Wednesday, September 10, 2025

ইমাম সুফইয়ান আস-সাওরী রাহিমাহুল্লাহ এর কিছু নাসীহাহ

 প্রখ্যাত তাবি‘ঈ, আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীস, ইমাম সুফইয়ান আস-সাওরী (রাহিমাহুল্লাহ) [জন্ম: ৯৭ হি: মৃত: ১৬১ হি] বলেন:

البكاء عشرة أجزاء ‌تسعة ‌لغير ‌الله. وواحد لله، فإذا جاء الذي لله في السنة مرة فهو كثير
“কান্নার দশটি ধরন রয়েছে। তন্মধ্যে নয় ধরনের কান্না আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন কারণে হয়। আর মাত্র এক ধরনের কান্না আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে। সুতরাং বছরে একবারও যদি আল্লাহর জন্য কান্না আসে, তবে সেটাই অনেক বেশী”।(হিলয়াতুল আওলিয়া; খণ্ড: ৭; পৃষ্ঠা: ১১)
.
আমাদের ইমাম সুফইয়ান আস-সাওরী (রাহিমাহুল্লাহ)-আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে দুনিয়ার দুঃখে কান্না করা সাধারণ বিষয়, কিন্তু আল্লাহর ভয়ে কান্না করা বিরল ও মহামূল্যবান সম্পদ। একজন মুসলিমের উচিত চেষ্টা করা যেন তার চোখ অন্তত কিছু সময় আল্লাহর ভয়ে অশ্রুসিক্ত হয়। কারণ সেই কান্নাই আখিরাতে মুক্তির আলামত। মূল বক্তব্য তিনটি দিক থেকে বুঝা যায়:
.
(ক).মানুষের কান্না সবসময় আল্লাহর জন্য হয় না।
অধিকাংশ সময় মানুষ দুনিয়ার ক্ষতি, কষ্ট, স্বজন হারানো, দুঃখ-ক্লেশ, মান-সম্মানহানি, অর্থনৈতিক বিপর্যয় ইত্যাদি কারণে কাঁদে। তাই তিনি বলেছেন কান্নার দশ ভাগের নয় ভাগই আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারণের জন্য হয়।
.
(খ).আল্লাহর জন্য কান্না খুবই বিরল। অর্থাৎ পাপের অনুশোচনা, আখিরাতের ভয়, আল্লাহর মহিমা উপলব্ধি, তাঁর সাথে হৃদয়ের সম্পর্কের কারণে যে চোখ অশ্রুসিক্ত হয় এটাই প্রকৃত “আল্লাহর জন্য কান্না”। কিন্তু তা খুব অল্প সংখ্যক মানুষের মধ্যে দেখা যায়।
.
(গ).সত্যিকারের কান্নার মূল্য অনেক বড়।তাই তিনি বলেছেন, যদি কারো জীবনে অন্তত বছরে একবারও আল্লাহর ভয়ে ও তাঁর মহিমার স্মরণে অন্তর থেকে প্রকৃত কান্না আসে, তবে সেটিই এক বিরাট নিয়ামত। কেননা সেই কান্না একজন মানুষের জন্য আল্লাহর নৈকট্যের নিদর্শন ও চূড়ান্ত সফলতার প্রমাণ।(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।

No comments:

Post a Comment

Translate