1: জান্নাতে প্রবেশের প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে সহিহ আক্বীদার উপর মৃত্যুবরণ করা।
كل من اعتقد الاعتقاد الصحيح ، وأدى الواجبات ، وترك المحرمات – يدخل الجنة ، هذا اعتقاد أهل السنة ، فإنهم يجزمون بالنجاة لكل من اتقى الله ، كما نطق به القرآن” ا
فلا يسمى : “عاقلا” إلا : من عرف الخير فطلبه و الشر فتركه. ولهـذا قــال أصحــاب النــار : “لَو كُنَّا نَسمَعُ أَو نَعقِلُ مَا كُنَّا في أَصحَابِ السَّعِيرِ”
المؤمن اذا فعل سيئة فإن عقوبتها تندفع عنه بعشر أسباب هي ”
➊ أن يَتُوبَ فَيَتُوب اللَّهُ عَلَيهِ، فَإنَّ التَائِب مِنَ الذَنبِ كَمَن لا ذَنبَ لَه.
➋ أو يَستَغفِر، فَيُغفَرُ لَهُ.
➌ أو يَعمَل حَسنَاتٍ تَمحُوهَا، فَإنَّ الحَسنَاتِ يُذهِبنَّ السيئَات.
➍ أو يَدعُو لَهُ إخوَانُهُ المُؤمِنُونَ وَيستَغفِرُونَ لَهُ حَيًا ومَيتًا.
➎ أو يُهدُونَ لَهُ مِن ثَوَابِ أعمَالُهُم مَا يَنفَعُهُ اللَّه بِهِ.
❻ أو يَشفَعُ فِيهِ نَبِيِّهِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
❼ أو يَبتَلِيَهِ اللَّهُ تَعَالى فِي الدُّنيَا بِمَصا.ئِب تُكَفِرُ عَنهُ.
❽ أو يَبتَلِيَهُ فِي البَرزَخِ بِالصَعقَةِ فَيُكَفِرُ بِهَا عَنهُ.
❾ أو يَبتَلِيَهُ فِي عَرَصاتِ القِيَامَة مِن أهوَالِهَا بِما يُكَفِرُ عَنهُ.
❿ أو يَرحَمُهُ أرحَمُ الرَاحمِين.
🔹فَمن أخطَأتهُ هَذِهِ العَشرَةِ فَلا يَلُومَنَّ إلا نَفسَه.
➋ অথবা সে ইস্তেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করে, ফলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।
➌ অথবা সে সৎকর্ম করে, যা তার পাপকে মুছে দেয়। নিশ্চয়ই সৎকর্মসমূহ পাপকর্ম দূর করে দেয়।
➍ অথবা তার জন্য ঈমানদার ভাইয়েরা দোআ করে ও তার জন্য জীবিত অবস্থায় এবং মৃত্যুর পর ক্ষমা প্রার্থনা করে।
➎ অথবা তারা তাদের আমলের সওয়াব তার উদ্দেশ্যে পাঠায়, যার দ্বারা আল্লাহ তাকে উপকৃত করেন।
❻ অথবা তার জন্য তার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুপারিশ করবেন।
❼ অথবা আল্লাহ তা’আলা তাকে দুনিয়াতে বিপদ-আপদে পরীক্ষা দেন, যা তার পাপ মোচন করে।
❽ অথবা আল্লাহ তাকে কবরের জগত (বরযাখ)-এ কঠিন ধাক্কা দিয়ে পরীক্ষা নেন, ফলে তা দ্বারা তার গুনাহ মোচন হয়।
❾ অথবা কিয়ামতের ময়দানের ভয়াবহ অবস্থাগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাকে পরীক্ষা দেন, যার দ্বারা তার পাপ মোচিত হয়।
❿ অথবা সর্বাধিক দয়ালু আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন।
”وكثير من المنتسبين إلى العلم يبتلى بالكبر، كما يبتلى كثير من أهل العبادة بالشرك؛ ولهذا فإن آفة العلم الكبر، وآفة العبادة الرياء؛ وهؤلاء يحرمون حقيقة العلم”.
