● বৃহত্তম কবিরা গুনাহ কী ?
“আমি কি তোমাদেরকে বৃহত্তম কবীরা গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না সাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই বলবেন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শিরক করা!
[সহিহ বুখারি, হাঃ নং ৫৯৭৬; সহিহ মুসলিম, হাঃ নং ৮৭]
শিরক ব্যতীত প্রত্যেক পাপের ক্ষেত্রেই আল্লাহ তাআলার ক্ষমা প্রাপ্তির একটি সম্ভাবনা আছে। তাওবাই শিরকের একমাত্র প্রতিকার। আল্লাহ বলেছেন,
{ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻟَﺎ ﻳَﻐۡﻔِﺮُ ﺃَﻥ ﻳُﺸۡﺮَﻙَ ﺑِﻪِۦ ﻭَﻳَﻐۡﻔِﺮُ ﻣَﺎ ﺩُﻭﻥَ ﺫَٰﻟِﻚَ ﻟِﻤَﻦ ﻳَﺸَﺎٓﺀُ}
▒ সূরা আ’রাফের ৯৯নং আয়াতের তাফসীর। এবং সূরা হিজরের ৫৬ নং আয়াতের তাফসীর। ▒
১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,
{أَفَأَمِنُوا مَكْرَ اللَّهِ فَلَا يَأْمَنُ مَكْرَ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْخَاسِرُونَ}. ﴿الاعراف : ۹۹﴾
২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেছেন,
{وَمَنْ يَقْنَطُ مِنْ رَحْمَةِ رَبِّهِ إِلَّا الضَّالُّونَ : ألحجر }
৩। ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্নিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামকে কবীরা গুনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাবে বলেছেন, ‘কবীরা গুনাহ হচ্ছে .
{ألشرك بالله، واليأس من روح الله، والأمن من مكر الله.}
‘‘আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া এবং আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করা।’’
৪। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেন,
{أكبر الكبائر : الإشراك بالله، والأمن من مكر الله والقنوط من رحمة الله واليأس من روح الله. (رواه عبد الرزاق}
‘‘সবচেয় বড় গুনাহ হচ্ছে : আল্লাহর শাস্তি হতে নিজেকে নিরাপদ মনে করা, আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া এবং আল্লাহর করুণা থেকে নিজেকে বঞ্চিত মনে করা।’’
এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় .
১। সূরা আ’রাফের ৯৯নং আয়াতের তাফসীর।
২। সূরা হিজরের ৫৬ নং আয়াতের তাফসীর।
উসমান ইবনু আবূ শায়বা ও ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যাক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ কোনটি? তিনি বললেন, তুমি আল্লাহর জন্য সমকক্ষ সাব্যস্ত করবে অথচ তিনই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। সে বলল, তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার সন্তানকে এ আশঙ্কায় হত্যা করবে যে, সে তোমার আহারের সঙ্গী হবে। সে বলল, তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে! এ উক্তির সমর্থনে আল্লাহ তাঁআলা নাযিল করেনঃ আর তারা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহকে ডাকে না, আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যে ব্যাক্তি এগুলো করে, সে শাস্তি-ভোগ করবে।
No comments:
Post a Comment