wise.
[7] ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﻋَﻠَﻴﻚَ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻣِﻨﻪُ ﺀﺍﻳٰﺖٌ ﻣُﺤﻜَﻤٰﺖٌ
ﻫُﻦَّ ﺃُﻡُّ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻭَﺃُﺧَﺮُ
ﻣُﺘَﺸٰﺒِﻬٰﺖٌ ۖ ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻓﻰ
ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ﺯَﻳﻎٌ ﻓَﻴَﺘَّﺒِﻌﻮﻥَ ﻣﺎ
ﺗَﺸٰﺒَﻪَ ﻣِﻨﻪُ ﺍﺑﺘِﻐﺎﺀَ ﺍﻟﻔِﺘﻨَﺔِ
ﻭَﺍﺑﺘِﻐﺎﺀَ ﺗَﺄﻭﻳﻠِﻪِ ۗ ﻭَﻣﺎ ﻳَﻌﻠَﻢُ
ﺗَﺄﻭﻳﻠَﻪُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۗ ﻭَﺍﻟﺮّٰﺳِﺨﻮﻥَ
ﻓِﻰ ﺍﻟﻌِﻠﻢِ ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﺑِﻪِ
ﻛُﻞٌّ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ ﺭَﺑِّﻨﺎ ۗ ﻭَﻣﺎ ﻳَﺬَّﻛَّﺮُ
ﺇِﻟّﺎ ﺃُﻭﻟُﻮﺍ ﺍﻷَﻟﺒٰﺐِ
[7] তিনিই আপনার প্রতি কিতাব
নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত
রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের
আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক।
সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা
রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা
বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে
তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর
সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত
কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে
সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি
ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের
পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ
হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা
ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।
[7] It is He Who has sent down to you
(Muhammad SAW) the Book (this
Qur’ân). In it are Verses that are entirely
clear, they are the foundations of the
Book [and those are the Verses of Al-
Ahkâm (commandments), Al-Farâ’id
(obligatory duties) and Al-Hudud (legal
laws for the punishment of thieves,
adulterers)]; and others not entirely
clear. So as for those in whose hearts
there is a deviation (from the truth) they
follow that which is not entirely clear
thereof, seeking Al-Fitnah (polytheism
and trials), and seeking for its hidden
meanings, but none knows its hidden
meanings save Allâh. And those who are
firmly grounded in knowledge say: “We
believe in it; the whole of it (clear and
unclear Verses) are from our Lord.” And
none receive admonition except men of
understanding. (Tafsir At-Tabarî).
[8] ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻻ ﺗُﺰِﻍ ﻗُﻠﻮﺑَﻨﺎ ﺑَﻌﺪَ ﺇِﺫ
ﻫَﺪَﻳﺘَﻨﺎ ﻭَﻫَﺐ ﻟَﻨﺎ ﻣِﻦ ﻟَﺪُﻧﻚَ
ﺭَﺣﻤَﺔً ۚ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟﻮَﻫّﺎﺏُ
[8] হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ
প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে
সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং
তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে
অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা।
[8] (They say): “Our Lord! Let not our
hearts deviate (from the truth) after You
have guided us, and grant us mercy from
You. Truly, You are the Bestower,”
[9] ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺟﺎﻣِﻊُ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ
ﻟِﻴَﻮﻡٍ ﻻ ﺭَﻳﺐَ ﻓﻴﻪِ ۚ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ
ﻳُﺨﻠِﻒُ ﺍﻟﻤﻴﻌﺎﺩَ
[9] হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি
মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত
করবেঃ এতে কোনই সন্দেহ নেই।
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা
করেন না।
[9] Our Lord! Verily, it is You Who will
gather mankind together on the Day
about which there is no doubt. Verily,
Allâh never breaks His Promise,”
[10] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻟَﻦ ﺗُﻐﻨِﻰَ
ﻋَﻨﻬُﻢ ﺃَﻣﻮٰﻟُﻬُﻢ ﻭَﻻ ﺃَﻭﻟٰﺪُﻫُﻢ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺷَﻴـًٔﺎ ۖ ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢ
ﻭَﻗﻮﺩُ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ
[10] যারা কুফুরী করে, তাদের ধন-সম্পদ
ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর সামনে
কখনও কাজে আসবে না। আর তারাই
হচ্ছে দোযখের ইন্ধন।
[10] Verily, those who disbelieve, neither
their properties nor their offspring will
avail them whatsoever against Allâh;
and it is they who will be fuel of the
Fire.
[11] ﻛَﺪَﺃﺏِ ﺀﺍﻝِ ﻓِﺮﻋَﻮﻥَ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻬِﻢ ۚ ﻛَﺬَّﺑﻮﺍ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺘِﻨﺎ ﻓَﺄَﺧَﺬَﻫُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺑِﺬُﻧﻮﺑِﻬِﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺷَﺪﻳﺪُ
ﺍﻟﻌِﻘﺎﺏِ
[11] ফেরআউনের সম্প্রদায় এবং তাদের
পূর্ববর্তীদের ধারা অনুযায়ীই তারা
আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন
করেছে। ফলে তাদের পাপের কারণে
আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছেন
আর আল্লাহর আযাব অতি কঠিন।
[11] Like the behaviour of the people of
Fir’aun (Pharaoh) and those before
them; they belied Our Ayât (proofs,
evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.), so Allâh seized
(destroyed) them for their sins. And
Allâh is Severe in punishment.
[12] ﻗُﻞ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﺳَﺘُﻐﻠَﺒﻮﻥَ ﻭَﺗُﺤﺸَﺮﻭﻥَ ﺇِﻟﻰٰ
ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ۚ ﻭَﺑِﺌﺲَ ﺍﻟﻤِﻬﺎﺩُ
[12] কাফেরদিগকে বলে দিন, খুব
শিগগীরই তোমরা পরাভূত হয়ে
দোযখের দিকে হাঁকিয়ে নীত হবে-
সেটা কতই না নিকৃষ্টতম অবস্থান।
[12] Say (O Muhammad SAW) to those
who disbelieve: “You will be defeated
and gathered together to Hell, and worst
indeed is that place to rest.”
[13] ﻗَﺪ ﻛﺎﻥَ ﻟَﻜُﻢ ﺀﺍﻳَﺔٌ ﻓﻰ
ﻓِﺌَﺘَﻴﻦِ ﺍﻟﺘَﻘَﺘﺎ ۖ ﻓِﺌَﺔٌ ﺗُﻘٰﺘِﻞُ ﻓﻰ
ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺃُﺧﺮﻯٰ ﻛﺎﻓِﺮَﺓٌ
ﻳَﺮَﻭﻧَﻬُﻢ ﻣِﺜﻠَﻴﻬِﻢ ﺭَﺃﻯَ ﺍﻟﻌَﻴﻦِ ۚ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺆَﻳِّﺪُ ﺑِﻨَﺼﺮِﻩِ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۗ
ﺇِﻥَّ ﻓﻰ ﺫٰﻟِﻚَ ﻟَﻌِﺒﺮَﺓً ﻟِﺄُﻭﻟِﻰ
ﺍﻷَﺑﺼٰﺮِ
[13] নিশ্চয়ই দুটো দলের মোকাবিলার
মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন ছিল।
একটি দল আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করে। আর
অপর দল ছিল কাফেরদের এরা স্বচক্ষে
তাদেরকে দ্বিগুন দেখছিল। আর
আল্লাহ যাকে নিজের সাহায্যের
মাধ্যমে শক্তি দান করেন। এরই মধ্যে
শিক্ষনীয় রয়েছে দৃষ্টি সম্পন্নদের
জন্য।
[13] There has already been a sign for
you (O Jews) in the two armies that met
(in combat i.e. the battle of Badr): One
was fighting in the Cause of Allâh, and
as for the other (they) were disbelievers.
They (the believers) saw them (the
disbelievers) with their own eyes twice
their number (although they were thrice
their number). And Allâh supports with
His Victory whom He wills. Verily, in this
is a lesson for those who understand.
(See Verse 8:44). (Tafsir At-Tabarî).
[14] ﺯُﻳِّﻦَ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﺣُﺐُّ
ﺍﻟﺸَّﻬَﻮٰﺕِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴﺎﺀِ ﻭَﺍﻟﺒَﻨﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﻘَﻨٰﻄﻴﺮِ ﺍﻟﻤُﻘَﻨﻄَﺮَﺓِ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺬَّﻫَﺐِ ﻭَﺍﻟﻔِﻀَّﺔِ ﻭَﺍﻟﺨَﻴﻞِ
ﺍﻟﻤُﺴَﻮَّﻣَﺔِ ﻭَﺍﻷَﻧﻌٰﻢِ ﻭَﺍﻟﺤَﺮﺙِ ۗ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻣَﺘٰﻊُ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ۖ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋِﻨﺪَﻩُ ﺣُﺴﻦُ ﺍﻟﻤَـٔﺎﺏِ
[14] মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে
নারী, সন্তান-সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-
রৌপ্য, চিহ্নিত অশ্ব, গবাদি পশুরাজি
এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয়
বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব
জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নিকটই
হলো উত্তম আশ্রয়।
[14] Beautified for men is the love of
things they covet; women, children,
much of gold and silver (wealth),
branded beautiful horses, cattle and
well-tilled land. This is the pleasure of
the present world’s life; but Allâh has
the excellent return (Paradise with
flowing rivers) with Him.
[15] ۞ ﻗُﻞ ﺃَﺅُﻧَﺒِّﺌُﻜُﻢ ﺑِﺨَﻴﺮٍ
ﻣِﻦ ﺫٰﻟِﻜُﻢ ۚ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﺍﺗَّﻘَﻮﺍ ﻋِﻨﺪَ
ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﺟَﻨّٰﺖٌ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ
ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ ﻭَﺃَﺯﻭٰﺝٌ
ﻣُﻄَﻬَّﺮَﺓٌ ﻭَﺭِﺿﻮٰﻥٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﺼﻴﺮٌ ﺑِﺎﻟﻌِﺒﺎﺩِ
[15] বলুন, আমি কি তোমাদেরকে
এসবের চাইতেও উত্তম বিষয়ের সন্ধান
বলবো?-যারা পরহেযগার, আল্লাহর
নিকট তাদের জন্যে রয়েছে বেহেশত,
যার তলদেশে প্রস্রবণ প্রবাহিত-তারা
সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আর
রয়েছে পরিচ্ছন্ন সঙ্গিনীগণ এবং
আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ তাঁর
বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন।
[15] Say: “Shall I inform you of things far
better than those? For Al-Muttaqûn (the
pious – see V.2:2) there are Gardens
(Paradise) with their Lord, underneath
which rivers flow. Therein (is their)
eternal (home) and Azwâjun
Mutahharatun (purified mates or wives),
And Allâh will be pleased with them.
And Allâh is All-Seer of the (His) slaves”
[16] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺇِﻧَّﻨﺎ
ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﻓَﺎﻏﻔِﺮ ﻟَﻨﺎ ﺫُﻧﻮﺑَﻨﺎ ﻭَﻗِﻨﺎ
ﻋَﺬﺍﺏَ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ
[16] যারা বলে, হে আমাদের
পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি,
কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে
দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব
থেকে রক্ষা কর।
[16] Those who say: “Our Lord! We have
indeed believed, so forgive us our sins
and save us from the punishment of the
Fire.”
[17] ﺍﻟﺼّٰﺒِﺮﻳﻦَ ﻭَﺍﻟﺼّٰﺪِﻗﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﻘٰﻨِﺘﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﻤُﻨﻔِﻘﻴﻦَ
ﻭَﺍﻟﻤُﺴﺘَﻐﻔِﺮﻳﻦَ ﺑِﺎﻷَﺳﺤﺎﺭِ
[17] তারা ধৈর্য্যধারণকারী, সত্যবাদী,
নির্দেশ সম্পাদনকারী, সৎপথে
ব্যয়কারী এবং শেষরাতে ক্ষমা
প্রার্থনাকারী।
[17] (They are) those who are patient,
those who are true (in Faith, words, and
deeds), and obedient with sincere
devotion in worship to Allâh. Those who
spend [give the Zakât and alms in the
Way of Allâh] and those who pray and
beg Allâh’s Pardon in the last hours of
the night.
[18] ﺷَﻬِﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻧَّﻪُ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟّﺎ
ﻫُﻮَ ﻭَﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ ﻭَﺃُﻭﻟُﻮﺍ ﺍﻟﻌِﻠﻢِ
ﻗﺎﺋِﻤًﺎ ﺑِﺎﻟﻘِﺴﻂِ ۚ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟّﺎ ﻫُﻮَ
ﺍﻟﻌَﺰﻳﺰُ ﺍﻟﺤَﻜﻴﻢُ
[18] আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে,
তাঁকে ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই।
ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ
জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে,
তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই।
তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
[18] Allâh bears witness that Lâ ilâha illa
Huwa (none has the right to be
worshipped but He), and the angels, and
those having knowledge (also give this
witness); (He always) maintains His
creation in Justice. Lâ ilâh illa Huwa
(none has the right to be worshipped but
He), the All-Mighty, the All-Wise.
[19] ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺪّﻳﻦَ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻹِﺳﻠٰﻢُ ۗ ﻭَﻣَﺎ ﺍﺧﺘَﻠَﻒَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺃﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﺇِﻟّﺎ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ
ﺟﺎﺀَﻫُﻢُ ﺍﻟﻌِﻠﻢُ ﺑَﻐﻴًﺎ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ ۗ
ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻜﻔُﺮ ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺈِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﺮﻳﻊُ ﺍﻟﺤِﺴﺎﺏِ
[19] নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট
গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।
এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া
হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান
আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত
হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ,
যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি
কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে,
নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে
অত্যন্ত দ্রুত।
[19] Truly, the religion with Allâh is
Islâm. Those who were given the
Scripture (Jews and Christians) did not
differ except, out of mutual jealousy,
after knowledge had come to them. And
whoever disbelieves in the Ayât (proofs,
evidences, verses, signs, revelations, etc.)
of Allâh, then surely, Allâh is Swift in
calling to account.
[20] ﻓَﺈِﻥ ﺣﺎﺟّﻮﻙَ ﻓَﻘُﻞ
ﺃَﺳﻠَﻤﺖُ ﻭَﺟﻬِﻰَ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻣَﻦِ
ﺍﺗَّﺒَﻌَﻦِ ۗ ﻭَﻗُﻞ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗُﻮﺍ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﺍﻷُﻣِّﻲّۦﻥَ ﺀَﺃَﺳﻠَﻤﺘُﻢ ۚ
ﻓَﺈِﻥ ﺃَﺳﻠَﻤﻮﺍ ﻓَﻘَﺪِ ﺍﻫﺘَﺪَﻭﺍ ۖ
ﻭَﺇِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻓَﺈِﻧَّﻤﺎ ﻋَﻠَﻴﻚَ ﺍﻟﺒَﻠٰﻎُ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﺼﻴﺮٌ ﺑِﺎﻟﻌِﺒﺎﺩِ
[20] যদি তারা তোমার সাথে বিতর্কে
অবতীর্ণ হয় তবে বলে দাও, “আমি এবং
আমার অনুসরণকারীগণ আল্লাহর প্রতি
আত্নসমর্পণ করেছি।” আর আহলে
কিতাবদের এবং নিরক্ষরদের বলে দাও
যে, তোমরাও কি আত্নসমর্পণ করেছ?
তখন যদি তারা আত্নসমর্পণ করে, তবে
সরল পথ প্রাপ্ত হলো, আর যদি মুখ
ঘুরিয়ে নেয়, তাহলে তোমার দায়িত্ব
হলো শুধু পৌছে দেয়া। আর আল্লাহর
দৃষ্টিতে রয়েছে সকল বান্দা।
[20] So if they dispute with you
(Muhammad SAW) say: “I have
submitted myself to Allâh (in Islâm), and
(so have) those who follow me.” And say
to those who were given the Scripture
(Jews and Christians) and to those who
are illiterates (Arab pagans): “Do you
(also) submit yourselves (to Allâh in
Islâm)?” If they do, they are rightly
guided; but if they turn away, your duty
is only to convey the Message; and Allâh
is All-Seer of (His ) slaves
[21] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻜﻔُﺮﻭﻥَ ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻳَﻘﺘُﻠﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲّۦﻥَ ﺑِﻐَﻴﺮِ
ﺣَﻖٍّ ﻭَﻳَﻘﺘُﻠﻮﻥَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺄﻣُﺮﻭﻥَ
ﺑِﺎﻟﻘِﺴﻂِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻓَﺒَﺸِّﺮﻫُﻢ
ﺑِﻌَﺬﺍﺏٍ ﺃَﻟﻴﻢٍ
[21] যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে
অস্বীকার করে এবং পয়গম্বরগণকে
হত্যা করে অন্যায়ভাবে, আর সেসব
লোককে হত্যা করে যারা
ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দেয়
তাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তির
সংবাদ দিন।
[21] Verily! Those who disbelieve in the
Ayât (proofs, evidences, verses, lessons,
signs, revelations, etc.) of Allâh and kill
the Prophets without right, and kill those
men who order just dealings, … then
announce to them a painful torment.
[22] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺣَﺒِﻄَﺖ
ﺃَﻋﻤٰﻠُﻬُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ
ﻭَﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻭَﻣﺎ ﻟَﻬُﻢ ﻣِﻦ
ﻧٰﺼِﺮﻳﻦَ
[22] এরাই হলো সে লোক যাদের
সমগ্র আমল দুনিয়া ও আখেরাত
উভয়লোকেই বিনষ্ট হয়ে গেছে।
পক্ষান্তরে তাদের কোন
সাহায্যকারীও নেই।
[22] They are those whose works will be
lost in this world and in the Hereafter,
and they will have no helpers.
[23] ﺃَﻟَﻢ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗﻮﺍ
ﻧَﺼﻴﺒًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻳُﺪﻋَﻮﻥَ
ﺇِﻟﻰٰ ﻛِﺘٰﺐِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟِﻴَﺤﻜُﻢَ ﺑَﻴﻨَﻬُﻢ
ﺛُﻢَّ ﻳَﺘَﻮَﻟّﻰٰ ﻓَﺮﻳﻖٌ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻭَﻫُﻢ
ﻣُﻌﺮِﺿﻮﻥَ
[23] আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা
কিতাবের কিছু অংশ পেয়েছে-
আল্লাহর কিতাবের প্রতি তাদের
আহবান করা হয়েছিল যাতে তাদের
মধ্যে মীমাংসা করা যায়। অতঃপর
তাদের মধ্যে একদল তা অমান্য করে মুখ
ফিরিয়ে নেয়।
[23] Have you not seen those who have
been given a portion of the Scripture?
They are being invited to the Book of
Allâh to settle their dispute, then a party
of them turn away, and they are averse.
[24] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟَﻦ
ﺗَﻤَﺴَّﻨَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺭُ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻳّﺎﻣًﺎ
ﻣَﻌﺪﻭﺩٰﺕٍ ۖ ﻭَﻏَﺮَّﻫُﻢ ﻓﻰ
ﺩﻳﻨِﻬِﻢ ﻣﺎ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻔﺘَﺮﻭﻥَ
[24] তা এজন্য যে, তারা বলে থাকে
যে, দোযখের আগুন আমাদের স্পর্শ
করবে না; তবে সামান্য হাতে গোনা
কয়েকদিনের জন্য স্পর্শ করতে পারে।
নিজেদের উদ্ভাবিত ভিত্তিহীন কথায়
তারা ধোকা খেয়েছে।
[24] This is because they say: “The Fire
shall not touch us but for a number of
days.” And that which they used to
invent regarding their religion has
deceived them.
[25] ﻓَﻜَﻴﻒَ ﺇِﺫﺍ ﺟَﻤَﻌﻨٰﻬُﻢ ﻟِﻴَﻮﻡٍ
ﻻ ﺭَﻳﺐَ ﻓﻴﻪِ ﻭَﻭُﻓِّﻴَﺖ ﻛُﻞُّ
ﻧَﻔﺲٍ ﻣﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖ ﻭَﻫُﻢ ﻻ
ﻳُﻈﻠَﻤﻮﻥَ
[25] কিন্তু তখন কি অবস্থা দাঁড়াবে
যখন আমি তাদেরকে একদিন সমবেত
করবো যে দিনের আগমনে কোন
সন্দেহ নেই আর নিজেদের কৃতকর্ম
তাদের প্রত্যেকেই পাবে তাদের
প্রাপ্য প্রদান মোটেই অন্যায় করা
হবে না।
[25] How (will it be) when We gather
them together on the Day about which
there is no doubt (i.e. the Day of
Resurrection). And each person will be
paid in full what he has earned? And
they will not be dealt with unjustly.
[26] ﻗُﻞِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻣٰﻠِﻚَ ﺍﻟﻤُﻠﻚِ
ﺗُﺆﺗِﻰ ﺍﻟﻤُﻠﻚَ ﻣَﻦ ﺗَﺸﺎﺀُ
ﻭَﺗَﻨﺰِﻉُ ﺍﻟﻤُﻠﻚَ ﻣِﻤَّﻦ ﺗَﺸﺎﺀُ
ﻭَﺗُﻌِﺰُّ ﻣَﻦ ﺗَﺸﺎﺀُ ﻭَﺗُﺬِﻝُّ ﻣَﻦ
ﺗَﺸﺎﺀُ ۖ ﺑِﻴَﺪِﻙَ ﺍﻟﺨَﻴﺮُ ۖ ﺇِﻧَّﻚَ
ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[26] বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম
শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা
রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে
ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে
ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা
অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে
রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি
সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।
[26] Say (O Muhammad SAW): “O Allâh!
Possessor of the kingdom, You give the
kingdom to whom You will, and You take
the kingdom from whom You will, and
You endue with honour whom You will,
and You humiliate whom You will. In
Your Hand is the good. Verily, You are
Able to do all things.
[27] ﺗﻮﻟِﺞُ ﺍﻟَّﻴﻞَ ﻓِﻰ ﺍﻟﻨَّﻬﺎﺭِ
ﻭَﺗﻮﻟِﺞُ ﺍﻟﻨَّﻬﺎﺭَ ﻓِﻰ ﺍﻟَّﻴﻞِ ۖ
ﻭَﺗُﺨﺮِﺝُ ﺍﻟﺤَﻰَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤَﻴِّﺖِ
ﻭَﺗُﺨﺮِﺝُ ﺍﻟﻤَﻴِّﺖَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺤَﻰِّ ۖ
ﻭَﺗَﺮﺯُﻕُ ﻣَﻦ ﺗَﺸﺎﺀُ ﺑِﻐَﻴﺮِ
ﺣِﺴﺎﺏٍ
[27] তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ
করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে
প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই
জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের
করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর
থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা
বেহিসাব রিযিক দান কর।
[27] You make the night to enter into the
day, and You make the day to enter into
the night (i.e. increase and decrease in
the hours of the night and the day
during winter and summer), You bring
the living out of the dead, and You bring
the dead out of the living. And You give
wealth and sustenance to whom You will,
without limit (measure or account).
[28] ﻻ ﻳَﺘَّﺨِﺬِ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ۖ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻔﻌَﻞ ﺫٰﻟِﻚَ
ﻓَﻠَﻴﺲَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓﻰ ﺷَﻲﺀٍ ﺇِﻟّﺎ
ﺃَﻥ ﺗَﺘَّﻘﻮﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﺗُﻘﻯٰﺔً ۗ
ﻭَﻳُﺤَﺬِّﺭُﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻧَﻔﺴَﻪُ ۗ ﻭَﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﻤَﺼﻴﺮُ
[28] মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে
কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে।
যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে
তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে
যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন
অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের
সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে
আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে
তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই
কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।
[28] Let not the believers take the
disbelievers as Auliyâ (supporters,
helpers) instead of the believers, and
whoever does that will never be helped
by Allâh in any way, except if you
indeed fear a danger from them. And
Allâh warns you against Himself (His
Punishment), and to Allâh is the final
return.
[29] ﻗُﻞ ﺇِﻥ ﺗُﺨﻔﻮﺍ ﻣﺎ ﻓﻰ
ﺻُﺪﻭﺭِﻛُﻢ ﺃَﻭ ﺗُﺒﺪﻭﻩُ ﻳَﻌﻠَﻤﻪُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ۗ ﻭَﻳَﻌﻠَﻢُ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ
ﻛُﻞِّ ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[29] বলে দিন, তোমরা যদি মনের কথা
গোপন করে রাখ অথবা প্রকাশ করে
দাও, আল্লাহ সে সবই জানতে পারেন।
আর আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে,
সেসব ও তিনি জানেন। আল্লাহ সর্ব
বিষয়ে শক্তিমান।
[29] Say (O Muhammad SAW): “Whether
you hide what is in your breasts or
reveal it, Allâh knows it, and He knows
what is in the heavens and what is in the
earth. And Allâh is Able to do all things.”
[30] ﻳَﻮﻡَ ﺗَﺠِﺪُ ﻛُﻞُّ ﻧَﻔﺲٍ ﻣﺎ
ﻋَﻤِﻠَﺖ ﻣِﻦ ﺧَﻴﺮٍ ﻣُﺤﻀَﺮًﺍ ﻭَﻣﺎ
ﻋَﻤِﻠَﺖ ﻣِﻦ ﺳﻮﺀٍ ﺗَﻮَﺩُّ ﻟَﻮ ﺃَﻥَّ
ﺑَﻴﻨَﻬﺎ ﻭَﺑَﻴﻨَﻪُ ﺃَﻣَﺪًﺍ ﺑَﻌﻴﺪًﺍ ۗ
ﻭَﻳُﺤَﺬِّﺭُﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻧَﻔﺴَﻪُ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺭَﺀﻭﻑٌ ﺑِﺎﻟﻌِﺒﺎﺩِ
[30] সেদিন প্রত্যেকেই যা কিছু সে
ভাল কাজ করেছে; চোখের সামনে
দেখতে পাবে এবং যা কিছু মন্দ কাজ
করেছে তাও, ওরা তখন কামনা করবে,
যদি তার এবং এসব কর্মের মধ্যে
ব্যবধান দুরের হতো! আল্লাহ তাঁর
নিজের সম্পর্কে তোমাদের সাবধান
করছেন। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি
অত্যন্ত দয়ালু।
[30] On the Day when every person will
be confronted with all the good he has
done, and all the evil he has done, he
will wish that there were a great distance
between him and his evil. And Allâh
warns you against Himself (His
Punishment) and Allâh is full of
Kindness to the (His) slaves.
[31] ﻗُﻞ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺗُﺤِﺒّﻮﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻓَﺎﺗَّﺒِﻌﻮﻧﻰ ﻳُﺤﺒِﺒﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭَﻳَﻐﻔِﺮ ﻟَﻜُﻢ ﺫُﻧﻮﺑَﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[31] বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে
ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর,
যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে
ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে
তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন।
আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।
[31] Say (O Muhammad SAW to
mankind): “If you (really) love Allâh then
follow me (i.e. accept Islâmic
Monotheism, follow the Qur’ân and the
Sunnah), Allâh will love you and forgive
you your sins. And Allâh is Oft-
Forgiving, Most Merciful.”
[32] ﻗُﻞ ﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻭَﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ ۖ ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻓَﺈِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[32] বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য
প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা
অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ
কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।
[32] Say (O Muhammad SAW): “Obey
Allâh and the Messenger (Muhammad
SAW).” But if they turn away, then Allâh
does not like the disbelievers
[33] ۞ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﺻﻄَﻔﻰٰ
ﺀﺍﺩَﻡَ ﻭَﻧﻮﺣًﺎ ﻭَﺀﺍﻝَ ﺇِﺑﺮٰﻫﻴﻢَ
ﻭَﺀﺍﻝَ ﻋِﻤﺮٰﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[33] নিঃসন্দেহে আল্লাহ আদম (আঃ)
নূহ (আঃ)Â ও ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশধর
এবং এমরানের খান্দানকে নির্বাচিত
করেছেন।
[33] Allâh chose Adam, Nûh (Noah), the
family of Ibrâhim (Abraham) and the
family of ‘Imrân above the ‘Alamîn
(mankind and jinn) (of their times)
[34] ﺫُﺭِّﻳَّﺔً ﺑَﻌﻀُﻬﺎ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺾٍ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤﻴﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[34] যারা বংশধর ছিলেন পরস্পরের।
আল্লাহ শ্রবণকারী ও মহাজ্ঞানী।
[34] Offspring, one of the other, and
Allâh is the All-Hearer, All-Knower.
[35] ﺇِﺫ ﻗﺎﻟَﺖِ ﺍﻣﺮَﺃَﺕُ ﻋِﻤﺮٰﻥَ
ﺭَﺏِّ ﺇِﻧّﻰ ﻧَﺬَﺭﺕُ ﻟَﻚَ ﻣﺎ ﻓﻰ
ﺑَﻄﻨﻰ ﻣُﺤَﺮَّﺭًﺍ ﻓَﺘَﻘَﺒَّﻞ ﻣِﻨّﻰ ۖ
ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟﺴَّﻤﻴﻊُ ﺍﻟﻌَﻠﻴﻢُ
[35] এমরানের স্ত্রী যখন বললো-হে
আমার পালনকর্তা! আমার গর্ভে যা
রয়েছে আমি তাকে তোমার নামে
উৎসর্গ করলাম সবার কাছ থেকে মুক্ত
রেখে। আমার পক্ষ থেকে তুমি তাকে
কবুল করে নাও, নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী,
সর্বজ্ঞাত।
[35] (Remember) when the wife of
‘Imrân said: “O my Lord! I have vowed
to You what (the child that) is in my
womb to be dedicated for Your services
(free from all worldly work; to serve
Your Place of worship), so accept this,
from me. Verily, You are the All-Hearer,
the All-Knowing.”
[36] ﻓَﻠَﻤّﺎ ﻭَﺿَﻌَﺘﻬﺎ ﻗﺎﻟَﺖ ﺭَﺏِّ
ﺇِﻧّﻰ ﻭَﺿَﻌﺘُﻬﺎ ﺃُﻧﺜﻰٰ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺃَﻋﻠَﻢُ ﺑِﻤﺎ ﻭَﺿَﻌَﺖ ﻭَﻟَﻴﺲَ
ﺍﻟﺬَّﻛَﺮُ ﻛَﺎﻷُﻧﺜﻰٰ ۖ ﻭَﺇِﻧّﻰ
ﺳَﻤَّﻴﺘُﻬﺎ ﻣَﺮﻳَﻢَ ﻭَﺇِﻧّﻰ ﺃُﻋﻴﺬُﻫﺎ
ﺑِﻚَ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺘَﻬﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦِ
ﺍﻟﺮَّﺟﻴﻢِ
[36] অতঃপর যখন তাকে প্রসব করলো
বলল, হে আমার পালনকর্তা! আমি একে
কন্যা প্রসব করেছি। বস্তুতঃ কি সে
প্রসব করেছে আল্লাহ তা ভালই
জানেন। সেই কন্যার মত কোন পুত্রই যে
নেই। আর আমি তার নাম রাখলাম
মারইয়াম। আর আমি তাকে ও তার
সন্তানদেরকে তোমার আশ্রয়ে সমর্পণ
করছি। অভিশপ্ত শয়তানের কবল থেকে।
[36] Then when she gave birth to her
[child Maryam (Mary)], she said: “O my
Lord! I have given birth to a female
child,” – and Allâh knew better what she
brought forth, – “And the male is not like
the female, and I have named her
Maryam (Mary), and I seek refuge with
You (Allâh) for her and for her offspring
from Shaitan (Satan), the outcast.”
