প্রশ্ন: শয়তানী ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) এবং সন্দেহ রোগ কি এবং কেন? এ থেকে বাঁচার উপায় কি?
Tuesday, November 30, 2021
শয়তানী ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) এবং সন্দেহ রোগ কি এবং কেন
মদীনার ফযিলত সম্পর্কিত কিছু সহীহ হাদীস
সৌদি সরকারের দিকে চেয়ে মক্কা-মদীনার ইসলামকে যাচাই করতে যাবেন না।
কেন মক্কা-মদীনায় প্রচলিত ইসলামের অনুসরণ করবেন তা নিচের হাদীস গুলো পড়ে বুঝে নিন ?
মক্কা মদীনা সম্পর্কে রাসুল (স) এর ভবিষ্যৎবাণীঃ
মদিনাবাসীর সাথে যারা ষড়যন্ত্র করবে, তারা লবণ যেভাবে পানিতে গলে যায়, সেভাবে গলে যাবে। (বুখারি: ১৮৭৭)
মদীনা ও মদীনাবাসীদের জন্য নবী( স:)বরকতের দোয়া করে গেছেন। (বুখারি: ১৮৮৫)
মসজিদুল হারাম ব্যতীত মসজিদে নববীতে নামায পড়া অপরাপর মসজিদে ১০০০ নামাযের চেয়ে উত্তম। (বুখারি: ১১৯০)
মদীনা অবাঞ্ছিত লোকদেরকে এমনভাবে বহিষ্কার করে দেয়, যেমনভাবে কামারের অগ্নিচুলা লোহার মরিচা দূর করে দেয়। (বুখারী: ১৮৭১)
মদীনায় ঈমান ফিরে আসবে, যেভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে আসে। অর্থাৎ কোথাও বিশুদ্ধ দ্বীন থাকবে না। প্রকৃত দ্বীন (ইসলাম) মদীনায় ফিরে আসবে। (বুখারি: ১৮৭৬)
স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার সম্পর্কিত কিছু সহীহ হাদীস
وَعَنْ أَبِـيْ عَلِيِّ طَلْقِ بنِ عَلِيِّ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا دَعَا الرَّجُلُ زَوْجَتهُ لِـحَاجَتِهِ فَلْتَأتِهِ وَإنْ كَانَتْ عَلَى التَّنُوْرِ رواه الترمذي والنسائي وَقالَ الترمذي حديث حسن صحيح
আবূ আলী ত্বাল্ক ইবনে আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার প্রয়োজনে আহবান করবে, তখন সে যেন (তৎক্ষণাৎ) তার নিকট যায়। যদিও সে উনানের কাছে (রুটি ইত্যাদি পাকানোর কাজে ব্যস্ত) থাকে।’’ (তিরমিযী ১১৬০, সহীহুল জামে ৫৩৪)
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِـيْ أَوْفَى قَالَ قَدِمَ مُعَاذٌ الْيَمَنَ أَوْ قَالَ الشَّامَ فَرَأَى النَّصَارَى تَسْجُدُ لِبَطَارِقَتِهَا وَأَسَاقِفَتِهَا فَرَوَّأَ فِي نَفْسِهِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ أَحَقُّ أَنْ يُعَظَّمَ فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ رَأَيْتُ النَّصَارَى تَسْجُدُ لِبَطَارِقَتِهَا وَأَسَاقِفَتِهَا فَرَوَّأْتُ فِي نَفْسِي أَنَّكَ أَحَقُّ أَنْ تُعَظَّمَ فَقَالَ لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَلَا تُؤَدِّي الْمَرْأَةُ حَقَّ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهَا كُلَّهُ حَتّٰـى تُؤَدِّيَ حَقَّ زَوْجِهَا عَلَيْهَا كُلَّهُ حَتّٰـى لَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِيَ عَلٰى ظَهْرِ قَتَبٍ لَأَعْطَتْهُ إِيَّاهُ
আব্দুল্লাহ বিন আবী আউফা (রাঃ) বলেন, ‘‘মুআয যখন শাম (দেশ) থেকে ফিরে এলেন তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সিজদা করলেন। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘একি মুআয?’’ মুআয বললেন, ‘আমি শাম গিয়ে দেখলাম, সে দেশের লোকেরা তাদের যাজক ও পাদ্রীগণকে সিজদা করছে। তাই আমি মনে মনে চাইলাম যে, আমরাও আপনার জন্য সিজদা করব।’ তা শুনে তিনি বললেন ‘‘খবরদার! তা করো না। কারণ, আমি যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য সিজদা করতে কাউকে আদেশ করতাম, তাহলে মহিলাকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে। সেই সত্তার শপথ; যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আছে! মহিলা তার প্রতিপালক (আল্লাহর) হক ততক্ষণ আদায় করতে পারে না; যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার স্বামীর হক (অধিকার) আদায় করেছে। (স্বামীর অধিকার আদায় করলে তবেই আল্লাহর অধিকার আদায় হবে, নচেৎ না।) এমন কি সে যদি (প্রসবের জন্য বা সফরের জন্য) কোন বাহনের জিনের উপর থাকে, আর সেই অবস্থায় স্বামী তার দেহ-মিলন চায় তাহলে স্ত্রীর, ‘না’ বলার অধিকার নেই।’’ (ইবনে মাজাহ ১৮৫৩, আহমাদ ৪/৩৮১, ইবনে হিব্বান ৪১৭১, হাকেম ৪/১৭২, বাযযার ১৪৬১, সিলসিলাহ সহীহাহ ১২০৩)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
