➤(১) কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য: কুরবানী করা একটি মহান ইবাদাত।কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য আল্লাহভীতি অর্জন করা।কুরবানী হতে হবে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে। কে কত বড় কুরবানী দিল, কার কুরবানী দেখতে কত সুন্দর, কতটা মোটাতাজা, এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দেখেন না। বরং তিনি দেখেন মানুষের অন্তর ও তাক্বওয়া।মহান আল্লাহ বলেন, এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু তার কাছে পৌঁছে তোমাদের তাক্বওয়া’ (সূরা হজ্জ, ৩৭)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(ছা.) বলেছেন,নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের বাহ্যিক গঠন ও বিত্ত-বৈভবের দিকে দেখেন না; বরং তিনি দেখেন তোমাদের অন্তর ও আমল’।(সহীহ মুসলিম, হা/২৫৬৪; মিশকাত, হা/৫৩১৪ ]
Sunday, July 9, 2023
এক নজরে কুরবানী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ৩২ টি মাসআলা বিস্তারিত বর্ননা সহ
ঈদুল আযহার ইতিহাস, গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং এই দিনে করণীয়-বর্জনীয় কাজসমূহ
➤ভূমিকা: মুসলিম উম্মার জন্য বছরে শরী‘আত সম্মত দু’টি ঈদ রয়েছে। আর তা হল ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।ঈদ’ (عيد) শব্দটি আরবী,যা ‘আউদুন’ (عود) মাছদার থেকে এসেছে। শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো— উৎসব, পর্ব, ঋতু, মৌসুম, প্রত্যাবর্তন, প্রত্যাগমন ইত্যাদি। প্রতি বছর ঘুরে ঘুরে আসে বলে একে ‘ঈদ’ বলা হয়।(আল-মু‘জামুল ওয়াফী আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধান পৃষ্ঠা:৭২৬। আল ফিক্বহুল মানহাজী, ১/২২২)
কুরবানির দিনে কুরবানির পশু জবাই হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু না খেয়ে থাকার কি কোনো নিয়ম আছে এবং থাকলে এটি কার জন্য প্রযোজ্য
বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমানিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঈদুল ফিতরের দিন কিছু না খেয়ে সালাতের জন্য বের হতেন না,আর কুরবানীর ঈদে সালাতের আগে কিছু খেতেন না। দলিল বুরায়দা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিৎর-এর দিন কিছু না খেয়ে ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হতেন না। আর ঈদুল আযহার দিন সালাত শেষ না করে কিছু খেতেন না’ (তিরমিযী, হা/৫৪২; মিশকাত, হা/১৪৪০ ইবনু খুযায়মাহ হা/ ১৪২৬, মুসতাদরাক লিল হাকিম হা/ ১০৮৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬১৫৯ সহীহ ইবনু হিব্বান ২৮১২, সহীহ আল জামি‘ ৪৮৪৫ বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৩৫৬, ৩/২২৪ পৃ. সনদ সহীহ)।
প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের ফজিলত
প্রশ্ন: প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের ফজিলত কি? সালাতে প্রথম কাতারে নিজের জন্য একটি স্থান সংরক্ষিত রাখা এবং দীর্ঘ সময় তা থেকে দূরে থাকার বিধান কি?
একজন ধূমপায়ী ব্যক্তি ধূমপান করার সময় তার পাশে বসে থাকার হুকুম কি
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] প্রশ্ন করা হয়েছিল: শাইখ ধূমপান সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি কারো অজানা নয়; কর্মস্থলে, বাড়ীতে ও পাবলিক স্থানগুলোর সবখানে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ধূমপায়ীদের সাথে বসে থাকা কি জায়েয? কোন ধূমপায়ীর সাথে আপনি নিজগৃহে কিংবা সাধারণ স্থানে বসে থাকলে তাকে রেখে কি উঠে যেতে হবে কিংবা সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে হবে?
