প্রশ্ন: আরবি বর্ষের ‘রবিউস সানি’ মাসের এমন কোন ফজিলতপূর্ণ আমল রয়েছে কী যা কিনা মুসলিমদের জন্য পালনযোগ্য? দয়া করে জানাবেন ইনশাআল্লাহ।
উত্তর: হিজরি বর্ষপঞ্জিকার ৪র্থ মাস হল, রবিউল আখের। (এ মাসটিকে ‘রবিউস সানি’ বলার থেকে ‘রবিউল আখের’ বলা, ভাষাগতভাবে অধিক বিশুদ্ধ)। এই মাসে বিশেষ কোনো আমল বা ইবাদত হাদিসে সাব্যস্ত হয়নি। তাই এ মাস উপলক্ষে বিশেষ কোনও আমল বা ইবাদত করা শরিয়ত সম্মত নয়। তবে সাধারণভাবে অন্যান্য মাসে যে আমলগুলো রয়েছে সেগুলো এ মাসেও করা যাবে। যেমন: নতুন চাঁদ দেখার দুআ পড়া, প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, আইয়ামে বীয তথা হিজরি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে তিনটি রোজা অথবা মাসের যে কোনও দিন তিনটি রোজা রাখা ইত্যাদি। অনুরূপভাবে এ মাসেও সাধারণভাবে দান-সদকা, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, উমরা আদায় ইত্যাদি যথারীতি করা যাবে।
◈ শিয়াদের বিদআতি আমল:
২৩২ হিজরি মোতাবেক ৮৪৬ খৃষ্টাব্দে রবিউল আখের মাসের অষ্টম মতান্তরে দশম তারিখে শিয়া ইসনা আশারিয়া সম্প্রদায়ের ১১তম ইমাম হাসান আসকারীর জন্ম দিবস। (জন্মস্থান: মদিনা মুনাওয়ারা)। তাই এ উপলক্ষে তারা আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের উদ্দেশ্যে সে দিন নফল রোজা রাখে এবং বিভিন্ন ধরনের আয়োজন-অনুষ্ঠান করে থাকে। কিন্তু ইসলামে কারো জন্ম দিবস পালনের উদ্দেশ্যে বিশেষ কোনো ইবাদত-বন্দেগি বা বিশেষ কোনো আয়োজন করা ভিত্তিহীন ও বিদআতি কাজ। তাই এ জন্মদিবস পালন থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। কেননা, বিদআত মানেই ভ্রষ্টতা। যার পরিণতি, আমল বরবাদ হওয়া এবং আখিরাতে আল্লাহর রসুলের শাফায়াত থেকে বঞ্চিত হওয়া। আল্লাহ আমাদেরকে সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করার এবং বিদআত বর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।
No comments:
Post a Comment