اَلرِّجَالُ قَوَّامُوْنَ عَلَـى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللهُ بَعْضَهُمْ عَلٰى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِـحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللهُ
অর্থাৎ, পুরুষ নারীর কর্তা। কারণ, আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে পুরুষ (তাদের জন্য) ধন ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যময়ী নারীরা অনুগতা এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে লোক-চক্ষুর অন্তরালে (স্বামীর ধন ও নিজেদের ইজ্জত) রক্ষাকারিণী; আল্লার হিফাযতে (আদেশ ও তওফীকে) তারা তা হিফাযত করে। (সূরা নিসা ৩৪)
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امرَأتَهُ إِلٰـى فرَاشِهِ فَلَمْ تَأتِهِ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا، لَعَنَتْهَا المَلَائِكَةُ حَتّٰـى تُصْبحَ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ وَفي رِوَايَةٍ لَهُمَا إِذَا بَاتَتِ المَرأةُ هَاجِرَةً فِرَاشَ زَوْجِهَا لَعَنَتْهَا المَلَائِكَةُ حَتّٰـى تُصْبحَ وَفي رِوَايَةٍ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ والَّذِي نَفْسِي بيَدِهِ مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو امْرَأتَهُ إِلٰـى فِرَاشهِ فَتَأبَى عَلَيهِ إلاَّ كَانَ الَّذِي في السَّمَاء سَاخطاً عَلَيْهَا حَتّٰـى يَرْضَى عَنها
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিজ বিছানায় ডাকে এবং সে না আসে, অতঃপর সে (স্বামী) তার প্রতি রাগান্বিত অবস্থায় রাত কাটায়, তাহলে ফিরিশতাগণ তাকে সকাল অবধি অভিসম্পাত করতে থাকেন।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, ‘‘যখন স্ত্রী নিজ স্বামীর বিছানা ত্যাগ করে (অন্যত্র) রাত্রিযাপন করে, তখন ফিরিশতাবর্গ সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকেন।’’
عَنْ أَبِـيْ أُمَامَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ثَلَاثَةٌ لَا تُجَاوِزُ صَلَاتُهُمْ رُؤوسَهُمِ: الْعَبْدُ الآبِقُ، وَالْمَرْأَةُ تَبِيتُ وَزَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ، وَإِمَامٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ
আবূ উমামা কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তিন ব্যক্তির নামায তাদের মাথা অতিক্রম করে না; পলাতক ক্রীতদাস, যতক্ষণ না সে ফিরে এসেছে, এমন স্ত্রী যার স্বামী তার উপর রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রিযাপন করেছে, (যতক্ষণ না সে রাজী হয়েছে), (অথবা যে স্ত্রী তার স্বামীর অবাধ্যাচরণ করেছে, সে তার বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত) এবং সেই সম্প্রদায়ের ইমাম, যাকে লোকে অপছন্দ করে।’’ (তিরমিযী ৩৬০, ত্বাবারানী ৮০১৬, হাকেম, সিলসিলাহ সহীহাহ ২৮৮, ৬৫০)
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ لَا يَحِلُّ لِاِمْرَأةٍ أنْ تَصُوْمَ وزَوْجُهَا شَاهدٌ إلاَّ بإذْنِهِ وَلَا تَأذَنَ في بَيْتِهِ إلاَّ بِإذنِهِ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ وهذا لفظ البخاري
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া কোন নারীর জন্য (নফল) রোযা রাখা বৈধ নয় এবং স্বামীর সম্মতি ব্যতিরেকে তার ঘরে কাউকে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়াও তার জন্য বৈধ নয়।’’ (বুখারী ৫১৯৫, মুসলিম ২৪১৭, শব্দগুলি বুখারীর)
