Monday, May 12, 2025

কোন ভুলগুলোতে সাহু সিজদা দিতে হয় এবং কখন ও কোথায় দিতে হয়

 প্রশ্ন: সাহু সিজদার উদ্দেশ্য ও হিকমত কী? কোন ভুলগুলোতে এটি করা ওয়াজিব হয়? সাহু সিজদা কখন ও কোথায় আদায় করতে হয় এবং তাতে কী পড়া উচিত? কেউ যদি সাহু সিজদা না করেই সালাত শেষ করে, তবে তার সালাতের হুকুম কী?

▬▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকা: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র প্রতি। অতঃপর এখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়েছে আমরা প্রতিটি পয়েন্ট আলাদা আলাদা করে উল্লেখ করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
.
▪️প্রথমত: সাহু সিজদার উদ্দেশ্য ও হিকমত কী?
.
আল্লাহ তাআলার বান্দাদের প্রতি অপার রহমত ও এই পরিপূর্ণ দ্বীনের সৌন্দর্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো তিনি বান্দাদের ইবাদতে অনিবার্যভাবে ঘটে যাওয়া ত্রুটিগুলো পূরণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। কেননা মানুষ ভুল-ভ্রান্তিমুক্ত নয়, আর এই ঘাটতি থেকে সম্পূর্ণরূপে রেহাই পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই আল্লাহ যেমন নফল ইবাদত, ক্ষমা প্রার্থনা এবং অনুরূপ বিভিন্ন উপায়ে এসব ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা রেখেছেন, তেমনই, সালাতে সামান্য ভুল বা কমতি হলে তা পূরণের জন্য আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য ‘সাহু সিজদা’র বিধান দিয়েছেন। তবে এই বিধান সকল ভুলের জন্য নয়; বরং নির্দিষ্ট কিছু ভুল বা ঘাটতির ক্ষেত্রে এটি আরোপিত হয়েছে। প্রতিটি ভুল সাহু সিজদার মাধ্যমে পূরণযোগ্য নয়, আবার সব পরিস্থিতিতে সাহু সিজদা করা ওয়াজিবও নয়।
.
▪️দ্বিতীয়ত: সাহু সিজদার কারণসমূহ:
.
সাহু সিজদার কারণসমূহের ব্যাপারে শাইখ ইবনে উসাইমীন রহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি উত্তর দেন: সাকুল্যে সালাতে সাহু সিজদার কারণ তিনটি:
.
(১). বৃদ্ধি:- অতিরিক্ত কিছু যোগ করা (বৃদ্ধি): এর উদাহরণ হলো কেউ যদি সালাতে একটি রুকু, একটি সিজদাহ, দাঁড়ানো বা বসার অতিরিক্ত কোনো অংশ করে ফেলে।
.
(২).কমতি:- কোনো কিছু বাদ দেওয়া (কমতি): এর উদাহরণ হলো সালাতের কোনো রুকন (অবশ্য করণীয় অংশ) বা ওয়াজিব (অবশ্য পালনীয় কাজ) কেউ ভুলক্রমে ফেলে দেয়।
.
(৩). সন্দেহ:- সন্দেহের উদাহরণ হলো: কোন ব্যক্তি সালাতের সংখ্যা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যাওয়া; যেমন কেউ রাকাআতের সংখ্যা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায়; বুঝতে পারে না যে সে তিন রাকাত পড়েছে, নাকি চার।
.
▪️তৃতীয়ত: সাহু সিজদার স্থান এবং এতে কী পড়তে হয়?
.
সাহু সিজদার স্থান নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে অধিক গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে:
.
(ক).যদি সালাতে কোনো বৃদ্ধি (অর্থাৎ অতিরিক্ত কিছু করা) হয়ে যায়, তাহলে সালামের পর সাহু সিজদা দিতে হবে।
.
(খ).আর যদি কমতি হয় (অর্থাৎ কোনো ওয়াজিব বা সুন্নাত ছেড়ে যায়), তাহলে সালামের আগে সাহু সিজদা দিতে হবে।
.
