Saturday, December 11, 2021

কিছু প্রশ্ন-2

 আমার বাবা মা রাজি হয় না, এখন আমার পছন্দের ছেলেকে কি বিয়ে করতে পারব পরিবারের অনুমতি ছাড়া??

উত্তর-বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন।

কুরান থেকে দলিল-

আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।”[সূরা নুর, ২৪:৩২]

হাদিস থেকে দলিল –

১-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।” [হাদিসটি তিরমিযি (১০২১) ও অন্যান্য গ্রন্থকার কর্তৃক সংকলিত এবং হাদিসটি সহীহ]

২- অভিভাবক পুরুষ হতে হবে। দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী- “এক মহিলা আরেক মহিলাকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা মহিলা নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়।”

[ইবনে মাজাহ (১৭৮২) ও সহীহ জামে (৭২৯৮)⁠⁠⁠⁠

যে স্বামী তার স্ত্রীর হক্ক আদায় করেনা, স্ত্রীকে অবহেলা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তার হক্ক থেকে বঞ্চিত করে, স্ত্রীকে মারধর ও জুলুম অত্যাচার করে, এমন জালেম বা অত্যাচারী স্বামীর জন্যে কি শাস্তি রয়েছে?

উত্তরঃ ইসলাম ধর্মে সব ধরণের জুলুম-অত্যাচার কঠোরভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা একটা ‘কবীরাহ গুনাহ’ বা মহাপাপ।

আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লা বলেন, “হে আমার বান্দারা! আমি আমার নিজের জন্যে জুলুম করা হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের পরস্পরের মধ্যেও জুলুম হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা একজন আরেকজনের উপর জুলুম করো না।”

সহিহ মুসলিমঃ ২৫৭৭; জামে তিরমিযি।

শুধু জুলুম নয়, জুলুমে সহযোগিতা করা এবং জালিমদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা ও ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করাও হারাম। মানুষের ওপর জুলুম এমন এক ভয়াবহ গোনাহ, যার শাস্তি কোনো না কোনো উপায়ে দুনিয়ার জীবনেই শুরু হয়ে যায়। অহংকার ও গর্বের কারণে জালেমরা মনে করে, তাদেরকে কেউ কখনো পাকড়াও করবেনা। অথচ আল্লাহ তাদেরকে সতর্ক করে বলেছেন, “যালেমরা শীঘ্রই জানতে পারবে যে, তাদের গন্তব্যস্থল কেমন?” [সুরা আশ-শুআ’রাঃ ২২৭]

সেই গন্তব্যস্থল, শেষ বিচারের দিন জালেমদের কি অবস্থা হবে তার বর্ণনাঃ

“(হে নবী!) জালেমদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আপনি কখনো আল্লাহ উদাসীন রয়েছে বলে মনে করবেন না। আল্লাহ তো তাদেরকে শুধু একটা নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত ছাড় দিয়েছেন, যেদিন চক্ষুগুলো বিস্ফোরিত হবে, আর জালেমরা মাথা ঊর্ধ্বমুখী করে উঠিপড়ি করে দৌড়াতে থাকবে। তাদের চোখ তাদের নিজেদের দিকে আর ফিরবে না, এবং তাদের হৃদয়গুলো দিশেহারা হয়ে যাবে। মানুষকে আল্লাহর আজাব চলে আসার দিন সম্পর্ক সাবধান করে দিন, যে দিন তাদের কাছে আজাব চলে আসবে। আর জালেমরা সেদিন বলবে, হে আমাদের রব্ব! আমাদেরকে একটু সময়ের জন্য অবকাশ দিন, তাহলে আমরা আপনার ডাকে সাড়া দেব (অন্যের ওপর জুলুম করব না) এবং রাসুলদের অনুসরণ করব। (আল্লাহ তখন বলবেন) তোমরা কি ইতিপূর্বে কসম খেয়ে বলতে না যে, তোমাদের পতন নেই! যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছে,তোমরা তো তাদের বাসস্থানেই বাস করছ এবং সেসব জালেমের সঙ্গে আমি কেমন আচরণ করেছি, তা তোমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। উপরন্তু আমি তোমাদের জন্য বহু উদাহরণ দিয়েছি।” [সুরা ইব্রাহীমঃ ৪২-৪৫]