অন্য এক বর্ণনায় আছে
لَا تَصُوْمُ الْمَرْأَةُ يَوْمًا تَطَوُّعًا فِـيْ غَيْرِ رَمَضَانَ وَزَوْجُهَا شَاهِدٌ إِلاَّ بِإِذْنِهِ
আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আল্লাহ তাবারাকা অতাআলা সেই মহিলার প্রতি চেয়েও দেখবেন না, যে তার স্বামীর কৃতজ্ঞতা আদায় করে না; অথচ সে তার মুখাপেক্ষিণী।’’ (নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫, ত্বাবারানী, বাযযার ২৩৪৯, হাকেম ২৭৭১, বাইহাকী ১৪৪৯৭, সিলসিলাহ সহীহাহ ২৮৯)
কথায় বলে, ‘মেয়ে লোকের এমনি স্বভাব, হাজার দিলেও যায় না অভাব।’ স্বামীর কৃতঘ্নতা করা স্ত্রীর এক সহজাত অভ্যাস। হাজার করলেও অন্যের স্বামী তার নজরে ভালো হয়। স্বামীর কৃতঘ্নতা (নাশুকরি) করা, তার অনুগ্রহ ও এহসান ভুলা, তার বিরুদ্ধে খামোখা নানান অভিযোগ তোলা, তাকে লানত করা এবং সে ‘হিরো’ হলেও তাকে ‘জিরো’ ভাবা ইত্যাদি কারণেই নারী জাতির অধিকাংশই জাহান্নামী হবে। (বুখারী ২৯, ৪৩১ প্রভৃতি , মুসলিম প্রমুখ)
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ النَّبِـيُّ ﷺ أُرِيتُ النَّارَ فَإِذَا أَكْثَرُ أَهْلِهَا النِّسَاءُ يَكْفُرْنَ قِيلَ أَيَكْفُرْنَ بِاللهِ قَالَ يَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ وَيَكْفُرْنَ الْإِحْسَانَ لَوْ أَحْسَنْتَ إِلٰـى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ
ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমাকে জাহান্নাম দেখানো হল। আমি দেখলাম, জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসিনী হল মহিলা।’’ সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, তা কী জন্য হে আল্লাহর রসূল? বললেন, ‘‘তাদের কুফরীর জন্য।’’ তাঁরা বললেন, আল্লাহর সাথে কুফরী? তিনি বললেন, ‘‘(না, তারা স্বামীর কুফরী (অকৃতজ্ঞতা) ও নিমকহারামি করে। তাদের কারো প্রতি যদি সারা জীবন এহসানী কর, অতঃপর সে যদি তোমার নিকট সামান্য ত্রুটি লক্ষ্য করে, তাহলে ব’লে বসে, তোমার নিকট কোন মঙ্গল দেখলাম না আমি!’’ (বুখারী ২৯, মুসলিম ২১৪৭)
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبيِّ ﷺ قَالَ لَوْ كُنْتُ آمِراً أحَداً أنْ يَسْجُدَ لأحَدٍ لَامَرْتُ المَرأةَ أنْ تَسْجُدَ لزَوجِهَا رواه الترمذي وَقالَ حديث حسن صحيح
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদাহ করে।’’ (তিরমিযী ১১৫৯, হাসান সহীহ)
عَنْ أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ أَهْلُ بَيْتٍ مِنْ الْأَنْصَارِ لَهُمْ جَمَلٌ يَسْنُونَ عَلَيْهِ وَإِنَّ الْجَمَلَ اسْتُصْعِبَ عَلَيْهِمْ فَمَنَعَهُمْ ظَهْرَهُ وَإِنَّ الْأَنْصَارَ جَاءُوا إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَقَالُوا إِنَّهُ كَانَ لَنَا جَمَلٌ نُسْنِي عَلَيْهِ وَإِنَّهُ اسْتُصْعِبَ عَلَيْنَا وَمَنَعَنَا ظَهْرَهُ وَقَدْ عَطِشَ الزَّرْعُ وَالنَّخْلُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لِأَصْحَابِهِ قُومُوا فَقَامُوا فَدَخَلَ الْحَائِطَ وَالْجَمَلُ فِي نَاحِيَةٍ فَمَشَى النَّبِيُّ ﷺ نَحْوَهُ فَقَالَتْ الْأَنْصَارُ يَا نَبِيَّ اللهِ إِنَّهُ قَدْ صَارَ مِثْلَ الْكَلْبِ الْكَلِبِ وَإِنَّا نَخَافُ عَلَيْكَ صَوْلَتَهُ فَقَالَ لَيْسَ عَلَيَّ مِنْهُ بَأْسٌ فَلَمَّا نَظَرَ الْجَمَلُ إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ أَقْبَلَ نَحْوَهُ حَتّٰـى خَرَّ سَاجِدًا بَيْنَ يَدَيْهِ فَأَخَذَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِنَاصِيَتِهِ أَذَلَّ مَا كَانَتْ قَطُّ حَتّٰـى أَدْخَلَهُ فِي الْعَمَلِ فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذِهِ بَهِيمَةٌ لَا تَعْقِلُ تَسْجُدُ لَكَ وَنَحْنُ نَعْقِلُ فَنَحْنُ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ فَقَالَ لَا يَصْلُحُ لِبَشَرٍ أَنْ يَسْجُدَ لِبَشَرٍ وَلَوْ صَلَحَ لِبَشَرٍ أَنْ يَسْجُدَ لِبَشَرٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا مِنْ عِظَمِ حَقِّهِ عَلَيْهَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَ مِنْ قَدَمِهِ إِلٰـى مَفْرِقِ رَأْسِهِ قُرْحَةً تَنْبَجِسُ بِالْقَيْحِ وَالصَّدِيدِ ثُمَّ اسْتَقْبَلَتْهُ فَلَحَسَتْهُ مَا أَدَّتْ حَقَّهُ