(গ).আর যদি সন্দেহ সৃষ্টি হয়, তাহলে বিষয়টি কিছুটা বিশ্লেষণসাপেক্ষ। যদি দুটি সম্ভাবনার মধ্যে কোনোটিই স্পষ্টভাবে প্রাধান্য না পায়, তাহলে সালামের আগে সাহু সিজদা করবে। (দেখুন: ইবনু উসাইমীন, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, খণ্ড: ১৪; পৃষ্ঠা: ১৪-১৬)
.
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণ বলেছেন,
التشهد الأول في الصلاة واجب من واجباتها في أصح قولي العلماء ، لأن النبي صلى الله عليه وسلم كان يفعله ويقول : ( صلوا كما رأيتموني أصلي ) ، ولما تركه سهوا سجد للسهو ، فمن تركه عمدا بطلت صلاته ، ومن تركه سهوا جبره بسجود السهو قبل السلام
“আলেমদের দুই মতের মাঝে বিশুদ্ধ মত অনুসারে সালাতের প্রথম বৈঠকের তাশাহ্‌হুদ একটি ওয়াজিব। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা করতেন এবং তিনি বলেছেন: “তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখছ সেভাবে সালাত আদায় করো।” এবং যেহেতু তিনি এটা ছেড়ে দেওয়ার প্রেক্ষিতে সাহু সিজদা দিয়েছিলেন। সুতরাং কেউ ইচ্ছাকৃত প্রথম বৈঠক ছাড়লে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে। আর ভুল করে ছেড়ে দিলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সালামের আগে সাহু সিজদা দিবে।”(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ; খণ্ড: ৭; পৃষ্ঠা: ৮)
.
আর সাহু সিজদায় কি পড়তে হয় এই বিষয়ে কথা হচ্ছে, সালাতের সিজদার মতোই সাহু সিজদা আদায় করতে হয়। মুসল্লী সালাতের মতো করেই সাতটা হাড়ের উপর সাহু সিজদা আদায় করবে। ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা’ এই পরিচিত যিকির পড়বে। দুই সিজদার মঝে ‘রাব্বিগফিরলি, রাব্বিগফিরলি’ পড়বে। সাহু সিজদার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো যিকির নেই। আলেমরা এটাই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যেমন শাফি‘ঈ মাযহাবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ইমাম মুহিউদ্দীন বিন শারফ আন-নববী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭৬ হি.] বলেছেন;سُجُودُ السَّهْوِ سَجْدَتَانِ بَيْنَهُمَا جَلْسَةٌ , وَيُسَنُّ فِي هَيْئَتِهَا الافْتِرَاشُ ، وَيَتَوَرَّكُ بَعْدَهُمَا إلَى أَنْ يُسَلِّمَ , وَصِفَةُ السَّجْدَتَيْنِ فِي الْهَيْئَةِ وَالذِّكْرِ صِفَةُ سَجَدَاتِ الصَّلاةِ . وَاَللَّهُ أَعْلَمُ “ভুলজনিত সিজদা দুইটি। এ দুই সিজদার মাঝখানে একটি বৈঠক আছে। এই বৈঠকে ইফতিরাশ (ডান পা খাড়া রেখে, বাম পা বিছিয়ে এর উপর বসা) পদ্ধতিতে বসা এবং সিজদাদ্বয়ের পর সালাম ফিরানো পর্যন্ত তাওয়াররুক (ভূমির উপর নিতম্ব রেখে উভয় পা ডান দিকে বের করে বসা) পদ্ধতিতে বসা সুন্নত। এ সিজদাদ্বয়ের পদ্ধতি ও যিকির নামাযের সিজদাগুলোর মতো। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।”(নববী “আল-মাজমু” খণ্ড; ৪; পৃষ্ঠা: ৭২)
.
