নিঃসন্দেহে তওহিদের পরে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত হল সালাত। সুতরাং এই সালাতের ইমামতির দায়িত্বও অতি মর্যাদাপূর্ণ।
◈ যে ইমামতি করবে তার মধ্যে যে সকল আবশ্যকীয় যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন সেগুলো হল:
ইসলামের দৃষ্টিতে ইমাম হওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ওই ব্যক্তি যে কুরআন তিলাওয়াতে সবচেয়ে বেশি পারদর্শী।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ
“কওমের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি ভালো আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করতে পারে (যে শুদ্ধ উচ্চারণে তারতিলের সাথে সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারে অথবা যার অধিক পরিমাণে কুরআন মুখস্থ রয়েছে) সেই ইমামতি করবে।” [সহীহ মুসলিম]
সুতরাং যার তিলাওয়াত শুদ্ধ নয় বা যার তিলাওয়াতে মারাত্মক ভুল (لحن جلي) রয়েছে তাকে ইমামতি বা খতিব হিসেবে কোথাও নিয়োগ দেওয়া উচিত নয় যদিও তার আকিদা-মানহাজ সঠিক হয়, যদিও সে নামিদামি বক্তা, লেখক গবেষক বা ওয়ায়েজ হয়।
বরং আকিদা মানহাজ বিশুদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি যে তিলাওয়াতে অধিক পারদর্শী কিংবা কুরআন মজবুতভাবে মুখস্থ রাখে সেই মসজিদের ইমাম হওয়ার সর্বাধিক উপযুক্ত ব্যক্তি।
● ৪. সুন্নাহ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখা। কমপক্ষে সালাতের মৌলিক বিধিবিধানগুলো সম্পর্কে জানা যেন সুন্নাহ ভিত্তিক সঠিক নিয়মে সালাত পড়াতে সক্ষম হয়।
◈ তার মধ্যে আরও যে সকল গুণাবলী থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: (১০টি)
No comments:
Post a Comment