আনাস বিন মালিক (রাঃ) বলেন, মদীনার আনসারদের এক লোকের বাড়িতে একটি সেচক উট ছিল। হঠাৎ করে সে তার পিঠে কাউকে চড়তে দিচ্ছিল না। সে বাড়ির লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ‘আমাদের একটি উট আছে, তার দ্বারা আমরা পানি তুলে জমি সেচ করি। এখন তাকে ব্যবহার করা কঠিন হয়ে গেছে। সে আমাদেরকে তার পিঠেও চড়তে দেয় না। ক্ষেতের ফসল ও খেজুর গাছে সেচ দেওয়ার সময় হয়েছে। (কী করা যায়?)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগণকে বললেন, ‘‘চলো দেখে আসি।’’ সুতরাং তাঁরা গিয়ে বাগানে প্রবেশ করলেন। উটটি তার এক প্রান্তে ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে অগ্রসর হলেন। লোকেরা বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! ও এখন কুকুরের মতো হয়ে আছে। আমাদের ভয় হচ্ছে, ও আপনাকে আক্রমণ করবে।’ তিনি বললেন, ‘‘ও আমার কোন ক্ষতি করবে না।’’
সুতরাং উটটি যখন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে তাকিয়ে দেখল, তখন তাঁর দিকে অগ্রসর হয়ে তাঁর সামনে সিজদায় পতিত হল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কপালে ধরলে সে সবচেয়ে শান্ত হয়ে গেল। অতঃপর তিনি তাকে কাজে প্রবেশ করালেন।
এ ঘটনা দর্শন করে সাহাবাগণ তাঁকে বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! এ একটি পশু, যার জ্ঞান-বুদ্ধি নেই, সে আপনাকে সিজদা করছে! আর আমরা তো জ্ঞান-বুদ্ধি রাখি। সুতরাং আমরা আপনাকে সিজদা করার বেশি হকদার।’
তিনি বললেন, ‘‘কোন মানুষের জন্য কোন মানুষকে সিজদা করা সঙ্গত নয়। কোন মানুষের জন্য কোন মানুষকে সিজদা করা সঙ্গত হলে আমি মহিলাকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে। যেহেতু তার উপর স্বামীর বিশাল অধিকার রয়েছে। সেই সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে, স্বামীর পা থেকে মাথার সিঁথি পর্যন্ত যদি এমন ঘা থাকে, যাতে রক্ত-পুঁজ ঝরে পড়ছে, অতঃপর তা যদি স্ত্রী চাঁটে, তবুও তার অধিকার আদায় করতে সক্ষম হবে না। (আহমাদ ১২৬১৪, নাসাঈ, বাযযার, সঃ তারগীব
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ بِابْنَةٍ لَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: هَذِهِ ابْنَتِي أَبَتْ أَنْ تَزَوَّجَ، فَقَالَ: أَطِيعِي أَبَاكِ كُلُّ ذٰلِكَ تُرَدِّدُ عَلَيْهِ مَقَالَتَهَا، فَقَالَتْ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَتَزَوَّجُ حَتَّى تُخْبِرَنِي مَا حَقُّ الزَّوْجِ عَلَى زَوْجَتِهِ، فَقَالَ: حَقُّ الزَّوْجِ عَلَى زَوْجَتِهِ لَوْ كَانَتْ بِهِ قُرْحَةٌ، فَلَحَسَتْهَا مَا أَدَّتْ حَقَّهُ، فَقَالَتْ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَتَزَوَّجُ أَبَدًا، فَقَالَ: لَا تُنْكِحُوهُنَّ إِلَّا بِإِذْنِهِنَّ
