প্রশ্ন: প্রত্যেক সুস্থ-সবল নারী-পুরুষের জন্য দুই কিংবা চার রাকআত বিশিষ্ট সালাত আদায়ের সুন্নতি পদ্ধতি কি?
▬▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র প্রতি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষ-নারী, ছোট-বড় নির্বিশেষে সকলের জন্যই বলেছেন, صَلُّوْا كَمَا رَأَيْتُمُوْنِيْ أُصَلِّيْ ‘তোমরা ঠিক সেভাবেই সালাত কর,যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখেছ।’(সহীহ বুখারী হা/৬৩১) উক্ত হাদীসের আলোকে আমরা রাসূল (ﷺ)-এর সালাত আদায়ের সঠিক পদ্ধতি তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
.
সর্বপ্রথম সালাতের জন্য ওযু-গোসল করে পবিত্র হয়ে পরিচ্ছন্ন পোষাক ও দেহ-মন নিয়ে কা‘বা গৃহ পানে মুখ ফিরিয়ে মনে মনে সালাতের দৃঢ় সংকল্প করে স্বীয় প্রভুর সন্তুষ্টি কামনায় তাঁর সম্মুখে বিনম্রচিত্তে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। এরপর একজন ব্যক্তি (নারী-পুরুষ) প্রথমে অন্তরে নামাজের নিয়ত করে কিবলামুখী হবেন। এরপর সক্ষমতা থাকলে দাঁড়িয়ে তাকবিরাতুল ইহরাম তথা নামাজ আরম্ভের তাকবির বলবেন; অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ বলবেন। তাকবিরাতুল ইহরাম বলার সময় দুই হাত কাঁধ বরাবর উত্তোলন করবেন; হাতের তালুদ্বয়কে কিবলামুখী রাখবেন এবং আঙুলগুলোর মাঝে কোনো ফাঁক রাখবেন না। এরপর স্বীয় ডান হাতকে তার বাম হাতের ওপর রাখবেন (অর্থাৎ বাম কব্জির উঁচু হাঁড়কে ডান হাতের তালু দিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করবেন এবং দু হাত বুকের উপরে রাখবেন এবং দৃষ্টি সিজদার স্থানে রাখবেন; (তাশাহহুদের সময় ব্যতীত নামাজের সর্বাবস্থায় সিজদার স্থানে দৃষ্টি রাখবেন); আর তাশাহহুদের সময় দৃষ্টি রাখবেন তর্জনী আঙুলের দিকে। এরপর চুপে চুপে নামাজের (সানা) পাঠ করবেন। বলবেন-سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ”উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। অর্থ: হে আল্লাহ, আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বড়োই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি সমুচ্চ। আর আপনি ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই। নামাজের মুখবন্ধ হিসেবে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে এমন যেকোনো ‘দোয়া-জিকির’ দিয়েই সানা পাঠ করা বৈধ। এরপর চুপে চুপে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। বলবেন,«أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ».”উচ্চারণ: আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রজিম। অর্থ: আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। “এরপর চুপিসারে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ পাঠ করবেন। তারপর কোনো বিরতি না দিয়ে ধারাবাহিকভাবে সুরা ফাতিহা পাঠ করবেন। সুরা ফাতিহা পড়া হয়ে গেলে শেষে বলবেন, ‘আমিন’ ‘আমিন’ অর্থ: হে আল্লাহ, কবুল করুন। সরব তথা জেহেরি কেরাতের নামাজে ইমাম ও মুক্তাদি উভয়েই আওয়াজ উঁচু করে আমিন বলবেন।এরপর চুপিসারে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ বলবেন। তারপর পছন্দ অনুযায়ী একটি পূর্ণ সুরা পাঠ করবেন। শুধু একটি আয়াত পাঠ করলেও কেরাত হিসেবে যথেষ্ট হবে। যিনি সুরা ফাতিহা এবং কুরআনের অন্য কোনো সুরার অংশবিশেষও সঠিকভাবে বলতে পারেন না, তার জন্য এসব বলা অত্যাবশ্যক সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার।
.
.