আমার ধারণা আপনি যদি তাকে কোমল কথা দিয়ে উপদেশ দেন সে শুনবে; এটি পরীক্ষিত। আমাদের যেমন এ ধরণের অভিজ্ঞতা আছে; অন্যদেরও অভিজ্ঞতা আছে। যদি এরপরও তিনি ধূমপান চালিয়ে যান তাহলে আপনার কর্তব্য হবে তাকে ছেড়ে চলে যাওয়া; আল্লাহ তাআলার সে বাণীর কারণে: “কিতাবে তিনি তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে, আল্লাহর আয়াত প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে এবং তা নিয়ে বিদ্রূপ করা হচ্ছে, তখন যে পর্যন্ত তারা অন্য প্রসঙ্গে লিপ্ত না হবে তোমরা তাদের সাথে বসো না, নয়তো তোমরা তাদের মত হবে।”[সূরা নিসা৪/ ১৪০] তবে, পাবলিক স্থানগুলোর ক্ষেত্রে এ বিধান। আর কর্মস্থলের ক্ষেত্রে আপনি যদি তাকে নসীহত করেন কিন্তু সে না শুনে এতে করে উক্ত চাকুরীতে বহাল থাকলে আপনার গুনাহ হবে না। কারণ এক্ষেত্রে আপনি নিরুপায়; আপনি এ অবস্থাকে এড়াতে পারবেন না। (শাইখ উসাইমীন লিকাউল বাব আল-মাফতুহ’,৫৪/১০১ ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১৮২২) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
মুসলিম কবিরা গুনাগাহর ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিশুদ্ধ আক্বীদা
প্রশ্ন: মুসলিম কবিরা গুনাগাহর ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিশুদ্ধ আক্বীদা কি? তারা কি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে?
আযল কি এবং ইসলামী শরীয়তে আযল অথবা জন্মনিয়ন্ত্রণের বিধান কি
ভূমিকা: আযল (العزل) শব্দের অর্থ হলো বিরত থাকা, আলাদা করা ইত্যাদি।যেমন আরবিতে বলা হয় –عَزَل الشَّيءَ عن غيره) সে একটি বস্তুকে অন্য বস্তু থেকে পৃথক করেছে। পরিভাষায়: আযল হল সহবাসের সময় পুরুষাঙ্গ স্ত্রীর গোপনাঙ্গের ভেতর থেকে বের করে নেওয়া যেন শুক্র স্ত্রী অঙ্গের ভেতরে স্খলিত হওয়ার পরিবর্তে বাইরে স্খলিত হয়। যার উদ্দেশ্য স্ত্রীকে গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখা।অন্যভাবে বলা চলে আযল হলো জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি ন্যাচারাল পদ্ধতি। যেখানে সহবাসের সময় স্বামীর বীর্য নির্গত হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসলে স্ত্রীর যৌনি থেকে লিঙ্গ বের করে নিয়ে আসা হয়।শারীরিক অসুস্থতা অথবা দুই সন্তানের মাঝে প্রয়োজনীয় ব্যবধান রাখার ক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে আযল করা শরী‘আতে বৈধ।আযল জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কৌশল মাত্র। তবে বিশ্বাস রাখতে হবে যে,মহান আল্লাহ চাইলে আযল করার পরেও গর্ভে সন্তান আসতে পারে। কেননা হাদীসে এসেছে,জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, যখন কুরআন মাজিদ নাযিল হচ্ছিল তখন আমরা আযল করতাম। (সহীহ বুখারী, হা/৫২০৮; সহীহ মুসলিম, হা/১৪৪০; তিরমিযী, হা/১১৩৭; মিশকাত, হা/৩১৮৪)।
ইচ্ছাপূর্বক মিথ্যা বলার নানাবিধ কারণ
