Saturday, July 19, 2025

হায়েয অথবা নেফাস অবস্থায় থাকা নারী কি পবিত্রতা লাভের পর মুহররমের রোযা কাযা করতে পারবেন

 প্রশ্ন: যদি কোনো নারী মুহররম মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে হায়েয (মাসিক) অথবা নেফাস অবস্থায় থাকেন, তবে পবিত্রতা লাভের পর তিনি কি এই দিনগুলোর রোযা কাযা করতে পারবেন কী?

▬▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬
প্রথমত: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি। অতঃপর আলোচনার শুরুতেই আমরা একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই আর তা হচ্ছে,ঈমানের স্তম্ভগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো— তাকদীরের প্রতি ঈমান। কোন মুসলিমের ঈমান ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে জানবে যে, সে যাতে আক্রান্ত হয়েছে সেটা তাকে ভুল করে যাওয়ার ছিল না। আর যাতে সে আক্রান্ত হয়নি সেটাতে সে আক্রান্ত হওয়ার ছিল না। আল্লাহ্‌ তাআলা কোন মুমিনের তাকদীরে যে রোগবালাই,বিপদ-মুসিবত রেখেছেন সেগুলোর ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা ছাড়া তার সাধ্যে আর কিছু নেই। ধৈর্য ধরা তার পূর্ণাঙ্গ ঈমানের আলামত। যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌ তাকে বেহিসাব পুরস্কার দিবেন। সুতরাং অসুস্থতা কিংবা অন্য কোন বিপদ আপদে একজন মুসলিমের মনে এ চিন্তা আসা অনুচিত যে, আল্লাহ্‌ তার তাকদীরে যা রেখেছেন সেটা নিরেট অকল্যাণ। কেননা আল্লাহ্‌র কর্মে নিরেট অকল্যাণ নেই। বান্দার উপর আল্লাহ্‌ যা তাকদীর করেন (নির্ধারণ করেন) এ ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌র প্রজ্ঞাপূর্ণ গূঢ় রহস্য রয়েছে।ব্যক্তি যে অবস্থার মধ্যে আছেন হতে পারে এর মধ্যে প্রভুত কল্যাণ রয়েছে; যা তিনি জানেন না। আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “এমনও হতে পারে যে, তোমরা একটা জিনিস অপছন্দ করছ অথচ আল্লাহ্‌ তার মধ্যে অনেক কল্যাণ রেখেছেন।”(সূরা নিসা, আয়াত: ১৯) প্রখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ্‌ যার কল্যাণ চান তাকে বিপদগ্রস্ত করেন।”(সহিহ বুখারী হা/৫৬৪৫) বিপদগ্রস্ত করেন: অর্থাৎ বিপদের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন যাতে করে এই বিপদের বিনিময়ে তাকে সওয়াব দিতে পারেন।
.
দ্বিতীয়ত: “হায়েয” “নিফাস” এগুলো কোনো লজ্জার বিষয় নয়; বরং একজন নারীর জন্য আল্লাহ প্রদত্ত একটি প্রাকৃতিক অবস্থা। মহান আল্লাহ আদম সন্তানদের নারীদের জন্য এই অবস্থা নির্ধারণ করেছেন। তাই হায়েয অবস্থায় একজন নারীর জন্য উত্তম হলো —স্বাভাবিক ভাবে এই সময় অতিবাহিত করা এবং আল্লাহ যেভাবে নির্ধারণ করেছেন, তাতে সন্তুষ্ট থাকা।এই দিনগুলোতে নারীরা নামায ও রোযা থেকে বিরত থাকবেন।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন মহিলাদের হায়েয হয় তখন কি তারা নামায ও রোযা ত্যাগ করে না!?”(সহিহ বুখারী হা/৩০৪) সুতরাং, যে নারী হায়েযের কারণে আশুরার রোযা রাখতে পারেননি, তাঁর জন্য এ সিয়াম আর পালন করতে হবে না এমনকি তার জন্য কাযা আদায় করা প্রমাণিত নয়। কারণ আশুরার সিয়াম কাযা করার কোনো শরঈ দলিল নেই। তদুপরি এ রোযার ফজিলত নির্দিষ্ট করে ১০ই মুহররমের সাথেই সংশ্লিষ্ট — যা অতীত হয়ে গেলে পুনরায় আদায় করা সম্ভব নয়।