[37] ﻓَﺘَﻘَﺒَّﻠَﻬﺎ ﺭَﺑُّﻬﺎ ﺑِﻘَﺒﻮﻝٍ
ﺣَﺴَﻦٍ ﻭَﺃَﻧﺒَﺘَﻬﺎ ﻧَﺒﺎﺗًﺎ ﺣَﺴَﻨًﺎ
ﻭَﻛَﻔَّﻠَﻬﺎ ﺯَﻛَﺮِﻳّﺎ ۖ ﻛُﻠَّﻤﺎ ﺩَﺧَﻞَ
ﻋَﻠَﻴﻬﺎ ﺯَﻛَﺮِﻳَّﺎ ﺍﻟﻤِﺤﺮﺍﺏَ ﻭَﺟَﺪَ
ﻋِﻨﺪَﻫﺎ ﺭِﺯﻗًﺎ ۖ ﻗﺎﻝَ ﻳٰﻤَﺮﻳَﻢُ ﺃَﻧّﻰٰ
ﻟَﻚِ ﻫٰﺬﺍ ۖ ﻗﺎﻟَﺖ ﻫُﻮَ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺮﺯُﻕُ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ
ﺑِﻐَﻴﺮِ ﺣِﺴﺎﺏٍ
[37] অতঃপর তাঁর পালনকর্তা তাঁকে
উত্তম ভাবে গ্রহণ করে নিলেন এবং
তাঁকে প্রবৃদ্ধি দান করলেন-অত্যন্ত
সুন্দর প্রবৃদ্ধি। আর তাঁকে যাকারিয়ার
তত্ত্বাবধানে সমর্পন করলেন। যখনই
যাকারিয়া মেহরাবের মধ্যে তার কছে
আসতেন তখনই কিছু খাবার দেখতে
পেতেন। জিজ্ঞেস করতেন “মারইয়াম!
কোথা থেকে এসব তোমার কাছে
এলো?” তিনি বলতেন, “এসব আল্লাহর
নিকট থেকে আসে। আল্লাহ যাকে
ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান করেন।”
[37] So her Lord (Allâh) accepted her
with goodly acceptance. He made her
grow in a good manner and put her
under the care of Zakariyâ (Zachariya).
Every time he entered Al-Mihrâb to
(visit) her , he found her supplied with
sustenance. He said: “O Maryam (Mary)!
From where have you got this?” She said,
“This is from Allâh.” Verily, Allâh
provides sustenance to whom He wills,
without limit.”
[38] ﻫُﻨﺎﻟِﻚَ ﺩَﻋﺎ ﺯَﻛَﺮِﻳّﺎ ﺭَﺑَّﻪُ ۖ
ﻗﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﻫَﺐ ﻟﻰ ﻣِﻦ ﻟَﺪُﻧﻚَ
ﺫُﺭِّﻳَّﺔً ﻃَﻴِّﺒَﺔً ۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺳَﻤﻴﻊُ
ﺍﻟﺪُّﻋﺎﺀِ
[38] সেখানেই যাকারিয়া তাঁর
পালনকর্তার নিকট প্রার্থনা করলেন।
বললেন, হে, আমার পালনকর্তা!
তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত-
পবিত্র সন্তান দান কর-নিশ্চয়ই তুমি
প্রার্থনা শ্রবণকারী।
[38] At that time Zakariyâ (Zachariya)
invoked his Lord, saying: “O my Lord!
Grant me from You, a good offspring.
You are indeed the All-Hearer of
invocation.”
[39] ﻓَﻨﺎﺩَﺗﻪُ ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ ﻭَﻫُﻮَ ﻗﺎﺋِﻢٌ
ﻳُﺼَﻠّﻰ ﻓِﻰ ﺍﻟﻤِﺤﺮﺍﺏِ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻳُﺒَﺸِّﺮُﻙَ ﺑِﻴَﺤﻴﻰٰ ﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ
ﺑِﻜَﻠِﻤَﺔٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺳَﻴِّﺪًﺍ
ﻭَﺣَﺼﻮﺭًﺍ ﻭَﻧَﺒِﻴًّﺎ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤﻴﻦَ
[39] যখন তিনি কামরার ভেতরে
নামাযে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন
ফেরেশতারা তাঁকে ডেকে বললেন যে,
আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন
ইয়াহইয়া সম্পর্কে, যিনি সাক্ষ্য দেবেন
আল্লাহর নির্দেশের সত্যতা সম্পর্কে,
যিনি নেতা হবেন এবং নারীদের
সংস্পর্শে যাবেন না, তিনি অত্যন্ত
সৎকর্মশীল নবী হবেন।
[39] Then the angels called him, while he
was standing in prayer in Al-Mihrâb (a
praying place or a private room),
(saying): “Allâh gives you glad tidings of
Yahya (John), confirming (believing in)
the Word from Allâh [i.e. the creation of
‘Īsā (Jesus) A.S., the Word from Allâh
(“Be!” – and he was!)], noble, keeping
away from sexual relations with women,
a Prophet, from among the righteous.”
[40] ﻗﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﺃَﻧّﻰٰ ﻳَﻜﻮﻥُ ﻟﻰ
ﻏُﻠٰﻢٌ ﻭَﻗَﺪ ﺑَﻠَﻐَﻨِﻰَ ﺍﻟﻜِﺒَﺮُ
ﻭَﺍﻣﺮَﺃَﺗﻰ ﻋﺎﻗِﺮٌ ۖ ﻗﺎﻝَ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻔﻌَﻞُ ﻣﺎ ﻳَﺸﺎﺀُ
[40] তিনি বললেন হে পালনকর্তা!
কেমন করে আমার পুত্র সন্তান হবে,
আমার যে বার্ধক্য এসে গেছে, আমার
স্ত্রীও যে বন্ধ্যা। বললেন, আল্লাহ
এমনি ভাবেই যা ইচ্ছা করে থাকেন।
[40] He said: “O my Lord! How can I
have a son when I am very old, and my
wife is barren?” (Allâh) said: “Thus Allâh
does what He wills.”
[41] ﻗﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﺍﺟﻌَﻞ ﻟﻰ ﺀﺍﻳَﺔً ۖ
ﻗﺎﻝَ ﺀﺍﻳَﺘُﻚَ ﺃَﻟّﺎ ﺗُﻜَﻠِّﻢَ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ
ﺛَﻠٰﺜَﺔَ ﺃَﻳّﺎﻡٍ ﺇِﻟّﺎ ﺭَﻣﺰًﺍ ۗ ﻭَﺍﺫﻛُﺮ
ﺭَﺑَّﻚَ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ﻭَﺳَﺒِّﺢ ﺑِﺎﻟﻌَﺸِﻰِّ
ﻭَﺍﻹِﺑﻜٰﺮِ
[41] তিনি বললেন, হে পালনকর্তা
আমার জন্য কিছু নিদর্শন দাও। তিনি
বললেন, তোমার জন্য নিদর্শন হলো এই
যে, তুমি তিন দিন পর্যন্ত কারও সাথে
কথা বলবে না। তবে ইশারা ইঙ্গতে
করতে পারবে এবং তোমার
পালনকর্তাকে অধিক পরিমাণে স্মরণ
করবে আর সকাল-সন্ধ্যা তাঁর পবিত্রতা
ও মহিমা ঘোষনা করবে।
[41] He said: “O my Lord! Make a sign
for me.” (Allâh) said: “Your sign is that
you shall not speak to mankind for three
days except with signals. And remember
your Lord much (by praising Him again
and again), and glorify (Him) in the
afternoon and in the morning.”
[42] ﻭَﺇِﺫ ﻗﺎﻟَﺖِ ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ ﻳٰﻤَﺮﻳَﻢُ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﺻﻄَﻔﻯٰﻚِ ﻭَﻃَﻬَّﺮَﻙِ
ﻭَﺍﺻﻄَﻔﻯٰﻚِ ﻋَﻠﻰٰ ﻧِﺴﺎﺀِ
ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[42] আর যখন ফেরেশতা বলল হে
মারইয়াম!, আল্লাহ তোমাকে পছন্দ
করেছেন এবং তোমাকে পবিত্র
পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছেন। আর
তোমাকে বিশ্ব নারী সমাজের উর্ধ্বে
মনোনীত করেছেন।
[42] And (remember) when the angels
said: “O Maryam (Mary)! Verily, Allâh
has chosen you, purified you (from
polytheism and disbelief), and chosen
you above the women of the ‘Alamîn
(mankind and jinn) (of her lifetime).”
[43] ﻳٰﻤَﺮﻳَﻢُ ﺍﻗﻨُﺘﻰ ﻟِﺮَﺑِّﻚِ
ﻭَﺍﺳﺠُﺪﻯ ﻭَﺍﺭﻛَﻌﻰ ﻣَﻊَ
ﺍﻟﺮّٰﻛِﻌﻴﻦَ
[43] হে মারইয়াম! তোমার
পালনকর্তার উপাসনা কর এবং
রুকুকারীদের সাথে সেজদা ও রুকু কর।
[43] O Mary! “Submit yourself with
obedience to your Lord (Allâh, by
worshipping none but Him Alone) and
prostrate yourself, and Irkâ’i (bow
down) along with Ar-Râki’ûn (those who
bow down).”
[44] ﺫٰﻟِﻚَ ﻣِﻦ ﺃَﻧﺒﺎﺀِ ﺍﻟﻐَﻴﺐِ
ﻧﻮﺣﻴﻪِ ﺇِﻟَﻴﻚَ ۚ ﻭَﻣﺎ ﻛُﻨﺖَ
ﻟَﺪَﻳﻬِﻢ ﺇِﺫ ﻳُﻠﻘﻮﻥَ ﺃَﻗﻠٰﻤَﻬُﻢ
ﺃَﻳُّﻬُﻢ ﻳَﻜﻔُﻞُ ﻣَﺮﻳَﻢَ ﻭَﻣﺎ ﻛُﻨﺖَ
ﻟَﺪَﻳﻬِﻢ ﺇِﺫ ﻳَﺨﺘَﺼِﻤﻮﻥَ
[44] এ হলো গায়েবী সংবাদ, যা আমি
আপনাকে পাঠিয়ে থাকি। আর আপনি
তো তাদের কাছে ছিলেন না, যখন
প্রতিযোগিতা করছিল যে, কে
প্রতিপালন করবে মারইয়ামকে এবং
আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন
তারা ঝগড়া করছিলো।
[44] This is a part of the news of the
Ghaib (unseen, i.e. the news of the past
nations of which you have no
knowledge) which We revealed to you (O
Muhammad SAW). You were not with
them, when they cast lots with their pens
as to which of them should be charged
with the care of Maryam (Mary); nor
were you with them when they disputed
[45] ﺇِﺫ ﻗﺎﻟَﺖِ ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔُ ﻳٰﻤَﺮﻳَﻢُ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺒَﺸِّﺮُﻙِ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺔٍ ﻣِﻨﻪُ
ﺍﺳﻤُﻪُ ﺍﻟﻤَﺴﻴﺢُ ﻋﻴﺴَﻰ ﺍﺑﻦُ
ﻣَﺮﻳَﻢَ ﻭَﺟﻴﻬًﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ
ﻭَﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﻘَﺮَّﺑﻴﻦَ
[45] যখন ফেরেশতাগণ বললো, হে
মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক
বানীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম
হলো মসীহ-মারইয়াম-তনয় ঈসা, দুনিয়া
ও আখেরাতে তিনি মহাসম্মানের
অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের
অন্তর্ভূক্ত।
[45] (Remember) when the angels said:
“O Maryam (Mary)! Verily, Allâh gives
you the glad tidings of a Word [“Be!” –
and he was! i.e. ‘Īsā (Jesus) the son of
Maryam (Mary)] from Him, his name
will be the Messiah ‘Īsā (Jesus), the son of
Maryam (Mary), held in honour in this
world and in the Hereafter, and will be
one of those who are near to Allâh.”
[46] ﻭَﻳُﻜَﻠِّﻢُ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﻓِﻰ ﺍﻟﻤَﻬﺪِ
ﻭَﻛَﻬﻠًﺎ ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤﻴﻦَ
[46] যখন তিনি মায়ের কোলে
থাকবেন এবং পূর্ণ বয়স্ক হবেন তখন
তিনি মানুষের সাথে কথা বলবেন। আর
তিনি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
[46] “He will speak to the people in the
cradle and in manhood, and he will be
one of the righteous.”
[47] ﻗﺎﻟَﺖ ﺭَﺏِّ ﺃَﻧّﻰٰ ﻳَﻜﻮﻥُ ﻟﻰ
ﻭَﻟَﺪٌ ﻭَﻟَﻢ ﻳَﻤﺴَﺴﻨﻰ ﺑَﺸَﺮٌ ۖ ﻗﺎﻝَ
ﻛَﺬٰﻟِﻚِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺨﻠُﻖُ ﻣﺎ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ
ﺇِﺫﺍ ﻗَﻀﻰٰ ﺃَﻣﺮًﺍ ﻓَﺈِﻧَّﻤﺎ ﻳَﻘﻮﻝُ
ﻟَﻪُ ﻛُﻦ ﻓَﻴَﻜﻮﻥُ
[47] তিনি বললেন, পরওয়ারদেগার!
কেমন করে আমার সন্তান হবে; আমাকে
তো কোন মানুষ স্পর্শ করেনি। বললেন
এ ভাবেই আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন।
যখন কোন কাজ করার জন্য ইচ্ছা করেন
তখন বলেন যে, ‘হয়ে যাও’ অমনি তা হয়ে
যায়।
[47] She said: “O my Lord! How shall I
have a son when no man has touched
me.” He said: “So (it will be) for Allâh
creates what He wills. When He has
decreed something, He says to it only:
“Be!” – and it is
[48] ﻭَﻳُﻌَﻠِّﻤُﻪُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔَ
ﻭَﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔَ ﻭَﺍﻹِﻧﺠﻴﻞَ
[48] আর তাকে তিনি শিখিয়ে দেবেন
কিতাব, হিকমত, তওরাত, ইঞ্জিল।
[48] And He (Allâh) will teach him [‘Īsā
(Jesus)] the Book and Al-Hikmah (i.e. the
Sunnah, the faultless speech of the
Prophets, wisdom), (and) the Taurât
(Torah) and the Injeel (Gospel)
[49] ﻭَﺭَﺳﻮﻟًﺎ ﺇِﻟﻰٰ ﺑَﻨﻰ
ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﺃَﻧّﻰ ﻗَﺪ ﺟِﺌﺘُﻜُﻢ
ﺑِـٔﺎﻳَﺔٍ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ ۖ ﺃَﻧّﻰ ﺃَﺧﻠُﻖُ
ﻟَﻜُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻄّﻴﻦِ ﻛَﻬَﻴـَٔﺔِ ﺍﻟﻄَّﻴﺮِ
ﻓَﺄَﻧﻔُﺦُ ﻓﻴﻪِ ﻓَﻴَﻜﻮﻥُ ﻃَﻴﺮًﺍ
ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻭَﺃُﺑﺮِﺉُ ﺍﻷَﻛﻤَﻪَ
ﻭَﺍﻷَﺑﺮَﺹَ ﻭَﺃُﺣﻰِ ﺍﻟﻤَﻮﺗﻰٰ
ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻭَﺃُﻧَﺒِّﺌُﻜُﻢ ﺑِﻤﺎ
ﺗَﺄﻛُﻠﻮﻥَ ﻭَﻣﺎ ﺗَﺪَّﺧِﺮﻭﻥَ ﻓﻰ
ﺑُﻴﻮﺗِﻜُﻢ ۚ ﺇِﻥَّ ﻓﻰ ﺫٰﻟِﻚَ ﻝَﺀﺍﻳَﺔً
ﻟَﻜُﻢ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[49] আর বণী ইসরাঈলদের জন্যে রসূল
হিসেবে তাকে মনোনীত করবেন।
তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাদের
নিকট তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ
থেকে এসেছি নিদর্শনসমূহ নিয়ে। আমি
তোমাদের জন্য মাটির দ্বারা পাখীর
আকৃতি তৈরী করে দেই। তারপর তাতে
যখন ফুৎকার প্রদান করি, তখন তা উড়ন্ত
পাখীতে পরিণত হয়ে যায় আল্লাহর
হুকুমে। আর আমি সুস্থ করে তুলি
জন্মান্ধকে এবং শ্বেত কুষ্ঠ রোগীকে।
আর আমি জীবিত করে দেই মৃতকে
আল্লাহর হুকুমে। আর আমি
তোমাদেরকে বলে দেই যা তোমরা
খেয়ে আস এবং যা তোমরা ঘরে রেখে
আস। এতে প্রকৃষ্ট নিদর্শন রয়েছে, যদি
তোমরা বিশ্বাসী হও।
[49] And will make him [‘Īsā (Jesus)] a
Messenger to the Children of Israel
(saying): “I have come to you with a sign
from your Lord, that I design for you out
of clay, a figure like that of a bird, and
breathe into it, and it becomes a bird by
Allâh’s Leave; and I heal him who was
born blind, and the leper, and I bring
the dead to life by Allâh’s Leave. And I
inform you of what you eat, and what
you store in your houses. Surely, therein
is a sign for you, if you believe.
[50] ﻭَﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ ﻟِﻤﺎ ﺑَﻴﻦَ ﻳَﺪَﻯَّ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔِ ﻭَﻟِﺄُﺣِﻞَّ ﻟَﻜُﻢ
ﺑَﻌﺾَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺣُﺮِّﻡَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ۚ
ﻭَﺟِﺌﺘُﻜُﻢ ﺑِـٔﺎﻳَﺔٍ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ
ﻓَﺎﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺃَﻃﻴﻌﻮﻥِ
[50] আর এটি পূর্ববর্তী কিতাব সমুহকে
সত্যায়ন করে, যেমন তওরাত। আর তা
এজন্য যাতে তোমাদের জন্য হালাল
করে দেই কোন কোন বস্তু যা
তোমাদের জন্য হারাম ছিল। আর আমি
তোমাদের নিকট এসেছি তোমাদের
পালনকর্তার নিদর্শনসহ। কাজেই
আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ
কর।
[50] And I have come confirming that
which was before me of the Taurât
(Torah), and to make lawful to you part
of what was forbidden to you, and I have
come to you with a proof from your
Lord. So fear Allâh and obey me.
[51] ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺭَﺑّﻰ ﻭَﺭَﺑُّﻜُﻢ
ﻓَﺎﻋﺒُﺪﻭﻩُ ۗ ﻫٰﺬﺍ ﺻِﺮٰﻁٌ
ﻣُﺴﺘَﻘﻴﻢٌ
[51] নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার পালনকর্তা
এবং তোমাদেরও পালনকর্তা-তাঁর
এবাদত কর, এটাই হলো সরল পথ।
[51] Truly! Allâh is my Lord and your
Lord, so worship Him (Alone). This is the
Straight Path.
[52] ۞ ﻓَﻠَﻤّﺎ ﺃَﺣَﺲَّ ﻋﻴﺴﻰٰ
ﻣِﻨﻬُﻢُ ﺍﻟﻜُﻔﺮَ ﻗﺎﻝَ ﻣَﻦ ﺃَﻧﺼﺎﺭﻯ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۖ ﻗﺎﻝَ ﺍﻟﺤَﻮﺍﺭِﻳّﻮﻥَ
ﻧَﺤﻦُ ﺃَﻧﺼﺎﺭُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺍﺷﻬَﺪ ﺑِﺄَﻧّﺎ ﻣُﺴﻠِﻤﻮﻥَ
[52] অতঃপর ঈসা (আঃ) যখন বণী
ইসরায়ীলের কুফরী সম্পর্কে উপলব্ধি
করতে পারলেন, তখন বললেন, কারা
আছে আল্লাহর পথে আমাকে সাহায্য
করবে? সঙ্গী-সাথীরা বললো, আমরা
রয়েছি আল্লাহর পথে সাহায্যকারী।
আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি।
আর তুমি সাক্ষী থাক যে, আমরা হুকুম
কবুল করে নিয়েছি।
[52] Then when ‘Īsā (Jesus) came to know
of their disbelief, he said: “Who will be
my helpers in Allâh’s Cause?” Al-
Hawâriyyûn (the disciples) said: “We are
the helpers of Allâh; we believe in Allâh,
and bear witness that we are Muslims
(i.e. we submit to Allâh).”
[53] ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﺑِﻤﺎ ﺃَﻧﺰَﻟﺖَ
ﻭَﺍﺗَّﺒَﻌﻨَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ ﻓَﺎﻛﺘُﺒﻨﺎ ﻣَﻊَ
ﺍﻟﺸّٰﻬِﺪﻳﻦَ
[53] হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা
সে বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
করেছি যা তুমি নাযিল করেছ, আমরা
রসূলের অনুগত হয়েছি। অতএব,
আমাদিগকে মান্যকারীদের
তালিকাভুক্ত করে নাও।
[53] Our Lord! We believe in what You
have sent down, and we follow the
Messenger [‘Īsā (Jesus)]; so write us down
among those who bear witness (to the
truth i.e. Lâ ilâha ill-Allâh – none has the
right to be worshipped but Allâh)
[54] ﻭَﻣَﻜَﺮﻭﺍ ﻭَﻣَﻜَﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۖ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺧَﻴﺮُ ﺍﻟﻤٰﻜِﺮﻳﻦَ
[54] এবং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে
আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন
করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন
সর্বোত্তম কুশলী।
[54] And they (disbelievers) plotted [to
kill ‘Īsā (Jesus) A.S.], and Allâh plotted
too. And Allâh is the Best of those who
plot.
[55] ﺇِﺫ ﻗﺎﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳٰﻌﻴﺴﻰٰ ﺇِﻧّﻰ
ﻣُﺘَﻮَﻓّﻴﻚَ ﻭَﺭﺍﻓِﻌُﻚَ ﺇِﻟَﻰَّ
ﻭَﻣُﻄَﻬِّﺮُﻙَ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻭَﺟﺎﻋِﻞُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺗَّﺒَﻌﻮﻙَ ﻓَﻮﻕَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺇِﻟﻰٰ ﻳَﻮﻡِ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۖ
ﺛُﻢَّ ﺇِﻟَﻰَّ ﻣَﺮﺟِﻌُﻜُﻢ ﻓَﺄَﺣﻜُﻢُ
ﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﻓﻴﻤﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ ﻓﻴﻪِ
ﺗَﺨﺘَﻠِﻔﻮﻥَ
[55] আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন,
হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো
এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে
নিবো-কাফেরদের থেকে তোমাকে
পবিত্র করে দেবো। আর যারা
তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে
কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা
অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর
জয়ী করে রাখবো। বস্তুতঃ
তোমাদের সবাইকে আমার কাছেই
ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে
তোমরা বিবাদ করতে, আমি
তোমাদের মধ্যে তার ফয়সালা করে
দেবো।
[55] And (remember) when Allâh said:
“O ‘Īsā (Jesus)! I will take you and raise
you to Myself and clear you [of the
forged statement that ‘Īsā (Jesus) is
Allâh’s son] of those who disbelieve, and
I will make those who follow you
(Monotheists, who worship none but
Allâh) superior to those who disbelieve
[in the Oneness of Allâh, or disbelieve in
some of His Messengers, e.g. Muhammad
SAW, ‘Īsā (Jesus), Mûsâ (Moses), etc., or
in His Holy Books, e.g. the Taurât
(Torah), the Injeel (Gospel), the Qur’ân]
till the Day of Resurrection. Then you
will return to Me and I will judge
between you in the matters in which you
used to dispute.”
[56] ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻓَﺄُﻋَﺬِّﺑُﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺑًﺎ ﺷَﺪﻳﺪًﺍ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻭَﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻭَﻣﺎ ﻟَﻬُﻢ
ﻣِﻦ ﻧٰﺼِﺮﻳﻦَ
[56] অতএব যারা কাফের হয়েছে,
তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো
দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের
কোন সাহায্যকারী নেই।
[56] “As to those who disbelieve, I will
punish them with a severe torment in
this world and in the Hereafter, and they
will have no helpers.”
[57] ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﻓَﻴُﻮَﻓّﻴﻬِﻢ
ﺃُﺟﻮﺭَﻫُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﻳُﺤِﺐُّ
ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[57] পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে
এবং সৎকাজ করেছে। তাদের প্রাপ্য
পরিপুর্ণভাবে দেয়া হবে। আর আল্লাহ
অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না।
[57] And as for those who believe (in the
Oneness of Allâh) and do righteous good
deeds, Allâh will pay them their reward
in full. And Allâh does not like the
Zâlimûn (polytheists and wrong-doers).
[58] ﺫٰﻟِﻚَ ﻧَﺘﻠﻮﻩُ ﻋَﻠَﻴﻚَ ﻣِﻦَ
ﺍﻝﺀﺍﻳٰﺖِ ﻭَﺍﻟﺬِّﻛﺮِ ﺍﻟﺤَﻜﻴﻢِ
[58] আমি তোমাদেরকে পড়ে শুনাই এ
সমস্ত আয়াত এবং নিশ্চিত বর্ণনা।
[58] This is what We recite to you (O
Muhammad SAW) of the Verses and the
Wise Reminder (i.e. the Qur’ân)
[59] ﺇِﻥَّ ﻣَﺜَﻞَ ﻋﻴﺴﻰٰ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻛَﻤَﺜَﻞِ ﺀﺍﺩَﻡَ ۖ ﺧَﻠَﻘَﻪُ ﻣِﻦ ﺗُﺮﺍﺏٍ
ﺛُﻢَّ ﻗﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﻛُﻦ ﻓَﻴَﻜﻮﻥُ
[59] নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈসার
দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মতো। তাকে
মাটি দিয়ে তৈরী করেছিলেন এবং
তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও,
সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন।
[59] Verily, the likeness of ‘Īsā (Jesus)
before Allâh is the likeness of Adam. He
created him from dust, then (He) said to
him: “Be!” – and he was.
[60] ﺍﻟﺤَﻖُّ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻚَ ﻓَﻼ ﺗَﻜُﻦ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﻤﺘَﺮﻳﻦَ
[60] যা তোমার পালকর্তা বলেন তাই
হচ্ছে যথার্থ সত্য। কাজেই তোমরা
সংশয়বাদী হয়ো না।
[60] (This is) the truth from your Lord, so
be not of those who doubt.
[61] ﻓَﻤَﻦ ﺣﺎﺟَّﻚَ ﻓﻴﻪِ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ
ﻣﺎ ﺟﺎﺀَﻙَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻌِﻠﻢِ ﻓَﻘُﻞ
ﺗَﻌﺎﻟَﻮﺍ ﻧَﺪﻉُ ﺃَﺑﻨﺎﺀَﻧﺎ ﻭَﺃَﺑﻨﺎﺀَﻛُﻢ
ﻭَﻧِﺴﺎﺀَﻧﺎ ﻭَﻧِﺴﺎﺀَﻛُﻢ ﻭَﺃَﻧﻔُﺴَﻨﺎ
ﻭَﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢ ﺛُﻢَّ ﻧَﺒﺘَﻬِﻞ ﻓَﻨَﺠﻌَﻞ
ﻟَﻌﻨَﺖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻜٰﺬِﺑﻴﻦَ
[61] অতঃপর তোমার নিকট সত্য
সংবাদ এসে যাওয়ার পর যদি এই
কাহিনী সম্পর্কে তোমার সাথে কেউ
বিবাদ করে, তাহলে বল-এসো, আমরা
ডেকে নেই আমাদের পুত্রদের এবং
তোমাদের পুত্রদের এবং আমাদের
স্ত্রীদের ও তোমাদের স্ত্রীদের এবং
আমাদের নিজেদের ও তোমাদের
নিজেদের আর তারপর চল আমরা সবাই
মিলে প্রার্থনা করি এবং তাদের
প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা
মিথ্যাবাদী।
[61] Then whoever disputes with you
concerning him [‘Īsā (Jesus)] after (all
this) knowledge that has come to you,
[i.e. ‘Īsā (Jesus)] being a slave of Allâh,
and having no share in Divinity) say: (O
Muhammad SAW) “Come, let us call our
sons and your sons, our women and your
women, ourselves and yourselves – then
we pray and invoke (sincerely) the Curse
of Allâh upon those who lie.”
[62] ﺇِﻥَّ ﻫٰﺬﺍ ﻟَﻬُﻮَ ﺍﻟﻘَﺼَﺺُ
ﺍﻟﺤَﻖُّ ۚ ﻭَﻣﺎ ﻣِﻦ ﺇِﻟٰﻪٍ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۚ
ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻬُﻮَ ﺍﻟﻌَﺰﻳﺰُ ﺍﻟﺤَﻜﻴﻢُ
[62] নিঃসন্দেহে এটাই হলো সত্য
ভাষণ। আর এক আল্লাহ ছাড়া অন্য
কোন ইলাহ নেই। আর আল্লাহ; তিনিই
হলেন পরাক্রমশালী মহাপ্রাজ্ঞ।
[62] Verily! This is the true narrative
[about the story of ‘Īsā (Jesus)], and, Lâ
ilâha ill-Allâh (none has the right to be
worshipped but Allâh, the One and the
Only True God, Who has neither a wife
nor a son). And indeed, Allâh is the All-
Mighty, the All-Wise.
[63] ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻴﻢٌ
ﺑِﺎﻟﻤُﻔﺴِﺪﻳﻦَ
[63] তারপর যদি তারা গ্রহণ না করে,
তাহলে প্রমাদ সৃষ্টিকারীদেরকে
আল্লাহ জানেন।
[63] And if they turn away (and do not
accept these true proofs and evidences),
then surely, Allâh is All-Aware of those
who do mischief.
[64] ﻗُﻞ ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﺗَﻌﺎﻟَﻮﺍ
ﺇِﻟﻰٰ ﻛَﻠِﻤَﺔٍ ﺳَﻮﺍﺀٍ ﺑَﻴﻨَﻨﺎ
ﻭَﺑَﻴﻨَﻜُﻢ ﺃَﻟّﺎ ﻧَﻌﺒُﺪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻻ
ﻧُﺸﺮِﻙَ ﺑِﻪِ ﺷَﻴـًٔﺎ ﻭَﻻ ﻳَﺘَّﺨِﺬَ
ﺑَﻌﻀُﻨﺎ ﺑَﻌﻀًﺎ ﺃَﺭﺑﺎﺑًﺎ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻓَﻘﻮﻟُﻮﺍ
ﺍﺷﻬَﺪﻭﺍ ﺑِﺄَﻧّﺎ ﻣُﺴﻠِﻤﻮﻥَ
[64] বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! একটি
বিষয়ের দিকে আস-যা আমাদের মধ্যে
ও তোমাদের মধ্যে সমান-যে, আমরা
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করব
না, তাঁর সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত
করব না এবং একমাত্র আল্লাহকে
ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাব না।
তারপর যদি তারা স্বীকার না করে,
তাহলে বলে দাও যে, ‘সাক্ষী থাক
আমরা তো অনুগত।
[64] Say (O Muhammad SAW): “O people
of the Scripture (Jews and Christians):
Come to a word that is just between us
and you, that we worship none but Allâh
(Alone), and that we associate no
partners with Him, and that none of us
shall take others as lords besides Allâh.
Then, if they turn away, say: “Bear
witness that we are Muslims.”
[65] ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻟِﻢَ
ﺗُﺤﺎﺟّﻮﻥَ ﻓﻰ ﺇِﺑﺮٰﻫﻴﻢَ ﻭَﻣﺎ
ﺃُﻧﺰِﻟَﺖِ ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔُ ﻭَﺍﻹِﻧﺠﻴﻞُ
ﺇِﻟّﺎ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِﻩِ ۚ ﺃَﻓَﻼ ﺗَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[65] হে আহলে কিতাবগণ! কেন তোমরা
ইব্রাহীমের বিষয়ে বাদানুবাদ কর?
অথচ তওরাত ও ইঞ্জিল তাঁর পরেই
নাযিল হয়েছে। তোমরা কি বুঝ না?
[65] O people of the Scripture (Jews and
Christians)! Why do you dispute about
Ibrâhim (Abraham), while the Taurât
(Torah) and the Injeel (Gospel) were not
revealed till after him? Have you then no
sense?