মারদাওয়ী তার ‘আল-ইনসাফ’ বইয়ে বলেন:سجود السهو وما يقول فيه وبعد الرفع منه كسجود الصلاة“সাহু সিজদায় যা পড়া হবে এবং এর থেকে ওঠার পর যা পড়া হবে সবই সালাতের সিজদার মতো।”(আল-ইনসাফ; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ১৫৯) রামলী তার ‘নিহায়াতুল মুহতাজ’ বইয়ে বলেন:وكيفيتهما ( يعني سجدتي السهو ) كسجود الصلاة في واجباته ومندوباته كوضع الجبهة والطمأنينة والافتراش في الجلوس بينهما“দুই সাহু সিজদার ধরন নামাযের সিজদার মতই; এর ওয়াজিব ও মুস্তাহাবগুলোর ক্ষেত্রে। যেমন: মাটিতে কপাল রাখা, স্থির হওয়া, ইফতিরাশ করা (দুই সিজদার মাঝখানে পায়ের উপর নিতম্ব রেখে বসা।)”(নিহায়াতুল মুহতাজ’ খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৮৮ থেকে সংক্ষেপে সমাপ্ত)
.
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণ বলেছেন:يقول الساجد في سجود السهو والتلاوة مثل ما يقول في سجوده في صلاته : ” سبحان ربي الأعلى ” والواجب في ذلك مرة واحدة ، وأدنى الكمال ثلاث مرات ، ويستحب الدعاء في السجود بما يسر الله من الأدعية الشرعية المهمة“ভুলজনিত সিজদা ও তেলাওয়াতের সিজদা দানকারী সালাতের সিজদাতে যা যা বলেন তাই বলবেন: سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلى (আমার সুউচ্চ প্রভুর পবিত্রতা ঘোষণা করছি)। একবার বলা ওয়াজিব। পরিপূর্ণ মাত্রা হচ্ছে: ন্যূনতম তিনবার বলা। সিজদাতে সাধ্যমত শরয়ী দোয়াগুলো পড়া মুস্তাহাব।”(”(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ; খণ্ড: ৬; পৃষ্ঠা: ৪৪৩)
.
উল্লেখ যে কিছু ফকীহ মনে করেন সাহু সিজদাতে
سُبْحَانَ مَنْ لَا يَسْهُوْ وَلَا يَنَامُ
(সুবহানা মান লা ইয়াসহু ওয়া-লা ইয়ানামু) অর্থ: আমি সেই সত্তার পবিত্রতা ঘোষণা করছি যিনি ঘুমান না এবং ভুলে যান না) পড়া মুস্তাহাব। কিন্তু এর পক্ষে কোনো দলীল নেই। সুতরাং সালাতের সিজদায় যা পড়া হয় তাতে সীমিত থাকায় শরয়ি বিধান; এছাড়া অন্য কোন যিকিরে ব্যক্তি অভ্যস্ত হবে না। এই বিষয়ে হাফেয ইবনে হাজার আসকালানি(রাহিমাহুল্লাহ) [জন্ম: ৭৭৩ হি: মৃত: ৮৫২ হি:] তার আত-তালখীস’ গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন: আমি এর (পূর্বোক্ত দোয়ার) কোন ভিত্তি পাইনি।”(আত-তালখীস’;খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ১২)
.
▪️চতুর্থত: কেউ যদি সাহু সিজদা না করেই সালাত শেষ করে, তবে তার সালাতের হুকুম কী?
.
