যে কোন সৎ আমল করার পর আমাদের নিকট যে বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাঁড়ায় তা হল: আমল কবুলের বিষয়; কবুল হল কি হল না। নিশ্চয়ই সৎ আমল করতে পারা বড় একটি নেয়ামত; কিন্তু অন্য একটি নেয়ামত ব্যতীত তা পূর্ণ হয় না, যা তার চেয়ে বড়। তা হল, কবুলের নিয়ামত। এটি নিশ্চিত যে, রমজানের পর এত কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে তা যদি কবুল না হয় তবে অবশ্যই এক মহা বিপদ। এর চেয়ে আর বড় ক্ষতি কী রয়েছে যদি আমলটি প্রত্যাখ্যাত হয়, আর দুনিয়া আখিরাতের স্পষ্ট ক্ষতিতে প্রত্যাবর্তন করে?
বান্দা যেহেতু জানে, অনেক আমলই রয়েছে যা বিভিন্ন কারণে গ্রহণযোগ্য হয় না। অতএব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমল কবুলের কারণ ও উপায় সম্পর্কে জানা। যদি কারণগুলো তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে এবং ক্রমাগত তার উপর অটল থাকে ও আমল করে যায়। আর যদি তা বিদ্যমান না পায় তবে এ মুহূর্তেই যে বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে তা হল, ইখলাসের সাথে সেগুলোর মাধ্যমে আমল করায় সচেষ্ট হওয়া।
❒ আমল কবুলের কতিপয় উপায়:
❒ স্বীয় আমলকে তুচ্ছ জ্ঞান করার সহায়ক বিষয়:
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আয়াতের ব্যাখ্যা করেন যে, “তারা রোজা রাখে, নামাজ আদায় করে, দান-খয়রাত করে আর ভয় করে যে, মনে হয় তা কবুল হয় না।” আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, “তোমাদের পক্ষ হতে তোমাদের আমল সমূহ কবুল হওয়ার ব্যাপারে তোমরা খুব বেশি গুরুত্ব প্রদান কর। তোমরা কি আল্লাহর বাণী শ্রবণ কর না। “নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের পক্ষ হতেই কবুল করে থাকেন।” [সূরা: মায়েদা: ২৭]
জেনে রাখুন! আমল প্রত্যাখ্যান হয়ে যাওয়ার ভয়-আশঙ্কার সাথে সাথে আমল কবুলের আশা পোষণ মানুষের জন্যে বিনয়-নম্রতা ও আল্লাহ ভীতি এনে দেয়। যার ফলে তার ঈমান বৃদ্ধি পায়। যখন বান্দার মধ্যে আশা পোষণের গুণ সাব্যস্ত হয় তখন সে অবশ্যই তার আমল কবুল হওয়ার জন্য তার প্রভুর নিকট দু হাত তুলে প্রার্থনা করে। যেমন করেছিলেন আমাদের পিতা ইবরাহিম খলিল ও তাঁর পুত্র ইসমাইল (আলাইহিমাস সালাম)। যা আল্লাহ তাআলা তাদের কাবা গৃহ নির্মাণের ব্যাপারটি উল্লেখ করে বর্ণনা করেন।
“যখন ইবরাহিম ও ইসমাইল (আলাইহিমাস সালাম) বায়তুল্লাহর ভিত্তি বুলন্দ করেন (দুআ করেন): “হে আল্লাহ, আমাদের প্রতিপালক তুমি আমাদের দুআ কবুল করেনিও।নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।” [সূরা বাকারা: ১২]
যে ব্যক্তি নেকি অর্জনের মৌসুম অতিবাহিত করার পর সৎআমলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায়, তার জন্য জরুরি হল, সে যেন সৎ আমলের ওর অবিচল থাকার গুরুত্ব, ফজিলত, উপকারিতা, তার প্রভাব, তা অর্জনের সহায়ক বিষয়ে সালাফে-সালেহীনের অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করে।
– সৎ আমলের উপর অবিচল থাকার গুরুত্ব:
ইসলামি শরিয়তে সৎ আমলের উপর অবিচল থাকার গুরুত্ব নিন্মের বিষয়গুলো হতে ফুটে ওঠে:
– সৎ আমলের উপর অবিচল থাকার প্রভাব ও উপকারিতা:
২. অলসতা-উদাসীনতা হতে অন্তরকে ফিরিয়ে রেখে সৎ আমলকে আঁকড়ে ধরার প্রতি অভ্যস্ত করা যেন ক্রমান্বয়ে তা সহজ হয়ে যায়। যেমন কথিত রয়েছে: “তুমি তোমার অন্তরকে যদি সৎআমলে পরিচালিত না কর, তবে সে তোমাকে গুনাহর দিকে পরিচালিত করবে।”
৩. এ নীতি অবলম্বন হল, আল্লাহর মোহব্বত ও অভিভাবকত্ব লাভের উপায়। যেমন হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দা নফল ইবাদতসমূহ দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করতেই থাকে, এমনকি তাকে আমি মহব্বত করতে শুরু করি।” (বুখারী)