ইচ্ছাপূর্বক মিথ্যা বলার নানাবিধ কারণ রয়েছে। তন্মধ্যে নেতৃত্বের লোভ একটি, বিস্তারিত জানতে পুড়ুন:
▬▬▬✿◈✿▬▬▬
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
পুরপুরুষের উপস্থিতিতে মহিলাদের সালাত আদায় করার বিধান
পুরপুরুষের উপস্থিতিতে মহিলাদের সালাত আদায় করার বিধান। (প্রসঙ্গ: সমুদ্র সৈকতে পরপুরুষের সামনে এক মহিলার সালাত আদায়ের ভাইর্যাল ভিডিও)
قَدْ عَلِمْتُ أَنَّكِ تُحِبِّينَ الصَّلَاةَ مَعِي، وَصَلَاتُكِ فِي بَيْتِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِي حُجْرَتِكِ، وَصَلَاتُكِ فِي حُجْرَتِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلَاتِكِ فِي دَارِكِ، وَصَلَاتُكِ فِي دَارِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلَاتِكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ، وَصَلَاتُكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلَاتِكِ فِي مَسْجِدِي
“আমি জানি, তুমি আমার সাথে সালাত আদায় করতে ভালবাসো। কিন্তু তোমার জন্যে তোমার নিজের ক্ষুদ্র কক্ষে সালাত আদায় করা, বাড়িতে (প্রশস্ত ঘরের মধ্যে) সালাত আদায়ের চেয়ে উত্তম। আর বাড়িতে সালাত আদায় করা, বাড়ির উঠানে সালাত আদায়ের চেয়ে উত্তম। নিজ বাড়ির উঠানে সালাত আদায় করা মহল্লার মসজিদে সালাত আদায়ের চেয়ে উত্তম। আর মহল্লার মসজিদে সালাত আদায় করা আমার মসজিদে (মসজিদে নববীতে) সালাত আদায়ের চেয়ে উত্তম।’’ তারপর উম্মে হুমাইদ রা. এর কথামত তার জন্যে নিজ ঘরের ভিতরে অন্ধকার স্থানে সালাত আদায় করেছেন। [হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমদ ৬/৩৭১, ইবনে খুযায়মা ৩/৯৫, ইবনে হিব্বান ৪/২২-হাসান]
দ্বিতীয়ত: যদি কোনও বিশেষে পরিস্থিতিতে পরপুরুষের সামনে সালাত আদায়ের প্রয়োজন হয় তাহলে তা জায়েজ আছে। তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে, লোক চক্ষুর আড়ালে গিয়ে সালাত আদায় করার। যেমন: কোন ঘর, ঝোপঝাড় বা গাড়ি ইত্যাদির আড়ালে। কমপক্ষে চেষ্টা করবে তুলনামূলক যেখানে লোকসমাগম কম সেখানে সালাত আদায় করার। কিন্তু এমন পরিস্থিতি না থাকলে পরপুরুষের সামনেই পূর্ণাঙ্গ পর্দা সহকারে সালাত আদায় করা যাবে। এ ক্ষেত্রে মুখমণ্ডল এবং হাত সহ পুরো শরীর ভালোভাবে ঢাকবে। এই অজুহাতে সালাত ছেড়ে দেওয়া বৈধ নয়। কারণ ইসলামে সালাতের মর্যাদা অপরিসীম। শরিয়তের ওজর ব্যতিরেকে তা তার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করে পড়া জায়েজ নাই।
আর মহিলাদের কর্তব্য হল, বাইরে যাওয়ার সময় বোরকা দ্বারা পুরো শরীর আবৃত করা। কিন্তু যদি কখনো বোরকা না থাকে এবং সালাতের সময় হয়ে যায় তাহলে সে যে পোশাকে আছে সে পোশাকেই সারা শরীর ভালোভাবে ঢেকে সালাত আদায় করবে।
❑ সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটির ফতোয়া:
ইসলামের দৃষ্টিতে কবিতা চর্চার বিধান ও শর্তাবলী
প্রশ্ন: ইসলামের দৃষ্টিতে কবিতা চর্চার বিধান কী?
▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: নিম্নে ইসলামের দৃষ্টিতে কবিতা চর্চার বিধান, প্রশংসনীয় কবিতা ও নিন্দনীয় কবিতা এবং কবিতা চর্চা বৈধ হওয়ার শর্তাবলী সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল: وبالله التوفيق
– আল্লামা আব্দুর রাহমান বিন সাদি রহ. এই আয়াতের তাফসিরে বলেন,
أَلَمْ تَرَ ) غوايتهم وشدة ضلالهم ( أَنَّهُمْ فِي كُلِّ وَادٍ ) من أودية الشعر، ( يَهِيمُونَ ) فتارة في مدح, وتارة في قدح, وتارة في صدق، وتارة في كذب، وتارة يتغزلون, وأخرى يسخرون, ومرة يمرحون, وآونة يحزنون, فلا يستقر لهم قرار, ولا يثبتون على حال من الأحوال.
“(পথভ্রষ্ট ও সত্য চ্যুত কবিরা) কবিতার সব উপত্যকায় ঘুরে বেড়ায়। কখনো প্রশংসা, কখনো কুৎসা, কখনো সত্য, কখনো মিথ্যা, কখনো প্রেম-প্রণয়, কখনো তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, একবার আনন্দ-বিনোদন তো আরেকবার দুঃখ গাঁথা (এভাবে তারা সব উপত্যকায় উদভ্রান্তের মত উদ্দেশ্যহীণভাবে বিচরণ করে।) মোটকথা, তারা কোন একটি সিদ্ধান্তের উপর অবিচল থাকে না বা এক অবস্থার উপর উপর স্থির থাকে না।” [তাফসিরে বিন সাদি]
❑ কবিতা চর্চার কতিপয় শর্তবলী:
❑ উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইসলামি শরিয়তে কাব্যচর্চার বিধান প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে তাফসিরে ফাতহুল মাজিদে বলা হয়েছে:
পূর্বের আলোচনা থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেল কবিতা ও কবি দু প্রকার। যথা:
✪ ২. যে সব কবিতায় অসত্য, বেহায়া, অশ্লীল ও শরিয়ত গর্হিত কোন কথা নেই এবং আল্লাহ তাআলার জিকির, ইবাদত ও কুরআন থেকে গাফেল রাখে না বরং ঈমান ও আমলের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে, জি/হা/দের প্রতি প্রেরণা যোগায় তা ভালো ও প্রশংসনীয়। এরূপ কবি ও কবিতা উভয়কে আল্লাহ তাআলা ও রসূল প্রশংসা করেছেন। যেমন: সূরা শুয়ারা-এর ২২৭ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
– রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একজন কবি ছিলেন যার নাম হাসসান বিন সাবেত রা.। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পক্ষে কাফিরদের কবিতার প্রত্যুত্তর দিতেন। মদিনায় দশ জন সাহাবি কবি ছিলেন। [তাফসিরে কুরতুবি]।
◈ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবি হাসসান বিন সাবিত রা.-এর উদ্দেশ্যে দুআ করেছেন:
হাসসান ইবনে সাবিত রা. হতে বর্ণিত। তিনি বললেন, হে আবু হুরায়রা, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি। আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছেন যে,
يَا حَسَّانُ أَجِبْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ
অর্থ: “হে কাফির সম্প্রদায়! তাঁর রাস্তা ছেড়ে দাও। তার প্রবেশে বাধা দিলে তোমাদেরকে আঘাত করবো। এমন আঘাত, যা মাথা স্থানচ্যুত করে দেবে এবং বন্ধুকে বন্ধুর কথা তুলিয়ে দেবে।”
তারপর তাকে উমর রা. বললেন, হে ইবনে রাওয়াহা! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে হারাম শরিফে তুমি কবিতা আবৃত্তি করছ! তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। এই কবিতা কাফিরদের অন্তরে তীর নিক্ষেপের চেয়ে দ্রুত প্রভাব বিস্তারকারী।”
[সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), অধ্যায়: ২৪/ হজ্জের নিয়ম-পদ্ধতি, পরিচ্ছেদ: ১০৯. ইমামের সামনে দিয়ে হারামে কবিতা পাঠ করা ও হাঁটা-চলা করা]
❑ আল্লামা আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ. বলেন,