আলেমগণ উল্লেখ করেছেন, ভুলক্রমে যে ব্যক্তির সাহু সিজদা ছুটে গেছে যদি খুব বেশি বিলম্ব না হয় তাহলে সে তখনি সেটা কাযা করে নিবে। আর যদি দীর্ঘ সময় বিলম্ব হয় তাহলে মুসল্লির উপর থেকে সাহু সিজদা আদায় করার দায়িত্ব বাদ যাবে এবং তার সালাত সহিহ হবে।
ইমাম আল-বুহুতি ((রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:
( وَإِنْ نَسِيَهُ ) أَيْ : السُّجُودَ وَقَدْ نُدِبَ ( قَبْلَهُ ) أَيْ : السَّلَامُ ( قَضَاهُ ) وُجُوبًا إنْ وَجَبَ ( وَلَوْ ) كَانَ ( شُرِعَ فِي ) صَلَاةٍ ( أُخْرَى فَ ) يَقْضِيهِ ( إذَا سَلَّمَ ) مِنْهَا إنْ قَرُبَ الْفَصْلُ , وَلَمْ يُحْدِثْ , وَلَمْ يَخْرُجْ مِنْ الْمَسْجِدِ لِبَقَاءِ مَحَلِّهِ ( وَإِنْ طَالَ فَصْلٌ عُرْفًا , أَوْ أَحْدَثَ , أَوْ خَرَجَ مِنْ الْمَسْجِدِ لَمْ يَقْضِهِ ) أَيْ : السُّجُودَ لِفَوَاتِ مَحَلِّهِ ( وَصَحَّتْ ) صَلَاتُهُ , كَسَائِرِ الْوَاجِبَاتِ إذَا تَرَكَهَا سَهْوًا “
“কেউ যদি সালামের আগে আদায় করা মুস্তাহাব এমন কোন সাহু সিজদা দিতে ভুলে যায়; সে সাহু সিজদাটি যদি ওয়াজিব হয় তাহলে সে ব্যক্তি ওয়াজিব হিসেবে এটাকে কাযা করে নিবে। আর যদি অন্য কোনো সালাত শুরু করে দেয় তাহলে ঐ সালাতের সালাম ফিরানোর পর সাহু সিজদা কাযা করবে; যদি এর মধ্যে বেশি বিলম্ব না হয়; ওজু না ভাঙ্গে এবং মসজিদ থেকে বের না হয়। যেহেতু সিজদাটি আদায় করার সময় এখনো আছে। আর যদি প্রথা অনুযায়ী খুব দেরী হয়ে যায়, কিংবা ওজু ছুটে যায় কিংবা মসজিদ থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে সাহু সিজদা আর কাযা করা যাবে না। যেহেতু এটি আদায় করার সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। তবে তার সালাত শুদ্ধ হবে। যেমন অন্য যে কোন ওয়াজিব ভুলক্রমে পরিত্যাগ করলেও সালাত শুদ্ধ হয়।”,(মুনতাহাল ইরাদাত; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ২৩৫)
.
যে ব্যক্তি এ মাসয়ালার বিধান জানে না এমন ব্যক্তি ও জেনে ভুলকারী উভয়ের জন্য হুকুম অভিন্ন। সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণ বলেছেন: إذا كان تركه سجود السهو عمداً ، فصلاته باطلة وعليه إعادتها ، وإن كان تركه سهواً ، أو جهلاً ، فلا إعادة عليه وصلاته صحيحة “
যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সাহু সিজদা ছেড়ে দেয় তাহলে তার সালাত বাতিল হয়ে যাবে এবং তাকে পুনরায় সালাত পড়তে হবে। আর যদি ভুলক্রমে কিংবা অজ্ঞতাবশত ছেড়ে দেয় তাহলে তাকে পুনরায় সালাত পড়তে হবে না। তার নামায সহিহ।”(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ; খণ্ড: ৬; পৃষ্ঠা: ১০)
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.]-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে,যদি কেউ নামাযের রাকাতে বেশি করে কিংবা কম করে এবং সাহু সিজদা না দেয় তাহলে তার সালাত কি বাতিল হয়ে যাবে?
তিনি জবাবে বলেন:
هذا فيه تفصيل : إذا كان عزم على ترك السجود وهو في الصلاة ، فهذا إذا تعمد ذلك ، وهو يعلم الحكم الشرعي : تبطل صلاته .أما إذا كان جاهلا أو ناسيا : ما تبطل ، وصلاته صحيحة …”
এক্ষেত্রে বিস্তারিত বিশ্লেষণ প্রয়োজন। যদি সে ব্যক্তি সাহু সিজদা দেয়ার হুকুম জানার পরও সালাতের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে সাহু সিজদা না দেয় তাহলে তার সালাত বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি অজ্ঞতাবশত কিংবা ভুলক্রমে সাহু সিজদা না দেয় তাহলে তার সালাত শুদ্ধ হবে।(বিন বায,ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব থেকে সংক্ষেপিত ও সমাপ্ত দেখুন শাইখের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ফাতওয়া নং-১০৮৬৬)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়: জুয়েল মাহমুদ সালাফি।

No comments:

Post a Comment

Translate