কাউকে বিদায় দিতে সচারাচর আমরা ‘ফি আমানিল্লাহ’ শব্দটি ব্যাবহার কারে থাকি। বিদায় দেয়ার দোয়া হিসেবে আমরা শব্দটিকে নির্ধারন করেছি। কিন্তু দ্বীনের মানদন্ডে এর ভিক্তি কতটুকু তা কি কখনো ভেবে দেখেছি?
—
আল্লাহর রাসূল ﷺ হতে বিদায়ের দোয়া সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। আমরা যদি প্রকৃত পক্ষেই আল্লাহর নিরাপত্তা ও রহমত কামনা করি সেক্ষেত্রে কি রাসূলের শিখানো দোয়ার মরতবা বেশী হবে না? *আল্লাহর রাসূল ﷺ কাউকে বিদায় দেয়ার সময় বলতেন— ❝আস্তাউদি’উল্লা-হা দ্বীনাকা, ওয়া আমা-নাতাকা, ওয়া খাওয়া তীমা আ’মালীকা*।❞ [সহীহাহ হাঃ ১৬, ২৪৮৫, সূনান আত তিরমিজী, অধ্যায়: ৪৫/ দু”আসমূহ, হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪২, মান: সহীহ]
{أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَآخِرَ عَمَلِكَ}
আসুন দ্বীনি ভাই-বোনেরা, আমরা আল্লাহর রাসূলের ﷺ শেখানো পদ্ধতিতে প্রিয়জনকে বিদায় দেই। তাতে করে একটি মৃত সুন্নাহ উজ্জীবিত হবে এবং আল্লাহর তরফ হতেও মিলবে নিরাপত্তা, রহমত ও সফলতা। আল্লাহর রাসূল ﷺ আরো বলেন— “যে আমার সুন্নাতকে যিন্দা করে সে আমাকে ভালবাসে। আর যে আমাকে ভালবাসে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।” [সুনানে তিরমিযী, ২৬৭৮]
باب حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ سَفَرًا فَزَوِّدْنِي . قَالَ ” زَوَّدَكَ اللَّهُ التَّقْوَى ” . قَالَ زِدْنِي . قَالَ ” وَغَفَرَ ذَنْبَكَ ” . قَالَ زِدْنِي بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي . قَالَ ” وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
৩৪৪৪। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এক লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সফরে যাওয়ার ইচ্ছা করেছি। সুতরাং আপনি আমাকে পাথেয় দিন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তোমাকে তাকওয়ার পাথেয় দান করুন। সে বলল, আরো বেশি দিন। তিনি বললেনঃ তোমার গুনাহ আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করুন। সে বলল, আমার মাতা-পিতা আপনার প্রতি উৎসর্গ হোক! আমাকে আরো বেশি দান করুন। তিনি বললেনঃ তিনি (আল্লাহ তা’আলা) তোমার জন্য মঙ্গলকে সহজতর করুন, তুমি যেখানেই থাক।
হাসান সহীহঃ আল-কালিমুত তাইয়্যিব তাহকীক সানী (হাঃ ১৭০)।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব।
*হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)*
সহীহঃ প্রাগুক্ত।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ এবং সালিম ইবনু আবদুল্লাহর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব।
*হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)*
باب مَا يَقُولُ إِذَا وَدَّعَ إِنْسَانًا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ السُّلَيْمِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا وَدَّعَ رَجُلاً أَخَذَ بِيَدِهِ فَلاَ يَدَعُهَا حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ هُوَ يَدَعُ يَدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَيَقُولُ “ أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَآخِرَ عَمَلِكَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .
৩৪৪২। ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, কোন লোককে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় দেয়ার সময় তাকে নিজের হাতে ধরতেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজের হাত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে না ছাড়াতেন সে পর্যন্ত তিনিও তার হাত ছাড়তেন না। তিনি বলতেনঃ “তোমার দ্বীন, ঈমান ও সর্বশেষ আমালের ব্যাপারে আমি আল্লাহ তা’আলাকে আমানতদার নিযুক্ত করলাম”৷
সহীহঃ সহীহাহ (হাঃ ১৬, ২৪৮৫), আল-কালিমুত তাইয়্যিব তাহকীক সানী (হাঃ ১৬৯/১২২)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপর্যুক্ত সনদ সূত্রে গারীব। এ হাদীস ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২৭৭১)।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান।
*হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)*
No comments:
Post a Comment