এরপর প্রথমবার হাত ওঠানোর মতো হস্তদ্বয় উত্তোলন (রফউল ইয়াদাইন) করে একবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে বলতে রুকুতে যাবেন। রুকুতে দু হাতের আঙুলগুলো ফাঁকাফাঁকা করে দু হাত রাখবেন নিজের দুই হাঁটুর ওপরে, আর প্রত্যেক হাত দিয়ে হাঁটুকে আঁকড়ে ধরবেন। এছাড়াও পিঠকে সোজা করে সটান করে দেবেন এবং মাথাকে করবেন পিঠ বরাবর, পিঠ থেকে উঁচুও করবেন না, আবার নিচুও করবেন না। আর রুকুরত অবস্থায় কনুইদ্বয়কে নিজের দুই পার্শ্ব থেকে দূরে রাখবেন। রুকুতে গিয়ে তিনবার বলবেন,«سُبْحَانَ رَبِّي العظيم.”উচ্চারণ: সুবহানা রব্বিয়াল আজিম। অর্থ: আমার সুমহান রবের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। এরপর মাথা উত্তোলন করবেন এবং প্রথমবার হস্তদ্বয় উত্তোলন করার মতো তাঁর দু হাত উত্তোলন (রফউল ইয়াদাইন) করে ইমাম ও একাকী নামাজ আদায়কারী বলবেন,سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ». “উচ্চারণ: সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ। অর্থ: আল্লাহ তার দোয়া কবুল করুন, যে তাঁর প্রশংসা করে। আর জামাতে ইমামের অনুসরণকারী মুক্তাদি ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবেন না।” তারপর পুরোপুরি দাঁড়িয়ে গেলে বলবেন,رَبَّنَا وَلَكَ الحَمْدُ.”উচ্চারণ: রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ। অর্থ: হে আমাদের রব,আপনার নিমিত্তেই সমস্ত প্রশংসা নিবেদিত। চাইলে আরও একটু বৃদ্ধি করে বলতে পারেন হাম্দান কাসীরান ত্বাইয়েবাম মুবা-রাকান ফীহি’। এরপর তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বলবেন, সিজদাবনত হবেন এবং (সিজদায় গমনের পূর্বমুহূর্তে) তাঁর দু হাত ওঠাবেন না। অর্থাৎ (রফউল ইয়াদাইন করবেন না) সুতরাং তিনি (সিজদাবনত হওয়ার সময়) মাটিতে আগে তাঁর দুই হাত রাখবেন কিংবা দুই হাঁটু রাখবেন, তারপর তাঁর মুখমণ্ডল রাখবেন। আর তাঁর কপাল, নাক ও দুই হাতের তালু জমিনে লাগাবেন; এবং দুই পায়ের আঙুলগুলোর শীর্ষভাগের (সামনের অংশের) ওপর ভর দিয়ে সেগুলোকে কিবলামুখী করে রাখবেন। দুই হাতের তালু দিয়ে সরাসরি নামাজের স্থান স্পর্শ করা এবং দুই হাতের কনুই (জমিন থেকে) ওপরে উত্তোলিত রেখে, দুই হাতের আঙুলগুলোকে কব্জা না করে বিছিয়ে দিয়ে, চেপে চেপে রেখে (ফাঁকাফাঁকা না করে) সেগুলোকে কিবলামুখী করা মুস্তাহাব। সিজদাকারীর জন্য স্বীয় বাহুদ্বয়কে নিজের দুই পার্শ্ব থেকে, পেটকে নিজের দুই উরু থেকে এবং উরুদ্বয়কে নিজের দুই নলা (পায়ের গোছা) থেকে দূরে রাখা মুস্তাহাব। মুসল্লি (সিজদায়) তাঁর হস্তদ্বয়কে দুই কাঁধ বরাবর রাখবেন এবং দুই হাঁটু ও দুই পায়ের মাঝে ব্যবধান রাখবেন (লাগিয়ে দেবেন না)। সিজদাবনত অবস্থায় তিনবার বলবেন,«سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى».”উচ্চারণ: সুবহানা রব্বিয়াল আলা। অর্থ: আমার সমুচ্চ রবের পবিত্রতা ঘোষণা করছি।সাথে অন্যান্য দোয়াও পড়া যায়। এরপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে মাথা ওঠাবেন এবং ‘ইফতিরাশ’ করে বসবেন; অর্থাৎ বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর বসবেন এবং ডান পা খাঁড়া করে রাখবেন। আর ডান পায়ের আঙুলসমূহের তালু তথা নিম্নভাগকে জমিনমুখী করবেন; যাতে করে আঙুলগুলোর শীর্ষভাগ কিবলামুখী হয়ে যায়। এভাবে বসার সময় হাতদুটোকে নিজের দুই উরুর ওপরে রাখবেন, হাতের আঙুলগুলোকে চাপাচাপি করে (অর্থাৎ আঙুলগুলোর মাঝে ফাঁক রাখবেন না)।আর দুইবার বলবেন,رَبِّ اغْفِرْ لِي».”উচ্চারণ: রব্বিগফিরলি। অর্থ: প্রভুগো, আমায় ক্ষমা করুন। তারপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে প্রথম সিজদার মতো দ্বিতীয় সিজদা দেবেন।
.
.
তারপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা ওঠাবেন। পরবর্তী রাকাতের জন্য দ্বিতীয় সিজদা থেকে ওঠার সময় হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে ওঠবেন। প্রথম রাকাতের মতোই দ্বিতীয় রাকাত আদায় করবেন; কেবল তাকবিরাতুল ইহরাম ও সানা পাঠ করবেন না এবং প্রথম রাকাতে ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রজিম’ বলে থাকলে দ্বিতীয় রাকাতে পুনরায় বলবেন না।দ্বিতীয় রাকাতের সিজদা শেষে তাশাহহুদের জন্য বসবেন; দু সিজদার মাঝে ‘ইফতিরাশ’ করে বসার মতো। তবে এ সময় বাম হাতের আঙুলগুলো কিবলামুখী করে বাম উরুর ওপর বিছিয়ে রাখলেও ডান হাতের অনামিকা ও কনিষ্ঠা আঙুল মুষ্টিবদ্ধ করবেন এবং মধ্যমা আঙুল ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে গোলাকার আংটার মতো বানাবেন, আর তর্জনী আঙুল দিয়ে ইশারা (নাড়াছাড়া) করবেন কেবল ‘আল্লাহ’ শব্দ উচ্চারণের সময়। তাশাহহুদে মোট চার জায়গায় ‘আল্লাহ’ শব্দ এসেছে। নামাজ যদি দুই রাকাতবিশিষ্ট হয়, তাহলে তাশাহহুদের পরে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য দরুদ পাঠ করবেন। দরুদ পাঠের পর এই দোয়া পড়বেন-اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَاوَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ».”উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নাম, ওয়া মিন আজাবিল কবর, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাত, ওয়া মিন শারি ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জাল। অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাইছি জাহান্নামের শাস্তি থেকে, কবরের শাস্তি থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা (পরীক্ষা) থেকে এবং মাসিহুদ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্ট থেকে। এই দোয়া ছাড়াও নামাজে দরুদের পরে পড়ার জন্য যেসব দোয়া বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো পড়া যাবে সালাম ফেরানোর আগে। তারপর নামাজ সমাপ্তের নিয়ত করে ডান দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে সালাম ফেরাবে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বলে, এরপর বাম দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে সালাম ফেরাবে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বলে। নামাজ যদি দুই রাকাতের বেশি হয়, তাহলে দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহহুদ পড়ার পরে পরবর্তী রাকাতের জন্য উঠে দাঁড়াবেন এবং যথারীতি উপরোক্ত নিয়মে বাকি নামাজ সম্পন্ন করবেন।
অর্থাৎ প্রথম তাশাহহুদের বৈঠক থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সুরা ফাতিহা পাঠের আগে কাঁধ বরাবর হস্তদ্বয় উত্তোলন (রফউল ইয়াদাইন) করবেন। আর প্রথম দু রাকাত ছাড়া বাকি (তৃতীয় চতুর্থ) রাকাতগুলোতে সুরা ফাতিহার পরে অন্য কোনো সুরা পড়বেন না। যেসব নামাজে দুটো ‘তাশাহহুদের বৈঠক’ থাকে, সেসব নামাজের দ্বিতীয় বৈঠকে ‘তাওয়াররুক’ করে বসবেন; অর্থাৎ ডান পা খাঁড়া রেখে দুই নিতম্বের ওপর ভর দিয়ে বসবেন, আর বাম পা বের করে দেবেন ডান পায়ের নিচ দিয়ে। এরপর যথারীতি নামাজ শেষ করবেন, যেভাবে ইতিপূর্বে বর্ণনা দেওয়া হলো। আলহামদুলিল্লাহ সমাপ্ত।
.
নোট: প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত প্রতিটি বিষয়ের ভিত্তি রয়েছে রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং তাঁর সাহাবাদের সুন্নাহতে। এক্ষেত্রে নারী পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আর্টিকেলটি সংক্ষিপ্ততার স্বার্থে এখানে দলিলসমূহ উল্লেখ করা হয়নি, যাতে প্রবন্ধটি অতিরিক্ত দীর্ঘ না হয়। তবে আগ্রহী পাঠকগণ ইচ্ছা করলে সংশ্লিষ্ট হাদীসসমূহের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন। ইনশাআল্লাহ, সব কিছুই সহীহ ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে উল্লেখ করা হয়েছে। সালাত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব আত-তামিমি আন-নাজদি (রাহিমাহুল্লাহ) রচিত সালাতের শর্তাবলি, ফরজ ও ওয়াজিবসমূহ, শাইখ আব্দুল হামিদ ফাইজি আল-মাদানী (হাফিজাহুল্লাহ) প্রণীত সালাতে মুবাশ্বির এবং ড.আসাদুল্লাহ আল-গালিব (হাফিজাহুল্লাহ) কর্তৃক সংকলিত সালাতে রাসূল (ﷺ) এই গ্রন্থসমূহ অধ্যয়ন করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই পাঠের সময় যদি কোনো বিষয় স্পষ্ট না হয় বা সংশয়ের সৃষ্টি হয়, তাহলে অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য কোনো সালাফি আলেমের পরামর্শ গ্রহণ করুন। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
No comments:
Post a Comment