১) অর্ধ শাবানের রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে বলে বিশ্বাস করা। অথচ তা অবতীর্ণ হয়েছে রামাযান মাসের কদরের রাতে। (সূরা বাকারা: ১৮৫ ও সূরা কদর)
Sunday, December 19, 2021
কুরআন সম্পর্কে কতিপয় ভুল বিশ্বাস ও আচরণ
তাগুত কী?
আসসালা-মু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীর কর্তব্য
১. স্বামীর অসন্তুষ্টি থেকে বিরত থাকা।
সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের উপায়
দেশে দেশে পরাশক্তিগুলোর অব্যাহত জুলুম ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ মানবতা যখন ইসলামের শান্তিময় আদর্শের দিকে ছুটে আসছে তখন ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসাবে প্রমাণ করার জন্য তারা তাদেরই লালিত একদল বুদ্ধিজীবীর মাধ্যমে কুরআন-হাদীছের অপব্যাখ্যা করে চরমপন্থী দর্শন প্রচার করছে। অন্যদিকে নতজানু মুসলিম সরকারগুলোকে দিয়ে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। অতঃপর জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে একদল তরুণকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী তৎপরতায় লাগানো হচ্ছে। আর তাকেই জঙ্গিবাদ হিসাবে প্রচার চালিয়ে ইসলামকে সন্ত্রাসবাদী ধর্ম বলে বদনাম করা হচ্ছে। অতঃপর সন্ত্রাস দমনের নামে বিশ্বব্যাপী নিরীহ মুসলমানদের রক্ত ঝরানো হচ্ছে । এই প্রেক্ষিতে আমাদের পরামর্শগুলো নিম্নরূপ :
স্ত্রীকে মুহাব্বত করার সুন্নাত তরীকা।
১। রসূল(সাঃ)বিবিগণকে খুব
কন্যা সন্তান জেনে ভ্রুন হত্যা করা বা কন্যা সন্তানকে অবহেলা করা মারাত্মক কবীরা গুনাহ
মুগীরা (রাঃ)-র সচিব ওয়াররাদ (র) বলেন, মুআবিয়া (রাঃ) মুগীরা (রাঃ)-কে লিখে পাঠান,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর যে হাদীস তুমি শুনেছো তা আমাকে লিখে পাঠাও।
মুগীরা (রাঃ) লিখেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) গুজব ছড়াতে, সম্পদ ধ্বংস করতে, অধিক যাঞ্চা করতে, অপরের প্রাপ্য অধিকার বাধাগ্রস্ত করতে, মাতাদের অবাধ্যাচারী হতে এবং #কন্যা সন্তানকে জীবন্ত প্রোথিত করতে নিষেধ করেছেন
(বুখারী, মুসলিম, দারিমী)।
বইঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ), অধ্যায়ঃ ৪৩/ ঋণ গ্রহণ, ঋণ পরিশোধ, নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও দেউলিয়া ঘোষণা, হাদিস নম্বরঃ ২৪০৮
মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর হারাম করেছেন মায়ের নাফরমানী, #কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া, কারো প্রাপ্য না দেয়া এবং অন্যায়ভাবে কিছু নেয়া আর অপছন্দ করেছেন অনর্থক বাক্য ব্যয়, অতিরিক্ত প্রশ্ন করা, আর মাল বিনষ্ট করা।
(((৮৪৪, মুসলিম ৫/৩০, হাঃ ৫৯৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৩১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২২৪৮)))
#আমাদের অনেক ভাইদের দেখা যায় মেয়ে সন্তান হলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে স্ত্রীর দোষ দেয় এবং স্ত্রীক নির্যাতনও করে যা মোটেই উচিৎ নয় এটা একটি নিকৃষ্ট কাজ।
মেয়ে হোক না ছেলে সেটা বড় কথা নয় কথা হলো তাদের লালন পালন করে শিক্ষিত বানানো যাতে তারা আমাদের কল্যানে আসতে পারে।
#রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তিকে এই কন্যা সন্তান প্রদান করার মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে,
