Sunday, May 25, 2025

অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধি ব্যবহারের বিধান

 প্রশ্ন: অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধি ব্যবহারের বিধান কি? নারীরা কি ঘরে নামাজ আদায়ের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন? ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় তাঁদের জন্য পারফিউম ব্যবহারের অনুমতি আছে কি?

▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র প্রতি। অতঃপর: নারীদের পারফিউম ব্যবহারের জায়েজ- নাজায়েজ সংক্রান্ত বিষয়টি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ যেমন:
.
▪️প্রথমত: অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধি ব্যবহারের বিধান কি:
.
আলেমগণ বলেছেন: অ্যালকোহলযুক্ত পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহারের হুকুম নির্ভর করে এতে থাকা অ্যালকোহলের পরিমাণ ও তার প্রভাবের ওপর। যদি অ্যালকোহলের পরিমাণ এত বেশি হয় যে তা সুগন্ধির গঠন বা বৈশিষ্ট্যে স্পষ্ট প্রভাব ফেলে, তাহলে এমন সুগন্ধি ব্যবহার করা নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই বৈধ নয়। তবে যদি অ্যালকোহলের পরিমাণ খুব কম হয় এবং তা দ্বারা সুগন্ধির বৈশিষ্ট্যে কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত না হয়, তাহলে সে ধরনের পারফিউম ব্যবহার করা জায়েয (বৈধ) গণ্য হবে।” আর একটি মূলনীতি হচ্ছে,কোন জিনিস যদি হারাম হিসেবে গণ্য হয় তাহলে স্বাভাবিক ভাবে তাহলে সেটার ব্যবসা করা; তা থেকে কোন উপকার গ্রহণ করা যেমন;চিকিৎসা করাও হারাম।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,«إِنَّ اللهَ لَمْ يَجْعَلْ شِفَاءَكُمْ فِيْمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ“আল্লাহ তা‘আলা হারাম বস্তুর মধ্যে তোমাদের জন্য কোনো চিকিৎসা রাখেন নি”।(বাইহাক্বী হা/১৯৪৬৩; ইবন হিব্বান খণ্ড ৪, হা/১৩৯১)
.
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণ বলেছেন,العطور المشتملة على نسبة من الكحول يسكر كثيرها ، في نجاستها خلاف بين العلماء ، مبني على نجاسة الخمر وطهارتها ، فمن حكم على الخمر بالنجاسة ، أثبت لهذه العطور النجاسة ، ومن قال بطهارة الخمر ، قال: إن هذه العطور طاهرة .وبكلِّ حال ، فلا يجوز استعمال العطور التي فيها كحول ، سواء قلنا بنجاسة الخمر أو طهارتها ؛ لوجوب إتلاف الخمر ، وعدم الاستفادة منها ، والعطور التي فيها كحول يسكر كثيرها : حكمها حكم الخمر “যেসব সুগন্ধিতে এমন পরিমাণ অ্যালকোহল রয়েছে, যার অধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে নেশা সৃষ্টি হয় সে ধরনের সুগন্ধির পবিত্রতা বা অপবিত্রতা সম্পর্কে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এই মতভেদ মূলত মদের পবিত্রতা বা অপবিত্রতার উপর নির্ভর করে। যারা মদকে অপবিত্র মনে করেন, তারা এ ধরনের সুগন্ধিকেও অপবিত্র মনে করেন; আর যারা মদকে পবিত্র মনে করেন, তারা এই সুগন্ধিগুলোকেও পবিত্র মনে করেন। তবে যাই হোক না কেন, যেসব সুগন্ধিতে এমন অ্যালকোহল রয়েছে যা অধিক গ্রহণে নেশা সৃষ্টি করে, সেগুলো ব্যবহার করা বৈধ নয়। কারণ, শরিয়তে মদ ধ্বংস করার আদেশ রয়েছে এবং তা থেকে উপকার গ্রহণ নিষিদ্ধ। অতএব, এসব সুগন্ধির বিধানও মদের মতোই।”(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ; খণ্ড: ২২; পৃষ্ঠা: ১৪৪)
.
ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির আলেমগন আরও বলেছেন :” إذا كانت نسبة الكحول بالعطور بلغت درجة الإسكار ، بشرب الكثير من تلك العطور ، فالشرب من تلك العطور محرم ، والاتجار فيها محرم ، وكذا سائر أنواع الانتفاع ؛ لأنه خمر ، سواء كثر أم قل .وإن لم يبلغ المخلوط من العطور بالكحول درجة الإسكار بشرب الكثير منه : جاز استعماله والاتجار فيه”যদি কোনো সুগন্ধিতে থাকা অ্যালকোহলের পরিমাণ এত বেশি হয় যে, তা অধিক পরিমাণে পান করলে নেশা সৃষ্টি করে, তবে সেই সুগন্ধি পান করা হারাম, তা দ্বারা ব্যবসা করা হারাম, এবং তা যেকোনো রূপে ব্যবহার করাও হারাম; কেননা, সেটি মদ—অল্প হোক বা বেশি।কিন্তু যদি সুগন্ধিতে থাকা অ্যালকোহল এমন মাত্রার হয় যে, তা অধিক পরিমাণে পান করলেও নেশা সৃষ্টি করে না, তবে তা ব্যবহার করা এবং তা দিয়ে ব্যবসা করা জায়েয।”(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ; খণ্ড: ১৩; পৃষ্ঠা: ৫৪)
.
স্থায়ী কমিটির আলেমগনকে আরো জিজ্ঞেস করা হয়েছিল প্রশ্ন: অ্যালকোহল বা মদের সব ধরণের ব্যবহারের হুকুম কি? অর্থাৎ ফার্নিচার বার্নিশের কাজে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, জ্বালানি হিসেবে, ড্রেসিং করার ক্ষেত্রে, পারফিউম তৈরীতে, শোধন করার ক্ষেত্রে এবং ভিনেগার হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে? জবাবে তারা বলেন:ما أسكر شرب كثيره فهو خمر ، وقليله وكثيره سواء ، سواء سمي كحولا أم سمي باسم آخر ، والواجب إراقته وتحريم الإبقاء عليه لاستخدامه والانتفاع به في تنظيف أو تطهير أو وقود أو تعطير أو تحويله خلا ، أم غير ذلك من أنواع الانتفاع .أما ما لم يسكر شرب كثيره ، فليس بخمر ، ويجوز استعماله في تعطير وعلاج وتطهير جروح ونحو ذلك .عبد الله بن قعود … عبد الله بن غديان … عبد الرزاق عفيفي … عبد العزيز بن عبد الله بن بازযে জিনিস বেশি পান করলে মাতলামি ধরে সেটাই মদ। এ জিনিসের অল্প বা বেশি বিধান সমান। এটাকে অ্যালকোহল বলা হোক কিংবা অন্য কোন নাম দেয়া হোক। আবশ্যকীয় কর্তব্য হচ্ছে এটা ঢেলে ফেলে দেয়া। নানাবিধ কাজে যেমন ড্রেসিং করা, শোধন করা, জ্বালানি পদার্থ, পারফিউম তৈরী কিংবা ভিনগারে রূপান্তরিত করণ ইত্যাদি কাজে লাগানোর জন্য এটি রেখে দেওয়া হারাম। আর যে পদার্থ বেশি পান করলেও মাতলামি ধরে না– সেটা মদ নয়। সে পদার্থ পারফিউম তৈরীতে, ঔষধ হিসেবে, ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা জায়েয।(ফতুয়া প্রদানকারী “শাইখ আব্দুল্লাহ্‌ বিন কুয়ুদ, শাইখ আব্দুল্লাহ্‌ বিন গাদইয়ান, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, শাইখ আব্দুল আযিয বিন আব্দুল্লাহ্‌ বিন বায”। ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ; খণ্ড: ২২; পৃষ্ঠা: ১০৬)
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, ” استعمال الروائح العطرية المشتملة على مادة الكحول : لا يجوز ؛ لأنه ثبت لدينا بقول أهل الخبرة من الأطباء : أنها مسكرة ،”অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধি ব্যবহার করা জায়েয নেই। কেননা আমাদের কাছে বিজ্ঞ ডাক্তারদের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ রয়েছে যে, এগুলো মাদকতা সৃষ্টি করে (মাজাল্লাতুল বুহুস আলইসলামিয়া, খণ্ড: ২০; পৃষ্ঠা: ১৮৫)
.