জাহান্নামে জালেমদের অনেক ধরণের কঠিন শাস্তি রয়েছে। তার মাঝে জাহান্নামীদের মধ্যে সবচাইতে কম শাস্তি যাকে দেওয়া হবে, তার শাস্তির ধরণ লক্ষ্য করলেই স্পষ্ট হবে জাহান্নাম কি কঠিন জায়গা।

সাহাবী নুমান বিন বশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি,“কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের মাঝে সবচে সহজ ও হালকা শাস্তি দেওয়া হবে যে ব্যক্তির, সে হল তার পায়ের তলাতে দু’টো জ্বলন্ত অঙ্গার থাকবে যার কারণে তার মাথার মগজ ছোট মুখ বিশিষ্ট হাড়ির ন্যায় উথলাতে থাকবে।”

সহীহ বুখারীঃ ৬৫৬২, সহীহ মুসলিমঃ ২১৩।

আর সেখানে চিন্তা করুন জালেমদের শাস্তি কত কঠিন হবে যেখানে স্বয়ং আল্লাহ পূর্বেই তাঁর বান্দাদেরকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেনঃ

“নিশ্চয় যারা জালেম, তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” [সুরা ইব্রাহীমঃ ২২]

আল্লাহ আমাদেরকে কারো উপর জুলুম অত্যাচার করা এবং জুলুম অত্যাচারের শিকার হওয় থেকে রক্ষা করুন, আমাদেরকে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে রক্ষা করুন, আমিন।

বিবাহের পর স্ত্রীর জন্য শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, না নিজ পিতা-মাতার সেবা করা অধিক জরূরী? এছাড়া স্বামী এবং নিজ পিতা-মাতার আদেশ-নিষেধের মাঝে বৈপরীত্য দেখা দিলে কার আদেশ-নিষেধ অগ্রাধিকার পাবে?

উত্তরঃ-প্রত্যেক সন্তানের জন্য তার পিতা-মাতার সেবাযত্ন করাই সর্বাগ্রে জরূরী (ইসরা ১৭/২৩)।

স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর খেদমতে বাধ্য করা উচিৎ নয়। তবে অবশ্যই তাদের সাথে সদাচরণ করা কর্তব্য। স্বামী এবং পিতা-মাতা উভয়ের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা স্ত্রীর জন্য ওয়াজিব। তাই সাধ্যমত উভয়কে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করবে।

এরপরেও যদি উভয়ের আদেশ-নিষেধের মাঝে বৈপরীত্য দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে বৈষয়িক বিষয়ে স্বামীর আদেশকে অগ্রগণ্য করতে হবে। কেননা বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত নারীরা পিতা-মাতার নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকে। কিন্তু বিবাহের পর তারা স্বামীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সুতরাং সেসময় স্বামীর আদেশ-নিষেধ মান্য করাই তার জন্য অগ্রগণ্য হবে।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি যদি কাউকে কোন মানুষের সিজদা করার আদেশ দিতাম, তাহ’লে স্ত্রীকে তার স্বামীর সামনে সিজদা করতে বলতাম (আবুদাউদ হা/২১৪০; মিশকাত হা/৩২৫৫)। তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন সর্বাধিক শাস্তি প্রাপ্ত হবে দু’ধরনের মানুষ। তাদের একজন হ’ল, অবাধ্য স্ত্রী (তিরমিযী হা/৩৫৯, সনদ ছহীহ)।

তবে উভয়ে উভয়ের অধিকারের প্রতি যত্নশীল থাকতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের উত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর নিকটে উত্তম। আর আমি আমার স্ত্রীদের নিকটে উত্তম’

