সুন্নাত স্বলাত পড়ার ফযীলত সমূহ ও স্বলাতুত তাসবীহ
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্বলাত- এর অংশবিশেষশায়খ মুযাফফর বিন মুহসিন
যে সমস্ত সুন্নাত সহিহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত সেগুলো পড়াই একজন মুছল্লীর জন্য যথেষ্ট। বানোয়াট, মিথ্যা, জাল ও ভিত্তিহীন কথার উপর আমল করা উচিত নয়।
عَنْ أُمِّ حَبِيْبَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ صَلَّى فِىْ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلَاة الْفَجْرِ.
উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনে রাতে ১২ রাক‘আত স্বলাত আদায় করবে, তার জন্য জান্নাতেএকটি ঘর তৈরি করা হবে। সেগুলো হল- যোহরের পূর্বে চার পরে দুই, মাগরিবের পরে দুই, এশার পর দুই এবং ফজরের পূর্বে দুই।[1] অন্য বর্ণনায় ১০ রাক‘আতের কথা এসেছে। সেখানে যোহরের পূর্বে দুই রাক‘আত বলা হয়েছে।[2] সুন্নাত স্বলাত পড়ার
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ رَكْعَتَا الْفَجْرِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيْهَا.
আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ফজরের দুই রাক‘আত স্বলাত দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু তা হতে উত্তম।[3]
عَنْ أُمِّ حَبِيْبَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ يَقُوْلُ مَنْ حَافَظَ عَلَى أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ وَأَرْبَعٍ بَعْدَهَا حَرَّمَهُ اللهُ عَلَى النَّارِ.
উম্মু হাবীবা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি যোহরের আগে চার রাক‘আত এবং পরে চার রাক‘আত আদায় করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।[4]
✔ (৬) স্বলাতুত তাসবীহ আদায় করা :
স্বলাতুত তাসবীহ সম্পর্কে যে সমস্ত বর্ণনা এসেছে[1] সেগুলোকে অধিকাংশ মুহাদ্দিছ যঈফ ও মুনকার বলেছেন। সঊদী আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ মন্তব্য করেছেন,صَلاَةُ التَّسْبِيْحِ بِدْعَةٌ وَحَدِيْثُهَا لَيْسَ بِثَابِتٍ بَلْ هُوَ مُنْكَرٌ وَذَكَرَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِى الْمَوْضُوْعَاتِ ‘স্বলাতুত তাসবীহ’ বিদ‘আত। এর হাদীছ প্রমাণিত নয়; বরং মুনকার বা অস্বীকৃত। কোন কোন মুহাদ্দিছ জাল হাদীছের মধ্যে একে উল্লেখ করেছেন।[2] এ সম্পর্কিত ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছকে কেউ ‘মুরসাল’ কেউ ‘মওকূফ’ কেউ ‘যঈফ’ এবং কেউ ‘মওযূ’ বা জাল বলেছেন। যদিও শায়খ আলবানী (রহঃ) উক্ত হাদীছের যঈফ সূত্রসমূহ পরস্পরকে শক্তিশালী মনে করে তাকে হাসান সহিহ বলেছেন এবং ইবনু হাজার আসক্বালানী ‘হাসান’ স্তরে উন্নীত বলে মন্তব্য করেছেন। এরূপ বিতর্কিত ও সন্দেহযুক্ত হাদীছ দ্বারা ইবাদত সাব্যস্ত করা যায় না।[3]
No comments:
Post a Comment