Wednesday, September 3, 2025

ইমাম ইবনুল জাওযী রাহিমাহুল্লাহ এর কিছু নাসীহাহ

 1: এক মুহূর্ত সময়ও অবহেলায় নষ্ট করা যাবে না………..।

.
ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর পুত্রকে একটা উপদেশমূলক চিঠি লিখেন, সেখানে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এই হাদীস উল্লেখ করেন, مَنْ قَالَ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ غُرِسَتْ لَهُ نَخْلَةٌ فِي الْجَنَّةِ، “যে ব্যক্তি বলবে, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হবে’। অতঃপর বলেন, ‘দেখো বৎস! যে ব্যক্তি জীবনের সময়গুলোকে অবহেলায় নষ্ট করে দেয়, সে জান্নাতের কত গাছ রোপণের সুযোগ হারাচ্ছে!”(ফাতাওয়া আশ-শাবাকা আল-ইসলামিইয়াহ; খণ্ড: ৬; পৃষ্ঠা; ৫৩৪)

2: সুন্দর একটি শিক্ষণীয় ঘটনা………………!
.
ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:

كان ملِك كثيرَ المال ، وكانت له ابنة لم يكن له ولد غيرها ، وكان يحبها حبّاً شديداً ، وكان يلهيها بصنوف اللهو ، فمكث كذلك زماناً ، وكان إلى جانب الملك عابدٌ ، فبينا هو ذات ليلة يقرأ إذ رفع صوته وهو يقول يا أيها الذين آمنوا قوا أنفسكم وأهليكم ناراً وقودها الناس والحجارة فسمعت الجارية قراءته ، فقالت لجواريها : كفوا ، فلم يكفوا ، وجعل العابد يردد الآية والجارية تقول لهم : كفوا ، فلم يكفوا ، فوضعت يدها في جيبها فشقت ثيابها ، فانطلقوا إلى أبيها فأخبروه بالقصة ، فأقبل إليها ، فقال : يا حبيبتي ما حالك منذ الليلة ؟ ما يبكيك ؟ وضمها إليه ، فقالت : أسألك بالله يا أبت ، لله عز وجل دار فيها نار وقودها الناس والحجارة ؟ قال : نعم ، قالت : وما يمنعك يا أبت أن تخبرني ، والله لا أكلتُ طيِّباً ، ولا نمتُ على ليِّنٍ حتى أعلم أين منزلي في الجنة أو النار .

“এক রাজা ছিলেন বিপুল সম্পদের অধিকারী। তার কোনো ছেলে সন্তান না থাকলেও একজন মেয়ে সন্তান ছিল। মেয়েকে তিনি খুবই ভালোবাসতেন। তাকে নানান খেল-তামাশায় ব্যস্ত রাখতেন। এভাবে বেশ কিছু সময় কেটে গেল। রাজার পাশে একজন ইবাদতগুজার মানুষ থাকতেন। এক রাতে তিনি কুরআন পড়তে গিয়ে এই আয়াতটা জোরে পড়লেন: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে (জাহান্নামের) আগুন থেকে রক্ষা করো যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর।” ঐ মেয়ে তার পড়া শুনতে পাচ্ছিল। সে তার দাসীদেরকে বলল: তোমরা থামো। তারা থামছিল না। এদিকে ইবাদতগুজার লোকটা বারবার আয়াতটা পড়ছিল। আর মেয়েটা দাসীদেরকে বলে যাচ্ছিল: তোমরা থামো। তারা থামল না। মেয়েটা তার বুকের জামায় হাত দিয়ে সেটা ছিঁড়ে ফেলল। দাসীরা তার বাবার কাছে গিয়ে ঘটনাটি বলল। মেয়ের বাবা তাকে বলল: ‘মামনি, গত রাত থেকে তোমার কী হয়েছে? তুমি কী জন্য কাঁদছ?’ তিনি তাকে জড়িয়ে ধরলেন। মেয়ে বলল: আব্বু! আমি আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, ‘আল্লাহর কি এমন একটা আগুনের স্থান আছে যেটার জ্বালানী হবে: মানুষ এবং পাথর?’ তিনি বললেন: হ্যাঁ। মেয়ে বলল: ‘বাবা, এটা আমাকে জানাতে কীসে তোমাকে নিষেধ করল? আল্লাহর কসম! আমি আর কখনো ভালো কিছু খাবো না, নরম বিছানায় ঘুমাব না যতক্ষণ না আমি জানতে পারছি আমার বাসস্থান কোথায় হবে? জান্নাতে; নাকি জাহান্নামে?”।(সিফাতুস সাফওয়াহ খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ৪৩৭-৪৩৮) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)