[66] ﻫٰﺄَﻧﺘُﻢ ﻫٰﺆُﻻﺀِ ﺣٰﺠَﺠﺘُﻢ
ﻓﻴﻤﺎ ﻟَﻜُﻢ ﺑِﻪِ ﻋِﻠﻢٌ ﻓَﻠِﻢَ
ﺗُﺤﺎﺟّﻮﻥَ ﻓﻴﻤﺎ ﻟَﻴﺲَ ﻟَﻜُﻢ ﺑِﻪِ
ﻋِﻠﻢٌ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻌﻠَﻢُ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﻻ
ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[66] শোন! ইতিপূর্বে তোমরা যে
বিষয়ে কিছু জানতে, তাই নিয়ে বিবাদ
করতে। এখন আবার যে বিষয়ে তোমরা
কিছুই জান না, সে বিষয়ে কেন বিবাদ
করছ?
[66] Verily, you are those who have
disputed about that of which you have
knowledge. Why do you then dispute
concerning that of which you have no
knowledge? It is Allâh Who knows, and
you know not.
[67] ﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﺇِﺑﺮٰﻫﻴﻢُ ﻳَﻬﻮﺩِﻳًّﺎ
ﻭَﻻ ﻧَﺼﺮﺍﻧِﻴًّﺎ ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﻛﺎﻥَ
ﺣَﻨﻴﻔًﺎ ﻣُﺴﻠِﻤًﺎ ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻤُﺸﺮِﻛﻴﻦَ
[67] ইব্রাহীম ইহুদী ছিলেন না এবং
নাসারাও ছিলেন না, কিক্তু তিনি
ছিলেন ‘হানীফ’ অর্থাৎ, সব মিথ্যা
ধর্মের প্রতি বিমুখ এবং
আত্নসমর্পণকারী, এবং তিনি মুশরিক
ছিলেন না।
[67] Ibrâhim (Abraham) was neither a
Jew nor a Christian, but he was a true
Muslim Hanifa (Islâmic Monotheism – to
worship none but Allâh Alone) and he
was not of Al-Mushrikûn (See V.2:105)
[68] ﺇِﻥَّ ﺃَﻭﻟَﻰ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﺑِﺈِﺑﺮٰﻫﻴﻢَ
ﻟَﻠَّﺬﻳﻦَ ﺍﺗَّﺒَﻌﻮﻩُ ﻭَﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟِﻰُّ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[68] মানুষদের মধ্যে যারা ইব্রাহীমের
অনুসরণ করেছিল, তারা, আর এই নবী
এবং যারা এ নবীর প্রতি ঈমান এনেছে
তারা ইব্রাহীমের ঘনিষ্ঠতম-আর
আল্লাহ হচ্ছেন মুমিনদের বন্ধু।
[68] Verily, among mankind who have
the best claim to Ibrâhim (Abraham) are
those who followed him, and this Prophet
(Muhammad SAW) and those who have
believed (Muslims). And Allâh is the Walî
(Protector and Helper) of the believers.
[69] ﻭَﺩَّﺕ ﻃﺎﺋِﻔَﺔٌ ﻣِﻦ ﺃَﻫﻞِ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻟَﻮ ﻳُﻀِﻠّﻮﻧَﻜُﻢ ﻭَﻣﺎ
ﻳُﻀِﻠّﻮﻥَ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ ﻭَﻣﺎ
ﻳَﺸﻌُﺮﻭﻥَ
[69] কোন কোন আহলে-কিতাবের
আকাঙ্খা, যাতে তোমাদের গোমরাহ
করতে পারে, কিন্তু তারা নিজেদের
ছাড়া অন্য কাউকেই গোমরাহ করে না।
অথচ তারা বুঝতে পারে না।
[69] A party of the people of the
Scripture (Jews and Christians) wish to
lead you astray. But they shall not lead
astray anyone except themselves, and
they perceive not.
[70] ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻟِﻢَ ﺗَﻜﻔُﺮﻭﻥَ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﺗَﺸﻬَﺪﻭﻥَ
[70] হে আহলে-কিতাবগণ, কেন তোমরা
আল্লাহর কালামকে অস্বীকার কর,
অথচ তোমরাই তাঁর প্রবক্তা?
[70] O people of the Scripture! (Jews and
Christians): “Why do you disbelieve in
the Ayât of Allâh, [the Verses about
Prophet Muhammad SAW present in the
Taurât (Torah) and the Injeel (Gospel)]
while you (yourselves) bear witness (to
their truth).”
[71] ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻟِﻢَ ﺗَﻠﺒِﺴﻮﻥَ
ﺍﻟﺤَﻖَّ ﺑِﺎﻟﺒٰﻄِﻞِ ﻭَﺗَﻜﺘُﻤﻮﻥَ
ﺍﻟﺤَﻖَّ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﺗَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[71] হে আহলে কিতাবগণ, কেন তোমরা
সত্যকে মিথ্যার সাথে সংমিশ্রণ করছ
এবং সত্যকে গোপন করছ, অথচ তোমরা
তা জান।
[71] O people of the Scripture (Jews and
Christians): “Why do you mix truth with
falsehood and conceal the truth while
you know?”
[72] ﻭَﻗﺎﻟَﺖ ﻃﺎﺋِﻔَﺔٌ ﻣِﻦ ﺃَﻫﻞِ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﺀﺍﻣِﻨﻮﺍ ﺑِﺎﻟَّﺬﻯ ﺃُﻧﺰِﻝَ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﺟﻪَ
ﺍﻟﻨَّﻬﺎﺭِ ﻭَﺍﻛﻔُﺮﻭﺍ ﺀﺍﺧِﺮَﻩُ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢ
ﻳَﺮﺟِﻌﻮﻥَ
[72] আর আহলে-কিতাবগণের একদল
বললো, মুসলমানগণের উপর যা কিছু
অবর্তীণ হয়েছে তাকে দিনের প্রথম
ভাগে মেনে নাও, আর দিনের শেষ
ভাগে অস্বীকার ক র, হয়তো তারা মুখ
ফিরিয়ে নিতে পারে।
[72] And a party of the people of the
Scripture say: “Believe in the morning in
that which is revealed to the believers
(Muslims), and reject it at the end of the
day, so that they may turn back.
[73] ﻭَﻻ ﺗُﺆﻣِﻨﻮﺍ ﺇِﻟّﺎ ﻟِﻤَﻦ ﺗَﺒِﻊَ
ﺩﻳﻨَﻜُﻢ ﻗُﻞ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻬُﺪﻯٰ ﻫُﺪَﻯ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻥ ﻳُﺆﺗﻰٰ ﺃَﺣَﺪٌ ﻣِﺜﻞَ ﻣﺎ
ﺃﻭﺗﻴﺘُﻢ ﺃَﻭ ﻳُﺤﺎﺟّﻮﻛُﻢ ﻋِﻨﺪَ
ﺭَﺑِّﻜُﻢ ۗ ﻗُﻞ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻔَﻀﻞَ ﺑِﻴَﺪِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳُﺆﺗﻴﻪِ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭٰﺳِﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[73] যারা তোমাদের ধর্মমতে চলবে,
তাদের ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস
করবে না। বলে দিন নিঃসন্দেহে
হেদায়েত সেটাই, যে হেদায়েত
আল্লাহ করেন। আর এসব কিছু এ জন্যে
যে, তোমরা যা লাভ করেছিলে তা
অন্য কেউ কেন প্রাপ্ত হবে, কিংবা
তোমাদের পালনকর্তার সামনে
তোমাদের উপর তারা কেন প্রবল হয়ে
যাবে! বলে দিন, মর্যাদা আল্লাহরই
হাতে; তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন
এবং আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ।
[73] And believe no one except the one
who follows your religion. Say (O
Muhammad SAW): “Verily! Right
guidance is the Guidance of Allâh” and
do not believe that anyone can receive
like that which you have received (of
Revelation) except when he follows your
religion, otherwise they would engage
you in argument before your Lord. Say
(O Muhammad SAW): “All the bounty is
in the Hand of Allâh; He grants to whom
He wills. And Allâh is All-Sufficient for
His creatures’ needs, the All-Knower.”
[74] ﻳَﺨﺘَﺺُّ ﺑِﺮَﺣﻤَﺘِﻪِ ﻣَﻦ
ﻳَﺸﺎﺀُ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺫُﻭ ﺍﻟﻔَﻀﻞِ
ﺍﻟﻌَﻈﻴﻢِ
[74] তিনি যাকে ইচ্ছা নিজের বিশেষ
অনুগ্রহ দান করেন। আর আল্লাহ মহা
অনুগ্রহশীল।
[74] He selects for His Mercy (Islâm and
the Qur’ân with Prophethood) whom He
wills and Allâh is the Owner of Great
Bounty.
[75] ۞ ﻭَﻣِﻦ ﺃَﻫﻞِ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻣَﻦ
ﺇِﻥ ﺗَﺄﻣَﻨﻪُ ﺑِﻘِﻨﻄﺎﺭٍ ﻳُﺆَﺩِّﻩِ ﺇِﻟَﻴﻚَ
ﻭَﻣِﻨﻬُﻢ ﻣَﻦ ﺇِﻥ ﺗَﺄﻣَﻨﻪُ ﺑِﺪﻳﻨﺎﺭٍ
ﻻ ﻳُﺆَﺩِّﻩِ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ ﺩُﻣﺖَ
ﻋَﻠَﻴﻪِ ﻗﺎﺋِﻤًﺎ ۗ ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢ ﻗﺎﻟﻮﺍ
ﻟَﻴﺲَ ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷُﻣِّﻲّۦﻥَ
ﺳَﺒﻴﻞٌ ﻭَﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟﻜَﺬِﺏَ ﻭَﻫُﻢ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[75] কোন কোন আহলে কিতাব এমনও
রয়েছে, তোমরা যদি তাদের কাছে বহু
ধন-সম্পদ আমানত রাখ, তাহলেও তা
তোমাদের যথারীতি পরিশোধ করবে।
আর তোদের মধ্যে অনেক এমনও রয়েছে
যারা একটি দীনার গচ্ছিত রাখলেও
ফেরত দেবে না-যে পর্যন্ত না তুমি তার
মাথার উপর দাঁড়াতে পারবে। এটা
এজন্য যে, তারা বলে রেখেছে যে,
উম্মীদের অধিকার বিনষ্ট করাতে
আমাদের কোন পাপ নেই। আর তারা
আল্লাহ সম্পর্কে জেনে শুনেই মিথ্যা
বলে।
[75] Among the people of the Scripture
(Jews and Christians) is he who, if
entrusted with a Qintar (a great amount
of wealth, etc.), will readily pay it back;
and among them there is he who, if
entrusted with a single silver coin, will
not repay it unless you constantly stand
demanding, because they say: “There is
no blame on us to betray and take the
properties of the illiterates (Arabs).” But
they tell a lie against Allâh while they
know it.
[76] ﺑَﻠﻰٰ ﻣَﻦ ﺃَﻭﻓﻰٰ ﺑِﻌَﻬﺪِﻩِ
ﻭَﺍﺗَّﻘﻰٰ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ
ﺍﻟﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[76] যে লোক নিজ প্রতিজ্ঞা পূর্ন
করবে এং পরহেজগার হবে, অবশ্যই
আল্লাহ পরহেজগারদেরকে
ভালবাসেন।
[76] Yes, whoever fulfils his pledge and
fears Allâh much; verily, then Allâh loves
those who are Al-Muttaqûn (the pious –
see V.2:2).
[77] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺸﺘَﺮﻭﻥَ ﺑِﻌَﻬﺪِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺃَﻳﻤٰﻨِﻬِﻢ ﺛَﻤَﻨًﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ
ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻻ ﺧَﻠٰﻖَ ﻟَﻬُﻢ ﻓِﻰ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻭَﻻ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭَﻻ ﻳَﻨﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴﻬِﻢ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ
ﻭَﻻ ﻳُﺰَﻛّﻴﻬِﻢ ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ
ﺃَﻟﻴﻢٌ
[77] যারা আল্লাহর নামে কৃত
অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা সামান্য
মুল্যে বিক্রয় করে, আখেরাতে তাদের
কেন অংশ নেই। আর তাদের সাথে
কেয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন
না। তাদের প্রতি (করুণার) দৃষ্টিও
দেবেন না। আর তাদেরকে পরিশুদ্ধও
করবেন না। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে
যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
[77] Verily, those who purchase a small
gain at the cost of Allâh’s Covenant and
their oaths, they shall have no portion in
the Hereafter (Paradise). Neither will
Allâh speak to them, nor look at them on
the Day of Resurrection, nor will He
purify them, and they shall have a
painful torment.
[78] ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻟَﻔَﺮﻳﻘًﺎ ﻳَﻠﻮۥﻥَ
ﺃَﻟﺴِﻨَﺘَﻬُﻢ ﺑِﺎﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻟِﺘَﺤﺴَﺒﻮﻩُ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻭَﻣﺎ ﻫُﻮَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻭَﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻫُﻮَ ﻣِﻦ
ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣﺎ ﻫُﻮَ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟﻜَﺬِﺏَ ﻭَﻫُﻢ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[78] আর তাদের মধ্যে একদল রয়েছে,
যারা বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাঁকিয়ে
কিতাব পাঠ করে, যাতে তোমরা মনে
কর যে, তার কিতাব থেকেই পাঠ করছে।
অথচ তারা যা আবৃত্তি করছে তা
আদৌ কিতাব নয়। এবং তারা বলে যে,
এসব কথা আল্লাহর তরফ থেকে আগত।
অথচ এসব আল্লাহর তরফ থেকে প্রেরিত
নয়। তারা বলে যে, এটি আল্লাহর কথা
অথচ এসব আল্লাহর কথা নয়। আর তারা
জেনে শুনে আল্লাহরই প্রতি
মিথ্যারোপ করে।
[78] And verily, among them is a party
who distort the Book with their tongues
(as they read), so that you may think it is
from the Book, but it is not from the
Book, and they say: “This is from Allâh,”
but it is not from Allâh; and they speak a
lie against Allâh while they know it.
[79] ﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻟِﺒَﺸَﺮٍ ﺃَﻥ ﻳُﺆﺗِﻴَﻪُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﺍﻟﺤُﻜﻢَ ﻭَﺍﻟﻨُّﺒُﻮَّﺓَ
ﺛُﻢَّ ﻳَﻘﻮﻝَ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻛﻮﻧﻮﺍ ﻋِﺒﺎﺩًﺍ
ﻟﻰ ﻣِﻦ ﺩﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟٰﻜِﻦ
ﻛﻮﻧﻮﺍ ﺭَﺑّٰﻨِﻲّۦﻥَ ﺑِﻤﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﺗُﻌَﻠِّﻤﻮﻥَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﺑِﻤﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﺗَﺪﺭُﺳﻮﻥَ
[79] কোন মানুষকে আল্লাহ কিতাব,
হেকমত ও নবুওয়ত দান করার পর সে
বলবে যে, ‘তোমরা আল্লাহকে পরিহার
করে আমার বান্দা হয়ে যাও’-এটা সম্ভব
নয়। বরং তারা বলবে, ‘তোমরা
আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, যেমন,
তোমরা কিতাব শিখাতে এবং যেমন
তোমরা নিজেরা ও পড়তে।
[79] It is not (possible) for any human
being to whom Allâh has given the Book
and Al-Hukm (the knowledge and
understanding of the laws of religion)
and Prophethood to say to the people:
“Be my worshippers rather than Allâh’s.”
On the contrary (he would say): “Be you
Rabbaniyyun (learned men of religion
who practise what they know and also
preach others), because you are teaching
the Book, and you are studying it.”
[80] ﻭَﻻ ﻳَﺄﻣُﺮَﻛُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﺘَّﺨِﺬُﻭﺍ
ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔَ ﻭَﺍﻟﻨَّﺒِﻲّۦﻥَ ﺃَﺭﺑﺎﺑًﺎ ۗ
ﺃَﻳَﺄﻣُﺮُﻛُﻢ ﺑِﺎﻟﻜُﻔﺮِ ﺑَﻌﺪَ ﺇِﺫ ﺃَﻧﺘُﻢ
ﻣُﺴﻠِﻤﻮﻥَ
[80] তাছাড়া তোমাদেরকে একথা
বলাও সম্ভব নয় যে, তোমরা ফেরেশতা
ও নবীগনকে নিজেদের পালনকর্তা
সাব্যস্ত করে নাও। তোমাদের
মুসলমান হবার পর তারা কি
তোমাদেরকে কুফরী শেখাবে?
[80] Nor would he order you to take
angels and Prophets for lords (gods).
Would he order you to disbelieve after
you have submitted to Allâh’s Will?
(Tafsir At-Tabarî).
[81] ﻭَﺇِﺫ ﺃَﺧَﺬَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣﻴﺜٰﻖَ
ﺍﻟﻨَّﺒِﻲّۦﻥَ ﻟَﻤﺎ ﺀﺍﺗَﻴﺘُﻜُﻢ ﻣِﻦ
ﻛِﺘٰﺐٍ ﻭَﺣِﻜﻤَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﺟﺎﺀَﻛُﻢ
ﺭَﺳﻮﻝٌ ﻣُﺼَﺪِّﻕٌ ﻟِﻤﺎ ﻣَﻌَﻜُﻢ
ﻟَﺘُﺆﻣِﻨُﻦَّ ﺑِﻪِ ﻭَﻟَﺘَﻨﺼُﺮُﻧَّﻪُ ۚ ﻗﺎﻝَ
ﺀَﺃَﻗﺮَﺭﺗُﻢ ﻭَﺃَﺧَﺬﺗُﻢ ﻋَﻠﻰٰ ﺫٰﻟِﻜُﻢ
ﺇِﺻﺮﻯ ۖ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺃَﻗﺮَﺭﻧﺎ ۚ ﻗﺎﻝَ
ﻓَﺎﺷﻬَﺪﻭﺍ ﻭَﺃَﻧﺎ۠ ﻣَﻌَﻜُﻢ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺸّٰﻬِﺪﻳﻦَ
[81] আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ
থেকে অস্বীকার গ্রহন করলেন যে,
আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি
কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর
তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন
তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে
দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি
ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে।
তিনি বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার
করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা
গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো,
‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি
বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর
আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী
রইলাম।
[81] And (remember) when Allâh took
the Covenant of the Prophets, saying:
“Take whatever I gave you from the Book
and Hikmah (understanding of the Laws
of Allâh), and afterwards there will come
to you a Messenger (Muhammad SAW)
confirming what is with you; you must,
then, believe in him and help him.” Allâh
said: “Do you agree (to it) and will you
take up My Covenant (which I conclude
with you)?” They said: “We agree.” He
said: “Then bear witness; and I am with
you among the witnesses (for this).”
[82] ﻓَﻤَﻦ ﺗَﻮَﻟّﻰٰ ﺑَﻌﺪَ ﺫٰﻟِﻚَ
ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻔٰﺴِﻘﻮﻥَ
[82] অতঃপর যে লোক এই ওয়াদা
থেকে ফিরে দাঁড়াবে, সেই হবে
নাফরমান।
[82] Then whoever turns away after this,
they are the Fâsiqûn (rebellious: those
who turn away from Allâh’s Obedience).
[83] ﺃَﻓَﻐَﻴﺮَ ﺩﻳﻦِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳَﺒﻐﻮﻥَ
ﻭَﻟَﻪُ ﺃَﺳﻠَﻢَ ﻣَﻦ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﻃَﻮﻋًﺎ ﻭَﻛَﺮﻫًﺎ ﻭَﺇِﻟَﻴﻪِ
ﻳُﺮﺟَﻌﻮﻥَ
[83] তারা কি আল্লাহর দ্বীনের
পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে?
আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে
স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক,
তাঁরই অনুগত হবে এবং তাঁর দিকেই
ফিরে যাবে।
[83] Do they seek other than the religion
of Allâh (the true Islâmic Monotheism
worshipping none but Allâh Alone),
while to Him submitted all creatures in
the heavens and the earth, willingly or
unwillingly. And to Him shall they all be
returned.
[84] ﻗُﻞ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ
ﻋَﻠَﻴﻨﺎ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻋَﻠﻰٰ ﺇِﺑﺮٰﻫﻴﻢَ
ﻭَﺇِﺳﻤٰﻌﻴﻞَ ﻭَﺇِﺳﺤٰﻖَ ﻭَﻳَﻌﻘﻮﺏَ
ﻭَﺍﻷَﺳﺒﺎﻁِ ﻭَﻣﺎ ﺃﻭﺗِﻰَ ﻣﻮﺳﻰٰ
ﻭَﻋﻴﺴﻰٰ ﻭَﺍﻟﻨَّﺒِﻴّﻮﻥَ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻬِﻢ
ﻻ ﻧُﻔَﺮِّﻕُ ﺑَﻴﻦَ ﺃَﺣَﺪٍ ﻣِﻨﻬُﻢ
ﻭَﻧَﺤﻦُ ﻟَﻪُ ﻣُﺴﻠِﻤﻮﻥَ
[84] বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর
উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে
আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল,
ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের
সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু
পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য
নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ
থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে
পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই
অনুগত।
[84] Say (O Muhammad SAW): “We
believe in Allâh and in what has been
sent down to us, and what was sent
down to Ibrâhim (Abraham), Ismâ’il
(Ishmael), Ishâq (Isaac), Ya’qûb (Jacob)
and Al-Asbât [the offspring twelve sons
of Ya’qûb (Jacob)] and what was given to
Mûsa (Moses), ‘Īsā (Jesus) and the
Prophets from their Lord. We make no
distinction between one another among
them and to Him (Allâh) we have
submitted (in Islâm).”
[85] ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺒﺘَﻎِ ﻏَﻴﺮَ ﺍﻹِﺳﻠٰﻢِ
ﺩﻳﻨًﺎ ﻓَﻠَﻦ ﻳُﻘﺒَﻞَ ﻣِﻨﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻓِﻰ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺨٰﺴِﺮﻳﻦَ
[85] যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন
ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা
গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে
ক্ষতি গ্রস্ত।
[85] And whoever seeks a religion other
than Islâm, it will never be accepted of
him, and in the Hereafter he will be one
of the losers.
[86] ﻛَﻴﻒَ ﻳَﻬﺪِﻯ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻗَﻮﻣًﺎ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺑَﻌﺪَ ﺇﻳﻤٰﻨِﻬِﻢ ﻭَﺷَﻬِﺪﻭﺍ
ﺃَﻥَّ ﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ ﺣَﻖٌّ ﻭَﺟﺎﺀَﻫُﻢُ
ﺍﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖُ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﻳَﻬﺪِﻯ ﺍﻟﻘَﻮﻡَ
ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[86] কেমন করে আল্লাহ এমন জাতিকে
হেদায়েত দান করবেন, যারা ঈমান
আনার পর এবং রসূলকে সত্য বলে
সাক্ষ্য দেয়ার পর এবং তাদের নিকট
প্রমাণ এসে যাওয়ার পর কাফের
হয়েছে। আর আল্লাহ জালেম
সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না।
[86] How shall Allâh guide a people who
disbelieved after their belief and after
they bore witness that the Messenger
(Muhammad SAW) is true and after clear
proofs had come unto them? And Allâh
guides not the people who are Zâlimûn
(polytheists and wrong-doers).
[87] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺟَﺰﺍﺅُﻫُﻢ ﺃَﻥَّ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻟَﻌﻨَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔِ
ﻭَﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﺃَﺟﻤَﻌﻴﻦَ
[87] এমন লোকের শাস্তি হলো
আল্লাহ, ফেরেশতাগণ এবং মানুষ
সকলেরই অভিসম্পাত।
[87] They are those whose recompense is
that on them (rests) the Curse of Allâh, of
the angels, and of all mankind.
[88] ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ ﻻ ﻳُﺨَﻔَّﻒُ
ﻋَﻨﻬُﻢُ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏُ ﻭَﻻ ﻫُﻢ
ﻳُﻨﻈَﺮﻭﻥَ
[88] সর্বক্ষণই তারা তাতে থাকবে।
তাদের আযাব হালকাও হবে না এবং
তার এত অবকাশও পাবে না।
[88] They will abide therein (Hell).
Neither will their torment be lightened,
nor will it be delayed or postponed (for a
while).
[89] ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺗﺎﺑﻮﺍ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ
ﺫٰﻟِﻚَ ﻭَﺃَﺻﻠَﺤﻮﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[89] কিন্তু যারা অতঃপর তওবা করে
নেবে এবং সৎকাজ করবে তারা
ব্যতীত, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও
পরম দয়ালূ।
[89] Except for those who repent after
that and do righteous deeds. Verily, Allâh
is Oft-Forgiving, Most Merciful.
[90] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺑَﻌﺪَ
ﺇﻳﻤٰﻨِﻬِﻢ ﺛُﻢَّ ﺍﺯﺩﺍﺩﻭﺍ ﻛُﻔﺮًﺍ ﻟَﻦ
ﺗُﻘﺒَﻞَ ﺗَﻮﺑَﺘُﻬُﻢ ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ
ﺍﻟﻀّﺎﻟّﻮﻥَ
[90] যারা ঈমান আনার পর অস্বীকার
করেছে এবং অস্বীকৃতিতে বৃদ্ধি
ঘটেছে, কস্মিণকালেও তাদের তওবা
কবুল করা হবে না। আর তারা হলো
গোমরাহ।
[90] Verily, those who disbelieved after
their Belief and then went on increasing
in their disbelief (i.e. disbelief in the
Qur’ân and in Prophet Muhammad SAW)
– never will their repentance be accepted
[because they repent only by their
tongues and not from their hearts]. And
they are those who are astray.
[91] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﻣﺎﺗﻮﺍ
ﻭَﻫُﻢ ﻛُﻔّﺎﺭٌ ﻓَﻠَﻦ ﻳُﻘﺒَﻞَ ﻣِﻦ
ﺃَﺣَﺪِﻫِﻢ ﻣِﻞﺀُ ﺍﻷَﺭﺽِ ﺫَﻫَﺒًﺎ
ﻭَﻟَﻮِ ﺍﻓﺘَﺪﻯٰ ﺑِﻪِ ۗ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ
ﻋَﺬﺍﺏٌ ﺃَﻟﻴﻢٌ ﻭَﻣﺎ ﻟَﻬُﻢ ﻣِﻦ
ﻧٰﺼِﺮﻳﻦَ
[91] যদি সারা পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণও
তার পরিবর্তে দেয়া হয়, তবুও যারা
কাফের হয়েছে এবং কাফের অবস্থায়
মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তওবা কবুল করা
হবে না। তাদের জন্য রয়েছে
যন্ত্রণাদায়ক আযাব! পক্ষান্তরে
তাদের কোনই সাহায্যকারী নেই।
[91] Verily, those who disbelieved, and
died while they were disbelievers, the
(whole) earth full of gold will not be
accepted from anyone of them even if
they offered it as a ransom. For them is
a painful torment and they will have no
helpers.
[92] ﻟَﻦ ﺗَﻨﺎﻟُﻮﺍ ﺍﻟﺒِﺮَّ ﺣَﺘّﻰٰ
ﺗُﻨﻔِﻘﻮﺍ ﻣِﻤّﺎ ﺗُﺤِﺒّﻮﻥَ ۚ ﻭَﻣﺎ
ﺗُﻨﻔِﻘﻮﺍ ﻣِﻦ ﺷَﻲﺀٍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺑِﻪِ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[92] কস্মিণকালেও কল্যাণ লাভ করতে
পারবে না, যদি তোমাদের প্রিয় বস্তু
থেকে তোমরা ব্যয় না কর। আর
তোমরা যদি কিছু ব্যয় করবে আল্লাহ
তা জানেন।
[92] By no means shall you attain Al-Birr
(piety, righteousness – here it means
Allâh’s Reward, i.e. Paradise), unless you
spend (in Allâh’s Cause) of that which
you love; and whatever of good you
spend, Allâh knows it well.
[93] ۞ ﻛُﻞُّ ﺍﻟﻄَّﻌﺎﻡِ ﻛﺎﻥَ ﺣِﻠًّﺎ
ﻟِﺒَﻨﻰ ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞَ ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ ﺣَﺮَّﻡَ
ﺇِﺳﺮٰﺀﻳﻞُ ﻋَﻠﻰٰ ﻧَﻔﺴِﻪِ ﻣِﻦ
ﻗَﺒﻞِ ﺃَﻥ ﺗُﻨَﺰَّﻝَ ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔُ ۗ ﻗُﻞ
ﻓَﺄﺗﻮﺍ ﺑِﺎﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔِ ﻓَﺎﺗﻠﻮﻫﺎ ﺇِﻥ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﺻٰﺪِﻗﻴﻦَ
[93] তওরাত নাযিল হওয়ার পূর্বে ইয়াকুব
যেগুলো নিজেদের জন্য হারাম করে
নিয়েছিলেন, সেগুলো ব্যতীত সমস্ত
আহার্য বস্তুই বনী-ইসরায়ীলদের জন্য
হালাল ছিল। তুমি বলে দাও, তোমরা
যদি সত্যবাদী হয়ে থাক। তাহলে
তওরাত নিয়ে এসো এবং তা পাঠ কর।
[93] All food was lawful to the Children
of Israel, except what Israel made
unlawful for himself before the Taurât
(Torah) was revealed. Say (O Muhammad
SAW): “Bring here the Taurât (Torah)
and recite it, if you are truthful.”
[94] ﻓَﻤَﻦِ ﺍﻓﺘَﺮﻯٰ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟﻜَﺬِﺏَ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﺫٰﻟِﻚَ ﻓَﺄُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﻫُﻢُ ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻮﻥَ
[94] অতঃপর আল্লাহর প্রতি যারা
মিথ্যা আরোপ করেছে, তারাই যালেম
সীমালংঘনকারী।
[94] Then after that, whosoever shall
invent a lie against Allâh, … such shall
indeed be the Zâlimûn (disbelievers).
[95] ﻗُﻞ ﺻَﺪَﻕَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ۗ ﻓَﺎﺗَّﺒِﻌﻮﺍ
ﻣِﻠَّﺔَ ﺇِﺑﺮٰﻫﻴﻢَ ﺣَﻨﻴﻔًﺎ ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤُﺸﺮِﻛﻴﻦَ
[95] বল, ‘আল্লাহ সত্য বলেছেন। এখন
সবাই ইব্রাহীমের ধর্মের অনুগত হয়ে
যাও, যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ ভাবে
সত্যধর্মের অনুসারী। তিনি মুশরিকদের
অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।
[95] Say (O Muhammad SAW): “Allâh has
spoken the truth; follow the religion of
Ibrâhim (Abraham) Hanifa (Islâmic
Monotheism, i.e. he used to worship
Allâh Alone), and he was not of Al-
Mushrikûn.” (See V.2:105)
[96] ﺇِﻥَّ ﺃَﻭَّﻝَ ﺑَﻴﺖٍ ﻭُﺿِﻊَ
ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻟَﻠَّﺬﻯ ﺑِﺒَﻜَّﺔَ ﻣُﺒﺎﺭَﻛًﺎ
ﻭَﻫُﺪًﻯ ﻟِﻠﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[96] নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা
মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে,
সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত
এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য
হেদায়েত ও বরকতময়।
[96] Verily, the first House (of worship)
appointed for mankind was that at
Bakkah (Makkah), full of blessing, and a
guidance for Al-‘Alamîn (the mankind
and jinn).
[97] ﻓﻴﻪِ ﺀﺍﻳٰﺖٌ ﺑَﻴِّﻨٰﺖٌ ﻣَﻘﺎﻡُ
ﺇِﺑﺮٰﻫﻴﻢَ ۖ ﻭَﻣَﻦ ﺩَﺧَﻠَﻪُ ﻛﺎﻥَ
ﺀﺍﻣِﻨًﺎ ۗ ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﺣِﺞُّ
ﺍﻟﺒَﻴﺖِ ﻣَﻦِ ﺍﺳﺘَﻄﺎﻉَ ﺇِﻟَﻴﻪِ
ﺳَﺒﻴﻠًﺎ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻛَﻔَﺮَ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻏَﻨِﻰٌّ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[97] এতে রয়েছে মকামে ইব্রাহীমের
মত প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে, লোক এর
ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা
লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ্ব করা
হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য;
যে লোকের সামর্থø রয়েছে এ পর্যন্ত
পৌছার। আর যে লোক তা মানে না।
আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই
পরোয়া করেন না।
[97] In it are manifest signs (for
example), the Maqâm (place) of Ibrâhim
(Abraham); whosoever enters it, he
attains security. And Hajj (pilgrimage to
Makkah) to the House (Ka’bah) is a duty
that mankind owes to Allâh, those who
can afford the expenses (for one’s
conveyance, provision and residence);
and whoever disbelieves [i.e. denies Hajj
(pilgrimage to Makkah), then he is a
disbeliever of Allâh], then Allâh stands
not in need of any of the ‘Alamîn
(mankind and jinn and all that exsists).
