প্রশ্ন: শারঈ দৃষ্টিকোণ থেকে ইহুদি এবং বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তি ছড়ানো রাফেযি শিয়াদের মধ্যে কোথায় কোথায় মিল রয়েছে?
▬▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি। অতঃপর রাফেযী শিয়ারা ও ইহুদি জাতির মধ্যে ইসলামি উলামারা বহু যুগ থেকে কিছু আশ্চর্যজনক সদৃশ্যতা (تشابه) তুলে ধরেছেন যা আকীদা, শরীআহ, নীতি ও রাজনৈতিক আচরণে প্রকাশ পেয়েছে। নিচে শারঈ দৃষ্টিকোণ থেকে কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হলো, যা শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) সহ আহলে সুন্নাহর বহু আলেম উল্লেখ করেছেন। যেমন:
.

ইহুদি নিজেদেরকে “আল্লাহর প্রিয় জাতি” বলে বিশ্বাস করে। আল্লাহ বলেন: “আর ইয়াহুদী ও নাসাররা বলে, আমরা আল্লাহর পুত্র ও তার প্রিয়জন।(সূরা মায়েদাহ: ১৮) অনুরূপভাবে রাফেযী শিয়ারা নিজেদেরকে আহলে বায়ত প্রেমিক, নাজাতপ্রাপ্ত দল,শ রীয়তের প্রকৃত ধারক হিসেবে দাবি করে।”(আল-খাসায়িস,পৃষ্ঠা: ২৩; আল-কাফী, খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ১৮৫)
.

ইহুদীদের দাবি নবী দাউদ (আলাইহিস সালাম)-এর বংশধর ব্যতীত রাজত্ব করা কারো জন্য শোভনীয় নয়। আর রাফেযী শিয়াদের দাবি আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু)-এর সন্তানগণ ব্যতীত কারো জন্য ইমামত বৈধ নয়।
.

ইহুদীরা বলে মাসীহ দাজ্জালের আবির্ভাব ও তরবারী অবতীর্ণ ছাড়া জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ নেই। আর রাফেযী শিয়ারা বলে মাহদীর আগমন ও আসমানী আহব্বান ছাড়া জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ নেই।
.

ইহুদীরা আসমানে তারকারাজী উজ্জল না হওয়া পর্যন্ত সালাত বিলম্ব করে। অনুরূপভাবে রাফেযীরা মাগরিবের সালাত আসমানে তারকারাজী স্পষ্ট ও উজ্জল না হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করে। অথচ হাদীসের ভাষ্য এর বিপরীত। রাসূল ﷺ বলেছেন:لا تزال أمتي على الفطرة ما لم يخروا المغرب إلى أن تشتبك النجوم. “আমার উম্মত ইসলামী ফিতরাতের উপরই বিদ্যমান থাকবে, যে পর্যন্ত না তারা মাগরিব সালাত আসমানে তারকারাজী স্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব না করবে।”(আবু দাউদ হা/৪৪৪ মিশকাত হা/৬০৯) আউনুল মাবুদ’ গ্রন্থে বলা হয়েছে: “تشتبك النجوم” অর্থ: আকাশে অসংখ্য তারা একত্রে জ্বলজ্বল করতে থাকে যা গভীর অন্ধকার হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়, মাগরিব নামায দ্রুত আদায় করাই সুন্নাহ। কিন্তু রাফেযি শিয়ারা এর বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা বিলম্বে পড়াকে উত্তম মনে করে, অথচ এই হাদীসেই তাদের মতের খণ্ডন রয়েছে।ইমাম নাবাবী (রাহিমাহুল্লাহ) তার শারহে মুসলিম গ্রন্থে লিখেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে ইজমা (ঐকমত্য) হয়েছে যে, সূর্য অস্ত যাওয়ার পর তাড়াতাড়িই মাগরিবের সালাত আদায় করতে হবে’’। শী‘আদের দিকে দৃষ্টি দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ এ মত ভিত্তিহীন। শাফাক্ব (সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পশ্চিমাকাশে দৃশ্যমান লাল আভা) বিলীন হওয়ার সময় পর্যন্ত মাগরিবের সালাত আদায় দ্বারা মাগরিবের শেষ সময় বর্ণনা করা উদ্দেশ্য। কেননা এটা ছিল প্রশ্নকারীর উত্তরে বলা কথা। সালাতের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরপরই দ্রুত তা আদায় করাই ছিল রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অভ্যাস। শার‘ঈ ওযর (অযুহাত) ছাড়া এর ব্যতিক্রম ঠিক নয়।(শারহু মিশকাতুল মাসাবিহ হা/৬০৯ এর ব্যাখ্যা দষ্টব্য)
.