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.]-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:”আশুরার দিনে যে নারী হায়েযগ্রস্ত ছিলেন তিনি কি আশুরার রোযাটি পরে কাযা পালন করবেন? কোন্‌ নফল আমলের কাযা পালন করা যাবে; আর কোন্‌ নফল আমলের কাযা পালন করা যাবে না — এ বিষয়ক কোন নীতিমালা আছে কি? আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।
জবাবে তিনি বলেন:
“النوافل نوعان: نوع له سبب، ونوع لا سبب له، فالذي له سبب يفوت بفوات السبب ولا يُقضى، مثال ذلك: تحية المسجد، لو جاء الرجل وجلس، ثم طال جلوسه ثم أراد أن يأتي بتحية المسجد، لم تكن تحية للمسجد، لأنها صلاة ذات سبب، مربوطة بسبب، فإذا فات فاتت المشروعية، ومثل ذلك فيما يظهر يوم عرفة ويوم عاشوراء، فإذا أخر الإنسان صوم يوم عرفة ويوم عاشوراء بلا عذر، فلا شك أنه لا يقضي، ولا ينتفع به لو قضاه، أي لا ينتفع به على أنه يوم عرفة ويوم عاشوراء. وأما إذا مر على الإنسان وهو معذور، كالمرأة الحائض والنفساء أو المريض، فالظاهر أيضاً أنه لا يقضي؛ لأن هذا خص بيوم معين يفوت حكمه بفوات هذا اليوم.”
“নফল আমল দুই প্রকার: বিশেষ কোন কারণ কেন্দ্রিক নফল আমল। কোন কারণ বিহীন নফল আমল। সুতরাং যে নফল আমলগুলো বিশেষ কোন কারণের সাথে সম্পৃক্ত সেগুলোর কারণ শেষ হয়ে গেলে আমলটির বিধানও শেষ হয়ে যাবে; আমলটি আর কাযা করা যাবে না। যেমন- তাহিয়্যাতুল মাসজিদের নামায। কোন লোক মসজিদে ঢুকে যদি বসে পড়ে এবং দীর্ঘ সময় চলে যায় এরপর তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায পড়তে চায় ঐ নামায আর ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ হবে না। কারণ তাহিয়্যাতুল মাসজিদের নামায বিশেষ কারণকেন্দ্রিক ও নির্দিষ্ট কারণের সাথে সম্পৃক্ত। সে কারণটি যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে সে আমলের বিধান আর অটুট থাকে না। যেমন- অগ্রগণ্য মতে, আরাফার দিন ও আশুরার দিনের রোযা। কেউ যদি কোন ওজর ছাড়া আরাফার রোযা কিংবা আশুরার রোযা সময়মত না রাখে কোন সন্দেহ নেই যে, সে ব্যক্তি এ রোযাটি আর কাযা পালন করতে পারবে না। কাযা পালন করলেও সে উপকার পাবে না। অর্থাৎ এটি যে, আরাফার দিনের রোযা বা আশুরার দিনের রোযা সে উপকার সে পাবে না। আর যদি ব্যক্তির কোন ওজর থাকে যেমন- হায়েয বা নিফাসগ্রস্ত নারী, অসুস্থ ব্যক্তি; অগ্রগণ্য মতে, এরাও এ রোযার কাযা পালন করতে পারবে না। কারণ এ রোযাটি বিশেষ একটি দিনের সাথে খাস; সেই দিনটি অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে রোযা রাখার বিধানও শেষ হয়ে গেছে।”(ইবনু উসাইমীন, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, খণ্ড: ২০; পৃষ্ঠা: ৪৩)
.
