Wednesday, December 8, 2021

রিযিক

 Posted

রিযিকের সিদ্ধান্ত হয় উপরেঃ

আকাশে রয়েছে তোমাদের রিযিক ও প্রতিশ্রুত সবকিছু। (Adh-Dhaariyat 51: 22)

আল্লাহই রিযিকদাতাঃ

আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছারিযিক দান করেন। তিনি প্রবলপরাক্রমশালী (Ash-Shura 42: 19)

আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেইতবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে। (Hud 11: 6)

আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনরিযিক চাই না। আমি আপনাকে রিযিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ। (Taa-Haa 20: 132)

এমন অনেক জন্তু আছেযারা তাদের খাদ্য সঞ্চিত রাখে না। আল্লাহই রিযিক দেন তাদেরকে এবং তোমাদেরকেও। তিনি সর্বশ্রোতা,সর্বজ্ঞ। (Al-Ankaboot: 60)

নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছিআমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছিতাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। (Surah Al-Israa 17:70)

বল তো কে প্রথমবার সৃষ্টি করেনঅতঃপর তাকে পুনরায় সৃষ্টি করবেন এবং কে তোমাদেরকে আকাশ ও মর্ত থেকে রিযিক দান করেন। সুতরাং আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কিবলুনতোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর।(An-Naml 27: 64)

আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেনঅতঃপর রিযিক দিয়েছেনএরপর তোমাদের মৃত্যু দেবেনএরপর তোমাদের জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কিযে এসব কাজের মধ্যে কোন একটিও করতে পারবেতারা যাকে শরীক করে,আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মহান। (Ar-Room 30: 40)

হালাল – হারামের বিধানদাতা আল্লাহইঃ

আপনি বলুনঃ আল্লাহর সাজসজ্জাকেযা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছেআপনি বলুনঃ এসব নেয়ামত আসলে পার্থিব জীবনে মুমিনদের জন্যে এবং কিয়ামতের দিন খাঁটিভাবে তাদেরই জন্যে। এমনিভাবে আমি আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি তাদের জন্যে যারা বুঝে। (Al-Araaf 7: 32)

বলআচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখযা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেনতোমরা সেগুলোর মধ্য থেকেকোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছবলতোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেননাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ? (Yunus 10: 59)

আল্লাহর হালালকৃত বিষয় নবীও হারাম করতে পারেননাঃ

হে নবীআল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেনআপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেনআল্লাহ ক্ষমাশীলদয়াময়। (At-Tahrim 66: 1)

অন্যের বিধান মানলে তাকেই রব মানা হবেঃ

তারা তাদের পন্ডিত ও সংসারবিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে আল্লাহ ব্যতীত এবং মরিয়মের পুত্রকেও। অথচ তারা আদিষ্ট ছিল একমাত্র মাবুদের এবাদতের জন্য। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেইতারা তাঁর শরীক সাব্যস্ত করেতার থেকে তিনি পবিত্র। (At-Tawba 9: 31)

রিযিকের প্রশস্ততা আল্লাহরই নিকটঃ

আমি প্রত্যেক বস্তুকে পরিমিতরূপে সৃষ্টি করেছি। (Al-Qamar 54: 49)

আকাশ ও পৃথিবীর চাবি তাঁর কাছে। তিনি যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বৃদ্ধি করেন এবং পরিমিত করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে জ্ঞানী।(Ash-Shura 42: 12)

বলুনআমার পালনকর্তা যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং পরিমিত দেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বোঝে না। (Saba 34: 36)

বলুনআমার পালনকর্তা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং সীমিত পরিমাণে দেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় কর,তিনি তার বিনিময় দেন। তিনি উত্তম রিযিক দাতা। (Saba 34: 39)

তিনি যদি রিযিক বন্ধ করে দেনতবে কে আছেযে তোমাদেরকে রিযিক দিবে বরং তারা অবাধ্যতা ও বিমুখতায় ডুবে রয়েছে।(Al-Mulk 67: 21)

আমি ভুপৃষ্ঠকে বিস্তৃত করেছি এবং তার উপর পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক বস্তু সুপরিমিতভাবে উৎপন্ন করেছি।(Al-Hijr 15: 19)

পরীক্ষাঃ

আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগবিলাসের যে উপকরণ দিয়েছিআপনি সেই সব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী। (Taa-Haa 20: 131)

তারা যখন কোন ব্যবসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে তখন আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়। বলুনঃ আল্লাহর কাছে যা আছেতা ক্রীড়াকৌতুক ও ব্যবসায় অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সর্বোত্তম রিযিকদাতা। (Al-Jumu’a 62: 11)

তোমরা জেনে রাখপার্থিব জীবন ক্রীড়াকৌতুকসাজসজ্জাপারস্পরিক অহমিকা এবং ধন  জনের প্রাচুর্য ব্যতীত আরকিছু নয়যেমন এক বৃষ্টির অবস্থাযার সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করেএরপর তা শুকিয়ে যায়ফলে তুমি তাকেপীতবর্ণ দেখতে পাওএরপর তা খড়কুটা হয়ে যায় আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা  সন্তুষ্টিপার্থিব জীবন প্রতারণার উপকরণ বৈ কিছু নয় (Al-Hadid 57: 20)

রিযিক কমবেশী হওয়ার কারণঃ

যদি আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেনতবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের খবর রাখেন ও সবকিছু দেখেন। (Ash-Shura 42: 27)