3: ইমাম ইবনুল জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত:৫৯৭ হি.] বলেন:

فإذا جاء إبليس؛ فقال: كَم تدعوهُ ولا ترى إجابة! فقُل: أنا أتعبَّدُ بالدُّعاء

“যদি ইবলিস (শয়তান) এসে বলে,‘‘তুমি তাঁকে (আল্লাহকে) কত ডাকছ, অথচ কোনো সাড়া পাচ্ছ না’’, তাহলে তুমি বলো, ‘আমিতো দু‘আর মাধ্যমে ইবাদত করছি!”(ইবনুল জাওযী; সায়দুল খাত্বের; পৃষ্ঠা: ২২২)
.
ইবনুল জাওযী “আমিতো দু‘আর মাধ্যমে ইবাদত করছি” এই কথা বলার মাধ্যমে নিম্নোক্ত হাদিসের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন,হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—إنَّ الدُّعاءَ هوَ العبادةُ ‘‘নিশ্চয়ই দু‘আ হলো ইবাদত।’’(ইমাম ইবনু মাজাহ, হা/১৪৭৯)
.
4: ইমাম ইবনুল জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:

الشهور الاثني عشر كمثل أولاد يعقوب عليه السلام
وشهر رمضان بين الشهور كيوسف بين إخوته
فكما أن يوسف أحب الأولاد إلى يعقوب
كذلك رمضان أحب الشهور إلى علام الغيوب.
جاء إخوة يوسف معتمدين عليه في سد الخلل وإزاحة العلل ،بعد أن كانوا أصحاب خطايا وزلل،

“বছরের বারোটি মাস যেন (নবি) ইয়াকুব (আ.)-এর বারো জন পুত্রের ন্যায়৷ তাদের মধ্যে ইউসুফ (আ.) যেমন তাঁর পিতার নিকট সর্বাধিক প্রিয় ছিলেন, তেমনি রামাদান মাসও আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয়। ইউসুফ (আ.)-এর ভাইয়েরা যেমন নিজেদের ভুল-ত্রুটি ও পাপের পর তাঁর সাহায্যে এসেছিল অভাব পূরণ ও কষ্ট মোচনের জন্য, তেমনি রমাদানও আসে (বান্দার জন্য) পাপ মোচনের সুযোগ নিয়ে৷”(বুস্তানুল ওয়াঈযীন; পৃষ্ঠা: ২৩০)(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)

5: ইবনুল জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

واعلم أن التأديب مثله كمثل البذر، والمؤدِّب كالأرض ، متى كانت الأرض رديئة : ضاع البذر فيها ، ومتى كانت صالحة ، نشأ ونما ”
“জেনে রাখুন সন্তানকে আদব-কায়দা শিক্ষা দেয়ার উদাহরণ হচ্ছে বীজের মত। আদব শিক্ষাদানকারী হচ্ছেন জমিনের মত। যদি জমিন খারাপ হয় তাহলে বীজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর জমিন ভাল হলে বীজ অঙ্কুরিত হবে ও বৃদ্ধি পাবে।” (ইবনুল মুফলিহ ‘আদাবুস শারইয়্যাহ’ খণ্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ৫৮০)

6: ইবনুল জাওযি (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:

أنت في طلب الدنيا صحيح الجسم، وفي طلب الآخرة بك أوجاع! كم تعرج عن سُبل التقوى يا أعرج الهمة، يا من يبقى في القاع! –

“তুমি দুনিয়া তলব করতে গেলে শারীরিকভাবে সুস্থ-সবল থাকো, কিন্তু আখেরাত তলব করতে গেলেই তোমার দেহ যেন ক্লান্ত ও রোগাক্রান্ত! হে দুর্বল সংকল্পের মানুষ! তাকওয়ার পথ থেকে তুমি কতবার পিছলে গিয়েছ! হে (তুমি) সেই ব্যক্তি, যে সর্বদা নিচে পড়ে থাকে!”(ইবনুল জাওযি বাহরুদ দুমূ; পৃষ্ঠা: ৫৩)
.
7: ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৫৯৭ হি.]
বলেন,

ويتبين فهم الصبي وعلو همته وتقصيرها باختياراته لنفسه؛ وقد تجتمع الصبيان للعب فيقول العالي الهمة: من يكون معي، ويقول القاصر: مع من أكون. ‌ومتى ‌علت ‌همته ‌آثر ‌العلم،

