Wednesday, December 8, 2021

নিজ পরিবার পরিজন

 Posted

 

সংকলকঃ আবূ মুআয সুহাইল বিন সুলতান

অতএবআপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। করলে শাস্তিতে পতিত হবেন। আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন। এবং আপনার অনুসারী মুমিনদের প্রতি সদয় হোন। যদি তারা আপনার অবাধ্য করেতবে বলে দিনতোমরা যা করতা থেকে আমি মুক্ত। (Ash-Shu’araa 26: 213 – 216)

আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোন রিযিক চাই না। আমি আপনাকে রিযিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ। (Taa-Haa 20: 132)

তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে– মূর্খতা যুগের অনুরুপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবেনা। নামায কায়েম করবে,যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূতপবিত্র রাখতে। (Al-Ahzaab 33: 33)

মুমিনগণতোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা করযার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তরযাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তাআলা যা আদেশ করেন,তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়তাই করে। (At-Tahrim 66: 6)

ঈমানদার নারীদেরকে বলুনতারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমানতা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামীপিতাশ্বশুরপুত্রস্বামীর পুত্রভ্রাতাভ্রাতুস্পুত্রভগ্নিপুত্রস্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদীযৌনকামনামুক্ত পুরুষ বালকযারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞতাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করেতারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণতোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা করযাতে তোমরা সফলকাম হও। (An-Noor 24: 31)

ধনৈশ্বর্য ও সন্তানসন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম। (Al-Kahf 18: 46)

মুমিনগণতোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। (Al-Munaafiqoon 63: 9) তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে না। তবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করেতারা তাদের কর্মের বহুগুণ প্রতিদান পাবে এবং তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে। (Saba 34: 37)

আত্নীয়স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না। (Al-Israa17: 26) আত্নীয়স্বজনকে তাদের প্রাপ্য দিন এবং মিসকীন ও মুসাফিরদেরও। এটা তাদের জন্যে উত্তমযারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে। তারাই সফলকাম। (Ar-Room 30: 38)

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যেতাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতামাতার সাথে সদ্বব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়তবে তাদেরকে উহশব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (Al-Israa 17: 23)

আমি মানুষকে তার পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন শক্তিসামর্থে  বয়সে চল্লিশ বছরে পৌছেছেতখন বলতে লাগলহে আমার পালনকর্তাআমাকে এরূপ ভাগ্য দান করযাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করিযা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতামাতাকেএবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ করআমি তোমার প্রতি তওবা করলাম এবং আমি আজ্ঞাবহদের অন্যতম। (Al-Ahqaf 46: 15)

আর আমি মানুষকে তার পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যেআমার প্রতি ও তোমার পিতামতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে। (Luqman 31: 14)

আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দুবছর দুধ খাওয়াবেযদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। আর সন্তানের অধিকারী অর্থাৎপিতার উপর হলো সে সমস্ত নারীর খোরপোষের দায়িত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী। কাউকে তার সামর্থাতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন করা হয় না। আর মাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এবং যার সন্তান তাকেও তার সন্তানের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন করা যাবে না। আর ওয়ারিসদের উপরও দায়িত্ব এই। তারপর যদি পিতামাতা ইচ্ছা করেতাহলে দুবছরের ভিতরেই নিজেদের পারস্পরিক পরামর্শক্রমে দুধ ছাড়িয়ে দিতে পারেতাতে তাদের কোন পাপ নেইআর যদি তোমরা কোন ধাত্রীর দ্বারা নিজের সন্তানদেরকে দুধ খাওয়াতে চাওতাহলে যদি তোমরা সাব্যস্তকৃত প্রচলিত বিনিময় দিয়ে দাও তাতেও কোন পাপ নেই। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখো যেআল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ অত্যন্ত ভাল করেই দেখেন। (Al-Baqara 2: 233)

আপনি চক্ষু তুলে ঐ বস্তুর প্রতি দেখবেন নাযা আমি তাদের মধ্যে কয়েক প্রকার লোককে ভোগ করার জন্যে দিয়েছিতাদের জন্যে চিন্তিত হবেন না আর ঈমানদারদের জন্যে স্বীয় বাহু নত করুন। (Al-Hijr 15: 88)

হে ঈমানদারগণতোমরা পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার করযেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহরযদি তোমরা তাঁরই বন্দেগী কর। (Al-Baqara 2: 172)

হে ঈমানদারগণখেয়ানত করোনা আল্লাহর সাথে ও রসূলের সাথে এবং খেয়ানত করো না নিজেদের পারস্পরিক আমানতে জেনেশুনে। (Al-Anfaal 8: 27) হে ঈমানদারগণআল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (Aali Imraan 3: 102)

হে ঈমানদারগণতোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো নাযদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের যারা তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী। (At-Tawba 9: 23)

পিতামাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করেযার জ্ঞান তোমার নেই;তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়,তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতেআমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো। (Luqman 31: 15)