আবূ সাঈদ (রাঃ) ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, এক ব্যক্তি তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার এই মেয়েটি বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। (কী করা যায়।) আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘‘তুমি তোমার আববার কথা মেনে নাও।’’ মেয়েটি বলল, আপনি বলুন, স্ত্রীর উপর তার স্বামীর হক কী? তিনি বললেন, ‘‘স্বামীর এত বড় হক আছে যে, যদি তার নাকের দুই ছিদ্র থেকে রক্ত-পুঁজ বের হয় এবং স্ত্রী তা নিজের জিভ দ্বারা চেঁটে (পরিষ্কার করে), তবুও সে তার যথার্থ হক আদায় করতে পারবে না! যদি মানুষের জন্য মানুষকে সিজদা করা সঙ্গত হত, তাহলে আমি স্ত্রীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামী কাছে এলে তাকে সিজদা করে। যেহেতু আল্লাহ স্বামীকে স্ত্রীর উপর এত বড় মর্যাদা দান করেছেন।’’ মেয়েটি বলল, সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করেছেন! দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে আমি বিয়েই করব না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমরা ওদের অনুমতি ছাড়া ওদের বিবাহ দিয়ো না।’’ (নাসাঈ কুবরা ৫৩৬৫, ইবনে আবী শাইবাহ ১৭১২২, সঃ তারগীব ১৯৩৪, বাইহাকী ১৩২৬৩, হাকেম ২৭৬৮, বাযযার ৮৬৩৪ দারাকুতনী ৩৫৭১)
عَنْ مُعَاذِ بن جَبَلٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَوْ تَعْلَمُ الْمَرْأَةُ حَقَّ الزَّوْجِ مَا قَعَدَتْ مَا حَضَرَ غَدَاؤُهُ وَعَشَاؤُهُ حَتّٰـى يَفْرُغَ مِنْهُ
মুআয বিন জাবাল কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মহিলা যদি স্বামীর হক (যথার্থরূপে) জানতো, তাহলে তার দুপুর অথবা রাতের খাবার খেয়ে শেষ না করা পর্যন্ত সে (তার পাশে) দাঁড়িয়ে থাকতো।’’ (ত্বাবারানী, সহীহুল জামে’ ৫২৫৯)
وَعَن مُعَاذِ بنِ جَبَلٍ عن النَّبيّ ﷺ قَالَ لَا تُؤْذِي امْرَأةٌ زَوْجَهَا في الدُّنْيَا إلاَّ قَالَتْ زَوْجَتُهُ مِنَ الحُورِ العِينِ لَا تُؤذِيهِ قَاتَلكِ اللهُ فَإِنَّمَا هُوَ عِنْدَكِ دَخِيلٌ يُوشِكُ أنْ يُفَارِقَكِ إِلَيْنَا رواه الترمذي وَقالَ حديث حسن
মুআয বিন জাবাল কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যখনই কোন মহিলা দুনিয়াতে নিজ স্বামীকে কষ্ট দেয়, তখনই তার সুনয়না হূর (জান্নাতী) স্ত্রী (অদৃশ্যভাবে) ঐ মহিলার উদ্দেশ্যে বলে, ‘আল্লাহ তোকে ধ্বংস করুন। ওকে কষ্ট দিস্ না। ও তো তোর নিকট সাময়িক মেহমান মাত্র। অচিরেই সে তোকে ছেড়ে আমাদের কাছে এসে যাবে।’’ (তিরমিযী ১১৭৪, ইবনে মাজাহ ২০১৪)
عَنِ الْحُصَيْنِ بْنِ مِحْصَنٍ أَنَّ عَمَّةً لَهُ أَتَتْ النَّبِيَّ ﷺ فِي حَاجَةٍ فَفَرَغَتْ مِنْ حَاجَتِهَا فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ ﷺ أَذَاتُ زَوْجٍ أَنْتِ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ كَيْفَ أَنْتِ لَهُ قَالَتْ مَا آلُوهُ إِلَّا مَا عَجَزْتُ عَنْهُ قَالَ فَانْظُرِي أَيْنَ أَنْتِ مِنْهُ فَإِنَّمَا هُوَ جَنَّتُكِ وَنَارُكِ
হুস্বাইন বিন মিহস্বানের এক ফুফু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কোন প্রয়োজনে এলে এবং তা পূরণ হয়ে গেলে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তোমার কি স্বামী আছে?’’ সে বলল, ‘জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘‘তার কাছে তোমার অবস্থান কী?’’ সে বলল, ‘যথাসাধ্য আমি তার সেবা করি।’ তিনি বললেন, ‘‘খেয়াল করো, তার কাছে তোমার অবস্থান কোথায়। যেহেতু সে তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম।’’ (আহমাদ ১৯০০৩, নাসাঈ, হাকেম, বাইহাক্বী)
عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ قالت قال النَّبِىَّ ﷺ لَا يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ فَوْقَ ثَلَاثٍ إِلاَّ عَلٰى زَوْجٍ فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
উম্মে হাবীবাহ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, তার জন্য তিনদিনের বেশী কোন মৃতের উপর শোকপালন করা বৈধ নয়, কেবল স্বামী ছাড়া। সে ক্ষেত্রে সে ৪ মাস ১০ দিন শোকপালন করবে।’’ (বুখারী ১২৮০, মুসলিম ৩৮০২)
চারটি মূলনীতি
লেখক: ইমাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব রহ.