[98] ﻗُﻞ ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻟِﻢَ
ﺗَﻜﻔُﺮﻭﻥَ ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺷَﻬﻴﺪٌ ﻋَﻠﻰٰ ﻣﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[98] বলুন, হে আহলে কিতাবগণ, কেন
তোমরা আল্লাহর কিতাব অমান্য
করছো, অথচ তোমরা যা কিছু কর, তা
আল্লাহর সামনেই রয়েছে।
[98] Say: “O people of the Scripture (Jews
and Christians)! Why do you reject the
Ayât of Allâh (proofs, evidences, verses,
lessons, signs, revelations, etc.) while
Allâh is Witness to what you do?”
[99] ﻗُﻞ ﻳٰﺄَﻫﻞَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻟِﻢَ
ﺗَﺼُﺪّﻭﻥَ ﻋَﻦ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣَﻦ
ﺀﺍﻣَﻦَ ﺗَﺒﻐﻮﻧَﻬﺎ ﻋِﻮَﺟًﺎ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﺷُﻬَﺪﺍﺀُ ۗ ﻭَﻣَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻐٰﻔِﻞٍ ﻋَﻤّﺎ
ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[99] বলুন, হে আহলে কিতাবগণ! কেন
তোমরা আল্লাহর পথে
ঈমানদারদিগকে বাধা দান কর-
তোমরা তাদের দ্বীনের মধ্যে বক্রতা
অনুপ্রবেশ করানোর পন্থা অনুসন্ধান
কর, অথচ তোমরা এ পথের সত্যতা
প্রত্যক্ষ করছ। বস্তুতঃ আল্লাহ
তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে
অনবগত নন।
[99] Say: “O people of the Scripture (Jews
and Christians)! Why do you stop those
who have believed, from the Path of
Allâh, seeking to make it seem crooked,
while you (yourselves) are witnesses [to
Muhammad SAW as a Messenger of Allâh
and Islâm (Allâh’s Religion, i.e. to
worship none but Him Alone)]? And
Allâh is not unaware of what you do.”
[100] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺇِﻥ
ﺗُﻄﻴﻌﻮﺍ ﻓَﺮﻳﻘًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺃﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻳَﺮُﺩّﻭﻛُﻢ ﺑَﻌﺪَ
ﺇﻳﻤٰﻨِﻜُﻢ ﻛٰﻔِﺮﻳﻦَ
[100] হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি
আহলে কিতাবদের কোন ফেরকার কথা
মান, তাহলে ঈমান আনার পর তারা
তোমাদিগকে কাফেরে পরিণত করে
দেবে।
[100] O you who believe! If you obey a
group of those who were given the
Scripture (Jews and Christians), they
would (indeed) render you disbelievers
after you have believed!
[101] ﻭَﻛَﻴﻒَ ﺗَﻜﻔُﺮﻭﻥَ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﺗُﺘﻠﻰٰ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺀﺍﻳٰﺖُ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻓﻴﻜُﻢ ﺭَﺳﻮﻟُﻪُ ۗ ﻭَﻣَﻦ
ﻳَﻌﺘَﺼِﻢ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻘَﺪ ﻫُﺪِﻯَ ﺇِﻟﻰٰ
ﺻِﺮٰﻁٍ ﻣُﺴﺘَﻘﻴﻢٍ
[101] আর তোমরা কেমন করে কাফের
হতে পার, অথচ তোমাদের সামনে পাঠ
করা হয় আল্লাহর আয়াত সমূহ এবং
তোমাদের মধ্যে রয়েছেন আল্লাহর
রসূল। আর যারা আল্লাহর কথা দৃঢ়ভাবে
ধরবে, তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হবে সরল
পথের।
[101] And how would you disbelieve,
while unto you are recited the Verses of
Allâh, and among you is His Messenger
(Muhammad SAW)? And whoever holds
firmly to Allâh, (i.e. follows Islâm —
Allâh’s Religion, and obeys all that Allâh
has ordered, practically), then he is
indeed guided to a Right Path.
[102] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ
ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺣَﻖَّ ﺗُﻘﺎﺗِﻪِ ﻭَﻻ
ﺗَﻤﻮﺗُﻦَّ ﺇِﻟّﺎ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﻣُﺴﻠِﻤﻮﻥَ
[102] হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন
ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয়
করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না
হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।
[102] O you who believe! Fear Allâh (by
doing all that He has ordered and by
abstaining from all that He has
forbidden) as He should be feared. [Obey
Him, be thankful to Him, and remember
Him always], and die not except in a
state of Islâm [as Muslims (with complete
submission to Allâh)].
[103] ﻭَﺍﻋﺘَﺼِﻤﻮﺍ ﺑِﺤَﺒﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺟَﻤﻴﻌًﺎ ﻭَﻻ ﺗَﻔَﺮَّﻗﻮﺍ ۚ ﻭَﺍﺫﻛُﺮﻭﺍ
ﻧِﻌﻤَﺖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺇِﺫ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﺃَﻋﺪﺍﺀً ﻓَﺄَﻟَّﻒَ ﺑَﻴﻦَ ﻗُﻠﻮﺑِﻜُﻢ
ﻓَﺄَﺻﺒَﺤﺘُﻢ ﺑِﻨِﻌﻤَﺘِﻪِ ﺇِﺧﻮٰﻧًﺎ
ﻭَﻛُﻨﺘُﻢ ﻋَﻠﻰٰ ﺷَﻔﺎ ﺣُﻔﺮَﺓٍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ﻓَﺄَﻧﻘَﺬَﻛُﻢ ﻣِﻨﻬﺎ ۗ ﻛَﺬٰﻟِﻚَ
ﻳُﺒَﻴِّﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢ ﺀﺍﻳٰﺘِﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ
ﺗَﻬﺘَﺪﻭﻥَ
[103] আর তোমরা সকলে আল্লাহর
রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর
বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে
নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ
তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা
পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ
তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান
করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর
অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই
হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে
অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে
তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন।
এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ
প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা
হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।
[103] And hold fast, all of you together,
to the Rope of Allâh (i.e. this Qur’ân),
and be not divided among yourselves,
and remember Allâh’s Favour on you,
for you were enemies one to another but
He joined your hearts together, so that,
by His Grace, you became brethren (in
Islâmic Faith), and you were on the
brink of a pit of Fire, and He saved you
from it. Thus Allâh makes His Ayât
(proofs, evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.,) clear to you, that you
may be guided.
[104] ﻭَﻟﺘَﻜُﻦ ﻣِﻨﻜُﻢ ﺃُﻣَّﺔٌ
ﻳَﺪﻋﻮﻥَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺨَﻴﺮِ ﻭَﻳَﺄﻣُﺮﻭﻥَ
ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ﻭَﻳَﻨﻬَﻮﻥَ ﻋَﻦِ
ﺍﻟﻤُﻨﻜَﺮِ ۚ ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻫُﻢُ
ﺍﻟﻤُﻔﻠِﺤﻮﻥَ
[104] আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা
দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে
সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল
কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ
থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম।
[104] Let there arise out of you a group
of people inviting to all that is good
(Islâm), enjoining Al-Ma’rûf (i.e. Islâmic
Monotheism and all that Islâm orders
one to do) and forbidding Al-Munkar
(polytheism and disbelief and all that
Islâm has forbidden). And it is they who
are the successful.
[105] ﻭَﻻ ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﻛَﺎﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺗَﻔَﺮَّﻗﻮﺍ ﻭَﺍﺧﺘَﻠَﻔﻮﺍ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ
ﺟﺎﺀَﻫُﻢُ ﺍﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖُ ۚ ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ
ﻋَﺬﺍﺏٌ ﻋَﻈﻴﻢٌ
[105] আর তাদের মত হয়ো না, যারা
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং নিদর্শন সমূহ
আসার পরও বিরোধিতা করতে শুরু
করেছে-তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর
আযাব।
[105] And be not as those who divided
and differed among themselves after the
clear proofs had come to them. It is they
for whom there is an awful torment.
[106] ﻳَﻮﻡَ ﺗَﺒﻴَﺾُّ ﻭُﺟﻮﻩٌ
ﻭَﺗَﺴﻮَﺩُّ ﻭُﺟﻮﻩٌ ۚ ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺍﺳﻮَﺩَّﺕ ﻭُﺟﻮﻫُﻬُﻢ ﺃَﻛَﻔَﺮﺗُﻢ
ﺑَﻌﺪَ ﺇﻳﻤٰﻨِﻜُﻢ ﻓَﺬﻭﻗُﻮﺍ ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏَ
ﺑِﻤﺎ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺗَﻜﻔُﺮﻭﻥَ
[106] সেদিন কোন কোন মুখ উজ্জ্বল
হবে, আর কোন কোন মুখ হবে কালো।
বস্তুতঃ যাদের মুখ কালো হবে, তাদের
বলা হবে, তোমরা কি ঈমান আনার পর
কাফের হয়ে গিয়েছিলে? এবার সে
কুফরীর বিনিময়ে আযাবের আস্বাদ
গ্রহণ কর।
[106] On the Day (i.e. the Day of
Resurrection) when some faces will
become white and some faces will
become black; as for those whose faces
will become black (to them will be said):
“Did you reject Faith after accepting it?
Then taste the torment (in Hell) for
rejecting Faith.”
[107] ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺑﻴَﻀَّﺖ
ﻭُﺟﻮﻫُﻬُﻢ ﻓَﻔﻰ ﺭَﺣﻤَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻫُﻢ ﻓﻴﻬﺎ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[107] আর যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে, তারা
থাকবে রহমতের মাঝে। তাতে তারা
অনন্তকাল অবস্থান করবে।
[107] And for those whose faces will
become white, they will be in Allâh’s
Mercy (Paradise), therein they shall
dwell forever.
[108] ﺗِﻠﻚَ ﺀﺍﻳٰﺖُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻧَﺘﻠﻮﻫﺎ
ﻋَﻠَﻴﻚَ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ ۗ ﻭَﻣَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺮﻳﺪُ
ﻇُﻠﻤًﺎ ﻟِﻠﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[108] এগুলো হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ,
যা তোমাদিগকে যথাযথ পাঠ করে
শুনানো হচ্ছে। আর আল্লাহ বিশ্ব
জাহানের প্রতি উৎপীড়ন করতে চান
না।
[108] These are the Verses of Allâh: We
recite them to you (O Muhammad SAW)
in truth, and Allâh wills no injustice to
the ‘Alâmîn (mankind and jinn all that
exist).
[109] ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺗُﺮﺟَﻊُ ﺍﻷُﻣﻮﺭُ
[109] আর যা কিছু আসমান ও যমীনে
রয়েছে সে সবই আল্লাহর এবং আল্লাহর
প্রতিই সব কিছু প্রত্যাবর্তনশীল।
[109] And to Allâh belongs all that is in
the heavens and all that is in the earth.
And all matters go back (for decision) to
Allâh.
[110] ﻛُﻨﺘُﻢ ﺧَﻴﺮَ ﺃُﻣَّﺔٍ ﺃُﺧﺮِﺟَﺖ
ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﺗَﺄﻣُﺮﻭﻥَ ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ
ﻭَﺗَﻨﻬَﻮﻥَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻤُﻨﻜَﺮِ
ﻭَﺗُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﻟَﻮ ﺀﺍﻣَﻦَ
ﺃَﻫﻞُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻟَﻜﺎﻥَ ﺧَﻴﺮًﺍ ﻟَﻬُﻢ ۚ
ﻣِﻨﻬُﻢُ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﻭَﺃَﻛﺜَﺮُﻫُﻢُ
ﺍﻟﻔٰﺴِﻘﻮﻥَ
[110] তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত,
মানবজাতির কল্যানের জন্যেই
তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে।
তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে
ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং
আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর
আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো,
তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো।
তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে
ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো
পাপাচারী।
[110] You [true believers in Islâmic
Monotheism, and real followers of
Prophet Muhammad SAW and his
Sunnah] are the best of peoples ever
raised up for mankind; you enjoin Al-
Ma’rûf (i.e. Islâmic Monotheism and all
that Islâm has ordained) and forbid Al-
Munkar (polytheism, disbelief and all
that Islâm has forbidden), and you
believe in Allâh. And had the people of
the Scripture (Jews and Christians)
believed, it would have been better for
them; among them are some who have
faith, but most of them are Al-Fâsiqûn
(disobedient to Allâh – and rebellious
against Allâh’s Command).
[111] ﻟَﻦ ﻳَﻀُﺮّﻭﻛُﻢ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﺫًﻯ ۖ
ﻭَﺇِﻥ ﻳُﻘٰﺘِﻠﻮﻛُﻢ ﻳُﻮَﻟّﻮﻛُﻢُ ﺍﻷَﺩﺑﺎﺭَ
ﺛُﻢَّ ﻻ ﻳُﻨﺼَﺮﻭﻥَ
[111] যৎসামান্য কষ্ট দেয়া ছাড়া
তারা তোমাদের কোনই ক্ষতি করতে
পারবে না। আর যদি তারা তোমাদের
সাথে লড়াই করে, তাহলে তারা
পশ্চাদপসরণ করবে। অতঃপর তাদের
সাহায্য করা হবে না।
[111] They will do you no harm, barring
a trifling annoyance; and if they fight
against you, they will show you their
backs, and they will not be helped.
[112] ﺿُﺮِﺑَﺖ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢُ ﺍﻟﺬِّﻟَّﺔُ ﺃَﻳﻦَ
ﻣﺎ ﺛُﻘِﻔﻮﺍ ﺇِﻟّﺎ ﺑِﺤَﺒﻞٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺣَﺒﻞٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻭَﺑﺎﺀﻭ
ﺑِﻐَﻀَﺐٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺿُﺮِﺑَﺖ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢُ ﺍﻟﻤَﺴﻜَﻨَﺔُ ۚ ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳَﻜﻔُﺮﻭﻥَ ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻳَﻘﺘُﻠﻮﻥَ ﺍﻷَﻧﺒِﻴﺎﺀَ ﺑِﻐَﻴﺮِ ﺣَﻖٍّ ۚ
ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﻤﺎ ﻋَﺼَﻮﺍ ﻭَﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻳَﻌﺘَﺪﻭﻥَ
[112] আল্লাহর প্রতিশ্রুতি কিংবা
মানুষের প্রতিশ্রুতি ব্যতিত ওরা
যেখানেই অবস্থান করেছে সেখানেই
তাদের ওপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে দেয়া
হয়েছে। আর ওরা উপার্জন করেছে
আল্লাহর গযব। ওদের উপর চাপানো
হয়েছে গলগ্রহতা। তা এজন্যে যে, ওরা
আল্লাহর আয়াতসমূহকে অনবরত
অস্বীকার করেছে এবং নবীগনকে
অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। তার কারণ,
ওরা নাফরমানী করেছে এবং সীমা
লংঘন করেছে।
[112] Indignity is put over them
wherever they may be, except when
under a covenant (of protection) from
Allâh, and from men; they have drawn
on themselves the Wrath of Allâh, and
destruction is put over them. This is
because they disbelieved in the Ayât
(proofs, evidences, verses, lessons, signs,
revelations, etc.) of Allâh and killed the
Prophets without right. This is because
they disobeyed (Allâh) and used to
transgress beyond bounds (in Allâh’s
disobedience, crimes and sins).
[113] ۞ ﻟَﻴﺴﻮﺍ ﺳَﻮﺍﺀً ۗ ﻣِﻦ
ﺃَﻫﻞِ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ﺃُﻣَّﺔٌ ﻗﺎﺋِﻤَﺔٌ
ﻳَﺘﻠﻮﻥَ ﺀﺍﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺀﺍﻧﺎﺀَ
ﺍﻟَّﻴﻞِ ﻭَﻫُﻢ ﻳَﺴﺠُﺪﻭﻥَ
[113] তারা সবাই সমান নয়। আহলে
কিতাবদের মধ্যে কিছু লোক এমনও
আছে যারা অবিচলভাবে আল্লাহর
আয়াতসমূহ পাঠ করে এবং রাতের
গভীরে তারা সেজদা করে।
[113] Not all of them are alike; a party of
the people of the Scripture stand for the
right, they recite the Verses of Allâh
during the hours of the night, prostrating
themselves in prayer.
[114] ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﻴَﻮﻡِ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮِ ﻭَﻳَﺄﻣُﺮﻭﻥَ
ﺑِﺎﻟﻤَﻌﺮﻭﻑِ ﻭَﻳَﻨﻬَﻮﻥَ ﻋَﻦِ
ﺍﻟﻤُﻨﻜَﺮِ ﻭَﻳُﺴٰﺮِﻋﻮﻥَ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺨَﻴﺮٰﺕِ ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤﻴﻦَ
[114] তারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত
দিবসের প্রতি ঈমান রাখে এবং
কল্যাণকর বিষয়ের নির্দেশ দেয়;
অকল্যাণ থেকে বারণ করে এবং
সৎকাজের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে
থাকে। আর এরাই হল সৎকর্মশীল।
[114] They believe in Allâh and the Last
Day; they enjoin Al-Ma’rûf (Islâmic
Monotheism, and following Prophet
Muhammad SAW) and forbid Al-Munkar
(polytheism, disbelief and opposing
Prophet Muhammad SAW); and they
hasten in (all) good works; and they are
among the righteous.
[115] ﻭَﻣﺎ ﻳَﻔﻌَﻠﻮﺍ ﻣِﻦ ﺧَﻴﺮٍ
ﻓَﻠَﻦ ﻳُﻜﻔَﺮﻭﻩُ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻢٌ
ﺑِﺎﻟﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[115] তারা যেসব সৎকাজ করবে, কোন
অবস্থাতেই সেগুলোর প্রতি অবজ্ঞা
প্রদর্শন করা হবে না। আর আল্লাহ
পরহেযগারদের বিষয়ে অবগত।
[115] And whatever good they do,
nothing will be rejected of them; for
Allâh knows well those who are Al-
Muttaqûn (the pious – see V.2:2).
[116] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻟَﻦ
ﺗُﻐﻨِﻰَ ﻋَﻨﻬُﻢ ﺃَﻣﻮٰﻟُﻬُﻢ ﻭَﻻ
ﺃَﻭﻟٰﺪُﻫُﻢ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺷَﻴـًٔﺎ ۖ
ﻭَﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺃَﺻﺤٰﺐُ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ ۚ ﻫُﻢ
ﻓﻴﻬﺎ ﺧٰﻠِﺪﻭﻥَ
[116] নিশ্চয় যারা কাফের হয়, তাদের
ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর
সামনে কখনও কোন কাজে আসবে না।
আর তারাই হলো দোযখের আগুনের
অধিবাসী। তারা সে আগুনে চিরকাল
থাকবে।
[116] Surely, those who reject Faith
(disbelieve Allah and in Muhammad
SAW as being Allâh’s Messenger and in
all that which he has brought from
Allâh), neither their properties, nor their
offspring will avail them aught against
Allâh. They are the dwellers of the Fire,
therein they will abide. (Tafsir
At¬Tabarî).
[117] ﻣَﺜَﻞُ ﻣﺎ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ ﻓﻰ
ﻫٰﺬِﻩِ ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻛَﻤَﺜَﻞِ
ﺭﻳﺢٍ ﻓﻴﻬﺎ ﺻِﺮٌّ ﺃَﺻﺎﺑَﺖ ﺣَﺮﺙَ
ﻗَﻮﻡٍ ﻇَﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ
ﻓَﺄَﻫﻠَﻜَﺘﻪُ ۚ ﻭَﻣﺎ ﻇَﻠَﻤَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭَﻟٰﻜِﻦ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ ﻳَﻈﻠِﻤﻮﻥَ
[117] এ দুনিয়ার জীবনে যা কিছু ব্যয়
করা হয়, তার তুলনা হলো ঝড়ো
হাওয়ার মতো, যাতে রয়েছে তুষারের
শৈত্য, যা সে জাতির শস্যক্ষেত্রে
গিয়ে লেগেছে যারা নিজের জন্য মন্দ
করেছে। অতঃপর সেগুলোকে নিঃশেষ
করে দিয়েছে। বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের
উপর কোন অন্যায় করেননি, কিন্তু
তারা নিজেরাই নিজেদের উপর
অত্যাচার করছিল।
[117] The likeness of what they spend in
this world is the likeness of a wind
which is extremely cold; it struck the
harvest of a people who did wrong aginst
themselves and destroyed it, (i.e. the
good deed of a person is only accepted if
he is a monotheist and believes in all the
Prophets of Allâh, including Christ A.S.
and Muhammad SAW). Allâh wronged
them not, but they wronged themselves.
[118] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﺘَّﺨِﺬﻭﺍ ﺑِﻄﺎﻧَﺔً ﻣِﻦ ﺩﻭﻧِﻜُﻢ ﻻ
ﻳَﺄﻟﻮﻧَﻜُﻢ ﺧَﺒﺎﻟًﺎ ﻭَﺩّﻭﺍ ﻣﺎ ﻋَﻨِﺘُّﻢ
ﻗَﺪ ﺑَﺪَﺕِ ﺍﻟﺒَﻐﻀﺎﺀُ ﻣِﻦ
ﺃَﻓﻮٰﻫِﻬِﻢ ﻭَﻣﺎ ﺗُﺨﻔﻰ
ﺻُﺪﻭﺭُﻫُﻢ ﺃَﻛﺒَﺮُ ۚ ﻗَﺪ ﺑَﻴَّﻨّﺎ ﻟَﻜُﻢُ
ﺍﻝﺀﺍﻳٰﺖِ ۖ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺗَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[118] হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন
ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ
করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল
সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা
কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ।
শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই
ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে
লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ
বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন
বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো,
যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ
হও।
[118] O you who believe! Take not as
(your) Bitânah (advisors, consultants,
protectors, helpers, friends) those outside
your religion (pagans, Jews, Christians,
and hypocrites) since they will not fail to
do their best to corrupt you. They desire
to harm you severely. Hatred has already
appeared from their mouths, but what
their breasts conceal is far worse. Indeed
We have made plain to you the Ayât
(proofs, evidences, verses) if you
understand.
[119] ﻫٰﺄَﻧﺘُﻢ ﺃُﻭﻻﺀِ ﺗُﺤِﺒّﻮﻧَﻬُﻢ
ﻭَﻻ ﻳُﺤِﺒّﻮﻧَﻜُﻢ ﻭَﺗُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
ﺑِﺎﻟﻜِﺘٰﺐِ ﻛُﻠِّﻪِ ﻭَﺇِﺫﺍ ﻟَﻘﻮﻛُﻢ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺀﺍﻣَﻨّﺎ ﻭَﺇِﺫﺍ ﺧَﻠَﻮﺍ
ﻋَﻀّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢُ ﺍﻷَﻧﺎﻣِﻞَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻐَﻴﻆِ ۚ ﻗُﻞ ﻣﻮﺗﻮﺍ ﺑِﻐَﻴﻈِﻜُﻢ ۗ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻴﻢٌ ﺑِﺬﺍﺕِ ﺍﻟﺼُّﺪﻭﺭِ
[119] দেখ! তোমরাই তাদের ভালবাস,
কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি
মোটেও সদভাব পোষণ করে না। আর
তোমরা সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস কর।
অথচ তারা যখন তোমাদের সাথে এসে
মিশে, বলে, আমরা ঈমান এনেছি।
পক্ষান্তরে তারা যখন পৃথক হয়ে যায়,
তখন তোমাদের উপর রোষবশতঃ
আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা
আক্রোশে মরতে থাক। আর আল্লাহ
মনের কথা ভালই জানেন।
[119] Lo! You are the ones who love them
but they love you not, and you believe in
all the Scriptures [i.e. you believe in the
Taurât (Torah) and the Injeel (Gospel),
while they disbelieve in your Book, the
Qur’ân]. And when they meet you, they
say, “We believe”. But when they are
alone, they bite the tips of their fingers
at you in rage. Say: “Perish in your rage.
Certainly, Allâh knows what is in the
breasts (all the secrets).”
[120] ﺇِﻥ ﺗَﻤﺴَﺴﻜُﻢ ﺣَﺴَﻨَﺔٌ
ﺗَﺴُﺆﻫُﻢ ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺼِﺒﻜُﻢ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ
ﻳَﻔﺮَﺣﻮﺍ ﺑِﻬﺎ ۖ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺼﺒِﺮﻭﺍ
ﻭَﺗَﺘَّﻘﻮﺍ ﻻ ﻳَﻀُﺮُّﻛُﻢ ﻛَﻴﺪُﻫُﻢ
ﺷَﻴـًٔﺎ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺑِﻤﺎ ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
ﻣُﺤﻴﻂٌ
[120] তোমাদের যদি কোন মঙ্গল হয়;
তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর
তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে
আনন্দিত হয় আর তাতে যদি তোমরা
ধৈর্য্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন
কর, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের
কোনই ক্ষতি হবে না। নিশ্চয়ই তারা
যা কিছু করে সে সমস্তই আল্লাহর
আয়ত্তে রয়েছে।
[120] If a good befalls you, it grieves
them, but if some evil overtakes you,
they rejoice at it. But if you remain
patient and become Al-Muttaqûn (the
pious – see V.2:2), not the least harm will
their cunning do to you. Surely, Allâh
surrounds all that they do.
[121] ﻭَﺇِﺫ ﻏَﺪَﻭﺕَ ﻣِﻦ ﺃَﻫﻠِﻚَ
ﺗُﺒَﻮِّﺉُ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﻣَﻘٰﻌِﺪَ ﻟِﻠﻘِﺘﺎﻝِ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤﻴﻊٌ ﻋَﻠﻴﻢٌ
[121] আর আপনি যখন পরিজনদের কাছ
থেকে সকাল বেলা বেরিয়ে গিয়ে
মুমিনগণকে যুদ্ধের অবস্থানে বিন্যস্ত
করলেন, আর আল্লাহ সব বিষয়েই
শোনেন এবং জানেন।
[121] And (remember) when you
(Muhammad SAW) left your household in
the morning to post the believers at their
stations for the battle (of Uhud). And
Allâh is All-Hearer, All-Knower
[122] ﺇِﺫ ﻫَﻤَّﺖ ﻃﺎﺋِﻔَﺘﺎﻥِ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﺃَﻥ ﺗَﻔﺸَﻼ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟِﻴُّﻬُﻤﺎ ۗ
ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻠﻴَﺘَﻮَﻛَّﻞِ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[122] যখন তোমাদের দুটি দল সাহস
হারাবার উপক্রম হলো, অথচ আল্লাহ
তাদের সাহায্যকারী ছিলেন, আর
আল্লাহর উপরই ভরসা করা মুমিনদের
উচিত।
[122] When two parties from among you
were about to lose heart, but Allâh was
their Walî (Supporter and Protector).
And in Allâh should the believers put
their trust.
[123] ﻭَﻟَﻘَﺪ ﻧَﺼَﺮَﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﺒَﺪﺭٍ
ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﺃَﺫِﻟَّﺔٌ ۖ ﻓَﺎﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﺸﻜُﺮﻭﻥَ
[123] বস্তুতঃ আল্লাহ বদরের যুদ্ধে
তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ
তোমরা ছিলে দুর্বল। কাজেই
আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে
তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো।
[123] And Allâh has already made you
victorious at Badr, when you were a
weak little force. So fear Allâh much that
you may be grateful.
[124] ﺇِﺫ ﺗَﻘﻮﻝُ ﻟِﻠﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﺃَﻟَﻦ
ﻳَﻜﻔِﻴَﻜُﻢ ﺃَﻥ ﻳُﻤِﺪَّﻛُﻢ ﺭَﺑُّﻜُﻢ
ﺑِﺜَﻠٰﺜَﺔِ ﺀﺍﻟٰﻒٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔِ
ﻣُﻨﺰَﻟﻴﻦَ
[124] আপনি যখন বলতে লাগলেন
মুমিনগণকে-তোমাদের জন্য কি যথেষ্ট
নয় যে, তোমাদের সাহায্যার্থে
তোমাদের পালনকর্তা আসমান থেকে
অবতীর্ণ তিন হাজার ফেরেশতা
পাঠাবেন।
[124] (Remember) when you (Muhammad
SAW) said to the believers, “Is it not
enough for you that your Lord (Allâh)
should help you with three thousand
angels; sent down?”
[125] ﺑَﻠﻰٰ ۚ ﺇِﻥ ﺗَﺼﺒِﺮﻭﺍ ﻭَﺗَﺘَّﻘﻮﺍ
ﻭَﻳَﺄﺗﻮﻛُﻢ ﻣِﻦ ﻓَﻮﺭِﻫِﻢ ﻫٰﺬﺍ
ﻳُﻤﺪِﺩﻛُﻢ ﺭَﺑُّﻜُﻢ ﺑِﺨَﻤﺴَﺔِ ﺀﺍﻟٰﻒٍ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔِ ﻣُﺴَﻮِّﻣﻴﻦَ
[125] অবশ্য তোমরা যদি সবর কর এবং
বিরত থাক আর তারা যদি তখনই
তোমাদের উপর চড়াও হয়, তাহলে
তোমাদের পালনকর্তা চিহিßত
ঘোড়ার উপর পাঁচ হাজার ফেরেশতা
তোমাদের সাহায্যে পাঠাতে পারেন।
[125] “Yes, if you hold on to patience and
piety, and the enemy comes rushing at
you; your Lord will help you with five
thousand angels having marks (of
distinction).”
[126] ﻭَﻣﺎ ﺟَﻌَﻠَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺇِﻟّﺎ ﺑُﺸﺮﻯٰ
ﻟَﻜُﻢ ﻭَﻟِﺘَﻄﻤَﺌِﻦَّ ﻗُﻠﻮﺑُﻜُﻢ ﺑِﻪِ ۗ
ﻭَﻣَﺎ ﺍﻟﻨَّﺼﺮُ ﺇِﻟّﺎ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟﻌَﺰﻳﺰِ ﺍﻟﺤَﻜﻴﻢِ
[126] বস্তুতঃ এটা তো আল্লাহ
তোমাদের সুসংবাদ দান করলেন,
যাতে তোমাদের মনে এতে সান্ত্বনা
আসতে পারে। আর সাহায্য শুধুমাত্র
পরাক্রান্ত, মহাজ্ঞানী আল্লাহরই
পক্ষ থেকে,
[126] Allâh made it not but as a message
of good news for you and as an
assurance to your hearts. And there is no
victory except from Allâh, the All-Mighty,
the All-Wise.
[127] ﻟِﻴَﻘﻄَﻊَ ﻃَﺮَﻓًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺃَﻭ ﻳَﻜﺒِﺘَﻬُﻢ ﻓَﻴَﻨﻘَﻠِﺒﻮﺍ
ﺧﺎﺋِﺒﻴﻦَ
[127] যাতে ধবংস করে দেন কোন
কোন কাফেরকে অথবা লাঞ্ছিত করে
দেন-যেন ওরা বঞ্চিত হয়ে ফিরে যায়।
[127] That He might cut off a part of
those who disbelieve, or expose them to
infamy, so that they retire frustrated.
[128] ﻟَﻴﺲَ ﻟَﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻷَﻣﺮِ
ﺷَﻲﺀٌ ﺃَﻭ ﻳَﺘﻮﺏَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺃَﻭ
ﻳُﻌَﺬِّﺑَﻬُﻢ ﻓَﺈِﻧَّﻬُﻢ ﻇٰﻠِﻤﻮﻥَ
[128] হয় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন
কিংবা তাদেরকে আযাব দেবেন। এ
ব্যাপারে আপনার কোন করণীয় নাই।
কারণ তারা রয়েছে অন্যায়ের উপর।
[128] Not for you (O Muhammad SAW,
but for Allâh) is the decision; whether He
turns in mercy to (pardons) them or
punishes them; verily, they are the
Zâlimûn (polytheists, disobedients, and
wrong-doers).