“অধিকাংশ জ্ঞানী ব্যক্তিরা অহংকারে আক্রান্ত যেমনভাবে অধিকাংশ আবেদ (ইবাদতকারীরা) শিরকে আক্রান্ত। তাই জ্ঞানের বিপদ হলো অহংকার আর ইবাদতের বিপদ হলো রিয়া (লৌকিকতা)। এই ব্যক্তিরাই প্রকৃত জ্ঞান থেকে বঞ্চিত (আর রদ্দু আলাশ শাযিলী পৃষ্ঠা: ২০৭)
5: শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন:
فَبَيَّنَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْحِرْصَ عَلَى الْمَالِ وَالشَّرَفِ فِي فَسَادِ الدِّينِ لَا يَنْقُصُ عَنْ فَسَادِ الذِّئْبَيْنِ الْجَائِعَيْنِ لِزَرِيبَةِ الْغَنَمِ وَذَلِكَ بَيِّنٌ ؛ فَإِنَّ الدِّينَ السَّلِيمَ لَا يَكُونُ فِيهِ هَذَا الْحِرْصُ وَذَلِكَ أَنَّ الْقَلْبَ إذَا ذَاقَ حَلَاوَةَ عُبُودِيَّتِهِ لِلَّهِ وَمَحَبَّتِهِ لَهُ لَمْ يَكُنْ شَيْءٌ أَحَبَّ إلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى يُقَدِّمَهُ عَلَيْهِ وَبِذَلِكَ يُصْرَفُ عَنْ أَهْلِ الْإِخْلَاصِ لِلَّهِ السُّوءُ وَالْفَحْشَاءُ ”
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্পষ্ট করে বলেছেন যে, সম্পদ ও খ্যাতির লোভ ধর্মের জন্য ঠিক ততটাই বিধ্বংসী,যতটা দুটি ক্ষুধার্ত নেকড়ে যদি কোনো নিরীহ ভেড়ার পালের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। এটি স্পষ্ট, কারণ খাঁটি ও বিশুদ্ধ ধর্মে এই ধরনের লালসার স্থান নেই। যখন কোনো হৃদয় আল্লাহর দাসত্ব ও ভালোবাসার প্রকৃত স্বাদ উপলব্ধি করে, তখন সেটিই তার জন্য সর্বাধিক প্রিয় হয়ে ওঠে। এমনকি সে এটিকে দুনিয়ার সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেয়। আর এ কারণেই আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাদের জীবন থেকে পাপ ও অশ্লীলতা দূর হয়ে যায়।”(ইবনু তাইমিয়্যাহ মাজমুউ ফাতাওয়া; খণ্ড: ১০; পৃষ্ঠা: ২১৫) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
6: হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম তাক্বিউদ্দীন আবুল ‘আব্বাস আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম বিন তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আন-নুমাইরি, (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] মহান আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক তাঁর ‘আরশের উপর উঠার বিষয়টিতে ইজমা’ বর্ণনা করে বলেন,
قد أثبت بالفطرة التي اتفق عليها أهل الفطر السليمة وبالنقول المتواترة عن المرسلين من الأخبار وما نطقت به كتب الله تعالى وما اتفق عليه المؤمنون بالرسل قبل حدوث البدع أن الله تعالى عز وجل فوق العالم وثبت أيضا بالكتاب والسنة والإجماع أنه استوى على العرش فالعلو على العالم معروف بالفطرة والمعقول وبالشرعة والمنقول
“(নিশ্চয়ই মানুষের) সুস্থ ও নির্ভুল স্বভাবসম্পন্ন প্রকৃতি (ফিতরাহ) দ্বারা, নবী-রাসূলগণ থেকে মুতাওয়াতির (সন্দেহাতীত ধারাবাহিক) সূত্রে বর্ণিত হাদিস দ্বারা,যা আল্লাহ তা’আলা সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। যা রাসূলগণের ওপর ঈমান আনয়নকারী ঈমানদারগণ বিদ’আতের উৎপত্তি হওয়ার পূর্বে সর্বসম্মত ঐক্যমতের দ্বারা এই বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে যে,নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা জগতের উপরে। তদুপরি,কুরআন, সুন্নাহ ও উম্মতের ইজমা’ দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে যে, আল্লাহ তা’আলা ‘আরশের উপর উঠেছেন। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা জগতের উপরে থাকার বিষয়টি (মানুষের) ফিত্বরাত, যুক্তি, শরী’আত ও কুরআন ও সুন্নাহ’র ভাষ্য দ্বারা সুপ্রতিষ্ঠিত।” (ইবনু তাইমিয়া; বায়ানু তালবীসুল জাহমিয়্যাহ ফী তা’সীসিল বিদা’য়িহিমিল কালামিয়্যাহ; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৪৫৪)।
7: হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম তাক্বিউদ্দীন আবুল ‘আব্বাস আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম বিন তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আন-নুমাইরি, (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন:
الْمَطْلُوبُ مِنْ الْقُرْآنِ هُوَ فَهْمُ مَعَانِيهِ، وَالْعَمَلُ بِهِ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ هَذِهِ هِمَّةَ حَافِظِهِ لَمْ يَكُنْ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالدِّينِ
النتيجة. فمن قدّم عقله على الكتاب والسنة، غرق في بحور الأهواء والبدع ومن تعود معارضة الشرع بالعقل، لايستقر بقلبه إيمان.