সে যদি তাঁদের প্রতি সুন্দর আচরন করে,তাঁদেরকে সঠিকভাবে লালন-পালন করে, তবে তাঁরা জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য পর্দাস্বরূপ হয়ে যাবে”।
#রাসুল_(সাঃ)_এর_মনিমুক্তা
#রসূল(সাঃ) ইরশাদ করেন, “কারো যদি তিনজন কন্যা সন্তান থাকে বা তিনজন বোন থাকে,
অথবা দুজন কন্যা বা দুজন বোন থাকে এবং সে তাদের ব্যপারে আল্লাহকে ভয় করে তাদের প্রতি করুনা ওসদ্ব্যবহার করে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে”।
#রসুলুল্লাহ(সাঃ)বলেছেন, “সমগ্র পৃথিবীটাই সম্পদে পরিপূর্ণ,
এরমধ্যে কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী”।
(((( (সহীহ মুসলিম))))))
“তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে তার স্ত্রীদের নিকট উত্তম”
((( (সহীহ মুসলিম))))
————————–
“মুসলিম রমণী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রামাজানের সিয়াম পালন করে,
নিজের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্যকরে, তবে তাকে বলা হবে,
জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে তুমি ভেতরে প্রবেশ কর”।
(((((মুসনাদে আহমাদ হা/১৫৭৩))))
এক ব্যক্তি নবী(সাঃ) কে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্র রসূল! মানুষেরমধ্যে কে আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার সর্বাধিক অধিকার রাখে?
কোন বোন কি আছেন যে দ্বিমত পোষণ করেন?
ইসলাম নারীকে যেমন উচ্চ মর্যাদা দিয়েছে তেমনি কিছু দায়িত্বও দিয়েছে।
মেয়ে সন্তান বোযা নয় রহমত স্বরুপ
শিরক কি? শিরক কত প্রকার? শিরক কেন সবচেয়ে বড় গোনাহ হিসাবে বিবেচিত ?
★ শিরক কি ?
#শিরক দুই প্রকার:
১. শিরকে আকবার (বড় শিরক)
২.শিরকে আসগার (ছোট শিরক)
#আর কাজের ক্ষেত্রে শিরকের উদাহরণ:
যেমন বিপদাপদ দূর করার জন্য কড়ি কিংবা দাগা বাঁধা, বদনজর থেকে বাঁচার জন্য তাবীজ ইত্যাদি লটকানো৷ এসব ব্যাপারে যদি এ বিশ্বাস থাকে যে, এগুলো বলাথ-মসীবত দূর করার মাধ্যম ও উপকরণ, তাহলে তা হবে শিরকে আসগার৷ কেননা আল্লাহ এগুলোকে সে উপকরণ হিসাবে সৃষ্টি করেননি৷ পক্ষান্তরে কারো যদি এ বিশ্বাস হয় যে, এসব বস্তু স্বয়ং বালা- মুসীবত দূর করে, তবে তা হবে শিরক আকবর৷ কেননা এতে গায়রুল্লাহর প্রতি সেই ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে যা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট৷
#দ্বিতীয় প্রকার: গোপন শিরক
#উপরের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বাবে বুঝা যাচ্ছে যে,শিরকে আকবার ও শিরকে আসগারের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে৷ সেগুলো হল:
১. কোন ব্যক্তি শিরকে আকবারে লিপ্ত হলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয়ে যায়৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারের ফলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয় না৷
২. শিরকে আকবরে লিপ্ত ব্যক্তি চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তি জাহান্নামে গেলে চিরকাল সেখানে অবস্থান করবেনা৷
৩. শিরকে আকবার বান্দার সমস্ত আমল নষ্ট করে দেয়, কিন্তু শিরকে আসগার সব আমল নষ্ট করেনা৷ বরং রিয়া ও দুনিয়া অর্জনের উদ্দেশ্যে কৃত আমল শুধু তত্সংশ্লিষ্ট আমলকেই নষ্ট করে৷
৪. শিরকে আকবারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল মুসলমানদের জন্য হালাল৷ পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল কারো জন্য হালাল নয়
★ #শিরক কেন সবচেয়ে বড় গোনাহ হিসাবে বিবেচিত ?