(তিরমিযী, দারেমী, মিশকাত হা/৩২৫২)।

কেউ যদি হারাম রিলেশন থেকে ফিরে আসতে চায় তখন অপরজন বলে ; ওয়াদা ভঙ্গ করা যায় না,কারো মন ভাংগা মসজিদ ভাংগার সমান ইত্যাদি।এর জবাবে সে কি বলতে পারে?
উত্তর : এগুলো বাজে কথা। প্রবৃত্তি পুজারীদের কথা। এসব কথার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহ যা হারাম করেছেন তা থেকে ফিরে আসলে তাওবা করলে আল্লাহ খুশি হন। আর মন রক্ষার যুক্তি দেখিয়ে হারাম কাজ চালু রাখলে শয়তান খুশি হয়। আপনার কার খুশি দরকার?
রাসূল সা. বলেন, “স্রষ্টার নাফরমানী করে সৃষ্টির কারো কথা মানা যাবে না।” (তিরমিযী)
…..Shaikh Abdullah Al Kafi


প্রশ্ন: বখশিশ দেয়া সম্পর্কে শরী‘আতের নির্দেশনা কি?

উত্তর :
মানুষের কোন কাজ দেখে খুশী হয়ে তাকে কিছু প্রদান করার নাম বখশিশ। এটা শরী‘আতে জায়েয। রাবী‘আ বিন কা‘ব আসলামী (রাঃ)-এর কাজের উপর খুশী হয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেছিলেন, তুমি আমার কাছে চাও (মুসলিম হা/৪৮৯)। আমর ইবনে সালামা বিন ক্বায়েস (রাঃ) বলেন, আমাকে আমার (বাল্য অবস্থায় ইমামতিতে খুশী হয়ে) মুছল্লীরা একটি জামা উপহার দিয়েছিলেন। তাতে আমি খুব খুশী হয়েছিলাম’ (বুখারী, মিশকাত হা/১১২৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পরস্পরকে হাদিয়া দাও ও মহববত বৃদ্ধি কর’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৩০০৪)।

গ্রহীতার কামনা ব্যতীত নিয়োগকর্তা খুশী হয়ে কিছু প্রদান করলে তা প্রদান এবং গ্রহীতার গ্রহণ উভয়টিই জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কারো নিকটে তার মুসলিম ভাইয়ের পক্ষ থেকে যদি কোন হাদিয়া আসে, অথচ তার প্রতি তার কোন কামনা নেই, এক্ষেত্রে তা ফিরিয়ে না দিয়ে সে যেন তা গ্রহণ করে। কারণ এটা এমন রিযিক, যা আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য ব্যবস্থা করেছেন (আহমাদ; ছহীহাহ হা/১০০৫)।

তবে যদি নিয়োগকর্তা কোন মন্দ উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য প্রদান করে, তাহলে তা ঘুষের পর্যায়ভুক্ত হবে। রাসূল (ছাঃ) ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের উপর লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)।

নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য মজুরীর উপরে কিছু কামনা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আমরা যাকে অর্থের বিনিময়ে কোন কাজে নিয়োজিত করি, তার অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করলে তা হবে আত্মসাৎ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৭৪৮)।

রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে যাকাত আদায়ের জন্য কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ করলে সে এসে বলল যে, এগুলি জমাকৃত যাকাত এবং এগুলি আমাকে দেওয়া হাদিয়া। এ ঘটনা শুনে ক্রুদ্ধ হয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, কর্মকর্তাদের কি হ’ল যে তারা এরূপ বলছে! সে তার পিতা-মাতার বাড়িতে বসে থেকে দেখুক তো কে তাকে হাদিয়া দেয়? যে সত্তার হাতে আমার জীবন তার কসম! যা কিছুই সে গ্রহণ করবে ক্বিয়ামতের দিন তা কাঁধে নিয়ে সে হাযির হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৭৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কর্মচারীর হাদিয়া গ্রহণ আত্মসাৎ স্বরূপ’ (আহমাদ, ছহীহুল জামে‘ হা/৭০২১)।

তাওবা এবং ইসতিগফার এর মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে?

আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার দুটি দিক রয়েছে: (১) তাওবা এবং (২) ইসতিগফার।

তাওবা অর্থ ফিরে আসা বা প্রত্যাবর্তন করা এবং ইসতিগফার, আস্তাগফিরুল্লাহ বলার অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা।
উভয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
ইসতিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা, তাওবা বা ফিরে আসার একটি অংশ।
কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনার আলোকে যে কোনো পাপ থেকে তাওবার অর্থ ও শর্ত নিম্নরূপ:
(১) পাপ পরিত্যাগ করা এবং আর কখনো পাপ না করার আন্তরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা
(২) পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া
(৩) পাপের সাথে কোনো মানুষের বা সৃষ্টির অধিকার জড়িত থাকলে তা ফেরত দেওয়া
অথবা ক্ষমা চেয়ে নেয়া
(৪) মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া
শর্তগুলি পূরণ করে তাওবা করলে মুমিন সকল পাপের ক্ষমার নিশ্চিত আশা করতে পারেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া তাওবার একটি প্রকাশ। তবে অন্যান্য শর্তগুলো পূরণ ছাড়া শুধু ইসতিগফার বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়াতে পরিপূর্ণ তাওবা হয় না।

কেউ যদি শর্তগুলো পূরণ না করে বলেন: ‘আমি তাওবা করছি’ তাহলে তা অতিরিক্ত একটি মিথ্যাচার বলে গণ্য হয় এবং পাপের বোঝা বাড়ে। কারণ বান্দা বলছেন যে, আমি আল্লাহর কাছে ফিরে আসছি, অথচ কার্যত তিনি ফিরে আসছেন না। তিনি আল্লাহর নির্দেশ মত বান্দার হক্ক ফিরিয়ে দেননি এবং পুনরায় পাপ না করার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেন নি। কাজেই ফিরে আসার বিষয়ে তার ঘোষণাটি মিথ্যা ও পাপ বলে গণ্য।
★★???????★★
[ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর-রাহে বেলায়াত-
– পৃ- ৪৯]

#প্রশ্ : পুরুষেরা মাথার মাঝখানে সিঁথি করতে পারে কি? কয় পদ্ধতিতে চুল রাখা যায়?
উত্তর : পুরুষেরা মাথার মাঝখানে সিঁথি করতে পারে (বুখারী হা/৫৯১৭; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২৫) । আর মাথার চুল লম্বা রাখা বা ছোট করে রাখা উভয়টিই জায়েয। এটি ‘সুনানুয যাওয়ায়েদ’ বা অভ্যাসগত সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের সুন্নাতকে প্রতিষ্ঠা করা ভাল। তবে ছেড়ে দেওয়া অপসন্দনীয় নয়’
(শরীফ জুরজানী, কিতাবুত তা‘রীফাত, বৈরূত ছাপা ১৪০৮/১৯৮৮ ‘সুন্নাতের বর্ণনা’ অনুচ্ছেদ, পৃঃ ১২২) ।
বড় চুল তিন পদ্ধতিতে রাখা যায়। যথা (১) ওয়াফরা, যা কানের লতি পর্যন্ত (আবুদাঊদ হা/৪২০৬) (২) লিম্মা, যা ঘাড়ের মধ্যস্থল পর্যন্ত
(মুসলিম হা/২৩৩৭) (৩) জুম্মা, যা ঘাড়ের নীচ পর্যন্ত (নাসাঈ হা/৫০৬৬) ।
ছাহাবী ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) একদিন লম্বা চুল নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে এলেন। তখন রাসূল (ছাঃ) মাছি বসবে, মাছি বসবে বলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। ফলে তিনি ফিরে গিয়ে পরে চুল কেঁটে খাট করে এলেন। তখন রাসূল (ছাঃ) এটি সুন্দর ( ﻫﺬﺍ ﺃﺣﺴﻦ ) (আবুদাঊদ হা/৪১৯০; ইবনু মাজাহ হা/৩৬৩৬; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ১/৭৩-৭৪ পৃঃ চুল ছাটা ও মুন্ডনের হুকুম অনুচ্ছেদ)।
#আত-তাহরীক: আগষ্ট 2012

No comments:

Post a Comment

Translate