প্রশ্ন: একজন ব্যক্তি আলেম নন কিন্তু তার আকিদা সহিহ। তিনি সব বিষয়ে মানুষকে ফতোয়া দেন। তার থেকে ফতোয়া নেওয়া যাবে কি? আর ব্রাদার্সদের থেকে কি ফতোয়া গ্রহণ করা যাবে?
ভালোবাসি ইসলাম ধর্ম
ইসলাম শান্তির ধর্ম
Sunday, October 27, 2024
আলেম নন কিন্তু সব বিষয়ে মানুষকে ফতোয়া দেন তার থেকে ফতোয়া নেওয়া যাবে কি
অত্যাচারিত হইওনা এবং অত্যাচার করিও না এটি কি কোন হাদিসের ভাষা
প্রশ্ন: “অত্যাচারিত হইও না অত্যাচার করিও না” এটা কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা? যদি হয়ে থাকে অনেক সময় অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে অর্থাৎ অত্যাচারিত না হতে চাইলে দেখা যায় আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি হয় পরবর্তীতে তারা আর নতুন করে আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায় না আমরা যত চেষ্টাই করি। এক্ষেত্রে কি করবো?অত্যাচারিত হতে না চাইলে তাদের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি হবে। ঝামেলা করাও তো ইসলামিক ভাবে ঠিক না।
Monday, October 14, 2024
হিন্দুদের পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন জিনিস ভাড়া দেওয়া
প্রশ্ন: হিন্দুদের পূজা উপলক্ষে ফার্নিচার, মাইক, সিসি ক্যামেরা, গাড়ি ইত্যাদি ভাড়া দেওয়া জায়েজ আছে কি?
إِنَّ اللَّـهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ
“নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।” [সূরা নিসা: ৪৮]
সুতরাং কোনও মুসলিমের জন্য জঘন্য শিরকের কাজে কোনও ভাবেই সহায়তা করা বৈধ নয়। অত:এব হিন্দুদের পূজা উপলক্ষে ফার্নিচার, মাইক, গাড়ি ইত্যাদি ভাড়াও দেওয়া যাবে না।
মোটকথা, পূজার কাজে ব্যবহার করার জন্য কোনও বস্তু বা উপকরণ তাদের কাছে বিক্রয় করা বা ভাড়া দেওয়া বৈধ নয়। কারণ তা শিরকের কাজে সহায়তার শামিল। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
“সৎকর্ম ও আল্লাহ ভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।” [সূরা মায়িদা: ২]
আর এ কথায় কোনও সন্দেহ নাই যে, মূর্তি পূজা ও শিরক হল, সবচেয়ে বড় পাপ ও সীমালঙ্ঘন।
তবে সিসি ক্যামেরা ভাড়া দেওয়া যেতে পারে। কারণ তা মুসলিম-হিন্দু সকলের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন। কেননা অনেক সময় কিছু স্বার্থান্বেষী অমুসলিম মুসলিম সেজে পূজা মণ্ডপে আক্রমণ চালিয়ে মুসলিমদের উপর তার দোষ চাপিয়ে দেয়। সিসি ক্যামেরা থাকলে হয়ত এমন চক্রান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। সুতরাং বৃহত্তর স্বার্থে এতে কোনও সমস্যা নাই ইনশাআল্লাহ।
সৌদি আরবের সাবেক গ্রান্ড মুফতি বিশ্ববরণ্যে আলেম আল্লামা আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ. বলেন,
“কোনও মুসলিম পুরুষ-নারীর জন্য ই-হুদি-খ্রি-স্টান বা অন্যান্য কা-ফেরদের উৎসবে অংশগ্রহণ করা ও সহযোগিতা করা জায়েজ নয় বরং তা বর্জন করা আবশ্যক। কারণ “যে ব্যক্তি অন্য কোনও জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে।” রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে তাদের সাদৃশ্য অবলম্বন ও চরিত্র গ্রহণ করার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
সুতরাং ইমানদার নারী-পুরুষের জন্য এ বিষয়ে সাবধান হওয়া জরুরি। এ উৎসব পালনে তাদেরকে কোনভাবেই সাহায্য করা বৈধ নয়। কেননা এগুলো শরিয়ত বিরোধী উৎসব। সুতরাং তাতে অংশগ্রহণ করা জায়েজ নেই এবং তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা বৈধ নয়। চা, কফি, হাড়ি-পাতিল ইত্যাদি দ্বারাও সহায়তা করা যাবে না। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