জুমার দিনে নফল রোযা রাখা যাবে কি?
উত্তর:-
بَاب صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَإِذَا أَصْبَحَ صَائِمًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَعَلَيْهِ أَنْ يُفْطِرَ يَعْنِي إِذَا لَمْ يَصُمْ قَبْلَهُ وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَصُومَ بَعْدَهُ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لاَ يَصُومَنَّ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلاَّ يَوْمًا قَبْلَهُ أَوْ بَعْدَهُ
দ্বিতীয় দলিল-
بَاب صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَإِذَا أَصْبَحَ صَائِمًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَعَلَيْهِ أَنْ يُفْطِرَ يَعْنِي إِذَا لَمْ يَصُمْ قَبْلَهُ وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَصُومَ بَعْدَهُ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ ح وحَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهِيَ صَائِمَةٌ فَقَالَ أَصُمْتِ أَمْسِ قَالَتْ لاَ قَالَ تُرِيدِينَ أَنْ تَصُومِي غَدًا قَالَتْ لاَ قَالَ فَأَفْطِرِي وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ الْجَعْدِ سَمِعَ قَتَادَةَ حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ أَنَّ جُوَيْرِيَةَ حَدَّثَتْهُ فَأَمَرَهَا فَأَفْطَرَتْ
যে (মহা বোকামী পূর্ণ) ভুল ধারণাটি গুনাহ করতে অসংখ্য মুসলিমকে উদ্বুদ্ধ করে এবং তার অকাট্য আল-কুরআন ও সহীহ হাদিস ভিত্তিক জবাব
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ
❇ আমরা প্রায় সব মুসলিমরাই একথা জানি যে, আল্লাহ তাআলা নিঃসন্দেহে পরম দয়ালু, অতি ক্ষমাশীল, তাওবা কবুলকারী, করুণাময় এছাড়াও যাবতীয় অনন্য গুণের অধিকারী । ✅ ?
? কিন্তু অনেকের মধ্যেই এই ভুল ধারণাটি কাজ করে যে, আমি এই দুনিয়ার বিভিন্ন সুখের ভোগ-সামগ্রী গুলো উপভোগ করে নেই (ন্যায়-অন্যায়কে
✳ এটা যে মহা ভুল ধারণা এটাই নিম্নোক্ত লিখনীতে আল-কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে প্রমাণ করা হয়েছে । ? ? ?
♻ এটি মাত্র ১৩০ কেবি (এডোব রিডার) ফাইল । নিচে যথাক্রমে নাম, পিডিএফ ও সূচীর জেপিজি ডাউনলোড লিংক দেয়া হল-?
? যে (মহা বোকামী পূর্ণ) ভুল ধারণাটি গুনাহ করতে অসংখ্য মুসলিমকে উদ্বুদ্ধ করে এবং তার অকাট্য আল-কুরআন ও সহীহ হাদিস ভিত্তিক জবাব ✏
ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ?
https://
অথবা
অনলাইনে পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ?
