Wednesday, September 3, 2025

প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণিত কিছু হাদীস

 1: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বর্ণিত হাদীস [মৃত: ৩২ হি.]

তিনি বলেছেন,

إِن للقلوب شَهْوَة وإقبالا وفترة وإدبارا فخذوها عِنْد شهوتها وإقبا لَهَا وذروها عِنْد فترتها وإدبارها

“নিশ্চয়ই অন্তরগুলোর স্পৃহা ও চঞ্চলতা আছে। আবার জড়তা ও পিছুটান আছে। সুতরাং স্পৃহা ও চাঞ্চলতার সময় অন্তরগুলোকে কাজে লাগাও এবং জড়তা ও পিছুটানের সময় ছাড় দাও।”(ইবনুল মুবারক ‘আল-যুদহ’ নং-১৩৩১-তে উক্তিটি বর্ণনা করেছেন)
.
এই হিকমতপূর্ণ বাণীটি প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, যাতে মানুষের আত্মিক ও মানসিক অবস্থার বাস্তবতা এবং তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ইবাদত ও ভালো কাজ করার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এখানে চারটি মূল উপাদান রয়েছে:১. شَهْوَة (শাহওয়াহ)– স্পৃহা, আগ্রহ বা কিছু পাওয়ার প্রবল ইচ্ছা ২. إِقْبَال (ইক্ববাল)– মনোযোগ, অনুপ্রেরণা, আন্তরিক আগ্রহ ৩. فَتْرَة (ফাতরাহ)– শিথিলতা, জড়তা, অলসতা ৪. إِدْبَار (ইদবার)– বিমুখতা, আগ্রহ হারানো বা মন ফিরে যাওয়া।পুরো বানীর সারমর্ম হলো: মানব-অন্তরের অবস্থাও ওঠানামা করে। কখনো তা ইবাদতে আগ্রহী হয়, আবার কখনো ক্লান্ত বা বিমুখ হয়ে পড়ে। তাই যখন মন মসজিদে যাওয়ার, কুরআন পড়ার বা দ্বীনি কাজে মনোযোগী থাকে—তখন সে সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। আর যখন মন ক্লান্ত বা উদাসীন হয়—তখন জোর করে চাপিয়ে না দিয়ে কিছুটা সময় দিতে হবে।এটি হিকমাহ বা প্রজ্ঞার সাথে দ্বীনকে ধারণ করার একটি নির্দেশনা। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)

2: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] বলেছেন,

مَا مِنْكُمْ إِلَّا ضَيْفٌ وَعَارِيَةٌ، وَالضَّيْفُ مُرْتَحِلٌ، وَالْعَارِيَةُ مُؤَدَّاةٌ إِلَى أَهْلِهَا-
“তোমরা সকলেই এ পৃথিবীতে কেবল একজন মেহমান, আর তোমাদের মালমত্তা কেবল ধারের বস্ত্ত। মেহমান একদিন বিদায় নেবে, আর ধারকৃত সম্পদ তার প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত যাবে।”(ত্বাবারাণী কাবীর হা/৮৫৩৩; মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৫৬৯৯)

3: গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদীস যা হয়তোবা আমাদের অনেকেরই অযানা (আল্লাহু আলাম)।
.
সূরা আল মূলক-কে বলা হয় ‘আল-মানে‘আহ’ তথা বাধাদানকারী। যে ব্যক্তি এ সূরা প্রত্যেক রাতে তেলাওয়াত করবে, তাকে কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করা হবে।এমনকি এই সূরাটি তাওরাতেও লিপিবদ্ধ ছিল।যেমন: হাদীসে এসেছে,আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

