প্রশ্ন: আল্লাহ তো বলেছেন মুমিন নারী এবং পুরুষ কে তাদের দৃষ্টি হেফাজত করতে। অনিচ্ছাকৃত চোখ পরে যাওয়া গুনাহ নয় তাহলে আমরা অনলাইনে আলেম ওলামাদের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক লেকচার শোনার সময়,অনেক সময় এমন হয় যে,এক দৃষ্টিতে আলেমদের মুখের দিকে তাকিয়ে লেকচার শুনি। তখন শুধু উনারা কি বলছেন সেদিকেই মনোযোগ থাকে। এখন আমার জিজ্ঞাসা হলো, এতে কি একজন নারীর গুনাহ হবে?
✪ একদল আলেমের মতে নারীদের জন্য আলেমদের চেহারার দিকে তাকিয়ে বক্তৃতা শোনায় কোন দোষ নেই। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নারী সাহাবিগণ বিভিন্ন প্রশ্ন করতেন, ইসলাম শিখতেন এবং প্রয়োজনীয় কথা বলতেন। এক্ষেত্রে তারা তার চেহারার দিকে তাকাতেন।
আরো প্রমাণিত হয়েছে যে, মা জননী আয়েশা ঈদের দিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে হাবশী বা নিগ্রো পুরুষদের সমরাস্ত্রের খেলা দেখেছেন। যেমন: উরওয়া আয়েশা রা. হতে বর্ণনা করেন যে,
كَانَ الْحَبَشُ يَلْعَبُونَ بِحِرَابِهِمْ فَسَتَرَنِي رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَنْظُرُ فَمَا زِلْتُ أَنْظُرُ حَتّٰى كُنْتُ أَنَا أَنْصَرِفُ فَاقْدُرُوا قَدْرَ الْجَارِيَةِ الْحَدِيثَةِ السِّنِّ تَسْمَعُ اللَّهْوَ.
“একদিন হাবশিরা তাদের বর্শা নিয়ে খেলা করছিল। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিয়ে পর্দা করে তার পেছনে দাঁড় করিয়ে ছিলেন এবং আমি সেই খেলা দেখছিলাম। যতক্ষণ আমার ভাল লাগছিল ততক্ষণ আমি দেখছিলাম। এরপর আমি স্বেচ্ছায় সে স্থান ত্যাগ করলাম। সুতরাং তোমরা অনুমান করতে পার কোন্ বয়সের মেয়েরা আমোদ-প্রমোদ পছন্দ করে।” [সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন), অধ্যায়: ৬৭/ বিয়ে-শাদি, পরিচ্ছেদ: ৬৭/৮৩. পরিবার-পরিজনের সঙ্গে উত্তমব্যবহার]
✪ আর কিছু আলেমের মতে, সাধারণ অবস্থাতেও নারীদের জন্য পর পুরুষের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা জায়েজ নেই। কেননা আল্লাহ যেভাবে পুরুষদেরকে আদেশ করেছেন নারীদের থেকে দৃষ্টি নত রাখতে ঠিক তেমনি ভাবে নারীদেরকেও আদেশ করেছেন পুরুষদের দিকে দৃষ্টি নত রাখতে। [সূরা নূর: ৩১]
No comments:
Post a Comment