৪. সৎআমলে অবিচল থাকা বিপদ-আপদে মুক্তির একটি কারণ। যেমন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) কে উপদেশ দেন: “আল্লাহকে হেফাজত কর (অর্থাৎ তার হুকুম-আহকামগুলো পালন কর) তবে তিনিও তোমাকে হেফাজত করবেন, আল্লাহকে হেফাজত কর তবে তুমি তাঁকে তোমার সামনে পাবে। সুখ ও সচ্ছল অবস্থায় তাঁকে চেন তাহলে তিনি তোমাকে বিপদে চিনবেন।” [মুসনাদে আহমদ]
৫. সৎ আমলে অবিচলতা অশ্লীলতা ও মন্দ আমল হতে বিরত রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ হতে বিরত রাখে।” [সূরা আনকাবূত: ৪৫]
৬. সৎ আমলে অবিচল থাকা গুনাহ-খাতা মিটে যাওয়ার একটি মাধ্যম। যেমন: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: “তোমাদের কারো দরজায় যদি একটি নদি থাকে, আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তবে তার দেহে কি কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকবে? সাহাবিগণ বলেন, না। তখন তিনি বলেন, ঠিক এমনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। আল্লাহ যার দ্বারা গুনাহ সমূহকে মিটিয়ে দেন।” (বুখারী-মুসলিম)
৮. এটি কিয়ামতের দিন হিসাব সহজ হওয়া ও আল্লাহর ক্ষমা লাভের অন্যতম উপায়।
১০. এটি জান্নাতে প্রবেশের উপায়:
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন জিনিসের দু প্রকার আল্লাহর রাস্তায় খরচ করল, তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ হতে আহ্বান করা হবে। জান্নাতের রয়েছে আটটি দরজা। সুতরাং যে ব্যক্তি নামাজি তাকে নামাজের দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে, যে ব্যক্তি জিহাদ কারী তাকে জিহাদের দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে, যে ব্যক্তির দান কারী তাকে দানের দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে এবং যে ব্যক্তি রোজাদার তাকে রাইয়ান নামক দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে।” [বুখারী-মুসলিম]
১১. যে ব্যক্তি নিয়মিত সৎ আমল করে অতঃপর অসুস্থতা, সফর বা অনিচ্ছাকৃত ঘুমের কারণে যদি সে আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে তার জন্য উক্ত আমলের সওয়াব লিখা হবে। রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “বান্দা যখন অসুস্থ হয় বা সফর করে, তবে তার জন্য অনুরূপ সওয়াব লিখা হয় যা সে গৃহে অবস্থানরত অবস্থায় ও সুস্থ অবস্থায় করত।” [সহিহ বুখারি]
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তির রাতে নামাজ ছিল কিন্তু ঘুমের কারণে তা আদায় করতে পারল না আল্লাহ তার জন্য সে নামাজের সওয়াব লিখে দিবেন এবং তার তার ঘুম হবে তার জন্য সদকা স্বরূপ। [নাসায়ী ও মুয়াত্তা মালিক-সহীহ]
❒ রমজানের পর করণীয়:
মাহে রমজান হতে আমরা কী উপকারিতা লাভ করলাম? আমরা তো কোরআনের মাস কে বিদায় জানালাম। অমরা অতিবাহিত করলাম তাকওয়ার মাস। আমরা বিদায় জানালাম ধৈর্যের মাস। যাতে আমরা আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ ও পাপাচার হতে বিরত থাকার মাধ্যমে ধৈর্যের অনুশীলন করেছি। আমরা অতিবাহিত করলাম জিহাদের মাস। ২য় হিজরির এ মাসেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল, হক ও বাতিলের পার্থক্য নিরূপণ কারী ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ। আমরা অতিবাহিত করলাম রহমতের মাস, বরকতের মাস, মাগফিরাতের মাস ও জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তির মাস (উল্লেখ্য উক্ত বিষয়গুলো একমাত্র রমজানের জন্যই নির্ধারিত নয় বরং সব সময়ের জন্য। তবে এ মাসে এ গুলোর গুরুত্ব ও ফজিলত বেশি)।
যেহেতু আমরা রমজানের প্রতিষ্ঠান হতে মুত্তাকির সনদ নিয়ে বের হলাম, তবে কি আমরা যথাযথ তাকওয়া অর্জন করতে পেরেছি?
