Monday, October 22, 2018

মেয়েদের জান্নাত হাসিলের উপায়


         ***মেয়েদের জান্নাত হাসিলের উপায়***

**একজন নেককার নারী ৭০ জন ওলীর চেয়ে উত্তম।
**একজন বদকার নারী এক হাজার বদকার পুরুষের চেয়ে নিকৃষ্ট।
**একজন গর্ভবতী মেয়েলোকের ২ রাকাত নামায একজন গর্ভহীন মেয়েলোকের ৮০ রাকাত নামাযের চেয়ে উত্তম।
**যে মেয়েলোক আল্লাহর ওয়াস্তে আপন সন্তানকে দুধ পান করান, তাহার প্রত্যেক ফোঁটা দুধের বিনিময়ে একটি নেকী তাহার আমল নামায় লেখা হয়।
**যখন স্বামী পেরেশান হইয়া বাড়ী ফেরে তখন যদি স্ত্রী স্বামীকে মারহাবা বলিয়া সান্তনা দেয়, ঐ মেয়েলোককে জেহাদের অর্ধেক নেকী দান করা হয়।
**যে মেয়েলোক আপন সন্তানের কারণে রাত্রে শুইতে পারে না, তাহাকে ২০ টি গোলাম আজাদ করার নেকী দান করা হয়।
**যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে রহমতের নজরে দেখে এবং স্ত্রীও স্বামীকে রহমতের নজরে দেখে, আল্লাহতালা ঐ দম্পতীকে রহমতের নজরে দেখে।
**যে মেয়েলোক স্বামীকে আল্লাহর রাস্তায় পাঠাইয়া দেন এবং নিজেও স্বামীর অনুপস্থিতির কষ্ট সাদরে বরদাস্ত করেন ঐ মেয়েলোক পুরুষ অপেক্ষা ৫০০ বৎসর পূর্বে জান্নাতে যাইবেন এবং ৭০ হাজার ফেরেস্তা তাহাকে ইস্তেকবাল করিবেন, তিনি হুরদের সর্দার হইবেন, জাফরান দ্বারা তাকে গোসল দেওয়া হইবে। ইয়াকুতের নির্মিত ঘোড়ার উপর ছাওয়ার করা হইবে এবং তিনি স্বামীর অপেক্ষায় থাকিবেন।
**যে মেয়েলোক সন্তানের কারণে ঘুমাইতে পারে না, সন্তানের সেবা করে,আল্লাহতাআলা ঐ মেয়েলোকের পিছনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন এবং ১২ বৎসরের নেকী দান করেন।
**যে মেয়েলোক গরু-ছাগলের দুধ দোহন করার পূর্বে বিসমিল্লাহ্ বলিয়া শুরু করে, ঐ জানোয়ার তাহার জন্য দোয়া করে।
**যে মেয়েলোক বিসমিল্লাহ্ বলিয়া খাবার প্র¯‘ত করে আল্লাহতাআলা ঐ খাবারে বরকত দান করেন।
**যে মেয়েলোক বেগানা (পর) পুরুষকে উঁকি মারিয়া দেখে আল্লাহতালা ঐ মেয়ে লোককে লানত (অভিসাম্পাত) করেন। পুরুষের জন্য বেগানা মেয়েলোককে দেখা যেমন হারাম, তেমনি মেয়েলোকের জন্যও পর (বেগানা) পুরুষকে দেখা হারাম।
**যে মেয়েলোক জিকিরের সাথে ঘর ঝাড়– দেয়, আল্লাহ পাক তাহাকে খানায়ে কাবা ঝাড়– দেওয়ার সওয়াব দান করেন।
**যে মেয়েলোক নামায় রোজার পাবন্দি করে, পবিত্রতা রক্ষা করিয়া চলে, স্বামীর তাবেদারী করিয়া চলে, তাহাকে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হইবে।
**দুই ব্যক্তির নামায মাথার উপর উঠে না, প্রথম যে গোলাম তাহার মনিব থেকে পলায়ন করে, দ্বিতীয় ঐ নারী যে তাহার স্বামীর নাফরমানী করে।
