জাবের বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
উল্লেখিত হাদীস সম্পর্কে শাইখ আলবানি (রহঃ) বলেনঃ
“সম্মানিত সাহাবী আমাদেরকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন যে, দু’আর জন্য বুধবার দিবসের ঐ সময়টি ছিল রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পক্ষ থেকে উদ্দেশিত সময়। উপস্থিত ব্যক্তি যা দেখতে ও জানতে পারে, অনুপস্থিত ব্যক্তি তা দেখতে ও জানতে পারে না। আর স্বচক্ষে দেখা সংবাদের মত সঠিক ও সত্য অন্য কোনো সংবাদ হতে পারে না। এই সাহাবী (রাঃ) যদি আমাদেরকে সংবাদটি না জানাতেন, তবে হয়তো আমরা বলতাম যে আকস্মিকভাবে ঐ দিবসে ঐ সময়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’আ করেছেন এবং তাঁর দু’আ কুবল হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, উক্ত সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে যা করতে দেখেছেন তা দিবস ও সময় অনুযায়ী নিজে আমল করেছেন এবং তিনি তার ফলও পেয়েছেন। অতএব এ সাহাবীর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম যে, এটা একটা সুন্নাতী আমল।”
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তায়মিয়া (রহঃ) বলেনঃ
“আমাদের একদল বিদ্বান এই হাদীসের প্রতি আমল করে এই দিবসের এই সময়ে দু’আ করতে প্রয়াস চালাতেন। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে জাবের (রাঃ) থেকে। কিন্তু জাবের (রাঃ) থেকে একথা বর্ণিত হয়নি যে, তিনি দু’আর জন্য স্থানটিকে উদ্দেশ্য করতেন বরং তিনি শুধু সময়টিকেই অনুসন্ধান করতেন।” (ইক্বতেযা সিরাতুল মুসতাকীম ১/ ৪৩৩)
ইমাম বায়হাকী (রহঃ) বলেনঃ
“দু’আর জন্য উপযুক্ত সময়, অবস্থা ও স্থান অনুসন্ধান করা উচিত। যাতে করে দু’আ কবুল হওয়ার আশা পূর্ণরূপে করা যায়। আর দু’আ কবুল হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে, বুধবার দিবস যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়।” (শু’আবুল ঈমান ২/৪৬)
No comments:
Post a Comment