يُؤْتَى الرَّجُلُ فِيْ قَبْرِهِ فَتُؤْتَى رِجْلَاهُ فَتَقُوْلُ لَيْسَ لَكُمْ عَلَى مَا قِبَلِيْ سَبِيْلٌ كَانَ يَقْرَأُ سُوْرَةَ الْمُلْكِ ثُمَّ يُؤْتَى مِنْ قِبَلِ صَدْرِهِ أَوْ قَالَ بَطْنِهِ فَيَقُوْلُ لَيْسَ لَكُمْ عَلَى مَا قِبَلِيْ سَبِيْلٌ كَانَ يَقْرَأُ فِيَّ سُوْرَةَ الْمُلْكِ ثُمَّ يُؤْتَى مِنْ قِبَلِ رَأْسِهِ فَيَقُوْلُ لَيْسَ لَكُمْ عَلَى مَا قِبَلِيْ سَبِيْلٌ كَانَ يَقْرَأُ فِيَّ سُوْرَةَ الْمُلْكِ قَالَ فَهِيَ الْمَانِعَةُ تَمْنَعُ عَذَابَ الْقَبْرِ وَهِيَ فِيْ التَّوْرَاةِ سُوْرَةُ الْمُلْكِ مَنْ قَرَأَهَا فِيْ لَيْلَةٍ فَقَدْ أَكْثَرَ وَأَطْيَبَ.

“একজন ব্যক্তিকে কবরে শায়িত করার পর, তার পায়ের নিকট দিয়ে শাস্তি প্রবেশ করতে চাইলে পা বলবে, আমার এখান দিয়ে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই, কেননা সে আমার সাহায্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করত। অতঃপর শাস্তি তার বক্ষদেশ কিংবা পেটের দিক দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে, বক্ষ বা পেট বলবে, আমার এদিক দিয়ে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই, সে আমাকে সাথে নিয়ে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করত। এরপর শাস্তি ঐ ব্যক্তির মাথার দিক দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে মাথা বলবে, আমার এদিক দিয়ে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই, সে আমাকে সাথে নিয়ে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করত। ইবনু মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, এই সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করা ব্যক্তির জন্য কবরের আযাব থেকে অন্তরায় হবে। তাওরাতের মধ্যেও সূরা আল-মূলক বিদ্যমান ছিল। যে ব্যক্তি রাত্রিতে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করল, সে সমৃদ্ধি লাভ ও অধিক উত্তম কাজ করল”।(মুসতাদরাক হাকেম, হা/৩৮৩৯; নাসাঈ, সুনানে কুবরা, হা/১০৪৭৯; সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪৭৫ হাদিসটির সনদ হাসান)

4: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] আমর ইবনু মায়মূন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে উপদেশ দিয়ে বলেন,

إِنَّ الْجَمَاعَةَ مَا وَافَقَ الْحَقَّ وَ إِنْ كُنْتَ وَحْدَكَ –

“হক্ব-এর অনুসারী দলই হল জামা‘আত যদিও তুমি একাকী হও”।(ইবনু আসাকির,তারীখু দিমাষ্ক;খন্ড:১৩;
পৃষ্ঠা:৩২২;ইমাম লালকাঈ,শারহু উসূলিল ই‘তিক্বাদ;
খন্ড:১পৃষ্ঠা:১০৮)

5: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] বলেন:

” أَكْبَرُ الْكَبَائِرِ: الْإِشْرَاكُ بِاللهِ، وَالْأَمْنُ مِنْ مَكْرِ اللهِ، وَالْقَنُوطُ مِنْ رَحْمَةِ اللهِ، وَالْيَأْسُ مِنْ رَوْحِ اللهِ ” رواه الطبراني في ”

সর্বাধিক বড় কবিরা গুনাহ হলো: “আল্লাহ্‌র সাথে শির্ক করা। আল্লাহ্‌র পাকড়াও থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবা, আল্লাহ্‌র রহমত থেকে হতাশ হওয়া এবং তাঁর দয়া থেকে নিরাশ হওয়া।”(আল-মুজামুল কাবীর (৯/১৭১),ইমাম আলবানী ‘সিলসিলাতুল আহাদিছিস সাহিহা’ গ্রন্থে (৫/৭৯) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]

6: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] যখন কুরআন মজিদের তেলাওয়াত শেষ করতেন,তখন বলতেন:অবিবাহিত যুবকরা কোথায়?