অনুবাদক: আব্দুর রাকীব (মাদানী)
সম্পাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী
আরশে আযীমের প্রতিপালক মহান আল্লাহর নিকট দুআ করি, তিনি যেন আপনাকে দুনিয়া ও আখেরাতে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেন,আপনাকে বরকতময় করেন আপনি যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, আপনাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন, যাকে কিছু প্রদান করা হলে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, পরীক্ষায় পড়লে ধৈর্য ধারণ করে এবং গুনাহ করলে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কারণ এই তিনটি বিষয় হচ্ছে সৌভাগ্যের প্রতীক।
জেনে নিন-আল্লাহ আপনাকে তাঁর আনুগত্যের পথ দেখাক- নিষ্ঠাবান মিল্লাতে ইব্রাহীম হচ্ছে, আপনি এক আল্লাহর ইবাদত করবেন নিষ্ঠার সাথে। আর আল্লাহ তাআ’লা সকল মানুষকে এরই আদেশ করেছেন এবং এর কারণে তাদের সৃষ্টি করেছেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেন :
وَ مَا خَلَقْتُ الجنَّ والإنْسَ إلاّ لِيَعْبُدُونِ
““আমি জিন ও মানুষকে কেবল আমার ইবাদতের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি।”[যারিয়াত/৫৬]
إنَّ اللهَ لا يَغْفِرُ أن يُشْرَكَ بِهِ ، و يَغْفِرُ مَا دُونَ ذالكَ لِمن يشاَءُ
قُلْ مَن يَرزُقُكُمْ من السماءِ والأرْضِ أمّن يملكُ السمْعَ والأبْصارَ وَ مَن يُخْرِجُ الحَيَّ مِنَ المَيِّتِ وَيُخْرِجُ المَيِّتَ مِنَ الحَيِّ وَ مَن يُدَبِّرُ الأمْرَ ، فَسَيَقُولُونَ اللهُ ، فَقُلْ أفَلا تَتَّقُونَ
নৈকট্যের প্রমাণে আল্লাহর বাণী :
وَالذيْنَ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِه أولِيَاءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إلاَّ لِيُقَرِّبُوْنَا إلى اللهِ زُلْفَى إنَّ اللهَ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فِي مَا هُمْ فِيْهِ يَخْتَلِفُوْنَ ، إنَّ اللهَ لا يَهْدِى مَنْ هُوَ كَاذِبٌ كَفَّارٌ
يأيُّها الذيْنَ آمَنوا أنْفِقُوا ممَّا رَزَقْناكُمْ مِنْ قَبْلِ أن يأتِيَ يَومٌ لا بَيْعٌ فيْهِ وَ لا خُلَّةٌ وَ لا شَفَاعَةٌ والكَافِرُونَ هُمُ الظّالِمُونَ
مَنْ ذَا الذي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إلا بِإذْنِهِ
- সূর্য চন্দ্রের ইবাদতের প্রমাণে : আল্লাহ বলেন :
وَ مِنْ ءَايَاتِهِ الَّيْلُ والنَّهَارُ والشَّمسُ والْقَمَرُ لا تَسْجُدُوا للشَّمْسِ وَ لا للقَمَرِ واسْجُدُوا للهِ الذي خَلَقَهُنَّ إنْ كُنْتُمْ إيّاهُ تَعْبُدُونْ
“তাঁর নিদর্শনা বলীর মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন, সূর্য ও চন্দ্র । তোমরা সূর্যকে সিজদা করো না, চন্দ্রকেও না; সিজদা কর আল্লাহকে, যিনি এইগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত কর।” [ হা মীম সাজদা/৩৭]
- সেকালে ফেরেশতার ইবাদতের প্রমাণে আল্লাহ বলেন :
وَ لا يأمُرُكُمْ أنْ تَتَّخِذُوا المَلائِكَةَ والنَّبِيّيْنَ أرْبَاباً
“আর তিনি আদেশ করেন না যে, তোমরা ফেরেশতাগণ ও নবীগণকে প্রতিপালক রূপে গ্রহণ কর।” [ আল্ ইমরান/৮০]
- নবীগণের ইবাদতের দলীল: আল্লাহ বলেন: “আর যখন আল্লাহ বলবেন, হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা! তুমি কি লোকদেরকে বলেছিলে তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার মাতাকে মা’বূদ বানিয়ে নাও ? ঈসা নিবেদন করবেন আমি তো আপনাকে পবিত্র মনে করি; আমার পক্ষে কোনক্রমেই শোভনীয় ছিল না যে, আমি এমন কথা বলি যা বলবার আমার কোনই অধিকার নেই; যদি আমি বলে থাকি, তবে অবশ্যই আপনার জানা থাকবে; আপনি তো আমার অন্তরের কথাও জানেন, পক্ষান্তরে আপনার অন্তরে যা কিছু রয়েছে আমি তা জানি না; সমস্ত গায়েবের বিষয় আপনিই জ্ঞাত।” [ আল্ মায়েদা/১১৬]
- নেক লোকদের ইবাদতের প্রমাণস্বরূপ আল্লাহর বাণী :
أولئك الذينَ يَدْعُونَ يَبْتَغُونَ إلى رَبِّهمُ الوَسِيْلَةَ أيُّهُمْ أقْرَبُ وَ يَرْجُونَ رَحْمَتَهُ وَ يَخافُونَ عَذابَه
أفَرأيْتُمُ اللاتَ والْعُزَّى ، والْمَنَاتَ الثّالِثَةَ الأخْرَى
فَإذَا رَكِبوا فَي الفُلْكِ دَعَوُا اللهَ مُخْلِصِيْنَ له الدينَ فَلَما نجَّاهُمْ إلى البَرِّ إذا هُمْ يُشْرِكُونَ
দুই শতাধিক প্রশ্নোত্তরে নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ (পর্ব ১)
আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
মূল: হাফেজ বিন আহমদ আল হাকামী রহ.