তবে, যে ব্যক্তি ওজরগ্রস্ত ছিল যেমন- হায়েয বা নিফাসগ্রস্ত নারী, রোগী বা মুসাফির যদি তার অভ্যাস থাকে যে, সে এ দিনটির রোযা রাখে কিংবা তার ঐ দিনটির রোযা রাখার নিয়ত ছিল তাহলে সে তার নিয়তের ভিত্তিতে সওয়াব পাবে ইনশাআল্লাহ।আর এই কথার সমর্থনে একাধিক দলিল রয়েছে যেমন; সহিহ বুখারীতে আবু মুসা আল-আশআরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে,তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيمًا صَحِيحًا. “যদি কোন বান্দা রোগে আক্রান্ত হয় কিংবা সফরে থাকে তাহলে সুস্থ ও মুকীম অবস্থায় সে আমলগুলো করত তার জন্য সে আমলগুলো লেখা হবে।”(সহীহ বুখারী হা/২৯৯৬; মিশকাত হা/১৫৪৪) অপর বর্ননায় আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) বলেছেন,إِذَا ابْتَلَى اللهُ الْعَبْدَ الْمُسْلِمَ بِبَلَاءٍ فِي جَسَدِهِ، قَالَ لِلْمَلَكِ: اكْتُبْ لَهُ صَالِحَ عَمَلِهِ الَّذِي كَانَ يَعْمَلُ، فَإِنْ شَفَاهُ، غَسَّلَهُ وَطَهَّرَهُ، وَإِنْ قَبَضَهُ، غَفَرَ لَهُ وَرَحِمَهُ “আল্লাহ যখন মুসলিম বান্দাকে তার শরীরে কোন রোগ দিয়ে পরীক্ষা করেন, তখন তিনি ফেরেশতাকে বলেন, বান্দা যে নেক আমল নিয়মিত করত, তার সেই আমলের নেকী লিপিবদ্ধ করতে থাক। এরপর আল্লাহ যদি তাকে আরোগ্য দান করেন, তাহ’লে তাকে গুনাহ থেকে ধুয়ে পাক-সাফ করে দেন। আর যদি তাকে মৃত্যু দান করেন, তাহ’লে তাকে মাফ করে দেন এবং তার প্রতি রহমত দান করেন”।(মুসনাদে আহমাদ হা/ ১৩৭১২; সহীহুল জামে‘ হা/২৫৮; ইরওয়া হা/৫৬০; মিশকাত হা/১৫৬০, সনদ হাসান)
.
রাসূল (ﷺ) আরো বলেছেন, إِن الْعَبْدَ إِذَا كَانَ عَلَى طَرِيْقَةٍ حَسَنَةٍ مِنَ الْعِبَادَةِ ثُمَّ مَرِضَ قِيلَ لِلْمَلَكِ الْمُوَكَّلِ بِهِ: اكْتُبْ لَهُ مِثْلَ عَمَلِهِ إِذَا كَانَ طَلِيقًا حَتَّى أطلقهُ أَو أكفته إِلَيّ ‘বান্দা যখন কোন সুন্দর পদ্ধতিতে ইবাদত-বন্দেগী করতে থাকে, অতঃপর অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন তার আমলনামা লেখার জন্য নিযুক্ত ফেরেশতাকে বলা হয়, এই বান্দা সুস্থ অবস্থায় যে আমল করত (অসুস্থ অবস্থাতেও) তার আমলনামায় তা লিখতে থাক। যতক্ষণ না আমি তাকে মুক্ত করে দেই অথবা তাকে আমার কাছে ডেকে আনি”।(মুসনাদে আহমাদ হা/৬৮৯৫; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/৬৬২০; সহীহুত তারগীব হা/৩৪২১; মিশকাত হা/১৫৫৯, সনদ সহীহ) আরেক বর্ননায় শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ: إِذَا ابْتَلَيتُ عَبْدًا مِنْ عِبَادِي مُؤْمِنًا، فَحَمِدَنِي وَصَبَرَ عَلَى مَا ابْتَلَيْتُهُ بِهِ، فَإِنَّهُ يَقُومُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ مِنَ الْخَطَايَا، وَيَقُولُ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ لِلْحَفَظَةِ: إِنِّي أَنَا قَيَّدْتُ عَبْدِي هَذَا وَابْتَلَيْتُهُ، فَأَجْرُوا لَهُ مَا كُنْتُمْ تُجْرُونَ لَهُ قَبْلَ ذَلِكَ وَهُوَ صَحِيحٌ ‘মহামহিম আল্লাহ বলেন, আমি যখন আমার কোন মুমিন বান্দাকে বিপদে ফেলি, আর সে আমার প্রশংসা করে এবং আমার পক্ষ থেকে আরোপিত বিপদে ধৈর্য ধারণ করে, তাহ’লে সে তার বিছানা থেকে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে উঠে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল। অতঃপর আল্লাহ হেফাযতকারী ফেরেশতাদের বলেন, আমি আমার এই বান্দাকে আবদ্ধ করে রেখেছি এবং মুছীবতে ফেলেছি। সুতরাং তোমরা তার ঐ আমলগুলোর নেকী জারী রাখ, সুস্থাবস্থায় যে আমলের নেকীগুলো তার জন্য তোমরা জারী রাখতে”(তাবারাণী, মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৪৭০৯; সিলসিলা সহীহাহ হা/২০০৯; মিশকাত হা/১৫৭৯) অর্থাৎ রোগে-শোকে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহর প্রশংসা করা এমন এক মহান ইবাদত, যে ইবাদতের মাধ্যমে বান্দা সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে যায়। উপরন্তু রোগাক্রান্ত অবস্থায় তার সুস্থাবস্থায় সম্পাদিত আমলের নেকীগুলো জারী থাকে। এজন্যই আল্লাহর রাসূল (ﷺ) অসুস্থতার পূর্বে সুস্থতাকে আমলের মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে বলেছেন”।
.