অতঃপর ‚ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু)
বলতেন,আমার কাছে এসো এবং বলো,

اَللّهُمَّ ارْزُقْنِي امْرَأَةٌ اِذَا نَظَرْتُ إِلَيهَا! سَرَّتْنِي وإذا أَمَرْتُها أَطَاعَتْنٌي وإذا غِبْتّ عنها حفِظتْ غَيبَتِي في نفسٌها ومالِي

মোটামুটি উচ্চারণ:আল্লাহুম্মার-যুক্বনী (ইমরাআতান),ইযা নাযারতু ইলাইহা!সার্রাতনী।ওয়া ইযা আমারতুহা আত্বা’আতনী।ওয়া ইযা (গিবতু) আনহা হাফিযাত গায়বাতি ফি নাফসিহা ওয়া মালী।

অর্থ: “হে আল্লাহ ‚ আমাকে এমন একজন স্ত্রী দান করুন যার প্রতি আমি দৃষ্টিপাত করি তো সে আমাকে সন্তুষ্ট করবে এবং যখন আমি তাকে আদেশ দিবো তো সে আমার আনুগত্য করবে আর আমার অনুপস্থিতিতে সে তার জান এবং আমার মালের হেফাজত করবে।”
(ইবনুল ক্বাইয়িম, রাওযাতুল মুহিববীন‚পৃষ্ঠা: ২৩৮)

7: আমাদের প্রসিদ্ধ সালাফগন বক্তাদের আধিক্য এবং ফক্বীহগণের স্বল্পতাকে ক্বিয়ামতের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে বর্ননা করেছেন। ইমাম মালেক ইবনে আনাস
(রাহিমাহুল্লাহ) [জন্ন:৯৩ হি: মৃত: ১৭৯ হি.] তার
‘মুওয়াত্ত্বা’য় ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে বর্ণনা করেন, একদা প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] জনৈক ব্যক্তিকে বললেন,

إِنَّكَ فِي زَمَانٍ كَثِيرٌ فُقَهَاؤُهُ قَلِيلٌ قُرَّاؤُهُ تُحْفَظُ فِيهِ حُدُودُ الْقُرْآنِ وَتُضَيَّعُ حُرُوفُهُ قَلِيلٌ مَنْ يَسْأَلُ كَثِيرٌ مَنْ يُعْطِي يُطِيلُونَ فِيهِ الصَّلَاةَ وَيَقْصُرُونَ الْخُطْبَةَ يُبَدُّونَ أَعْمَالَهُمْ قَبْلَ أَهْوَائِهِمْ وَسَيَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ قَلِيلٌ فُقَهَاؤُهُ كَثِيرٌ قُرَّاؤُهُ تُحْفَظُ فِيهِ حُرُوفُ الْقُرْآنِ وَتُضَيَّعُ حُدُودُهُ كَثِيرٌ مَنْ يَسْأَلُ قَلِيلٌ مَنْ يُعْطِي يُطِيلُونَ فِيهِ الْخُطْبَةَ وَيَقْصُرُونَ الصَّلَاةَ يُبَدُّونَ فِيهِ أَهْوَاءَهُمْ قَبْلَ أَعْمَالِهِمْ-

“তুমি এখন এমন এক যুগে বাস করছ, যে যুগে ফক্বীহ তথা প্রাজ্ঞ আলেমের সংখ্যা বেশী এবং ক্বারীর (সাধারণ আলেমের) সংখ্যা কম। এ যুগে কুরআনের সীমারেখা সমূহ সংরক্ষণ করা হয় (অর্থাৎ কুরআনের বিধি-নিষেধ পালন করা হয়), শব্দের দিকে মনোযোগ দেয়া হয় কম। এ যুগে প্রার্থীর সংখ্যা কম এবং দাতার সংখ্যা বেশী। এ যুগের লোকেরা সালাত দীর্ঘ করে এবং খুৎবাকে সংক্ষিপ্ত করে। তারা প্রবৃত্তির অনুসরণের পূর্বেই আমলের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে, যখন বিজ্ঞ আলেমদের সংখ্যা কম হবে এবং ক্বারী বা সাধারণ আলেমদের সংখ্যা বেশী হবে। তখন কুরআনের শব্দ সমূহকে হেফাযত করা হবে (হাফেযের সংখ্যা বেড়ে যাবে) এবং কুরআনের সীমারেখা সমূহ বিনষ্ট হবে। প্রার্থী বেশী হবে এবং দাতা কম হবে। তখন লোকেরা খুৎবা দীর্ঘায়িত করবে এবং সালাত সংক্ষিপ্ত করবে। আর তারা আমলের পূর্বে নিজেদের খেয়াল খুশির দিকে এগিয়ে যাবে”।(মুওয়াত্ত্বা ইমাম মালেক হা/৫৯৭; আল হাদীস আপসে হা/৪০৫, ইমাম আলবানী সিলসিলা সহীহাহ হা/৩১৮৯ সনদ হাসান)