“আর তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহ ভীতিতে একে অন্যের সহায়তা কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।” [সূরা মায়িদা: ২]
ঈদে নতুন পোশাক কেনা কোন বিলাসিতা নয়
প্রশ্ন: স্বামীর যদি সামর্থ্য থাকে তবু্ও যদি সে সন্তানদের ঈদে নতুন ড্রেস কিনে না দেয় এবং বলে ঈদের কাপড় কিনা বিলাসিতা। কথাটা কি সঠিক? উল্লেখ্য সেই সন্তানেরা নানা বাড়ি থেকে নতুন ড্রেস গিফট পেয়েছে। এবং প্রতিটি সন্তানরই বাবার কাছে এটা চাওয়া থাকে,না পেলে মন খারাপ হয়।
উত্তর: ঈদের সময় সুন্দর পোশাক পরা ও সাজ-সজ্জা করা সুন্নত। যেমন হাদিসে এসেছে,
أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ أَخَذَ عُمَرُ جُبَّةً مِنْ إِسْتَبْرَقٍ تُبَاعُ فِي السُّوقِ، فَأَخَذَهَا فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْتَعْ هَذِهِ تَجَمَّلْ بِهَا لِلْعِيدِ وَالْوُفُودِ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّمَا هَذِهِ لِبَاسُ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ”. فَلَبِثَ عُمَرُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَلْبَثَ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِجُبَّةِ دِيبَاجٍ، فَأَقْبَلَ بِهَا عُمَرُ، فَأَتَى بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ قُلْتَ ” إِنَّمَا هَذِهِ لِبَاسُ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ”. وَأَرْسَلْتَ إِلَىَّ بِهَذِهِ الْجُبَّةِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” تَبِيعُهَا أَوْ تُصِيبُ بِهَا حَاجَتَكَ ”.
বদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বাজারে বিক্রি হচ্ছিল এমন একটি রেশমী জুব্বা নিয়ে উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এটি কিনে নিন। ঈদের সময় এবং প্রতিনিধি দলের সংগে সাক্ষাতকালে এটি দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করবেন। তথন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ এটি তো তার পোশাক, যার (আখিরাতে) কল্যাণের কোন অংশ নেই। এ ঘটনার পর উমর (রাঃ) আল্লাহর যত দিন ইচ্ছা ততদিন অতিবহিত করলেন।”
তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট একটি রেশমী জুব্বা পাঠালেন, উমর (রাঃ) তা গ্রহন করেন এবং সেটি নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তো বলেছিলেন, এটা তার পোশাক যার (আখিরাতে) কল্যাণের কোন অংশ নাই। অথচ আপনি এ জু্ব্বা আমার নিকট পাঠিয়েছেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি এটি বিক্রি করে দাও এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থে তোমার প্রয়োজন মিটাও।
[সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১৩/ দুই ঈদ, পরিচ্ছেদঃ ৬০২. দুই ঈদ ও এতে সুন্দর পোশাক পরা]
আর এ কথা সত্য যে, ঈদের সময় সুন্দর ও নতুন জামা-কাপড় ঈদের আনন্দকে বৃদ্ধি করে দেয়। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য। তবে এ ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না। এমন অতিরিক্ত করা যাবে না যা অপচয় পর্যায়ে চলে যায়।
ব্যাঙ খাওয়া হারাম
প্রশ্ন: ব্যাঙ খাওয়া কি হারাম?
উত্তর: ব্যাঙ খাওয়া হারাম:
“কোন চিকিৎসক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি’ ওয়া সাল্লাম কে ব্যাঙ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলেন, এটা ঔষধে প্রয়োগ করবেন কি না? উত্তরে তিনি তা হত্যা করতে নিষেধ করলেন।” [আহমদ ১৫৩৩০, নাসাঈ ৪৩৫৫, আবু দাউদ ৩৮৭১, দারেমী ১৯৯৮, হাকিম ৪র্খ খণ্ড ৪১১ পৃষ্ঠা। সহীহুল জামে, হা/৬৯৭০]