যারা পছন্দ করে যেঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুকতাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেনতোমরা জান না। (An-Noor 24: 19) যারা সতীসাধ্বীনিরীহ ঈমানদার নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করেতারা ইহকালে ও পরকালে ধিকৃত এবং তাদের জন্যে রয়েছে গুরুতর শাস্তি। (An-Noor 24: 23) এবং যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং তারা নিজেরা ছাড়া তাদের কোন সাক্ষী নেইএরূপ ব্যক্তির সাক্ষ্য এভাবে হবে যেসে আল্লাহর কসম খেয়ে চারবার সাক্ষ্য দেবে যেসে অবশ্যই সত্যবাদী।(An-Noor 24: 6)

আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর। (An-Nisaa 4: 4) স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করার আগে এবং কোন মোহর সাব্যস্ত করার পূর্বেও যদি তালাক দিয়ে দাওতবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই। তবে তাদেরকে কিছু খরচ দেবে। আর সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এবং কম সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সাধ্য অনুযায়ী। যে খরচ প্রচলিত রয়েছে তা সৎকর্মশীলদের উপর দায়িত্ব। (Al-Baqara 2: 236)

যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা করতবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ের মীমাংসা চাইলে আল্লাহ সর্বজ্ঞসবকিছু অবহিত। (An-Nisaa 4: 35) আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকেতাহলে আল্লাহ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছেতেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালীবিজ্ঞ। (Al-Baqara 2: 228)

পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল  জন্য যেআল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং  জন্য যেতারাতাদের অর্থ ব্যয় করে সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাওতাদের শয্যাত্যাগ কর এবং প্রহার কর যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো নানিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ (An-Nisaa 4: 34)

আরতোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তিযা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকেতবে তোমাদের হবে একচতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তিরযা তারা ছেড়ে যায়ওছিয়্যতের পরযা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে একচতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তিরযা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকেতবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগযা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পরযা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষেরত্যাজ্য সম্পত্তিতার যদি পিতাপুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকেতবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকেতবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পরযা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যেঅপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞসহনশীল। (An-Nisaa 4: 12)

আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করেযাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীলসুকৌশলী। (At-Tawba 9: 71) আল্লাহ ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেনে কাননকুঞ্জেরযার তলদেশে প্রবাহিত হয় প্রস্রবণ। তারা সে গুলোরই মাঝে থাকবে। আর এসব কাননকুঞ্জে থাকবে পরিচ্ছন্ন থাকার ঘর। বস্তুতঃ এ সমুদয়ের মাঝে সবচেয়ে বড় হল আল্লাহর সন্তুষ্টি। এটিই হল মহান কৃতকার্যতা। (At-Tawba 9: 72)

যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামীআমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী। (At-Tur 52: 21) এবং যারা বলেহে আমাদের পালনকর্তাআমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। (Al-Furqaan 25: 74) হে আমার পালনকর্তাআমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তাএবং কবুল করুন আমাদের দোয়া। (Ibrahim 14: 40)

হে মুমিনগণতোমাদের কোন কোন স্ত্রী ও সন্তানসন্ততি তোমাদের দুশমন। অতএব তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক। যদি মার্জনা করউপেক্ষা করএবং ক্ষমা করতবে আল্লাহ ক্ষমাশীলকরুনাময়। (At-Taghaabun 64: 14)

যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করেতাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন নাযদিও তারা তাদের পিতাপুত্রভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেনযার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখআল্লাহর দলই সফলকাম হবে। (Al-Mujaadila 58: 22)

জাহান্নামের সামনে উপস্থিত করার সময় আপনি তাদেরকে দেখবেনঅপমানে অবনত এবং অর্ধ নিমীলিত দৃষ্টিতে তাকায়। মুমিনরা বলবেকেয়ামতের দিন ক্ষতিগ্রস্ত তারাইযারা নিজেদের ও তাদের পরিবারপরিজনের ক্ষতি সাধন করেছে। শুনে রাখপাপাচারীরা স্থায়ী আযাবে থাকবে।(Ash-Shura 42: 45)

অতএবতোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইচ্ছা তার এবাদত কর। বলুনকেয়ামতের দিন তারাই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে,যারা নিজেদের ও পরিবারবর্গের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জেনে রাখএটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি। (Az-Zumar 39: 15)

আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকেঅতঃপর বীর্য থেকেতারপর করেছেন তোমাদেরকে যুগল। কোন নারী গর্ভধারণ করে না এবং সন্তান প্রসব করে নাকিন্তু তাঁর জ্ঞাতসারে। কোন বয়স্ক ব্যক্তি বয়স পায় না। এবং তার বয়স হ্রাস পায় নাকিন্তু তা লিখিত আছে কিতাবে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। (Faatir 35: 11)

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তাআলারই। তিনি যা ইচ্ছাসৃষ্টি করেনযাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। (Ash-Shura: 49) তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি তো কেবল পরীক্ষাস্বরূপ। আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার। (At-Taghaabun: 15) নিশ্চয় যারা কাফের হয়তাদের ধন সম্পদ ওসন্তানসন্ততি আল্লাহর সামনে কখনও কোন কাজে আসবে না। আর তারাই হলো দোযখের আগুনের অধিবাসী। তারা সে আগুনে চিরকাল থাকবে। (Aali Imraan 3: 116) সুতরাং তাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন আপনাকেবিস্মিত না করে। আল্লাহর ইচ্ছা হল এগুলো দ্বারা দুনিয়ার জীবনে তাদের আযাবে নিপতিত রাখা এবং প্রাণবিয়োগ হওয়া কুফরী অবস্থায়। (At-Tawba 9: 55)