ইহুদি সম্প্রদায় কিবলার দিক থেকে কিছুটা সরে দাঁড়ায়। একইভাবে রাফেযি শিয়ারাও তাই করে। ইহুদি নামাজে দুলতে থাকে (দেহ নাড়ায়), রাফেযিরাও তাই করে। ইহুদিরা নামাজে কাপড় ঝুলিয়ে দেয়, রাফেযিরাও একই রকম করে। ইহুদিরা বলে আল্লাহ আমাদের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন, রাফেযিরাও এমন কথাই বলে।
.

ইহুদিরা যেমন তাওরাতের বিকৃতি করে নিজেদের মত অনুযায়ী ধর্ম গঠন করে নিয়েছে, তেমনি রাফেযীরাও কুরআনের আয়াত বিকৃত হয়েছে বলে বিশ্বাস করে, এমনকি “আসল কুরআন” ইমাম মাহদী নিয়ে আসবেন বলে বিশ্বাস করে।
.

ইহুদীরা মোজার উপরে মাসাহ করা বৈধ মনে করে না। বরং তারা শরয়ী এই পদ্ধতি অস্বীকার করে। অনুরূপভাবে রাফেযী শিয়ারাও মোজার উপর মাসাহ করা বৈধ মনে করে না।
.

ইহুদীরা ফেরেশতাদের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে বলে ফেরেশতাদের মধ্যে আমাদের শত্রু হচ্ছে জিবরীল। অনুরূপভাবে রাফেযী শিয়ারাও বলে জিবরীল ভুল করে ওহী নাযিল করেছে মুহাম্মাদের উপর। অথচ তা আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু)-এর কাছে যাওয়ার কথা ছিল।
.
গুরাবিয়া নামক আরেকটি দল আছে তারা বলে যে জিবরীল হচ্ছে খেয়ানতকারী সে ওহী নাযিল করে মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর অথচ রেসালাত পাওয়ার অধিক হকদার ছিল আলী ইবনে আবি তালেব (রদিয়াল্লহু আনহু)। এ জন্যই তারা বলে “খেয়ানত করেছে আমীন তথা জিবরীল আর হায়দার তথা আলীকে রেসালাত থেকে বঞ্চিত করেছে”।
.

ইহুদিরা ধর্ম রক্ষার জন্য মিথ্যা বৈধ মনে করে। মহান আল্লাহ বলেন:” আর তারা জেনে-বুঝে আল্লাহর উপর মিথ্যা বলে।”(সূরা আলে ইমরান: ৭৫) অনুরূপভাবে রাফেযী শিয়ারা তাকিয়াকে ‘ইবাদত’ মনে করে। রাফেযী শিয়াদের ধর্মগ্রন্থে আল-কুলাইনি বলেন: “التَّقِيَّةُ دِينِي وَدِينُ آبَائِي“তাকিয়া হল আমার ও আমার পিতৃপুরুষদের দ্বীন।”(আল-কাফি ২/২১৭; আল-আলিম আল-হুদা, আল-ইতকাদ, পৃষ্ঠা: ১১০)
.

ইহুদিদের সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে “(তারা তাদের আলেম ও পাদরিদের আল্লাহর পরিবর্তে রব বানিয়ে নিয়েছে) (সূরা তাওবা ৯: ৩১) তারা তাদের আলেমদের ‘হালাল-হারাম’ নির্ধারকরূপে মানে। আল্লাহ বলেন: “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দীন হিসাবে গ্রহণ করে না”।(সূরা আত-তাওবাহ: ২৯) অনুরূপভাবে রাফেযী শিয়ারা বলে ইমামগণ গায়েবের খবর জানেন, তাদের মুজতাহিদ ও আয়াতুল্লাহদের আল্লাহর চেয়ে বড় মানে। তারা বলে ইমাম ভুল করে না, গায়েব জানেন, হালাল-হারামের মূল উৎস।(আল-কাফি; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ২৫৭)
.

রাফেযী শিয়া ও ইহুদিরা উভয়ে ধর্মীয় জ্ঞানকে সাধারণ মানুষের কাছে গোপন রাখাকে প্রথা হিসেবে মানে। ইহুদিদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:(হে নবী) বলুন, কে নাযিল করেছে মূসার আনীত কিতাব যা মানুষের জন্য আলো ও হিদায়াতস্বরূপ, যা তোমরা বিভিন্ন পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করে কিছু প্রকাশ কর ও অনেকাংশ গোপন রাখো(সূরা আনআম: ৯১) অনুরূপভাবে রাফেযী শিয়ারা ইমামিয়া মতবাদে “বাতিনী ইলম” গুরুত্বপূর্ণ, যা শুধু ইমামগণ জানেন। ইহুদিদের কাব্বালাহ ও তালমুদও গোপনীয় জ্ঞান।
.

