1: ইমাম যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭৪৮) বলেন:
وَلَوْ أَنَّ كُلَّ مَنْ أَخْطَأَ فِي اجْتِهَادِهِ – مَعَ صِحَّةِ إِيْمَانِهِ، وَتَوَخِّيْهِ لاتِّبَاعِ الحَقِّ – أَهْدَرْنَاهُ، وَبَدَّعنَاهُ، لَقَلَّ مَنْ يَسلَمُ مِنَ الأَئِمَّةِ مَعَنَا، رَحِمَ اللهُ الجَمِيْعَ بِمَنِّهِ وَكَرَمِهِ.”
“যদি আমরা এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে যিনি সঠিক আকীদা ও সত্য অনুসরণের আন্তরিক চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও ইজতিহাদে ভুল করেছেন তাদেরকে বাতিল বলে দিতাম বা বিদআতী বলতাম, তাহলে আমাদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক আলেমই এর থেকে নিরাপদ থাকবেন।আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহ ও দয়া দ্বারা সবাইকে রহমত দান করুন।”(সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা; খণ্ড: ১৪; পৃষ্ঠা: ৩৭৬)
2: ইমাম যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭৪৮) বলেন:
وإذا رأيت المتكلم المبتدع يقول: دعنا من الكتاب والأحاديث الآحاد وهات العقل، فاعلم أنه أبو جهل، وإذا رأيت السالك التوحيدي يقول: دعنا من النقل ومن العقل، وهات الذوق والوجد، فاعلم أنه إبليس قد ظهر بصورة بشر، أو قد حل فيه، فإن جبنت منه، فاهرب، وإلا فاصرعه، وابرك على صدره، واقرأ عليه آية الكرسي، واخنقه
ينبغي للعالم أن يتكلم بنية وحسن قصد ، فإن أعجبه كلامه فليصمت ، وإن أعجبه الصمت فلينطق ، ولا يفتر عن محاسبة نفسه فإنها تحب الظهور والثناء .
إِذَا أَخْطَأَ إِمَامٌ فِي اجْتِهَادِهِ لاَ يَنْبَغِي لَنَا أَنْ ننسَى مَحَاسِنهُ وَنُغطِي معَارِفه بَلْ نستغفرُ لَهُ وَنَعْتَذِرُ عَنْهُ
“ইমাম যদি কোন ইজতিহাদের ক্ষেত্রে ভুল করেন, তবে আমাদের জন্য তার কল্যাণময় দিকগুলি ভুলে যাওয়া এবং তার জ্ঞানবত্তা (পাণ্ডিত্য) কে ঢেকে দেওয়া উচিৎ হবে না। বরং আমরা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব এবং তার পক্ষ থেকে ওযর পেশ করব”। (যাহাবী;সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা; খণ্ড: ১৮; পৃষ্ঠা: ১৫৭)। আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী
5: যারা আলেমদের ভুলের ব্যাপারে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে তাদেরকে ইমাম আল-হা’ফিয শামসুদ্দিন আয-যাহাবী (রহি’মাহুল্লাহ) উপদেশ দিয়ে বলেছেন,
فلو أننا أهدرنا كل عالم زل لما سلم معنا إلا القليل، فلا تحط يا أخي على العلماء مطلقا ولا تبالغ في تقريظهم مطلقا واسأل الله أن يتوفاك على التوحيد
“আমরা যদি আলেমদের ভুলের কারণে তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দেই, তাহলে খুব কম আলেমই বাকী থাকবে।সুতরাং প্রিয় ভাই আমার! আলেমদের (ভুলের কারণে) তাদের সমালোচনার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না, আবার তাদের প্রশংসার ব্যাপারে অতিরঞ্জন করো না। আল্লাহর কাছে দুয়া করো, তোমার মৃত্যুটা যেন তাওহীদের উপরে হয়।”(তারিখুল ইসলাম: ৩০/২৫৬)
6: ইমাম যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭৪৮) বলেন:
“ثم إن الكبير من أئمة العلم إذا كثر صوابه وعُلم تحريه للحق واتسع علمه وظهر ذكاؤه وعرف صلاحه وورعه واتباعه يغفر له زلله ولا نضلله ونطرحه وننسى محاسنه؛ نعم ولا نقتدي به في بدعته وخطئه ونرجو له التوبة من ذلك”
“অতঃপর যদি বড় কোন আলেম যার ভুলের চেয়ে সঠিক বেশি এবং জানা যায় যে,তিনি সত্য অনুসন্ধানে কঠোর, তার জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত, তার বিচক্ষণতা, সততা ও পরহেজগারিতা সুবিদিত- এমতবস্থায় তার কোন ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা হবে। আমরা তাকে পথভ্রষ্ট বলব না বা বয়কট করব না এবং তার সৎকর্মগুলোও ভুলে যাব না। তবে হ্যাঁ, আমরা তার বিদআত বা ভুলের অনুসরণ করব না এবং প্রত্যাশা করব যে, তিনি সেগুলো থেকে তাওবা করবেন”।(যাহাবী;সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা; খণ্ড: ৫; পৃষ্ঠা: ২৭১)
No comments:
Post a Comment