https://
শয়তানের প্ররোচনা, জীনের আসর এবং জাদুর কুপ্রভাব থেকে বাঁচার অতি সহজ দশটি আমাল
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
? অনেকেই শয়তানের প্ররোচনা, জীনের আসর এবং জাদুর কুপ্রভাব থেকে বেঁচে থাকতে শিরকী, বিদআতী পন্থা ও আমাল করে থাকেন । অনেকে আবার, প্রতারকদের ধোঁকায় পড়ে মূর্খতাঃবশত প্রতারণার আচ্ছন্নতায় মোহাচ্ছন্ন হয়ে আল্লাহ -কে ভুলে, আল-কুরআন ও সহীহ হাদিসের দিক-নির্দেশনা না জানার কারণে বিভিন্ন অপব্যাখ্যার ফাঁদে পড়ে মন্ত্র পড়া, নকশা আঁকা তাবিজ ও তৎসংশ্লিষ্ট শিরকী পন্থার আশ্রয় নিয়ে থাকেন । ❌
? ? ? নিচে এমন কিছু রত্নতূল্য সহীহ আমাল আপনাদের উপহার দিলাম যেগুলোর উপর নিয়মিত আমাল ইনশা আল্লাহ, উল্লেখিত -সহ তৎসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা গুলো থেকে নিরাপদ থাকতে পারবেন । ?
✳ পুরো লিখনী পড়ার পাশাপাশি প্রথম তিন পৃষ্ঠা (ও *** এর সব লিখা) অতি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য গুরুত্বের সাথে অনুরোধ করছি । ❇
♻ এটি মাত্র ১৫০ কেবি পিডিএফ ফাইল । নিচে যথাক্রমে নাম ও ডাউনলোড লিংক দেয়া হল- ?
❎ শয়তানের প্ররোচনা, জীনের আসর এবং জাদুর কুপ্রভাব থেকে বাঁচার অতি সহজ দশটি আমাল ✅
ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ?
https://docs.google.com/uc?id=0B0_J-Dyjaa1gbWtTdUhITFI4SEE&export=download
অথবা
অনলাইনে পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ?
সালাতে যেই ৭টি স্থানে দো’আ করা যায়
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
???আমরা অনেকেই জানি, সালাতের সিজদাতে ও সালাম ফিরানোর আগে দো‘আ করা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সালাতে মোট কতগুলো জায়গায় দো‘আ করা যায়? সেইগুলো কি কি????
??নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতে মোট ৭টি স্থানে দো’আ করতেন। সালাতে যেই ৭টি স্থানে দো’আ করা যায়ঃ??
দো‘আটি হচ্ছেঃ
اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْني مِنْ خَطَايَايَ، بِالثَّلْجِ وَالْماءِ وَالْبَرَدِ.
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বাইয়ি’দ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আদতা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাক্কিনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা ইয়ুনাক্কাস্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ দানাস। আল্লা-হুম্মাগসিলনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিস্সালজি ওয়াল মা-’ই ওয়াল বারাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার এবং আমার গুনাহসমূহের মাঝে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার গুনাহসমূহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করে দিন, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার পাপসমূহ বরফ, পানি ও মেঘের শিলাখণ্ড দ্বারা ধৌত করে দিন।”
?বুখারীঃ ৭৪৪, মুসলিমঃ ৫৯৮।
২?. দুয়া কুনুতঃ কিরাত শেষ করে রুকুতে যাবার আগে দুয়া কুনুত পড়া সুন্নত। বিতির সালাতে ও সাময়িকভাবে ফজরের ফরয সালাতেও (মুসলিমদের বিপদ আপদ থেকে বাঁচার জন্য, অত্যাচারী কাফেরদের বদদুয়া করার জন্য অথবা উম্মাহর বিশেষ প্রয়োজন এমন সময়ে) দুয়া কুনুত পড়া সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত। সবচাইতে সহীহ ও অর্থের দিক থেকে বেশি সুন্দর যে দুয়া কুনুত সেটা হচ্ছেঃ
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ؛ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، [وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ]، تَبارَكْتَ رَبَّنا وَتَعَالَيْتَ