فكل خير فيه المسلمون إلى يوم القيامة من الإيمان والإسلام والقرآن والعلم والمعارف والعبادات ودخول الجنة والنجاة من النار فإنما هو ببركة ما فعله الصحابة الذين بلغوا الدين
وعلماء السلف من السابقين ومن بعدهم من التابعين أهل الخير والأثر وأهل الفقه والنظر لا يذكرون إلا بالجميل ومن ذكرهم بسوء فهو على غير السبيل
“পূর্ববর্তী আলেমগণ তথা সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈগণ এবং তাদের পরে যারা হাদীস বিশারদ ও ফক্বীহ ছিলেন- তাদেরকে সম্মানের সাথে উল্লেখ করতে হবে। যে ব্যক্তি তাদের সমালোচনা করে তাদেরকে মন্দভাবে উপস্থাপন করে, সে মূলত পথভ্রষ্ট”।(আবূ জা‘ফর আত-ত্বাহাবী, আল-‘আক্বীদাতুত ত্বাহাবী, পৃ. ৫৭) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
11: নেককার স্ত্রী:আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ এবং দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ:
.হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন:
إن المرأة الصالحة تكون في صحبة زوجها الرجل الصالح سنين كثيرة ، وهي متاعه التي قال فيها النبي – صلىٰ الله عليه وسلم : ” « الدنيا متاع ، وخير متاعها المرأة المؤمنة ، إن نظرت إليها أعجبتك ، وإن أمرتها أطاعتك ، وإن غبت عنها حفظتك في نفسها ومالك » ” ، وهي التي أمر بها النبي – صلى الله عليه وسلم – في قوله لما سأله المهاجرون : ” « أي المال خير فنتخذه ؟ فقال : أفضله : لسان ذاكر وقلب شاكر وامرأة صالحة تعين أحدكم على إيمانه » ” ، رواه الترمذي من حديث سالم بن أبي الجعد عن ثوبان .ويكون بينهما من المودة والرحمة ما امتن الله به في كتابه بقوله : { ومن آياته أن خلق لكم من أنفسكم أزواجا لتسكنوا إليها وجعل بينكم مودة ورحمة } [الروم: ٢١ ] ، فيكون ألم الفراق أشد عليهما من الموت أحيانا ، وأشد من ذهاب المال ، وأشد من فراق الأوطان ، خصوصا إن كان بقلب كل واحد منهما حب وعلاقة من صاحبه ، أو كان بينهما أطفال يضيعون بالفراق ويفسد حالهم، ثم يفضي ذلك إلىٰ القطيعة بين أقاربهما ، ووقوع الشر لما زالت نعمة المصاهرة التي امتن الله بها في قوله : { فجعله نسبا وصهرا } [الفرقان: ٥٤] ، ومعلوم أن هذا من الحرج الداخل في عموم قوله تعالى : { وما جعل عليكم في الدين من حرج } [الحج: ٧٨] ، ومن العسر المنفي بقوله : { يريد الله بكم اليسر ولا يريد بكم العسر } [البقرة: ١٨٥] .
