সহজ কিছু আমল যার মাধ্যমে আপনি জান্নাত পেতে পারেন-
২- প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা- আয়াত ২৫৫) পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন।(নাসাই, সহীহ জামে’ ৫/৩৩৯, সিলসিলাহ সহীহাহ্ ৯৭২)
৪- প্রতিরাতে সূরা মুলক (৬৭ নাম্বার সুরা) পাঠ করুণ এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।(সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম-৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ-১১৪০, শায়খ আলবানী রঃ হাদীছটি হাসান সহিহ বলেহেন, দ্র: সহীহ তারগীব ও তারহীব, হা/ ১৪৭৫ ও ১৪৭৬)
৬- সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি (سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ وَبِحَمْدِهِ) পাঠ করুণ এতে আল্লাহ তা’লা আপনাকে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দান করবেন। (সুনান আবু দাউদ তাহকিককৃত-৫০৯১)
৭- সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় (সন্ধ্যায় বলতে আসর থেকে মাগ্রিবের মধ্যে যে কোন সময়ে) ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি (سُبْحَانَ اللّهِ وَ بِحَمْدِهِ) পাঠ করুণ এতে কিয়ামতের দিন আপনার চেয়ে বেশী সওয়াব নিয়ে আর কেও উপস্থিত হতে পারবে না। (সহিহ মুসলিম-৬৫৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেসন)
৮- সকালে সূর্য ওঠার আগে এবং বিকালে সূর্য ডোবার আগে অর্থাৎ ফজর সলাত আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই এবং বিকালে সূর্য ডোবার আগেই ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ১০০ বার আল্লাহু আকবার এবং ১০০ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে মক্কায় ১০০ টি উট কুরবানির চেয়ে বেশী সওয়াব, জিহাদে ১০০ টা ঘোড়া পাঠানোর চেয়ে শ্রেষ্ঠ, ১০০ টি গোলাম আযাদ করার চেয়ে শ্রেষ্ঠ, এবং পৃথিবীর সব মানুষের চেয়ে বেশী সওয়াব হবে আপনার। (নাসাই সুনানে কুবরা- ১০৬৫৭, হাদিসটি সহিহ)
৯- ঘুমানোর পূর্বে বিছানায় গিয়ে ৩৩বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩বার আলহামদুলিল্লাহ, এবং ৩৪বার আল্লাহু আকবার পড়ুন, রাসুল সাঃ তাঁর মেয়ে ফাতিমা (রাঃ) এবং আলী (রাঃ)-কে এই আমল করার জন্য বিশেষভাবে নসিহত করেছেন (বুখারী- ৩৭০৫, তাওহীদ পাবলিকেশন)
১১- বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুণ এতে আল্লাহ তা’লা নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (ইবনু হিব্বান-৪৯৯, সহিহ তারগিব-৩১৬)
১২- জামাতে ইমামের প্রথম তাকবীরের সাথে ৪০ দিন সলাত আদায় করুন অর্থাৎ দেরিতে নয় বরং সলাত আরম্ভ হওয়ার সময়ই শরিক হওয়া এতে আপনি নিশ্চিত জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। (সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] – হাদিস ২৪১, তাকবিরে উলার ফজিলত অধ্যায়)
১৪- সাধ্যমত বেশি বেশি জানাজা সলাতে শরিক হবেন কেননা শুধু জানাজা সলাতে শরিক হলেই এক কীরাত সওয়াব দেওয়া হয় আর দাফন পর্যন্ত থাকলে ২ কিরাত সওয়াব দেওয়া হয় আর ২ কিরাত অর্থ দু’টি বিশাল পর্বত সমতুল্য (সাওয়াব) (বুখারি- ১৩২৫, জানাজা অধ্যায়)
১৫- প্রতিমাসের আয়ের একটা অংশ এতিমখানা বা মসজিদ মাদ্রাসা বা গরিব-দুখি, বিধবা ও দুস্থদের মাঝে দান করবেন হোক সেটা অতি অল্প এতে আপনি আল্লাহ তা’লার কাছে জিহাদকারির সমতুল্য হবেন। (বুখারি-৬০০৭, তাওহীদ পাবলিকেশন)
১৬- মহিলারা ৪টি কাজ করবেন, ১- ৫ ওয়াক্ত সলাত ২- রমজানের সিয়াম, ৩- লযযাস্থানের হেফাজত, ৪- স্বামীর আনুগত্য করুণ এতে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ ইবনু হিব্বান-৪১৬৩, মুসনাদে আহমাদ-১৬৬১, তবরানি কাবির-৯৯১)
#বি দ্রঃ ফরজ ইবাদতগুলো করার পাশাপাশি শির্ক, বিদআত ও হারাম ভক্ষণ থেকে দূরে থেকে(কেননা এই ৩পাপে লিপ্ত থাকলে কোন ইবাদতই কবুল করা হয়না) যে কেও এই অতি সহজ আমলগুলো করবে সে সহজেই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে ইন শা আল্লাহ। কিয়ামতের দিন পাপ পুণ্য মিজানের পাল্লায় মাপা হবে, পুণ্যের পাল্লা ভারি হলেই কেবল জান্নাত পাওয়া যাবে তাই আমলগুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পুণ্যের পাল্লা ভারি করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে, আল্লাহ তাওফিক দিন।
No comments:
Post a Comment