সৌদি ফতোয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের প্রবীণ সদস্য, যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] বলেন:” العطور المسكرة يحرم استعمالها ، ولا تجوز الصلاة في الثوب الذي أصابه شيء منها حتى يغسل ما أصابه منها ؛ كسائر النجاسات ، وكذا البدن يجب غسل ما أصابه منها ؛ لأنها نجسة ؛ لأنها خمر”انتهى من “যেই সুগন্ধি মাদকতা সৃষ্টি করে, তা ব্যবহার করা হারাম। এবং যেই কাপড়ে সুগন্ধি লেগে যায়, ওই কাপড় পরিধান করা সালাত আদায় করা জায়েজ নেই। যতক্ষণ না সে ওই কাপড় ধৌত করে , যেখানে সুগন্ধি লেগে যায়। কেননা এটি নাপাক। যেহেতু এটি মদ।”(মুনতাকা ফাতাওয়া আল-ফাওযান, ১৭ তম খন্ড, পৃষ্ঠা: ৪৮)
.
▪️দ্বিতীয়ত: নারীদের ঘরে নামাজ আদায়ের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহারের বিধান:
.
একজন নারী, বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত,ঘরে থাকার সময় নিজেস্ব পরিমন্ডলে মাহারামদের সামনে শরীয়তের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ নয় এমন সুগন্ধি বা পারফিউম ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি সালাত আদায়ের পূর্বে এই সুগন্ধি ব্যবহার করাও জায়েজ এবং এতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বিবাহিত নারীরা যদি তার স্বামীকে খুশি করার উদ্দেশ্যে সুগন্ধি ব্যবহার করে, তবে তা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়),কারণ এটি একজন উত্তম স্ত্রীর গুণাবলীর অন্তর্ভুক্ত।প্রখ্যাত সাহাবী আবূ সাঈদ খুদরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জুমআর দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির গোসল ও মিসওয়াক করা কর্তব্য এবং সামর্থ্য থাকলে সে যেন সুগন্ধি ব্যবহার করে’। অন্য বর্ণনায় আছে,(وَلَوْ مِنْ طِيبِ الْمَرْأَةِ) এমনকি স্ত্রীর সুগন্ধি থেকে হলেও।”(সহীহ মুসলিম, হা/৮৪৬; ই.ফা. ১৮৩০) এই হাদীসের শেষাংশ “এমনকি স্ত্রীর সুগন্ধি থেকে হলেও” এর মাধ্যমে বোঝা যায়, নারীরা ঘরের ভেতর নিজস্ব পরিবেশে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারে। এবং এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, স্বামী জরুরি প্রয়োজনে স্ত্রীর সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন, যদি তার নিজের সুগন্ধি না থাকে।
.
শাফি‘ঈ মাযহাবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ইমাম জায়নুদ্দীন মুহাম্মাদ আব্দুর রউফ বিন তাজ আল-আরিফীন বিন নুরুদ্দিন আলী বিন জায়নুল আবিদীন আল-হাদ্দাদী আল-মানাবী আল-ক্বাহেরী [জন্ম:৯৫২, মৃত্যু:১০৩১ হি:] (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
أما التطيب والتزين للزوج فمطلوب محبوب ، قال بعض الكبراء : تزيُّنُ المرأة وتطيُّبُها لزوجها من أقوى أسباب المحبة والألفة بينهما ، وعدم الكراهة والنفرة ؛ لأن العين رائد القلب ، فإذا استحسنت منظرا أوصلته إلى القلب فحصلت المحبة ، وإذا نظرت منظرا بشعا أو ما لا يعجبها من زي أو لباس تلقيه إلى القلب فتحصل الكراهة والنفرة ، ولهذا كان من وصايا نساء العرب لبعضهن : إياك أن تقع عين زوجك على شئ لا يستملحه ، أو يشم منك ما يستقبحه