“একজন নেককার স্ত্রী তার সৎ ও ন্যায়পরায়ণ স্বামীর সঙ্গী হয়ে দীর্ঘ জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি তার স্বামীর জন্য দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ,যার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:”দুনিয়া মূলত ভোগ-বিলাসের স্থান, আর এর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো এক নেককার স্ত্রী যে তোমার প্রতি দৃষ্টি দিলে তুমি আনন্দিত হবে, তুমি যখন তাকে কোনো নির্দেশ দেবে, সে তা মান্য করবে, আর যখন তুমি অনুপস্থিত থাকবে, তখন সে নিজের সতীত্ব ও তোমার সম্পদের হেফাজত করবে।” (সহিহ মুসলিম হা/১৪৬৭) এমন স্ত্রীকেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশংসিত করেছেন। একদা মুহাজিরগণ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সর্বোত্তম সম্পদ কোনটি, যা আমরা অর্জন করতে পারি?” তিনি উত্তর দিলেন:”সর্বোত্তম সম্পদ হলো— আল্লাহকে স্মরণকারী জিহ্বা, কৃতজ্ঞচিত্ত হৃদয় এবং এমন এক নেককার স্ত্রী, যে স্বামীকে দ্বীনদারির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে।” (তিরমিজি হা/৩০৯৪;সাওবান রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক শুধু পার্থিব নয়, বরং এটি আল্লাহর এক বিশেষ অনুগ্রহ, যেখানে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া বিরাজ করে। আল্লাহ তা’আলা বলেন:”তাঁর (আল্লাহর) নিদর্শনসমূহের একটি হলো তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য জীবনসঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।”(সূরা রূম: ২১) এই ভালোবাসা এতটাই গভীর যে, কখনো কখনো বিচ্ছেদ মৃত্যুর চেয়েও কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। এমনকি ধন-সম্পদ হারানোর বেদনাও তখন তুচ্ছ মনে হয়, জন্মভূমি ছেড়ে যাওয়ার কষ্টও ম্লান হয়ে যায়। বিশেষত, যখন স্বামী-স্ত্রীর হৃদয়ে গভীর ভালোবাসা ও আবেগ থাকে, অথবা তাদের সন্তান থাকে, যাদের এই বিচ্ছেদ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেয়। এর ফলে ধীরে ধীরে আত্মীয়স্বজনদের মধ্যেও দূরত্ব সৃষ্টি হয়,শত্রুতা দানা বাঁধে এবং সম্পর্কের মধ্যে অকল্যাণের বীজ বপন হয়। এতে সেই আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায়, যা আল্লাহ বিশেষ অনুগ্রহ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। আল্লাহ বলেন:”তিনি (আল্লাহ) তোমাদের জন্য রক্তসম্পর্ক ও বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।”(সূরা ফুরকান: ৫৪) এটি সেই কষ্টের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ তাঁর দ্বীনের মাধ্যমে দূর করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন:”তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনে কোনো সংকীর্ণতা রাখেননি।”(সূরা হাজ্জ: ৭৮) এবং এটি সেই কষ্টের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ অপসারণ করতে চান। তিনি বলেন:”আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজতা চান এবং তিনি তোমাদের জন্য কষ্ট চান না।”(সূরা বাকারা: ১৮৫; আল-ক্বওয়ায়িদুন নাওরনিয়্যাহ; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৩৬০) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
12: হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ (রহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন:
إنَّ الوالد إن دعا على ابنه ظلماً أثم وكان ذلك كفارة للابن المظلوم ويؤجر على صبره .
والإنسان ليس له أن يتكلم بلا علم لا في النفي ، ولا في الإثبات ولو سكت من لا يدري ، قلَّ الخلاف
“لا شيء أحب إلى الله من التوحيد ولا شيء أبغض إليه من الشرك، وكثرة الذنوب مع صحة التوحيد خير من قلة الذنوب مع فساد التوحيد”.
مريم احتاجت إلى من يڪفلها،فڪيف بغيرها من النساء؟وهذا أمر معروفٌ بالتجربة، أن المرأة تحتاج من الحفظ والصيانة ما لا يحتاج إليه الصبي،وڪل ما كان أستر لها وأصون ڪان أصلح لها
