উত্তর: সলাতের সময় দৃষ্টি সিজদার স্থানে থাকবে তবে তাশাহহুদে বসা অবস্থায় দৃষ্টি রাখতে হবে আঙ্গুলের ইশারার দিকে।
কখনো বা (আরবীয়) আঙ্গুল গণনার হিসাবের ৫৩ গোনার মত করে রাখতেন। অর্থাৎ, কনিষ্ঠা, অনামিকা ও মধ্যমাকে চেটোর সাথে লাগিয়ে তর্জনীকে লম্বা ছেড়ে এবং বৃদ্ধার মাথাকে তর্জনীর গোড়াতে লাগিয়ে রাখতেন। (মুসলিম, সহীহ ৫৮০, মিশকাত ৯০৬নং)
তিনি তর্জনীকে তুলে হিলিয়ে হিলিয়ে এর মাধ্যমে দুআ করতেন। (সহিহ,নাসাঈ, সুনান ৮৫৬, ১২০৩ নং, দারেমী, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ ৪/৩১৮, ৫/৭২) সুতরাং দুআ শেষ না করা (সালাম ফিরার পূর্ব) পর্যন্ত তর্জনী হিলানো সুন্নত। যেহেতু দুআ সালাম ফিরার পূর্বেই শেষ হয়ে থাকে। (সিফাতু স্বালাতিন নাবী (সাঃ), আলবানী ১৫৮-১৫৯ পৃ:)
তিনি বলতেন, “অবশ্যই ঐ তর্জনী শয়তানের পক্ষে লোহা অপেক্ষা অধিক কষ্টদায়ক (খোঁচার দন্ড)। (আহমাদ, মুসনাদ ২/১১৯, বাযযার, মাক্বদিসী, বায়হাকী, প্রমুখ)
ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, ‘ঐ আঙ্গুলটি শয়তানের জন্য আঘাত-দন্ড। যে এইভাবে ইশারা করে, সে (নামাযে) উদাসীন হয় না।’
হুমাইদী বলেন, মুসলিম বিন আবী মারয়্যামের নিকট এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছে যে, সে শামের এক গির্জায় নামাযরত অবস্থায় কিছু নবীর ছবি দেখেছে; তাঁদের তর্জনী আঙ্গুলটি ঐরুপ ইশারা করা অবস্থায় ছিল। (মুসনাদে হুমাইদী, আবূ য়্যা’লা, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (সাঃ), আলবানী ১৫৮পৃ:)
তিনি তর্জনী দ্বারা এই ইশারা ও হ্রকত প্রত্যেক তাশাহ্হুদে করতেন। তবে ঠিক কোন্ সময়ে হ্রকত করতেন বা হিলাতেন, সে বিষয়ে কোন বর্ণনা নেই। সুতরাং যেখানেই দুআ (প্রার্থনার) অর্থ পাওয়া যাবে সেখানেই তর্জনী হিলানো সুন্নত। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/২০২) আর দুআর অর্থ না থাকলেও একটানা ক্রমাগত হিলিয়ে যাওয়া বিধেয় নয়।
তর্জনীর একটি মাত্র আঙ্গুল হিলিয়েই দুআ করা বিধেয়। মহানবী (সাঃ) এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে দুই আঙ্গুল হিলিয়ে দুআ করছে। তিনি তাকে বললেন, “একটি আঙ্গুল হিলাও, একটি আঙ্গুল হিলাও।” আর এই সঙ্গে তিনি তর্জনীর প্রতি ইঙ্গিত করলেন। (ইবনে আবী শাইবা, নাসাঈ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, বায়হাকী,হাকেম, মুস্তাদরাক, মিশকাত ৯১৩নং)
No comments:
Post a Comment