[129] ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﻣﺎ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ ۚ ﻳَﻐﻔِﺮُ ﻟِﻤَﻦ
ﻳَﺸﺎﺀُ ﻭَﻳُﻌَﺬِّﺏُ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ۚ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺭَﺣﻴﻢٌ
[129] আর যা কিছু আসমান ও যমীনে
রয়েছে, সেসবই আল্লাহর। তিনি যাকে
ইচ্ছা ক্ষমা করবেন, যাকে ইচ্ছা আযাব
দান করবেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন
ক্ষমাকারী, করুণাময়।
[129] And to Allâh belongs all that is in
the heavens and all that is in the earth.
He forgives whom He wills, and punishes
whom He wills. And Allâh is Oft-
Forgiving, Most Merciful.
[130] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﺄﻛُﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺮِّﺑﻮٰﺍ۟ ﺃَﺿﻌٰﻔًﺎ ﻣُﻀٰﻌَﻔَﺔً ۖ
ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗُﻔﻠِﺤﻮﻥَ
[130] হে ঈমানদারগণ! তোমরা
চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর
আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে
তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।
[130] O you who believe! Eat not Ribâ
(usury) doubled and multiplied, but fear
Allâh that you may be successful.
[131] ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻨّﺎﺭَ ﺍﻟَّﺘﻰ ﺃُﻋِﺪَّﺕ
ﻟِﻠﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[131] এবং তোমরা সে আগুন থেকে
বেঁচে থাক, যা কাফেরদের জন্য প্রস্তুত
করা হয়েছে।
[131] And fear the Fire, which is
prepared for the disbelievers.
[132] ﻭَﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝَ
ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗُﺮﺣَﻤﻮﻥَ
[132] আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ
ও রসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত
করা হয়।
[132] And obey Allâh and the Messenger
(Muhammad SAW) that you may obtain
mercy.
[133] ۞ ﻭَﺳﺎﺭِﻋﻮﺍ ﺇِﻟﻰٰ ﻣَﻐﻔِﺮَﺓٍ
ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻜُﻢ ﻭَﺟَﻨَّﺔٍ ﻋَﺮﺿُﻬَﺎ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕُ ﻭَﺍﻷَﺭﺽُ ﺃُﻋِﺪَّﺕ
ﻟِﻠﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[133] তোমরা তোমাদের পালনকর্তার
ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও
যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও যমীন, যা
তৈরী করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য।
[133] And march forth in the way (which
leads to) forgiveness from your Lord,
and for Paradise as wide as are the
heavens and the earth, prepared for Al-
Muttaqûn (the pious – see V.2:2).
[134] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳُﻨﻔِﻘﻮﻥَ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺴَّﺮّﺍﺀِ ﻭَﺍﻟﻀَّﺮّﺍﺀِ ﻭَﺍﻟﻜٰﻈِﻤﻴﻦَ
ﺍﻟﻐَﻴﻆَ ﻭَﺍﻟﻌﺎﻓﻴﻦَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻤُﺤﺴِﻨﻴﻦَ
[134] যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময়
ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে
সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা
প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ
সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।
[134] Those who spend [in Allâh’s Cause]
in prosperity and in adversity, who
repress anger, and who pardon men;
verily, Allâh loves Al-Muhsinûn (the good
– doers).
[135] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺇِﺫﺍ ﻓَﻌَﻠﻮﺍ
ﻓٰﺤِﺸَﺔً ﺃَﻭ ﻇَﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢ
ﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓَﺎﺳﺘَﻐﻔَﺮﻭﺍ
ﻟِﺬُﻧﻮﺑِﻬِﻢ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻐﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧﻮﺏَ
ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟَﻢ ﻳُﺼِﺮّﻭﺍ ﻋَﻠﻰٰ ﻣﺎ
ﻓَﻌَﻠﻮﺍ ﻭَﻫُﻢ ﻳَﻌﻠَﻤﻮﻥَ
[135] তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ
করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে
জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে
ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং
নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা
করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা
করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য
হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং
জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।
[135] And those who, when they have
committed Fahishah (illegal sexual
intercourse) or wronged themselves with
evil, remember Allâh and ask
forgiveness for their sins; – and none
can forgive sins but Allâh – And do not
persist in what (wrong) they have done,
while they know..
[136] ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ ﺟَﺰﺍﺅُﻫُﻢ ﻣَﻐﻔِﺮَﺓٌ
ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻭَﺟَﻨّٰﺖٌ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ
ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ ۚ
ﻭَﻧِﻌﻢَ ﺃَﺟﺮُ ﺍﻟﻌٰﻤِﻠﻴﻦَ
[136] তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো
তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত,
যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ
যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল।
যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা
চমৎকার প্রতিদান।
[136] For such, the reward is Forgiveness
from their Lord, and Gardens with rivers
flowing underneath (Paradise), wherein
they shall abide forever. How excellent is
this reward for the doers (who do
righteous deeds according to Allâh’s
Orders).
[137] ﻗَﺪ ﺧَﻠَﺖ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ
ﺳُﻨَﻦٌ ﻓَﺴﻴﺮﻭﺍ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﻓَﺎﻧﻈُﺮﻭﺍ ﻛَﻴﻒَ ﻛﺎﻥَ ﻋٰﻘِﺒَﺔُ
ﺍﻟﻤُﻜَﺬِّﺑﻴﻦَ
[137] তোমাদের আগে অতীত হয়েছে
অনেক ধরনের জীবনাচরণ। তোমরা
পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ যারা
মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তাদের
পরিণতি কি হয়েছে।
[137] Many similar ways (and mishaps of
life) were faced by nations (believers
and disbelievers) that have passed away
before you (as you have faced in the
battle of Uhud), so travel through the
earth, and see what was the end of those
who disbelieved (in the Oneness of Allâh,
and disobeyed Him and His Messengers).
[138] ﻫٰﺬﺍ ﺑَﻴﺎﻥٌ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻭَﻫُﺪًﻯ
ﻭَﻣَﻮﻋِﻈَﺔٌ ﻟِﻠﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[138] এই হলো মানুষের জন্য বর্ণনা।
আর যারা ভয় করে তাদের জন্য
উপদেশবাণী।
[138] This (the Qur’ân) is a plain
statement for mankind, a guidance and
instruction to those who are Al-Muttaqûn
(the pious – see V.2:2).
[139] ﻭَﻻ ﺗَﻬِﻨﻮﺍ ﻭَﻻ ﺗَﺤﺰَﻧﻮﺍ
ﻭَﺃَﻧﺘُﻢُ ﺍﻷَﻋﻠَﻮﻥَ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[139] আর তোমরা নিরাশ হয়ো না
এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা
মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।
[139] So do not become weak (against
your enemy), nor be sad, and you will be
superior (in victory) if you are indeed
(true) believers.
[140] ﺇِﻥ ﻳَﻤﺴَﺴﻜُﻢ ﻗَﺮﺡٌ ﻓَﻘَﺪ
ﻣَﺲَّ ﺍﻟﻘَﻮﻡَ ﻗَﺮﺡٌ ﻣِﺜﻠُﻪُ ۚ ﻭَﺗِﻠﻚَ
ﺍﻷَﻳّﺎﻡُ ﻧُﺪﺍﻭِﻟُﻬﺎ ﺑَﻴﻦَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ
ﻭَﻟِﻴَﻌﻠَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ
ﻭَﻳَﺘَّﺨِﺬَ ﻣِﻨﻜُﻢ ﺷُﻬَﺪﺍﺀَ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻻ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[140] তোমরা যদি আহত হয়ে থাক, তবে
তারাও তো তেমনি আহত হয়েছে। আর
এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে
পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি।
এভাবে আল্লাহ জানতে চান কারা
ঈমানদার আর তিনি তোমাদের কিছু
লোককে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে
চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে
ভালবাসেন না।
[140] If a wound (and killing) has
touched you, be sure a similar wound
(and killing) has touched the others. And
so are the days (good and not so good),
We give to men by turns, that Allâh may
test those who believe, and that He may
take martyrs from among you. And Allâh
likes not the Zâlimûn (polytheists and
wrong¬doers).
[141] ﻭَﻟِﻴُﻤَﺤِّﺺَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻭَﻳَﻤﺤَﻖَ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[141] আর এ কারণে আল্লাহ
ঈমানদারদেরকে পাক-সাফ করতে চান
এবং কাফেরদেরকে ধবংস করে দিতে
চান।
[141] And that Allâh may test (or purify)
the believers (from sins) and destroy the
disbelievers
[142] ﺃَﻡ ﺣَﺴِﺒﺘُﻢ ﺃَﻥ ﺗَﺪﺧُﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﻟَﻤّﺎ ﻳَﻌﻠَﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺟٰﻬَﺪﻭﺍ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻭَﻳَﻌﻠَﻢَ
ﺍﻟﺼّٰﺒِﺮﻳﻦَ
[142] তোমাদের কি ধারণা, তোমরা
জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ
এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে
কারা জেহাদ করেছে এবং কারা
ধৈর্য্যশীল।
[142] Do you think that you will enter
Paradise before Allâh tests those of you
who fought (in His Cause) and (also) tests
those who are As-Sâbirun (the patient)?
[143] ﻭَﻟَﻘَﺪ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺗَﻤَﻨَّﻮﻥَ
ﺍﻟﻤَﻮﺕَ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞِ ﺃَﻥ ﺗَﻠﻘَﻮﻩُ
ﻓَﻘَﺪ ﺭَﺃَﻳﺘُﻤﻮﻩُ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ ﺗَﻨﻈُﺮﻭﻥَ
[143] আর তোমরা তো মৃত্যু আসার
আগেই মরণ কামনা করতে, কাজেই এখন
তো তোমরা তা চোখের সামনে
উপস্থিত দেখতে পাচ্ছ।
[143] You did indeed wish for death
(Ash¬Shahâdah – martyrdom) before you
met it. Now you have seen it openly with
your own eyes.
[144] ﻭَﻣﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪٌ ﺇِﻟّﺎ ﺭَﺳﻮﻝٌ ﻗَﺪ
ﺧَﻠَﺖ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻪِ ﺍﻟﺮُّﺳُﻞُ ۚ
ﺃَﻓَﺈِﻳ۟ﻦ ﻣﺎﺕَ ﺃَﻭ ﻗُﺘِﻞَ ﺍﻧﻘَﻠَﺒﺘُﻢ
ﻋَﻠﻰٰ ﺃَﻋﻘٰﺒِﻜُﻢ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻨﻘَﻠِﺐ
ﻋَﻠﻰٰ ﻋَﻘِﺒَﻴﻪِ ﻓَﻠَﻦ ﻳَﻀُﺮَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﺷَﻴـًٔﺎ ۗ ﻭَﺳَﻴَﺠﺰِﻯ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺍﻟﺸّٰﻜِﺮﻳﻦَ
[144] আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো
নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত
হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি
মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে
তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ
কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে
আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না।
আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের
সওয়াব দান করবেন।
[144] Muhammad (SAW) is no more than
a Messenger, and indeed (many)
Messengers have passed away before
him. If he dies or is killed, will you then
turn back on your heels (as disbelievers)?
And he who turns back on his heels, not
the least harm will he do to Allâh, and
Allâh will give reward to those who are
grateful.
[145] ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻟِﻨَﻔﺲٍ ﺃَﻥ
ﺗَﻤﻮﺕَ ﺇِﻟّﺎ ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛِﺘٰﺒًﺎ
ﻣُﺆَﺟَّﻠًﺎ ۗ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺮِﺩ ﺛَﻮﺍﺏَ
ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻧُﺆﺗِﻪِ ﻣِﻨﻬﺎ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺮِﺩ
ﺛَﻮﺍﺏَ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ﻧُﺆﺗِﻪِ ﻣِﻨﻬﺎ ۚ
ﻭَﺳَﻨَﺠﺰِﻯ ﺍﻟﺸّٰﻜِﺮﻳﻦَ
[145] আর আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ
মরতে পারে না-সেজন্য একটা সময়
নির্ধারিত রয়েছে। বস্তুতঃ যে লোক
দুনিয়ায় বিনিময় কামনা করবে, আমি
তাকে তা দুনিয়াতেই দান করব।
পক্ষান্তরে-যে লোক আখেরাতে
বিনিময় কামনা করবে, তা থেকে আমি
তাকে তাই দেবো। আর যারা কৃতজ্ঞ
তাদেরকে আমি প্রতিদান দেবো
[145] And no person can ever die except
by Allâh’s Leave and at an appointed
term. And whoever desires a reward in
(this) world, We shall give him of it; and
whoever desires a reward in the
Hereafter, We shall give him thereof.
And We shall reward the grateful.
[146] ﻭَﻛَﺄَﻳِّﻦ ﻣِﻦ ﻧَﺒِﻰٍّ ﻗٰﺘَﻞَ
ﻣَﻌَﻪُ ﺭِﺑِّﻴّﻮﻥَ ﻛَﺜﻴﺮٌ ﻓَﻤﺎ ﻭَﻫَﻨﻮﺍ
ﻟِﻤﺎ ﺃَﺻﺎﺑَﻬُﻢ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻣﺎ ﺿَﻌُﻔﻮﺍ ﻭَﻣَﺎ ﺍﺳﺘَﻜﺎﻧﻮﺍ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﺼّٰﺒِﺮﻳﻦَ
[146] আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-
সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ
করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু
কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে
তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি
এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে,
আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।
[146] And many a Prophet (i.e. many
from amongst the Prophets) fought (in
Allâh’s Cause) and along with him
(fought) large bands of religious learned
men. But they never lost heart for that
which did befall them in Allâh’s Way,
nor did they weaken nor degrade
themselves. And Allâh loves As-Sâbirun
(the patient).
[147] ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻗَﻮﻟَﻬُﻢ ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻥ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍﻏﻔِﺮ ﻟَﻨﺎ ﺫُﻧﻮﺑَﻨﺎ
ﻭَﺇِﺳﺮﺍﻓَﻨﺎ ﻓﻰ ﺃَﻣﺮِﻧﺎ ﻭَﺛَﺒِّﺖ
ﺃَﻗﺪﺍﻣَﻨﺎ ﻭَﺍﻧﺼُﺮﻧﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻘَﻮﻡِ
ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[147] তারা আর কিছুই বলেনি-শুধু
বলেছে, হে আমাদের পালনকর্তা!
মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং
যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে
আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ়
রাখ এবং কাফেরদের উপর আমাদিগকে
সাহায্য কর।
[147] And they said nothing but: “Our
Lord! Forgive us our sins and our
transgressions (in keeping our duties to
You), establish our feet firmly, and give
us victory over the disbelieving folk.”
[148] ﻓَـٔﺎﺗﻯٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺛَﻮﺍﺏَ
ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻭَﺣُﺴﻦَ ﺛَﻮﺍﺏِ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳُﺤِﺐُّ
ﺍﻟﻤُﺤﺴِﻨﻴﻦَ
[148] অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে
দুনিয়ার সওয়াব দান করেছেন এবং
যথার্থ আখেরাতের সওয়াব। আর যারা
সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদেরকে
ভালবাসেন।
[148] So Allâh gave them the reward of
this world, and the excellent reward of
the Hereafter. And Allâh loves Al-
Muhsinûn (the good¬doers – see the
footnote of V.3:134 and of V.9:120).
[149] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺇِﻥ
ﺗُﻄﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ
ﻳَﺮُﺩّﻭﻛُﻢ ﻋَﻠﻰٰ ﺃَﻋﻘٰﺒِﻜُﻢ
ﻓَﺘَﻨﻘَﻠِﺒﻮﺍ ﺧٰﺴِﺮﻳﻦَ
[149] হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি
কাফেরদের কথা শোন, তাহলে ওরা
তোমাদেরকে পেছনে ফিরিয়ে দেবে,
তাতে তোমরা ক্ষতির সম্মুখীণ হয়ে
পড়বে।
[149] O you who believe! If you obey
those who disbelieve, they will send you
back on your heels, and you will turn
back (from Faith) as losers.
[150] ﺑَﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻮﻟﻯٰﻜُﻢ ۖ ﻭَﻫُﻮَ
ﺧَﻴﺮُ ﺍﻟﻨّٰﺼِﺮﻳﻦَ
[150] বরং আল্লাহ তোমাদের
সাহায্যকারী, আর তাঁর সাহায্যই হচ্ছে
উত্তম সাহায্য।
[150] Nay, Allâh is your Maulâ (Patron,
Lord, Helper and Protector), and He is
the Best of helpers.
[151] ﺳَﻨُﻠﻘﻰ ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺏِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﺮُّﻋﺐَ ﺑِﻤﺎ ﺃَﺷﺮَﻛﻮﺍ
ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻣﺎ ﻟَﻢ ﻳُﻨَﺰِّﻝ ﺑِﻪِ ﺳُﻠﻄٰﻨًﺎ ۖ
ﻭَﻣَﺄﻭﻯٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻨّﺎﺭُ ۚ ﻭَﺑِﺌﺲَ
ﻣَﺜﻮَﻯ ﺍﻟﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
[151] খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে
ভীতির সঞ্চার করবো। কারণ, ওরা
আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত
করে যে সম্পর্কে কোন সনদ অবতীর্ণ
করা হয়নি। আর ওদের ঠিকানা হলো
দোযখের আগুন। বস্তুতঃ জালেমদের
ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট।
[151] We shall cast terror into the hearts
of those who disbelieve, because they
joined others in worship with Allâh, for
which He had sent no authority; their
abode will be the Fire and how evil is
the abode of the Zâlimûn (polytheists
and wrong¬doers).
[152] ﻭَﻟَﻘَﺪ ﺻَﺪَﻗَﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭَﻋﺪَﻩُ ﺇِﺫ ﺗَﺤُﺴّﻮﻧَﻬُﻢ ﺑِﺈِﺫﻧِﻪِ ۖ
ﺣَﺘّﻰٰ ﺇِﺫﺍ ﻓَﺸِﻠﺘُﻢ ﻭَﺗَﻨٰﺰَﻋﺘُﻢ
ﻓِﻰ ﺍﻷَﻣﺮِ ﻭَﻋَﺼَﻴﺘُﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ
ﻣﺎ ﺃَﺭﻯٰﻜُﻢ ﻣﺎ ﺗُﺤِﺒّﻮﻥَ ۚ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﻣَﻦ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﻭَﻣِﻨﻜُﻢ ﻣَﻦ
ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓَ ۚ ﺛُﻢَّ ﺻَﺮَﻓَﻜُﻢ
ﻋَﻨﻬُﻢ ﻟِﻴَﺒﺘَﻠِﻴَﻜُﻢ ۖ ﻭَﻟَﻘَﺪ ﻋَﻔﺎ
ﻋَﻨﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺫﻭ ﻓَﻀﻞٍ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[152] আর আল্লাহ সে ওয়াদাকে সত্যে
পরিণত করেছেন, যখন তোমরা তাঁরই
নির্দেশে ওদের খতম করছিলে। এমনকি
যখন তোমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে ও
কর্তব্য স্থির করার ব্যাপারে বিবাদে
লিপ্ত হয়েছে। আর যা তোমরা চাইতে
তা দেখার পর কৃতঘ্নতা প্রদর্শন করেছ,
তাতে তোমাদের কারো কাম্য ছিল
দুনিয়া আর কারো বা কাম্য ছিল
আখেরাত। অতঃপর তোমাদিগকে
সরিয়ে দিলেন ওদের উপর থেকে যাতে
তোমাদিগকে পরীক্ষা করেন। বস্তুতঃ
তিনি তোমাদিগকে ক্ষমা করেছেন।
আর আল্লাহর মুমিনদের প্রতি
অনুগ্রহশীল।
[152] And Allâh did indeed fulfil His
Promise to you when you were killing
them (your enemy) with His Permission;
until (the moment) you lost your courage
and fell to disputing about the order,
and disobeyed after He showed you (of
the booty) which you love. Among you
are some that desire this world and some
that desire the Hereafter. Then He made
you flee from them (your enemy), that He
might test you. But surely, He forgave
you, and Allâh is Most Gracious to the
believers.
[153] ۞ ﺇِﺫ ﺗُﺼﻌِﺪﻭﻥَ ﻭَﻻ
ﺗَﻠﻮۥﻥَ ﻋَﻠﻰٰ ﺃَﺣَﺪٍ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝُ
ﻳَﺪﻋﻮﻛُﻢ ﻓﻰ ﺃُﺧﺮﻯٰﻜُﻢ
ﻓَﺄَﺛٰﺒَﻜُﻢ ﻏَﻤًّﺎ ﺑِﻐَﻢٍّ ﻟِﻜَﻴﻼ
ﺗَﺤﺰَﻧﻮﺍ ﻋَﻠﻰٰ ﻣﺎ ﻓﺎﺗَﻜُﻢ ﻭَﻻ
ﻣﺎ ﺃَﺻٰﺒَﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﺒﻴﺮٌ ﺑِﻤﺎ
ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[153] আর তোমরা উপরে উঠে যাচ্ছিলে
এবং পেছন দিকে ফিরে তাকাচ্ছিলে
না কারো প্রতি, অথচ রসূল ডাকছিলেন
তোমাদিগকে তোমাদের পেছন দিক
থেকে। অতঃপর তোমাদের উপর এলো
শোকের ওপরে শোক, যাতে তোমরা
হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া বস্তুর জন্য
দুঃখ না কর এবং যার সম্মুখীণ হচ্ছ
সেজন্য বিমর্ষ না হও। আর আল্লাহ
তোমাদের কাজের ব্যাপারে অবহিত
রয়েছেন।
[153] (And remember) when you ran
away (dreadfully) without even casting a
side glance at anyone, and the
Messenger (Muhammad SAW) was in
your rear calling you back. There did
Allâh give you one distress after another
by way of requital to teach you not to
grieve for that which had escaped you,
nor for that which had befallen you. And
Allâh is Well¬Aware of all that you do.
[154] ﺛُﻢَّ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ
ﺍﻟﻐَﻢِّ ﺃَﻣَﻨَﺔً ﻧُﻌﺎﺳًﺎ ﻳَﻐﺸﻰٰ
ﻃﺎﺋِﻔَﺔً ﻣِﻨﻜُﻢ ۖ ﻭَﻃﺎﺋِﻔَﺔٌ ﻗَﺪ
ﺃَﻫَﻤَّﺘﻬُﻢ ﺃَﻧﻔُﺴُﻬُﻢ ﻳَﻈُﻨّﻮﻥَ
ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻏَﻴﺮَ ﺍﻟﺤَﻖِّ ﻇَﻦَّ
ﺍﻟﺠٰﻬِﻠِﻴَّﺔِ ۖ ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻫَﻞ ﻟَﻨﺎ ﻣِﻦَ
ﺍﻷَﻣﺮِ ﻣِﻦ ﺷَﻲﺀٍ ۗ ﻗُﻞ ﺇِﻥَّ
ﺍﻷَﻣﺮَ ﻛُﻠَّﻪُ ﻟِﻠَّﻪِ ۗ ﻳُﺨﻔﻮﻥَ ﻓﻰ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ﻣﺎ ﻻ ﻳُﺒﺪﻭﻥَ ﻟَﻚَ ۖ
ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﻟَﻮ ﻛﺎﻥَ ﻟَﻨﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻷَﻣﺮِ
ﺷَﻲﺀٌ ﻣﺎ ﻗُﺘِﻠﻨﺎ ﻫٰﻬُﻨﺎ ۗ ﻗُﻞ ﻟَﻮ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﻓﻰ ﺑُﻴﻮﺗِﻜُﻢ ﻟَﺒَﺮَﺯَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢُ ﺍﻟﻘَﺘﻞُ ﺇِﻟﻰٰ
ﻣَﻀﺎﺟِﻌِﻬِﻢ ۖ ﻭَﻟِﻴَﺒﺘَﻠِﻰَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣﺎ
ﻓﻰ ﺻُﺪﻭﺭِﻛُﻢ ﻭَﻟِﻴُﻤَﺤِّﺺَ ﻣﺎ
ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻜُﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻴﻢٌ
ﺑِﺬﺍﺕِ ﺍﻟﺼُّﺪﻭﺭِ
[154] অতঃপর তোমাদের উপর শোকের
পর শান্তি অবতীর্ণ করলেন, যা ছিল
তন্দ্রার মত। সে তন্দ্রায় তোমাদের
মধ্যে কেউ কেউ ঝিমোচ্ছিল আর কেউ
কেউ প্রাণের ভয়ে ভাবছিল। আল্লাহ
সম্পর্কে তাদের মিথ্যা ধারণা হচ্ছিল
মুর্খদের মত। তারা বলছিল আমাদের
হাতে কি কিছুই করার নেই? তুমি বল,
সবকিছুই আল্লাহর হাতে। তারা যা
কিছু মনে লুকিয়ে রাখে-তোমার নিকট
প্রকাশ করে না সে সবও। তারা বলে
আমাদের হাতে যদি কিছু করার
থাকতো, তাহলে আমরা এখানে নিহত
হতাম না। তুমি বল, তোমরা যদি
নিজেদের ঘরেও থাকতে তবুও তারা
অবশ্যই বেরিয়ে আসত নিজেদের
অবস্থান থেকে যাদের মৃত্যু লিখে
দেয়া হয়েছে। তোমাদের বুকে যা
রয়েছে তার পরীক্ষা করা ছিল
আল্লাহর ইচ্ছা, আর তোমাদের অন্তরে
যা কিছু রয়েছে তা পরিষ্কার করা ছিল
তাঁর কাম্য। আল্লাহ মনের গোপন বিষয়
জানেন।
[154] Then after the distress, He sent
down security for you. Slumber overtook
a party of you, while another party was
thinking about themselves (as how to
save their ownselves, ignoring the others
and the Prophet SAW) and thought
wrongly of Allâh – the thought of
ignorance. They said, “Have we any part
in the affair?” Say you (O Muhammad
SAW): “Indeed the affair belongs wholly
to Allâh.” They hide within themselves
what they dare not reveal to you, saying:
“If we had anything to do with the
affair, none of us would have been killed
here.” Say: “Even if you had remained in
your homes, those for whom death was
decreed would certainly have gone forth
to the place of their death,” but that
Allâh might test what is in your breasts;
and to purify that which was in your
hearts (sins), and Allâh is All¬Knower of
what is in (your) breasts.
[155] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺗَﻮَﻟَّﻮﺍ ﻣِﻨﻜُﻢ
ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﺘَﻘَﻰ ﺍﻟﺠَﻤﻌﺎﻥِ ﺇِﻧَّﻤَﺎ
ﺍﺳﺘَﺰَﻟَّﻬُﻢُ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ ﺑِﺒَﻌﺾِ ﻣﺎ
ﻛَﺴَﺒﻮﺍ ۖ ﻭَﻟَﻘَﺪ ﻋَﻔَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨﻬُﻢ ۗ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻏَﻔﻮﺭٌ ﺣَﻠﻴﻢٌ
[155] তোমাদের যে দুটি দল লড়াইয়ের
দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শয়তান
তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছিল, তাদেরই
পাপের দরুন।
[155] Those of you who turned back on
the day the two hosts met (i.e. the battle
of Uhud), it was Shaitân (Satan) who
caused them to backslide (run away from
the battlefield) because of some (sins)
they had earned. But Allâh, indeed, has
forgiven them. Surely, Allâh is
Oft¬Forgiving, Most Forbearing.
[156] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﻻ
ﺗَﻜﻮﻧﻮﺍ ﻛَﺎﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻭَﻗﺎﻟﻮﺍ
ﻟِﺈِﺧﻮٰﻧِﻬِﻢ ﺇِﺫﺍ ﺿَﺮَﺑﻮﺍ ﻓِﻰ
ﺍﻷَﺭﺽِ ﺃَﻭ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻏُﺰًّﻯ ﻟَﻮ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻋِﻨﺪَﻧﺎ ﻣﺎ ﻣﺎﺗﻮﺍ ﻭَﻣﺎ
ﻗُﺘِﻠﻮﺍ ﻟِﻴَﺠﻌَﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺫٰﻟِﻚَ
ﺣَﺴﺮَﺓً ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻳُﺤﻲۦ ﻭَﻳُﻤﻴﺖُ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤﺎ
ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺑَﺼﻴﺮٌ
[156] হে ঈমাণদারগণ! তোমরা তাদের
মত হয়ো না, যারা কাফের হয়েছে
এবং নিজেদের ভাই বন্ধুরা যখন কোন
অভিযানে বের হয় কিংবা জেহাদে
যায়, তখন তাদের সম্পর্কে বলে, তারা
যদি আমাদের সাথে থাকতো, তাহলে
মরতোও না আহতও হতো না। যাতে
তারা এ ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে
সংশ্লিষ্টদের মনে অনুতাপ সৃষ্টি করতে
পারে। অথচ আল্লাহই জীবন দান করেন
এবং মৃত্যু দেন। তোমাদের সমস্ত
কাজই, তোমরা যা কিছুই কর না কেন,
আল্লাহ সবকিছুৃই দেখেন।
[156] O you who believe! Be not like
those who disbelieve (hypocrites) and
who say to their brethren when they
travel through the earth or go out to
fight: “If they had stayed with us, they
would not have died or been killed,” so
that Allâh may make it a cause of regret
in their hearts. It is Allâh that gives life
and causes death. And Allâh is All¬Seer
of what you do.
[157] ﻭَﻟَﺌِﻦ ﻗُﺘِﻠﺘُﻢ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻭ ﻣُﺘُّﻢ ﻟَﻤَﻐﻔِﺮَﺓٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺭَﺣﻤَﺔٌ ﺧَﻴﺮٌ ﻣِﻤّﺎ ﻳَﺠﻤَﻌﻮﻥَ
[157] আর তোমরা যদি আল্লাহর পথে
নিহত হও কিংবা মৃত্যুবরণ কর, তোমরা
যা কিছু সংগ্রহ করে থাক আল্লাহ
তা’আলার ক্ষমা ও করুণা সে সবকিছুর
চেয়ে উত্তম।
[157] And if you are killed or die in the
Way of Allâh, forgiveness and mercy
from Allâh are far better than all that
they amass (of worldly wealths).
[158] ﻭَﻟَﺌِﻦ ﻣُﺘُّﻢ ﺃَﻭ ﻗُﺘِﻠﺘُﻢ
ﻟَﺈِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗُﺤﺸَﺮﻭﻥَ
[158] আর তোমরা মৃত্যুই বরণ কর অথবা
নিহতই হও, অবশ্য আল্লাহ তা’আলার
সামনেই সমবেত হবে।
[158] And whether you die, or are killed,
verily, unto Allâh you shall be gathered.
[159] ﻓَﺒِﻤﺎ ﺭَﺣﻤَﺔٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟِﻨﺖَ
ﻟَﻬُﻢ ۖ ﻭَﻟَﻮ ﻛُﻨﺖَ ﻓَﻈًّﺎ ﻏَﻠﻴﻆَ
ﺍﻟﻘَﻠﺐِ ﻟَﺎﻧﻔَﻀّﻮﺍ ﻣِﻦ ﺣَﻮﻟِﻚَ ۖ
ﻓَﺎﻋﻒُ ﻋَﻨﻬُﻢ ﻭَﺍﺳﺘَﻐﻔِﺮ ﻟَﻬُﻢ
ﻭَﺷﺎﻭِﺭﻫُﻢ ﻓِﻰ ﺍﻷَﻣﺮِ ۖ ﻓَﺈِﺫﺍ
ﻋَﺰَﻣﺖَ ﻓَﺘَﻮَﻛَّﻞ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۚ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻤُﺘَﻮَﻛِّﻠﻴﻦَ
[159] আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের
জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে
আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন
তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি
তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের
জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং
কাজে কর্মে তাদের পরামর্শ করুন।
অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ
তা’আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ
তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন।
[159] And by the Mercy of Allâh, you
dealt with them gently. And had you
been severe and harsh¬hearted, they
would have broken away from about
you; so pass over (their faults), and ask
(Allâh’s) Forgiveness for them; and
consult them in the affairs. Then when
you have taken a decision, put your trust
in Allâh, certainly, Allâh loves those who
put their trust (in Him).