“لا شيء أحب إلى الله من التوحيد ولا شيء أبغض إليه من الشرك، وكثرة الذنوب مع صحة التوحيد خير من قلة الذنوب مع فساد التوحيد”.
” … مَعَ أَنِّي فِي عُمْرِي إلَى سَاعَتِي هَذِهِ لَمْ أَدْعُ أَحَدًا قَطُّ فِي أُصُولِ الدِّينِ إلَى مَذْهَبٍ حَنْبَلِيٍّ وَغَيْرِ حَنْبَلِيٍّ ، وَلَا انْتَصَرْت لِذَلِكَ ، وَلَا أَذْكُرُهُ فِي كَلَامِي ، وَلَا أَذْكُرُ إلَّا مَا اتَّفَقَ عَلَيْهِ سَلَفُ الْأُمَّةِ وَأَئِمَّتُهَا، وَقَدْ قُلْت لَهُمْ غَيْرَ مَرَّةٍ : أَنَا أُمْهِلُ مَنْ يُخَالِفُنِي ثَلَاثَ سِنِينَ إنْ جَاءَ بِحَرْفِ وَاحِدٍ عَنْ أَحَدٍ مِنْ أَئِمَّةِ الْقُرُونِ الثَّلَاثَةِ يُخَالِفُ مَا قُلْته فَأَنَا أُقِرُّ بِذَلِكَ ، وَأَمَّا مَا أَذْكُرُهُ فَأَذْكُرُهُ عَنْ أَئِمَّةِ الْقُرُونِ الثَّلَاثَةِ بِأَلْفَاظِهِمْ وَبِأَلْفَاظِ مِنْ نَقْلِ إجْمَاعِهِمْ مِنْ عَامَّةِ الطَّوَائِفِ ، هَذَا مَعَ أَنِّي دَائِمًا وَمَنْ جَالَسَنِي يَعْلَمُ ذَلِكَ مِنِّي : أَنِّي مِنْ أَعْظَمِ النَّاسِ نَهْيًا عَنْ أَنْ يُنْسَبَ مُعَيَّنٌ إلَى تَكْفِيرٍ وَتَفْسِيقٍ وَمَعْصِيَةٍ ، إلَّا إذَا عُلِمَ أَنَّهُ قَدْ قَامَتْ عَلَيْهِ الْحُجَّةُ الرسالية الَّتِي مَنْ خَالَفَهَا كَانَ كَافِرًا تَارَةً وَفَاسِقًا أُخْرَى وَعَاصِيًا أُخْرَى وَإِنِّي أُقَرِّرُ أَنَّ اللَّهَ قَدْ غَفَرَ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ خَطَأَهَا: وَذَلِكَ يَعُمُّ الْخَطَأَ فِي الْمَسَائِلِ الْخَبَرِيَّةِ الْقَوْلِيَّةِ وَالْمَسَائِلِ الْعَمَلِيَّةِ ، وَمَا زَالَ السَّلَفُ يَتَنَازَعُونَ فِي كَثِيرٍ مِنْ هَذِهِ الْمَسَائِلِ وَلَمْ يَشْهَدْ أَحَدٌ مِنْهُمْ عَلَى أَحَدٍ لَا بِكُفْرِ وَلَا بِفِسْقِ وَلَا مَعْصِيَةٍ
আমার জীবনের এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমি কখনো ইসলামের মৌলিক (আক্বিদাহ) বিষয়ে হাম্বলী মাযহাব বা অন্য কোন মাযহাবের দিকে কাউকে দাওয়াত দিইনি। আমি কখনো এর সমর্থনও করি না। এমনকি কখনো আমি আমার কোন আলোচনাতে তা উল্লেখও করিনি। কেবলমাত্র আমি ততটুকুই উল্লেখ করি, সালফে-সালেহীনগন যার উপর একমত হয়েছেন। আমি তাদেরকে বারংবার বলে থাকি: যারা আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করে তাদের আমি তিন বছর সময় দিচ্ছি; যদি তারা তিন শতাব্দীর কোনো ইমামের একটি কথাও নিয়ে আসে– যা আমার কথার বিপরীত, তবে আমি তা মেনে নিবো।আমি যা বলি বা উল্লেখ করি, তা মূলত তিন শতাব্দীর ইমামগণের কথার সাথে মিল রেখেই করে থাকি। পাশাপাশি সর্বসাধারণ মানুষদের অভিন্ন কথার সাথে মিল রেখে। আমি সর্বদাই এমনটি করে থাকি। আমার সাথে উঠা-বসা করা ব্যক্তি জানে যে, আমি নির্দিষ্টভাবে কোন ব্যক্তিকে কাফের, ফাসেক বা পাপী বলা নিষেধের ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে কত বেশি সতর্কতা অবলম্বন করি। তবে যদি জানা যায় যে, সে ব্যক্তির উপর সুস্পষ্ট দলিল-প্রমাণাদি রয়েছে; যার সে বিপরীত করে, তবে সে কখনো কাফের, কখনো ফাসেক। আবার কখনো পাপী। তবে আমি এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস ও স্বীকৃতি দিই যে, আল্লাহ তা‘আলা এই উম্মতের ভুলগুলো ক্ষমা করে দিবেন।এই ভুলটি কথা এবং কাজ উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (এই ভুলটি গায়েব (অদৃশ্যে)-এর মাসআলা-মাসায়েলের অন্তর্ভূক্ত। যেমন, জান্নাত-জাহান্নাম, সিরাত, হাশর-নাশর, কবরের শাস্তি ইত্যাদি। আবার আমল সংক্রান্ত মাসআলা-মাসায়েলরও অন্তর্ভুক্ত। যেমন, হালাল-হারাম) সর্বকালে এই ধরনের অনেক মাসআলা-মাসায়েলের ক্ষেত্রে সালাফগণের মত মতবিরোধপূর্ণ হয়েছে। অথচ তাদের কেউ কাউকে কাফের, ফাসেক কিংবা পাপী বলে আখ্যায়িত করেননি।(মাজমু’ল ফাতওয়া; খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ২২৯)(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