“স্বামীর জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা এবং নিজেকে সাজিয়ে-গুছিয়ে উপস্থাপন করা নারীর জন্য উত্তম ও প্রশংসনীয়। জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যক্তিরা বলেন, একজন নারীর পক্ষে তার স্বামীর জন্য নিজেকে সাজানো ও সুগন্ধি ব্যবহার করা তাদের মাঝে ভালোবাসা ও স্নেহ জোরদার করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।এর ফলে পরস্পরের প্রতি বিতৃষ্ণা ও বিরূপতা দূর হয়, এবং আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। কারন চোখ হচ্ছে হৃদয়ের দূত। যখন চোখ কোনো সুন্দর দৃশ্য অবলোকন করে, তখন তা হৃদয়ে পৌঁছে ভালোবাসা ও আকর্ষণ সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে চোখ যদি এমন কিছু দেখে যা অপছন্দনীয় বা অনাকর্ষণীয় যেমন অগোছালো পোশাক কিংবা অযত্নে সাজানো রূপ,তাহলে তা হৃদয়ে বিরক্তি ও বিমুখতা সৃষ্টি করে। এ কারণে প্রাচীন আরব নারীরা একে অন্যকে উপদেশ দিতেন: “সাবধান থেকো, যেন তোমার স্বামী তোমার মাঝে এমন কিছু না দেখে যা সে অপছন্দ করে, কিংবা এমন কোনো গন্ধ না পায় যা তার কাছে অস্বস্তিকর মনে হয়।”(মানাবি; ফায়জুল ক্বদীর; খন্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ১৯০)
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.]-কে একজন নারীর পক্ষ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল প্রশ্ন: আমি কি সুগন্ধি ব্যবহার করে নামাজ পড়তে পারি? আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
উত্তরে শাইখ বলেন:
نعم، الصلاة بالطيب لا بأس بها، بل الطيب مشروع للمؤمن والمؤمنة، لكن المؤمنة تطيب في بيتها، المؤمنة تطيب في بيتها، وعند زوجها، وليس لها التطيب عند الخروج إلى الأسواق، ولا إلى المساجد، أما المؤمن فيتطيب في بيته، وفي أسواقه، وفي المسجد الطيب مطلوب، وهو من سنة المرسلين.
فإذا صلت المرأة في بيتها متطيبة بدهن العود، أو الورد، أو العنبر، ونحو ذلك كله طيب، لا شيء في ذلك، ولا حرج في ذلك، بل هو مطلوب، لكن لا تخرج بالطيب الذي يجد الناس رائحته، لا تخرج به إلى الأسواق، ولا إلى المساجد؛ لأن الرسول نهى عن هذا -عليه الصلاة والسلام- نعم.
المقدم: جزاكم الله خيرًا.
হ্যাঁ, সুগন্ধি ব্যবহার করে নামাজ আদায় করাতে কোনো সমস্যা নেই, বরং সুগন্ধি ব্যবহার করা মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য অনুমোদিত (সুন্নত)। তবে একজন মুমিনা নারীর উচিত, সে নিজ গৃহে সুগন্ধি ব্যবহার করবে, স্বামীর সামনে তা ব্যবহার করবে, কিন্তু বাজারে বের হওয়ার সময় কিংবা মসজিদে যাওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা তার জন্য বৈধ নয়। আর একজন মুমিন পুরুষ গৃহে, বাজারে এবং মসজিদে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারে। সুগন্ধি ব্যবহার করার চর্চা হলো নবীদের সুন্নতের অংশ। সুতরাং, যদি কোনো নারী নিজ গৃহে নামাজ আদায় করে এবং সে আগরবাতি, গোলাপ জল, আম্বার বা অনুরূপ কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করে, তাতে কোনো সমস্যা নেই, এতে কোনো দোষ নেই, বরং তা প্রশংসনীয়।তবে সে যেন এ ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করে বাইরে না বের হয় যার ঘ্রাণ মানুষ পেতে পারে না বাজারে, না মসজিদে; কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীদেরকে এ ধরনের কাজ থেকে নিষেধ করেছেন। উপস্থাপক: আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।”(বিন বায অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ফাতওয়া নং-১৪৯৩৮)
.
▪ তৃতীয়ত:নারীরা যখন ঘরের বাইরে বের হয় বা এমন পুরুষদের সামনে আসে, যারা তাদের মাহরাম নয়, সে সময় তাদের সুগন্ধি ব্যবহার করার বিধান:”
.
