Wednesday, September 3, 2025

ইমাম ফুদ্বাইল বিন ইয়াদ্ব রাহিমাহুল্লাহ এর কিছু নাসীহাহ

 1: প্রখ্যাত তাবি‘ তাবি‘ঈ, আহলুস সুন্নাহ’র শ্রেষ্ঠ ‘আলিম, শাইখুল ইসলাম, ইমাম ফুদ্বাইল বিন ‘ইয়াদ্ব (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৮৭ হি.] বলেছেন,

الزمْ طريقَ الهدَى ، ولا يضرُّكَ قلَّةُ السالكين ، وإياك وطرقَ الضلالة ، ولا تغترَّ بكثرة الهالكين ”

“তুমি হেদায়াতের (সঠিক পথের) ওপর অটল থেকো, এতে যদি পথচারীর সংখ্যা কমও হয়,তবুও তা তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।আর তুমি গোমরাহির (বিভ্রান্তির) পথ থেকে সতর্ক থাকো,যদিও সেই পথে চলার লোক অনেক হয়,তবুও সংখ্যার মোহে পড়ে ধোঁকা খেয়ো না।”(ইমাম নববী; আল মাজমু: পৃষ্ঠা: ২২১; ইমাম শাতিবী; আল-ই’তিসাম খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৮৩)

2: প্রখ্যাত তাবি‘ তাবি‘ঈ, আহলুস সুন্নাহ’র অন্যতম শ্রেষ্ঠ ‘আলিম, শাইখুল ইসলাম, ইমাম ফুদ্বাইল বিন ‘ইয়াদ্ব (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৮৭ হি.] বলেছেন:

إذا كان يُسأل الصادقين عن صدقهم، مثل إسماعيل وعيسى عليهما السلام فكيف بالكاذبين أمثالنا ؟!!

“(বিচার দিবসে) যদি ইসমাঈল ও ঈসা (আলাইহিমাস সালাম) এর মতো সত্যবাদীদেরই তাঁদের (ঈমানের) সত্যবাদিতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়,তাহলে আমাদের মতো মিথ্যাবাদীদের কী অবস্থা হবে?!!” (মুনতালাকাতু তালিবিল ইলম: খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৩৫)
.
3: ইমাম ফুদ্বাইল বিন ‘ইয়াদ্ব (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৮৭ হি.] বলেন,

الْمُؤْمِنُ يَسْتُرُ وَيَنْصَحُ، وَالْفَاجِرُ يَهْتِكُ وَيُعَيِّرُ

“মুমিন (কারো দোষ দেখলে তা) গোপন করে এবং তাকে (গোপনে) নসীহত করে। আর পাপী ব্যক্তি (দোষ গোপন না করে তাকে) অপমান ও (জনসম্মুখে) লজ্জিত করে”।(ইবনু রজব হাম্বলী, জামে‘উল ‘উলূম ওয়াল হিকাম: ১/২২৫)।

4: ফুযাইল ইবনু ‘ইয়ায (রাহিমাহুল্লাহ) (জন্ম: ১০৭ মৃত্যু: ১৮৭ হি.) বলেন,

مَنْ أَحَبَّ صَاحِبَ بِدْعَةٍ أَحْبَطَ اللهُ عَمَلَهُ وَأَخْرَجَ نُوْرَ الْإِسْلَامِ مِنْ قَلْبِهِ، وَمَنْ زَوَّجَ كَرِيْمَتَهُ مِنْ مُبْتَدِعٍ فَقَدْ قَطَعَ رَحِمَهَا، وَمَنْ جَلَسَ مَعَ صَاحِبِ بِدْعَةٍ لَمْ يُعْطَ الْحِكْمَةَ، وَإِذَا عَلِمَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ رَجُلٍ أَنَّهُ مُبْغِضٌ لِصَاحِبِ بِدْعَةٍ رَجَوْتُ أَنْ يَغْفِرَ اللهُ لَهُ.

যে ব্যক্তি বিদ‘আতীকে ভালোবাসে আল্লাহ তা‘আলা তার আমলকে ধ্বংস করে দেন এবং তার অন্তর থেকে ইসলামের জ্যোতিকে বের করে দেন। আর যে কোন বিদ‘আতীর কন্যাকে বিবাহ করে তার প্রতি রহম বা আল্লাহর দয়া কেটে যায়। যে বিদ‘আতীর সাথে উপবেশন করে তাকে হেকমত বা প্রজ্ঞা দান করা হয় না। আর আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন ব্যক্তির ব্যাপারে জানেন যে, সে বিদ‘আতীর সাথে বিদ্বেষপরায়ণ, আমি আশা করি আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন’।(আল-জামিঊ লি আহকামিল কুরআন, খন্ড: ৭; পৃষ্ঠা: ১৩)

No comments:

Post a Comment

Translate