মু’মিনদের মধ্যে প্রচলিত সালামের রীতি হলো “আস্সালামু ‘আলাইকুম” যার অর্থ: ‘আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক’। অথচ ইহুদিরা এই সালাম বিকৃত করে বলে “আস্সামু ‘আলাইকুম” যেখানে “সাম” অর্থাৎ মৃত্যু কামনা করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় রাফেযি শিয়ারাও ঠিক একই ভঙ্গিতে সালাম করে থাকে।
.

ইহুদিরা নির্দিষ্ট কিছু হালাল মাছ যেমন জির্রি মাছ, আল মারমাহা মাছ ,(এটির আকৃতি সাপের মতো হলেও প্রকৃতপক্ষে তা সাপ নয়) ও লেজওয়ালা মাছ ভক্ষণে বিরত থাকে। তেমনি রাফেযি শিয়ারাও এজাতীয় মাছ গ্রহণে বিরত থাকে। তাদের বিশ্বাস ও চর্চায় একরকম মিল বিদ্যমান। তারা বিশ্বাস করে আল-জির্রি এমন এক ধরনের মাছ পূর্বে এটি মানবগোষ্ঠী ছিল,পরে আল্লাহ তাদেরকে বিকৃত করে মাছের রূপে পরিণত করেন। ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ তালবীস ইবলিস-এ আল-মুরতাদা ফীমা ইনফারাদাত বিহিল ইমামিয়্যাহ থেকে উদ্ধৃত করে উল্লেখ করেছেন যে ইমামিয়া শিয়ারা এই ‘আল-জির্রি’ মাছকে হারাম মনে করে।(তালবীস ইবলিস; পৃষ্ঠা: ১০০)
.

ইহুদিরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী নিজেদের ধর্মের অনুসারী নয় এমন লোকদের সম্পদ ভোগকে বৈধ মনে করে এবং তাদের সঙ্গে প্রতারণা করাকেও তারা পাপ মনে করে না। অনুরূপভাবে রাফেযি শিয়ারা সুন্নি মুসলিমদের সম্পদ নিজেদের জন্য হালাল মনে করে এবং তাদের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করতেও দ্বিধা করে না। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর মানসিকতা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পবিত্র কুরআনে পূর্বেই সতর্ক করেছেন। মহান আল্লাহ বলেছেন: قَالُوۡا لَیۡسَ عَلَیۡنَا فِی الۡاُمِّیّٖنَ سَبِیۡلٌ “তারা (ইহুদিরা) বলে,”উম্মীদের (ইহুদি ধর্মাবলম্বী নয় এমনদের) ব্যাপারে আমাদের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।”(সূরা আলে ইমরান;৭৫) রাফেযি শিয়ারাও এই ধারণাকেই বাস্তবে বিশ্বাস ও আচরণে প্রকাশ করে থাকে।
.

ইহুদিরা নারীদের ওপর ইদ্দত (অপেক্ষা করার বিধান) মানে না। অনুরূপভাবে রাফেযি শিয়ারাও তা মানে না।
.

যেমন খৃষ্টানদের মেয়েদের বিবাহের ক্ষেত্রে মোহর নেই বরং যা দেয় তা ব্যবহারের বিনিময় হিসেবে দেয়। অর্থাৎ স্ত্রীর নিকট হতে যে ফায়েদা গ্রহণ করে তারই বিনিময় হিসেবে গণ্য। অনুরূপ রাফেযী শিয়ারা মুত’আহ্ বিবাহ (Contract marriage) বৈধ মনে করে এবং প্রদত্ত অর্থ বিনিময় মূল্য হিসেবে গণ্য করে, মোহর হিসেবে নয়।(উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন; ইবনু তাইমিয়া; মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নাবাবিয়্যাহ, খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ২৪-২৯; আল সুন্নাহ লিল খাল্লাল খন্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ৪৯৬; বর্ণণা নাম্বার: ৭৯১)
.