নারী, বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত, তার জন্য ঘরের বাইরে যেমন মসজিদ, বাজার, মার্কেট ইত্যাদি স্থানে কিংবা কোনো নন-মাহরাম পুরুষের সামনে সুগন্ধি ব্যবহার করে যাওয়া শরীয়তসম্মত নয়। মহিলাদের জন্য পরপুরুষের সামনে পর্দা করে চলা যেমন জরুরি তেমনি তাদের সামনে ঘ্রাণ প্রকাশ না করা জরুরি। নারী বেপর্দা হয়ে চললে যেমন যিনা হয় তেমনি আতর, পারফিউম বা যেকোনো সুগন্ধি ব্যবহার করে পরপুরুষের সামনে গেলে যিনা হয়। আবু মূসা আল-আশআরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ‘কোনো মহিলা যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোনো লোকদের সামনে দিয়ে যায় যাতে তারা তার সুগন্ধির ঘ্রাণ পায়, তাহলে সে যিনাকারিণী মহিলা।’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৬২; নাসাঈ, হা/৫১২৬; সহীহ আত-তারগীব, হা/২০১৯ ইবনে খুযায়মা, হা/১৬৮১)। অপর হাদীসে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, প্রত্যেক চক্ষুই ব্যভিচারী। সুতরাং মহিলা যখন সুগন্ধি ব্যবহার করে জনসম্মুখে যায়, তখন সে এইরূপ এইরূপ অর্থাৎ ব্যভিচারিণী। (তিরমিযী হা/২৭৮৬; আবু দাঊদ, হা/৪১৭৩; মিশকাত, হা/১০৬৫, সনদ হাসান)। এমনকি নারীরা সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদেও যেতে পারবে না। হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন ‘কোনো মহিলা যদি মসজিদে যেতে চায়, তাহলে সে যেন সুগন্ধি থেকে সেভাবে গোসল করে নেয় যেভাবে সে নাপাকির গোসল করে থাকে।’ (নাসাঈ, হা/৫১২৭; সিলসিলা সহীহা, হা/১০১৩)। অপর বর্ননায় আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ)-এর স্ত্রী যায়নাব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে বললেন- إِذَا شَهِدَتْ إِحْدَاكُنَّ الْمَسْجِدَ فَلاَ تَمَسَّ ‘তোমাদের কোনো মহিলা যদি মসজিদে আসে, তাহলে সে যেন আতর ব্যবহার না করে।’(সহীহ মুসলিম, হা/৪৪৩; মিশকাত, হা/১০৬০)। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একজন মহিলা তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তার কাছ থেকে তীব্র ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, হে পরাক্রমশালী মহান আল্লাহর বান্দী! তুমি কি মসজিদে যাচ্ছো? মহিলা বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আর মসজিদে যাওয়ার জন্য তুমি সুগন্ধি ব্যবহার করেছো? মহিলা বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তুমি ফিরে যাও এবং গোসল করো। কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, কোনো মহিলা যদি সুগন্ধির ঘ্রাণ ছড়াতে ছড়াতে মসজিদে যায়, আল্লাহ তার সালাত কবুল করবেন না, যতক্ষণ না সে বাড়ি ফিরে গিয়ে গোসল না করে। (মুসনাদে আবীল ইয়ালা, হা/৬৩৮৫; জিলবাবুল মারআতিল মুসলিমাহ, ১/১৩৮ পৃঃ)। ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বর্ণনা করেছেন, طِيبُ الرِّجَالِ مَا ظَهَرَ رِيحُهٗ وَخَفِيَ لَوْنُهٗ وَطِيبُ النِّسَاءِ مَا ظَهَرَ لَوْنُهٗ وَخَفِيَ رِيحُهٗ ‘‘পুরুষের জন্য সর্বোত্তম সুগন্ধি হচ্ছে ঐ জিনিস যার ঘ্রাণ প্রকাশ পায় কিন্তু রং অপ্রকাশ্য থাকে। আর নারীর জন্য সর্বোত্তম সুগন্ধি হচ্ছে ঐ জিনিস যার রং প্রকাশ পায় কিন্তু ঘ্রাণ অপ্রকাশ্য থাকে।’’ (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হা/৪০৪৪)
.