হে বনী আদমশয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করেযেমন সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে এমতাবস্থায় যেতাদের পোশাক তাদের থেকে খুলিয়ে দিয়েছে যাতে তাদেরকে লজ্জাস্থান দেখিয়ে দেয়। সে এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখেযেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না। আমি শয়তানদেরকে তাদের বন্ধু করে দিয়েছি, , যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না। (Al-A’raaf 7: 27)

হে ঈমানদারগণতোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (An-Nisaa 4: 29)

আল্লাহর কবল থেকে তাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি তাদেরকে মোটেই বাঁচাতে পারবেনা। তারাই জাহান্নামের অধিবাসী তথায় তারা চিরকাল থাকবে। (Al-Mujaadila 58: 17) তোমাদের স্বজনপরিজন ও সন্তানসন্ততিকিয়ামতের দিন কোন উপকারে আসবে না। তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন। তোমরা যা করআল্লাহ তাদেখেন। (Al-Mumtahana 60: 3)

হে মানব জাতিতোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর এবং ভয় কর এমন এক দিবসকেযখন পিতা পুত্রের কোন কাজে আসবে না এবং পুত্রও তার পিতার কোন উপকার করতে পারবে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতএবপার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয় এবং আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারক শয়তানও যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে। (Luqman 31: 33)

যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে। সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পনস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তানসন্ততিকেতার স্ত্রীকেতার ভ্রাতাকেতার গোষ্ঠীকেযারা তাকে আশ্রয় দিত। এবং পৃথিবীর সবকিছুকেঅতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে। কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি। যা চামড়া তুলে দিবে। সে সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিল ও বিমুখ হয়েছিল। সম্পদ পুঞ্জীভূত করেছিলঅতঃপর আগলিয়ে রেখেছিল। (Al-Ma’aarij: 11 – 18)

বলতোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তানতোমাদের ভাই তোমাদের পত্নীতোমাদের গোত্রতোমাদের অর্জিত ধনসম্পদতোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থানযাকে তোমরা পছন্দ করআল্লাহতাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়তবে অপেক্ষা করআল্লাহর বিধান আসা পর্যন্তআর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। (At-Tawba 9: 24)

হে ঈমানদারগণতোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকআল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান করতাতে তোমাদের নিজের বা পিতামাতার অথবা নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনের ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএবতোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনাবাসনারঅনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে– পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাওতবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ কর্ম সম্পর্কেই অবগত। (An-Nisaa 4: 135)

আপনি বলুনঃ এসআমি তোমাদেরকে ঐসব বিষয় পাঠ করে শুনাইযেগুলো তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন। তাএই যেআল্লাহর সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো নাপিতামাতার সাথে সদয় ব্যবহার করো স্বীয় সন্তানদেরকে দারিদ্রে কারণে হত্যা করো নাআমি তোমাদেরকে ও তাদেরকে আহার দেইনির্লজ্জতার কাছেও যেয়ো নাপ্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্যযাকে হত্যা করা আল্লাহ হারাম করেছেনতাকে হত্যা করো নাকিন্তু ন্যায়ভাবে। তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেনযেন তোমরা বুঝ। এতীমদের ধনসম্পদের কাছেও যেয়ো নাকিন্তু উত্তম পন্থায় যে পর্যন্ত সে বয়ঃপ্রাপ্ত না হয়। ওজন ও মাপ পূর্ণ কর ন্যায় সহকারে। আমি কাউকে তার সাধ্যের অতীত কষ্ট দেই না। যখন তোমরা কথা বলতখন সুবিচার করযদিও সে আত্নীয়ও হয়। আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ কর।তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেনযেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। নিশ্চিত এটি আমার সরল পথ। অতএবএ পথে চল এবং অন্যান্য পথে চলো না। তা হলে সেসব পথ তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেনযাতে তোমরা সংযত হও। (Al-An’aam 6: 151-153)

আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতাসদাচরণ এবং আত্নীয়স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতাঅসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। (An-Nahl 16: 90)

তোমরা আল্লাহর জন্যে শ্রম স্বীকার কর যেভাবে শ্রম স্বীকার করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক।তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেওযাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম করযাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী। (Al-Hajj 22: 78)

হে আমাদের পালনকর্তাআমাকেআমার পিতামাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুনযেদিন হিসাব কায়েম হবে।(Ibrahim 14: 41) হে আমার পালনকর্তা আপনি আমাকেআমার পিতমাতাকে যারা মুমিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং যালেমদের কেবল ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন। (Nooh 71: 28)

হে আমাদের পালনকর্তাআর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতেযার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপদাদাপতিপত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনিপরাক্রমশালীপ্রজ্ঞাময়। (Ghaafir 40: 8)

>>>>>Special Courtesy:- dararqam.com<<<<<

No comments:

Post a Comment

Translate