Sunday, May 19, 2024

নবী আইয়ুব (আ) এর ধৈর্যশীলতা

 

 স্মরণ কর আইয়ুবের কথা, যখন তিনি তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করে বলেছিল- আমি দুঃখ-কষ্টে নিপতিত হয়েছি, আপনি তো দয়ালুদের সর্বশ্রেষ্ট দয়ালু। অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁর দুঃখকষ্ট দূর করে দিলাম। আর তাঁর পরিবরাবর্গ ফিরিয়ে দিলাম, আর তাদের সাথে তাদের মত আরো দিলাম আমার পক্ষ হতে রহমত স্রূপ, আর এটা ইবাদত কারীদের জন্যে উপদেশ স্বরূপ। -[ক্বুরআন ২১ : ৮৩-৮৪]

ঐতিহাসিক ও তাফসীরকারকগণ বলেছেন, হযরত আইয়ুব (আ) ছিলেন সে কালের একজন বড় ধনাঢ্য ব্যক্তি। দাস-দাসী এবং হাওরান অঞ্চলের বুছায়না এলাকার বিশাল জমির মালিকানা ছিল তার হস্তগত।

বনে আসাকির (র) বর্ণনা করেন, হযরত আইয়ুব (আ) এর ঐ সব সম্পদ ছাড়াও আরও ছিল প্রচুর সন্তান ও পরিবার-পরিজন। পরে এ সব কিছু তাঁর থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নানা প্রকার দৈহিক ব্যাধি দ্বারা তাকে পরীক্ষায় ফেলা হয়। শরীরের সর্ব অংগে রোগ ছিল এত ব্যাপক যে, জিহ্বা ও হৃৎপিন্ড ব্যতীত কোন একটি স্থানও অক্ষত ছিল না। এ দুই অংগ দ্বারা তিনি আল্লাহর যিকির করতেন।

রোগ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় বন্ধু-বান্ধব, আপনজন তাঁর কাছ থেকে সরে যেতে থাকে। অবশেষে তাঁকে শহরের বাইরে এক নোংরা স্থানে ফেলে রাখা হয়। একে একে সবাই তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একমাত্র স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ তাঁর খোঁজ-খবর রাখত না। স্বামীর অধিকার, তাঁর পূর্বের ভালোবাসা ও অনুগ্রহের কথা মনে রেখে স্ত্রী তাঁর সেবায় নিয়োজিত থাকেন।

অতঃপর আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা'আলা নবী আইয়ুব (আ) এর ধৈর্যশীলতার পুরস্কারস্বরূপ তাকে রোগ থেকে আরোগ্য দান করেন, তার পরিবার-পরিজন এবং ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দেন।


তথ্যসূত্র: আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১ম খণ্ড

No comments:

Post a Comment

Translate