তবে “হ্যাঁ, যদি কোনও মুসলিম নারী এমন পরিস্থিতিতে সুগন্ধি ব্যবহার করেন, যেখানে পুরুষদের এর গন্ধ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই—যেমন: স্বামীর সাথে গাড়িতে নির্জন স্থানে যাওয়া, শুধুমাত্র নারীদের জন্য নির্ধারিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, কিংবা শুধুমাত্র নারীদের জন্য সংরক্ষিত মসজিদের প্রবেশ পথে ব্যবহার তাহলে তা বৈধ হবে। কারণ, এখানে নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ, অর্থাৎ সুগন্ধির গন্ধ পুরুষদের কাছে পৌঁছানো, অনুপস্থিত। এবং সুগন্ধি ব্যবহারের উদ্দেশ্য যদি হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নিজেকে পরিপাটি করে রাখা, তাহলে এটি শরিয়তসম্মত হিসেবে গণ্য হবে।”এর স্বপক্ষে প্রমাণ হচ্ছে, আয়িশা বিনতু তালহা (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। উম্মুল মু‘মিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ) তাকে বলেছেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (মদীনা থেকে) মক্কায় সফর করেছি এবং ইহরামের সময় আমরা আমাদের পরিধেয় বস্ত্রে উত্তম সুগন্ধি মেখেছি। আমাদের কেউ ঘর্মাক্ত হলে তা মুখমন্ডল বেয়ে পড়তো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দেখতেন কিন্তু তা ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন না।”(আবু দাউদ হা/১৮৩০ সনদ বিশুদ্ধ) এটি সেই যুগের সামাজিক প্রেক্ষাপটে বোঝা উচিত, যখন নারীরা পুরুষদের থেকে পৃথক থাকত এবং হাওদায় অবস্থান করে আড়ালেই চলাফেরা করত।”
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, يجوز لها الطيب إذا كان خروجها إلى مجمع نسائي لا تمر في الطريق على الرجال”মহিলাদের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা জায়েয; যদি সে নারীদের কোন স্থানে বের হয় এবং রাস্তায় পুরুষদের পাশ দিয়ে না যায়।” (মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতুম মুতানাওয়্যা‘আহ, খণ্ড: ১০ পৃষ্ঠা: ৪০)
.
সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন,
” أما إذا كانت المرأة ستركب في السيارة ولا يظهر ريحها إلا لمن يحل له أن تظهر الريح عنده ، وستنزل فورا إلى محل عملها بدون أن يكون هناك رجال حولها ، فهذا لا بأس به ، لأنه ليس في هذا محذور ، فهي في سيارتها كأنها في بيتها ، أما إذا كانت ستمر إلى جانب الرجال فلا يحل لها أن تتطيب ” انتهى .
فإن حصلت بعض الظروف الطارئة التي أدت إلى شم بعض الرجال طيب هذه المرأة ، بسبب حادث سيارة مثلا ، أو مرض مفاجئ نقلت على إثره إلى المستشفى ونحو ذلك ، فهذا من الأمور المعفو عنها إن شاء الله ، إذ لا يكلف الله نفسا إلا وسعها ، والحكم الشرعي يتبع حالات الاختيار لا حالات الاضطرار .
والله أعلم .
“অতঃপর যদি কোনো নারী গাড়িতে চড়ে এবং তার সুগন্ধি কেবলমাত্র তাদের নিকট প্রকাশ পায়,যাদের জন্য তা প্রকাশ করা বৈধ এবং সে সরাসরি গাড়ি থেকে নেমে তার কর্মস্থলে প্রবেশ করে যেখানে তার আশেপাশে কোনো পুরুষ থাকবে না তাহলে এতে কোনো দোষ নেই। কারণ এতে হারাম কিছুই নেই।যখন সে তার গাড়িতে থাকে তখন মনে হয় সে তার বাড়িতেই আছে। কিন্তু যদি সে পুরুষদের পাশ দিয়ে যায় তাহলে তার জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা জায়েয হবে না।” আবার যদি এমন কোন জরুরী অবস্থা দেখা দেয় যেখানে কিছু পুরুষ এই মহিলার পারফিউমের গন্ধ পেয়ে যায়, যেমন; একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কারণে বা হঠাৎ অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিংবা অনুরূপ কিছু ঘটে তাহলে এটি এমন কিছু যা ক্ষমাযোগ্য ইনশাআল্লাহ। কারণ আল্লাহ কোনো মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে বোঝা চাপিয়ে দেন না। আর শরয়ি বিধান মূলত স্বেচ্ছায় করা কাজের ওপর নির্ভর করে, বাধ্যবাধকতার ওপর নয়। আর আল্লাহই সর্বজ্ঞ।”(শাইখ ইবনে উসাইমিন (রহঃ) এর জালসাতে রামাদানিয়্যাহ; ১৪১৫ আল-মাজলিস আল-খামিস/মাজমুআত আসিলাহ তুহিম্ম আল-উসরাহ ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং- ১০২৩২৯)।
.