“(নিশ্চয়ই) শিশুর বুদ্ধিমত্তা, উচ্চ মনোবল বা তার ঘাটতি বোঝা যায় নিজের জন্য সে কী বাছাই করে সেটার মাধ্যমে। যখন শিশুরা খেলাধুলার জন্য একত্রিত হয়, তখন উচ্চ মনোবলের অধিকারী শিশু (ছেলেটা) বলে,”আমার সাথে কে কে আসবে”? আর দুর্বল মনোবলের শিশু বলে,”আমি কার সাথে যাব”? আর যে বাচ্চার মনোবল অনেক উচ্চ স্তরের হয়,তখন সে ইলম অর্জনের পথকে অগ্রাধিকার দেয় (বেছে নেয়)”।(ইবনুল জাওযী; তাম্বীহুন নায়েম; পৃষ্ঠা: ৫২)
.
8: ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:

,من يريد تعجيل الإجابة، ويتذمر إن لم تتعجل، فذاك ضعيف الإيمان، ويرى أن له حقًّا في الإجابة، وكأنه يتقاضى أجرة عمله

“যে ব্যক্তি দ্রুত (তাড়াতাড়ি) দু‘আ কবুল হওয়ার প্রত্যাশা করে। আর দ্রুত কুবল না হলে (অধৈর্য হয়ে পড়ে) অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে,সে দুর্বল ঈমানের অধিকারী। (কেননা) সে মনে করে,দু‘আ কবুল হওয়া তার ন্যায্য অধিকার, যেন সে তার আমলের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে কোনো পাওনা আদায় করছে।”(ইবনুল জাওযী; সায়দুল খাত্বির; পৃষ্ঠা: ৪৩৯)
.
9: ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

إِخْوَانِي: تَفَكَّرُوا لِمَاذَا خُلِقْتُمْ فَالتَّفَكُّرُ عِبَادَةٌ،

“হে আমার ভাইয়েরা! কেন তোমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা কর। (মনে রেখ!) এই চিন্তা-ভাবনা করাও এক ধরনের ইবাদত”। (ইবনুল জাওযী; আত-তাবসিরাহ: ২/৭২)

10: সুন্দর একটি শিক্ষণীয় ঘটনা………………!
.
ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:

كان ملِك كثيرَ المال ، وكانت له ابنة لم يكن له ولد غيرها ، وكان يحبها حبّاً شديداً ، وكان يلهيها بصنوف اللهو ، فمكث كذلك زماناً ، وكان إلى جانب الملك عابدٌ ، فبينا هو ذات ليلة يقرأ إذ رفع صوته وهو يقول يا أيها الذين آمنوا قوا أنفسكم وأهليكم ناراً وقودها الناس والحجارة فسمعت الجارية قراءته ، فقالت لجواريها : كفوا ، فلم يكفوا ، وجعل العابد يردد الآية والجارية تقول لهم : كفوا ، فلم يكفوا ، فوضعت يدها في جيبها فشقت ثيابها ، فانطلقوا إلى أبيها فأخبروه بالقصة ، فأقبل إليها ، فقال : يا حبيبتي ما حالك منذ الليلة ؟ ما يبكيك ؟ وضمها إليه ، فقالت : أسألك بالله يا أبت ، لله عز وجل دار فيها نار وقودها الناس والحجارة ؟ قال : نعم ، قالت : وما يمنعك يا أبت أن تخبرني ، والله لا أكلتُ طيِّباً ، ولا نمتُ على ليِّنٍ حتى أعلم أين منزلي في الجنة أو النار .

“এক রাজা ছিলেন বিপুল সম্পদের অধিকারী। তার কোনো ছেলে সন্তান না থাকলেও একজন মেয়ে সন্তান ছিল। মেয়েকে তিনি খুবই ভালোবাসতেন। তাকে নানান খেল-তামাশায় ব্যস্ত রাখতেন। এভাবে বেশ কিছু সময় কেটে গেল। রাজার পাশে একজন ইবাদতগুজার মানুষ থাকতেন। এক রাতে তিনি কুরআন পড়তে গিয়ে এই আয়াতটা জোরে পড়লেন: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে (জাহান্নামের) আগুন থেকে রক্ষা করো যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর।” ঐ মেয়ে তার পড়া শুনতে পাচ্ছিল। সে তার দাসীদেরকে বলল: তোমরা থামো। তারা থামছিল না। এদিকে ইবাদতগুজার লোকটা বারবার আয়াতটা পড়ছিল। আর মেয়েটা দাসীদেরকে বলে যাচ্ছিল: তোমরা থামো। তারা থামল না। মেয়েটা তার বুকের জামায় হাত দিয়ে সেটা ছিঁড়ে ফেলল। দাসীরা তার বাবার কাছে গিয়ে ঘটনাটি বলল। মেয়ের বাবা তাকে বলল: ‘মামনি, গত রাত থেকে তোমার কী হয়েছে? তুমি কী জন্য কাঁদছ?’ তিনি তাকে জড়িয়ে ধরলেন। মেয়ে বলল: আব্বু! আমি আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, ‘আল্লাহর কি এমন একটা আগুনের স্থান আছে যেটার জ্বালানী হবে: মানুষ এবং পাথর?’ তিনি বললেন: হ্যাঁ। মেয়ে বলল: ‘বাবা, এটা আমাকে জানাতে কীসে তোমাকে নিষেধ করল? আল্লাহর কসম! আমি আর কখনো ভালো কিছু খাবো না, নরম বিছানায় ঘুমাব না যতক্ষণ না আমি জানতে পারছি আমার বাসস্থান কোথায় হবে? জান্নাতে; নাকি জাহান্নামে?”।(সিফাতুস সাফওয়াহ; খণ্ড; ৪; পৃষ্ঠা; ৪৩৭-৪৩৮) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)