20: শাইখুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন:
الحسد مرض من أمراض النفس وهو مرض غالب فلا يخلص منه إلا قليل من الناس ولهذا يقال: ما خلا جسد من حسد لكن اللئيم يبديه والكريم يخفيه،
“হিংসা অন্তরের অন্যতম ব্যাধি। অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যে এই রোগ বিদ্যমান। খুব কম সংখ্যক মানুষ ছাড়া এ রোগ থেকে কেউ মুক্তি পায় না। এজন্যই বলা হয়, হাসাদ মুক্ত কোন জাসাদ নেই (অর্থাৎ কোন শরীরই হিংসা মুক্ত নয়)। (পার্থক্য শুধু এতটুকুই যে,) নিকৃষ্ট শ্রেণীর লোক সেই হিংসা প্রকাশ করে, আর সম্মানিত ব্যক্তি সেটা গোপন করে রাখে”।(মাজমূ‘উল ফাতাওয়া; খন্ড: ১০; পৃষ্ঠা: ১২৪)
“না বুঝে অনেক বেশী কুরআন তেলাওয়াত করার চেয়ে চিন্তা-ভাবনা করে অল্প তেলাওয়াত করা অতি উত্তম” (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা, খন্ড: ৫; পৃষ্ঠা: ৩৩৪)
23: প্রখ্যাত সাহাবী মিকদাদ বিন আসওয়াদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন, আল্লাহর কসম, আমি অবশ্যই রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,
إِنَّ السَّعِيدَ لَمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنَ، إِنَّ السَّعِيدَ لَمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنِ، إِنَّ السَّعِيدَ لَمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنُ، وَلَمَنْ ابْتُلِيَ فَصَبَرَ فَوَاهًا “
“ولا تقع فتنة إلا من ترك ما أمر الله به؛ فإنه سبحانه أمر بالحق وأمر بالصبر؛ فالفتنة إما من ترك الحق، وإما من ترك الصبر”.
“কেবলমাত্র আল্লাহর নির্দেশ পরিত্যাগ করার দরুন ফিতনা সংঘটিত হয়। কেননা আল্লাহ হকের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ধৈর্যেরও নির্দেশ দিয়েছেন। ফিতনা আসে হয় হক পরিত্যাগের জন্য,আর নয়তো ধৈর্য পরিত্যাগের জন্য।” (আল-ইস্তিকামাহ, খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৩৯) আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
24: শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তায়মিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন:
وليس على المرأة بعد حق الله ورسوله أوجب من حق الزوج، ‘
“নারীর জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অধিকারের পর স্বামীর চেয়ে অপরিহার্য অধিকার আর কারো নেই”। (ইবনু তাইমিয়্যাহ মাজমুউ ফাতাওয়া, খণ্ড: ৩২; পৃষ্ঠা: ২৭৫)
25: হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম তাক্বিউদ্দীন আবুল ‘আব্বাস আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম বিন তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আন-নুমাইরি, (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন:
,مَا كَسَرَ اللهُ عَبْدَهُ الْمُؤْمِنَ إِلَّا لِيَجْبُرَهُ، وَلَا مَنَعَهُ إِلَّا لِيُعْطِيَهُ، وَلَا ابْتَلَاهُ إِلَّا لِيُعَافِيَهُ، وَلَا أَمَاتَهُ إِلَّا لِيُحْيِيَهُ، وَلَا نَغَّصَ عَلَيْهِ الدُّنْيَا إِلَّا لِيُرَغِّبَهُ فِي الْآخِرَةِ، وَلَا ابْتَلَاهُ بِجَفَاءِ النَّاسِ إِلَّا لِيَرُدَّهُ إِلَيْهِ-
“আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দাকে সাহায্য করার জন্যই মূলতঃ তাকে বিপদে ফেলেন। তাকে বিশেষ কিছু দান করার জন্যই সাধারণ কিছু দেওয়া থেকে বিরত রাখেন। সুস্থতা দানের জন্য তাকে (শারীরিক রোগ-ব্যাধি দিয়ে) পরীক্ষা করে থাকেন। পরকালে নতুন জীবন দান করার জন্য পার্থিব মৃত্যু দান করেন। তাকে আখেরাতের প্রতি আগ্রহী করার জন্য দুনিয়াকে তার জন্য কঠিন করে দেন। নিজের দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষের দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে কষ্ট দেন”(ইবনুল মাওসিলী, মুখতাসার আস-সাওয়া‘ইকুল মুরসালাহ, পৃষ্ঠা: ৩০৬)
