Wednesday, September 3, 2025

ইমাম আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন কুদামাহ আল-মাক্বদিসী আল-হাম্বালী রাহিমাহুল্লাহ এর কিছু নাসীহাহ

 🟨প্রখ্যাত ফাক্বীহ, শাইখুল ইসলাম, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন কুদামাহ আল-মাক্বদিসী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) এর কিছু নাসীহাহ:

1: 📝 “যতদিন আপনি সুন্নাহর উপর অবিচল থাকবেন, ইনশাআল্লাহ দুনিয়ার কোনো বিরোধিতা কিংবা শত্রুতাও আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না।”
.
হাম্বালী মাযহাবের প্রখ্যাত ফাক্বীহ, শাইখুল ইসলাম, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন কুদামাহ আল-মাক্বদিসী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬২০ হি.] বলেন:

فإنني إذا كنت مع رسول ﷺ في حزبه، متبعا لسنته؛
ما أبالي من خالفني،ولا من خالف فيولا أستوحش من فارقني.وإني لمعتقد أن الخلق كلهم لو خالفوا السنة وتركوها، وعادوني من أجلها، لما ازددت لها إلا لزوما، ولا بها إلا اغتباطا،إن وفقني الله لذلك. فإن الأمور كلها بيديه، وقلوب العباد بين إصبعيه

❝যদি আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর দলে থাকি এবং তাঁর সুন্নাহ অনুসরণে অটল থাকি—তবে কে আমার বিরোধিতা করল, কে আমার সঙ্গে দ্বিমত করল— আমি তাতে কিছুই পরোয়া করি না।আর যারা আমার থেকে দূরে সরে গেছে,তাদের বিচ্ছেদে আমি বিন্দুমাত্র ভীত হই না।বরং আমি এ আক্বীদা পোষণ করি যে—যদি গোটা সৃষ্টি একযোগে সুন্নাহ ত্যাগ করে এবং শুধু সুন্নাহর প্রতি আমার দৃঢ়তার কারণেই তারা আমার শত্রু হয়ে দাঁড়ায়,তবুও আমি এর (সুন্নাহ’র) প্রতি আরও দৃঢ়ভাবে অবিচল থাকব, আরও আনন্দিত হব, আরও গর্ববোধ করব—যদি আল্লাহ আমাকে তাতে তাওফীক দান করেন। কেননা সমস্ত কিছুই তাঁরই ইচ্ছাধীন,আর বান্দাদের হৃদয়সমূহ রয়েছে তাঁর দুই আঙুলের মাঝখানে— তিনি যেভাবে ইচ্ছা করেন,সেভাবেই সেগুলোকে পরিবর্তন করেন।❞(তাবাকাতুল হানাবিলাহ লি-ইবনে রজব- খন্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ৩২৭)
.
2: যারা আখিরাতে নাজাত প্রাপ্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হতে চান তাদের জন্য এই মূলনীতি অনুসরণ করা অপরিহার্য। মহান আল্লাহ বলেন,

وَ مَنۡ یُّشَاقِقِ الرَّسُوۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُ الۡہُدٰی وَ یَتَّبِعۡ غَیۡرَ سَبِیۡلِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ نُوَلِّہٖ مَا تَوَلّٰی وَ نُصۡلِہٖ جَہَنَّمَ ؕ وَ سَآءَتۡ مَصِیۡرًا

আর যে ব্যক্তি তার নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে এবং মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করবে, তাকে আমি সেদিকেই ফিরিয়ে দেব, যেদিকে সে ফিরে যেতে চায় এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা কত মন্দ আবাস!’ (সূরা আন-নিসা: ১১৫)।
.
উক্ত আয়াতের আলোকে শাইখুল ইসলাম, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন কুদামাহ আল-মাক্বদিসী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬২০ হি.] বলেছেন,

فمن أحب الكون مع السلف في الآخرة، وأن يكون موجودا بما وعدوا به من الجنات والرضوان؛ فليتبعهم بإحسان، ومن اتبع غير سبيلهم؛ دخل في عموم قوله تعالى:- وَ مَنۡ یُّشَاقِقِ الرَّسُوۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُ الۡہُدٰی وَ یَتَّبِعۡ غَیۡرَ سَبِیۡلِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ نُوَلِّہٖ مَا تَوَلّٰی وَ نُصۡلِہٖ جَہَنَّمَ ؕ وَ سَآءَتۡ مَصِیۡرًا

“যে ব্যক্তি আখিরাতে সালাফদের সাথে থাকতে এবং তাঁদেরকে যে জান্নাত ও সন্তুষ্টির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা নিজের জন্য পেতে চায়, সে যেন তাদের যথাযথভাবে অনুসরণ করে। আর যে তাঁদের পথ ভিন্ন অন্য কোন পথের অনুসরণ করে সে আল্লাহ তাআলার এই ব্যাপক বিধানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে,যে ব্যক্তি সত্য পথ প্রকাশিত হওয়ার পরও রাসূল (ﷺ)-এর বিরোধিতা করে এবং মুমিনদের পথ বাদ দিয়ে ভিন্ন পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে সে পথেই ফিরাব যে পথে সে ফিরতে যায়, আর তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাব, আর তা কতই না মন্দ গন্তব্যস্থল!” (সূরা আন-নিসা: ১১৫; যাম্মুত তা’বীল, পৃষ্ঠা: ১০)।

3: হাম্বালী মাযহাবের প্রখ্যাত ফাক্বীহ, শাইখুল ইসলাম, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন কুদামাহ আল-মাক্বদিসী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬২০ হি.] বলেন,

‘‘বিশাল সমুদ্রের মাঝে এক টুকরো কাঠের উপর ভাসমান একজন মানুষের সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য যে পরিমাণ আল্লাহর সাহায্য এবং দয়া দরকার, ঠিক সেই পরিমাণ দয়া এবং সাহায্য দরকার ওই ব্যক্তিরও, যে তার পরিবার এবং সম্পত্তির মাঝে নিশ্চিন্তে বসবাস করছে। এই চিন্তাটি যখন তোমার হৃদয়ে বদ্ধমূল হয়ে যাবে, তখন তুমিও ঠিক সেই ডুবন্তপ্রায় মানুষটির মতই আল্লাহর উপর নির্ভর করবে, যাকে উদ্ধারের জন্য আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ নেই।’’ মহান আল্লাহ বলেন, ‘‘এবং আল্লাহই ধনী, তোমরা সবাই ফকির।’’[সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৩৮]

No comments:

Post a Comment

Translate