আমরা কি আত্মা ও প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদে বিজয় লাভ করতে পেরেছি? না অপসংস্কৃতি, কুসংস্কার, বদভ্যাস, যত অনৈসলামি কৃষ্টি-কালচার আমাদের মাঝে ছেয়ে বসেছ?
আসুন, আমরা এই মহাবিদ্যালয় হতে আমাদের আমল, আখলাক চরিত্র, অভ্যাস ও ব্যবহারকে ইসলামি শরিয়ত সম্মত করি। আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ اللّهَ لاَ يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنْفُسِهِمْ
“আল্লাহ কোন জাতির অবস্থান পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা তাদেরনিজেদের অবস্থাননিজে পরিবর্তন না করে।” (আর রাদ: ১১)
❒ রমজান কেন্দ্রিক মানুষের প্রকারভেদ:
১. রমজানের পূর্বেও তারা আল্লাহর অনুগত হয়ে ইবাদত-বন্দেগি করত। রমজান মাসের আগমনে এর ফজিলত ও গুরুত্ব উপলব্ধি করে তারা আরও তৎপর হয়। তাঁদের প্রতি আমাদের আহ্বান তাঁরা যেন রমজানের পরেও আল্লাহর আনুগত্য ও অনুসরণে এবং ইবাদত- বন্দেগিতে সদা অটল থাকেন।
২. রমজানের পূর্বে তারা ছিল গাফেল-উদাসীন। রমজান মাসের আগমনে এর ফজিলত ও গুরুত্ব উপলব্ধি করে তারা তৎপর হয়। এদেরকে আমরা আহ্বান জনাই , তারা যেন রমজানের পর ইবাদত-বন্দেগি হতে পুনরায় গাফেল না হয়ে আজীবন ইবাদতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
৩. রমজান আগমন করল ও বিদায় হয়ে গেল তাদের কোন উপলব্ধি ও পরিবর্তন ঘটল না। তাদেরকে আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাই, আল্লাহরনিকট তওবা করতে ও তাঁর আনুগত্যের পথে ফিরে আসতে।
ঠিক অনুরূপ ঐ ব্যক্তির অবস্থা যে রমজানোত্তর পুনরায় পাপাচার ও অন্যায়ে ফিরে আসে এবং সৎ আমল পরিত্যাগ করে এরা কতইনানিকৃষ্ট যারা আল্লাহকে শুধুমাত্র রমজানেই স্মরণ করে।
এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,
❒ রমজানের পর অঙ্গিকার ভঙ্গ করে পাপাচারে ফিরে যাওয়ার লক্ষণ:
রমজান মাসে সৎ আমলের যথাযথ অনুশীলন করা সত্ত্বেও কৃত অঙ্গিকার ভঙ্গ করার বহু লক্ষণ রয়েছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ:
وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّى يَأْتِيَكَ الْيَقِينُ
” তুমি মৃত্যু অবধি তোমার রবের এবাদত করতে থাক।” (সুরা হিজর: ৯৯)
❒ রমজানের পর আমলের ধারাবাহিকতা রক্ষা:
রমজান অতিবাহিত হয়ে গেলেও মুমিনদের জন্য মৃত্যু পর্যন্ত আমলের ধারাবাহিকতা ছিন্ন হবে না:
✪ প্রথমত: রমজানের রোজা শেষ হলেও অবশিষ্ট মাসগুলোতে বহু নফল রোজা রয়েছে। যেমন:
(১) শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখার পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা মিলিয়ে নিলো তার পুরা বছরের রোজা রাখার সমতুল্য হল।” (মুসলিম)
কেননা সাওবান (রা.) হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত হয়েছে, রমজান মাসের রোজা দশ মাসের তুল্য আর শাওয়ালের ছয় দিনের রোজা দুই মাসের সমান। এভাবেই পূর্ণ বছরের রোজা। [ইবনে খুজাইমা ও ইবনে হিব্বান আর ইবনে জারুল্লাহর রিসালায়ে রমজান হতে গৃহীত]
আর প্রত্যেক আমলের নেকি দশগুণ বৃদ্ধি পায়। অতএব রমজান মাসের রোজা তিন শত দিনের সমান এবং শাওয়ালের ছয়টি রোজা ৬০দিনের সমান। অতএব সর্বমোট ৩৬০দিন আর হিজরি বছর হয় ৩৬০ দিনে।