26: হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম তাক্বিউদ্দীন আবুল ‘আব্বাস আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম বিন তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আন-নুমাইরি, (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন:
وَدِينُ الإِسْلامِ مَبْنِيٌّ عَلَى أَصْلَيْنِ , عَلَى أَنْ لا نَعْبُدَ إلاّ اللَّهَ , وَأَنْ نَعْبُدَهُ بِمَا شَرَعَ , لا نَعْبُدُهُ بِالْبِدَعِ . قَالَ تَعَالَى : فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلا صَالِحًا وَلا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا . فَالْعَمَلُ الصَّالِحُ مَا أَحَبَّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ , وَهُوَ الْمَشْرُوعُ الْمَسْنُونُ , وَلِهَذَا كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ – رضي الله عنه – يَقُولُ فِي دُعَائِهِ , اللَّهُمَّ اجْعَلْ عَمَلِي كُلَّهُ صَالِحًا وَاجْعَلْهُ لِوَجْهِك خَالِصًا , وَلا تَجْعَلْ لأَحَدٍ فِيهِ شَيْئًا
দ্বীন ইসলাম মূলতঃ দুইটি মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। এক: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করব না। দুই: আমরা আল্লাহর বিধান মোতাবেক তাঁর ইবাদত করব; বিদআত মোতাবেক নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন: “অতএব, যে ব্যক্তি তার রবের (প্রতিপালকের) সাক্ষাত কামনা করে, সে যেনআমলে সালেহ করে এবং তার রবের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে”[সূরা কাহাফ, আয়াত: ১১০]
উক্ত আয়াতের আলোকে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন:
” أخبر سبحانه أن الكفار لا يأتونه بقياس عقلي لباطلهم إلا جاءه الله بالحق ، وجاءه من البيان والدليل وضرب المثل بما هو أحسن تفسيرًا ، وكشفًا وإيضاحًا للحق من قياسهم ”
“মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু তাআলা সংবাদ দিচ্ছেন যে, কা-ফে-রে-রা তাদের বাতিলের পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক যে মানদণ্ড নিয়ে আসুক না কেন আল্লাহ তাঁকে সত্য দিয়েছেন এবং তাঁকে এমন বিশ্লেষণ, প্রমাণ ও উপমা দিয়েছেন; যা তাদের মানদণ্ডের চেয়ে সত্যকে অধিক ব্যাখ্যাকারী, উন্মোচনকারী ও স্পষ্টকারী।”[ইবনু তাইমিয়্যাহ মাজমুউ ফাতাওয়া,খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ১০৬)(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
32: শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
فَعَلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ أَنْ لَا يَتَكَلَّمَ فِيْ شَيْءٍ مِنْ الدِّيْنِ إلَّا تَبَعًا لِمَا جَاءَ بِهِ الرَّسُوْلُ وَلَا يَتَقَدَّمُ بَيْنَ يَدَيْهِ؛ بَلْ يَنْظُرُ مَا قَالَ فَيَكُوْنُ قَوْلُهُ تَبَعًا لِقَوْلِهِ وَعَمَلُهُ تَبَعًا لِأَمْرِهِ فَهَكَذَا كَانَ الصَّحَابَةُ وَمَنْ سَلَكَ سَبِيْلَهُمْ مِنْ التَّابِعِيْنَ لَهُمْ بِإِحْسَانِ وَأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِيْنَ؛ فَلِهَذَا لَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنْهُمْ يُعَارِضُ النُّصُوْصَ بِمَعْقُوْلِهِ وَلَا يُؤَسِّسُ دِيْنًا غَيْرَ مَا جَاءَ بِهِ الرَّسُوْلُ وَإِذَا أَرَادَ مَعْرِفَةَ شَيْءٍ مِنْ الدِّيْنِ وَالْكَلَامِ فِيْهِ نَظَرَ فِيْمَا قَالَهُ اللهُ وَالرَّسُوْلُ فَمِنْهُ يَتَعَلَّمُ وَبِهِ يَتَكَلَّمُ وَفِيْهِ يَنْظُرُ وَيَتَفَكَّرُ وَبِهِ يَسْتَدِلُّ فَهَذَا أَصْلُ أَهْلِ السُّنَّةِ