সহিহ বুখারীতে আবু মুসা আল-আশআরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিসটির ব্যাখায় শাফি‘ঈ মাযহাবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, আবুল ফাদল আহমাদ বিন আলি ইবনু হাজার আল-আসকালানি,(রাহিমাহুল্লাহ) [জন্ম:৭৭৩ হি: মৃত:৮৫২ হি:] বলেন:قَوْله: كُتِبَ لَهُ مِثْل مَا كَانَ يَعْمَل مُقِيمًا صَحِيحًا وَهُوَ فِي حَقّ مَنْ كَانَ يَعْمَل طَاعَة فمُنِع مِنْهَا، وَكَانَتْ نِيَّته -لَوْلَا الْمَانِع- أَنْ يَدُوم عَلَيْهَا”.তাঁর কথা: “সে ব্যক্তি মুকীম ও সুস্থ থাকা অবস্থায় যে আমলগুলো করত ঐ আমলগুলোর সওয়াব তার আমলনামায় লিখে দেওয়া হবে” এ কথা সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি নেক আমল করত; সেটা থেকে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তার নিয়ত হচ্ছে- যদি এ প্রতিবন্ধকতা না থাকত তাহলে সে ব্যক্তি আমলের উপর অব্যাহত থাকত।”(ফাতহুল বারী ফী শারহিল বুখারী, খন্ড:৬ পৃষ্ঠা:১৩৬) অনুরূপ ফাতওয়া ইমাম নববী থেকেও রয়েছে দেখুন নববী আল-মাজমু; খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ৩১০ আরও দেখুন, ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১৪৬২১২)
.
কাতার ভিত্তিক ফাতওয়া বোর্ড ইসলাম ওয়েবের আলেমগনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল,”যদি কোনো নারী আরাফার দিনে রোজা রাখার নিয়ত করে, কিন্তু পরে ঐ দিন তার ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যায়;তখন তারা হুমক কি? এই প্রশ্নের উত্তরে ইসলাম ওয়েবের আলেমগন বলেছেন:
فنسأل الله تعالى لك التوفيق لكل خير ونهنئك على الحرص على طاعة الله تعالى، ونقول: ما دمت حريصة على صيام الأيام المذكورة بما فيها يوم عرفة وطرأ عليك عذر مانع من الصيام كالحيض مثلا فلك الأجر والمثوبة على هذه النية الطيبة، وأنت بمثابة من صام الصيام المذكور،
“আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আপনাকে সকল কল্যাণের পথে পরিচালিত করেন। আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি আপনার আগ্রহ ও আন্তরিকতা দেখে আমরা আপনাকে অভিনন্দন জানাই। আমরা বলি: যেহেতু আপনি আরাফার দিনসহ উল্লিখিত দিনগুলোতে রোজা রাখার দৃঢ় ইচ্ছা পোষন করেছিলেন, কিন্তু পরে আপনার ওপর এমন কোনো শরয়ি ও বৈধ প্রতিবন্ধকতা এসে পড়ে যেমন ঋতুস্রাব—যা রোজা রাখার সুযোগ থেকে আপনাকে বিরত রেখেছে, তাহলে সেই খাঁটি নিয়তের কারণে আপনার জন্য পূর্ণ সওয়াব রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আপনাকে ঐ রোজাদারদের মতোই গণ্য করা হবে, যারা এ দিনগুলোতে রোজা রেখেছে।”(ইসলাম ওয়েব ফাতওয়া নং-৫৭৮৮৯)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।

No comments:

Post a Comment

Translate