.
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আন-নুমাইরি, (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন:
سُئلت اليهود: من خير أهل ملتكم؟ قالوا: أصحاب موسى.
وسئلت النصارى: من خير أهل ملتكم؟ قالوا: حواري عيسى.
وسئلت الشيعة الاثنا عشرية: من شر أهل ملتكم؟ قالوا: أصحاب محمد – صلى الله عليه وآله وسلم -.
ইহুদীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তোমাদের ধর্মে কে উত্তম? তারা বলেছিল মূসা আলাইহিস্ সালাম)-এর সাথীরা।
অনুরূপভাবে নাসারাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তোমাদের ধর্মে কে উত্তম? তারা বলেছিল: ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর হাওয়ারিগণ।(অর্থাৎ ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর ঘনিষ্ঠ সাহায্যকারী ও অনুসারীগন। এ বিষয়ে সূরা আলে ইমরানের ৫২ নং আয়াতে আলোচনা রয়েছে) আর রাফেযী শিয়াদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তোমাদের ধর্মে কারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট? তারা বলেছিল “মুহাম্মদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ।”(ইবনু তাইমিয়া; মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নাবাবিয়্যাহ, খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ২৭)।
.
শায়খ আব্দুল্লাহ্ আল-জুমাইলী “বাযলুল মাজহুদ ফী মুশাবিহাতির রাফেযাতে লিল ইহুদ” গ্রন্থে রাফেযী শিয়া ও ইহুদীদের মধ্যে কতিপয় সাদৃশ্য উল্লেখ করেন, যেমন ইহুদী ও রাফেযীরা নিজেদের ছাড়া অন্যদের কাফের বলে এবং তাদের রক্ত ও সম্পদ তথা জান ও মাল হালাল মনে করে। অতঃপর তিনি বলেন ইহুদীরা মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করে। যথা: ইয়াহুদ ও উমামি। উমামিরা হচ্ছে ঐ সমস্ত লোক যারা ইহুদী নয়। ইহুদীরা আরো বিশ্বাস করে যে শুধুমাত্র তারাই মু’মিন। আর তাদের নিকট উমামিরা হচ্ছে কাফের মূর্তিপূজক আল্লাহ সম্পর্কে অজ্ঞ।
.
তালমুদ গ্রন্থে এসেছে যে, ইহুদীরা ব্যতীত সকল জাতি-ই মূর্তিপূজক। এমনকি ঈসা (আলাইহিস সালাম) ও তাদের এ কুফরী সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। তালমুদে তারা বলেছে, ঈসা (আলাইহিস সালাম) কাফের, সে আল্লাহকে চেনে না।’ রাফেযীরা বলে মু’মিন তথা ইহুদী ও তারা ব্যতীত অবশিষ্ট সকলে কাফের ও মুরতাদ। ইসলামে তাদের কোন অংশ নেই। আল-বারকী আবু আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “আমরা ও আমাদের শিয়ারা ব্যতীত আর কেউ মিল্লাতে ইবরাহীমের উপর প্রতিষ্ঠিত নেই অর্থাৎ শুধুমাত্র আমরাই মিল্লাতে ইবরাহীমের উপর প্রতিষ্ঠিত, আর সব মানুষ তা থেকে মুক্ত।” আবু আব্দুল্লাহ সূত্রে তাফসীরে কুম্মীতে রয়েছে, তিনি বলেন,ما من أحد من هذه الأمة يدين بدين إبراهيم غيرنا وشيعتنا “আমরা ও ইহুদীরা ব্যতীত কিয়ামত পর্যন্ত ইসলামের উপর আর কেউ নেই।”(আল-হার আল-‘আমালী; খণ্ড: ২৭; পৃষ্ঠা: ১১৯)
.
শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত:৭২৮ হি.] বলেন: “إن أصل كل فتنة وبلية هم الشيعة، ومن انضوى إليهم، وكثير من السيوف التي سلت في الإسلام إنما كان من جهتهم، وبهم تسترت الزنادقة”নিশ্চয়ই প্রতিটি ফেতনা ও বিপদের মূল হলো শিয়া এবং যারা তাদের সাথে যুক্ত হয়। ইসলামের মধ্যে যেসব তলোয়ার কোষমুক্ত করা হয়েছে, তার অধিকাংশই তাদের পক্ষ থেকে ছিল এবং তাদের মাধ্যমেই নাস্তিকরা নিজেদের আড়াল করেছে।(মিনহাজুস সুন্নাহ, খণ্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ২৪৩)
.
শাইখুল ইসলাম (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] আরো বলেছেন:(إذا اقتتل المجوس والرافضة واليهود، فاحمد الله أن أراح المسلمين من بأسهم، وادع الله أن لا تكون فتنتك في أحدهما) “যখন মজুস (অগ্নিপূজক), রাফেযী (চরমপন্থী শিয়া) এবং ইহুদিরা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করে তখন আল্লাহর প্রশংসা করো যিনি মুসলিমদেরকে তাদের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেছেন। আর আল্লাহর কাছে দু’আ করো যেন তুমি তাদের কারো দ্বারা ফিতনা (পরীক্ষার) শিকার না হও।”(ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ, ফাতাওয়া আল-কুবরা, খন্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ১৩)।
.
বর্তমান ইসনা ‘আশারিয়া শী‘আদের ইমাম ও ইরানী বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনী বলেন আমাদের ইমামদের মর্যাদা এত উচ্চস্তরের যে আল্লাহর কোন নিকটবর্তী ফেরেশতা বা প্রেরিত নবী উক্ত মর্যাদায় পৌঁছতে পারেনি’ (আল-হুকূমাতুল ইসলামিয়াহ; পৃষ্ঠা: ৭৫) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
No comments:
Post a Comment