[160] ﺇِﻥ ﻳَﻨﺼُﺮﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓَﻼ
ﻏﺎﻟِﺐَ ﻟَﻜُﻢ ۖ ﻭَﺇِﻥ ﻳَﺨﺬُﻟﻜُﻢ
ﻓَﻤَﻦ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬﻯ ﻳَﻨﺼُﺮُﻛُﻢ ﻣِﻦ
ﺑَﻌﺪِﻩِ ۗ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻠﻴَﺘَﻮَﻛَّﻞِ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[160] যদি আল্লাহ তোমাদের সহায়তা
করেন, তাহলে কেউ তোমাদের উপর
পরাক্রান্ত হতে পারবে না। আর যদি
তিনি তোমাদের সাহায্য না করেন,
তবে এমন কে আছে, যে তোমাদের
সাহায্য করতে পারে? আর আল্লাহর
ওপরই মুসলমানগনের ভরসা করা উচিত।
[160] If Allâh helps you, none can
overcome you; and if He forsakes you,
who is there after Him that can help
you? And in Allâh (Alone) let believers
put their trust.
[161] ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﻟِﻨَﺒِﻰٍّ ﺃَﻥ ﻳَﻐُﻞَّ ۚ
ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻐﻠُﻞ ﻳَﺄﺕِ ﺑِﻤﺎ ﻏَﻞَّ ﻳَﻮﻡَ
ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۚ ﺛُﻢَّ ﺗُﻮَﻓّﻰٰ ﻛُﻞُّ ﻧَﻔﺲٍ
ﻣﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖ ﻭَﻫُﻢ ﻻ ﻳُﻈﻠَﻤﻮﻥَ
[161] আর কোন বিষয় গোপন করে
রাখা নবীর কাজ নয়। আর যে লোক
গোপন করবে সে কিয়ামতের দিন সেই
গোপন বস্তু নিয়ে আসবে। অতঃপর
পরিপূর্ণভাবে পাবে প্রত্যেকে, যা সে
অর্জন করেছে। আর তাদের প্রতি কোন
অন্যায় করা হবে না।
[161] It is not for any Prophet to take
illegally a part of booty (Ghulul), and
whosoever deceives his companions as
regards the booty, he shall bring forth on
the Day of Resurrection that which he
took (illegally). Then every person shall
be paid in full what he has earned, – and
they shall not be dealt with unjustly.
[162] ﺃَﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﺒَﻊَ ﺭِﺿﻮٰﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻛَﻤَﻦ ﺑﺎﺀَ ﺑِﺴَﺨَﻂٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻣَﺄﻭﻯٰﻪُ ﺟَﻬَﻨَّﻢُ ۚ ﻭَﺑِﺌﺲَ
ﺍﻟﻤَﺼﻴﺮُ
[162] যে লোক আল্লাহর ইচ্ছার অনুগত,
সে কি ঐ লোকের সমান হতে পারে,
যে আল্লাহর রোষ অর্জন করেছে?
বস্তুতঃ তার ঠিকানা হল দোযখ। আর
তা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান!
[162] Is then one who follows (seeks) the
good Pleasure of Allâh (by not taking
illegally a part of the booty) like the one
who draws on himself the Wrath of Allâh
(by taking a part of the booty illegally –
Ghulul)? – his abode is Hell, – and worst,
indeed is that destination!
[163] ﻫُﻢ ﺩَﺭَﺟٰﺖٌ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﺼﻴﺮٌ ﺑِﻤﺎ ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ
[163] আল্লাহর নিকট মানুষের মর্যাদা
বিভিন্ন স্তরের আর আল্লাহ দেখেন যা
কিছু তারা করে।
[163] They are in varying grades with
Allâh, and Allâh is All¬Seer of what they
do.
[164] ﻟَﻘَﺪ ﻣَﻦَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﺇِﺫ ﺑَﻌَﺚَ ﻓﻴﻬِﻢ
ﺭَﺳﻮﻟًﺎ ﻣِﻦ ﺃَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ﻳَﺘﻠﻮﺍ
ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﺀﺍﻳٰﺘِﻪِ ﻭَﻳُﺰَﻛّﻴﻬِﻢ
ﻭَﻳُﻌَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﺍﻟﺤِﻜﻤَﺔَ
ﻭَﺇِﻥ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻞُ ﻟَﻔﻰ
ﺿَﻠٰﻞٍ ﻣُﺒﻴﻦٍ
[164] আল্লাহ ঈমানদারদের উপর অনুগ্রহ
করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের
নিজেদের মধ্য থেকে নবী
পাঠিয়েছেন। তিনি তাদের জন্য তাঁর
আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে
পরিশোধন করেন এবং তাদেরকে
কিতাব ও কাজের কথা শিক্ষা দেন।
বস্তুতঃ তারা ছিল পূর্ব থেকেই
পথভ্রষ্ট।
[164] Indeed Allâh conferred a great
favour on the believers when He sent
among them a Messenger (Muhammad
SAW) from among themselves, reciting
unto them His Verses (the Qur’ân), and
purifying them (from sins by their
following him), and instructing them (in)
the Book (the Qur’ân) and Al¬Hikmah
[the wisdom and the Sunnah of the
Prophet SAW (i.e. his legal ways,
statements, acts of worship)], while
before that they had been in manifest
error.
[165] ﺃَﻭَﻟَﻤّﺎ ﺃَﺻٰﺒَﺘﻜُﻢ ﻣُﺼﻴﺒَﺔٌ
ﻗَﺪ ﺃَﺻَﺒﺘُﻢ ﻣِﺜﻠَﻴﻬﺎ ﻗُﻠﺘُﻢ ﺃَﻧّﻰٰ
ﻫٰﺬﺍ ۖ ﻗُﻞ ﻫُﻮَ ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻢ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ
ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[165] যখন তোমাদের উপর একটি
মুসীবত এসে পৌছাল, অথচ তোমরা
তার পূর্বেই দ্বিগুণ কষ্টে পৌছে
গিয়েছ, তখন কি তোমরা বলবে, এটা
কোথা থেকে এল? তাহলে বলে দাও, এ
কষ্ট তোমাদের উপর পৌছেছে
তোমারই পক্ষ থেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ
প্রত্যেক বিষয়ের উপর ক্ষমতাশীল।
[165] (What is the matter with you?)
When a single disaster smites you,
although you smote (your enemies) with
one twice as great, you say: “From where
does this come to us?” Say (to them), “It
is from yourselves (because of your evil
deeds).” And Allâh has power over all
things.
[166] ﻭَﻣﺎ ﺃَﺻٰﺒَﻜُﻢ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﺘَﻘَﻰ
ﺍﻟﺠَﻤﻌﺎﻥِ ﻓَﺒِﺈِﺫﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟِﻴَﻌﻠَﻢَ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[166] আর যেদিন দু’দল সৈন্যের
মোকাবিলা হয়েছে; সেদিন
তোমাদের উপর যা আপতিত হয়েছে তা
আল্লাহর হুকুমেই হয়েছে এবং তা এজন্য
যে, তাতে ঈমানদারদিগকে জানা যায়।
[166] And what you suffered (of the
disaster) on the day (of the battle of
Uhud when) the two armies met, was by
the leave of Allâh, in order that He might
test the believers.
[167] ﻭَﻟِﻴَﻌﻠَﻢَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻧﺎﻓَﻘﻮﺍ ۚ
ﻭَﻗﻴﻞَ ﻟَﻬُﻢ ﺗَﻌﺎﻟَﻮﺍ ﻗٰﺘِﻠﻮﺍ ﻓﻰ
ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻭِ ﺍﺩﻓَﻌﻮﺍ ۖ ﻗﺎﻟﻮﺍ
ﻟَﻮ ﻧَﻌﻠَﻢُ ﻗِﺘﺎﻟًﺎ ﻟَﺎﺗَّﺒَﻌﻨٰﻜُﻢ ۗ ﻫُﻢ
ﻟِﻠﻜُﻔﺮِ ﻳَﻮﻣَﺌِﺬٍ ﺃَﻗﺮَﺏُ ﻣِﻨﻬُﻢ
ﻟِﻺﻳﻤٰﻦِ ۚ ﻳَﻘﻮﻟﻮﻥَ ﺑِﺄَﻓﻮٰﻫِﻬِﻢ ﻣﺎ
ﻟَﻴﺲَ ﻓﻰ ﻗُﻠﻮﺑِﻬِﻢ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺃَﻋﻠَﻢُ ﺑِﻤﺎ ﻳَﻜﺘُﻤﻮﻥَ
[167] এবং তাদেরকে যাতে সনাক্ত
করা যায় যারা মুনাফিক ছিল। আর
তাদেরকে বলা হল এসো, আল্লাহর
রাহে লড়াই কর কিংবা শত্রুদিগকে
প্রতিহত কর। তারা বলেছিল, আমরা
যদি জানতাম যে, লড়াই হবে, তাহলে
অবশ্যই তোমাদের সাথে থাকতাম। সে
দিন তারা ঈমানের তুলনায় কুফরীর
কাছাকাছি ছিল। যা তাদের অন্তরে
নেই তারা নিজের মুখে সে কথাই বলে
বস্তুতঃআল্লাহ ভালভাবে জানেন
তারা যা কিছু গোপন করে থাকে।
[167] And that He might test the
hypocrites, it was said to them: “Come,
fight in the Way of Allâh or (at least)
defend yourselves.” They said: “Had we
known that fighting will take place, we
would certainly have followed you.” They
were that day, nearer to disbelief than to
Faith, saying with their mouths what was
not in their hearts. And Allâh has full
knowledge of what they conceal.
[168] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟِﺈِﺧﻮٰﻧِﻬِﻢ
ﻭَﻗَﻌَﺪﻭﺍ ﻟَﻮ ﺃَﻃﺎﻋﻮﻧﺎ ﻣﺎ
ﻗُﺘِﻠﻮﺍ ۗ ﻗُﻞ ﻓَﺎﺩﺭَﺀﻭﺍ ﻋَﻦ
ﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻢُ ﺍﻟﻤَﻮﺕَ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﺻٰﺪِﻗﻴﻦَ
[168] ওরা হলো যে সব লোক, যারা
বসে থেকে নিজেদের ভাইদের সম্বদ্ধে
বলে, যদি তারা আমাদের কথা শুনত,
তবে নিহত হত না। তাদেরকে বলে দিন,
এবার তোমাদের নিজেদের উপর
থেকে মৃত্যুকে সরিয়ে দাও, যদি
তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক।
[168] (They are) the ones who said about
their killed brethren while they
themselves sat (at home): “If only they
had listened to us, they would not have
been killed.” Say: “Avert death from your
ownselves, if you speak the truth.”
[169] ﻭَﻻ ﺗَﺤﺴَﺒَﻦَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗُﺘِﻠﻮﺍ
ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣﻮٰﺗًﺎ ۚ ﺑَﻞ
ﺃَﺣﻴﺎﺀٌ ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻳُﺮﺯَﻗﻮﻥَ
[169] আর যারা আল্লাহর রাহে নিহত
হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে
করো না। বরং তারা নিজেদের
পালনকর্তার নিকট জীবিত ও
জীবিকাপ্রাপ্ত।
[169] Think not of those who are killed
in the Way of Allâh as dead. Nay, they
are alive, with their Lord, and they have
provision-
[170] ﻓَﺮِﺣﻴﻦَ ﺑِﻤﺎ ﺀﺍﺗﻯٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻣِﻦ ﻓَﻀﻠِﻪِ ﻭَﻳَﺴﺘَﺒﺸِﺮﻭﻥَ
ﺑِﺎﻟَّﺬﻳﻦَ ﻟَﻢ ﻳَﻠﺤَﻘﻮﺍ ﺑِﻬِﻢ ﻣِﻦ
ﺧَﻠﻔِﻬِﻢ ﺃَﻟّﺎ ﺧَﻮﻑٌ ﻋَﻠَﻴﻬِﻢ ﻭَﻻ
ﻫُﻢ ﻳَﺤﺰَﻧﻮﻥَ
[170] আল্লাহ নিজের অনুগ্রহ থেকে যা
দান করেছেন তার প্রেক্ষিতে তারা
আনন্দ উদযাপন করছে। আর যারা এখনও
তাদের কাছে এসে পৌঁছেনি তাদের
পেছনে তাদের জন্যে আনন্দ প্রকাশ
করে। কারণ, তাদের কোন ভয় ভীতিও
নেই এবং কোন চিন্তা ভাবনাও নেই।
[170] They rejoice in what Allâh has
bestowed upon them of His Bounty,
rejoice for the sake of those who have
not yet joined them, but are left behind
(not yet martyred) that on them no fear
shall come, nor shall they grieve.
[171] ۞ ﻳَﺴﺘَﺒﺸِﺮﻭﻥَ ﺑِﻨِﻌﻤَﺔٍ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻓَﻀﻞٍ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻ
ﻳُﻀﻴﻊُ ﺃَﺟﺮَ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[171] আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহের
জন্যে তারা আনন্দ প্রকাশ করে এবং
তা এভাবে যে, আল্লাহ, ঈমানদারদের
শ্রমফল বিনষ্ট করেন না।
[171] They rejoice in a Grace and a
Bounty from Allâh, and that Allâh will
not waste the reward of the believers.
[172] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺳﺘَﺠﺎﺑﻮﺍ ﻟِﻠَّﻪِ
ﻭَﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝِ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺪِ ﻣﺎ
ﺃَﺻﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟﻘَﺮﺡُ ۚ ﻟِﻠَّﺬﻳﻦَ
ﺃَﺣﺴَﻨﻮﺍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﻭَﺍﺗَّﻘَﻮﺍ ﺃَﺟﺮٌ
ﻋَﻈﻴﻢٌ
[172] যারা আহত হয়ে পড়ার পরেও
আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের নির্দেশ
মান্য করেছে, তাদের মধ্যে যারা সৎ ও
পরহেযগার, তাদের জন্য রয়েছে মহান
সওয়াব।
[172] Those who answered (the Call of)
Allâh and the Messenger (Muhammad
SAW) after being wounded; for those of
them who did good deeds and feared
Allâh, there is a great reward.
[173] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻝَ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﻗَﺪ ﺟَﻤَﻌﻮﺍ ﻟَﻜُﻢ
ﻓَﺎﺧﺸَﻮﻫُﻢ ﻓَﺰﺍﺩَﻫُﻢ ﺇﻳﻤٰﻨًﺎ
ﻭَﻗﺎﻟﻮﺍ ﺣَﺴﺒُﻨَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻧِﻌﻢَ
ﺍﻟﻮَﻛﻴﻞُ
[173] যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে,
তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার
জন্য লোকেরা সমাবেশ করেছে বহু
সাজ-সরঞ্জাম; তাদের ভয় কর। তখন
তাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ়তর হয়ে যায়
এবং তারা বলে, আমাদের জন্য
আল্লাহই যথেষ্ট; কতই না চমৎকার
কামিয়াবীদানকারী।
[173] Those (i.e. believers) unto whom
the people (hypocrites) said, “Verily, the
people (pagans) have gathered against
you (a great army), therefore, fear
them.” But it (only) increased them in
Faith, and they said: “Allâh (Alone) is
Sufficient for us, and He is the Best
Disposer of affairs (for us).”
[174] ﻓَﺎﻧﻘَﻠَﺒﻮﺍ ﺑِﻨِﻌﻤَﺔٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻓَﻀﻞٍ ﻟَﻢ ﻳَﻤﺴَﺴﻬُﻢ ﺳﻮﺀٌ
ﻭَﺍﺗَّﺒَﻌﻮﺍ ﺭِﺿﻮٰﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺫﻭ ﻓَﻀﻞٍ ﻋَﻈﻴﻢٍ
[174] অতঃপর ফিরে এল মুসলমানরা
আল্লাহর অনুগ্রহ নিয়ে, তদের কিছুই
অনিষ্ট হলো না। তারপর তারা
আল্লাহর ইচ্ছার অনুগত হল। বস্তুতঃ
আল্লাহর অনুগ্রহ অতি বিরাট।
[174] So they returned with Grace and
Bounty from Allâh. No harm touched
them; and they followed the good
Pleasure of Allâh. And Allâh is the
Owner of Great Bounty.
[175] ﺇِﻧَّﻤﺎ ﺫٰﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﺸَّﻴﻄٰﻦُ
ﻳُﺨَﻮِّﻑُ ﺃَﻭﻟِﻴﺎﺀَﻩُ ﻓَﻼ
ﺗَﺨﺎﻓﻮﻫُﻢ ﻭَﺧﺎﻓﻮﻥِ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ
ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[175] এরা যে রয়েছে, এরাই হলে
শয়তান, এরা নিজেদের বন্ধুদের
ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করে। সুতরাং
তোমরা তাদের ভয় করো না। আর
তোমরা যদি ঈমানদার হয়ে থাক, তবে
আমাকে ভয় কর।
[175] It is only Shaitân (Satan) that
suggests to you the fear of his
Auliyâ’ [supporters and friends
(polytheists, disbelievers in the Oneness
of Allâh and in His Messenger,
Muhammad SAW)], so fear them not, but
fear Me, if you are (true) believers.
[176] ﻭَﻻ ﻳَﺤﺰُﻧﻚَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳُﺴٰﺮِﻋﻮﻥَ ﻓِﻰ ﺍﻟﻜُﻔﺮِ ۚ ﺇِﻧَّﻬُﻢ ﻟَﻦ
ﻳَﻀُﺮُّﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﻴـًٔﺎ ۗ ﻳُﺮﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺃَﻟّﺎ ﻳَﺠﻌَﻞَ ﻟَﻬُﻢ ﺣَﻈًّﺎ ﻓِﻰ
ﺍﻝﺀﺍﺧِﺮَﺓِ ۖ ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ
ﻋَﻈﻴﻢٌ
[176] আর যারা কুফরের দিকে ধাবিত
হচ্ছে তারা যেন তোমাদিগকে
চিন্তাম্বিত করে না তোলে। তারা
আল্লাহ তা’আলার কোন কিছুই অনিষ্ট
সাধন করতে পারবে না। আখেরাতে
তাদেরকে কোন কল্যাণ দান না করাই
আল্লাহর ইচ্ছা। বস্তুতঃ তাদের জন্যে
রয়েছে মহা শাস্তি।
[176] And let not those grieve you (O
Muhammad SAW) who rush with haste to
disbelieve; verily, not the least harm will
they do to Allâh. It is Allâh’s Will to give
them no portion in the Hereafter. For
them there is a great torment.
[177] ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺷﺘَﺮَﻭُﺍ ﺍﻟﻜُﻔﺮَ
ﺑِﺎﻹﻳﻤٰﻦِ ﻟَﻦ ﻳَﻀُﺮُّﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﻴـًٔﺎ
ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ ﺃَﻟﻴﻢٌ
[177] যারা ঈমানের পরিবর্তে কুফর
ক্রয় করে নিয়েছে, তারা আল্লাহ
তা’আলার কিছুই ক্ষতিসাধন করতে
পারবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে
বেদনাদায়ক শাস্তি।
[177] Verily, those who purchase
disbelief at the price of Faith, not the
least harm will they do to Allâh. For
them, there is a painful torment.
[178] ﻭَﻻ ﻳَﺤﺴَﺒَﻦَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﺃَﻧَّﻤﺎ ﻧُﻤﻠﻰ ﻟَﻬُﻢ ﺧَﻴﺮٌ
ﻟِﺄَﻧﻔُﺴِﻬِﻢ ۚ ﺇِﻧَّﻤﺎ ﻧُﻤﻠﻰ ﻟَﻬُﻢ
ﻟِﻴَﺰﺩﺍﺩﻭﺍ ﺇِﺛﻤًﺎ ۚ ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ
ﻣُﻬﻴﻦٌ
[178] কাফেররা যেন মনে না করে যে
আমি যে, অবকাশ দান করি, তা তাদের
পক্ষে কল্যাণকর। আমি তো তাদেরকে
অবকাশ দেই যাতে করে তারা পাপে
উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ
তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাজনক
শাস্তি।
[178] And let not the disbelievers think
that Our postponing of their punishment
is good for them. We postpone the
punishment only so that they may
increase in sinfulness. And for them is a
disgracing torment.
[179] ﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴَﺬَﺭَ
ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ ﻋَﻠﻰٰ ﻣﺎ ﺃَﻧﺘُﻢ ﻋَﻠَﻴﻪِ
ﺣَﺘّﻰٰ ﻳَﻤﻴﺰَ ﺍﻟﺨَﺒﻴﺚَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻄَّﻴِّﺐِ ۗ ﻭَﻣﺎ ﻛﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻟِﻴُﻄﻠِﻌَﻜُﻢ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻐَﻴﺐِ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺠﺘَﺒﻰ ﻣِﻦ ﺭُﺳُﻠِﻪِ ﻣَﻦ
ﻳَﺸﺎﺀُ ۖ ﻓَـٔﺎﻣِﻨﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪِ ۚ
ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺆﻣِﻨﻮﺍ ﻭَﺗَﺘَّﻘﻮﺍ ﻓَﻠَﻜُﻢ
ﺃَﺟﺮٌ ﻋَﻈﻴﻢٌ
[179] নাপাককে পাক থেকে পৃথক করে
দেয়া পর্যন্ত আল্লাহ এমন নন যে,
ঈমানদারগণকে সে অবস্থাতেই রাখবেন
যাতে তোমরা রয়েছ, আর আল্লাহ এমন
নন যে, তোমাদিগকে গায়বের সংবাদ
দেবেন। কিন্তু আল্লাহ স্বীয় রসূল গণের
মধ্যে যাকে ইচ্ছা বাছাই করে
নিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর ওপর এবং
তাঁর রসূলগণের ওপর তোমরা প্রত্যয়
স্থাপন কর। বস্তুতঃ তোমরা যদি
বিশ্বাস ও পরহেযগারীর ওপর
প্রতিষ্ঠিত থেকে থাক, তবে
তোমাদের জন্যে রয়েছে বিরাট
প্রতিদান।
[179] Allâh will not leave the believers in
the state in which you are now, until He
distinguishes the wicked from the good.
Nor will Allâh disclose to you the secrets
of the Ghaib (unseen), but Allâh chooses
of His Messengers whom He wills. So
believe in Allâh and His Messengers.
And if you believe and fear Allâh, then
for you there is a great reward.
[180] ﻭَﻻ ﻳَﺤﺴَﺒَﻦَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳَﺒﺨَﻠﻮﻥَ ﺑِﻤﺎ ﺀﺍﺗﻯٰﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻣِﻦ ﻓَﻀﻠِﻪِ ﻫُﻮَ ﺧَﻴﺮًﺍ ﻟَﻬُﻢ ۖ ﺑَﻞ
ﻫُﻮَ ﺷَﺮٌّ ﻟَﻬُﻢ ۖ ﺳَﻴُﻄَﻮَّﻗﻮﻥَ ﻣﺎ
ﺑَﺨِﻠﻮﺍ ﺑِﻪِ ﻳَﻮﻡَ ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۗ ﻭَﻟِﻠَّﻪِ
ﻣﻴﺮٰﺙُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۗ
ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤﺎ ﺗَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺧَﺒﻴﺮٌ
[180] আল্লাহ তাদেরকে নিজের
অনুগ্রহে যা দান করেছেন তাতে যারা
কৃপণতা করে এই কার্পন্য তাদের জন্য
মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেন ধারণা না
করে। বরং এটা তাদের পক্ষে একান্তই
ক্ষতিকর প্রতিপন্ন হবে। যাতে তারা
কার্পন্য করে সে সমস্ত ধন-সম্পদকে
কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী
বানিয়ে পরানো হবে। আর আল্লাহ
হচ্ছেন আসমান ও যমীনের পরম
সত্ত্বাধিকারী। আর যা কিছু তোমরা
কর; আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন।
[180] And let not those who covetously
withhold of that which Allâh has
bestowed on them of His Bounty
(Wealth) think that it is good for them
(and so they do not pay the obligatory
Zakât). Nay, it will be worse for them;
the things which they covetously
withheld shall be tied to their necks like
a collar on the Day of Resurrection. And
to Allâh belongs the heritage of the
heavens and the earth; and Allâh is
Well¬Acquainted with all that you do.
[181] ﻟَﻘَﺪ ﺳَﻤِﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻗَﻮﻝَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓَﻘﻴﺮٌ
ﻭَﻧَﺤﻦُ ﺃَﻏﻨِﻴﺎﺀُ ۘ ﺳَﻨَﻜﺘُﺐُ ﻣﺎ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻭَﻗَﺘﻠَﻬُﻢُ ﺍﻷَﻧﺒِﻴﺎﺀَ ﺑِﻐَﻴﺮِ
ﺣَﻖٍّ ﻭَﻧَﻘﻮﻝُ ﺫﻭﻗﻮﺍ ﻋَﺬﺍﺏَ
ﺍﻟﺤَﺮﻳﻖِ
[181] নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের কথা
শুনেছেন, যারা বলেছে যে, আল্লাহ
হচ্ছেন অভাবগ্রস্ত আর আমরা
বিত্তবান! এখন আমি তাদের কথা এবং
যেসব নবীকে তারা অন্যায়ভাবে হত্যা
করেছে তা লিখে রাখব, অতঃপর বলব,
আস্বাদন কর জ্বলন্ত আগুনের আযাব।
[181] Indeed, Allâh has heard the
statement of those (Jews) who say:
“Truly, Allâh is poor and we are rich!”
We shall record what they have said and
their killing of the Prophets unjustly, and
We shall say: “Taste you the torment of
the burning (Fire).”
[182] ﺫٰﻟِﻚَ ﺑِﻤﺎ ﻗَﺪَّﻣَﺖ ﺃَﻳﺪﻳﻜُﻢ
ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻴﺲَ ﺑِﻈَﻠّﺎﻡٍ ﻟِﻠﻌَﺒﻴﺪِ
[182] এ হল তারই প্রতিফল যা তোমরা
ইতিপূর্বে নিজের হাতে পাঠিয়েছ।
বস্তুতঃ আল্লাহ বান্দাদের প্রতি
অত্যাচার করেন না।
[182] This is because of that (evil) which
your hands have sent before you. And
certainly, Allâh is never unjust to (His)
slaves.
[183] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻬِﺪَ
ﺇِﻟَﻴﻨﺎ ﺃَﻟّﺎ ﻧُﺆﻣِﻦَ ﻟِﺮَﺳﻮﻝٍ ﺣَﺘّﻰٰ
ﻳَﺄﺗِﻴَﻨﺎ ﺑِﻘُﺮﺑﺎﻥٍ ﺗَﺄﻛُﻠُﻪُ ﺍﻟﻨّﺎﺭُ ۗ ﻗُﻞ
ﻗَﺪ ﺟﺎﺀَﻛُﻢ ﺭُﺳُﻞٌ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠﻰ
ﺑِﺎﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖِ ﻭَﺑِﺎﻟَّﺬﻯ ﻗُﻠﺘُﻢ ﻓَﻠِﻢَ
ﻗَﺘَﻠﺘُﻤﻮﻫُﻢ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢ ﺻٰﺪِﻗﻴﻦَ
[183] সে সমস্ত লোক, যারা বলে যে,
আল্লাহ আমাদিগকে এমন কোন রসূলের
ওপর বিশ্বাস না করতে বলে রেখেছেন
যতক্ষণ না তারা আমাদের নিকট এমন
কোরবানী নিয়ে আসবেন যাকে আগুন
গ্রাস করে নেবে। তুমি তাদের বলে
দাও, তোমাদের মাঝে আমার পূর্বে বহু
রসূল নিদর্শনসমূহ এবং তোমরা যা
আব্দার করেছ তা নিয়ে এসেছিলেন,
তখন তোমরা কেন তাদেরকে হত্যা
করলে যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক।
[183] Those (Jews) who said: “Verily,
Allâh has taken our promise not to
believe in any Messenger unless he
brings to us an offering which the fire
(from heaven) shall devour.” Say:
“Verily, there came to you Messengers
before me, with clear signs and even
with what you speak of; why then did
you kill them, if you are truthful?”
[184] ﻓَﺈِﻥ ﻛَﺬَّﺑﻮﻙَ ﻓَﻘَﺪ ﻛُﺬِّﺏَ
ﺭُﺳُﻞٌ ﻣِﻦ ﻗَﺒﻠِﻚَ ﺟﺎﺀﻭ
ﺑِﺎﻟﺒَﻴِّﻨٰﺖِ ﻭَﺍﻟﺰُّﺑُﺮِ ﻭَﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﺍﻟﻤُﻨﻴﺮِ
[184] তাছাড়া এরা যদি তোমাকে
মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে তোমার
পূর্বেও এরা এমন বহু নবীকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করেছে, যারা নিদর্শন সমূহ
নিয়ে এসেছিলেন। এবং এনেছিলেন
সহীফা ও প্রদীপ্ত গ্রন্থ।
[184] Then if they reject you (O
Muhammad SAW), so were Messengers
rejected before you, who came with Al-
Baiyyinât (clear signs, proofs, evidences)
and the Scripture and the Book of
Enlightenment.
[185] ﻛُﻞُّ ﻧَﻔﺲٍ ﺫﺍﺋِﻘَﺔُ ﺍﻟﻤَﻮﺕِ ۗ
ﻭَﺇِﻧَّﻤﺎ ﺗُﻮَﻓَّﻮﻥَ ﺃُﺟﻮﺭَﻛُﻢ ﻳَﻮﻡَ
ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۖ ﻓَﻤَﻦ ﺯُﺣﺰِﺡَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ
ﻭَﺃُﺩﺧِﻞَ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ ﻓَﻘَﺪ ﻓﺎﺯَ ۗ ﻭَﻣَﺎ
ﺍﻟﺤَﻴﻮٰﺓُ ﺍﻟﺪُّﻧﻴﺎ ﺇِﻟّﺎ ﻣَﺘٰﻊُ
ﺍﻟﻐُﺮﻭﺭِ
[185] প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন
করতে হবে মৃত্যু। আর তোমরা
কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত
হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে
রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ
করানো হবে, তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে।
আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য
কোন সম্পদ নয়।
[185] Everyone shall taste death. And
only on the Day of Resurrection shall you
be paid your wages in full. And whoever
is removed away from the Fire and
admitted to Paradise, he indeed is
successful. The life of this world is only
the enjoyment of deception (a deceiving
thing).
[186] ۞ ﻟَﺘُﺒﻠَﻮُﻥَّ ﻓﻰ ﺃَﻣﻮٰﻟِﻜُﻢ
ﻭَﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻢ ﻭَﻟَﺘَﺴﻤَﻌُﻦَّ ﻣِﻦَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻣِﻦ
ﻗَﺒﻠِﻜُﻢ ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃَﺷﺮَﻛﻮﺍ
ﺃَﺫًﻯ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ ۚ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺼﺒِﺮﻭﺍ
ﻭَﺗَﺘَّﻘﻮﺍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺫٰﻟِﻚَ ﻣِﻦ ﻋَﺰﻡِ
ﺍﻷُﻣﻮﺭِ
[186] অবশ্য ধন-সম্পদে এবং জনসম্পদে
তোমাদের পরীক্ষা হবে এবং অবশ্য
তোমরা শুনবে পূর্ববর্তী আহলে
কিতাবদের কাছে এবং মুশরেকদের
কাছে বহু অশোভন উক্তি। আর যদি
তোমরা ধৈর্য্য ধারণ কর এবং
পরহেযগারী অবলম্বন কর, তবে তা হবে
একান্ত সৎসাহসের ব্যাপার।
[186] You shall certainly be tried and
tested in your wealth and properties and
in your personal selves, and you shall
certainly hear much that will grieve you
from those who received the Scripture
before you (Jews and Christians) and
from those who ascribe partners to
Allâh; but if you persevere patiently, and
become Al-Muttaqûn (the pious – See
V.2:2) then verily, that will be a
determining factor in all affairs (and
that is from the great matters which you
must hold on with all your efforts).
