প্রশ্ন: যে সব T-shirt-এর উপর আরবিতে আল্লাহর নাম, দুআ, জিকির ইত্যাদি বিভিন্ন ইসলামিক শব্দ গুলো লেখা আছে (যেমন: সুবহানাল্লাহ, আল হামদুলিল্লাহ ইত্যাদি) সেগুলো কি ব্যবহার করা জায়েজ? কারণ মানুষ এগুলো পরে তো বাথরুমেও যায়।
❑ বিজ্ঞ আলেমদের ফতোয়া:
নিম্নে উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তরে দু জন বিজ্ঞ আলেমের ফতোয়া উল্লেখ করা হলো:
✪ ১. আল্লামা শাইখ আব্দুল আজিজ বিন বায (রাহ.)
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা আব্দুল আজিজ বিন বায রাহ. এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন,
الثياب التي يكون فيها أسماء الله أو آيات لا يجوز لبسها؛ لأنها وسيلة إلى أن تمتهن أو يصيبها النجاسة من حيض أو غيره، أو تلقى فيطأ عليها الناس أو يجلس عليها الناس؛ فلهذا حرم لبسها وحرم جعلها وسائد أو بسط؛ لأن هذا يفضي إلى امتهانها بالقعود عليها والوطء عليها ونحو ذلك
“যেসব কাপড়ে আল্লাহর নাম বা কোরআনের আয়াত লেখা থাকে, সেগুলো পরিধান করা বা বালিশ, চাদর ইত্যাদি হিসেবে ব্যবহার করা জায়েজ নয়। কারণ, এতে আল্লাহর নাম ও আল্লাহর কালামের অবমাননা হতে পারে কিংবা হায়েজের রক্ত বা অন্যান্য নাপাক জিনিস লাগতে পারে। অথবা এগুলো এমন জায়গায় পড়ে থাকতে পারে যেখানে মানুষ এগুলোর উপরে বসবে বা সেগুলোকে পদদলিত করবে…ইত্যাদি।” [binbaz]
✪ ২. আল্লামা শাইখ সালেহ আল ফাউজান (হাফিযাহুল্লাহ)
বর্তমান সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফকিহ আল্লামা শাইখ সালেহ আল ফাউজান (হাফিযাহুল্লাহ) কে প্রশ্ন করা হয়, “যেসব কাপড়ে আল্লাহর নাম বা ‘আল্লাহু আকবার’ লেখা থাকে সেগুলো পরা জায়েজ কিনা?
উত্তরে তিনি বলেন,
هذا لا يجوز؛ لأن فيه امتهانا لذكر الله عز وجل، فكتابة اسم الله ولفظِ الجلالة على الملابس لا يجوز لما فيه من الاستهانة باسم الله سبحانه وتعالى ؛ لأن هذه الملابس تكون على الأطفال الذين لا يتحرزون من النجاسة وتكون على الإنسان وهو يدخل بيت الخلاء وقضاء الحاجة وقد يخلع هذا الثوب ويداس أو يمتهن، وأسماء الله جل وعلا تعظم وذكره يعظم من الامتهان
No comments:
Post a Comment