সুতরাং প্রত্যেক মুমিনের উপর আবশ্যক হল, নবী করীম (ﷺ) যা কিছু নিয়ে এসেছেন তাঁর অনুসরণ ব্যতীত দ্বীনের কোন বিষয়ে কোন কথা না বলা এবং যা তাঁর সামনে আসে না সে বিষয়েও কোন কথা না বলা। বরং সে যেন লক্ষ্য করে নবী করীম (ﷺ) কী বলেছেন। অতঃপর তাঁর কথাটি যেন হয় নবী করীম (ﷺ)-এর অনুকূলে। তার আমলটি যেন হয় নবী করীম (ﷺ)-এর নির্দেশ অনুসারে। ছাহাবী, তাবেঈ ও মুসলিমদের ইমামগণ এরূপই ছিলেন। একারণেই তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নিজ বুদ্ধি দিয়ে কুরআন ও সুন্নাহর বিরোধিতা করেননি। আর নবী করীম (ﷺ) যা নিয়ে এসেছেন তা ব্যতীত অন্য কোন দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করেননি। তাঁরা যখনই দ্বীনের কোন বিষয়কে জানার ইচ্ছা করেছেন তারা লক্ষ করেছেন যে ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) কী বলেছেন। অতঃপর তা থেকেই শিক্ষা অর্জন করেছেন। তা দিয়েই কথা বলেছেন এবং তাঁর মধ্যেই দৃষ্টি রেখেছেন। আর তাঁকেই প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপণ করেছেন। আর এটাই আহলুস সুন্নাহর মূলনীতি।(ইবনু তাইমিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া, ১৩তম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৬৩)
34: হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম তাক্বিউদ্দীন আবুল ‘আব্বাস আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম বিন তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.]বলেছেন:
أَدْنَى خَصْلَة لِأهْلِ الْحَدِيْثِ مَحَبَّةُ الْقُرْآنِ وَالْحَدِيثِ وَالْبَحْثِ عَنْهُمَا وَعَنْ مَعَانِيْهِمَا وَالْعَمَلِ بِمَا عَلِمُوهُ مِنْهمَا
আহলুল হাদীসদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, তারা কুরআন-হাদীসের প্রতি অগাধ ভালোবাসা রাখেন,এ দুটি নিয়ে গবেষণা করেন ও এর তত্ত্বানুসন্ধান করেন। আর তারা কুরআন ও হাদীস থেকে যা জানতে পারেন,তার উপরে আমল করেন।(ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া, খন্ড: ৪ পৃষ্ঠা: ৫৯)
35: অষ্টম হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম তাক্বিউদ্দীন আবুল ‘আব্বাস আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম বিন তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেন:
,الْمَقْدُورُ يَكْتَنِفُهُ أَمْرَانِ: التَّوَكُّلُ قَبْلَهُ، وَالرِّضَا بَعْدَهُ، فَمَنْ تَوَكَّلَ عَلَى اللهِ قَبْلَ الْفِعْلِ. وَرَضِيَ بِالْمَقْضِيِّ لَهُ بَعْدَ الْفِعْلِ فَقَدْ قَامَ بِالْعُبُودِيَّةِ،
ভাগ্য বা তাক্বদীর দু’টি বিষয় দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে: কাজের শুরুতে তাওয়াক্কুল এবং শেষে সন্তুষ্টি। সুতরাং যে ব্যক্তি কাজ করার শুরুতে আল্লাহর উপর ভরসা করল এবং কাজের শেষে আল্লাহর ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকল, সে যেন পূর্ণভাবে আল্লাহর দাসত্ব করল।(ইবনুল ক্বাইয়িম,মাদারিজুস সালেকীন, ২/১২২)
(মাজমূ আল-ফাতাওয়াঃ খন্ড: ৮; পৃষ্ঠা-৪৫৩)
42: হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম তাক্বিউদ্দীন আবুল ‘আব্বাস আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম বিন তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] (যিনি ইবনে তাইমিয়া নামে পরিচিত) বলেন,মানুষকে দ্বীনের দিকে দাওয়াতের জন্য তিনটি বিষয়ের প্রয়োজন রয়েছে। সেগুলো হলো,
43: হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম তাক্বিউদ্দীন আবুল ‘আব্বাস আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম বিন তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] (যিনি ইবনে তাইমিয়্যাহ নামে পরিচিত) বলেছেন,পবিত্র কুরআনের আলোচিত বিষয়বস্তু তিন ভাগে বিভক্ত। যথা:
44: শায়খুল ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ইমাম আবুল মুযাফফার সাম‘আনী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘আমরা সুন্নাতের অনুসরণ করতে আদিষ্ট হয়েছি এবং বিদ‘আত হতে আমাদেরকে নিষেধ ও তিরস্কার করা হয়েছে। সুতরাং আহলুস সুন্নাহর প্রতীক হল, সালাফে ছালিহীনের অনুসরণ করা এবং প্রত্যেক নব উদ্ভূত ও বিদ‘আতকে বর্জন করা’ (সাওনুল মানত্বিক; পৃষ্ঠা: ১৫৮)।
No comments:
Post a Comment