Thursday, October 16, 2025

গান গজল বা সংগীতের সুরে কুরআন তেলাওয়াতের বিধান

 “কুন ফায়াকুন” (كن فيكون) সূরা আনআমের ৭৩ নম্বর আয়াত। অথচ এই আয়াতটিকে সংগীতের সুরে সংগীতের অংশ হিসেবে পড়া হচ্ছে! ইদানিং অনেক কথিত ইসলামি সংগীতে বা গজলের মধ্যে দুই-একটা আয়াত ঢুকিয়ে দেওয়ার ট্রেন্ডটা দেখা যাচ্ছে। অথচ ইসলামের বিধান হল, কুরআনে কারিমের কোন আয়াত গান, গজল বা সংগীতের সুরে পাঠ করা হারাম। বরং কুরআন পড়তে হবে, কূরআনের আদব রক্ষা করে, ভয়-ভীতি ও বিনয়-নম্রতা পূর্ণ হৃদয়ে এবং তারতিল সহকারে অর্থাৎ স্পষ্ট ও বিশুদ্ধ উচ্চারণে ধীরে ধীরে-যেভাবে আল্লাহ আদেশ করেছেন (দেখুন: সূরা মুজাম্মেল-এর ৪ নাম্বার আয়াতের তাফসির) এবং রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবিগণ তেলাওয়াত করতেন।

– সৌদি আরবের সাবেক প্রধান মুফতি আল্লামা আব্দুল আজিজ বিন বায বলেন,
لا يجوز للمؤمن أن يقرأ القرآن بألحان الغناء وطريقة المغنيين، بل يجب أن يقرأه كما قرأه سلفنا الصالح من أصحاب الرسول ﷺ وأتباعهم بإحسان، فيقرأه مرتلاً متحزنًا متخشعًا حتى يؤثر في القلوب التي تسمعه وحتى يتأثر هو بذلك. أما أن يقرأه على صفة المغنيين وعلى طريقتهم، فهذا لا يجوز
“একজন ইমানদারের জন্য গানের সুরে এবং গায়কদের ধাঁচে কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েজ নয়। বরং তাঁকে অবশ্যই সেইভাবে তেলাওয়াত করতে হবে, যেভাবে আমাদের নেককার পূর্বসূরিগণ তথা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবিগণ এবং উত্তমভাবে তাঁদের অনুসারীগণ তেলাওয়াত করেছেন।
সুতরাং একজন ইমানদার ব্যক্তি তারতিল (ধীরে ধীরে সুস্পষ্ট ও বিশুদ্ধ উচ্চারণে) সহকারে, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এবং বিনীতভাবে তা তেলাওয়াত করবে, যাতে তা শ্রোতার হৃদয়ে প্রভাব ফেলে এবং সে নিজেও তাতে প্রভাবিত হয়। কিন্তু গায়কদের গায়কি ধাঁচে এবং তাদের স্টাইলে তা তেলাওয়াত করা জায়েজ নয়।”
[সূত্র: মাজমূ’ ফাতাওয়া ওয়া মাকালাত-শাইখ ইবনে বায (৯/২৯০)]
▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।

No comments:

Post a Comment

Translate