1: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বর্ণিত হাদীস [মৃত: ৩২ হি.]
তিনি বলেছেন,
إِن للقلوب شَهْوَة وإقبالا وفترة وإدبارا فخذوها عِنْد شهوتها وإقبا لَهَا وذروها عِنْد فترتها وإدبارها
2: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] বলেছেন,
يُؤْتَى الرَّجُلُ فِيْ قَبْرِهِ فَتُؤْتَى رِجْلَاهُ فَتَقُوْلُ لَيْسَ لَكُمْ عَلَى مَا قِبَلِيْ سَبِيْلٌ كَانَ يَقْرَأُ سُوْرَةَ الْمُلْكِ ثُمَّ يُؤْتَى مِنْ قِبَلِ صَدْرِهِ أَوْ قَالَ بَطْنِهِ فَيَقُوْلُ لَيْسَ لَكُمْ عَلَى مَا قِبَلِيْ سَبِيْلٌ كَانَ يَقْرَأُ فِيَّ سُوْرَةَ الْمُلْكِ ثُمَّ يُؤْتَى مِنْ قِبَلِ رَأْسِهِ فَيَقُوْلُ لَيْسَ لَكُمْ عَلَى مَا قِبَلِيْ سَبِيْلٌ كَانَ يَقْرَأُ فِيَّ سُوْرَةَ الْمُلْكِ قَالَ فَهِيَ الْمَانِعَةُ تَمْنَعُ عَذَابَ الْقَبْرِ وَهِيَ فِيْ التَّوْرَاةِ سُوْرَةُ الْمُلْكِ مَنْ قَرَأَهَا فِيْ لَيْلَةٍ فَقَدْ أَكْثَرَ وَأَطْيَبَ.
“একজন ব্যক্তিকে কবরে শায়িত করার পর, তার পায়ের নিকট দিয়ে শাস্তি প্রবেশ করতে চাইলে পা বলবে, আমার এখান দিয়ে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই, কেননা সে আমার সাহায্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করত। অতঃপর শাস্তি তার বক্ষদেশ কিংবা পেটের দিক দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে, বক্ষ বা পেট বলবে, আমার এদিক দিয়ে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই, সে আমাকে সাথে নিয়ে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করত। এরপর শাস্তি ঐ ব্যক্তির মাথার দিক দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে মাথা বলবে, আমার এদিক দিয়ে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই, সে আমাকে সাথে নিয়ে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করত। ইবনু মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, এই সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করা ব্যক্তির জন্য কবরের আযাব থেকে অন্তরায় হবে। তাওরাতের মধ্যেও সূরা আল-মূলক বিদ্যমান ছিল। যে ব্যক্তি রাত্রিতে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করল, সে সমৃদ্ধি লাভ ও অধিক উত্তম কাজ করল”।(মুসতাদরাক হাকেম, হা/৩৮৩৯; নাসাঈ, সুনানে কুবরা, হা/১০৪৭৯; সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪৭৫ হাদিসটির সনদ হাসান)
4: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] আমর ইবনু মায়মূন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে উপদেশ দিয়ে বলেন,
إِنَّ الْجَمَاعَةَ مَا وَافَقَ الْحَقَّ وَ إِنْ كُنْتَ وَحْدَكَ –
5: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] বলেন:
” أَكْبَرُ الْكَبَائِرِ: الْإِشْرَاكُ بِاللهِ، وَالْأَمْنُ مِنْ مَكْرِ اللهِ، وَالْقَنُوطُ مِنْ رَحْمَةِ اللهِ، وَالْيَأْسُ مِنْ رَوْحِ اللهِ ” رواه الطبراني في ”
সর্বাধিক বড় কবিরা গুনাহ হলো: “আল্লাহ্র সাথে শির্ক করা। আল্লাহ্র পাকড়াও থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবা, আল্লাহ্র রহমত থেকে হতাশ হওয়া এবং তাঁর দয়া থেকে নিরাশ হওয়া।”(আল-মুজামুল কাবীর (৯/১৭১),ইমাম আলবানী ‘সিলসিলাতুল আহাদিছিস সাহিহা’ গ্রন্থে (৫/৭৯) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
6: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] যখন কুরআন মজিদের তেলাওয়াত শেষ করতেন,তখন বলতেন:অবিবাহিত যুবকরা কোথায়?