[187] ﻭَﺇِﺫ ﺃَﺧَﺬَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣﻴﺜٰﻖَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺃﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻟَﺘُﺒَﻴِّﻨُﻨَّﻪُ
ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻭَﻻ ﺗَﻜﺘُﻤﻮﻧَﻪُ ﻓَﻨَﺒَﺬﻭﻩُ
ﻭَﺭﺍﺀَ ﻇُﻬﻮﺭِﻫِﻢ ﻭَﺍﺷﺘَﺮَﻭﺍ ﺑِﻪِ
ﺛَﻤَﻨًﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ ۖ ﻓَﺒِﺌﺲَ ﻣﺎ
ﻳَﺸﺘَﺮﻭﻥَ
[187] আর আল্লাহ যখন আহলে
কিতাবদের কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা
গ্রহণ করলেন যে, তা মানুষের নিকট
বর্ণনা করবে এবং গোপন করবে না,
তখন তারা সে প্রতিজ্ঞাকে
নিজেদের পেছনে ফেলে রাখল আর
তার কেনা-বেচা করল সামান্য মূল্যের
বিনিময়ে। সুতরাং কতই না মন্দ তাদের
এ বেচা-কেনা।
[187] (And remember) when Allâh took a
covenant from those who were given the
Scripture (Jews and Christians) to make
it (the news of the coming of Prophet
Muhammad SAW and the religious
knowledge) known and clear to
mankind, and not to hide it, but they
threw it away behind their backs, and
purchased with it some miserable gain!
And indeed worst is that which they
bought.
[188] ﻻ ﺗَﺤﺴَﺒَﻦَّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻳَﻔﺮَﺣﻮﻥَ ﺑِﻤﺎ ﺃَﺗَﻮﺍ ﻭَﻳُﺤِﺒّﻮﻥَ
ﺃَﻥ ﻳُﺤﻤَﺪﻭﺍ ﺑِﻤﺎ ﻟَﻢ ﻳَﻔﻌَﻠﻮﺍ
ﻓَﻼ ﺗَﺤﺴَﺒَﻨَّﻬُﻢ ﺑِﻤَﻔﺎﺯَﺓٍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻌَﺬﺍﺏِ ۖ ﻭَﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬﺍﺏٌ ﺃَﻟﻴﻢٌ
[188] তুমি মনে করো না, যারা
নিজেদের কৃতকর্মের উপর আনন্দিত হয়
এবং না করা বিষয়ের জন্য প্রশংসা
কামনা করে, তারা আমার নিকট থেকে
অব্যাহতি লাভ করেছে। বস্তুতঃ তাদের
জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
[188] Think not that those who rejoice in
what they have done (or brought about),
and love to be praised for what they
have not done,- think not you that they
are rescued from the torment, and for
them is a painful torment.
[189] ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻣُﻠﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠﻰٰ ﻛُﻞِّ
ﺷَﻲﺀٍ ﻗَﺪﻳﺮٌ
[189] আর আল্লাহর জন্যই হল আসমান ও
যমিনের বাদশাহী। আল্লাহই সর্ব
বিষয়ে ক্ষমতার অধিকারী।
[189] And to Allâh belongs the dominion
of the heavens and the earth, and Allâh
has power over all things.
[190] ﺇِﻥَّ ﻓﻰ ﺧَﻠﻖِ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ
ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﻭَﺍﺧﺘِﻠٰﻒِ ﺍﻟَّﻴﻞِ
ﻭَﺍﻟﻨَّﻬﺎﺭِ ﻝَﺀﺍﻳٰﺖٍ ﻟِﺄُﻭﻟِﻰ
ﺍﻷَﻟﺒٰﺐِ
[190] নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে
এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে
নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন
লোকদের জন্যে।
[190] Verily! In the creation of the
heavens and the earth, and in the
alternation of night and day, there are
indeed signs for men of understanding.
[191] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﺬﻛُﺮﻭﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻗِﻴٰﻤًﺎ
ﻭَﻗُﻌﻮﺩًﺍ ﻭَﻋَﻠﻰٰ ﺟُﻨﻮﺑِﻬِﻢ
ﻭَﻳَﺘَﻔَﻜَّﺮﻭﻥَ ﻓﻰ ﺧَﻠﻖِ
ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭﺽِ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻣﺎ
ﺧَﻠَﻘﺖَ ﻫٰﺬﺍ ﺑٰﻄِﻠًﺎ ﺳُﺒﺤٰﻨَﻚَ
ﻓَﻘِﻨﺎ ﻋَﺬﺍﺏَ ﺍﻟﻨّﺎﺭِ
[191] যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত
অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং
চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন
সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে)
পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি
করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই,
আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি
থেকে বাঁচাও।
[191] Those who remember Allâh
(always, and in prayers) standing,
sitting, and lying down on their sides,
and think deeply about the creation of
the heavens and the earth, (saying): “Our
Lord! You have not created (all) this
without purpose, glory to You! (Exalted
are You above all that they associate with
You as partners). Give us salvation from
the torment of the Fire.
[192] ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﻣَﻦ ﺗُﺪﺧِﻞِ ﺍﻟﻨّﺎﺭَ
ﻓَﻘَﺪ ﺃَﺧﺰَﻳﺘَﻪُ ۖ ﻭَﻣﺎ ﻟِﻠﻈّٰﻠِﻤﻴﻦَ
ﻣِﻦ ﺃَﻧﺼﺎﺭٍ
[192] হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয়
তুমি যাকে দোযখে নিক্ষেপ করলে
তাকে সবসময়ে অপমানিত করলে; আর
জালেমদের জন্যে তো সাহায্যকারী
নেই।
[192] “Our Lord! Verily, whom You admit
to the Fire, indeed, You have disgraced
him, and never will the Zâlimûn
(polytheists and wrong-doers) find any
helpers.
[193] ﺭَﺑَّﻨﺎ ﺇِﻧَّﻨﺎ ﺳَﻤِﻌﻨﺎ ﻣُﻨﺎﺩِﻳًﺎ
ﻳُﻨﺎﺩﻯ ﻟِﻺﻳﻤٰﻦِ ﺃَﻥ ﺀﺍﻣِﻨﻮﺍ
ﺑِﺮَﺑِّﻜُﻢ ﻓَـٔﺎﻣَﻨّﺎ ۚ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻓَﺎﻏﻔِﺮ ﻟَﻨﺎ
ﺫُﻧﻮﺑَﻨﺎ ﻭَﻛَﻔِّﺮ ﻋَﻨّﺎ ﺳَﻴِّـٔﺎﺗِﻨﺎ
ﻭَﺗَﻮَﻓَّﻨﺎ ﻣَﻊَ ﺍﻷَﺑﺮﺍﺭِ
[193] হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা
নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন
আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান
করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার
প্রতি ঈমান আন; তাই আমরা ঈমান
এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা!
অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ কর
এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে
দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক
লোকদের সাথে।
[193] “Our Lord! Verily, we have heard
the call of one (Muhammad SAW) calling
to Faith: ‘Believe in your Lord,’ and we
have believed. Our Lord! Forgive us our
sins and expiate from us our evil deeds,
and make us die (in the state of
righteousness) along with Al-Abrâr (the
pious believers of Islamic Monotheism).
[194] ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻭَﺀﺍﺗِﻨﺎ ﻣﺎ ﻭَﻋَﺪﺗَﻨﺎ
ﻋَﻠﻰٰ ﺭُﺳُﻠِﻚَ ﻭَﻻ ﺗُﺨﺰِﻧﺎ ﻳَﻮﻡَ
ﺍﻟﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۗ ﺇِﻧَّﻚَ ﻻ ﺗُﺨﻠِﻒُ
ﺍﻟﻤﻴﻌﺎﺩَ
[194] হে আমাদের পালনকর্তা!
আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা
করেছ তোমার রসূলগণের মাধ্যমে এবং
কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি
অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি
ওয়াদা খেলাফ করো না।
[194] “Our Lord! Grant us what You
promised unto us through Your
Messengers and disgrace us not on the
Day of Resurrection, for You never break
(Your) Promise.”
[195] ﻓَﺎﺳﺘَﺠﺎﺏَ ﻟَﻬُﻢ ﺭَﺑُّﻬُﻢ
ﺃَﻧّﻰ ﻻ ﺃُﺿﻴﻊُ ﻋَﻤَﻞَ ﻋٰﻤِﻞٍ
ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺫَﻛَﺮٍ ﺃَﻭ ﺃُﻧﺜﻰٰ ۖ
ﺑَﻌﻀُﻜُﻢ ﻣِﻦ ﺑَﻌﺾٍ ۖ ﻓَﺎﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻫﺎﺟَﺮﻭﺍ ﻭَﺃُﺧﺮِﺟﻮﺍ ﻣِﻦ
ﺩِﻳٰﺮِﻫِﻢ ﻭَﺃﻭﺫﻭﺍ ﻓﻰ ﺳَﺒﻴﻠﻰ
ﻭَﻗٰﺘَﻠﻮﺍ ﻭَﻗُﺘِﻠﻮﺍ ﻟَﺄُﻛَﻔِّﺮَﻥَّ ﻋَﻨﻬُﻢ
ﺳَﻴِّـٔﺎﺗِﻬِﻢ ﻭَﻟَﺄُﺩﺧِﻠَﻨَّﻬُﻢ ﺟَﻨّٰﺖٍ
ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ﺛَﻮﺍﺑًﺎ
ﻣِﻦ ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋِﻨﺪَﻩُ
ﺣُﺴﻦُ ﺍﻟﺜَّﻮﺍﺏِ
[195] অতঃপর তাদের পালনকর্তা
তাদের দোয়া (এই বলে) কবুল করে
নিলেন যে, আমি তোমাদের কোন
পরিশ্রমকারীর পরিশ্রমই বিনষ্ট করি
না, তা সে পুরুষ হোক কিংবা
স্ত্রীলোক। তোমরা পরস্পর এক।
তারপর সে সমস্ত লোক যারা হিজরত
করেছে, তাদেরকে নিজেদের দেশ
থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং
তাদের প্রতি উৎপীড়ন করা হয়েছে
আমার পথে এবং যারা লড়াই করেছে ও
মৃত্যুবরণ করেছে, অবশ্যই আমি তাদের
উপর থেকে অকল্যাণকে অপসারিত
করব। এবং তাদেরকে প্রবিষ্ট করব
জান্নাতে যার তলদেশে নহর সমূহ
প্রবাহিত। এই হলো বিনিময় আল্লাহর
পক্ষ থেকে। আর আল্লাহর নিকট রয়েছে
উত্তম বিনিময়।
[195] So their Lord accepted of them
(their supplication and answered them),
“Never will I allow to be lost the work of
any of you, be he male or female. You
are (members) one of another, so those
who emigrated and were driven out
from their homes, and suffered harm in
My Cause, and who fought, and were
killed (in My Cause), verily, I will expiate
from them their evil deeds and admit
them into Gardens under which rivers
flow (in Paradise); a reward from Allâh,
and with Allâh is the best of rewards.”
[196] ﻻ ﻳَﻐُﺮَّﻧَّﻚَ ﺗَﻘَﻠُّﺐُ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻓِﻰ ﺍﻟﺒِﻠٰﺪِ
[196] নগরীতে কাফেরদের চাল-চলন
যেন তোমাদিগকে ধোঁকা না দেয়।
[196] Let not the free disposal (and
affluence) of the disbelievers throughout
the land deceive you.
[197] ﻣَﺘٰﻊٌ ﻗَﻠﻴﻞٌ ﺛُﻢَّ ﻣَﺄﻭﻯٰﻬُﻢ
ﺟَﻬَﻨَّﻢُ ۚ ﻭَﺑِﺌﺲَ ﺍﻟﻤِﻬﺎﺩُ
[197] এটা হলো সামান্য ফায়দা-এরপর
তাদের ঠিকানা হবে দোযখ। আর
সেটি হলো অতি নিকৃষ্ট অবস্থান।
[197] A brief enjoyment; then, their
ultimate abode is Hell; and worst indeed
is that place for rest.
[198] ﻟٰﻜِﻦِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺍﺗَّﻘَﻮﺍ ﺭَﺑَّﻬُﻢ
ﻟَﻬُﻢ ﺟَﻨّٰﺖٌ ﺗَﺠﺮﻯ ﻣِﻦ ﺗَﺤﺘِﻬَﺎ
ﺍﻷَﻧﻬٰﺮُ ﺧٰﻠِﺪﻳﻦَ ﻓﻴﻬﺎ ﻧُﺰُﻟًﺎ ﻣِﻦ
ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﻣﺎ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﻴﺮٌ
ﻟِﻸَﺑﺮﺍﺭِ
[198] কিন্তু যারা ভয় করে নিজেদের
পালনকর্তাকে তাদের জন্যে রয়েছে
জান্নাত যার তলদেশে প্রবাহিত
রয়েছে প্রস্রবণ। তাতে আল্লাহর পক্ষ
থেকে সদা আপ্যায়ন চলতে থাকবে। আর
যা আল্লাহর নিকট রয়েছে, তা
সৎকর্মশীলদের জন্যে একান্তই উত্তম।
[198] But, for those who fear their Lord,
are Gardens under which rivers flow (in
Paradise); therein are they to dwell (for
ever), an entertainment from Allâh; and
that which is with Allâh is the Best for
Al-Abrâr (the pious believers of Islamic
Monotheism).
[199] ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦ ﺃَﻫﻞِ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﻟَﻤَﻦ ﻳُﺆﻣِﻦُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ
ﺇِﻟَﻴﻜُﻢ ﻭَﻣﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻬِﻢ
ﺧٰﺸِﻌﻴﻦَ ﻟِﻠَّﻪِ ﻻ ﻳَﺸﺘَﺮﻭﻥَ
ﺑِـٔﺎﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺛَﻤَﻨًﺎ ﻗَﻠﻴﻠًﺎ ۗ ﺃُﻭﻟٰﺌِﻚَ
ﻟَﻬُﻢ ﺃَﺟﺮُﻫُﻢ ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ۗ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺳَﺮﻳﻊُ ﺍﻟﺤِﺴﺎﺏِ
[199] আর আহলে কিতাবদের মধ্যে কেউ
কেউ এমনও রয়েছে, যারা আল্লাহর উপর
ঈমান আনে এবং যা কিছু তোমার উপর
অবতীর্ণ হয় আর যা কিছু তাদের উপর
অবতীর্ণ হয়েছে সেগুলোর উপর,
আল্লাহর সামনে বিনয়াবনত থাকে
এবং আল্লার আয়াতসমুহকে
স্বল্পমুল্যের বিনিময়ে সওদা করে না,
তারাই হলো সে লোক যাদের জন্য
পারিশ্রমিক রয়েছে তাদের
পালনকর্তার নিকট। নিশ্চয়ই আল্লাহ
যথাশীঘ্র হিসাব চুকিয়ে দেন।
[199] And there are, certainly, among
the people of the Scripture (Jews and
Christians), those who believe in Allâh
and in that which has been revealed to
you, and in that which has been revealed
to them, humbling themselves before
Allâh. They do not sell the Verses of Allâh
for a little price, for them is a reward
with their Lord. Surely, Allâh is Swift in
account.
[200] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨُﻮﺍ
ﺍﺻﺒِﺮﻭﺍ ﻭَﺻﺎﺑِﺮﻭﺍ ﻭَﺭﺍﺑِﻄﻮﺍ
ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗُﻔﻠِﺤﻮﻥَ
[200] হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর
এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর।
আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে
তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে
সমর্থ হতে পার।
[200] O you who believe! Endure and be
more patient (than your enemy), and
guard your territory by stationing army
units permanently at the places from
where the enemy can attack you, and
fear Allâh, so that you may be successful.
Bangla translation of Quran. Developed
by Syed Mohammad Rasel
[paglasoftatgmail.com]. Last updated on
August 15th, 20101. লাম মীম। 2. আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। 3. তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের। নাযিল করেছেন তাওরত ও ইঞ্জিল, 4. এ কিতাবের পূর্বে, মানুষের হেদায়েতের জন্যে এবং অবতীর্ণ করেছেন মীমাংসা। নিঃসন্দেহে যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশীল, প্রতিশোধ গ্রহণকারী। 5. আল্লাহর নিকট আসমান ও যমীনের কোন বিষয়ই গোপন নেই। 6. তিনিই সেই আল্লাহ, যিনি তোমাদের আকৃতি গঠন করেন মায়ের গর্ভে, যেমন তিনি চেয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তিনি প্রবল পরাক্রমশীল, প্রজ্ঞাময়। 7. তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। 8. হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা। 9. হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবেঃ এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না। 10. যারা কুফুরী করে, তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর সামনে কখনও কাজে আসবে না। আর তারাই হচ্ছে দোযখের ইন্ধন। 11. ফেরআউনের সম্প্রদায় এবং তাদের পূর্ববর্তীদের ধারা অনুযায়ীই তারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। ফলে তাদের পাপের কারণে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছেন আর আল্লাহর আযাব অতি কঠিন। 12. কাফেরদিগকে বলে দিন, খুব শিগগীরই তোমরা পরাভূত হয়ে দোযখের দিকে হাঁকিয়ে নীত হবে- সেটা কতই না নিকৃষ্টতম অবস্থান। 13. নিশ্চয়ই দুটো দলের মোকাবিলার মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন ছিল। একটি দল আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করে। আর অপর দল ছিল কাফেরদের এরা স্বচক্ষে তাদেরকে দ্বিগুন দেখছিল। আর আল্লাহ যাকে নিজের সাহায্যের মাধ্যমে শক্তি দান করেন। এরই মধ্যে শিক্ষনীয় রয়েছে দৃষ্টি সম্পন্নদের জন্য। 14. মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী, সন্তান- সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য, চিহ্নিত অশ্ব, গবাদি পশুরাজি এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয় বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নিকটই হলো উত্তম আশ্রয়। 15. বলুন, আমি কি তোমাদেরকে এসবের চাইতেও উত্তম বিষয়ের সন্ধান বলবো?- যারা পরহেযগার, আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে রয়েছে বেহেশত, যার তলদেশে প্রস্রবণ প্রবাহিত-তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আর রয়েছে পরিচ্ছন্ন সঙ্গিনীগণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন। 16. যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। 17. তারা ধৈর্য্যধারণকারী, সত্যবাদী, নির্দেশ সম্পাদনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। 18. আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। 19. নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত। 20. যদি তারা তোমার সাথে বিতর্কে অবতীর্ণ হয় তবে বলে দাও, “আমি এবং আমার অনুসরণকারীগণ আল্লাহর প্রতি আত্নসমর্পণ করেছি।” আর আহলে কিতাবদের এবং নিরক্ষরদের বলে দাও যে, তোমরাও কি আত্নসমর্পণ করেছ? তখন যদি তারা আত্নসমর্পণ করে, তবে সরল পথ প্রাপ্ত হলো, আর যদি মুখ ঘুরিয়ে নেয়, তাহলে তোমার দায়িত্ব হলো শুধু পৌছে দেয়া। আর আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে সকল বান্দা। 21. যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে এবং পয়গম্বরগণকে হত্যা করে অন্যায়ভাবে, আর সেসব লোককে হত্যা করে যারা ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দেয় তাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তির সংবাদ দিন। 22. এরাই হলো সে লোক যাদের সমগ্র আমল দুনিয়া ও আখেরাত উভয়লোকেই বিনষ্ট হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে তাদের কোন সাহায্যকারীও নেই। 23. আপনি কি তাদের দেখেননি, যারা কিতাবের কিছু অংশ পেয়েছে- আল্লাহর কিতাবের প্রতি তাদের আহবান করা হয়েছিল যাতে তাদের মধ্যে মীমাংসা করা যায়। অতঃপর তাদের মধ্যে একদল তা অমান্য করে মুখ ফিরিয়ে নেয়। 24. তা এজন্য যে, তারা বলে থাকে যে, দোযখের আগুন আমাদের স্পর্শ করবে না; তবে সামান্য হাতে গোনা কয়েকদিনের জন্য স্পর্শ করতে পারে। নিজেদের উদ্ভাবিত ভিত্তিহীন কথায় তারা ধোকা খেয়েছে। 25. কিন্তু তখন কি অবস্থা দাঁড়াবে যখন আমি তাদেরকে একদিন সমবেত করবো যে দিনের আগমনে কোন সন্দেহ নেই আর নিজেদের কৃতকর্ম তাদের প্রত্যেকেই পাবে তাদের প্রাপ্য প্রদান মোটেই অন্যায় করা হবে না। 26. বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। 27. তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর। 28. মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। 29. বলে দিন, তোমরা যদি মনের কথা গোপন করে রাখ অথবা প্রকাশ করে দাও, আল্লাহ সে সবই জানতে পারেন। আর আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, সেসব ও তিনি জানেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে শক্তিমান। 30. সেদিন প্রত্যেকেই যা কিছু সে ভাল কাজ করেছে; চোখের সামনে দেখতে পাবে এবং যা কিছু মন্দ কাজ করেছে তাও, ওরা তখন কামনা করবে, যদি তার এবং এসব কর্মের মধ্যে ব্যবধান দুরের হতো! আল্লাহ তাঁর নিজের সম্পর্কে তোমাদের সাবধান করছেন। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু। 31. বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। 32. বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। 33. নিঃসন্দেহে আল্লাহ আদম (আঃ) নূহ (আঃ) ͠ও ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশধর এবং এমরানের খান্দানকে নির্বাচিত করেছেন। 34. যারা বংশধর ছিলেন পরস্পরের। আল্লাহ শ্রবণকারী ও মহাজ্ঞানী। 35. এমরানের স্ত্রী যখন বললো- হে আমার পালনকর্তা! আমার গর্ভে যা রয়েছে আমি তাকে তোমার নামে উৎসর্গ করলাম সবার কাছ থেকে মুক্ত রেখে। আমার পক্ষ থেকে তুমি তাকে কবুল করে নাও, নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞাত। 36. অতঃপর যখন তাকে প্রসব করলো বলল, হে আমার পালনকর্তা! আমি একে কন্যা প্রসব করেছি। বস্তুতঃ কি সে প্রসব করেছে আল্লাহ তা ভালই জানেন। সেই কন্যার মত কোন পুত্রই যে নেই। আর আমি তার নাম রাখলাম মারইয়াম। আর আমি তাকে ও তার সন্তানদেরকে তোমার আশ্রয়ে সমর্পণ করছি। অভিশপ্ত শয়তানের কবল থেকে। 37. অতঃপর তাঁর পালনকর্তা তাঁকে উত্তম ভাবে গ্রহণ করে নিলেন এবং তাঁকে প্রবৃদ্ধি দান করলেন-অত্যন্ত সুন্দর প্রবৃদ্ধি। আর তাঁকে যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে সমর্পন করলেন। যখনই যাকারিয়া মেহরাবের মধ্যে তার কছে আসতেন তখনই কিছু খাবার দেখতে পেতেন। জিজ্ঞেস করতেন “মারইয়াম! কোথা থেকে এসব তোমার কাছে এলো?” তিনি বলতেন, “এসব আল্লাহর নিকট থেকে আসে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান করেন।” 38. সেখানেই যাকারিয়া তাঁর পালনকর্তার নিকট প্রার্থনা করলেন। বললেন, হে, আমার পালনকর্তা! তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর- নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী। 39. যখন তিনি কামরার ভেতরে নামাযে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন ফেরেশতারা তাঁকে ডেকে বললেন যে, আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহইয়া সম্পর্কে, যিনি সাক্ষ্য দেবেন আল্লাহর নির্দেশের সত্যতা সম্পর্কে, যিনি নেতা হবেন এবং নারীদের সংস্পর্শে যাবেন না, তিনি অত্যন্ত সৎকর্মশীল নবী হবেন। 40. তিনি বললেন হে পালনকর্তা! কেমন করে আমার পুত্র সন্তান হবে, আমার যে বার্ধক্য এসে গেছে, আমার স্ত্রীও যে বন্ধ্যা। বললেন, আল্লাহ এমনি ভাবেই যা ইচ্ছা করে থাকেন। 41. তিনি বললেন, হে পালনকর্তা আমার জন্য কিছু নিদর্শন দাও। তিনি বললেন, তোমার জন্য নিদর্শন হলো এই যে, তুমি তিন দিন পর্যন্ত কারও সাথে কথা বলবে না। তবে ইশারা ইঙ্গতে করতে পারবে এবং তোমার পালনকর্তাকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করবে আর সকাল-সন্ধ্যা তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করবে। 42. আর যখন ফেরেশতা বলল হে মারইয়াম!, আল্লাহ তোমাকে পছন্দ করেছেন এবং তোমাকে পবিত্র পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছেন। আর তোমাকে বিশ্ব নারী সমাজের উর্ধ্বে মনোনীত করেছেন। 43. হে মারইয়াম! তোমার পালনকর্তার উপাসনা কর এবং রুকুকারীদের সাথে সেজদা ও রুকু কর। 44. এ হলো গায়েবী সংবাদ, যা আমি আপনাকে পাঠিয়ে থাকি। আর আপনি তো তাদের কাছে ছিলেন না, যখন প্রতিযোগিতা করছিল যে, কে প্রতিপালন করবে মারইয়ামকে এবং আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন তারা ঝগড়া করছিলো। 45. যখন ফেরেশতাগণ বললো, হে মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বানীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-মারইয়াম-তনয় ঈসা, দুনিয়া ও আখেরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভূক্ত। 46. যখন তিনি মায়ের কোলে থাকবেন এবং পূর্ণ বয়স্ক হবেন তখন তিনি মানুষের সাথে কথা বলবেন। আর তিনি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। 47. তিনি বললেন, পরওয়ারদেগার! কেমন করে আমার সন্তান হবে; আমাকে তো কোন মানুষ স্পর্শ করেনি। বললেন এ ভাবেই আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। যখন কোন কাজ করার জন্য ইচ্ছা করেন তখন বলেন যে, ‘হয়ে যাও’ অমনি তা হয়ে যায়। 48. আর তাকে তিনি শিখিয়ে দেবেন কিতাব, হিকমত, তওরাত, ইঞ্জিল। 49. আর বণী ইসরাঈলদের জন্যে রসূল হিসেবে তাকে মনোনীত করবেন। তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাদের নিকট তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে এসেছি নিদর্শনসমূহ নিয়ে। আমি তোমাদের জন্য মাটির দ্বারা পাখীর আকৃতি তৈরী করে দেই। তারপর তাতে যখন ফুৎকার প্রদান করি, তখন তা উড়ন্ত পাখীতে পরিণত হয়ে যায় আল্লাহর হুকুমে। আর আমি সুস্থ করে তুলি জন্মান্ধকে এবং শ্বেত কুষ্ঠ রোগীকে। আর আমি জীবিত করে দেই মৃতকে আল্লাহর হুকুমে। আর আমি তোমাদেরকে বলে দেই যা তোমরা খেয়ে আস এবং যা তোমরা ঘরে রেখে আস। এতে প্রকৃষ্ট নিদর্শন রয়েছে, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও। 50. আর এটি পূর্ববর্তী কিতাব সমুহকে সত্যায়ন করে, যেমন তওরাত। আর তা এজন্য যাতে তোমাদের জন্য হালাল করে দেই কোন কোন বস্তু যা তোমাদের জন্য হারাম ছিল। আর আমি তোমাদের নিকট এসেছি তোমাদের পালনকর্তার নিদর্শনসহ। কাজেই আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ কর। 51. নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা-তাঁর এবাদত কর, এটাই হলো সরল পথ। 52. অতঃপর ঈসা (আঃ) যখন বণী ইসরায়ীলের কুফরী সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারলেন, তখন বললেন, কারা আছে আল্লাহর পথে আমাকে সাহায্য করবে? সঙ্গী-সাথীরা বললো, আমরা রয়েছি আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। আর তুমি সাক্ষী থাক যে, আমরা হুকুম কবুল করে নিয়েছি। 53. হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা সে বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যা তুমি নাযিল করেছ, আমরা রসূলের অনুগত হয়েছি। অতএব, আমাদিগকে মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নাও। 54. এবং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম কুশলী। 55. আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো- কাফেরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো। আর যারা তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর জয়ী করে রাখবো। বস্তুতঃ তোমাদের সবাইকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে তোমরা বিবাদ করতে, আমি তোমাদের মধ্যে তার ফয়সালা করে দেবো। 56. অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে- তাদের কোন সাহায্যকারী নেই। 57. পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে। তাদের প্রাপ্য পরিপুর্ণভাবে দেয়া হবে। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। 58. আমি তোমাদেরকে পড়ে শুনাই এ সমস্ত আয়াত এবং নিশ্চিত বর্ণনা। 59. নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মতো। তাকে মাটি দিয়ে তৈরী করেছিলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন। 60. যা তোমার পালকর্তা বলেন তাই হচ্ছে যথার্থ সত্য। কাজেই তোমরা সংশয়বাদী হয়ো না। 61. অতঃপর তোমার নিকট সত্য সংবাদ এসে যাওয়ার পর যদি এই কাহিনী সম্পর্কে তোমার সাথে কেউ বিবাদ করে, তাহলে বল-এসো, আমরা ডেকে নেই আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের এবং আমাদের স্ত্রীদের ও তোমাদের স্ত্রীদের এবং আমাদের নিজেদের ও তোমাদের নিজেদের আর তারপর চল আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করি এবং তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। 62. নিঃসন্দেহে এটাই হলো সত্য ভাষণ। আর এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই। আর আল্লাহ; তিনিই হলেন পরাক্রমশালী মহাপ্রাজ্ঞ। 63. তারপর যদি তারা গ্রহণ না করে, তাহলে প্রমাদ সৃষ্টিকারীদেরকে আল্লাহ জানেন। 64. বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে আস-যা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান- যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করব না, তাঁর সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত করব না এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাব না। তারপর যদি তারা স্বীকার না করে, তাহলে বলে দাও যে, ‘সাক্ষী থাক আমরা তো অনুগত। 65. হে আহলে কিতাবগণ! কেন তোমরা ইব্রাহীমের বিষয়ে বাদানুবাদ কর? অথচ তওরাত ও ইঞ্জিল তাঁর পরেই নাযিল হয়েছে। তোমরা কি বুঝ না? 66. এখানে আপনি – যারা ​​যে যা আপনি [কিছু] জ্ঞান সম্পর্কে যুক্তি আছে, কিন্তু কেন আপনি যে যা আপনি কোন জ্ঞান সম্পর্কে তর্ক করা? এবং আল্লাহ জানেন, যখন আপনি জানেন না. 67. ইব্রাহীম ইহুদী ছিলেন না এবং নাসারাও ছিলেন না, কিক্তু তিনি ছিলেন ‘হানীফ’ অর্থাৎ, সব মিথ্যা ধর্মের প্রতি বিমুখ এবং আত্নসমর্পণকারী, এবং তিনি মুশরিক ছিলেন না। 68. মানুষদের মধ্যে যারা ইব্রাহীমের অনুসরণ করেছিল, তারা, আর এই নবী এবং যারা এ নবীর প্রতি ঈমান এনেছে তারা ইব্রাহীমের ঘনিষ্ঠতম- আর আল্লাহ হচ্ছেন মুমিনদের বন্ধু। 69. কোন কোন আহলে-কিতাবের আকাঙ্খা, যাতে তোমাদের গোমরাহ করতে পারে, কিন্তু তারা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকেই গোমরাহ করে না। অথচ তারা বুঝতে পারে না। 70. হে আহলে-কিতাবগণ, কেন তোমরা আল্লাহর কালামকে অস্বীকার কর, অথচ তোমরাই তাঁর প্রবক্তা? 71. হে আহলে কিতাবগণ, কেন তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে সংমিশ্রণ করছ এবং সত্যকে গোপন করছ, অথচ তোমরা তা জান। 72. আর আহলে-কিতাবগণের একদল বললো, মুসলমানগণের উপর যা কিছু অবর্তীণ হয়েছে তাকে দিনের প্রথম ভাগে মেনে নাও, আর দিনের শেষ ভাগে অস্বীকার ক র, হয়তো তারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। 73. যারা তোমাদের ধর্মমতে চলবে, তাদের ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করবে না। বলে দিন নিঃসন্দেহে হেদায়েত সেটাই, যে হেদায়েত আল্লাহ করেন। আর এসব কিছু এ জন্যে যে, তোমরা যা লাভ করেছিলে তা অন্য কেউ কেন প্রাপ্ত হবে, কিংবা তোমাদের পালনকর্তার সামনে তোমাদের উপর তারা কেন প্রবল হয়ে যাবে! বলে দিন, মর্যাদা আল্লাহরই হাতে; তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ। 74. তিনি যাকে ইচ্ছা নিজের বিশেষ অনুগ্রহ দান করেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল। 