Tuesday, September 26, 2023

কেউ কেউ মনে করেন, আমার মন খুবই পরিস্কার। তাকে আমি মা, খালা, অথবা বোনের মতোই মনে করি ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে তাঁর সাথে মেলা-মেশা করতে অসুবিধা কোথায়?

 কেউ কেউ মনে করেন, আমার মন খুবই পরিস্কার। তাকে আমি মা, খালা, অথবা বোনের মতোই মনে করি ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে তাঁর সাথে মেলা-মেশা করতে অসুবিধা কোথায়। অথচ আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি


আমাদের রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) এর অন্তর ছিলো আমাদের চাইতেও পরিস্কার। এরপরও তিনি যে কোন বেগানা মহিলার সাথে মুসাফাহা করতে পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানান।কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ভাই-বোনদের মুখে এমন কথা বেশি শোনা যায়।নিঃসংকোচে ছেলে-মেয়ে একত্রে চলাফেরা করছে... বিন্দু পরিমাণ অপরাধ বোধও তাদের মধ্যে কাজ করছে না। বরং এ ধরনের অবৈধ সম্পর্ককে বৈধ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন হাস্যকর যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে।অথচ কোন পুরুষের বেগানা কোন মহিলার সাথে অথবা কোন মহিলার বেগানা কোন পুরুষের সাথে নির্জনে অবস্থান করা হারাম। চাই তা কোন ঘরেই হোক অথবা কোন রুমে কিংবা কোন গাড়িতে অথবা লিফটে।► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃকোন পুরুষ যেন বেগানা কোন মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে। এমন করলে তখন শয়তানই হবে তাদের তৃতীয় জন।সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস ১১৭১► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃ

তোমাদের কারোর মাথায় লোহার সুই দিয়ে আঘাত করা তাঁর জন্য অনেক শ্রেয় বেগানা কোন মহিলাকে স্পর্শ করার চাইতে যা তাঁর জন্য হালাল নয়।সহীহ আল-জা'মি, হাদীস ৪৯২১► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃনিশ্চয়ই আমি কোন বেগানা মহিলার সাথে মুসাফাহা করতে রাজি নই।সহীহ আল-জা'মি, হাদীস ৩৫০৯► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃ(১) চোখের যিনা হচ্ছে অবৈধভাবে কারোর দিকে দৃষ্টি ক্ষেপণ,(২) মুখের যিনা হচ্ছে অশ্লীল কথোপকথন,(৩) হাতও ব্যভিচার করে; তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে হাত দিয়ে ধরা,(৪) পা’ও ব্যভিচার করে; তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে কোন ব্যভিচার সংঘটনের জন্য রওয়ানা করা,(৫) মুখও ব্যভিচার করে; তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে চুমু দেয়া,(৬) কানের ব্যভিচার হচ্ছে অশ্লীল কথা শ্রবণ করা,(৭) মনও ব্যভিচারের কামনা-বাসনা করে। আর তখনই লজ্জাস্থান তা বাস্তবায়িত করে অথবা করে না [অর্থাৎ নিয়ত পরিবর্তন করে]।সুনান আবু দাউদ, হাদীস ২১৫২► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃযে ব্যক্তি স্বামী অনুপস্থিত এমন কোন মহিলার বিছানায় বসে তার দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির ন্যায় যাকে কিয়ামতের দিন কোন বিষাক্ত সাপ দংশন করে।সহীহ আত-তারগীব, হাদীস ২৪০৫► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃরসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) কে যখন জিজ্ঞেস করা হলো কোন জিনিস সাধারণত মানুষকে বেশিরভাগ জাহান্নামের সম্মুখীন করে তখন তিনি বলেনঃ মুখ ও লজ্জাস্থান।আত-তিরমিযী, হাদীস ২০০৪► রসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সল্লাম) বলেছেনঃব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে তখন সে ঈমানদার থাকে না।সুনান আবূ দাউদ, হাদীস ৪৬৮৯
ব্যভিচারীর জন্য কঠোর শাস্তি-ব্যবস্থা। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘‘ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী, ওদের প্রত্যেককে একশত কশাঘাত কর; যদি তোমরা আল্লাহতে ও পরকালে বিশ্বাসী হও, তাহলে আল্লাহর বিধান কার্যকরীকরণে ওদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে অভিভূত না করে। আর মু’মিনদের একটি দল যেন ওদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’’ (সূরা আন-নূর, আয়াতঃ ২)
আর এরপর তাদেরকে এক বছরের জন্য দেশ থেকে বহিষ্কার অথবা কারাদন্ডে দন্ডিত করা হবে। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহঃ ৩৫৫৫নং)
বিবাহিতদের শাস্তি হল তাদেরকে কোমর অবধি মাটিতে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহঃ ৩৫৫৫, ৩৫৫৭নং)
যদি এতকিছু জানার পর নিজের ভুল বুঝতে পারেন তবে তওবা করুন।
তওবার ক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি বর্ণনা করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশত মন্দকাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে, এরাই হলো সেসব লোক, যাদের আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, মহাবিজ্ঞ। আর এমন লোকদের জন্য কোনো তওবা নেই, যারা মন্দকাজ করতেই থাকে, এমনকি যখন তাদের কারও মাথার ওপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকে, আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।’ সূরা নিসা(নারী), আয়াত নং ১৭ ও ১৮

No comments:

Post a Comment

Translate