11: ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
.
নিশ্চয়ই জ্ঞানই (দ্বীনের) মূল স্তম্ভ এবং সবচেয়ে বড় আলোক বর্তিকা। কখনো কখনো (দ্বীনী জ্ঞানার্জনের নিমিত্তে) বইয়ের পাতাগুলো উল্টানো নফল সিয়াম,সালাত,হজ্জ এবং জিহাদ অপেক্ষা উত্তম হয়ে থাকে। এমন অনেক মানুষ আছে,যে ইলম থেকে বিমুখ থাকার কারণে নিজের ইবাদতে প্রবৃত্তির অনুসরণে ডুবে থাকে। সে নফল ইবাদত করতে গিয়ে অনেক অকাট্য ফরয ইবাদতকে নষ্ট করে দেয়। স্পষ্ট ওয়াজিবকে তরক করে তার ধারণাপ্রসূত উত্তম (?) কাজ করে (অথচ শরী‘আতে সেটা উত্তম কাজ নয়)। হায়! যদি তার নিকটে সঠিক জ্ঞানের আলোকবর্তিকা থাকত, তাহলে অবশ্যই সে সঠিক পথের দিশা লাভ করত।(ইবনুল জাওযী; সায়দুল খাত্বের পৃষ্ঠা: ১১৩)

12: ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,নিশ্চয়ই জ্ঞানই (দ্বীনের) মূল স্তম্ভ এবং সবচেয়ে বড় আলোকবর্তিকা। কখনো কখনো (দ্বীনী জ্ঞানার্জনের নিমিত্তে) বইয়ের পাতাগুলো উল্টানো নফল সিয়াম, সালাত,হজ্জ এবং জিহাদ অপেক্ষা উত্তম হয়ে থাকে। এমন অনেক মানুষ আছে,যে ইলম থেকে বিমুখ থাকার কারণে নিজের ইবাদতে প্রবৃত্তির অনুসরণে ডুবে থাকে। সে নফল ইবাদত করতে গিয়ে অনেক অকাট্য ফরয ইবাদতকে নষ্ট করে দেয়। স্পষ্ট ওয়াজিবকে তরক করে তার ধারণাপ্রসূত উত্তম (?) কাজ করে (অথচ শরী‘আতে সেটা উত্তম কাজ নয়)। হায়! যদি তার নিকটে সঠিক জ্ঞানের আলোকবর্তিকা থাকত,তাহলে অবশ্যই সে সঠিক পথের দিশা লাভ করত।(ইবনুল জাওযী; সায়দুল খাত্বের পৃষ্ঠা: ১১৩)

13 : ইমাম ইবনুল জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,ইবলিস (শয়তান) এসে যদি বলে, ‘‘তুমি তাঁকে কত ডাকছ, অথচ কোনো সাড়া পাচ্ছ না’’, তাহলে তুমি বলো, ‘আমিতো দু‘আর মাধ্যমে ইবাদত করছি!’
কারণ তিনি আল্লাহ বলেন,ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ، ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব’ [সূরা গাফির/মুমিন ৪০/৬০]।
.
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—
.
إنَّ الدُّعاءَ هوَ العبادةُ
‘‘নিশ্চয়ই দু‘আ হলো ইবাদত।’’ [ইমাম ইবনু মাজাহ; আস-সুনান: ১৪৭৯; হাদীসটি সহীহ]
.
অন্যত্র তিনি বলেন,
أَفْضَلُ الْعِبَادَةِ الدُّعَاءُ
‘উত্তম ইবাদত হচ্ছে দো‘আ’।[সহীহুল জামে‘ হা/১১২২; সিলসিলা সহীহাহ হা/১৫৭৯; হাদীসটি সহীহ ] আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী।

No comments:

Post a Comment

Translate