তারা কি আপনার পালনকর্তার রহমত বন্টন করেআমি তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বন্টন করেছি পার্থিব জীবনে এবং একের মর্যাদাকে অপরের উপর উন্নীত করেছিযাতে একে অপরকে সেবক রূপে গ্রহণ করে। তারা যা সঞ্চয় করেআপনার পালনকর্তার রহমত তদপেক্ষা উত্তম। (Surah Al-Jukhruf 43 : 32)

দেখুনআমি তাদের একদলকে অপরের উপর কিভাবে শ্রেষ্ঠত্ব দান করলাম। পরকাল তো নিশ্চয়ই মর্তবায় শ্রেষ্ঠ এবং ফযীলতে শ্রেষ্ঠতম। (Surah Al-Israa 17 : 21)

আর তোমরা আকাঙ্ক্ষা করো না এমন সব বিষয়ে যাতে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের একের উপর অপরের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত। (An-Nisaa 4: 32)

রিযিক চাইতে হবে আল্লাহরই কাছেঃ

তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে কেবল প্রতিমারই পূজা করছ এবং মিথ্যা উদ্ভাবন করছ। তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের এবাদত করছতারা তোমাদের রিযিকের মালিক নয়। কাজেই আল্লাহর কাছে রিযিক তালাশ করতাঁর এবাদত কর এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। (Al-Ankaboot 29: 17)

হে মানুষতোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর। আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন স্রষ্টা আছে কিযে তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করেতিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় ফিরে যাচ্ছ? (Faatir 35: 3)

তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর। (Aali Imraan 3: 27)

আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক হতেই ব্যয়ঃ

বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি সীমিত পরিমাণে রিযিকপ্রাপ্তসে আল্লাহ যা দিয়েছেনতা থেকে ব্যয় করবে। আল্লাহ যাকে যা দিয়েছেনতদপেক্ষা বেশী ব্যয় করার আদেশ কাউকে করেন না। আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দেবেন। (At-Talaaq 65: 7)

আমার বান্দাদেরকে বলে দিন যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছেতারা নামায কায়েম রাখুক এবং আমার দেয়া রিযিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করুক ঐদিন আসার আগেযেদিন কোন বেচা কেনা নেই এবং বন্ধুত্বও নেই। (Ibrahim 14: 31)

আর ব্যয় কর আল্লাহর পথেতবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহঅনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন। (Al-Baqara 2: 195)

তোমার কাছে জিজ্ঞেস করেকি তারা ব্যয় করবেবলে দাওযে বস্তুই তোমরা ব্যয় করতা হবে পিতামাতার জন্যেআত্নীয়আপনজনের জন্যেএতীমঅনাথদের জন্যেঅসহায়দের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ করবে,নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত ভালভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে। (Al-Baqara 2: 215)

নৈকট্যশীলদের জন্য পুরস্কারঃ

আর যে আল্লাহকে ভয় করেআল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন। (At-Talaaq 65: 2 – 3)

যদি সে নৈকট্যশীলদের একজন হয়তবে তার জন্যে আছে সুখউত্তম রিযিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান। (Al-Waaqia 56: 88-89)

যে মন্দ কর্ম করেসে কেবল তার অনুরূপ প্রতিফল পাবেআর যেপুরুষ অথবা নারী মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তথায় তাদেরকে বেহিসাব রিযিক দেয়া হবে। (Ghaafir 40: 40)

তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত হবে এবং সৎকর্ম করবেআমি তাকে দুবার পুরস্কার দেব এবং তার জন্য আমি সম্মান জনক রিযিক প্রস্তুত রেখেছি। (Al-Ahzaab 33: 31)

মুমিনের ডাকঃ (Surah Ghafir 40 : 38 – 45)

মুমিন লোকটি বললঃ হে আমার কওমতোমরা আমার অনুসরণ কর। আমি তোমাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করব।

হে আমার কওমপার্থিব এ জীবন তো কেবল উপভোগের বস্তুআর পরকাল হচ্ছে স্থায়ী বসবাসের গৃহ।

যে মন্দ কর্ম করেসে কেবল তার অনুরূপ প্রতিফল পাবেআর যেপুরুষ অথবা নারী মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তথায় তাদেরকে বেহিসাব রিযিক দেয়া হবে।

হে আমার কওমব্যাপার কিআমি তোমাদেরকে দাওয়াত দেই মুক্তির দিকেআর তোমরা আমাকে দাওয়াত দাও জাহান্নামের দিকে।

তোমরা আমাকে দাওয়াত দাওযাতে আমি আল্লাহকে অস্বীকার করি এবং তাঁর সাথে শরীক করি এমন বস্তুকেযার কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই। আমি তোমাদেরকে দাওয়াত দেই পরাক্রমশালীক্ষমাশীল আল্লাহর দিকে।

এতে সন্দেহ নেই যেতোমরা আমাকে যার দিকে দাওয়াত দাওহইকালে ও পরকালে তার কোন দাওয়াত নেইআমাদের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকে এবং সীমা লংঘকারীরাই জাহান্নামী।

আমি তোমাদেরকে যা বলছিতোমরা একদিন তা স্মরণ করবে। আমি আমার ব্যাপার আল্লাহর কাছে সমর্পণ করছি। নিশ্চয় বান্দারা আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে।

অতঃপর আল্লাহ তাকে তাদের চক্রান্তের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করলেন এবং ফেরাউন গোত্রকে শোচনীয় আযাব গ্রাস করল।

>>>>>Special Courtesy:- dararqam.com<<<<<

No comments:

Post a Comment

Translate