8: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] বলেন:
.
সবচেয়ে বড় গুনাহ হচ্ছে, আল্লাহর শাস্তি থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করা, আল্লাহর রহমত হতে হতাশ হওয়া এবং আল্লাহর করুণা থেকে নিজেকে বঞ্চিত মনে করা। (তাবারাণী কাবীর; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৩০৯;সিলসিলা সহীহাহ হা/২০৫১)
.
আব্দুর রহমান বিন হাসান (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:
.
যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে তার জন্য উচিত নয় আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া। বরং সে পাপের ভয় করবে। আর আল্লাহর আনুগত্যের সাথে তার রহমতের আশা পোষণ করবে।(ফাৎহুল মাজীদ,শরহ কিতাবুত তাওহীদ পৃষ্ঠা: ৩৫৯) আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)

9: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] বলেছেন,

إِنَّ اللهَ يُعْطِي الدُّنْيَا مَنْ يُحِبُّ وَمَنْ لَا يُحِبُّ، وَلَا يُعْطِي الْإِيمَانَ إِلَّا مَنْ يُحِبُّ، فَإِذَا أَحَبَّ اللهُ عَبْدًا أَعْطَاهُ الْإِيْمَانْ،

আল্লাহ যাকে ভালবাসেন এবং যাকে ভালবাসেন না উভয়কেই দুনিয়া দান করেন। কিন্তু তিনি যাকে ভালবাসেন একমাত্র তাকেই ঈমান দান করেন। সুতরাং আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন,তখন তাকে ঈমান দান করেন।(মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ: ৭/১০৫ সনদ বিশুদ্ধ)

10: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.]-এর মর্যাদা সংক্রান্ত দুটি হাদিস।
.
একদা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু ‘আরাক’ গাছে উঠলেন, তিনি ছিলেন সরু গোড়ালী বিশিষ্ট মানুষ, ফলে বাতাস তাকে নাড়াচ্ছিল তাতে উপস্থিত লোকেরা হেসে উঠল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেনঃ “তোমরা হাসছ কেন?” তারা বললঃ হে আল্লাহর নবী! তার সরু গোড়ালীর কারণে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ “যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ করে বলছি, এ দু’টি পা মীযানের পাল্লায় উহুদ পাহাড়ের চেয়েও বেশী ভারী”। (মুসনাদে আহমাদঃ ১/৪২০-৪:২১, মুস্তাদরাক হাকেম ৩/৩১৭ সনদ বিশুদ্ধ)
.
অপর বর্ননায় রাসূল (ﷺ) আরো বলেন,আমি আমার উম্মতের প্রতি সেই বিষয়ে সন্তুষ্ট যে বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(ابْنُ أُمِّ عَبْدٍ) সন্তুষ্ট। আর আমি আমার উম্মতের জন্য সেই বিষয়ে অসন্তুষ্ট যেই বিষয়ে ইবনু মা’সঊদ (ابْنُ أُمِّ عَبْدٍ) অসন্তুষ্ট।(মুস্তাদরাক হাকেম হা/৫৩৮৭ সহীহ আল জামে হা/৩৫০৯)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।

No comments:

Post a Comment

Translate