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي
৫?. সিজদাতে দুয়া করাঃ
৬?. দুই সিজদার মাঝখানে বসা অবস্থায়ঃ এখানে নিজের পছন্দমতো যেকোনো দো‘আ করা যায়না, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই দুয়াগুলো করেছেন শুধু সেই দুয়াগুলোই করা যাবে। আর এইখানে দো‘আ আরবীতেই করতে হবে।
?ছোট্ট এই দো’আ কি মুখস্থ করা যায়না?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরয, সুন্নত, নফল যে কোনো সালাতের দুই সিজদার মাঝখানে বসা অবস্থায় এই দো’আটি করতেনঃ
رَبِّ اغْفِرْ لِي، رَبِّ اغْفِرْ لِي
⭕উচ্চারণঃ রাব্বিগ ফিরলি, রাব্বিগ ফিরলি।
অর্থঃ হে আমার রব আমাকে ক্ষমা করা, হে আমার রব আমাকে ক্ষমা কর।
?আবু দাউদ ১/৩১, ইবনে মাজাহ, দো’আটা সহীহ।
এই ছোট্ট দো‘আ পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ মিস করা ঠিকনা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিনে ৭০ থেকে ১০০ বার তাওবা করতেন। আপনি যদি সালাতের দুই সিজদার মাঝখানে এই দো’আ পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলেন তাহলে দিনে যত রাকাত করে সালাত পড়বেন, তত বারই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া হবে। আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার একটা উপায় হচ্ছে বেশি বেশি করে নিয়মিত তাওবা ও ইস্তিগফার করা (ক্ষমা করা)।
এছাড়া আরেকটা ছোট্ট সুন্দর দুয়াঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِي، وَارْفَعْنِي
?উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফিরলী, ওয়ারহা’মনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়াআ’ফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন”।
হাদীসটি ইমাম নাসাঈ ব্যতীত সুনান গ্রন্থগারগণ সবাই সংকলন করেছেন।
? আবূ দাউদঃ ৮৫০, তিরমিযীঃ ২৮৪, ২৮৫, ইবন মাজাহঃ ৮৯৮। শায়খ আলবানির মতে হাদীস সহীহ।
?তিরমিযী ৩৪৯৯, ইমাম তিরমিযী ও শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান সহীহ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এইগুলো থেকে বাঁচার জন্য ফরয, নফল বা সুন্নত, যেকোনো সালাতে তাশাহুদ ও দুরুদের পরে সালাম ফিরানোর আগে এই দো’আ পড়তে বলেছেন।
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ.
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা মিন আ’যাবিল ক্বাবরি ওয়া মিন আ’যাবি জাহান্নাম, ওয়ামিন ফিতনাতিল মাহ’ইয়া ওয়াল্ মামাতি, ওয়ামিন সাররি ফিতনাতিল্ মাসীহি’দ্-দাজ্জাল।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে কাবরের আযাব থেকে রক্ষা করো,আমাকে জাহান্নামের আযাব, এবং দুনিয়ার ফিৎনা ও মৃত্যুর ফেতনা এবং দাজ্জালের ফিৎনা থেকে রক্ষা করো।
?বুখারী ২১০২, মুসলিম ১/৪১২, হিসনুল মুসলিম, পৃষ্ঠা – ৯০।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দো‘আ মাসুরা হিসেবে এই দুয়াটা পড়তে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন। এছাড়া আরো অনেক দুয়া মাসুরা আছে অথবা আরবীতে অন্য দুয়াগুলো এইখানে পড়তে পারবেন ইন শা আল্লাহ। এছাড়া কুরআন অথবা হাদীসে বর্ণিত অন্য দো’আগুলো, রাব্বানা আতিনা…রাব্বির হামহুমা কামা…আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল জান্নাতে…এইরকম নিজের জন্য, মাতাপিতার জন্য, যেকোনো মুসলিমের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের যেকোন হালাল ও কল্যানকর কিছু চাওয়া যাবে।
??নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতে এই ৭টি স্থানে নিজে দো‘আ করেছেন এবং সাহাবীদেরকেও দো‘আ করতে বলেছেন।??