আল্লাহ তালা বলেন,
বিশ্বাসী(মু’মিন)গণ যেন বিশ্বাসী (মু’মিন)দেরকে ছাড়া অবিশ্বাসী (কাফের)দেরকে অভিভাবক (বা অন্তরঙ্গ বন্ধু)রূপে গ্রহণ না করে।[1] যে কেউ এরূপ করবে, তার সাথে আল্লাহর কোন সম্পর্ক থাকবে না। (সুরা ইমরান আয়াত ২৮)
সূরা মায়েদার ৫১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন,
হে মুমিনরা! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু এবং অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু, (তোমাদের বন্ধু নয়)। তোমাদের মধ্যে যে তাদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক বানাবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না।*” (৫:৫১)
সুরা ইমরান আয়াত ২৮ এর তাফসীর/ ব্যখ্যায় বলা হয়েছে,
[1] ওলী এমন বন্ধুকে বলা হয়, যার সাথে থাকে আন্তরিক ভালবাসা এবং বিশেষ সম্পর্ক। যেমন, *মহান আল্লাহ নিজেকে ঈমানদারদের ওলী বলে ঘোষণা দিয়েছেন। [اَللهُ ولِيُّ الَّذِيْنَآمَنُوا] ‘‘আল্লাহ হলেন ঈমানদারদের ওলী।’’
আলোচ্য আয়াতের অর্থ হল, ঈমানদারদের পারস্পরিক ভালবাসা এবং বিশেষ সম্পর্ক থাকে। তারা আপোসে একে অপরের অন্তরঙ্গ বন্ধু।
এখানে মহান আল্লাহ মু’মিনদেরকে কাফেরদের সাথে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। কারণ, কাফেররা আল্লাহর শত্রু এবং মু’মিনদেরও। সুতরাং তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা কিভাবে বৈধ হতে পারে?
বন্ধু কে? যে আপনাকে সিগারেটের আগায় আগুন ধরিয়ে দেয়? যে আপনাকে পেন ড্রাইভে পর্ণ লোড করে দেয়? যে আপনাকে ট্যাবলেট পুড়িয়ে দেয়? যে আপনাকে কোন্ রেস্তোরাঁয় আলো আঁধারি মিলবে তার হদিস দেয়? যে আপনাকে নগ্নতা কত উপায়ে করা যায় তার দীক্ষা দেয়? যে আপনাকে সেই সত্ত্বার অবাধ্যতায় উৎসাহ দেয়, যিনি আপনাকে সৃষ্টি করে আপনাকে মূল্যহীন মাংসপিন্ড থেকে মানুষ করেছেন?
এই যদি বন্ধু হয়, তবে সে কে?
যে আপনাকে নগ্নতা থেকে বাঁচাতে চায়, যে আপনাকে নেশা থেকে দূরে রাখতে চায়, যে আপনাকে আল্লাহর পথে ডাকে, যে আপনাকে রাসূলের রাস্তা চেনায়, যে আপনাকে জান্নাতে পথচলার সঙ্গী বানাতে চায়? কে সে?
এই মাংসল দেহ একদিন পচবে বন্ধু। কীট পতঙ্গ খাবে আপনার ১৩ ইঞ্চি বাইসেপ। আপনি ফুঁ টুকু দিতে পারবেন না। এতটা অসহায় হয়ে পড়বেন একদিন..
যে আপনাকে সেই অসহায় দিনে আলোর সন্ধান খুঁজে দিতে মরিয়া, তাকেই ঠেলেন দূরে, আর যে আপনাকে আঁধার থেকে ব্ল্যাকহোলের দিকে হেঁচড়ে নিয়ে যায়, তাকে ছাড়াই আপনাকে লাইফ ইম্পসিবল?
.
বন্ধু কে
লেখা – নাজমুস সাকিব [Nazmus Sakib]
No comments:
Post a Comment