জেনে রাখা উচিত যে, নারীদের জন্য ঘরে সালাত আদায় করাই উত্তম। তবে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে তারা পুরুষ মিশ্রিত মসজিদে সালাত আদায়ের জন্য যেতে পারে যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “নারীদেরকে মসজিদে যেতে বাধা দিও না। তবে, তাদের জন্য ঘরই উত্তম।”[হাদিসটি আবু দাউদ তাঁর ‘সুনান’ গ্রন্থে, ‘নারীদের মসজিদে যাওয়া’ শীর্ষক পরিচ্ছেদ ও ‘এ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ’ শীর্ষক পরিচ্ছেদে সংকলন করেছেন। হাদিসটি ‘সহিহুল জামে’ হা/৭৪৫৮ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে)
.
ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:ولا بأس بحضور النساء صلاة التراويح إذا أمنت الفتنة بشرط أن يخرجن محتشمات غير متبرجات بزينة ولا متطيبات “যদি ফিতনার আশংকা না থাকে তবে তারাবীর সালাতে নারীদের উপস্থিত হওয়াতে কোন সমস্যা নেই।তবে শর্ত হলো- তারা শালীনভাবে সৌন্দর্য প্রকাশ না করে বের হবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে না।”(উসাইমীন, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, খণ্ড; ১৪: পৃষ্ঠা: ২১১)
.
শাইখ বকর আবু যাইদ তার ‘হিরাসাতুল ফাদ্বিলাহ’ নামক গ্রন্থে নারীদের মসজিদে বের হওয়ার সকল শর্ত একত্রিত করেছেন। সেখানে তিনি বলেন: “নিম্নোক্ত বিধিবিধানের আলোকে মুসলিম নারীকে মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে:
(১) সে নিজে ফিতনায় পড়া অথবা তার দ্বারা অন্য কেউ ফিতনাগ্রস্ত হওয়া থেকে আশংকামুক্ত হওয়া।
(২) তার সেখানে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে শরিয়তকর্তৃক নিষিদ্ধ কোন বিষয় সংঘটিত না হওয়া।
(৩) রাস্তায় অথবা মসজিদে পুরুষদের সাথে ভিড় না করা।
(৪) সুগন্ধি ব্যবহার না করে বের হওয়া।
(৫) পরিপূর্ণ হিজাব পরিধান করা যাতে কোনো প্রকার সৌন্দর্য প্রকাশ না হয়।
(৬) নারীদের জন্য মসজিদের আলাদা প্রবেশপথ থাকা। যাতে নারীরা সে পথ দিয়ে প্রবেশ করতে পারে ও বের হতে পারে।এই প্রসঙ্গে সুনানে আবু দাউদ ও অন্যান্য গ্রন্থে হাদিস সাব্যস্ত হয়েছে।
(৭) নারীদের কাতার পুরুষদের কাতারের পিছনে হওয়া।
(৮) নারীদের কাতারের মধ্যে উত্তম হলো সর্বশেষ কাতার। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে এর বিপরীত।
(৯) যদি ইমাম নামাযে কোন ব্যতিক্রম করে তবে পুরুষরা তাসবীহ পাঠ করবে এবং নারীরা ডান হাতের তালু দিয়ে বাম হাতের কব্জির উপর তালি দিয়ে শব্দ করবে।
(১০) নারীরা পুরুষদের আগে মসজিদ থেকে বের হবে। নারীরা ঘরে পৌঁছা পর্যন্ত পুরুষরা অপেক্ষা করবে। এ প্রসঙ্গে উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে সহীহ বুখারীতে ও অন্যান্য কিতাবে হাদিস প্রমাণিত হয়েছে।” (শাইখ বকর আবু যাইদ ‘হিরাসাতুল ফাদ্বিলাহ’; পৃষ্ঠা: ৮৬)
.
আমরা আল্লাহ্‌র কাছে আমাদের জন্য ও সকল মুসলিম ভাইদের জন্য ইখলাস ও কবুলিয়তের প্রার্থনা করছি। তিনি যেন আমাদের আমলগুলো তাঁর পছন্দ ও সন্তুষ্টি মোতাবেক সম্পন্ন করান। আমাদের নবী মুহাম্মদের উপর আল্লাহ্‌র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।

No comments:

Post a Comment

Translate