**যে মেয়েলোক গর্ভবতী অবস্তায় থাকে সন্তানাদি প্রসব না হওয়া পর্যন্ত ঐ মেয়েলোক দিনে রোজা এবং রাতে নামায়ে রত থাকার নেকী পাইতে থাকিবে।
**যে মেয়েলোকের সন্তান প্রসব হয়, তাহাকে ৭০ বৎসরের নফল নামায ও রোজার নেকী দেওয়া হয়।প্রসবের সময় যে কষ্ট হয়, প্রতিবারের ব্যাথার করণে হজ্বের নেকী দান করা হয়।
**সন্তান প্রসবের ৪০ দিনের মধ্যে মারা গেলে, তাঁহাকে শাহাদতের সওয়াব ও মর্তবা দান করা হয়।
**যে মা সন্তানের (রাত্রিতে) কান্নাকটির ফলে বদ দোয়া করে দেয় না, বরং সবর করে, ঐ মেয়েলোককে এক বৎসর নফল ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়।
**যকন সন্তানের দুধ পান করানো পুরা হইয়া যায়, তখন আসমান থেকে একজন ফেরেস্তা সুসংবাদ দেয় যে, তোমার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করিয়া দেওয়া হইয়াছে।
**যখন স্বামী বিদেশ হইতে ফিরিয়া আসে স্ত্রী খুশী হইয়া, খানা খাওয়ায় এবং সফর কালীন সময়ে স্বামীর হকের কোন খেয়ানত করে না, তিনি ১২ বৎসর নফল নামাযের সওয়াব পাইবে।
**যে মেয়েলোক হুকুমের পূর্বে তাহার স্বামীর খেদমত করে, আল্লাহতাআলা তাঁহাকে ৭ তোলা স্বর্ণ ছাদকা করার সওয়াব দেন।
**যে স্ত্রী তাঁহার স্বামীর (সš‘ষ্ট) অবস্থায় মারা যায় তাহার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।
**যে স্বামী স্ত্রীকে ১টি মাছআলা শিক্ষা দিবেন তিনি ৭০ বৎসর নফল ইবাদতের সওয়াব পাইবেন।
**সকল জান্নাতীগণ আল্লাহ্ পাকের সাক্ষাতের জন্য যাইবে কিš‘ যে মেয়েলোক তাহাদের হায়া ও পর্দা রক্ষা করিয়া চলিয়াছে স্বয়ং আল্লাহ তাহাদের সাক্ষাতে যাইবেন।
** যে সকল মেয়েলোক পর্দা রক্ষা করে চলে না লজ্জাহীন, পাতলা কাপড় পরিধান করে এবং অন্যকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে, ঐ সমস্ত মেয়েলোক জান্নাতে যাইবে না, এমন কি জান্নাতের খুশবুও পাইবে না।
** যে নারী স্বামীকে দ্বীনের উপর চলার জন্য তাকিদ করেন, তিনি মা আছিয়ার সাথে জান্নাতে যাইবেন।

** নারীদের দায়েমী ফরজ ৫টিঃ-
১)   ঈমানের সহিত থাকা
২) পর্দায় থাকা
৩) সর্বাঙ্গ ঢাকিয়া রাখা
 ৪) স্বামীর কথা মানিয়া চলা ও
৫) ছোট আওয়াজে কথা বলা।
** নারীর দায়েমী সূন্নাত ৭টিঃ-
               ১) মাতার চুল লম্বা রাখা
               ২) চুল সুন্দর রাখা
               ৩) হাত পায়ের নখ কাটা
                ৪) নাভীর ও দগলের নিচের লোম পরিষ্কার করা
               ৫) ঢিলা ব্যবহার করা
                ৬) হায়েজ নেফাছে পট্টি ব্যবহার করা
               ৭) মিছওয়াক করা

No comments:

Post a Comment

Translate