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لاَعِبِينَ * مَا خَلَقْنَاهُمَا إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ
“আমি নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবতী সবকিছু ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। আমি আকাশ ও পৃথিবী যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বুঝে না”। (সূরা আদ্ দুখানঃ ৩৮-৩৯) আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَاطِلاً ذَلِكَ ظَنُّ الَّذِينَ كَفَرُوا
“আমি আকাশ ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে তা অযথা সৃষ্টি করি নি। এটা কাফেরদের ধারণা মাত্র”। (সূরা সোয়াদাঃ ২৭) আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ
وَخَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِالْحَقِّ وَلِتُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ وَهُمْ لاَ يُظْلَمُونَ
“আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবী যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি তার উপার্জনের ফল পায়। তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না”। (সূরা জাসিয়াঃ ২২) আল্লাহ্ তাআ’লা আরো বলেনঃ
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالإِنسَ إِلاَّ لِيَعْبُدُونِ
ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ
“আর যারা ঈমানদার, তারা আল্লাহ্কে সবচেয়ে বেশী ভালবাসে”। (সূরা বাকারাঃ ১৬৫) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
إِنَّ الَّذِينَ هُمْ مِنْ خَشْيَةِ رَبِّهِمْ مُشْفِقُونَ
“নিশ্চয়ই মুমিনগণ তাদের পালনকর্তার ভয়ে সদা সন্ত্রস্ত থাকে”। (সূরা মুমিনূনঃ ৫৭) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ
رُسُلاً مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِئَلاَ يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللَّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ
“সুসংবাদদাতা এবং ভীতি প্রদর্শনকারী রাসূলগণকে প্রেরণ করেছি। যাতে রাসূলগণকে প্রেরণের পরে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করার মত কোন সুযোগ না থাকে”। (সূরা নিসাঃ ১৬৫) আল্লাহ তাআ’লা আরো বলেনঃ
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمْ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ مَا لاَ تَفْعَلُونَ * كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللَّهِ أَنْ تَقُولُوا مَا لاَ تَفْعَلُونَ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা কর না তা বল কেন? তোমরা যা কর না তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষ জনক”। (সূরা আস্ সাফঃ ২-৩)
وَمَا أُمِرُوا إلاَّ لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ
“তাদেরকে এ ছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে”। (সূরা আল-বাইয়্যিনাহঃ ৫) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
وَمَا لأَحَدٍ عِنْدَهُ مِنْ نِعْمَةٍ تُجْزَى* إِلاَّ ابْتِغَاءَ وَجْهِ رَبِّهِ الأَعْلَى
“এবং তাঁর উপর কারও এমন কোন অনুগ্রহ নেই, যার বিনিময় প্রদান করা হচ্ছে; বরং তার মহান প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই”। (সূরা আল-লাইলঃ ১৯-২০) আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ
إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللَّهِ لاَ نُرِيدُ مِنْكُمْ جَزَاءً وَلاَ شُكُورًا
“তারা বলেঃ আমরা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই তোমাদেরকে আহার প্রদান করি। তোমাদের পক্ষ হতে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না”। (সূরা আল-ইনসানঃ ৯) আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ
مَنْ كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ الآخِرَةِ نَزِدْ لَهُ فِي حَرْثِهِ وَمَنْ كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ الدُّنْيَا نُؤتِهِ مِنْهَا وَمَا لَهُ فِي الآخِرَةِ مِنْ نَصِيبٍ
“যে কেউ পরকালের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য সেই ফসল বাড়িয়ে দেই। আর যে ইহকালের ফসল কামনা করে, আমি তাকে এর কিছু দিয়ে দেই। আর পরকালে তার কোন অংশ থাকবে না”। (সূরা শুরাঃ ২০) এ মর্মে আরো আয়াত রয়েছে।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
দুই শতাধিক প্রশ্নোত্তরে নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ (পর্ব ২)
আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الأِسْلاَمُ
“আল্লাহর নিকট ইসলাম হচ্ছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন”। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৯) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
أَفَغَيْرَ دِينِ اللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُ أَسْلَمَ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَالأرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا
“তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য কোন দ্বীন তালাশ করছে? অথচ আসমান-যমীনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তারই অনুগত”। (সূরা আল-ইমরানঃ ৮৩) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
وَمَنْ يَرْغَبُ عَنْ مِلَّةِ إِبْرَاهِيمَ إِلاَّ مَنْ سَفِهَ نَفْسَهُ