(২) প্রতি চন্দ্র মাসের তিন দিন রোজা রাখা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “প্রতি মাসের তিন দিন এবং এক রমজান হতে অন্য রমজানের রোজা পূর্ণ বছর রোজা রাখার সমতুল্য। (মুসলিম) আর এ রোজা প্রতিমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রাখা উত্তম যা অন্য হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত।
(৩) প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও সোমবার রোজা রাখা: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সোম ও বৃহস্পতিবার আমলনামা আল্লাহরনিকট পেশ হয়। সুতরাং আমি পছন্দ করি যে, আমার আমল পেশ হচ্ছে এমতাবস্থায় আমি রোজা আছি।”(তিরমিযী: ৭৪৭, তিনি হাদিসটি হাসান বলেছেন)
(৪) আরাফা দিনের রোজা: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম))কে আরাফা দিনের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এই রোজা বিগত বছর ও আগামী বছরের (ছোট গুনাহের) কাফফারা হয়।” (মুসলিম)।
(৫) আশুরার রোজা: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আশুরার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “বিগত বছরের (ছোট) গুনাহের কাফফারা।” (মুসলিম)
(৬) শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখা: শবে বরাত ধারণা করে ১৫ই শাবানকে নির্ধারণ না করে এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখা যায়। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজানের পর এ মাসেই বেশি রোজা রাখতেন। ১৫ই শাবান খাস করেননি।
✪ দ্বিতীয়ত: রমজানের তারাবির নামাজ শেষ, তবে এই নামাজ তথা কিয়ামুল লাইল তাহাজ্জুদ হিসেবে সারা বছর পড়া যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ফরজ ব্যতীত সর্বোত্তম নামাজ হল রাত্রির নামাজ- তাহাজ্জুদ। (মুসলিম)
✪ তৃতীয়ত: ফরজ নামাজ সংশ্লিষ্ট ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াকাদা আদায়: জহরের পূর্বে চার রাকাত পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পর দুই রাকাত, এশার পর দুই রাকাত এবং ফজরের পূর্বের দুই রাকাত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলই হি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি ফরজ ছাড়াও ১২ রাকাত দিবা রাত্রিতে সুন্নত আদায় করল আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদনির্মাণ করবেন।” (মুসলিম)
✪ চতুর্থত: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ইরশাদ কৃত নামাজের পরে ও সকাল সন্ধ্যার দোয়া জিকির।
✪ পঞ্চমত: সাদাকাতুল ফিতর শেষ হলেও সারা বছর সাধারণ দান-সদাকা করা যায়।
✪ ষষ্ঠত: কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত সব সময়ের জন্য; শুধু রমজানের জন্য নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যারা কুরআন হতে একটি অক্ষর পড়ল তার জন্য একটি নেকি, আর একটি নেকি দশগুণে বর্ধিত হয়। আমি বলি না যে “আলিফ লাম মিম” মাত্র একটি অক্ষর বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, ও মিম একটি অক্ষর।” [তিরমিযী:২৯১০, তিনি হাদিসটি সহীহ হাসান বলেছেন] তিনি আরও বলেছেন: “তোমরা কুরআন পাঠকর, কেননা তা কিয়ামতের দিন পাঠকারীদের জন্য শাফায়াত কারী হিসেবে আসবে।” (মুসলিম)
No comments:
Post a Comment