75. কোন কোন আহলে কিতাব এমনও রয়েছে, তোমরা যদি তাদের কাছে বহু ধন-সম্পদ আমানত রাখ, তাহলেও তা তোমাদের যথারীতি পরিশোধ করবে। আর তোদের মধ্যে অনেক এমনও রয়েছে যারা একটি দীনার গচ্ছিত রাখলেও ফেরত দেবে না-যে পর্যন্ত না তুমি তার মাথার উপর দাঁড়াতে পারবে। এটা এজন্য যে, তারা বলে রেখেছে যে, উম্মীদের অধিকার বিনষ্ট করাতে আমাদের কোন পাপ নেই। আর তারা আল্লাহ সম্পর্কে জেনে শুনেই মিথ্যা বলে। 76. যে লোক নিজ প্রতিজ্ঞা পূর্ন করবে এং পরহেজগার হবে, অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। 77. যারা আল্লাহর নামে কৃত অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা সামান্য মুল্যে বিক্রয় করে, আখেরাতে তাদের কেন অংশ নেই। আর তাদের সাথে কেয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না। তাদের প্রতি (করুণার) দৃষ্টিও দেবেন না। আর তাদেরকে পরিশুদ্ধও করবেন না। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। 78. আর তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাঁকিয়ে কিতাব পাঠ করে, যাতে তোমরা মনে কর যে, তার কিতাব থেকেই পাঠ করছে। অথচ তারা যা আবৃত্তি করছে তা আদৌ কিতাব নয়। এবং তারা বলে যে, এসব কথা আল্লাহর তরফ থেকে আগত। অথচ এসব আল্লাহর তরফ থেকে প্রেরিত নয়। তারা বলে যে, এটি আল্লাহর কথা অথচ এসব আল্লাহর কথা নয়। আর তারা জেনে শুনে আল্লাহরই প্রতি মিথ্যারোপ করে। 79. কোন মানুষকে আল্লাহ কিতাব, হেকমত ও নবুওয়ত দান করার পর সে বলবে যে, ‘তোমরা আল্লাহকে পরিহার করে আমার বান্দা হয়ে যাও’-এটা সম্ভব নয়। বরং তারা বলবে, ‘তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, যেমন, তোমরা কিতাব শিখাতে এবং যেমন তোমরা নিজেরা ও পড়তে। 80. তাছাড়া তোমাদেরকে একথা বলাও সম্ভব নয় যে, তোমরা ফেরেশতা ও নবীগনকে নিজেদের পালনকর্তা সাব্যস্ত করে নাও। তোমাদের মুসলমান হবার পর তারা কি তোমাদেরকে কুফরী শেখাবে? 81. আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ থেকে অস্বীকার গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম। 82. অতঃপর যে লোক এই ওয়াদা থেকে ফিরে দাঁড়াবে, সেই হবে নাফরমান। 83. তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে? আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তাঁরই অনুগত হবে এবং তাঁর দিকেই ফিরে যাবে। 84. বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত। 85. যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত। 86. কেমন করে আল্লাহ এমন জাতিকে হেদায়েত দান করবেন, যারা ঈমান আনার পর এবং রসূলকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর এবং তাদের নিকট প্রমাণ এসে যাওয়ার পর কাফের হয়েছে। আর আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না। 87. এমন লোকের শাস্তি হলো আল্লাহ, ফেরেশতাগণ এবং মানুষ সকলেরই অভিসম্পাত। 88. সর্বক্ষণই তারা তাতে থাকবে। তাদের আযাব হালকাও হবে না এবং তার এত অবকাশও পাবে না। 89. কিন্তু যারা অতঃপর তওবা করে নেবে এবং সৎকাজ করবে তারা ব্যতীত, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালূ। 90. যারা ঈমান আনার পর অস্বীকার করেছে এবং অস্বীকৃতিতে বৃদ্ধি ঘটেছে, কস্মিণকালেও তাদের তওবা কবুল করা হবে না। আর তারা হলো গোমরাহ। 91. যদি সারা পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণও তার পরিবর্তে দেয়া হয়, তবুও যারা কাফের হয়েছে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তওবা কবুল করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব! পক্ষান্তরে তাদের কোনই সাহায্যকারী নেই। 92. কস্মিণকালেও কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যদি তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে তোমরা ব্যয় না কর। আর তোমরা যদি কিছু ব্যয় করবে আল্লাহ তা জানেন। 93. তওরাত নাযিল হওয়ার পূর্বে ইয়াকুব যেগুলো নিজেদের জন্য হারাম করে নিয়েছিলেন, সেগুলো ব্যতীত সমস্ত আহার্য বস্তুই বনী-ইসরায়ীলদের জন্য হালাল ছিল। তুমি বলে দাও, তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাক। তাহলে তওরাত নিয়ে এসো এবং তা পাঠ কর। 94. অতঃপর আল্লাহর প্রতি যারা মিথ্যা আরোপ করেছে, তারাই যালেম সীমালংঘনকারী। 95. বল, ‘আল্লাহ সত্য বলেছেন। এখন সবাই ইব্রাহীমের ধর্মের অনুগত হয়ে যাও, যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ ভাবে সত্যধর্মের অনুসারী। তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। 96. নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়। 97. এতে রয়েছে মকামে ইব্রাহীমের মত প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে, লোক এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থø রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার। আর যে লোক তা মানে না। আল্লাহ সারা বিশ্বের কোন কিছুরই পরোয়া করেন না। 98. বলুন, হে আহলে কিতাবগণ, কেন তোমরা আল্লাহর কিতাব অমান্য করছো, অথচ তোমরা যা কিছু কর, তা আল্লাহর সামনেই রয়েছে। 99. বলুন, হে আহলে কিতাবগণ! কেন তোমরা আল্লাহর পথে ঈমানদারদিগকে বাধা দান কর-তোমরা তাদের দ্বীনের মধ্যে বক্রতা অনুপ্রবেশ করানোর পন্থা অনুসন্ধান কর, অথচ তোমরা এ পথের সত্যতা প্রত্যক্ষ করছ। বস্তুতঃ আল্লাহ তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অনবগত নন। 100. হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আহলে কিতাবদের কোন ফেরকার কথা মান, তাহলে ঈমান আনার পর তারা তোমাদিগকে কাফেরে পরিণত করে দেবে। 101. আর তোমরা কেমন করে কাফের হতে পার, অথচ তোমাদের সামনে পাঠ করা হয় আল্লাহর আয়াত সমূহ এবং তোমাদের মধ্যে রয়েছেন আল্লাহর রসূল। আর যারা আল্লাহর কথা দৃঢ়ভাবে ধরবে, তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হবে সরল পথের। 102. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। 103. আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার। 104. আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম। 105. আর তাদের মত হয়ো না, যারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং নিদর্শন সমূহ আসার পরও বিরোধিতা করতে শুরু করেছে- তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর আযাব। 106. সেদিন কোন কোন মুখ উজ্জ্বল হবে, আর কোন কোন মুখ হবে কালো। বস্তুতঃ যাদের মুখ কালো হবে, তাদের বলা হবে, তোমরা কি ঈমান আনার পর কাফের হয়ে গিয়েছিলে? এবার সে কুফরীর বিনিময়ে আযাবের আস্বাদ গ্রহণ কর। 107. আর যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে, তারা থাকবে রহমতের মাঝে। তাতে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। 108. এগুলো হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ, যা তোমাদিগকে যথাযথ পাঠ করে শুনানো হচ্ছে। আর আল্লাহ বিশ্ব জাহানের প্রতি উৎপীড়ন করতে চান না। 109. আর যা কিছু আসমান ও যমীনে রয়েছে সে সবই আল্লাহর এবং আল্লাহর প্রতিই সব কিছু প্রত্যাবর্তনশীল। 110. তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী। 111. যৎসামান্য কষ্ট দেয়া ছাড়া তারা তোমাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি তারা তোমাদের সাথে লড়াই করে, তাহলে তারা পশ্চাদপসরণ করবে। অতঃপর তাদের সাহায্য করা হবে না। 112. আল্লাহর প্রতিশ্রুতি কিংবা মানুষের প্রতিশ্রুতি ব্যতিত ওরা যেখানেই অবস্থান করেছে সেখানেই তাদের ওপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ওরা উপার্জন করেছে আল্লাহর গযব। ওদের উপর চাপানো হয়েছে গলগ্রহতা। তা এজন্যে যে, ওরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অনবরত অস্বীকার করেছে এবং নবীগনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। তার কারণ, ওরা নাফরমানী করেছে এবং সীমা লংঘন করেছে। 113. তারা সবাই সমান নয়। আহলে কিতাবদের মধ্যে কিছু লোক এমনও আছে যারা অবিচলভাবে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে এবং রাতের গভীরে তারা সেজদা করে। 114. তারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে এবং কল্যাণকর বিষয়ের নির্দেশ দেয়; অকল্যাণ থেকে বারণ করে এবং সৎকাজের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে থাকে। আর এরাই হল সৎকর্মশীল 115. তারা যেসব সৎকাজ করবে, কোন অবস্থাতেই সেগুলোর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হবে না। আর আল্লাহ পরহেযগারদের বিষয়ে অবগত। 116. নিশ্চয় যারা কাফের হয়, তাদের ধন সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি আল্লাহর সামনে কখনও কোন কাজে আসবে না। আর তারাই হলো দোযখের আগুনের অধিবাসী। তারা সে আগুনে চিরকাল থাকবে। 117. এ দুনিয়ার জীবনে যা কিছু ব্যয় করা হয়, তার তুলনা হলো ঝড়ো হাওয়ার মতো, যাতে রয়েছে তুষারের শৈত্য, যা সে জাতির শস্যক্ষেত্রে গিয়ে লেগেছে যারা নিজের জন্য মন্দ করেছে। অতঃপর সেগুলোকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের উপর কোন অন্যায় করেননি, কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের উপর অত্যাচার করছিল। 118. হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না- তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। 119. দেখ! তোমরাই তাদের ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। আর তোমরা সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস কর। অথচ তারা যখন তোমাদের সাথে এসে মিশে, বলে, আমরা ঈমান এনেছি। পক্ষান্তরে তারা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন তোমাদের উপর রোষবশতঃ আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা আক্রোশে মরতে থাক। আর আল্লাহ মনের কথা ভালই জানেন। 120. তোমাদের যদি কোন মঙ্গল হয়; তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে আনন্দিত হয় আর তাতে যদি তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের কোনই ক্ষতি হবে না। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে সে সমস্তই আল্লাহর আয়ত্তে রয়েছে। 121. আর আপনি যখন পরিজনদের কাছ থেকে সকাল বেলা বেরিয়ে গিয়ে মুমিনগণকে যুদ্ধের অবস্থানে বিন্যস্ত করলেন, আর আল্লাহ সব বিষয়েই শোনেন এবং জানেন। 122. যখন তোমাদের দুটি দল সাহস হারাবার উপক্রম হলো, অথচ আল্লাহ তাদের সাহায্যকারী ছিলেন, আর আল্লাহর উপরই ভরসা করা মুমিনদের উচিত। 123. বস্তুতঃ আল্লাহ বদরের যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। কাজেই আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো। 124. আপনি যখন বলতে লাগলেন মুমিনগণকে-তোমাদের জন্য কি যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের সাহায্যার্থে তোমাদের পালনকর্তা আসমান থেকে অবতীর্ণ তিন হাজার ফেরেশতা পাঠাবেন। 125. হ্যাঁ, অবশ্য তোমরা যদি সবর কর এবং বিরত থাক আর তারা যদি তখনই তোমাদের উপর চড়াও হয়, তাহলে তোমাদের পালনকর্তা চিহিßত ঘোড়ার উপর পাঁচ হাজার ফেরেশতা তোমাদের সাহায্যে পাঠাতে পারেন। 126. বস্তুতঃ এটা তো আল্লাহ তোমাদের সুসংবাদ দান করলেন, যাতে তোমাদের মনে এতে সান্ত্বনা আসতে পারে। আর সাহায্য শুধুমাত্র পরাক্রান্ত, মহাজ্ঞানী আল্লাহরই পক্ষ থেকে, 127. যাতে ধবংস করে দেন কোন কোন কাফেরকে অথবা লাঞ্ছিত করে দেন-যেন ওরা বঞ্চিত হয়ে ফিরে যায়। 128. হয় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন কিংবা তাদেরকে আযাব দেবেন। এ ব্যাপারে আপনার কোন করণীয় নাই। কারণ তারা রয়েছে অন্যায়ের উপর। 129. আর যা কিছু আসমান ও যমীনে রয়েছে, সেসবই আল্লাহর। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন, যাকে ইচ্ছা আযাব দান করবেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী, করুণাময়। 130. হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। 131. এবং তোমরা সে আগুন থেকে বেঁচে থাক, যা কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। 132. আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়। 133. তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও যমীন, যা তৈরী করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য। 134. যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। 135. তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না। 136. তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান। 137. তোমাদের আগে অতীত হয়েছে অনেক ধরনের জীবনাচরণ। তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তাদের পরিণতি কি হয়েছে। 138. এই হলো মানুষের জন্য বর্ণনা। আর যারা ভয় করে তাদের জন্য উপদেশবাণী। 139. আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে। 140. তোমরা যদি আহত হয়ে থাক, তবে তারাও তো তেমনি আহত হয়েছে। আর এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি। এভাবে আল্লাহ জানতে চান কারা ঈমানদার আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। 141. আর এ কারণে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে পাক-সাফ করতে চান এবং কাফেরদেরকে ধবংস করে দিতে চান। 142. তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল। 143. আর তোমরা তো মৃত্যু আসার আগেই মরণ কামনা করতে, কাজেই এখন তো তোমরা তা চোখের সামনে উপস্থিত দেখতে পাচ্ছ। 144. আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন। 145. আর আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ মরতে পারে না-সেজন্য একটা সময় নির্ধারিত রয়েছে। বস্তুতঃ যে লোক দুনিয়ায় বিনিময় কামনা করবে, আমি তাকে তা দুনিয়াতেই দান করব। পক্ষান্তরে-যে লোক আখেরাতে বিনিময় কামনা করবে, তা থেকে আমি তাকে তাই দেবো। আর যারা কৃতজ্ঞ তাদেরকে আমি প্রতিদান দেবো 146. আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। 147. তারা আর কিছুই বলেনি-শুধু বলেছে, হে আমাদের পালনকর্তা! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ় রাখ এবং কাফেরদের উপর আমাদিগকে সাহায্য কর। 148. অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার সওয়াব দান করেছেন এবং যথার্থ আখেরাতের সওয়াব। আর যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। 149. হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি কাফেরদের কথা শোন, তাহলে ওরা তোমাদেরকে পেছনে ফিরিয়ে দেবে, তাতে তোমরা ক্ষতির সম্মুখীণ হয়ে পড়বে। 150. বরং আল্লাহ তোমাদের সাহায্যকারী, আর তাঁর সাহায্যই হচ্ছে উত্তম সাহায্য। 151. খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো। কারণ, ওরা আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে যে সম্পর্কে কোন সনদ অবতীর্ণ করা হয়নি। আর ওদের ঠিকানা হলো দোযখের আগুন। বস্তুতঃ জালেমদের ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট। 152. আর আল্লাহ সে ওয়াদাকে সত্যে পরিণত করেছেন, যখন তোমরা তাঁরই নির্দেশে ওদের খতম করছিলে। এমনকি যখন তোমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে ও কর্তব্য স্থির করার ব্যাপারে বিবাদে লিপ্ত হয়েছে। আর যা তোমরা চাইতে তা দেখার পর কৃতঘ্নতা প্রদর্শন করেছ, তাতে তোমাদের কারো কাম্য ছিল দুনিয়া আর কারো বা কাম্য ছিল আখেরাত। অতঃপর তোমাদিগকে সরিয়ে দিলেন ওদের উপর থেকে যাতে তোমাদিগকে পরীক্ষা করেন। বস্তুতঃ তিনি তোমাদিগকে ক্ষমা করেছেন। আর আল্লাহর মুমিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল। 153. আর তোমরা উপরে উঠে যাচ্ছিলে এবং পেছন দিকে ফিরে তাকাচ্ছিলে না কারো প্রতি, অথচ রসূল ডাকছিলেন তোমাদিগকে তোমাদের পেছন দিক থেকে। অতঃপর তোমাদের উপর এলো শোকের ওপরে শোক, যাতে তোমরা হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া বস্তুর জন্য দুঃখ না কর এবং যার সম্মুখীণ হচ্ছ সেজন্য বিমর্ষ না হও। আর আল্লাহ তোমাদের কাজের ব্যাপারে অবহিত রয়েছেন। 154. অতঃপর তোমাদের উপর শোকের পর শান্তি অবতীর্ণ করলেন, যা ছিল তন্দ্রার মত। সে তন্দ্রায় তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ ঝিমোচ্ছিল আর কেউ কেউ প্রাণের ভয়ে ভাবছিল। আল্লাহ সম্পর্কে তাদের মিথ্যা ধারণা হচ্ছিল মুর্খদের মত। তারা বলছিল আমাদের হাতে কি কিছুই করার নেই? তুমি বল, সবকিছুই আল্লাহর হাতে। তারা যা কিছু মনে লুকিয়ে রাখে-তোমার নিকট প্রকাশ করে না সে সবও। তারা বলে আমাদের হাতে যদি কিছু করার থাকতো, তাহলে আমরা এখানে নিহত হতাম না। তুমি বল, তোমরা যদি নিজেদের ঘরেও থাকতে তবুও তারা অবশ্যই বেরিয়ে আসত নিজেদের অবস্থান থেকে যাদের মৃত্যু লিখে দেয়া হয়েছে। তোমাদের বুকে যা রয়েছে তার পরীক্ষা করা ছিল আল্লাহর ইচ্ছা, আর তোমাদের অন্তরে যা কিছু রয়েছে তা পরিষ্কার করা ছিল তাঁর কাম্য। আল্লাহ মনের গোপন বিষয় জানেন। 155. তোমাদের যে দুটি দল লড়াইয়ের দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শয়তান তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছিল, তাদেরই পাপের দরুন। কিন্তু ইতিমধ্যে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেছে. প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ ক্ষমাশীল ও ধৈর্যশীল. 156. হে ঈমাণদারগণ! তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা কাফের হয়েছে এবং নিজেদের ভাই বন্ধুরা যখন কোন অভিযানে বের হয় কিংবা জেহাদে যায়, তখন তাদের সম্পর্কে বলে, তারা যদি আমাদের সাথে থাকতো, তাহলে মরতোও না আহতও হতো না। যাতে তারা এ ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মনে অনুতাপ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ আল্লাহই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। তোমাদের সমস্ত কাজই, তোমরা যা কিছুই কর না কেন, আল্লাহ সবকিছুৃই দেখেন। 157. আর তোমরা যদি আল্লাহর পথে নিহত হও কিংবা মৃত্যুবরণ কর, তোমরা যা কিছু সংগ্রহ করে থাক আল্লাহ তা’আলার ক্ষমা ও করুণা সে সবকিছুর চেয়ে উত্তম। 158. আর তোমরা মৃত্যুই বরণ কর অথবা নিহতই হও, অবশ্য আল্লাহ তা’আলার সামনেই সমবেত হবে। 159. আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের পরামর্শ করুন। অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। 160. যদি আল্লাহ তোমাদের সহায়তা করেন, তাহলে কেউ তোমাদের উপর পরাক্রান্ত হতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের সাহায্য না করেন, তবে এমন কে আছে, যে তোমাদের সাহায্য করতে পারে? আর আল্লাহর ওপরই মুসলমানগনের ভরসা করা উচিত। 161. আর কোন বিষয় গোপন করে রাখা নবীর কাজ নয়। আর যে লোক গোপন করবে সে কিয়ামতের দিন সেই গোপন বস্তু নিয়ে আসবে। অতঃপর পরিপূর্ণভাবে পাবে প্রত্যেকে, যা সে অর্জন করেছে। আর তাদের প্রতি কোন অন্যায় করা হবে না। 162. যে লোক আল্লাহর ইচ্ছার অনুগত, সে কি ঐ লোকের সমান হতে পারে, যে আল্লাহর রোষ অর্জন করেছে? বস্তুতঃ তার ঠিকানা হল দোযখ। আর তা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান! 163. আল্লাহর নিকট মানুষের মর্যাদা বিভিন্ন স্তরের আর আল্লাহ দেখেন যা কিছু তারা করে। 164. আল্লাহ ঈমানদারদের উপর অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়েছেন। তিনি তাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে পরিশোধন করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। বস্তুতঃ তারা ছিল পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট। 165. যখন তোমাদের উপর একটি মুসীবত এসে পৌছাল, অথচ তোমরা তার পূর্বেই দ্বিগুণ কষ্টে পৌছে গিয়েছ, তখন কি তোমরা বলবে, এটা কোথা থেকে এল? তাহলে বলে দাও, এ কষ্ট তোমাদের উপর পৌছেছে তোমারই পক্ষ থেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ের উপর ক্ষমতাশীল। 166. আর যেদিন দু’দল সৈন্যের মোকাবিলা হয়েছে; সেদিন তোমাদের উপর যা আপতিত হয়েছে তা আল্লাহর হুকুমেই হয়েছে এবং তা এজন্য যে, তাতে ঈমানদারদিগকে জানা যায়। 167. এবং তাদেরকে যাতে সনাক্ত করা যায় যারা মুনাফিক ছিল। আর তাদেরকে বলা হল এসো, আল্লাহর রাহে লড়াই কর কিংবা শত্রুদিগকে প্রতিহত কর। তারা বলেছিল, আমরা যদি জানতাম যে, লড়াই হবে, তাহলে অবশ্যই তোমাদের সাথে থাকতাম। সে দিন তারা ঈমানের তুলনায় কুফরীর কাছাকাছি ছিল। যা তাদের অন্তরে নেই তারা নিজের মুখে সে কথাই বলে বস্তুতঃআল্লাহ ভালভাবে জানেন তারা যা কিছু গোপন করে থাকে। 168. ওরা হলো যে সব লোক, যারা বসে থেকে নিজেদের ভাইদের সম্বদ্ধে বলে, যদি তারা আমাদের কথা শুনত, তবে নিহত হত না। তাদেরকে বলে দিন, এবার তোমাদের নিজেদের উপর থেকে মৃত্যুকে সরিয়ে দাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক। 169. আর যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত। 170. আল্লাহ নিজের অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন তার প্রেক্ষিতে তারা আনন্দ উদযাপন করছে। আর যারা এখনও তাদের কাছে এসে পৌঁছেনি তাদের পেছনে তাদের জন্যে আনন্দ প্রকাশ করে। কারণ, তাদের কোন ভয় ভীতিও নেই এবং কোন চিন্তা ভাবনাও নেই। 171. আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহের জন্যে তারা আনন্দ প্রকাশ করে এবং তা এভাবে যে, আল্লাহ, ঈমানদারদের শ্রমফল বিনষ্ট করেন না। 172. যারা আহত হয়ে পড়ার পরেও আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য করেছে, তাদের মধ্যে যারা সৎ ও পরহেযগার, তাদের জন্য রয়েছে মহান সওয়াব। 173. যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে, তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য লোকেরা সমাবেশ করেছে বহু সাজ-সরঞ্জাম; তাদের ভয় কর। তখন তাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ়তর হয়ে যায় এবং তারা বলে, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট; কতই না চমৎকার কামিয়াবীদানকারী। 174. অতঃপর ফিরে এল মুসলমানরা আল্লাহর অনুগ্রহ নিয়ে, তদের কিছুই অনিষ্ট হলো না। তারপর তারা আল্লাহর ইচ্ছার অনুগত হল। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অতি বিরাট। 175. এরা যে রয়েছে, এরাই হলে শয়তান, এরা নিজেদের বন্ধুদের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করে। সুতরাং তোমরা তাদের ভয় করো না। আর তোমরা যদি ঈমানদার হয়ে থাক, তবে আমাকে ভয় কর। 176. আর যারা কুফরের দিকে ধাবিত হচ্ছে তারা যেন তোমাদিগকে চিন্তাম্বিত করে না তোলে। তারা আল্লাহ তা’আলার কোন কিছুই অনিষ্ট সাধন করতে পারবে না। আখেরাতে তাদেরকে কোন কল্যাণ দান না করাই আল্লাহর ইচ্ছা। বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে মহা শাস্তি। 177. যারা ঈমানের পরিবর্তে কুফর ক্রয় করে নিয়েছে, তারা আল্লাহ তা’আলার কিছুই ক্ষতিসাধন করতে পারবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। 178. কাফেররা যেন মনে না করে যে আমি যে, অবকাশ দান করি, তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। আমি তো তাদেরকে অবকাশ দেই যাতে করে তারা পাপে উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাজনক শাস্তি। 179. নাপাককে পাক থেকে পৃথক করে দেয়া পর্যন্ত আল্লাহ এমন নন যে, ঈমানদারগণকে সে অবস্থাতেই রাখবেন যাতে তোমরা রয়েছ, আর আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদিগকে গায়বের সংবাদ দেবেন। কিন্তু আল্লাহ স্বীয় রসূল গণের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বাছাই করে নিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর ওপর এবং তাঁর রসূলগণের ওপর তোমরা প্রত্যয় স্থাপন কর। বস্তুতঃ তোমরা যদি বিশ্বাস ও পরহেযগারীর ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে থাক, তবে তোমাদের জন্যে রয়েছে বিরাট প্রতিদান। 180. আল্লাহ তাদেরকে নিজের অনুগ্রহে যা দান করেছেন তাতে যারা কৃপণতা করে এই কার্পন্য তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেন ধারণা না করে। বরং এটা তাদের পক্ষে একান্তই ক্ষতিকর প্রতিপন্ন হবে। যাতে তারা কার্পন্য করে সে সমস্ত ধন-সম্পদকে কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী বানিয়ে পরানো হবে। আর আল্লাহ হচ্ছেন আসমান ও যমীনের পরম সত্ত্বাধিকারী। আর যা কিছু তোমরা কর; আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন। 181. নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন, যারা বলেছে যে, আল্লাহ হচ্ছেন অভাবগ্রস্ত আর আমরা বিত্তবান! এখন আমি তাদের কথা এবং যেসব নবীকে তারা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে তা লিখে রাখব, অতঃপর বলব, আস্বাদন কর জ্বলন্ত আগুনের আযাব। 182. এ হল তারই প্রতিফল যা তোমরা ইতিপূর্বে নিজের হাতে পাঠিয়েছ। বস্তুতঃ আল্লাহ বান্দাদের প্রতি অত্যাচার করেন না। 183. সে সমস্ত লোক, যারা বলে যে, আল্লাহ আমাদিগকে এমন কোন রসূলের ওপর বিশ্বাস না করতে বলে রেখেছেন যতক্ষণ না তারা আমাদের নিকট এমন কোরবানী নিয়ে আসবেন যাকে আগুন গ্রাস করে নেবে। তুমি তাদের বলে দাও, তোমাদের মাঝে আমার পূর্বে বহু রসূল নিদর্শনসমূহ এবং তোমরা যা আব্দার করেছ তা নিয়ে এসেছিলেন, তখন তোমরা কেন তাদেরকে হত্যা করলে যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক। 184. তাছাড়া এরা যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে তোমার পূর্বেও এরা এমন বহু নবীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে, যারা নিদর্শন সমূহ নিয়ে এসেছিলেন। এবং এনেছিলেন সহীফা ও প্রদীপ্ত গ্রন্থ। 185. প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়। 186. অবশ্য ধন-সম্পদে এবং জনসম্পদে তোমাদের পরীক্ষা হবে এবং অবশ্য তোমরা শুনবে পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদের কাছে এবং মুশরেকদের কাছে বহু অশোভন উক্তি। আর যদি তোমরা ধৈর্য্য ধারণ কর এবং পরহেযগারী অবলম্বন কর, তবে তা হবে একান্ত সৎসাহসের ব্যাপার। 187. আর আল্লাহ যখন আহলে কিতাবদের কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করলেন যে, তা মানুষের নিকট বর্ণনা করবে এবং গোপন করবে না, তখন তারা সে প্রতিজ্ঞাকে নিজেদের পেছনে ফেলে রাখল আর তার কেনা-বেচা করল সামান্য মূল্যের বিনিময়ে। সুতরাং কতই না মন্দ তাদের এ বেচা-কেনা। 188. তুমি মনে করো না, যারা নিজেদের কৃতকর্মের উপর আনন্দিত হয় এবং না করা বিষয়ের জন্য প্রশংসা কামনা করে, তারা আমার নিকট থেকে অব্যাহতি লাভ করেছে। বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। 189. আর আল্লাহর জন্যই হল আসমান ও যমিনের বাদশাহী। আল্লাহই সর্ব বিষয়ে ক্ষমতার অধিকারী। 190. নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে। 191. যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও। 192. হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় তুমি যাকে দোযখে নিক্ষেপ করলে তাকে সবসময়ে অপমানিত করলে; আর জালেমদের জন্যে তো সাহায্যকারী নেই। 193. হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন; তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে। 194. হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রসূলগণের মাধ্যমে এবং কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না। 195. অতঃপর তাদের পালনকর্তা তাদের দোয়া (এই বলে) কবুল করে নিলেন যে, আমি তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর পরিশ্রমই বিনষ্ট করি না, তা সে পুরুষ হোক কিংবা স্ত্রীলোক। তোমরা পরস্পর এক। তারপর সে সমস্ত লোক যারা হিজরত করেছে, তাদেরকে নিজেদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের প্রতি উৎপীড়ন করা হয়েছে আমার পথে এবং যারা লড়াই করেছে ও মৃত্যুবরণ করেছে, অবশ্যই আমি তাদের উপর থেকে অকল্যাণকে অপসারিত করব। এবং তাদেরকে প্রবিষ্ট করব জান্নাতে যার তলদেশে নহর সমূহ প্রবাহিত। এই হলো বিনিময় আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর আল্লাহর নিকট রয়েছে উত্তম বিনিময়। 196. নগরীতে কাফেরদের চাল-চলন যেন তোমাদিগকে ধোঁকা না দেয়। 197. এটা হলো সামান্য ফায়দা-এরপর তাদের ঠিকানা হবে দোযখ। আর সেটি হলো অতি নিকৃষ্ট অবস্থান। 198. কিন্তু যারা ভয় করে নিজেদের পালনকর্তাকে তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে প্রস্রবণ। তাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সদা আপ্যায়ন চলতে থাকবে। আর যা আল্লাহর নিকট রয়েছে, তা সৎকর্মশীলদের জন্যে একান্তই উত্তম। 199. আর আহলে কিতাবদের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে, যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনে এবং যা কিছু তোমার উপর অবতীর্ণ হয় আর যা কিছু তাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে সেগুলোর উপর, আল্লাহর সামনে বিনয়াবনত থাকে এবং আল্লার আয়াতসমুহকে স্বল্পমুল্যের বিনিময়ে সওদা করে না, তারাই হলো সে লোক যাদের জন্য পারিশ্রমিক রয়েছে তাদের পালনকর্তার নিকট। নিশ্চয়ই আল্লাহ যথাশীঘ্র হিসাব চুকিয়ে দেন। 200. হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার।

No comments:

Post a Comment

Translate