“দ্বীনে ইবরাহীম থেকে কেবল সেই ব্যক্তিই মুখ ফিরিয়ে নেয়, যে নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করে”। (সূরা বাকারাঃ ১৩০) আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেনঃ
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الإِسْلاَمِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنْ الْخَاسِرِينَ
“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন তালাশ করে, তা কখনও তার নিকট থেকে গ্রহণ করা হবেনা। আর আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত”। (সূরা আল-ইমরানঃ ৮৫) আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেনঃ
أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنْ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ
وَمَنْ أَحْسَنُ دِينًا مِمَّنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلَّهِ
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে সোপর্দ করে, তার চাইতে উত্তম দ্বীন আর কারো নিকট আছে কি?” (সূরা নিসাঃ ১২৫) আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ
وَمَنْ يُسْلِمْ وَجْهَهُ إِلَى اللَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى
“আর যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ন হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডল আল্লাহ্ অভিমুখী করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল”। (সূরা লুকমানঃ ২২) আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ
فَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَلَهُ أَسْلِمُوا وَبَشِّرْ الْمُخْبِتِينَ
“তোমাদের সত্য মা’বুদ হচ্ছেন মাত্র একজন (আল্লাহ)। সুতরাং তোমরা তাঁরই জন্য অনুগত হও। আপনি বিনয়ীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন”। (সূরা হজ্জঃ ৩৪)
إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الأِسْلاَمُ
“আল্লাহর নিকট ইসলাম হচ্ছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন”। (আল-ইমরানঃ ১৯) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
بَدَأَ الْإِسْلَامُ غَرِيبًا وَسَيَعُودُ كَمَا بَدَأَ
“গরীব অবস্থায় ইসলামের সূচনা হয়েছে। আর অচিরেই যেভাবে তার সূচনা হয়েছিল, সে রকম গরীব অবস্থায় ফেরত আসবে”। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেনঃ
أَفْضَلُ الإِسْلاَمِ إِيْمَانٌ بِاللّهِ
الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلاً)
“ইসলাম হচ্ছে (১) এই সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রাসূল। (২) ছালাত কায়েম করা। (৩) যাকাত আদায় করা। (৪) রামাযানে ছিয়াম পালন করা। (৫) সামর্থ থাকলে আল্লাহর ঘরের হজ্জ আদায় করা।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেনঃ
بُنِيَ الْإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَالْحَجِّ وَصَوْمِ رَمَضَانَ
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ
“তারাই তো মুমিন, যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনয়ন করে”। (আন-নূরঃ ৬২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ وَالْمَلاَئِكَةُ وَأُوْلُوا الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
“আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই। ফেরেস্তাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত আর কোন সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়”। (সূরা আল-ইমরান: ১৮) আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ
فَاعْلَمْ أَنَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
“হে নবী! আপনি জেনে নিন যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই”। (সূরা মুহাম্মাদঃ ১৯) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلاَّ اللَّهُ
“আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মা’বুদ নেই”। (সূরা আল-ইমরানঃ ৬২) আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
مَا اتَّخَذَ اللَّهُ مِنْ وَلَدٍ وَمَا كَانَ مَعَهُ مِنْ إِلَهٍ
“আল্লাহ তা’আলা কাউকে সন্তান হিসাবে গ্রহণ করেন নি। আর তাঁর সাথে অন্য মাবুদও নেই”। (সূরা মুমিনূনঃ ৯১) আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
قُلْ لَوْ كَانَ مَعَهُ آلِهَةٌ كَمَا يَقُولُونَ إِذًا لأبْتَغَوْا إِلَى ذِي الْعَرْشِ سَبِيلاً
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّ مَا يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ هُوَ الْبَاطِلُ وَأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ
إِلاَّ مَنْ شَهِدَ بِالْحَقِّ وَهُم يَعْلَمُوْنَ
“তবে যারা সত্য স্বীকার করে এবং তারা অবগতও বটে”। (সূরা যখরুফঃ ৮৬) অর্থাৎ তারা জবানের মাধ্যমে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ উচ্চারণ করার পূর্বে অন্তর দিয়ে তার অর্থ উপলব্ধি করে থাকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
(مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ)
“যে ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করল এমন অবস্থায় যে, সে অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করত যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বুদ নেই, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।