اَللّهُمَّ ارْزُقْنِي امْرَأَةٌ اِذَا نَظَرْتُ إِلَيهَا! سَرَّتْنِي وإذا أَمَرْتُها أَطَاعَتْنٌي وإذا غِبْتّ عنها حفِظتْ غَيبَتِي في نفسٌها ومالِي
মোটামুটি উচ্চারণ:আল্লাহুম্মার-যুক্বনী (ইমরাআতান),ইযা নাযারতু ইলাইহা!সার্রাতনী।ওয়া ইযা আমারতুহা আত্বা’আতনী।ওয়া ইযা (গিবতু) আনহা হাফিযাত গায়বাতি ফি নাফসিহা ওয়া মালী।
إِنَّكَ فِي زَمَانٍ كَثِيرٌ فُقَهَاؤُهُ قَلِيلٌ قُرَّاؤُهُ تُحْفَظُ فِيهِ حُدُودُ الْقُرْآنِ وَتُضَيَّعُ حُرُوفُهُ قَلِيلٌ مَنْ يَسْأَلُ كَثِيرٌ مَنْ يُعْطِي يُطِيلُونَ فِيهِ الصَّلَاةَ وَيَقْصُرُونَ الْخُطْبَةَ يُبَدُّونَ أَعْمَالَهُمْ قَبْلَ أَهْوَائِهِمْ وَسَيَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ قَلِيلٌ فُقَهَاؤُهُ كَثِيرٌ قُرَّاؤُهُ تُحْفَظُ فِيهِ حُرُوفُ الْقُرْآنِ وَتُضَيَّعُ حُدُودُهُ كَثِيرٌ مَنْ يَسْأَلُ قَلِيلٌ مَنْ يُعْطِي يُطِيلُونَ فِيهِ الْخُطْبَةَ وَيَقْصُرُونَ الصَّلَاةَ يُبَدُّونَ فِيهِ أَهْوَاءَهُمْ قَبْلَ أَعْمَالِهِمْ-
“তুমি এখন এমন এক যুগে বাস করছ, যে যুগে ফক্বীহ তথা প্রাজ্ঞ আলেমের সংখ্যা বেশী এবং ক্বারীর (সাধারণ আলেমের) সংখ্যা কম। এ যুগে কুরআনের সীমারেখা সমূহ সংরক্ষণ করা হয় (অর্থাৎ কুরআনের বিধি-নিষেধ পালন করা হয়), শব্দের দিকে মনোযোগ দেয়া হয় কম। এ যুগে প্রার্থীর সংখ্যা কম এবং দাতার সংখ্যা বেশী। এ যুগের লোকেরা সালাত দীর্ঘ করে এবং খুৎবাকে সংক্ষিপ্ত করে। তারা প্রবৃত্তির অনুসরণের পূর্বেই আমলের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে, যখন বিজ্ঞ আলেমদের সংখ্যা কম হবে এবং ক্বারী বা সাধারণ আলেমদের সংখ্যা বেশী হবে। তখন কুরআনের শব্দ সমূহকে হেফাযত করা হবে (হাফেযের সংখ্যা বেড়ে যাবে) এবং কুরআনের সীমারেখা সমূহ বিনষ্ট হবে। প্রার্থী বেশী হবে এবং দাতা কম হবে। তখন লোকেরা খুৎবা দীর্ঘায়িত করবে এবং সালাত সংক্ষিপ্ত করবে। আর তারা আমলের পূর্বে নিজেদের খেয়াল খুশির দিকে এগিয়ে যাবে”।(মুওয়াত্ত্বা ইমাম মালেক হা/৫৯৭; আল হাদীস আপসে হা/৪০৫, ইমাম আলবানী সিলসিলা সহীহাহ হা/৩১৮৯ সনদ হাসান)
9: প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] বলেছেন,
إِنَّ اللهَ يُعْطِي الدُّنْيَا مَنْ يُحِبُّ وَمَنْ لَا يُحِبُّ، وَلَا يُعْطِي الْإِيمَانَ إِلَّا مَنْ يُحِبُّ، فَإِذَا أَحَبَّ اللهُ عَبْدًا أَعْطَاهُ الْإِيْمَانْ،
আল্লাহ যাকে ভালবাসেন এবং যাকে ভালবাসেন না উভয়কেই দুনিয়া দান করেন। কিন্তু তিনি যাকে ভালবাসেন একমাত্র তাকেই ঈমান দান করেন। সুতরাং আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন,তখন তাকে ঈমান দান করেন।(মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ: ৭/১০৫ সনদ বিশুদ্ধ)
No comments:
Post a Comment