জুমার দিনের তাৎপর্য ও বিধি-বিধানঃ
নিন্মে উক্ত বিষয়গুলো অতি সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হল। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দ্বীন সম্পর্কে জানা ও মানার তাওফীক দান করুন। আমীন।
“…সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এই দিনে আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান হয়েছে, এই দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বাহির করা হয়। আর এই দিন ছাড়া অন্য কোন দিনে ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না।” (মুসলিম, তাহ:মিশকাত হা:নং ১৩৫৬)
“অলসতা-অবহেলা করে যে ব্যক্তি তিন জুমাহ পরিহার করবে আল্লাহ তায়ালা তার ক্বলবে মহর মেরে দিবেন।” (আবুদাউদ,তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজা, দারেমী, হা:সহীহ, মিশকাত হা:নং ১৩৭১)
“তোমাদের দিন সমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে মৃত্যু দেওয়া হয়েছে, এই দিনে সিংগায় ফু দেওয়া হবে এবং মহা বিপর্যয়ও (ক্বিয়ামত) ঘটবে এই দিনেই। তাই এই দিনে তোমরা বেশি বেশি আমার উপর দরুদ পাঠ করবে;কেননা তোমাদের দরুদ আমার উপর বখশান হয় জুমার দিনে।” (আবু দাউদ,নাসাঈ,ইবনু মাজা প্রমুখের বরাতে সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব,মিশকাত আলবানী হা:নং১৩৬১)
“জুমার দিনে মসজিদের দরজায় ফেরেশতাগণ দাড়িয়ে যান; পর্যায়ক্রমে লেখতে থাকেন প্রথমে আগমন কারীদের ফজীলত। সর্বপ্রথম আগমন কারী একটি উট কুরবানী করার মত সুয়াব লাভ কেরন, পরের জন গরু,তারপরের জন দুম্বা,তারপরের জন মুরগী এবং তারপরের জন ডিম কুরবানী দেওয়ার মত সাওয়াব লাভ করেন। অতপর ইমাম যখন বের হন, তখন তারা খাতা-পত্র গুটিয়ে রেখে মনযোগ দিয়ে খুৎবা শুনেন। (বুখারী আধুনিক প্রকাশনী হা:নং৮৭৬, মুসলিম,মিশকাত হা:নং১৩৮৪)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুৎবা দিচ্ছিলেন এমন সময় সালীক গাতফানী নামের এক সাহাবী এসে মসজিদে বসে পড়লেন; রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বল্ললেন, হে সালীক দাড়াও, দুরাকাত নামায পড়,তবে সংক্ষেপে পড়। এরপর তিনি (সমেবেত জনতা সম্বধন করে) বললেন, জুমার দিনে ইমামের খুৎবা চলাকালেও যখন তোমাদের কেউ আসবে তখনও যেন সে ২ রাকাত নামায পড়ে নেয় এবং যেন তা সংক্ষেপ করে। (বুখারী-আধুনিক প্রকাশনী, হা:নং৮৭৭,৮৭৮,১০৯২, মুসলিম)
জুমার দিন খুৎবা চলাকালে তুমি যদি তোমার সাথিকে শুধু বল যে “চুপ কর” তাহলেও তুমি একটা বাজে কাজ করলে। (বুখারী আধুনিক প্রকা:হা:নং৮৮১,মুসলিম হা:নং৮৫১,মিশকাত আলবানী হা:নং১৩৮৫) অর্থাৎ চুপ কর-একথাও বলা যাবে না আর যে খুৎবা না শুনে অন্য কাজ করবে তার জুমাই বাতিল হয়ে যাবে। (যাদুল মায়াদ দ্র:)
একদা জুমার দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুৎবা দিচ্ছিলেন এমন সময় মানুষের কাঁধ ডিঙ্গিয়ে একটি লোক এগিয়ে এলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, “তুমি বস, তুমি মানুষকে কষ্ট দিয়েছ।” (আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনু খুজাইমা, ইবনু হিব্বান,সহীহ আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব)
No comments:
Post a Comment